শ্যামনগর ব্যুরো ঃ শ্যামনগর থানার এস আই রোকন মিয়ার অর্থ ও চাঁদাবজির দাপটে সাধারন নিরহ মানুষ ভয়ে বাড়ি থাকতে পারছে না। সূত্রে জানা যায়, এস আই রোকন শ্যামনগর থানায় যোগদান করার পর থেকে জামায়াত বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে নিরিহ মানুষদের কাছ থেকে অন্যায় ভাবে জোর পূর্বক অর্থ আদায়ে ব্যস্থ। বর্তমান সে ভুরুলিয়া বিটে দায়িত্ব পাওয়ায় জামায়াত শিবিরে সেক্রেটারী, সভাপতি, আমীর সহ নাশকতা মামলার আসামীদের আটক না করে তাদের সাথে অর্থ বাণিজ্যে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অপরদিকে সাধারন নিরিহ মানুষদের ওয়ারেন্টের আসামী বলে ধরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকা থেকে জানা যায় ভুরুলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লিয়াকত আলীর নিকট থেকে ৪০ হাজার, সিরাজপুর সবুর মাস্টারের নিকট থেকে ২৫ হাজার, চালিতাঘাটা নজরুল ইসলামের নিকট থেকে ২০ হাজার, মহসিন রেজার নিকট থেকে ৮০ হাজার, ভুরলিয়া বিএনপির সভাপতি মতিন গাজীর নিকট থেকে ৫০ হাজার, নাগবাটির বাচ্চু গাজীর নিকট হতে ৩০ হাজার, তেঘড়িয়ার আবুল কাশেম জিহাদীর নিকট থেকে ২০ হাজার, সিরাজপুর আমিনুর রহমান মিন্টুর নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়া সাদারন ও নিরিহ মানুষদের ওয়ারেন্টের আসামী বলে ধরে ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে। এঘটনায় এলাকায় এসআই রোকন আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ বাড়ি থাকতে সাহস পাচ্ছে না।
Category: অপরাধ
-
জামায়াত বিএনপির সাথে আতাত করে লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য এস আই রোকন মিয়ার
-
কালিগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদ্বন্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ কালিগঞ্জে স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী জালাল সানাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করার আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার দুপরে সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদ্বন্ড প্রাপ্ত আসামী জালাল সানা কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক সানার ছেলে।মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামী জালাল সানা তার স্ত্রীকে পারিবারিক কলহের জের ধরে চলতি বছরের ১৩ মার্চ গভীর রাতে দা দিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা একই উপজেলার দক্ষিণ রঘুনাথপুর গ্রামের আনোয়ার আলী মোড়ল পরদিন বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় আসামী জালাল সানার নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (যার মামলা নং-৮, জি,আর-৪১/১৮)। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সোহরাব হোসেন আসামী জালাল সানার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার নথি ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে বিচারক আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মামলার আসামী জালাল সানার উপস্থিতিতে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করার আদেশ প্রদান করেন।
এ মামলায় আসামীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আক্তারুজ্জামান। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালণা করেন পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাশ। তিনি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। -

চীনা দুতাবাসকর্মী সাতক্ষীরার মিকাইল ও বিদেশী সঙ্গীরা খুন করেছে স্ত্রী জুলিয়াকে
নিজস্ব প্রতিনিধি: চীনা দূতাবাসকর্মী সাতক্ষীরার মিকাইল ও তার দুই তিনজন বিদেশি সহকর্মী ঢাকায় আমার নাতনি জুলিয়াকে ধর্ষনের পর হত্যা করেছে । এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিকাইল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহমুদুল হাসানকে মোটা টাকা ঘুষ দিয়ে আলামত গায়েব করে অপমৃত্যু মামলা করেছে। এরপরও ঘাতক মিকাইল পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটমাট করে নিতে আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে । না হলে আরও বিপদ হবে বলে হুমকি দিয়েছে সে।
শনিবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন নিহত জুলিয়ার নানী খালেদা খাতুন। তিনি বলেন, তার নাতনিকে স্বামী মিকাইল বিদেশী বায়ারদের বেড পার্টনার হিসাবে জোর করে ব্যবহার করতো। গত ২৯ এপ্রিল একইভাবে তাকে ধর্ষনের পর বেডেই শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এর আলামতও পাওয়া গেছে বলে জানান খালেদা খাতুন। তিনি মিকাইল ও তার বিদেশী সঙ্গীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী , পুলিশের আইজি , র্যাবের মহাপরিচালক এবং চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। তিনি বলেন জুলিয়া দাখিল পরিক্ষা দিয়েছিল। মৃত্যুর কয়েকদিন পর পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। জুলিয়া এ গ্রেডে পাস করলেও সে তা জেনে যেতে পারেনি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর গ্রামের আনছার গাজির স্ত্রী খালেদা সংবাদ সম্মেলনে বলেন তার মেয়ে নারগিসের একমাত্র মেয়ে জুলিয়া খাতুন নবম শ্রেণিতে পড়তো। তাকে বিয়ে করার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের আবদুর রউফের ছেলে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসকর্মী মিকাইল হোসেন । দুই বছর আগে মিকাইল জুলিয়াকে নানা কৌশলে বিয়ে করে। কিছুদিন পর কাউকে কিছু জানতে বুঝতে না দিয়ে মিকাইল স্ত্রী জুলিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে সে বিদেশি বায়ারদের প্রলুব্ধ করে জুলিয়াকে তাদের বেডপার্টনার হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করে। এর বিনিময়ে সে অনেক টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে।
তিনি জানান গত ২৯ এপ্রিল মিকাইল ফোন করে জানায় জুলিয়া ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে। এর কিছুক্ষন পর সে জানায় জুলিয়া গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তড়িঘড়ি করে তাকে ঢাকায় দাফন করে সে। তিনি জানান সাতক্ষীরা থেকে যেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকে চীনা দুতাবাসের নিরাপত্তারক্ষীরা জানান জুলিয়াকে কয়েক বিদেশি বায়ারদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের শয্যাসঙ্গীনি করতো মিকাইল। এমন এক রাতেই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ সময় তার চিৎকারের শব্দও শুনতে পান দূতাবাসের নিরাপত্তারক্ষীরা। বিছানায় ধর্ষন ও হত্যার আলামত পাওয়া যায় বলে জানান নানী খালেদা খাতুন। তিনি জানান জুলিয়াকে ধর্ষন ও হত্যার ভিডিও ফুটেজসহ বিভিন্ন আলামত উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই মাহমুদুল হাসানের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরে তার কাছ থেকে রিপোর্ট নিতে গেলে তিনি নানী খালেদাসহ অন্যদের থানা থেকে বের করে দেন। এর আগে তিনি সব আলামত গায়েব করে দেন। তদন্ত করলে এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে জানান খালেদা।
তিনি আরও জানান কথা অনুযায়ী তাকে দেওয়া মোবাইল নম্বর ০১৭১৮৯৬৩০৮৪ এ যোগাযোগ করা হলে এসআই মাহমুদুল হাসান দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে বলেন অন্যথায় অপমৃত্যুর রিপোর্ট দেওয়া হবে। খালেদা বলেন মিকাইল নিজের স্ত্রী জুলিয়াকে দুতাবাসের কয়েকজনের ভোগবিলাসে পরিনত করতে ২৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু জুলিয়াকে খুন করার পর সে নানাভাবে আতংকিত হয়ে এখন সাতক্ষীরায় নিজ বাড়িতে পালিয়ে থাকছে। বিদেশে চন্দনকাঠ পাচার কালে মিকাইল ও তার চীনা বন্ধূ সানসুন ইউ ইউ এক বছর আগে সাতক্ষীরায় গ্রেফতার হয় বলেও জানান খালেদা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা খাতুন বলেন মিকাইল এখন আমাদের পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে সব কিছু মিটমাট করে নিতে চায়। তার প্রশ্ন জুলিয়া যদি আত্মহত্যাই করবে তাহলে মিটমাট কিসের এবং টাকাই বা কেনো।
তিনি জুলিয়া হত্যার বিচার দাবি করেন। ্ অচিরেই মিকাইল ও তার চীনা সঙ্গীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি , র্যাবের মহাপরিচালক ও চীনা দূতাবাস কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। -
শ্যামনগরে অস্ত্র গুলি ও নৌকা উদ্ধার
শ্যামনগর প্রতিনিধি ঃ গতকাল পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ এলাকার কালিন্দি নদী সংলগ্ন বকচরা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে একটি দেশি তৈরী পাইপগান আট রাউ- ১২ বোর বন্দুকের গুলি ও একটি নৌকা উদ্ধার করেছে শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি বি জি বি রিভারাইন কোম্পানির সদস্যরা। কৈখালি আর বি জি কোম্পানি কমা-ার নায়েক সুবেদার খান মফিদুল ইসলাম জানান যে, নিজস্ব গোয়েন্দা মারফত সংবাদ পেয়ে সিও লেফটেন্যাণ্ট কমা-ার এম মিল্টন কবির এর নির্দেশে গত ২৩ নভেম্বর রাত ১১ টার দিকে কালিন্দি নদী সংলগ্ন বকচরা নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আর বি জি সদস্যদের উপস্থিতি টেরপেয়ে নৌকায় অবস্থানরতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় । পরিতক্ত অবস্থায় একটি দেশি তৈরী পাইপগান ৮ রাউ- ১২ বোর বন্দুকের গুলি ও একটি নৌকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র গুলি শ্যামনগর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি উপজেলার নিলডুমুর বি জি বি রিভারাইন কমা-ার, লেফটেন্যাণ্ট কমা-ার এম, মিল্টন কবির নিশ্চিত করেছেন। -
রতনপুর ইউপি সদস্য ও যুবলীগের সভাপতি সুজনের উপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন
কালিগঞ্জ ব্যুরো: কালিগঞ্জের রতনপুর ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সভাপতি মাসুম বিল্যাহ সুজনের উপর হামলার প্রতিবাদে কালিগঞ্জে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ফুলতলা মোড় থেকে মিছিল বের হয়ে উপজেলা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু মুর্যাল প্রাঙ্গনে এসে এক মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপজেলা যুবলীগের একাংশের আহবায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, যুবলীগ নেতা শেখ নাজমুল আহসান।
যুগ্ম আহবায়ক শহিদুজ্জামান তুহিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জি.এম সিরাজুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তারক আশ্চর্য্য, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আমিনুর রহমান,যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান লিটন, রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু ঢালী, বিষ্ণুপুর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন, দক্ষিণ শ্রীপুর সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মোড়ল, কুশুলিয়া যুগ্ম আহবায়ক সুলতান আহমেদ, যুবলীগ নেতা ফিরোজ হোসেন, ফারুক হোসেন ও নান্নু প্রমুখ।
সভায় রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, ইউপি সদস্য মাসুম বিল্যাহ সুজনের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে আহবান করেন বক্তারা। -
মানসিক প্রতিবন্ধী রাজু চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে আহত
গত ১৬ নভেম্বর শুক্রবার রাতে সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ভাটপাড়া স্কুল মাঠে স্থানীয় গ্রামবাসীদের আয়োজনে ঐতিয্যবাহী গাদন খেলা অনুষ্টিত হয়। প্রতিবন্ধী রাজুকে বাড়ীতে সবসময় বেধে রাখা হয়। কিন্তু সেদিন গাদন খেলা দেখার জন্য ভিশন জালাতন করতে থাকে বাড়ীতে । পরবতীতে সে তার পিতার সাথে খেলা দেখতে যায়। খেলা চলাকালিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে খেলার বিরতী চলাকালিন সময়ে মোঃ আরিজুল ইসলামের ছেলে মানসিক প্রতিবন্ধী রাজু (২২) খুশিতে হৈচৈ করতে থাকলে এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী আরশাদ আলী, তার ছেলে-সোহাগ, হজরত আলীর ছেলে মিলন, মাজেদ মেম্বারের ছেলে মিঠু তাকে বেদম মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। মানসিক প্রতিবন্ধী রাজুকে মারাত্মক আহত অবস্থায় পরদিন শনিবার রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মানসিক স্বাস্থ্য ইনষ্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সে মানসিক হাসপাতালের বয়স্ক পুরুষ ০৩ নং ওয়ার্ডের ২৪৯ রুমে ২৫ নং বেডে ডাঃ নিলুফার আক্তার জাহান ও ডাঃ শাকী রায়সুল মাহমুদের চিকিৎসাধীন রয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
প্রতিবন্ধী রাজুর চাচা মোঃ আনিছুর রহমান জানান বিগত প্রায় ২ বছর আগে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানের সময় মোটরসাইকেলে সাদা পোশাকের দুজন পুলিশকে উপরোক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ী দেখিয়ে দেওয়ার অপরাধে তারা রাজুকে ভিশন মারপিট করে আহত করে। তখন রাজুর অভিভাবকরা থানায় অভিযোগ করার চিন্তাভাবনা বা উদ্যোগ নিলে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারা ভূল শিকার করে গন্ডগোল মিমাংসা করা হয়েছিল। কিন্তু আরশাদ আলীসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মনে মনে রাগ পুষে রেখেছিল এই মারের কারনই তার প্রমান। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় তাদেরও অধিকার রয়েছে সুন্দর জীবনযাপন এবং খেলাধুলায় অংশগ্রহন করার। একজন প্রতিবন্ধী সে সমাজে সকলের সহানুভূতি নিয়ে বেচে থাকতে চায়। তার দরকার আদর-যন্ত ও সেবা। কিন্তু এলাকায় সে প্রতিনিয়ত মারধর ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অবহেলিত মানসিক প্রতিবন্ধী রাজুকে মারধরের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে উপরোক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস,এম মোস্তফা কামাল এবং পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমানের কাছে দাবি জানিয়েছেন তার পরিবার। -
বিডি নিউজ, দেশ টিভি প্রতিনিধি’র ব্যক্তিগত কার্যালয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রাণকেন্দ্র ভাংচুর ও জিনিসপত্র লুট
বিশেষ প্রতিনিধি.
বিডি নিউজ, দেশ টিভি প্রতিনিধি’র ব্যক্তিগত কার্যালয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রাণকেন্দ্র ভাংচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। ভবনের কক্ষটি ভাড়া প্রদান করেন পলাশপোলস্থ আব্দুল জলিল। আব্দুল জলিলের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে আলবারাকা শপিং মলের মালিক বুলু ও তার বাহিনী নিয়ে বনানী মার্কেটের ছাদ ভেঙে ক্যামেরা, ল্যাপটব, হারমোনিয়াম, তবলা, চেয়ারসহ মুল্যবান জিনিস দিন দুপুরে লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমতাজ বাপীসহ সাংবাদিকরা। উল্লেখ্য এই কার্যালয়েই শিল্প সাহিত্যসহ বিডি নিউজ পরিচালিত হ্যালো’র শিশু সাংবাদিকতার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে মালিকানা বুঝে নেয়ার বিষয় কিন্তু ভাড়াটিয়াকে চলে যেতে সময় দেয়ার বিষয়টি অবশ্যই থাকে। এভাবে ভাড়াটিয়ার কক্ষ ভাঙচুর ঠিক না।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, দিনদুপুরে বিডি নিউজ, দেশ টিভি প্রতিনিধি’র ব্যক্তিগত কার্যালয় ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রাণকেন্দ্র ভাংচুর করে জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি শুধু অন্যায় না অপরাধ।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এবিষয়ে অভিযোগ প্রদান করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। -
সাতক্ষীরায় ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ঃ সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল এলাকা থেকে ফেন্সিডিলসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শনিবার মধ্যরাতে শহরের অদূরে বাঁকাল কোল্ডষ্টোরের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ীর নাম মোঃ নান্নু মিয়া (৪২) । সে ঢাকা পল্লবির মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মটরসাইকেল ও ২২ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান জানান, সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে মটরসাইকেলযোগে ফেন্সিডিল আনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের অদূরে বাঁকাল কোল্ডষ্টোরের সামনে ডিবি পুলিশের একটি টহল দল অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে নান্নু মিয়া নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। পরে তার মটরসাইকেলে তল্লাশি চালিয়ে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২২ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, তার বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। -
সরকারি নিয়মনীতি না মেনেই চলছে শ্যামনগরের বেশিরভাগ ক্লিনিক
ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: ‘ভুল অপারেশনে প্রাণ গেল রোগীর’ এমন শিরোনামে প্রতিনিয়তই প্রকাশিত হচ্ছে খবর। যোগ্য ডাক্তার ও নার্সের অভাবে জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকসমূহে এরকম ঘটনা ঘটছে অহরোহ। মানব সেবার নামে ক্লিনিকগুলো যেন হয়ে উঠেছে মৃত্যু ফাঁদ। এসব ফাঁদে পড়ে রোগীকে ভোগান্তিতো পোহাতে হয়ই রোগীর পরিবারের সদস্যরাও ক্লিনিকের খরচ বহন করতে করতে দিশেহারা। এমন দৃশ্য এখন জেলার সর্বত্রই দেখতে পাওয়া যায়। আর এর মূল কারণ সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সেবার নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পরিচালিত হওয়া জেলার এসব ক্লিনিকের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ‘দৈনিক দক্ষিণের মশাল’ এ ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে সরকারি নীতিমালা না মেনে এম.বি.বি.এস ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স ও লাইসেন্সবিহীন চলছে কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিক। এসব ক্লিনিকের বেশিরভাগ কাজ চলে স্বল্প শিক্ষিত নার্স দিয়ে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্লিনিকই চালানো হচ্ছে পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পাস নার্স দিয়ে। এসব ক্লিনিকে ডাক্তারের কাজ শুধুমাত্র অস্ত্রপচার পর্যন্ত। অস্ত্রপচারের পর ইনজেকশন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করেন অদক্ষ নার্সরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শ্যামনগর উপজেলার ১৩ টি ক্লিনিকের মধ্যে ১১ টি ক্লিনিকই চলছে নাম মাত্র ডাক্তার আর গুটিকতক অদক্ষ নার্স দিয়ে। এসব ক্লিনিক চালাতে ক্লিনিক মালিকরা সহযোগীতা নিচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় কিছু নেতাদের।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি ক্লিনিকে সার্বক্ষণিক একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও একজন ডিপ্লোমা নার্স থাকতে হয়। থাকতে হয় নবায়ন লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, নারকুটি লাইসেন্স, ইনকামটেক্স ও ফায়ারসার্ভিস লাইসেন্স। এরপর অপারেশন থিয়োটারে (ওটি) এসি, হাউড্রোলিক টেবিলসহ সকল সার্জিকাল যন্ত্রপাতি থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্লিনিকে এসবের বেশিরভাগই নেই।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত আরজি ক্লিনিক নার্সিং হোম, নওয়াবেঁকিতে দুইটি শামিমা ও ডাক্তার ফার্নান্দো নববে মাদার এন্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, বংশীপুরে তিনটি শ্যামনগর ন্যাশনাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বংশীপুর নার্সিং হোম ও জননী নার্সিং হোম। শ্যামনগর সদরে সুন্দরবন নার্সিং হোম, নগর হাসপাতাল ও সেবা ক্লিনিক সরকারি কোন নিতিমালা না মেনেই নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে তাদের ক্লিনিক ব্যবসা। রোগীদের জীবন নিয়ে ডাক্তার বিহীন ক্লিনিকগুলো খেলা করে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।
এসব ক্লিনিকে ভর্তি রোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ডাক্তার অপারেশন করে রেখে চলে যায় এরপর নার্স দিয়ে তাদের সেবা করানো হয়। পরেরবার ডাক্তারের দেখা পেতে সময় লাগে ৩-৪ দিন। ডাক্তার যখন নতুন রোগীদের অপারেশন করতে আসেন তখন ভর্তি রোগীদের এক নজর দেখে যান।
অবৈধভাবে ক্লিনিক চালানোর কারণ জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিকরা বলেন, ‘একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স সর্বক্ষণ রেখে রোগীদের চিকিৎস্য দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। তবে ডাক্তার প্রতিদিন তাদের ক্লিনিকে এসে রোগীদের দেখে যায়। এছাড়া সব প্রকার লাইসেন্স সরকারিভাবে বন্ধ আছে।’ডাক্তার, নার্স ও লাইসেন্সবিহীন এসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার তওহিদুর রহমান বলেন, ‘যে সময় আমি ক্লিনিক পরিদর্শন করতে যায় সেসময় ক্লিনিকে ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকে এজন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি না। তবে যদি কোন ক্লিনিক সরকারি নিয়মনীতি না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
-
সাতক্ষীরায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬
মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১ জমায়াতকর্মী এবং ৩ মাদক মামলার আসামিসহ ৫৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
নিয়মিত চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত এ অভিযান থেকে বেশকিছু মাদকদ্রব্য আটক করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এ অভিযান থেকে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ৫১ পিস ইয়াবাসহ ১৫ জন, কলারোয়া থেকে ২১ পিস ইয়াবাসহ ৮ জন, তালা থানা থেকে ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৫ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ৯ জন, আশাশুনি থানা থেকে ৭ জন, দেবহাটা থানা থেকে ৩ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, নাশকতা, সন্ত্রাস এবং মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান নিয়মিত রয়েছে। সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।
-
জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে আটক-৫৬
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ মাদক মামলার আসামি ও বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ নেতা-কর্মীসহ ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ফেন্সিডিল ও ইয়াবাসহ বেশ কিছু মাদক দ্রব্য।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে এসময় ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৭ জন, তালা থানার ৫ জন, কালিগঞ্জ থানার ৭ জন, শ্যামনগর থানার ৯ জন, আশাশুনি থানার ৭ জন, দেবহাটা থানার ২ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। -

বকচরা মাদ্রাসার ৯ শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের বকচরা মাদ্রাসার নয়জন শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি মাদ্রাসায় তারা গোপন মিটিং করছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা হতে তাদের আটক করা হয়।সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম জানান, জামায়াত সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন শিক্ষক বকচরা আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাকুরি করেন। তারা বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসার একটি কক্ষে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তাদের আটক করা হয়।আটককৃতদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে জামায়াতের দুই নেতার নাম জানা গেছে। এরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর পশ্চিম জামায়াতের সেক্রেটারি মওলানা শাহাদাত হোসেন ও আগরদাঁড়ি ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মওলানা আবদুস সামাদ। আটককৃত অন্য শিক্ষকরা হলেন সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার, হাফিজুর রহমান, আবুল খায়ের, মোজাম্মেল হক, মোজাফফর হোসেন, আজম ফারুক ও আবদুল হামিদ। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।মাদ্রাসার সুপার মো. রমজান আলি জানান, তিনি গত ১ এপ্রিল ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন। যাদের আটক করা হয়েছে তাদের কেউ জামায়াত করেন কিনা তা তিনি নিশ্চিত নন। তিনি জানান আটকের সময় সবাই ক্লাসরুমে ক্লাস নিচ্ছিলেন। তবে এ ঘটনার সময় তিনি ছুটিতে ছিলেন।পুলিশ পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম আরও জানান, যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-
জেলার ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্টে অস্বাভাবিক লেনদেন
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের একটি তদন্ত টিম গত সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরাতে পৌছে তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব নাম্বার তদন্ত শুরু করছেন।
যাদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত হচ্ছে তাদের ব্যাংকিং লেনদেন অস্বাভাবিক এবং সন্দেহজনক বলে একটি বিশ্বাসযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। তিন সদস্যের ওই তদন্ত টিমে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক গাজী মনিরুদ্দীন, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক সালেহ উদ্দীন এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. এম ডি বাশিরুল আলম।
এই তদন্ত টিম প্রথম দিনে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায় তদন্ত করেন। ৩৯ জনের তালিকার মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড সাতক্ষীরা শাখায়। বাকীদের অন্যান্য ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে। দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার তারা ন্যাশনাল এবং সিটি ব্যাংকে অনুসন্ধান চালিয়েছেন।
তাদের একাউন্টে কি ধরনের লেনদেন হয়েছে। এসব টাকা কোথা থেকে একাউন্টে জমা হয়েছে। কি পরিমাণ টাকা লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। খুঁজা হচ্ছে তাদের লেনদেনের প্রকৃত উৎস। তালিকাভূক্তদের বিরুদ্ধে ভারতে হুন্ডির টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে।তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, যে ৩৯ জনের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তাদের অনেকেই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কোটি-কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অতি অল্প দিনেই বিলাশবহুল গাড়ি ও বাড়ির মালিক হয়েছেন। এদের অনেকেই বর্তমানে বৈধ ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকার হুন্ডি, চোরাচালানী, স্বর্ণ পাচার, মাদকসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অবৈধ এসব টাকার উৎস খুঁজতে এদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে বলে জানাগেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো তালিকাভূক্ত ৩৯ ব্যবসায়ীর মধ্যে অনেকেরই রয়েছে জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় জুয়েলার্সের দোকান। যারা জুয়েলারী ব্যবসার আড়ালে হুন্ডি ও স্বর্ণ চোরাচালানী ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া রয়েছে ভোমরার একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী, কয়েক জন গরু ব্যবসায়ী, কয়েকজন বর্তমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন জেলা পরিষদ সদস্য। এদের মধ্যে কেউ-কেউ রয়েছেন হুন্ডি, অস্ত্র, মাদক,স্বর্ণসহ বিভিন্ন চোরাচালানীর সাথে জড়িত।
যেসব ব্যবসায়ীর ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত শুরু হয়েছে তারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা শহরের খান মার্কেটের অংকন জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গৌর দত্ত, অমিত জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী জয়দেব দত্ত, তালার কুমিরার আদিত্য মজুমদার, ব্রাদার্স জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আশুতোষ দে, আলিপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, জনপ্রিয় জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী সুমন কর্মকার ও বাবু কর্মকার, শ্যামনগরের নকীপুরের বিশ্বজিৎ মন্ডল, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ, শ্রী জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দীন বন্ধু মিত্র, ঝাউডাঙ্গার এম ভি জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মুকুন্দ ভারতী, ঝাউডাঙ্গার সাগর জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রবিন্দ্র নাথ দে, আশাশুনির নিউ দে জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী দেব কুমার দে, কলারোয়ার সন্ধ্যা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী হরেন্দ্র নাথ রায়, আধুনিক জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গোপাল চন্দ্র দে, তালার দীপা জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী গনেশ চন্দ্র শীল, তালার নিউ জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারী বাসুদেব দত্ত, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী এলাকার মো. রাশেদুল ইসলাম, পদ্মশাখরা এলাকার মো. লিয়াকত হোসেন, একই উপজেলার ঘোনার মো. হাবিবুর রহমান, কলারোয়ার বলিয়ানপুরের জালালউদ্দিন গাজী, কলারোয়ার চন্দ্রনপুরের গরু ব্যবসায়ী নাসির, একই উপজেলার কাকডাঙ্গার গরু ব্যবসায়ী ইয়ার আলী মেম্বর, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, বৈকারীর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অসলে, ভোমরার ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী, কলারোয়ার সোনাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা শহরের রয়েল স্যানেটারীর স্বত্ত্বাধিকারী মো. নজরুল ইসলাম, ভোমরার এ.এস ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী আজিজুল ইসলাম, বাঁকালের ফিরোজ ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ হোসেন, বাঁকালের কে হাসান ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী খালিদ কামাল, ভোমরার মামা-ভাগ্নে ভান্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী আজহারুল ইসলাম, মেসার্স কাজী ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী নওশাদ দেলোয়ার রাজু, মেসার্স সুলতান ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ইসরাইল গাজী, মেসার্স সাব্বির ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শাহানুর ইসলাম শাহিন, মেসার্স নাজিম ইন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী গোলাম ফারুক বাবু (দেবহাটার পারুলিয়ার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ), মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আবু মুসা এবং মেসার্স রোহিত ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী রাম প্রসাদ প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, গত সপ্তাহে ৩৯ জনের এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানো হয়। এসব ব্যসায়ীদের ব্যাংক লেনদেন (ব্যাংক একাউন্ট ওপেন থেকে আজ পর্যন্ত ) অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক বলে সূত্র জানায়।
এসব ব্যবসায়ীদের ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোন সময় বাংলাদেশের ব্যাংকের তদন্ত টিম সরেজমিন এসে তালিকাভূক্তদের ব্যাংক একাউন্ট তদন্ত করবেন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম সাতক্ষীরা পৌছে গেছে। তদন্ত টিম সোমবার সকাল থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তবে তদন্তকারী ওই টিমের সদস্যদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গত সপ্তাহে ৩৯ জন ব্যবসায়ীর এই তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন ব্যাংকে পাঠানোর পর ব্যাংক গুলোতে তোলপাড় শুরু হয়।
সাতক্ষীরা ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার (অপারেশন) ছবিউল ইসলাম খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ইসলামী ব্যাংকে গিয়েছিলেন। তারা তাদের তালিকা অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার যারা গ্রাহক রয়েছেন তাদের হিসাব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য ও খোঁজ খবর নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের বরাত দিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে হুন্ডির টাকা পাচারকারীদের একটি তালিকা প্রকাশিত হয়। ওই তালিকায় সাতক্ষীরার ৩৯ জন ব্যবসায়ীর নাম দেয়া হয়েছিল। -
হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতারের ২০ ঘন্টা পর মুক্তি!
নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৭ বছর আগে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার পলাতক আসামি পুলিশের হাতে ধরা পড়েও হাত ফসকে বেরিয়ে গেলো। পুলিশ বলেছে ‘তাকে ভুল করে ধরা হয়েছিল । তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি’ । এই দোহাই দিয়ে সদর থানা থেকে জামালউদ্দিন নামের ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয় আজ মঙ্গলবার ।
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান ২০০১ সালের ৪ নভেম্বর রাতে তার সহোদর ভাই মাহবুবার রহমানকে সন্ত্রাসীরা তলুইগাছার খড় বিলের ঘেরের মধ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ পানিতে চুবিয়ে রাখে। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা করেন ( সেশন কেস ৭৪/২০০৪ ও জিআর কেস ৫৪৯/২০০১)। এ মামলার আসামি কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পাচু গাজির ছেলে মো. জামালসহ ১১ জন ।
তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন , পাঁচজন জেল খেটে জামিনে রয়েছেন এবং চারজন পলাতক । জামালউদ্দিন পলাতকদের একজন। জামাল ঘটনার পর থেকে কখনও ভারতে , কখনও অন্য কোনো এলাকায় পালিয়ে থাকতো। সম্প্রতি সে তার দ্বিতীয় বাড়ি সদর উপজেলার তলুইগাছায় এলে পুলিশ খবর পেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করে। তিনি অভিযোগ করে বলেন প্রায় ২০ ঘন্টা থানা হাজতে আটক থাকার পর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ এ ব্যাপারে অনেক টাকার লেনদেন হয়েছে। আর এই লেনদেন করেছেন বাঁশদহা ইউপি সদস্য আবদুস সামাদ ও কুখ্যাত চোরাচালানি বিপুল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরা থানার এসআই জিয়ারুল ইসলাম জানান ‘ জামালউদ্দিনকে আমরা ভুল তথ্যের ভিত্তিতে ধরেছিলাম। পরে থানায় সার্চিং দিয়ে তার নামে কোনো মামলা পাওয়া যায়নি। এজন্য তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে’।
তবে মামলার বাদি অ্যাড. জিল্লুর রহমান জানান তিনি মামলার যাবতীয় কাগজপত্র পুলিশের কাছে দিয়েছেন। এমনকি একজনের ১৬৪ ধারার জবানবন্দীর কপিও রয়েছে পুলিশের কাছে। তারপরও তাকে ছেড়ে দেওয়া দুঃখজনক। বিষয়টি তিনি আদালতের বিচারকের দৃষ্টিতে আনবেন বলে জানান।গ্রামবাসী জানান জামালউদ্দিন কয়েকটি খুন , ডাকাতি, ছিনতাই চোরাচালান মামলার নাসামি। তার সন্ত্রাসী দাপটে আমরা টিকতে পারছি না। সে ছাড়া পেয়ে এখন আরও কি ঘটায় সেটাই দেখার বিষয়।
-
কালিগঞ্জে অস্ত্রসহ ডাকাত আটক
মশাল ডেস্ক: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় অস্ত্র ও গুলিসহ এক ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতের নাম আব্দুল মাজেদ তরফদার (৫২)। সে কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় মাজেদ তরফদারের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার বসত ঘরের বারান্দার চালের মধ্যে লুকিয়ে রাখা একটি পাইপগান, একটি ইয়ারগান ও তিন রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, আটক মাজেদ তরফদার উদ্ধাকৃত অস্ত্র গুলো ডাকাতি কাজে ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। -

প্রেমের ফাঁদে ফেলে চাঁদা দাবি : গ্রেফতার-১
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার এক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক গৃহবধূ ও তার স্বামী ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাথন্ডা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সুচতুর ওই গৃহবধূ জাহানারা খাতুন পালিয়ে গেছে।গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম সিরাজুল ইসলাম মোড়ল (৪৫)। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কাথন্ডা গ্রামের ইন্তাজ আলী মোড়লের ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার যুবক গাউসুল আযম সাকিলের সাথে পূর্ব পরিকল্পনা করে মোবাইলে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন কেশবপুরের কাথন্ডা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মোড়লের স্ত্রী জাহানারা খাতুন।মোবাইলে প্রেমের এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ গত রোববার কুরবানীর মাংশ খাওয়ার জন্য দাওয়াত করেন যুবক সাকিলকে। সাকিল যথারিতি সেখানে দাওয়াত খেতে যায়। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী দু জন মিলে তাকে ঘরে আটকে রেখে তার (সাকিলের) মোবাইল থেকে ফোন করে তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।বিষয়টি সাথে সাথেই সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন সাকিলের বাবা সিরাজুল ইসলাম । এরপর পুলিশ কৌশলে সাকিলেরর পরিবারের পক্ষ থেকে ওই গৃহবধূর সাথে মোবাইলে কথা বলে দাবীকৃত টাকা পরিশোধের জন্য বিকাশ নাম্বার চান। পুলিশ প্রথমে নাম্বারে ১০ হাজার টাকা বিকাশ করেন। এরপর সাদা পোশাকে কেশবপুর পুলিশের সহায়তায় ওই বিকাশ নাম্বারটির খঁজে সেখানে ওৎ পেতে থাকেন। বিকাশ কাউন্টার থেকে টাকা নেয়ার সময় পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামী সিরাজুলকে আটক করেন। কিন্তু তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন পালিয়ে যায়।সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় যুবক সাকিলের বাবা বাদি হয়ে আটক সিরাজুল ও তার স্ত্রী জাহানারার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। -

গ্রাম্য ডাক্তারের বিরুদ্ধে চাকুরি দেয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ভাল বেতনে চাকুরি দেয়ার নামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার রাতে ধর্ষক গ্রাম্য ডাঃ মনিরুজ্জামান মনিকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতা ওই নারী।এ মামলার আসামী ও ধর্ষণ কাজে সহযোগিতাকারী আব্দুল হান্নানকে স্থানীয় জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। এর আগে রোববার দিবাগত রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপোতা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।গ্রেফতারকৃত আব্দুল হান্নান কালিগঞ্জ উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের জামাত আলী পাড়ের ছেলে। এ মামলার পলাতক আসামীরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের নওশের আলীর ঘর জামাই ও এই মামলার প্রধান আসামী গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি এবং একই উপজেলার ইন্দ্রনগর গ্রামের হাসান পাড়ের ছেলে ফিরোজ হোসেন।এদিকে, অসহায় নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকে তদবীর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা ওই নারীর বাবা ও মা কেউ নাই। তিন বছর আগে তার বিয়ে হলেও স্বামীর আগের একটি স্ত্রী ও সন্তান থাকায় তিনি সেখানে যাননি। পরে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সম্প্রতি কালিগঞ্জ উপজেলার কাজলা গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার মনিরুজ্জামান মনি তাকে ভাল বেতনে চাকুরির প্রস্তাাব দিয়ে গত রোববার তাকে নলতা হাসপাতালের নিকটবর্তী ঘোড়াপোতা গ্রামের জনৈক রফিকুল ইসলামের বাড়িতে তোলেন। এরপর রাতে তাকে খুন করার হুমকি দিয়ে ডাঃ মনিরুজ্জামান মনি জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তাকে সহযোগিতা করে আব্দুল হান্নান ও ফিরোজ হোসেন। পরে তার আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে ধর্ষিতা ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং আব্দুল হান্নানকে আটক করে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ সময় পালিয়ে যায় ধর্ষক মনিরুজ্জামান মনি ও ফিরোজ হোসেন।এদিকে, পলাতক গ্রাম্য ডাক্তার মনির বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে ডাক্তারী করার অভিযোগে এর আগে প্রশাসন জরিমানাও করেছন বলে জানিয়েছেন একাধিক এলাকাবাসী।কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে এ মামলার আসামী আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। -
জেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জায়ামায়ত-বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ আটক-৫৪
মো. মুশফিকুর রহমান (রিজভি): সাতক্ষীরা জেলাব্যাপি বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াত-বিএনপির ৩ নেতাকর্মীসহ ৫৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে আজ (২৭ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।জেলা পুলিশের বিশেষ এ অভিযান থেকে ৭০৫ গ্রাম গাঁজা, ৪৫ বোতল ফেনসিডিল এবং ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান শেষে পাঁচটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ জানায় অভিযানে সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ১৫ জন, কলারোয়া থানা থেকে উপজেলা যুবদলের সভপতিসহ ৬ জন, তালা থানা থেকে ৮ জন, কালিগঞ্জ থানা থেকে ৫ জন, শ্যামনগর থানা থেকে ১ জামায়াতকর্মীসহ ১১ জন, আশাশুনি থানা থেকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতিসহ ৬ জন, দেবহাটা থানা থেকে ১ জন এবং পাটকেলঘাটা থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে।আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, ‘জেলার বিভিন্ন এলাকার মাদক ও নাশকতার সাথে জড়িত এমন ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিতি অনুসরণ করছে।’