Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 9 of 398

Author: dakshinermashal

  • খেলাপি মোটরযানের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মোবাইল কোর্ট  

    খেলাপি মোটরযানের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মোবাইল কোর্ট  

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার বিভিন্ন সড়কে দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ও খেলাপি মোটরযানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বিকালে পুরাতন সাতক্ষীরায়  মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ৬ টি মামলার বিপরীতে ৩ হাজর ৮ শত’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
    এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার প্রণয় বিশ্বাস, নুসরাত জাহান অনন্যা, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মোটরযান পরিদর্শক সজিব সরকার সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
    মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
    তিনি আরো বলেন আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া সরকার ইতিমধ্যে জরিমানা ব্যাতীত যে সকল মোটরযানের ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন নেই তাদেরকে জরিমানা ব্যাতীত মূল কর ফিস দিয়ে কাগজ পত্র হালনাগাদ করার জন্য ৩০ জুন’২৪ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। ইতিমধ্যে এই সময় সীমা শেষ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যে সকল যানবাহনের কাগজ পত্র এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নাই সে সকল খেলাপি যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
  • খাবারের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ খাওয়াইয়ে ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা চুরি

    খাবারের সাথে চেতনা নাশক ওষুধ খাওয়াইয়ে ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা চুরি

    নিজস্ব প্রতিবেদক: তরকারির সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ায়ে ছয়ঘরিয়া মোড়াস্থ্ যমুনা সাইন্টিফিক এন্ড ফিসারিজের ৬ জনসহ ৭ জন গুরুতর অসুস্থ হয়েছে। চুরি করে নিয়ে গেছে ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা।
    গত সোমবার রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।


    আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয় । একজনের অবস্থা অবনতি দেখে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক আব্দুল মালেক সাতক্ষীরা সদর থানায় ৩ জনকে সন্দেহ করে একটি অভিযোগ করেছে।


    এই ঘটনায় খাবার খেয়ে অসুস্থ হলেন যমুনা সায়েন্টিফিক হ্যাচারী এন্ড ফিসারিজের মালিক আব্দুল মালেক(৪৫), প্রতিষ্ঠানটির টেকনিশিয়ান কয়রা উপজেলার পাঁচ নম্বর কয়রা গ্রামের মোজাহার হাওলাদারের ছেলে ফয়সাল আনাম (৫২) প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক তালা উপজেলার আঠারাই গ্রামের মৃত মোকা মোড়লের ছেলে নুর ইসলাম, খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার আরাজী ভবানীপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এনামুল মোড়ল, (৩২) ,কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার কোঠিয়াসাম গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে একরামুল হক(৩৫),বেতলা গ্রামের আরিফুল ইসলামের মেয়ে রানী খাতুন (১৫)।
    প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ আব্দুল মালেক জানান, সন্ধ্যায় রাঁধুনী নূরী বেগম রান্না করে সব সাজিয়ে রেখে যান। প্রতিদিনের ন্যায় রাতে আমরা সবাই একসাথে খাওয়া দাওয়া করি। রাতের খাবার ছিল কচুর মুখি ও তেলাপিয়া মাছ। তরকারি স্বাদ ভালো না হওয়ায় ডিম দিয়ে খেয়ে উঠে যায়। তরকারির বাটিতে বিড়ালে মুখ দিয়েছে দাবী করে নৈশ প্রহরী শরিফুল ডিম দিয়ে খায়। ঐদিন শহিদুল কোন ভাত খায়নি।বাকিরা ওই তরকারি দিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে যাই । রাঁধুনী বাড়ি যাওয়ার সময় সে রাতের খাবার নিয়ে যায় ।তার মেয়ে রানী খাতুন খেয়ে অসুস্থ হয়েছে দাবি করলেও তাকে সুস্থতা দেখা যায়।আমি তরকারি খাওয়ার কারণে বেশি ঘুম না হলেও অন্যান্যদের মতো ঘুম থেকে উঠে সাবাইকে ডাকলে তাদের তেমন সাড়া না মেলায় ঘরের দরজা খুলে দেখি তারা সবাই অচেতন হয়ে পড়ে আছে। অফিসে গিয়ে দেখি সবই উলট পালট ।ড্রয়ার ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ড্রয়ারে থাকা মাছ বিক্রির ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা নাই। অফিসে থাকা কালো রংয়ের একটি ব্যাগে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র একটি পাঞ্জাবী চুরি হয়ে গেছে।


    গ্রাম ডাক্তার আশরাফ আলীকে ডেকে তাদেরকে অসুস্থদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।
    উল্লেখ্য,২৩ দিন পূর্বে নৈশ প্রহরী শরিফুল ও শ্রমিক শহিদুল দশ হাজার পিচ তেলাপিয়া মাছের চুরি করে বিক্রি করতে যেয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে। ওই ঘটনা তারা ক্ষমা চাইলে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। এক বছর পূর্বে ড্রয়ার ভেঙে ৭৫ হাজার টাকা এবং একটি মোটর চুরি করে নিয়ে যায়।
    বারবার চুরি হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আব্দুল মালেক উদ্বিগ্ন রয়েছেন। চুরি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

  • সাতক্ষীরা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিসএফজি ) সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

    সাতক্ষীরা পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিসএফজি ) সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

     “শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে সাতক্ষীরা সদর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপের (পিসএফজি ) সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে ৩ দিনের আবাসিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে । দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর MIPS প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় মানুষের মাঝে সকলক্ষেত্রে সম্প্রীতিপূর্ণ আচরণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে  ৩০ জুন ২০২৪ এবং ০১ ও ০২ জুলাই ২০২৪  তিন দিন ব্যাপী খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে পিস ফ্যসিলিটেটর ব্যাসিক (পিএফবিটি) প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। সুস্থ্য ও শান্তি পূর্ণ পরিবেশ তৈরী এবং মানবিক সমাজ গঠনে মানুষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজে মানুষের মাঝে সৌহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশের অভাব রয়েছে । যার ফলে  সমাজের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ক্ষোভ বিক্ষোভ এবং বিশৃঙ্খলা লক্ষ্য করা যায়, বিশেষত রাজতৈকি, ধর্মীয় ও  জাতিগত বিবেধ, দ্বন্দ্ব নিরসনকে এই প্রশিক্ষণে প্রাধান্য দেয়া হয়।
    উক্ত প্রশিক্ষণে ফ্যসিলিটেটর হিসাবে ছিলেন ট্রেনিং  ও ক্যাপাসিটি এক্সপার্ট  উত্তম কুমার সরকার, এরিয়া কো-অর্ডিনেটর এস.এম. রাজু জবেদ, ডিস্ট্রিক্ট ফ্যসিলিটেটর নাজমুল হুদা মিনা এবং প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন রুবিনা আক্তার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ট্রেনিং এন্ড মবিলাইজেশন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন এমআইপিএস প্রকল্পের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর রেজবিউল কবির এবং মোঃ আবু তাহের।
    প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, জাসদ এর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও পিস এ্যাম্বাসেডর অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী্, সাতক্ষীরা জেলা মহিলা দল এর সভানেত্রী এবং পিএফজি এম্বাসেডর ফরিদা আক্তার বিউটি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পিএফজি এম্বাসেডর কাজী আকতার হোসেন, সাংবাদিক এবং পিএফজি এম্বাসেডর  মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল এবং পিএফজি কো-অর্ডিনেটর অধ্যক্ষ পবিত্র মোহন দাস।আরো উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, সাবেক অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা সিটি কলেজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা  প্রফেসর এস এ এম আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ; প্রফেসর ড. দিলারা বেগম,  সাবেক অধ্যক্ষ, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজ; সাংস্কৃতিক কর্মী স ম তুহিন সহ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, ধর্মিয় নেতা, শিক্ষক এবং সুশিল সমাজের গুরুত্বপূর্ন প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে সকলে শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরসনে অঙ্গিকারবদ্ধভাবে কাজ করতে যে সকল বিষয়সমূহ আলোচনা করা হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিলো সুষ্ঠ রাজনৈতিক পরিবেশ, দ্বন্দ্ব ও সহিংসতা নিরসন, নারীদের ক্ষমতায় ও অধিকার বাস্তবায়ন। এছাড়া রাজনৈতিক, ধর্মিয় ও জাতিগত সহিংসতা নিরসনে দল মত নির্বিশেষে পিএফজি কমিটির উদ্যোগে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারন করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলাতে সকল জনগণকে সাথে নিয়ে আগামিতে কাজ করার ত্রৈমাসিক পরিকল্পনা গ্রহণ  করা হয়। সমাপনি বক্তব্যে খুলনা রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর মাসুদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন সংঘাত নয় সম্প্রীতির বাংলাদেশ স্থাপনে রাজনৈতিক, ধর্মিয় ও নৃগোষ্ঠিগত সহিংসতা নিরসনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পিএফজি অগ্রনি ভুমিকা পালন করবে এই প্রত্যাশা রেখে সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
  • নতুন শিক্ষাক্রম  : ষাণ্মাসিক মূল্যায়নে বসছে ষষ্ঠ-নবমের অর্ধকোটি শিক্ষার্থী

    নতুন শিক্ষাক্রম : ষাণ্মাসিক মূল্যায়নে বসছে ষষ্ঠ-নবমের অর্ধকোটি শিক্ষার্থী

    নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হচ্ছে বুধবার (৩ জুলাই)। এদিন সকাল ১০টা থেকে এ মূল্যায়ন কার্যক্রম শুরু হবে, বিরতিসহ চলবে পাঁচ ঘণ্টা। প্রথম দিনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে বাংলা, সপ্তমে ধর্ম, অষ্টমে জীবন ও জীবিকা এবং নবম শ্রেণিতে ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের মূল্যায়ন করা হবে।

    শিক্ষা প্রশাসন সূত্র জানায়, আমূল বদলে যাওয়া শিক্ষাক্রমে এবারই প্রথম সারাদেশে একসঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে একযোগে মূল্যায়নে বসছে শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নিচ্ছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ২০ হাজার ৬৩৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী।

    শিক্ষার্থীদের যে প্রশ্নপত্রের ওপর মূল্যায়ন নেওয়া হবে, তা নৈপুণ্য অ্যাপ থেকে পরীক্ষা শুরুর তিন ঘণ্টা আগে ডাউনলোড করা যাবে বলে জানিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

    এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষকদের করণীয় কী, শিক্ষার্থীরা সঙ্গে কোন উপকরণ নিয়ে আসবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কী দেবে, সব নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে। আশা করি, শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মূল্যায়নে অংশ নেবে।’

    jagonews24.com

    কোন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন?
    দুই বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করেছে এনসিটিবি। সোমবার (১ জুলাই) জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি এ মূল্যায়ন পদ্ধতির চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। তবে দেরিতে অনুমোদন হওয়ায় নতুন এ পদ্ধতি ষাণ্মাসিক মূল্যায়নে পুরোপুরি প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে এনসিটিবি সূত্র।

    এনসিটিবির প্রস্তুত করে খসড়া মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে শিক্ষকদের নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ও মাদরাস শিক্ষা অধিদপ্তর।

    jagonews24.com

    এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া কাঠামোর সঙ্গে আমাদের খসড়া প্রস্তুত করা কাঠামোতে খুব বেশি তফাৎ নেই। এটা যেহেতু প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন, সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে না।’

    নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহারে ভোগান্তিতে শিক্ষকরা
    ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন অভিজ্ঞতার পারদর্শিতার নির্দেশকগুলো নৈপুণ্য অ্যাপে শিক্ষকদের ইনপুট দিতে হবে। তবে শিক্ষকরা নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহারে বিড়ম্বনায় পড়ার অভিযোগ করেছেন।

    অ্যাপে প্রবেশ করতে এবং তথ্য ইনপুট দিতে ভোগান্তিতে পড়ার অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও শেয়ার করছেন শিক্ষকরা। বিশেষ করে মফস্বল এলাকার শিক্ষকরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। ইন্টারনেটের ধীরগতিসহ নানা কারণে তাদের অ্যাপ ব্যবহার করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দিতে হচ্ছে।

    রতন কুমার নামে টাঙ্গাইলের একজন শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, নৈপুণ্য অ্যাপ কাজই করছে না। তথ্য ইনপুট দেওয়ার কাজ শেষ করতে রাত-দিন শিক্ষকদের অ্যাপে প্রবেশের যুদ্ধ করতে হচ্ছে। এমন হলে শিক্ষকরা অল্প দিনে পাগল হয়ে যাবেন।

    jagonews24.com

    ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র ফেসবুকে!
    পরীক্ষার তিন ঘণ্টা আগে ষাণ্মামিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র ডাউনলোড করা যাবে বলে এনসিটিবি বিজ্ঞপ্তি দিলেও আগের দিনই অনেকে প্রশ্ন পেয়ে গেছেন। অনেক শিক্ষক তা না বুঝে ফেসবুকেও শেয়ার করছেন। অনেকে অ্যাপ থেকে প্রশ্নপত্র না নিয়ে অন্যদের কাছ থেকে পাওয়া প্রশ্নপত্র আগের দিনই প্রিন্ট করে রাখছেন বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।

     

    ‘বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে অনেক শিক্ষক ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির প্রশ্নপত্রের ছবি শেয়ার করেছেন। এ প্রশ্ন ফেসবুক, ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্নপত্রে শিক্ষার্থীকে কী ধরনের কাজ দেওয়া হবে, তা উল্লেখ রয়েছে। অনেক শিক্ষক এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করলেও তাতে কর্ণপাত করছেন না অনেকে।

    প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, ‘এমনটা হওয়ার কথা নয়। যদিও মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র প্রচলিত নিয়মের পরীক্ষার প্রশ্নের মতো নয়। কেউ হাতে পেলেই সে উত্তর করতে পারবে এমন না। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে দক্ষতা অর্জন করতেই হবে। তারপরও এটা ছড়িয়ে পড়লে আমরা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো।’

    jagonews24.com

    শিক্ষার্থী যা সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে
    সাধারণ উপকরণের মধ্যে কলম, পেনসিল, ইরেজার, শার্পনার ও স্কেল নিয়ে যেতে হবে। ১৬ পৃষ্ঠার খাতা, শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন নির্দেশিকা, সাইনপেন, মার্কার, স্ট্যাপলার, এ-ফোর সাইজের কাগজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা হবে। বাংলা পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের নিজ নিজ পাঠ্যবই নিয়ে যেতে হবে।

    ধর্ম বিষয়ের মূল্যায়নের জন্য সপ্তম শ্রেণির জন্য পাঠ্যবই, অষ্টম ও নবমের জন্য ক্যালেন্ডারের খালি কাগজ শিক্ষার্থীকে নিয়ে যেতে হবে। আর প্রতিষ্ঠান থেকে চার-পাঁচটি রং পেনসিল বক্স দেবে। ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞানের জন্যও শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক সঙ্গে নিতে হবে।

    (জাগো নিউজ থেকে)

     

  • যেসব অভ্যাসে বার্ধক্যজনিক লক্ষণ প্রকট হয়

    যেসব অভ্যাসে বার্ধক্যজনিক লক্ষণ প্রকট হয়

    বয়স আটকাতে কে না চায়! নারী হোক বা পুরুষ; চেহারায় বয়সের ভাজ পড়বে, এ যেন এক দুঃস্বপ্নের চেয়ে কম কিছু নয়! সিনেমা, মডেলিং বা ফ্যাশন সম্পৃক্তরা এই ব্যাপারে বেশ অনেকটা সতর্ক। তাছাড়া যাদের অনেক টাকা আছে, তারা অনেক অ্যান্টিএজিং চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু সেসব কি আর সাধারণ ঘরের মানুষের দ্বারা সম্ভব? তাই বলে তো, কম বয়সেই মুখে কুঁচকানো চামড়া নিয়ে ঘোরা যায় না!

    তবে, বুড়িয়ে যাওয়া কোনো দু-এক দিনের ঘটনা নয়। বেশ লম্বা সময়ের ব্যাপার। তাই এই প্রক্রিয়াকে বাধা দিতে চাইলে পদক্ষেপও বেশ আগে থেকেই নিতে হবে। শুধু বয়সের ছাপ পড়াই নয়, জীবনে সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এমন কিছু অভ্যাস উল্লেখ করা হলো-

    ১. অসম্পূর্ণ ঘুম: শরীরের ঘাটতি এবং ক্লান্তি দূর করার স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলো ঘুম। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে মানসিক চাপজনিত হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। এতে ত্বকের টান টান ভাব কমে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, চেহারার পেশির টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। চামড়া ঝুলে যাওয়া, চোখের নিচে কালি পড়া, বলিরেখা সহ নানারকম সমস্যার সূত্রপাত হয়। দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরিকল্পনা রাখতে হবে।

    ২. নেশাদ্রব্য: অতিমাত্রায় নেশাজাত দ্রব্য, বিশেষ করে ধূমপান এবং অ্যালকোহলসমৃদ্ধ পানীয় সেবন ত্বকের ঝুলে পড়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে। কারণ, অ্যালকোহল সেবনে ত্বকের আর্দ্রতা কমে যেতে শুরু করে এবং কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস করে। এছাড়া ধূমপানের কারণে ইলাস্টিন প্রোটিনের ক্ষতি হয়। এই কারণে ত্বকে বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা এবং ত্বকে নিস্তেজ বর্ণ সৃষ্টি হয়।

    ৩. পানিশূন্যতা: পর্যাপ্ত মাত্রায় পানি পান করা ত্বক সুন্দর রাখার পূর্বশর্ত। পানিশূন্যতা কেবল ত্বকের নয় অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যেরও বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী, যা অনেক রোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

    ৪. ব্যায়ামের ঘাটতি: প্রতিদিন ব্যায়াম করলে শরীরে রক্ত চলাচল বেশ ভালোভাবে হয়। এতে ত্বকে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ব্যায়ামের ঘাটতি দিন দিন ত্বকে বয়সের ছাপ ফেলে। এছাড়া ব্যায়ামের মাধ্যমে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ওজনবৃদ্ধির মতো অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

    ৫. সূর্যরশ্মি: অতিবেগুনি রশ্মি অর্থাৎ ইউভি রশ্মি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধ্বংস করার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। প্রতিদিন দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে থাকলে ত্বক জলদি বুড়িয়ে যায়। তাই প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

    ৬. মানসিক চাপ: অনেকে হয়তো জানেন না, বার্ধ্যেকের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানসিক অশান্তির কারণে ত্বকের কোষগুলো অকালে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং জীবনীশক্তি বজায় রাখতে ধ্যান, যোগ ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার ব্যাপারে মনোযোগী হন।

    ৭. অস্বাস্থ্যকর খাদ্য: আজেবাজে খাদ্যাভাস শুধু শরীরে পুষ্টি উপাদানের ঘাটতিই ঘটায় না, বরং শরীরে একগাদা বাজে জিনিসে পূর্ণ করে। যেমন অতিরিক্ত তেলজাতীয় খাবারে মুখে ব্রণ ও পিম্পল হয়। আবার চিনি এবং প্যাকেটজাত খাবারের কারণে শরীরে প্রদাহ হতে পারে। এসব কারণে কম বয়সেই বার্ধক্যজনিত লক্ষণ ফুটে ওঠে। তাই সুষম এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার রুটিন তৈরি এবং অনুসরণ করতে হবে।

    এইসব অভ্য়াসের কারণে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। অনেক বেশি অনিয়ম হলে খুব কম বয়সেই এইব লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তাই সময় থাকতেই এইসব বদঅভ্যাসগুলো ত্যাগ করতে হবে। নিজেকে সুন্দর রাখুন, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

    তথ্যসূত্র: নিউজ১৮/বার্তা২৪.কম

  • শুধু লাশ আর লাশ! আবার শিউরে ওঠার মতো ঘটনা হাথরসে, এলাকার খণ্ডচিত্র

    (আনন্দবাজার অনলাইন থেকে)

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সভা শেষে বহু মানুষ এক সঙ্গে বেরোবার চেষ্টা করলে হুড়োহুড়ির সৃষ্টি হয়। মনে করা হচ্ছে তাতেই এই দুর্ঘটনা।

    উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কথা মনে আছে? এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর পর রাতারাতি তাঁর দেহ সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। এ বার সেই হাথরসেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল।

    উত্তরপ্রদেশের হাথরসের কথা মনে আছে? এক দলিত কিশোরীকে গণধর্ষণ এবং মৃত্যুর পর রাতারাতি তাঁর দেহ সৎকারের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। এ বার সেই হাথরসেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটল।

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

    জানা গিয়েছে, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় উদ্যোগে। সেই সভায় হাজির হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ।

     

    আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে খুব ছোট জায়গায় এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। মনে করা হচ্ছে তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল পুণ্যার্থীদের মধ্যে।

    আলিগড় রেঞ্জের আইজি শলভ মাথুর জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে খুব ছোট জায়গায় এই সৎসঙ্গের আয়োজন করা হয়েছিল। বহু মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। মনে করা হচ্ছে তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল পুণ্যার্থীদের মধ্যে।

    তবে কী ভাবে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্টের ঘটনা শুরু হল তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

    তবে কী ভাবে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেল এবং এই পদপিষ্টের ঘটনা শুরু হল তা পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

     

    হাথরসের জেলাশাসক আশিসকুমার জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক।

    হাথরসের জেলাশাসক আশিসকুমার জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে স্থানীয় সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা শতাধিক।

    মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছিল সৎসঙ্গের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই প্রার্থনাসভা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তা সোমবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে খোলা হয়।

    মঙ্গলবার আয়োজন করা হয়েছিল সৎসঙ্গের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই প্রার্থনাসভা ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। বহু মানুষ একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন। হঠাৎই হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যেখানে এই সভা চলছিল, সেই রাস্তা সোমবার রাত থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে খোলা হয়।

     

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দেওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে লোকজন বেরোনোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মঙ্গলবার রাস্তা খুলে দেওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে লোকজন বেরোনোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মৃতদের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই বেশি। বেশ কয়েকটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁদের দাবি।

     

     আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজনই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন না। ফলে সময়মতো চিকিৎসাও করানো যায়নি আহতদের।

    আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজনই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিলেন না। ফলে সময়মতো চিকিৎসাও করানো যায়নি আহতদের।

     স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাটির খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

    তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন আগরার অতিরিক্ত ডিজি। তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে দুর্ঘটনার কারণ। কী ভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
    ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামে গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

    ঘটনার খবর পেয়ে মুঘলাগড়ি গ্রামে গিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে এবং টেম্পোতে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে এবং টেম্পোতে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আয়োজকদের দিকে। কী ভাবে এত লোককে এক জায়গায় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আয়োজকদের দিকে। কী ভাবে এত লোককে এক জায়গায় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হল। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

    এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকজ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। শোকজ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

     

     মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মৃতদের পরিবারের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

    মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

     ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। রাজ্য থেকে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল।

    এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ১৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, পরিবারকে না জানিয়েই পুলিশ ওই তরুণীর দেহ রাতারাতি সৎকার করে।

    এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ১৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে, পরিবারকে না জানিয়েই পুলিশ ওই তরুণীর দেহ রাতারাতি সৎকার করে।

     

    মঙ্গলবার হাথরসের ওই ঘটনাস্থলে ছিল প্রবল গরম, সঙ্গে গুমোট পরিবেশ। যাওয়ার আসার জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সেই সঙ্গে ছোট জায়গায় এত মানুষের জমায়েতই কি এই দুর্ঘটনার কারণ? তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য।

    মঙ্গলবার হাথরসের ওই ঘটনাস্থলে ছিল প্রবল গরম, সঙ্গে গুমোট পরিবেশ। যাওয়ার আসার জন্য রাস্তা সঙ্কীর্ণ। সেই সঙ্গে ছোট জায়গায় এত মানুষের জমায়েতই কি এই দুর্ঘটনার কারণ? তদন্তে উঠে আসবে প্রকৃত তথ্য।

  • তিব্বতের জনগণের স্বাধীনতা ও চীনের হুমকি

    তিব্বতের জনগণের স্বাধীনতা ও চীনের হুমকি

    সম্প্রতি তিব্বতের জনগণের ধর্ম পালন ও নিজেদের নিয়মিত স্বাধীন জীবনযাপনের বিষয়ে মার্কিন হাউসে ‘তিব্বত’ রেজল্যুশন পাস করা হয়। এ বিষয়ে শুরু থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল চীন। কিন্তু দেশটির সেই রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চস্তরের কংগ্রেশনাল প্রতিনিধিদল ভারতে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে দেখা করেন জুন মাসের ১৯ তারিখে। বিষয়টি তিব্বতের মানবাধিকার ইস্যুর জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ এক ঘটনা। এই প্রতিনিধিদল তিব্বতের জনগণের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি তিব্বত ও চীনের মধ্যে বিরোধের শান্তিপূর্ণভাবে এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানায়।

    রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, তিব্বত ইস্যুতে চীনের ওপর চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের জনগণের মৌলিক মানবাধিকার ফেরত দেওয়ার আলোচনা শুরু করতেই যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ। যেখানে মার্কিন প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন মার্কিন হাউসের প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। চীনের হুমকি উপেক্ষা করেই ভারতে দালাই লামার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ২০২২ সালেও চীনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তাইওয়ান সফর করেছিলেন তিনি। ন্যান্সি দালাই লামার শিষ্য হিসেবে সুপরিচিত। সুতরাং এটি বেশ স্পষ্ট যে, চীনের শত বিরোধিতার পরও ন্যান্সি প্রতিনিধিদলকে নিয়ে দালাই লামার সঙ্গে দেখা করেছেন এবং হয়তো ভবিষ্যতেও করবেন।

    বিগত কয়েক বছর করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক টালমাটাল অবস্থার সুযোগ নিয়ে তিব্বতের নিজেদের আগ্রাসন আরও বাড়িয়েছে চীন। ২০২১ সালে তিব্বতে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন শুরু করে চীন। এ সময় তিব্বতের অধিবাসী ও প্রবাসে থাকা তিব্বতিয়ানরা জানান, স্থানীয়দের নিজেদের সংস্কৃতি অনুসারে চলতে বাধা দিচ্ছে চীন সরকার। সেইসঙ্গে তিব্বতের অধিবাসীদের স্থানীয় ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমেও বাধা প্রদান করে চীন। ২০২২ সালে তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের মুখপাত্র তেনজিন লক্ষ্মী জানান, বেশ কিছু তিব্বতিয়ান লেখক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পীদের বন্দি ও আটক করেছে চীন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তিব্বত এখনো চীনের প্রধান সমস্যাগুলোর একটি। আর তিব্বতকে নিয়ন্ত্রণে চীন আরও যুদ্ধংদেহী অবস্থান গ্রহণ করেছে। তারা তিব্বতের সব ঐতিহ্যের নিন্দা করার পাশাপাশি সেখানকার সব ঐতিহ্য মুছে ফেলছে ধীরে ধীরে।

    তিব্বতের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম এবং ইতিহাস ছিল। বেশ শক্তিশালী নিজস্ব সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চেতনা বোধ ছিল এ অঞ্চলের মানুষের। কিন্তু চীনা কমিউনিস্টরা সর্বদা এ অঞ্চলকে যুক্ত করতে চেয়েছিল। ১৯৫০ সালের ৭ অক্টোবর চীনের সেনা তিব্বতে প্রবেশ করে। সেই সময় বেশিরভাগ তিব্বতি এ আক্রমণের কথা ভাবতেই পারেননি। দাওয়া নরবু, সেই সময়ে শিশু। ১৯৭৮ সালে ওয়ার্ল্ড ভিউ ম্যাগাজিনে তিনি লেখেন, ‘১৯৫০ সালের চীনা আগ্রাসনের খবর আমাদের কাছে ১৯৫২ সালের কোনো একসময়ে এসে পৌঁছেছিল।’ ১৯৫০ সালে তিব্বত এমনই ছিল। সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে নরবু লিখেছেন, ‘পৃথিবীর ছাদে আধুনিকতার আশীর্বাদ এবং বাধা উভয় থেকেই দূরে (তিব্বত) ছিল একটি প্রত্যন্ত ভূমি। ধীরে ধীরে চীনা আগ্রাসনের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। উদ্বেগ ছড়ায় আরও ধীরে। আতঙ্কজনক খবর সত্ত্বেও শাক্যতে কেউ তার তরবারি ধারালো করেননি। তার ধনুক এবং তীর ব্যবহারও করেননি।’ শাক্যের বাসিন্দারা কল্পনাও করেননি যে, চীনের আক্রমণ একটি স্থায়ী দখলদারি হয়ে উঠবে, যা তিব্বতকে চিরতরে বদলে দেবে। চীনের সেই আক্রমণের ৭৪তম বছর চলছে এখন। কিন্তু চীনের অস্ত্রের বিরুদ্ধে কখনোই তিব্বতের মানুষ সহিংস অবস্থান গ্রহণ করেননি। কেননা সহিংসতা তিব্বতের অধিবাসীদের শিক্ষা নয়। কিন্তু এমন অহিংস একটি জাতির ওপর চীনের অত্যাচার নিপীড়ন নিয়ে বিশ্বের নিশ্চুপ অবস্থান এ অঞ্চলের মানুষের সেই অহিংস আচরণ বজায় রাখার পথে ভবিষ্যতে বাধা হয়ে দেখা দিতে পারে। এটি শুধু চীনের জন্য নয়, বরং পরবর্তীকালে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান এমনকি বাংলাদেশের জন্যও হুমকির কারণ হতে পারে। আর এ কারণেই চীনের ক্ষোভ উপেক্ষা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দালাই লামার সঙ্গে বৈঠকের পর আমেরিকান আইনপ্রণেতাদের দ্বিদলীয় সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রায় একই সময়ে, কানাডিয়ান হাউস অব কমন্স সর্বসম্মতিক্রমে তিব্বতের স্বনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সমর্থন করে একটি প্রস্তাব পাস করে। তিব্বতিরা একটি জাতি হিসেবে এ মৌলিক অধিকারের দাবিদার।

    মার্কিন প্রতিনিধিদলের এ সফর শেষে বেইজিং বেশ হতাশার সঙ্গে উপলব্ধি করেছে যে, বিশ্ব তার চাপ এবং গুণ্ডামি কৌশলের কাছে নতিস্বীকার করবে না। বিশ্ব তিব্বতের ওপর চীনা দখলের বৈধতা সম্পর্কে দেশটির প্রোপাগান্ডাকে গ্রহণ করবে না। বেইজিং এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে তিব্বত সমর্থনে উত্থাপিত বিলে স্বাক্ষর না করার জন্য আবেদন করছে, যা শুধু স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। এতদিন চীন হুমকি দিয়ে এসেছে, দালাই লামার সঙ্গে দেখা করলে তার ফল যুক্তরাষ্ট্রকে ভোগ করতে হবে। কিন্তু এখন দালাই লামার সঙ্গে বৈঠক শেষে চীন তার আগের একগুঁয়ে অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে। বরং এখন চীন ‘তার রাজনৈতিক প্রস্তাবগুলোর সম্পূর্ণ প্রতিফলন এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংশোধন করার’ কথা জানিয়েছে, যদিও এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা বা ব্যাখ্যা প্রদান করেনি চীন। চীনের হঠকারিতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ, তারা মার্কিন আইনপ্রণেতাদের দালাই লামার সঙ্গে দেখা না করার জন্য হুমকি দেওয়ার সাহস দেখিয়েছে। শুধু গণমাধ্যমে নয়, হুমকি প্রদান করে চীন প্রতিনিধিদলটিকেও চিঠি প্রদান করেছে। প্রতিনিধিদলের নেতা ইউএস হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিদল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছে, যেখানে আমাদের এখানে না আসার জন্য সতর্ক করেছে। তারা তাদের মিথ্যা দাবির পুনরাবৃত্তি করেছে যে, ১৩ শতক থেকে তিব্বত চীনের অংশ। কিন্তু আমরা সিসিপির সেই ভয় দেখানোতে মনোযোগ দিইনি এবং আমরা আজ এখানে এসেছি।’ ভারতের ধর্মশালায় নির্বাসিত তিব্বত সরকারের তত্ত্বাবধানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যাকে চীন ‘নিছক রাজনৈতিক চক্র’ বলে উড়িয়ে দেয়। মার্কিন প্রতিনিধিদলের এই নেতা বলেন, ‘তিব্বতের জনগণ একটি স্বতন্ত্র ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক পরিচয়ের অধিকারী এবং তাদের নিজেদের ভবিষ্যতের কথা বলা উচিত। তাদের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করার অধিকার লাভ করার কথা। সে কারণেই আমরা এখানে সিসিপির সতর্কতা অমান্য করেছি।’

    মার্কিন আইনপ্রণেতারা যারা আমেরিকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, তারা ঐতিহাসিক বাস্তবতাকে সমর্থন করেছেন। তারা মনে করেন, তিব্বতে কখনোই চীনের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ছিল না। এ নিয়ন্ত্রণের মাত্রাটি ছিল একটি শিথিল আধিপত্য, যা এ অঞ্চলের ওপর সার্বভৌম অধিকার থেকে অনেক দূরের বিষয়। অতীতেও বেশ কয়েকবার এ বিষয়ক আলোচনায় জানানো হয়, তিব্বত কীভাবে চীনা নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীন ছিল এবং ১৯১২ থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে তিব্বত একটি স্বাধীন দেশ ছিল। আর এ কারণেই ১৯৫০ সালে তিব্বতে চীনের অধিগ্রহণ ছিল অবৈধ।

    তিব্বত সমস্যার সমাধান বিষয়ক বিলটি মার্কিন হাউসে ৩৯১ বনাম ২৬ ভোট ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়। তিব্বতের পক্ষে সব ডেমোক্র্যাটের পাশাপাশি অধিকাংশ রিপাবলিকান ভোট দেন। মাত্র ২৬ জন রিপাবলিকান এর বিপক্ষে ভোট দেন। এ বিলটির অন্যতম প্রবর্তক ও মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতা ম্যাককল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনোই স্বীকার করেনি যে, তিব্বত প্রাচীনকাল থেকে চীনের অংশ ছিল। কারণ সিসিপি মিথ্যা দাবি করেছে। এ আইনটি মার্কিন নীতিকে স্পষ্ট করেছে এবং তিব্বতি জনগণের অনন্য ভাষা, ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে। এটি মার্কিন কূটনীতিকে চীনা প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেয়, তিব্বতিদের নিজেদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিশ্চিত করে এবং সিসিপি ও তিব্বতের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত অন্য নেতাদের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। যে কোনো রেজল্যুশন বা আলোচনায় তিব্বতি জনগণের ইচ্ছা ও কণ্ঠকে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’

    এর আগে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালে তিব্বতের জনগণের পরবর্তী দালাই লামার পছন্দে চীনের হস্তক্ষেপ রোধ করতে ২০২০ সালে তিব্বত নীতি ও সমর্থন আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন। কানাডিয়ান হাউস অব কমন্সে গৃহীত প্রস্তাবটি তিব্বতিদের চীনের পদ্ধতিগত সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের বিরোধিতা করেছে এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বাধীনভাবে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় নীতিগুলো বেছে নেওয়ার অধিকারকে তিব্বতি জনগণের অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করেছে। সেইসঙ্গে ১৪তম দালাই লামার পুনর্জন্ম নির্বাচনের বিষয়টিও তিব্বতের জনগণের নিজস্ব সিদ্ধান্ত বলে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

    কানাডিয়ান হাউসের প্রস্তাবে জোর দিয়ে বলা হয় যে, ‘চীন তিব্বতিদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগত সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। তিব্বতিরা, একটি জাতি হিসেবে তাদের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দাবি করতে পারে। কোনো বাহ্যিক শক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বাধীনভাবে তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় নীতি নির্বাচন করতে পারে এবং এ ক্ষমতায়ন চীনকে ১৪তম দালাই লামার পরবর্তী তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে বাধা দেয়।’

    কানাডিয়ান হাউসের রেজল্যুশন বেশ স্পষ্টভাবে তিব্বতের জনগণের জন্য প্রকৃত স্বায়ত্তশাসনের কথা বলে। সেইসঙ্গে বর্তমান দালাই লামার অবস্থানের সঙ্গেও বিষয়টি সামঞ্জস্যপূর্ণ। যদিও এখানে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবি রাজনৈতিক স্বাধীনতাকেও বোঝায়।

    এটি বেশ স্পষ্ট করেই বলা যায়, এ প্রেক্ষাপটে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রতিনিধিদলের মধ্যে বৈঠক তিব্বতের জনগণের জন্য ভারতীয় সমর্থনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। তিব্বতের জনগণের স্বার্থকে এগিয়ে নিতে বিশ্বের জন্য ভারতীয় সমর্থন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারত তিব্বতের নিকটতম প্রতিবেশী এবং বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক তিব্বতি উদ্বাস্তুকে আশ্রয় দিচ্ছে। প্রায় এক লাখের বেশি তিব্বতিয়ান ভারতে আশ্রয় নিয়ে আছে। সেইসঙ্গে দালাই লামা ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ মর্যাদাসহ ১৯৫৯ সাল থেকে ভারতের সম্মানিত অতিথি হিসেবে রয়েছেন। তিব্বত মালভূমিতে চীনের এ নীল-নকশাকে পরাস্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে মার্কিন প্রতিনিধিদল। তারা বলেছিল, একসঙ্গে আমরা চীনা কমিউনিস্ট পার্টিকে প্রতিরোধের একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠাতে পারি। কারণ যখন বিশ্বের দুটি বৃহত্তম গণতন্ত্র একসঙ্গে দাঁড়ায়, তখন স্বাধীনতাকামীদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা জয়লাভ করে।

    লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট

  • রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র রোটা বর্ষ-২০২৪-২৫ উদযাপন

    রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র রোটা বর্ষ-২০২৪-২৫ উদযাপন

    সাতক্ষীরা :  উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র রোটা বর্ষ-২০২৪-২৫ উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি, বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র আয়োজনে শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে  একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে পি এন স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে শেষ করে ক্লাবের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণ করা হয়। পরে সাতক্ষীরা শহরের হোটেল রাজের হলরুমে গিয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
    রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রোটা: মো. মশিউর রহমান বাবু’র সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রোটা: পিপি সৈয়দ হাসান মাহমুদ, রোটা: পিপি ডা. সুশান্ত কুমার ঘোষ,  রোটা: পিপি মো: আশরাফুল করিম, রোটা: পিপি হাবিবুর রহমান হাবিব, রোটা: পিপি মাহমুদুল হক সাগর, রোটা: পিপি বিশ্বজিৎ সাধু, রোটা: পিপি এনছান বাহার বুলবুল,  রোটা: পিপি হাসিবুর রহমান রনি, রোটা: পিপি ফারহাদীবা খান সাথী, রোটা: পিই শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি, রোটা: মো. আক্তারুজ্জামান কাজল, রোটা: মাহফুজা সুলতানা রুবি, রোটা: শরিফুল ইসলাম খান বাবু, রোটা: মো. ওয়ালি উল্লাহ, রোটা: মিজানুর রহমান, রোটা: মো. মিজানুর রহমান, রোটা: মো. আনিসুর রহমান, রোটা: জেসমিন আকতার, রোটা: শেখ কামরুজ্জামান, রোটা: মো. ইসমাইল হোসেন, রোটা: মো. সাইফুর রহমান, রোটা: নুরুল হক, রোটা: মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, রোটা: শেখ মাসুদ পারভেজ, রোটা: শেখ শাহিদুর রহমান, রোটা: সি এম নাজমুল ইসলাম, রোটা: জি এম আবদুল কাদের, রোটা: স্বপন বৈরাগী, রোটা: কামরুল হাসান প্রমুখ।
    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন  রোটা: পিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব সাতক্ষীরা প্রেসিডেন্ট রোটা: আল আমিনুর রহমান আসিফ, সেক্রেটারি রোটা: সিগবাতুল্লাহ বাহার, আইপিপি রোটা: আতিক মোজাহিদ সহ রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র সদস্য ও রোটার‌্যাক্ট ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।
    আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন  রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র পাস্ট প্রেসিডেন্ট রোটা: পিপি মো. মাগফুর রহমান।
  • পুরাতন সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট  

    পুরাতন সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট  

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান এর নির্দেশনা ও খুলনা বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ও যাত্রী, চালক, পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে মোটযানের উপর ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট অব্যহত রয়েছে।
    এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার বিকালে পুরাতন সাতক্ষীরায় মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
    মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ৩ টি মামলার বিপরীতে ২ হাজার ২ শত’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
    এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার প্রনয় কুমার শুভ্র, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর, অফিস সহকারী শেখ আশিকুর রহমান সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
    মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
    তিনি আরো বলেন আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
  • আশাশুনিতে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থী ৩০৫৯ জন

    আশাশুনিতে এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার্থী ৩০৫৯ জন

     আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনিতে এইসএসসি ও আলিম পরীক্ষায় ১ম দিনে ২৫ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। রবিবার থেকে উপজেলার ২টি মূল ও দুটি ভ্যেনু কেন্দ্রে এইসএসসি এবং দুটি কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
    আশাশুনি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪৪৫ জন। প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় ৬ জন অনুপস্থিত থাকায় ৪৩৯ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অয়শ গ্রহণ করেছে। এছাড়া বিএম শাখায় ২৪৪ জনের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও ৩ জন অনুপস্থিত থাকায় ২৪১ জন অংশ নিয়েছে। একেন্দ্রে কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে আছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হোসেন আলী। হল সুপার রবিউল ইসলাম। বিএম শাখায় হল সুপার জি এম আক্তারুজ্জামান।
    দরগাহপুর কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৯৯ জন, ৯ জন অনুপস্থিত থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৯৯০ হন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে আছেন কলেজের অধ্যক্ষ গৌরপদ মন্ডল। হল সুপার আব্দুল লতিফ কলেজের অধ্যক্ষ শাহনারা বেগম। ভ্যেনু কেন্দ্রে হল সুপারের দায়িত্বে আছেন বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ বাবলুর রহমান। ইউএনও প্রতিনিধি মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ও ইউআরসি সহকারী ইন্সট্রাক্টর মশিউর রহমান।
    আলিম পরীক্ষার ১ম দিন আরবি সাহিত্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আশাশুনি আলিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৩২ জন, ৭ জন অনুপস্থিত থাকায় মোট পরীক্ষা দিয়েছে ২২৫ জন। প্রতাপনগর এবিএস ফাযিল মাদ্রার অধ্যক্ষ মাওঃ বদরুল আলম কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে আছেন।  অপরদিকে গুনাকরকাটি ফাযিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১৭৬ জন। ৭ জন অনুপস্থিত থাকায় পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৬৯ জন। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে আছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ নূর ইসলাম। হল সুপার মাওঃ জিয়াউর রহমান।
    উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় ভিজিলেন্স টিম সদস্য উপজেলা কৃষি অফিসার এস এম এনামুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
  • তালায় ইন্টারফেইস মিটিং অনুষ্ঠিত

    তালায় ইন্টারফেইস মিটিং অনুষ্ঠিত

    তালা প্রতিনিধি
    রবিবার (৩০ জুন) বিকালে তালা শিল্পকলা একাডেমীতে ইন্টারফেইস মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। ইয়ুথ এ্যামপাওয়ার্ড প্রকল্পের আয়োজনে, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ও উত্তরণের সহযোগিতায়, গ্লোবাল এফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া শারমিন। প্রজেক্ট অফিসার আবু ইমরানের সঞ্চাালনায় মিটিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, ইসলামকাটী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু, মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গনেশ দেবনাথ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এডভোকেসি, বিসিসি এন্ড চাইল্ড প্রটেকশন কো-অর্ডিনেটর আবেদা সুলতানা, উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয়কারী আফরোজা আক্তার বানু প্রমুখ। এ সময় উত্তরণের টেকনিক্যাল অফিসার নাজমিন নাহার, মনিটরিং এ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার আইরিন ষ্টিভেন্স, একাউন্টস কাম এডমিন অফিসার গোলাম কিবরিয়াসহ মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ রিয়াজ উদ্দীন, মোঃ আজহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
  • পৌর আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ডের পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন সভাপতি মীর হাবিবুর রহমান বিটু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী (বাবু)

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগ এর অর্ন্তভুক্ত ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেওয়া  হয়েছে। রবিবার ( ৩০ জুন ) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা সুলতানপুর ডে নাইট কলেজ মোড়ে পৌর আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে পৌর ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর হাবিবুর রহমান বিটু ও মোঃ ইদ্রিস আলী (বাবু) কে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহাদাৎ হোসেন এর স্বাক্ষরিত অনুমোদন দেওয়া হয়। ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি মোঃ রাকিবুল ইসলাম, মোঃ নূরুল ইসলাম সাগর,মোঃ আসাদুজ্জামান, করুণাময় ঘোষ, নারায়ন চন্দ্র দাস, মোঃ শামছুল আলম, মোঃ শফিউল ইসলাম (ডাবলু), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ আশরাফ হোসেন খান সফি, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড, নাজমুন নাহার (ঝুমুর), কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আমিনুর রহমান,তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মশিউর রহমান, ত্রান ও সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জাফরউল্লাহ,দপ্তর সম্পাদক এরশাদুল ইসলাম (জীবন),উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ সোহেল গাজী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক (দিপু),প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম পলাশ, উপ- প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শেখ শাহাদাৎ আলম (রিপন), বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান চৌধুরী (শান্ত), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ আহসান হাবিব (পলাশ), মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুমনা পারভীন (রাখি), মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু বক্কর সিদ্দিক, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ (রাজ), শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আব্দুল্লাহ আল মামুন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন রুবেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান কাজল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক শ্রী মন্টু কুমার দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ ফিরোজ রহমান সহ ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি এবং  ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা মন্ডলী কমিটি সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহাদাৎ হোসেন এর স্বাক্ষরিত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    ক্যাপশন : পৌর আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ডের পূর্নাঙ্গ কমিটি সভাপতি মীর হাবিবুর রহমান বিটু ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী (বাবু)।

  • দেশে জ্বালানি সুবিচারের দাবিতে ক্যাবের নাগরিক সংলাপ প্রতিকারের আহবান বিশিষ্টজনের

    দেশে জ্বালানি সুবিচারের দাবিতে ক্যাবের নাগরিক সংলাপ প্রতিকারের আহবান বিশিষ্টজনের

    ন্যাশনাল ডেস্ক : বাংদেশের বর্তমান জ্বালানি কাঠামোর দুর্বলতা তুলে ধরে তা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর সিরডাপ’র এ টি এম শামসুল হক অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক নাগরিক সংলাপে এ আহবান জানান  তারা।

    ‘ক্যাব প্রস্তাবিত বাংলাদেশ জ্বালানি রুপান্তর নীতি ও কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক এ সংলাপের আয়োজন করে ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা জাতীয় সংগঠন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

    লিখিত বক্তব্যে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইন ২০১০ দ্বারা জ্বালানি খাত উন্নয়নে প্রতিযোগিতাবিহীন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং বিইআরসি আইন ২০০৩ এর ৩৪ ধারা পরিবর্তন দ্বারা গণশুনানি রোধ করে মূল্যহার নির্ধারণের ক্ষমতা সরকার নিজের হাতে নেওয়ায় সরবরাহ ব্যয় ও মূল্যহার উভয়ই অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ন্যূনতম ব্যয়ে জ্বালানি সরবরাহ ও ন্যায্য মূল্যহারে ভোক্তার জ্বালানি প্রাপ্যতা বিপন্ন এবং ভোক্তা জ্বালানি অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।  এই পরিস্থিতি জনগণকে চরম জ্বালানি দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে

    তিনি আরও বলেন, সরকারের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণের কারণে জ্বালানি খাতে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জ্বালানি সরবরাহ চেইনের পুরোটাই এককভাবে নিজের হাতে থাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতির পরিচালক। আবার সরকারের দুর্নীতির অংশীদার হিসেবে যখন ব্যক্তি মালিকানাখাত এগিয়ে আসে সেখানেও কার্যত কোন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তার অংশগ্রহণ হয় না, হয় লেনদেন ও আতাতের মাধ্যমে। ফলে একচেটিয়াবাদের কোনো পরিবর্তন ঘটে না। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রাইভেট সেক্টর ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেটওয়ার্কের একাধিক গবেষণা ও সমীক্ষায় এই সত্যিটি উঠে এসেছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, একসময় বলতাম (বিএনপি আমলে) – খাম্বা তৈরি হয়েছে কিন্তু বিদ্যুৎ নাই। আর এখন বলি, (আওয়ামী লীগ সরকার আমলে) বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আছে, কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি নেই। অর্থাৎ বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্যের নামে বিল দিতে হয়।  যেমন বাংলাদেশের সামিটসহ অনেক প্রতিষ্ঠানই এ সুবিধা নিচ্ছে। যদিও এইভাবে সামিট এখন সিঙ্গাপুরের (আন্তর্জাতিক) প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে।

    তিনি আরও বলেন, সমস্ত কিছু প্রতিযোগীতামূলক হওয়া দরকার। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে এই জবাবদিহিতা নিশ্চিত হচ্ছে না। ফলে, জ্বালানি খাতে বড় অনিয়ম চলছে। এবিষয়ে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্তা নেয়া দরকার।

    এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন,  পরিবেশ রক্ষা তথা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের জ্বালানি রুপান্তর করা অতি প্রয়োজনীয়। আর এ ক্ষেত্রে কয়লার ব্যবহার থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। কয়লাসহ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেড়িয়ে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়নের দিকে ঝুকিতে হবে।  এ ক্ষেত্রে সোলার সিস্টেম প্লানিং কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা বাড়াতে হবে। কিন্তু সেইভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা বাড়ানো হচ্ছে না।

    তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির জন্যে আমাদের পশ্চিমা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। আমাদের দেশে প্রচুর মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদেরকে জ্বালানি রুপান্তরে ব্যবহার করতে হবে। আমাদের অবশ্যই ডার্টি এনার্জি (জীবাশ্ম জ্বালানি) থেকে বেড়িয়ে ক্লিন এনার্জির (নবায়নযোগ্য জ্বালানি) দিকে যেতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।  এই নাগরিক আন্দোলনকে প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে। তবেই, বাংলাদেশে জ্বালানি সুবিচার হবে।

    বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র সহসভাপতি  স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, আমরা অপরিকল্পিত ভাবে ভবন নির্মান করছি। ফলে, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে…..। আমাদের কতোটুকু দরকার, আর কতোটুকু তৈরি করবো, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা থাকা দরকার। কিন্তু সেই বিষয়ে অসামঞ্জস্যতা থাকার কারণে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, একজন বাংলাদেশ থেকে (সামিট গ্রুপ) অর্থ নিয়ে সিঙ্গাপুরের অর্থের পাহার গড়ছে। আর আমরা জ্বালানির অবিচারে ভূগছি। (বিইআরসি) কমিশনকে অবজ্ঞা করে, ইচ্ছে মতো জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

    এসময় তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, আপনি ইলেক্ট্রনিক কাজের জন্যে তাঁর কিনতে যাবেন, দোকানদারকে বলবেন বিআরবির তার দেন। সে বলবে, ১১শ টাকা দামের, ২৪শ টাকা দামের তাঁর চান, নাকি ৩৬শ টাকারটা চান। অর্থাৎ একই কাজের জন্যে কতো ধরনে তার রয়েছে। কিন্তু যখন এটা থেকে আগুনের সূত্রপত হবে বা বড় দুর্ঘটনা ঘটবে, তখন টনক নড়বে কতৃপক্ষের, আর চলবে নানান তালবাহানা। কিন্তু এতো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে কেন অবহেলা থাকবে? আপনার সন্তানের কথা ভেবে, ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে এ বিষয়গুলোতে প্রদক্ষেপ নিতে হবে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দীন খান ক্যাবের উদ্ধৃতি তুলে ধরে বলেন, স্রেডার ( সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কতৃপক্ষ) আস্থাভাজনদেরর তারা নিয়োগ দেয়। যার কারণে স্রেডার কার্যক্রম নিয়ে কেও অভিযোগ করছে না।  কিন্তু স্রেডার রিনেইবল এনার্জি (নবায়নযোগ্য জ্বালানি) উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে  না। কারণ স্রেডার মতো এতো ছোট্ট পরিসরে এতো বড় একটা ক্ষেত্রে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, এক্ষেত্রে তাদের জেলা পর্যায়েও শাখা দরকার। অর্থাৎ তাদের কার্যক্রম আরও বড় পরিসরে গড়ে তোলা দরকার।

    ক্যাবের আইন উপদেষ্টা ব্যরিস্টার জোতির্ময় বরুয়া বলেন,  শুধু ক্যাবের এই সংলাপের মাধ্যমে যে এই জ্বালানি রুপান্তর নীতি কার্যকর হয়ে যাবে, তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্র আমাদের অনেক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে। তবে, আমাদের একটা আশার কথা হলো- বিগত দিনে ক্যাবের পক্ষ থেকে যে মামলা করেছি। তাতে সফলতা পেয়েছি। অর্থাৎ আদালতকে আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে- আমরা জনগণের স্বার্থে কাজ করছি। তাই, আমরা এই আন্দোলনেরও সফলতা পাবো। এক্ষেত্রে সকলের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

    তিনি আরও বলেন, পেট্রোলিয়ামের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুললাম যে,  সরকার যে জ্বালানির মূল্য নির্ধারন করছে সেটা অন্যায়। এটার ক্ষমতা রয়েছে একমাত্র বিইআরসির হাতে। তাই, সরকার আইন অমান্য করছে।  তাই, সরকার নির্বাহী আদেশে বিইআরসির শক্তিকে খর্ব করে, জ্বালানির  মূল্য নির্ধারনের ক্ষমতা নিলো নিজদের হাতে (মন্ত্রণালয়ের হাতে)। যার ফলে, ভোক্তা তথা নাগরিক তার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হলো। কারণ আমাদের অধিকারের কথা বিইআরসির গণশুনানির মাধ্যমে তুলে ধরতে  পারতাম। অথচ, সারাবিশ্বেই ভোক্তার জ্বালানি অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলছে।

    এসময় তিনি বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইন কিভাবে জ্বালানি খাতকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, কিভাবে জ্বালানি অধিকারকে পঙ্গু করে দিচ্ছে, তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এই আইন বাতিল করার বিষয়ে সরকারের কোন প্রদক্ষেপ দেখছি না। আমার জ্বালানি অধিকার মানে হচ্ছে- প্রাপ্যমূল্যে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি পাওয়ার অধিকার। এর মানে এই নয়- আমাকে একটা দাম ধরিয়ে দিয়েই, বিদ্যুৎ-জ্বালানি দেয়া। তাই, আমরা (ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে) এই বিষয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। তবে, সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে ক্যাবের একার  চেষ্টায় সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারের আইনি পরিবর্তন আনতে হবে। আর এক্ষেত্রে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এজাজ আহম্মেদ বলেন, ক্যাবের এই জ্বালানি রুপান্তর নীতি বই থেকে যা বুঝলাম বাংলাদেশের জ্বালানি খাত  কাঁদায় পড়ে গেছে। কিন্তু এই কাঁদা থেকে জ্বালানি খাত তুলে ধরতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কিন্তু সেই ক্ষেত্রেতো অর্থের যোগান দিতে পারছে না সরকার। কারণ সরকারের অর্থ নেই। তাহলে তুলে আনবে কেমনে?

    তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পড়ে আছে। কিন্তু গ্যাস না থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।  যার কারণে তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন করছে। কিন্তু আমি গ্যাস ভিত্তিক বন্ধ রেখে তেল চালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে না। কারণ এতে, (পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি) উৎপাদন খরচ বেশি।

    সময়ে তিনি বলেন, বিশ্বের কোন দেশে ৫ শতাংশের বেশি তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নেই। অথচ বাংলাদেশে ৩৬ শতাংশ (৪০ শতাশ) তেল চালিত। যার কারণে বিদ্যুত উৎপাদন খরচ বাড়ছে। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি তেলের দাম। আমরা বারবার বলছি- তেলচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বেড়িয়ে আসুন। কিন্তু সরকার কোন প্রদক্ষেপ নিচ্ছে না। এখানে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সদিচ্ছা নেই।

    এসময় ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রুপান্তর নীতির প্রস্তাবনায় কিছু সংস্কার এনে সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে উপস্থাপনের আহবান জানান তিনি। এবং এবিষয়েও ব্যাখা দেন ক্যাব কতৃপক্ষ।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. বদরূল ইমাম বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে গ্যাসের আধিক্য আছে। কিন্তু সরকার বিজ্ঞজনদের পরামর্শ নিচ্ছে না। আমরা দেশীয় উৎপাদন না বাড়িয়ে, সরকার খনন পরিক্ষায় না গিয়ে সহজ পন্থা অবলম্বন করে আমদানির দিকে ঝুঁকলো। ফলে, আমদানি নির্ভর এই নির্ভরশীলতার কারণে দেশের জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। তাই, আমার মতে, সরকার এবিষয়ে এখনো বিবেচনায় নিলে, জ্বালানি সংকট সমাধান করা সম্ভব।

    তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী যারা গ্যাস ফিল্ড নিয়ে কাজ করছে তারা এখানো বাংলাদেশকে একটি প্রাইম এড়িয়া হিসেবে বিবেচনা করছে। কিন্তু আমরা সেই বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি না……।  এই যে একটি ভূল নীতি, এই নীতি সম্পর্কে বোঝার মতো কোন কর্মকর্তা হয়তো নেই, অথবা আমরা বোঝাতে সক্ষম হচ্ছি না।

    এসময় তিনি বলেন,  বাংলাদেশের গ্যাস সেক্টরে বড় একটি অবমূল্যায়ন হয়েছে। এ ক্ষেতে সরকার এখনো আমদানি নির্ভর এলএনজির দিকে না এগিয়ে দেশীয় উৎপাদন বাড়ালে, দেশের জ্বালানি সংকট সমাধান করা সম্ভব হবে।

    এরপর মুক্ত আলোচনায় অতিথি ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।

    সভাপতির বক্তব্যে ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, জ্বালানির সুবিচার না হলে জনগণের অধিকার সংরক্ষিত হবে না। তাই, জ্বালানি নিরাপত্তার জন্যে সহজে ও ন্যায্যমূল্যে ভোক্তা যাতে বিদ্যুত-জ্বালানি পায়, সেটাই আমাদের দাবি।

    তিনি আরও বলেন, জনগণ সরকারের জন্য কাজ করে। আমরাও জনগণের কথা বলি। তাই, আমাদের উদ্দেশ্য এক। আমরা একের অন্যের প্রতিদ্বন্দি নই। তবে, সরকারের কিছু কাজকে আমরা অন্যায্য মনে করি। তাই আমাদের এই প্রতিবাদ।  যেমন, সরকার কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মেয়াদ আবার ৫ বছর বাড়িয়েছে। কিন্তু এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। সরকার নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা চাই বিইআরসির মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করা হোক। তাই, আমাদের দাবিকে যাতে সরকার বিবেচনায় নেন, সেটাই আমাদের আহবান।

  • সাতক্ষীরায় রোগীদের মাঝে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবুর ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ  

    সাতক্ষীরায় রোগীদের মাঝে চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবুর ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ  

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।
    রবিবার (৩০ জুন) সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের মাঝে চেক বিতরণ করেন।
    চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মশিউর রহমান বাবু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের কথা চিন্তা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ব্যবস্থাপনার কারণেই জেলার বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সমাজ সেবা দপ্তরের মাধ্যমে এই চেক পাচ্ছেন, যেন তারা নিজেদের চিকিৎসা সঠিকভাবে করাতে পারেন এবং একজন সুস্থ্য ব্যক্তির মতো সমাজে বসবাস করতে পারেন।
    অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান জানান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্তান্ত রোগীদের আর্থীক সহায়তা কর্মসূচীর ১ম ও ২য় কিস্তিতে মৃত ব্যক্তির নমিনির মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত ১০ জনের মাঝে ৫ লাখ, প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হলো।
  • ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় দফায়

    ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন গড়াল দ্বিতীয় দফায়

    ইরানে গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনায় কোনো প্রার্থীই প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট নিশ্চিত করতে পারেননি। এমন অবস্থায় আগামী ৫ জুলাই দেশটিতে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    শনিবার (২৯ জুন) ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব তথ্য জানিয়েছে।

    ২ কোটি ৫০ লাখের বেশি ভোট গণনায় দেখা গেছে, সংস্কারপন্থী আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান ১ কোটির বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে আছেন। তাঁর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে থাকা কট্টরপন্থী প্রার্থী সাইদ জালিলি পেয়েছেন ৯৪ লাখের বেশি ভোট। ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ফলাফল থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী যদি ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তবে নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। প্রথম দফার নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে তখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। প্রথম দফার ফল ঘোষণার পর প্রথম যে শুক্রবারটি আসে, সেদিনই দ্বিতীয় দফার ভোট হয়। অর্থাৎ আগামী ৫ জুলাই পেজেশকিয়ান এবং জালিলির মধ্যে লড়াই হবে।

    ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির নেতৃত্বে গঠিত কট্টরপন্থী একটি কর্তৃপক্ষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ছয়জনকে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছিল। পরে দুই কট্টরপন্থী নিজেদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে লড়াই করেছেন চার প্রার্থী। এর মধ্যে তিনজন কট্টরপন্থী এবং একজন তুলনামূলক সংস্কারপন্থী। জালিলি ও পেজেশকিয়ান ছাড়া অপর দুই প্রার্থী হলেন মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ এবং মোস্তফা পুরমোহাম্মদি। তাঁরা দুজনই কট্টরপন্থী।

    নিয়ম অনুযায়ী, ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল; অর্থাৎ ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের চার বছরের মেয়াদ শেষে ভোট অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে আগাম নির্বাচনের বিকল্প ছিল না। সংবিধান অনুযায়ী, ৫০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

    তবে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে বড় ধরনের কোনো বদল আসার সম্ভাবনা নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের প্রেসিডেন্টের ভূমিকা বড় করে দেখা হলেও দেশের প্রকৃত ক্ষমতা থাকে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার হাতে।

  • সাতক্ষীরায় টিআর কাবিখা ও ঐচ্ছিক তহবিলের চেক বিতরণ করলেন সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি

    সাতক্ষীরায় টিআর কাবিখা ও ঐচ্ছিক তহবিলের চেক বিতরণ করলেন সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি

    প্রতিনিধি: সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতির অনুকূলে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ঐচ্ছিক তহবিলের সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৬০টি চেক বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব, লাইব্রেরী, নাট্য সংগঠন, নারী সংগঠন, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, শ্মশান, ঈদগাহ, এতিমখানা, কবরাস্থান, অসুস্থ্য অসহায় ও দরিদ্র পরিবার, রাস্তা ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ চেক বিতরণ করা হয়।
    ২৯ জুন শনিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ ডিজিটাল কর্নারে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ ইয়ারুল হক।
    উল্লেখ্য, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতির অনুকূলে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ঐচ্ছিক তহবিলের অর্থ সাতক্ষীরার চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে বিতরণ করা হচ্ছে।

  • অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন নাম পরিচয়হীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় পড়ে থাকা অজ্ঞাত বৃদ্ধা

    অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন নাম পরিচয়হীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় পড়ে থাকা অজ্ঞাত বৃদ্ধা

     

    বিশেষ প্রতিনিধি:
     গত ছয় দিন আগে ডাক্তার নোমান নামে একজন ব্যক্তি তাকে কলারোয়া ও শার্শা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বেলতলা থেকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস আজ আনুমান বিকাল তিনটার দিকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঐ অজ্ঞাত বৃদ্ধা। তার নাম পরিচয় না পাওয়া সত্ত্বে কলারোয়া উপজেলার কাজীর হাট এলাকার মাহবুবুর রহমান ঐ বৃদ্ধার মৃতদেহ নিয়ে সৎকার করবেন বলে নিয়ে গেছে।
  • সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুভাষ ঘোষের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ ও মন্দির সমিতির নিন্দা প্রতিবাদ

     

    প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির জেলা নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দেবহাটা- উপজেলার শাখার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের হাত, মুখ ও চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতির তীব্র ক্ষোভ নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে বিবৃতি প্রদান করেছেন, ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ^জিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি ঘোষ সনৎ কুমার, সাধারণ সম্পাদক বিশ^নাথ ঘোষ, জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এড. সোমনাথ ব্যনার্জি, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, সিদ্ধেশ^র চক্রবতী, সুধাংশু শেখর সরকার, গৌর চন্দ্র দত্ত, এড. তারক মিত্র, পৌল সাহা, এড. অনিত মুখার্জী, নয়ন কুমার সানা, এড. কু- তপন, অধ্যক্ষ শিব পদ গাইন, প্রভাষক বাসুদেব সিংহ, অসীম কুমার দাশ সোনা, বিকাশ চন্দ্র দাশ, রায় দুলাল চন্দ্র, বলাই চন্দ্র দে, প্রবীর পোদ্দার, থিউফিল গাজী, অমিত কুমার ঘোষ বাপ্পা, সুজন বিশ^াস প্রমুখ।