Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 8 of 398

Author: dakshinermashal

  • সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ও শাহজাহান মাস্টার

    সাতক্ষীরার মুক্তিযুদ্ধ ও শাহজাহান মাস্টার

    মশাল প্রতিবেদন:
    মহান মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা অনকে মুক্তিযোদ্ধারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এর ভূমিকার নেপথ্যে মূল কারিগর হল ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টার। শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন অদম্য সাহসী ও মেধাবী।তিনি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরুণ তকবগে যুবকদের ডেকে নিয়ে মুক্তি যুদ্ধের অংশগ্রহণ করাতেন। তিনি অসংখ্যক যুদ্ধে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
    তিনি সর্বপ্রথম তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সাতক্ষীরা মহাকুমার মুজাহিদ ক্যাপ্টেন ছিলেন। একই সাথে তিনি দেবহাটা থানার টাউন শ্রীপুর শরৎচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ছিলেন। ৭ই মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের পর পরই তিনি তার মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে একটি ক্যাম্প তৈরি করেন। এরপর শুরু হয় এলাকার যুবকদের নিয়ে ট্রেনিং দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানো। তৎকালীন সময় বিভিন্ন এলাকার শিক্ষিত অশিক্ষিত যুবক ছেলেদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করানোর জন্য তাকে অনেকেই সহযোগিতা করেন। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেবহাটা থানার কামটা গ্রামের সনৎ কুমার সেনগুপ্ত (সন্তু বাবু),পাইকগাছা আওয়ামী লীগ এমপি এমএ গফুর, ইপিআরের নায়ক সুবেদার আইয়ুব আলী, দেওয়াটা থানার পারুলিয়া গ্রামের তৎকালীন পোস্ট অফিসের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মোঃ আতিয়ার রহমান, তৎকালীন দেবহাটা থানার ওসি হায়েজ উদ্দিন, এ এফ এম ইন্তাজ আলী, এবং শেষে এসে যোগ দেন তৎকালীন এম এল এ, স ম আলাউদ্দিন।
    অনেক সময়ে গড়িয়ে যাওয়ার পরে যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার টাকিতে গড়ে তোলা হয় মুজাহিদ ক্যাম্প বা মুক্তিযুদ্ধা ক্যাম্প। পরে তৎকালীন বাংলাদেশ এর অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমেদ এর স্বাক্ষরিত সেক্টর গঠনের সময় ৯ নম্বর সেক্টরের টাকি ক্যাম্পের লিখিত দায়িত্ব দেন ক্যাপ্টেন শাহাজান (মুজাহিদ) কে।(সূত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল পত্র একাদশ খন্ডে ৭৩৪ পৃষ্ঠায়।
    ৯নং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সেক্টর উপ কমান্ডার হিসাবে।
    ৯নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর এম এ জলিল রচিত ‘অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা’ বইয়ে সাতক্ষীরার কয়েকজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠকের নাম উল্লিখিত হয়েছে। ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার ছিলেন অদম্য সাহসী ও অকুতোভয় সৈনিক। ক্যাপ্টেন শাহাজাহান মাষ্টারের নেতৃত্বে দূরদর্শিতায় দ্রুত মুক্ত হয় এই অঞ্চল।
    কিন্তু সাতক্ষীরা মুক্তি যুদ্ধের রচিয়তা কে ভূলে যেতে শুরু করেছে। সাতক্ষীরা প্রশাসন তার মৃত্যু দিনটা ও স্বরণ করে না।
    শুধু তার গ্রামের বাড়িতে এবং টাউন শ্রীপুর হাই স্কুলে ২৩ শে জুলাই এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয় জনগণের নেতৃত্বে তার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।
    একজন প্রবীণ বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান,  শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন সাতক্ষীরার মুক্তি যুদ্ধের প্রাণ পুরুষ। তার অদম্য সাহসীকতায় এই অঞ্চল দ্রুত পাকবাহিনী মুক্ত হয়েছে। কিন্তু সেই মানুষটাকে কেউ স্মরণ করে না। দুংখজনক শাহাজাহান মাষ্টার কে বাদ দিয়ে সাতক্ষীরা মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস রচনা করা সম্ভব না। শাহাজাহান মাষ্টার ছিলেন থাকবেন আমাদের মাঝে।
  • জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা হবে স্মার্ট ..ডাঃ  আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি

    জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবা হবে স্মার্ট ..ডাঃ  আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি

    নিজস্ব প্রতিনিধি  : সাতক্ষীরায় জরায়ু- মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং উন্নয়ন বিষয়ক সমন্বয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় ( ৬ জুলাই)  সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ জরায়ু- মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং উন্নয়ন বিষয়ক সমন্বয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইলেকট্রনিক ডাটা ট্রাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ু- মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্কিনিং কর্মসূচি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় স্বাস্থ্য বিভাগ খুলনার পরিচালক ড. মো. মনজুরুল মুরশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ. ফ. ম রুহুল হক এমপি। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সেবাও হওয়া চাই স্মার্ট অনলাইন ডাটাবেজ এনআইডির মাধ্যমে সর্বপ্রথম সকল রোগীকে সনাক্ত করতে হবে। জরায়ু- মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং উন্নয়নে  মাসিক সভা পর্যালোচনা করে  সকল কর্মস্থলে ডাক্তার ও নার্স দের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভার মাধ্যমে জরায়ু -মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং বিষয়ে সচেতন করতে হবে। এ রোগের লক্ষণ ও ভয়াবহতার বিষয়ে জানাতে হবে। ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী নারীদের এ রোগের ঝুঁকি রয়েছে। তাদেরকে সচেতন করতে হবে। অনেক ডাক্তাররা এ রোগে আক্রান্ত রয়েছে। রোগের শুরুতেই চিকিৎসা নিতে হবে। লজ্জা না করে নিকস্থ হাসপাতালে  চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সচেতনতা বৃদ্ধি না করতে পারলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারবো না। এজন্য স্কুল, কলেজ ,মসজিদসহ সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। সম্মানিত অতিথি হিসেবে  বক্তব্য রাখেন, কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ এ্যাসিসট্যান্স  ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম নুরুন্নবী কবির।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ মো. আব্দুস সালাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিজিএমই এর পরিচালক ( পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ)  প্রফেসর ড. কাজী আফজালুর রহমান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ রুহুল কুদ্দুস, সাবেক অধ্যক্ষ  ডাঃ কাজী হাবিবুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ খুলনা বিভাগীয় ইনচার্জ মো. আকিব উদ্দীন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর  আমান উল্লাহ আল হাদী, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডাঃ শংকর প্রসাদ বিশ্বাস, সার্জারী  বিভাগের প্রধান ডাঃ মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, প্যাথলজী বিভাগের প্রধান ডাঃ রেবা দাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি)  শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, পুলিশ সুপার ( ডিএসবি) আতিকুল ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ- পরিচালক ডাঃ গাজী বাশির আহমেদ, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ কুদরতি – ই – খোদা। এসময় বিভিন্ন বিষয়ের উপরে প্রস্তাব উপস্থাপনা করেন ইপিসিবিসিএসপি এর প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর আশরাফুন্নেছা,শেখ নাজিম উদ্দীন লিংকন, ডাঃ পুষ্পানঞ্জলী রায়,ডাঃ আহসানুল ইসলাম কল্লোল। এসময় সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন,  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লোপোসকপিস্ট ডাঃ নন্দিনী সরকার পিউ।
    ক্যাপশন: সাতক্ষীরায় জরায়ু- মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং উন্নয়ন বিষয়ক সমন্বয়ক সভায় বক্তব্য রাখছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ.ফ. ম. রুহুল হক।
  • স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সকল স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে

    স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সকল স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে- সাতক্ষীরায় নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ এমপি

     

    শাহ জাহান আলী মিটন , সাতক্ষীরা :: সাতক্ষীরায় নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ এমপি বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সকল স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরে ই- পাসপোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভোমরা ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে স্থলবন্দরসমূহ আজ আরও একধাপ এগিয়ে গেল। শেখ হাসিনা সরকারের আগে যদি প্রেতাত্মারা ক্ষমতায় না থাকতো বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেত।

    বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ও সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন

    সাতক্ষীরা ৪ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি, সাতক্ষীরা সদর ২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য লাইলা পারভীন সেঁজুতি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন ( ভার্চুয়াল) পরিচালক ফিলিপ ইসলাম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর সিদ্দিকী।

    এসময় ভোমরা স্থলবন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে

     

     

    শাহ জাহান আলী মিটন , সাতক্ষীরা : বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটি তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, এই সরকার দূর্ণীতিবাজ বেনজীর ও আজিজের কাধে ভর করে নির্বাচনী বৈতরী পার হয়েছে।

    দেশের স্বাধীনতা থাকলেও আমাদের কোন সার্বভৌমত্ব নেই। ফারাক্কার ন্যায্য পানি ভারত দেয় না। ভারতকে যে করিডোর দেওয়া হচ্ছে এই করিডোর মানবে না জনগন। ভারতের নীতির ফলে বাংলাদেশে ভোট হয় না। অবৈধ শাসন চাপিয়ে দেয়। বুধবার (৩ জুলাই ) বিকাল ৪ টায় সাতক্ষীরা শহরের তালতলা হাই স্কুল মাঠে জেলা বিএনপির আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবীতে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরোও বলেন, এই সরকার ক্রেডিট নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের সকল অর্জন বিসর্জন দিচ্ছে। যারা বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করে দেশকে অকার্যকর করতে চাই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধার সূচনা হয়েছে। এই যুদ্ধে জয়লাভ করলে খালেদা জিয়া মুক্ত হবে। সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি আহবায়ক এ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলীর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলিম সঞ্চালনায় সমাবেশ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য ডাঃ শহিদুল আলম, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি যুগা আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব,সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি যুগা আহ্বায়ক ,

    শেখ তারিকুল হাসান,সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি যুগা আহ্বায়ক মৃনালকান্তি রায়, প্রমুখ। এসময় জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     

  • শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ।

    শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ।

    মোঃ আলফাত হোসেন শ্যামনগর থেকেঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর পৌরসভা সহ আটুলিয়া ও রমজাননগর ইউনিয়নের ৬৬ টা পরিবারের মাঝে ৩ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা চেক বিতরণ করে এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান সাঈদ,রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন ও এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এল আর পি- ৫৪ শ্যামনগর প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম,ফোরাম সিভি প্রজেক্ট প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ সেলিম হোসেন,একশান এইড বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অফিসার তাপস কুমার সরদার প্রমুখ। এসময়,ঘূর্ণীঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ৬০০০ টাকা করে চেক বিতরণ করা হয়।

  • ভোমরা স্থল বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম   এর উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ   মাহমুদ চৌধুরী

    ভোমরা স্থল বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম  এর উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ  মাহমুদ চৌধুরী

    সাতক্ষীরা:

    সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট

    সিস্টেম এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে

    উপস্থিত থেকে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এর

    উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ

    মাহমুদ চৌধুরী।

    বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: জিল্লুর

    রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন,

    সাতক্ষীরা -০৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম

    রুহুল, সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য

    আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য

    লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ এর

    কান্ট্রি ডিরেক্টও মুজিবুল হাসান, জেলা প্রশাসক

    মোহাম্মাদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মতিউর

    রহমান সিদ্দিকীসহ অন্যরা। বিকেলে তিনি

    কালিগঞ্জের প্রস্তাবিত বসন্তপুর নৌ বন্দর পরিদর্শন

    করেন।

    এসময় তিনি বলেন, ভোমরার উন্নয়নে সকল ধরনের

    পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা ১০ হাজার

    কিলোমিটার বন্দর উন্নয়নে ৩ হাজার ৫০০ কোটি

    টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে শুধুমাত্র ১২০০

    কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে ভোমরা বন্দরে।

  • পৌরসভার সুলতানপুর শেখপাড়া এলাকায় সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন 

    সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর শেখপাড়া এলাকায় সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই ) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ

    কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ফিরোজ হাসান। সাতক্ষীরা পৌরসভার সুলতানপুর শেখপাড়া এলাকার মোবাশ্বের আলীর বাড়ির সামনে হতে বিশিষ্ট বীজ ব্যবসায়ী শেখ মুকুলার রহমান (মুকুল) এর বাড়ি পর্যন্ত পৌরসভার অর্থায়নে ১৩৫ ফুট সিসি ঢালাই রাস্তাটি নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আখতার তপু, উপ- সহকারী প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ, কামরুজ্জামান শিমুল, পৌরসভার কার্যসহকারী আব্দুল মোতালেব, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শেখ নাজমুল হক রনি, বিশিষ্ট বীজ ব্যবসায়ী শেখ মুকুলার রহমান, আবিদ জমাদ্দার, শেখ আব্দুর রশিদ , ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স স্বপন ইন্টারন্যাশনাল এর স্বত্বাধিকারী স্বপন কুমার দে। এসময় এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

     

  • বিশ্বকাপ জিতে টি-টোয়েন্টির এক নম্বর অলরাউন্ডার পান্ডিয়া

    স্পোর্টস ডেস্ক :
    ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করতে ব্যাট-বলে অসামান্য অবদান রেখেছেন হার্দিক পান্ডিয়া। যার স্বীকৃতিও মিললো আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে। টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার সঙ্গে যৌথভাবে চূড়ায় বসেছেন তিনি। এই ফরম্যাটে ভারতের কোনও ক্রিকেটার প্রথমবার শীর্ষে ওঠার কীর্তি গড়লো।

    শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হাসারাঙ্গার সঙ্গে শীর্ষস্থান ভাগাভাগি করতে পান্ডিয়াকে দুই ধাপ অগ্রসর হতে হয়েছে। দুজনেরই রেটিং সমান- ২২২।

    ব্যাট হাতে পান্ডিয়া ৪৮ গড়ে ১৪৪ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫১। তাছাড়া উইকেটও নিয়েছেন ১১টি। তার মধ্যে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ফাইনাল জেতানো ২০ রানে ৩ উইকেট শিকারের ফিগারটিও আছে। বিশ্বকাপে পান্ডিয়ার সেরা পারফরম্যান্সটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২৭ বলে অপরাজিত ৫০* রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

    পান্ডিয়ার সতীর্থ জসপ্রীত বুমরাও টি-টোয়েন্টির বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক উন্নতি করেছেন। প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট বুমরা ১২ ধাপ এগিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ১২ নম্বর স্থানে। ৮.২৬ গড়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ইকোনমিও ছিল ৪.১৭।

    অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসানও উন্নতি করেছেন একধাপ। সাকিবের অবস্থান পাঁচ নম্বর। মার্কাস স্টয়নিস, সিকান্দার রাজাও একধাপ এগিয়ে যথাক্রমে ৩ ও ৪ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন।

    রানার্স আপ দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার আইনরিখ নর্কিয়াও বড় লাফ দিয়েছেন। বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭ ধাপ এগিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা দুই নম্বরে। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। ১৩.৪০ গড় ও ৫.৭৪ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৫ উইকেট।

  • শাকিবের পর জিৎ, কী বলছেন নির্মাতা রাফী

    শাকিবের পর জিৎ, কী বলছেন নির্মাতা রাফী

    শাকিবের পর জিৎ, কী বলছেন নির্মাতা রাফীশাকিব খান, রায়হান রাফী ও জিৎ

    বিনোদন ডেস্ক : দেশের গণ্ডি পেরিয়ে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘তুফান’। আগামী ৫ জুলাই এটি মুক্তি পাচ্ছে ভারতে। ‘তুফান’ সিনেমা মুক্তি নিয়ে কিছুদিন আগে ওপার বাংলার সুপারস্টার জিৎ বলেন, এখানে প্রতিযোগিতার কিছু নেই। বাজার খোলা আছে, যে কেউ আসতে পারে। এরপই টলিউডে গুঞ্জন, নির্মাতা রায়হান রাফীর পরবর্তী সিনেমায় নাকি নায়ক হচ্ছেন অভিনেতা জিৎ।

    এই গুঞ্জনের বিষয়ে রাফীর বলেন, ‌‘ভারতের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় আরও ছবি তৈরির ইচ্ছে আছে। জিৎ দা বাংলার সুপারস্টার। তার সঙ্গে কাজ করতে পারলে খুবই ভালো লাগবে। কিন্তু বাংলা ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেককেই আমার পছন্দ। তাই এখনই আলাদা করে কারও নাম উল্লেখ করার সময় আসেনি।’

    দুই বাংলার তারকাশিল্পীদের এক করে কাজ করেছেন রাফী। ফলে তুফান দুই বাংলায় ব্লকবাস্টার হবে বলেও জানান তিনি। এজন্য তিনটি কারণও উল্লেখ করেছেন এই নির্মাতা। বললেন, ‘কারণ হিসেবে এক, শাকিব পশ্চিমবঙ্গের অনেক নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন। মিমির সঙ্গে করেননি। তাই তাদের জুটি বানালাম। দুই, দর্শক নতুন জুটি দেখতে খুব ভালোবাসে। শাকিব-মিমির জুটি আবারও সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। তিন, দু’জনেই দুই বাংলার সেরা অভিনেতা।’

    ব্লকবাস্টার তুফান-এ দ্বৈত চরিত্রে রয়েছেন শাকিব খান। তাঁর বিপরীতে টলিউডের মিমি চক্রবর্তী ও ঢালিউডের মাসুমা রহমান নাবিলা। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

    আরও অভিনয় করেছেন রজত গাঙ্গুলি, ফজলুর রহমান বাবু, গাজী রাকায়েত, শহিদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর প্রমুখ। এরইমধ্যে সিনেমাটির দ্বিতীয় কিস্তিরও ঘোষণা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

  • বিব্রত সিয়াম, জানালেন ছবি নামিয়ে ফেলার আবেদন

    বিব্রত সিয়াম, জানালেন ছবি নামিয়ে ফেলার আবেদন

    বিব্রত সিয়াম, জানালেন ছবি নামিয়ে ফেলার আবেদনসিয়াম আহমেদ ও তার স্ত্রী শাম্মা রুশাফি অবন্তী

    বিনোদন প্রতিবেদক

    চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী শাম্মা রুশাফি অবন্তীর একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে পাহাড়ি জনজাতির পোশাকে এই দম্পতিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় ‘পাংখোয়া’ জনগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে! কিন্তু সিয়াম-অবন্তীর পোশাকটি মূলত লুসাই সম্প্রদায়ের। এবার এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন সিয়াম নিজেই।

    মঙ্গলবার (২ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করে সিয়াম লিখেছেন, ‘লুসাই জনগোষ্ঠীর সম্মানিত রাজার আমন্ত্রণে বছরতিনেক আগে সাজেকে ঘুরতে গিয়েছিলাম অবন্তীকে নিয়ে। তাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, পরিবেশ ঘুরে দেখেছিলাম। তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছি, সবার আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছিলাম সেবার।’

    ভাইরাল হওয়া ছবিতে লক্ষ্য করা গেছে, রাঙামাটি অঞ্চলে কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের (৪১ বিজিবি) সাঁটানো একটি বিলবোর্ড সেটি। যেখানে পাহাড়ি আদিবাসী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের পরিচিতি তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ভুল হলো পাংখোয়া সম্প্রদায়ের বিষয়টি। কারণ সিয়াম-অবন্তীর ছবিটি মূলত লুসাই জনগোষ্ঠীর।

  • রাফাহর দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলা

    রাফাহর দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলা

    রাফাহর দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলা

    ফাইল ছবি

    অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বোমা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলায় আটজন নিহত ও ডজেনের বেশি মানুষ আহত হওয়ার দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবারের সেই হামলার পর বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যখন আশ্রয় খুঁজছিল। তখন ফের নতুন করে হামলা শুরু করেছে তেল আবিবের সেনা। এবারের লক্ষ্যবস্তু দক্ষিণাঞ্চলেরই রাফাহ শহর। খবর রয়টার্সের।

    রাফাহ এলাকার বাসিন্দারা জানান, আগেরদিন হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যেই রাফাহ শহরে রাতারাতি নতুন সামরিক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

    এদিকে গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার মধ্য ও উত্তর গাজায়ও বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে ইহুদি বাহিনী। ওই হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন ফিলিস্তিনি।

    ইসরায়েলি নেতারা জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে চলমান তীব্র সংঘাতের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন তারা। শিগগিরই আরও নতুন লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান চালাবে তেল আবিবের সেনারা।

    এদিকে রাফাহ শহরের কেন্দ্রস্থলে দুটি স্থানে হামলা চালিয়ে রাতারাতি বেশ কয়েকটি জেলা দখল করেছে ইহুদি সেনারা। শিগগিরই শহরের আরও পশ্চিম ও উত্তরে অগ্রসর হওয়ার কথা জানিয়েছে তারা। এতে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দশা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

    ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তাদের সেনারা রাফাহতে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। লক্ষ্য অনুসারে বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে এবং বহু হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।

    এদিকে হামাসের সশস্ত্র শাখা দাবি করেছে, রাফাহ শহরের পশ্চিমে দুটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্কে গোলা বর্ষণ করেছে তারা। এছাড়া গাজা শহরের পূর্ব উপকণ্ঠ শেজাইয়াতে ইসরায়েলি বাহিনীর উপর মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে হামাস যোদ্ধারা।

    স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে দুটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

    চিকিৎসকরা জানান, শেজাইয়া এলাকায় এক বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।

    স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দেইর আল-বালাহতে আরেকটি বিমান হামলায় একটি গাড়িতে থাকা তিনজন নিহত হয়েছেন।

    গাজার বিভিন্ন স্থান ছেড়ে পালিয়ে আসা কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন দেইর আল-বালাহতে। শরণার্থীদের অভিযোগ, সেখানে বিশুদ্ধ পানির তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া মৌলিক খাদ্যদ্রব্যের মূল্যও বেশি।

    দেইর আল-বালাহতে আশ্রয় নেয়া পাঁচ সন্তানের বাবা ৪৭ বছর বয়সী শাবান বলেন, ‘পান করার মতো বিশুদ্ধ পানি নেই। আমরা চড়া দামে লবণাক্ত বা অপরিষ্কার পানি কিনতে বাধ্য হচ্ছি।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যকর খাবারের অভাব এবং দূষণের কারণে বেশিরভাগ বাস্তুচ্যুত পেটে ব্যথা ও হেপাটাইটিসের মতো রোগে ভুগছেন।’

  • শিক্ষক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ওবায়দুল কাদের

    শিক্ষক সমিতির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ওবায়দুল কাদের

    সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আজ বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, ওবায়দুল কাদের আমাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা বলেছেন। আগামীকাল সকালে বৈঠক হবে। তবে এখনও সময় জানানো হয়নি। আন্দোলন চলমান থাকবে কিনা জানতে চাইলে এ শিক্ষক নেতা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এদিকে আজ তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৩৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে মূল ফটকে শিক্ষক সমিতির নেতারা দুপুর ১২টা থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন।

  • সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই

    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই

    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই উল্লেখ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন বলেছেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

    বুধবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পিরোজপুর-৩ আসনের শামীম শাহনেওয়াজের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

    একই প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনজট নেই। আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এছাড়া ৩০ বছর বয়সমীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।

    পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং বেশি বয়সী (২৯ এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে কম ১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।

    তিনি জানান, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূণ্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

    স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক জানান, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৮ হাজার ১১৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭৮টি নদী তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৫টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ৬৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভার সুলতানপুর ঝিলপাড়া এলাকায় সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা পৌরসভার সুলতানপুর ঝিলপাড়া এলাকায় সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সুলতানপুর ঝিলপাড়া এলাকায় সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে সিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর অনিমা রাণী মন্ডল, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল আখতার তপু, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ, কামরুজ্জামান শিমুল, তুষার রায় চৌধুরী, পৌরসভার কার্যসহকারী আব্দুল মোতালেব, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি মিকাইল ইসলাম, ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম ও আজহারুল ইসলাম, মো. সাহেদ আলী, ফরিদা খাতুন, নুরজাহান বেগম, মাহমুদাসহ এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা পৌরসভার সুলতানপুর ঝিলপাড়া এলাকার মোস্তফার বাড়ির সামনে হতে আমিরোনের বাড়ি পর্যন্ত পৌরসভার অর্থায়নে ১০৫ মিটার সিসি ঢালাই রাস্তাটি ৩ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত রাস্তাটির নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী পৌর মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ফিরোজ হাসানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ।

  • সাতক্ষীরায় সড়কের পাশ থেকে উচ্ছেদকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরায় সড়কের পাশ থেকে উচ্ছেদকৃত ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় সড়কের পাশ থেকে উচ্ছেদকৃত অসহায় ভূমিহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার (৩ জুলাই) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি, বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
    মানববন্ধনে বক্তারা উচ্ছেদকৃত ভূমিহীন পরিবারগুলোর দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, পরিবারগুলো বসতঘর হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা মাঠে পলিথিন টানিয়ে দিন-রাত কাটছে তাদের। কারো ঘরে চুলা জ¦লেনি গত দুইদিন। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। নারীরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জায়গাও পাচ্ছে না। বৃষ্টির মধ্যে শিশুদের কোলে জড়িয়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করছে পরিবারগুলো।
    তারা আরও বলেন, ৪০-৫০ বছর আগে এসব পরিবার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা কারণে ভিটে-মাটি হারিয়ে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা, বাঙালের মোড় এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গায় খুপড়ি ঘর বেধে বসবাস শুরু করেন। কেউ ভ্যান-রিক্সা চালায়, কেউ জোগাড়ি দেয়, কেউ দিনমজুরের কাজ করে। কেউ স্ব^ামী পরিত্যাক্তা, কেউ বিধবা, কেউবা প্রতিবন্ধী। তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই বলেই তারা খোলা আকাশের নিচে পলিথিন টানিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।


    বক্তারা বলেন, এসব পরিবারের কথা বিবেচনায় না নিয়েই সাতক্ষীরাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার।
    তারা অভিযোগ করে বলেন, সংশ্লিষ্টরা সরকারকে প্রকৃত তথ্য সরবরাহ না করায় আজ পরিবারগুলো পথে বসেছে। শুধু ইটাগাছা বস্তি নয়, এমন হাজারো পরিবার এখনো সাতক্ষীরা জেলায় রয়েছে, যারা ভূমিহীন। যাদের থাকায় নিরাপদ জায়গা নেই। রাস্তার পাশে খুপড়ি ঘর বেধে জীবনযাপন করছেন। কিন্তু তাদের কথা বিবেচনায় না নিয়েই সাতক্ষীরাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে ফেসবুকে অনেকে ট্রলও করেন। এতে সরকারের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর দেওয়ার মহৎ উদ্যোগ ম্লান হচ্ছে। তাই অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীন অসহায় মানুষকে পুনর্বাসন করতে হবে।
    বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন সাতক্ষীরাবাসীর জন্য অত্যন্ত কাক্সিক্ষত। কিন্তু এজন্য উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার আগেই ভূমিহীনদের জন্য তৈরিকৃত আবাসন প্রকল্পে পরিবারগুলো আবাসনের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। তাহলে বর্তমান পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। সরকারের ভাবমূর্তি আরো উন্নত হতো। কারণ বাসস্থানের অধিকার রাষ্ট্র স্বীকৃত মৌলিক অধিকার।
    মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, সিপিবির আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জাসদের ইদ্রিস আলী, গণফোরামের আলী নুর খান বাবুল, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মুনসুর রহমান, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের আব্দুস সামাদ, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের মুশফিকুর রহিম, উচ্ছেদ হওয়া প্রতিবন্ধী হাফিজা খাতুন, জবেদা খাতুন প্রমুখ।
    প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়ক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১ জুলাই থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে ইটাগাছা-বাকাল এলাকার শতাধিক অসহায় ও দরিদ্র পরিবার তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে।

  • আশাশুনির খাজরা ও সদর ইউপির উপ নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ ৯টি

    আশাশুনির খাজরা ও সদর ইউপির উপ নির্বাচনে মনোনয়ন সংগ্রহ ৯টি

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে ৪ প্রার্থী ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নে একটি ওয়ার্ডে মহিলা মেম্বার পদে ৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। চেয়ারম্যান পদে একজন মনোনয়নপত্র জসা দিয়েছেন।
    ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহ নেওয়াজ ডালিম গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করায় চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলে পদটি শূন্য হয়ে যায়। উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ আলী সোহাল জুয়েল উপ নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করার পর এ পর্যন্ত খাজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীরা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি অহিদুল ইসলাম মোল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী মোড়ল ও কামাল হোসেন। তাদের মধ্যে বুধবার (৩ জুলাই) অহিদুল ইসলাম মোল্যা উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এসময় ইউনিয়ন আ’লীগের সিনিঃ সহ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ, ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আছাদুল ইসলাম, মঞ্জুরুল মোল্যা, আবু হানিফ সানা, আঃ করিম মোল্যা, অবঃ শিক্ষক ইলিয়াছ হোসেন, মেম্বর রবিউল ইসলাম, মেম্বর শিমুল হোসেন, বাবু রাম মন্ডল, জাহাঙ্গীর মোড়ল, কওছার ফকির, আমানত হোসেন, হারুনর রশিদ মোড়ল, রেজাউল সানা, রাব্বি, শাহাবুদ্দিন, আঃ ছালাম, সাবেক মেম্বার আনারুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    অপরদিকে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর পদে নির্বাচনের জন্য ৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন, শাহানারা খাতুন, ছালেহা পারভিন পান্না, রেহেনা খাতুন ও মোমেনা খাতুন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিনে বাকী প্রার্থীবৃন্দ মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানাগেছে।
  • আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক বাহবুল হাসনাইনের ইন্তেকাল

    আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক বাহবুল হাসনাইনের ইন্তেকাল

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে টানা সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে ইন্তেকাল করলেন দৈনিক প্রজন্ম একাত্তর পত্রিকার আশাশুনি প্রতিনিধি বাহাবুল হাসনাইন বাবুল (৫২)। (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)
    আশাশুনি চাপড়া গ্রামের মুক্তি যুদ্ধের সংগঠক মৃত লুৎফর রহমান সরদারের জ্যেষ্ঠ পুত্র, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য, সদা হাস্যোজ্জ্বল, সাদা মনের মানুষ আশাশুনি বাজারের বলাকা স্টুডিওর স্বত্বাধিকারী বাবুল গত বৃহস্পতিবার (২৭ জজুন) রাতে সাতক্ষীরা থেকে বাড়ি ফেরার পথে চাঁদপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। সাথে সাথে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। পরে সেখান থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। আইসিউতে থাকা অবস্থায় বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৮.১৫ মিনিটে তিনি ইন্তিকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ কন্যা সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। দুপুরে তার মরদেহ আশাশুনি বাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আনা হলে তাকে এক নজর দেখার জন্য সহকর্মী সাংবাদিকসহ শতশত ব্যাবসায়ী ও সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত হয়। বিকালে বাদ আসর চাপড়া ফুটবল মাঠে মরহুমের জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন চাপড়া বাস স্ট্যান্ড জামে মমসজিদের পেশ ঈমাম মাওলানা আলা উদ্দীন। নামাজপূর্ব আলোচনা রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সাহেব আলী, জামাত নেতা নূরুল আফসার মোর্তজা, মরহুমের চাচা আনিছুর রহমান, আশাশুনি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স। নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
    তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন আশাশুনি প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ক্লাবের সকল সাংবাদিকবৃন্দ।