Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 51 of 398

Author: dakshinermashal

  • সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির

    সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুন্দর একটি সাতক্ষীরা গড়ার স্বপ্ন দেখেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। গত ইং ২৩ ০৬ – ২০২১ তারিখে সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন অদ্যাবধি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন বাংলাদেশ সরকারের জেলা পর্যায়ের সকল নির্বাহী কাজ সুনাম ও সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সকল নীতিমালা, আইন ও আদেশের আলোকে এবং রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ইত্যাদির সুষ্ঠু অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, ট্রেজারি, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, পাবলিক পরীক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা, জেলার কৃষির উন্নয়ন, জেলার ক্রীড়ার উন্নয়ন, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন ইত্যাদি কাজগুলো সততা ও নিষ্ঠার সাথে করে ইতিমধ্যে সাতক্ষীরার সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান করে নিয়েছেন প্রিয় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি ‘বি’ ক্যাটাগরী সাতক্ষীরা জেলাকে ‘এ’ ক্যাটাগরীর জেলা তৈরীতে জেলার জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাতক্ষীরা জেলাকে তাঁর নিজের জেলা মনে করে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলার ক্রীড়াঙ্গণ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণকে উন্নত করতে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি সাতক্ষীরার কণ্ঠ রিয়েলিটি শো ও হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। ২০২১ সালের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে কাজ করে যাচ্ছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। এ লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলার প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল হাজিরার আওতায় নিয়ে আসার জন্য জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অল্প সময়ে তার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে সাতক্ষীরাবাসী। স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরার চিত্র ৩০%-৪০% থেকে ৯৫% -এ উন্নীত হয়েছে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং ও প্রাইভেটে ক্লাস বন্ধ হয়েছে এবং তা নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভূমি ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরায় ডিজিটাল রেকর্ড রুম হয়েছে এবং ঘরে বসে অনলাইনে জমির পর্চার আবেদন করা যাচ্ছে। সাতক্ষীরার প্রতিটা ভূমি অফিস দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত। মডেল হিসেবে সদর উপজেলা ভূমি অফিসের মত করে সকল ভূমি অফিসের রেকর্ডরুম গোছানোর কাজ চলছে। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদা তৎপর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। খাদ্যে ভেজাল, সরকারি অফিসে দালালমুক্ত, যানজট নিরসন, নাগরিক ভোগান্তি, বাল্যবিবাহ, মাদক, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি বন্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ১০ এপ্রিল জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় সাতক্ষীরা জেলা কে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। পর্যাক্রমে ৭ উপজেলা কে মাদকমুক্ত করা হবে। সর্বোপরি যে কোন সমস্যায় সাধারণ মানুষ সরাসরি অথবা হ্যালো ডিসি এ্যাপস এর মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের সাথে শুনানীর মাধ্যমে কথা বলে দ্রুত সমাধান পাচ্ছেন জেলার নাগরিকবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরায় কার্বাইড মেশানো ৮ হাজার কেজি আম জব্দ করে বিনষ্ট করলো র‌্যাব

    সাতক্ষীরায় কার্বাইড মেশানো ৮ হাজার কেজি আম জব্দ করে বিনষ্ট করলো র‌্যাব



    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকানো বিভিন্ন প্রজাতির ৮ হাজার কেজি আম জব্দ করেছে র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্প। রাসায়নিক দ্রব্য (কার্বাইড) মেশানো এ সকল আম ঢাকায় পাঠানো হচ্ছিল।
    রবিবার (১৭ এপ্রিল)  রাত ১১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিব। শহরের বাঁকাল এলাকায় অভিযান জব্দ করা আম বুলডোজার মেশিনের চাকায় পিষে আমগুলো বিনষ্ট করা হয়।
    জানা গেছে, রবিবার রাতে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার জিরেন গাছা থেকে দুই ট্রাক ভর্তি অরিপক্ক আম ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিল জয়েন্ট ট্রান্সপোর্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এসময় সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্রাক ভর্তি আমগুলো আটক করে র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা। 

    এসময় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল আমিন বুলডোজার মেশিনের চাকায় পিষে আমগুলো বিনষ্ট করেন। অভিযানে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনির হোসেন ও র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মনির হোসেন জানান, অরিপক্ক আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য (কার্বাইড) ব্যবহার করা হয়েছে, যেটা মানবদেহের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। 
    র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার মেজর জে.এম. গালিব বলেন, গোপন তথ্যে জানতে পারি কালিগঞ্জ উপজেলার জিরেন গাছা থেকে ট্রাক ভর্তি অরিপক্ক আম ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাকিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শহরের বাঁকাল ট্রাক স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে দুই ট্রাক  থেকে ৮ হাজার কেজি অরিপক্ক আম আটক করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ।
    তিনি আরও বলেন, আমের মৌসুম শুরুর আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে আম পাকিয়ে বিক্রি   করেছেন। এসব অপরিপক্ক আম ঢাকায় পাঠাচ্ছেন তারা। এই আমগুলো বাজারজাত করতে এখনো যথেষ্ঠ সময় বাকি আছে। বাইরে থেকে পাকা মনে হলেও আমগুলো আসলে অপরিপক্ক। রাসায়নিক দিয়ে কাঁচা আম পাকানো হয়েছে। এই আম মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সাতক্ষীরায় নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ১২ মে গোবিন্দভোগ, ২৫ মে হিমসাগর, ১ জুন ল্যাংড়া ও ১৫ জুন আম্রপালি গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করণের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। 
    তিনি আরও বলেন, নির্ধারিত সময়ের পূর্বে কেউ গাছ থেকে আম সংগ্রহ করলে বা কার্বাইড ও কেমিক্যাল মিশিয়ে অপরিপর্ক আম বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। 

  • তালায় বাসের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

    তালায় বাসের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত


    তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় বাসের চাপায় মো. তরিকুল ইসলাম (২৮) নামের এক মোটরসাইকেলচালক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাঁর বাড়ি তালা উপজেলার দাদপুর গ্রামে। তিনি নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পিতার জন্য ভাত নিয়ে যাচ্ছিল।

    তরিকুলের চাচাতো ভাই তৌহিদুজ্জামান জানান, ‘ রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে মির্জাপুর বাজারে বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাত নিয়ে যাচ্ছিল তরিকুল। এ সময় হঠাৎ সাতক্ষীরাগামী একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে তিনি ছিটকে পড়েন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে পাটকেলঘাটার একটি ক্লিনিকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।’
    পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, বাসটি জব্দ করেছে চুকনগর হাইওয়ে পুলিশ। বিষয়টি হাইওয়ে পুলিশ দেখছে।##

  • সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভা

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভা


    নিজস্ব প্রতিনিধি : “শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল গনি’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল দেশ গড়ার লক্ষ্যে মিশন ও ভিশন নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরীতে কাজ করছেন। প্রাথমিক শিক্ষকরাই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আগামীদিনের স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। সেজন্য আজকের এই শিক্ষার্থীদের মহান স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিতে হবে।”
    মতবিনিময় ও সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বাসুদেব কুমার সানা, ইন্সট্যাক্টর সোলাইমান তালুকদার প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আক্তারুজ্জামান বেলাল, সাধারণ সম্পাদক ও খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন, সাতক্ষীরা সিলভার জুবলি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চায়না ব্যানার্জি প্রমুখ। এসময় সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসারবৃন্দ, সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী শিক্ষক শাহাব সাজু।

  • সাতক্ষীরা জেলার ২০২৩ সালের আম সংগ্রহের ক্যালেন্ডার

    • ১২/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে শুরু : গোপালভোগ, গোবিন্দভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ স্থানীয় জাত
    • ২৫/০৫/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে শুরু : হিমসাগর/ক্ষীরশাপাতি
    • ০১/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে শুরু : ল্যাংড়া
    • ১৫/০৬/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে শুরু : আম্রপালি

    এ সময়ের পূর্বে যদি কোন আম চাষী বা ব্যবসায়ী আম পরিপক্ক হয়েছে বলে মনে করেন, তবে তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার’কে অবহিত করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত ও উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতিস্বাক্ষরিত আমের পরিমাণ উল্লেখপূর্বক সম্মতিপত্র গ্রহণ করে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে পারবেন।

    প্রচারে ঃ জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সাতক্ষীরা।

  • সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মো. মফজুলার রহমান খোকন’র মৃত্যুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির গভীর শোক

    সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মো. মফজুলার রহমান খোকন’র মৃত্যুতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবির গভীর শোক


    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. মফজুলার রহমান খোকন’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। মফজুলার রহমান খোকন রবিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৭টা ২০ মিনিটের সময় তার নিজস্ব বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না—রাজিউন)। মরহুমের মৃত্যুতে এমপি রবি বলেন, আমি তাঁর মৃত্যুতে খুবই মর্মাহত ও গভীরভাবে শোকাহত। সে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত নিবেদিত প্রাণ ছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একজন দক্ষ কর্মীকে হারাল। রাজনৈতিক অঙ্গণে তার এ অভাব কখনও পুরণ হওয়ার নয়। মহান আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মো. মফিজুর রহমানের পিতা। এদিকে, সবার প্রিয় মো. মফজুলার রহমান খোকন’র মৃত্যুতে তার নিজ গ্রামের বাড়ি বাঁশদহাসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

  • সাতক্ষীরা সদর উপজেলার অস্তিত্বহীন বিদ্যালয়ের পিমিএমআইএ অনলাইনে ভূয়া তথ্য দিয়ে সরকারিকরণের চেষ্টার অভিযোগ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

    রঘুনাথ খাঁ : ভূয়া তথ্য দিয়ে অস্তিত্বহীন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১১টি বেসরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় সরকারিকরণের পায়তারা চালানোর হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রাইমারি অ্যাডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের(পিমিএমআইএস)অনলাইনে এসব ভূয়া তথ্য সংযোজন করা হয়েছে।অধিদপ্তরের পিমিএমআইএস অনলাইনে এসব ভূয়া তথ্য থাকার পরও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে প্রতিবছর তা নবায়ন করছেন। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
    প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকনির্ধারিত কোড নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট অনলাইনের প্রতিবছর তার ও তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ আনুসঙ্গিক সবকিছু হালনাগদ করে তিনি তার ক্লাস্টরের উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর পাঠাবেন। তিনি যাচাই-বাছাই শেষে একই প্রক্রিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষাকর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত
    অনুমোদন দিয়ে অনলাইন আপডেট করবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এছাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পিমিএমআইএস এর অনলাইনে সরাসরি আপডেট করার সুযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০১৩ সালের ৭ মে তৎকালিন জেলাপ্রশাসক আনোয়ার হোসেন হাওলাদার ডিজিতে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৬১টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই তালিকায় এই ১১টি বিদ্যালয়ের নাম ছিল না।
    নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিক্ষা অফিসের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এ ১১টি বিদ্যালয়ের নাম ও তথ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা উপজেলার পিমিএমআইএস অনলাইনে সংযোজন করা হয়েছে ২০২১ সালে। এসব বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটির একতলা ভবন, নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, জমি ও ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিয়ে অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবরে আব্দুল গণি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিেেসব যোগদান করার পর এসব তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিবছর এসব ভূয়া তথ্য হালনাগাদ করেছেনও তিনি।
    সরেজমিনে ওইসব বিদ্যালয়ের খোঁজ নিতে যেয়ে দেখা যায়, আটটি বিদ্যালয়ের কোনো
    অত্বিস্ত নেই। তিনটির মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগড়দাড়ী ইউনিয়নের নেহা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারটি ছোট ছোট কক্ষ রয়েছে। বাশেঁর বেড়া ও এসবেস্টস দিয়ে ছাউনির এসব ঘরে সাতটি বেঞ্চ, দুইটি টেবিল ও তিনটি চেয়ার রয়েছে। স্থানীয় আসমা খাতুন জানান, বছর দুই হলো তাদের গ্রামের এ বিদ্যালয়টি করা হয়েছে। কেউ পড়তে আসেনা এখানে। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফরিদউদ্দিন এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাবি করে জানান,বিদ্যালয়টি সরকারিকরণের জন্য তিনি সাত লাখ টাকা ব্যয় করেছেন।তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। আগে ৬৯ জন শিক্ষার্থী ছিল। করোনার পরে কেউ বিদ্যালয়ে আসে না। টাফরারডাঙি বঙ্গবন্ধু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘর থাকলেও তার কোনো কার্যক্রম নেই। বাঁশদহা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেয়ে দেখা যায়,একটি ঘর রয়েছে। ওই বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়ি তহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টি ২০১৮ সালের দিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। দুই মাস কার্যক্রম ছিল জনৈক আব্দুল মান্নানের বাড়িতে। মাস সাতেক আগে আব্দুল মান্নান ১৭ শতক জমিস কিনে তাতে একটি ৩০ফুট লম্বা ও ১২ ফুট চওড়া একটি টিনের শেড বিশিষ্ঠ ঘর বানিয়েছেন। সেটাকে বিদ্যালয় হিসেবে দেখাতে চান। ওই বিদ্যালয়ে তার ভাইঝি, নিজের স্ত্রী ও নিজের ভাইয়ের স্ত্রীসহ চারজনকে শিক্ষক দেখানো হয়েছে। অন্য বিদ্যালয়গুলোর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।দক্ষিণ হাওয়ালখালী গ্রামের যুবক মো: মরিুজ্জামান জানান, তাদের গ্রামে দক্ষিণ হাওয়ালখালী বালিয়ডাঙ্গা নামে কোনো বিদ্যালয়
    নেই। বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ফরিদউদ্দিন জানান, কাওনডাঙ্গা মিয়ারাজ উদ্দীন বেসরকারি
    প্রাথমিকি বিদ্যালয়ের ওই গ্রামে কোনো অস্তিত্ব নেই। দক্ষিণপাড়ার বটতলায় সোহারব হোসেনের আড়াই বিঘা জমির একাংশে (বর্তমানে বোরো ধানের খেত) স্কুল বানানোর কথা শোনা যাচ্ছে তিন বছর ধরে।

    অনলাইনে আপডেটকৃত পিমিএমআইএস অনুযায়ী, দত্তবাগ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
    সহকারী শিক্ষক কানিজ ফাতেমা জানান, বিদ্যালয় সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। তবে একজন জমি দিতে চেয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে ওই জমি নিমাই দাস নামের একজনের কাছে বিক্রি হয়েছে।
    খেজুরডাঙ্গা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেব নাম থাকা সমীরণ
    কুমার সরকার জানান, এক সময় একটি ঘর তোলা হয়েছিল। ফুলবাড়ি প্রথামিক বিদল্যায়ের প্রধানশিক্ষক হিসেবে নাম থাকা রোমানা সুলতানা জানান,এক সময় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল স্কুল করার। পূর্ব কুশখালি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী হিসেবে নাম থাকা জিতেন্দ্র নাথদাস জানান,বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য শিক্ষক হিসেবে তার নাম দেওয়া হয়েছিল হয়তো।তিনি কিছু জানেন না। বালিথা পশ্চিমপাড়া ও বঙ্গবন্ধু শিমুলবাড়িয়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরও অস্তিত্ব মেলেনি।
    অস্তিত্বহীন এসব বিদ্যালয়ের মধ্যে চারটি বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি দেখানো হয়েছে বাঁশদহা ইউনিয়নের মো:সোহরাব হোসেনকে। অভিযোগ,ওই সোহরাব হোসেনের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি
    পপিমিএমআইএস অনলাইনে এসব ভূয়া তথ্য সংযোজন করেছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গণি পিমিএমআইএস অনলাইনে ভূয়া তথ্য সম্পর্কে বলেন, ওই বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো সরকারি হওয়ার কোনো সূযোগ নেই। তিনি সাতক্ষীরায় যোগদান করার আগে অধিদপ্তরের সফটওয়ারে ওইগুলো ছিল। কিন্তু আর সরানো হয়নি। এবার সরিয়ে ফেলবেন।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমি জানান, তিনি কয়েক
    মাস আগে এসেছেন।কাগজপত্র যাঁচাই বাছাই করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • যত মত তত পথ, হিন্দু স্বার্থে একমত”
    সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় সনাতন ধর্মসভায়——- ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচীব ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক বলেছেন, “ যত মত তত পথ, হিন্দু স্বার্থে একমত। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। এখানে আমরা সম অধিকার নিয়ে বসবাস করতে চাই। এজন্য বর্তমান সরকারের ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে আসার কোন বিকল্প নেই।” শনিবার রাতে সাতক্ষীরার পাটকেলেশ্বরী তীর্থক্ষেত্রে সনাতন ধর্মসভা ১৪৩০ ও ছয়দিন ব্যাপি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর মহাসচীব ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়কারি ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক ।
    বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি নারায়ণ চন্দ্র সাধুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, হিন্দুদের জায়গা দখল, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, প্রলোভন দেখিয়ে লাভ জিহাদের নামে ধর্মান্তরকরণ অব্যহত রয়েছে। মঠ, মন্দির ও শ্মশানের জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এসব আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এ থেকে অব্যহতি পেতে হলে সকল সনাতনীদের একত্রিত হয়ে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে হিন্দুদের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন ছেড়ে দিতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে মামলা করে রায় পাওয়ার পরও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে জমি ফিরে পাচ্ছেন না হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। কারণ অধিকাংশ জমিই ক্ষমতাসীনদের দখলে। তাই আইন অনুযায়ি হিন্দুদের ওইসব জমি ফিরিয়ে দিতে সরকারকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। যাঁচাই বাছাই না করে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা ধুয়োতুলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তার অভাবে দেশের হিন্দুরা অন্যদেশে চলে গেলে সে দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। সবশেষে সম্প্রতি লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে তালার ও আশাশুনির দুটি হিন্দু কিশোরী অপহৃত হলেও প্রশাসন তাদেরকে উদ্ধার করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
    পাটকেলেশ্বরী তীর্থক্ষেত্র উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সময় ও জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক অ্যাড. অসীম কুমার মণ্ডল ও সদস্য সচীব অ্যাড. সুনীল কুমার ঘোষ।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাং- ১৫.০৪.২৩ ছবি আছে।

    যত মত তত পথ, হিন্দু স্বার্থে একমত”
    সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় সনাতন ধর্মসভায়——- ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচীব ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক বলেছেন, “ যত মত তত পথ, হিন্দু স্বার্থে একমত। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি। এখানে আমরা সম অধিকার নিয়ে বসবাস করতে চাই। এজন্য বর্তমান সরকারের ১৯৭২ সালের সংবিধানে ফিরে আসার কোন বিকল্প নেই।” শনিবার রাতে সাতক্ষীরার পাটকেলেশ্বরী তীর্থক্ষেত্রে সনাতন ধর্মসভা ১৪৩০ ও ছয়দিন ব্যাপি নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর মহাসচীব ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এর প্রধান সমন্বয়কারি ড. অ্যাড. গোবিন্দ প্রামানিক ।
    বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি নারায়ণ চন্দ্র সাধুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন, হিন্দুদের জায়গা দখল, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর, প্রলোভন দেখিয়ে লাভ জিহাদের নামে ধর্মান্তরকরণ অব্যহত রয়েছে। মঠ, মন্দির ও শ্মশানের জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে এসব আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এ থেকে অব্যহতি পেতে হলে সকল সনাতনীদের একত্রিত হয়ে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে হিন্দুদের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন ছেড়ে দিতে হবে দাবি করে তিনি বলেন, অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে মামলা করে রায় পাওয়ার পরও জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে জমি ফিরে পাচ্ছেন না হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। কারণ অধিকাংশ জমিই ক্ষমতাসীনদের দখলে। তাই আইন অনুযায়ি হিন্দুদের ওইসব জমি ফিরিয়ে দিতে সরকারকেই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। যাঁচাই বাছাই না করে ধর্ম অবমাননার মিথ্যা ধুয়োতুলে হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরাপত্তার অভাবে দেশের হিন্দুরা অন্যদেশে চলে গেলে সে দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। সবশেষে সম্প্রতি লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ে তালার ও আশাশুনির দুটি হিন্দু কিশোরী অপহৃত হলেও প্রশাসন তাদেরকে উদ্ধার করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
    পাটকেলেশ্বরী তীর্থক্ষেত্র উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সময় ও জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোট বাংলাদেশ এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক অ্যাড. অসীম কুমার মণ্ডল ও সদস্য সচীব অ্যাড. সুনীল কুমার ঘোষ।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাং- ১৫.০৪.২৩ ছবি আছে।

  • প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের যৌথসভা

    প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের যৌথসভা

    প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের উপদেষ্টা পরিষদ ও সদস্যদের
    যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের শহিদ ম্যানগ্রোভ সভাঘরে
    এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের
    উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত ঘোষ।

    সভায় বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল
    হামিদ, প্রফেসর ড. দিলারা বেগম, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ
    আশেক-ই-এলাহী, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী,
    অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, উচীদীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, কবি স ম
    তুহিন, জেলা ইউনিটের সদস্য লেখক সুহৃদ সরদার, সাংবাদিক আহসানুর রহমান
    রাজীব, অ্যাড. মুনির উদ্দীন, লেখক মুনিরুজ্জামান মুন্না, সাংবাদিক আব্দুস
    সামাদ, তানজির কচি, অহিদুল ইসলাম, কাজী সাহাব উদ্দীন, এসএম বিপ্লব হোসেন,
    হুমায়ুন কবির রায়হান, মো. গাউছুল হক প্রমুখ।

    সভায় বেঁচে থাকার প্রয়োজনে নিজ নিজ স্থান থেকে সকলকে পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ
    করার আহবান জানানো হয়।

    সভায় প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি অসহায় ও দুস্থ
    মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে দ্রুততম সময়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও আগামীতে
    বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

    সভা পরিচালনা করেন প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরার সমন্বয়কারী ও চ্যানেল
    আইয়ের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ।

  • উইজডেনের তালিকায় এবাদত

    উইজডেনের তালিকায় এবাদত

    স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটের বাইবেল খ্যাত  উইজডেন পত্রিকার ‘উইজডেন ক্রিকেটার্স এ্যালামনাক’এর তালিকায় জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের পেসার এবাদত হোসেন। গত বছরের সেরা টেস্ট পারফরমার হিসেবে সম্মানজনক  ‘উইজডেন ট্রফির’ মনোনায়ন তালিকায় উঠেছে এবাদতের। মূলত বছরের সেরা টেস্ট পারফরমেন্সের উপর ভিত্তি করে ‘দ্য উইজডেন ট্রফি’ দেয়া হয়।
    গেল বছরের শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টেস্ট জয়ের নায়ক ছিলেন এবাদত। ম্যাচে ১২১ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ৭৫ রানে ১ উইকেট এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬ রানে ৬ উইকেট নেন এবাদত। দ্বিতীয় ইনিংসে এবাদতের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৬৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। জবাবে মাত্র ৪০ রানের টার্গেট স্পর্শ করে ৮ উইকেটে ঐতিহাসিক জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
    ম্যাচজয়ী পারফরমেন্সের কারণেই বর্ষসেরা টেস্ট পারফরমার হিসেবে দ্য উইজডেন ট্রফির জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকায় মনোনায়ন পেয়েছেন এবাদত।
    এবাদতের সাথে আরও মনোনায়ন পেয়েছেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো-হ্যারি ব্রুক, ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা, শ্রীলংকার প্রবাদ জয়াসুরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা-মার্নাস লাবুশেন এবং নিউজিল্যান্ডের টম লাথাম।
    আগামী ২০ এপ্রিল গেল বছরের সেরা টেস্ট পারফরমার হিসেবে উইজডেন ট্রফি বিজয়ীর নাম ঘোষনা করা হবে।

  • আজ শুভ নববর্ষ,  বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ১৪৩০

    আজ শুভ নববর্ষ, বাংলা বর্ষপঞ্জিতে ১৪৩০

    ন্যাশনাল ডেস্ক : আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হয়েছে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩০। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পয়লা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপম-ুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভিতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
    অন্য দিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকউৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্যাপিত হয় নববর্ষ। 
    পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী এবং সারাদেশ জুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করছে সরকার। দিনটি  সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে।
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপন করছে। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু  হয়। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো কর্তৃক এটিকে  বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। 
    এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল স¤্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনার শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তাঁরা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়।
    মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়। আমাদের মহান স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই উৎসব নাগরিক জীবনে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে। পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে থাকে। কালক্রমে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান এখন শুধু আনন্দ-উল্লাসের উৎসব নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়। ( সূত্র : বাসস )

  • মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

    মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ উদযাপিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি :মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ ও দেশবাসীর মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ১০ টায় জেলা কালেক্টরেট চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত ও বৈশাখী সঙ্গীত পরিবেশন শেষে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বর্ণাঢ্য এই মঙ্গল শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।সেখানে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিঞ্চুপদ পাল, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সবিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা- তুজ- জোহরা, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলামসহ বিভিন্ন স্কলি কলেজের শিক্ষার্থী ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগন। আলোচনা সভা শেষে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহনকারী, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন কারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন।
    এদিকে এদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে উদীচী শিল্পগোষ্ঠি, নোঙ্গর মিউজিক্যাল একাডেমী ও ৭১’র বধ্যভূমি ¯তৃতি সংরক্ষণ কমিটি সকাল ৯টায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে। পরে পোষ্ট অফিস মোড়ে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১১টায় ৭১’র বধভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে ম্যানগ্রোভ হলরুমে এক আলোচনা সভার আযোজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ৭১’র বধভূমি স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার। বক্তব্য দেন অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যাণার্জী, অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস, সাংস্কৃতিক কর্মী হেনরী সরদার, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা শাখার সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, উদীচীর সাতক্ষীরা শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিকুর রহমান, মকবুল হোসেন, কবী রুবেল, কর্ণ বিশ্বাস, উন্নয়ন কর্মী মৃণাল সরকার, বদরু মোঃ খালেকুজ্জামান . জাসদ নেতা ওবায়দুস সুলতান বাবলু, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, অ্যাড, ইকবাল লোদী প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী।

  • সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন


    নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মঙ্গল শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা কালেক্টরেট চত্বর থেকে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হয়। পরে এক শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং পুরস্কার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো. সবিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী আরিফুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিঞ্চুপদ পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. সজীব খান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন, এনডিসি বাপ্পী দত্ত রনি, আরডিসি মো. মইন উদ্দিন, জেলা ক্যালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা, কণ্ঠশিল্পী আবু আফ্ফান রোজ বাবুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি বেসরকারি সংগঠনের কর্মকর্তাগন। আলোচনা সভা শেষে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণকারীদের মাঝে ও চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন।

  • আট মাসে সাতক্ষীরা’র চিত্র বদলে দিলেন এসপি মনিরুজ্জামান 

    আট মাসে সাতক্ষীরা’র চিত্র বদলে দিলেন এসপি মনিরুজ্জামান 


     সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা রয়েছে। সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন আট মাস আগে সাতক্ষীরা যোগদান করা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তার প্রচেষ্টায় জেলার পুলিশের সর্বস্তরে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। জনসাধারণের দোরগোড়ায় আধুনিক পুলিশিং সেবা পৌঁছে দিতে রাত-দিন নিরলস কাজ করে চলেছেন তিনি।
    পুলিশের রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দেশ এবং জাতির কল্যাণের জন্য। পুলিশ সুপার হিসেবে সাতক্ষীরাবাসীর নজর কেড়েছেন, স্থাপন করেছেন অনন্য উদাহরণ।
    চলতি বছরের আগষ্ট মাসের ২৩ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম। মাত্র ৮ মাসে পুলিশ সুপারের আচার-ব্যবহারে মুগ্ধ সাতক্ষীরার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ।

    ছবি : পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান


    পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে , পুলিশ সুপারের সাথে যদি কোন ধনী লোক ও গরীব লোক দেখা করতে যান, তাহলে পুলিশ সুপার সবার আগে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখেন যে বৃদ্ধ লুঙ্গিপরা লোকটি দাড়িয়ে আছে তাকে আগে দেখা করার সুযোগ করে দেন পুলিশ সুপার। শুধু তাই নয়,পুলিশ সুপার চেয়ার থেকে উঠে দাড়িয়ে দাড়িয়ে ঐ অসহায় মানুষটির সমস্যার কথা শোনেন ধৈয্য ধরে।
    এছাড়া অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সুপার সংশ্লিষ্ট সার্কেল অথবা ওসিকে বলে  তাদের সমস্যা সমাধান করে দেন। মানবিক পুলিশ অফিসার হিসাবে পুলিশ সুপার বেশ প্রশংসা অর্জন করে চলেছেন। এক মেধাবী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সাজিয়া খাতুনের লেখা পড়ার দায়িত্ব নেন পুলিশ সুপার।
    আবুল হোসেন নামক এক বৃদ্ধ বিদেশ যাওয়ার নাম করে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা এক প্রতারক কে দিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ সুপারের চেস্টায় প্রতারকের নিকট থেকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ সুপার আবুল হোসেনকে সেই টাকা ফেরত দেন।
    এছাড়া তীব্র শীতে যারা কষ্ট পাচ্ছিলেন তাদের দুঃখ  দুর্দশার চিত্র দেখে পুলিশ সুপার রাতের আধারে কম্বল নিয়ে বাস টার্মিনাল, বাইপাস সড়ক ও বিভিন্ন স্থানে ছিন্নমূল শীতাত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
    এদিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,  যোগদানের পর বিগত ৮ মাসে জেলার আটটি থানায় পুলিশ সুপারের তদারকিতে ৬৯২ টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে  নাশকতা মামলা ২০ টি,  বিস্ফোরক দ্রব্য মামলা ৩ টি, অস্ত্র মামলা ১২ টি, মাদকদ্রব্য মামলা ৬১৮ টি এবং চোরাচালান মামলা ৩৯টি। 

    ছবি: পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান


    অপরদিকে, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের নির্দেশে ও তদারকিতে হওয়া বিভিন্ন অভিযানে মাদকদ্রব্যের মধ্যে ফেন্সিডিল ১’শ ৭৮ বোতল, গাঁজা ৭৬ কেজি ৮’শ১৩ গ্রাম, ইয়াবা ট্যাবলেট ৯ হাজার ৩’শ ২৭ পিচ, ট্যাফেডাল ট্যাবলেট ৯ হাজারব ৩’শ ২০ পিচ, ভারতীয় মদ ৮৪ বোতল ও দেশী মদ ৩২ লিটার উদ্ধার করা হয়েছে। 
    এছাড়া চোরাচালানের সময় স্বর্ণের বার ২৪ পিচ, রুপা ৪৭ কেজি ৪৫ গ্রাম, ফেন্সিডিল ৫’শ ৯৯ বোতল, পাতার বিড়ি ৬৮ প্যাকেট, ভারতীয় মদ ৩ বোতল, ভারতীয় শাড়ী ২৫ পিচ,  ভারতীয় ক্রিম ১৬ পিচ, মোবাইল ফোন ৪টি জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া ডাকাতি মামলায় ২১ আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
    জেলা পুলিশের ফেসবুকসহ সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যেসব পোস্ট করা হয়েছে, তার কমেন্টে গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ কমেন্টটে পুলিশ সুপারকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশংসা করা হয়েছে। 
    মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার সদস্য সচিব মেহেদীআলী সুজয় বলেন, সাতক্ষীরার বর্তমান পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান যোগদানের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কারণ ১৩-১৪ সালে তিনি সাতক্ষীরার সদর সার্কেল হিসেবে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তিনি ভূমিকা রেখে চলেছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশবিরোধী চক্রটি বিভিন্ন চক্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশ সুপারের দৃঢ় ভূমিকার কারণে এখানে তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারছে না। একারণে পুলিশ সুপার মহোদয় সর্ব মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। 
    পুলিশ সুপারের যোগদানের পর থেকে জেলার ট্রাফিক বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ট্রাফিক পুলিশ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে সিমেন্টের রিং বসিয়ে রাস্তা ক্রসিং চলাচল পথ নির্ধারন করেছে। এতে করে সড়কে আগের তুলনায় দূর্ঘটনা কম ঘটছে। তাছাড়া হেলমেট বিহীন চালক, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ী জব্দ করে  কোটি টাকা সরকারী রাজস্ব আদায় করেছে।
    পুলিশ সুপারের সব থেকে বড় অর্জন বলা যায়,  চলতি বছর মে মাসের ১৫ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতায় বিনা টাকায় ৭৬ জনকে কনস্টেবল পদে চাকুর দেওয়া।
    সাতক্ষীরায় পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেলাবাসিকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কোন অপশক্তি যাতে সাতক্ষীরায় মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেজন্য জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া মাদক এবং চোরাচালান বন্ধে জেলা পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। সকলের সহযোগিতা পেলে জেলা পুলিশের কার্যক্রম আরো এগিয়ে যাবে। 

  • দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকেপহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা

    দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকেপহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা

    দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকে সকল শ্রেণির মানুষকে জানাই পহেলা বৈশাখ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

  • কেন বধ্যভূমি চাই

    কেন বধ্যভূমি চাই

    হাজার বছরের ইতিহাসের পরিক্রমায় সমাজ সভ্যতার বিকাশে একটি জাতি আত্মমর্যাদা নিয়ে দাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকে। কৃষি ভিত্তিক সমাজ কাঠামোয় বাঙ্গালী জাতি বারবার ঘুরে দাড়াবার চেষ্টা করেছে।আদি পাল যুগ থেকে শুরু করে এই বাঙ্গালীজাতীর পরিচয়,পরিচিতি, পালবংশের দীর্ঘ চার শত বছর স্বশাসন,সভ্যতার বিকাশ,দাক্ষিনাত্যের সেনবংশের কাছে পরাজয়,দীর্ঘ দিনধরে বিদেশি দেরদ্বারাশাসিত হওয়া,ধাপে ধাপে শোষন বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, বিক্ষোভ, চল্লিশ সালের লাহোর প্রস্তাব,১৯৪৮ সালে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে আন্দোলন, ২৯৫২ সালে সালাম রফিক বরকতে আত্মাহুতি, ১৯৬৯ সালে গনঅভ্যুত্থান,১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ, সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন সব বাঙ্গালী জাতির আত্মপরিচয় আত্মমর্যাদার স্মৃতি চিহ্ন। পৃথিবীর বুকে মাথাউচু করে দাড়ানো জাতিই হলো বাঙালী জাতি।প্রজন্মেরপর প্রজন্ম বেঁচে থাকে ইতিহাস নিয়ে।ইতিহাসের সত্য মিথ্যা ভালোমন্দ নিয়ে সংস্কৃতি সভ্যতা গড়ে ওঠে।আজ আমরা কিদেখছি? নতুনপ্রজন্ম স্বাধীনতা,মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে খুব বেশী আগ্রহী নয়। যেমন করে আমরা বিদেশি দ্বারা শাসিত হয়ে অনেক কিছু ভুল জানি বা ভালো ভাবে জানি না,তেমনি বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস ও আমরা ভালো ভাবে জানি না বা জানতে পারিনা।এটা এক করুন বাস্তবতা। বাংলাদেশ সৃষ্টির শত্রুমিত্র না জানলে বাঙ্গালি জাতীয়বাদী চেতনা, মুক্তি যুদ্ধের চেতনা, মূল্যবোধ চর্চার ক্ষেত্র তৈরী হবে কিভাবে? যে বাংলাদেশে ধনী গরীব বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন গতিশীল হওয়ার কথা,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সেই শিক্ষা দেয়। কিন্তু পরিস্থিতি ভিন্ন তর। আজ সাতক্ষীরা জেলায় ৭৮ টি ইউনিয়নে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শত শত স্থানে সাধারণ জনগণের উপর পাকহানাদার বাহিনী ওতাদের দোশরদের দ্বারা অমানুষিক নির্যাতন, হত্যা গুম অগ্নিসংযোগের স্মৃতি চিহ্ন রয়েছে। অত্যাচারের ক্ষতচিহ্ন রয়ে গেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় নতুন প্রজন্মের কাছে ইতিহাসের এই ক্ষতচিহ্ন গুলো ভালোভাবে দরদদিয়ে উপস্থাপন করা হয়নি।কারণ এইজেলার অধিকাংশ সংসদীয় সিট গুলো প্রকৃত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সংসদ সদস্য দ্বারা পরিচালিত হয়নি বা হতে পারেনি। মুক্তি যুদ্ধের চেতনার পক্ষে প্রচার খুবই দুর্বল। এইদেশটি কোনভাবে চলবে? জাতি রাষ্ট্র! না ধর্ম রাষ্ট্র। যারা ধর্মরাষ্ট্র চায়,তারাতো স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ইতিহাস চর্চা হউক সেটা চাইবে না।কিন্ত যারামুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তারা তো চেষ্টা করবেন,স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য নতুন প্রজন্ম যাতে জানতে পারে সে উদ্যোগ নেওয়া।”,সত্য যে বড়ই কঠিন, আমিকঠিনের ভালোবাসিলাম,সেকখনো করেনাবঞ্চনা” যারা শোষণ বঞ্চনার পক্ষে, তারা ইতিহাসের সত্য পাতাকে আড়াল করতে চায়,ছিঁড়ে ফেলতে চায়। কিন্তু পারেনা। একটি অবাক করার মত বিষয় হলো সাতক্ষীরা জেলার অন্যান্য উপজেলায় কমবেশী বধ্যভূমি, স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ স্থাপিত হলেও সাতক্ষীরা সদরউপজেলায় কোন বধ্যভূমি, স্বাধীনতার স্মৃতি স্তম্ভ গড়ে উঠেনি। এর কারণে র গভীরে প্রবেশ করলে দেখাযায় দেশ স্বাধীনের পর থেকে সংসদসদস্য ছিলেন কখনো জামাত নেতা কসাই খালেকমন্ডল,জামাত নেতা কাজীশামসুর রহমান, মুসলিম লীগেরর নেতা রাজিয়াফয়েজ।এমনকি মহাজোট সমর্থিতজাতীয়পার্টির এম এ জব্বার।এরা কেউই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সংসদ সদস্য ছিলেন না। সংগত কারণে এইসদর উপজেলায় মুক্তি যুদ্ধের স্মৃতি চিহ্ন বধ্যভূমি বা স্বাধীনতা,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ গড়ে উঠেনি। সাতক্ষীরা জেলায় সরকারি হাইস্কুলের পিছনে দিনেষকর্মকারের বাড়ীতে আশ্রয় নেয়া প্রায়চারশ ‘ র মত নারীপুরুষকে পাক সেনারা নির্বিচারে গুলিকরে,বেয়নেটদিয়ে খুচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যাকরে। ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়। সাতক্ষীরার স্বাধীনতা,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠনও সাংবাদিক বৃন্দ,মুক্তি যোদ্ধারা সম্মিলিত ভাবে ২০১৪ সাল থেকে এই দিনেষকর্মকারের বাড়ীতে সংঘটিত হত্যাযগ্ঞস্থলে বধ্যভূমি গড়ে তোলার দাবী জানাচ্ছে।জনগনের চাপে জেলাপ্রশাসক মাঝে মাঝে বলে থাকেন খুবশিঘ্রই সংঘটিত স্থলে বধ্যভূমি হবে।কিন্তু হচ্ছেনা। আরও অবাক ব্যাপার হলো এখন সদরের সংসদসদস্য একজন মুক্তি যোদ্ধা। দুইবার পরপর সাংসদ। তিনি ও যাতে এইবধ্যভুমি গড়ে ওঠার ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেন,এলাকাবাসী জোর দাবী জানাচ্ছেন। এছাড়াও, বড়বাজার ডায়মন্ড হোটেল, বাঁকাল ব্রীজ,বাদামতলা,,ঘোনার মোড়,ঝাউডাংগা,বিনেরপোতাসহ চালতেতলাসহ অসংখ্যেয় জায়গায় এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত হয়েছিল। এসকল জায়গায় যদি বধ্যভূমি গড়ে উঠে,তাহলে নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠবে। স্বাধীনতার শত্রু মিত্র চিনতে পারবে।বিদেশি দ্বারাশাসিত হলে যে ইতিহাস পড়ে তরুণপ্রজন্ম বড় হয়,সে ইতিহাস হয় কাপুরুষের ইতিহাস। আর প্রকৃত বাঙ্গালি জাতি তাদের নিজেদের মনোনীত প্রতিনিধি দ্বারা শাসিত হলে তরুণপ্রজন্ম হবে বিরের জাতি,সাহসী জাতি।তাই সর্বক্ষেত্রে বিদেশী প্রভাব মুক্ত শাসনও বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস পড়াও চর্চার কোন বিকল্প নেই। এখন কার প্রজন্ম যদি এইজাতির বিকাশের ইতিহাস সম্পর্কে জানে,তাহলে আত্মমর্যাদা বাড়বে। প্রখ্যাত কবি সৈয়দ শামসুল হকের কবিতা আমার পরিচয়ে যেমন করে বাঙালির পরিচয় তুলেধরেছেন,তেমনি আমরা বধ্যভূমির মাধ্যমে, স্বাধীনতা,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ গড়ে তোলার মাধ্যমে এই জাতির শত্রু মিত্রের ইতিহাস সম্পর্কে তরুণদের অবহিত করে আমরা হতে পারব জ্ঞান সমৃদ্ধ গর্বিত জাতি।বর্তমানে মহান সংসদে পঁচিশে মার্চকে গনহত্যাদিবস ঘোষণা করা হয়েছে,তাই এইজেলার যেখানে যেখানে হত্যা নির্যাতন সংঘটিত হয়েছিল, সেখানেই বধ্যভুমি গড়ে উঠা এখন সমায়ের দাবী। জেলায়বধ্যভুমি চাই,ইতিহাস সচেতনপ্রজন্ম চাই।জেলায় মুক্তি যুদ্ধের জাগরণচাই,অতিসত্বর বধ্যভূমি চাই।সাহসী প্রজন্মের জাগরণচাই,হত্যা গুমের হোতাদের চিনতে চাই,দ্রুত বধ্যভূমি স্থাপন চাই।বাদল বিনয়,দিনেশের মত সাহসী প্রজন্ম চাই,সাতক্ষীরায় বধ্যভূমি চাই। বঙ্গবন্ধুর মত সাহসী জাতি চাই,এইজেলায় স্মৃতি সৌধ চাই,বধ্যভূমি চাই। আসুন সাতক্ষীরা কে কলঙ্কমুক্ত করি,রাজাকারমুক্ত,দুর্নীতি মুক্ত হিসাবে গড়েতুলি।সকল প্রকারের চক্রান্ত ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আলোকিত সাতক্ষীরা গড়েতুলি।জয় আমাদের নিশ্চিত।

    অধ্যাপক ইদ্রিস আলী
    সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি

  • সদর উপজেলার বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক বিতরণ

    সদর উপজেলার বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক বিতরণ


    নিজস্ব প্রতিনিধি:: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ক্যান্সার, কিডনী, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইস্ড জন্মগত হৃদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সদর উপজেলা পরিষদ ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের আয়োজনে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা-তুজ-জোহরা এঁর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে চেক বিতরণ ও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, সহকারি পরিচালক মো. রোকনূজ্জামান, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান, শহর সমাজসেবা অফিসার মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ।
    এসময় সদর উপজেলার বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ৪১ জন ব্যক্তির মাঝে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এসময় সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শেখ সহিদুর রহমান।

  • পিসক্লাবের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত

    পিসক্লাবের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত


    শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ শ্যামনগরে পিসক্লাবের ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তরের আয়োজনে ‘উগ্রপন্থা প্রতিরোধে কার্যকর জনসম্পৃক্ততা প্রকল্পে’র আওতায় এ সভা অনুষ্টিত হয়। বৃহস্পতিবার  (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হলরুমে এ সভার আয়োজন করা হয়। শ্যামনগর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৩৩ জন পিসক্লাব সদস্য সভায় অংশগ্রহন করেন। সভায় পিসক্লাব সদস্য পলাশ কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন খালেদা আইয়ূব ডলি। উল্লেখ্য শ্যামনগর উপজেলায় পিসক্লাব ২০১৯ সাল থেকে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। পিসক্লাবের প্রশিক্ষিত সদস্যরা এলাকায় যুবকদের উগ্রপন্থা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। অতিথিরা পিসক্লাবের কার্যক্রমগুলোতে সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন রূপান্তর কর্মী মো: আব্দুল হান্নান।