নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ ট্যাবলেট খেয়ে এক এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। রবিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ঘোনা-মাঘরি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতের নাম- মুক্তা পারভিন (১৬)। সে নলতা ইউনিয়নের ঘোনা মাঘরি গ্রামের সামছুর রহমানের মেয়ে ও নলতা বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।
মৃতের স্বজনরা জানান, মুক্তা পারভিন সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সকলের অজান্তে নিজ ঘরের মধ্যে গ্যাস ট্যাবলেট খায়। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে তাকে স্থানীয় চিকিৎসক ও পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিকিৎিসাধীন অবস্থায় মুক্তা মারা যায়। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
Author: dakshinermashal
-
কালিগঞ্জে ট্যাবলেট খেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
-

জন্মমৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে তালার জালালপুর ইউনিয়ন তৃতীয় স্থান অধিকার
তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলায় জন্মমৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু।
মঙ্গলবার (২ মে) সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে আয়োজন করা হয় এ অনুষ্ঠানের। এসময় সম্মাননা স্মারক ও সনদ পত্র গ্রহন করেন তালা উপজেলা জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু।
অনুষ্ঠানে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম মার্চ মাসের তথ্য উপাত্তে জেলার ৭৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে এ ইউনিয়ন তৃতীয় স্থান লাভ করে। এসময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার খুলনা বিভাগের উপ পরিচালক মো. হোসাইন সওকাত। এছাড়া অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলার সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। -

সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের নামে মামলার প্রতিবাদে পাটকেলঘাটায় মানববন্ধন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের নামে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাব। মঙ্গলবার (০২ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টায় পাটকেলঘাটা বাজারের পাঁচ রাস্তা মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাব সভাপতি শেখ জহুরুল হকের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কালের চিত্র পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। মানবজমিনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মেহেদী আলী সুজয়, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মোহনা টিভির তালা উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল মতিন, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি মুজিবুর রহমান, সাংবাদিক শাহিন আলম, নাজমুল হক খান, প্রভাষক ইয়াছিন আলী, বিশ্বজিত চক্রবর্তীসহ আরো অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, এই হয়রানি মূলক মামলার বাদী জহর আলী সরদার পেশায় একজন ভ্যান চালক ছিলেন। রাতারাতি কোম্পানির ম্যানেজার হয়ে গেছেন। একজন ভ্যানচালক থেকে কিভাবে তিনি কোম্পানির ম্যানেজার হলেন এর সঠিক অনুসন্ধান করবে সাংবাদিকরা। জহর আলী ও তার বুদ্ধিদাতা দাতাদের অনতিবিলম্বে চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।
বক্তারা আরও বলেন, সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিক সবুজ সাতক্ষীরায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধ উপায়ে গড়ে তুলেছেন সেমাই কারখানা। সেই অবৈধ কারখানা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন এই প্রবাসি। সেমাই কারখানার ম্যানেজার জহুর হোসেনকে বাদী করে বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলা করিয়েছেন। একজন প্রবাসী শ্রমিক মাসে কত টাকা আয় করে আর এখানে কিভাবে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কারখানা গড়ে তুলেছেন এ সঠিক তদন্ত প্রশাসন করবে। একই সাথে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা মামলাটির সঠিক তদন্তের দাবি করছি।
মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা অংশগ্রহন করেন। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন সংগঠণের নেতৃবৃন্দরা।
উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা তালা সদরের আটারই গ্রামে বিএসটিআই নিবন্ধন ছাড়া গড়ে উঠেছে শপিং ভ্যালী ফুড প্রোডাক্টস নামের একটি সেমাই কারখানা। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই প্রস্তুত করে বাজার জাত করতো। তাছাড়া সেমাইয়ের প্যাকেটের গায়ে বিএসটিআই এর ভুয়া নিবন্ধন ব্যবহার করে সেমাই বাজারজাত করছিলো। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের পর বুধবার (২৯ মার্চ) র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, ঢাকাপোস্টের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, স্থানীয় দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার প্রতিবেদক হোসেন আলী, দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকার প্রতিনিধি শাহীন বিশ্বাস ও দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান সোহাগ। -

পাইকগাছায় রাস্তার বেহাল দশা!
বি.সরকার : খুলনার পাইকগাছায় সোলাদানা ইউনিয়নের সরদার আবুহোসেন কলেজ (চৌরাস্তা) হতে সোনাখালী খোয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তাটির বেহাল দশা! এমপি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু সহ ইউএনও মমতাজ বেগম রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের সরদার আবুহোসেন কলেজ (চৌরাস্তা) হতে সোনাখালী খোয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার রাস্তাটি এমনই বেহাল দশায় বছরের পর বছর আমুরকাটা, পশ্চিমকাইনমুখী, নুনিয়াপাড়া, দীঘা, দক্ষিণকাইনমুখী সহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের সিমাহীন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই রাস্তায় সংস্কারের কাজ না হলে ভরা মৌসুমে যেকোনো সময় রাস্তাটি ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে চরম ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা করছেন।
এড. শিবুপ্রসাদ সরকার জানান, প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তাটির এক কিলোমিটার পীচকার্পেটিং, এক কিলোমিটার ইটের হেরিংবন, প্রায় তিন কিলোমিটার জরাজ্বীর্ন এবং ভাঙ্গাচোরা দীর্ঘদিনের পুরাতন ইটের সলিং। বাকী প্রায় দু’কিলোমিটার মাটির কাঁচা রাস্তা। রাস্তাটির দুই প্রান্তে পিচের কার্পেটিং-এর পাকা রাস্তা সংযুক্ত থাকলেও অভিভাবকহীন এই সামান্য রাস্তাটির ভাগ্য বদলে নেই কারো কোন মাথাব্যাথা। ভাঙ্গা চোরা ও বড় বড় গর্তে ভরা এই রাস্তাটি যেন কয়েকটি গ্রামের মানুষের জন্য অভিশাপে পরিনত হয়েছে। ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক রাসেল, গোষ্ট, তরুন, রাজিব জানান, ইট সলিং ও মটির রাস্তায় আগাগোড়া রাস্তাটিতে মাঝে-মধ্যে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় সাইকেল, মোটর সাইকেল, ভ্যান, ইজিবাইক, নছিমন সহ বিভিন্ন মালবাহী গাড়ি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ভ্যানচালক ধৃতি, দিবাকর, নসিমন চালক আজুবর ও মোস্তাক জানান, বর্ষাকালে রাস্তাটিতে চলাচল আরো ভয়ংকর হয়ে ওঠে, গাড়ী তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই দুষ্কর। এলাকাবাসির ক্ষোভ, চারিদিকে এতো রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে, অথচ এই এলাকার সবচেয়ে জনো-গুরুত্বপুর্ন এই রাস্তাটির দিকে কোন জন-প্রতিনিধির নজর নেই। চরম ভোগান্তি হতে রেহাই পেতে রাস্তাটি দ্রুত নির্মানের জন্য জন-প্রতিনিধি সহ কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি।খুলনা-৬ (পাইকগাছ-কয়রা)-র এমপি আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম অতিসম্প্রতি এ রাস্তায় যাতায়ত করে এলাকার একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে রাস্তাটির বেহাল দশা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে আগামী মিটিংয়ে রাস্তাটি যাতে দ্রুত সংস্কার করা হয় সেই আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাইকগাছা উপজেলা এসও মোঃ রমিত হোসেন মনি বলেন, বর্ষার পূর্বেই প্রায় সাড়ে সাত’শ মিটার রাস্তায় মাটির কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে সাত’শ মিটার রাস্তায় মাটির কাজে সংস্কারের সকল কার্যক্রম করে স্কাইবেটর মেসিন পাঠানো হয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
-

নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগরে র্বধতি সভা অনুষ্ঠতি
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদশে আওয়ামী লীগ কালগিঞ্জ উপজলো নলতা ইউনযি়ন শাখার আয়োজনে এক র্বধতি সভা ৩০ এপ্রলি রবিবার সকাল ১১ টায় নলতাইউনযি়ন আওয়ামী লীগরে র্কাযালয়ে অনুষ্ঠতি হয়ছে।েবর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নলতা ইউনযি়ন সভাপতি আনিছুর রহমান খোকন, নলতা ইউনযি়ন আওয়ামী লীগরে সহ সভাপতি জনাব শেখ সাইদ উদ্দিন, সভাপতত্বিে র্বধতি সভায় প্রধান অতথিরি বক্তব্য রাখনে সাতক্ষীরা জলো আওয়ামী লীগরে সহ-সভাপতি শহীদ উদ্দনি সাঈদ, বশিষে অতথিরি বক্তব্য রাখনে জলো আওয়ামী লীগরে দপ্তর সম্পাদক হারুনা রশদি, জলো আওয়ামী লীগরে সাংগঠনকি সম্পাদক কাজী আখতার হোসনে, জলো আওয়ামীলীগ এর শল্পি ও বাণজ্যি বষিয়ক সম্পাদক, বসন্তপুর নৌ-বন্দর বষিয়ক কমটিরি আহবায়ক শখে এজাজ আহমদে স্বপন, সাংস্কৃতকি বষিয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রত্না,জেলা কমিটির সদস্য এ্যাড মোজাহার হোসেন কান্টু, নলতা ইউনযি়ন সাধারন সম্পদক জনাব আবুল হোসেন, সভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থতি থকেে বক্তব্য রাখনে কালগিঞ্জ উপজলো আওয়ামী লীগরে সভাপতি মুন্সি নরমি আলী মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এনামুল হোসনে ছোট,সহ-সভাপতি ও উপজলো চযে়ারম্যান সাঈদ মহেদেী, যুগ্ন সম্পাদক শখে মহেদেী হাসান সুমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী আব্দুর রহমান, বষিয়ক সম্পাদক গাজী , উপজলো আওয়ামী লীগরে সদস্য খান জাহদিুল ইসলাম বাবু, সদস্য নয়ন দাস, ছলিনে।
-

তালায় আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত
‘তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা তালায় আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার (১ মে ) সকালে দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিথি হিসাবে তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরি রেজাউল করিম,খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, জাতীয় শ্রমিক লীগ তালা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক জি.এম শফিউর রহমান ডানলাপ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খাঁ প্রমূখ। -

শান্তিরক্ষা মিশন থেকে আয় কমেছে পুলিশের
ানলাইন ডেস্ক : আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনের কন্টিনজেন্ট কমে যাওয়ায় পুলিশের বার্ষিক আয় কমেছে। আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া এক প্রতিবেদনে পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে এমন তথ্যই জানানো হয়েছে। তবে কী কারণে শান্তি মিশনে পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমেছে সেটা জানা যায়নি। এদিকে আয়ের নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে এই বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি মিতব্যয়ী হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনের কন্টিনজেন্ট কমে গেছে। যে কারণে রাজস্ব আয়ের পরিমাণও কম হচ্ছে। তবে নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সিলিং অর্জনের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, পুলিশের রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম শান্তিরক্ষা মিশন। গত প্রায় ৩৪ বছরে শান্তিরক্ষা মিশন থেকে পুলিশ চার হাজার কোটি টাকার বেশি আয় করেছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যেকোনও বাহিনীর সদস্যদের অংশগ্রহণের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও দেশের সুনাম অর্জনের বিষয়টিই থাকে মুখ্য। সে লক্ষ্য নিয়ে ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরান শান্তি মিশনে সেনাবাহিনীর ১৫ জন সদস্যের যোগদানের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এর পরের বছর ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া মিশনের মাধ্যমে শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দেয় বাংলাদেশ পুলিশ।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী শান্তি মিশনে যোগ দেয় ১৯৯৩ সালে। এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও একটি আকাঙ্ক্ষা থাকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করার। মিশনে কাজ করার সুযোগকে অনেকেই সৎভাবে অতিরিক্ত উপার্জনের একটি মাধ্যম মনে করেন। পাশাপাশি সরকারও এ থেকে পায় মোটা অঙ্কের রাজস্ব।
মিশনে গিয়েছেন এমন পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিশনে গেলে তারা দেশে যে বেতন ভাতা পেতেন সেটাও পেয়ে থাকেন। সঙ্গে মিশনে কাজ করার জন্য জাতিসংঘ থেকে আলাদা ভাতা পেয়ে থাকেন। সেই ভাতার ২০ শতাংশ মিশনে থাকা অবস্থায় তাদের দেওয়া হয়। দেশে ফিরে আসার পর বাকি অর্থ পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়। জাতিসংঘ থেকে পাওয়া এই অর্থের ১০ ভাগ পেয়ে থাকে সরকার।
পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সবাইকে মিতব্যয়ী হয়ে চলার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, চলমান আর্থিক অবস্থাসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখে মিতব্যয়িতার সঙ্গে দক্ষতা ও ফলপ্রসূ কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। অর্থ বিভাগের দেওয়া ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের রাজস্ব প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সবাইকে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। স্ব-স্ব ক্ষেত্রের রাজস্ব আয় বাড়াতে ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রাজস্ব বাড়ানোর পরিকল্পনা নিতেও অনুরোধ জানান তিনি। বাহিনীগুলোকে আয় বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে অর্থ বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলারও অনুরোধ জানানো হয়।
কন্টিনজেন্ট কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগের এআইজি মো. মনজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তার বিস্তারিত জানা নেই। তবে পুলিশ সদর দফতরের অপর একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুধু বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমেনি। বিশ্বমন্দার কারণে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মিশনের কন্টিনজেন্ট বিভিন্ন দেশের কমেছে। বিশ্বের যেসব দেশ শান্তি মিশনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পাঠাতো, তাদের সবারই কন্টিনজেন্ট কমেছে।
পুলিশ সদর দফতরের ইউএন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের ছয়টি মিশন নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে এসব মিশনে ৫০২ জন পুলিশ সদস্য কর্মরত রয়েছেন। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩ মিশনে পুলিশের ২১ হাজার ২৮৩ জন সদস্য কাজ করেছেন। মিশনে নিয়োজিত জনবল ও সরঞ্জামের ভাতা বাবদ পুলিশ চার হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব অর্জন করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষী সদস্যরা মিশন এলাকার স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা দেওয়া, দাঙ্গা দমন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষণিক সহায়তা দিয়ে আসছে।/এফএস/এমওএফ/
-

৪০ সেকেন্ডেই রিপোর্ট লেখে চ্যাটজিপিটি!
আইসিটি ডেস্ক : সাংবাদিকের চাকরির জায়গায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) সম্ভাবনার নতুন দুয়ার উন্মোচন করতে চলেছে। এমন কথাই বললেন, জার্মান প্রকাশক অ্যাক্সেল স্প্রিংগার।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের মুখপাত্র অস্কার লিউ জানালেন, চ্যাটজিপিটিকে সাংবাদিক হিসেবে রিপোর্ট লিখতে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যে রিপোর্ট লিখতে ২ দিনের বেশি সময় লাগে, জিপিটি প্রমট মাত্র ৪০ সেকেন্ডেই ৯০০ শব্দের গ্রহণযোগ্য ও নির্ভর করার মতো রিপোর্ট আধুনিক ভাষায় লিখে দিয়েছে।
তাহলে দুদিনের শ্রম আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘোরাঘুরির বদলে মাত্র ৪০ সেকেন্ডে প্রত্যাশিত রিপোর্ট তৈরি হয়ে গেলে তা ভবিষ্যৎ সাংবাদিকতার ঝুঁকির কথাও ইঙ্গিত করে। কিন্তু যারা প্রমট (সঠিক শব্দের দিকনির্দেশানা) ব্যবহার জানবেন তারাই ভবিষ্যতের সাংবাদিকতায় টিকে থাকবে। নতুবা সময়ের নতুন দৌঁড়ে চাকরি হারানোরে ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া কঠিন হবে, তা বলা যায় নিশ্চিত করেই।
সাংবাদিকের কাজের জায়গায় চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম নিজের সুদৃঢ় অবস্থান জানান দিতে শুরু করেছে। ফলে সারা বিশ্বে সব ভাষা বিশেষ করে ইংরেজি ভাষার সাংবাদিকতায় ঝুঁকি বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জার্মান মিডিয়া গ্রুপের সিইও অ্যাক্সেল স্প্রিংগার।
জার্মান সংবাদপত্রমাধ্যম ‘বিল্ড অ্যান্ড ডাই ওয়েল্টে’ কর্মী ব্যয় কমিয়ে রাজস্ব বাড়াতে এবং পরিপূর্ণ ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণে কর্মী ছাঁটাই করার কথা ভাবছে। কারণ অটোমেশন এবং এআই ক্রমবর্ধমানভাবে সাংবাদিকের কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিতে শুরু করেছে। সুতরাং সাংবাদিকতা পেশায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ক্রমেই চাপ ও ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাধীন সাংবাদিকতাকে আগের চেয়ে তুলনামূলক চাপে ফেলবে।
সবে শুরু করে মাত্রই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে চ্যাটজিপিটি। কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা (AI) টুলগুলো তথ্যে সংস্কৃতিতে রাতারাতি ‘বিপ্লব’ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ধীরে ধীরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানব সাংবাদিকতার তুলনায় বিশেষায়িত ‘তথ্যের একত্রিতকরণে’ ভালো করবে বলে অভিমত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ডিজিটাল সংস্কৃতিতে আমূল পরিবর্তন আসছে তা অনুমেয়। আর সত্যটা বুঝে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা প্রকাশনা সংস্থা ও গণমাধ্যমের জন্য অতিব জরুরি। বিশেষ করে তথ্য বিশ্বের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অভুতপূর্ব ভবিষ্যতের কথাই বলছে। যারা শুধু মৌলিক বিষয় নিয়ে কাজ করবেন তারাই টিকে থাকবেন আসছে সময়ে। কথাগুলো জানালেন জার্মান মিডিয়া গ্রুপ ‘বিল্ড অ্যান্ড ডাই ওয়েল্ট’ সিইও ডুয়েপফনার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (ওপেনএআই) স্মার্টফোনে মাইক্রোসফট বিং সার্চ ইঞ্জিনেও সব ধরনের তথ্যসেবা নিশ্চিত করার সামর্থ্য রাখে। সারাবিশ্বের অনেকেই আছেন এআই সম্পর্কে জেনেছেন, কিন্তু এখনও তার সঙ্গে কাজের ধরনে চ্যাট করা হয়ে ওঠেনি। তবে ক্রমান্বয়ে মানুষের সে ভয়টা কেটে যাবে। তখন মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর আরও বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
অ্যাক্সেল স্প্রিংগার তার কতজন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করবেন তা সুস্পষ্ট করেননি। তবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রতিবেদক, লেখক বা বিশেষজ্ঞ সম্পাদকদের সংখ্যায় তেমন কোনো কাটছাঁট করা হবে না। শুধু সাধারণ মানের কর্মীদের বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
ডুয়েপফনার তার কর্মীদের বলেছেন, ডিজিটাল মিডিয়া আউটলেটে অবশ্যই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এবং মূল ভাষ্যের ওপর দৃষ্টি বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যে তাৎক্ষণিক ঘটনার দ্রুত সত্যতা অনুসন্ধানে চ্যাটিজিপিটি দারুণ সফলতা দেখিয়েছে। যা সাংবাদিকতার দুনিয়ায় আলোড়ন তুলেছে। শঙ্কার কথা তাই বারবার আলোচনায় উঠে আসছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে শুধু সীমাহীন তথ্য চটজলদি বিশ্লেষণ করতে পারে, তা কিন্তু নয়। লাখো কোটি মানুষের ভিড়ে তথ্য সংগ্রহ এবং তার সত্যতাও নিশ্চয়তার সঙ্গে যাচাই করতে পারদর্শী। গবেষণা রিপোর্টে বক্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কটি মিডিয়া আউটলেট ইতিমধ্যেই ‘এআই’ দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করতে শুরু করেছে। স্বনামধন্য রয়টার্স তার মধ্যে অন্যতম।
সামাজিক মাধ্যমে ব্রেকিং নিউজ ট্র্যাক করা ও টুইটের সত্যতা যাচাইয়ে নিউজ ট্রেসার হিসেবেও কাজ করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সময়ের সঙ্গে প্রতিনিয়তই নিজেকে আপডেট করে নেয় এআই প্রমট টুলস। তথ্যের অপারা সম্ভাবনা নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চ্যাট। যা নিজে থেকেও আপডেট হয় প্রতিনিয়ত, প্রতিমূহুর্তে।
সংবাদ বিশ্লেষকেরা বলছেন, সতর্ক থাকতে হবে সাংবাদিকদের। কারণ অ্যালগরিদম মিথ্যা বা বিভ্রান্ত করতে পারে। কারণ তারা মানুষের তৈরি প্রোগ্রাম। আর মানুষের মধ্যে পক্ষপাতদুষ্টতা আছে। লজিক্যাল প্যাটার্ন ভুল উপসংহারে নিয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ সাংবাদিকদেরকে সব সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রমট থেকে আসা তথ্যবার্তা যাচাই-বাছাই করার সক্ষমতা নিশ্চিতে দক্ষ হতে হবে। তথ্য পরীক্ষায় বিবেচ্য হবে সন্দেহ, ক্রস চেক আর নথির সঙ্গে প্রদেয় তথ্য যাচাইয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
-

বাংলাদেশে ‘অবহেলিত’, তাই দেশান্তরী হচ্ছেন নাসির
স্পোর্টস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগের জার্সিতে নাসির হোসেন জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ২০১৮ সালে খেলেছিলেন নাসির। তখন পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় বাদ পড়েছিলেন। এরপর আর খেলার সুযোগ পাননি। গেল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। ১২ ম্যাচ খেলে ৩৬৬ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৬ উইকেট।
এমন নজরকাড়া পারফর্ম করেও নির্বাচকদের নজরে আসতে ব্যর্থ হয়েছেন। বিপিএলের পর কয়েকটি সিরিজ হয়ে গেলেও নাসির ডাক পাননি। সামনে বিশ্বকাপেও তার দলে ডাক পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। অন্যরা সুযোগ পেলেও নাসির থেকেছেন উপেক্ষিত।
চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও দারুণ ছন্দে রয়েছেন নাসির। তবে এত পারফর্ম করেও কোনো এক অজানা কারণে নাসির সুযোগ পাচ্ছেন না। নাসিরের আশা ছিল অন্তত আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ কিংবা বাংলাদেশ টাইগার্সে ডাক পাবেন। তবে তার কোনোটিই হয়নি। আর এমন দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট নাসির। অনেকটা অভিমানেই যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার।
শনিবার গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসির হোসেন বলেন, ‘দেখুন, আপনি যদি ঠিকমতো মূল্যায়ন না পান, তবে আপনি কেন বাংলাদেশে থাকবেন। আমার কাছে মনে হচ্ছে যে, আমাকে ঠিকঠাক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তাই আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাব। এই কথা আমি আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এই ডিপিএলের পরেই আমি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছি, ওখানে মাইনর লিগ খেলা আছে। সেখানে খেলতে যাচ্ছি আমি।’
যুক্তরাষ্টের জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে নাসিরের উত্তর, ‘ওই বিষয়ে আমি এখনই কিছু বলব না। দেখি কি হয়, আমার কাছে যদি মনে হয় বাংলাদেশে সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না, তাহলে হয়তো আমি অন্য কিছু চিন্তা করতেই পারি। বিষয়টি এমন নয় যে আমি আমেরিকায় চলে গেলে আর বাংলাদেশের হয়ে খেলব না, আমি অবশ্যই দেশের হয়েও খেলব।’
জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া প্রসঙ্গে নাসির আরও বলেন, ‘কেন আমাকে দলে নেওয়া হয়নি তার কারণ আমি বলতে পারব না। তবে আমি আশা করেছিলাম আয়ারল্যান্ড আর ইংল্যান্ড যখন আসল, ওখানে যে অনুশীলন ম্যাচগুলো হয়েছে, সেখানে হয়তো ডাক পাব। বা ছায়া দল অথবা বাংলা টাইগার্সে ডাক পাব। তার কিছুই আসলে হয়নি। কেন ডাকেনি জানিনা। আমাকে দলে না নেওয়ার কোনো কারণ নেই। আমার থেকেও খারাপ পারফর্ম করে অনেকে সুযোগ পেয়েছে। আমি তো আর নির্বাচকদের ফোন করে বলতে পারিনা, কেন আমাকে দলে রাখা হয়নি।’
নির্বাচকদের প্রসঙ্গে নাসির আরও যোগ করেন, ‘আপনি যখন নির্বাচক, তখন কার সঙ্গে আপনার কেমন সম্পর্ক, সেটা তো আর আপনি দেখবেন না। দেশের স্বার্থে যেটা সবচেয়ে ভালো হয়, আপনি সেই সিদ্ধান্তই নেবেন। আমার কাছে মনে হয় আপনি টি-টোয়েন্টি ভালো খেলেন, তবে আপনাকে দিয়ে টেস্ট খেলাচ্ছে। এটা ঠিক নয়। যে যেখানে ভালো খেলবে, তাকে সেখানে সুযোগ দেওয়া উচিত।’
-

শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের সঙ্গে মে দিবসের তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত : রাষ্ট্রপতি
ন্যাশনাল ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
তিনি আগামীকাল মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের সকল শ্রমজীবী-কর্মজীবী মানুষের জন্য সংগ্রামী চেতনায় উদ্ভাসিত একটি দিন ‘মহান মে দিবস’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি ‘মহান মে দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে জানান আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত কর্মপরিবেশ, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতাসহ সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বিবেচনায় মহান মে দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করেন এবং পহেলা মে দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি (বঙ্গবন্ধু) মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় এ এক অনন্য মাইলফলক।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, ১৯৭৩ সালে অলিজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক আর অন্যদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে।’ বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর সেই স্বপ্নপূরণে শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করে যেতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস দেশের উন্নয়নকে আরো বেগবান করবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের শিল্প ও বাণিজ্যের অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে প্রয়োজন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের নিষ্ঠা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক। শ্রমিক ও মালিকের ইতিবাচক ও প্রাগ্রসরমান অংশগ্রহণের মাধ্যমে শ্রমক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা ও উৎপাদনশীলতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাঁদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সকলে স্ব স্ব ক্ষেত্রে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
তিনি মহান মে দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন। -

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি : শিক্ষামন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, চলমান এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এ ধরণের গুজব রটিয়ে ধরা পড়লে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।
আজ ৩০ এপ্রিল চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রথম দিন রাজধানীর বাড্ডা হাইস্কুলে কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পরিদর্শনের সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গুজব রটানো রোধে সার্বক্ষণিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেখানেই কোনো ব্যত্যয় দেখা যাচ্ছে, কেউ গুজব ছড়াবার চেষ্টা করছে বা কিছু হচ্ছে, সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
আগামী বছর পরীক্ষার সময় এগোবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘কোন সময়ের মধ্যে সিলেবাস শেষ করতে পারবেন সারা দেশের শিক্ষকদের সে সংক্রান্ত মতামতের ভিত্তিতে আগামী বছর পরীক্ষা এগিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। তিনি বলেন, যারা পরীক্ষা দেবে তারা পুরো প্রস্তুতির সময় পেয়েছে কিনা তা দেখা হবে। তাড়াহুড়ো না করে সিলেবাস স্বস্তিতে শেষ করতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত বছর আমরা পরীক্ষা এগিয়ে আনতে পারতাম, তবে বন্যার কারণে পেছাতে হয়েছে। এবার গত বছরের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে এনেছি। সামনের বছর চেষ্টা করবো, স্বাভাবিকের যত কাছাকাছি যাওয়া যায়।’
প্রশ্নপত্রে ভুলের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্বপ্রাপ্তদের যাতে করে ভুল না হয়, সেদিকে সচেতন থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, গতবার ভুলের জন্য কড়া মাশুল দিতে হয়েছে। -

সাতক্ষীরায় মাদক মামলার আসামী গ্রেফতার
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ২৯ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে কুখ্যাত মাদক কারবারি মোঃ নান্টু বেপারী (২৮), থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল’কে গ্রেফতার করে। সে দীর্ঘদিন যাবত বরিশাল জেলাসহ বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গত ২০১৫ সালে আসামী নান্টু বেপারীকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ র্যাব-৮, বরিশাল গ্রেফতার করে এবং আসামীর নামে বরিশালের বাবুগঞ্জ থানায় একটি মাদক মামলা রুজু হয়। মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামী নান্টু বেপারীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেন। এরপর থেকে আসামী আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নাম পরিবর্তন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়ায়। প্রথমে প্রিন্স নামে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। সম্প্রতি সে আবারও নাম পরিবর্তন করে ইব্রাহিম নামে সাতক্ষীরায় ফল ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মগোপন করেছিল। পরবর্তীতে র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। -

ভেনামি চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা ও করণীয় বিষয়ক কর্মশালা
নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা ও করনীয় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের চেইন্নাইতে অবস্থিত রয়্যাল হ্যাচারী, রয়্যাল বেঙ্গল হ্যাচারী ও চেংলং বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ আয়োজনে রবিবার ৩০ এপ্রিল ২০২৩ সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের কামালনগরস্থ লেকভিউ যমুনা হলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চেংলং বায়োটেক প্রাইভেট লিমিটেডের ওভারসিজ ম্যানেজার জি আই আপ্পা, ভারতের তামিলনাড়– হ্যাচারি এসোসিয়েশনের সভাপতি রয়্যাল হ্যাচারি চেন্নাইয়ের চেয়ারম্যান জি কালরাজ, রয়্যাল বাংলা হ্যাচারির পরিচালক এস এম মামুনুর রশীদ, সেতারা ফিসের স্বত্বাধিকারী মোঃ খায়রুল মোজাফ্ফার মন্টু, সম্পা ফিসের স্বত্বাধিকারী বিশ্বনাথ ঘোষ, স্বদেশ ফিসের স্বত্বাধিকারী শেখ শাফি আহম্মেদ, তুফান কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ডা: আবুল কালাম বাবলা, কালিগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভারতের তামিলনাড়–তে অবস্থিত রয়্যাল হ্যাচারি ও খামার পরিদর্শন করে বাংলাদেশে সীমিত আকারে ভেনামি রেনু উৎপাদন ও চাষের অনুমতি দিয়েছেন। তবে কর্মশালায় মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ভেনামি চিংড়ি চাষ করার আগে চাষিকে যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার আহবান জানান। তারা বলেন, ভেনামি চিংড়ি চাষে ভাইরাসের আক্রমণ কম হয়। সে কারণে ভেনামি চাষ লাভজনক। বর্তমানে বিশ্ব বাজারে ভেনামি চিংড়ির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। বিশ্ব বাজারে এখন ভেনামি চিংড়ি বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। আমরা যদি পিছিয়ে পড়ি তবে আমাদের চিংড়ি থেকে অর্জিত বৈদশিক মুদ্রা অর্জন ব্যাহত হবে। কর্মশালায় বক্তারা সাতক্ষীরায় ভেনামি চিংড়ি চাষের সম্ভাবনা ও সীমিত সময়ে অধিক লাভবান হওয়া নিয়ে চাষীদের সাথে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
কর্মশালায় বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষ বিষয়ে তথ্যউপাত্ত মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। -

সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের নামে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :সাতক্ষীরায় পাঁচ সাংবাদিকের নামে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। রোববার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় শহরের নিউ মার্কেট চত্ত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এড. আবুল কালাম আজাদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, মানবজমিনের প্রতিনিধি ইয়ারব হোসেন, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, ডিবিসি টেলিভিশনের এম জিল্লুর রহমান, যমুনা টিভির আকরামুল ইসলাম, এখন টিভির আহসানুর রহমান রাজীব, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস বাচ্চু, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি খায়রুল ইসলাম, উপকূলীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল হালিম, স্বদেশের পরিচালক মাধব দত্তসহ আরও অনেকে। এছাড়া মানববন্ধনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সংবাদ প্রকাশের জেরে ওই পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে ২ এপ্রিল সাতক্ষীরার তালা আমলি আদালতে মামলা করেন স্থানীয় শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানির ব্যবস্থাপক জহর আলী সরদার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আগামী ২৩ মের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন দৈনিক ভোরের পাতার স্টাফ রিপোর্টার ও অনলাইন পোর্টাল ঢাকা মেইলের জেলা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, ঢাকা পোস্টের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, স্থানীয় দৈনিক পত্রদূতের সাংবাদিক হোসেন আলী, দৈনিক মুক্ত খবরের সাংবাদিক হাবিবুর রহমান ও দৈনিক কালের চিত্রের সাংবাদিক শাহীন বিশ্বাস। তাঁদের বিরুদ্ধে শপিং ভ্যালি ফুড প্রোডাক্টসের ব্যবস্থাপক জহর আলী সরদারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং বাদীকে মারধর করে ৬০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, স্বর্ণ চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্য সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিক সবুজ সাতক্ষীরায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অবৈধ উপায়ে গড়ে তুলেছেন সেমাই কারখানা। সেই অবৈধ কারখানা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন এই চোরাকারবারী। সেমাই কারখানার ম্যানেজার জহুর হোসেনকে বাদী করে বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলা করিয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, সারাদেশে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার যে অপচেষ্টা চলছে তারই ধারবাহিকতায় এই মামলার সৃষ্টি হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। আমরা মামলাটি সঠিক তদন্তের দাবি করছি সেই সঙ্গে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। মামলা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা।
মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা অংশগ্রহন করেন। প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন সংগঠণের নেতৃবৃন্দরা। -

তালায় সীমানা পিলার সদৃশ বস্তু উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় সীমানা পিলার সদৃশ বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তালা থানার ওসি চৌধুরী রেজাউল করিম। এর আগে শনিবার দুপুরে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া গ্রামে জবেদ আলী কারিকর গাজী বাড়ি থেকে ওই বস্তুটি উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখা এসআই আব্দুল আলিম জানান, সীমানা পিলার নিয়ে প্রতারণার ব্যবসা করে আসছে চক্রটি। শনিবার তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামে একটি বাড়িতে সীমানা পিলার চোরাচালান চক্রের সদস্যরা পিলার পাচারের উদ্দেশ্যে বৈঠক করছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সীমানা পিলার সদৃশ বস্তু ও চক্রের তিনজনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, খুলনা পাইকগাছার উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত উজির আরী ছেলে ইসমাইল আলী শেখ (৬৩), যশোর সদরের গাইদগাছি গ্রামের আবু বক্কার মোল্যার ছেলে সাহিদুল ইসলাম (৫৩) ও যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার মাছনা খানপুর গ্রামের আকাম গাজী ছেলে তরিকুল ইসলাম (৬৫)।
এসময় বাড়ির মালিক জবেদ আলী কারিকর গাজীসহ আরো কয়জন পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তালা থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত পিলারটির গায়ে লেখা রয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮১৮। সীমানা পিলার সদৃশ বস্তু যার উচ্চতা ২৫ ইঞ্চি। নিচে ব্যাস সাড়ে ২২ ইঞ্চি।




