প্রেস বিজ্ঞপ্তি : আসামী মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে খোড়া মিজান(৪০) সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা সদর থানা এলাকার কুখ্যাত মাদক কারবারি। আসামী দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরা জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। গত ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে আসামী “খোড়া মিজান” বিপুল পরিমাণ ফেন্সিডিলসহ খুলনা খালিশপুর হতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়। গত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ উক্ত মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত মোঃ মিজানুর রহমানকে যাবজ্জীবন সাজাসহ ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। আসামী আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকে। মামলার রায় হওয়ার পর সে আবারও অবস্থান পরিবর্তন করে নড়াইল জেলার একটি প্রত্যন্ত এলাকায় আত্মগোপন করে। গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে র্যাব উক্ত আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৩ মে ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়াইল জেলা কালিয়া থানাধীন চাচুড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত মাদক কারবারি ১। মোঃ মিজানুর রহমান (৪০), থানা- সাতক্ষীরা সদর, জেলা-সাতক্ষীরাকে গ্রেফতার করে। উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে মাদক ও চোরাচালানসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
Author: dakshinermashal
-

নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রী হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি : নেত্রকোনায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টামূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক), জেলা নাগরিক কমিটিসহ বিভিন্ন বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠনের যৌথ আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের শহিদ আবদুর রাজ্জাক পার্কের প্রধান ফটকের সামনে উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, কিশোরী স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণের হত্যাকারীকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এসব হত্যাকান্ডের বিচার না হলে দেশে সংখ্যালঘু ও নারী নির্যাতন বন্ধ করা সম্ভব হবে না। দেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না করা গেলে জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
মানবাধিকারকর্মী মাধব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাড. আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আব্দুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ জাসদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, বাসদ নেতা আবু তালেব প্রমুখ। প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী, সামাজিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবি, সাংস্কৃতিক, নারী অধিকার সংগঠন, সাংবাদিক, সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করেন। -

শিগগিরই আসছে যানবাহনের গতি নির্ধারণ নীতিমালা
ন্যাশনাল ডেস্ক : খুব শিগগিরই যানবাহনের গতি নির্ধারণের নীতিমালা আসছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। বুধবার (৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সড়ক ও যানবাহনের গতি নির্ধারণ, ব্যবস্থাপনা, মনিটরিং এবং বাস্তবায়ন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) বৈঠকটি আয়োজন করে।বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন সচিব বলেন, ‘গাড়ির গতি কমানো গেলে দুর্ঘটনা কমে যাবে। এজন্য আমরা একটা গাইডলাইন তৈরির কাজ করছি। আপনারা দ্রুতই একটি গতি নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা পাবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি প্রস্তাব করেছিলাম যেখানে শহরের মধ্যে যানবাহনের গতিসীমা ৩০ কি.মি. থাকবে। এটা করার পরদিনই আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমরা হাইওয়েতে গতিসীমা ৮০ কি.মি. করেছিলাম। কেউ একজন ফোন করে বললো, এই গতিতে গাড়ি চালানো যাবে কিনা? ওটা ১০০ করে দিন। এই হচ্ছে আমাদের অবস্থা। কিন্তু আমি এর পক্ষে না। কারণ গতি বাড়লে দুর্ঘটনা বাড়বে।’
দুর্ঘটনার তথ্যের বিভ্রান্তি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের তথ্যের বিভ্রান্তি হচ্ছে। সবাইকে সঠিক তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করছি। ভুল তথ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। প্রতিদিন দুপুর ১২টায় আমরা দুর্ঘটনার তথ্য বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করছি।’
আইনের ব্যবহার নিয়ে আমিন উল্লাহ বলেন, ‘হাইওয়েতে প্রতিদিন তিন হাজার মামলা হচ্ছে, মাসে লাখের ওপরে। আইনের প্রয়োগ হচ্ছে, কিন্তু কোনও সুফল নেই। এক্ষেত্রে চালক, পথচারী ও সাধারণ জনগণকে সচেতন করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ভৌগোলিক অবস্থা বুঝে আমাদের গতিসীমা নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের কোনও এক সড়কে গতিসীমা দিয়ে রাখলাম ৮০ কি.মি. কিন্তু বন্যার সময় সেখানে ওই গতিতে চলা সম্ভব না। সেক্ষেত্রে সেখানে ভেরিয়েবল সাইনবোর্ড থাকা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, হেলমেটের ব্যবহার, অটোমেটিক টোলের ব্যবস্থা করা, সিটবেল্ট বাঁধা নিশ্চিত করতে হবে। এগুলো কেন আমরা করতে পারছি না? বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে। স্কুলপর্যায় থেকে আমাদের সচেতনতা তৈরি করতে হবে। আর কোনও গতিসীমা নির্ধারণ বা নিয়মনীতি করলে তা যেন চালকরা জানতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
বৈঠকে ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর এম খালেদ মাহমুদ বলেন, গাড়ির অতিরিক্ত গতি দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। গতিসীমিত বা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য সেভাবে পরিকল্পনা করে সড়ক তৈরি করতে হবে। শুধু দুর্ঘটনার জন্য চালককে দোষারোপ করলে হবে না। পথচারী থেকে চালক—সবাই যেন বুঝতে পারে এমন রোড সাইন ব্যবহার করতে হবে।
নিসচা উপদেষ্টা ও নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ বলেন, পথচারী হিসাবে সবচেয়ে অসহায় বোধ করি এখন। সেদিন গুলশানের ফুটপাত দিয়ে হাঁটার সময় স্লাব ভেঙে নিচে পড়ে আমার এক বন্ধুর হাঁটু ভেঙে যায়। দায়িত্বে অবহেলার জন্য ওই কর্তৃপক্ষকে আইনের আওতায় আনা হয় না। কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা উচিত। এ ছাড়া গাড়ি চিহ্নিত করতে বড় নাম্বার প্লেট স্পষ্ট করে বসাতে হবে এবং রংয়ের কম্বিনেশন থাকতে হবে যেন দূর থেকেও দেখে বুঝা যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এডিসি সোহেল রানা বলেন, আইন প্রয়োগ করাটাই আমাদের কাছে মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু ঢাকা শহরের জ্যাম কমাতেই ৯৯ শতাংশ সময় ব্যয় করতে হয়। যার ফলে আমরা অন্য বিষয়গুলোতে বেশি সময় দিতে পারি না। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে সড়ক কম, গাড়ি বেশি। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিকী বলেছেন, বিভিন্ন সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন দুর্ঘটনার তথ্য দেয়। আসলে আমাদের কাছে যথাযথ ডাটা থাকে না। ফলে আমরা কাজ করতে পারি না। দুর্ঘটনার যথাযথ ডাটা তৈরি করা উচিত।ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন প্রশাসন ও সড়ক নিরাপত্তা অনুষ্ঠানের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হোসাইন, হাইওয়ে পুলিশের এডিশনাল ডিআইজি শ্যামল কুমার মুখার্জী, বিআরটিএ’র ঢাকা বিভাগের পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, বিআরটিসি’র জেনারেল ম্যানেজার (হিসাব) আমজাদ হোসেন, নিসচার মহাসচিব লিটন এরশাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেন প্রমুখ।
-

সাতক্ষীরায় বোরো ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আয়োজনে
কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে বোরো ধান কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত
হয়েছে। আজ বুধবার(৩ মে) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা সদরের বকচরা এলাকায় বাইপাস
সড়কের ধারে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।কর্মসূচীতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মনির হোসেনের সভাপতিত্বে
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপপরিচালক মোঃ
সাইফুল ইসলাম। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত
উপপরিচালক ইকবাল আহমেদ। কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে
অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও আস্তে আস্তে এর প্রচলন ঘটছে। মাঠ থেকে ধান
কেটে একইসাথে তা মাড়াই করা যায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের মাধ্যমে। এছাড়া
এটি ব্যবহারে কৃষকের কষ্ট কম হয়, বৃষ্টি বা ঝড়ে ধান নষ্ট হবার সম্ভাবনা
কম থাকে।কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ প্লাবনী সরকার, কৃষিবিদ আরাফাত
হোসেন, সহ অর্ধশত কৃষক। -

বাল্যবিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি: ইউনিসেফ
ন্যাশনাল ডেস্ক : বাংলাদেশে ৫১ শতাংশ তরুণীর বিয়ে হয় তাদের শৈশবে। দেশে বাল্যবিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ও বিশ্বের মধ্যে অষ্টম। বাংলাদেশে ৩ কোটি ৪৫ লাখ নারীর বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে। ১ কোটি ৩ লাখ নারীর বিয়ে হয় তাদের বয়স ১৫ বছর হওয়ার আগে। আজ বুধবার বাল্যবিয়ে নিয়ে ইউনিসেফের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়, বাল্যবিয়ে নির্মূলের ক্ষেত্রে ধীরগতি সবচেয়ে বেশি সাব-সাহারান আফ্রিকায়। ওই অঞ্চলে বাল্যবিয়ের অবসানে ২০০ বছরেরও বেশি সময় লাগবে। গত এক দশকে বাল্যবিয়ে ধারাবাহিকভাবে কমা সত্ত্বেও সংঘাত, জলবায়ুজনিত অভিঘাত ও কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাবসহ একাধিক সংকট এক্ষেত্রে কষ্টার্জিত অর্জনগুলো নস্যাৎ করে দেওয়ার হুমকি তৈরি করেছে। বৈশ্বিক বহুবিধ সংকটে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কঠিন লড়াইয়ের মুখে।বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, শিশুদের বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। অগ্রগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশে শিশুবধূর সংখ্যা বিস্ময়কর। লাখ লাখ মেয়ের শৈশব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। মেয়েরা যেন স্কুলে যেতে পারে তা নিশ্চিত করতে ও তারা যেন পরিপূর্ণভাবে নিজের মধ্যে থাকা সম্ভাবনা অনুযায়ী বেড়ে উঠতে পারে সে সুযোগ দিতে আমাদের জরুরি ও সমন্বিত পদক্ষেপ দরকার।তিনি বলেন, যেসব মেয়ের শৈশবে বিয়ে হয়ে যায়, তাদের তাৎক্ষণিক ও জীবনভর এর পরিণতি ভোগ করতে হয়। তাদের স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভাবনা খুবই কম থাকে ও তারা অল্প বয়সে গর্ভধারণের বাড়তি ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, ফলস্বরূপ যা শিশু এবং মাতৃস্বাস্থ্যের জটিলতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। বাল্যবিয়ের এই প্রচলন মেয়েদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব থেকেও বিচ্ছিন্ন করতে পারে এবং তাদের নিজেদের কমিউনিটিতে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত রাখতে পারে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সার্বিক কল্যাণের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করা মেয়েদের ‘বাল্যবিয়ে’ হওয়ার ঝুঁকি বৈশ্বিক গড়ের প্রায় দ্বিগুণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর চলমান প্রভাবসমূহের কারণে বিগত এক দশকে বাল্যবিয়ের অবসান ঘটাতে মূল্যবান অর্জনগুলোও হুমকির সম্মুখীন বা এমনকি তা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, মহামারিটি ইতোমধ্যে বাল্যবিয়ে প্রতিহতের সংখ্যা ২০২০ সাল থেকে এক-চতুর্থাংশ কমিয়ে দিয়েছে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, বিশ্ব একের পর সংকটে জর্জরিত, যা ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের আশা ও স্বপ্নকে চুরমার করে দিচ্ছে, বিশেষ করে মেয়েদের যাদের বিয়ের কনে হিসেবে নয় বরং শিক্ষার্থী হিসেবে থাকা উচিত। স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র সংঘাত এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব পরিবারগুলোকে বাল্যবিয়ের মতো মিথ্যা ধারণার আশ্রয় নিতে বাধ্য করছে।বিশ্লেষণে অন্তর্ভুক্ত সর্বশেষ বৈশ্বিক হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী আজ জীবিত প্রায় ৬৪ কোটি মেয়ে ও নারীর বিয়ে হয়েছে তাদের ছোটবেলায়, অথবা বলা যায়, প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লাখ মেয়ের বিয়ে হয় তাদের ছোটবেলায়। পাঁচ বছর আগে এ বিষয়ে সর্বশেষ হিসাব প্রকাশের পর এ পর্যন্ত শৈশবে বিয়ে হয়ে যাওয়া তরুণীর সংখ্যা ২১ শতাংশ থেকে ১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ের অবসান করার যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণের জন্য বিশ্বব্যাপী ওই কমার গতি ২০ গুণ দ্রুততর করতে হবে।
ক্যাথরিন রাসেল বলেন, আমরা প্রমাণ করেছি যে বাল্যবিয়ের অবসানে অগ্রগতি সম্ভব। তবে এর জন্য বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে থাকা মেয়ে ও পরিবারগুলোর জোরালো সমর্থন প্রয়োজন। মেয়েদের স্কুলে টিকিয়ে রাখার বিষয়ে এবং তাদের অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করার দিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে।
-

সৌদিতে ফুরফুরে মেজাজে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া মেসি
স্পোর্টস ডেস্ক : অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার জন্য লিওনেল মেসিকে দুই সপ্তাহর জন্য বরখাস্ত করেছে পিএসজি। এ সময় তিনি ফরাসি ক্লাবটির হয়ে কোনো ম্যাচ বা অনুশীলনে অংশ নিতে পারবেন না। পাবেন না আর্থিক সুবিধাও।শুধু তাই নয়, ক্লাবের ‘অবাধ্য’ হওয়ায় মেসির সঙ্গে নতুন সম্পর্কেও জড়াচ্ছে না ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। আগামী জুনের পর ফ্রি এজেন্ট হতে চলেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ফরাসি গণমাধ্যম লে’কিপ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এই খবর।
লে’কিপ জানায়, ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের সঙ্গে চুক্তি না করার ব্যাপারে আগেই আলোচনা হয়েছিল। এবার ক্লাবের অনুমতি না নিয়ে সৌদি আরব সফর করায় তাকে রাখার ন্যূনতম ইচ্ছাও আর নেই। মেসিকে তারা নতুন চুক্তির প্রস্তাব দেবে না। এতে আগামী মাসেই পিএসজি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের।
মেসির সঙ্গে পিএসজির টানাপোড়নের সম্পর্কের মধ্যেই যেন আগুনে ঘি ঢেলেছেন সৌদি আরবের পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল খাত্তেব। তিনি প্রকাশ করেছেন দেশটিতে মেসির পরিবারসহ ভ্রমণের কয়েকটি ছবি।

নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনটি ছবি পোস্ট করে সৌদির পর্যটনমন্ত্রী লিখেছেন, ‘রিয়াদ সিটি বুলেভার্দে বিকালে খেলাধুলা, ভার্চুয়াল জগতের অভিজ্ঞতা ও পরিবার নিয়ে দারুণ সময় কাটানোর পর মেসি এবং তার পরিবার বিলাসবহুল শপিং এবং আন্তর্জাতিকমানের রেঁস্তোরায় ঢুঁ মেরেছেন।’
-64522b4126a51.jpg)
এই ক্যাপশনের সঙ্গে মেসি এবং তার পরিবারের ছবিও প্রকাশ করা হয়। একটি ছবিতে দেখা যায় স্ত্রী অ্যান্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও সন্তানদের নিয়ে ইনডোর গেমস খেলছেন মেসি। অন্য দুটি ছবিও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর। অবশ্য মেসিকে পিএসজি নিষিদ্ধ করার আগেই এক দফা আর্জেন্টাইনের ছবি প্রকাশ করেছে সৌদির পর্যটন মন্ত্রণালয়। সেখানে তাদেরকে সৌদিতে স্বাগত জানান হ্যাশট্যাগে ‘ওয়েলকাম মেসি’ লিখে।
মূলত, সৌদি আরবের পর্যটনের শুভেচ্ছা দূত মেসি। আর্জেন্টাইন এই মহাতারকা তুলে ধরছেন সৌদির পর্যটন খাতকে। আরএমসি স্পোর্টস জানিয়েছে, সৌদি আরবের পর্যটন দূত হওয়ার চুক্তি থেকে ৩ কোটি ডলার পাচ্ছেন মেসি। সেই চুক্তির অংশ হিসেবেই মেসি এই মরুর দেশে পা রেখেছেন পুরো পরিবার নিয়ে।
-

মাঠ নেই বলে আর্জেন্টিনাকে আনছে না বাফুফে
স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। কিন্তু শুরু থেকেই ছিল নানান প্রতিবন্ধকতা। মেসিদের আনতে প্রাথমিক কাজও এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তবে মাঠ সংকটের কারণে লিওনেল মেসিদের বাংলাদেশে আনার চেষ্টায় আপাতত আনুষ্ঠানিক ইতি টেনেছে বাফুফে। কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, এবার আর আসছে না লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। মূলত, মাঠ নেই বলেই আর্জেন্টিনাকে না করে দিয়েছে বাফুফে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘উভয়পক্ষ (দুই ফেডারেশন) চুক্তি করার পর্যায়ে ছিলাম। আমাদের স্টেডিয়ামের (বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) সংস্কার কাজ চলছে। ১৫-২০ দিন আগে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর স্টেডিয়াম প্রস্তুত করা সম্ভব নয়। আগামী মৌসুমের আগে আমরা মাঠ পাচ্ছি না। তার পরপরই আমরা আর্জেন্টিনার সাথে প্রাথমিক যে যোগাযোগ ছিল, সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছি। কারণ আর্জেন্টিনা দল এলে খেলার তো জায়গা থাকতে হবে।’
জানুয়ারিতে যখন আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করে তখনও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছিল। তাই মাঠের অপ্রাপ্যতার বিষয়টি জানাই ছিল বাফুফের। এটাও জানা ছিল যে, জুনের মধ্যে এই মাঠ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তারপরও আর্জেন্টিনাকে এমন প্রস্তাব দেওয়ার কারণ সম্পর্কে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের একটা চেষ্টা ছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশে আসুক। আর্জেন্টিনাও বাংলাদেশে আসার জন্য যথেষ্ট আগ্রহী ছিল। স্টেডিয়াম নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও ক্রীড়া পরিষদ কাজ করছে। এটি পরিপূর্ণ করতে তাদের আরও সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে
আগামীতে আর্জেন্টিনা দলকে আনার কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতেরটা ভবিষ্যতে দেখা যাবে।’
জুনের এই প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল আর্জেন্টিনার প্রতিনিধি দল। কিন্তু স্টেডিয়াম অপ্রস্তুত থাকায় বাফুফে সেই প্রতিনিধি দলকেও আসতে নিষেধ করে দিয়েছে। এই সঙ্গে এটিও জানানো হয়েছে, স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হলে তখন আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
-
পূর্ব সুন্দরবনে মাছ কাঁকড়া ধরার সময় ১০ জেলে আটক
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে পূর্ব সুন্দরবনের নারকেলবাড়িয়া ও শেলারচর এলাকায় অবৈধভাবে মাছ কাঁকড়া ধরার সময় ১০ জন জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। আজ বুধবার সকালে শরণখোলা রেঞ্জের ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ট্রলার, জাল ও বিপুল পরিমাণ চাই জব্দ করা হয়।
আটক জেলেরা হলেন–শরণখোলার মালিয়া রাজাপুর গ্রামের আসাদুল, মোরেলগঞ্জের বারইখালী গ্রামের মন্টু, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সিকিরডাঙ্গা গ্রামের ওমর ফারুক গাজী, বরগুনার তালতলী উপজেলার সখিনা গ্রামের জাফর পেয়াদা ও পাথরঘাটার রুহিতা গ্রামের কামাল কাজী।
তাদের কাছ থেকে তিনটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা, চারটি ডিঙি নৌকা, ছয়টি ছোট ফাঁসের নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল, বিপুল পরিমাণ কাঁকড়া ধরার বাঁশের তৈরি চাই (চারো) এবং বিভিন্ন মালামাল জব্দ করেছে বনরক্ষীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহবুব হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটক জেলেদের কাছে বন বিভাগের কোনো পাস-পারমিট পাওয়া যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা অবৈধভাবে সুন্দরবনে প্রবেশ করে মাছ ও কাঁকড়া ধরছিলেন।’ তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
-

বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ : তথ্যমন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিস্তৃতি উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। প্রতিবেশি অনেক দেশেই গণমাধ্যমের এ রকম বিস্তৃতি ঘটেনি এবং এমন অবাধ স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে কাজ করে না।’
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার সাথে দায়িত্বশীলতাকে যোগ করতে হয় তাহলেই গণমাধ্যম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়। আর যদি স্বাধীনতার সাথে দায়িত্বশীলতা না থাকে তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সমাজের ক্ষতি হয়, রাষ্ট্রেরও ক্ষতি হয়।
তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘মানবাধিকার সংরক্ষণ ও গণতন্ত্র সম্প্রসারণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, দৈনিক সমকাল সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মো: আইয়ুব ভুঁইয়া প্রমুখ তাদের আলোচনায় দেশে গণমাধ্যমের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পথযাত্রা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতন্ত্র এবং গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণমাধ্যম ব্যতিরেকে গণতন্ত্র হতে পারে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা ব্যতিরেকে গণতন্ত্র কখনো পথ চলতে পারে না, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। সে কারণে গণতন্ত্রকে সংহত করতে হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবশ্যই প্রয়োজন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্র ও বহুমাত্রিক সমাজ ব্যবস্থার বিকাশ, ন্যায়ভিত্তিক-বিতর্কভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছে, উল্লেখ করে পরিসংখ্যান দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গত ১৪ বছরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সম্প্রচারে আসা টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ৩৯টি, খুব সহসা আরো কয়েকটি সম্প্রচারে আসবে। বেসরকারি টেলিভিশন এবং বেতারের যাত্রাও শুরু হয়েছিল জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করি তখন টিভি চ্যানেল ছিলো ১০টি আর দৈনিক পত্রিকা ছিলো সাড়ে ৪শ’ যা এখন ১২৬০। ২২টি বেসরকারি এফএম রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, ১২টি সম্প্রচারে আছে, কয়েক ডজন কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স দেওয়া আছে যার বেশিরভাগই সম্প্রচারে আছে। অনলাইন গণমাধ্যম কয় শত কিম্বা কয় হাজার সেটি একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যাপার। ইতিমধ্যে ২ শতাধিক অনলাইন গণমাধ্যমের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে, পত্রিকা এবং টেলিভিশনের অনলাইনসহ সেটা আরো অনেক বেশি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এর ফলে আজকে হাজার হাজার সাংবাদিক গণমাধ্যমে কাজ করছে। আজকে যারা বিদগ্ধ সাংবাদিক তারা তাদের এই ‘ট্যালেন্ট’ প্রকাশ করার সুযোগ পেতেন না, যদি গণমাধ্যমের এ রকম ব্যাপক বিস্তৃতি না ঘটতো। আশেপাশের দেশে গণমাধ্যমের এ রকম বিস্তৃতি ঘটেনি এবং এ রকম অবাধ স্বাধীনতার মধ্যে কাজ করে না। কয়েকটি ছাড়া প্রায় সকল টেলিভিশন আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরেই অনুমোদন পেয়েছে। আর সকল টেলিভিশনে প্রতিদিন রাতের বেলায় টক শো’তে সরকারের সমালোচনা হয়। সংবাদ যখন প্রকাশ করা হয় তখনও সরকারের ব্যাপক আলোচনা হয়। এ ক্ষেত্রে সরকার কখনো হস্তক্ষেপ করে না। কারণ আমরা মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমরা কথায় কথায় সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দেই একটি জেলে পল্লী থেকে কিভাবে সিঙ্গাপুর উন্নত দেশে রূপান্তরিত হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত প্রায় সব দেশের চেয়ে সিঙ্গাপুরের মাথাপিছু আয় বেশি। সিঙ্গাপুরের ৪টি চ্যানেল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পত্রিকাও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। থাইল্যান্ডে সব টেলিভিশন চ্যানেল ফিড একটা জায়গা থেকে আপলিংক করা হয়। কোনো কনটেন্ট পছন্দনীয় না হলে তা অফ করে দিয়ে বিজ্ঞাপন বা অন্য কিছু দেওয়া হয়। আমাদের দেশে তা নয়। মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থীরা ৮০ দশক পর্যন্ত আমাদের দেশে পড়তে আসতো। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে যাচ্ছে। তারা কিভাবে এই জায়গায় এলো সেটি একটি বিস্ময়। সেখানে গণমাধ্যমের এই স্বাধীনতা নাই, বিস্তৃতিও নাই।’
ইউরোপের দেশগুলোর উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রসঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে আমরা যুক্তরাজ্যকে অনুসরণের চেষ্টা করি। সেখানে প্রতি সপ্তাহে ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশন কিম্বা কারো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নষ্ট হওয়ার দায়ে গণমাধ্যমকে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের জরিমানা গুণতে হয়। বিবিসিতে একজন এমপির বিরুদ্ধে ভুল সংবাদ পরিবেশিত হওয়ার কারণে পুরো বিবিসি টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। ১৩০ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ একটি ভুল অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে কয়েক মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা পরিশোধ করতে গিয়ে দেউলিয়া হয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের দেশে এ ধরণের ঘটনা কখনো ঘটেনি। কন্টিনেন্টাল ইউরোপেও যুক্তরাজ্যের মতোই ভুল বা অসত্য সংবাদ পরিবেশনের কারণে গণমাধ্যমকে মোটা অংকের জরিমানা গুণতে হয়, শাস্তি পেতে হয়।’
‘পত্রিকায় পুঁজির দৌরাত্ম্য আজকে দেশে একটা সমস্যা’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যখন সংবাদ মাধ্যমে পুঁজি বিনিয়োগ হয়, সেই পুঁজির দৌরাত্ম্য সাংবাদিকদের ওপর খড়গ বসায়, তাদের কাজে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের পক্ষ থেকে কি প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে সেটি নিয়ে আমরা সবসময় আলোচনা করি কিন্তু আমি মনে করি সুস্থভাবে, অবাধে, ভয়হীন পরিবেশে কাজ করার ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের পুঁজির দৌরাত্ম্য একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। কয়েকজন সাংবাদিক নেতা প্রশ্ন রেখেছেন, ব্যাংকের মতো সংবাদ মাধ্যমের পরিচালনা পর্ষদে কেন সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে না, ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর থাকবে না!’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় বলেছি আজকেও বলবো, একজন সাংবাদিক, গৃহিনী, চাকরিজীবী, কৃষক অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এই আইন। অনেক সাংবাদিকও এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক তার চরিত্র হননের প্রতিকারের জন্য এই আইনে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’
হাছান বলেন, ‘আজকের আলোচনায় সাংবাদিকরাও বলেছেন, এ আইনের প্রয়োজন রয়েছে। এ ধরণের আইন আজকে পৃথিবীর প্রায় সব দেশ প্রণয়ন করেছে। অনেক দেশে এই আইন আমাদের চেয়ে কঠোর। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য ছাড়া অন্যগুলোতে ফাঁসি নাই। কিন্তু সেখানে ডিজিটাল অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড। যুক্তরাজ্যের লোকসংখ্যা আমাদের তিন ভাগের এক ভাগ, ৬ কোটির একটু বেশি। সেখানে প্রতি মাসে কয়েক ডজন মানুষ গ্রেপ্তার হয়। আমাদের দেশে হয় না। একজন গ্রেপ্তার হলে সেটা পত্রিকায় শিরোনাম হয়।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘সেই সাথে অবশ্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। কারণে-অকারণে মামলা ঠুকে দেওয়া, সাথে সাথে আবার গ্রেপ্তার করা- এগুলো অবশ্যই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমি একমত। কোনো একটা গোষ্ঠিকে কোনো আইন থেকে বাদ দেওয়া সেটি সমীচীন হয় কিন্তু কোনো আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় বা কারো ওপর অপপ্রয়োগ না হয় সেটি আমাদের নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আগের তুলনায় অপপ্রয়োগ কমেছে, অপপ্রয়োগটা শূণ্যের কোটায় নিয়ে আসা প্রয়োজন।’ -

দশ মাসে রপ্তানি আয় ৪৫৬৭ কোটি ডলার
ন্যাশনাল ডেস্ক : চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) রপ্তানি খাতে ৪ হাজার ৫৬৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। এ সময়ে বরাবরের মত পোশাক থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় এসেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ সময়ের রপ্তানি আয় এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেশি।
জুলাই-এপ্রিল সময়ে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৮৫৭ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের। এর মধ্যে নীটপণ্যের রপ্তানি ছিল ২ হাজার ৯৬ কোটি ডলারের এবং ওভেন পণ্য ১ হাজার ৭৬০ কোটি ডলারের। এছাড়া রপ্তানি করে পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে ৭৭ কোটি ডলার, কৃষিপণ্য থেকে ৭৪ কোটি ডলার, হিমায়িত মাছ থেকে ৩৭ কোটি ডলার, রাসায়নিক পণ্য থেকে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্লাস্টিক পণ্য থেকে ১৭ কোটি ডলার আয় হয়েছে।
একক মাস হিসেবে জুলাইয়ে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। -

রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান
নিজস্ব প্রতিনিধি : বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়টির ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। দেয়ালের ইট বের হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা ভয়ে ক্লাসে বসছে না। এমন করুণ দশা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক মরহুম ডা. এম.আর খান তার নিজ গ্রাম রসুলপুরে রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। অত্র এলাকাসহ স্থানীয় ৫৫০ জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টিতে পড়াশোনা করছে। শ্রেণীকক্ষ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো ভবনে চলছে বিদ্যালয়টির পাঠদান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ছোট আকারে পাকা ভবন। ভবনের প্রায় সব কক্ষই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পাঠদান ও পাঠগ্রহণ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া, মুর্শিদা, লামিয়া, শাওন ও সাকিব এবং ৮ম শ্রেণির ‘খ’ শাখার ক্লাস চলাকালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হলে শিক্ষার্থী রিমি খাতুন, রাকিবা ইসলাম, মেহেরিন ও রুবাবা খাতুন জানায়, শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে প্রায়ই নিচে পড়ে। ক্লাস শেষ করে স্যার চলে গেলেই আমরা ক্লাস থেকে বের হয়ে যাই। কেননা আমরা সব সময় ভয়ে থাকি, কখন ছাদের পলেস্তারা ভেঙে মাথায় পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা নারগিস জানান, আমাদের বিদ্যালয়টির ভবন বেশ পুরনো। এর অবস্থা জরাজীর্ণ। শ্রেণিকক্ষ পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, ভবনের এমন সমস্যার কারণে সাইকেল সেডের টিনের ঘরে গাদাগাদি করে কয়েকটি ক্লাস নিতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কে আছি। পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ক্লাস শেষ হলেই শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে বিদ্যালয়ে আসছেনা।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মকসুমুল হাকিম জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টি অযতেœ অবহেলায় রয়েছে। পুরনো জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ঝড়-বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো যায় না। পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম ভালোভাবে অব্যাহত রাখতে দ্রুত বিদ্যালয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের দাবি জানান। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জরাজীর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন পত্র পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান।’
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অজিত কুমার সরকার জানান, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলি চিহ্নত করে তালিকা তৈরী করতে। আমরা খুব শিগগিরই তালিকা করবো এবং রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সেই তালিকায় অবশ্যই থাকবে।
এব্যাপারে রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক/শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর দাবী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাতক্ষীরাতে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন নির্মাণ হলেও রসুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আজো কোন নতুন ভবন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে অবহেলিত। তাই অতিদ্রুত পুরনো জরাজীর্ণ ঝুকিপূর্ণ ভবন ভেঙ্গে নতুন বহুতল ভবন নির্মাণ করা হোক। -

শাল্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের নতুন ভবন পুনঃণির্মান কাজের উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্যই হলো মাঠ পর্যায়ে বিনামূল্যে সকল মানুষের শতভাগ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৯নং ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডেরশাল্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের নতুন ভবন পূনঃনির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (৩ রা মে) সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আসাদুজ্জামান বাবু এ ক্লিনিকের নতুন ভবন পূনঃনির্মান কাজের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ মোঃ ফরহাদ জামিল, এইচ ই ডি সাতক্ষীরার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল মতিন,সদর উপজেলা স্বাস্থ্য অফিসের এম টি ই পি আই শেখ মহিবুর রহমান,সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের এম টি ই পি আই মোঃ ফারুক হাসান,পৌর ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মিলন,শাল্যে কমিউনিটি ক্লিনিকের সি এইচ সি পি ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, ঠিকাদার মোঃ উইনুচ আলী (চাকলা) প্রমুখ।
-

এল নিনোর জন্য বিশ্বের প্রস্তুত হওয়া উচিত: জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘ বুধবার সতর্ক করেছে, এল নিনোর প্রভাবে আবহাওয়ার পরিস্থিতি আগামী মাসগুলোতে আরো বিবর্তিত হবে, যা উচ্চ বৈশ্বিক তাপমাত্রা এবং সম্ভবত নতুন তাপের রেকর্ড ৃসৃষ্টি করবে৷
‘বিশ্বকে এল নিনোর প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য প্রস্তুত করা উচিত’ এ কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রধান পেটেরি তালাস আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এল নিনোর প্রভাব সম্ভবত বৈশ্বিক উত্তাপের রেকর্ড ভেঙ্গে একটি নতুন উচ্চতার দিকে নিয়ে যাবে।’ -
তালায় বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় আব্দুল করিম (৮০) বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার গৌরিপুর গ্রামে উদ্ধার করা হয়। আব্দুল করিম কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও গৌরিপুর গ্রামের বাসিন্দা।
কুমিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, আব্দুল করিম শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। বেশ কিছুদিন আগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপরেশন করেছেন। বুধবার ভোর রাতে সবার অজান্তে ঘরের বারন্দায় গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তবে কি কারনে আত্মহত্যা করেছেন তা জানা যায়নি।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পারিবারিকভাবে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। -
শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ কর -ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা
শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। মহান মে দিবসের সমাবেশ ও মিছিলে তাঁরা এই দাবি করেন।
মে ২০২৩, সোমবার, বিকাল ৪টায়, কামরাঙ্গীচর ঝাউলাহাটি চৌরাস্তায় ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র উদ্যাগে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র সমন্বয়ক নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য বেলাল চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, গণমুক্তি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা দলিলের রহমান দুলাল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর নেতা জাকির হোসেন কাঞ্চন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সুমন প্রমূখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সহ সভাপতি বিপ্লব ভট্টাচায্য।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওই দিন তাঁদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি স্বীকৃত হয়েছিলো। এরপর থেকে সারা বিশ্বে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে এখনও ৮ ঘন্টা কাজের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি করেন। এছাড়া মে দিবসে সকল কল কারখানা ও অফিস বন্ধ রাখা, গৃহ শ্রমিকসহ সকল খাতে ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস ও আইএলওর বিধান অনুযায়ী ওভারটাইম নিশ্চিত করারও দাবি করেন। বক্তারা বলেন, সকল বেকারদের কাজ দিতে হবে, নইলে বেকার ভাতা দিতে হবে। এছাড়া হোটেল, পরিবহন, দোকান, গণমাধ্যম, গৃহশ্রমিকসহ আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সকল সেক্টরের শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও মজুরী কাঠামো প্রদানের দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ, কৃষি মজুরদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল এর দাবি করেন। তাঁরা পরিসেবার নামে শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার হরণের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
পরে ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা থেকে মিছিল শুরু হয় এবং কোম্পানিহাটি হয়ে সেকশন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। -
মে দিবস উপলক্ষে মৎস্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের আলোচনা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মহান মে দিবস আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মৎস্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১মে সকাল ১১টায় সুলতানপুর মাছ বাজারস্থ ইউনিয়নের কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংগঠনের সভাপতি মোঃ শিহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আ.স.ম.আ: রব।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুর রহমান, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি আবুল বাশার সরদার, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক আঃ আলিম, মাহাবুব আলম রানা, মশিউর রহমান বাপ্পি, সদর উপজেলা মৎস্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের উপদেষ্টা মোঃ রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সহ-সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান(বাবলু), কোষাধক্ষ্য মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ আঃ গফ্ফার, রবিউর ইসলাম প্রমুখ। এসময় আলোচনা সভা শেষে সাধারন শ্রমিকদের মাঝে রান্না করা খাদ্য বিতরন করা হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা মৎস্য শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ হুমায়ন কবির। -

সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা শহরের একটি কোচিং সেন্টারে পাঠদান চালুু রাখার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সিলগালা
নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকাীন সময়ে সরকারীভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধের কঠোর নির্দেশনা উপেক্ষা করে সাতক্ষীরা শহরের সরকারী কলেজ রোড এলাকায় “ওয়ান ওয়ে ” নামের একটি কোচিং সেন্টারে পাঠদান চালুু রাখার অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সেটি সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তানভীর সেখানে অভিযান চালিয়ে উক্ত মেডিকেলে ভর্তির কোচিং সেন্টারটি সিলগালা করে দেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহনেওয়াজ তানভীর জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে দুপুরে শহরের সরকারী কলেজ রোড এলাকায় পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার আহমেদ তমালের মালিকানাধীন “ওয়ান ওয়ে” কোচিং সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় সেখানে গিয়ে দেখা যায়, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকাীন সময়ে সরকারীভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও উক্ত কোচিং সেন্টারে ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান দেয়া হচ্ছে। সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে উক্ত কোচিং সেন্টারটি চালু রেখে পাঠদানের অভিযোগে এ সময় সেটি সিলগালা করা হয়।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে তাদের সতর্ক করে সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তারা সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে যদি কোচিং সেন্টার চালু রাখে তাহলে তাদের অর্থদ্বন্ডসহ জেল জরিমানা করা হবে বলে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরকে সরকারি নির্দেশনা মেনে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যার যার বাড়িতে বসে লেখাপড়া করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।


