ন্যাশনাল ডেস্ক : শীঘ্রই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের অভ্যন্তরে পেঁয়াজের বাজার সবসময় মনিটর করছে। দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকলে শীঘ্রই পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
আজ রোববার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ সংক্রান্ত সভায় কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, এবছর দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টনের বেশি। আর বর্তমানে মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩০ হাজার টন। উৎপাদন ও মজুদ বিবেচনায় দেশে এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোন কারণ নেই, অথচ বাজারে দাম কিছুটা বেশি।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম, মন্ত্রণালয়ের সম্প্রসারণ অধিশাখার উপ-সচিব মুনসুর আলম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় পেঁয়াজের উৎপাদন, চাহিদা ও আমদানির তথ্য তুলে ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সভায় বলা হয়, গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টনেরও বেশি। কিন্তু উপযুক্ত সংরক্ষণের অভাবে বা প্রতিকূল পরিবেশের কারণে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন।
সভায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে এক কেজি দেশি পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ ২৮ থেকে ৩০ টাকা। গতবছর ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি উন্মুক্ত থাকার কারণে আমদানি বেশি হয়েছিল। দেশি পেঁয়াজের বাজার দর কম ছিল, ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ছিল। কৃষকেরা কম দাম পেয়েছিল। সেজন্য পেঁয়াজ চাষে কৃষকের আগ্রহ ধরে রাখতে এ বছর পেঁয়াজ আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
Author: dakshinermashal
-

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হতে পারে : কৃষি সচিব
-

কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কেন্দ্র
ডেস্ক রিপোর্ট : উপকূল অতিক্রমরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কেন্দ্র আজ বেলা ৩ টায় মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগের উপর অবস্থান করছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম করে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজ বিকেল ৪টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খোঃ হাফিজুর রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধ্বস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। -

সাতক্ষীরায় জেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : সাতক্ষীরায় জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ মে) দুপুর ২টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির’র সভাপতিত্বে জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন জেলার মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ আলহাজ¦ মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানউল্লাহ-আল-হাদী, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসুদেব বসু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মো. আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. আব্দুল লতিফ, সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরা’র উপপরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, কলারোয়া পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাতক্ষীরা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, সডক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকতার হোসেন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অজিত কুমার সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমরেশ কুমার দাস, পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারি পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. জিয়াউর রহমান, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, জেলা মার্কেটিং অফিসার মো. আব্দুল্লাহ, জেলা হিন্দু বৈদ্ধ্য খ্রিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের জেলা প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা প্রমুখ। জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় ২০১৩ সালের নাশকতা ও হত্যা মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে, মাদক ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনাল স্থানান্তর লাবসা বাইপাসে কাজের অগ্রগতি, কালিগঞ্জ বাস-টার্মিনাল স্থানান্তর, ভোমরা স্থলবন্দরের বিরাজমান সমস্যা, যানজট নিরসন প্রসঙ্গসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসময় জেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল।
-

তালা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান কে প্রত্যাহার
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : তালা উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা শাখা আওয়ামী লীগ সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ এ.কে ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
রোববার বিকালে সরদার মশিয়ার রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরদার মশিয়ার রহমানের উদ্দেশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত ১৯ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখে ইস্যুকৃত পত্রদ্বারা আপনাকে সংগঠন হইতে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। পরবর্তীতে আপনার বিরুদ্বে অভিযোগ মিথ্যা বলিয়া পুলিশী রিপোর্ট প্রদান করে। বিগত ২ জুন ২০২০ ইং তারিখে আপনার বহিস্কারাদেশ প্রত্যহার চাহিয়া আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা নেতৃবৃন্দের সুপারিশত্রুমে আপনার বিরুদ্বে আনীত সাময়িক বহিস্কারাদেশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা (প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা) এর (উপধারা-১০) মোতাবেক আপনার সাময়িক বহিস্কারাদেশ অদ্য ১ মে ২০২৩ ইং সালে তারিখ প্রত্যাহার করা হইল। -

সাতক্ষীরায় ভালুকা চাঁদপুর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গাছ কত্তনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ভালুকা চাঁদপুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।রাতের আঁধারে গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দিয়েছে বলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলজে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়, ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজ প্রতিষ্ঠানের সময় কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিত জায়গায় বনজ জাতীয় বৃক্ষরোপন শুরু হয়। গাছগুলো প্রকার ভেদে ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়েছে। বর্তমানে গাছগুলো পরিপূর্ণতা পেয়েছে। গত রমজান মাসে রাতের আঁধারে কলেজের অধ্যক্ষ এ আর মোবাশ্বেরুল হক কাউকে না জানিয়ে বড় বড় ৫টি মেহগনি কাজ গোপনে কেটে নিয়ে যায়। গাছগুলো কাটার পর গোড়াগুলো মাটি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। যেনো কেউ বুঝতে না পারে সেখানে গাছ কাটা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় গাছ ছুরির ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। গাছ চুরের বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক গাছ কাটার জায়গায় ছোট ছোট চারা গাছ রোপন করে। এবং মাটি দিয়ে সমান করে দেয় যাতে বোঝার কোন উপায় নেই সেখানে গাছ কাটা হয়েছে।তবে মাটি দিয়ে গাছের গোড়াগুলো ঢেকে দিলেও বোঝা যাচ্ছে এখানে গাছ কাটা হয়েছে। কারণ গাছের অনেক শিকড় বের হয়ে আছে।
সম্প্রীতি এলাকায় সমালোচনার ঝড় থামানোর জন্য অধ্যক্ষ কৌশলে আরো ৪টি মেহগনি কাজ কেটে পার্শ্ববর্তী ছ,মিলি নিয়ে যায়। গাছগুলো ছমিল থেকে কেটে এনে চেয়ার বানানোর জন্য কলেজে সংরক্ষণ রাখে।অভিনব চতুর চালাক কলেজের অধ্যক্ষর এমন চুরিকে পেশাদার চোরকেও হার মানায়।তথ্য অনুসন্ধান আরও জানা যায়, অধ্যক্ষ এ আর এম মোবাশ্বেরুল হক জ্যোতি , পিতা আব্দুর রউফ স্থানীয় চাঁদপুর বাসিন্দা। তিনি ১৭/৪/২০১৭ ইং তারিখে ভালুকা চাঁদপুর আদর্শ কলেজে যোগদানের পর থেকে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। যোগদানের পর একক ক্ষমতা ধারণ করে ১৭ জন শিক্ষক এম,পি,ও ও ৮ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছে। সেখানে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য হয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানায়। আরো জানা যায়, বিশেষ ক্ষমতা আইন এজাহার ভুক্ত চলমান মামলার আসামি অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হক।
এলাকার সচেতন মহল জানায়, বর্তমান কলেজের স্থায়ী কোন কমিটি না থাকায় অধ্যক্ষ মোবাশিরুল হক নিজের ইচ্ছামত চলে। কলেজ ক্যাম্পাসের বড় বড় গাছগুলো গোপনে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কলেজের আম, ডাল ও বেড়া নিজের ইচ্ছামত নিয়ে যায়। যা দেখার কেউ নেই।এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মোবাশ্বেরুল হকের কাছে গোপনে গাছ কাটার বিষয়ে মোবাইলে কথা বললে তিনি বলেন , কখন গাছ কাটা হয়েছে? কে গাছ কেটেছে ? এসব তথ্য আপনাকে কে দিয়েছে। সাংবাদিককে জানায় আপনি সরজমিনে এসে দেখে যান কোন গাছ কাটা হয়নি। তাৎক্ষণিক সরে জমিনে যে দেখা যায় , সেখানে গাছ কাটা হয়েছে এবং মাটি দিয়ে সমান করে গাছের গড়াগুলো ঢেকে দেয়া হয়েছে। এবং সেখানে ছোট ছোট গাছ রোপন করা হয়েছে। সম্প্রীতি আরও চারটি কাজ কাটা হয়েছে তার গোড়াগুলো প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে। সাংবাদিক এসেছে অধ্যক্ষ মোবাশ্বের হক জানতে পেরে ওই সাংবাদিককে মোবাইল ফোনে জানায় কলেজের চেয়ার নির্মাণের জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। অধ্যক্ষ জানায় আমি কি বলতে কি বলে ফেলেছি আমি নিজেও জানিনা। এবং সাংবাদিককে৷ অনেকে অনুরোধ করে বলেন,, নিউজটা না করার জন্য। তবে ৪ টি গাছের কথা স্বীকার করলেও বিগত রমজান মাসে যে ৫টি গাছ কেটে গোপনে বিক্রি করেছেন সেটা তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াজেদ কুমার সরকার কে মুঠোফোনে কল দিলে কোন সংযোগ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা বন কর্মকর্তা মারুফ হাসানের কাছে মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাছ কাটার বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য আসেনি। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেজেটে যদি গাছ কাটার বিষয় উল্লেখ থাকে তাহলে উক্ত কমিটির গাছ কাটতে পারবে। এবং বনবিভাগ যদি উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ লাগানোর সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে অনুমতি নিতে হবে। যেহেতু এ বিষয়ে কেউ এখনো কোনো অভিযোগ করেনি তবে গাছ কাটার বিষয়টি সত্যতা পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -

সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের গণশুনানি
সকল বিষয়ে দুদুকে দোষারোপ করবেন না, দুদুকের এখতিয়ারের বাহিরে কিছুই করা সম্ভব নয় – দুদুক
নিজস্ব প্রতিনিধি : “রুখবো দূর্নীতি, গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ” এই স্লোগানে সাতক্ষীরায় দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক।
এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশন, খুলনার পরিচালক মোনজুরুল মোরশেদ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার মোঃ কাজী মনিরুজ্জামান, দুদকের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী পরিচালক তারুণ কান্তি ঘোষসহ জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও অভিযোগকারিগন উপস্থিত ছিলেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড, সমাজ সেবা অধিদপ্তর, পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় স্বাস্থ্য বিভাগ, রেজিষ্ট্রি অফিস, সেটেলমেন্ট অফিসসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের দূর্ণীতি তুলে ধরা হয়।
সদর উপজেলার জনৈক ব্যক্তি অর্ভিযোগ করেন,সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে দলিল তুলতে তার ৩ হাজার টাকা লেগেছিল। উত্তরে সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সি জানান,দলিল তুলতে ৮০০ টাকা লাগে। সাথে লাগে ১০০ টাকা। ৩ হাজার টাকা কে নিয়েছে,তা তার জানা নেই।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক বলেন,রেজিস্ট্রি অফিসের দুর্নীতির বিষয়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের আশ^াস দেন কমিশনার।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতির বিষয়ে জনৈক ব্যক্তি তার অভিযোগে বলেন,বিনেরপোতা এলাকায় কুন্দুরডাঙ্গী খালের এক কি.মি. খনন করেছিল মৎস্য অধিদপ্তর। পরবর্তীতে সেই খালের একই জায়গায় খনন দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
এছাড়া গোবিন্দপুর থেকে বিনেরপোতা অভিমুখী ৫কি.মি. বেড়িবাঁধ সংস্কারে ৩ কোটি টাকা খরচ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ও ঠিকাদারের যোগসাজসে ৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
তহশীলদার মহসিন আলীর বিরুদ্ধে ৪০ টাকার খাজনা জমা দিতে ১৬০০ টাকা ও এক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে নামপত্তন করিয়ে দেওয়ার নাম করে ৪০০ হাজার টাকা নিয়েও কাজ না করা বা টাকা ফেরৎ না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। সাথে সাথে ওই তহশীলদার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়।
দুর্নীতির বড় অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজকে নিয়ে। মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানের সময় ৫০ লাখ টাকার এসি, ফার্নিচার ও ল্যাবের বিভিন্ন যত্রাংশ কেনা হয়েছিল। পরবর্তীতে অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস সেই সব জিনিসপত্র ব্যবহার না করে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে দুদক কমিশনারের কাছে। এছাড়া অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র কল্যাণ তহবিলের ৮০ লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে আশাশুনি উপজেলার গোকুলনগরের ফারুক হোসেন জানান, বেআইনিভাবে আশাশুনি সহকারি জজ আদালতে তার বিচারাধীন দেঃ ৪৮/২০ নং মামলার নথিতে নিয়মবহির্ভুতভাবে সংযোজনের ব্যাপারে পেশকার শফির বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তার আবেদন উপস্থাপন করা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন যে, এখানে যে সমস্ত অভিযোগ উপস্থাপন করা যায়নি সেগুলো প্রতি বুধবার তার অফিসে অনুষ্ঠিত গণশুনানীতে উপস্থাপন করা যাবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক বলেন,৩৬টি অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিটি অভিযোগের তদন্ত হবে।
-

রোহিঙ্গারা যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গারা যেন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এ জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে তেজগাঁও মহিলা কলেজের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে রোহিঙ্গারা যাতে কাঁটাতারের বেড়া ক্রস (অতিক্রম) করে বের হতে না পারে এ জন্য এপিবিএনসহ সকল আইনশৃঙ্খলা সংস্থাকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা যদি মিয়ানমারের বদলে বাংলাদেশ অংশে আঘাত হানে, তখন রোহিঙ্গাদের সরকারীভাবে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হবে।
মোখা মোকাবেলায় সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে প্রায় সব মানুষকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সেন্ট মার্টিনে কী পরিমাণ ঝড় হবে তা ওই এলাকার বাসিন্দাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদেরকে সচেতন ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় মানুষকে সহায়তা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী । -

দশ মাসে পোশাক রপ্তানি ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে
ন্যাশনার ডেস্ক : রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) সম্প্রতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ের দেশভিত্তিক রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেছে। এই সময়ে মোট পোশাক রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.০৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং মোট রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ইপিবির তথ্যমতে, এই পোশাক রপ্তানির মধ্যে ১৯.২০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক গেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যা মোট রপ্তানির ৪৯.৭৮ শতাংশ । ৬.৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে, যা মোট রপ্তানির ১৮.০১ শতাংশ। কানাডার শেয়ার ছিল ৩.১৯ শতাংশ এবং মোট ১.২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক কানাডায় রপ্তানি হয়েছে এবং ৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে অপ্রচলিত বাজারে, যার শেয়ার ছিল ১৮.১৬ শতাংশ ।
আলোচ্য সময়ের মধ্যে ইইউতে রপ্তানি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউ অঞ্চলের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭.৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৫.৫৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ফ্রান্স ও স্পেনে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ২.৪০ বিলিয়ন ডলার ও ২.৯৫ বিলিযন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিলো যথাক্রমে ২২.২১ শতাংশ এবং ১৬.৬৯ শতাংশ। ইতালিতেও ৪২.৪০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রবণতা ছিল এবং ১.৮৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে বুলগেরিয়া ও পোল্যান্ডে রপ্তানি বছরওয়ারিভাবে যথাক্রমে ৪৬.৪৩ শতাংশ এবং ১৭.৫৯ শতাংশ ঋনাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে ৭.১৩ শতাংশ ঋনাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অধিকন্তু যুক্তরাজ্য এবং কানাডা উভয় বাজারে রপ্তানিতে যথাক্রমে ১০.৮৮ শতাংশ এবং ১৬.০৯ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে, অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩০.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭.০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো প্রধান বাজারগুলোতে আমাদের রপ্তানি ছিলো যথাক্রমে ১.৩২ বিলিয়ন, ৯৬১.৩০ মিলিয়ন, ৮৮৯.০৬ মিলিয়ন এবং ৪৭৭.৮১ মিলিয়ন ডলার। -

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’; কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত
ন্যাশনাল ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এটি ক্রমশ বাংলাদেশের উত্তর-উত্তরপূর্ব উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আজ দুপুর দেড়টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মিায়নমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আজ রাতে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘‘মোখা’র অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। -

ঘূর্ণিঝড় মোখা: সাতক্ষীরায় ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক, ৮৮৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
সাতক্ষীরায় ৮৮৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানার আশংকা না থাকলেও ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন। এজন্য ইতোমধ্যে জেলার ৮৮৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৭১৮ স্কুল-কলেজকে বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের ধারণা ক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া ৪১৬ মেট্রিক টন চাল, ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫০০ নগদ টাকা ও পাঁচ হাজার সিপিপি সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সাথে সাতক্ষীরা উপকূলের আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে বেড়িবাধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারসহ পর্যাপ্ত ও বালুর বস্তা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো জরুরী সভা করেছে। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ঝড়ের পূর্বেই সংকেত অনুযায়ী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর উপজেলায় ২ হাজার ৯৮০ জন এবং আশাশুনি উপজেলায় ১ হাজার ২০ জন সিপিপি সদস্য এবং রেডক্রিসেন্ট ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার পূর্বে প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর এবং শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সেই সাথে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে উদ্ধারকারী নৌযান হিসেবে স্পিডবোট, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইঞ্জিনচালিত নৌকা/ট্রলার এবং স্থলযান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া সকল উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিমের সদস্যদের ঝড়ের পরে রাস্তায় গাছ পড়লে তা অপসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কর্মী বাহিনীসহ প্রস্তুত রাখতে হবে বলা হয়েছে। এছাড়া কলারোয়া, তালা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা হতে যন্ত্রপাতিসহ প্রয়োজনীয় জনবল শ্যামনগর উপজেলায় সাময়িকভাবে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। -

উন্নত জাতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার বিকল্প নেই: এসপি মনিরুজ্জামান
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : উন্নত জাতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা মানবিক মূল্যবোধ ও মেধা বিকাশের অন্যতম মাধ্যম। মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষে পুলিশকে তথ্য দিন ও পুলিশ কে সহযোগীতা করুন। মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, মাদক পরিবহনে নিয়োজিত ব্যক্তি, মাদক সংক্রান্তে অর্থ লেনদেনকরী, এবং মাদক ব্যবসায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী ব্যক্তিদের তথ্য দিন। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার (১৩ মে) সকালে সাতক্ষীরা জেলা রেফারী ফুটবল টুর্ণামেন্ট এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে এসব কথা বলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান।
“মাদককে না বলুন, খেলাধুলাকে হ্যাঁ বলুন” এই প্রতিপাদ্যে জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের আয়োজনে দিন ব্যাপি সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে জেলার ফুটবল রেফারিবৃন্দের অংশ গ্রহণে ৮ দলীয় নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বাবলা, জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ফিফা রেফারি তৈয়ব হাসান শামসুজ্জামান বাবু। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্ মোঃআমিনুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কালিগঞ্জ সার্কেল আমিনুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, ডিআইও-১ ইয়াসিন আলম চৌধুরী, দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলু আক্তার, কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রহমান, তালা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম রেজা প্রমুখ।
এসপি সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। শহীদ শেখ কামাল ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মানোন্নয়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতেন এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করাতেন। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন আজ এ পর্যন্ত আসতে পেরেছে। -

সাতক্ষীরার এসপির নির্দেশে ৬ বছর পর গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক:সাতক্ষীরা সদরের আলীপুরের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে ও সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুর রউফ। ২০০১ সালের নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে রউফ সন্ত্রাসী গটফাদার হিসেবে সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকার ইউনিয়নগুলিতে মুর্তিমান আতঙ্ক হিসসাবে আত্মপ্রকাশ করে।
সে সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনেকে আতঙ্কে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়। সাতক্ষীরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনী জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রউফের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী তৎপরতা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে তাকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান। পরবর্তীতে রউফের তৎপরতা ব্যাপক আকার ধারণ করে। সে সময় রউফ প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কুররুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর ভাষায় উষ্কানীমমূলক বক্তব্য দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।

জানা গেছে, বিএনপির রাজনীতি করেও রউফ বিএনপির আমলে কোনঠাসা হয়ে থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর এলাকায় তার প্রভাব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। নির্বাচিত হয় আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। একাধিক মামলার আসামী হয়ে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর পর গত শনিবার (৬ মে) রাতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায় সন্ত্রাসী গটফাদার রউফকে নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করে সদও থানা পুলিশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর অপারেশন ক্লিনহাটে প্রথম বারের মতো রউফ গ্রেপ্তার হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়ে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ডে থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় আব্দুর রউফ।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় এলে রউফ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিএনপির হয়ে স্বমূর্তিতে আত্মপ্রকাশ করে। ২০১৩ সালে সারাদেশ থেকে সাতক্ষীরাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালায় এই রউফের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা। বিএনপির আমলে সাতক্ষীরায় কোনঠাসা হয়ে থাকা রউফ পুনরায় ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। পরে ২০১৭ সালের ৬ মার্চ তাকে পুনরায় পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর থেকে দীর্ঘ ৬ বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মদদে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকেও এই সন্ত্রাসী গটফাদার রউফ। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকেও সে বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরধী কর্মকান্ড চালিয়ে গেছে। এমন কি গত বছরের শুরুতে কয়েকটি জনসভায় তিনি সাতক্ষীরাকে অচল কারার হুমকি দিলেও গ্রেপ্তার হয়নি।অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের নির্দেশনায় শনিবার (৬ মে) রাত ৯টার দিকে আলিপুর চেকপোস্ট এলাকার নিজ অফিস থেকে সন্ত্রাসী গটফাদার রউফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, আব্দুর রউফকে দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, আবদুর রউফ আলীপুর এলাকার সোনালী ফিলিং স্টেশনের সামনে অবস্থান করছে। এরপর পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা করে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী কোন অপশক্তিকে স্যার না দেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান স্যার। তারই নির্দেশে দেশবিরোধী শক্তিকে নির্মূল করতে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক ইসমাইল হোসেনের করা একটি নাশকতা মামলার আসামি হিসেবে আবদুর রউফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। -

এশিয়া কাপের নতুন প্রস্তাব দিল পিসিবি!
স্পোর্টস ডেস্ক
চলতি বছরের এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। আসরটি তারা ঘরের মাঠে আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয়নি ভারত। এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ‘হাইব্রিড পদ্ধতিতে’ এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব করে।
হাইব্রিড পদ্ধতি হলো অন্য দল পাকিস্তানে গিয়ে ম্যাচ খেলবে। ভারতের ম্যাচগুলো হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ওই প্রস্তাবেও এশিয়ান ক্রিকেট কমিটির (এসিসি) সদস্যরা সাড়া দেয়নি। ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা হাইব্রিড পদ্ধতিতে আপত্তি জানায়। এবার পিসিবি এশিয়া কাপ আয়োজনের বিষয়ে নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। সংবাদ মাধ্যম পাকিস্তান অবজারভার জানিয়েছে, পিসিবি দুই ধাপে এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব করেছে। প্রথম ধাপে ভারত বাদে অন্য দলগুলো পাকিস্তানে একটি করে রাউন্ড খেলবে। এরপর সব দল নিরপেক্ষ ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে। সেখানে ফাইনালসহ আসরের বাকি ম্যাচগুলো হবে। যদিও সেপ্টেম্বরে প্রচণ্ড গরমের কারণে আমিরাতে ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপ খেলা নিয়ে আপত্তি আছে কিছু ক্রিকেট বোর্ডের।
নামাজ শেঠি বলেছেন, ‘এশিয়া কাপে হাইব্রিড পদ্ধতি মানে ছাড় দেওয়া। কিন্তু আমরা তাতেও রাজি আছি। আমরা দুই ধাপে এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছি। গ্রুপ পর্বের চার ম্যাচ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। বাকিগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।’
এসিসি দ্রুতই বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ’র সঙ্গে বসে বিষয়টির সমাধান করবে বলে জানানো হয়েছে। এশিয়া কাপ আয়োজন ও বিশ্বকাপ খেলতে পাকিস্তানের ভারত সফর বিষয়ে আলোচনা করতে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি দুবাইয়ে ছিলেন। সেখান থেকে তিনি ইংল্যান্ড সফরে গেছেন।
এর আগে সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছিল, এশিয়া কাপ বাতিল হতে পারে। এশিয়া কাপের পরিবর্তে পাকিস্তান ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং ভারত পাঁচ দল নিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পাঁচ দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার থাকার সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল।
-

দুই তৃতীয়াংশ তরুণী কর্মক্ষেত্রে হয়রানির শিকার : জরিপ
বাসস ডেস্ক : শুক্রবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ব্রিটেনে কর্মক্ষেত্রে প্রতি তিনজন তরুণীর মধ্যে দুইজন যৌন হয়রানি, ধমক বা মৌখিক অপব্যবহারের সম্মুখীন হচ্ছেন।
তবে বেশিরভাগ ভুক্তভোগী ঘটনাগুলি এই ভয়ে রিপোর্ট করেন না যে তাদের বিশ্বাস করা হবে না বা এটি কাজের সম্পর্ক এবং ক্যারিয়ারের সম্ভাবনার ক্ষতি করতে পারে। ব্রিটেনের বহুমাত্রিক শ্রমিক সংগঠন ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস (টিইউসি) একথা জানিয়েছে।
শ্রমিকদের লাঞ্চনা ও হয়রানি থেকে রক্ষা করার লক্ষে নতুন আইনে পিছিয়ে না যাওয়ার জন্য ব্রিটেনের সরকারকে রাজি করানোর প্রচারণার অংশ হিসেবে তারা ফলাফল প্রকাশ করেছে।
১,০০০ জন মহিলার জরিপে, টিইউসি বলেছে যে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনটি কর্মক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনার রিপোর্ট করেছে। কিন্তু ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি দুই তৃতীয়াংশে পৌঁছেছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মক্ষেত্রে ঘটেছে তবে ফোন, ক্ষুদে বার্তা এবং ই-মেলের মাধ্যমে এবং সামাজিক যোগাযোগ বা ভার্চুয়াল মিটিং এর মাধ্যমেও ঘটেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটার পরিবর্তে সেগুলো প্রায়শই পুনরাবৃত্তি হয়েছিল।
টিইউসি বলেছে যে, কর্মীদের সুরক্ষার নতুন আইনটি শাসক রক্ষণশীল দলের কিছু আইনপ্রণেতা দ্বারা নাশকতা করা হচ্ছে।
টিইউসি’র সাধারণ সম্পাদক পল নওয়াক বলেছেন, ‘প্রত্যেক মহিলার যৌন হয়রানি থেকে নিরাপদ থাকা উচিত কিন্তু প্রতিদিন আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানির পরিমাণ সম্পর্কে গল্প শুনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জনসাধারণের মুখোমুখি চাকরিতে অনেক মহিলা যেমন খুচরা কর্মী এবং জিপি রিসেপশনিস্ট, গ্রাহক এবং রোগীদের কাছ থেকে নিয়মিত নির্যাতনের শিকার হন।’
‘আধুনিক কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি ও ধমকের কোনো স্থান নেই।’
সমীক্ষায়, দেখা গেছে প্রতি তিনজন নারীর মধ্যে একজনের কম যারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন,তারা তাদের নিয়োগ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। -

এসএসসি পরীক্ষা কোন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি : সমন্বয় কমিটির সভাপতি
ন্যাশনাল ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ পরিস্থিতিতে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নওয়া হয়নি। পরিস্থিতি অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর তপন কুমার সরকার বাসসকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আজ জারিকৃত এই নির্দেশনায় বলা হয়, ইতোমধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় “মোখা” আগামী ২/১ দিনের মধ্যে দেশের উপকুল অঞ্চলসহ সারা দেশে প্রবল বেগে অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সতর্কতামুলক সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে।
নির্দেশনায় এসএসসি ও সমমান চলমান থাকায় বোর্ডসমূহেরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ট্রেজারী, থানা ও পরীক্ষা কেন্দ্রে রক্ষিত পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল গোপনীয় মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সাথে সংরক্ষণ করার জন্য স্ব স্ব বোর্ডের নির্দেশনা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে এই বিষয়ে জরুরি প্রয়োজনীয ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়।


