ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শেষ হলো আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ^কাপের সুপার লিগ পর্ব।
সুপার লিগে সর্বোচ্চ রান করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাটিং তালিকা শীর্ষ দশের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
সুপার লিগে ২১ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ১৪৫৪ রান করেছেন বাবর। তার ব্যাটিং গড়- ৭৬.৫২ ও স্ট্রাইক রেট- ৯৩.৮৬। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৫৮ রান। ২০২১ সালের জুলাইয়ে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩৯ বলে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাবর।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টরের। ২৪ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১০৬২ রান করেন তিনি। বিশ^কাপ সুপার লিগে বাবর ও টেক্টর ছাড়া আর কোন ব্যাটারই ১ হাজার রান করতে পারেননি।
২৩ ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯৯১ রান করেছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং।
সুপার লিগে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন তামিম। ২৪ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭৮৩ রান নিয়ে তালিকায় সপ্তমস্থানে আছেন তামিম। তার ব্যাটিং গড়- ৩৪.০৪ ও স্ট্রাইক রেট- ৭৬.২৪। ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৭ বলে ১১২ রান তামিমের সর্বোচ্চ।
২১ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭৫৫ রান নিয়ে দশমস্থানে আছেন মুশফিক। ২০২১ সালের মে’তে মিরপুরে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১২৭ বলে সর্বোচ্চ ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন মুশি।
বিশ^কাপ সুপার লিগে শীর্ষ দশ ব্যাটার :
ব্যাটার ম্যাচ ইনিংস রান ১০০ ৫০
বাবর আজম (পাকিস্তান) ২১ ২১ ১৪৫৪ ৬ ৯
হ্যারি টেক্টর (আয়ারল্যান্ড) ২৪ ২৪ ১০৬২ ৩ ৭
পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড) ২৩ ২৩ ৯৯১ ৪ ৩
শাই হোপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ২০ ২০ ৮৫৫ ৩ ৪
ফখর জামান (পাকিস্তান) ১৯ ১৯ ৮২৭ ৪ ২
ইমাম উল হক (পাকিস্তান) ১৯ ১৯ ৮২২ ২ ৮
তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ) ২৪ ২৪ ৭৮৩ ১ ৬
স্কট এডওয়ার্ডস (নেদারল্যান্ডস) ২৪ ২৩ ৭৬৭ ০ ৮
টম লাথাম (নিউজিল্যান্ড) ২৩ ২০ ৭৫৯ ৩ ২
মুুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ) ২১ ২০ ৭৫৫ ১ ৫
Author: dakshinermashal
-

আইসিসি সুপার লিগ: সর্বোচ্চ রান বাবরের, শীর্ষ দশে বাংলাদেশের দু’জন
-

ক্রিকেটে তিন নিয়মে পরিবর্তন আনলো আইসিসি
ক্রীড়া ডেস্ক : প্লেয়িং কন্ডিশনে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। প্রধান নির্বাহি কমিটি সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বে পুরুষ ক্রিকেট কমিটি ও নারী ক্রিকেট কমিটি সুপারিশের পর প্লেয়িং কন্ডিশনে পরিবর্তন ঘোষনা করে আইসিসি।
প্লেয়িং কন্ডিশনের পরিবর্তনগুলো আগামী পহেলা জুন থেকে শুরু হওয়া ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড টেস্ট থেকে কার্যকর হবে। তিনটি নিয়ম হলো- সফট সিগন্যাল, হেলমেটস ও ফ্রি হিট।
সফট সিগন্যাল : কোন সফট সিগন্যাল দিতে হবে না অন ফিল্ড আম্পায়ারকে। টিভি আম্পায়ারের সাথে পরামর্শ করে সিদ্বান্ত জানাবেন অন ফিল্ড আম্পায়ার।
হেলমেটস : সবচেয়ে বেশি তিনটি ঝুঁকির কারনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হেলমেট পরিধান করা বাধ্যতামূলক করেছে আইসিসি।
১. যখন ব্যাটাররা পেস বোলারের বল মোকাবেলা করবেন।
২. যখন উইকেটের খুব কাছ থেকে উইকেটরক্ষক কিপিং করবেন এবং
৩. যখন কোন ফিল্ডার ব্যাটারের খুব কাছে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করবেন।
ফ্রি হিট : ফ্রি হিট থেকে স্টাম্পে বল লাগলে সেটি দলের রানে যুক্ত হবে। ফ্রি হিট থেকে অন্য সব রানও যুক্ত হবে।
এ বিষয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আগের ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে সফট সিগন্যাল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দীর্ঘ আলোচনার পর কমিটি এই সিদ্ধান্তে একমত হয়েছে, সফট সিগন্যাল অপ্রয়োজনীয় এবং মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিকরও, কারণ রিপ্লেতে ক্যাচের রেফারেলগুলো স্পষ্ট নাও হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সভায় আমরা খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেছি। যা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমিটি সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তিন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হেলমেট পড়া বাধ্যতামূলক করার। -

দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে : নেই কোন সতর্ক সংকেত
ডেস্ক রিপোর্ট : দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ডিমলায় সর্বোচ্চ ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া রাজারহাটে ২৪, চট্টগ্রামে ২৩, ময়মনসিংহে ২১ ও সন্দ্বীপে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে রাজশাহী জেলাসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহী ও মংলায় ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং আজ দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রাজারহাটে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিম বঙ্গ এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে।
ঢাকায় আজ পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে, যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।
ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৬ টা ৩৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে। -

শ্রম আইন সংশোধনে দ্রুত কাজ করছে সরকার : আইনমন্ত্রী
ন্যাশনার ডেস্ক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত গতিতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আইন সংশোধন একটি জটিল প্রক্রিয়া, বিশেষ করে শ্রম আইন যা ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে ঘটে থাকে। তাই এই আইন সংশোধনে যুক্তিসঙ্গত সময়ের প্রয়োজন।’
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে শ্রম আইন সংশোধন বিষয়ক টেকনিক্যাল নোট ও গ্লোবাল গুড প্রাকটিস নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা সভার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক শ্রমিকের কাজের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম মান বজায় রাখা এবং মৌলিক নীতি ও অধিকার অনুযায়ী শ্রম খাতকে উন্নত করার জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা নিয়ে কোনো অস্পষ্টতা নেই। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আইএলও গভর্নিং বডিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্বকালে বাংলাদেশের শ্রমের মান উন্নয়নে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা তিনি প্রতিবারই গভর্নিং বডির কাছে তুলে ধরেছেন বলেও জানান তিনি। শ্রম বিষয়ক আইনি কাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে এবং ইপিজেড শ্রম বিধিমালা জারি করা হয়েছে। শ্রম বিধিমালা সংশোধনের প্রথম রাউন্ডে বিশেষজ্ঞ কমিটির বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আগামীতেও তাদের পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো পুটিআইনেন, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশির কবির ও এনসিসিডব্লিউই’র সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বক্তৃতা করেন। -

ঢাকাই মসলিনকে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, ঢাকাই মসলিনকে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে।
তিনি বলেন, বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে মসলিনের স্বকীয়তা ঠিক রেখে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে এসে ব্যবহার উপযোগী করতে গবেষকদের সচেষ্ট থাকতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য মসলিন সুতা ও কাপড় পুনরুদ্ধার এবং এ খাতে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন ।
মন্ত্রী বলেন, ঐতিহ্যবাহী ঢাকাই মসলিন শাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া বেশ জটিল ও শ্রমসাধ্য কাজ। একটি মসলিন শাড়ী তৈরি করতে প্রথমে সুতা তৈরি করতে হয় এবং পরে বুনন কাজ চলে। একটি মাঝারি মানের মসলিন শাড়ি তৈরি করতে অনেক সময় লেগে যায়। ফলে শাড়ির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
একসময় সারা বিশ্বে এদেশের তৈরি ঢাকাই মসলিনের কদর ছিল- উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন কারণে প্রায় ১৭০ বছর পূর্বে এই গৌরবময় মসলিন হারিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী’র নির্দেশে ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ২০১৮ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সোনালী ঐতিহ্য ও বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ব্যাপক অনুসন্ধান ও গবেষণার মাধ্যমে মসলিনের কাঁচামাল ফুটি কার্পাস খুঁজে বের করা, ফুটি কার্পাসের চাষাবাদ, সুতা উৎপাদন, কারিগরদের দক্ষতা উন্নয়ন করে উন্নতমানের মসলিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে মসলিন সূতা তৈরির তুলার জাত উদঘাটন এবং তুলা দিয়ে সুতা তৈরিসহ মসলিন শাড়ী তৈরির প্রযুক্তি উন্মোচন করেছে।
তিনি বলেন, দেশের সাধারণ তাঁতীদের মাঝে এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে রূপগঞ্জের তারাবো পৌরসভায় ‘ঢাকাই মসলিন হাউজ’ স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, মসলিনের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) সনদ ও পেটেন্ট অর্জিত হওয়ায় দেশের ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পটি ‘জনপ্রশাসন পদক-২০২১’ লাভ করেছে।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ-এর সভাপত্বিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, বিজিএমইএ-এর প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং মসলিন সুতা ও কাপড় পুনরুদ্ধারের গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -

স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ মে
ন্যাশনাল ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে স্থগিত হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ২৭ ও ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসার মো: আবুল বাশার স্বাক্ষরিত আন্ত: শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
‘মোখা’র কারণে ১৪ ও ১৫ মে চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। -

সাতক্ষীরায় দুদুকের আয়োজনে সততা সংঘের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ ও শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি : “রুখবো দুর্নীতি গড়বো দেশ, হবে সোনার বাংলাদেশ” স্লোগানে খুলনা বিভাগের ২০ টি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সততা সংঘের সমাবেশ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শপথ পাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা বিভাগের পরিচালক মোঃ মঞ্জুর মোরশেদ’ র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মোঃ জহুরুল হক।
এসময় তিনি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সততা স্টোর’র মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য নিচ্ছে, টাকা দিচ্ছে। সততা স্টোরে কোন বিক্রেতা নেই। শিক্ষা জীবনে যদি এভাবে তারা সততার চর্চা করে তাহলে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে তারা সততা থেকে এক চুলও বিচ্যুতি হবে না।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ আতিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ আবুল কালাম বাবলা প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, জেলা কালচারাল অফিসার ফাইজা হোসেন অন্বেষা, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব শেখ মোসফিকুর রহমান মিল্টন, আব্দুর রব ওয়ার্ছী, শেখ তৌহিদুর রহমান ডাবলু, সাকিবুর রহমান বাবলা প্রমুখ।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা বিভাগের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ। -

সাতক্ষীরায় পরিবহনের ধাক্কায় মাছ ব্যবসায়ি গুরুতর জখম
নিজস্ব প্রতিনিধি : দ্রুতগামি পরিবহনের ধাক্কায় এক মাছ ব্যবসায়ি গুরুতর জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা- কলারোয়া সড়কের মা চম্পার দরগা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মাছ ব্যবসায়ির নাম আবুল বাসার (৫৭)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার থানাঘাটা গ্রামের মৃত মোকাদ্দেস আলীর ছেলে।
থানাঘাটা গ্রামের সুরাইয়া খাতুন জানান, তার বাবা আবুল বাসার তাকে মঙ্গলবার সাড়ে ৯টার দিকে লাবসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মা চম্পার দরগার পরবর্তী মোড়ে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা এসডি পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব- ১৩-২৪৭০) তার বাবার মটর সাইকেলে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে মার বাবার মটর সাইকেলটি পরিবহনের তলায় চলে যায়। বাবাও গুরুতর জখম হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতাল ও অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ- হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদুজ্জামান জানান, আবুল বাশারের মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মামুন হোসেন জানান, দুর্ঘটনা কবলিত পেিবহনটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে। -

সাতক্ষীরার বাইপাস সংলগ্ন নাটাতলায় কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায়
রঘুনাথ খাঁ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কবীর হোসেন মিলনসহ ৫জনের বিরুদ্ধে এক সপ্তাহ ধরে কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এতে শুধু বিলের রাস্তা হুমকির মুখে পড়েছে। একইসাথে কাঁচা রাস্তা ও বাইপাস সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত শতাধিক হল্লা গাড়ি মাটি বহনে নিয়োজিত থাকায় ঘটছে দুর্ঘটনা। বাতাসে ওড়া ধুলাবালিতে এলাকায় চলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাইপাস সংলগ্ন শুকুর আলীর এবিবি ভাটার পাশে নাটাতলা বিলে যেয়ে দেখা গেছে পাঁচটি এস্কেবেটর মেশিনে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কবির হোসেন মিলনের আড়াই বিঘা, আব্দুল বারীর দেড় বিঘাসহ পাঁচজনের সাড়ে ৮ বিঘা কৃষি জমির মাটি এক সপ্তাহ ধরে কাটা হচ্ছে। মাটি কেটে হল্লা গাড়ি ভরাট করে সরু কাঁচা রাস্তার উপর দিয়ে বাইপাস সড়ক হয়ে ঝড়ের গতিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুকুর আলীর এবিবি ভাটা, লিয়াকত হোসেনর বিবি ভাটা, জাফর আলীর এসবিএল ভাটা, ছিদ্দিক হাজীর গ্যারেজসহ বিভিন্ন ইটভাটায়। এ মাটি ব্যবহৃত হচ্ছে শহরের বিভিন্ন জলাশয় ভরাটের কাজে। বাইপাস সড়কের পাশে শুকুর আলীর ভাটার সন্নিকটে মাটি ব্যবসায়ি কাশেমপুরের আব্দুস সালাম, আলাউদ্দিন, আনারুল ইসলাম, খোকন, কুচপুকুরের রফিকুল ইসলাম, হল্লা গাড়ির ব্যবস্থাপক বাবুলিয়ার কামরুলসহ কয়েকজন কয়েকটি মটর সাইকেল পাশে নিয়ে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের গতিবিধির উপর নজর রাখছেন। শুকুর আলীর ভাটার নিকটবর্তী আব্দুল বারীর দোকানে বসে থাকা কামালনগরের সাইফুল ইসলাম, আজগার আলীর দোকানের খরিদ্দার লাবসার জনাব আলী ও সখিনা খাতুন, হাসানুরের দোকানে বসে থাকা কালিগঞ্জের বাজারগ্রামের গোশত ব্যবসায়ি ছোট নুন ও খোদেজা বিবি, এবং আতার দোকানে বসে থাকা শহরের কাটিয়ার আবেদুর রহমান জানান, হল্লা গাড়ি যেভাবে নাটাতলা বিলের মাটি ভাটায় নিয়ে যাচ্ছে তাতে বাতাসে ধুলোবালি উড়ে এখানে বসার অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। নাটাতলা বিলের কৃষক জামিরুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান, জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজন জানান, আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান একদিকে সরকারি অর্থায়নে বিলের কাঁচা রাস্তা সংস্কার করছেন, অপরদিকে তিনি তার কয়েকজন সহযোগি মহসিন হোসেনের ইজারা নেওয়া জমিতে বোরো ধান কাটার পরপরই মাটি বিক্রি করে দিয়েছেন মাটি ব্যবসায়িদের কাছে। চেয়ারম্যান নিজের জমি থেকে ১০ লাখ টাকার মাটি বিক্রি করেছেন শুকুর আলীর ভাটায়। কৃষি জমির মাটি কাটতে কাটতে এতে গভীর করা হচ্ছে যে বর্তমানে বালি উঠছে। ওই জমির পাশ দিয়ে থাকা কাঁচা রাস্তার বর্ষা শুরুতেই ভেঙে পড়বে। তাছাড়া কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হলে পরিবেশ বিপন্ন হবে। তাছাড়া বাইপাস সড়কের উপর দিয়ে হল্লা গাড়ির মাটি পড়ার পর সোমবার বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় বেশ কয়েকটি মটর সাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও চারজনকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে আবারো বৃষ্টি হলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে না। সব কিছু জেনে শুনেও তারা প্রভাবশালী আওয়ামী লীগম বিরোধী ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পারছেন না। অনতিবিলম্বে এ মাটি কাটা বন্ধ করা না হলে ওই এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। তবে বাবুলিয়ার কামরুল নাটাতলা বিলে মাটি বহনের কাজে শতাধিক হল্লা গাড়ির আয়োজন করে দিয়ে প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে দালালি নিচ্ছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, এসব ভূমি খাদকদের প্রতিহত করা দরকার।
এ ব্যাপারে আগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কবীর হোসেন মিলন মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রতিবেদককে বলেন, ভোট করতে যেয়ে ঋণগ্রস্ত হওয়া ও মায়ের হ্বজ্ব যাত্রার খরচের জন্য তিনি মাটি বিক্রি করেছেন। তিনিসহ দুটি গ্রুপে সাড়ে আট বিঘা জমির মাটি বিক্রি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাটি যেভাবে গভীর করে খনন করা হচ্ছে তাতে কিছু কাঁচা রাস্তা ক্ষতি হতে পারে। নষ্ট হতে পারে পরিবেশ। বিষয়টি নিয়ে তিনি চিন্তিত।
এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা শাখার উপপরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, শুকুর আলীর ভাটা এলাকায় কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধে ইতিপূর্বে সাইন বোর্ড লাগানো ছিল। তবে এখন মাটি কাটা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, বিষয়টি নিয়ে নির্ধারিত জায়গা উল্লেখ করে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে কাজ করতে সুবিধা হয়। সাধারণ মানুষ ভয় পেলেও সাংবাদিকরাও অভিযোগ দিতে পারেন। তবে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। -

সাতক্ষীরায় ধানের বস্তা ভর্তি ট্রাকের উপর শ্রমিক বহনকারি ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ও ২৩ জন জখম
নিজস্ব প্রতিনিধি : ধানের বস্তা ভর্তি ট্রাকের উপর শ্রমিক বহনকারি ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ও ২৩ জন জখম হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন কুমিরা মহিলা কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের মন্টু হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (৩৫) ও একই উপজেলার জয়নগর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৬)।
আহতরা হলেন, শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী বাবুর্চি ফরিদা খাতুন (৫৪), একই গ্রামের আনারুল মোড়লের ছেলে আরাফাত হুসাইন মিঠু(২১), একই গ্রামের আব্দুর জব্বারের ছেলে শ্রমিক সর্দার এশার আলী (৪৫), হযরত আলীর ছেলে ইয়াছিন আলী (৩৫), মোকছেদ আলী তরফদারের ছেলে আব্দুস সাত্তার(৩৪) সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে শুকুর আলী (৫২), একই উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ট্রাকের হেলপার ইমনসহ (১৯) ২৩জন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের আনারুল মোড়লের ছেলে আরাফাত হুসাইন মিঠু(২১) জানান, তিনি ও তার দুলাভাই একই গ্রামের সুমন হোসেনসহ ২৪জন শ্রমিক গত ২৬ এপ্রিল শরিয়তপুর জেলার লক্ষীপুরা এলাকার ভজেশ্বর বাজারের পাশে মুজিবর মোড়ল ও শন ফকিরের ধান কাটতে যান। কাজ শেষে সোমবার সন্ধ্যায় তারা ২৪৫ বস্তা ধান নিয়ে সাতক্ষীরা শহরতলীর কাশেমপুরের সাগর হোসেনের ট্রাকে (ঢাকা মেট্রো-চ-১১-০৪৭৫) বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। রাতে ঘুমের ঘোরে পড়ে যাওয়া রোধে ধানের বস্তার উপরে থাকা ১৯ জন শ্রমিককে মশারির নেট দিয়ে কোমরের সঙ্গে ট্রাকের ডালায় বাঁধা অবস্থায় রাখা হয়। টুঙ্গিতে এসে তারা রাতের খাবার খান। মঙ্গলবার ভোরে ট্রাকটি যশোরের চুকনগর পৌঁছালে চালক সাগর হেলপার কাশেমপুর গ্রামের আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে ইমনকে চালাতে বলেন। এ সময় ইমন বাজেভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল। বিষয়টি চালক সাগরকে বলার পরও তিনি কথা শোনেননি। একপর্যায়ে গাড়িটি পাটকেলঘাটা এলাকায় কুমিরা মহিলা কলেজের সামনে রাস্তার বাম দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে তার দুলা ভাই সুমনসহ ধানের বস্তার উপর ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা ১৯জন শ্রমিক ধানের বস্তা ও ট্রাকের নীচে চাপা পড়েন। কেবিনের মধ্যে বসে থাকা তিনি ও বাউচি কাশিমাড়ি গ্রামের ফরিদা খাতুন (৫৪) ও চালকের আসনে থাকা হেলপার ইমনসহ ছয়জন জখম হন। ডালা খুলে চালক সাগর পালিয়ে যায়। এ সময় ধানের বস্তার নীচে ও ট্রাকের নীচে চাপা পড়ে তার দুলাভাই সুমন মারা যায়। ফায়ার ব্রিগেড খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হোসেন মারা যান।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ রাশেদুজ্জামান জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন ও ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে হেলপার ইমন, জাহিদুরসহ ৫ জনের জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহামুদুর রহমান শ্রমিকবাহি ট্রাক উল্টে দ্ইুজনের মৃত্যু ও ২৩ জন জখম হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের চিকিৎসা চলছে। নিহতদের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে।দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়েছে। -

পলাশপোলে জেলা তথ্য অফিসের উন্মুক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি : জেলা তথ্য অফিস, সাতক্ষীরার আয়োজনে ১৬ মে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা পৌরসভার পলাশপোলে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির এপ্রিল-জুন-২০২৩ কোয়ার্টারের আওতায় উন্মুক্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা তথ্য অফিসার মোঃ জাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন অফিস, জনাব পুলক চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি হিসিবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার, ফাতেমা জোহরা, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা, সাদ্দাম হোসেন, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী, সহকারি তথ্য অফিসার, মিসেস লতিফুন নাহার, সহকারি শিক্ষক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোছা: শামীমা খাতুন প্রমুখ। মোঃ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় উন্মুক্ত বৈঠক অনুষ্ঠানে প্রায় ৮০ জন নারী অংশগ্রহণ করেন।
-

তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনেই দু’পক্ষের হাতাহাতি: নিয়ন্ত্রণে পুলিশ
বিশেষ প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনির কুঁন্দুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনেই দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১২টায় উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা পূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , আশাশুনির কুঁন্দুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবিতা বিশ্বাস দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের পুকুরের মাছ বিক্রি, বিদ্যালয়ের এস.এম. সি কমিটি হাইকোর্ট থেকে বাতিল হওয়া সত্ত্বেও পুরাতন কমিটিকে নিয়ে মিটিং করা, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কাজ যথাযথ ভাবে না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) বেলা ১২টায় যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে কুঁন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে তদন্ত করার নির্দেশনা দেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধহাটা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মতিয়ার রহমান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বলতে থাকেন আজ স্কুলের এই অবস্থা শুধু মাত্র সাবেক প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা খাতুনের কারণে। দূর্নীতির দায়ে মুর্শিদা খাতুন বহিষ্কার হয়েছেন। একথা বলতেই মুর্শিদা খাতুনের সমর্থকেরা তাদের উপর চড়াও হন। এর পরপরই দূর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃত প্রধান শিক্ষক মুর্শিদা খাতুন ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কবিতা বিশ্বাসের সমর্থকেরা বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু, আশাশুনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি ও তদন্ত কর্মকর্তা যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুস সালামের সামনেই তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তবে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেননি বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু।
আশাশুনি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি জানান, স্কুলের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারি না তবে পুকুরের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা সৃষ্টি করলে সেটি আমি জনপ্রতিনিধি হয়ে মেনে নেবনা। পুকুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখানে তদন্ত কমিটি এসেছে। ইতিমধ্য এই পুকুরটি বাধানোর জন্য একটি বড় প্রজেক্ট এসেছে। আমি, বুধহাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হাসান ডাবলু ও এই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমরা এই তিনজন সিদ্ধান্ত নিয়ে পুকুরের স্বল্প পানি নিষ্কাশন করে শুকানোর ব্যবস্থা করি। ঠিকাদার আমাকে জানান এই কাজ দ্রুত শুরু না করলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। কাজেই আমি ইতিপূর্বে এই স্কুলের একটি নতুন ভবন হওয়ার কথা থাকলেও স্কুলের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির ভিতর দন্ধ থাকায় ভবনটি হয়নি।
বুধহাটা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শিহাব উদ্দিন জানান, হাতাহাতির খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক অবস্থায় রয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা ও যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুস সালাম বলেন, তদন্তের জন্য আমি এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলছিলাম, একপর্যায়ে তারা নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এখনো তদন্ত শেষ হয়নি, একারণে আর কিছু বলতে পারছি না। -

সেন্টমার্টিনের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড
অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা। এরই মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষজন।
রবিবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘সাবরাং ইউনিয়ন, সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গেছে। কিছু ঘরবাড়ি পুরোপুরি, কিছু আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও বাতাস বইছে, কোথাও কোথাও গাছপালা ও কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে গেছে। তবে জলোচ্ছ্বাস হয়নি।
এর আগে বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিকাল ৩টার দিকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড়টি। এতে ওসব এলাকার ঘরবাড়ি ও গাছপালাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ভেঙে গেছে। তবে আঘাতের পর বড় বিপদের শঙ্কা কেটে গেছে। যা ক্ষতি হয়েছে, এর চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।’
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের সাবরাং ইউনিয়নের সদস্য (মেম্বার) আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার পুরো এলাকা নাফ নদ ঘেঁষা। এখানে ছয় শতাধিক ঘরবাড়ি। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে চার শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় হাজার মানুষজন আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারি সহায়তা দরকার।’
নাফ নদ তীরবর্তী জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা চম্পা বেগম বলেন, ‘ঝোড়ো বাতাস শুরু হওয়ার পর পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাই। ঝড় শেষে ফিরে দেখি, ঘরবাড়ি তছনছ। আশপাশের সবার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এখন কোথায় আশ্রয় নেবো বুঝতে পারছি না।’
একই পাড়ার বাসিন্দা মো. আমিন বলেন, ‘এ রকম ঝোড়ো বাতাস আগে কখনও দেখিনি। পাড়ার সবাই আতঙ্কে ছিলাম, আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদে ছিলাম। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তবে পাড়ায় ফিরে দেখি, নিজেদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। অনেকের ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। এখন নিরুপায় হয়ে বসে আছি।’
ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘জেলার ১০ হাজার ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এর মধ্যে দুই শতাধিক আংশিক, বাকিগুলো পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেন্টমার্টিন। এই দ্বীপের ১২০০ ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হলেও এখন পর্যন্ত নিহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি এলাকা ঘুরে বাংলা ট্রিবিউনের টেকনাফ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন, টেকনাফ সদর, পৌর এলাকা, সাবরাং, ডেইলপাড়া, জাদিমুড়া, কোনারপাড়া ও গলাচিপা এলাকায় প্রচুর গাছপালা এবং ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। উড়ে গেছে ঘরের চাল। এসব এলাকার মানুষকে সড়ক থেকে গাছ সরাতে দেখা গেছে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, এখনও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঝোড়ো বাতাস বইছে। মাঝেরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, দক্ষিণপাড়া, পশ্চিমপাড়া ও উত্তরপাড়ার বাড়িঘর এবং গাছপালা ভেঙে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে সেন্টমার্টিন উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘরবাড়ি ভেঙেছে ও গাছপালা উপড়ে গেছে।’
ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা ১২ শতাধিক উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এসব ঘরবাড়ির কয়েক হাজার বাসিন্দা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। আপাতত তারা আশ্রয়কেন্দ্রে থাকবেন, ঘরবাড়ি মেরামতের পর নিজেদের ঘরে উঠতে পারবেন।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চেয়ারম্যান মুজিবুর বলেন, ‘অন্তত ১৮০০ গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আহত এক নারী সেন্টমার্টিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানে সেন্টমার্টিনে ঝোড়ো বাতাসের গতি কমেছে। হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।’
জেলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিকাল ৩টার দিকে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে গতিপথ বদলে মিয়ানমারের দিকে চলে গেছে ঘূর্ণিঝড়টি। এখন ভয়ের কিছু নেই। আঘাতের প্রভাবে ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। এটি দুর্বল হয়ে পড়ায় প্রভাব কমে গেছে।’
-

থাইল্যান্ডে নির্বাচন
দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পাবে ফেউ থাই ও মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি: জরিপ
অনলাইন ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। দ্য নেশন পত্রিকার বুথফেরত জরিপ অনুসারে, ফেউ থাই ও মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি মোট ভোটের দুই-তৃতীয়াংশ পেয়ে জয় লাভ করবে।
দ্য নেশন পত্রিকা বলছে, ফেউ থাই ও মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে। খবর আল-জাজিরার
ফেউ থাই ৪০০ আসনের মধ্যে সরাসরি ৩২ শতাংশ আসনে জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি জিতবে ২৯ শতাংশ আসনে।
অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট পার্টি ১০ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে থাকবে বলে জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে থাকবে ওচা’র ইউনাইটেড থাই নেশন।
তাছাড়া, অন্য জনমত জরিপেও এগিয়ে আছে ফেউ থাই পার্টি। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা এখন দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ৩৬ বছর বয়সী পেতংতার্ন তার বাবার সমর্থকদের ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। থাইল্যান্ডের গ্রামীণ ও নিম্ন আয়ের অঞ্চলগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে ভোটের প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, ৪২ বছর বয়সী সাবেক প্রযুক্তি নির্বাহী পিটা লিমজারোয়েনরাতের নেতৃত্বাধীন মুভ ফরোয়ার্ড পার্টিও জনমত জরিপে ভালো অবস্থানে রয়েছে। দলটির তরুণ, প্রগতিশীল ও দৃঢ় মনোবলের প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় খুব সাধারণ; কিন্তু শক্তিশালী একটি বার্তা দিয়েছেন। এটি হলো, ‘থাইল্যান্ডে পরিবর্তন প্রয়োজন’।
এবারের নির্বাচনে প্রায় ৭০টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তবে অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না।
-

তামিমের হাফ-সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭৪ রান
ক্রীড়া ডেস্ক : অধিনায়ক তামিম ইকবালের হাফ-সেঞ্চুরিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান করেছে বাংলাদেশ। তামিম করেন ৬৯ রান। এ ছাড়া মুশফিকুর রহিম ৪৫ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৭ রান করেন।
ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে থেকে একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনে মাঠে নামে টাইগাররা। আঙুলের ইনজুরিতে এ ম্যাচে নেই সাকিব আল হাসান। সাকিবসহ শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের জায়গায় একাদশে সুযোগ হয়েছে রনি তালুকদার, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি ও মুস্তাফিজুর রহমানের। এরমধ্যে ওয়ানডেতে অভিষেক হয়েছে রনি ও মৃত্যুঞ্জয়ের।
অধিনায়ক তামিমের সাথে ইনিংস শুরু করে প্রথম ১১ বলে রান নিতে পারেননি রনি। ১২তম বলে বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুলেন রনি। পরের ডেলিভারিতেই মার্ক অ্যাডায়ারের বলে আউট হন ৪ রান করা রনি।
দ্বিতীয় উইকেটে দ্রুত রান তুলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত ও তামিম। দলের রান হাফ-সেঞ্চুরি পার করলেও ১ রানের জন্য জুটিতে অর্ধশতক করতে পারেননি তামিম-শান্ত। ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে দ্বিতীয় স্লিপে অ্যান্ড্রু বলবির্নিকে ক্যাচ দেন ৭টি চারে ৩২ বলে ৩৫ রান করা শান্ত। জুটিতে ৪৪ বলে ৪৯ রান উঠে।
শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নিয়মিত ওপেনার লিটন। তামিমের সাথে বড় জুটি গড়ার চেষ্টায় সফল হন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত চার নম্বরে নামা লিটন। জমে উঠা জুটিতে আসে অর্ধশতকও। কিন্তু জুটিতে ৭০ রান আসার পর বিচ্ছিন্ন হন তামিম-লিটন। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের বলে মিড অফের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে অ্যাডায়ারকে ক্যাচ দেন লিটন। ৩৯ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় য়ে ৩৫ রান করেন তিনি।
লিটনের বিদায়ের পর নয় ইনিংস পর ৬১ বলে ওয়ানডেতে ৫৬তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। অধিনায়কের হাফ-সেঞ্চুরির পর দ্রুত বিদায় নেন আগের ম্যাচে ৬৮ রানের ইনিংস খেলা তৌহিদ হৃদয়। এবার ১৩ রান করেন তিনি।
বড় ইনিংসের আভাস দিয়ে ৬৯ রানে আউট হন তামিম। জর্জ ডকরেলে বলে উইকেট ছেড়ে ছক্কা মারতে গিয়ে শর্ট থার্ডম্যানে ইয়ংয়ের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৬টি চারে ৮২ বলে ৬৯ রান করেন তামিম।
৩৪তম ওভারে দলীয় ১৮৬ রানে তামিমের আউটের পর ইনফর্ম মুশফিকুর রহিমের সাথে দারুন এক জুটি গড়েন মেহেদি হাসান মিরাজ। দু’জনের হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে বাংলাদেশের রান আড়াইশ পার হয়।
হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৬তম ওভারে ম্যাকব্রিনের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর আউট হন মুশফিক। রিভিউ নিলেও, আম্পায়ার্স কলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় বাংলাদেশের এই নির্ভরযোগ্য ব্যাটারকে। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৪ বলে ৪৫ রান করেন মুশফিক। ষষ্ঠ উইকেটে মিরাজের সাথে ৭২ বলে ৭৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিক।
দলীয় ২৬১ রানে মুশফিকের বিদায়ে বাংলাদেশের ইনিংস ফিনিংশ করার দায়িত্ব পান মিরাজ। কিন্তু পরের ওভারে অ্যাডায়ারের বলে ফিরেন ৩টি চারে ৩৯ বলে ৩৭ রান করা মিরাজ।
৭ বলের ব্যবধানে মুশফিক-মিরাজ আউটের পর লোয়ার-অর্ডারে শেষ ৩ উইকেটে মাত্র ৯ রান আসে। ৭ বল বাকী থাকতে ২৭৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের অ্যাডায়ার ৪০ রানে ৪টি, ম্যাকব্রিন-ডকরেল ২টি করে উইকেট নেন। -

বিশ্ব মা দিবস মা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে মায়েদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি : যথাযথ মর্যাদা ও বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় মা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা বাঁধনডাঙ্গা ছরিমননেছা আল মদিনা জামে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। নুনগোলা জামে মসজিদের সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী শেখ আব্দুল আহাদ এর সভাপতিত্বে মায়েদের হাতে শাড়ী তুলে দেন মা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাতক্ষীরা পৌর শাখার সভাপতি মো. মমিনুর রহমান মুকুল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মা ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান বলেন, মা শব্দটি ছোট হলেও এর তাৎপর্য ও মহত্ব অনেক বেশি। মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত। এ কথা মাথায় রেখেই আমার মায়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে আমি মা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। বিশ্ব মা দিবসে আমি পৃথিবীর সকল মায়েদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। হে আল্লাহ তুমি আমার মাসহ পৃথিবীর সকল মায়েদেরকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। শাড়ি বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, বিশিষ্ট সমাজসেবক এনামুল কবির, মো. আব্দুল জলিল, ছরিমুন্নেছা আল মদিনা জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নজরুল ইসলাম, আব্দুস সামাদ মাস্টার, আলহাজ্ব সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। দোয়া অনুষ্ঠানের পূর্বে মসজিদ প্রাঙ্গণে অসহায় মায়েদের মাঝে বস্ত্র বিতরন করা হয়। বিশ্ব মা দিবসে সকল মায়েদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও পৃথিবীর সকল মায়েদের জন্য জান্নাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় মা ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
-

আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখ ছাড়িয়েছে : এনামুর রহমান
ন্যাশনার ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, এবারের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে ভালো। মোখায় আশ্রিত মানুষ ৭ লাখ ছাড়িয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলায় ১ হাজার চব্বিশটি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ , কক্সবাজার জেলায় ৫৭৬ টি কেন্দ্রে ২ লাখের অধিক এবং সেন্টমার্টিনে সাড়ে আট হাজার লোককে ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
এছাড়া কুতুবদিয়া, সন্দীপ এবং নোয়াখালীর কিছু অংশের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নেই। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে পেরেছি।
এনামুর রহমান বলেন, বর্তমানে ভাটা শুরু হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা নাই। এখন ৬৫ কিমি বেগে ঘূর্ণিঝড় অগ্রসর হচ্ছে। কেন্দ্রে গতিবেগ ২২০ কিমি।
তিনি বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রসহ সব রকমের প্রস্তুতি নেয়া আছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, সুপেয় পানি, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও নগদ টাকা পাঠানো আছে। এছাড়া মহাবিপদ সংকেত ঘোষণার পর সৈকত খালি করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ লাখ টাকা নগদ দিয়েছি। ২০০ মেট্রিক টন চাল, ১৪ মেট্রিক টন ড্রাই কেক এবং টোস্ট দিয়েছি। এর সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, খাবার স্যালাইন এবং মেডিকেল টিমের ব্যবস্থা করা হয়েছিল যারা ডিউটি করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, যারা পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে ছিলেন তাদেরকেও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রস্তুতির সময় বেশি পাওয়ায় ব্যবস্থাপনা সুন্দর হয়েছে। ৭ তারিখ থেকে কার্যক্রম শুরু করেছি।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজারে একটি কেন্দ্রে পানি ছিলো না বলে জেনেছি। সেখানে মিনারেল ওয়াটার দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্রের পরিস্থিতি সন্তোষজনক।

