Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 395 of 398

Author: dakshinermashal

  • রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি

    রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে নতুন সার্চ কমিটি সব রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চেয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়া প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সার্চ কমিটির কাছে নাম জমা দিতে হবে।

    শনিবার সুপ্রিম কোর্ট ভবনের জাজেস লাউঞ্জে কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, যে ৩১টি দল সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের ৩১ জানুয়ারি বেলা ১১টার মধ্যে ৫টি করে নাম প্রস্তাব করতে বলা হয়েছে।

    শফিউল আলম বলেন, আহ্বায়কের সম্মতির পর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেব আমরা। আশা করি, ১০ কার্যদিবসের (৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যেই সব কার্যক্রম শেষ হবে; ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন কমিশন হবে।

    এ ছাড়া নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে মতামত নেয়ার জন্য আগামী সোমবার বিকেল ৪টা সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে বসবেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে এই সার্চ কমিটি গঠন করে ১০ কার্যদিবসের মধ্য নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য নাম প্রস্তাবের দায়িত্ব দেন। তাদের সুপারিশ থেকেই অনধিক ৫ সদস্েযর ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

    কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।

    নিয়ম অনুযায়ী, ৬ জনের এই কমিটির তিনজন উপস্থিত থাকলেই বৈঠক করা যায়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এই কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে।

     

  • ‘জাতিসংঘের চিঠি ফলপ্রসূ হবে না’

    ‘জাতিসংঘের চিঠি ফলপ্রসূ হবে না’

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্য বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া জাতিসংঘের চিঠি ফলপ্রসূ হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলা চন্দ্রিমা উদ্যানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্য জাতিসংঘ বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। অতীতেও তারা চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ছে। তবে এবার সার্চ কমিটি গঠনের আগে চিঠি দিলে ফলপ্রসূ হত।

    মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঘোষিত সার্চ কমিটির প্রতিটি ব্যক্তির নিরপেক্ষতা নিয়ে আমাদের সন্দেহ হয়েছে। সুতরাং এ কমিটির কাছে আমাদের নতুন কোন আশা ও প্রত্যাশা নেই। এবং খুব বেশী আশাও আমরা দেখছি না।

    রাষ্ট্রপতি জনগণের আশা- আকাঙ্খা পূরণ করতে পারেননি দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের ও জনগণের আশা ছিল রাষ্ট্রপতি নিরপেক্ষ সার্চ কমিটি গঠন করবেন। কিন্তু সেটা হয়নি। এতে আসরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ। সুতরাং এ সার্চ কমিটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনও গঠন করতে পারবে না।

    এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত সংগঠনের নবনির্বাচিত কমিটি পুষ্পমাল্য অর্পন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

     

     

  • সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন

    সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ২ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে হরতালের সময় শাহবাগে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সাংবাদিকরা। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি কারওয়ান বাজারে সার্ক ফোয়ারায় সাংবাদিকদের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

    গত বৃহস্পতিবার শাহবাগে এটিএন নিউজের দুই সাংবাদিককে নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ শনিবার শাহবাগে সাংবাদিকদের এক মানববন্ধন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

    শাহবাগে মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার চাই। নামকাওয়াস্তে বরখাস্ত নয়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

    এটিএন নিউজের ওই দুই সাংবাদিককে মারধরের প্রতিবাদে শনিবার শাহবাগে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন। এতে সব ধরনের গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে রাজধানীতে হরতালপালনকারী ২ জনকে আটক করে পুলিশ। এই ফুটেজ নেয়ার সময় এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন আব্দুল আলীম ও রিপোর্টার এহসান বিন দিদারকে শাহবাগ থানার সামনে মারধর করে পুলিশের ১৫-২০ জন সদস্য। এই ঘটনার পর শাহবাগ এএসআই এরশাদ মণ্ডলকে চিহ্নিত করে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সাংবাদিকদের মারধরের অভিযোগ আমলে নিয়েছে পুলিশ।

  • যুক্তরাষ্ট্রে সিরীয় শরণার্থী প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

    যুক্তরাষ্ট্রে সিরীয় শরণার্থী প্রবেশে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন সীমিত করতে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এই আদেশ অনুসারে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সিরীয় শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

    শুক্রবার একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ভবিষ্যতে সিরীয় শরণার্থীদের মধ্যে খ্রিস্টানদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। পেন্টাগনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেন জেমস ম্যাটিসের শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর ট্রাম্প ওই নির্বাহী আদেশে সই করেন।

    বিবিসির খবরে জানা যায়, অভিবাসন বিষয়ক এসব নতুন পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণ কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্য বাতিল করা, তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন না আনা পর্যন্ত সিরীয় শরণার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, ইরাক, সিরিয়া এবং ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত দেশগুলোর শরণার্থীদের প্রবেশে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা।

    শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসীদের দূরে রাখতে তিনি অভিবাসন বিষয়ে নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। স্বাক্ষর করার কয়েক ঘণ্টা পরে নির্বাহী আদেশটি প্রকাশিত হয়।

    ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, আমরা আমাদের দেশে কেবল তাদেরই চাই যারা আমাদের দেশের জন্য কাজ করবে এবং আমাদের গভীরভাবে ভালোবাসবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে জে. জেমস ম্যাটিসের শপথ নেয়ার পর এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প।

    উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি এবং ডেমোক্রেটরা ট্রাম্পের এ নির্বাহী আদেশের সমালোচনা করেছেন।

  • ঘনিয়ে আসছে কেয়ামত

    ঘনিয়ে আসছে কেয়ামত

    এসবনিউিজ ডস্কে : র্ধমীয় বশ্বিাসরে সইে কয়োমত না হলওে এই পৃথবিী ধ্বংসরে কতটা কাছাকাছি যায় বা ফরিে আস,ে তা প্রতীকীভাবে তুলে ধরতে যে ‘ডুমসডে ক্লক’ চালু করনে একদল বজ্ঞিানী, তার কাঁটা ৬৪ বছররে মধ্যে এখনই চরম ক্ষণরে সবচয়েে কাছাকাছ।ি

    ২০১৫ সালরে ঘটনাবলরি পরপ্রিক্ষেতিে যুক্তরাষ্ট্ররে শকিাগো ইউনভর্িাসটিতিে দয়োলে স্থাপতি ঘড়টিরি কাঁটা ৩০ সকেন্ডে এগয়িে আনা হয়ছে।ে এখন চরম সময় র্অথাৎ মধ্যসরাতরে আড়াই মনিটি আগে রয়ছেে কাঁটাটরি অবস্থান।

    এই পদক্ষপেরে জন্যা যুক্তরাষ্ট্ররে নতুন প্রসেডিন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পরে গত বছরজুড়ে বভিন্নি বষিয়ে উদ্বগেজনক বক্তব্যকে মূল কারণ দখেয়িছেে ঘড়টিরি দখেভালকারী দি বুলটেনি অফ দি অ্যা টমকি সায়ন্সেসে (বপিএি)।

    বপিএি প্রধানর্ যা চলে ব্রসনান এক ববিৃততিে উত্তজেনা এড়য়িে শান্ত থাকার জন্য  বশ্বিনতোদরে প্রতি আহ্বান জানয়িছেনে, যাতে যুদ্ধ এড়ানো যায়।

    মানুষরে র্কাযকলাপ পৃথবিীর অস্তত্বিকে কতটা ঝুঁকপর্িূণ করে তুলছ,ে সে বষিয়ে সচতেনতা তরৈরি লক্ষ্যে ১৯৪৭ সালে এই ‘ডুমসডে ক্লক’ স্থাপন করনে বশ্বিরে প্রথম পরমাণু বোমা তরৈতিে ভূমকিা রাখা একদল বজ্ঞিানী।

    স্নায়ুযুদ্ধ শুরুর পর ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজনে বোমা ফাটালে এই ঘড়রি কাঁটা চরম সময়রে দুই মনিটি আগে আনা হয়। তা দয়িে বোঝানো হয়ছেলি, পৃথবিী চরম সঙ্কটে রয়ছে।ে

    ডুমসডে ক্লকরে কাঁটার পরর্বিতন হচ্ছে যভোবে

    এরপর নানা ঘটনায় বভিন্নি সময়ে আগ-পছিু করে ২০১৫ সালে ঘড়রি কাঁটাটি ১৯৫৩ সালরে অবস্থানরে চয়েে এক মনিটি (চরম সময় মধ্যডরাতরে চয়েে তনি মনিটি) পছিয়িে অবস্থান নয়ে।

    তারপর দুই বছর ওই অবস্থানইে ছলি কাঁটাট,ি ২০১৭ সালে এসে কাঁটাটি ৩০ সকেন্ডে এগয়িে আনা হল। ৬৪ বছররে মধ্যে  চরম সময়রে এত কাছে কখনও আসনেি এই কাঁটা।

    বপিএির ববিৃততিে বলা হয়, গত বছরজুড়ে পরমাণু অস্ত্র বাড়াতে এবং বশ্বৈকি জলবায়ু পরর্বিতন নয়িে ট্রাম্পরে বর্তিকতি নানা বক্তব্যযের কারণে ‘ডুমসডে ক্লকরে’ কাঁটা এগয়িে আনতে হয়ছে।ে

    তবে কাঁটাটি পুরো এক মনিটি না এগয়িে তার র্অধকে এগয়িে আনার কারণ ব্যাখ্যাা করে বপিএি বলছে,ে ট্রাম্প যহেতেু মাত্রই ক্ষমতায় বসছেনে এবং তার প্রশাসন এখনও সাজানন,ি তাই পরস্থিতিি র্পযবক্ষেণ করা হচ্ছ।ে

    ট্রাম্পরে পাশাপাশি ইরানরে পরমাণু চুক্তরি ভবষ্যিৎ নয়িে অনশ্চিয়তা, সাইবার নরিাপত্তায় হুমকি এবং ভুয়া সংবাদ সরবরাহরে প্রবণতা বড়েে যাওয়াকওে ঘড়টিরি কাঁটা এগয়িে আনার ক্ষত্রেে ভূমকিা রখেছে।ে

    সারাবশ্বি থকেে পর্দাথবদি ও পরবিশে বজ্ঞিানীদরে একটি দল নয়িে গঠতি বপিএির ‘র্বোড অব স্পন্সর’, যার মধ্যে ১৫ জন নোবলেবজিয়ী রয়ছেনে। এই র্বোডরে সদস্যদরে সদ্ধিান্তে ঘড়টিরি কাঁটা আগ-পছি করা হয়।

    দ্বতিীয় বশ্বিযুদ্ধরে পর ১৯৪৭ সালে যখন চালুর সময় চরম সময়রে সাত মনিটি আগে ঘড়টিরি কাঁটা স্থরি রাখা হয়ছেলি। তারপর রুশ-র্মাকনি উত্তজেনার কারণে কাঁটাটি এগোচ্ছলি। ছয় বছর পর যুক্তরাষ্ট্র হাইড্রোজনে বোমা ফাটালে এক লাফে কাঁটাটি চলে আসে চরম ক্ষণরে দুই মনিটিরে মধ্য।ে

    এই র্পযন্ত ২২ বার কাঁটাটি স্থান পরর্বিতন করছে।ে সোভয়িতে পতন ও র্জামানরি পুনরকেত্রীকরণরে পর ১৯৯১ সালে কাঁটাটি সরে যায় চরম সময়রে চয়েে ১৭ মনিটি পছেন।ে র্অথাৎ ওই সময়টইি বশ্বিরে ঝুঁকি কমে আসছলি।

    তবে তারপর থকেে ‘ডুমসডে ক্লকরে’ কাঁটা আবার এগোতে শুরু করে এবং এখন তা আবার ১৯৫৩ সালরে কাছাকাছতিে গয়িে ঠকেছে।ে

  • আপনার জীবন বদলে যাবে

    আপনার জীবন বদলে যাবে

    এসবিনিউজ ডেস্ক : জীবনে সমস্যা কার না রয়েছে? বাস্তু-মতে, যাবতীয় সমস্যার উৎসে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের নেগেটিভ এনার্জি। এই অশুভ শক্তিই ছোট থেকে বড় নানা সমস্যা তৈরি করে আপনার জীবনে। এই সব সমস্যার সহজ সমাধানের কথাও জানায় বাস্তু।

    বাস্তু-মতে, বিছানাই হল সেই জায়গা যেখানে মানুষ একটা লম্বা সময় স্থির হয়ে থাকে। এই কারণে বিছানাই বাস্তু-নির্দেশিত ক্রিয়াগুলি করার উপযুক্ত জায়গা।

    বাস্তু জানাচ্ছে, মাত্র ৬টি জিনিসকে আপনার বিছানায় রাখলে বহু অশান্তি থেকেই মু্ক্িত পাওয়া যায়। মনে রাখবেন, এই জিনিসগুলি আপনার বিছানার নীচে রাখবেন ২১দিন। ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলা এমন খবর প্রকাশ করেছে।

    ১) আপনার ক্রোধ আপনার প্রধান শত্র“। ক্রোধকে আপনার বশে রাখতে একখণ্ড রক্তচন্দন মাথার বালিশের নীচে রাখুন। খাটের নীচে একটা পানিপূর্ণ পাত্র রাখলে আরও ভাল কাজ দেয়।

    ২) নিজের ইচ্ছাশক্তিকে বাড়ানোর জন্য রুপোর পাত্রে পানি রেখে দেখতে পারেন। রুপোর গয়না পরলেও কাজ হবে।

    ৩) অশুভ শক্তির প্রভাবে অনেক সময়েই সাহসের অভাব দেখা দেয়। সাহসকে ফিরে পেতে হলে এবং সেই সঙ্গে কুণ্ডলীদোষ থেকে মুক্তি পেতে বালিশের নীচে সোনা বা রুপোর গয়না রাখুন। খাটের নীচে একটা ব্রোঞ্জের পাত্র রাখলে আরও দ্রুত কাজ হবে।

    ৪) সৌভাগ্যকে নিজের বশে রাখতে রুপোর তৈরি একজোড়া মাছ বালিশের নীচে রাখুন।

    ৫) কুনজরকে প্রতিহত করতে পানিপূর্ণ একটা লোহার পাত্র খাটের নীচে রাখুন।

  • মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু

    মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সারা দেশে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী ৯৪টি উপজেলায় এ কার্যক্রম চলবে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্য ইতিমধ্যে অনলাইনে ১ লাখ ২৩ হাজার ১৫৪টি আবেদন জমা পড়েছে। এই কার্যক্রমে এসব আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর অন্যান্য কার্যক্রম শেষে আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত তালিকা।

    প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে মহানগর এবং উপজেলা কমিটির রূপরেখা এবং কাঠামো চূড়ান্ত করে ৪৭০টি কমিটি করা হয়েছে। যার তালিকা ইতিমধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

    এই কমিটি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তকরণ, আবেদনকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই, তালিকাভুক্ত দাবীদার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ নিষ্পত্তির কাজ করবে।  শনিবার থেকে কমিটিগুলো কাজ শুরু করেছে।

    প্রথম দিনে সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল থেকে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ধান্দিয়া ও নগরঘাটা ইউনিয়নে সম্পূর্ণ এবং সরুলিয়া ইউনিয়নে আংশিক যাচাই-বাছাই কাজ সম্পন্ন হয়। আগামী ২৮ জানুয়ারি অবশিষ্ট ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম করা হবে।

    মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন থেকে ৪৯৪জন আবেদন করেছে। তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে ৫২জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো: মফিজ উদ্দীন জানান। এই কমিটি বাছাইকালে আবেদনকারীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন।

    তালা উপজেলায় সাত সদস্যের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সদস্যসচিব আছেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন, সদস্য হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি জি,এম,এ সবুর, জেলা কমান্ডারের প্রতিনিধি মোঃ মঈনুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মোঃ মফিজ উদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি শেখ আবুল খায়ের এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের প্রতিনিধি এস,এম ফজলুল হক।

    আগামী ২৮ জানুয়ারি এবং ৪, ১১ ও ১৮ ফেব্র“য়ারিতে উপজেলা, জেলা এবং মহানগর পর্যায়ে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলবে।

    উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ না করার বিষয়ে আদালতে রিট হলে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ঝুলে যায়।

    গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে ওই রিট নিষ্পত্তি হওয়ার পর মন্ত্রণালয় আর অপেক্ষা না করে দ্রুত গেজেটভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। আদালত বিষয়টির সুরাহা করায় শনিবার থেকে দেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু হয়।

    গত ৭ জানুয়ারি এই বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়াগত কারণে ঘোষিত তারিখ কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। ঘোষিত নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি যেসব জেলা ও উপজেলা/মহানগরে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম হওয়ার কথা ছিল, সেটি ১১ ফেব্র“য়ারি এবং ১৪ জানুয়ারির যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ১৮ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া অন্যদিনগুলো ঠিকই থাকবে।

     

     

  • লিকার চায়ের যত গুণাগুণ

    লিকার চায়ের যত গুণাগুণ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : চায়ে দুধ মেশালেই সব ফিনিশ। লিকার চায়ে রয়েছে প্রচুর গুণ। ভাল থাকে হার্ট। ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সুস্থ থাকে হার্ট। ক্যানসার প্রতিরোধ করে। মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। ডিএনএ ক্ষতি আটকায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লিকার চায়ে যা থাকে প্রচুর পরিমাণে। হাড় মজবুত করে। স্ট্রেস কমায় লিকার চা। হজমশক্তি বাড়ায়। এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে লিকার চা। মস্তিষ্ক স্নায়ুকে উদ্দীপ্ত করে। কোলেস্টেরল কমায়। ত্বক থাকে মসৃণ। চুলের পুষ্টি জোগায় লিকার চা।

    জার্মানির বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি, লিকার চা রক্তনালির প্রসারণ ঘটায় যা উচ্চরক্তচাপ হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত জরুরি। চায়ে থাকা ক্যাটেচিন রক্তনালির প্রসারণের জন্য দায়ী। দুধের মধ্যে থাকে ক্যাসেইন। এটি ক্যাটেচিনকে বাধা দেয়। ফলে চায়ে দুধ মেশালে চায়ের রক্তনালি প্রসারণের ক্ষমতা পুরোপুরি চলে যায়।

    মার্কিন কৃষি দফতরের গবেষকদের দাবি, চায়ের প্রভাবে কোষ থেকে সাধারণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন বেরোয়। এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু চায়ে দুধ মেশালে এই ইনসুলিন নির্গমনের হার কমতে থাকে। যদি ৫০ গ্রাম দুধ মেশানো হয়ে থাকে, তাহলে ইনসুলিনের নির্গমন শতকরা ৯০ শতাংশ কমে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণেও লিকার চায়ের জুড়ি মেলা ভার। দুধচিনি চাড়া লিকার চায়ে থাকে ক্যালরি। চামচ চিনিসহ লিকার চায়ে থাকে ১৬ ক্যালরি। চামচ চিনি দুধসহ চায়ে থাকে ২৬ ক্যালরি।

     

     

  • কিশমিশ কেন খাবেন?

    কিশমিশ কেন খাবেন?

    এসবিনিউজ ডেস্ক : কিশমিশ খেতে তো আমাদের সবারই ভাল লাগে এর গুণাগুণও রয়েছে যথেষ্ট। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি ভাইরাল ফিভার, কোনও ইনফেকশন প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে কিশমিশ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য খাদ্য তালিকায় কিশমিশ রাখতেই পারেন। প্রতিদিন ১২টি কিশমিশ খেলেই যাদু মন্ত্রের মতো তা কাজ করবে। এটি খাওয়া কেন ভাল? দেখে নিন

    ) প্রত্যেকদিন নিয়ম করে কিশমিশ খেলে আমাদের হজমশক্তি উন্নত হয়।

    ) প্রচুর পরিমাণে আয়রন, কপার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আছে কিশমিশে। যা আমাদের শরীরের লোহিতরক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে। অ্যানিমিনিয়া প্রতিরোধে কিশমিশ বিশেষভাবে কার্যকরী।

    ) ভাইরাল ফিভার এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে কিশমিশ।

    ) কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে কিশমিশ।

    ) অ্যাসিডিটি দূর করার ক্ষেত্রে কিশমিশ উপকারী।

    ) চোখ ভালো রাখে।

    ) ক্যাভিটি এবং দাঁতের অন্যান্য বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে কিশমিশ। মাড়ি সুস্থ রাখে। তার সঙ্গে দাঁতও সাদা করে।

    ) ইনসমনিয়া বা অনিদ্রার সমস্যাও দূর করে কিশমিশ।

    ) হাড় মজবুত করে, কিডনি সুস্থ রাখে, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন প্রতিরোধ করে কিশমিশ।

    ১০) এছাড়া অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে কিশমিশ।

     

  • দ্বিতীয় পর্বে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেম

    দ্বিতীয় পর্বে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেম

    এসবিনিউজ ডেস্কআখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব তথা এবারের ৫২তম বিশ্ব ইজতেমা। রবিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়ে ১১টা ৪৪ মিনিটে শেষ হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ সাদ।

    আখেরি মোনাজাতে লাখো মুসল্লি চোখের পানিতে খোদার দরবারে জিন্দেগানির গুনাহ মাফের ফরিয়াদ জানান। মোনাজাতে সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশ্ব উম্মাহর সুখ, শান্তি সমৃদ্ধি প্রত্যাশা করা হয়।

    ৩৪ মিনিট স্থায়ী আখেরি মোনাজাত চলাকালে ইজতেমাস্থল আশপাশ এলাকায়আমিন’-‘আমিনধ্বনিতে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

    ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় নত হয়ে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মুসল্লিরা মনের আকুতির কথা জানান।

    নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালামুসিবত থেকে মুসল্লিদের হেফাজত করার জন্য, বিশ্ববাসীর শান্তি কল্যাণ কামনায় দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত প্রার্থনা করেন মাওলানা সাদ।

    সময় ইজতেমা ময়দানে সঙ্গে একত্ব হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে, দোকানের বেঞ্চে বসে, ট্রেন স্টেশন বাসস্ট্যান্ড থেকে যে যেখানে ছিলেন সেখান থেকেই মোনাজাতে শরিক হন।

    আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ভোরে ঢাকাময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মোনাজাতে অংশ নিতে হেঁটে ইজতেমাস্থলে পৌঁছান মানুষ।

    মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে হয় সকাল সাড়ে ৯টার আগেই। যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা, গাজীপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার হাজারো মুসলমান ভোরে পায়ে হেঁটেই রওনা হন টঙ্গীর পথে। অনেকে যানবাহনের বিড়ম্বনা এড়াতে দুইএকদিন আগেই টঙ্গীতে আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি কিংবা হোটেলে অবস্থান নিয়ে ছিলেন। আর ১৭ জেলা থেকে আসা কয়েক লাখ মানুষ গত দিন ধরে অবস্থান করছেন ইজতেমা মাঠে নির্ধারিত খিত্তায়।

    গাজীপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, এবার ইজতেমার দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের ১৭ জেলার মানুষ ছাড়াও যোগ দিয়েছেন ৯৫টি দেশের হাজার ৩৬০ জন।

    আখেরি মোনাজাত শেষে টঙ্গী থেকে সবার বাড়ি ফেরার সুবিধার জন্য ১৪টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। সবাই বাড়ি ফেরা পর্যন্ত কয়েক হাজার পুলিশ সদস্য ইজতেমা মাঠের আশপাশে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন।

    বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে টঙ্গী জংশন দিয়ে চলাচলকারী সব ট্রেন যাত্রাবিরতি দিচ্ছে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে জংশন দিয়ে ১৪টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। ছাড়া বিআরটিসির ২২৮টি বাস যাতায়াত করছে।

    এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ভোরে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ৫২তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ওই পর্বে অংশ নেন ঢাকাসহ ১৭ জেলার মুসলমানরা।

    চার দিন বিরতি দিয়ে ঢাকা ছাড়াও আরো ১৫ জেলার মুসলমানদের অংশগ্রহণে ২০ জানুয়ারি শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যামে শেষ হবে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের এই বার্ষিক সম্মিলন।

  • অ্যালোভেরার ওষুধি গুণ

    অ্যালোভেরার ওষুধি গুণ

    এসবিনিউজ ডেস্কঅ্যালোভেরা কেবল সৌন্দর্যচর্চাতেই ব্যবহৃত হয় না, স্বাস্থ্যরক্ষায়ও এটি অনন্য। তাজা অ্যালোভেরায় রয়েছে বিশটি অ্যামিনো অ্যাসিড বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন যা সুস্থ রাখে শরীর। নিচে অ্যালোভেরার গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

    * অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে।

    * অ্যামিনো অ্যাসিড, মিনারেল ভিটামিনসহ ২০০টিরও বেশি উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরায়। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এসব উপাদান সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

    * অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ওষুধির কাজ করে। বিভিন্ন চর্মরোগ ক্ষত সারায় এটি। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এর ভেষজ গুনাগুণ।

    * অ্যালোভেরা অ্যাসিডিটি কমায়।

    * অ্যালোভেরায় রয়েছে ভিটামিন , সি, বি। এগুলো রক্ত কণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে।

    * অ্যালোভেরায় থাকা পটাশিয়াম, কপার, সোডিয়াম, জিঙ্ক আয়রন অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। 

    * দেহের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করে অ্যালোভেরা।

    * সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

    * দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে অ্যালোভেরা।

     

     

  • বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে: রাষ্ট্রপতি

    বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে: রাষ্ট্রপতি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি অ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাঁটছি, সে পথ ধরেই বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশ হিসাবে আপন মহিমায় অধিষ্ঠিত হবে। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারজিরো টলারেন্সনীতি অনুসরণ করে আসছে। কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

    রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে জাতীয় সংসদে সরকারি বিরোধীদলসহ সকলকে যথাযথ কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। দশম জাতীয় সংসদের ২০১৭ সালের প্রথম অধিবেশনে (শীতকালীন) রবিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিকেল ৪টায় স্পিকার . শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলের নেতা রওশন এরশাদ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    জাতীয় সংসদ দেশের আপামর জনসাধারণের আশাআকাঙ্খার কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত আলোকিত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, পরমতসহিষ্ণুতা, মানবাধিকার আইনের শাসন সুসংহতকরণ এবং জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন আকাঙ্খা বাস্তবায়নে সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধীদলকেও গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূল করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

    রাষ্ট্রপতি তার ১১৪ পৃষ্ঠার ভাষণে বর্তমান সরকারের কার্যক্রম অর্থনীতি, ব্যবসাবাণিজ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, পররাষ্ট্রনীতি, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুশাসন, নারী শিশু খাতে উন্নয়ন, ক্রীড়া, যুব উন্নয়ন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, অভিবাসীদের উন্নয়ন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং জন প্রশাসন খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন।

    ভাষণের শুরুতে তিনি সকল সংসদ সদস্য দেশবাসীর প্রতি ইংরেজি সববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।

    এছাড়া তিনি সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা অমর শহীদকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। যাঁদের অসীম সাহস আত্মত্যাগের বিনিময়ে একটি সার্বভৌম দেশ স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান লালসবুজ পতাকা অর্জিত হয়েছে।

    তিনি চার জাতীয় নেতাসৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এম মনসুর আলী এবং এইচ এম কামরুজ্জামানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। যারা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

    রাষ্ট্রপতি ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং ভাষা সংস্কৃতির মর্যাদা সমুন্নত রাখার লড়াইয়ে আত্মত্যাগকারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বাঙালির গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের তিন মহান পুরুষশেরে বাংলা কে ফজলুল হক, গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। যারা জাতির অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।

    তিনি বলেন, ১৯৭৫এর ১৫ আগস্ট সংঘটিত বর্বর হত্যাযজ্ঞ ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সেদিন শাহাদাতবরণ করেছিলেন তাঁর মহিয়সী সহধর্মিনী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল পারভীন জামাল রোজী, ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মণি এবং সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জামিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি তাঁদের সবাইকে অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করেন এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়াও ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি গ্রেনেড হামলায় শহীদ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ বিভিন্ন সময় গ্রেনেড হামলা আন্দোলনে আত্মত্যাগকারীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে ২০১৪ সালে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ গঠিত হয় এবং বর্তমান সরকারের ওপর দেশ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়। গত মহাজোট সরকারের ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকাররূপকল্প২০২১’, দিনবদলের সনদ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক অসা¤প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যআয়ের, জ্ঞানভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধিশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকারের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্নমধ্যআয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশের মর্যাদায় অভিষিক্ত হওয়ার মানসে এখন জাতির দৃষ্টি নিবদ্ধ রয়েছে ২০৪১ সালের দিকে। তিনি দৃঢ়ভাবে আস্থা প্রকাশ করেন সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে জাতির আকাঙ্খা পূরণে সক্ষম হবে।

    তিনি বলেন, ‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন সমৃদ্ধির যে পথে আমরা হাটছি, সে পথ ধরেই বাংলাদেশ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বসভায় একটি উন্নত দেশ হিসাবে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে।রূপকল্প২০২১এবং দিনবদলের সনদের ভিত্তিতে প্রণীত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং কার্যক্রমে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের ফলে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

    বিগত মেয়াদে গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ফলে দেশে নাশকতার কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং জনজীবনে স্বস্তি বিরাজ করছে। সরকারের দক্ষ পরিচালনায় অর্থনীতির সকল সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। সামাজিক সূচকসমূহের অগ্রগতিতে বাংলাদেশ প্রতিবেশি দেশসমূহের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে গেছে।

    এক ঘণ্টারও বেশি সময় জুড়ে দেওয়া বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং দেশ পরিচালনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। রাষ্ট্রপতির বক্তব্য শেষে সংসদের কার্যক্রম ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

     

     

  • বাঙালি সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

    বাঙালি সেনাকর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

    এসবিনিউজ ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এবার তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। সাত বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুযনাল (আইসিটি) গঠনের পর এই প্রথম কোনো সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।

    রোববার ধানমণ্ডিতে নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, মুক্তিযুদ্ধকালে বেসামরিক রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর পাশাপাশি বাঙালি সেনা সদস্যদের কেউ কেউ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হয়ে স্বজাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন। তাদের মধ্যে  রংপুরে দুজনের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ড সংঘটনের অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্ত সংস্থার প্রধান হান্নান।

    এসময় তিনি বলেন, একাত্তরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমূরত কয়েকজন বাঙালি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। একটি ঘটনা আমরা জেনেছিওই সময় রংপুরে একটি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল সেখানে কয়েকজন বাঙালি অফিসারের সম্পৃক্ততা ছিল।

    বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ হয়েছে জানিয়ে হান্নান খান বলেন, দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। আরেকজন পলাতক রয়েছে।

    তবে বিষয়টি তদন্তাধীন বলে তা বিস্তারিত জানাতে রাজি হননি তদন্ত সংস্থার প্রধান।

     

  • মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ক্ষুধাদারিদ্র্যমুক্ত, সুখীসমৃদ্ধ, সন্ত্রাসজঙ্গিবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে একযোগে কাজ করতে উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আহবান জানান।

    তিনি বলেন, সকল শোষণ, বঞ্চনা বৈষষ্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সরকার নিরসলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, সুখীসমৃদ্ধ, সন্ত্রাসজঙ্গিবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়তে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তি সনদ দফা, পরবর্তীকালে ১১ দফা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি মহান ¦াধীনতা।

    তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসন, শোষণ, বৈষম্য বঞ্চনা থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক দফা ঘোষণা করেন। এতে স্বাধিকার আন্দোলনের গতি হয় তীব্রতর। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আন্দোলনকে নস্যাৎ করার হীন উদ্দেশ্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে বন্দি করে। মামলার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ছাত্রশ্রমিককৃষকজনতা দুর্বার ¦তঃস্ফূর্ত গণআন্দোলন গড়ে তোলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের দিনে সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমনপীড়ন সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করেন। মিছিলে পুলিশের গুলি বর্ষণে শহীদ হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে সৈ¦রাচারী আইয়ুব সরকার তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে আইয়ুব খানের সৈ¦রতন্ত্রের।

    তিনি বলেন, ‘অপশাসন শোষণের বিরুদ্ধে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।

     

  • একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে : খালেদা জিয়া

    একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে : খালেদা জিয়া

    এসবিনিউজ ডেস্ক : স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেছেন, ২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলনসংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের দিনে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে পরিণত হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানে। পতন নিশ্চিত হয়েছিল সামরিক স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। গণঅভ্যূত্থানের মূল মানস বা মেজাজ ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম,বহুমত এবং চিন্তার চর্চা মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।

    বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম। দিবস আমাদের গণতন্ত্র স্বাধিকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সকল অন্যায় অবিচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়। কারণ এখন আবারও একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি চিন্তার স্বাধীনতা এখন গুম করে ফেলা হয়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ভোট দিয়ে ভোটারদের নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।

     

  • বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকারটা চান: মওদুদ

    বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকারটা চান: মওদুদ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ ভোটাধিকারটা চান। জানুয়ারির নির্বাচনে সে অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগররুনি মিলনায়তনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষেজেড ফোর্স সাইবার ট্রুপসএর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    মওদুদ বলেন, আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চেয়েছিল। অথচ তারাই এখন এটা প্রত্যাহার করেছে। দলীয় সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এটা জনগণও মানবে না। দেশে যে গণতন্ত্র আছে, সেটা দলীয় গণতন্ত্র। সত্যিকারের গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করতে হবে।

    জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সংগঠনের সভাপতি কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

     

     

     

     

  • আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস

    আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আজ ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস। ঊনসত্তরের এই গণ-অভ্যুত্থান ছিল বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মাইলফলক। জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত ৬ দফা এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছিল এ গণঅভ্যুত্থান। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরাচারী আইয়ুব খানকে জনতার দাবি মেনে নিতে বাধ্য করে।

    ২০ জানুয়ারি ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের নায়ক শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২, ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে ঢাকায় সর্বস্তরের জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি এই অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। এই গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জন করে বাঙালি জাতি।

    এ দিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নবকুমার ইন্সটিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর। এছাড়াও রুস্তম, মককবুলসহ চারজন শহীদ হন এই দিনে। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়।

    বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব মোনায়েম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান মর্নিং নিউজে আগুন লাগিয়ে দেয়। জনগণ আইয়ুব গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদ গেইট নামকরণ করে।

    দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, সামরিক শাসন উৎখাতের দাবিতে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি কারফিউ ভঙ্গ করে রাজনীতিক, ছাত্র-শিক্ষক, জনতা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নবম শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান।

    শহিদ মতিউরসহ অন্যান্য শহিদের রক্ত বৃথা যায়নি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারসহ রাজবন্দিদের মুক্তি এবং প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর, যা ছিল জনগণের মহাবিজয়।

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক। অপশাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে।’

    ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, পরবর্তী সময় ১১ দফা ও ‘৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় রক্তাক্ত সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করে মহান স্বাধীনতা। দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আজ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

     

  • বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা

    বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা

    এসবিনিউজ ডেস্ক :  এবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন কবি আবু হাসান শাহরিয়ার ও গল্পকার শাহাদুজ্জামানসহ সাতজন। সোমবার একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

    এবছর কবিতায় মনোনীত হয়েছেন আবু হাসান শাহরিয়ার, কথাসাহিত্যে: শাহাদুজ্জামান, প্রবন্ধ ও গবেষণায়: মোরশেদ শফিউল হাসান, শিশুসাহিত্যে: রাশেদ রউফ, মুক্তিযুদ্ধ সাহিত্য: ড. এম এ হাসান, আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায়: নূরজাহান বোস এবং অনুবাদে: নিয়াজ জামান।

    প্রতিটি বিভাগে পুরস্কারের মূল্যমান এক লাখ টাকা। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার, সম্মাননাপত্র ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করবেন।

    বাংলা একাডেমি ১৯৬০ সাল থেকে বাংলাদেশে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কার পুরস্কার দিয়ে আসছে।