Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 391 of 398

Author: dakshinermashal

  • শিক্ষার্থীদের মুক্তির ইতিহাস শোনালেন তথ্যমন্ত্রী

    শিক্ষার্থীদের মুক্তির ইতিহাস শোনালেন তথ্যমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ‘মুক্তির ইতিহাস শোনো’ শীর্ষক এক আলোচনায় ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে দেশকে এগিয়ে নিতে জঙ্গি এবং মাদক পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘দেশপ্রেমিক হতে হবে, দেশের শত্র“ও চিনতে হবে।’

    তথ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজধানীর বিএএফ শাহীন কলেজে ‘আমরা মানুষ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘মুক্তির ইতিহাস শোনো’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

    বিএএফ শাহীন কলেজের অধ্যক্ষ গ্র“প ক্যাপ্টেন আহসানের সভাপতিত্বে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজের পরিচালক রাসেল আহমেদ তুহিন অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন।

    অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জাতির সুপ্রাচীন ইতিহাস, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রা নিয়ে পাঁচ শ’ ছাত্র-ছাত্রীর সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি তাদের বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও স্বাধীন হওয়ার অমর কাহিনী শোনান।

    ইনু তাঁর চল্লিশ মিনিটের বক্তৃতায় বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। লাখো শহীদের রক্ত, মা-বোনের আত্মত্যাগ, সন্তানহারা মায়ের কান্না মিশে আছে আমাদের এই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে। তাদের প্রত্যেকের জন্য চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি।’

    ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পক্ষ-বিপক্ষ ছিল। তৎকালীন পাকিস্তানী হানাদারদের সাথে হাত মিলিয়েছিল এদেশের কিছু ঘৃণ্য মানুষ- তারা রাজাকার। তারাই আজ জঙ্গিবাদী। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে জঙ্গি এবং মাদক পরিহার করতে হবে। দেশপ্রেমিক হতে হবে, দেশের  শত্র“ও চিনতে হবে। আর মাতা-পিতা এবং শিক্ষকদের জন্য বুকে রাখতে হবে বিরাট সম্মান। এভাবেই বাংলাদেশকে তার নিজের পথে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।’

    অনুষ্ঠানের আগে কলেজ ময়দানে সমবেত ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

    আয়োজক সংস্থার উপদেষ্টা রাশেক রহমান, প্রাণ ফুডস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আলী হাসান আলম এবং আরএফএল প্লাস্টিকের বিপণন প্রধান এস এম আরাফাতুল রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শামীমা রহমান তুষ্টি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

    উল্লেখ্য, এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছাবার জন্য দেশের ৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘আমরা মানুষ ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে ‘মুক্তির ইতিহাস শোনো’ অনুষ্ঠানের সূত্রপাত ঘটলো।

  • কৃত্রিম কিডনি সংযোজন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে : বিশেষজ্ঞ

    কৃত্রিম কিডনি সংযোজন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে : বিশেষজ্ঞ

    ॥ অনুপ খাস্তগীর ॥

    এসবিনিউজ ডেস্ক : কিডনিজনিত অসুস্থতা বিশ্বের অন্যতম যন্ত্রণাদায়ক স্বাস্থ্যগত সমস্যা। আর এই চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী একজন মার্কিন জৈব-প্রকৌশলীর নেতৃত্বে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপন গবেষণা বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

    এই প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে ২০২০ সাল নাগাদ বিশ্বের লাখ লাখ রোগী সাশ্রয়ী মূল্যে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপনের সুযোগ পাবেন।

    ভারতের চেন্নাইতে আন্তর্জাতিক কিডনি সম্মেলনের সাইডলাইনে বাসস-এর সঙ্গে কথা বলেন ৪৮ বছর বয়সী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এই মার্কিন বায়ো-ইঞ্জিনিয়ার ড. শুভ রায়। তিনি বলেন, বৃহদাকার প্রাণীর দেহে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপনে ‘খুবই ইতিবাচক’ ফলাফল পাওয়ার পর আগামী তিন বছরে মানবদেহে কৃত্রিম কিডনির পরীক্ষামূলক প্রতিস্থাপন তথা ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’-২০২০ সালে সম্পন্ন হবে।

    ‘কিডনি অকার্যকর হওয়া বা কিডনিজনিত রোগের শেষ পরিণতি (ইএসআরডি)-র স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে গত ১৫ বছর ধরে চিকিৎসক ও প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে তার গবেষক দলের একনিষ্ঠ গবেষণা বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে’- তিনি জানান।

    বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় ভ্রমণরত শুভ রায় বলেন, ‘কিডনিজনিত রোগে ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের মানসম্মত বিকল্প হচ্ছে কৃত্রিম কিডনি প্রতিস্থাপন করা।’

    তিনি জানান, কফির কাপের আকারের এই যন্ত্রটি মানবদেহের ভেতরে স্থাপন করা হবেÑযা সংশ্লিষ্ট রোগীর রক্ত সঞ্চালক অঙ্গ ও ক্ষতিগ্রস্ত কিডনির কাছেই সংযুক্ত থাকবে।

    কৃত্রিম কিডনির সাশ্রয়ী মূল্য সম্পর্কে শুভ রায় বলেন, এই জৈব-যান্ত্রিক ডিভাইসটির মূল্য কিডনি প্রতিস্থাপন বা ডায়ালাইসিসের খরচের চেয়ে যথেষ্ট কম হবে।

    তিনি বলেন, ‘এই কৃত্রিম কিডনি হরমোন তৈরি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত পরিশোধনসহ অধিকাংশ জৈবিক কাজ সম্পন্ন করবে।’

    শুভ রায় বলেন, বৃক্কজনিত জটিলতায় ভুগছেন এমন রোগীদের কৃত্রিম কিডনী ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপন থেকে স্থায়ীভাবে নিষ্কৃতি দেবে।

    তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন এমন রোগীর তুলনায় কিডনি দানকারীর সংখ্যা খুবই সীমিত এবং এই প্রক্রিয়াটি আইনগতভাবেও চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রেক্ষিতে জটিল এবং খরচও খুব বেশী।’

    তিনি আরো বলেন, ‘কৃত্রিম কিডনি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই একটি জৈব যন্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হবে এবং সে লক্ষেই আমাদের প্রচেষ্টা এগিয়ে চলছে। চলমান পরীক্ষা ও গবেষণা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কোন রকম নিষ্ক্রিয়তা ছাড়াই এই ডিভাইসটি বহু বছর চলা সম্ভব।’

    এই কৃত্রিম ‘ডিভাইস’ বা অঙ্গটি কোন কারণে অকার্যকর হয়ে পড়লেও সামান্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এর ছাকনি বা কোষ প্রতিস্থাপন করা যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ‘বায়ো-ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড থেরাপিউটিক সায়েন্সেস’ বিভাগের (ইউসিএসএফ) অধ্যাপক শুভ রায় বর্তমানে ‘মাল্টি-ইনস্টিটিউশনাল কোলাবরেটিভ কিডনি প্রজেক্ট’-এর টেকনিক্যাল ডাইরেক্টও হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে, ভ্যান্ডারবিল্ট-এর মেডিসিন বিভাগের ড. উইলিয়াম ফিসেল এই প্রকল্পের মেডিকেল ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন।

    চট্টগ্রামের চিকিৎসক ডা. অশোক রায় ও রতœা দত্তের দু’ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্যে শুভ রায় বড়। তার জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তার শিক্ষা জীবনের সূচনা ঢাকার সিদ্ধেশ্বরীর একটি বিদ্যালয়ে। পরে পিতার চাকরির সূত্রে উগান্ডায় চলে যান এবং সেখানে পড়াশোনা করেন।

    উগান্ডার তৎকালিন প্রেসিডেন্ট ইদি আমিনের অনুরোধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে দেশে বাংলাদেশের যে মেডিকেল টিম পাঠিয়েছিলেন ড. শুভ রায়ের পিতা সেই টিমের সদস্য ছিলেন।

    পরবর্তীতে শুভ রায় যুক্তরাষ্ট্রের নরদার্ন ওহিও স্টেটে চলে যান এবং সেখান থেকে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ¯œাতোকোত্তর ডিগ্রী করেন।

    ড. শুভ রায় বলেন, ‘যদি আমাদের কোন অনাকাঙ্খিত সমস্যার মুখোমুখি হতে না হয় তাহলে আমরা আশা করি ২০১৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই একটি ডিভাইস ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত হবে এবং ২০২০ সাল নাগাদ তা সম্পন্ন হবে।’

    তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় তার দল ওই ডিভাইসটির উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে সম্ভাবনাময় নির্মাতাদের সাথেও কাজ করবে।

    তিনি বলেন, ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো শেষ হলে শিগগিরই ওই ডিভাইসটি রোগীদের জন্য সহজলভ্য হবে।’ বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বে প্রতিবছরই মানুষের কিডনি অকেজো হওয়ার ঘটনা বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি, কিডনি অকেজো হওয়ার সাথে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

    যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ৬ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কিডনি অকেজো হওয়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং এ জন্য বছরে ব্যয় হয় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ওই দেশের বাৎসরিক চিকিৎসা ব্যয়ের মোট সাত শতাংশ।

    বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, কিডনী সংশ্লিষ্ট রোগের প্রকোপ বেশীÑবিশ্বে এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোন না কোন ধরনের কিডনি সংশ্লিষ্ট জটিলতায় ভুগছেন। এক দশক আগে এই সংখ্যা ছিল এক কোটি।

    দেশে প্রতি সাতজনে একজন কিডনি রোগে ভুগছেন এবং প্রতিবছর ৪০ হাজার মানুষ দীর্ঘমেয়াদে কিডনি অকেজো হওয়ায় মারা যান এবং এই রোগীদের অংধিকাংশই চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে পারেন না।

     

  • অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে প্রধানমন্ত্রীর নতুন বই

    অমর একুশে গ্রন্থমেলায় আসছে প্রধানমন্ত্রীর নতুন বই

    ॥ মাহফুজা জেসমিন ॥

    এসবিনিউজ ডেস্ক) : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এবার আসছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরো একটি নতুন বই। বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতির ওপর বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত তাঁর লেখা ১৩টি প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে সংকলন গ্রন্থ ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’।

    বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাল বিকেল ৩টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করবেন। মেলার প্রথম দিন থেকেই ১৩ নম্বর প্যাভিলিয়নে বইটি পাওয়া যাবে।

    এমিরেটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এ বইয়ের ভূমিকায় লিখেছেন, ‘‘লেখক হিসেবে শেখ হাসিনা মূলত প্রাবন্ধিক, বিশেষভাবে বলতে গেলে রাজনৈতিক ভাষ্যকার। তাঁর ‘নির্বাচিত প্রবন্ধ’ সংকলন গ্রন্থটি বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চিন্তা চেতনা, মন-মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচয় বহন করে। সে কারণেই এ গ্রন্থটির গুরুত্ব অপরিসীম।”

    সংকলনের প্রথম প্রবন্ধ ‘বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম’। ১৯৯৩ সালে লিখিত এই প্রবন্ধটিতে বাংলাদেশে স্বৈরাচারের উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে একজন রাজনীতিবিদের প্রত্যক্ষ পরিচয় ফুটে উঠেছে। ‘শিক্ষিত জনশক্তি অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত’ প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যাকে চিহ্নিত করেছেন। ১৯৯৩ সালে লিখিত ‘সবার উপরে মানুষ সত্য’ প্রবন্ধে শেখ হাসিনা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার ঘোষণা সত্ত্বেও বিশ্বযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে দেশে দেশে মানুষে মানুষে এবং একই দেশে শ্রেণিবিভক্ত সমাজে মানবতার যে চরম অবমাননা তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

    ভাষা আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে লিখিত ‘ভালবাসি মাতৃভাষা’, ২০০২ সালে প্রকাশিত ‘বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা’, ১৯৯৮ সালে ৩২ নম্বর ধানমন্ডির বাড়ি নিয়ে লেখা ‘স্মৃতি বড় মধুর স্মৃতি বড় বেদনার’, বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন নিয়ে ২০০১ সালে লেখা ‘সংগ্রামে আন্দোলনে গৌরব গাঁথায়’, ১৯৯৯ সালে লেখা ‘বৃহৎ জনগোষ্ঠির জন্যে উন্নয়ন’, ‘সহে না মানবতার অবমাননা’, ‘প্লিজ, সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলুন’, ‘একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা’ এবং ১৪ আগস্ট ১৯৯১ সালে লেখা ‘অনর্জিত রয়ে গেছে স্বপ্নপূরণ’ প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে এই নির্বাচিত প্রবন্ধে।

    বইয়ের সর্বশেষ প্রবন্ধ হাইকোর্টের একটি ঐতিহাসিক রায় নিয়ে লেখা ‘সত্যের জয়’। লেখক ২০০৫ সালে এটি রচনা করেন। অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মতে এই প্রবন্ধে আইনের শাসনের প্রতি শেখ হাসিনার গভীর শ্রদ্ধা ও আনুগত্য প্রকাশ পেয়েছে।

    আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই নির্বাচিত প্রবন্ধের মূল্য ৩৫০ টাকা। এর প্রচ্ছদ এঁকেছেন আনওয়ার ফারুক।

    বাংলাদেশের সমকালীন রাজনীতি নিয়ে আগামী প্রকাশনী থেকে এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার আরো ১৩টি প্রবন্ধ সংকলন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, ‘সাদাকালো’, ‘বিপন্ন গণতন্ত্র, লাঞ্ছিত মানবতা’, ‘দারিদ্র দূরীকরণ: কিছু চিন্তাভাবনা’, ‘সহেনা মানবতার অবমাননা’, ‘বাংলাদেশের স্বৈরতন্ত্রের জন্ম,’, ‘ওরা টোকাই কেন’, ‘আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি (জাতীয় সংসদে ভাষণ ১৯৮৭-১৯৯৮)’ ‘লিভিং ইন টিয়ার্স’, ‘পিপল এ্যান্ড ডেমোক্রেসি’, ‘ডেমোক্রেসি প্রভার্টি এলিমিনেশন এ্যান্ড পিস’, ‘ডেমোক্রেসি ইন ডিসট্রেস ডিমান্ড হিউম্যানিটি’, এবং ‘জাতীয় সংসদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ ( যৌথ সম্পাদনা)।

    আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গণি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত ২০১৫ সালের বইমেলায় প্রকাশিত ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ বইয়ের পঞ্চম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। এটিও বইমেলার প্রথম দিন থেকেই আগামী প্রকাশনীর স্টলে পাওয়া যাবে। এছাড়াও এবারের বইমেলা উপলক্ষে ‘লিভিং ইন টিয়ার্স’, ‘পিপল এ্যান্ড ডেমোক্রেসি’, ‘ডেমোক্রেসি প্রভার্টি এলিমিনেশন এ্যান্ড পিস’, এবং ‘ডেমোক্রেসি ইন ডিসট্রেস ডিমান্ড হিউম্যানিটি’ বই তিনটির পুনর্মুদ্রণ প্রকাশিত হয়েছে।

     

  • ২,৬৩৫ কোটি টাকার খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

    ২,৬৩৫ কোটি টাকার খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : তৃণমূল পর্যায়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি)’সহ ৮ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

    এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৫৫০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

    এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৯ হাজার ১৯২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৮৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ৪৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

    মঙ্গলবার রাজাধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভায় ৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি) এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ৪ হাজার ৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

    মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৩ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা সরকার বহন করবে। বাকি ২ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসেবে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া যাবে। জানুয়ারি, ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ মেয়াদকালে এটি বাস্তবায়িত হবে।

    মুস্তাফা কামাল জানান, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রনয়ণ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড টানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী একই সাথে চর এলাকায় ভূমিহীনদের জমি বরাদ্দ, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসতবাড়ী নির্মাণ এবং এর সুবিধাভোগীরা কোথায় চাষাবাদ করবে, এ বিষয়ে পরিকল্পিত পদ্ধতি গ্রহণের নির্দেশনা দেন।

    পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি। গত কয়েক বছরে গ্রামীণ অবকাঠামোখাতে অভাবনীয় পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পল্লী এলাকায় অবকাঠামো ডিজাইন তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বলে তিনি জানান।

    বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এখন অত্যন্ত চমৎকার বর্ণনা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি সৌদি পত্রিকায় লেখা হয়েছে- সেখানকার ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চান। তারা কেউ কেউ বাংলাদেশকে সেকেন্ড হোম ভাবছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি সফরের পর সেখানে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

    একনেকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পসমূহ হলো, জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প- এর ব্যয় ধরা হয়েছে, ৪১৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প- এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি), মিরপুর সেনানিবাস এর অবকাঠামোগত সুবিধা সম্পসারণ প্রকল্প, এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২১ কোটি ৯ লাখ টাকা। অন্যান্য আবাসিক এলাকার উন্নয়ন (২য় পর্যায়), এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৮৩২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

    এছাড়া নাটোর রোড (রুয়েট) হতে রাজশাহী বাইপাস পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প- এর ব্যয় ধরা হয়েছে- ১৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বরিশাল ও সিলেট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং রেঞ্জ রিজার্ভ লাইন নির্মাণ প্রকল্প- এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। পটুয়াখালী-পায়রা ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্প- এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৬ কোটি ১ লাখ টাকা।

    একনেক বৈঠকে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

     

  • সার্চ কমিটি ২০ জনের নাম বাছাই করেছে

    সার্চ কমিটি ২০ জনের নাম বাছাই করেছে

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে ২০ জনের নাম বাছাই (শর্ট লিস্ট) করেছে সার্চ কমিটি।

    মঙ্গলবার বিকেলে সার্চ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নামগুলো ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির কাছে দেওয়া হয়। কমিটির সদস্যরা এই নামগুলো যাচাই-বাছাই করতে বিকেল চারটার দিকে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকে বসেন।

    মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘সার্চ কমিটির আহবানে সাড়া দিয়ে ৩১টি দলের মধ্য ২৭টি দল মোট ১২৫ জনের নাম প্রস্তাব করে। এর মধ্য থেকে সার্চ কমিটি ২০ জনের নাম বাছাই করেছেন।’

    বৈঠকে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটির হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য শিরীন আখতার উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশিষ্টজনরা যে পরামর্শ দিয়েছেন, সেই অনুযায়ীই আমরা নাম বাছাই করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্য সৎ, যোগ্য ব্যক্তিদের নাম মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে দেওয়া হবে।

    রাজনৈতিক দলগুলোর জমা দেওয়া নামের মধ্যে কোনও মিল আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রায় মিল আছে। আমরা এই নামগুলো থেকেই যোগ্যদের নাম বাছাই করে নিতে পারব।

    গত ২৫ জানুয়ারি নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন। গঠিত হওয়ার দিন থেকে ১০ কার্যদিবস, অর্থাৎ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুসন্ধান কমিটিকে ইসির জন্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করতে হবে।

     

  • রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনের বর্ণনা শুনলেন বার্নিকাট

    রোহিঙ্গাদের মুখে নির্যাতনের বর্ণনা শুনলেন বার্নিকাট

    এসবিনিউজ ডেস্ক : টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট। মঙ্গলবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন তিনি।

    এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বাংলাদেশ অফিস প্রধান পে পে কেবি ছিদ্দিকী, বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. আবুজার আল জাহিদ, উপ অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শফিউল আলমসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

    ক্যাম্প পরিদর্শনে এসে রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট লেদাস্থ আইএমও‘র স্বাস্থ্য ক্লিনিকে কর্মরত এনজিও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে তিনি বস্তি পরিদর্শন করে মিয়ানমার হতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন এবং নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মুছনীনয়াপাড়া ক্যাম্প পরিদর্শন করছিলেন।

     

  • মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি কেন অবৈধ নয়

    মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি কেন অবৈধ নয়

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করার জন্য গঠিত কমিটি গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ কমিটি গঠনের জন্য বিধি প্রণয়নে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

    এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমানের করা রিটের শুনানি করে এ আদেশ দেন আদালত।

    সরকার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বছাই করতে যে কমিটি গঠন করেছেন সেখানে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের নামও আছে বলে জানা গেছে। এসকল লোকদের দিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করা যাবে না। এজন্য কক্সবাজারের মুক্তিযোদ্ধার মিজানুর রহমানের হাইকোর্টে সম্প্রতি একটি রিট আবেদন করেছিলেন। সে আবেদনের শুনানি করে আজ আদালত এ আদেশ দেন।

     

  • মন্ত্রিসভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদন

    মন্ত্রিসভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজ রেখে ২০১৭ সালের হজ প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার।

    সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৩ লাখ ৮১ হাজার ৫০৮ টাকা ও প্যাকেজ-২ এর আওতায় ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৫ টাকা খরচ পড়বে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় খরচ হবে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৩৭ টাকা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেয়া হয়।

    বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার খরচ সামান্য বেড়েছে।

    একই সঙ্গে সংশোধিত ‘জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি ১৪৩৮ (২০১৭)’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

    চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ্ব) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।

    গত বছর প্রথমবারের মতো ‘হজ ই-সার্ভিস’ এর আওতায় হজে গমনেচ্ছুদের প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করে সরকার।

    সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা ৩০ হাজার টাকা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা ৩০ হাজার ৭৫২ টাকা জমা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করেন। এরপর হজ প্যাকেজের বাকি টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করে এ বছর বাংলাদেশের নাগরিকরা হজে যান।

    চলতি বছর সরকারিভাবে হজে গমনেচ্ছুদের প্রাক-নিবন্ধন গত ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে।

     

     

  • নাসের হাসপাতালে চালু হচ্ছে আইসিইউ ও বার্ণ ইউনিট

    নাসের হাসপাতালে চালু হচ্ছে আইসিইউ ও বার্ণ ইউনিট

    স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হচ্ছে মঙ্গলবার। পদ্মার এপারের সরকারি পর্যায়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) চালু হচ্ছে খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে। একই সঙ্গে পালাস্টিক সার্জারী ও বার্ণ ইউনিটও চালু হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মঙ্গলবার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

    খুলনা সফরের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বিমানেযোগে যশোর হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজে আসবেন। বেলা ১১টায় সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে পরপরই যাবেন আবু নাসের হাসপাতালে। সেখানে আইসিইউ ও বার্ণ ইউনিট উদ্বোধন শেষে আবারও সার্কিট হাউজে যাবেন। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকেল চারটায় তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামের এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিভাগের সিভিল সার্জন এবং জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা, বিএমএ, স্বাচিপসহ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।

    রাতে খুলনা সার্কিট হাউজে অবস্থান শেষে পরদিন বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী যশোর হয়ে বিমানযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন।

    উল্লেখ্য, ঢাকার বাইরে বিশেষ করে পদ্মার এপারে সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে আইসিইউ বিভাগ না থাকায় গুটি কয়েক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান মূমূর্ষ রোগীদের নিয়ে বাণিজ্য করে আসছে।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি পর্যায়ের হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগ থাকলে রোগীদের এভাবে জিম্মি করে অর্থ আদায়ের সুযোগ হতো না। আবু নাসের হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগ চালু হতে চললেও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভবন নির্মাণ হয়েও এখনও পড়ে আছে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. নমিতা হালদার খুলনা সফরে এসে ওই ভবনটি দেখতে গেলে ছাত্রলীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে সেখানে সংঘর্ষ হয়। এতে পিছিয়ে যায় ওই ভবনটির উদ্বোধন প্রক্রিয়া। খুলনাঞ্চলের এ দু’টি বৃহৎ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে আইসিইউ বিভাগ চালু থাকলে অন্তত: মুমূর্ষু রোগীদের আর ঢাকায় যেতে হবে না বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

  • ট্রাম্পের প্রথম হামলা, নিহত ৫৭

    ট্রাম্পের প্রথম হামলা, নিহত ৫৭

    এসবিনিউজ ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম হামলা হলো ইয়েমেনে। রোববারের ভোরের এ হামরায় আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা তিন উপজাতীয় গোত্রপ্রধানসহ ৫৭ জন নিহত হয়েছে।

    উপজাতীয় ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, মধ্যাঞ্চলের বাইদা প্রদেশের ইয়াকলা জেলায় বেশ কয়েকটি বাড়ির ওপর বিমান থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ফেলা হয় ও হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগান দিয়ে গুলি করা হয়।

    তারা জানান, ড্রোন ও অ্যপাচি হেলিকপ্টার হামলায় দুই ভাই আব্দুল রউফ ও সুলতান আল-জাহাব এবং সাইফ আলউই-জাফি নিহত হয়। হামলায় বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়। আল কায়েদার সঙ্গে উপজাতীয় প্রধানদের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

     

  • আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজ আপনার জন্মদিন হলে পাশ্চাত্য মতে আপনি কুম্ভ রাশির জাতক/জাতিকা। আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহ: ইউরেনাস ও বৃহস্পতি। ৩০ তারিখে জম্ম হবার কারনে আপনার ওপর বৃহস্পতির প্রভাব স্পষ্ট। আপনার শুভ সংখ্যা: ৩,১২,২১,৩০। আপনার শুভ বর্ণ ঃ হলুদ ও গোলাপী। শুভ গ্রহ ও বার ঃ রবি ও বৃহস্পতি। শুভ রতœ গার্ণেট ও পোখরাজ।

    চন্দ্রের অবস্থান: আজ চন্দ্র কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করবে। ৩য়া তিথি ভোর রাত : ৫:১৯ পর্যন্ত ,পরে ৪র্থী তিথি চলবে।

    মেষ রাশি (২১ মার্চ- ২০ এপ্রিল):দিনটি ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো যাবে। বকেয়া বিল আদায়ের যোগ প্রবল। ঠিকাদারী বা সাপ্লাই এর কাজে কিছু নতুন অর্ডার পেতে পারেন। মনে সন্দেহ নিয়ে কোনো কাজ করা ঠিক নয়। কোনো বড় ভাই বা বন্ধুর রহস্যজনক আচরনের কারনে কিছুটা চিন্তায় পরতে পারেন। আপনার সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল।

    বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল- ২০ মে):চাকরী সংক্রান্ত বিষয়ে অগ্রগতি হতে পারে। বেকারদের কর্ম লাভের যোগ প্রবল। ব্যবসায়ীরা আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নিতে পারেন। আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। রাজনৈতিক কাজে কোন প্রকার ঝামেলা দেখা দিতে পারে। কর্মস্থলে পদস্ত কর্মকর্তার মন বুঝে চলার চেষ্টা করুন। নিজের ইচ্ছাকে আজ দমন করলে ভালো হবে।

    মিথুন রাশি (২১ মে – ২০ জুন):আজ কোনো রহস্যজনক কারনে ভাগ্য আপনার সাথে লুকচুরি খেলতে পারে। বিদ্যার্থীদের সময় কিছুটা খারাপ যাবে। বিশ্ব বিদ্যালয়ের কোনো পরীক্ষায় খারাপ করতে পারেন। ট্রাভেল এজেন্ট ও বিমান টিকেট বিক্রয়ের সাথে জড়িতরা কোনো মারাত্মক ভুল করতে পারেন। সতর্ক হোন। আজ আর্থিক বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ধর্মীও কাজে বাধা বিপত্তি দেখা দেবে।

    কর্কট রাশি (২১ জুন- ২০ জুলাই):আজ আইনগত কোনো ঝামেলা দেখা দিতে পারে। মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগবেন। কোনো রহস্যজনক ঘটনার কারনে আপনার জীবনে ঝামেলা শুরু হতে পারে। ব্যাংকের ঋণ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিতে পারে। পাওনাদারের সম্মূখীন হতে পারেন। আজ চিকিৎসক ও ঔষধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা কোনো প্রকার ঝামেলায় পরতে চলেছেন।

    সিংহ রাশি (২১জুলাই- ২১ আগষ্ট): দিনটি আপনার জন্য খুব একটা ভালো নয়। ব্যবসায় কেনো রহস্যজনক ঘটনা ঘটতে পারে। আপনার দাম্পত্য জীবনও কিছুটা ঝামেলা পূর্ণ। সকাল বেলাতেই জীবন সাথীর রহস্যজনক আচরনের কারনে এক চোট তর্ক বিতর্ক হতে পারে। ব্যবসায় মন্দা দেখা দিতে পারে। কোন সাপ্লাইয়ারের কারনে আজ বেইজ্জত হতে পারেন।

    কন্যা রাশি (২২ আগষ্ট- ২২ সেপ্টেম্বর): শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিন। কারো সাথে অকারণে ভুল বুঝাবুঝি এড়িয়ে চলাই ভালো। ধুলা-বালু থেকে সাইনাস বা মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এলার্জী সম্পর্কে আজ বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। কর্মস্থলে সহকর্মীদের সাথে গোপন শত্রুতায় জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। কাজের লোকের কারনে কোনো মূল্যবান জিনিস খোঁয়া যেতে পারে।

    তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর- ২১ অক্টোবর): আজ সৃজনশীল কাজের সাথে জড়িতদের নানা রকম ঝামেলা দেখা দিতে পারে। বিদ্যার্থীদের দিনটি খুব একটা ভালো যাবে না। সন্তানের শরীর স্বাস্থ্য খুব ভোগাতে পারে। আজ প্রেমিক প্রেমিকাদের দেখা না করাই ভালো। অহেতুক সন্দেহের উদ্রেক হয় এমন কাজ করতে যাবেন না। লেখক ও শিল্পীরা তাড়াহুড়ো না করে আপনার প্রাপ্য সেলামী হিসেব করে বুঝে নিন।

    বৃশ্চিক রাশি (২২ অক্টোবর- ২০ নভেম্বর): আজ বৃশ্চিকের বন্ধুদের দিনটি কিছুটা বাধা বিপত্তির। প্রত্যাশিত কাজে অগ্রগতি হবে না। কোনো সমাপ্ত কাজের হটাৎ করে বাধা বিপত্তি দেখা দেবে। পারিবারিক অবস্থা কিছুটা ঝামেলাপূর্ণ। কোন কারনে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঝামেলায় জড়াতে পারেন। মায়ের সাথে আজ ভুল বুঝাবুঝি ও মান অভিমান হতে পারে।

    ধনু রাশি (২১ নভেম্বর – ২০ ডিসেম্বর): প্রকাশক ও সাংবাদিকদের দিনটি ঝামেলাপূর্ণ যাবে। আজ কোনো বড় রকমের ক্ষতির সম্মূখীন হতে পারেন। পত্র যোগাযোগে কোনো অনভিপ্রেত সংবাদ পেতে পারেন। কারো পরমর্শে নিজে কোনো কাজ করতে গেলে আজ ঠকে যাবেন। ছোট ভাই এর সাথে কোনো কারনে ভুল বুঝাবুঝি দেখা দেবে। প্রতিবেশীর রহস্যজনক আচরনের কারনে কিছুটা ঝামেলায় পরতে পারেন।

    মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর- ২০ জানুয়ারী): দিনটি মকর রাশির বন্ধুদের জন্য ভুলে ভরা একটি দিন হতে পারে। কারো সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে জড়াতে পারেন। আজ কোনো ব্যবসায়ীক ক্রেতাকে কোনো পণ্যের দাম নির্ধারন করে বলবেন না। পরে কথা রাখতে খুবই কষ্ট হবে। নতুন কোনো চুক্তি না করাই ভালো। শ্যালকের সাথে আজ ভুলবুঝাবুঝি হতে চলেছে। খুচরা বিক্রেতারা আজ লোকসানের মুখে পরতে পারেন।

    কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারী – ১৮ ফেব্রুয়ারী): মানসিক অবস্থা ভালো যাবে না। অজানা আশঙ্কায় অস্থির থাকবেন। জীবন সাথী ও ব্যবসায়ীক অংশীদারের প্রতি সন্দেহ প্রবণ হয়ে উঠতে পারেন। আপনার সন্দেহ বাতিকতার রোগে পেয়ে বসতে পারেন। কাউকে আজ বিশ্বাস করতে পারবেন না। শরীর স্বাস্থ্য ভালো যাবে না। অতিন্দ্রীয় বিষয়ের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে পরতে পারেন। আজ প্রতারিত হওয়ার যোগ প্রবল।

    মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারী – ২০ মার্চ): আজ বাণিজ্যে ও ভ্রমনে ঝামেলা অব্যাহত থাকবে। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীরা কোনো ক্ষতির সম্মূখীন হতে পারেন। ট্রাভেল এজেন্সী ব্যবসায় অংশীদারের সাথে মনমালিন্য হতে চলেছে। আপনার আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক থাকবে। কোন অহেতুক কারনে অনেক ব্যয় হবার আশঙ্কা। আইনগত জটিলতায় জড়িয়ে পরলে বহু টাকা ব্যয় করতে হবে।

    জ্যোতিষ শাস্ত্রী ফকির ইয়াসির আরাফাত মেহেদী

    সাংগঠনিক সম্পাদক (বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটি)

    মোবাইল: ০১৭১৬-৬০৮০৮২

  • ‘সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে’

    ‘সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে’

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। রোববার শরীয়তপুর পৌরসভার পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    আইজিপি আরো বলেন, পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের সঙ্গে সকলকে সম্পৃক্ত হতে হবে। তাহলে জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ মাদক ও জুয়া বন্ধ হবে। জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

    তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, জঙ্গিরা ছাত্র-ছাত্রীদের ব্রেনওয়াশ করে তাদের মাঝে জঙ্গি কর্মকাণ্ড ঢুকিয়ে দেয়। তাই অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। সন্তানদের মাঝে পরিবর্তন দেখলে শিক্ষক কিংবা পুলিশের সাহায্য নিতে হবে।

    আইজিপি আরো বলেন, পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল। এই বিদ্যালয় থেকে বড় বড় রাজনৈতিক নেতা হয়েছে। বড় বড় সরকারি চাকরিজীবী হয়েছেন। আমিও এ বিদ্যালয়ের ছাত্র।

    এসময় জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার, শরীয়তপুর সদর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হাসেম তপাদার ও পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটি’ ১৭ আহবায়ক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল মহাসচিব (কল্যাণ ও পুর্বাসন) মো. আলাউদ্দিন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

     

  • বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য থাকবে: হর্ষবর্ধন

    বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য থাকবে: হর্ষবর্ধন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কের একটি শক্তিশালী বীজ বপন করেছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই সম্পর্ক আরও নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আশা করছি, আমাদের এই সম্পর্ক চিরদিন অবিচ্ছেদ্য থাকবে।’ রবিবার বিকেলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    অনুষ্ঠান শেষে তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘বন্ধুত্ব একটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে হয় না। বন্ধুত্বে বহু ইস্যু থাকে। আমরা সীমান্ত, সমুদ্র সীমান্ত, ভারতীয় বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছি, যার মধ্যে তিস্তাও আছে।

    আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ইতি টানতে চাই।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তি সহজকরণ করতে আমরা সব সময়ই কাজ করছি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতীয় ভিসা পাওয়ার জন্য ই-টোকেন লাগবে না। রেল, বিমান বা সড়কের টিকিট দিয়েই কোনো ধরনের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে।’

  • পিএসএলে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

    পিএসএলে খেলবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : পাকিস্তান সুপার লিগ-পিএসএলে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলবেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রবিবার এক টুইট বার্তায় কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স এ ঘোষণা দিয়েছে।

    রিয়াদ ছাড়া এবারের আসরে বাংলাদেশ থেকে আরও খেলবেন ওপেনার তামিম ইকবাল। গত আসরে ব্যাট হাতে দারুণ খেলেছেন তামিম। পেশোয়ারের হয়ে খেলবেন এ বাম-হাতি ওপেনার। তবে এবারের আসর থেকে বাদ পড়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তাকে দলে রাখেনি পেশোয়ার জালমি।

    প্রসঙ্গত, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শারজা ও দুবাইয় এই টুর্নামেন্ট শুরু হবে।

     

  • বিমান বাহিনীতে চাকরি পেলেন ভ্যান চালক ইমাম

    বিমান বাহিনীতে চাকরি পেলেন ভ্যান চালক ইমাম

    এসবিনিউজ ডেস্ক : টুঙ্গিপাড়ার ভ্যান চালক ইমাম শেখের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে চাকরি হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ইমামের ভ্যান গাড়িটি রাখা হবে যাদুঘরে।

    এ ছাড়াও ইমামের বাবা মানসিক রোগী আব্দুল লতিফ শেখের চিকিৎসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ৪০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রিকশা ভ্যানে বসে শুক্রবার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় নিজ এলাকা ঘুরে দেখেন। হাস্যোজ্জ্বল শেখ হাসিনা কোলে নাতিকে নিয়ে বসেন ভ্যানের সামনের দিকে, অন্য পাশে ভাগ্নে ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। পেছন দিকে বসেন রাদওয়ানের মেয়ে ও স্ত্রী পেপি সিদ্দিক।

    প্রধানমন্ত্রী যে ভ্যানে বসে পৈত্রিক এলাকা ঘুরে দেখেন তার চালক ইমাম শেখ। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার পাটগাতী সরদার পাড়া গ্রামে। ১৭ বছর বয়সী ইমাম ভ্যান চালান দুই বছর ধরে।

    পরের দিন শনিবার ইমাম শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বারবার একটি চাকরি দেয়ার কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আমার ভ্যানে চড়ে ঘুরবেন- এমনটা কোনোদিনও কল্পনা করতে পারিনি। এ আনন্দে শেষ পর্যন্ত আর মনের কথা বলতে পারিনি।’

    বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার এবং প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভ্যান চালনার দৃশ্য বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর মধ্যে শনিবার রাতেই ভ্যান চালক ইমাম শেখের চাকরীর বিষয়টি মোটামোটি জানাজানি হয়।

    রোববার সকাল ১১টার দিকে বিমান বাহিনীর যশোর ক্যান্টনমেন্টের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির স্কোয়ার্ডন লিডার হারুন-উর-রশিদ টুঙ্গিপাড়ার সরদারপাড়া গ্রামে ইমাম শেখের বাড়িতে গিয়ে ইমাম শেখের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। এরপর তিনি ইমাম শেখের অসুস্থ পিতার চিকিৎসা ও ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে ৪০ হাজার টাকা তুলে দেন ইমামের মা শাহানূর বেগমের হাতে। এ সময় বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির স্কোয়ার্ডন এ্যাসিট্যান্ট লিডার দেলোয়ার হোসাইনসহ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    এর আগে সকালেই বিমান বাহিনীর একটি প্রতিনিধি দল তার গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়ার সরদার পাড়ায় পৌছে। সেখান থেকে ইমামকে জেলা শহরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়।

    এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ রুহুল আমিন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ দাউদ উপস্থিত ছিলেন।

    কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহম্মদ আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সকালে বিমান-বাহিনীর কর্মকর্তারা তার গোপালগঞ্জ শহরস্থ বাসায় আসেন এবং সেখানেই মোঃ ইমাম শেখকে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।

    তিনি বলেন, গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থানকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গ্রামবাসীদের অত্যন্ত কাছে চলে যান এবং ইমাম শেখের ভ্যানে চড়ে গ্রাম-এলাকা ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি ইমামের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের পরিবার সম্পর্কে জানেন। পরে ভ্যান থেকে নেমে ইমামকে বেশকিছু টাকা দিতে গেলে টাকা না নিয়ে বরং সে যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীসহ উপস্থিত সকলেই তার প্রতি মুগ্ধ হয়েছেন এবং প্রশংসাও করেছেন।

    ইমাম শেখের সততার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে পরে বিমান-বাহিনীর পক্ষ থেকে তার জন্য একটা সুব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একারণেই মোঃ ইমাম শেখের জন্য বিমান-বাহিনীর এ উদ্যোগ বলে জানান তিনি ।

    ইমামের মা শাহানুর বেগম বলেন , ১৭ বছর বয়সী ইমাম ভ্যান চালান দুই বছর ধরে। পঞ্চম শ্রেণিতে আটকে যায় ইমামের পড়াশোনা। এখন জীবনযুদ্ধ চলে ভ্যান চালিয়ে, যা আয় হয় তা দিয়েই চলে সংসার। তার বাবা আব্দুল লতিফ শেখ মানসিক রোগী, মা গৃহিণী। ইমাম শেখরা দুই ভাই, তিন বোন।

    ইমামের বড় ভাই সাদ্দাম শেখ ঢাকায় সম্প্রতি চাকরি পেয়েছেন, এখনও বেতন পাননি। বোন রেক্সনা ও সোহাগী আক্তারের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোন নাদিরা বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে।

    ভ্যান-চালক মোঃ ইমাম শেখ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু’র সন্তান, তিনি আমাদের ‘আপা’। সেদিন তিনি এতোগুলো ভ্যানের মধ্য থেকে আমার ভ্যানে চড়ে বসেছিলেন, তাতেই আমি ধন্য হয়ে গেছি। টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়ে আমার জীবন সার্থক হয়েছে।

  • পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে : নৌপরিবহন মন্ত্রী

    পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে : নৌপরিবহন মন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নদীর সীমানা নির্ধারণে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং নদীর খনন কাজ করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে।

    রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় নদীর সীমানা নির্ধারণ, নাব্যতা বৃদ্ধি এবং স্থলবন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত এক সভায় নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান এসব কথা বলেন।

    শাজাহান খান বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে চট্টগ্রাম পার্বত্য জেলাগুলো বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এর প্রসারে নদীগুলো খননের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নদীগুলোর মধ্যে রয়েছে কাচা লং, মাইনি, ইছামতি, কর্ণফুলি, চেংনি, মাতামহুরি, সাংগু, ফেনী ও হালদা। এছাড়া আরও কিছু নদী খনন করা হবে।

    তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে এবারই প্রথম কোনো সরকার পার্বত্য জেলা নদী খননের উদ্যোগ নিল। এরফলে ওই এলাকার মানুষের যেমন কর্মসংস্থান হবে, তেমনি তারা ব্যবসা-বাণিজ্যেও বড় অবদান রাখতে পারবে।

    শাজাহান খান বলেন, দেশের অনেক নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছিল, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও খননের কাজ গতিশীল করেছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ১৪টি ড্রেজার কিনেছে সরকার।

    তিনি বলেন, আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে আরও ২০টি ড্রেজার কেনা হবে। এছাড়া বেসরকারিভাবে আরও ৫০টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ড্রেজার দিয়ে নদী খননের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে।

    শাজাহান খান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ির রামগড়, রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার তেগামুখ ও বান্দরবন জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমঘুম ইউনিয়নে স্থলবন্দর নির্মাণ করা হবে। এগুলো নির্মিত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রসার ঘটবে।

    সভায় অন্যন্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কামালউদ্দিন তালুকদার, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী এবং বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

     

  • শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও শান্তির পথিকৃত: তথ্যমন্ত্রী

    শেখ হাসিনা উন্নয়ন ও শান্তির পথিকৃত: তথ্যমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও উন্নয়নে দুর্বার গতি আনার সাথে সাথে শেখ হাসিনা প্রবর্তিত ডিজিটাল প্রযুক্তি গণমানুষের ক্ষমতায়ন ও সমাজে বৈষম্য অবসানে বিস্ময়কর ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলো, উন্নয়ন ও শান্তির পথিকৃত। আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া অন্ধকার, অশান্তি ও জঙ্গির সঙ্গী।’

    ইনস্টিটিউট অভ ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি)’র ৫৭তম কনভেনশন উপলক্ষে রোববার চট্টগ্রামে আইইবি মিলনায়তনে আয়োজিত ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং গণমুখী উন্নয়ন শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা ডিজিটাল প্রযুক্তির পক্ষে আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। অপরদিকে বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদের পক্ষে আর ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বিরুদ্ধে। তাই বাংলাদেশকে যদি সামনে নিয়ে যেতে হয়, তাহলে জঙ্গিবাদ বর্জন করতে হবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে হবে।’

    ‘যারা ডিজিটাল প্রযুক্তি বোঝে না, যারা জঙ্গিবাদের বন্ধু, তারা যদি বাংলাদেশকে দখল করে নেয়, তাহলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা চরমভাবে হোঁচট খাবে, যা দেশ ও জনগণের জন্য হবে ভয়াবহ ক্ষতিকর। যদি সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে চান, দেশ পরিচালনার ভার কাকে দেবেন তা ভাবা একটা নাগরিক কর্তব্য’, প্রকৌশলীদের স্মরণ করিয়ে দেন জাসদ সভাপতি ইনু।

    শান্তি ও উন্নয়নযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রযুক্তিবান্ধব সরকারের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রকৌশলী ইনু বলেন, ‘বর্তমান সরকার যেমন ডিজিটালবান্ধব, তেমনই কৃষক ও নারীবান্ধব। আর সে কারণেই ডিজিটাল প্রযুক্তি এদেশে গণমানুষের জন্য কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছে। যে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বোঝে, ডিজিটাল প্রযুক্তি কোথায় প্রয়োগ করবে তা বোঝে, সেই সরকার যদি ক্ষমতায় না থাকে, তাহলে বাংলাদেশ বিশাল একটা হোঁচট খাবে এবং মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে।’

    দারিদ্র্য উচ্ছেদ করে টেকসই উন্নয়নসমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে ডিজিটাল প্রযুক্তির গণমুখী ব্যবহারকে অপরিহার্য উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জন্ম-নিবন্ধন, ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির ফরম থেকে শুরু করে, গ্রামের কৃষককে জমির উর্বরতা সম্পর্কে তথ্য দিতে এমনকি সহজে টাকা পাঠাতে আজ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। প্রশাসনকে স্বচ্ছ করে জনগণের কাছাকাছি এনে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে সাহায্য করছে এ প্রযুক্তি। মিথ্যাচার, গুজব, কূপমন্ডকতা, কুসংস্কার এবং খন্ডিত বা ধামাচাপা তথ্য থেকে মুক্ত হয়ে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ দরকার।

    হাসানুল হক ইনু এসময় ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে ইন্টারনেট সুবিধার অধিকারকে মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে ঘোষণা দেয়ার প্রস্তাবও তুলে ধরেন।

    ‘মনজয়’, ‘উত্থান’ এবং ‘অগ্রযাত্রা’ এ তিন পর্বে বাংলাদেশে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটছে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বউন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হতে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর ঘোষণার যুগান্তকারী রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের আট বছর পর আমরা এখন মনজয় পর্বের শেষ পর্যায়ে। এবার ২০২১ সাল পর্যন্ত উত্থান পর্ব, তারপর অগ্রযাত্রা পর্বে উন্নত বিশ্বের সমান দক্ষতা প্রদর্শন করবে দেশ।

    আইইবি প্রেসিডেন্ট মোঃ কবির আহমেদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।