Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 390 of 398

Author: dakshinermashal

  • খুবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন

    খুবিতে সরস্বতী পূজা উদযাপন

    স্টাফ রিপোর্টার : বুধবার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মাণাধীন মন্দির প্রাঙ্গণে বাণী অর্চনা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. উৎপল কুমার কর্মকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

    প্রধান অতিথি এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন আমাদের সবার মূখ্য আরধ্য হওয়া উচিত আদর্শ মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে জ্ঞান সাধনা করা। প্রত্যেক ধর্মেই জ্ঞান অর্জনের কথা বলা হয়েছে। এর কারণ মানুষ যখন জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয় তখন তাঁর মধ্য থেকে কুসংস্কার দূরীভূত হয়। লেখাপড়ায় নিষ্ঠার বিষয়টি জরুরী। শিক্ষক যদি সৎ হন, দায়িত্বশীল হন, আদর্শবান হন তবে তাঁর শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তিনি বলেন এখন সমাজ সভ্য হয়েছে, আলোকিত হয়েছে। এখন শিখন ও শিক্ষণ পদ্ধতি পাল্টেছে। আমরা অনেক এগিয়েছি। এখন উভয়মুখি শিক্ষাই প্রাধান্য পেয়েছে যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে নৈকট্যলাভের সুযোগ ঘটে। তিনি বলেন আমরা দেখতে পাই প্রকৃতির সবকিছুই শৃঙ্খলার সাথে চলে, সবকিছুতেই শৃঙ্খলা আছে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলাটা জরুরী। এটার জন্যও আমাদের জ্ঞানার্জন দরকার। তিনি বলেন প্রাচীন গ্রিকে বা সে সময়ে সঙ্গীত ও গণিত চর্চার কথা বলা হয়েছে। এটার সাথে সনাতন হিন্দু ধমের্র কিভাবে যোগসূত্র হয় সে বিষয়টি গবেষণার । তবে সনাতন এ ধর্মে বাণী অর্চনার মূখ্য উদ্দেশ্যই হলো জ্ঞানলাভের প্রয়াসে, সুন্দরের প্রচেষ্টায় ভক্তি নিবেদন করা। এর পরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সরস্বতী পূজা উপলক্ষে মুদ্রিত স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। এ অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফা, প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস, ডাঃ গৌতম রায়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্যসচিব রূপক সাহা। এসময় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সকালে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিমা বেদীতে অঞ্জলি প্রদান এবং পূজা শেষে  প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এদিকে বাণী অর্চনা উপলক্ষে বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

  • জহুরুলের মৃত্যুতে রূপান্তরের শোক পালন শুরু

    জহুরুলের মৃত্যুতে রূপান্তরের শোক পালন শুরু

    রূপান্তর-এর জ্যেষ্ঠ কর্মী ডাঃ খন্দকার জহুরুল ইসলামের মৃত্যুতে সংস্থার পক্ষ থেকে তিনদিনের শোক পালন কর্মসূচী আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। রূপান্তর পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক জ্ঞাপন করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, এক কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গত মাসাধিককাল ধরে নানান রকম অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তিনি পাকিস্তান থেকে পশু চিকিৎসায় ডিগ্রী অর্জনের পর পাকিস্তানের লারকানায় তিনি কিছুদিন পশু চিকিৎসক ও সার্জনের দায়িত্ব পালনের পর ১৯৬৯ সালে এ দেশে চলে আসেন এবং গ্ল্যাক্সো লিমিটেডে যোগদান করেন। সেখানে বিভিন্ন এক্সিকিউটিভ পদে দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৮২ সালে এসএমসিতে যোগদান করেন। তিনি খুলনার সেন্ট জোসেফস হাই স্কুল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষকতাও করেছেন। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি রূপান্তরে দায়িত্ব পালন শুরু করে আমৃত্যু রূপান্তরে কর্মরত ছিলেন।

    আজ বাদ জোহর নগরীর জোড়াকল মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ রূপান্তর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে খুলনার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং তাঁর সহকর্মীবৃন্দ শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ আছর দারুল উলুম মাদ্রাসায় তাঁর দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বসুপাড়া গোরস্তানে তাঁকে দাফন করা হয়।

    ডাঃ খন্দকার জহুরুল ইসলামের মৃত্যুতে রূপান্তর পরিবারের পক্ষে নির্বাহী পরিচালকদ্বয় স্বপন কুমার গুহ ও রফিকুল ইসলাম খোকন গভীর শোক প্রকাশ করে এক শোক বার্তায় বলেন এ মৃত্যু শুধু রূপান্তর নয়, এ অঞ্চলের বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শোক বার্তায় মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমমর্মিতা প্রকাশ করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তির

     

     

  • খুবিকে বিশ্ব র্যাং কিংয়ে স্থান করে নিতে চাই : উপাচার্য

    খুবিকে বিশ্ব র্যাং কিংয়ে স্থান করে নিতে চাই : উপাচার্য

    দ্বিতীয় মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মঙ্গলবার দ্বিতীয় কর্মদিবসে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট ও বিভাগীয় প্রধানদের সাথে মতবিনিময় করেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপাচার্য বলেন বিগত সময়ে আপনারা যেভাবে সবাই সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করেছেন সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে পূর্ণোদ্যমে কাজ করে আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র‌্যাংকিং এর মধ্যে স্থান করে নিতে চাই। আপনারা গত কয়েক বছরে উচ্চশিক্ষার মান অর্জনে যেভাবে নিরলস চেষ্টা করেছেন তাতে আমি বিশ্বাস করি আমরা এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবো। তিনি আরও বলেন  উপাচার্য নিয়োগে ২-৩ সপ্তাহ বিলম্ব হওয়ায় সৃষ্ট সাময়িক স্থবিরতা কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান অবকাঠামো উন্নয়নের কাজও আমাদের দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে।

    অনুষ্ঠানে উপাচার্যকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং একাডেমিক বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সমাজ বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল জব্বার, সয়েল সায়েন্স ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান ভুইয়া, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. গাউছিয়াতুর রেজা বানু, অর্থনীতি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শাহনেওয়াজ নাজিমুদ্দিন আহমেদ, আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। এসময় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান, বিভিন্ন ¯ু‹লের ডিন, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আজ উপাচার্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজ, ড্রইং এন্ড পেইন্টি, ভাস্কর্য ডিসিপ্লিনের প্রধানসহ শিক্ষকবৃন্দ ও খুলনাস্থ গোপালগঞ্জ জেলা কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ। খবর বিজ্ঞপ্তির

     

  • ইকবাল সোবাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সমাবেশ

    ইকবাল সোবাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সমাবেশ

    স্টাফ রিপোর্টার ; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও গণমাধ্যম উপদেষ্টা সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কর্যের পাদদেশে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা প্রেস ক্লাব ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব। সমাবেশে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার রায়।

     

    প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলানা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ওয়াদুদুর রহমান পান্না, মকবুল হোসেন মিন্টু, আহমদ আলী খান, শেখ আবু হাসান ও ফারুক আহমেদ, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সাহেব আলী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মোজাম্মেল হক হাওলাদার, প্রেস ক্লাবের সাবেক সদস্য সচিব মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, প্রেস ক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. আনিসুজ্জামান খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মল্লিক সুধাংশু ও সহ-সভাপতি কৌশিক দে, সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন ফুলতলা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান ও  নাগরিক নেতা শাহীন জামাল পন প্রমুখ।

     

    প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন,  সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ফেনীর বিতর্কিত সাংসদ নিজাম হাজারী কর্তৃক করা এ মামলা অবিলম্বে প্রতাহার করতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের নামে এ ধরনের মামলা করা সুষ্ঠু ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের প্রতি হুমকীস্বরূপ।  সমাবেশে বক্তারা দ্রুত এ মামলা প্রতাহারের না করা হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচী দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেন।

     

    প্রতিবাদ সভায় খুলনা প্রেস ক্লাবের স্থায়ী ও ইউজার সদস্য, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ের সদস্যসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় খুলনায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সার্চ কমিটিতে নাম পাঠাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট

    সার্চ কমিটিতে নাম পাঠাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট

    এসবিনিউজ ডেস্ক : রোববার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েই জোটের বৈঠকে বসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    গঠিত সার্চ কমিটি নিয়ে আশাবাদী না হলেও তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সিইসি নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে নামের প্রস্তাব পাঠাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের দলগুলো।

    সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের মহাসচিবদের বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ।

    তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সার্চ কমিটির কাছে নাম পাঠানোর ব্যাপারে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। আমরা নাম পাঠাচ্ছি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ছয়টি দল রাষ্ট্রপতির সংলাপের আমন্ত্রণ পেয়েছিল। সব দল আলাদাভাবে সার্চ কমিটির কাছে ইসি গঠনে নাম প্রস্তাব করবে।

    এই দলগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ ন্যাপ, মুসলিম লীগ ও জমিয়তে উলামা-ই ইসলাম।

    ফখরুলের সঙ্গে বৈঠকে এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, বিজেপির সালাহউদ্দিন মতিন, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল করীম খান, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, এনপিপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জমিয়তে উলামা-ই ইসলামের মাওলানা মহিউদ্দিন একরাম, জাগপার খন্দকার আসাদুর রহমান খান, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, এনিডিপির মঞ্জুর হোসেন ঈসা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও বৈঠকে ছিলেন।

    বৈঠকের পর ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

    রাষ্ট্রপতি গঠিত এই সার্চ কমিটি নিয়ে ইতোমধ্যে  ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। সার্চ কমিটির ছয় সদস্যেলর পাঁচজনেরই নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ তাদের।

    দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলছেন, বিদায়ী কমিশনের মতোই আরেকটি ইসি গঠনের পাঁয়তারা চলছে।

     

  • দু’বছরে চার হাজার ইউনিয়নে যাবে অপটিক্যাল ফাইবার

    দু’বছরে চার হাজার ইউনিয়নে যাবে অপটিক্যাল ফাইবার

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আগামী দুই বছরের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    সোমবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নকে ফাইবার অপটিক্যাল কানেকটিভিটির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। গত ২২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ১৯শ’ কোটি টাকার বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, আইসিটি সেক্টরে সরকারের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে আমাদের তরুণ প্রজন্মের অফুরন্ত শক্তি কাজে লাগিয়ে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করার সময় আইটি খাতে মাত্র ২৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৮ বছরের ব্যবধানে আইটি রপ্তানি বেড়ে দাড়িয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলারে। মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদেরকে একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ২০১৮ সাল নাগাদ আমরা আইসিটি সেক্টর থেকে ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করব।’

    তিনি আরো বলেন, দেশের জনগণ আজকে ৫ হাজার ২৭৩টি ডিজিটাল সেন্টারে ২০০ রকম সেবা পাচ্ছে। এই সেন্টারগুলো থেকে প্রতি মাসে ৬০ লাখ জনগণ সেবা নিচ্ছে। আমরা ছয়শো মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন করেছি। বাংলাদেশে এখন প্রায় ১০ কোটি মোবাইল সেট মানুষের হাতে হাতে রয়েছে। এই ১০ হাজার মোবাইল সেট গড়ে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা করে মূল্য ধরলেও এগুলোর দাম হয় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। এখন আমরা শুধু শ্রম নির্ভর অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে না- একটি মেধাভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা এখন গবেষণায় জোর দিচ্ছি।

    তিনি বলেন, সরকারের আট বছরের ব্যবধানে ২৬ মিলিয়ন ডলারের আইটি এক্সপোর্ট বেড়ে আজকে দাঁড়িয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলারে। প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ২০১৮ সাল নাগাদ আইটি সেক্টর থেকে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় আসবে বাংলাদেশে

    সারাদেশে ১ লক্ষ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ২৭ লক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    তিনি আরও জানান, সরকার সারা বাংলাদেশে সাড়ে ৫ হাজার কম্পিউটার ল্যাব, ২ হাজার ১টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছে। আগামী ৩ বছরে প্রাইমারি, হাইস্কুল এবং কলেজ লেভেলে আরও ১৫ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে।

  • আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে

    আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আগামী দিনের প্রতিটি নির্বাচনও অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।সোমবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্য তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারায়ণঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে। আমি আশা করি আগামী দিনের প্রতিটি নির্বাচন অবধ ও সুষ্ঠু হবে। জনগণের তাদের ইচ্ছা মতো ভোট দেবে। যাকে চাইবে, তাকে ভোট দেবে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি- বাংলাদেশের মানুষের অধিকার এবং ভোটের অধিকার নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।’

    নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নাম প্রস্তাব করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই সভাটির আয়োজন করা হয়।

     

  • খুবি ভিসি ফায়েক উজ্জামানের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ

    খুবি ভিসি ফায়েক উজ্জামানের দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ

    স্টাফ রিপোর্টার : দ্বিতীয় মেয়াদে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে সোমবার যোগদানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনে তাঁর কার্যালয়ে পৌঁছানোর পথে স্বতস্ফূর্তভাবে সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন। এসময় ট্রেজারার খান আতিয়ার রহমান দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসাবে নিযুক্ত হওয়ায় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। উপাচার্য তাৎক্ষণিক বক্তব্যে বলেন প্রথম মেয়াদ শেষে আপনারা যেভাবে ফুলেল শুভেচ্ছায় আমাকে বিদায় জানান আমি যেদিন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব শেষ করবো সেদিনই ফুলেল শুভেচ্ছায় বিদায় নিতে চাই। আপনাদের ভালোবাসাই আমার কাম্য। আসুন আমরা সবাই মিলে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাই। আপনাদের কাছে আমি সেই সহযোগিতা চাই। আমি অর্থ-বিত্ত চাই না। আমি চাই সততার সাথে, নিষ্ঠার সাথে যাতে দায়িত্ব পালন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি করতে পারি, দেশের জন্য কাজ করতে পারি। আপনারা দোয়া করবেন যেনো আমার সন্তানেরা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। পরে তিনি তাঁর কার্যালয়ে প্রবেশ করলে কর্মকর্তা কল্যাণ পরিষদ ও কর্মচারিদের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে উপাচার্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধের ভাষ্কর্য অদম্য বাংলা এবং কটকা স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এসময় ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধানবৃন্দসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর পরপরই অফিসে ফিরে তিনি দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন। দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি বিভিন্ন ডিসিপ্লিন বিভাগের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করেন। বেলা সাড়ে ১২টায় তিনি স্থাপত্য ডিসিপ্লিনে আর্ক কেইউ ডিগ্রিশোতে প্রদর্শীত নবীন ৪৫ জন স্থপতির থিসিসভিত্তিক বিভিন্ন স্থাপত্যকর্মের মডেল ঘুরে দেখেন। এ সময় স্থাপত্য ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফাসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কার্যদিবসে তিনি ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করেন।

     

     

     

     

  • খুলনায় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা শেষ

    স্টাফ রিপোর্টার : খুলনায় তিন দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৭ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শনিবার বিকালে সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।

    প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের দিন বদলের সনদ ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবরূপ ধারন করেছে। বিশ্বের অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের ডিজিটাল ধারণাকে অনুসরণ করছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন প্রায় একশটির মতো সেবা ঘরে বসে গ্রহণ করতে পারছে। কোন সরকারী দপ্তর কি ধরনের সেবা দি”েছ এবং সেই সেবাগুলো কিভাবে সাধারণ মানুষ পেতে পারবে তা ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার মাধ্যমে জানতে পারছে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন প্রজন্মকে দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে গবেষণা করার আহবান জানান।

    এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মনির“জ্জামান।

    পরে প্রধান অতিথি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং সেবা প্রদানে শ্রেষ্ঠ স্টল ও দপ্তরকে পুরস্কার তুলে দেন।

  • পাটজাত পণ্য রফতানি করে আয় ৬৫৯ কোটি টাকা

    পাটজাত পণ্য রফতানি করে আয় ৬৫৯ কোটি টাকা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমসি) বিশ্বের ১০৪টি দেশে ৮৫ হাজার ২০৮ দশমিক ৬৩ টন পাটজাত দ্রব্য রফতানি করেছে। এ থেকে বিজিএমসি ৬৫৯ কোটি (৬৫৯.০২৮ কোটি) টাকার (সাবসিডি ব্যতীত) বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক। সোমবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

    মন্ত্রী বলেন, বিজিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ২২টি পাটকল বর্তমানে সচল আছে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২শ’ ৬৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

    গত ৫ বছরে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজিএমসি)-এর নিয়ন্ত্রণাধীন মিলসমূহ (বস্ত্র ও পাটকল) লাভের মুখ দেখেনি জানিয়ে তিনি বলেন, তবে বর্তমান সরকার এই খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

    তিনি আরও বলেন, আমাদের বস্ত্র কারখানাগুলো দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার ৭০-৮৩ শতাংশ মেটাতে সক্ষম। রফতানিযোগ্য বস্ত্র শিল্পের মধ্যে ওভেন পোশাকের ক্ষেত্রে প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ আর নিট পোশাকের ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ শতাংশ কাঁচামাল স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করা হয়।

     

     

  • মেরুদণ্ডহীন সিইসি আর চাই না: এরশাদ

    মেরুদণ্ডহীন সিইসি আর চাই না: এরশাদ

    এসবিনিউজ ডেস্ক  : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের মতো মেরুদণ্ডহীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আর চাই না। আমরা মেরুদণ্ডসম্পন্ন ব্যক্তিকে সিইসি পদে দেখতে চাই। সোমবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

    এ সময় নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঁচজন করে ব্যক্তির নামের তালিকা চাওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘আমরা পাঁচজনের নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছি। আজকালের মধ্যে নামের তালিকা সার্চ কমিটির কাছে পাঠানো হবে।

    একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। নিবন্ধন ঠেকাতে বিএনপিকে অবশ্যই নির্বাচন করতে হবে। বিএনপি অতীতের মতো আর ভুল করবে না।

    সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মনিরাম এলাকায় জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক জনসভায় এইচ এম এরশাদ বলেন, আমি একটা কথা বারবার বলি, এ দেশে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। বর্তমান সরকারের আমলে নারী ও শিশু থেকে শুরু করে সাংসদ পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ নই। কে কখন খুন হবে, গুম হবে, কেউ বলতে পারে না। সে আওয়ামী লীগ নেতা হোক, এমপি হোক কেউ নিরাপদ নয়।’ জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে মানুষ নিরাপদ থাকবে বলে জানান তিনি।

     

     

     

  • যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম করলে যাবজ্জীবন

    যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম করলে যাবজ্জীবন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : যৌতুকের জন্য মারাত্মক জখম করলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচিত করলে ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে ‘যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৭’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

    বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

    তিনি বলেন, ১৯৮২, ১৯৮৩ ও ১৯৮৪ সালের যৌতুক আইন একত্রিত করে নতুন এ আইনটি করা হয়েছে। আইনে যৌতুকের সংজ্ঞায় বলা হয়েছ, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে যৌতুকের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে এখানেও সেটা বলবৎ থাকবে। বর বা তার পিতা বা মাতা কিংবা বরপক্ষ কনেপক্ষের কাছে যৌতুক দাবি করলে তারা এ আইনের আওতায় পড়বেন।

    তিনি আরো বলেন, আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি যৌতুক দাবি করে এবং কনেকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে তাহলে তার সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। তবে জরিমানা আদালত নির্ধারণ করবেন।

    আইনে আরো বলা হয়েছে, যৌতুকের দাবিতে কনের মারাত্মক অঙ্গহানি হলে নির্যাতনকারীকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ড, সাধারণ অভিযোগ হলে তিন বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

    এ ছাড়া এই আইনে আসামির এক থেকে ৫ বছরের জেল এবং সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারবেন আদালত। তবে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যৌতুকের মামলায় ভুক্তভোগীর ক্ষতি বিবেচনায় বরকে অর্থদণ্ড এবং কনের আমৃত্যু ভরণপোষণ করার দায়িত্ব নেয়ার রায় দিতে পারবেন আদালত।

     

  • ইসিতে ‘গ্রহণযোগ্য, নির্দলীয়দের’ চান বিশিষ্টজনরা

    ইসিতে ‘গ্রহণযোগ্য, নির্দলীয়দের’ চান বিশিষ্টজনরা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে দক্ষ, সৎ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যাক্তিদের নাম সুপারিশ করার জন্য  রাষ্ট্রপাতির গঠিত সার্চ কমিটিকে পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

    আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির সদস্যরা সোমবার বিকালে ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে তাদের মতামত শোনেন।

    সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সোমবার বিকাল ৪টা থেকে দুই ঘণ্টা তাদের এই বৈঠক চলে।

    বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, “উনারা আজ গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলোর রেকর্ড নিয়েছি। তারা প্রত্যেকেই সিইসি ও নির্বাচন কমিশনার হিসাবে সৎ, দক্ষ, গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় ব্যক্তিদের বাছাই করার পরামর্শ দিয়েছেন।”

    সার্চ কমিটির কার্যক্রমে সাচিবিক সহায়তা দিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেই সূত্রে এ বিভাগের সচিব নিজেও সার্চ কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন।

    সার্চ কমিটির আমন্ত্রণে হাই কোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আব্দুর রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এসএমএ ফায়েজ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আইনজীবী সুলতানা কামাল এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ ছহুল হোসাইন, এম সাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক শিক্ষক তোফায়েল আহমদ, সুশাসনের জন্য্ নাগরিকের (সুজন) নির্বাহী বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক ও সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা অংশ নেন এই আলোচনায়।

    বৈঠক শেষে সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তারা কোনো নাম প্রস্তাব করেননি।

    “আমরা বিভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে। আশা করি, সার্চ কমিটি নতুন ইসি গঠনে নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করবে।”

    সাখাওয়াত বলেন, ইসি গঠনের কিছু মানদণ্ড তারা সার্চ কমিটির সামনে তুলে ধরেছেন।

    “এমন লোকটিকে নির্বাচন করতে হবে, যাকে দেখে মানুষ প্রথমেই বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। পাশাপাশি প্রশাসনিক দক্ষতাসম্পন্ন, নিরপেক্ষ বিবেচিত ব্যক্তিদের বাছাই করতে হবে।”

    সুলতানা কামাল বলেন, “একটা কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এখানে আমন্ত্রিত হয়ে এসেছি। সার্চ কমিটির নিজস্ব একটা কর্মপদ্ধতি আছে। কারা কমিশনে যাবে বা না যাবে- সেই নাম প্রস্তাব করার দায়িত্ব সার্চ কমিটির। আমাদের সাথে তাদের মত বিনিময় ছিল মানুষ কোন ধরনের ব্যক্তিদের কমিশনে দেখতে চায় সে বিষয়ে।”

    তিনি জানান, সাংবিধানিক দায়িত্ব যারা সততা, স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার সঙ্গে পালন করতে পারবেন- তেমন ব্যক্তিদের যাতে সার্চ কমিটি খুঁজে নিতে পারে- সে বিষয়ে তারা মতবিনিময় করেছেন।

    “নির্বাচন কমিশনে আমরা এমন ব্যক্তি দেখতে চাই, যে বা যারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারবে। তারা হবেন সৎ, দক্ষ ও উপযুক্ত এবং তারা মনে করবেন তাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। এটা কোনো সুযোগ সুবিধার ব্যাপার না। একটা বিরাট বড় জাতীয় দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পণ করা হয়েছে।”

    সার্চ কমিটি নিয়ে একটি দলের আস্থার সঙ্কটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, “কিছু মানুষের আস্থার সঙ্কট আছে, কিছু মানুষের নেই। শুধু আস্থার সঙ্কটের ওপর দাঁড়িয়ে থেকে সামনে এগোনো যাবে না। আজ সার্চ কমিটি হয়েছে, এতোদিন ধরে আস্থার যে সঙ্কট ছিল তার কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে।

    “আমি মনে করি, তারা অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। দীর্ঘদিন ধরে তারা যোগ্যতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আস্থা আনাটা জনগণেরও নৈতিক দায়িত্ব। ইসি বা সার্চ কমিটি কিন্তু নির্বাচন ভণ্ডুল করে না; নির্বাচন যদি অস্বচ্ছ হয় তার জন্যে দায়ী থাকে রাজনৈতিক দলগুলো।”

    অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, সার্চ কমিটি প্রথমবারের মত কিছু নাগরিকের সঙ্গে বসেছে, সেখনে প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতামত তুলে ধরেছে।

    “আমরা কিন্তু আগে আলোচনা করে একমত হইনি। কেউ কেউ লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন। মোদ্দা কথা হচ্ছে, সার্চ কমিটিকে যেটা সুপারিশ করেছে সেটা হচ্ছে একটা ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে উনারা সিলেকশন করবেন, আরেকটা হচ্ছে সিলেকশন যেটা করছেন তার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখুন, তাতে মানুষের আস্থা বিশ্বাস বাড়বে।

    “সিলেকশনের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মাপকাঠিগুলো তারা বসে চিন্তা করবেন, আমরা কিছু চিন্তার খোরাক দিয়েছি। আজ যে জিনিসগুলো দেওয়া হয়েছে, তারা অত্যন্ত ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তারা নিজেরা বসে এগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করে কিছু একটা দাঁড় করাবেন।”

    সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “ইসি গঠনে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা উচিত। সময় লাগলেও আইন করে নতুন ইসি নিয়োগ দেওয়া উচিত হবে।”

    অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকও একই ধরনের সুপারিশ দিয়েছে বলে জানান তিনি।

    অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও এস এম এ ফায়েজ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।

    নতুন কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া ৩১টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঁচটি করে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি। মঙ্গলবার বেলা ১১টার মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এই তালিকা দিতে হবে।

    দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া নাম যাচাই-বাছাই করে সার্চ কমিটি ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের সুপারিশ জমা দেবে। তাদের সুপারিশ থেকেই অনধিক পাঁচ সদস্যের ইসি নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি।

    আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে এই সার্চ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।

     

  • সিইসি হিসেবে বিএনপি চায় সালেহ উদ্দিনকে

    সিইসি হিসেবে বিএনপি চায় সালেহ উদ্দিনকে

    এসবিনিউজ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সার্চ কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাঁচজনের নাম জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাখার জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছে দলটি।

    বাকি চার সদস্য হলেন সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যান ড. সাদাত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. তাসনীম সিদ্দিকী।

    অবশ্য এসব নাম নিয়ে এখনো গোপনীয়তা অবলম্বন করছে বিএনপি। পাশাপাশি এ জোটের আরো ৬টি শরিক দলও এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।

    সার্চ কমিটিতে বিএনপির দাবি অনুযায়ী জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন না ঘটার পরেও ইসি গঠনে নাম জমা দেয়া না দেয়ার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল খোদ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মাঝেই।

    এদিকে নাম চূড়ান্তের আগে দলের স্থায়ী কমিটির সঙ্গে গুলশান কার্যালয়ে বৈঠক করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর সোমবার বিকেলে জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে সার্চ কমিটিতে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

     

  • রোগ সারাতে বেদানা

    রোগ সারাতে বেদানা

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বাতের ব্যথা কাবু করে ফেলেছে আপনাকে? বাড়ছে ব্লাড প্রেসার? আটকাতে চান ক্যান্সার বা হার্টের মারাত্মক অসুখ? এই ফলের দানায় দানায় রয়েছে ম্যাজিক। খাদ্যগুণে ভরপুর বেদানার প্রতিটি দানা।

    গবেষকরা বলেছেন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর বেদানা। রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি আর ভিটামিন কে। পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ বেদানা। ফাইবার আর প্রোটিনের উৎসও এই ফল। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ বেদানা ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

    গবেষণায় প্রমাণিত বেদানা ক্যান্সারের কোষগুলোর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে দারুণভাবে কাজে দেয় বেদানা। ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণেও কাজে দেয় এই ফল।

    বেদানার রস হার্টের অসুখ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। অ্যান্টিঅক্সিডান্টে ভরপুর বেদানার রস ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। রক্তচাপ কমাতেও দারুণভাবে কাজে দেয় বেদানা। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে বেদানার রস।

    অ্যালঝাইমার্সের ক্ষেত্রে কাজে দেয় এই ফল। ব্যথা কমাতেও বেদানার জুড়ি নেই। গাঁটের ব্যথা থেকে বাতের যন্ত্রণা কমাতে পারে বেদানাই। ব্যাকটিরিয়া আর ফাঙ্গাল ইনফেকশন কমাতে সাহায্য করে। ত্বক উজ্জ্বল করতেও বেদানা দারুণ কাজে দেয়।

     

     

  • সন্ত্রাসী সংগঠনকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সন্ত্রাসী সংগঠনকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠনকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হবে না।

    তিনি মঙ্গলবার সংসদে তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনসহ (আরএসও) অন্য কোন সন্ত্রাসী সংগঠনকে উৎপত্তি হতে বা বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা এবং বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে প্রতিবেশি কোন দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতে দেয়া হবে না।

    তিনি বলেন, ‘৭০-এর দশক থেকেই আমরা মিয়ানমার শরণার্থী সমস্যার সম্মুখীন, তাদের এদেশে আশ্রয় দেয়ায় আমরা বেশ সমস্যার মধ্যে রয়েছি।’

    জাতীয় পার্টির সদস্য পীর ফজলুর রহমানের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিক আহত করার ঘটনায় ইতোমধ্যে একজন এসআইকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একজন এডিশনাল এসপির নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, কেউই বিচারের ঊর্ধ্বে নয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

     

  • ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড পাবে মুক্তিযোদ্ধারা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

    ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড পাবে মুক্তিযোদ্ধারা: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক :  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক আজ বলেছেন, দেশব্যাপী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলছে। যাচাই বাছাই শেষে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল কোড সম্বলিত সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড দেয়া হবে।

    তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আট ধরণের ডিজিটাল কোড সম্বলিত সার্টিফিকেটের নমুনা প্রস্তুত করা হয়েছে।

    মন্ত্রী মঙ্গলবার শরিয়তপুর জেলার গোসাইহাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন।

    প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় এ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়।

    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

    প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিকভাবে তালিকাভুক্তকরণের অঙ্গিকার ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাগ বসানো কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।

    তিনি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্নিত করতে উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটিকে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে সততার সাথে কাজ করার আহবান জানান।

    আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, শরিয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা খান, বিশিষ্ট শিল্পপতি জেড এইচ শিকদার, শরিয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে প্রমুখ।

     

     

     

  • ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ ফেব্রুয়ারি

    ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ ফেব্রুয়ারি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি ’ -রক্তে রাঙ্গানো সেই ফেব্রুয়ারি মাস- ভাষা আন্দোলনের মাস শুরু হচ্ছে আজ বুধবার। এ দিন থেকে ধ্বনিত হবে সেই অমর সংগীতের অমিয় বাণী। বাঙালি জাতি পুরো মাসজুড়ে ভালোবাসা জানাবে ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছিলেন তাদের।

    ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ কাল।

    ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে দুর্বার আন্দোলনে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিকের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি পায় মাতৃভাষার মর্যাদা এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেরণা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন এবং একাত্তরে নয় মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

    বস্তুত ফেব্রুয়ারি মাস একদিকে শোকাবহ হলেও অন্যদিকে আছে এর গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। কারণ পৃথিবীর একমাত্র জাতি বাঙালি ভাষার জন্য এ মাসে জীবন দিয়েছিল।

    ভাষা আন্দোলনের মাস ফেব্রুয়ারি প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে নানা কর্মসূচি। অন্যদিকে একুশের মাসের সবচেয়ে বড় কর্মযজ্ঞ মাসব্যাপী বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। বাংলা একাডেমিতে বিকেল তিনটায় এই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন তিনি উদ্বোধন করবেন ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৭’ উপলক্ষে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক শাসমুজ্জামান খান জানান, আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে ৭টি দেশের ২৭ জন কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী-প্রাবন্ধিক অংশগ্রহণ করবেন। অংশগ্রহণকারী কবি-সাহিত্যিকরা আসবেন রাশিয়া, চীন, অস্ট্রিয়া, জার্মানী, পুয়ের্তোরিকো, সুইডেন ও ভারত থেকে।

    তিনি বলেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকেই আসবেন ১৮ জন কবি ও কথাসাহিত্যিক। তাদের মধ্যে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও অধ্যাপক পবিত্র সরকারসহ বেশ কয়েকজন খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকের আসার কথা রয়েছে। এছাড়া জার্মানির ২ জন, অস্ট্রিয়ার ১ জন, চীনের ২ জন, রাশিয়ার ১ জন, পুয়ের্তোরিকোর ২ জন ও সুইডেনের ১ জন করে কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।

    তিনি বলেন, কবিতা নিপীড়ন, নির্যাতন ও অত্যাচার মানে না। মানে না দেশের সাথে বেঈমানী ও বিশ্বাস ঘাতকতা। এসব ভেবেই এবার এ স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে।

    এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এ মাসে আয়োজন করেছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।