Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 385 of 398

Author: dakshinermashal

  • বই লেখার গল্প

    বই লেখার গল্প

    ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল : আমাদের বই মেলাটি নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ ব্যাপার। পৃথিবীর অন্যান্য বই মেলায় শুধু বই বেচাকেনা হয়। একুশের বই মেলা দেখলে মনে হয় এখানে বই বেচাকেনাটি বুঝি মূল লক্ষ্য নয়। মূল লক্ষ্য হচ্ছে উৎসব। বই মেলার কোনো একটা কোনায় গালে হাত দিয়ে বসে মেলায় আসা মানুষগুলোকে দেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দেওয়া যায়।

    বই মেলায় কত রকম স্টল, আর তার ভেতর কত রকম বই! যারা বইগুলো নেড়েচেড়ে দেখেন তারা হয়তো কখনও কল্পনাও করতে পারেন না যে, এর প্রত্যেকটা বইয়ের পিছনে লেখকের একটা গল্প আছে। এখন বই ছাপানো খুব সোজা হয়ে গেছে, যে কেউ চাইলেই গ্রন্থকার হতে পারে। যখন বিষয়টি এত সোজা ছিল না তখনও আমাদের পরিবারে গ্রন্থকারের জন্ম হয়েছে। তাই আমরা খুব ভালো করে জানি একটা বইয়ের পেছনে কত রকম গল্প থাকতে পারে।

    আমার পরিবারের প্রথম গ্রন্থকার ছিলেন আমার বাবা। সেই ছোট থেকে দেখে আসছি, সময় পেলেই উবু হয়ে লিখছেন। নানা রকম পত্রপত্রিকায় সেই লেখা ছাপা হত। পুলিশে চাকরি করতেন। আমার ধারণা যারা পুলিশে চাকরি করে তারা হয়তো মানবচরিত্রের বিচিত্র উদাহরণগুলো সবচেয়ে বেশি দেখার সুযোগ পায়। তাই আমার বাবার লেখা অনেকগুলো গল্প ছিল এই পুলিশজীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে। আমার বাবা যখন বগুড়া ছিলেন তখন তাঁর ইচ্ছে হল যে, তাঁর লেখা গল্পগুলো নিয়ে একটা বই বের করবেন।

    আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে একটা বই ছাপানো ছিল রীতিমতো একটা চ্যালেঞ্জ। বাবার পরিচিত একজন প্রেস মালিক ছিলেন। তিনি আগ্রহ নিয়ে বই ছাপানোর ব্যবস্থা করলেন। বাসার কাছে পরিচিত একজন শিল্পী বইয়ের কভার করে দিলেন। বাবা পুলিশে চাকরি করেন। সময়টা পাকিস্তানি আমল। তাই নিজের নামে বই ছাপানো যাবে না। একটা ছদ্মনামে বই ছাপানো হল। একদিন বাঁধাই হয়ে বই বাসায় এল। তখন আমাদের কী উত্তেজনা!

    তারপর কত ঝড়-ঝাপটার ভেতর দিয়ে গিয়েছি। পরিবার কত বার কত ভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে! তারপরেও কীভাবে কীভাবে জানি বাবার লেখা বইয়ের দুটি কপি রক্ষা পেয়েছে। একটির বেশিরভাগ উই খেয়ে ফেলেছে; অন্যটা মলাটবিহীন অবস্থায় অক্ষত আছে। আমরা সময় পেলে মফস্বলের একটা প্রেসে ভাঙ্গা টাইপে নিউজপ্রিন্টে ছাপানো সেই বইটা সস্নেহে নেড়েচেড়ে দেখি।

    মজার ব্যাপার হচ্ছে, মাঝে মাঝেই নামিদামি প্রকাশকেরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা আমার বাবার বইটা পুনঃমুদ্রণ করতে চান। আমরা কখনও দেইনি। তার কারণ, প্রকাশকেরা আসলে বইটি আমার বাবার বই হিসেবে ছাপতে চান না, হুমায়ূন আহমেদের বাবার বই হিসেবে ছাপতে চান।

    আমার বাবা তাঁর প্রকাশিত বইটি প্রথমবার হাতে নিয়ে কী রকম আনন্দ পেয়েছিলেন, সেটি এখন আর আমরা কোনোদিন জানতে পারব না। কিন্তু আমার মায়ের অভিজ্ঞতাটুকু আমি জানি। আমার মা খুব বেশি লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। কিন্তু অসম্ভব বই পড়ার নেশা ছিল। আমার বাবার উৎসাহে এক দুই বার ছোটখাট গল্পও লিখেছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রথম সত্যিকারের লেখাটি লিখেছিলেন আমেরিকাতে বসে। আমি তখন আমেরিকা থাকি। আমার মা বেড়াতে এসেছেন। নাতি-নাতনির সাথে সময় কাটানো ছাড়া অন্য কোনো কাজ নেই। আমি তাঁকে কম্পিউটারে বাংলা টাইপ করা শিখিয়ে দিয়েছি। তখনও বাংলায় কম্পিউটারে টাইপ করার প্রচলন হয়নি। তাই আমার মায়ের কম্পিউটারে বাংলা লেখা দেখে দেশে সবাই রীতিমতো বেকুব হয়ে গেল।

    তখন একদিন আমার স্ত্রী আমার মাকে বলল তাঁর বিস্ময়কর জীবনের ঘটনাগুলো লিখে রাখতে। আমার মা তখন সত্যি সত্যি লিখতে শুরু করলেন। আমি সেগুলো কম্পিউটারে টাইপ করে দিতাম। দেশে ফিরে আসার সময় আমি আমার মায়ের কাছে পাণ্ডুলিপিটি দিয়ে দিলাম, ইচ্ছে করলে কোনো প্রকাশককে যেন দিতে পারেন। সেই পাণ্ডুলিপি কখনও কোনো প্রকাশককে দেওয়া হয়নি, বই হিসেবেও প্রকাশ হয়নি।

    তারপর বহুকাল কেটে গেছে। আমি দেশে ফিরে এসেছি এবং কয়েক বছর পর হঠাৎ করে আমার মায়ের লেখা সেই পাণ্ডুলিপিটির কথা মনে পড়ল। আমি সেটার খোঁজ করতে লাগলাম এবং শেষ পর্যন্ত সেটা খুঁজে পাওয়া গেল। উইপোকা বেশ খানিকটা খেয়ে ফেলেছে, কিন্তু তারপরেও সেটা পড়া যাচ্ছে। আমি সময় প্রকাশনীর ফরিদ আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলাম। তিনি খুব আগ্রহ নিয়ে বইটি ছাপতে রাজি হলেন।

    বইয়ের ছাপার কাজ যখন শেষের দিকে, বইটি বাঁধাই হওয়ার অপেক্ষা, তখন হঠাৎ আমার মায়ের কাছ থেকে আমি একটা ফোন পেলাম। মা খুব অসুস্থ। ভালো করে কথা বলতে পারেন না। ফোন করে আমাকে বললেন, “বাবা, তোকে একটা কথা বলার জন্যে ফোন করেছি।”

    আমি জিজ্ঞেস করলাম, “কী কথা?”

    মা বললেন, “বাবা, যদি কখনও ভুল করে তোদের মনে কোনো কষ্ট দিয়ে থাকি তাহলে আমাকে মাপ করে দিস।”

    আমি ভয়ানক চমকে উঠলাম। ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “আপনি এসব কথা বলছেন কেন?”

    আমার মা প্রশ্নের উত্তর দিলেন না, আমার থেকে বিদায় নিয়ে ফোন রেখে দিলেন।

    আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। মানুষ মৃত্যুর আগে এই ভাষায় কথা বলে। তাহলে কি আমার মা বুঝতে পেরেছেন তিনি আর বেঁচে থাকবেন না?

    আমি খানিকক্ষণ হতবুদ্ধি হয়ে বসে রইলাম। তারপর সময় প্রকাশনীর ফরিদ আহমেদকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম, “আমার মায়ের বইটি এখন কোন পর্যায়ে?”

    তিনি বললেন, “ছাপাছাপির কাজ শেষ, বই বাঁধাইয়ের প্রস্তুতি চলছে।”

    আমি বললাম, “যেভাবেই হোক এই মূহূর্তে দুটো বই বাঁধাই করে আমার মায়ের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। খুবই জরুরি।”

    ফরিদ আহমেদ আমার অনুরোধটি খুবই গুরুত্ব দিয়ে নিলেন এবং সাথে সাথে প্রথম দুটি বই বাঁধাই করে রীতিমতো ছুটতে ছুটতে আমার মায়ের কাছে গিয়ে দুটি বই তাঁর হাতে তুলে দিলেন। আমার ‘মৃত্যুপথযাত্রী’ মা বই দুটি হাতে নিলেন এবং পুরোপুরি সুস্থ হলে গেলেন।

    এই ঘটনাটি নিয়ে আমরা সবাই আমার মাকে অসংখ্যবার হাসি-তামাশা করেছি। আমার মা সেই হাসি-তামাশা মেনে নিয়েছেন। না মেনে উপায় কী? একজন নূতন লেখকের প্রথম প্রকাশিত বইয়ের প্রথম কপিটি হাতে নেওয়ার যে তীব্র আনন্দ সেটি সেই লেখক ছাড়া পৃথিবীর আর কেউ অনুভব করতে পারবে না।

    আমাদের পরিবারের সত্যিকারের প্রথম গ্রন্থকার ছিল আমার অগ্রজ হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশের কত মানুষ তাঁর কতঁ লেখা কত বার পড়েছে। কিন্তু আমি রীতিমতো অহংকার করে বলতে পারি, তাঁর প্রথম লেখাটি সবার আগে পড়েছিলাম আমি। হুমায়ূন আহমেদ তখন মহসিন হলে থাকে, আমি থাকি সূর্যসেন হলে (পরে আমি ফজলুল হক চলে গিয়েছিলাম)।

    যাই হোক, একদিন ভোরবেলা হুমায়ূন আহমেদ আমার হলে এসে আমার কাছে খবর পাঠাল, আমি নিচে নেমে এলাম। সে আমাকে হাতে লেখা কিছু কাগজ ধরিয়ে দিয়ে বলল, “কাল রাতে আমি এটা লিখে শেষ করেছি। পড়ে দেখ।”

    আমি কাগজগুলো নিয়ে ছয় তলায় নিজের রুমে গেলাম। ছোট একটি উপন্যাস। কিছুক্ষণের মাঝে পড়া শেষ হয়ে গেল এবং আমি অনেকক্ষণ হতভম্ব হয়ে বসে রইলাম। উপন্যাসটির নাম ‘নন্দিত নরকে’ এবং সেটি পড়ে আমি বুঝতে পারলাম, আমাদের পরিবারে একজন অসাধারণ সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে।

    আমার ধারণা সত্যি প্রমাণিত হল। আহমেদ ছফা হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি বই হিসেবে প্রকাশ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। সেটি ছিল হুমায়ূন আহমেদের প্রথম বই এবং দেখতে দেখতে সে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন লেখক হিসেবে পরিচিত হয়ে গেল।

    আমার ধারণা বেশিরভাগ মানুষ জানে না হুমায়ূন আহমেদের প্রথম বই ‘নন্দিত নরকে’ এর প্রচ্ছদটি একেঁছিলাম আমি এবং ভাস্কর শামীম সিকদার।

    এবারে আমি আমার নিজের বইয়ের গল্পগুলোর কথা বলতে পারি। সবাই তো তার প্রকাশিত বইয়ের গল্প বলে আমি অপ্রকাশিত বইগুলোর গল্প বলি।

    আমি প্রথমবার গ্রন্থকার হওয়ার চেষ্টা করেছিলাম যখন আমি ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ি। একটা কিশোর উপন্যাস লেখা শেষ করে কী করব বুঝতে না পেরে সেটা একটা খামে ভরে একজন ‘লেখক-প্রকাশক’এর কাছে পাঠিয়ে দিলাম। তাঁর পরিচয় দিলে সবাই চিনবে, তাই সেটা আর বলছি না। আমার পাণ্ডুলিপির প্যাকেট পাওয়ার প্রায় সাথে সাথে তিনি আমাকে চিঠি লিখলেন। চিঠিতে তিনি লিখলেন, আমার উপন্যাসটি তাঁর পছন্দ হয়েছে, তবে আমি যদি কাগজের দামটি দিই তাহলে তিনি বই হিসেবে প্রকাশ করবেন। কাগজের দাম কত সেটাও তিনি লিখে দিলেন, তিনশত টাকা।

    টাকার পরিমাণ এখন খুব বেশি মনে না হলেও তখন আমার কাছে সেটা অনেক। কাজেই সেই টাকা দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।

    আমার সেই কিশোর উপন্যাসটি আর বই হিসেবে প্রকাশিত হল না। তবে সেটি নিয়ে আমার খুব দুঃখ ছিল না। কারণ সেই ‘লেখক-প্রকাশক’ চিঠিতে আমাকে একটা ভবিষ্যদ্বাণী লিখে পাঠিয়েছিলেন। বলেছিলেন, “আপনি বড় হলে একজন সত্যিকারের শিশুসাহিত্যিক হতে পারবেন।”

    তাঁর সেই ভবিষ্যদ্বাণীতেই আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। চিঠিটা বুকপকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াই এবং বন্ধুবান্ধবদের দেখাই। তারা হিংসার দৃষ্টিতে ভবিষ্যতের শিশুসাহিত্যিকের দিকে তাকিয়ে থাকে।

    মজার ব্যাপার হল, বেশ কয়েক বছর পর কীভাবে কীভাবে জানি আমার বাবা জানতে পারলেন যে, তিনশ টাকা কাগজের দাম দিলেই আমার একটা বই বের হয়ে যেত। আমার বাবা খুব অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমি সেটা কোনো দিন তাঁকে বলিনি কেন। তাহলে বাবা আমাকে সেই টাকা দিতেন।

    আমি কোনো সদুত্তর দিতে পারিনি, কিন্তু উত্তরটা আসলে খুব সহজ। যত ছোটই হই না কেন, তবুও তো আমি লেখক। লেখক কেন নিজের টাকা দিয়ে বই ছাপাবে?

    আমার দ্বিতীয় যে পাণ্ডুলিপিটা কোনো দিন বই হিসেবে তার চেহারা দেখাতে পারেনি, সেটা আমি লিখেছিলাম যখন আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়ি। সেটি কী নিয়ে লিখেছিলাম এত দিন পরে আমার আর মনে নেই। আমার ভাইবোনের কোনো একজন সেই পাণ্ডুলিপিটার একটুখানি পড়ে সেটা নিয়ে কোনো একটা মন্তব্য করল। মন্তব্যটা আমার পছন্দ হল না। তাই আমি একটা ম্যাচ, একটা মোমবাতি এবং উপন্যাসের পাণ্ডুলিপিটা নিয়ে ছাদে গেলাম। মোমবাতিটি জ্বালিয়ে উপন্যাসের একটা একটা পৃষ্ঠা মোমবাতির শিখায় ধরতে লাগলাম এবং সেটা দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগল।

    যতদূর মনে পড়ে আমার সাথে ছোট আরও একজন ছিল এবং আগুন দিয়ে একটা উপন্যাস জ্বালিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তার উৎসাহের সীমা ছিল না।

    তৃতীয় যে বইটি প্রকাশিত হতে পারেনি সেটি খুবই সাম্প্রতিক ঘটনা। বাংলা একাডেমিতে হে ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছি। সেখানে একজন ভারতীয় মানুষের সাথে দেখা। তিনি আমাকে খুঁজে বের করে বললেন, আমার কিছু বই ইংরেজিতে অনুবাদ করে কোনো একটা বড় প্রকাশনী থেকে বিদেশি পাঠকের জন্যে প্রকাশ চান। আমি আনন্দের সাথে রাজি হলাম। ভদ্রলোক আমার কাছে কোনো একটা বইয়ের নাম জানতে চাইলেন। আমি তাকে মুক্তিযুদ্ধের উপর লেখা আমার কিশোর উপন্যাস ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এর নাম বললাম।

    কিছুদিনের ভেতরেই সেই বিখ্যাত প্রকাশনী থেকে একজন আমার সাথে যোগাযোগ করলেন। অনুবাদটি তারা গ্রহণ করলেন এবং চুক্তিপত্র হিসেবে ছোট ছোট টাইপে লেখা কাগজপত্র পাঠাতে শুরু করলেন। আন্তর্জাতিক মানের বড় প্রকাশনী থেকে বই বের করতে হলে কত রকম কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হয় তখন সেটা আমি জানতে পারলাম।

    যখন আমরা চুক্তির একেবারে শেষ মূহূর্তে পৌছেছি তখন সেই বিখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রকাশনীর একজন কর্মকর্তা আমাকে ই-মেইল পাঠালেন। তিনি লিখলেন, তারা বইটির দুটি পরিবর্তন করতে চান। ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ নামটি খুব সাদামাটা, তারা এর পরিবর্তে আরও জমকালো একটা নাম দিতে চান। এছাড়াও ‘রাশেদ’ নামটি খুব প্রচলিত নাম নয়। তারা সেই নামটির পরিবর্তন করে ‘রশীদ’ করে দিতে চান।

    খুবই স্বাভাবিকভাবেই আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া হল সেই আন্তর্জাতিক প্রকাশনীর বড় কর্মকর্তাকে কিলিয়ে ভর্তা করে দিই! সেটি বাস্তবজীবনে করা সম্ভব নয়। তাই আমি পাল্টা ই-মেইলে তাদের সাথে আমার চুক্তি বাতিল করে দিয়ে বললাম, “আপনাদের আমার বই প্রকাশ করতে হবে না। আমার দেশের ছেলেমেয়েরা এই বইটি পড়লেই আমি খুশি।”

    শুধু এইটুকু লিখেই অবশ্যি আমি তাদের ছেড়ে দিইনি, একজন লেখককে কী বলা যায় এবং কী বলা যায় না তার উপরে অনেক লম্বা লম্বা উপদেশ দিয়েছিলাম।

    আমার ই-মেইল পেয়ে তারা নড়েচড়ে বসে ক্ষমা চেয়ে আমার কাছে আরও লম্বা ই-মেইল পাঠিয়ে বইটি ছাপানোর জন্যে চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করার জন্যে অনেক ঝুলোঝুলি করেছিল। আমি আর রাজি হইনি।

    আন্তর্জাতিক প্রকাশনী থেকে বিদেশি ভাষায় অনুবাদ হয়ে আমার বই বিদেশি পাঠকের কাছে পৌঁছাতে হবে কে বলেছে? আমাদের দেশের একটা ছেলে বা মেয়ে আমার লেখা একটা বই পড়লেই আমি খুশি।

    একজন মানুষ তার একটি জীবনে এর থেকে বেশি আর কী চাইতে পারে? (সংগৃহীত)

    লেখক: অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

  • ‘দেখা হবে বিজয়ে’র মোড়ক উন্মোচন করলেন ঢাবি ভিসি

    ‘দেখা হবে বিজয়ে’র মোড়ক উন্মোচন করলেন ঢাবি ভিসি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : অমর একুশে বইমেলায় বের হলো তরুণ সাংবাদিক ও সংগঠক আহসান রনির সম্পাদনা গ্রন্থ ‘দেখা হবে বিজয়ে’। প্রকাশ করছে ‘সাহস পাবলিকেশন্স’। ২২জন তরুণদের অনুপ্রেরণার গল্প নিয়ে এই বই সাজানো হয়েছে বলে জানালেন বইটির সম্পাদক রনি। শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন সিনেট ভবনের সেমিনার রুমে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

    অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন মো: মফিজুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের মডারেটর সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী, প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন ও নওগাঁর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম নাসিম রেজাসহ বইয়ের লেখক ও শুভানুধ্যারীরা।

    ‘দেখা হবে বিজয়ে’ বইটির প্রচ্ছদ করেছেন চারু পিন্টু। বইটির ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এবং শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেছেন ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন মো: মফিজুর রহমান।

    বর্তমান সময়ের কিছু তরুণ আছেন যারা সকল বাঁধা অতিক্রম করে সামনে দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম ও দৃঢ় মনোবল দ্বারা। বিভিন্ন সেক্টরের এরকম ২২ জন তরুণ-তরুণী নিজেদের গল্প বলে, সেরা মানুষদের গল্প বলে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তরুণদের। বক্তব্যে ঢাবির ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন,”তরুণরা স্বপ্ন দেখে। তারা সেই স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যায়। তরুণরা যদি তাদের সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে শেখে তাহলেই দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। তরুণদের অনুপ্রেরণার এই বইটি তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে বলে আমি মনে করি।

    সম্পাদক আহসান রনি বলেন, বর্তমান বেশিরভাগ তরুণরা নানা কারণে হতাশায় ভোগে। জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষেরই অনুপ্রেরণার দরকার হয়। কিন্তু অনুপ্রেরণা দিতে পারা খুব কষ্টকর কাজ। তাই সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে চেষ্টা করেছি আমাদের আশেপাশে কিছু উদ্যমী তরুণের গল্পের মাধ্যমে সকল তরুণদেরকে অনুপ্রাণিত করতে।

    উপস্থিত অতিথিরা প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান ব্যতিক্রমী এই বইটি প্রকাশের জন্য। বইটির প্রকাশক ‘সাহস প্রকাশনী’র কর্ণধার সাহস রতন জানান, তরুণ সাংবাদিক হিসেবে আহসান রনি সকলের কাছে পরিচিত। দেশের সেরা তরুণদের নিয়ে সে কাজ করেছে, লেখালেখি করেছে। বইটিতে এরকম কিছু তরুণের গল্প তুলে ধরা হয়েছে এবং দেশের সকল তরুণদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি দৃঢ় বিশ্বাসী যে দেশের যেকোন বিষয়ে আগ্রহী তরুণরাই বইটিতে নতুন এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পাবেন।

     

  • বিএনপি বেপরোয়া, ঘটাতে পারে দুর্ঘটনা : ওবায়দুল

    বিএনপি বেপরোয়া, ঘটাতে পারে দুর্ঘটনা : ওবায়দুল

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হতাশা এখন বেপরোয়া হয়ে গেছে। বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো তারা যে কখন রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে, তার কোনো ঠিক নেই।

    শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ (দক্ষিণ) আয়োজিত ‘যুবজাগরণ লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র’-এর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন ওবায়দুল।

    বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, নতুন সিইসির বক্তব্যর ‘আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের মত’।

    এর জবাবে কাদের বলেন, “বিএনপি নেতারা কখন যে কী বলে তারা নিজেরা ছাড়া কেউ জানে না। আপনারাই (সাংবাদিক) বলুন, সিইসি কী আওয়ামী লীগের মুখপাত্র’’

    বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে ওবায়দুল বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিতদের দ্বারা ভরে গেছে। তবে এই অশিক্ষিত রাজনৈতিকদের মনে রাখতে হবে এই মনোভাব নিয়ে নেতাদের উদ্দেশ্য সাধন করা যাবে, পাহারাদার হওয়া যাবে। কিন্তু নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হলে, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে, পড়তে হবে।’

    ছুটির দিনে ছাড়া রাজধানীতে কোনো জনসভা করতে দেওয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা রাজনীতি করি জনগণের জন্য। মানুষের দুভোর্গ হয়, কষ্ট পায়- এমন কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করব না। এ জন্য আগামী মার্চে তিনটি জাতীয় দিবসে জনসভা বা মিছিলের পরিবর্তে ঘরোয়া আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। কারন কর্মসূচি দিয়ে মানুষের ভোগান্তি করতে চাই না।”

    যুবজাগরণ সম্পর্কে ওবায়দুল বলেন, ‘এই উদ্যোগ মাঙ্গলিক, নান্দনিক ও অনিন্দ্য সুন্দর। যেটা আওয়ামী লীগ করতে পারেনি, সেটা যুবলীগ করেছে।’

    কাকরাইল মোড়ে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।

     

     

  • ‘নূরুল হুদা কমিটেড আওয়ামী লীগার’

    ‘নূরুল হুদা কমিটেড আওয়ামী লীগার’

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সদ্য নিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা কমিটেড আওয়ামী লীগার মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, তার অধীনে সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন হওয়ার ব্যাপারে দেশের মানুষের মধ্যে আস্থার সৃষ্টি হয়নি। তার অধীনে নির্বাচন হলে সেটি ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচনই হবে।

    শুক্রবার বিএনপির পল্টন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান তিনি।

    রিজভী বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে ও সরকারের হুকুমে রকিবউদ্দিন নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এবার যিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় চেতনায় কাজী রকিবউদ্দিনের চেয়েও আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে।’

    জনমতের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি সাংবিধানিক পদ থেকে সরে দাঁড়ালে জাতি তাকে স্বাগত জানাবে। বলেন রুহুল কবির রিজভী।

    বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, তার (নতুন সিইসি) অতীত কর্মকাণ্ড ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার ঘোষণার পরপরই তার বিভিন্ন বক্তব্যে তিনি যে কমিটেড আওয়ামী লীগার সেটি ফুটে উঠেছে। তার অধীনে নির্বাচন হলে সেটি ভোটারবিহীন এক তরফা নির্বাচনই হবে।

    এসময় তিনি আরও বলেন, গত পাঁচ বছরেও সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতি হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি। গত পাঁচ বছরে ৪৬ বার সময় নিয়েও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রকৃত হত্যাকারীকে তা রহস্যজালে ঢেকে আছে। নিশ্চয়ই এর পেছনে রাঘব বোয়ালরা জড়িত।

    অবিলম্বে সাগর-রুনির প্রকৃত হত্যাকারীদের আইনের আওতায় নেওয়ার জোর দাবি জানান রিজভী।

     

  • এক চীন নীতির প্রতি ট্রাম্পের সমর্থন

    এক চীন নীতির প্রতি ট্রাম্পের সমর্থন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘এক চীন নীতি’ সমর্থনে রাজি হয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

    চীনের প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে সম্পর্কের বরফ ভাঙলেন ট্রাম্প

    এক বিবৃতিতে দুই নেতার ফোনালাপকে ‘অত্যন্ত আন্তরিক’ বলে বর্ণনা করা হয়।

    চীন সরকারের এক চীন নীতি অনুযায়ী তাইওয়ানকে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা না করে চীনের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    যুক্তরাষ্ট্রের বিগত বেশ কয়েকটি সরকার এক চীন নীতি অনুসরণ করলেও নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ট্রাম্প।

    গত বছর ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়লাভের পর তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ফোন করে তাকে শুভেচ্ছা জানান।

    যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চীন।

    পরে এক সাক্ষাৎকারে ‘যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতি মানতে বাধ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যার নিন্দা জানিয়ে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছিল বেইজিং।

    যদিও নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই ট্রাম্প চীনের বানিজ্য নীতি এবং দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন।

    হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বৃহস্পতিবার রাতে দুই নেতা দীর্ঘ সময় ধরে ফোনালাপ করেছেন এবং তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।”

    “দুই নেতার ফোনালাপ অত্যন্ত আন্তরিক ছিল এবং তারা পরষ্পরকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”

    তার আগে বৃহস্পতিবারই চীনের প্রেসিডেন্টকে চিঠি পাঠিয়ে সম্পর্কের বরফ ভাঙ্গায় প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ট্রাম্প।

    জবাবে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

  • উদ্ভাবনী পণ্যে কোটি টাকার ‘সিড মানি’: পলক

    উদ্ভাবনী পণ্যে কোটি টাকার ‘সিড মানি’: পলক

    এসবিনিউজ ডেস্ক : তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নির্বাচিত উদ্ভাবনী কৌশল ও পণ্যের জন্য সরকার এক কোটি টাকা পর্যন্ত ‘সিড মানি’ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    শুক্রবার ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন ফর উইমেন ২০১৭’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। দেশে প্রথমবারের মত নারীদের জন্য আয়োজিত এ হ্যাকাথন চলছে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস মিলনায়তনে। ৩৬ ঘণ্টার এ প্রতিযোগিতায় ৫০০ নারী নয়টি আলাদা বিষয়ে উদ্ভাবন ও সক্ষমতার পরীক্ষা দেবেন।

    হ্যাকাথনের উদ্বোধন করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ‘ইনোভেটিভ আইডিয়া ও প্রোডাক্ট’ বিশ্বের দরবারে হাজির করার লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে।

    “ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমির কাজ শুরু করেছি। আমরা ২০২১ সাল নাগাদ এক হাজার ইনোভেটিভ আইডিয়া বা প্রোডাক্ট বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকে উপহার দিতে চাই।”

    এর মধ্যে ২০০টি আগামী দুই বছরের মধ্যে বাছাই করা হবে বলে জানান তিনি।

    “নির্বাচিত প্রতিটি প্রোডাক্টকে সিড মানি হিসেবে প্রথম চার মাসে এক কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে পরিকল্পনা বা নীতিমালার খসড়া তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নীতিমালাটি পাঠানোর পর অনুমোদন হলেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।”

    পলক তার বক্তৃতায় প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নারীদের নেতৃত্ব দেওয়ারও আহ্বান জানান।

    “আগামী দুই বছরে দুই লাখ নারীকে প্রযুক্তি শিক্ষায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার টার্গেট নিয়েছি। ইতোমধ্যে সাতটি বাসের মাধ্যমে সারাদেশে ‘টেকসই নারী উন্নয়নে আইসিটি’ এই স্লোগান সামনে নিয়ে বেসিক আইটি ট্রেনিং শুরু করেছি।”

    এছাড়া লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের আওতায় দেশে ইতোমধ্যে  ৫০ হাজার ফ্রি ল্যান্সার তৈরি হয়েছে, যাদের মধ্যে ২০ হাজার নারী বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।

    অন্যাদের মধ্যো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তফা জব্বার, সাবেক সভাপতি শামীম আহসান, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

     

     

  • নতুন ইসির অধিনেই পরবর্তী নির্বাচন : আইনমন্ত্রী

    নতুন ইসির অধিনেই পরবর্তী নির্বাচন : আইনমন্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বিএনপি মানুক আর না-ই মানুক, নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধিনেই বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

    শুক্রবার  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন আয়োজিত হুইল চেয়ার বিতরণ ও মোবাইল থেরাপি ভ্যান কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন।

    আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে বলা আছে, আইন না করা পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। এজন্য রাষ্ট্রপতি সবার সঙ্গে আলোচনা করলেন। বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ সব দল নাম দিয়েছিল। এরপর বিজ্ঞদের নিয়ে সার্চ কমিটি করা হলো। এখন একজন বিএনপি, একজন আওয়ামী লীগ, আর বাকি তিনজনকে অন্যদল থেকে নেওয়া হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানানো হয়নি। তবে কেন এতো আপত্তি।

    জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. রেজওয়ানুর রহমান।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার প্রামাণিক, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল প্রমুখ।

    এর আগে মন্ত্রী ৫০ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীর মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি দেবগ্রাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন ও ৬১ পরিবারের মধ্যে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন।

     

     

  • নিয়োগপত্র পেলেন শিমুলের স্ত্রী

    নিয়োগপত্র পেলেন শিমুলের স্ত্রী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পৌর মেয়রের গুলিতে নিহত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহারের হাতে দেয়া হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস’র নিয়োগপত্র।

    শুক্রবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা অফিসে স্থানীয় সংসদ সংসদ আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান স্বপন নিয়োগপত্র হস্তান্তর করেন।

    এ সময় স্বপন বলেন, নিহত সাংবাদিকের সন্তানদের পড়ালেখাসহ সকল বিষয়ে পাশে থাকবে সরকার।

    শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি বিমল কুমার দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আযাদ রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলিম উল রাজিব। নিহত সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার তার দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে  এই নিয়াগপত্রটি গ্রহণ করেন।

    উল্লেখ্য, গেলো ২ ফেব্রুয়ারি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোঁড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল। পরদিন শুক্রবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেবার পথে তিনি মারা যান।

    পরে শিমুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নিহত সাংবাদিকের স্ত্রীকে সাত দিনের মধ্যে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেবার ঘোষণা দেন।

     

  • আছে দুঃখ আছে মৃত্যু তবু আনন্দ জাগে

    আছে দুঃখ আছে মৃত্যু তবু আনন্দ জাগে

    ॥অজয় দাশগুপ্ত॥

    ১. বাংলাদেশের রাজনীতি বড় জটিল। সে যাকে কেউটে হিসেবে জন্মাতে দেখে তাকেই দেখে বিষহীন হয়ে মরতে। শুধু সংখ্যাগুরু না হিন্দুদের বেলায়ও নিতাই, গৌতম, সুনীল গুপ্ত বা গয়েশ্বরের কমতি নেই। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সেদিক থেকে আদর্শে অটুট ছিলেন। যৌবনে বাম এমনকি তেহাত্তরের সংসদে একা লড়লেও পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। না দিলে লীগের কি হতো জানি না, তবে আজ তিনি যে আবহে, যে প্রচারে বিদায় নিলেন সেটা হতো না। কারণ বামরা এখন লেজে জীবন বাঁচা সাপের মতো। সুরঞ্জিত বাবু প্রতিকূল সমাজ ও রাজনীতিতেও জিতে বেরিয়ে আসতেন। এরশাদের আমলে পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক উস্কানির সময় আমি দুজন নেতাকে সিলেট সার্কিট হাউসে দেখেছিলাম। টানটান উত্তেজনার ভিতর প্রয়াত আবদুস সামাদ আজাদ তার কথা বলে চলে যাবার পর সুরঞ্জিত বাবু তখনকার যুবকদের তার কথার যাদুতে এক করে সামাল দিয়েছিলেন। পাঠিয়েছিলেন দুর্ঘটনা রোধ করতে।

    সমালোচনা করা যেতেই পারে। ধোয়া তুলসীপাতা ছিলেনও না। কিন্তু আজকের নেতাদের শেখার মতো অনেক গুণ ছিল তার। সংবিধান ভেজে খাওয়া তিনি ছাড়া মওদুদ-সাকা চৌধুরীদের সামাল দেওয়ার লোক ছিল না লীগে। তার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার পাশাপাশি খালেদা জিয়ার বিবৃতিও পড়ে দেখার মতো। ফখরুল সাহেব তো এও বলেছেন, তিনি ছিলেন সৎ মানুষ। তারপরও একদল মানুষ কোনোদিন মানেনি মানবেও না। দিশেহারা পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনীতিতে যাদের কথা ও কাজে ভরসা পেতাম তিনি তাদের একজন। তুখোড় বক্তা, সুরসিক, কৌতুকপ্রবণ, ঝানু সাংসদের জীবনও ছিল আগাগোড়া বর্ণাঢ্য। ভালো-মন্দ, মান-অপমান মিলিয়ে এক মুখরিত জীবনের অধিকারী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ব্যক্তিগত স্মৃতি বা অন্য আলাপ হবে পরে কোনো এক সময়। যে কথাটা বলা প্রয়োজন এই মানুষটিকে যেভাবেই দেখা হোক না কেন তিনি ছিলেন ভোটে অপরাজেয়।

    কথায় কথায় সাম্প্রদায়িকতা আর সংখ্যালঘু বিদ্বেষের সমাজে তিনি তার আসনে জিতে আসতেন বারবার। কেবল রিগিং টাকা বা জোর করে অতবার জেতা যায় না। তার চরম দুশমনরাও সে অভিযোগ তুলতে পারেননি। এলাকায় এই জনপ্রিয়তাও দেশের রাজনীতিতে তার অবদানের শুরু যৌবনে। শেষদিন অবধি তা ধরে রেখেছিলেন। বাম দল দিয়ে শুরু ন্যাপ গণতন্ত্রী একতা হয়ে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগে কত ধরনের নেতা, কত জাতীয় মানুষ জায়গা করা এত সহজ কিছু না। তারপরও তার তেমন কোনো অসুবিধা হয়নি। যেটুকু হয়েছিল মন্ত্রীত্বে। এখনো পরিষ্কার নয়, কি কারণে সেই টাকার থলি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। যদি তার সচিব দায়ী, যদি তিনি তা জানতেনও আজ এসব কথা না তোলাই ভালো। তারপরও কিছু মানুষের নোংরা প্রতিক্রিয়ায় এটা বোঝা যায় পচে গেছে মেধা। পচে যাওয়া সমাজে চোর, ডাকাত, বাটপারের মিছিলে কে কার দিকে আঙুল তোলে? সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বদলে যাওয়া বাংলাদেশে তার সম্প্রদায়ের কথা বলতে গিয়ে অপমানিত হবেন এটা অস্বাভাবিক না। তাদের আমলের রাজনীতিও এখন অচল। তবু সংসদ সংবিধান বা তুখোড় ভাষণের কথা উঠলেই তাকে মনে পড়বে। সাদাকালোয় মেশানো রঙিন নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আপনাকে গুডবাই।

    ২. সামাজিক মাধ্যমের বিশাল প্রভাব এখন আমাদের জীবনে। কেউ এর বাইরে নেই। বড় ছোট মহিলা পুরুষ সবাই যার যার মত করে এই মিডিয়ার সাথে যুক্ত। এর দিগন্ত এতই বড় সাত সমুদ্র সাত সাগর সাত মহাদেশ সব তার হাতের মুঠোয়। আমি বলি ফেইসবুক ঘুমায়না। বাংলাদেশের মানুষজন যখন ঘুমমগ্ন আমরা তখন তার ভেতর দিয়ে দুনিয়া দেখা শুরু করি। আবার আমরা যখন ঘুমাই আমেরিকার মানুষজন জেগে ওঠে ফেইসবুক আনন্দে। এই মাধ্যমেই তাঁর সাথে আমার পরিচয়। কখন যেন জর্জবুশ ও টনি ব্লেয়ারকে নিয়ে একটা ছড়া লিখেছিলাম কেমন করে তা যেন তাঁর চোখে পড়েছিল। সেই থেকে যোগাযোগ। জানিনা কেন জীবনের এইপ্রান্তে এসে আমি খুঁজে পেয়েছি মনের মানুষজন। এত মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন আমার মত সাধারণ মানুষের জন্য এক বিশাল পাওনা। তিনি আমাকে সহজেই আপন করে নিয়েছিলেন। কেন জানি তাঁর ধারণা ছিল আমি কোন বিখ্যাতজন। যত বুঝিয়েছি তা আসলে ঠিকনা তিনি মানতেননা। পরে ধীরে ধীরে দেখলাম আমার অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধুও তাঁকে ভালো জানে। সাংবাদিক বন্ধু ফারুক ইকবাল, অনুজ লেখক সাংবাদিক রাশেদ রউফ সঙ্গীত শিল্পী শাহরিয়ার খালেদও ছিলেন তাঁর পরিচিত কাছেরজন। মাঝে মাঝে তাঁর বাড়িতে গানের আসর বসাতেন। আমেরিকা থেকে উড়ে গিয়ে চাটগাঁর বাড়িতে এই আয়োজনে শরীক হতেন নামকরা মানুষজন। বলে রেখেছিলেন কখনো যদি আমরা একসাথে চট্টগ্রামে থাকি দেখা হবেই। ফোনে ও কথা হয়েছিল। বলেছিলেন কেউ একজন কিছুতেই আমাকে তাঁর চেয়ে বড় কবি মানতে রাজী হচ্ছিলেন না। খুব মজা পেয়েছিলেন সে ঘটনায়। আমি যত বলি ছেড়ে দিন তিনি তত শিশুর মতো বিষয়টিকে নেড়ে চেড়ে দেখতে চাইতেন। কখনো দেখা হলে সে কবির নাম বলার ও কথা ছিল। আজ আর এসব কিছুই কিছু না।

    ব্যক্তিজীবনে সন্তান হারানোর বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকা জেসমিন খান আজ কেবলই অতীত। সদ্য প্রয়াত লেখিকা ফাহমিদা আমিনের শোকসভায় ভাষণ দেয়ার পর নিজেও চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার ক’দিন আগেই বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত রাশেদ রউফকে আপ্যায়ন করেছিলেন চট্রগ্রাম ক্লাবে। সেছবি দেখে আমি ঠাট্টা করে লিখেছিলেম, চিটাগাং ক্লাবে আসবো? তাঁর উত্তর ও দিয়েছিলেন স্বভাব সুলভ দুষ্টুমিতে। সেদিন কি ভেবেছিলাম সেই হবে আমাদের শেষ আলাপ। এমন করে যাওয়াটা ভীতির আপা। এমন যাওয়া বেদনার। আপনি কথা রাখেননি। আমি দেখা না হবার বেদনা নিয়ে আপনাকে স্মরণ করছি জেসমিন খান। যেখানে আছেন ভালো থাকুন।

    ৩. জীবন যেকোন বেদনা ও মৃত্যুর চেয়ে বড়। সে সতত নদীর মত প্রবহমান। তার বাঁকে বাঁকে যেমন দুঃখ শোক তেমনি আছে আনন্দের ঢেউ। নাহলে মানুষ কবেই পাগল হয়ে যেতো। এই কদিন আগে এক আনন্দ সংবাদে পুলকিত হয়েছি। বাংলা একাডেমি পুরস্কার আমাদের দেশের সাহিত্য শিল্পে বড় ধরনের এক পুরস্কার। এর প্রতীকী মূল্য অসামান্য। চাটগাঁ প্রতিভার সূতিকাগার এর পরতে পরতে মেধা থাকার পরও আমরা ঢাকার চোখে মফস্বল। এই মফস্বল বাণিজ্যিক রাজধানী এর দেয়া টাকায় দেশের উন্নয়নের গাড়ী চলে তরতরিয়ে তবু আজ অবধি আমরা কোন রাষ্ট্রপতি স্পীকার বা প্রধানমন্ত্রী পাইনি। দেশের শিল্পসাহিত্যে চট্টগ্রামের বিশাল ও ব্যাপক অবদানের পর ও পিছিয়ে আছি আমরা। বলাবাহুল্য উভয়দিকে দোষ ত্র“টি আছে বৈকি। এই শহরের লেখক শিল্পীরাও হাত পা গুটিয়ে নিজেদের সীমানায় থাকতে ভালোবাসেন। কেউ ঢাকা গেলে একদিন পর ফেরার জন্য মুখিয়ে থাকেন। স্বয়ংসম্পূর্ণ এই শহর কোনদিকে পিছিয়ে নেই বলেই হয়তো এর মানুষেরা শহর ছাড়তে পারেন না। তারপরও এই খানে থেকেই কেউ কেউ দেশ মাতিয়ে তোলেন। গেলবার আবুল মোমেন যৌথভাবে এই পুরস্কার পাওয়ায় যতটা সান্ত্বনা পুরস্কার মনে হয়েছিল এবার রাশেদ রউফের পাওয়া পুরস্কারটা যেন ততোধিক আনন্দ আর গর্বের। রাশেদের হয়ে ওঠা দেখেছি আমি। বিগত কয়েকবছর তাকে এভাবে এগুতে দেখে আমি বলে রেখেছিলেম তুমি পাবেই। কারণ সে শুধু লেখে না। লেখায়ও। তার হাত ধরে আজ যত লেখক লেখিকা মাঠে আছেন অগ্রজেরা কেউ তা করতে পারেননি। রাশেদের অসীম সাংগঠনিক মেধা আর লেখালেখির ধারাবাহিকতা চট্টগ্রামকে আজ এমন এক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে যার ভেতর দিয়ে অতীতের দুঃখ ভুলে সামনে যাবার প্রেরণা দেখতে পাই। রাশেদ রউফ চট্টগ্রামকেই এগিয়ে রাখলো অনেক ধাপ। এই বয়সে এমন অর্জন ভালোবাসার পাশাপাশি শ্রদ্ধারও বটে।

    লেখক: প্রাবন্ধিক, কবি ও কলাম লেখক

    (সংগৃহীত)

  • ‘পাটে যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে’

    ‘পাটে যুগান্তকারী সাফল্য এসেছে’

    এসবিনিউজ ডেস্ক : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের তিনটি জিনোম কোড বাংলাদেশের হয়েছে। জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় এ তথ্য জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘পাটের গবেষণায় উৎসাহিত করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে পাটে এসেছে যুগান্তকারী সাফল্য। পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। আমেরিকায় অবস্থিত এনসিবিআই (ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন) কর্তৃক তিনটি জিনোমের কোড নম্বর পেয়েছে। ’

    বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের ওই গবেষণার ফলাফল গত ৩০ জানুয়ারি বিশ্বখ্যাত জার্নাল ন্যাচার প্লান্টে প্রকাশিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন মতিয়া চৌধুরী।

    বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর্থিক সহায়তায় ২০১০ সালে তরুণ একদল বিজ্ঞানীকে নিয়ে তোষা পাটের জিন নকশা উন্মোচন করেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক মাকসুদুলের নেতৃত্বে পরে ম্যাক্রোফমিনা ফাসিওলিনা নামের এক ছত্রাকের জিন-নকশা উন্মোচন করেন, যা পাটসহ প্রায় ৫০০ উদ্ভিদের স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়।

    ২০১৩ সালের ১৮ অগস্ট মাকসুদুলকে পাশে নিয়েই বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের আরেকটি বড় সাফল্যের খবর জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেটি ছিল- দেশি পাটের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের খবর।

    জিনোম হলো প্রাণি বা উদ্ভিদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা। এই নকশার ওপরই নির্ভর করবে ওই প্রাণি বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য। গবেষণাগারে এই জিনবিন্যাস অদল-বদল করে উন্নত জাতের পাট উদ্ভাবন সম্ভব। এ কারণে সহজ ভাষায় পাটের জিনোম সিকোয়েন্সকে পাটের জীবন রহস্য বলা হচ্ছে।

    বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পাটের জিন-নকশা উন্মোচনের ফলে বাংলাদেশের আবহাওয়া ও প্রয়োজন অনুযায়ী পাটের নতুন জাত উদ্ভাবনের পাশাপাশি পাটের গুণগত মান ও উৎপাদন বিপুল পরিমাণে বাড়ানো সম্ভব। আর নতুন জাত উদ্ভাবন করা হলে পাট পঁচাতে কম সময় লাগবে, আঁশ দিয়ে জৈব জ্বালানি ও ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে।

     

  • স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রবাসীরা অংশ নিতে পারবেন

    স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রবাসীরা অংশ নিতে পারবেন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা স্থানীয় সরকার পদে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। তারা রাজনৈতিক সংগঠন করারও সুযোগ পাবেন। তবে সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারকসহ প্রজাতন্ত্রের কোনো কাজে তারা নিয়োগ লাভ করতে পারবেন না।

    রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন। মন্ত্রী জানান, নাগরিকত্ব আইনের খসড়ায় বিভিন্ন বিষয়ে ইতিমধ্যে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত নাগরিত্ব আইন-২০১৬ নিয়ে এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে প্রবাসীদের সংগঠন সেন্টার ফর ননরেসিডেন্ট বাংলাদেশিজ। আলোচনায় প্রবাসী ও বিশেষজ্ঞরা প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন দুর্বল দিক তুলে ধরেন।

    সেন্টার ফর ননরেসিডেন্ট বাংলাদেশিজের চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, ড. শাহ্দীন মালিক, অধ্যাপক সি আর আবরার, অ্যাডভোকেট আবেদ রেজা, ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন, প্রবাসী আল মামুন সরকার প্রমুখ অংশ নেন। মূল প্রবন্ধে এস এম সেকিল চৌধুরী বলেন, ‘পিতা-মাতার অপরাধে সন্তানের নাগরিকত্ব বারিত হওয়া সাধারণ মানবিকতার পরিপন্থী। এ ছাড়া সংবিধান ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অনুস্বাক্ষরকৃত আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এর ফলে মানুষের স্টেটলেস হওয়ার অবকাশ থাকে। সুতরাং আইনের ৫(৩) ধারাটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।

    ’ তিনি বলেন, ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণকারী প্রবাসীদের সংবিধান স্বীকৃত সুযোগসমূহ অবারিত রেখে আইন প্রণয়নের আহ্বান জনাচ্ছি। এতে তারা বিভিন্ন দেশে অবস্থান ও অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের কল্যাণে অবদান রাখতে পারবে। ’ আলোচনায় বক্তারা বলেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নাগরিকত্ব আইনে প্রবাসী নাগরিকদের স্থানীয় সরকার পদে নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংগঠন করার বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রাখা হয়েছে। এর জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ভেটিংয়ের সময় আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি তুলে দিয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি ওঠায় তা সংশোধন এবং কিছু ধারা বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন নাগরিক ও প্রবাসীবান্ধব হবে। আমরা এমন কোনো আইন করব না, যা জনবান্ধব হবে না। আমরা যাদের (প্রবাসী) ওপর অত্যন্ত নির্ভরশীল, তাদের ক্ষতি হোক এমন আইন করিনি। ’ তিনি বলেন, ‘আইনে এমন কোনো ধারা রাখা হবে না, যাতে প্রবাসীরা ‘রাষ্ট্রহীন’ হয়ে পড়েন। যে দেশের নাগরিকই হোক, সম্পত্তির ওপর প্রবাসীদের অধিকার থাকবে। এ আইনে আমরা নাগরিকের কোনো অধিকার খর্ব করিনি। সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট সব দেশেই আছে, আমাদেরও প্রয়োজন। তবে এমন আইন করা হবে না, যা নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে।

  • ফের সচল হচ্ছে সচিবালয় স্থানান্তর প্রকল্প

    ফের সচল হচ্ছে সচিবালয় স্থানান্তর প্রকল্প

    এসবিনিউজ ডেস্ক : ফের সচল হচ্ছে  ‘ঢাকার শেরে বাংলানগরে জাতীয় সচিবালয় নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ। জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কানের করা মূল নকশার অভাবে এতোদিন থমকে ছিল সচিবালয় স্থানান্তর। এখন নকশা পেয়ে প্রকল্প পুনর্গঠনের কাজ চলছে।

    গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, মূল নকশা অনুসারে সচিবালয় স্থানান্তর প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) পুনর্গঠন শেষে চলতি মাসেই পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে।

    ফলে প্রায় দুই বছর ( ১ বছর ১০ মাস ২৬ দিন) পর আবারও সচল হচ্ছে সচিবালয় স্থানান্তরের কাজ।

    মূল নকশা না থাকায় ২০১৫ সালের ১৩ মে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ওই সভায় একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল নকশা দেশে এনে সে অনুসারে প্রকল্প পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেন। ফলে প্রকল্পটি একনেক সভা থেকে ফিরে যায়।

    প্রকল্পের বিষয়ে একনেক সভায় সিদ্ধান্ত  হয়েছিলো, ‘প্রস্তাবিত  এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয় সচিবালয় নির্মাণের লক্ষ্যে লুই আই কানের মূল নকশা যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করে সে অনুসারে প্রকল্পটি পুনর্গঠন করে ফের একনেকে পাঠাতে হবে’।

    একনেকের সিদ্ধান্ত ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে গত বছরের ০১ ডিসেম্বর মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের করা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা দেশে আনা হয়েছে। পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কাইভ থেকে ৪১টি বাক্সে নকশাগুলো এনে জাতীয় সংসদের আর্কাইভে রাখা হয়েছে।

    গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন-১) এস এম আরিফ-উর-রহমান বলেন, ‘নকশায় যেভাবে আছে, ঠিক সেভাবে প্রকল্প পুনর্গঠন করবো। খুব শিগগিরই পুনর্গঠিত ডিপিপি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। এর পরে সরকার যে সিদ্ধান্ত নেয়, সে অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে’।

    চার বছরে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেক সভায় প্রস্তাবিত প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিলো দুই হাজার ২০৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে পুনর্গঠিত ডিপিপি’তে মেয়াদ ও ব্যয় অনেক বাড়বে বলে সূত্রে জানা গেছে।

    প্রকল্পের আওতায় ৩২ একর জমিতে চারটি ব্লকে ভাগ করে জাতীয় সচিবালয় কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিলো। দু’টি বড় ব্লকে ৩২টি বড় মন্ত্রণালয় এবং দু’টি ছোট ব্লকে ১৬টি ছোট মন্ত্রণালয়কে স্থানান্তরের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিলো। যেখানে থাকবে  অডিটোরিয়াম, সম্মেলন কেন্দ্র, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, মসজিদ, কার পার্কিং ইত্যাদি।

    প্রাথমিক পরিকল্পনায় আরও ছিলো, জাতীয় সংসদ ভবনের উচ্চতা ১৫০ ফুট। সে ক্ষেত্রে সচিবালয় নয় তলার বেশি হবে না। সংসদ ভবনের উচ্চতা সীমার বিষয়টি রক্ষার্থে বিশ্বের উন্নত দেশের মতো ভূ-গর্ভস্থ বা কয়েকটি ফ্লোর মাটির নিচে করারও পরিকল্পনা ছিল।

    তবে লুই আই কানের নকশা অনুসারে ডিপিপি পুনর্গঠন করা হলে সব কিছুরই পরিবর্তন হবে।

    মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই  আই কানের নকশা সংশোধন করেছে স্থাপত্য অধিদফতর। কারণ, ইতোমধ্যে আগের চেয়ে জমি কমে গেছে ১০ একর। এ জমিতে লুই আই কানের নকশা বহির্ভূত কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

     

  • ২ মার্চ খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু

    ২ মার্চ খুলনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু

    স্টাফ রিপোর্টার : খুলনায় ২ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ১৬তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মহানগরীর সার্কিট হাউজ ময়দানে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের আয়োজনে এই মেলা চলবে মাসব্যাপী। মেলা পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে মেসার্স চামেলী ট্রেডার্স।

    বৃহস্পতিবার মেলার মাঠ প্রস্তুতের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মুন্সী মাহবুব আলম সোহাগ, উপ-দপ্তর সম্পাদক হাফেজ মো. শামীম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মনিরুজ্জামান সাগর, মেলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি মেসার্স চামেলী ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী  মো. রাসেল মিয়া প্রমুখ।

    মেলার ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি চামেলী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. রাসেল মিয়া বলেন, মেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮০টি স্টল ও ১৬টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। প্রবেশ মূল্য রাখা হয়েছে ১৫ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে।

    তিনি আরও বলেন, মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এজন্য মেলার ভেতরে এবং বাইরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। এছাড়া ৪ কোণে বসানো হবে ৪টি নিরাপত্তা চৌকি। পুলিশ-র‌্যাব ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবকরা মেলার নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন।

    মেলার স্টল বরাদ্দ চলছে জানিয়ে মো. রাসেল মিয়া বলেন, পাকিস্তান, চীন, জাপান, ইরান এরইমধ্যে মেলার স্টল বরাদ্দ নিয়েছে। আগ্রহীদের অচিরেই যোগাযোগের (০১৭১৩-৭৩৮৮৮৪) জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। মেলায় দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে সুদৃশ্য ডিজিটাল ফোয়ারা এবং শিশুদের বিভিন্ন আইটেমের খেলনা থাকবে।

    তিনি বলেন, এবার মেলায় বিশেষ আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে মাদার কেয়ার। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জন্যও নামাজের জায়গা থাকবে মেলায়।

     

     

  • ডাকে স্বপ্নের দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ

    ডাকে স্বপ্নের দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ

    এরশাদুল আলম প্রিন্স : নিঝুম দ্বীপের সৌন্দর্য হাতছানি দিয়ে ডাকে। মেঘনা পার হয়ে সি-ট্রাক বঙ্গোপসাগরের ঈষৎ নোনা-জলে যখন এসে পড়লো, নিঃসঙ্গ গাঙচিলটি ছোট্ট মাছের জন্য জাহাজের পেছনে উড়ে উড়ে ক্লান্ত হয়ে ফেরার পথ ধরলো।

    সকালের কুয়াশা মিলিয়ে গেছে আরো আগেই। সাগরের বিস্তৃত বুকে আচল বিছিয়ে দিয়েছে দিনের প্রথম আলো। আধঘণ্টা বাদেই জাহাজ হাতিয়ার মাটি স্পর্শ করবে। পাশে বসে থাকা ইসমাইল চাচা জানালেন সে কথা। সেই আধঘণ্টা শেষ হতে আরো প্রায় সোয়া ঘণ্টা লেগে গেলো। জিজ্ঞাসু চোখের দিকে তাকিয়ে তিনি শুধু একটি চওড়া হাসি দিলেন। হাতিয়া ঘাটে নামতে নামতে বাজলো বেলা প্রায় সাড়ে ১১টা।

    মাইজদী চেয়ারম্যান ঘাট থেকে সহযাত্রী হয়েছেন ইসমাইল চাচা। মোটেই কয়েক ঘণ্টার পরিচয়। এরই মধ্যে যেনো লোকাল গার্ডিয়ান হয়ে উঠেছেন তিনি। হাতিয়া নেমে এলাকার আরো কয়েকজনকে নিয়ে ঢাকাবাসীদের অনেকটা কর্ডোন করে একটি খাবার হোটেলে ঢোকালেন। একরকম জোর করেই নাস্তা করালেন, চা পান করালেন। হাতিয়ায় এভাবে স্বাগত হয়ে নিজেকে আর ‘মুসাফির’ বলা যাচ্ছি না।

    তখনও দায়িত্ব ছেড়ে দেননি ইসমাইল চাচা। তিনিই নিঝুম দ্বীপ যাওয়া-আসার জন্য ঢাকাবাসীকে একটি মোটরসাইকেল ঠিক করে দিলেন। সারাদিনের জন্যই ওই মোটরসাইকেল চালক থাকবেন সঙ্গে। মোটামুটি সারাদিনের জন্যই নিশ্চিন্ত হওয়া গেল- অন্তত বাহন নিয়ে ভাবনা থাকলো না। বলে রাখা ভালো, হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ দু’টিই মোটরসাইকেলে যোগাযোগ নির্ভর জনপদ। এছাড়া চলাচলের জন্য ব্যাটারিচালিত রিকশা ও বাস আছে। তবে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের আধিক্য এখানে অনেক বেশি। চায়ে শেষ চুমুক দিয়েই মোটরসাইকেলে উঠে বসলাম। চালকসহ তিনজন হাতিয়ার বুক চিরে এগিয়ে চললাম নিঝুম দ্বীপের দিকে।

    ভুগোলে নজর দিলে দেখা যাবে, দেশের দুই প্রান্ত থেকে দু’টি নদী পদ্মা ও যমুনা দেশের ভূখণ্ডের প্রায় মধ্যভাগে এসে মিলিত হয়েছে গোয়ালন্দে। ভারতের আসাম, গৌহাটি, মেঘালয় হয়ে কুড়িগ্রাম-জামালপুরের বুক চিরে এগিয়ে আসা ব্রহ্মপুত্র গোয়ালন্দে পৌঁছেছে যমুনা হয়ে।

    ভারতেরই বিহার-পশ্চিমবঙ্গ থেকে গঙ্গা হয়ে আসা নদী রাজশাহীতে ঢুকে পদ্মা নাম নিয়ে পাবনার বুক চিরে নেমেছে পদ্মায়। এই দুই নদীর মিলিত স্রোতধারা পদ্মা নামে আরও নিম্নগামী হয়ে চাঁদপুরে এসে মেঘনার সঙ্গে মিলে মেঘনা চূড়ান্ত নাম নিয়েই বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশিতে মিশে গেছে।

    নদীর বর্ণনা এ কারণেই যে, দেখে যেনো মনে হয় ওপর থেকে আসা তিনটি নদী তাদের শক্তির দাপটে হাতিয়াকে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে বঙ্গোপসাগরের বুকে নিক্ষেপ করেছে।  মেঘনার স্রোতধারা হাতিয়ার উত্তরে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দুই দিক দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলেছে। হাতিয়া উত্তর-দক্ষিণে লম্বা একটি দ্বীপ, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ কি.মি. ও পূর্ব-পশ্চিমে কোথাও কোথাও ৩০ কি.মি। বর্গকিলোমিটার হিসাব করলে দেড় হাজারের কিছু বেশি।

    সেজন্যই যাত্রা আরো দক্ষিণে, প্রায় ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ মোটরসাইকেল। এ পথের শেষ পানেই নিঝুম দ্বীপ। হাতিয়াকে মাঝে রেখে চলে গেছে এই সড়ক। হাতিয়া সদর থেকে জাহাজমারা ঘাট পর্যন্ত পাকা সড়ক মোটরসাইকেলে চলতে কোনো সমস্যাই হলো না।

    দু’দিকে সবুজকে ভেদ করে এগিয়ে চলেছি নিঝুম দ্বীপের দিকে। যেখানে সবুজ নেই সেখানে কৃষকের সোনালী শস্যের ক্ষেত। সবুজ আর সোনালী মাঠের মধ্য দিয়েই সরল সড়ক পথ ধরে মোটরসাইকেল আরো এগিয়ে চললো। মাঝে মাঝে বাজার। প্রায় পুরো রাস্তার দু’পাশেই মানুষের বসত-বাড়ি, নয়তো ক্ষেত-খামার। বোঝা গেল, হাতিয়ায় লোক বসতি যথেষ্টই আছে। এখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ২১৬ জন।

    জাহাজমারা বাজার পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি ভালোই। কিন্তু এর পরই শুরু হলো খানাখন্দ। বাকি পুরোটা রাস্তা খানাখন্দে ভরপুর। মোটরসাইকেলের চাকাও সে খানাখন্দ এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই সর্বোচ্চ গতি ৭ কিলোমিটারে নেমে এলো। জাহাজমারা পর্যন্ত আসতে লাগলো প্রায় দুই ঘণ্টা। কিন্তু বাকি ১৫ মিনিটের রাস্তা যেতে আরো একঘণ্টা লাগলো।

    স্থানীয় লোকজন এতে অভ্যস্ত। কিন্তু যারা মোটরসাইকেলের দীর্ঘ যাত্রায় অভ্যস্ত নন, তাদের জন্য এ পথ বড়ই কঠিন। এই কঠিনেরে ভালোবেসেই নিঝুম দ্বীপে যেতে হয়। পর্যটকদেরও পাড়ি দিতে হয় এ সড়ক। প্রতি স্পটে স্পটে বোঝা যায় সড়কটির ওপর অবহেলার ছাপ। ইটের রাস্তা মেরামত করার কোনো গরজ নেই, পিচ ঢালাতো দূরের কথা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি নেক নজর দেয়, তবে রাস্তা প্রাণ ফিরে পেতে পারে, এতে যাত্রী ও পর্যটকরাও একটু স্বস্তি পাবে।

    কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে রাস্তা এবার ধান ক্ষেতের মধ্য দিয়ে সামনে যেতে শুরু করলো। ক্ষেতের মধ্য দিয়ে ইটের সড়ক এগিয়ে চললো মুক্তারিয়া ঘাটের দিকে। মুক্তারিয়া ঘাট পার হলেই নিঝুম দ্বীপ।

    ঘাটে এসে দেখা গেল, এই মোটরসাইকেলের আগে অন্তত আরো অর্ধশত মোটরসাইকেল এসে পৌঁছেছে। এসেছেন ১০০ যাত্রী। তারাও নিঝুম দ্বীপ যাবেন। বেশির ভাগই স্থানীয়। পযর্টক বলতে, মোটরসাইকেলের দু’জনই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘাট থেকেই মানুষ নিঝুম দ্বীপে যায়।

    যাত্রীদের আনাগোনা থাকায় রাস্তার দু’পাশে গড়ে উঠেছে ছোট কয়েকটি চায়ের দোকান, খাবার দোকান আর মুদির দোকান। নদীর ওপারে দৃষ্টি প্রসারিত করে তাকিয়ে অনুভূতি নেওয়ার চেষ্টা। ওই যে দূরে নদীর ওপারেই দেখা যায় স্বপ্নের দ্বীপ, সোনার হরিণের দ্বীপ- নিঝুম দ্বীপ। সূত্র-বাংলানিউজ২৪ ডটকম

     

  • বিশেষ দিনে বিশেষ প্রস্তুতি

    বিশেষ দিনে বিশেষ প্রস্তুতি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বইমেলা, বসন্ত বরণ তারপর ভালোবাসা দিবস। সব মিলিয়ে প্রতিটি উপলক্ষ্যে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে চাই কিছু প্রস্তুতি।

    রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে উৎসবের আগে ত্বকের জন্য জরুরি কিছু বাড়তি যতœ ও অভ্যাসের বিষয় তুলে ধরা হয়।

    পানি পান: নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য উপকারী। পানি শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে আট থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

    পর্যাপ্ত ঘুম: অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে চোখ বসে যেতে পারে এবং চোখের নিচে কালিও পড়তে পারে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুমানো বেশ জরুরি। আট ঘন্টা সম্ভব না হলে অন্তত সাত ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

    মিষ্টি এড়িয়ে চলুন: অতিরিক্ত মিষ্টি ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে ত্বকের লোমকূপ বড় হয়ে যায় এবং অনেকের ব্রণের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে মিষ্টি এড়িয়ে চলুন।

    ব্যায়াম: ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ত্বক সুন্দর করে তুলতেও ব্যায়াম বেশ উপযোগী। প্রতিদিন সকালে হাঁটা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি শরীর, ত্বক ও মনের জন্য উপকারী।

    ফল ও সবজি: প্রতিদিন তাজা ফল ও সবজি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ উপকারী। গাজর, টমেটো, বিভিন্ন ধরনের শাক, শসা, পেঁয়াজ, লেবু ইত্যাদি মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে খান। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফলও রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।

    চা কফি পানে লাগাম টানুন: ক্লান্তি ও ঘুম ঘুমভাব দূর করতে কফি বা চা বেশ কার্যকর হলেও এই অভ্যাস ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। প্রতিদিন দুই কাপের বেশি চা বা কফি পান করা উচিত নয়। আর প্রতি কাপে আধা চামচ পরিমাণ চিনি মেশানোর অভ্যাস করুন।

    ভাজাপোড়া বাদ: সমুচা, পেঁয়াজু, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই পছন্দের খাবার হলেও বাইরের এই সব তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। খুব বেশি খেতে ইচ্ছা করলে এই খাবারগুলো ঘরেই তৈরি করে নিন।

    রাতের খাবার খান আগে: বাইরে খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন কিছু দিনের জন্য। ঘরে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে নিন জলদি। ঘুমানোর এক-দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। এই অভ্যাস ওজন কমাতে সাহায্য করে।

    ঘরেই নিন চুলের যতœ: অনুষ্ঠানের কিছুদিন আগে থেকেই চুলের যতœ নিন। নারিকেল তেল ও জলপাই তেল সমপরিমাণে মিশিয়ে নিয়ে হালকা গরম করে নিন। মাথার ত্বকে ও পুরো চুলে ভালোভাবে মালিশ করুন। এরপর একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে বাড়তি পানি চেপে ফেলে দিয়ে পুরো মাথা পেঁচিয়ে নিন। এতে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

    ত্বকের যতœ: অনুষ্ঠানের আগে ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ ও ধুলাবালি পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। তাই নিয়ম করে ত্বক এক্সফলিয়েট করার চেষ্টা করুন।

     

     

  • ডুমুরিয়ায় শ্রমিক লীগের মানববন্ধন

    ডুমুরিয়ায় শ্রমিক লীগের মানববন্ধন

    ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : ডুমুরিয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ-ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও গুটুদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহবায়ক মফিজুল ইসলাম সানা’র নামে মিথ্যা, ষড়য়ন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়।

    উপজেলা শ্রমিক লীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া  বাসষ্ট্যান্ড চত্ত্বরে এ কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসুচীতে প্রধান অতিথি’র বতৃতা করেন জেলা আ’লীগ নেতা এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল। এ সময় আরও বতৃতা করেন গুটুদিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী নুরুল ইসলাম, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লিটু, আ’লীগ নেতা গোপাল চন্দ্র দে, প্রভাষক গোবিন্দ কুমার ঘোষ, মেহেদী হাসান বিপ্লব, ছাত্রলীগ নেতা কাজী মেহেদী হাসান রাজা, শ্রমিক নেতা ইসমাইল বিশ্বাস, খোকা সরদার, এরশাদ মোল্যা, আসাদ কাজী, ইসলাম কাজী, মামুন শেখ, পলাশ কাজী, জিয়ারুল ইসলাম, মাহাবুর রহমান, তরুন ফৌজদার, আবদুল্লাহ শেখ, বিল্লাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সমর গাইন, জামির হোসেন ও রবীন ঢালী প্রমুখ। কর্মসুচীতে সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম, পূজা উদযাপন পরিষদ, বাজার বনিক সমিতিসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

     

  • গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আ’লীগের কমিটি ঘোষণা

    গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আ’লীগের কমিটি ঘোষণা

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকুকে সভাপতি ও মো. রফিকুল ইসলাম মিটুকে সাধারণ সম্পাদক করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ৬৮ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

     

     

  • গোপালগঞ্জে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    গোপালগঞ্জে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরগোবরা মৌজায় ইজারার নামে মধুমতি থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

    বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গোবরা ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।

    পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের নেতা গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল কবির কদরের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পত্র প্রদ্ন করে।

    অভিযোগকারী চরগোবরা গ্রামের মোতালেব সিকদার, মোফাজ্জেল হোসেন সিকদার, কেরামত সিকদার, গ্রীশনগর গ্রামের গোলাম মোস্তফা, সুকুমার বিশ্বাস ও কানাই বিশ্বাস জানান, গোবারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল কবির কদর মধুমতি নদী ও নদী সংলগ্ন ১৫৩নং চর গোবরা মৌজার ৭৫ শতাংশ জমি লিজ নিয়ে প্রায় এক শত বিঘা জমির ৩টি ড্রেজার বসিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি কর্তন করছে। যার ফলে ওই এলাকাগুলি ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তারা অবৈধ ভাবে এ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা বন্ধের দাবি জানিয়ে বালু উত্তোলনকারী ফয়সাল কবির কদরের শাস্তি দাবি করেন।

    এ ব্যাপারে গোবরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল কবির কদর বলেন, আমি অবৈধ ভাবে কোনো বালু উত্তোলন করছি না। সরকারের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৩ হাজার ৪৩০ টাকা দিয়ে ৭৫ একর জমি ইজারা বন্দোবস্ত নিয়েছি। ইজারাপ্রাপ্ত জায়গা থেকেই আমি বালু উত্তোলন করছি।