Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 384 of 398

Author: dakshinermashal

  • দল গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি

    দল গোছাতে ব্যস্ত বিএনপি

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বারবার আন্দোলনে হোঁচট খেয়ে দল গোছানোর দিকে মন দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সারাদেশে বিএনপির কমিটি গঠনসহ তৃণমূল পর্যায় থেকে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে শনিবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে দলের ভাইস-চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বিএনপি সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

    দলের সাংগঠনিক উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে করণীয় নির্ধারনে কয়েক ধাপে দলের নীতি-নির্ধারকদের সাথে বৈঠকের আয়োজন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। এর অংশ হিসেবে শনিবার রাতে দলের ভাইস-চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠকে বসেন তিনি। দেশব্যাপী দলের কমিটি গঠন ও দলকে চাঙ্গা করে রাজপথে ফিরিয়ে আনার জন্যই এ বৈঠক।

    বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সওকত রহমান, সেলিমা রহমান, কামাল ইবনে ইউসুফ, মো: শাহজাহান, খন্দকার মাহবুব, এনাম আহমেদ চৌধুরীসহ বিএনপির ২০ জন ভাইস-চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

    এছাড়া একই বিষয়ে আলোচনার জন্য আজ রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় উপদেষ্টা মন্ডলীর বৈঠক ডেকেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। এর আগে দলের সাংগঠনিক বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে বৈঠক করেছেন বেগম জিয়া।

     

     

  • বুধবার থেকে জেলা জজের ছুটি অনলাইনে

    বুধবার থেকে জেলা জজের ছুটি অনলাইনে

    এসবিনিউজ ডেস্ক :  আগামী বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে অধস্তন আদালতের জেলা জজ ও সমপর্যায়ের সকল বিচারকের ছুটি হবে অনলাইনে।

    এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন জেলা জজদের সার্কুলার পাঠিয়েছেন। যেখানে অনলাইনে ছুটি প্রবর্তনের বিষয়ে তিনটি উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে। সেগুলো হলো- ‘নৈমিত্তিক ছুটি ও কর্মস্থল ত্যাগের বিষয়টি সহজীকরণ, দ্রুত ও কার্যকরভাবে নিষ্পত্তি এবং ছুটির তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষণ করা’।

    অনলাইনে ছুটির উদ্যোগের প্রথম ধাপ

    গত বছরের ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০১৫ সালের ২ জুন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত সকল পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ কারণে বিচারকরা কর্মস্থল ত্যাগসহ নৈমিত্তিক ছুটি গ্রহণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে অবহিত করলেও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া দ্রুত তথ্যসেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে অধস্তন আদালতের বিচারকদের কর্মস্থল ত্যাগসহ নৈমিত্তিক ছুটি গ্রহণের বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকরভাবে নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে  ই-অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার  চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ই-অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার  প্রস্তুত করা হয়েছে’।

    ‘প্রাথমিকভাবে সফটওয়্যারটি বাংলাদেশের সকল আদালতে প্রয়োগ না করে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের জন্য ২১ জেলা বাছাই করা হয়েছে। পরবর্তীতে সকল আদালতে ই-অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালু করা হবে’।

    জেলাগুলো হচ্ছে- কক্সবাজার, নোয়াখালী, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ফেনী, মৌলভীবাজার, সিলেট, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, গাজীপুর, ঢাকা, পাবনা, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।

    দ্বিতীয় ধাপ

    পরবর্তীতে জানুয়ারি থেকে দেশের সকল জেলা জজের ছুটি অনলাইনে করা হয়।

    এ বিষয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান বিচারতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে অধস্তন আদালতের বিচারকদের ছুটি ও কর্মস্থল ত্যাগের বিষয়টি সহজীকরণের লক্ষ্যে ই-অ্যপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২১টি জেলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং  ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে এর কার্যক্রম শুরু হবে’।

    এ পদ্ধতির সুবিধা সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘নতুন এ পদ্ধতির মাধ্যমে ছুটির এ ব্যবস্থা হওয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছুটির বিষয়টি জানা যাবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কতোদিন ছুটিতে থাকছেন এ বিষয়ে হিসাব রাখা সহজ হবে। এতে করে অধস্তন আদালতের বিচারকদের ভোগান্তি কমবে’।

    শেষ ধাপ

    গত ০৯ ফেব্র“য়ারি অধস্তন আদালতের বিচারকের অনলাইনে ছুটির বিষয় নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার সার্কুলার জারি করেন।

    যাতে বলা হয়, ‘প্রাথমিকভাবে সফটওয়্যারটি দেশের সকল জজশিপে প্রয়োগ না করে ২১ জেলায় ও পরবর্তীতে ৪৩ জেলাসহ ৬৪ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা জজদের জন্য প্রয়োগ করা হয়। বর্তমানে ৬৪ জেলায় জেলা জজদের জন্য ই-অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার সফলভাবে কাজ করছে। এখন ৬৪টি জেলার জেলা জজ সমপর্যায়ের সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের (মহানগর দায়রা জজ, বিভাগীয় স্পেশাল জজ, বিশেষ জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, পরিবেশ আপিল ট্রাইব্যুনাল, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, জননিরাপত্তা বিঘœকারী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও সাইবার ট্রাইব্যুনাল এর বিচারকরা) জন্য এ সফটওয়্যারটি কার্যকর করা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের জন্য আলাদা আইডি, পাসওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে’।

    ‘এ অবস্থায় সারাদেশের অধস্তন আদালতে কর্মরত জেলা ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের আগামী ১৫ ফেব্র“য়ারি থেকে নৈমিত্তিক ছুটি ও কর্মস্থল ত্যাগের আবেদন দ্রুত ও কার্যকরভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে প্রচলিত নিয়মে না পাঠিয়ে ই-অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার প্রয়োগ করে পাঠানোর অনুরোধ করা হলো’।

    তবে শিগগিরই সারাদেশের সকল বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য এ সফটওয়্যার চালু করা হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে।

    এই ই-অ্যপ্লিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বিচারকদের ছুটির প্রয়োজন হলে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সফটওয়ারে প্রবেশের পর ছুটির কারণ ও সময় লিখে অনুমতি চাইলে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পাওয়া যাবে।

  • জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর অবদান রেখে চলছে : নারায়ণ

    জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর অবদান রেখে চলছে : নারায়ণ

    স্টাফ রিপোর্টার : মৎস্য প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর মৎস্য খাতের ব্যাপক উন্নতি করছে। দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা আসে মৎস্য খাত থেকে।

    প্রতিমন্ত্রী শনিবার খুলনা জেলা মৎস্য ভবন মিলনায়তনে ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্যচাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) ডিজিটাল ওয়াটার টেস্টিং কিটস বিতরণ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।        

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে একটি অনুষ্ঠানে বলে ছিলেন মাছ হবে এদেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের উপাদান এবং তিনি গবাদি পশুর প্রথম প্রজনন চালু করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন এনেছে এবং ২০০৯ সালে ব্যাপকভাবে দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ¬ ঘটেছে, কৃষিতে ব্যাপকভাবে বিপ¬ ঘটেছে। তিনি বলেন, মাছের কোয়ালিটি ঠিক রেখে উৎপাদন করতে হবে। দেশের প্রায় কোটি ৮০ লাখ মানুষ মৎস্য সেক্টরে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত। ৬০ শতাংশ আমিষের যোগান আসে সেক্টর থেকে। রপ্তানির ক্ষেত্রেও মাছ অন্যতম। দিন দিন মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৎস্য চাষ বিভিন্ন মৎস্য সংশি¬ষ্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থানের সুযোগ সুষ্টি হচ্ছে।

    খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক রণজিৎ কুমার পালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রকল্প পরিচালক . জোয়াদ্দার আনোয়ারুল হক, মৎস্য পরিদর্শন মাননিয়ন্ত্রণ খুলনা উপপরিচালক প্রফুল¬ কুমার সরকার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শামীম হায়দার, উপপ্রকল্প পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান এবং খুলনা উপপ্রকল্প পরিচালক লুকাস সরকার।

    পরে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ক্ষেত্র সহকারীদের মাঝে ডিজিটাল ওয়াটার টেস্টিং কিটস বিতরণ করেন। কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১১৮ জন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ক্ষেত্র সহকারী অংশগ্রহণ করেন।

    সকালে তিনি ডুমুরিয়া কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন এবং বিজয়ীদের  মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। বিকেলে প্রতিমন্ত্রী ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া খাল খননের উদ্বোধন,কাঠাঁলতলা মঠ আশ্রমে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এবং  চুকনগর মরহুম আব্দুল কাইয়ুমের স্মরণ সভায় যোগদান  করেন।      

     

  • সাংবাদিক বেলালের  শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত

    সাংবাদিক বেলালের শাহাদাৎবার্ষিকী পালিত

    স্টাফ রিপোর্টার খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার (এমইউজে) সভাপতি দৈনিক সংগ্রামের খুলনা ব্যুরো প্রধান শেখ বেলাল উদ্দীনের ১২ম শাহাদাৎ বার্ষিকী বিস্তারিত কমসুচীর মধ্যদিয়ে শনিবার পালিত হয়েছে। কর্মসুচীর মধ্যে ছিল খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে শহীদ সাংবাদিক স্মৃতি স্তম্ভে  পুষ্পমাল্য অর্পণ, কবর জিয়ারত, আলোচনা সভা দোয়া মাহফিল।

    শনিবার সকাল পৌণে ১১ টায় খুলনা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ শহীদ সাংবাদিক স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে খুলনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি শেখ দিদারুল আলমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার রায়ের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন, সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আলী আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্যা, মোআনিসুজ্জামান, হুমায়ুন কবীর, রাশিদুল ইসলাম, এইচএম আলাউদ্দিন, কাজী শামীম আহমেদ, আবুল হাসান হিমালয়, সোহরাব হোসেনশেখ আব্দুল্লাহ, এম জলিল, শেখ শামসুদ্দিন দোহা ভারত বিচিত্রার সম্পাদক নান্টু রায়, নাজমুল হক পাপ্পু প্রমুখ।

    এমইউজের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল কবর জিয়ারত কর্মসুচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, এমইউজের সভাপতি মো. আনিসুজ্জামান, বিএইফউজের সাবেক নির্বাহী সদস্য শেখ দিদারুল আলম, এমইউজের সহসভাপতি বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য এহতেশামূল হক শাওন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক রানা, সাবেক সহসভাপতি রাশিদুল ইসলাম আব্দুল খালেক আজীজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচএম আলাউদ্দিন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ আলী, সাংবাদিক নূর ইসলাম রকি, এমএ জলিল, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট শেখ জাকিরুল ইসলাম, সংস্কৃতিকেন্দ্রের সভাপতি এডভোকেট শাহ আলম, এস এম মাহবুবুর রহমান, এস মুকুল, শহীদের ছোট ভাই দৈনিক নয়া দিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার শেখ শামসুদ্দিন দোহা প্রমূখ। কবর জিয়ারতকালে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় শেখ বেলাল উদ্দীন স্মরণে নগরীর ইকবালনগর রোডস্থ পূর্বাঞ্চল ডায়লগ সেন্টারে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। 

    উল্লে¬খ্য, গত ২০০৫ সালের ফেব্রয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত বোমা হামলায় শেখ বেলাল উদ্দীন আহত হন। পরে  তিনি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ ফেব্রুয়ারি শাহাদাৎ বরণ করেন।

     

     

  • রাজনীতিতে আসছেন সুরঞ্জিতপুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত

    রাজনীতিতে আসছেন সুরঞ্জিতপুত্র সৌমেন সেনগুপ্ত

    এসবিনিউজ ডেস্ক : প্রত্যাশিতভাবেই রাজনীতিতে আসছেন সদ্য প্রয়াত প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছেলে সৌমেন সেনগুপ্ত। তার বাবার মৃত্যুর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি রাজনীতিতে আসার বিষয়ে এই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাবার নির্বাচনী এলাকায় উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। তবে এক্ষেত্রে সবকিছু নির্ভর করছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর। তিনি বলেন, রাজনীতি করার আগ্রহ রয়েছে আমার। তবে সেটা নির্ভর করছেন আমাদের অবিভাবক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর। তিনি যদি নির্দেশ দেন তাহলে আমি রাজনীতি করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার (সুরঞ্জিত সেন) পরেই আমাদের অভিভাবক। বাবা যেহেতু এখন আর নেই তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বাইরে গিয়ে কোনো কিছু করবো না।

    প্রসঙ্গত গত ৫ ফেব্রুয়ারি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা গেছেন। জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, সুপরিচিত এই রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৪৫ সালে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এমন কী মুক্তিযুদ্ধের আগে ১৯৭০-এর নির্বাচনে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি থেকে মাত্র ২৫ বছর বয়সে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই রাজনীতিবিদ। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি যোগ দেন আওয়ামী লীগে।

    সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে উপনির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে সৌমেন সেনগুপ্ত বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে। তিনি যদি আমাকে মনোনয়ন ও নির্দেশ দেন তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নেবো। প্রধানমন্ত্রী যদি না চান তাহলে অংশ নেবো না। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। তার নির্দেশের বাইরে আমি এবং আমাদের পরিবার কিছু করবে না।

    রাজনীতিতে না এলে বাবা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে চান সৌমেন সেনগুপ্ত। তিনি বলেন, বাবার নামে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট নামে একটি কলেজ রয়েছে। বর্তমানে এই কলেজটির দায়িত্ব আমি নিয়েছি। এই কলেজের সার্বিক উন্নয়ন করাই হবে আমার কাজ। এর বাইরে কিছু রাস্তা, ব্রিজসহ বেশ কিছু উন্নয়ন মূলক কাজ বাবা অসমাপ্ত রেখে গেছেন। এগুলো আমি শেষ করতে চাই। বাবা জীবনভর মানুষের উপকার করে গেছেন। এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করেছেন। আমি চেষ্টা করব বাবার শেষ কাজটুকু করে যেতে।

    সৌমেন সেনগুপ্ত পেশায় একজন ব্যবসায়ী হলেও রাজনীতি সম্পর্কে রয়েছে স্বচ্ছ ধারণা। ব্যবসায় থেকে রাজনীতিতে আসাটা চ্যালেঞ্জ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিটি কাজেই চ্যালেঞ্জ আছে। সেটা ব্যবসা কিংবা রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই। তবে রাজনীতি করলে সরাসরি মানুষের কাছে যাওয়া যায়। মানুষের সেবা করার সুযোগ একটু বেশি থাকে। তাই রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের সেবা করতে চাই বাবার মতো।

    সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের একমাত্র সন্তান সৌমেন সেনগুপ্ত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ও লেভেল পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের গ্রীন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। এ লেভেল সম্পন্ন করেছেন ধানমন্ডির গ্রীনজ্যাম ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে। কম্পিউটার সায়েন্সে সম্মান কোর্স সম্পন্ন করেন ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে। মাস্টার্স করেন কানাডার ডেল হাউস ইউনিভার্সিটি থেকে। তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

     

     

  • সমালোচকদের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ এখন পাওনা: জয়

    সমালোচকদের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ এখন পাওনা: জয়

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বিশ্ব ব্যাংক অভিযোগ তোলার পর পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের যারা দুর্নীতির কথা বলে গলা চড়িয়েছিল, তাদের এখন সরকারের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলা নাকচ করে কানাডার আদালতের রায় দেয়ার পর নিজের ফেসবুক পেজে জয় এই মত প্রকাশ করেন।

    প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ এনে কানাডার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএমসি লাভালিনের তিন কর্মকর্তাকে খালাস দিয়ে দেশটির আদালতের দেয়া রায় প্রকাশ হয়েছে। এই রায়ে বিচারক ইয়ান নরডেইমার বিশ্বব্যাংকের তোলা অভিযোগকে ‘অনুমানভিত্তিক, গাল-গল্প ও গুজবের বেশি কিছু নয়’ বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই গুজব বা অনুমানকে সমর্থন করে এমন ঘটনা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ হাজির করা হয়নি বা তার তদন্ত হয়নি। যে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে তা শোনা কথা’।

    নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয় লিখেছেন, ‘এই মিথ্যা তৈরি করেছে বিশ্ব ব্যাংক। পুরো উপাখ্যান চলাকালে আমি তাদের এই সব প্রমাণাদি দেখেছি। এতে সুনির্দিষ্ট-বিস্তারিত কিছু নেই, যা সুস্পষ্টভাবেই বানানো। রয়েছে কেবল একটি বেনামী সূত্র, যা এমনকি কানাডার আদালতের কাছেও প্রকাশ করা হয়নি। সুতরাং তারা অভিযোগ দায়ের করেছে, কিন্তু দাবির পক্ষে প্রমাণ দিতে অস্বীকার করেছে।’

    ফেসবুকে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, ‘আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সুনামহানি করতে বিশ্ব ব্যাংক এই ষড়যন্ত্র করেছে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে বিশ্ব ব্যাংাকের অভিযোগ তোলা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এতে বাংলাদেশিরাও জড়িত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি সংসদে বলেন, হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংেকের অর্থায়ন আটকেছিলেন নোবেলজয়ী বাংলাদেশি মুহাম্মদ ইউনূস এবং এতে বাংলাদেশের এক সম্পাদকেরও ভূমিকা ছিল।

    বিশ্ব ব্যাংক বলার পর পদ্মা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শোরগোল ওঠে বাংলাদেশেও; তখন সরকারের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেন অনেকে।

    সেসব সমালোচকদের উদ্দেশে জয় তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এটা লজ্জাজনক যে, আমাদের সুশীল সমাজের একটা অংশ দ্রুত আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে ও বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষে অবস্থান নেন। তারা বেশ কয়েকজন পরিশ্রমী, সম্মানিত যোগ্য মানুষের গায়ে কালিমা লেপন করেছেন যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তারা দেশপ্রেমিক নয়।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকার এবং ‘সম্মান ক্ষন্ন হওয়া’ ব্যাক্তিদের কাছে ওই সমালোচকদের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ এখন পাওনা বলে মন্তব্য করেছেন জয়। বাংলাদেশের কাছেও তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ বলে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন তিনি।

    মায়ের মতো জয়ও অভিযোগ করেন, দেশের সবচেয়ে বড় সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ তোলার পেছনে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মুহম্মদ ইউনুসের হাত ছিল। এ বিষয়ে তিনি লেখেন, এই অভিযোগ উঠার পর তাকেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। ইউনুসের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সরকারকে শায়েস্তা করতে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বাতিল করতে বিশ্ব ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

    ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও কর ফাঁকির অভিযোগও এনে জয় বলেন, ‘আপনারা কি জানেন, ইউনুস, তার পরিবার, বন্ধুরা বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে লাভজনক টেলিযোগাযোগ কোম্পানির ৩০ শতাংশ শেয়ারের মালিক। একটি বেসরকারি ট্রাস্ট্রের মাধ্যমে তারা এটার মালিক হয়েছে, কেবল তারাই এর সুবিধাভোগী। গ্রামীণ ব্যাংকের একটি মাল্টি মিলিয়ন ডলারের লোন থেকে এই শেয়ারের টাকা দেওয়া হয়েছে, যা অবৈধ। দাতাদের অর্থে দরিদ্রদের ক্ষুদ্র ঋণ দিতে খরচ করে গ্রামীণ ব্যাংক। এখান থেকে ব্যক্তিগত ব্যবসার জন্য ঋণ করা যায় না।’

     

  • সাচ্চু সভাপতি, নাসিম সাধারণ সম্পাদক

    সাচ্চু সভাপতি, নাসিম সাধারণ সম্পাদক

    এসবিনিউজ ডেস্ক : অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনে শহীদুল আলম সাচ্চু সভাপতি ও আহসান হাবীব নাসিম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস এম মহসীন।

    নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে আজাদ আবুল কালাম ও তানভীন সুইটি। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আনিসুর রহমান মিলন ও রওনক হাসান। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লুৎফর রহমান জর্জ এবং অর্থ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্ধতায় তানিয়া আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দপ্তর সম্পাদক পদে শামস সুমন, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ওমর আয়াজ, অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে বন্যা মির্জা, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে শামীমা তুষ্টি। এছাড়া ইন্তেখাব দিনার, সেলিম মাহবুব, জাকিয়া বারী মম, নিকুল, সুজাত শিমুল, সনি রহমান ও মুকুল সিরাজ নির্বাচিত হয়েছেন কার্যনির্বাহী সদস্য পদে।

    উল্লেখ্য, শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

  • পাইকগাছায় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠিত

    পাইকগাছায় মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠিত

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম পাইকগাছা উপজেলা শাখার কমিটি গঠিত হয়েছে। শুক্রবার সংগঠণের পাইকগাছা কলেজ মার্কেটস্থ কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সুন্দরবন বার্তা’র সম্পাদক মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, দৈনিক জন্মভূমি প্রতিনিধি গাজী সালাম ও জি,এ গফুর (দৈনিক যশোর) কে উপদেষ্টা এবং মোঃ আব্দুল আজিজ (দৈনিক সমাজের কথা) কে পুনরায় সভাপতি ও এন. ইসলাম সাগর (দৈনিক প্রবর্তন) কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের উপজেলা কমিটির কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠণ করা হয়। কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে এস,এম, আলাউদ্দীন সোহাগ (দৈনিক গ্রামের কাগজ), বি. সরকার (দৈনিক সত্যপাঠ), আলাউদ্দীন রাজা (বাংলাদেশ সময়), তৃপ্তি রঞ্জন সেন (দৈনিক সময়ের খবর), যুগ্ম সম্পাদক কৃষ্ণ রায় (দৈনিক নারীকন্ঠ), কোষাধ্যক্ষ ইমদাদুল হক (দৃষ্টিপাত), সাংগঠনিক সম্পাদক স্নেহেন্দু বিকাশ (দেশ সংযোগ), দপ্তর সম্পাদক প্রমথ রঞ্জন সানা (সাতনদী), সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অমল কৃষ্ণ মন্ডল (দৈনিক কালেরচিত্র), সদস্য এম.আর মন্টু (পূর্বাঞ্চল), মোঃ নজরুল ইসলাম (কাফেলা), আব্দুর রাজ্জাক বুলি (সমাজের কাগজ), আবুল হাশেম (দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন) ও এম.এম. আহসানউদ্দীন বাবু (মানবাধিকার সংবাদ)।

     

  • পাইকগাছার মাহি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর

    পাইকগাছার মাহি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর

    পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছার কৃতি সন্তান মোঃ মহিউদ্দীন মাহি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। গত ৬ ফেব্র“য়ারি সহকারী অধ্যাপক থেকে প্রশাসনিক এ গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি নিয়োগ পান।

    মহিউদ্দীন মাহি পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের ধামরাইল গ্রামের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন মোড়ল ও মাজেদা বেগমের ছেলে। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে মাহি সকলের ছোট। বড় ভাই মশিউর রহমান লক্ষ্মীখোলা কলেজিয়েট স্কুলে প্রভাষক ও বোন মনিরা খাতুন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী হিসেবে কর্মরত। মাহি ২০০১ সালে চাঁদখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মেধা তালিকায় এসএসসি, ২০০৩ সালে পাইকগাছা কলেজ থেকে এইচএসসি, ২০০৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে মাস্টার্স পাশ করেন। এরপর ২০১৩ সালের মে মাসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে তিনি সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। সর্বশেষ গত সোমবার তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। মহিউদ্দীন মাহি’র স্ত্রী সামসাদ নওরীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিস্ট এণ্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

     

     

  • গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ী ভাংচুর

    গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বাড়ী ভাংচুর

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী শেখের বাড়ী-ঘর ভাংচুর করাসহ কমপক্ষে ১৩টি শিরিষ গাছ, আম গাছ, পেয়ারা গাছ, মেহগনি গাছ ও নারকেল গাছ কেটে নিয়েছে প্রতিবেশী ইলু শেখ, হেলাল শেখ ও তাদের সঙ্গী হাসান মোল্যাসহ তাদের সাঙ্গো পাঙ্গোরা।

    শুক্রবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী শেখ জানিয়েছেন তাকে প্রায়ই ওই সকল ব্যাক্তিরা বিভিন্ন উপায়ে হয়রানী ও নির্যাতন করে। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় অবস্থান কালে তার বাড়ী এসে দুটি ঘর ভেঙ্গে ফেলে। ১৩টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। তারা তার জায়গার মধ্যে বেড়া দিয়ে প্রায় ২ কাঠা জায়গা জোর পুর্বক দখল করে নিয়েছে। হামলাকারীরা ভাংচুরের সময় ঘরে রাখা উল্লেখযোগ্য পরিমান নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ মুক্তিযোদ্ধা।

    এ ঘটনার পর তার স্ত্রী থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল সরেজমিন তদন্ত করে করে গেছে কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

    বর্তমানে হামলাকারী চক্রটি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং প্রাণনাশেরও হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় হাসমত আলী শেখ।

     

  • গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি’র ক্যাফেটারিয়া এখন ছাত্রী হল

    গোপালগঞ্জের বশেমুরবিপ্রবি’র ক্যাফেটারিয়া এখন ছাত্রী হল

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ করে বেশ কয়েক মাস যাবত ছাত্রী হল হিসাবে চালানো হচ্ছে। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছে। তারা বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে বাড়তি মূল্যে খাবার ক্রয় করে খাচ্ছে বলে জানিয়েছে।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারজানা নামের একজন ছাত্রী জানিয়েছেন ছাত্রী হলটিতে থাকতে পেরে সুবিধা হলেও নিজেদের খাবার বাবদ বাড়তি অর্থ দিতে হচ্ছে। ছাত্রী হলটিতে পুরুষ প্রভোষ্ট মো: নুরুন্নবী কর্তৃক মেয়েদের প্রাইভেসী নষ্ট বা পীড়নের অভিযোগ থাকলেও সেখানকার নিবাসীরা তা  সরাসরি স্বীকার করেনি। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেছে যে ছাত্রী হলে মহিলা প্রভোষ্ট দেয়া উচিৎ।

    এ ব্যাপারে ছাত্রী হলটির প্রভোষ্টকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন দায়িত্ব পালন করতে কমফোর্ট্যাবল ফিল করেন। ছাত্রী হলটির ব্যাপারে কারো নাক না গলানোর পরামর্শও তিনি দেন।

     

  • গোপালগঞ্জে ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ

    গোপালগঞ্জে ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ

    গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তিন বখাটের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে (১৬) বিবস্ত্র করে ভিডিওচিত্র ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রী কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন সম্রাট মণ্ডল (২৩), সজল বিশ্বাস (২২) ও মিঠু বসু (২০)।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী গত রবিবার রাতে ঘরের বাইরে বের হলে আসামিরা তাকে ধরে বাড়ির পাশে নিয়ে যান। এরপর আসামিরা তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে। পরের দিন সোমবার সকালে ওই ছাত্রী বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে প্রথমে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ছাত্রী চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল। ইতিমধ্যে সে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দিয়েছে। এরপর আর পরীক্ষা দিতে পারেনি।

    ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, স্থানীয় বখাটে সম্রাট কিছুদিন ধরে তাঁর মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় দুই সহযোগীকে নিয়ে ওই বখাটে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

    কোটালীপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীকে দেখে এসেছি। তার বাবা তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পায়নি আদালত

    পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পায়নি আদালত

    এসবিনিউজ ডেস্ক : পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের কোনো প্রমাণ পায়নি কানাডার আদালত। তাই এই মামলার ৩ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত। কানাডার পত্রিকা দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    অন্টারিও সুপ্রিমকোর্টের বিচারক ইয়ান নরডেইমার শুক্রবার এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট (জ্বালানি ও অবকাঠামো) কেভিন ওয়ালেস, প্রতিষ্ঠানটির আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী জুলফিকার ভূঁইয়া এই মামলা থেকে খালাস পেলেন।

    পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকির ৫ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ যোগাড়ে ফোনে আড়ি পাতা তথ্য (ওয়্যার ট্যাপস) ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ২০১১ সালে ৩টি আবেদন করে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)।

    অন্টারিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ইয়ান নরডেইমার আদেশে বলেন, ওই ৩ আবেদনের বিষয়ে তার ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। এগুলোতে যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে সেগুলো ‘অনুমানভিত্তিক, গাল-গল্প ও গুজবের বেশি কিছু নয়’ বলে মূল্যায়ন তার।

    দুর্নীতির এই অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি বাতিল হয়ে যায়। পরে নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে হাত দেয় বাংলাদেশ সরকার।

    দুর্নীতির ওই ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হন সেই সময়ের যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন। অভিযোগ ছিল সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর বিরুদ্ধেও। তবে তাদের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দুদকের পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়।

    বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ২০১০ সালে নিজেরা তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ সম্পর্কে নিজেদের তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশকে (আরসিএমপি) অনুরোধ জানায়। ওই অনুরোধে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে কানাডায় এসএনসি লাভালিনের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে রমেশ শাহ ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    ২০১২ সালে টরোন্টোর আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে এসএনসি-লাভালিনে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস ও ব্যবসায়ী জুলফিকার ভূঁইয়াকেও এ মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

    সে সময় রমেশ শাহের কাছ থেকে কানাডীয় পুলিশের জব্দ করা একটি ডায়েরি নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়, যাতে ‘বাংলাদেশের কাকে কতো শতাংশ ঘুষ দেয়া হবে’ তার সাংকেতিক বিবরণ ছিল বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়।

    এদিকে বিশ্ব ব্যাংকের চাপে ‘ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগে দুদক ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় একটি মামলা করলেও ২২ মাস পর তদন্তকারীরা বলেন, অভিযোগের কোনো প্রমাণ তারা তদন্তে পাননি।

    দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় ২০১৪ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশে পদ্মা দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটে, তখনকার সেতু সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ ৭ আসামির সবাইকে অব্যাহতি দেয় আদালত।

     

  • বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন কবরী

    বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলেন কবরী

    এসবিনিউজ ডেস্ক : অতিথি শিক্ষক হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের (ইউআইটিএস) বিজনেস স্টাডিজ বিভাগে যোগ দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী।

    বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বনামধন্য অভিনেত্রী, নারী উদ্যোক্তা, মানবাধিকার কর্মী ও সাবেক সংসদ সদস্য কবরী বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ প্রোগ্রামের কনজিউমার বিহ্যাভিয়ার (ভোক্তা আচরণ) বিষয়ে প্রথম ক্লাস নেন। বসন্তকালীন সেমিস্টার ২০১৭ থেকে বিবিএ প্রোগ্রামের এডজাঙ্ক ফ্যাকাল্টি হিসেবে এন্টারপ্রেনিয়ারশিপ, লিডারশিপ ও ম্যানেজমেন্টের ক্লাস নেবেন তিনি।

    একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী কবরী অনেকদিন যাবত অভিনয় থেকে দূরে রয়েছেন। ২০১৫ সালে ‘এই তুমি সেই তুমি’ নামের একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিলেও পরে সেটি নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

     

  • প্রথম সিএসই কার্নিভাল উদ্বোধন

    প্রথম সিএসই কার্নিভাল উদ্বোধন

    এসবিনিউজ ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী প্রথম সিএসই কার্নিভাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে।

    দুইদিন ব্যাপী উৎসবের প্রথম দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বেলুন উড়িয়ে কার্নিভ্যালের উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল- ৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের  সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিনসহ সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বর্নাঢ্য একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে। এরপর কেক কাটা হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এ কার্নিভালের আয়োজন করেছে। এতে দেশের ৪৪টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্বদ্যিালয়ের ১২০টি দল অংশ নিচ্ছে।

     

     

  • ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের কিংবদন্তী’ সুরঞ্জিতকে স্মরণ

    ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের কিংবদন্তী’ সুরঞ্জিতকে স্মরণ

    এসবিনিউজ ডেস্ক : সংসদীয় রাজনীতিতে সদ্যপ্রয়াত প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাংসদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অবদান ও কর্ম স্মরণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার একাধিক সহকর্মী।

    শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক শোকসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান অংশ নেন।

    জাতীয় সংসদে সুনামগঞ্জ থেকে সাত বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য  সুরঞ্জিত গত রোববার মারা যান। তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যই ছিলেন। তিনি আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য  ছিলেন।

    শাজাহান খান বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক কিংবদন্তী। তার জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।

    “১৯৭২ সালে গণপরিষদের অধিবেশন দেখতে গিয়েছিলাম। তখন তার বক্তব্য শুনে অভিভূত হয়েছি। একজন তরুণ মুক্তিযোদ্ধা দেশ গঠনে কিভাবে সুচিন্তিত মত দিচ্ছিলেন। সব শেষ মৃত্যুর তিনদিন আগেও তার সাথে আমার কথা হয়েছিল। সংসদীয় গণতন্ত্রের অনেক কিছু তার কাছ থেকে শিখেছি।

    “রাজনীতির মাঠে অনেক কথা বলা যায়। কিন্তু সংসদে কথা বলতে হয় অনেক রীতিনীতি মেনে। এই বিষয়টি আমি সুরঞ্জিত বাবুর কাছেই শিখেছি।”

    জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের তার দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অসম্প্রদায়িক মতবাদের বলিষ্ঠ ধারক ছিলেন তিনি।

    সভায় সিরাজগঞ্জের সাংসদ নাসিম বলেন, “৮৬ সালে যখন প্রথমবারের মতো সংসদে যাই, তখন তার বক্তব্য শুনে অভিভূত হতাম। মনে হতো কেন তার মতো করে বলতে পারি না।

    “তার বক্তব্যে রসবোধ অনন্য, জ্ঞানের ভাণ্ডার অফুরন্ত। সংসদীয় রীতির অনেক জ্ঞানে সমৃদ্ধ ছিলেন তিনি।”

    সদ্যপ্রয়াত এই রাজনৈতিক সহযোদ্ধাকে ‘ট্রাজিক হিরো’ হিসেবে বর্ণনা করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “শেষ জীবনে অনেক কষ্ট নিয়ে চলে গেছেন। সব মানুষের জীবনেই কিছু কষ্ট তো থাকেই।”

    খাদ্যমন্ত্রী কামরুল বলেন, “সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদীয় গণতন্ত্রের কিংবদন্তী। তিনি সব সময় আমাকে সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি পড়তে ও লাইব্রেরি ওয়ার্ক করতে বলতেন। আইন-কানুন সম্পর্ক তার মতো অগাধ জ্ঞান খুব কম লোকেরই আছে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ও নাট্যকার সৈয়দ হাসান ইমাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

     

  • নারীর ক্ষমতায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন : স্পিকার

    নারীর ক্ষমতায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন : স্পিকার

    এসবিনিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, সংসদের উপনেতা ও বিরোধী দলীয় নেতা সকলেই নারী। নারীর ক্ষমতায়ন ও সর্বস্তরে নারীদের সমঅধিকার অর্জন নিশ্চিতকল্পে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, যার মাধ্যমে কার্যকর ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে নারী উন্নয়ন ও নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

    তিনি শুক্রবার ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের অমরাবতীতে মায়ের’স এমআইটি স্কুল অব গভর্ণমেন্ট, পুনে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিশেন (সিপিএ) ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)-এর সহযোগিতায় অন্ধ্র প্রদেশের লেজিসলেটিভ এসেম্বলি ও অন্ধ্র প্রদেশ সরকারের আয়োজনে তিনদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল উইমেনস পার্লামেন্ট (এনডব্লিউপি) এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

    সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ আবশ্যক উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রে নারীকে নেতৃত্বদানের সুযোগ করে দিতে হবে। তিনি বলেন, সুযোগ ও সক্ষমতা অর্জন এই দুয়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হলে ব্যাপক অর্থে সামাজিক পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অনেকগুলোই অর্জন করেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও জেন্ডার বৈষম্য নিরসনসহ অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি, নারীদের জন্য বিভিন্ন প্রকার ভাতা ব্যবস্থাসহ নানাবিধ পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নারীর উন্নয়ন হয়েছে।

    স্পিকার বলেন, তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বিশ্বায়নের এ যুগে পুরাতন ধ্যান-ধারণা থেকে মুক্ত হয়ে সমৃদ্ধ আগামী বিনির্মাণে সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা একান্ত আবশ্যক। কারন সমাজের অর্ধেক জনশক্তিকে পেছনে রেখে অর্থনৈতিক মুক্তি ও উন্নত সমাজের স্বপ্ন দেখা সম্ভব নয়।

    সিপিএ চেয়ারপার্সন বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের আলোকে নারী পুরুষের সমতা ও নারীর জন্য সমসুযোগ সৃষ্টির ব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

    আরবান ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী এম ভেঙ্কাইয়ানাইডু সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এছাড়া নোবেল বিজয়ী আধ্যাত্মিক গুরু এইচ, এইচ দালাই লামা গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অন্ধ্র প্রদেশ লেজিসলেটিভ এসেম্বলির স্পিকার ড. কোদেলা শিভা প্রসাদ রাও অন্ধ্র প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী নারা চন্দ্রবাবু নাইডু এবং রাহুল ভি. কারাদ বক্তৃতা করেন।

    প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভারতের আরবান ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, এই প্রথমবারের মত ভারতে ন্যাশনাল উইমেনস পার্লামেন্টের মত একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যা নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে এক নতুন দিগন্তের শুভ সূচনা করেছে। বর্তমান বিশ্বে নারীরা রাজনীতি, ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত সরকার নারীর ক্ষমতায়নে নানা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

    এর আগে সকালে অন্ধ্র প্রদেশের মূখ্যমন্ত্রী নারা চন্দ্রবাবু নাইডু হোটেলে স্পিকারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তারা নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে আরও অধিক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

     

     

  • ৬৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের

    ৬৮৭ রানে ইনিংস ঘোষণা ভারতের

    এসবিনিউজ ডেস্ক : অবশেষে ৬৮৭ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত।  ৬ উইকেটে ৬৮৭ রান করে ভারত। রেকর্ডময় এই ম্যাচে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরির পাশাপাশি মুরালি বিজয় ও ঋৃদ্ধিমান সাহা সেঞ্চুরি করেন। বাংলাদেশের বোলারদের হয়ে ৩টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। আর ২টি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

    এদিকে আগের দিনের ৩ উইকেটে ৩৫৬ রান নিয়ে তৃতীয়দিন শুরু করে ভারত।  আগের দিনের ১১১ রান নিয়ে মাঠে নামেন বিরাট কোহলি। আর ৪৫ রান নিয়ে শুরু করেন রাহানে। দ্বিতীয় দিনে আরও ১০০ রান যোগ করেন এই জুটি। অবশেষে এই জুটি ভাঙ্গেন তাইজুল। ৮৫ রানে তিনি ফেরান রাহানেকে। আর দলীয় ৪৯৫ রানের মাথায় কোহলিকে ফেরান সেই তাইজুলই। তবে আউট হওয়ার আগে বিরাট খেলেন ২৪ টি চারের সাহায্যে ২০৪ রানের ইনিংস।

    তাদের বিদায়ের পরে ক্রিজে আসেন ঋৃদ্ধিমান সাহা। তিনিও আদায় করেন সেঞ্চুরি। আর তার সাথে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন রবিন্দ্র জাদেজা। অপরাজিত থাকেন দুজনই।