Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 382 of 398

Author: dakshinermashal

  • ব্রিটিশ কাউন্সিলে চাকরির সুযোগ

    ব্রিটিশ কাউন্সিলে চাকরির সুযোগ

    এসবিএন : ৫০ হাজার টাকা বেতনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।হেড কাস্টমার সার্ভিসেসপদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে।

    যোগ্যতা

    যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ছাড়া ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগে পারদর্শী হতে হবে।

    বেতন

    নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রতি মাসে বেতন দেওয়া হবে সর্বসাকুল্যে এক লাখ ৫৩ হাজার টাকা। ছাড়া যাতায়াত খরচ হিসেবে আট হাজার টাকা দেওয়া হবে।

    আবেদন প্রক্রিয়

    আগ্রহী প্রার্থীরা ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়েবসাইট (bit.ly/2kg9vhx) থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন ১৯ ফেব্র“য়ারি, ২০১৭ পর্যন্ত।

  • এফবিসিসিআই নির্বাচন ১৪ মে

    এফবিসিসিআই নির্বাচন ১৪ মে

    এসবিএন : আগামী ১৪ মে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর ২০১৭১৯ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সংগঠনটি তথ্য জানায়। এফবিসিসিআই জানায়, ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য সাধারণ সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। সংগঠনটির নির্বাচন বোর্ড গত ১২ ফেব্রয়ারি নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক পদে নির্বাচনের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিলের  মধ্যে মনোনায়ন দাখিল করতে হবে।

    এফবিসিসিআই সূত্র জানায়, এবারও নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী আশরাফ। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডে সদস্য হিসেবে রয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা সামছুল আলম এবং মঞ্জুরুল হক রুবেল। বোর্ড ২০১৭১৯ মেয়াদের নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। এছাড়া, আপিল বোর্ডে রয়েছেনবাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন। তার সঙ্গে সদস্য হিসেব রয়েছেন খায়রুল মাজিদ মাহমুদ এবং মির্জা আবু মঞ্জুর। এদিকে, ২৩ মার্চ ভোটারদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। প্রকাশিত তালিকার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে ২৮ মার্চের মধ্যে আপিল বোর্ডের নিকট অভিযোগ করা যাবে। এর ভিত্তিতে ২৯ এবং ৩০ মার্চ আপিল বোর্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং এপ্রিল চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড।

     

  • মানুষ নিয়ে উড়বে ড্রোন

    মানুষ নিয়ে উড়বে ড্রোন

    এসবিএন : মানুষবাহী এই ড্রোন জুলাই থেকে উড়বে দুবাইয়ের আকাশে

    জুলাই মাস থেকে মানুষ পরিবহনে ড্রোন চালু করছে দুবাইয়ের সড়ক পরিবহন বিভাগ। সংস্থার প্রধান মাত আল তাযের আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন।

    চীনের তৈরি ইহাং১৮৪ নামের এই ড্রোন একশ কেজি পর্যন্ত ওজন নিয়ে একটানা ৩০ মিনিট উড়তে পারবে। অর্থাৎ সহজে একজন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে এই ড্রোন।

    ইতোমধ্যে বেশ কবার সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ড্রোনের ভেতর শুধু একটিই কন্ট্রোল বাটন থাকবে যেখানে চাপ দিয়ে যাত্রী তার গন্তব্য পছন্দ করবেন।

    মাটিতে একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র থেকে স্বয়ংক্রিয় ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একবার ব্যাটারি চার্জ দিলে এই ড্রোন ঘন্টায় ১৬০ কিমি বেগে একটানা ৫০ কিমি পর্যন্ত যেতে পারবে।

    আল তাযের বলেছেন, দুবাইয়ের আকাশে এর সফল পরীক্ষা হয়েছে। এছাড়া আমেরিকার নেভাডায় পরীক্ষা চালিয়ে একে নিরাপদ বলে অুনমোদন দেয়া হয়েছে।

     

     

  • অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে কাঁকড়া চাষ

    অর্থের অভাবে পিছিয়ে পড়ছে কাঁকড়া চাষ

    দীপক রায়,দাকোপ(খুলনা) : এমন একদিন ছিল যখন দেশের মানুষ খাওয়ার জন্য সাগর, নদী-নালা ডোবা এবং মুক্ত জলাশয় থেকে কাঁকড়া সংগ্রহ করত। তখন আবার কাঁকড়া খাওয়ার চলটা ব্যাপকভাবে ছিল না। দিন বদলের সাথে সাথে কাঁকড়া পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের মানুষের খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর এবং সুস্বাধু খাবার হিসাবে বেশ স্থান করে নিয়েছে। বর্তমানে বিদেশে কাঁকড়া রফতানি হওয়ার কারণে এর মূল্য এবং ব্যবসায়িক গুরুত্ব বাড়ছে দিন দিন। চাহিদার তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে কাঁকড়ার উৎপাদন অনেক কম ফলে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা এবং চড়া মূল্য থাকার কারণে মানুষ বর্তমানে ঘেরে কাঁকড়ার চাষ শুরু করেছে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে। অল্প দিনে অধিক লাভ  তাই দাকোপের সুন্দরবন এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে দিন দিন কাঁকড়ার ঘেরের সংখ্যা বাড়ছে। সময় বদলের সাথে বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা-ভাবনা, প্রযুক্তি তাই আবার অনেকে ট্রেতে স্পেশাল কেয়ারে পালন করছেন কাঁকড়া।

    সরেজমিনে দেখা যায়, দাকোপের ৯টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার সব এলাকায় কমবেশী কাঁকড়ার চাষ হয়েছে। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায় দাকোপে কাঁকড়ার ঘেরের সংখ্যা প্রায় ৭হাজার। তবে সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলিতে এ ঘেরের সংখ্যা বেশী। সুন্দরবন এলাকায় কৈলাশগঞ্জের রামনগর গ্রামের ঘের মালিক রাজ্জাক সরদার, আব্দুর রহমান শেখ বলছিলেন, সুন্দরবনের নদী-খালে প্রচুর কাঁকড়া পাওয়া যায় তাই এখানে কাঁকড়ার ঘের করতে সুবিধা বেশী। তাঁরা বলেন,বাঁশ নেট দিয়ে ভাল করে ঘের আটকাতে হয় যেন কাঁকড়া বেরিয়ে যেতে না পারে। তারপর ছোট ছোট কাঁকড়া ঘেরে ছাড়তে হয়। বর্তমানে প্রতিমন ছোট কাঁকড়া ৫ থেকে ৬হাজার টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। ৩ থেকে ৪মাস এ কাঁকড়া ঘেরে রাখতে হয়। তখন কাঁকড়াকে ছোটমাছ,শামুক এবং কুচে জাতীয় মাছ খাবার হিসাবে দেওয়া হয়। একমন কাঁকড়ার খাবারের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ২ হাজার টাকা। ৩/৪মাস পর প্রতিটি কাঁকড়া ওজনে দ্বি-গুন হয়। তখন এর মূল্য প্রতি মন দাঁড়ায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। কাঁকড়ার রোগ-বালাই কম তাই কাঁকড়ার ঘের করে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও খুবই কম। একই গ্রামের মোঃ কওসার আলী গাজী, রাজ্জাক গাজী, মহাদেব রায়, কৃষ্ণপদ রায়সহ অনেকেই সামর্থ অনুযায়ী কাঁকড়ার চাষ করেছেন এবং কয়েকবার কাঁকড়া পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। রামনগর গ্রামের গোবিন্দ বৈদ্য তার ঘেরের মধ্যে ট্রেতে করে পৃথকভাবে কিছু কাঁকড়া পালন করেছেন। তিনি বলেন, ট্রেতে পরিক্ষামূলকভাবে কাঁকড়া চাষ করে দেখা গেছে এতে খাবার কম নষ্ট হয় এবং ঘেরে ছেড়ে দেওয়া কাঁকড়ার থেকে ট্রেতে পালিত কাঁকড়া অতি দ্রুত বড় হয়।

    কাঁকড়া লবন ও মিষ্টি পানিতে চাষ করা যায় তাই যে কেউ ইচ্ছা করলে তার বাড়ীর পুকুর ডোবা এবং জলাশয়ে কাঁকড়ার চাষ করতে পারেন। তবে নদীর পানি সরবরাহ থাকলে সেখানে কাঁকড়া দ্রুত বড় হয়। কাঁকড়া চাষে বেশী জমির প্রয়োজন হয়না প্রতি শতকে ১মন কাঁকড়া চাষ করা যায়। কাঁকড়া চাষ ব্যাপকভাবে হলে সরকার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যেমন অধিক রাজস্ব পাবেন তেমনি বিদেশে রপ্তানী করে প্রচুর বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব। চাষীরা জানান সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপকভাবে কাঁকড়া চাষের অনুকুল পরিবেশ থাকা সত্যেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে অনেক চাষী কাঁকড়া চাষ করতে পারছেন না। এ খাতে প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ সুবিধা ,প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি পেলে কৃষক ও বেকার যুবকরা কাঁকড়া পালন করে যেমন সাবলম্বী হতে পারবেন তেমনি সৃষ্টি হবে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের পথ।

  • শুদ্ধ উচ্চারণে ভাষার শালীনতা রক্ষা করুন : তথ্যমন্ত্রী

    শুদ্ধ উচ্চারণে ভাষার শালীনতা রক্ষা করুন : তথ্যমন্ত্রী

    এসবিএন : তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু শুদ্ধ উচ্চারণে বাংলা ভাষার শালীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তথ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘সংবাদপত্রে ভাষা আন্দোলন : ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। ইতিহাস গবেষক এম আর মাহবুব সংকলিত ও সম্পাদিত এ বইটি প্রকাশ করেছে গৌরব প্রকাশন।

    লেখক, গবেষক ও ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরচুনা গ্র“পের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তাহের ও পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ।

    হাসানুল হক ইনু বলেন, “বিকৃত উচ্চারণের অশ্লীলতা, ভাষার সাম্প্রদায়িকীকরণের বেড়াজাল ও খিচুড়ি সংস্কৃতির ঝাপটা থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।”

    তিনি মহান শহীদদের রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের কার্যকরি ভাষা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানিয়ে বলেন, সঠিক উচ্চারণ ও প্রতিশব্দ ব্যবহার, রাষ্ট্রীয় কাজের সাথে ইন্টারনেটে জোরদার করার সাথে সাথে বাংলা ভাষায় ইন্টারনেট-বিষয়বস্তু তৈরিতে আমাদের অগ্রণী হতে হবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতির মানচিত্রে বিশ্বাস করেনা বলেই তারা ভাষা ও ইতিহাস চর্চাও করে না, বিকৃত করতে চায়। এই অপতৎপরতা রুখতে হবে।’

  • বিভিন্ন দেশে ৯৬৪০ বাংলাদেশি বন্দি রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    বিভিন্ন দেশে ৯৬৪০ বাংলাদেশি বন্দি রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

    এসবিএন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বিশ্বের ৩৮টি দেশের বিভিন্ন কারাগারে নয় হাজার ৬৪০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বন্দি রয়েছেন। মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য মো. শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

    মন্ত্রী জানান, আটক বন্দিদের মধ্যে মিয়ানমারে ৯৮ জন, সিঙ্গাপুরে ৮৭, নেপালে ১২, যুক্তরাষ্ট্রে ২৬, ভারতে ২ হাজার ৩৩৭, গ্রিসে ১২৩, জাপানে ৬৫, থাইল্যান্ডে ২৩, পাকিস্তানে ১৯, ফ্রান্সে ৪৬, যুক্তরাজ্যে ২১৮, কাতারে ১১২, সৌদি আরবে ৭০৩, জর্ডানে ৩৭, মিশরে ৫, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৬, তুরস্কে ৬৮, জর্জিয়া ২৬, কিরগিজস্তানে ১, ওমানে ১ হাজার ৪৮, বাহরাইনে ৩৭০, লেবাননে ২, মালয়েশিয়াতে ২ হাজার ৪৬৯, চীনে ৫, হংকংয়ে ২৪, মঙ্গোলিয়ায় ১, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০৯৮, ব্রুনাইয়ে ৫, ইতালিতে ৫১, ইরাকে ১২১, মরিশাসে ৭, মেক্সিকোতে ৯৭, আজারবাইজানে ৬, মরক্কোতে ২, দক্ষিণ আফ্রিকাতে ১১, ব্রাজিলে ১, অস্ট্রেলিয়াতে ৩৯ এবং কুয়েতে ২৬১ জনসহ মোট ৯ হাজার ৬৪০ জন বাংলাদেশি কারাগারে আটক রয়েছেন।

    তিনি বলেন, কোনো দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারাগারে আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকের বিষয়ে অবহিত করলে বা অন্য কোনো মাধ্যমে সংবাদ পেলে তা যাচাই করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

    মাহমুদ আলী বলেন, আটক বাংলাদেশি নাগরিকরা যাতে সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি লাভ করতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তাসহ আনুষাঙ্গিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।

  • আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজকের দিনটি কেমন যাবে?

    আজ আপনার জন্মদিন হলে পাশ্চাত্য মতে আপনি কুম্ভ রাশির জাতক/জাতিকা। আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহ: ইউরেনাস ও শুক্র। ১৫ তারিখে জম্ম হবার কারণে আপনার ওপর শুক্রর প্রভাব স্পষ্ট। আপনার শুভ সংখ্যা: ৬,১৫,২৪। আপনার শুভ বর্ণ: গোলাপী ও সাদা। শুভ গ্রহ ও বার: রবি ও শুক্র। শুভ রতœ: গার্নেট ও হীরা।

    চন্দ্রের অবস্থান:আজ চন্দ্র কন্যা রাশিতে অবস্থান করবে। ৪র্থী তিথি সকাল:৬:৫৭ পর্যন্ত পরে ৫মী তিথি চলবে।

    মেষ রাশি (২১ মার্চ- ২০ এপ্রিল):মেষ রাশির জাতক জাতিকাদের ভ্রমন বা ট্রাভেল এজেন্সী কাজে ব্যস্ত থাকতে হতে পারে। ব্যয় তুলনামূলক বাড়লেও তা ভালো কাজের জন্য ব্যয় হওয়াতে মনে শান্তি পাবেন। সকালের দিকে কিছু টাকা আসলেও বিকালে তা ব্যয় হয়ে যাবে। বৈদেশীক বাণিজ্যে ভালো আয় হবার সম্ভাবনা প্রবল। প্রবাসীদের সাফল্য লাভের যোগ রয়েছে। ভ্রমনের সুযোগ পেতে পারেন।

    বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল- ২০ মে):আজ বৃষ রাশির জাতক জাতিকাদের বকেয়া অর্থ আদায়ের সম্ভাবনা প্রবল। কোনো বন্ধুর সাহায্যে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকতে পারেন। টিকাদারী ও এজেন্সী ব্যবসায় ভালো লাভ হবে। আজ কোনো বন্ধুর বাসায় বিকালে সকলে একত্রিত হতে পারেন। বড় ভাই এর কাছ থেকে ব্যবসায় কিছু অর্থ সাহায্য পাওয়ার সম্ভাবনা।

    মিথুন রাশি (২১ মে-২০ জুন): আজ মিথুন রাশির জাতক জাতিকাদের চাকরী লাভের যোগ প্রবল। শিক্ষা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বা ব্যাংকিং ক্ষেত্রে চাকরির প্রচেষ্টা সফল হবে। শিক্ষকদের আজ দিনটি ভালো যাবে। সচিব পর্যায়ের ব্যক্তিদের সাথে কোনো প্রকার সম্পর্ক গড়তে পারেন। পিতার সাহায্যে আপনার উচ্চ শিক্ষা সাংক্রান্ত স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টা ফলপ্রসু হবে।

    কর্কট রাশি (২১ জুন-২০ জুলাই): বিশ্ব-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পাবে। জীবীকার জন্য বিদেশ যাওয়ার যোগ প্রবল। প্রবাসী বন্ধুরা ভালো সুযোগ পাবেন। আজ আশানুরুপ আয় না হলেও ধর্মীও ও আধ্যাত্মীক কাজে আত্ম তৃপ্তি পেতে পারেন। দূরে কোথাও ভ্রমনে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। কোনো বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ চলে আসবে।

    সিংহ রাশি (২১জুলাই-২১ আগষ্ট): আজ সিংহ রাশির বন্ধুরা পাওনাদারের তাগাদা পেতে পারেন। সকালের দিকে কিছুটা দুশ্চিন্তা থাকলেও বিকালে তা কমে আসবে। ট্যাক্স ও ভ্যাট সংক্রান্ত জটিলতা নিরশনের কাজে ব্যস্ত থাকবেন। শেয়ার বিনিয়োগে ভালো লাভ হবে। আজ পুরোনো কোনো মামলার অবসান হবে। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগে ভালো আয় হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

    কন্যা রাশি (২২ আগষ্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ ব্যবসায়ী বন্ধুদের ভালো আয় রোজগার হতে পারে। দাম্পত্য সুখশান্তি বৃদ্ধি পাবে। জীবন সাথীর সাহায্যে কোনো আর্থিক সমস্যার সমাধান হতে পারে। অংশিদারী ব্যবসায় আজ কোনো নতুন কাজের অর্ডার পেতে পারেন। কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

    তুলা রাশি (২৩ সেপ্টেম্বর-২১ অক্টোবর): আজ তুলা রাশির বন্ধুদের কর্মস্থলে কোনো ভালো ঘটনা ঘটতে চলেছে। পদোন্নতির কোনো পরীক্ষায় আপনি যোগ্যতার সাথে সফলকাম হবেন। কাজ কর্মে সহকর্মীদের পূর্ণ সহায়তা লাভের যোগ প্রবল। কোনো শত্রু আপনার সাথে মিত্রতার আহবাণ পাঠাতে পারে। অসুস্থদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো হয়ে উঠবে। কাজের লোকের সাহায্যে কোনো কাজে সফল হতে পারেন।

    বৃশ্চিক রাশি (২২ অক্টোবর-২০ নভেম্বর): বৃশ্চিক রাশির বন্ধুদের বিদ্যার্জনের জন্য দিনটি শুভ সম্ভাবনাময়। আজ দম্পতিরা সন্তান লাভের সংবাদ পেতে পারেন। সৃজনশীল পেশার সাথে জড়িতদের দিনটি খুব ভালো যাবে। আর্কিটেক্ট ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা নতুন কোনো কাজের অর্ডার পেতে পারেন। প্রেমিক প্রেমিকাদের দিনটি ভালো যাবে। সন্তানের জন্য বই খাতা কলম ক্রয় করার যোগ রয়েছে।

    ধনু রাশি (২১ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): পারিবারিক পরিবেশ অনুকূল থাকবে। বাড়ীতে কোনো প্রভাবশালী আত্মীয়র আগমনের যোগ রয়েছে। চাকরীজীবীদের যাতায়াতের সমস্যা সমাধান হতে পারে। ভাড়াটিয়ারা ভালো বাসার সন্ধান পেতে পারেন। কর্মস্থলে আপনার কোনো লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। গৃহে শান্তির পরিবেশ বজায় থাকবে। ভূ সম্পত্তি ক্রয়ের সুুযোগ পাবেন।

    মকর রাশি (২১ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): আজ মকর রাশির বন্ধুদের ভালো সংবাদ লাভের যোগ প্রবল। বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা সংক্রান্ত কোনো লেটার পেতে পারেন। গার্মেণ্টস ইন্ডাস্ট্রিতি কর্মরত বন্ধুদের নতুন কাজের যোগ প্রবল। আজ বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ভালো বেচাকেনার যোগ রয়েছে। প্রতিবেশীর কাছ থেকে কোনো বিষয়ে সাহায্য পেতে পারেন। লেখক ও প্রকাশকরা সম্মানিত হবেন।

    কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কুম্ভ রাশির বন্ধুদের ধন প্রাপ্তির যোগ প্রবল। শুভ বৃৃহস্পতির প্রভাবে আজ কোনো আপ্যায়নে অংশ নিতে পারেন। বাড়ীতে বহু আত্মীয় স্বজনের আগমন হতে পারে। বকেয়া টাকা আদায়ের যোগ প্রবল। চাকরীজীবীরা বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়ে যাবেন। খুচরা ও পাইকারী বিক্রয়ে ভালো লাভ হবে। আজ বুদ্ধিজীবীদের আয় বৃদ্ধি পাবে।

    মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো হয়ে উঠবে। শিক্ষা ও গবেষণামূলক কাজে সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। আপনার প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধি পাবে। চাকরীজীবী ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। প্রবাসীদের নাগরীকতা সংক্রান্ত কাজে অগ্রগতি হবার প্রবল সম্ভাবনা। ব্যবসায়ীক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। জীবন সাথীর সাথে কোথাও বেড়াতে যেতে পারেন।

    জ্যোতিষ শাস্ত্রী ফকির ইয়াসির আরাফাত মেহেদী

    সাংগঠনিক সম্পাদক (বাংলাদেশ এস্ট্রলজার্স সোসাইটি)

    মোবাইল: ০১৭১৬-৬০৮০৮২

  • বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অকৃত্রিম হোক ভালোবাসা

    বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অকৃত্রিম হোক ভালোবাসা

    দীপক রায় : ভালোবাসা মানুষকে আপন করতে শেখায়,বিশ্বাস করতে শেখায়, সৃষ্টি করতে শেখায়,শান্তি আনয়ন করতে শেখায়,বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়। এই ভালবাসাবাসি শুধমাত্রু মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পৃথিবীর সকল প্রাণী একে অপরকে ভালবাসে এটাই চির সত্য। এই ভালবাসার ধরণ দেশভেদে স্থানভেদে সংস্কৃতি ভেদে পৃথক হতে পারে কিন্তু এর আবেদন অনুভুতি এক ও অভিন্ন। ভালোবাসা -ভালোবাসাই এর কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীতে সভ্যতার আলো আসার  পর থেকে আজ অবধি বহু স্বার্থক ভালবাসার সত্য ঘটনা রয়েছে যা একত্র করলে ভালোবাসার গল্পের একটা সু-উচ্চ পাহাড় হয়ে যাবে। যা আজও মানুষকে অনুপ্রানিত করে,আবেগাপ্লুত করে, মোহিত করে। এই ভালোবাসা কাউকে কাঁদায় কাউকে হাসায়, কাউকে পৃথিবীর সব সুখ উজাড় করে দেয়, কাউকে ভিখারী করে,কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। কেউ ভালোবাসার মুর্তি গড়েছেন কেউ আবার পুড়িয়ে ছারখার করেছেন সবকিছু। ভালোবাসা পৃথিবীতে শান্তির বসন্ত যেমন এনেছে, তেমনি এনেছে যুদ্ধের বিভীশিখা। তাই কোনো এক গানে গীতিকার লিখেছেন———-

    আমি হেলেন কিংবা নূরজাহানকে দেখিনি

    ক্লিওপেট্রা মমতাজকেও নয়,

    আমি তোমাকে দেখে জেনেছি-

    কেন গড়েছিল তাজমহল

    কেন পুড়ে ছিল ট্রয়।

    এই ভালোবাসার শক্তি এত তীব্র যা মাপার মত কোনো যন্ত্র আজও পৃথিবীতে আবিস্কৃত হয়নি। অল্পে বলা যেতে পারে, এর গতি আলোর চেয়ে দ্রুত,একে দেখা যায়না ছোঁয়া যায়না শুধু অনুভব করতে হয়। সে জন্য মহান ভালবাসার কাহিনী যে দেশেরই হোক না কেন পৃথিবী শুদ্ধ মানুষকে আকর্ষণ করে,জিজ্ঞাসা বাড়ায় তারপর—?ঠিক তেমন-ই ১৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালবাসা দিবস ও ভ্যালেনটাইনস ডে প্রাচীন রোমের কিছু অসাধারণ ভালোবাসার নিদর্শনের প্রতীক হিসাবে আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই দিনে কেউ নতুন করে ভলোবাসায় আবদ্ধ হয়,কেউ ভালোবাসার স্বপ্ন দেখে,কেউ আবার ৮০ বছর বয়সের স্ত্রীকে উপহার দিয়ে পুরোনো প্রেমকে আবার নবায়ন করে।

    শোনাযায় প্রাচীন রোমে কুমারী মেয়েরা বিশেষ এক দিনে ভালোবাসার কাব্য লিখে জমা করত একটি মাটির পাত্রে। যুবকরা পাত্র থেকে তুলে নিত একটি লেখা। বিষয়টি ছিল লটারীতে ভাগ্য যাচাই-এর মত।যুবকের হাতে উঠে আসত যার লেখা সেই মেয়েটিকেই ভালোবাসত সে। তার সাথেই হতো যুবকের বিয়ে। ভাগ্য সুত্রেই মেয়েটি হতো তার জীবনসঙ্গী। যে দিনে এ কাজটি হতো সে দিনটি ১৪ ফেব্রুয়ারী।

    ১৪ ফেব্রুয়ারী নিয়ে আরও অনেক কথা রয়েছে। কিভাবে দিবসটি ভালোবাসা দিবস হলো তা অনেকটা অস্পষ্ট। এ নিয়ে রয়েছে নানা কাহিনী নানা ঘটনার কথা। ঘটনা যাই থাকুক ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালোবাসা কাহিনী দিবস হিসাবে অম্লান।এর জন্ম যেভাবেই হোক না কেন ভালোবাসা দিবসকে ভালোবাসার মাধ্যমে পালন করতে চায় পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ।

    ভ্যালেন্টাইন দিবস নিয়ে আরেকটি গল্প শোনা যায়। সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের দুই সৃষ্ট রাজকের অস্তিত্ব ছিল এক সময়। দুশ খ্রীষ্টাব্দের এ দিনে রোমান স¤্রাট এদের একজনকে শিরোচ্ছেদ করেছিলেন, কারণ তিনি সৈনিক যুবকের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছিলেন। আবার নিজেই বিয়ে করেছিলেন কোনো এক যুবতীকে।দ্বিতীয় ভ্যালেন্টাইন সম্পর্কে বলা হয় তিনি রোমানদের দেবী পূজার বিরোধিতা করতেন। এ অপরাধে তাঁকে বন্দি করলে রাজকের বন্ধুরা তাদের ভালোবাসার কথা লিখে কারাগারে ছুঁড়ে দিত। বলা হয় ২৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারী তাকে হত্যা করা হয়। সেই থেকে দিনটি ভালোবাসা দিবস। পোপ ১ম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এ দিনটিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে ঘোষণা করেন। ভ্যালেন্টাইন ডে-কে ঘিরে মুখে মুখে ছড়ানো এসব ঘটনার কোনো প্রমান না থাকলেও প্রেমিক- প্রেমিকারা ১৪ ফেব্রুয়ারীকে এ দিনের মর্মার্থ লালন করে গভীর আগ্রহে,আন্তরিকতায় ও আবেগের সাথে। প্রিয়জনকে ফুলের শুভেচ্ছা ও বিভিন্ন উপহার দিয়ে আত্মতৃপ্ত হন অনেকে। কেউ আবার ভালবাসার মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে যান বহুদূর। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য আবদ্ধ হন ক্যামেরার ফ্রেমে। অনেকে আবার ভালোবাসা দিবসেই জীবনসঙ্গীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এমনিভাবেই যুগ যুগ পার করল ভালোবাসা দিবস।

    এই ভালোবাসা দিবস আছে থাকবে এবং এর আবেগ- অনুভূতি আরও ঘনিভুত হোক এটা আমরা সকলেই চাই। আজকের দিনে প্রেমিক-প্রেমিকা,বন্ধু-বান্ধব ছাড়া এই ভালোবাসা-বাসিতে যদি অন্যদেরও একটু যুক্ত করা যায় তাহলে মনে হয় দিবসটির গুরুত্ব, তাৎপর্য,মাহাত্ম আরোও বেড়ে যায়।ভালোবাসা শুধুমাত্র একটি উপলব্ধি নয়। এর অন্তরে নিহিত রয়েছে। সম্মান,বিশ্বাস,পবিত্রতা,নিঃস্বার্থপরতা,নির্লোভতা। এ ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসা দিতে হবে মাতা-পিতাকে,ভাই-বোনকে,পাড়া-প্রতিবেশীকে,অন্য ধর্মের মানুষকে। ভালোবাসা দিবসে ভাবতে হবে ভন্ডামীহীন,মেকামোহীন নিখাদ ভালোবাসার কথা।  প্রকৃত ভালোবাসার শক্তিই আনতে পারে বিশ্ব শান্তি তাই মানুষের আনন্দে আবেগে অনুভবে ভালবাসায় যুগ যুগ জিও থাকুক ভালোবাসা দিবস।

     

  • প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল  হিসেবে সুন্দরবনকে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বান

    প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবনকে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বান

    স্টাফ রিপোর্টার : সুন্দরবনকে এর উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে স্থায়ী রূপ দেবার আহ্বানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো এবারের সুন্দরবন দিবস। বরাবরের মত “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন-এই মুল সুরে সুন্দরবন সন্নিহিত জেলাসমূহে দিবসটি পালন করা হয়। খুলনায় সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠিান ছিল তিনদিন ব্যাপী। মঙ্গলবার শেষ দিনের অনুষ্ঠানের ভেন্যু ছিল নগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্ক।

    খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুস সামাদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, খুলনার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড স্টাডিজ অন দ্য সুন্দরবনস-এর পরিচালক প্রফেসর ড. দিলীপ দত্ত, ইউএসএইডের ওয়াইল্ড টিমের বাঘ এ্যাকটিভিটির চীফ অব পার্টি গ্রে এফ. কলিন্স, জিআইজেড-এর প্রিন্সিপ্যাল এ্যাডভাইজর ওমর ইডিও, ইউএসএইডের ক্রেল প্রকল্পের রিজিওন্যাল কোঅর্ডিনেটর শেখ মোঃ জিয়াউল হক। রূপান্তর-এর কর্মসূচী সমন্বয়কারী অসীম আনন্দ দাসের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সুন্দরবন একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।

    অনুষ্ঠানে বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরষ্কার পাওয়া সেন্ট জোসেফস হাই স্কুলের আবদুল্লাহ আল মামুন, দ্বিতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত খুলনা জিলা স্কুলের আলিফ আল জামান এবং তৃতীয় রেভাঃ পলস হাই স্কুলের ফারজানা আক্তারও বক্তৃতা করে। অনুষ্ঠানে ‘জীববৈচিত্র্যে ভরা সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ বিষয়ে বক্তৃতা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় হারম্যান মেইনর স্কুলের সায়িমা তাসনিম অরনি প্রথম, খুলনা জিলা স্কুলের ইয়াসির আরাফাত দ্বিতীয় এবং হারম্যান মেইনর স্কুলের গ্রন্থী মুল তৃতীয় স্থান লাভ করে। অংশগ্রহণকারী ২৩টি বিদ্যালয়কেও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। আয়োজক সুন্দরবন একাডেমী ও সুন্দরবন বন বিভাগের পক্ষ থেকে অতিথিদেরও শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা, রূপান্তর থিয়েটারের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সুন্দরবনের পটগান দিয়ে অনুষ্ঠানের হয়।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা সুন্দরবনকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা দেবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সুন্দরবনের টিকে থাকার উপর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বেঁচে থাকা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি বহুলাংশে নির্ভরশীল এ বনকে ভালভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সকলকে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

    বক্তারা সুন্দরবন রক্ষায় জনঅশংগ্রহণ আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, শুধুমাত্র বন বিভাগের কিছু কর্মীদের দিয়ে সুন্দরবনকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকার মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে যে সুন্দরবনের যে কোন ক্ষতি তাদেরও ভবিষ্যতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন করবে।

    উল্লেখ্য, তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য সামনে রেখে ২০০১ সাল হতে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস পালিত হয়। এগুলো হচ্ছে : জাতীয় বন সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ও পরিবেশের গুরুত্ব এবং ভূমিকা সর্ম্পকে সর্বমহলে ব্যাপক সচেতনতা এবং আগ্রহ সৃষ্টি করা, যাতে এটি সংরক্ষণের কাজ শক্তিশালী হয়; বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন সংরক্ষণে বনবিভাগ ও বেসরকারি উদ্যোগসমূহকে সহায়তা করা; এবং সুন্দরবনের প্রতি নতুন প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের ভালবাসা ও মমত্ববোধ তৈরী করা এবং তাদের চেতনায় সুন্দরবন ভাবনাকে উজ্জীবিত করা। তবে এই প্রধান তিন উদ্দেশ্যের বাইরেও সুনির্ষ্টভাবে বেশকিছু উদ্দেশ্যাবলী রয়েছে এই দিবস পালনের নেপথ্যে।

    সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএআইডির অর্থায়নে পরিচালিত ক্রেল প্রকল্প, ওয়াইল্ডটিম, ট্যুর অপারেটর্স এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, বাংলাদেশ এনভারণমেন্ট এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), সিসিইসি, রূপান্তর, জেজেএস, দুবলারচর ফিশারমেন গ্রুপ ও খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় বরাবরের মতই এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান খুলনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    খুলনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচী ছাড়াও সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনাসহ বিভিন্ন  উপজেলা যেমন মোংলা, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, শ্যামনগর, আশাশুনিতে স্থানীয় বনবিভাগ, প্রেসসক্লাব এবং অন্যান্য বেসরকারী সংগঠনসমূহের উদ্যোগে সুন্দরবন দিবসের নানা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে র‌্যালী, আলোচনা সভা, সেমিনার, কর্মশালা, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদি।

     

  • আজ ভালোবাসা দিবস, সুন্দরবন দিবস

    আজ ভালোবাসা দিবস, সুন্দরবন দিবস

    স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আজ ১৪ ফেব্র“য়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসার আহ্বান জানিয়ে পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস।

    বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসার আহ্বান জানিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকায় পালিত হচ্ছে সুন্দরবন দিবস। তিনদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মসূচীর শেষ দিনে আজ খুলনা মহানগরীর জাতিসংঘ শিশু পার্কে স্কুলভিত্তিক শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    সোমবার এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ-এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ, সুন্দরবন একাডেমীর পরিচালক ফারুক আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনের সমাপনী ঘোষণা করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস. এম হাবিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর রায়।

    লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সুন্দরবন একাডেমী ও বন বিভাগের যৌথ আয়োজনে এবং কয়েকটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন যেমন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত ক্রেল প্রকল্প, ওয়াইল্ডটিম, ট্যুর অপারেটর্স এ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, বাংলাদেশ এনভারণমেন্ট এ্যান্ড ডেভলপমেন্ট সোসাইটি (বেডস), সিসিইসি, রূপান্তার, জেজেএস, দুবলারচর ফিশারমেন গ্র“প ও খুলনা প্রেসক্লাবের সহায়তায় এবারের সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান বরাবরের মতই খুলনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    এবারের সুন্দরবন দিবসের প্রধান আকর্ষণ হলো- খুলনা মহানগরীর নির্বাচিত ২৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের  পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলভিত্তিক অঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ‘জীববৈচিত্র্যের সুন্দরবন, করবো মোরা সংরক্ষণ’ ধারণাটি রং-তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছে যাতে সুন্দরবন সংরক্ষণে ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা-চেতনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে। রোববার উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে চিত্রাঙ্কন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সুন্দরবন দিবসের কেন্দ্রীয় কর্মকান্ডে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সুন্দরবন বিষয়ে চিত্রাঙ্কন এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্য হলো আগামী প্রজন্মের এই প্রতিনিধিদের ‘সুন্দরবন সচেতন’ করে গড়ে তোলা যাতে করে ভবিষ্যতে তারা জগৎবিখ্যাত এই বন সুরক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারে।

    সংবাদ সম্মেলনে আশা প্রকাশ করে বলা হয়, সাংবাদিক সমাজের ক্ষুরধার লেখনির মধ্য দিয়ে আমরা অচিরেই সুন্দরবন দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি সরকারের কাছ থেকে আদায় করতে পারব- যার দাবি খুলনার মানুষ জানিয়ে আসছে বিগত ১৫ বছর যাবৎ।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, করমজলের লোপার্ড ক্যাট-ই যে কুমিরছানা হন্তারক সিসি টিভির ফুটেজে তা’ নিশ্চিত হবার পরেই চিতাবিড়ালটি হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়। এটির পোস্টমর্টেম করে তার পেটে অনেকগুলো কুমিরের অংশ পাওয়া গেছে। তিনি সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় সাধারণ মানুষের সচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

    উল্লেখ্য, “বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন” শ্লে¬াগান তুলে ধরে দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপকভাবে ই-কার্ড মেইল করার কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে খুলনায় সুন্দরবন দিবস অনুষ্ঠান আয়োজনের পাশাপাশি সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা জেল্ওা সুন্দরবন সন্নিহিত উপজেলাসমূহে সুন্দরবন দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে।

     

     

  • বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন

    বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন

    ।। প্রবীর বিশ্বাস।।

     

    ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও ১৪ ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস। দিনটি আমাদের কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন তাৎপর্যপূর্ণ। নদী মাতৃক এই দেশে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ধলেশ্বরী, মধুমতি, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্রসহ অসংখ্য নদ-নদী জালের মতো ছড়িয়ে আছে সমস্ত দেশব্যাপী। সাধারণত এই নদীগুলো উত্তরে পাহাড়ী উচুভূমি থেকে উৎপন্ন হয়ে দক্ষিণে নীচু ভূমি বঙ্গোপোসাগরে পতিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সমুদ্রের বুকে পলি জমতে জমতে তৈরী হয়েছে সমতল ভূমি। যার উদাহরণ আমাদের সুন্দরবন। বঙ্গোপোসাগরের কোল ঘেঁষে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল সবুজের সমারোহ সুন্দরবন। এটি প্রায় ১৩০ মাইল লম্বা ও ৯০ মাইল চওড়া। যার আয়তন ৫ লাখ ৭৭ হাজার ২’শ ৮৫ হেক্টর বা প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশের রয়েছে ৫ হাজার ৮’শ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ বাংলাদেশ ও ভারতের আনুপাতিক হার ৬ঃ৪। এ বন আমাদের গর্বের ধন; তাই আসুন বিশ্ব ভালোবাসার এই দিনে সুন্দরবনকে ভালোবসি।

    ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস অর্থাৎ ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তবে ১৪ই ফেব্রুয়ারি কিভাবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পরিণত হলো, সেটা অনেকের কাছেই অজানা। কারণ এ নিয়ে রয়েছে অনেক ঘটনা, অনেক কাহিনী ও অনেক গল্প। প্রথম ও প্রধান কহিনীটি এ রকম- ২৭০ খৃষ্টাব্দের কথা। রোমের সম্রাট “ক্লডিয়াস ডি সেকেন্ডরের” মনে হলো বিয়ে করলে মানুষ অলস হয়ে যায়। কারণ নারীর সংস্পর্শে বিবাহিত মানুষের মন ঘরমুখী হয়ে যায়। কিন্তু সম্রাট চান দুর্ধর্ষ কঠিন যোদ্ধা। যে কারণে সম্রাট বিয়ে না করার জন্যে বিশেষ  নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন অর্থাৎ কেউ বিয়ে করতে পারবে না। তখন রোমে ‘‘সাধু ভ্যালেন্টাইন ইস্টারমনার’’ নামে এক ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সম্রাটের নিষেধাজ্ঞার প্রতি বিরোধিতা করে গোপনে তরুণ প্রেমিকদের বিবাহ মন্ত্রের দীক্ষা দিতে শুরু করলেন এবং কোন এক সময় সম্রাট এটা জেনে গেলেন। তারপর সম্রাট সাধুকে ডেকে রাজদরবারে এনে কৈফিয়ত তলব করলেন এবং সাধুর যুক্তিতে সম্রাট তাকে ক্ষমা করে দিলেন, তবে একটা শর্তে। শর্তটি হল তাকে খৃষ্টধর্ম পরিত্যাগ করে প্রচলিত ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু সাধু সম্রাটের কথায় রাজিতো হলেনই না বরং সম্রাটকেই উল্টে খৃষ্ট ধর্মে দিক্ষা দিতে চাইলেন। এ কথা শুনে সম্রাট আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সাধুকে বন্দী করে শিরোচ্ছেদের নির্দেশ দিলেন। বন্দী হওয়ার পূর্বে সাধু ভ্যালেন্টাইন এক অন্ধ মেয়ের চোখের চিকিৎসা করতেন এবং কোন এক সময় সাধু ঐ মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়। শিরোচ্ছেদের পর্যন্তও সাধু ঐ মেয়েটির নিকট প্রেমপত্র লিখতেন এবং সেই পত্রে লিখতেন ‘ফ্রম ইয়োর ভ্যালেন্টাইন’ তবে আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে সাধু ভ্যালেন্টাইনের যেদিন শিরোচ্ছেদ করা হয় সেদিনই মেয়েটি চোখের দৃষ্টি ফিরে পায়। দৃষ্টি ফিরে পেয়ে মেয়েটি চিঠি থেকে প্রথম যে লাইনটি পড়েছিল সে লাইনটি ছিল ‘ফ্রম ইয়োর ভ্যালেন্টাইন’ এবং যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল সেদিনটি ছিলো ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

    আবার অন্য একটি কাহিনীতে আছে প্রাচীন রোমবাসীদের কুমারী মেয়েরা বছরের একটি দিন প্রেমের কবিতা লিখে মাটির পাত্রে জমা করতো এবং প্রত্যেক যুবক ঐ পাত্র থেকে চোখ বন্ধ করে একটি লেখা তুলে নিতো। সে যুবকটির হাতে যে মেয়েটির লেখা আসতো সেই যুবক সেই মেয়েকে ভালবাসতো এবং পরবর্তীতে বিয়ে করে জীবনসঙ্গিনী করতো। এখানেও উল্লে¬খ্য বছরের যে দিনটিতে এটি হতো সে দিনটিও ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

    অপরদিকে ‘‘বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুন্দরবনকে ভালবাসুন’’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে খুলনার উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর ও এর সহযোগী সংগঠন সুন্দরবন একাডেমিসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সুন্দরবন সংলগ্ন পাাঁচটি জেলা, এর উপজেলায় এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও দিবসটি পালন হয়ে আসছে ২০০২ সাল থেকে। দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্বসেরা এ বনাঞ্চল রক্ষায় ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি এ বন ধ্বংসের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের প্রতিহত করা এবং একই সাথে সুন্দরবন সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়নে সহায়তা করা।

    খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও বরগুনা এই পাঁচটি জেলার ১৭টি উপজেলায় প্রায় ২’শটি ইউনিয়নে সুন্দরবন অবস্থিত হলেও বেশী অংশ রয়েছে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলাতে। তবে নাম নিয়ে যত মতভেদ থাকুক না কেন আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জোয়ার ভাটা দ্বারা প্রভাবিত ব-দ্বীপ যেখানে লবনাক্ত বা ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের আধিক্য। বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৪.২ শতাংশ এবং সমগ্র বনভূমির প্রায় ৪৪ শতাংশের এ বনে প্রাকৃতিক সম্পদের কি নেই? গাছ, মাছ, বহুজাতির প্রাণী, মধু, কাকড়া, ঝিনুক, চিংড়ি, গোলপাতা, পাখি, সাপ, নদ-নদীসহ অসমূল্য সম্পদের আঁধার এই সুন্দরবন। সুন্দরবনে মোট ২’শ ৪৫টি পরিবারের ৩’শ ৩৪টি প্রজাতির বড় বৃক্ষ, গুল্ম-লতা ও পরজীবী উদ্ভিদ পাওয়া যায়। মাছ পাওয়া যায় ২৭টি পরিবারের ৫৩টি প্রজাতির (সমুদ্রচর) ও ৪৯টি পরিবারের ১’শ ২৪ প্রজাতির (তলদেশ বিহারী)। চিংড়ি পাওয়া যায় ৫ পরিবারের ২৪ প্রজাতির। সুন্দরবনের প্রায় ৩৫ ভাগ জলাভূমি, যার ১লাখ ৭৫হাজার ৬’শ ৮৫ হেক্টর এলাকায় ছোট বড় ৪’শ ৫০টি নদী ও খাল রয়েছে। শুধু এ পর্যন্তই নয়, মধু, গোলপাতা ছাড়াও এ বনে রয়েছে তেল ও গ্যাস। বাংলাদেশের পেট্রোবাংলা পেট্রোলিয়ামজাত তেল-গ্যাস কার্যক্রমকে ২৩টি ব্লকে ভাগ করেছে। যার মধ্যে সুন্দরবন ৫ ও ৭নং ব্লকের অর্ন্তগত। এ বনে বন্যপ্রাণী রয়েছে ৪’শ ২৫ প্রজাতির, যার মধ্যে ৩’শ ১৪ প্রজাতির পাখি, ১৪ প্রজাতির কাছিম, ৯ প্রজাতির অজগর, কালকেউটে, বোড়া, গোসাপসহ ৩০ প্রজাতির সাপ ও কুমির, ৫৪ প্রজাতির সরীসৃপ ও ৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী। সব কিছুর মধ্যে এখানের অন্যতম প্রাণী হচ্ছে পৃথিবীর বিরল প্রজাতির রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ১৯৮৫ সালের জরিপ অনুযায়ী সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৪’শ ৫০টি। ১৯৯৩ সালের গণনা অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ৩’শ ৫০ থেকে ৪’শ ৫০টি। ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের জরিপ অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ৩’শ ৬৯টি এবং সর্বশেষ ২০০৪ সালে সুন্দরবনের বাঘ শুমারী ফলাফল পুরুষ বাঘ ১’শ ২১টি, স্ত্রী বাঘ ২’শ ৯৮টি ও ২১টি বাচ্চাসহ সব মিলিয়ে ৪’শ ৪০টি।

    কিন্তু এই সম্পদের আধার ধ্বংস হতে বসেছে। দিনে দিনে কমে যাচ্ছে এর সম্পদ এবং রাজস্ব আয়। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনের আয়তন বর্তমানের প্রায় দ্বিগুণ ছিল। মূলত বৃটিশরা এদেশ শাসন গ্রহণের পর থেকে সুন্দরবনের আয়তন ক্রমশঃ কমতে থাকে। ইতিহাস বলে এখন যেখানে কলকাতা ও খুলনা শহরের অবস্থান, ১৭৬৫ সালে সে পর্যন্ত ছিল সুন্দবনের বিস্তৃতি। রাজস্ব আয় বাড়ানো ও জীবজন্তুর হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রথম ১৭৭০ সালে কালেক্টর জেনারেল ক্লড রাসেলের সময় থেকে চাষের জন্য সুন্দরবনকে ইজারা দেওয়া শুরু হয়। এ সময় বনের কোন সীমানা নির্ধারণ ছিল না। প্রথম বনের সীমানা নির্ধারিত হয় ১৭৮৩ সালে যশোরের তৎকালীন জর্জ ও কালেক্টর টিনম্যান হেংকেল এর সময় থেকে। ১৭৮৫ সালে হেংকেল বনের ছোট ছোট জমি ১৫০ জনকে লীজ দেন। তবে হেংকেলের এই তৎপরতায় বন নিধনের সাথে সাথে আবাদী জমি বাড়তে থাকে। ১৮১১ সাল থেকে ১৮১৪ সাল পর্যন্ত লেফটেনেন্ট ডাবলু ই মরিশন সমগ্র সুন্দরবন এলাকা জরিপ কাজ শুরু করেন এবং এই জরিপ কাজ শেষ করেন মরিশনের ভাই ক্যাপ্টেন হিউজ মরিশন। অবশ্য এ সময় দু ভাইয়ের মিলে একটি আংশিক ম্যাপও তৈরী করেন এবং তাদের আংশিক ম্যাপ নিয়ে ও জরিপকৃত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ১৮২২ থেকে ১৮২৩ সালে সর্ভেয়ার টমাস প্রিন্সেস সাহেব সুন্দরবনের একটি ম্যাপ তৈরী করেন। যা ১৮৩০ সালে সম্পূর্ণ আঙ্গিকে রূপ দেন সুন্দরবনের প্রথম কমিশনার উইলিয়াম ড্যাম্পিয়ার ও জরিপ কর্মকর্তা হজেয ।

    ১৮১৭ সালে সুন্দরবন এলাকার জন্য জেলা কালেক্টরের ক্ষমতা সম্পন্ন পদ সৃষ্টি করে প্রথম দায়িত্ব পান ইউলিয়াম ড্যাম্পিয়ার। ১৮২৮ সালে বৃটিশ সরকার সুন্দরবনের স্বত্ত্বাধিকার অর্জন করেন। অবশ্য এর পূর্বে সুন্দরবনের প্রথম দপ্তর স্থাপন করা হয় কলকাতার আলীপুরে। ১৮৫৩ সালে অনাবাদী ও জঙ্গল এলাকা বিতরণের জন্য নতুন আইন তৈরী হয়। ১৭৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর ইংরেজরা পতিত এবং বন কেটে নতুন আবাদী জমি সৃষ্টি করে, যা একাধারে চলে ১৮৭৩ সাল পর্যন্ত। ১৮৭৮ সালে সমগ্র সুন্দরবন এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসাবে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং ১৮৭৯ সালে সমগ্র সুন্দরবনের দায় দায়িত্ব বন বিভাগের উপর ন্যস্ত করা হয়। সুন্দরবনের প্রথম বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নাম এম.ইউ.গ্রিন। তবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন ১৮৮৬ সাল থেকে, কারণ ১৮৮৬ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের দায়িত্ব ন্যস্ত ছিল তৎকালিন কতিপয় জমিদারের অধীনে।

    সে কারণে দেখা যাচ্ছে সুন্দরবনের উপর অত্যাচার সেই অনাদী কাল থেকে। মনুষ্যসৃষ্ট নানান কারণসহ সুন্দরবন ক্ষতির জন্য দায়ী প্রাকৃতিক কারণও। সুদীর্ঘকাল থেকে এ ধারা চলে আসলেও বর্তমানে তা বিপজ্জনক অবস্থানে পৌঁছে গেছে। এ দুরবস্থা কাটাতে চাই সামাজিক ভাবে একটি গণআন্দোলন। ১৯৯৪ সালের ৬ই ডিসেম্বর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির ২১তম অধিবেশনে জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) সুন্দরবনকে হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর ৫২২টি বিশ্ব ঐতিহ্যের মধ্যে সুন্দরবনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    শুধু কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে সুন্দরবন সম্পৃক্ত নয়। বাংলাদেশের পরিবেশগত দিক বিবেচনায়ও এটিকে হাল্কা করে দেখার সুযোগ নেই। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে আগলে রেখেছে সুন্দরবন। অনেকটা মাতৃক্রোড়ে যেমনটি একটি শিশু পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে থাকে। তাই আসুন ভালোবাসার এই দিনের মতো প্রতিটি দিনে সুন্দরবনকে ভালোবেসে এটিকে রক্ষা করে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করি।

    (লেখকঃ- সাংবাদিক ও উন্নয়নকর্মী)

  • ভালোবাসার মানুষের প্রিয় উপহার

    ভালোবাসার মানুষের প্রিয় উপহার

    এসবিএন : ভালোবাসা দিবস মানেই কি শুধু ফুল, ফুল আর ফুল। নানা দেশের, নানা রঙের ও নানা আকারের। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারিভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা দিবস মানেই না বলা মনের গোপন কথাটি যেন বলে ফেলার দিন, তেমনি পুরনো সাথীকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার দিন। এক কথায় একে অপরের ভালোবাসার স্রোতে ভেসে যাওয়ার দিন ভ্যালেন্টাইনস ডে। তবে ভালোবাসার মানুষটির মুখের হাসিই যে এই দিনের সেরা প্রাপ্তি। আর তাকে খুশি করার সবচে’ সহজ উপায় হলো এ দিনে তাকে আপনার সঙ্গ দেয়া। তবে এ দিনে বিশেষ কিছু উপহার আপনাদের ভালোবাসায় আনবে আলাদা মাধুর্য।

    কিন্তু ভালোবাসা দিবসে প্রিয় মানুষটিকে কোন উপহার না দিলে যেনো ভালোবাসার পূর্ণতা প্রকাশ পায় না। এ দিনে প্রিয় মানুষটিকে কি উপহার দিবে এ নিয়েও অনেকে চিন্তায় পড়ে যায়। কেউ একে অপরকে কত বেশি ভালোবাসে সেটা প্রকাশ করতে উপহার দেয় লাল গোলাপ ফুল দিয়ে গড়া বিশাল আকারের হৃদয়। আবার কেউ প্রিয়জনের জন্য অনেক চিন্তা-ভাবনা করে হালফিলের গিফটের নতুন ট্রেন্ড নিয়েই হাজির হয়ে যান।

    এদিনে অনেকেই নিজের প্রিয় মানুষটিকে নরম পশমের ছোট্ট কুশন দিতে ভালোবসেন।কিন্তু একবার ভেবে দেখুন এই কুশনে যদি থাকে আপনাদের দু’জনের ছবি তাহলে কেমন হবে? ভাবুন এই রকম একটা গিফট আপনার মনের মানুষটিকে দিলে সে কতটা খুশি হবে! এবারে ভ্যালেন্টাইনস ডে রঙিন করে তুলতে পারেন এই পার্সোনালাইজড কুশনে। এর জন্য আপনাকে বেশি ঝামেলাও পোহাতে হবে না। ছবি বা নাম লেখার জন্য বিভিন্ন অনলাইন সংস্থা বা  গিফটের দোকানেও গেলেও এখন পেয়ে যাবেন এসব কুশন।

    ভ্যালেনটাইনস ডে তে উপহার দেয়া-নেয়া শুধুমাত্র প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান এবং যে কোনো প্রিয় বন্ধুকে এইদিন উপহার দিতে পারেন। ছোট একটি উপহার আপনাদের সর্ম্পককে আরও বেশি মধুর করে তুলবে।

    তবে একটা জিনিস প্রথমেই মনে রাখা দরকার। উপহারের গুরুত্ব¡ কখনো টাকার পরিমাপে করা উচিত নয়। কারণ ছোট, বড়, দামি, সস্তা সব উপহারের সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে আপনার ভালোবাসার মানুষটির ভালোবাসা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া।

    প্রিয় মানুষটাকে আর কি কি গিফট দিতে পারেন এ  ভ্যালেন্টাইনস ডে তে তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নিনি।

    ছেলেদের জন্য উপহার : কার্ড, ফুল, মগ, সানগ্লাস, মানিব্যাগ, বডি স্প্রে, পারফিউম, কি-রিং, শেভিং কিটস, হাতঘড়ি, বেল্ট, পোশাক, সিডি, ফটোফ্রেম, পেন, টাই, ব্যাগ। আর সঙ্গীটি যদি পড়তে ভালোবাসে তাহলে বইয়ের থেকে ভালো গিফট আর হয় না।

    মেয়েদের জন্য উপহার : কার্ড, ফুল, কফিমগ, সানগ্লাস, চকোলেট, টেডি, আংটি, পেনডেন্ট, ব্যাগ, হাতঘড়ি, পারফিউম, গয়নার বক্স, ফুলদানি, পেইন্টিংস, ফটোফ্রেম, মোবাইল ফোন সেট, পোশাক, ডায়েরি, সিডি, বই।

     

     

     

  • ভালোবাসার রঙ কী?

    ভালোবাসার রঙ কী?

    এসবিএিন : লোকে বলে বেদনার রঙ নীল। সুখের রঙ সাদা। শোকের রঙ কালো। ভালোবাসার রঙ কী? কেউ কেউ বলেন, ভালোবাসার রঙ লাল। তবে ভালোবেসে মানুষ নীল হয় কেন? কালো, ছাই বা পাথর বর্ণে ধূসর হয়ে শেষ সন্ধ্যার মতো পিত রঙেরইবা হয়ে ওঠে কখনো কখনো। তাহলে কি বলা যায়, ভালোবাসার কোনো রঙ নেই! ভালোবাসা কোনো রঙের হয় না!

    জলের যেমন কেনো রঙ নেই, যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের রঙই তার রঙ, তেমনি ভালোবাসারও একক কোনো রঙ নেই। যে যে রঙে ভালোবাসাকে রাঙিয়ে তোলে ভালোবাসা সে রঙেই উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। তাই তো ভালোবাসা কখনো কারো কাছে ধরা দেয় পরম সুখের রঙের হয়ে আবার কখনো কারো কাছে আসে রাতের গহীন আঁধার হয়ে।

    ভালোবাসা এক মায়ার ক্যানভাস। সে ক্যানভাসে যে শিল্পী যে রঙে-রূপে চিত্র অঙ্কন করেন, ‘ভালোবাসা’ সে রঙে-রূপেই উজ্জ্বল হয়ে আভা ছড়ায়। অনুভূতি জাগায়। আর এ অনুভূতি জাগায় বলেই ‘ভালোবাসা’ ধরা দেয় একেকজনের কাছে একেক রঙে। ভালোবাসাকে যে রঙে আঁকবেন ‘ভালোবাসা’ সে রঙেই ধরা দেয়। কারোরই কিছু করার থাকে না এ ভালোবাসায়।

    তাহলে ভালোবাসার কি কোনো রঙ নেই? ‘ভালোবাসা’ বায়বীয় শব্দ আর রঙহীন অনুভূতি? ভালোবাসায় জয় হয় আবার ভালোবাসারই ক্ষয় হয়। ভালোবাসাকে ভালোবাসার রঙ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারলে ভালোবাসা বেঁচে থাকে চিরদিন, আবার ভালোবাসাকে ভালোবাসাহীন রঙ দিলে সে নষ্টরঙ হয় আপনাতেই। ভালোবাসার কোনো শক্তি বা ক্ষমতা নেই সে রঙিন হয়। তাকে রাঙিয়ে তুলতে হয়। আর মানুষই ভালোবাসাকে রাঙিয়ে তোলে।তবে আপনার ভালোবাসা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়,তার জন্য চাই একটু যতœ। তাহলে জেনে নিন কিভাবে আপনার ভালোকবাসাকে আরো একটু রঙিন রঙে রাঙিয়ে তুলবেন।

    ‘ভালোবাসা’মাটিতে রোপা গাছের মতো।তার মূলে প্রতিদিন পানি দিয়ে তাকে সতেজ রাখতে হয়। ভালোবাসা কোনো সম্পত্তি নয়, সামান্য অযতেœও তা ফিকে হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়।

    ভালোবাসার নির্দিষ্ট রঙ নেই বলেই একে একটি রঙে আটকে রাখা যায় না। অনেক রঙে রঙিন করতে হয়। ভালোবাসার যে কোনো কিছুকে ভালোবেসেই বাঁচিয়ে রাখতে হয়। না হলে ভালোবাসা মরে যায় নি:শব্দে।

    একেকজনের একেকরকম দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে ভালোবাসার রঙ। যেহেতু ‘ভালোবাসা’র নিজস্ব রঙ নেই, তাই চিত্রকরের মতো নানান রঙের উপাদান মিশিয়ে একটি রঙ তাকে দিতে হয়।

    ভালোবাসার বিষয়টি নির্ভর করে পুরোপুরি আপনার উপর।আপনি যেমন রঙে আপনার ভালোবাসাকে সাজাবেন  সেও তেমন রঙেই আপনাকে ভালোবাসায় সিক্ত করবে।

    ভালোবাসার আরএক নাম বিশ্বাস। তার সাথে মেশাতে হয় দায়িত্ব, কর্তব্য, সহযোগিতা, সহমর্মিতা, বোঝাপড়া। এ সব কিছুর মিশ্রণে আপনার ভালোবাসা হয়ে উঠবে আরো রঙিন।

    ‘স্যাক্রিফাইস’শব্দটি ‘ভালোবাসা’র সাঙ্গে ছায়ার মতো। ভালোবাসার ক্ষেত্রে স্বার্থ থাকলে হবে না। ভালোবাসা হতে হবে নিস্বার্থ। ভালোবাসাই আপনাকে এনে দিবে স্বর্গীয় সুখ।

    বোতলে পনির রঙের ক্ষেত্রে পানি ও বোতল দুইয়ের ভূমিকাই যেমন প্রধান পায়। তেমনি ভালোবাসার ক্ষেত্রেও রঙ ও পট এই দুইয়ের ভূমিকাও প্রধান। রঙ অনেক ভালো হলো কিন্তু পট উপযুক্ত না হলে চিত্র যেমন অসুন্দর হয় না তেমনি পট অনেক ভালো হলেও রঙ যদি উপযুক্ত না হয় তাতেও চিত্র অসুন্দর হয়ে যায়। তাই ভালোবাসার ক্ষেত্রে দুজনকেই সমান ভূমিকা পালন করতে হবে। এক পক্ষ ভালোবাসায় কখনো পূর্ণ ভালোবাসার রূপ হতে পারে না।

     

     

  • ভালোবাসার মানুষকে কোন গোলাপটি দেবেন

    ভালোবাসার মানুষকে কোন গোলাপটি দেবেন

    এসবিএন : প্রতি বছর ৭ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় রোজ ডে অর্থাৎ গোলাপ দিবস। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনস ডে। আর এ দিনেই বিশেষ করে আমরা আমাদের প্রিয়জনকে ফুল দিয়ে আমাদের ভেতরের আবেগ বা ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকি। আর ভালোবাসা প্রকাশের সবচে’ ভালো মাধ্যম হলো ফুল।

    ফুল পছন্দ করে না, পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আমরা প্রায়ই আমাদের প্রিয়জনের হাতে গোলাপ তুলে দিয়ে প্রকাশ করে থাকি নিজের মনের কথাটি অথবা বলে ফেলি সারা জীবন কাটাতে চাই তোমার সঙ্গে।

    গোলাপ প্রেম, স্নেহ অথবা অনুভূতি প্রকাশ করার সবচে’ ভাল মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আপনি কি জানেন একেক রঙের গোলাপ একেক অর্থ বহন করে। তাহলে জেনে নিন কোন রঙের গোলাপ কি তাৎপর্য বহন করে।

    লাল গোলাপ : লাল গোলাপ মূলত ভালোবাসার প্রতীক হিসেবেই অতি পরিচিত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের ধরণ পরিবর্তন হলেও প্রেম নিবেদনের মাধ্যম হিসেবে লাল গোলাপের আবেদন এখনও কমেনি এতটুকুও। তাই বলা যায় লাল গোলাপ ছাড়া প্রেম নিবেদন অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

    হলুদ গোলাপ : হলুদ গোলাপ প্রকাশ করে বন্ধুত্বের রং।আপনি আপনার সবচে প্রিয় বন্ধুটিকে হলুদ গোলাপ দিয়ে আপনার ভেতরের আবেগটি প্রকাশ করতে পারেন।

    সাদা গোলাপ : শান্তি, পবিত্রতা, সহানুভূতি, আধ্যাত্মিকতার প্রতীক হিসেবে সাদা গোলাপ পরিচিত। আপনি কারো কাছে ক্ষমাপ্রার্থী সেখানেও আপনি ব্যবহার করতে পারেন সাদা গোলাপ।

    কমলা গোলাপ : কমলা গোলাপ বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা দুটিই প্রকাশ করে। আপনার বন্ধুকে বা প্রিয় মানুষটিকে  কমলা গোলাপ দিয়ে প্রকাশ করতে পারেন যে আপনি তার সঙ্গে আছেন জীবনের বাকিটা সময়।

    গোলাপী গোলাপ : গোলাপী গোলাপ মূলত কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নিবেদন করা হয়। গোলাপী গোলাপ মূলত কাউকে দেয়া হয় ধন্যবাদ বলতে বা সহানুভূতি প্রকাশে।

  • ১৮ টাকায় ভ্যালেন্টাইন গিফট কিনেছেন সোহিনী!

    ১৮ টাকায় ভ্যালেন্টাইন গিফট কিনেছেন সোহিনী!

    এসবিএন : ‘আমি প্রত্যেকদিনই প্রেমের জন্য নতুন কিছু ফিল করি। আলাদা করে ভালবাসা দিবসের অনুভূতি বলে এখন কিছু নেই।’ ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় গণমাধ্যমকে এমনটাই জানান টালিউডের ক্রেজ সোহিনী সরকার।

    সোহিনী আরো বলেন, ‘ছোটবেলায় আলাদা করে মনে হতো ১৪ ফেব্র“য়ারি মানেই ভালবাসা দিবস আসছে। প্রথম ভালবাসা দিবসের গিফট কিনেছিলাম ১৮ টাকা দিয়ে। ১০-১২ টাকার সস্তা একটা কার্ড, ৫ টাকায় চকলেট আর একটা গোলাপ ফুল। তখন গোলাপ ফুলে ১-২ টাকাতেও পাওয়া যেত।’

    ভালোবাসা দিবসের স্মৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়তাম। ওই ভ্যালেন্টাইনস ডে-টা আমার সারা জীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। এখন ভ্যালেন্টাইনস ডে’র থেকেও বসন্তকাল আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পলাশফুল, কোকিলের ডাক এগুলোর মধ্যেই প্রেম লুকিয়ে থাকে।

    উল্লেখ্য, ‘ফড়িং’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় পা রাখেন সোহিনী সরকার। সৃজিত মুখার্জির ‘রাজকাহিনি’তে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। পাঞ্জাবি এক ছেলের সঙ্গে লিভ টুগেদার করছেন এ নায়িকা। শুধু তাই নয়, অগুনতি বয়ফ্রেন্ড আর চুমু বিতর্কের গসিপে টালিপাড়ায় এগিয়ে রয়েছেন তিনি।