বিনোদন ডেস্ক: আশিক মোস্তফার চলচ্চিত্র ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ এবার প্রদর্শিত হচ্ছে ৪৮তম ট্যাম্পেয়ার চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী দিনে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে। ফিনল্যান্ডের ট্যাম্পেয়ারে অনুষ্ঠিত বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে গত ৭ মার্চ আর শেষ হচ্ছে ১১ মার্চ।
‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ এর একটি দৃশ্যচলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে নির্মাতা আশিক মোস্তফা জানান, মোবাইল ফোনে ধারণকৃত জিরো-বাজেটে নির্মিত এই ছবিটি ঢাকা শহরের প্রতিদিনকার দেখা একটি আপাত সাধারণ দৃশ্যের সূক্ষ্ম ও ব্যঞ্জনাময় উপস্থাপন। একটি মাত্র শটে নেওয়া ৮ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি যেন একটি চলমান স্থিরচিত্র, যেখানে একই ফ্রেমে প্রতিফলিত হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ধর্মচর্চা ও শ্রেণি-বৈষম্যের ভেতর-বাহিরের একটি চিত্র।
গত বছর চেক রিপাবলিকে অনুষ্ঠিত জিলাভা ইন্টারন্যাশনাল ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভালে ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ জিতেছে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার। এ ছাড়াও চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে তেহরান স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব, স্পেনের মর্সিয়া চলচ্চিত্র উৎসবসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক উৎসবে এবং বেলারুশের ভেলকম স্মার্টফিল্ম ফেস্টিভালে জিতে নিয়েছে গ্র্যান্ড প্রিঁ ও নগদ পুরস্কার।
আগামী সপ্তাহে চলচ্চিত্রটি জার্মানির রেগেন্সবুর্গ আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সপ্তাহে এবং এই মাসের শেষে লিথুয়ানিয়ায় ভিল্নিয়াস চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ফেস্টিভাল ফেভারিটস’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে। ২০১৭ সালের ‘সিনেউরোপা’ শীর্ষ পাঁচ ইউরোপিয়ান শর্টস এর তালিকায় সেরা নন ইউরোপিয়ান শর্ট ফিল্ম হিসেবে স্থান করে নেয় ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’।
খনা টকিজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আশিক মোস্তফা নিউ ইয়র্কের স্কুল অব ভিজ্যুয়াল আর্টস থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তখন গ্রাজুয়েশন ফিল্ম হিসেবে তিনি ‘ফুলকুমার’ (২০০২) তৈরি করেন। তিনি ‘৭২০ ডিগ্রি’, ‘মেহেরজান’ ও ‘আন্ডার কন্সট্রাকশন’-এর মতো কিছু আন্তর্জাতিক ভাবে সমাদৃত চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছেন এবং বর্তমানে শূন্য-বাজেটে মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ‘ইনভেডিং প্রাইভেসি’ নামে একটি নিরীক্ষাধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের সম্পাদনার কাজ সম্পন্ন করছেন।
খনা টকিজের ব্যানারে ‘ইন্টেরিয়র্স অ্যান্ড এক্সটেরিয়র্স’ ছবিটি প্রযোজনা করেছেন রুবাইয়াত হোসেন।
Author: dakshinermashal
-

ট্যাম্পেয়ার উৎসবে বাংলাদেশের এক শটের সিনেমা
-

নতুন রেকর্ড গড়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’
বিনোদন ডেস্ক: ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর পর্দায় ওঠে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। সেদিন দেশের ১২৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া এ ছবিটি এখন মাইলফলক। কারণ ছবিটি আজ (১০ মার্চ) পর্যন্ত টানা ১৫৪তম দিন দেশ ও বিদেশের প্রেক্ষাগৃহে চলছে। গত ৬ মার্চ ছবিটি মুক্তির পাঁচ মাস পূর্ণ করলো।
এর আগে মুক্তির প্রথমদিন থেকে টানা এতদিন বাংলাদেশের কোনও ছবি দেশ-বিদেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়নি বলে জানা গেছে।
ছবির পরিচালক দীপংকর দীপন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ছবি মুক্তির পর থেকেই এটি প্রদর্শিত হচ্ছে। তবে মাঝে এক সপ্তাহ দেশের প্রেক্ষাগৃহে বন্ধ ছিল। কিন্তু সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের হলে এটি চলেছে। দেশ ও বিদেশ ধরলে এখন পর্যন্ত এটি টানা চলছে। এমনটা সম্ভব হয়েছে দর্শকদের ভালোবাসার কারণে।’
ঢাকা অ্যাটাক এখন প্রদর্শিত হচ্ছে- শাহীন (ঢাকা) চম্পাকলি (টঙ্গী), বনানী (কুষ্টিয়া), শাপলা (রংপুর) ও রাজ (কুলিয়ারচর) প্রেক্ষাগৃহে। এছাড়াও দেশের বাইরে এখনও যুক্তরাষ্ট্রে চলছে ছবিটি।
এদিকে ‘ঢাকা অ্যাটাক’-এর টানা এমন সাফল্যের সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশে চলচ্চিত্র আর্কাইভের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে। তারা জানান, দেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে ধরা হয় ‘বেদের মেয়ে জোসনা’কে। তবে ছবিটি মুক্তির কিছুদিন পর প্রদর্শনে অল্প সময়ের একটা বিরতি ছিল। এরপর দর্শকের চাহিদার কারণে ছবিটি পুনরায় প্রদর্শিত হতে থাকে। মূলত এরপরই ছবিটি বাণিজ্যিক সাফল্য পায়। এক সময় দেশের অন্যতম সফল ছবিতে পরিণত হয় ‘বেদের মেয়ে জোসনা’।
সে দিক দিয়ে বিবেচনা করলে, ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিটি দেশীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক বটে।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির শুটিংয়ে শুভ, মাহিকে শট বুঝিয়ে দিচ্ছেন দীপংকর দীপন‘ঢাকা অ্যাটাক’ দেশের প্রথম পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার। বোম নিষ্ক্রিয় ইউনিটের সদস্য, পুলিশ কমিশনার, সোয়াত, গোয়েন্দা কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ সব ধরনের চরিত্রই আছে ছবিটিতে। অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে পুলিশের ব্যবহৃত ৪৫ পাউন্ড ওজনের বোমা স্কোয়াডের বিশেষ পোশাক ও পাঁচ কিলোগ্রাম ওজনের হেলমেট।
এর পরিচালক দীপংকর দীপন দেড় যুগ ধরে নাটক ও ডকুমেন্টারি নির্মাণ করে হাত পাকিয়েছেন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ তার প্রথম ছবি। একদল চৌকস পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান নিয়ে সাজানো হয়েছে এটি।
এতে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, মাহিয়া মাহি, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, আলমগীর, আফজাল হোসেন, কাজী নওশাবা আহমেদ, সৈয়দ হাসান ইমাম, শিপন মিত্র এবং খল চরিত্রে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি তাসকিন রহমান।
ছবিটির মূল ভাবনা ও কাহিনি রচনা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি সানী সানোয়ার। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে স্প্ল্যাশ মাল্টিমিডিয়া, ঢাকা পুলিশ পরিবার কল্যাণ সমিতি লি. ও থ্রি-হুইলারস লি.। -

পরীর প্রযোজনায় ‘ক্ষত’
বিনোদন ডেস্ক: নায়িকা পরীমনি প্রযোজনায় নেমেছেন। তার প্রযোজনা সংস্থা সোনার তরী থেকে প্রথম সিনেমা হিসেবে নির্মিত হবে ‘ক্ষত’। পরিচালনা করবেন শামীম আহমেদ রনী। শুক্রবার বিএফডিসিতে পরীমনি’র প্রযোজনা সংস্থার আনুষ্ঠানিক যাত্রা অনুষ্ঠানে সিনেমার নাম ঘোষণা করা হয়।
‘ক্ষত’র কাহিনি ও সংলাপ লিখেছেন আবদুল্লাহ জহির বাবু। কাহিনি নিয়ে রনী বলেন, ‘এটি কোন প্রেমের গল্প না। বেদনার গল্প, মায়া ও মানছুর গল্প।’
পরীমনি বলেন, ‘আমি একটি চরিত্র করতে চেয়েছি, যেখানে নায়িকার চেয়ে আমার অভিনেত্রী পরিচয় প্রাধান্য পাবে।’ তিনি জানালেন এ সিনেমার জন্য তাকে ভরতনাট্যম শিখতে হয়েছে।
জায়েদ খান এ সিনেমার জন্য নিজের লুকে ভিন্নতা এনেছেন। তিনি বলেন, ‘দুসপ্তাহ ধরে আমার এ লুক। অনেক কষ্টে সবার কাছ থেকে এ লুক লুকিয়ে রেখেছিলাম।’
‘ক্ষত’র শুটিং শুরু হবে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সিলেটে।
-

তালায় স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারের উদ্বোধন
তালা প্রতিনিধি: তালায় গংগারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে।গত বৃহস্পতিবার বিকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ শামছুজ্জামান’র সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) সংসদ সদস্য এ্যড. মুস্তফা লুৎফুল্লা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মোঃ জসিম উদ্দীন, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু, খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান রাজু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, খলিলনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সরদার ইমান আলী, সাধারন সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম মোড়ল, তালা সদর ইউনিয়র আ’লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাসসহ ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
-
সফ্টরক প্রিমিয়ার ক্রিকেট, ১ম বিভাগ, প্রাইম ব্যাংক ইয়ং টাইগার্স, জাতীয় স্কুল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপ ও অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে সফটরক প্রিমিয়ার ক্রিকেট, ১ম বিভাগ ক্রিকেট, প্রাইম ব্যাংক ইয়ং টাইগার্স জাতীয় স্কুল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ন ও অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন নবাগত জেলা প্রশাসক ও সাজেক্রীস সভাপতি জনাব মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার ও সাজেক্রীস সহ-সভাপতি জনাব মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, সহ-সভাপতি জনাব আশরাফুজ্জামান আশু, সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম আনিছুর রহমান, প্রাইম ব্যাংক হেড অব ব্রাঞ্চ কে.এম নাজমুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন সাজেক্রীস এর যুগ্ম সম্পাদক শেখ আব্দুল কাদের, তৈয়ব হাসান বাবু, কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম হাসান শানু, নির্বাহী সদস্য মির্জা মনিরুজ্জামান কাকন, মোঃ ইদ্রিস আলী, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন জসি, ইকবাল কবির খান বাপ্পি, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, কবিরুজ্জামান রুবেল, হাফিজুর রহমান খান বিটু, মোঃ আলতাফ হোসেন, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স, ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ইঞ্জিঃ সিরাজুল ইসলাম খান, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাসহ স্কুল ক্রিকেটে অংশগ্রহনকারী স্কুল গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ক্লাবে খেলোয়াড়, কর্মকর্তাসহ ক্রীড়ামোদী দর্শক।
সংক্ষেপে পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকা:
সফ্টরক প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ-২০১৮
ম্যান অব দ্যা সিরিজ: তাপস ঘোষ (২৪৯ রান – ১০ উইকেট)-সুলতানপুর ক্লাব। সেরা ব্যাটসম্যান: জাহাঙ্গীর আলম স্বপন- ২৯৭ রান- টাউন স্পোর্টিং ক্লাব। সেরা বোলার: দীপায়ন রাহা তনু – ১৫ উইকেট-এরিয়ান্স ক্লাব। রানার্স আপ: টাউন স্পোর্টিং ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন- সুলতানপুর ক্লাব।
সফ্টরক ১ম বিভাগ ক্রিকেট লীগ-২০১৮
ম্যান অব দ্যা সিরিজ: নাইম (২২৪ রান – ২০ উইকেট) -ইউনাইটেড ক্লাব।
সেরা ব্যাটসম্যান- রিংকু – ৩৫৯ রান- দক্ষিণ পারুলিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। সেরা বোলার- রব্বানী- ২০ উইকেট- গফফার স্মৃতি সংসদ। রানার্স আপ- দক্ষিণ পারুলিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন- ইউনাইটেড ক্লাব।
অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০১৭
টেবিল টেনিস একক: চ্যাম্পিয়ন: বটতলা ক্রীড়া চক্র- মো. মিকাঈল ইসলাম (চঞ্চল)। রানার আপ: সিটি ক্লাব: মোঃ আশরাফুজ্জামান খান চৌধুরী (রুবেল)।
টেবিল টেনিস দ্বৈত: চ্যাম্পিয়ন: বটতলা ক্রীড়া চক্র- মো. মিকাঈল ইসলাম (চঞ্চল) ও নাজমুস সাকিব খান চৌধুরী সুপ্ত। রানার আপ: সিটি ক্লাব- মো. আশরাফুজ্জামান খান চেীধুরী (রুবেল) ও মো. আলিফ আফজার খান।
দাবা: চ্যাম্পিয়ন: উদিত সংঘ-মো. এমদাদুল হক। রানার আপ: সবুজ কুখরালী- মোবারক হোসেন লিটন। ক্যারম একক: চ্যাম্পিয়ন: ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব- মো. সাজ্জাদ হোসেন সজীব। রানার আপ: গণমুখী সংঘ – আব্দুল আহাদ খোকা। ক্যারম দ্বৈত: চ্যাম্পিয়ন: বাঁকাল প্রভাতী সংঘ-মো. সাজ্জাদ হোসেন সজীব ও সাইফুল ইসলাম। রানার আপ: যুব গণমুখী সংঘ-আব্দুল আহাদ খোকা ও সত্যজিত সরকার।
অকশন ব্রীজ: চ্যাম্পিয়ন: কুখরালী ভলিবল স্পোর্টিং ক্লাব- মো. রুহুল আমিন ও আ.ম আখতারুজ্জামান মুকুল। রানার আপ: দহাকুলা মিতালী সংঘ-মীর আরিফুল ইসলাম ও শেখ ফয়েজ আহমেদ। -
বাড়ি উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি: তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কর্তৃক অবৈধভাবে বাড়ি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন সাবেক স্বামী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের রসুলপুর এলাকার মৃত বনি ইসরাইল সরদারের ছেলে মো. জাহির উদ্দীন সরদার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের মৃত মোসলেম আলী সরদারের মেয়ে নুরুন নাহারের সাথে তার বিয়ে হয়। আমাদের ১৫ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত ৩/৪ বছর ধরে স্ত্রীর ভাই মোশারফ হোসেন ও বোন শামছুন নাহারের কু-পরামর্শে আমার নিজের বাড়িটি স্ত্রীর নামে লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু আমি বাড়ি লিখে দিতে অস্বীকার করায় সংসারে প্রায়ই অশান্তি বিরাজ করত। তাছাড়া বাড়িতে স্ত্রীর ভাই বোনদের অতিরিক্ত আসা-যাওয়া অশান্তি আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় ৩/৪ বছর ধরে আমি আলাদা ঘরে থাকি। এ অবস্থা চলাকালে আমার বৃদ্ধ মাতা শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন।
আমার স্ত্রী তাকে দেখাশুনা করতে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে মা’কে বড় ভাইয়ের বাড়িতে রেখে সেবা করতাম। গত ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল শয্যাশযী বৃদ্ধা মায়ের পথ্য খাওয়ানো অবস্থায় বেলা ৩টার দিকে আমার স্ত্রী একজন পুলিশ অফিসারকে নিয়ে সেখান থেকে আমাকে তুলে নিয়ে আসে। থানায় এসে জানতে পারলাম আমার নামে নারী নির্যাতন মামলা হয়েছে। প্রায় এক মাসের বেশী সময় কারাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়ে বাড়িতে গেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (স্ত্রীর ভাবী) আকতারী বেগমের নির্দেশে আমার স্ত্রী, তার ভাই মোশারফ হোসেন, মকবুল হোসেন, কালু, মোজাফফার এবং বোন শামছুন নাহার আমাকে বাধা দেয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমি নিজ বাড়িতে ঢুকতে পারিনি। পরিবারের লোকদের নিয়ে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে স্ত্রীর বড়ভাবী আকতারী বেগমের ও মিথ্যে মামলার ভয় দেখানো হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে ঘর সংসার করার জন্য ২০১৭ সালের ২০ মে সদর থানার ওসি, ৫ জুন জেলা প্রশাসক, ৬ জুন পুলিশ সুপার ও সম্পাদক নিজ অধিকার বরবার আবেদন করি। কিন্তু এরপরও স্ত্রী নুরুন নাহার আমার সাথে ঘর সংসার করতে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক প্রদান করি। তালাকের পর তাকে বাড়ি ছাড়তে বলি। কিন্তু বড় ভাবী কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আকতারী বেগমের ক্ষমতার দাপটে তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী আমার বাড়ি ছাড়ছে না। একপর্যায়ে গত ৩ মার্চ বিকাল ৫টায় আমার বোনদের নিয়ে বাড়িতে যাই। কিন্তু রাত ৯টার সময় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফোর্স পাঠিয়ে আমাদের নামিয়ে দেন।
তিনি তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর কাছ থেকে বাড়ি উদ্ধার ও মিথ্যে মামলা থেকে রেহায় পেতে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপ -
তালা মহিলা কলেজে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
তালা প্রতিনিধি: স্বাধীনতার মহান স্থপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুর রহমানের রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’র স্বীকৃতি লাভ দিবস উপলক্ষ্যে তালা মহিলা ডিগ্রী কলেজের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত বুধবার দুপুরে কলেজ হলরুমে দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুর রহমান। উপাধাক্ষ্য মোঃ শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম, এসএম নাজিম উদ্দীন, নিলুফা বানু, নন্দী দিপাংকর, কনা বিশ্বাস, আমিনুর রহমান, শহিদুল ইসলাম, শিক্ষার্থী মাহবুবা ফেরদৌস দোলা, সেতু মন্ডল প্রমুখ। -
সততার পরিচয় দিলেন তালা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সালমা
তাল প্রতিনিধি: চল্লিশ হাজার টাকা পেয়ে মালিককে ফিরিয়ে দিলেন সালমা সুলতানা। তিনি তালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সালমা তালা উপজেলার আটারই গ্রামের জালাল জোয়াদ্দারের মেয়ে। সালমার সততায় সাধুবাদ জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী ও অধ্যক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় সালমা তালা বাজারের অসীম ঘোষের দোকান শিল্পী ষ্টোর থেকে কাগজ কিনে কলেজ ছাত্রী নিবাসে ফিরে আসেন। ছাত্রী নিবাসে ফিরে দেখে কাগজেরর ভিতরে চল্লিশ হাজার টাকা। সালমা বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে জানান। এরপর অধ্যক্ষ দোকান মালিকের কাছে মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। রাত ৮টার দিকে অফিস কক্ষে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকর্থীদের উপস্থিতিতে মালিকের হাতে টাকা তুলে দেয়া হয়।
সালমা সুলতানা বলেন, টাকাটা তার মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিল। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। টাকা তার মালিককে দিতে পেরে আমি মনে প্রশান্তি পাচ্ছি। অসীম ঘোষ সালমা সুলতানা প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আসলে পৃথিবীতে এখনো অনেক ভাল মানুষ আছে। তিনি চাইলে টাকা নিয়ে নিতে পারতেন। (more…) -
পুলিশ সুপারের ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে পুলিশের গাড়ির হেড লাইটে কালো কালির প্রলেপ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে পুলিশের কয়েটি গাড়িতে কালো কালির প্রলেপ দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এসময় পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, রাতের বেলায় গাড়ীর হেড লাইটের আপার ডিপারের কারণে আলোর ঝলকানি অন্য ড্রাইভারের চোখে লেগে দুর্ঘটনায় প্রতিত হয়। এই দুর্ঘটনা থেকে বাচাতে এবং জনগনের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা পুলিশের গাড়িতে কালো প্রলোপ দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পর্যাক্রমে জেলার সকল মোটরসাইসেল এবং সকল ধরনের যানবনের হেড লাইটে এই কালো কালির প্রলেপ দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল হক, পুলিশ সুপার সদর মো. হুমায়ুন কবির, বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান প্রমুখ। -
কালিগঞ্জ নবাগত সার্কেলের সাথে উপজেলা প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের শুভেচ্ছা বিনিময়
কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জে নবাগত সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী এর সাথে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বৃহস্পতিবার সকালে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজেদুল হক সাজু ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম লাভলুর নেতৃত্বে উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ ক্যাপ্টেন, সদস্য শিমুল হোসেনসহ উপজেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।
-
বিভিন্ন কৃষি ব্লকে বোরো ধানের পারচিং উৎসব অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি: সারা দেশে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বোরো ধানের পারচিং উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন অঞ্চলে বোরো ধানের পারচিং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঝাউডাঙ্গা: বৃহস্পতিবার সকালে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবকাটি ব্লকে উপসহকারী কৃষি অফিসার কিরণ¥য় সরকার মাধবকাটি এলাকার কৃষকদের নিয়ে বোরো ধানের ক্ষেতে ডাল পুতে পারচিং উৎসবের উদ্বোধন করেন। কৃষি জমিতে কীট নাশকের ব্যবহার কমানোর জন্য কৃষকদের নিয়ে আয়োজন পারচিং পদ্ধতি সকল কৃষককে জানতে এবং কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই পারচিং পর্দ্ধতির মূল লক্ষ্য। জমিতে ধান রোপনের পর গাছের ডালপালা পুঁতে দিয়ে পোকা খেকো পাখির বসার ব্যবস্থা করলে পাখি ধানের পোকা ভক্ষণ করে। বিষমুক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদনে পারচিং উৎসব অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।পারচিং উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য অপর্ণা রাণী, ব্লকের কৃষক হাবিবুল্লাহ, মনিরুল ইসলাম, মতলুব সরদার, মোস্তফা সরদার, সফিকুজ্জামান, মহসীন সরদার। অপরদিকে ঝাউডাঙ্গা এলাকার ওয়ারিয়া ব্লকে উপসহকারী কৃষি অফিসার শেখ হাসান রেজা কৃষকদের নিয়ে পারচিং উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক হাসান মাহমুদ, ইউপি সদস্য আব্দুল মালেক, কৃষক মফিজুল ইসলাম, শাহানারা প্রমুখ। অন্যদিকে ঝাউডাঙ্গা ব্লকে উপসহকারী কৃষি অফিসার মরিয়ম খাতুন ঐ ব্লকের কৃষকদের নিয়ে পারচিং উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম, কৃষক মো. আব্দুল খালেক, আশরাফ আলী, শাহাদাত, আব্দুর রশিদ, ও মফিজুল ইসলাম। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বোরো ধানের পারচিং উৎসবে ঐ এলাকার শত শত কৃষক অংশ নেয়।

দেবহাটা: “ধান লাগিয়ে ক্ষেতে যদি ডাল পুতে দাও, পাখি বসে ধরে খাবে মাজরা পোকার ছাও” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে দেবহাটায় বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে বোরো ধানের ক্ষেতে জাতীয় পার্চিং উৎসব পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসীম উদ্দীনের নের্তৃত্বে ৫ ইউনিয়নের ১৫টি ব্লকে পার্চিং উৎসব পালিত হয়। দেবহাটার ৬ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে আবাদ হওয়া বোরো ধানের ক্ষেতে কর্মকর্তারা কৃষকদের নিয়ে পার্চিং অথ্যাৎ পাখি বসার জন্য ধানের খেতে গাছের ডাল বা অন্য উপকরণ ব্যবহার করে বিষমুক্ত প্রকৃতিক উপায়ে ফসলের ক্ষতিকর পোকা দমন করার উপায় বাস্তবে দেখিয়ে উৎসটি পালন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহাদ আলী খান, মোস্তফা আহম্মেদ, মনিরুল ইসলাম, জিএম আল-মামুন, আহম্মদ সাঈদ, ইব্রাহিম খলিল, আফজাল হোসেন, আলাউর রহমান, জাহিদুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্লকের কৃষকরা।ইসলামকাটি: তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ানের গোপালপুর ও সুজনসাহায় এ পার্চিং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার শেখ আবুজাফর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামকাটি ইউনিয়ানের উপ সহকারী কৃষি অফিসার মমিনুর রহমান খান, কমলেশ মন্ডল প্রমুখ। তারা কৃষক দের পার্চিং রোগ ও তার প্রতিকার সম্পর্কে নানা পরামর্শ ও লিপলেট বিতারণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক গাজী সোহগ, আব্দুল মাজিদ, রফিকুল, সমাদ, রেজাউল সহ আরও অনেক।
-

বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি আন্তজার্তিক নারী দিবস পালিত
নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্প্রতি বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলাব্যাপি পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলার সবকয়টি উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। সরকারি প্রশাসন এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে র্যালি, মানববন্ধন, শুভেচ্ছা বিনিময়, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের আয়োজনে জেলার প্রধান কর্মসূচি পালিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে অফিসার্স ক্লাব থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যেয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অংশ নেন মহিলা সংসদ সদস্য রিফাত আমিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন, প্রফেসর আবদুল হামিদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী, স্বদেশ পরিচালক মাধব দত্ত, মহিলা পরিষদ নেত্রী জোসনা দত্ত, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে শুরু হয় নারী উন্নয়ন মেলা।
শ্যামনগর: “সময় এখন নারীর উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরে কর্মজীবন ধারা।” এই প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জাতীয় মহিলা সংস্থা শ্যামনগর, ওসিসি এর যৌথ আয়োজনে ইউএসএআইডি এর অর্থায়নে ওয়ার্ল্ডভিশন বাংলাদেশ এবং সুশীলনের যৌথ উদ্দোগে নবযাত্রা প্রকল্পের সহযোগিতায় শ্যামনগর উপজেলায় উদযাপিত হলো আন্তার্জাতিক নারী দিবস- ২০১৮।৮ই মার্চ সকাল ৯ টায় এক বর্ণাঢ্য র্যালী উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভায় অংশ নেয়। আলোচনা সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থার শ্যামনগর চেয়ারম্যান শাহানা হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এস,এম আতাউল-হক-দোলন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নূরজাহান পারভীন ঝরনা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ সাইদুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সকল সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও জাতীয় মহিলা সংস্থা এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও সঞ্চালনায় ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার উপজেলা সংগঠক মোঃ আনিসুর রহমান মল্লিক ও বারো শিকের গাজী আল ইমরান। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিগণ নারী উন্নয়ন মেলা পরিদর্শন করেন। বিকাল ৩ টায় উপজেলা চত্তরে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে গণসচেতনতার লক্ষ্যে নাটক অনুষ্ঠিত হয়। শতশত দর্শক উক্ত নাটক উপভোগ করেন।
কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে কালিগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি নূর আহম্মেদ মাছুম। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ শেখ ফজলুল হক মনি সহ সরকারী কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, স্থানীয় কলেজ ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি
বৃন্দ ও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সকল পর্যায়ের নারী।আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় ১০ টি স্টল প্রদর্শণী হয়। স্টল গুলি হলো ওয়াল্ড ভিশন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়, নলতা হাসপাতাল এন্ড কমিউনিটি হেলথ্ ফাউন্ডেশন, মিশন মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, আমার কুঠির মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, দূর্জয় নারী উন্নয়ন সংস্থা, চাম্পাফুল মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, উর্ষা মহিলা উন্নয়ন সংস্থা, বৃন্দ মহিলা উন্নয়ন সংস্থা ও সু-সমাজ ফাউন্ডেশন।
দেবহাটা: ‘সময় এখন নারীর; উন্নয়নে তারা বদলে যাচ্ছে গ্রাম শহরের কর্মজীবনের ধারা’-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে দেবহাটায়ও দিবসটি নানা আয়োজনে উৎযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন বেস
রকারি সংস্থার আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে প্রায় সাড়ে ৪শতাধীক নারীদের অংশগ্রহনে র্যালী শেষে মুক্তমঞ্চ চত্বরে নারী উন্নয়ন মেলা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ এর সভাপতিত্বে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব আব্দুল গণি। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী কামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। অন্যান্যদের মধ্যে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল ওহাব, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রণব কুমার মল্লিক, সমাজসেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাইন, বিআরডিপি কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, কেবিএ কলেজের অধ্যাক্ষ রিয়াজুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।এদিকে, নারী কণ্ঠ উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে নারী দিবস উপলক্ষ্যে র্যালী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে নারী উন্নয়ণ মেলায় স্টলে উপস্থিত ছিলেন নারী কণ্ঠের নির্বাহী পরিচালক মনোয়ারা খাতুন, প্রকল্প সুপার ভাইজার মুজিবর রহমান, পিএস পিকু দাস, ডিপিও সদস্য সাবিহা সুলতানা, করবী স্বর্ণকার প্রমুখ।
আশাশুনি: আশাশুনিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে র্যালী, নারী উন্নয়ন মেলা, পুরষ্কার বিতরন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা শিশু পার্কে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা পরিষদ ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে প্রথমে উপজেলা পরিশষদ চত্বর থেকে র্যালী বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পওে শিশু পার্কে
নারী উন্নয়ন মেলার শুভ উদ্বোধন করেন, প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজাবে রহমত। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা জোহরার পরিচালনায় সভায় সমাজ সেবা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক, চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, আলমগির আলম লিটন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আজিজুল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রাজ্যেশ্বর দাশ, পারভিন সুলতান লিপিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মহিলা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এরপর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে উপস্থিত বক্তৃতার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরষ্কার বিতরন করা হয়।তালা: “সময় এখন নারীরঃ উন্নয়নের তারা বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরে কর্মজীবন ধারা” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তালা উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে নারী উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে একটি র্যালী উপ-শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে শেষ হয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ ভাইচ চেয়ারম্যান ইখতিয়ার হোসেন, মহিলা ভাইচ চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কর্মকর্তা নাছরিন জাহান ।
সরকারি বে-সরকারি বিভিন্ন নারী উন্নয়ন সংস্থার নারী উন্নয়ন মেলায় ১৩ টি স্টল বসানো হয়। ষ্টল পরিদর্শনে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ইউমেন জব-ক্রিয়েশন, জাতপুর, ২য় স্থান অধিকার করেন নারী উন্নয়ন সংস্থা শিরাশুনি এবং ৩য় স্থান অধিকার করেছেন মহিলা উন্নয়ন সংস্থা পাটকেলঘাটা। মেলায় সকল ষ্টল প্রতিষ্ঠানকে পুরুষ্কৃত করা হয়েছে।
জাতীয় মহিলা সংস্থা: ‘সময় এখন নারীর উন্নয়নে তারা বদলে যাচ্ছে গ্রাম শহরে কর্মজীবন ধারা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার চেয়ারম্যান
মমতাজুননাহার ঝর্ণার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মিসেস রিফাত আমিন।আলোচনা সভা শেষে নারী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মহিলা সংস্থা জেলা শাখার সদস্য মিসেস সাহানা মহিদ বুলু। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থা সাতক্ষীরা জেলা শাখার কর্মকর্তা মো. আনছার আলী ও মোকছেদ আলী।
ফিংড়ী: গাভা হাই স্কুলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। সিডো সাতক্ষীরা আয়োজনে ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল খায়ের সরদার। দিনের কর্মসূচিতে গাভা স্কুল থেকে বর্নাঢ্য র্যালি ব্যাংদহা বাজার হয়ে স্কুলে এসে শেষ হয়। র্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমসি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. শাহাজ উদ্দিন সরদার, সিডো নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। বক্তব্য রাখেন যুব কমিটি সদস্য মো. জাকির হোসেন, মো. মোজাহিদ হোসেন, মো. নাজমুল হোসেন, মহিদুল ইসলাম। সমগ্র অনুষ্ঠানে স্কুল শিক্ষক, এসএমসি সদস্য, যুব কমিটি সদস্য, শিক্ষার্থী ও সিডো কর্মকর্তাগন অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক দিপংকর বিশ্বাস, সিডো কর্মকর্তা আবুল কাসেম, আবুল হাসান, ও সুকান্ত মন্ডল।
আমেরিকান কর্ণার খুলনা: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলাজিতে অবস্থিত আমেরিকান কর্ণার খুলনা ও নারী ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর হাদিস পার্ক থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়, র্যালীটি শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক এর কার্যলয় গিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথি হিসাবে র্যালীটির উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান। সেসময় তিনি বলেন, নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আজ বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া নারী দিবসের এমন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজক ও অংশ গ্রহণকারীদের ধন্যবাদ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মো. মাহবুবুর রহমান মুন্সি সহকারী পরিচালক এনইউবিটি খুলনা, আমেরিকান কর্ণার খুলনার কো-অডিনেটর ফারজানা রহমান, সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা জোবায়ের মোস্তাফিজ সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়াও বিভিন্ন ২৫টির অধিক বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংস্থা, বেসরকারী সংগঠনসহ নগরীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন। -
শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় সাতক্ষীরায় ওয়ার্কার্স পার্টির বিক্ষোভ কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিনিধি: সিলেটে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা প্রচেষ্টার প্রতিবাদে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সোমবার বিকালে শহরের মিনি মার্কেট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিল শেষে শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি বক্তব্যে মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি বলেন, বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষাবিদ জাফর ইকবালের উপর হামলার ঘটনার মধ্যদিয়ে দেশে জঙ্গিবাদ যে পুণরায় উস্কে উঠেছে তা প্রতিয়মান হয়। প্রশাসনিক নির্লিপ্ততায় এ ঘটনা ঘটলেও জনগন যদি সংগঠিত না হয় তবে এ হত্যা খুন হামলার ধারা আরও বেড়ে যাবে। ২০১৩ সালের জঙ্গি জামাত শিবির যেভাবে বিভিন্ন মফস্বল অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে মানুষ হত্যায় মেতেছিল। তারা ফের সে চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। সাতক্ষীরায় প্রভাষক মামুন হত্যাসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের সতের জন হত্যা, বাড়িঘর জ্বালানো, রাস্তা-গাছ কাটার ঘটনায় প্রশাসন পাঁচ বছরেও প্রধানতম একটি ট্রাজেডিরও মামলা নিস্পত্তি করতে পারেনি। বিচারের আওতায় আসেনি খুনী জামাত-শিবিররা। কেন এ অবস্থা তা জনগন জানতে চাই। এই সাতক্ষীরার জনগন ঘুরে দাঁড়াতে জানে। মানুষ সংগঠিত হয়ে খুনীদের শাস্তির আওতায় আনবে। বিচার নিশ্চিত করতে বাধ্য করবে প্রশাসনকে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্টির সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহিবুল্লাহ মোড়ল, ফাহিমুল হক কিসলু, স্বপন কুমার শীল প্রমুখ।
সকল বক্তা অবিলম্বে জাফর ইকবাল হত্যা চেষ্টার সাথে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ ও পাঠ্যপুস্তকে সবধরনের কুপমুন্ডকতা বন্ধ করার জোর দাবি জানান।
-
ঝুঁকিতে পাউবোর ৩০কিলোমিটার ভেঁড়ীবাঁধ শ্যামনগরে জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধন ও স্মরক লিপি প্রদান
নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার ৩০কিলোমিটার পাউবোর ভেঁড়ীবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকায় তার পুননির্মাণের দাবীতে শ্যামনগর জলবায়ু পরিষদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। রোববার সকালে শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সামনে জলবায়ু পরিষদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপিতে জানা যায়, শ্যামনগরের ৬টি ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ এবং বাঁকি সকল ইউনিয়ন পরোক্ষভাবে উপকুলীয় পাউবোর বাঁধের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে বাঁধ ব্যবস্থাপনার উপর উপজেলার সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড, খাদ্য নিরাপত্তা ও বসত ভিটাসহ সম্পদ রক্ষায় সরাসরি যুক্ত। কিন্তু, বর্তমানে সমগ্র উপকুলীয় বাঁধ দুর্বল ও ঝুঁকিযুক্ত হয়ে পড়ায় আতংকে থাকতে হয় শ্যামনগরের সকল মানুষদের।
এছাড়া পূর্বতোন আমলের ৪.২০মিটার আরএল লেভেল এর বাঁধ বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধে সক্ষম নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় প্রায়শ: সৃষ্টি হচ্ছে। এসকল দুর্যোগে সাগর উত্তাল হয়,জোয়ারের পানি অত্যাধিক বেড়ে যায় এবং ঢেউও প্রবল হয়। এ অবস্থায় প্রধান রক্ষাকবচ উপকুলীয় বাঁধ। কিন্তু,বর্তমানে নাজুক এ বাঁধ মানুষের সম্পদ ও প্রাণ রক্ষায় অনুকুল নয়।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করেন, শ্যামনগর উপজেলায় মোট উপকুলীয় পাউবোর বাঁধের পরিমাণ ১৩৪.৬৬০কি:মি। যার মধ্যে ১৫ ও ৫নং পোল্ডারের ৩০কি: মিটার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে ৫নং পোল্ডরের ঘোলা, বিড়ালক্ষী, কুপট, পূর্ব দূর্গাবাটী, ভামিয়া, নীলডুমুর,দাতিনাখালী, সেন্ট্রাল কালীনগর, দঃকদমতলা, হরিনগর, সিংহড়তলী, চুনকুড়ি,যতীন্দ্রনগর, পার্শ্বেখালী, টেংরাখালী ও কৈখালী এবং ১৫নং পোল্ডারের ডুমুরিয়া, চকবারা, জেলেখালী, লেবুবুনিয়া,পার্শ্বেমারী, নাপিতখালী, চাঁদনীমুখা গ্রাম সংলগ্ন বাঁধ।
এসকল স্থানের বাঁধ যে কোন সময় ভেঙে এলাকা প্লাবিত হতে পারে। তাই সবচেয়ে কাছের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ইউনিয়ন পরিষদকে পাউবোর ভেড়ীবাঁধ সংস্কার বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জলবায়ু পরিষদের পক্ষ থেকে দাবী জানানো হয়।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জলবায়ু পরিষদের সভাপতি সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজিম উদ্দীন, দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক ও জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী প্রমুখসহ জলবায়ু পরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ।
-

ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিনিধি: হযরত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট লেখক ড. জাফর ইকবলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
রোববার সকালে সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।মানবন্ধনে জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের আহবায়ক শরিফুল্লাহ কায়সার সুমনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেমক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, প্রথম আলোর স্টাফ রির্পোটার কল্যাণ ব্যানার্জী, সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক আকবর হোসেন রাজু, মাসুদুর রহমান, রাশেদ হোসেন, আলি আকবর প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংবাদিক আমিনা বিলকিস ময়না।
বক্তরা বলেন, ড. জাফর ইকবলের উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা মুক্ত চিন্তার উপর হাত দিয়েছে। সন্ত্রাসীরা একের পর এক লেখক বুদ্ধিজীবীদের উপর হামলা করে কন্ঠ রোধ করতে চেয়েছে। বক্তরা অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে সাতক্ষীরাবাসীর ব্যানারে শহরের শহীদ স.ম আলাউদ্দিন চত্বরে ড. জাফর ইকবলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে পৃথক একটি মানববন্ধন পালিত হয়।
জেলা সৈনিক লীগের সভাপতি মাহমুদ আলী সুমনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক এ্যড. ফাহিমুল হক কিসলু, ছাত্রলীগের সাবেক জেলা সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম রনি, শিক্ষক মনোতোষ দাঁ, জেলা বাস্তুহারালীগের সভাপতি গোলাম রসুল প্রমুখ।মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, ড. জাফর ইকবাল প্রগতিশীল লেখনীর জন্য সমাদৃত হয়েছেন। তার উপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা মুক্ত চিন্তার মানুষদের বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছে। মৌলবাদি গোষ্ঠী একের পর এক লেখক বুদ্ধিজীবীদের উপর হামলা করে মুক্ত চিন্তার মানুষের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে।
এসব হামলাকারিদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্ত মুলক শাস্তির দাবী করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাতক্ষীরা পৌর শাখার সভাপতি মকবুল হোসেন। -
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা অবৈধ্য গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বিএনপি নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা গাইড বই বাজারজাত করতে সাতক্ষীরায় আসছেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। ওই প্রতিনিধি দলের সাথে সফর সঙ্গী হিসাবে আসছেন পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা মমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ঢাকার বিএনপি নেতা কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল।
কয়েকজন পুস্তক ব্যবসায়ী জানান, কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল ঢাকা মহানগরের সূত্রাপুুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং ২০১৩-১৪ সালে সুত্রাপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার অভিযোগ থাকায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। কিন্তু তিনি পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের আর্শীবাদ পুষ্ট হওয়ায় নাশকতার আসামি হয়েও বুলবুল কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মনোনীত হন। দায়িত্ব পাওয়ার পরে বুলবুল স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রকাশনীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সারা বাংলাদেশব্যাপি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ নোট-গাইড সহায়ক পাঠ্য বইয়ের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে।২০১৬-২০১৭ ও ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরাতেও তার আর্শীবাদ পুষ্ট পুস্তক ব্যবসায়ীরা তার কথামত জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার পাঠ্য তালিকায় স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই অন্তর্ভুক্ত করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৯ ফেরুয়াারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবির্ক) মো. জাকির সাতক্ষীরায় অসাধু পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের স্বাধীনতা বিরোধী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সাতক্ষীরার পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির বর্তমান আহবায়ক যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় অন্যতম প্রধান আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের আপন ভাইপো ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু ও যুগ্ম আহবায়ক(১) বিএনপি-জামায়াত পন্থী কাইয়ুম সরকারকে চিঠি দিয়ে অবগত করেন।
কিন্তু এখনও জেলার পুস্তক ব্যবসায়ীদের একটি অংশ এই বই বাজারজাত করে ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। আর তাদের ওই স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বই বাজারজাত করতে সার্বিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরায় আগমন করছেন বিএনপি নেতা বুলবুল।
অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা বুলবুল সাতক্ষীরার উর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে ওই সব গাইড জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্য তালিকা থেকে বাদ না দেওয়ার তদবির নিয়ে আসছেন। আর এ কারণে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সংঘস্মারক ও সংঘবিধির ১৩ ধারা মোতাবেক সদস্য পদের অযোগ্যতা। জ) কোন প্রকাশনী ও পুস্তক ব্যবসায়ী টাকার বিনিময়ে বই পাঠ্য করাইলে তার সদস্য পদ থাকবে না। ট) গ্রন্থসত্ত্ব আইন: রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন বই প্রকাশ ও বিক্রয় করিলে। কিন্তু সারা দেশব্যাপি প্রকাশকরা টাকার বিনিময়ে স্কুল, কলেজ মাদ্রাসায় বই পাঠ্য করায়। ফলে সংঘবিধি ১৩ জ ও ১৩ ট অনুযায়ী কোন প্রকাশনীর সদস্যপদ থাকার কথা না।
এঘটনায় কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি আগে বিএনপি করতাম। এখন করি না।’ ১৩’র জ ও ট সম্পর্কে বললে তিনি এড়িয়ে যান। এঘটনায় সাতক্ষীরার পুস্তক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এদিকে, সাতক্ষীরার কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে স্বাধীনতা বিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কোন বই পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন জেলার সচেতন মহল। -

জনতোপের মুখে দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধের কাগজপত্র গ্রহণ করতে বাধ্য হলেন ডিডিএলজি
নিজস্ব প্রতিবেদক: সদরের লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অর্ধকোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় টনক নড়ে প্রশাসনের। ফলে গতকাল পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। তিনি এসেই বলেন, ‘আমি রুটিন মাফিক পরিদর্শনে এসেছি।’ এসময় ইউপির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ও স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে পালাতক চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধের দূর্ণীতির অভিযোগ সম্বলিত কাগজপত্র তার নিকট জমা দিতে গেলে তিনি ‘নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে মিলমিশ করে নিতে বলেন’।
উক্ত তদন্ত কর্মকর্তার দূর্ণীতিবাজ বিএনপির সন্ত্রাসী নেতার পক্ষ গ্রহণ করায় প্রথম থেকেই উপস্থিত জনতা ও ইউপি সদস্যরা মনে মনে ক্ষব্ধ হতে থাকে। এমতাবস্থায় তদন্ত কর্মকর্তার উক্ত কথায় সবাই বিক্ষেভে ফেটে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে তদন্ত কর্মকর্তা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান অভিযোগ গ্রহণ করেণ।
গত সোমবার বিকেলে লাবসা ইউনিয়ন পরিষদ পরির্দশনে আসেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সচিব আব্দুর রাজ্জাক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু, মেম্বর মাসুদা বেগম, ফেরদৌসী ইসলাম, রামপ্রসাদ সরকার, সাঈদ আলী সরদার, মোঃ আজিজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, মোঃ কাজী মনিরুল ইসলাম, জামির হোসেন, আব্দুল হান্নান প্রমুখ। উপস্থিত ইউপি সচিবসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ প্রকল্প সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে ডিডিএলজির সামনে লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।
তদন্তকালে ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৩৭ লক্ষ টাকা এবং হাটের ১২ লক্ষ টাকার প্রকল্পের সকল ফাইল আমার নিকট থেকে চেয়ারম্যান সাহেবের নিকট নিয়ে নেন। যা তার নিজ হেফাজতে আছে।
বর্তমান সরকারের উর্দ্ধতন প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা কিভাবে ২০১৩ সালের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে যুক্ত বর্তমানে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও দূর্ণীতিবাজ চেয়ারম্যানের পক্ষে ভূমিকা গ্রহণ করায় স্থানীয় জনগণ ও সুধীমহলের মধ্যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মত তদন্তকর্মকর্তার ভূমিকা বতর্মন সরকারের রাজনৈতিক চেতনার প্রতিপক্ষ!উল্লেখ্য, সম্প্রতি লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে প্রকল্পের কাজ না করে ১২লক্ষ ১৫হাজার ৮৮৮ টাকা এবং হাট ইজারা থেকে পাওয়া ৩৭লক্ষ ২৮হাজার ৭২৩টাকা মোট ৪৯লক্ষ ৪৪হাজার ৬১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। এঘটনায় রোববার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম নাশকতা মামলায় পলাতক থাকায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে জরুরি সভার আহ্বান করেন। সভায় চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমের দুর্নীতি তুলে ধরেন ইউপি সদস্যরা।
তদন্ত কর্মকর্তা প্রথমে রাজি না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রমে আলিম চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির বিষয়টি প্রাধান্য পায় এবং সকল কাগজপত্র গহণপূর্বক জেলা প্রশাসকের নিকট বিষয়টি তুলে ধরবেন বলে উপস্থিত সদস্য ও জনগণকে আশ্বস্ত করে এলাক ত্যাগ করেন। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের অভিমত চেয়ারম্যানের দূর্ণীতির সহযোগী ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক লাবসা ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকলে তদন্ত নিরপেক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা কম।
-

পাইকগাছায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছায় মিড-ডে-মিল কর্মসূচির আওতায় শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সরল দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে খাবার পরিবেশন করেন মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জি,এম,এম, আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কাউন্সিলর গাজী আব্দুস সালাম, প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, আমজাদ আলী গাজী। বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক মুজিবর রহমান, ফাতেমা খাতুন, ছায়রা বেগম, আব্দুস সালাম, সমীরণ, খাবার প্রদানকারী অজিয়ার রহমান, পায়েল জামান, শিক্ষার্থী আসমা ও পলি খাতুন।