Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 379 of 398

Author: dakshinermashal

  • চুল ঝলমলে করে ডিমের কন্ডিশনার

    চুল ঝলমলে করে ডিমের কন্ডিশনার

    লাইফ স্টাইল ডেস্ক: সুন্দর ঝলমলে রেশমি চুল কে না চায়? কিন্তু দূষণ, প্রোটিনের অভাব আমাদের চুলকে নিস্তেজ ও ক্ষতিগ্রস্থ করে এবং চুলের বৃদ্ধিরোধ করে। চুলের প্রোটিনের অভাব দূর করার কার্যকরী উপাদান হলো ডিম। ডিমে থাকা প্রোটিন চুল মজবুত করে এবং চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডিম চুলের প্রাকৃতিক তেল বজায় রাখতে এবং আপনার চুলকে মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।

    ২টি ডিমের কুসুম এবং ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে সামান্য পানি মেশান। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘন্টা রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই কন্ডিশনারটি ব্যবহার করুন।
    মেয়নেজ এবং ডিম
    ২টি ডিম এবং ৪ টেবিল চামচ মেয়নেজ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটিতে ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগান। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই কন্ডিশনারটিও সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করুন।
    ডিম ও মধু
    একটি ডিমের কুসুম এবং ২ টেবিল চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানিতে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
    টকদই এবং ডিম
    একটি ডিমের সঙ্গে ১/৪ কাপ টক দই মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর নরমাল কন্ডিশনারের মতো একইভাবে এই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল ধোয়ার আগে ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
    ডিম এবং নারিকেল তেল
    ১টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল মিশিয়ে নিন। চাইলে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
    ভিনেগার এবং ডিম
    ২টি ডিমের কুসুমের সঙ্গে ৪ টেবিল চামচ ভিনেগার, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মেশান। মিশ্রণটি সপ্তাহে একবার চুলে লাগালে চুল হবে মসৃণ ও ঝলমলে।

    তথ্য: বোল্ডস্কাই

  • ১৮ মার্চ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত

    জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে কারাগারে আটক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ আগামী রবিবার (১৮ মার্চ) পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আপিল আবেদনের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

    একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলেছেন আদালত।

    বুধবার (১৪ মার্চ) উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

    আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

    এর আগে মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) চেম্বার আদালতে গেলে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।

    গত ১২ মার্চ (সোমবার) খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন। এরপর মঙ্গলবার ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক।

    প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখনও সেখানেই আছেন।

  • সুস্থতার জন্য টক দই প্রতিদিন

    সুস্থতার জন্য টক দই প্রতিদিন

    স্বাস্থ্য ডেস্ক: বসন্তের গরম হাওয়া এখন প্রকৃতিজুড়ে। এই গরম বাড়বে আরও। এ সময় সুস্থ থাকতে নিয়মিত টক দই খাওয়ার বিকল্প নেই। জেনে নিন টক দইয়ের উপকারিতা।

    শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় টক দই।
    টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম শক্তি ঠিক রাখে।
    টক দইয়ে থাকা ল্যাক্টিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন ক্যানসারের রোগীদের জন্য উপকারী।
    দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক ৷ তাই এটি পাকস্থলীর জ্বালাপোড়া কমায়।
    এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬, বি ফাইভ ও ভিটামিন বি ১২ রয়েছে। এগুলো সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।
    টক দই থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি পাওয়া যায় যা হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে
    কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়। যারা দুধ খেতে পারেন ন তারা টক দই দুধের বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন।
    এর আমিষ দুধের চেয়ে সহজে হজম হয়।
    টক দই রক্ত শোধন করে

    তথ্য: নিউজ এইটিন

  • বেড়েই চলেছে ডলারের দাম, আমদানি চাপ নাকি কারসাজি?

    বেড়েই চলেছে ডলারের দাম, আমদানি চাপ নাকি কারসাজি?

    ডেস্ক রিপোর্ট: দেশে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২২ দশমিক ১৪ শতাংশ রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। একইভাবে বাড়ছে রফতানি আয়ও। অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রফতানি আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভও রয়েছে ৩১ বিলিয়নের ওপরে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে ডলার সংকট হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবু টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়ছেই। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিন ডলার ছেড়েও বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্বাভাবিক করতে পারছে না। এ কারণে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে? তবে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণেও ডলারের দাম বাড়ছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, একবছরের কম সময়ে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান কমেছে প্রায় ৪ টাকা। ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ডলারের দাম ছিল ৮০ দশমিক ৬৬ টাকা; গত সোমবার (১২ মার্চ) সে ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৫ টাকায়। কোনও কোনও ব্যাংক বিদেশ গমনেচ্ছুদের কাছে নগদ ডলার বিক্রি করছে ৮৫ টাকারও বেশি দরে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা হলো, এখন কোনোভাবে ডলারের দাম ৮৩ টাকার বেশি রাখা যাবে না। এরপরও গত কয়েক মাস ধরে ডলারের মূল্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ভুল তথ্য দিয়েছে দুই ডজনেরও বেশি ব্যাংক।

    জানা গেছে, গত বছরের জুন থেকে দেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। বাজারে ডলার ছেড়েও সক্রিয় সিন্ডিকেটের কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এ কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার মান প্রতিনিয়ত কমছে। এমন পরিস্থিতিতেও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার অস্থিতিশীল করার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তেও দেখা গেছে, কিছু কিছু ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংককে ডলারের এক রকম দর দিচ্ছে, আর বাজারে গ্রাহকদের কাছে তার চেয়ে বেশি দরে বিক্রি করছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আমদানি ঋণপত্র নিষ্পত্তি করতে ব্যাংকগুলো ডলারের যে মূল্য ঘোষণা দিচ্ছে, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তার চেয়ে দুই টাকা পর্যন্ত বেশি রাখছে। এতে করে একদিকে বেড়ে গেছে আমদানি ব্যয়, অন্যদিকে ডলার সংকটে অস্থির হয়ে উঠেছে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ে কিছুটা সুবিধা পাওয়া গেলেও আমদানি খাতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

    এদিকে বৈদেশিক বাজারে কারসাজির অভিযোগে দুই দফায় ২৬টি ব্যাংককে শোকজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড পরিমাণ ডলার বাজারে ছাড়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ২০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

    এরপরও থামানো যাচ্ছে না ডলারের মূল্যবৃদ্ধি। এর আগে গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে কারসাজির অভিযোগে এবং বাজার অস্থিতিশীল করার দায়ে অভিযুক্ত ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে প্রথমে ১৭টি ব্যাংককে শোকজ করা হয়। পরে আরও ৯টি ব্যাংককে শোকজ করা হয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক দেবাশিস চক্রবর্ত্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক যথা সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে অথবা ডলার বিক্রির মধ্য দিয়ে বাজারকে সহনশীল করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।’ তিনি বলেন, ‘টাকার মূল্যমান ধরে রাখার কৌশল হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে প্রয়োজনীয় ডলার বেচা-কেনার মধ্য দিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখে।’ বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় বাজারের ওপর নজর রেখেছে বলেও জানান তিনি।

    এর আগে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৯ নভেম্বর জরুরি বৈঠক করেন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) নেতারা। বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আমদানি পর্যায়ে ডলারের দাম ৮৩ টাকার নিচে রাখতে ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো বাফেদা’র সিদ্ধান্তও মানছে না। এ কারণে সম্প্রতি আবারও বৈঠক করেছেন তারা। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্প্রতি এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ডলারের দর বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই এর শেষে আন্তব্যাংক ডলারের দর ছিল ৮০ দশমিক ৬৬ টাকা। এ বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে এই দর বেড়ে হয়েছে ৮২.৯০ টাকা। বর্তমান বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮৫ দশমিক ২৫ টাকায়। ডলারের বিপরীতে গত আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) টাকার মান কমেছে ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

    আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে কোনও ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় কিনা, এমন আশঙ্কা থেকে ডলার কিনে অনেকে বিদেশে অর্থ সরিয়ে ফেলছেন- এমন ধারণা রয়েছে অনেকের মধ্যে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশে অর্থ সরিয়ে নেওয়ার প্রবণতা থাকলেও আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত ডলারের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রো রেলসহ বেশকিছু বড় প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। এসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানিতে অনেক খরচ বাড়ছে। গত বছর বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশস্য আমদানি অনেক গুণ বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় রফতানি আয় না বাড়ায় ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে টাকার বিপরীতে ডলারের দর ক্রমাগত বাড়ছে।’

    বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ব্যয় বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে খাদ্য (চাল ও গম) আমদানি বেড়েছে ২১২ শতাংশ। শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশের মতো। জ্বালানি তেলের আমদানি বেড়েছে ২৮ শতাংশ এবং শিল্পের কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এ অর্থবছরের ছয় মাসেই ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বছর শেষে এই অঙ্ক ৬০ বিলিয়ন ডলার পার হতে পারে। আমদানি বাড়ার কিছু ক্ষেত্রে, যেমন বড় উন্নয়ন প্রকল্পের যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য উপকরণ বাবদ আমদানি বেড়েছে।

    বর্তমানে (৮ মার্চের হিসাব) বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে তিন হাজার ১৯৩ কোটি ডলারের বেশি বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। ডলারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এ অর্থবছরে এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর কাছে ২০০ কোটিরও বেশি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

  • না ফেরার দেশে চলে গেলেন পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং

    না ফেরার দেশে চলে গেলেন পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং

    ডেস্ক রিপোর্ট: খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আর নেই। ৭৬ বছরে বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন তিনি। স্টিফেন হকিংয়ের পরিবার তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। বুধবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যামব্রিজে তার নিজ বাস ভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হকিং।

    স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুর খবর জানিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে তার সন্তান লুসি রবার্ট ও টিম বলেন, প্রাণপ্রিয় বাবাকে হারিয়ে আমরা শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছি। তিনি ছিলেন একজন বড়মাপের বিজ্ঞানী ও অসাধারণ মানুষ। তার কাজ ও গ্রহণযোগ্যতা বহু বছর ধরে টিকে থাকবে। তার সাহস ও কাজ পৃথিবীর বহু মানুষকে উৎসাহিত করেছে। আমরা তাকে চিরকাল মনে রাখব।

    ব্ল্যাকহোল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে আসছিলেন স্টিফেন হকিং। এছাড়াও তিনি তার বিখ্যাত বই ‘এ ব্রিফ স্টোরি অব টাইম’ এর জন্য অমর হয়ে থাকবেন।

    স্টিফেন হকিংয়ের পুরো নাম স্টিভেন উইলিয়াম হকিং। তার জন্ম ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি। বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত ব্যক্তিত্ব তিনি। তাকে বিশ্বের সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

    হকিং ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপকের (স্যার আইজ্যাক নিউটনও একসময় এই পদে ছিলেন) দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালে ওই পদ থেকে অবসর নেন তিনি। এর পর তিনি ক্যামব্রিজের গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    মটর নিউরন রোগ এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লোরোসিস বা এএলএসে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে অচল ছিলেন তিনি। এ রোগে ক্রমাগতভাবে অচল হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর ধরে তিনি সাফল্যের সঙ্গে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন।

    পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের দুইটি অবদানের কথা সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত। প্রথম জীবনে সতীর্থ রজার পেনরাজের সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতায় সিংগুলারিটি সংক্রান্ত তত্ত্ব। হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাকহোল-এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে ব্ল্যাকহোল থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই বিকরণ এখন হকিং বিকিরণ নামে (অথবা কখনো কখনো বেকেনস্টাইন-হকিং বিকিরণ) অভিহিত।

    প্রায় ৪০ বছর ধরে হকিং তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের চর্চা করেছেন। লিখিত পুস্তক এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির থেকে হকিং একাডেমিক জগতে যথেষ্ট খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন।

  • কালিগঞ্জের তারালীতে কেরাম বোর্ডের আড়ালে চলছে রমরমা জুয়া

    তারালী প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে কেরাম বোর্ডের আড়ালে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। তারালি ইউনিয়ন ব্যাপি জালের মত বিস্তার করে আছে এ অবৈধ্য জুয়া।

    সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তারালী ইউনিয়নের তারালী রবি টাওয়ার সংলগ্ন সেট বাজার, ইঞ্জিন ভ্যান গ্যারেজ মোড়, পশ্চিম তেঁতুলিয়া ঝাউতলা মোড়, তেঁতুলিয়া মাঝের পাড়া মোড়, বরেয়া হাটখোলা মোড়, তেঁতুলিয়া বাজার, তারালী ব্রীজ সংলগ্ন জাফরপুর মোড়ে মুদি এবং চায়ের দোকান গুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেদারছে চলছে এ জুয়া খেলা।

    ২৯/৩০ পয়েন্টে ৮/১০ টাকা গেমে খেলা চলাকালিন একদম তাস খেলার আদলে ১শ টাকা থেকে শুরু করে, হাজার টাকায়ও চলে এ জুয়া। এ খেলায় একদিকে যেমন কেউ কেউ হেরে গিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে। তেমনি অন্যদিকে কেউ কেউ জিতে গিয়ে হাজার হাজার টাকা পকেটস্থ করছে। হার জিতের এ জূয়া খেলাটি বর্তমানে ইউনিয়ন ব্যাপী বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

    মূলত কোন প্রকার বাধা নিষেধ ছাড়াই এ খেলাটি পরিচালনা করে যাচ্ছে চা এবং মুদি দোকানদার নামধারী কিছু অসাধু ব্যক্তিরা। বলাই বাহুল্য যে, স্কুল কলেজ ফাঁকি দিয়ে দিন দিন এ জুয়া খেলায় ঝুঁকে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। এ খেলায় জড়িয়ে যুব সমাজ বিভিন্ন অপরাধমূলক কমকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক অভিভাবকরা এ প্রতিনিধিকে বলেন, অতিদ্রুত কেরাম বোর্ড নামের জুয়া খেলাটি বন্ধ করা উচিত। অন্যথায় আমাদের সন্তানদের জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। একজন জন প্রতিনিধি হিসাবে এজুয়া খেলাটি বন্ধে কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে ইউপি সদস্য কবির গাজী বলেন, আমার জানা নেই। তবে যারা খেলে তারা মূলত ৮/১০ টাকা গেমে খেলে এছাড়া কিছুই না। তবে যদি জুয়া খেলা হয় তাহলে আমি জুয়া বন্ধে পদক্ষেপ নেব।

    ৭ এবং ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য যথাক্রমে বাবলু আক্তার এবং শহিদুল ইসলাম বলেন, যদি কেরাম বোর্ড খেলার আড়ালে জুয়া খেলা চলে তাহলে অবশ্যই এটি বন্ধ করা হবে।

    কেরাম বোর্ডের আড়ালে জুয়ার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। তবে খুব শীঘ্রই এ জুয়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মাঈনউদ্দীন হাসান বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখছি।

    এমতাবস্থায় অতিদ্রুত কেরাম বোর্ডের আড়ালে চলমান এ জুয়া বন্ধের পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ করেছেন তারালী ইউনিয়নবাসী।

  • সাতক্ষীরার মাটি থেকে জঙ্গি সন্ত্রাসী ও মাদকের মূল শিকড় উপড়ে ফেলা হবে-পুলিশ সুপার

    সাতক্ষীরার মাটি থেকে জঙ্গি সন্ত্রাসী ও মাদকের মূল শিকড় উপড়ে ফেলা হবে-পুলিশ সুপার

    কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার মাটি থেকে জঙ্গী সন্ত্রাসী ও মাদকের মূল শিকড় উপড়ে ফেলা হবে। বাল্য বিবাহ, শিশু নির্যাতন ও ইভটিজিংকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। মঙ্গলবার বিকালে কলারোয়ার বামনখালী বাজারে জঙ্গী ও মাদক বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, মাদক এখন সমাজিক ব্যধ্যিতে পরিণত হয়েছে। এটা আমাদের যুব সমাজকে ধংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে সমগ্র দেশ একদিন মেধাশুণ্য হয়ে পড়বে। তাই প্রতিটি পরিবার থেকে মাদক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।

    পুলিশের উদ্যেশ্যে তিনি বলেন, কোন পুলিশ সদস্যকে মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে চাকরি ছেড়ে বাড়ি যেতে যেতে হবে। আইনের মাধ্যমে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ এটা কর্মদক্ষা দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।

    কর্মক্ষেত্রে সততার সাথে জনগনের আস্থা অর্জন করতে হবে। সেবামূলক মানসিকা নিয়ে মানুষের পাশে থাকতে হবে। হাত পেতে ঘুষ নেয়া সহ্য করা হবে না। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ। সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ।

    অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন সদর সার্কেল, কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসাদের কমান্ডার মো. গোলাম মোস্তফা, ১২ নং যুগীখালী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল হাসান, ১ নং জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দীন আল মাসুদ বাবু, চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, কলারোয়া পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা, কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রব প্রমুখ।

  • মিথ্যে মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

    মিথ্যে মামলায় হয়রানির প্রতিবাদে ছাত্রলীগ নেতার সংবাদ সম্মেলন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় মিথ্যে মামলা জড়িয়ে হয়রানি এবং মিথ্যে সংবাদ প্রকাশ করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।

    মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন আশাশুনির মো. আব্দুল আজিজের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির রাসেল।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ২০০৭ সালে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন পদে থেকে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে আমি ছাত্রলীগের আশাশুনি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি।

    উপজেলার নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে আমি এবার আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। একই সাথে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

    অথচ ২০১৩ সালসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে যাদের মাঠে দেখা যায়নি তারা উক্ত পদ দখলের জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ নেতাকর্মী আমার পক্ষে থাকায় তারা অসৎ উদ্দেশ্যে সফল করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

    দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে এবার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার তারা পরিকল্পিতভাবে আমাকে জামায়াত -শিবির বানানো চেষ্টা করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি যাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি না হতে পারি সে জন্য গত ২ মাস আগে ওই কুচক্রী মহলটি আমার পিতা আব্দুল আজিজকে একটি মিথ্যা নাশকতার মামলার আসামি করায়। অথচ আমার পিতা প্রায় ১২ বছর ধরে ঢাকার একটি কোম্পানি চাকুরি করেন।

    এই মিথ্যা মামলাকে পুজি করে ওই কুচক্রী মহলটি আমাকে জামায়াত-শিবির পরিবারের সদস্য বানিয়ে সম্পূর্ন মিথ্যো ও ভিত্তিহীন একটি সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, যারা আমাকে জামায়ত-শিবির বানানোর চেষ্টা করছেন প্রকৃতপক্ষে তারাই স্বাধীনতার বিরোধী পরিবারের সন্তান। তাদের পূর্ব পুরুষেরা ৭১’র পরাজিত শক্তি জামায়াত-শিবিরের সাথে জড়িত ছিলো।

    অনেকেরই বাবা, দাদাদের নাম যুদ্ধাপরাধীর তালিকা রয়েছে। আবার অনেকের বিরুদ্ধে জামায়াতের প্রার্থীকে সোনার দাঁড়ীপাল্লা উপহার দেওয়ারও দৃষ্টান্ত রয়েছে। তিনি তার নিজের ও পিতার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শাহজাহান আলী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সদর ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকী বাচচু, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম পিন্টু, মো. মুজিবর রহমান, মো. রবিউল ইসলাম নবু, মো. পলাশ, কামনাশীষ, মো. গোলাম মোস্তফা পারভেজসহ শতাধিক ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • টংরা-ভবানীপুর সীমান্তে মাদকদ্রব্যসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

    টংরা-ভবানীপুর সীমান্তে মাদকদ্রব্যসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদরের টেংরা-ভবানীপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ১২ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার বাঁশদহ ইউনিয়নের টেংরা ভবানীপুর সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয়।
    আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন, সদর উপজেলার সাতানী গ্রামের জহির উদ্দীনের ছেলে শহিদুল ইসলাম(৪৫) ও বাঁশদহ ইউনিয়নের টেংরা ভবানীপুর গ্রামের মুকুল গাজীর ছেলে মো. আলী হোসেন(২২)।
    পুলিশ জানায়, ভারত থেকে অবৈধ পথে মাদক এনে সাতক্ষীরা সীমান্তে বিক্রি করা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টহল দল ক্রেতা সেজে সদর উপজেলার টেংরা ভবানীপুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আলী হোসেন ও সাতানী এলাকার শহিদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় ১২ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
    জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আলী আহম্মেদ হাশেমী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।

  • শ্যামনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই কন্যা শিশুর মৃত্যু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরের পল্লীতে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই কন্যা শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা একে-অপরের চাচাতো বোন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্যাপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
    নিহত দুই শিশু, শ্যামনগর উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্যাপাড়া গ্রামের নজরুল সানার মেয়ে মরিয়ম আক্তার সুমাইায়া(৫) ও নুরুজ্জমান সানার মেয়ে শাহনাজ আক্তার মিষ্টি(৬)।
    নিহতদের স্বজনরা জানান, সকালে শিশু কন্যা সুমাইয়া ও মিষ্টি বাড়ির পাশে পুকুর ধারে খেলা করছিল। এ সময় অসাবধানতা বশতঃ তারা পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাদের স্বজনরা তাদের মরাদেহ ওই পুকুর থেকে উদ্ধার করে। এদিকে, একই সাথে আপন দুই চাচাচতো বোনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
    শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল মান্নান তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • ঘরোয়া উপায়েই দূর হোক সর্দি-কাশি

    ঘরোয়া উপায়েই দূর হোক সর্দি-কাশি

    স্বাস্থ্য ডেস্ক: কমবেশি সবাই বছরের কোনো না কোনো সময় সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ধূলাবালি, ঋতুর পরিবর্তন ঠান্ডা-গরমের তারতম্যের কারণে সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হন। সর্দি কাশি হলেই অনেকে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন বা কাছের কোনো ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে খাওয়া শুরু করে দেন। আপনি চাইলে ঘরোয়া উপাদানেই সর্দি কাশি সারতে পারেন।


    হলুদ ও দুধ:

    সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে হলুদের জুড়ি নেই। অনেক আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়ে থাকেন- এক গ্লাস দুধের সঙ্গে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার। প্রতিদিন অন্তত দুইবার এই হলুদ দুধের মিশ্রণটি খাওয়ার ফলে কফ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

    এছাড়া দুধ ফোটানোর সময় এতে এক কোয়া রসুন অথবা এক টুকরো আদা দিতে পারেন। সর্দিকাশিতে এটি বেশ উপকারী।

    হলুদে রয়েছে ভাইরাল, ব্যাকটেরিয়া, প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান। যা সর্দি কাশি দূর করতে বেশ কার‌্যকরী।

    মধু, মেথি ও দারুচিনি: ১/৪ চা চামচ মধু, ১/৪ চা চামচ মেথি গুঁড়া ও ১/৪ চা চামচ দারুচিনি পানিতে মিশিয়ে খান। প্রতিদিন সকালে ও বিকেলে খাওয়ার ফলে চমৎকার ফল পাবেন।
    মধুতে রয়েছে প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান। ২০০৭ সালে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সর্দি কাশিতে মধু ওষুধের চেয়েও বেশি কার‌্যকরী ভূমিকা রাখে।


    গোল মরিচ: সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপাদান হচ্ছে গোল মরিচ। সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে দেরি না করে বাড়িতে থাকা গোল মরিচের স্মরণাপন্ন হোন। ১/২ চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া ঘি’র সঙ্গে মিশিয়ে খান।

    বেদেনার জুস: ছোট শিশুদের সর্দি কাশিতে বেশ কার‌্যকরী। বাড়িতে কোনো শিশু সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে আধা কাপ বেদেনার রসের সঙ্গে এক টুকরো আদা গুড়ো করে এতে মিশিয়ে খাওয়ান। বেদেনা শ্লেষ্মা দূর করতে সাহায্য করে আর আদা শরীরকে দ্রুত উষ্ণতা দেয়। বেদেনাতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ এবং সি যা শরীরে রোগপ্রতিরোধ করে। আপনি চাইলে আদার পরিবর্তে গোল মরিচও ব্যবহার করতে পারেন।

    মসলাযুক্ত চা: ধোঁয়া উঠা মসলাযুক্ত গরম চা সর্দি কাশিতে বেশ উপকারী। এটি প্রাকৃতিক ঔষধি হিসেবে কাজ করে। চায়ের সঙ্গে আদা, দারুচিনি এমনকি গোলমরিচও মিশিয়ে খেতে পারেন। সর্দি কাশি দূর করতে বেশ কার‌্যকরী।

    জরুরি পরামর্শ : সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হলে সাধারণ রাতের বেলায় এর মাত্রা বেড়ে যায়। সাধারণ ঘুমানোর সময় মাথা তুলনামূলক নিচু থাকলে নাক দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ কারণে সর্দিতে আক্রান্ত হলে ঘুমানোর সময় মাথা যেন শরীর থেকে উচু অবস্থানে থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।

  • যে কারণে খাবেন কিশমিশ

    যে কারণে খাবেন কিশমিশ

    ডেস্ক রিপোর্ট: বিভিন্ন রকমের ডেজার্ট তৈরির সময়ই আমরা কিশমিশ বেশি ব্যবহার করে থাকি। এমনিতে কমই খাওয়া হয়। শুধু কিশমিশ খেলে দাঁতের ক্ষতি হয় এমন ধারণাও রয়েছে আমাদের মধ্যে। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

    ১. কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া রক্ত থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

    ২. এতে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে কার্যকরী। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া যায়।

    ৩. কিশমিশে খারাপ কোলেস্টেরল নেই। এছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।

    ৪. কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলির অতিরিক্ত অ্যাসিড দূর করতে সহায়তা করে।

    ৫. ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার পাওয়া যায়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী।

    ৬. কিশমিশে থাকা চিনি দাঁতের জন্য ক্ষতিকর এমন ধারণা অনেকেরই। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

    ৭. প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে। এছাড়া কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এতে শরীরে রক্তস্বল্পতা দূর করে।

  • স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে প্রয়োজন জঙ্গি-সাম্প্রদায়িকতার অবসান : ইনু

    স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে প্রয়োজন জঙ্গি-সাম্প্রদায়িকতার অবসান : ইনু

    ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণে সাফল্য আনতে জঙ্গি-সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও কুসংস্কারের অবসান ঘটাতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন দেশব্যাপী জনসচেতনতা ও সঠিক তথ্যের অবাধ প্রবাহ।’
    তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট সেমিনার হলে সচিবালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে গণযোগযোগ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা জেলা তথ্য অফিসারদের দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
    অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহার ও প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশ হতে হলে দারিদ্র্য, জঙ্গি, মাদক, সন্ত্রাস, নারীবিদ্বেষ, কুসংস্কার ও বেকারত্বকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে। আর এজন্য শেখ হাসিনার দশ উদ্যোগসহ সমাজ ও অর্থনীতিতে বিস্ময়কর সাফল্যের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে জনগণকে সচেতন করবেন তথ্য অফিসারেরা।’

  • গণমাধ্যম কর্মীরা সরাসরি পরামর্শ দিতে পারবে তথ্য অধিদপ্তরে : তথ্যমন্ত্রী

    গণমাধ্যম কর্মীরা সরাসরি পরামর্শ দিতে পারবে তথ্য অধিদপ্তরে : তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: গণমাধ্যম কর্মীদের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করতে তথ্য অধিদপ্তরে একটি মতামত বাক্স স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
    মঙ্গলবার অপরাহ্নে ঢাকায় সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে কাউন্সিলের অনুরোধে সভায় উপস্থিত প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহারকে এ নির্দেশ দেন তথ্যমন্ত্রী। কাউন্সিলের সভাপতি কে এম শহীদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সাহাদাৎ রানাসহ কার্যনির্বাহী পরিষদ সদস্যবৃন্দ সভায় অংশ নেন।
    কাউন্সিলের পক্ষ থেকে তাদের ‘সহ-সম্পাদক’ পদবীটি সাংবাদিক সংজ্ঞার আওতাভুক্ত থাকা নিশ্চিত করা, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও বিদেশ সফরে তাদের অন্তর্ভুক্তি এবং তাদেরসহ সকল গণমাধ্যম কর্মীর অভাব-অভিযোগ রাষ্ট্রের কাছে সরাসরি পৌঁছার দাবিগুলো যথাযথ বিবেচনার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

  • খালেদা জিয়া ও তার সঙ্গীদের বর্জন করুন: তথ্যমন্ত্রী

    খালেদা জিয়া ও তার সঙ্গীদের বর্জন করুন: তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, রাজাকারের মতো ঘৃনিত শত্রুদের বন্ধু খালেদা জিয়া ও তার সঙ্গীদের বর্জন করা নারী সাংবাদিকদের কর্তব্য।

    নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের ১৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত নারী সাংবাদিকদের এ আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।

    পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে রানী সাংবাদিকদের তথ্যমন্ত্রী বলেন, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে হবে অন্যথায় আপনারা সমাজের অগ্রগতি সাধনে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গি চক্রের বাধার সম্মুখিন হতে হবে। এ চারচক্র আপনাদের পদে পদে বাধা দেবে এবং সুযোগ পেলেই নির্যাতন করবে। সুতরাং এদের বর্জন করা আপনাদের কর্তব্য।

    নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভিন সুলতানা ঝুমা, সিনিয়র সাংবাদিক আকতার জাহান বানু প্রমুখ।

  • নেপালে বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত অন্তত ৫০

    নেপালে বাংলাদেশি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত অন্তত ৫০

    ডেস্ক রিপোর্ট: দুর্ঘটনার কবলে পড়ল ঢাকা থেকে নেপালের কাঠমান্ডুগামী ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের বিমান। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ৩.২০ মিনিটে কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় বোম্বাইডার ড্যাস কিউ৪০০ বিমানটি। টার্বোপ্রপ ইঞ্জিনচালিত এই বিমানটি রানওয়ের বদলে এয়ারপোর্টের একটি ফুটবল মাঠে দাঁড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় এখন প‌র্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ঘটে যায় দুর্ঘটনাটি। রানওয়েতে নামার বদলে বিমানটি বাইরে চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই আগুন লেগে যায় তাতে। এখনও পর্যন্ত ১৭জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিমানটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বিমানটিতে ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে ৪ জন চালক ও বিমানকর্মী।

    বিমানটি ভেঙে পড়তেই উদ্ধারকাজে নামে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার করা হয় ‌একাধিক ‌যাত্রীকে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

    ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকল। চেষ্টা চলছে আগুন নেভানোর। বিমানটি ১৭ বছরের পুরনো বলে জান গিয়েছে। তবে এখনও দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট নয়।

  • চীনে এক সপ্তাহে ১৩০ কোটি আয় করেছে ‘ভাইজান’

    চীনে এক সপ্তাহে ১৩০ কোটি আয় করেছে ‘ভাইজান’

    বিনোনদন ডেস্ক: সালমান খানের সুপার মুভি ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ চীনের বাজের ইতিমধ্যে প্রায় ১৩০ কোটি রুপির ব্যবসা করেছে। চীনের বাজারে ইতিমধ্যেই ছবিটি এক সপ্তাহ পার করেছে। পড়েছে দ্বিতীয় সপ্তাহে। হলিউড ছবি ‘ব্ল্যাক প্যানথার’-এর দৌর্দণ্ড দাপট সত্ত্বেও বেশ ভালোই ব্যবসা করছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান। ইতিমধ্যে এটি আয় করেছে ১২৮.৫১ কোটি রুপি।

    ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, বেশ ভালোই ব্যবসা করছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। শনিবার ও রবিবার এটি আরো ভালো ব্যবসা করবে। ‘ব্ল্যাক প্যানথার’-এর অবস্থান খুব ভালো। ওটা দুর্দান্ত। সালমানের ছবিটি সেরা ১০টি ছবির মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। আর সবার ওপরে স্বাভাবিকভাবেই ‘ব্ল্যাক প্যানথার’।

    আগামী ৪ এপ্রিল ইরফান খানের ছবি ‘হিন্দি মিডিয়াম’ চীনের বাজারে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। যদি দেওয়া হয় তবে এটা চীনের বাজারে এ বছর মুক্তি দেওয়া তৃতীয় ভারতীয় ছবি হবে। এ বছর প্রথমে আমির খানের ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ ও এর পর ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
    সূত্র : এনডিটিভি

  • টাইগার শ্রফ একজন ‘কমপ্লিট হিরো’

    টাইগার শ্রফ একজন ‘কমপ্লিট হিরো’

     

    বিনোদন ডেস্ক: টাইগার শ্রফ একজন পুরোদস্তুর নায়ক- এ কথা অন্য সবার মতো ‘বাঘি ২’ পরিচালক আহমেদ খানেরও। এ মাসেরই ৩০ তারিখ আসছে ‘বাঘি ২’। ছবিটির লঞ্চিং অনুষ্ঠান ও ডান্স রিয়েলিটি শো হাই-ফিভার এ সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি বলেন, একজন কোরিওগ্রাফার বলুন বা একজন পরিচালক- আমি টাইগারকে ইদানীং খুব কাছ থেকে দেখেছি। ওর সবচেয়ে বড় গুণ, ও সব সময় সব কাজের জন্য তৈরি।

    পরিচালক আহমেদ খান বলেন, ওকে যদি আপনি কোনো নাচের দৃশ্য করতে বলেন, ও তৈরি। আবার যদি বলেন কোনো অ্যাকশন দৃশ্য করতে- ও তা-ও তৈরি। ও সব সময় তৈরি- যেকোনো কাজের জন্য।

    তিনি আরো বলেন, নিজেকে কতটা প্রন্তুত করতে পেরেছেন টাইগার শ্রফ, তা নতুন ছবি ‘বাঘি ২’ দেখলে স্পষ্ট বুঝতে পারবেন টাইগার-ভক্তরা।

    আহমেদ খান বলেন, আমি আমার বা ছবির প্রয়োজনে যখন ওকে যা করতে বলেছি, ও না করেনি, পিছপা হয়নি। ও শুধু একজন অভিনেতা নয়, ও প্রকৃতপক্ষে একজন নায়কই- যে তার সব রকম রূপান্তরের জন্য সব সময় প্রস্তুত। সবকিছু মিলিয়ে টাইগার শ্রফ বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির দুর্দান্ত একটি নাম।