Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 377 of 398

Author: dakshinermashal

  • শহীদ

    শহীদ

    টিকিট কাটিনি, তবুও
    কার অপেক্ষায় জানি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন?

    সহজ অংকের বুকে বুলেট লাগলে সাইরেন থেমে যায়
    খুলে রাখি যুদ্ধের পোশাক
    ঝর্ণার জলে ধুয়ে নিই রক্তাক্ত বুক
    বেয়নেট খুলে নরম বিছানায় শুয়ে পড়ি।

    রেল লাইনের পাশে গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকে প্রেয়সী
    সান্ধ্য প্রদীপের সাথে গল্প সাজান মা
    ঘামে ভেজা চশমা নিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে
    রক্তে ভেজা নক্ষত্র চিনতে ভুল হয় বাবার।

  • মাৎস্যন্যায়

    মাৎস্যন্যায়

    কিছু বড় মাছেদের বিকট রক্ত চক্ষু
    কাছে এলেই নেমে আসে খড়্গ।

    কিছু সন্ন্যাসী মাছ বুকে ওম রেখে হাত বাড়ায়
    কিছু নকল ওম অবিকল আসলের মতো।

    আলো আঁধারের তরঙ্গ না জেনে
    সাঁতার শিখেছি আমি ছোট মাছ।

    কিছু ছোট মাছ বুক পেতে দেয় মধ্যস্রোতে
    আলিঙ্গনে ভুলে যাই চোরাবালি রাত।

  • বাংলা বানান নিয়ে কিছু কথা

    বাংলা বানান নিয়ে কিছু কথা

    ভাষার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখে তার শুদ্ধ চর্চার অন্যতম শর্ত হলো সে ভাষার বিশুদ্ধ বানানরীতি নিশ্চিতকরণ এবং তার ব্যবহারে সচেতন হওয়া। পৃথিবীর কোনো ভাষাই বিশৃঙ্খলতার ভেতর দিয়ে এগিয়ে যেতে পারেনি আর পারবেও না। যে ভাষার ব্যাকরণগত নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই সে ভাষা টিকে থাকতে পারে না। আবার একথাও মনে রাখা দরকার নদী যেমন চলার পথে বাঁকে বাঁকে তার ভা-ার থেকে অনেক কিছু ফেলে যায়। আবার কখনো সখনো নতুনকে গ্রহণ করে। তেমনি গতিশীল ভাষা চলার পথে অনেক কিছু ফেলে যায় আবার সময়ের প্রয়োজনে অনেক নতুনকে সাদরে গ্রহণ করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভাষার পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সেটা যদি সঙ্গত কারণে এবং যৌক্তিকতার সাথে আসে তবে সে পরিবর্তনকে মেনে নেয়া প্রত্যেকের কর্তব্য।
    বাংলা ভাষার বানান নিয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন কথা উঠলেও আমি মনে করি বাংলা একাডেমি প্রমিত বানানের যে নিয়ম করে দিয়েছে তা আমাদের অনুসরণ করা কর্তব্য। যাতে ব্যাকরণসিদ্ধ পূর্বের নিয়মকে বলবৎ করা হয়েছে। আবার যে সব বানান দুই রকমভাবে প্রচলিত আছে বিভ্রান্তি এড়াবার জন্য সে সব বানান একটা রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে বানানের যাতে কোনো বিভ্রাট না ঘটে সেজন্য বিকল্পহীন বানানরীতি করেছে বাংলা একাডেমি।
    কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলা একাডেমির বানানরীতি যাদের সর্বাগ্রে অনুসরণ করার কথা সেই সব সরকারি দফতর তোয়াক্কা করছে না প্রমিত বানানে। আর কেনোই বা করবে ভুল বানানের জন্য সেসব দফতরের কর্তাদের তো আর কৈফিয়ত দিতে হয় না। অন্যদিকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান নিয়ে চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। যে যার ইচ্ছে মতো বানান লিখছেন। এ বিষয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। নব্বইয়ের দশকেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতায় তিনটা ভুল বানানের জন্য এক নম্বর কাটা হতো, কিন্তু এখন বানানের জন্য কোনো নম্বর কাটা হয় না। ফলে শুরু থেকে তারা বানানের প্রতি উদাসিন অবস্থায় বেড়ে উঠছে। যা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে উদ্বেগজনক। চলতি পথে পোস্টার ব্যানার এর কথা নাইবা বললাম।
    আবার এসবের বাইরেও বাংলা বানানের নিয়ম না জানার কারণে অনেকে শুদ্ধ বানান লিখতে চাইলেও পারেন না। তাদের ক্ষেত্রে বলবো যদি একটু কষ্ট করে আমরা বাংলা একাডেমি প্রণিত বাংলা বানানের নিয়ম জেনে শুদ্ধ বানান লিখতে অভ্যস্ত হই তাতে আমাদেরই ভাষার ব্যবহার শুদ্ধ হবে।
    বাংলা একাডেমির নিয়মানুযায়ী আমরা যদি সামান্য কিছু সরল ব্যাকরণিক সূত্র মনে রাখতে পারি তবে কখনোই বানানে ভুল হবে না। আসুন বাংলা একাডেমির সে সূত্রগুলো নিয়ে এবার কথা বলি।
    ই, ঈ, উ, ঊ এবং এদের কার চিহ্নের ব্যবহার ঃ বাংলা বানানে যেসব শব্দে দুটোরই ব্যবহার আছে সেসব শব্দে দীর্ঘ বাদ দিয়ে হ্রাস্য লিখতে হবে। অর্থাৎ ই,উ এবং তাদের কার চিহ্ন ি ু লিখতে হবে। সকল অতৎসম শব্দ অর্থাৎ তৎভব, দেশি, বিদেশি শব্দে ঈ, ঊ না হয়ে ই, উ এবং তাদের কারচিহ্ন ি ু হবে।
    এই নিয়মে ‘ইদ’ ‘ইদগাহ’ ইমান’ ‘ঈ’ দিয়ে লেখা যাবে না। যদিও বহুল প্রচলিত তবুও আমাদের বানানরীতিতে তা ভুল। আর এই ভুলটা দীর্ঘদিন প্রচলেনের কারণে শুদ্ধটা কেউ মেনে নিতে চাইছেন না। যদিও ভাষার ক্ষেত্রে কোনো ভুল বানান দীর্ঘদিন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত থাকে তবে ওই ভুলটাই ভাষা গ্রহণ করে শুদ্ধতার মর্যাদা দেয়। যেহেতু বাংলা একাডেমির নির্দিষ্ট একটি নিয়মে ‘ঈদ’ ফারসি শব্দ হবার কারণে ‘ইদ’ হবে সেহেতু আমরা সঙ্গত বানানটার চর্চা শুরু করতে পারি। সে ক্ষেত্রে দৈনিক পত্রিকাগুলোকে বেশি ভূমিকা রাখা দরকার বলে আমি মনে করি।
    ‘কি’ এবং ‘কী’ এর ব্যবহার পূর্বনির্ধারিত। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য এ শব্দটা অহরহ ভুল করে থাকেন অনেকে। এখানে যা মনে রাখতে হবে তা হলো সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া বিশেষণ ও যোজক পদ রূপে কী শব্দটা ‘ঈ’ কার হবে। অন্য ক্ষেত্রে অব্যয়রূপে আসলে সেখানে ই কার হবে। যেমন- ‘তুমি কী সুন্দর!, ‘তুমি কি সুন্দর ?’ মনে রাখার জন্য আরো সহজ উপায় হলো যে ‘কি’ এর জবাব ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ হবে সে ‘কি’ তে ‘ই-কার হবে। আর যেখানে কোনো প্রশ্ন বা জবাবের বিষয় থাকবে না সেখানে ঈ-কার হবে। অনুরূপ অতৎসম শব্দের সাথে যদি ‘আলী’ প্রত্যয় যুক্ত হয় তবে তা হ্রাস ই-কার ি হবে। যেমন-সোনালি, রূপালি। পদাশ্রিত নির্দেশকটি ই-কার ি হবে যেমন-লোকটি, কলমটি।
    উচ্চারণের নিয়মানুযায়ী ‘অ’ যখন ‘ও’ হয়ে যায় তখন ওই শব্দে ও-কার লেখা যাবে। যেমন- কোনো।
    রেফের এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব কখনোই হবে না। এখানে মনে রাখা দরকার দ্বিত্বব্যঞ্জনবর্ণের একটি ব্যঞ্জন লুপ্ত হয়ে পূর্বের ব্যঞ্জনবর্ণে রেফের রূপ ধারণ করেছে। যেমন ‘কাত্তিক’ শব্দটি ‘কার্তিক’ লিখতে হবে। কিন্তু ‘কার্ত্তিক’ লেখা যাবে না। সন্ধির ক্ষেত্রে ক- বর্গ যদি পরে থাকে অর্থাৎ ক, খ, গ, ঘ এ চারটি বর্ণ পরে থাকলে তৎসম শব্দে পূর্বের ‘ম’ এর স্থলে ‘ং’ (অনুস্বর) লিখতে হবে। যেমন সম+গীত=সংগীত। কিন্তু দুঃখের বিষয় সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সেটি ভুল করে থাকে। সন্ধিবদ্ধ না হলে ‘ঙ’ লিখতে হবে। যেমন-শঙ্কা, ব্যাঙ্ক, অঙ্ক। এক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাংলাদেশের সংবিধানে অনুস্বর ‘ং’ দিয়ে লেখা আছে সে জন্যে নিয়ম ছাড়ায় ‘বাংলাদেশ’ লিখতে হবে। তৎসম শব্দে মূল শব্দের সাথে যদি ‘ইন’ প্রত্যয়ান্তে ঈ- কার ‘ ী ’ হয় এবং সেটি সমাসবদ্ধ হলে ই- কার ‘ ি ’ লিখতে হবে। তবে সমাসবদ্ধ ছাড়া দীর্ঘ ঈ-কার ‘ ী’ থাকবে। যেমন গুণী- গুণিজন, প্রাণী- প্রাণিসম্পদ। আবার একই শব্দে যদি ‘ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয় সেক্ষেত্রেও হ্রস্ব ই-কার হবে। যেমন-মন্ত্রী-মন্ত্রিত্ব, প্রতিযোগী- প্রতিযোগিতা। শব্দের শেষে কোনো অবস্থাতে বিসর্গ ঃ থাকবে না।
    মূর্ধন্য ‘ণ’ এবং দন্ত্যন ‘ন’-এর ক্ষেত্রে তৎসম বানানে ব্যাকরণসিদ্ধ পূর্বের সকল নিয়ম বলবৎ থাকবে। সেখানে ণ- ত্ব বিধান ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ র, ঋ, ষ এর পরে মধূর্ন্য ‘ণ’ লিখতে হবে। ট-বর্গের সাথে ‘ন’ যুক্ত হলে তা মর্ধূন্য হবে। যেমন-কণ্ঠ, ঘণ্টা। আর অতৎসম শব্দের বানানে অর্থাৎ তৎভব, দেশি, বিদেশি শব্দে কখনোই মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে না। সেখানে সর্বদায় দন্ত্যন লিখতে হবে। তবে অতৎসম শব্দে ট-বর্গের সাথে যদি ‘ন’ যুক্ত হয় তবে তাও দন্ত্যন লিখতে হবে।
    শ, ষ, স এ তিনটি বর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে বিদেশি শব্দে কখনোই মূর্ধন্য- ষ লেখা যাবে না। যদি ইংরেজি শব্দে ঐঝ হয় এবং আরবি শব্দে ‘শিন’ হয় তবে তালব্য ‘শ’ লিখতে হবে। অন্য সব ক্ষেত্রে দন্ত্যস লিখতে হবে।
    এবার আসা যাক কোন শব্দ একসাথে লিখতে হবে কোন শব্দ একসাথে লেখা যাবে না। যে সব শব্দ সমাসবদ্ধ তা একসাথে লিখতে হবে। যেমন-উদ্বেগজনক। বিশেষণ পদ সাধারণত পরবর্তী পদের সাথে যুক্ত হবে না। যেমন- শুভ সকাল।
    না বাচক ‘না’ শব্দের পরে সম্পূর্ণ আলাদা পদ হিসেবে বসবে। আবার না বাচক ‘নি’ সমাসবদ্ধ হিসেবে আসলে পূর্বপদের সাথে যুক্ত হবে। এছাড়াও পূর্বে না বাচক উপসর্গ উত্তর পদের সাথে যুক্ত থাকবে। যেমন ‘জানি না, বলা হয়নি, নাবালক। অধিকন্তু অর্থে ‘ও’ প্রত্যয় শব্দের সাথে কার চিহ্ন রূপে না বসে পূর্ণ বর্ণ লিখতে হবে। যেমন- আজও। নিশ্চয়ার্থক ‘ই’ শব্দের কার চিহ্ন যুক্ত না হয়ে পূর্ণ বর্ণ লিখতে হবে। যেমন- অবশ্যই।
    ক্রিয়া পদে হ্রস্ব ই এবং অন্তস্থো ‘য়’ এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে বাক্যে কর্তা যদি উত্তম পুরুষ হয় তবে ক্রিয়া পদে হ্রস্ব ই হবে। আর কর্তা যদি নাম পুরুষ হয় তবে অন্তস্থো ‘য়’ হবে। যেমন ‘আমি দেখতে চাই’। বাক্যে ‘আমি’ উত্তম পুরুষ তাই ক্রয়াপদ ‘চাই’ তে হ্রস্ব ই হয়েছে। আবার ‘সে’ আমাকে দেখতে চায় বাক্যে ‘সে’ নাম পুরুষ হওয়াতে ক্রিয়াপদ ‘চায়’ তে অন্তস্থো ‘য়’ হয়েছে।
    এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে অসচেতনতার কারণে আমরা বিশেষণ এর সাথে ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত করে বিশেষণ করার চেষ্টা করি। যা ভুল। শুধুমাত্র বিশেষ্য পদের সাথে ‘তা’ প্রত্যয়যুক্ত করে বিশেষণ করা যেতে পারে। যেমন ‘দারিদ্র্য’ শব্দটি বিশেষণ। তার সাথে ‘তা’ প্রত্যয়যুক্ত করে ‘দারিদ্র্যতা’ লেখার কোনো প্রয়োজন নেই। সেটা হবে সম্পূর্ণ ভুল। যদি লিখতে হয় তবে এর বিশেষ্য ‘দরিদ্র’ শব্দের সাথে ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত করে দরিদ্রতা লিখতে হবে। অনুরূপ ‘দৈন্য’ এর সাথে তা প্রত্যয় যুক্ত করা যাবে না। করতে হবে ‘দীন’ এর সাথে ‘দীনতা’।
    এ সব ছাড়াও অনেক শব্দ বানানের কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। আর সে ভুলগুলো অনেক গুণিমানুষও করে থাকেন। যেমন-‘পাশ’ শব্দের অর্থ পার্শ্ব এবং ‘পাস’ শব্দের অর্থ উত্তীর্ণ। ‘মানসিক’ অর্থ মনসংক্রান্ত আবার ‘মানুষিক’ অর্থ মানুষ দ্বারা। এখন মানসিক নির্যাতন আর মানুষিক নির্যাতন এর পার্থক্য আমরা স্পষ্ট হতে পারি। চন্দ্রবিন্দু’র কারণে অর্থ পরিবর্তন হয় যেসব শব্দ তার মধ্যে কয়েকটি হলো- ফোটা (প্রস্ফুটিত), আঁধার (অন্ধকার), আধার (খাদ্য, পাত্র), আশ (আকাক্সক্ষা, আঁশ (তন্তু), কাটা (কর্তন), কাঁটা (কণ্টক) এভাবে অনেক শব্দ আছে যার সঠিক ব্যবহারে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি।
    মনে রাখতে হবে আলোচিত সকল নিয়মের বাইরে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের নামে যে বানান লেখেন সে ক্ষেত্রে সেই বানানই লিখতে হবে।

    তথ্য সূত্র:
    ১) বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানোর নিয়ম
    ২) বানান বোধনী
    ৩) বাংলা ব্যাকরণের মূল পাঠ।
    ভাষার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখে তার শুদ্ধ চর্চার অন্যতম শর্ত হলো সে ভাষার বিশুদ্ধ বানানরীতি নিশ্চিতকরণ এবং তার ব্যবহারে সচেতন হওয়া। পৃথিবীর কোনো ভাষাই বিশৃঙ্খলতার ভেতর দিয়ে এগিয়ে যেতে পারেনি আর পারবেও না। যে ভাষার ব্যাকরণগত নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই সে ভাষা টিকে থাকতে পারে না। আবার একথাও মনে রাখা দরকার নদী যেমন চলার পথে বাঁকে বাঁকে তার ভা-ার থেকে অনেক কিছু ফেলে যায়। আবার কখনো সখনো নতুনকে গ্রহণ করে। তেমনি গতিশীল ভাষা চলার পথে অনেক কিছু ফেলে যায় আবার সময়ের প্রয়োজনে অনেক নতুনকে সাদরে গ্রহণ করে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ভাষার পরিবর্তন আসতে পারে। তবে সেটা যদি সঙ্গত কারণে এবং যৌক্তিকতার সাথে আসে তবে সে পরিবর্তনকে মেনে নেয়া প্রত্যেকের কর্তব্য।
    বাংলা ভাষার বানান নিয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন কথা উঠলেও আমি মনে করি বাংলা একাডেমি প্রমিত বানানের যে নিয়ম করে দিয়েছে তা আমাদের অনুসরণ করা কর্তব্য। যাতে ব্যাকরণসিদ্ধ পূর্বের নিয়মকে বলবৎ করা হয়েছে। আবার যে সব বানান দুই রকমভাবে প্রচলিত আছে বিভ্রান্তি এড়াবার জন্য সে সব বানান একটা রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে বানানের যাতে কোনো বিভ্রাট না ঘটে সেজন্য বিকল্পহীন বানানরীতি করেছে বাংলা একাডেমি।
    কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলা একাডেমির বানানরীতি যাদের সর্বাগ্রে অনুসরণ করার কথা সেই সব সরকারি দফতর তোয়াক্কা করছে না প্রমিত বানানে। আর কেনোই বা করবে ভুল বানানের জন্য সেসব দফতরের কর্তাদের তো আর কৈফিয়ত দিতে হয় না। অন্যদিকে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা বানান নিয়ে চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। যে যার ইচ্ছে মতো বানান লিখছেন। এ বিষয়ে কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই। নব্বইয়ের দশকেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতায় তিনটা ভুল বানানের জন্য এক নম্বর কাটা হতো, কিন্তু এখন বানানের জন্য কোনো নম্বর কাটা হয় না। ফলে শুরু থেকে তারা বানানের প্রতি উদাসিন অবস্থায় বেড়ে উঠছে। যা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে উদ্বেগজনক। চলতি পথে পোস্টার ব্যানার এর কথা নাইবা বললাম।
    আবার এসবের বাইরেও বাংলা বানানের নিয়ম না জানার কারণে অনেকে শুদ্ধ বানান লিখতে চাইলেও পারেন না। তাদের ক্ষেত্রে বলবো যদি একটু কষ্ট করে আমরা বাংলা একাডেমি প্রণিত বাংলা বানানের নিয়ম জেনে শুদ্ধ বানান লিখতে অভ্যস্ত হই তাতে আমাদেরই ভাষার ব্যবহার শুদ্ধ হবে।
    বাংলা একাডেমির নিয়মানুযায়ী আমরা যদি সামান্য কিছু সরল ব্যাকরণিক সূত্র মনে রাখতে পারি তবে কখনোই বানানে ভুল হবে না। আসুন বাংলা একাডেমির সে সূত্রগুলো নিয়ে এবার কথা বলি।
    ই, ঈ, উ, ঊ এবং এদের কার চিহ্নের ব্যবহার ঃ বাংলা বানানে যেসব শব্দে দুটোরই ব্যবহার আছে সেসব শব্দে দীর্ঘ বাদ দিয়ে হ্রাস্য লিখতে হবে। অর্থাৎ ই,উ এবং তাদের কার চিহ্ন ি ু লিখতে হবে। সকল অতৎসম শব্দ অর্থাৎ তৎভব, দেশি, বিদেশি শব্দে ঈ, ঊ না হয়ে ই, উ এবং তাদের কারচিহ্ন ি ু হবে।
    এই নিয়মে ‘ইদ’ ‘ইদগাহ’ ইমান’ ‘ঈ’ দিয়ে লেখা যাবে না। যদিও বহুল প্রচলিত তবুও আমাদের বানানরীতিতে তা ভুল। আর এই ভুলটা দীর্ঘদিন প্রচলেনের কারণে শুদ্ধটা কেউ মেনে নিতে চাইছেন না। যদিও ভাষার ক্ষেত্রে কোনো ভুল বানান দীর্ঘদিন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত থাকে তবে ওই ভুলটাই ভাষা গ্রহণ করে শুদ্ধতার মর্যাদা দেয়। যেহেতু বাংলা একাডেমির নির্দিষ্ট একটি নিয়মে ‘ঈদ’ ফারসি শব্দ হবার কারণে ‘ইদ’ হবে সেহেতু আমরা সঙ্গত বানানটার চর্চা শুরু করতে পারি। সে ক্ষেত্রে দৈনিক পত্রিকাগুলোকে বেশি ভূমিকা রাখা দরকার বলে আমি মনে করি।
    ‘কি’ এবং ‘কী’ এর ব্যবহার পূর্বনির্ধারিত। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য এ শব্দটা অহরহ ভুল করে থাকেন অনেকে। এখানে যা মনে রাখতে হবে তা হলো সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া বিশেষণ ও যোজক পদ রূপে কী শব্দটা ‘ঈ’ কার হবে। অন্য ক্ষেত্রে অব্যয়রূপে আসলে সেখানে ই কার হবে। যেমন- ‘তুমি কী সুন্দর!, ‘তুমি কি সুন্দর ?’ মনে রাখার জন্য আরো সহজ উপায় হলো যে ‘কি’ এর জবাব ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ হবে সে ‘কি’ তে ‘ই-কার হবে। আর যেখানে কোনো প্রশ্ন বা জবাবের বিষয় থাকবে না সেখানে ঈ-কার হবে। অনুরূপ অতৎসম শব্দের সাথে যদি ‘আলী’ প্রত্যয় যুক্ত হয় তবে তা হ্রাস ই-কার ি হবে। যেমন-সোনালি, রূপালি। পদাশ্রিত নির্দেশকটি ই-কার ি হবে যেমন-লোকটি, কলমটি।
    উচ্চারণের নিয়মানুযায়ী ‘অ’ যখন ‘ও’ হয়ে যায় তখন ওই শব্দে ও-কার লেখা যাবে। যেমন- কোনো।
    রেফের এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব কখনোই হবে না। এখানে মনে রাখা দরকার দ্বিত্বব্যঞ্জনবর্ণের একটি ব্যঞ্জন লুপ্ত হয়ে পূর্বের ব্যঞ্জনবর্ণে রেফের রূপ ধারণ করেছে। যেমন ‘কাত্তিক’ শব্দটি ‘কার্তিক’ লিখতে হবে। কিন্তু ‘কার্ত্তিক’ লেখা যাবে না। সন্ধির ক্ষেত্রে ক- বর্গ যদি পরে থাকে অর্থাৎ ক, খ, গ, ঘ এ চারটি বর্ণ পরে থাকলে তৎসম শব্দে পূর্বের ‘ম’ এর স্থলে ‘ং’ (অনুস্বর) লিখতে হবে। যেমন সম+গীত=সংগীত। কিন্তু দুঃখের বিষয় সংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সেটি ভুল করে থাকে। সন্ধিবদ্ধ না হলে ‘ঙ’ লিখতে হবে। যেমন-শঙ্কা, ব্যাঙ্ক, অঙ্ক। এক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি বাংলাদেশের সংবিধানে অনুস্বর ‘ং’ দিয়ে লেখা আছে সে জন্যে নিয়ম ছাড়ায় ‘বাংলাদেশ’ লিখতে হবে। তৎসম শব্দে মূল শব্দের সাথে যদি ‘ইন’ প্রত্যয়ান্তে ঈ- কার ‘ ী ’ হয় এবং সেটি সমাসবদ্ধ হলে ই- কার ‘ ি ’ লিখতে হবে। তবে সমাসবদ্ধ ছাড়া দীর্ঘ ঈ-কার ‘ ী’ থাকবে। যেমন গুণী- গুণিজন, প্রাণী- প্রাণিসম্পদ। আবার একই শব্দে যদি ‘ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয় সেক্ষেত্রেও হ্রস্ব ই-কার হবে। যেমন-মন্ত্রী-মন্ত্রিত্ব, প্রতিযোগী- প্রতিযোগিতা। শব্দের শেষে কোনো অবস্থাতে বিসর্গ ঃ থাকবে না।
    মূর্ধন্য ‘ণ’ এবং দন্ত্যন ‘ন’-এর ক্ষেত্রে তৎসম বানানে ব্যাকরণসিদ্ধ পূর্বের সকল নিয়ম বলবৎ থাকবে। সেখানে ণ- ত্ব বিধান ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ র, ঋ, ষ এর পরে মধূর্ন্য ‘ণ’ লিখতে হবে। ট-বর্গের সাথে ‘ন’ যুক্ত হলে তা মর্ধূন্য হবে। যেমন-কণ্ঠ, ঘণ্টা। আর অতৎসম শব্দের বানানে অর্থাৎ তৎভব, দেশি, বিদেশি শব্দে কখনোই মূর্ধন্য ‘ণ’ হবে না। সেখানে সর্বদায় দন্ত্যন লিখতে হবে। তবে অতৎসম শব্দে ট-বর্গের সাথে যদি ‘ন’ যুক্ত হয় তবে তাও দন্ত্যন লিখতে হবে।
    শ, ষ, স এ তিনটি বর্ণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে বিদেশি শব্দে কখনোই মূর্ধন্য- ষ লেখা যাবে না। যদি ইংরেজি শব্দে ঐঝ হয় এবং আরবি শব্দে ‘শিন’ হয় তবে তালব্য ‘শ’ লিখতে হবে। অন্য সব ক্ষেত্রে দন্ত্যস লিখতে হবে।
    এবার আসা যাক কোন শব্দ একসাথে লিখতে হবে কোন শব্দ একসাথে লেখা যাবে না। যে সব শব্দ সমাসবদ্ধ তা একসাথে লিখতে হবে। যেমন-উদ্বেগজনক। বিশেষণ পদ সাধারণত পরবর্তী পদের সাথে যুক্ত হবে না। যেমন- শুভ সকাল।
    না বাচক ‘না’ শব্দের পরে সম্পূর্ণ আলাদা পদ হিসেবে বসবে। আবার না বাচক ‘নি’ সমাসবদ্ধ হিসেবে আসলে পূর্বপদের সাথে যুক্ত হবে। এছাড়াও পূর্বে না বাচক উপসর্গ উত্তর পদের সাথে যুক্ত থাকবে। যেমন ‘জানি না, বলা হয়নি, নাবালক। অধিকন্তু অর্থে ‘ও’ প্রত্যয় শব্দের সাথে কার চিহ্ন রূপে না বসে পূর্ণ বর্ণ লিখতে হবে। যেমন- আজও। নিশ্চয়ার্থক ‘ই’ শব্দের কার চিহ্ন যুক্ত না হয়ে পূর্ণ বর্ণ লিখতে হবে। যেমন- অবশ্যই।
    ক্রিয়া পদে হ্রস্ব ই এবং অন্তস্থো ‘য়’ এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে বাক্যে কর্তা যদি উত্তম পুরুষ হয় তবে ক্রিয়া পদে হ্রস্ব ই হবে। আর কর্তা যদি নাম পুরুষ হয় তবে অন্তস্থো ‘য়’ হবে। যেমন ‘আমি দেখতে চাই’। বাক্যে ‘আমি’ উত্তম পুরুষ তাই ক্রয়াপদ ‘চাই’ তে হ্রস্ব ই হয়েছে। আবার ‘সে’ আমাকে দেখতে চায় বাক্যে ‘সে’ নাম পুরুষ হওয়াতে ক্রিয়াপদ ‘চায়’ তে অন্তস্থো ‘য়’ হয়েছে।
    এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে অসচেতনতার কারণে আমরা বিশেষণ এর সাথে ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত করে বিশেষণ করার চেষ্টা করি। যা ভুল। শুধুমাত্র বিশেষ্য পদের সাথে ‘তা’ প্রত্যয়যুক্ত করে বিশেষণ করা যেতে পারে। যেমন ‘দারিদ্র্য’ শব্দটি বিশেষণ। তার সাথে ‘তা’ প্রত্যয়যুক্ত করে ‘দারিদ্র্যতা’ লেখার কোনো প্রয়োজন নেই। সেটা হবে সম্পূর্ণ ভুল। যদি লিখতে হয় তবে এর বিশেষ্য ‘দরিদ্র’ শব্দের সাথে ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত করে দরিদ্রতা লিখতে হবে। অনুরূপ ‘দৈন্য’ এর সাথে তা প্রত্যয় যুক্ত করা যাবে না। করতে হবে ‘দীন’ এর সাথে ‘দীনতা’।
    এ সব ছাড়াও অনেক শব্দ বানানের কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়। আর সে ভুলগুলো অনেক গুণিমানুষও করে থাকেন। যেমন-‘পাশ’ শব্দের অর্থ পার্শ্ব এবং ‘পাস’ শব্দের অর্থ উত্তীর্ণ। ‘মানসিক’ অর্থ মনসংক্রান্ত আবার ‘মানুষিক’ অর্থ মানুষ দ্বারা। এখন মানসিক নির্যাতন আর মানুষিক নির্যাতন এর পার্থক্য আমরা স্পষ্ট হতে পারি। চন্দ্রবিন্দু’র কারণে অর্থ পরিবর্তন হয় যেসব শব্দ তার মধ্যে কয়েকটি হলো- ফোটা (প্রস্ফুটিত), আঁধার (অন্ধকার), আধার (খাদ্য, পাত্র), আশ (আকাক্সক্ষা, আঁশ (তন্তু), কাটা (কর্তন), কাঁটা (কণ্টক) এভাবে অনেক শব্দ আছে যার সঠিক ব্যবহারে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি।
    মনে রাখতে হবে আলোচিত সকল নিয়মের বাইরে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের নামে যে বানান লেখেন সে ক্ষেত্রে সেই বানানই লিখতে হবে।

    তথ্য সূত্র:
    ১) বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানোর নিয়ম
    ২) বানান বোধনী
    ৩) বাংলা ব্যাকরণের মূল পাঠ।

  • পাটকেলঘাটায় গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন

    পাটকেলঘাটায় গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন

    পাটকেলঘাটা প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা থানা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় পাটকেলঘাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে হল রুমে থানা গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির ডাঃ এস এম হাদিউজ্জামানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ডাঃ মাহবুবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আশরাফ উদ্দীন, দপ্তর সম্পাদক ডাঃ অপূর্ব মজুমদার। এসময় ডাঃ এস এম হাদিউজ্জামান কে আহবায়ক, ডাঃ শংকর কুমার দাশ কে সদস্য সচিব ও ডাঃ মুজাহিদুল ইসলাম,ডাঃ আলাউদ্দীন, ডাঃ আঃ করিম সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষনা করা হয়। অপর দিকে দ্রুতই ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি দিয়ে পূর্ণাঙ্গ থানা কমিটি ঘোষনা করা হবে বলে জানান। গত মাসে বাংলাদেশে সকল জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায়ের গ্রাম ডাক্তার কল্যাণ সমিতির সকল কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।

  • উন্নত চুলা ও জ্বালানী মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

    উন্নত চুলা ও জ্বালানী মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ

    শহর প্রতিনিধি: “উন্নত চুলা উন্নত জীবন” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩দিনব্যাপি উন্নত চুলা ও জ্বালানী মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা শহিদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসন ও ভূমিষ্ঠ এর যৌথ আয়োজনে এবং হাউজ হোল্ড এনার্জি প্লাটফর্ম প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

    জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংসদ সদস্য এ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, বিদ্যুৎ ও খাণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সালিমা জাহান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ ও জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে মেলা উপলক্ষে চিত্রাংকন, অভিনয়, পুঁথিপাঠ ও লোক-সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

    তিন দিনব্যাপি উন্নত চুলা ও জ্বালানী মেলা উপলক্ষে স্টলে বিভিন্ন উন্নত চুলা ও জ্বালানী সম্পর্কে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়ে মেলার দর্শণার্থীদেরকে সচেতনতার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রদর্শণী দেখানো হয়। এতে সরকারি ও বেসরকারি জ¦ালানী সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর-জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত সম্পন্ন : দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর-জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের তদন্ত সম্পন্ন : দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

     দেবহাটা প্রতিনিধি: সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফাঁসাতে যেয়ে ফেঁসে গেলেন টিকেট সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে নিজেকে বাঁচাতে মিথ্যা নাটক সাজিয়েও রক্ষা হল না তার।

    গত বুধবার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের সন্তোষ মল্লিকের পুত্র প্রশান্ত মল্লিক তার নিজের দুর্নীতি অনিয়ম ঢাকতে যেয়ে নিজেই রাষ্ট্রদ্রহীতা মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে থানায় দায়ের কথা মিথ্যা অভিযোগ করে। পরে বিষয়টি সবদিকে ছড়িয়ে পড়লে একে একে হাজির হন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, স্থানীয় অভিভাবকরা, সাংবাদকর্মী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।

    এরপর থেকে উক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মল্লিক আত্মগোপন করে। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে না এসে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রণব কুমার মল্লিকের কাছে মোবাইল ফোনে ৭ দিনে ছুটির দাবি জানান। শিক্ষা কর্মকর্তা ছুটি দেওয়া হবে না বলে জানালেও ক্ষমতার জোর দেখিয়ে ছুটি গ্রহন করছেন বলেও জানাগেছে। তবে এমন ঘটনার ঘটার পর বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রকাশের জের ধরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সরেজমিনে তদন্তে আসেন সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন। তিনি বিদ্যালয়ে এসে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সহকারী শিক্ষক ও স্থানীয়দের কাছ থেকে বিষয় সম্পর্কে আলাদা আলাদা ভাবে জিজ্ঞাসা করে মতামত গ্রহণ করেন। এসময় ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করায় কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।

    বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রণব কুমারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারপ্রপ্ত প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমারের বিষয়টি আমার উদ্ধতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রশান্ত কুমার মল্লিক বিদ্যালয়ে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে প্রশান্ত মোবাইল ফোনে ৭দিনে ছুটির দাবি করলে আমি সেটি না মঞ্জুর করি। তার পরেও সে নিজের ইচ্ছায় ছুটি গ্রহন করছে।

    জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দীন জানান, আমাকে ডিপিও স্যার নির্দেশ আমি বিষয়টি তদন্তে আসছি। আমি শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আমাদের দপ্তরের আইন অনুযায়ী তারবিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে না থাকায় তার মতামত নিতে পারেনি বলেও জানান তিনি।

  • ২৩ বছরেও সংস্কার করা হয়নি হাইকেয়ার ‘বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী’ স্কুল

    ২৩ বছরেও সংস্কার করা হয়নি হাইকেয়ার ‘বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী’ স্কুল

    বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা পৌরসভা সংলগ্ন দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ঠ ব্যতিক্রমধর্মী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হাইকেয়ার (বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়। নানা জটিলতায় গত ২৩ বছরেও সরকারিকরণ হয়নি এ প্রতিষ্ঠানটি। এটি ঢাকা হাইকেয়ার স্কুলের একটি অঙ্গ-সংগঠন।
    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘নির্বাক শিশুকে সবাক করার উদ্দেশ্য’ এবং ‘বধির অর্থ মূক নয়, উপযুক্ত সহায়তা পেলে সেও কথা বলবে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সাতক্ষীরা হাইকেয়ার স্কুল। এখানে মূক ও বধির শিশুদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরীক্ষান্তে শ্রবণ যন্ত্রের (ঐবধৎরহম গধপযরহব) সাহায্যে কথা শুনতে ও বলতে শেখানো হয়। এটি সরকারি/বেসরকারি দাতা সংস্থা অথবা দানশীল ব্যক্তির আর্থিক অনুদানের উপর নির্ভরশীল একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব আয়ের কোনো উৎস নেই।
    সাতক্ষীরা হাইকেয়ার স্কুল থেকে প্রতি বছর দু’ থেকে তিনজন মূক ও বধির শিশু প্রায় স্বাভাবিক কথা বলতে শিখে সাধারণ স্কুলে ভর্তি হয়। এ স্কুলের ছাত্রী ঊদিষা সরকার বর্তমানে ঢাকার হোম ইকোনোমিক্স কলেজের ছাত্রী। স্কুলের অপর একজন ছাত্রী তপা সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সম্মান চুড়ান্ত বছরের ছাত্রী। স্কুলটিতে বর্তমানে ২৫ জন শিক্ষার্থী আছে, যাদের অধিকাংশই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ তিন জন শিক্ষক ও একজন অফিস সহায়ক কর্মরত। শিক্ষকদের প্রত্যেকেই মূক ও বধিরদের শিক্ষাদান বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণে অভিজ্ঞ। সরকারিকরণ না হওয়ায় ওইসব শিক্ষক কর্মচারিদের দিন চলে কোন রকমে।
    একতলা বিশিষ্ঠ ভবনে ঢোকার পথটি সংকীর্ণ হওয়ায় প্রতিবন্ধী শিশুদের যাতায়াতের জন্যে বিপজ্জনক। বিদ্যালয়ের চারিপাশে সর্বদা বিরাজ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নিজস্ব আয়ের কোনো উৎস না থাকায় স্কুলটি দারুন অর্থ-সঙ্কটের মধ্য দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
    প্রধান শিক্ষক হাসনা বানু জানান, ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে গৃহীত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিদ্যলিয়টি প্রাথমিক বা সমমানের পর্যায়ে জাতীয়করণের জন্যে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হলেও আজও কোন সফলতা আসেনি। পদাধিকারবলে এ বিদ্যালয় পরিচলনা কমিটির সভাপতি থাকেন জেলা প্রশাসক। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ে কিছু উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে। জেলা পরিষদ এবং পৌরকর্তৃপক্ষের সহায়তার কারণে এখনো বিদ্যালয়টির কার্যক্রম থেমে যায়নি।
    বৃহষ্পতিবার বিকেলে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেনের সঙ্গে।

  • লেখক বদরুর ওপর চড়াও সন্ত্রাসী বাহিনী!

    লেখক বদরুর ওপর চড়াও সন্ত্রাসী বাহিনী!

    শহর প্রতিনিধি: তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর হামলা করেছিল। সেখানে উপস্থিত কয়েকজনের সহায়তায় আমি ভাগ্যজোরে রক্ষা পেয়েছি। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
    গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তালার সেনপুর গ্রামের লেখক সাংবাদিক বদরু মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ওরফে সুহৃদ সরকার।

    তিনি বলেন, আমি একাত্তরের গনহত্যার ওপর একটি গ্রন্থ ও তথ্য চিত্র রচনার কাজ করছি। এরই মধ্যে বিটিভিতে ২৮ মার্চ তার একটি খ- চিত্র প্রচারিত হয়েছে।
    তিনি বলেন, আমি গত ১৩ মার্চ দুপুরে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামের কাছে যাই। তিনি তখন পাটকেলঘাটা নার্সিং হোমে বসেছিলেন। বদরু বলেন ‘আমি আমার লিখিত গনহত্যার একটি খসড়া বিবরণ শীট তাকে দেখতে দিলে তিনি তা টেবিলের ওপর ছুড়ে ফেলে দেন। এ প্রসঙ্গে তিনি অশালীন কথাবার্তাও বলেন। এমনকি আমাকে হুমকি দেন।

    আমি কামরা থেকে বেরিয়ে আসতেই শেখ নুরুল ইসলামের নির্দেশে তার বাহিনীর সদস্যরা আমার ওপর চড়াও হয়। শেখ নুরুল ইসলাম নিজেই আমাকে ধরার নির্দেশ দেন। কিন্তু সেখানে উপস্থিত মাস্টার তোফাজ্জল হোসেন, আমার বোন সুফিয়া খাতুন ও ডা. গোলাম রসুল বাধা দেওয়ায় আমি রক্ষা পায়।
    তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে শেখ নুরুল ইসলাম ও তার বাহিনীর সদস্যরা আমাকে নানাভাবে হয়ারণী করছে। তারা যেকোনো সময় আমার ক্ষয় ক্ষতি করতে পারে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

    তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তালা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেখ নুরুল ইসলাম বলেন, এমন কোনো ঘটানাই ঘটেনি। এটি মিথ্যা প্রচার মাত্র’।

  • স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

    স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় হামলাকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

    শহর প্রতিনিধি: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনা সভায় হামলাকারীদের শাস্তি ও বহিষ্কারেরর দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানবন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা যুবলীগের একটি অংশ।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম নান্টু, জেলা যুবলীগ সদস্য মাহি আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন প্রমুখ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘জেলা যুবলীগের আহবায়ক মান্নান আটক হলেও তার বাহিনীর সদস্যরা এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।’ অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। একই সাথে সংগঠন থেকে মান্নানসহ জড়িতদের বহিস্কার দাবি করেন যুবলীগ নেতাকর্মীরা।

    বক্তারা আরো বলেন, ‘মান্নান বাহিনীর সদস্যরা এখনও নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তারা আবারও শহরে হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’

    মান্নানকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, মান্নানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

    উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ শহরের নিউ মার্কেট সংলগ্ন শহীদ আলাউদ্দীন চত্বরে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ প্রায় ১০ জন আহত হন। পরে জেলা যুবলীগের আহবায়ক মান্নানকে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে খুলনা থেকে গ্রেফতার করে।

  • ‘বিএনপিকে নিয়ে খুব বেকায়দায় আছি’

    ‘বিএনপিকে নিয়ে খুব বেকায়দায় আছি’

    ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপিকে নিয়ে সরকার খুব বেকায়দায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিলে বলে সরকার বাধ্য হয়ে অনুমতি দিয়েছে। আবার অনুমতি না দিলে বলে দেশে গণতন্ত্র নাই। এখন আপনারাই বলেন, বিএনপিকে নিয়ে আমরা কী করি!’

    বুধবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
    ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা সেতুমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন— বৃহস্পতিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেবেন কি না। এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেটি ডিএমপি কমিশনারের ব্যাপার। তারা বিএনপির সমাবেশকে নিরাপদ মনে করলে অনুমতি দেবে, নিরাপদ মনে না করলে অনুমতি দেবে না। এই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া, না দেওয়া নিয়েই আমরা বেকায়দায় আছি। অনুমতি দিলে বলে সরকার বাধ্য হয়ে অনুমতি দিয়েছে। আবার অনুমতি না দিলে বলে দেশে গণতন্ত্র নাই।’
    ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘সরকারকে বাধ্য করতে গত ৯ বছরে ৯ মিনিটের জন্যও বিএনপি কিছু করে দেখাতে পারেনি। তাদের শাসনামলেও আমাদের এমন দিন গেছে যে আমরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে পর্যন্ত দাঁড়াতে পারিনি।’
    বিএনপিকে সভা-সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগকে অবান্তর দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকালও তারা স্বাধীনতা দিবসের র‌্যালি করেছে। অথচ যানজট হবে বলে আমরা সরকারি দল এই র‌্যালি করিনি। অনুমতি না দিলে এই র‌্যালি তারা কীভাবে করলো?’
    সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখন ইলেকশনের মুডে আছে, আন্দোলনের মুডে নয়। লিপ সার্ভিস দিয়ে এখন আর ভোট পাওয়া যায় না। ভোট পেতে হলে উন্নয়ন দেখাতে হয়, কাজ দেখাতে হয়। বিএনপির এমন কোনও কাজ নাই যা নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইতে যাবে।’

  • দক্ষিণের মশাল শুধু সংবাদ মাধ্যম নয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের প্লাটফর্ম

    দক্ষিণের মশাল শুধু সংবাদ মাধ্যম নয়, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের প্লাটফর্ম

    আমিনা বিলকিস ময়না: জেলার সর্বস্তরের শুভার্থীদের শুভেচ্ছা ভালবাসা আর স্বপ্ন ঘিরে দক্ষিণের মশালের প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মিশেল অভিব্যক্তি নিয়ে চলে আলোচনা-সাথে সমালোচনা আর পরিকল্পনা নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান পরিক্রমা।

    মঙ্গলবার সকাল দশটায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘শুভেচ্ছা সম্মিলনী’। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি মো: জাকির হোসেন লস্কর শেলী।

    অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী। পত্রিকার বার্তা সম্পাদক আমিনা বিলকিস ময়না’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয় শুভেচ্ছা সম্মেলন। কেক ও ফুল পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানান পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান। কর্মব্যস্ততার কারণে পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের পক্ষে ফুল কেক শুভেচ্ছা ভালবাসা নিয়ে ডিবি’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ হাশমী, পুলিশ পরিদর্শক জুলফিকার আলী।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।
    অনুষ্ঠানে পত্রিকার প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনিসুর রহিম, দৈনিক পত্রদূতের উপদেষ্ঠা সম্পাদক এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, দৈনিক দৃষ্টিপাতের সম্পাদক জি এম নুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদক শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, দেশ টিভি ও বিডি নিউজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রথম আলো’র নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, ইত্তেফাক ও একুশে টিভির প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মিনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক জনকন্ঠের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, সময় টিভি ও এনএনবি মমতাজ আহমেদ বাপী, সময়ের খবরের প্রতিনিধি রুহুল কুদ্দুস ও এটিএন বাংলা ও সমকাল প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান।

    আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নারী জোটের সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, সাবেক ছাত্রনেতা কাজী আক্তার হোসেন, দৈনিক লোকসমাজের প্রতিনিধি শেখ মাসুদ হোসেন, মোহলা টিভির প্রতিনিধি আব্দুল জলিল, দৈনিক সংবাদ ও ইনডিপেন্ড টিভির আবুল কাশেম, ডেইলী অবজারভার প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক আহসানুর রহমান রাজীব প্রমুখ।

    আলোচকরা বলেন সবাই কেবল মাত্র সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে পত্রিকা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী সম্পাদিত দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার রয়েছে নিজস্ব বিশেষ প্রতিশ্রুতি। কারণ এর প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পাদক রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গীকার রক্ষা করে চলেছেন শুরু থেকে চারবছর পর্যন্ত। পাঠকের কাছে পত্রিকা কতৃপক্ষ পূর্ণ অঙ্গিকারাবদ্ধ। গণ-মানুষের মুক্তির জন্য সামাজিক সচেতনতায় পত্রিকার অঙ্গীকার উল্লেখযোগ্য। ফলে এ পত্রিকার কার্যক্রমটি শুধু সংবাদ মাধ্যমের নয়। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামের বিশ্বস্ত প্লাটফর্ম।

  • সাতক্ষীরায় দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত

    সাতক্ষীরায় দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ পালিত

    নিজস্ব প্রতিবেদক: “বন্ধ হলে দূর্নীতি, উন্নয়নে আসবে গতি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় দূর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ-২০১৮ উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে মঙ্গলবার সকালে শহরের নিউমার্কেটস্থ শহীদ আলাউদ্দিন চত্বর থেকে এ উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান প্রদক্ষীন করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে এসে শেষ হয়।

    র‌্যালিতে এ সময় নেতৃত্ব দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো: ইফতেখার হোসেন। পরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট্য সমাজসেবক ডাঃ আবুল কালাম বাবলা, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল ওয়াদুদ, মুর্শিদা খাতুন প্রমুখ। আলোচলা সভা শেষে সেখানে স্কুল শিক্ষার্থীদেরকে দূর্নীতি বিরোধী শপথ বাক্যপাঠ করানো হয়।

  • সাতক্ষীরায় হুন্ডির টাকা নিয়ে পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হুন্ডি ব্যবসায়ী আলিম উদ্দীন

    সাতক্ষীরায় হুন্ডির টাকা নিয়ে পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হুন্ডি ব্যবসায়ী আলিম উদ্দীন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা ভোমরা সীমান্ত দিয়ে ভারত হতে হুন্ডির টাকা নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে বিজিবির গুলিতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় তার কাছ থেকে হুন্ডির সাড়ে ১০ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)।

    মঙ্গলবার(২৭ মার্চ) সকালে সাতক্ষীরার ভোমরার লক্ষ্মীদাঁড়ি সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

    গুলিবিদ্ধ হুন্ডি ব্যবসায়ীর নাম আলিম উদ্দিন(৩০)। সে সাতক্ষীরার লক্ষ্মীদাঁড়ি গ্রামের বাড়ি আনার উদ্দিন গাজির ছেলে।

    ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সরকার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলিম উদ্দীন বিজিবির চেকপোষ্টের সামনে দিয়ে ভারতের দিক হতে ভোমরা বন্দরের দিকে আসছিলেন। গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় বিজিবি সদস্যরা আলিম উদ্দীনকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি পেছন থেকে পরপর দুইটি গুলি করে। এ সময় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। বিজিবি তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদও হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এছাড়া তার কাছ থেকে ভারত থেকে পাচার করা হুন্ডির সাড়ে দশ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান গ্রেফতার

    সাতক্ষীরায় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় যুবলীগের হামলার ঘটনায় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ সোমবার গভীর রাতে খুলনা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

    এদিকে যুবলীগের হামলার ঘটনায় সোমবার রাতে আওয়ামীলীগ নেতা জয়নুল আবেদীন জোসি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আব্দুল মান্নানকে ১ নং আসামী করে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়।

    সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, মোবাইল ট্র্যাকিং করে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুলনার একটি বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

    প্রসঙ্গত গত (২৬) মার্চ সোমবার বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আলাউদ্দিন চত্বর (নিউ মার্কেট)স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে জেলা যুবলীগের আবহায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলায়   জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুনছুর আহমেদ, জেলা যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, জেলা তাতী লীগের সভাপতি মীর শাহিন, যুবলীগ নেতা বাবু ও ছাত্রলীগ নেতা তৌকিরসহ আরও কয়েকজন আহত হন।

  • সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সংঘর্ষ, আহত-১০

    সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সংঘর্ষ, আহত-১০

    ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরায় আওয়ামীলীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় যুবলীগের ২পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এ ঘটনায় শহর ব্যাপী টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

    সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নিউমার্কেট এলাকায় শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে পৌর আওয়ামীলীগ আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের আলোচনাসভায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিহা হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান, জেলা যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম, পৌর যুবলীগের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, জেলা তাতী লীগের সভাপতি মীর শাহিন, যুবলীগ নেতা বাবু ও ছাত্রলীগ নেতা তৌকিরসহ ৮ জন।

    পৌর যুবলীগের একাংশের আহবায়ক আব্দুল কাদের জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকালে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট সংলগ্ন আলাউদ্দিন চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদাক শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হয়।

    সভাস্থলে পৌছে মান্নান ষ্টেজে উঠে মাইক কেড়ে নিয়ে বলে আজ থেকে খেলা শুরু। আমার বিরুদ্ধে যারা মিছিল মিটিং করছে, তাদেরকে এখন খেলা দেখাবো। এতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তাতী লীগের সভাপতি প্রতিবাদ করলে মান্নানের নেতৃত্বে মঞ্চে থাকা অতিথিদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমানসহ কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়।

    জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে মান্নান, তুহিন ও মনোয়ার হোসেন অনুর নেতৃত্বে লোহার রড, হকিস্টিক, রাম দা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে তাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান ও তৌকিরের অবস্থা আশংকাজনক।

    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ব্যাপারে আমাদের আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। ঘটনা শুনে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরো জানান, পরিষ্থিতি এখন স্বাভাবিক।

  • স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

    স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা

    ডেস্ক রিপোর্ট: আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিকামী বাঙালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দৈনিক দক্ষিণের মশাল পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছ ও অভিনন্দন।

  • তালায় সিকান্দার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত

    তালায় সিকান্দার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত

    তালা প্রতিনিধি: শুক্রবার সন্ধ্যায় তালার তেঁতুলিয়ায় পক্ষকালব্যাপি সিকান্দার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া।
    সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেনের পরিচালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, কবি সিকান্দার আবু জাফরের ছোট ভাই, একুশে পদক প্রাপ্ত চিত্র শিল্পী সৈয়দ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল হক, তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহম্মেদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা আ’লীগ নেতা ফিরোজ কামাল শুভ্র, তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সরদার মশিয়ার রহমান প্রমুখ।

    সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক হোসেন ও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুস সামাদকে সিকান্দার পদকে ভুষিত করা হয়।

  • আগামী ২০ এপ্রিল ভোমরা স্থলবন্দরে ২টি হ্যা-লিং শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: শুক্রবার বিকালে হ্যা-লিং ইউনিয়ন সংলগ্ন মাঠ চত্বরে ভোমরাস্থল বন্দর হ্যা-লিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং খুলনা ১১৫৫) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনের লক্ষ্যে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মো. রেজাউল করিম। স্বাগত বক্তব্য এবং বিগত ৩ বছরের ইউনিয়নের আয়-ব্যায়ের হিসাব দাখিল করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ আলম।

    সাধারণ সভায় উপস্থিত শ্রমিকদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে আগামী ২০ এপ্রিল শুক্রবার হ্যা-লিং শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক প্রতিনিধি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

    নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সুন্দরবন টেক্সটাইলস মিলস সি বি এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদকে আহবায়ক এবং মো. সোহেল উদ্দিন ও মো. রবিউল ইসলামকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।

    উল্লেখ্য, প্রায় ৬ বছর পর শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে খুলনা বিভাগীয় শ্রম পরিচালকের নির্দেশনা মোতাবেক এই প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে ১৩টি পদে প্রায় ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং ১২শ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে সকল ভোটারদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যে নির্বাচন কমিশনের আহবায়ক শেখ হারুন উর রশিদ আহ্বান জানিয়েছেন।

    অপর ট্রেড ইউনিয়ন গোডাউন হ্যা-লিং শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ১১৫৯) এর নির্বাচন কমিশনের আহ্বায়ক মনোনীত হয়েছেন, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ভোমরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল ইসলাম, জি.এম ইছা হক ও মো. আক্তার হোসেনকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।