Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 374 of 398

Author: dakshinermashal

  • কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়-তথ্যমন্ত্রী

    কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়-তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিএনপি প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল ইক ইনু। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) বিদ্রোহের সময় বেগম জিয়া প্রকাশ্যে বিদ্রোহীদের উস্কানি দিয়েছেন। হেফাজতের তাণ্ডবের সময়ও বেগম জিয়া প্রকাশ্যে তাণ্ডবের পক্ষে উস্কানি দিয়েছেন। কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে যখন সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত শুরু হয়, তখনো বিএনপি শান্তির আহ্বান না জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে উস্কানি দিয়েছে। তাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে যে নাশকতা-অন্তর্ঘাতের উস্কানি আছে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

    তিনি বলেন, উস্কানিদাতারা লাশের গুজব ছড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিল। উস্কানিদাতারা লাশ চেয়েছিল। আল্লাহর কাছে হাজার শোকর তাদের ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তারা লাশ পায়নি, লাশ ফেলতে পারেনি।

    এসময় ইনু বলেন, কোটা পদ্ধতি স্থায়ী বা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। কোটা পদ্ধতি অপরিবর্তনীয়ও নয়। সময়ের প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির প্রয়োগ পরিবর্তন হয়েছে। কোটা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, মূল্যায়ন, পুনঃমূল্যায়ন ও সংস্কার হয়েছে, ভবিষ্যতেও হতেই পারে।

    তিনি দাবি করেন, বর্তমান সরকার কোটা পদ্ধতি চালু করেনি। বরং শেখ হাসিনার সরকার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগের বিষয়টি সুস্পষ্টকরণ ও যৌক্তিকিকরণের পদক্ষেপ নিয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই কি মূল আপত্তি? কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীরা কোটা পদ্ধতি সংস্কারের সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব না দিলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, মহল, পত্র-পত্রিকা, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে সকল বক্তব্য দিচ্ছেন তা দেখে মনে হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়েই তাদের আপত্তি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা তাদের গায়ে জ্বালা ধরিয়েছে।

    তিনি দাবি করেন, তারা কোটা পদ্ধতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এমন ভাষায় অসম্মান ও হেয়প্রতিপন্ন করে চলেছেন যে, মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করে অন্যায় করে ফেলেছেন। ওই সকল ব্যক্তি ও মহল শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও চরম অবমাননাকর কটূক্তি করে চলেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতার নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অসম্মানজনক কথাবার্তা বলা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং সড়ক-মহাসড়ক অবরোধসহ যে সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হয়েছে তা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ বলে আমরা বিশ্বাস করি না। যারা জল ঘোলা করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তারাই এসব করেছে।

    ইনু বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার মতো অন্ধ ও বধির না। বেগম জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে বা ক্ষমতার বাইরে থাকাকালেও জনগণের কথা শুনতে পেতেন না, জনগণের দুঃখ-আহাজারি দেখতে পেতেন না। তিনি চোখে ঠুলি, কানে তুলো দিয়ে চলেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাক্ষণই জনগণের দিকে তাকিয়ে থাকেন। তিনি জনগণের মনের কথাও শুনতে পান। জনগণের দুঃখে কাঁদেন, জনগণের সুখে হাসেন।

    তিনি বলেন, এজন্যই আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মধ্যে এতো সহিংসতা, নাশকতা ও অন্তর্ঘাত হওয়ার পরও তার পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসে তাদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখারও নির্দেশ দিয়েছেন।

  • যেভাবে সমঝোতা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে

    যেভাবে সমঝোতা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে

    ডেস্ক রিপোর্ট: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর ব্রিফিং করছেন ওবায়দুল কাদের (ছবি- পিআইডি)সরকারি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠকের আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা পদ্ধতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তাকে ইতিবাচক মনে করছেন আন্দোলনকারীরা। তরুণ প্রজন্মের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী সবসময় আন্তরিক— সরকারের পক্ষ থেকে এমন বার্তাও আন্দোলনকারীদের সমঝোতায় যেতে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া, রবিবার মধ্যরাতে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের সময় উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনাও সমঝোতার পথ সহজ করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
    কোটা সংস্কারের দাবিতে রবিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর থেকে শাহবাগে অবস্থান নিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। রাত পৌনে ৮টার দিকে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করার পর সারারাত ধরেই ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এর মধ্যে রবিবার মধ্যরাতেই সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ঢাবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীদের। সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বিকাল সাড়ে ৪টার পর।
    সচিবালয় থেকে ফেরার পর বক্তব্য রাখছে প্রতিনিধি দল, তাদের বক্তব্য মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরাআন্দোলনকারী ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশই মূলত সমঝোতাকে ত্বরান্বিত করেছে। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সরকারের সিনিয়র কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ ব্ঠৈক করেন। পরে তিনি বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির বিষয়ে অধিকতর পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন। আন্দোলনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ইতিবাচক মনে করছেন আন্দোলনকারীরা।
    মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরপরই আন্দোলনকারীদের বিষয়টি জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে আন্দোলনকারীদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। তাদের বোঝানো হয়েছে, আন্দোলনকারীরা প্রথমবারের মতো ভোটার হয়েছেন, তারাই দেশের নতুন প্রজন্ম। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় এই নতুন প্রজন্মের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাদের যৌক্তিক দাবির প্রতিও প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক।
    এদিকে, রবিবার রাতে আন্দোলনকারীরা যখন পুলিশের উপর্যপরি টিয়ারশেলের মুখে ঢাবি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছত্রভঙ্গ, সেই সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক সরকারের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন আন্দোলনকারীদের। নানক জানান, ওবায়দুল কাদেরকে এই বৈঠকের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়গুলো আন্দোলনকারীদের উৎসাহ জুগিয়েছে। পাশাপাশি রবিবার মধ্যরাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে মুখোশধারীদের হামলা খানিকটা ভীতিও ছড়িয়েছে। এই বিষয়গুলো সমঝোতার পথ সহজ করেছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতাদের কয়েকজন।
    রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড আন্দোলনকারীদেরসোমবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ আন্দোলনের ফলে রাজধানীর শাহবাগসহ আশপাশের রাজপথ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রোগীরা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, শিক্ষার্থীদেরও স্কুলে যাওয়া-আসায় সমস্যা হচ্ছে। অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এমন সব হয়রানির মধ্যে পড়া ব্যক্তিদের মধ্যে আন্দোলনকারীদের আত্মীয়রাও থাকতে পারেন। মন্ত্রী এভাবে বিষয়গুলো বোঝালে তা আন্দোলনকারীদের মনে দাগ কেটেছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসা কয়েকজন নেতা। তারা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেহেতু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখবেন। তার প্রতি আমাদের এই বিশ্বাস রয়েছে। তাই আমরা সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি।’
    আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে থাকা একজন নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন করা তো আমাদের লক্ষ্য নয়। আমাদের দাবি আদায় হওয়াটাই মূল বিষয়। প্রধানমন্ত্রী তার দলের সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি, আমাদের দাবি পূরণ হবে। সব মিলিয়ে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ আমাদের কাছে ইতিবাচক মনে হয়েছে বলেই আমরা সমঝোতায় এসেছি।’
    যদিও, সমঝোতার এই সিদ্ধান্ত ঢাবি টিএসসিতে অবস্থান নেওয়া আন্দোলনকারীরা মেনে নিতে রাজি হননি। বৈঠক থেকে আন্দোলনকারী প্রতিনিধিরা সমঝোতা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফিরলেও ঢাবি টিএসসিতে অবস্থানকারী আন্দোলনকারীরা সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেন। তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আন্দোলনকারীরা ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকা ছাড়েন। আন্দোলনকারীরা জানান, তারা আগামীকাল মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সকালে ফের ক্যাম্পাসে জমায়েত হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
    উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ৬ মার্চ কোটা সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। তাতে বলা হয়, সরকারি নিয়োগে কোটায় কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ মেধা তালিকার প্রার্থীদের মধ্য থেকে পূরণ করতে হবে। এরপর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এর ব্যখ্যা দিয়ে ৫ এপ্রিল আরেকটি পরিপত্র জারি করা হয়। ওই পরিপত্র ঘিরেই দানা বাঁধে আন্দোলন, যা পরে ছড়িয়ে পড়ে রাজপথে।
    ফাঁকা টিএসসি, রাত সাড়ে ৯টার চিত্র (ছবি- সাজ্জাদ হোসেন)৫ এপ্রিলের পরিপত্রে বলা হয়— প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১০ সালের ৫ মে জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী কোনও জেলায় বিতরণ করা পদের সংখ্যার তুলনায় যোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম হলে ওই বিশেষ কোটার অপূর্ণ পদগুলো জাতীয়ভিত্তিক নিজ নিজ বিশেষ কোটার (অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা, নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ) জন্য প্রণীত জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত অনুসরণের পর সংশ্লিষ্ট নিয়োগের জন্য নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটার কোনও কৃতকার্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে পদগুলো অবশিষ্ট কোটা অর্থাৎ জেলার সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করিতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার পরও কোনও বিশেষ কোটার পদ পূরণ করা সম্ভব না হলে সেসব পদ জাতীয় মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
    পরিপত্রে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের বিষয়ে বলা হয়— এসব নিয়োগে কোনও বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনও পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে তা জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী সাধারণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা থেকে পূরণ করতে হবে।
    এই পরিপত্রের সরকারি নিয়োগে কোটার বিধি নিয়েই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে। পরে তা থেকেই শুরু হয় কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ও বিক্ষোভ।

  • বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে আশাশুনির ৩ প্রতিবন্ধি স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীগন

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ও প্রতিবন্ধি স্কুলগুলি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে শিক্ষার্থীদের শারিরিক, মানসিক ও শিক্ষাদানে প্রানপণ চেষ্টা করে করলেও এমপিও ভূক্ত বা বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। সরজমিনে ঘুরে জানাগেছে, উপজেলায় তিনটি এ ধরনের ৩টি স্কুল রয়েছে। আশাশুনি সদরে অবস্থিত আশাশুনি বুদ্ধি প্রতিবন্ধি স্কুল, দরগাহপুর প্রতিবন্ধি স্কুল ও বুধহাটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়। এর মধ্যে আশাশুনি সদরে অবস্থিত বুদ্ধি প্রতিবন্ধি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী এ প্রতিবেদককে জানান, স্কুলের ২০০০ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০৪ সালে সমাজ সেবা অধিদপ্তর সাতক্ষীরা থেকে ৫৩৭/০৪ নং নিবন্ধনভূক্ত হয়। ২০০৬ সালে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী সাভার (ঢাকা) থেকে সিডিডি প্রশিক্ষন গ্রহন করে সনদ প্রাপ্ত হন। ২২ ডিসেম্বর’১৫ তারিখে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রালয় থেকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে এ স্কুলে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ২২১ জন। এ স্কুলের শিক্ষক, অফিস সহকারি, কর্মচারী, ভ্যান চালক ও ছয়টি ভ্যান সহ মোট ৪৫ জন রয়েছে। স্কুলের নিজস্ব ভবন নির্মানের জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বরাবর স্থানীয় সমাজ সেবক সদরের দূর্গাপুর গ্রামের জনৈক জাহাঙ্গীর হায়দার লালু ৬ জুলাই’১৭ তারিখে ১৯৭৮ নং দলিল শূলে ওই মৌজায় ১৫ শতক জমি দান করেছেন। স্কুলের ১১ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদের এসএমসি সভাপতির দায়িত্বে আছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। স্কুল কার্যক্রমের মূল ভিত্তি করা হয়েছে অটিজম, দৃষ্টি, বাক, শ্রবন, মানসিক, সেরিগাল পলসি ও ডাউন সিনটম (অদৃবাশ্রমসেড)। এ স্কুলটিতে শিক্ষার্থীদের আচার-আচারণ, জীবন দক্ষতা, পাঠদান ও শিক্ষাদান, কারিকুলাম (সহপাঠ ক্রমিক) বিষয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মূল ¯্রােতধারায় ফিরিয়ে আনার নিমিত্ত্বে নিরন্তর প্রচেষ্টা দৃশ্যমান হয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বিবাহ যোগ্য কন্যদের বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষন শেষে সনদপত্র ও পর্যায়ক্রমে সাধ্য অনুযায়ী সেলাই মেশিন প্রদান করা হয়। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে এ সব কার্যক্রম ইতোমধ্যে পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করেছেন, সমাজ কল্যান মন্ত্রানালয়ের যুগ্ম-সচিব উমর ফারুক চৌধুরী, সুলতান মাহমুদ, নুরুল কবির সিদ্দিকী, সংরক্ষিত মহিলা এমপি রেফাত আমিন, অধ্যাঃ আ.ফ. ম রুহুল হক, জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, আবুল কাসেম মুহাঃ মহিউদ্দীন, উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম, ইউএনও মমতাজ বেগম, সুষমা সুলতানা, জেলা প্রতিবন্ধি সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের অফিসার তুলসি কুমার পাল সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। এত কিছুর পর সরকারের ঘোষনা ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির কারনে ৪৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে মাত্র ৫ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী ২৪ মে’১৭ তারিখে এমপিও ভূক্ত হলেও (বাকীদের কথা তো দূরে থাক) অদ্যবদি তাদের কোন বেতন ভাতা আসেনি। ফলে সকল শিক্ষক-কর্মচারীগন বিনা বেতন-ভাতায় দীর্ঘদিন এ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে নিরলস কাজ করতে করতে হাফিয়ে উঠেছে। অপর দিকে, উপজেলার দরগাহপুর প্রতিবন্ধি স্কুল ও বুধহাটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বিদ্যালয় এত বেশী কার্যক্রমে জড়িত না থাকলেও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে প্রায় এ স্কুলের পাশাপাশি অবস্থান করছে বলে জানাগেছে। সব বিবেচনা করে সরকারি নীতিমালার আলোকে এ স্কুল গুলির শিক্ষক-কর্মচারী, ভূক্তভোগী অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • কুল্যায় সরকারি রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ

    কুল্যায় সরকারি রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ

    কুল্যা প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটিতে সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কেটে বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাগেছে কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি গ্রামে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ মান্নানের বাড়ির পাশের সরকারি রাস্তার পাশে বৃহৎ আকৃতির ৩টি শিশু গাছ ছিল। মূল্যবান এ গাছ ৩টি স্থানীয় মেছের আলী সরদারের পুত্র নূর ইসলাম কাঠ ব্যবসায়ী শাহাজাহান আলির কাছে বিক্রয় করে দিয়েছেন। গাছ ৩টির মধ্যে একটি কেটে তার অনেকগুলো কাঠ ইতিমধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আরেকটির ডালপালা কেটে গাছ কেটে নেওয়ার পর্যায় রয়েছে। এলাকাবাসী বাধা দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি। স্থানীয়রা জানান গাছ ৩টি ১৫/২০ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়েছে। এব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আঃ বারী বলেন, খবর পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে মাপজোক করে খাস জমির গাছ প্রমানিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের সংস্কার কাজে ব্যবাহার হচ্ছে আমা ইটের খোয়া ও কাদামাটি

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলা সদরের সাথে দক্ষিণ জনপদের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল আশাশুনি থেকে সাতক্ষীরা সড়ক। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে অবহেলায়। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে পিচ পাথর উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের সংস্কার কাজ হচ্ছে আমা ইটের খোয়া ও কাদামাটি মিশিয়ে। বিষয়টি উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করছেন। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত পরিবহন যোগে এলাকার উৎপাদিত মাছ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা সহ দেশের বিভিন্ন বাজারে পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে যা থেকে সরকার প্রতি বছর মোটা অংকের রাজস্ব আয় সহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। সড়কটির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে সড়কটি সংস্কারের কাজ হাতে নেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ। কিন্তু সংস্কার কাজ হাতে নিলেও ১নং ইটের পরিবর্তে আমা ইটের খোয়া ও বালির পরিবর্তে সড়কের পাশের মাটিকাদা দিয়ে চলছে সংস্কার কাজ। এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় যাত্রীবাহী বাস সহ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন গুলোকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। এতে একদিকে যেমন জীবনহাণীর ঝুঁকি বাড়ছে অন্যদিকে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে পরিবহন মালিক শ্রমিক সহ সংশ্লিষ্টরা। প্রতিবার রাস্তাটি যখন একেবারে যান চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে তখনই এভাবেই দায়সারা কাজ করতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি এমন জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা এবং পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ জনগণের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। সরেজমিন গেলে এ সড়কে চলাচলকারী একাধিক সাধারণ মানুষ এ প্রতিবেদককে বলেন তাদের কাছে পদ্মা সেতুর চেয়ে এ রাস্তাটির গুরুত্ব যেন অনেক বেশি। এ রাস্তাটির সাথে প্রতিদিন যুদ্ধ করে কাজে যাওয়া ও ঘরে ফিরতে হয় বলে অভিযোগ তাদের। এমতাবস্থায় জনগনের ভোগান্তি লাঘবের জন্য এ সড়টি দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ।

  • ক্রসড্যাম নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে-জেলা প্রশাসক

    বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন সোমবার তালার ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প-প্রথম পর্যায়’ এর আওতাধীন পাখিমারা টিআরএমসহ সংশ্লিষ্ট সকল কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তালা কপোতাক্ষ নদের উপর ক্রসড্যাম স্থাপন, পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কার, পাখিমারা টিআরএম বিলের পলি ব্যবস্থাপনা ও ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদান সমস্যা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তালা প্রেসক্লাব ও উপজেলা পানি কমিটির পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পরে তিনি জালালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং “শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজিজ সুশীল পল্লী” পরিদর্শন করেন।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন মতবিনিময় সভায় জনগণের বিভিন্ন প্রশ্নের খোলামেলা উত্তর দেন।
    এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, টিআরএম প্রকল্প ২০২০ সাল পর্যন্ত চলবে। যে সকল কৃষকরা এখনও ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি তাদের দ্রুত এবং সহজ শর্তে টাকা প্রদান করা যায় তা আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন পদ্ধতি বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিলে স্থাপিত সকল নেট-পাটা স্ব-উদ্যোগে তুলে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন, ক্রসড্যাম নির্মাণে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। কোন ধরণের অনিয়ম প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
    মত বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফরিদ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, তালা উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নেছা খানম, সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রণব ঘোষ বাবলু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সরদার মশিয়ার রহমান, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক রাজিব হোসেন রাজু, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডো কাউন্সিলের প্রাক্তন ডেপুটি কমান্ডার আলাউদ্দীন জোয়ার্দ্দার, উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. ময়নুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, শালতা বাঁচাও কমিটির সভাপতি সরদার ইমান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
    মতবিনিময় সভা শেষে তালা প্রেসক্লাব সভাপতি প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু ও উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের নিকট প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে কপোতাক্ষ নদে ক্রসড্যাম না দিয়ে তিন মাস পর ক্রসড্যাম দেয়ার কারণ তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিচারের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অতি দ্রুত এই ক্রসড্যাম স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন করা। অতিদ্রুত বিল অধিবাসীদের ফসলের ক্ষতিপূরণ প্রদান সমাপ্ত করা। কারণ প্রকল্পের ১ম পর্যায়ের কার্যক্রমে শেষ হলেও কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ ১ম বছরের জন্য ৬২% ও ২য় বছরের জন্য ২৫.৫২% প্রদান করা হয়েছে। জরুরীভাবে বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বেই পাখিমারা টিআরএম বিলের পেরিফেরিয়াল বাঁধের সংস্কার করা। কারণ বিগত বছরগুলোর ন্যায় যাতে বাঁধ ভেঙ্গে বা উপচিয়ে পার্শ্ববর্তী জনপদ প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এছাড়া গুরুত্ব প্রদান করে পাখিমারা টিআরএম বেসিনের দূরবর্তী পশ্চিমাংশে পলি অবক্ষেপনের ব্যবস্থা করা যাতে এলাকায় ভবিষ্যতে পরিবেশগত জটিলতা সৃষ্টি না হয়।
    এ সময় কপোতাক্ষ নদ রক্ষায় উপরোক্ত দাবী সমূহ বিবেচনা পূর্বক অববাহিকার ২০ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকার নিরাপত্তার স্বার্থে এবং চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেয়ার লক্ষ্যে অবিলম্বে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। পরে জেলা প্রশাসক টিআরএম এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৪ টি পরিবারকে উত্তরণ কর্তৃক নির্মিত শহীদ আজিজ-সুশীল পল্লী পরিদর্শন করেন এবং সেখানে দ্রুত বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, কবরাস্থান ও পুকুর খননের আশ^াস প্রদান করেন।

  • স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি হরিনগর বধ্য ভূমি

    মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও শ্যামনগর উপজেলার হরিনগরের বধ্যভূমিটি এখন পর্যন্ত সংরক্ষণে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে শ্যামনগরের এ স্থানে পাকিস্থান হানাদার বাহিনী এক সঙ্গে ২৮ জনকে বেধে গুলিকরে হত্যা করেছিল। আর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিল ৫ জন। তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর সোমবার পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছিল খগেন্দ্রনাথ মন্ডল, নিলম্বর মন্ডল, জিতেন্দ্র মন্ডল, অজিত মন্ডল, সুরেন্দ্র মন্ডল, খগেন্দ্র মন্ডল, রামেশ্বর মন্ডল, কালীপদ মন্ডল, হরেন্দ্রনাথ মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, ড. বিহারী মন্ডল, অধীর মন্ডল, অধর মন্ডল, বিপিন মন্ডল, মহাদেব মন্ডল, সুরেন্দ্রনাথ মন্ডল, দাউদ গাজী, হাতেম গাজী, আদম গাজী, সৈয়দ গাজী, বিপিন পাটনী, আঃ বারী সানা, কৃষ্ণপদ গাইন, ধীরেন্দ্র নাথ বিশ্বাষ প্রমুখ। আর প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন গিরেন মন্ডল, বাবুরাম মন্ডল, মনোরঞ্জন মন্ডল, বৈষম মন্ডল ও সূর্য কান্ত মন্ডল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এ অঞ্চলে একেবারেই ছিলনা। যোগাযোগ ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌপথ। যে কারণে শ্যমনগরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় সুন্দরবনের নদী খাল অথবা গ্রামের গাঘেষা নদী ব্যবহার করে পাকিস্থান হানাদার বাহিনীর আস্থানা গেড়েছিল তৎকালীন শ্যানগর থানার বর্তমান উপজেলার মুন্সীগঞ্চ ইউনিয়নের হরিনগর বাজারে। পানি উন্নায়ান বোর্ডর বাংলোতে ও হরিনগর মথুরাপুর গ্রামের কয়েকটি স্থানে ব্যাংকার খুড়ে সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ করতো। আর পাখির মতো হত্যা করতো ঐ এলাকার নিরীহ সংখ্যালঘু মানুষসহ সাধারণ মনুষ কে।
    এ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা দেবীরঞ্জন, আব্দুল ওয়াজেদসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অরক্ষিত বধ্য ভূমিটি সংরক্ষণের দাবি বার বার তুলে ধরেও ব্যর্থ হয়েছেন। আজ পর্যন্ত একাত্তরের পরবর্তী সময়ে যারাই সরকার পরিচালনা করেছে কেওই নজর দেয়নি এই আলোচিত বধ্যভূমির দিকে। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শীঘ্রই হরিনগর বধ্য ভূমিটি দৃশ্যমানভাবে সংরক্ষণ করা হবে।

  • পুলিশের অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ আটক-৬৮

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় পুলিশের সন্ত্রাস, নাশকতা ও মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে বিএনপি-জামায়াতের দুই নেতা-কর্মীসহ ৬৮ জন আটক করা হয়েছে।
    গত বোরবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পযর্ন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে বেশ কিছু মাদকদ্রব্য। পরে বিভিন্ন অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    আটককৃতদের মধ্যে, সাতক্ষীরা সদর থানা থেকে ২০ জন, কলারোয়া থানা থেকে ৬ জন, তালা থানা ৬ জন, কালিগঞ্জ থানা ১১ জন, শ্যামনগর থানা ১০ জন, আশাশুনি থানা ৭ জন, দেবহাটা থানা ৪ জন ও পাটকেলঘাটা থানা থেকে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

  • যশোরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ধর্ষণ মামলার আসামি নিহত

    বিশেষ প্রতিনিধি: যশোরে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি আলামিন ওরফে বাবু(২৫) নিহত হয়েছে। সোমবার সকালে যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা ম-লগাতি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত আলামিন সদরের খোলাডাঙ্গা কলোনিপাড়া এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব
    র‌্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর জিয়াউর রহমান জানান, গভীর রাতে গোপন সূত্রে তারা জানতে পারেন যশোরের খোলাডাঙ্গা ম-লগাতি এলাকায় একদল সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এর সূত্র ধরে ওই এলাকায় অভিযানে যায় র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ থেমে যাবার আনুমানিক ২০ মিনিট পরে র‌্যাব সদস্যরা আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে রাস্তার পাশে একজনকে আহত অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। তার ডান হাতে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যবত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি জানান, গোলাগুলির সময় দুইজন র‌্যাব সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ানশুটার গান, এক রাউন্ড গুলি ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়।
    পরে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ সন্ত্রাসীকে আলামিন ওরফে বাবু হিসেবে শনাক্ত করেন। নিহত বাবু যশোর সদরের চাঁচড়া দক্ষিণ পাড়ায় আট বছরের এক শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি। গত ৩০ মার্চ ওই এলাকার মুক্তেশ্বরী নদীর তীরে একটি বাগানে নিয়ে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে আলামিন ওরফে বাবু। এ ঘটনায় পরদিন মেয়েটির মা বাদী হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।

  • খুলনায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

    বিশেষ প্রতিনিধি: খুলনায় গোলাম মওলা(৫০) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে তেরখাদা উপজেলার আটলিয়া গ্রামের খামার বিল এলাকায় এ হত্যাকা- ঘটে। এ সময় আরো চারজন আহত হন। তেরখাদা থানা পুলিশ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। নিহত গোলাম মওলা তেরখাদা সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
    স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে স্থানীয় আটলিয়া গ্রামের খামার বিল এলাকায় কৃষকলীগ নেতা ঝিলু মুন্সী ও গোলাম মওলার মধ্যে বাকবিত-া হয়। পরে তাদের সমর্থকদের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঝিলু মুন্সীর লোকজন গোলাম মওলাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
    সংঘর্ষে আহত হন- গোলাম মওলার সমর্থক লিপি বেগম (৪৫), সোহেল শেখ (২৫), সাবিনা ইয়াসমিন (৪০) ও গোলাম মওলার ছেলে খালিদ শেখ (২৫)। আহতদের খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
    গোলাম মওলার ছেলে খালিদ শেখ জানান, কৃষকলীগ নেতা ঝিলু মুন্সী ও তার বাবার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। তারই জের ধরে সোমবার সকালে ঝিলু মুন্সী রামদাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার লোকজন নিয়ে তার বাবাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সালেকুজ্জামান ইউপি পরিষদ সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • কাশিমাড়ীতে পুকুরে বিষ দিয়েছে দূর্বৃত্তরা

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর জয়নগর পলি¬তে পুকুরে বিষ দিয়েছে দূর্বত্তরা। ফলে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন হয়েছে বলে দাবি করছেন পুকুরের মালিক। জানা যায়, কাশিমাড়ী ইউপির ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোল্যা জহুরুল ইসলামের ৫ বিঘা জমির একটি পুকুরে রবিবার মধ্যরাতে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে। এতে ঐ পুকুরে আবাদ করা রুই, কাতলা, মৃগেল, পাঙ্গাস ও শিং মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার সাদা মাছ মরে ভেসে উঠে। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন কাশিমাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ। তার সাথে ছিলেন ইউপি সদস্য রাজগুল ইসলাম, অবঃপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা শাহজাহান কবির প্রমুখ। এ ব্যপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এস এম আব্দুর রউফ বলেন, যারা এই মাছ চাষের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে তাদের কে চিহ্নিত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, যারা এই সমস্ত কাজের সাথে জড়িত তারা সমাজের শত্রু তাদেরকে খুজেবের করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যপারে পুকুরের মালিক ইউপি সদস্য মোল্যা জহুরুল ইসলাম জানান, আমি বিগত কয়েক বছর যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছি। হটাৎ গত রবিবার রাতের আধারে কে বা কারা শত্রুতামূলক ভাবে আমার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে। কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করেছে তা এখনো উৎঘাটন করা যায়নি এমনটা জানান পুকুরের মালিক মোল্যা জহুরুল ইসলাম।

  • বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি: একাত্তরের বধ্যভূমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড। সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। বর্তমান সরকর একাত্তরের বধ্যভূমি/গণকবর চিহ্নিত করে সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী সংরক্ষণ ও স্মৃতি সৌধ/স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ১৯৭১ সালে সাতক্ষীরা শহরের সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাক হানাদার বাহিনী স্কুলে আশ্রয় নেয়া ভারতগামী শরনার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা করে শত শত নারী পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। তাছাড়া অসংখ্য মানুষ এই হত্যাযজ্ঞে আহত হয়। পরবর্তীতে উদ্যোগের অভাবে উক্ত বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার যশোর সংলগ্ন সাতক্ষীরার অন্যতম বাণিজ্য কেন্দ্র ঝাউডাঙ্গা বাজার ৭১ এর এপ্রিলের শেষে খুলনা অঞ্চল থেকে প্রাণভয়ে পালানো কয়েক শত শনণার্থী পরিবার ভারতে যাওয়ার পথে ঝাউডাঙ্গায় পৌছালে পাক-বাহিনী অতর্কিতভাবে নির্বিচারে গুলি করে শতাধিক নারী-পুরুষ হত্যা করে এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়। গণ হত্যা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাই এ মুহুর্তে দু’টি বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণ ও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য সাতক্ষীরাবাসী গতকয়েক বছর ধরে এবং এ বছরে উক্ত বর্ধ্যভুমিতে নানাবিধ কর্মসুচি ও গণহত্যা দিবস পালন করেছে। ৭১ এর বর্ধ্যভুমি সংরক্ষণের দাবীতে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু, ডেপুটি কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সদস্য আব্দুর রহিম ও সদর উপজেলার সদস্য আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ।

  • মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বহেরা থেকে কুলিয়া ব্রীজ পর্যন্ত সড়ক

    মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে বহেরা থেকে কুলিয়া ব্রীজ পর্যন্ত সড়ক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের বহেরা বাজার থেকে কুলিয়া ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটিতে খানা-খন্দক, গর্ত, ভাঙ্গন এত বেশী যে, যান চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে চলাচলও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরায় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আগমন উপলক্ষ্যে পুষ্পকাটি ভাটা থেকে বহেরা বাজার পর্যন্ত ১ কিলোমিটার রাস্তা ও কুলিয়া ব্রীজ থেকে কুলিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি তড়িঘড়ি করে কোনভাবে সংস্কার করা হয়। কিন্তু মাঝখানের ১কিলোমিটার রাস্তাটি আর সংস্কার করা হয়নি। সে রাস্তাটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ চলাচলের অনুপযোগী হলেও সংস্কারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ সড়কে ছোট-বড় সড়ক দূর্ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির সংস্কার এখন সময়ের দাবি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাস্তার বেহাল দশা থাকে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে গর্তগুলো একাকার হয়ে যায়। কোথাও কোথাও গর্তের পরিমাণ আরো বেশি। সড়ক ও জনপদ বিভাগ শুকনো ইট দিয়ে দায়সারা সংস্কার করেছে মাঝে মধ্যে। বৃষ্টি না হলে ধূলা আর বৃষ্টি হলে কাদা এটা নিয়মে পরিণত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী রাস্তাটির দ্রুত সংস্কার দাবি করেছেন।

  • লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান কতৃক অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: লাবসা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কতৃক প্রকল্পের কাজ না করে অর্ধকোটি টাকা পকেটস্থ করার পরও কোন ব্যাবস্থা না হওয়ায় জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
    জানা যায়, লাবসা ইউপি চেয়ারম্যান নাশকতা মামলার আসামি আব্দুল আলিম ও ইউপি সচিব আব্দুর রাজ্জাক ইউনিয়নের আওতাধীন বিনেরপোতা হাট ইজারা বাবদ ৩৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৭২৩ টাকা এবং হাটবাজারের জন্য বরাদ্ধ হওয়ায় ১২ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮ টাকা পরিকল্পিতভাবে আত্মসাৎ করে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের আর্থিক বিধি বিধান অনুযায়ী ব্যয় করার কথা থাকলেও নিয়মের কোন তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ভূয়া প্রকল্প দখিয়ে, একই কাজ বার বার দেখিয়ে, ভূয়া রেজুলেশন করে গত ১৩ জুন ২৩২৪০৭৪ নং চেকের মাধ্যমে ৩৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৭২৩ টাকা উত্তোলন করেন। এঘটনায় দুর্নীতিবাজ ইউপি চেয়ারম্যান আলিমের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন মহলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু আজ অবধী অজানা কারণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
    অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক আব্দুল লতিফ খান তদন্ত করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যান এবং এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
    ইউপি চেয়ারম্যানের লুটপাটের ঘটনায় প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বাবু বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন- ১/২০১৮, স্মারক নং- ২৩৭৭, তাং-১৮মার্চ২০১৮। উক্ত আদালত মামলাটির তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুর্নীতিদন দমন কমিশনকে নির্দেশ দেন।

  • মনে হয়েছে খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন: বিএসএমএমইউ পরিচালক

    মনে হয়েছে খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন: বিএসএমএমইউ পরিচালক

    ডেস্ক রিপোর্ট: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল্লাহ আল হারুন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হাড়ের বিভিন্ন অংশে এক্স-রে করা হয়েছে। আগামীকাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে আপাতত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে তিনি ভালো আছেন।

    শনিবার দুপুরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ওই হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

    (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য তাকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আসার পর তাকে কেবিনে রাখা হয়। তারপর তিনি হেঁটেই এক্স-রে রুমে আসেন।

    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ইচ্ছা অনুযায়ী তার ব্যক্তিগত চারজন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে হাড়ের বিভিন্ন অংশে এক্স-রে করা হয়েছে। তারা হলেন- ডা. মামুন, ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. ওয়াহিদুর রহমান ও ডা. শুভ।

    আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা জন্য যে চার সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছিল তাদের পরামর্শ অনুযায়ী এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আগামীকালই এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

    তিনি বলেন, আগামীকাল আমরা এই রিপোর্ট কারা কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেব। তারা আবার মেডিকেল বোর্ডকে পাঠাবে। তবে আপাতত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে তিনি সুস্থ আছেন।

    পরিচালক বলেন, আমরা হুইল চেয়ার প্রস্তুত রেখেছিলাম। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া নিজেই বলেছেন, আমি হেঁটে যেতে পারবো, হুইল চেয়ারের প্রয়োজন নেই।

    এর আগে বেলা ১১টা ৩৩ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে আনা হয়। এরপর তাকে কেবিন ব্লকের ৫১২ নম্বর কেবিনে রাখা হয়।

    সেখান থেকে কেবিন ব্লকের প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়ার রক্ত নেয়া হয়। এরপর দুপুর পৌনে একটার দিকে তাকে শারীরিক পরীক্ষা করতে রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে নেয়া হয়। এখানে এক্স-রে ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নেয়া হয়।

    গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। ইতোমধ্যে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল এবং জামিন চেয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্ট আপিল করেছেন।

    বিভিন্ন সময়ে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, খালেদা জিয়া নির্জন কারাগারে বন্দি অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এজন্য তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়ার অনুমতিও চেয়েছেন তারা। কিন্তু, এখনঅব্দি সে অনুমতি মেলেনি।

    এরই মধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান।

    বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ডা. মনসুর হাবীব (নিউরোলজি), টিটু মিয়া (মেডিসিন) ও সোহেলী রহমান (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।

    এই মেডিকেল বোর্ড গত সপ্তাহে কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখে এসে জানিয়েছিল, তার অসুস্থতা গুরুতর নয়।

    কিন্তু, গতকাল শুক্রবার বিকেলে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘ম্যাডামের স্বাস্থ্য খুব একটা ভালো নয়। তার আর্থরাইটিসের সমস্যা বেশ বেড়ে গেছে। হাঁটতেও কষ্ট হয়। যেটাকে কিছুটা স্নায়ুবিক সমস্যা বলা হয়, সেটাও দেখা দিয়েছে। সত্যিকার অর্থেই তিনি কিছুটা স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েছেন।’

    এ সময় তিনি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের কারাগারে যাওয়ার অনুমতিও দাবি করেন।

  • ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো দলের অনাস্থা নেই’

    ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি কোনো দলের অনাস্থা নেই’

    ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, আমরা নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন করবো, এই দৃঢ়তা আমাদের আছে। আশাকরি সব দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। আমাদের প্রতি দলগুলোর কোনো অনাস্থা নেই। দলগুলোর রাজনৈতিক বিষয়ে অনাস্থা রয়েছে।

    আজ শনিবার পিআইবি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

    আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে সিইসি বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে যতটুকু সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করবো। তারপর যদি জাতীয় নির্বাচনে আস্থা অর্জন হয়, তবে সেখানেও ব্যবহার করবো।

    পিআইবি’র এ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংস্থার মহাসচিব মো. শাহ আলমগীর সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন।

  • ‘বিউটি সার্কাস’ রোমাঞ্চকর কাজের একটি : জয়া আহসান

    ‘বিউটি সার্কাস’ রোমাঞ্চকর কাজের একটি : জয়া আহসান

    বিনোদন ডেস্ক: সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে ‘বিউটি সার্কাস’। ভিন্ন ধাঁচের ও বড় পরিসরের গল্প নিয়ে পরিচালনা করছেন মাহমুদ দিদার। প্রধান অভিনয়শিল্পী জয়া আহসান সিনেমাটিকে ‘রোমাঞ্চকর কাজ’ বলে উল্লেখ করলেন সম্প্রতি।

    জয়া বলেন, ‘অভিনয়শিল্প আপনাকে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে আপনি আগে কোনদিন যাননি, আবার এমন কিছু চরিত্র প্রদর্শন করার সুযোগ করে দেয় যার অভিজ্ঞতাটাও একেবারে নতুন। এবার এমনি একটি ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল সার্কাস প্রদর্শক সেজে, তাও আবার এক জম্পেশ সার্কাসের স্টেজে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘সার্কাসের এই পুরো অভিজ্ঞতাটাই আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ছিল, সামনে থেকে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি বলে। আমি বলব এই কাজটি আমার অভিনয় জীবনের খুব রোমাঞ্চকর কাজের একটি।’

    ‘বিউটি সার্কাস’-এর কাহিনি এমন— সার্কাসের মালিক ও প্রধান ম্যাজিশিয়ান বিউটি। যার রূপ আর জাদু প্রদর্শনীর কারিশমায় পাগল এলাকার তিন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বিউটিকে নিজের করে পাওয়ার প্রতিযোগিতায় এক সময় হুমকির মুখে পড়ে যায় পুরো সার্কাস টিম। কিন্তু কৌশলী বিউটি নিজ বুদ্ধির জোরে শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠেন সেই বিপদ।

    ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিনেমাটির প্রথম ধাপের শুটিং শুরু হয় নওগাঁয়। এরপর আর্থিক সংকটের কারণে দীর্ঘ বিরতি নেন নির্মাতা। বাকি দৃশ্যায়ন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চলতি বছরের প্রথমদিকে শেষ হয়।

    তথ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। জয়া ছাড়াও অভিনয় করেছেন ফেরদৌস, তৌকীর আহমেদ, এবিএম সুমন প্রমুখ।

  • জামিন পেলেন সালমান খান

    জামিন পেলেন সালমান খান

    বিনোদন ডেস্ক: অবশেষে বহু প্রত্যাশিত সেই জামিন পেলেন বলিউড সুপারস্টার সালমান খান। গত বৃহস্পতিবার যোধপুরের একটি আদালত বেআইনিভাবে কৃষ্ণসার প্রজাতির দুটি হরিণ হত্যার দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছিলেন সালমানকে।

    এর আগে, আজ ভারতীয় সময় ১০টা ৪০ থেকে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়। সালমান খানের জামিন শুনানিতে বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের বাদানুবাদ শোনেন সেশন জজ রবীন্দ্র কুমার যোশী। অতঃপর তিনি দুপুরের পর রায় প্রদান করবেন বলে জানান।

    দুপুরের পর রায় প্রদান করেন সেশন জজ। তিনি সালমান খানের জামিন মঞ্জুর করেন।

    এ-প্রসঙ্গে সালমানের আইনজীবী বলেন, আমরা বিচারিক আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়কে চ্যালেঞ্জ করিনি। আমরা শুধু জামিন চেয়েছি।

    ইতিমধ্যে দুই রাত যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কাটাতে হয়েছে ‘দাবাং’ তারকাকে।
    সূত্র : চ্যানেল ১৮, এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া