Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 369 of 398

Author: dakshinermashal

  • অবৈধ্যভাবে সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পলাশপোল মৌজাধীন ডিএস ১৯৯৪নং খতিয়ানের ১২৮০ দাগে ১২ একর ৩৭ শতক জমি রেকর্ডীয় প্রজা আব্দুল হাই খাঁ ও তার দুই পুত্র আব্দুল ওহাব ও আব্দুল আহাদ খাঁ এর নিকট হইতে দেওয়ানী ৪৮/৪৭ নং মোকদ্দমায় সোলে সূত্রে আতিয়ার রহমান প্রাপ্ত হয়ে খাসে সত্ববান থাকা কালিন এক পুত্র আব্দুল কুদ্দুস ও এক কন্যা র্ঝণা খাতুনকে রেখে মারা যান। অতপর তারা দুজন বাদী হয়ে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতে দেওয়ানী ১৫/১৬ নং মোকদ্দমা দাখিল করে পরিচালনা করে আসছে। উক্ত মোকদ্দমায় এডভোকেট কমিশনার সরেজমিন তদন্ত করে গত ইং ০৯/০৫/১৬ তারিখে আমার দখলে রয়েছে মর্মে রিপোর্ট প্রদান করেছেন। উক্ত মোকদ্দমায় বিবাদী পক্ষ আব্দুল কাদের খান দিং- তাদের দাবির পোষকে জাল নামপত্তন ও খাজনা দাখিলা দাখিল করায় বিজ্ঞ সাব জজ আদালত তাদের কাগজপত্র সেফ কাস্টডিতে নিয়েছে। এছাড়া উক্ত একই জমি নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১৮৬৫/১৫ নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। তা খারিজ হয়ে গেলে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ৩০০২/১৭ নং লিভ টু আপিল দাখিল করে। যা সুপ্রীম কোর্টে বিচারাধীন আছে। এছাড়া জমি নিয়ে সরকার পক্ষ ৪৬/১১ নং সিভিল আপিল দায়ের করলে উক্ত মোকদ্দমায় আব্দুল কুদ্দুস দিং বিবাদী শ্রেণিভুক্ত হয়েছে। উক্ত সম্পত্তি অবৈভাবে দখল নেওয়ার জন্য শহরের কুখরালী এলাকার রহমত উল¬াহ গাজীর ছেলে জামায়াতের অর্থদাতা, নাশকতাকারী জামায়াত নেতা আবু বক্কর সিদ্দিকসহ একটি মহল পায়তারা চালাচ্ছে। এদিকে আমার জমির সাথে তার কোন সংশি¬ষ্টতা নেই। কিন্তু সে আমাকে হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন সময়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। বার বার তার করা অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হলেও সে শুধু মাত্র আমাকে হয়রানির উদ্যেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। ওই মহলটি আমাকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে।
    তিনি উক্ত ব্যক্তির ষড়যন্ত্রের হাত রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

    (more…)

  • দেবহাটায় জেলা পরিষদের সম্পত্তি উদ্ধার

    সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটায় মে দিবস উপলক্ষ্যে জেলা পরিষদের সম্পত্তি উদ্ধার পরবর্তী জনসাধারণরে জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের হাদিপুরস্থ জেলা পরিষদের সম্পত্তি কুলপুকুর উদ্ধার করে জন সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। জেলা পরিষদের পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নির্দেশে উদ্ধার করে উন্মুক্ত করেন জেলা পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আল ফেরদৌস আলফা। তিনি বলেন, জেলা পরিষদের ৮বিঘা সম্পত্তি কুলপুকুর বে-দখল থাকায় পুকুরে অতিমাত্রায় মাছের খাদ্য, সার ও কিটনাশক প্রদান করায় পুকুরের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী ছিল। কিন্তু জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্দেশে সেটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হল। এখন থেকে কেউ আর পুকুরে মাছ চাষ করতে পারবে না। এমনকি পুকুরের পানি নষ্ট করার সুযোগ পবে না। এতে সর্ব সাধারণ উপকৃত হবে।

  • দেবহাটায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত

    সখিপুর প্রতিনিধি: দেবহাটায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে র‌্যালি, পথসভা, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন। মহান মে দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার সকালে পারুলিয়া বাসস্টান্ড থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সখিপুর মোড়ে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে সখিপুর আলিম মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা শ্রমীক লীগের সভাপতি আবু তাহের।
    প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন। আলোচনা সভায় উপজেলা শ্রমীক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্নুর, উপজেলা শ্রমীক লীগের সহ-সভাপতি এশারাত আলী, মনিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আরিফ, মহিলা সম্পাদিকা মাছুরা সাথী, কুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পরাণ চন্দ্র সরকার, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের আহবায়ক আসমোতুল্যা আসমান, দেবহাটা সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রাজিব হোসেন জজ, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহম্মেদসহ বিভিন্ন পর্যয়ের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
    ত্রি-হুইলার সমিতি, দেবহাটা:
    দেবহাটায় বন্ধু কল্যাণ ত্রি-হুইলার মালিক সমিতির উদ্যোগে মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার বনবিবি বটতলায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মহিন্দ্রা শ্রমিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান। সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা, জেলা ত্রি-হুইলার মালিক সমিতির সহ-সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দীন খোকন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় ঘোষ, উপজেলা ত্রি-হুইলার মালিক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রউফ, ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান সরদার প্রমুখ।

  • সদর উপজেলা রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়নের মে দবিস পালন

    সদর উপজেলা রং পালিশ শ্রমিক ইউনিয়নের মে দবিস পালন

    শহর প্রতিনিধি: বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করেছে সাতক্ষীরা সদর উপজলো রং পালশি শ্রমকি ইউনয়িন (রেজিঃ নং খুলনা ২২১৭)। দিবসটি উপলক্ষ্যে সংগঠনটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠতি হয়। এ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে শহররে পাকাপুল মোড় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। সভায় সভাপতত্বি করেন, ইউনিয়নের সভাপতি জুম্মান সরদার। প্রধান অতিিথ হসিাবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজলো চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাংবাদিক মোহাম্মাদ আলী সুজন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক রেজাউল হক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল সাদকে, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, র্অথ সম্পাদক বাবুল আক্তার, সদস্য আব্দুল হামিদ প্রমুখ।

  • জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

    জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের মে দিবস পালন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃনং-খুলনা ৫৫০)। দিবসটি উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় টার্মিনালে গিয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মীর মনিরুজ্জামান মনি। প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরদার, অটো মোবাইল মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম কালু। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদের তত্ববধানে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, কার্যকরি সদস্য হামিদুল ইসলাম। সভায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।

  • উৎপাদন বৃদ্ধিতে শ্রমিকদের রাখুন প্রাণবন্ত : মে দিবসে তথ্যমন্ত্রী

    উৎপাদন বৃদ্ধিতে শ্রমিকদের রাখুন প্রাণবন্ত : মে দিবসে তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘কল-কারখানা ও কৃষিসহ জাতীয় উৎপাদন বাড়াতে হলে শ্রমিকদের হাসি-খুশি ও প্রাণবন্ত রাখতে হবে। আর সেজন্য তাদের ন্যূনতম মজুরি ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।’
    মহান মে দিবসের সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ’র শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা র‌্যালি উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
    ‘জঙ্গিবাদী, মৌলবাদী, ফতোয়াবাজ তেতুঁলহুজুরেরা শ্রমিকদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করে, নারী শ্রমিকদের ঘরে বন্দি করে রাখতে চায়’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেকারণে ন্যূনতম জাতীয় মজুরির দাবি আদায়ের সংগ্রামের পাশাপাশি এ ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও শ্রমিকদের রুখে দাঁড়াতে হবে।’
    জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সভাপতি ইনু বলেন, ‘শ্রমিক, মজুর, কর্মজীবী-মেহনতি মানুষেরাই উৎপাদন ও উন্নয়ন সভ্যতার মূল চালিকাশক্তি। বাজার ও মালিকের হাতে শ্রমিক ও দেশের ভাগ্য ছেড়ে না দিয়ে অর্থনীতিকে রাষ্ট্রীয় অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত সমাজতন্ত্রের পথে পরিচালিত করতে হবে।’
    জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ’র সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশার সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, জাতীয় নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ এর সাংগঠনিক সম্পাদক কনক বর্মন, গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের সভাপতি রোকেয়া সুলতানা আঞ্জু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি আহসান হাবীব শামীম প্রমূখ।
    জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আখতার তার ভাষণে বলেন, শ্রম কখনও সস্তা নয়, শ্রমিক দয়ার পাত্রও নয়। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের ১৮ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরিসহ অবিলম্বে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানান।
    সমাবেশ শেষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র নেতৃত্বে লাল পতাকাসজ্জিত একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে নগরীর রাজপথ প্রদক্ষিণ করে।

  • র্বণাঢ্য আয়োজনে কলারোয়া ইলকেট্রশিয়িান ইউনয়িনরে মে দবিস পালন

    র্বণাঢ্য আয়োজনে কলারোয়া ইলকেট্রশিয়িান ইউনয়িনরে মে দবিস পালন

    কলারোয়াপ্রতনিধি : ন্যায্য মজুর, বৈষম্যহীন সমাজ ব্যাবস্থা,অধকিার আদায়রে স্লোগানকে সামনে রখেে কলারোয়া উপজলো ইলকেট্রশিয়িান ইউনয়িনরে র্বণাঢ্য আয়োজনে পালতি হলো পহলো মে আর্ন্তজাতকি শ্রমকি সংহতি দবিস।অধ্যাপক আবুল খায়রে এর পরচিালনায়,ইউনয়িনরে উপদষ্টো সাংবাদকি আসাদুজ্জামান ফারুকী এর সঞ্চালনায় অস্থায়ী র্কাযালয় থানা মোড়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠতি হয়।
    মোঃ জাকরি হোসনের সভাপতত্বিে আমন্ত্রতি মহেমান হসিবেে বক্তব্য রাখনে উপজলো আওয়ামীলীগরে সাবকে আহবায়ক,জলো কমটিরি সদস্য সাজদেুর রহমান খান চৌধুরী মজনু,উপজলো চয়োরম্যান ফরিোজ আহমদে স্বপন,উপজলো আওয়ামীলীগরে সাধারন সম্পাদক,সাবকে ভাইস চয়োর ম্যান আমনিুল ইসলাম লাল্টু,বীর মুক্তযিোদ্ধা সয়ৈদ আলী,কলারোয়া সরকারি কলজেরে সাবকে অধ্যক্ষ,শক্ষিাবীদ প্রফসের আবু নসর,বীর মুক্তযিোদ্ধা আব্দুর রউফ,পুজা উদযাপন কমটিরি সভাপতি মনোরঞ্জন সাহা,কলারোয়া পাবলকি ইনস্টিটিউিটরে সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকটে কামাল রজো, র্দূণীতি প্রতরিোধ কমটিরি সভাপতি প্রধান শক্ষিক আখতার আসাদুজ্জামান চান্দু,সাধারণ সম্পাদক প্রধান শক্ষিক মুজবিুর রহমান,প্রফসের ইসমাইল হোসনে, ক্রীড়ানুরাগী শাহজাহান আলী শাহনি,ইউনয়িনরে দপ্তর সম্পাদক হারুন র্আট,অন্যান্যদরে মধ্যে উপস্থতি ছলিনে-সাংবাদকি জুলফকিার জামান জল্লিু,মোশাররফ হোসনে, আরফি মাহমুদ,কে এম আনছিুর রহমান,জাকরি হোসনে জাহদিুর রহমান,জল্লিুর রহমান, কলারোয়া ইলকেট্রশিয়িান ইউনয়িনরে উপদষ্টো কাজী মশউিল আজম তুহনি,আবু সাইদ,আব্দুর রাজ্জাক,ইয়াকুব আলী,সনিয়ির সহ সভাপতি আজগর আলঅ,সহ সভাপতি শরীফ হাসান,বাবু হারাধন সাধারন সম্পাদক শহদিুল ইসলাম লটিন,সাংগঠনকি সম্পাদক ওসমান গন,িশখে কবরিুল ইসলাম,জুয়লে,কবরি,সলেমি,শখে কামরুল ইসলাম,রোকনুজ্জামান,আতয়িার রহমান,আবুল কালাম প্রমুখ।আলোচনা শুরুর আগে র্বণাঢ্য রালী কলারোয়া বাজাররে প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষণি করে

  • কদমতলায় অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের অফিস উদ্বোধন

    কদমতলায় অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের অফিস উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার কদমতলায় অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে কদমতলা বাজারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের পরিচালক মো. সালাউদ্দীন রানা।
    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কৃষক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল’র সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর শেখ শরিফুদ্দৌলা সাগর, জেলা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি মো. শহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ম. জামান প্রমুখ।
    আলোচনা শেষে সেবার ব্রত নিয়ে পথচলা অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের অফিস উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।
    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অভিজাত ক্যাটারিং সার্ভিসের আসলাম, লিটন সবুজ সহ সকল সদস্যবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতির প্রকাশনা সম্পাদক প্রভাষক আরশাদ আলী।

  • সাতক্ষীরায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান মে দিবস পালিত

    শহর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান মে দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন, জেলা শ্রমিক লীগ, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া খ- খ- র‌্যালিতে সাতক্ষীরা শহর মুখরিত হয়ে ওঠে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৮ টায় সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসন ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সমন্বয়ে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন, জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ও বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক আবু আহমেদ। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। এর পর সেখানে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
    পরে সাতক্ষীরা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবুর নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গিয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়। এরপর একে একে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন শহরে খন্ড খন্ড র‌্যালী বের করে।

  • কালিগঞ্জে ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ভাই নিহত, গ্রেফতার-৩

    কালিগঞ্জে ভাইয়ের লাঠির আঘাতে ভাই নিহত, গ্রেফতার-৩

    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে কালিগঞ্জে ভাইদের লাঠির আঘাতে আরে এক ভাই নিহত হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বন্দকাটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। নিহতের নাম মাসুদ হোসেন (২৫)। তিনি বন্দেকাটি গ্রামের মোনায়েম হোসেন গাজীর ছেলে।
    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোনায়েম হোসেনের ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল আজিজ ও আজিজের ছেলে আশরাফ হোসেন।
    কালিগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজীব হোসেন জানান, বন্দকাটি গ্রামের মোনায়েম গাজির পরিবারের সাথে তার ভাই মোয়াজ্জেম, আজিজ ও মোকাররমের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাাঁধে। এতে চাচাতো ভাই আতিকুলসহ কয়েকজন মোনায়েম গাজির ছেলে মাসুদ হোসেনের মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করে। তাকে ঠেকাতে গিয়ে আহত হন মাসুদের বোন শারমিন ও স্ত্রী রেশমা। গুরুতর আহত অবস্থায় মাসুদকে প্রথমে কালিগঞ্জ, পরে সাতক্ষীরা ও সবশেষে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
    তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মাসুদ হোসেনের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা পূর্বের অবস্থায় বলবৎ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনের সীমানা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন পূর্বের অবস্থায় বলবৎ রেখেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে গত ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আপিল শুনানীর পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
    প্রকাশ, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী সীমানা পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক রেখে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ আসনে সীমানা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে। নতুন নির্ধারিত সীমানা নিয়ে সাতক্ষীরা-৩ ও ৪ নির্বাচনী এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশ মিছিল এলাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনে পক্ষে-বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে।
    মোট ৩৬টি আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে। যার মধ্যে ৩২ টি আবেদন পড়েছে ২০০৮ সালের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সীমানার পক্ষে। অর্থাৎ এসব আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলার আংশিক (৪ ইউনিয়ন) সাতক্ষীরা-৩ আসনে দেবহাটা ও আশাশুনির উপজেলার সাথে রেখে কালিগঞ্জ উপজেলার বাকি অংশ (৮ ইউনিয়ন) শ্যামনগর উপজেলার সাথে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাথে রাখার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে ৪টি আবেদনে কালিগঞ্জ উপজেলাকে অখ- রেখে নির্বাচনী আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গেজেটের পক্ষে পেশ করা হয়।
    গত ২৩ এপ্রিল শুনানিতে আইনজীবীসহ উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য ফজলুল হক সরদার, সাবেক সংসদ সদস্য এ এইচ এম গোলাম রেজা, কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ, শ্যামনগর উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আতাউল হক দোলন প্রমুখ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত শুনানী গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ সকল কমিশনারগণ ও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

  • প্রসঙ্গ : মে দিবস

    প্রসঙ্গ : মে দিবস

    মে দিবস কি?

    ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরীকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের চত্বরে সংঘটিত শ্রমজীবি মানুষের উপর অতর্কীত হামলা চালিয়ে বিশ্বশ্রমিকের অধিকার আদায় ও মর্যাদা রক্ষায় আন্দোলনরত শ্রমিকদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করার দিনটাকে স্মরণ এবং তাদের সেই চেতনায় নতুন ভাবে উদ্ধুদ্ধ হয়ে শ্রমিক স্বার্থ সংরক্ষনের লক্ষ্যে জাগ্রত থাকার শপথ গ্রহণের একটা বিশেষ দিন এই মে দিবস।
    নানাবিধ উপাধিতে আজকের দিনটিতে এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। মে দিবসকে বলা হয় – আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস। তাছাড়া ও এ দিবসটি – আন্তর্জাতিক শ্রমিক হত্যা দিবস , লেবার ডে , ইন্টারন্যাশনাল ওয়ার্কার ডে ইত্যাদি। মেহনতি জনতার আন্তর্জাতিক সংহতি ও সংগামের স্মৃতিস্মারক এই দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবি মানুষের অধিকার আদায়ের দিন এ দিবস।

    মে দিবস কেন?

    শ্রমিকদের অধিকার আদায় এবং মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এ দিবসের আয়োজন। মালিক শ্রমিক সম্পর্ক , দায়িত্ব ও কর্তব্যকে স্মরণ করার জন্য এ দিবস। মালিক পক্ষের শোষণ , বঞ্চনা থেকে শ্রমিকদের মুক্তির আকান্খা নিয়ে ১৮৮৬ সালের ১লা মে’র সেই সংগ্রামের স্মৃতি ও চেতনায় নতুন ভাবে জাগ্রত হবার লক্ষ্যে এ দিবসের আয়োজন।

    মে দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:

    ১২৬ বৎসর পূর্বে ১৮৮৬ সালের ১লা মে আমেরীকার শিকগো শহরের শ্রমিকরা ৮ ঘন্টা কর্মদিবস ও কর্মক্ষেত্রে মানবতার আইন প্রতিষ্ঠার দাবী নিয়ে হে মার্কেটের চত্বরে সমাবেশ করতে গেলে রাষ্ট্র শক্তির নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়ে শিকাগোর হে মার্কট চত্বরে পুলিশের বন্দুকের গুলি বুকে ধারণ করে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে ১১ জন শ্রমিক বিশ্ব শ্রমিক জাতিকে নতুনভাবে বাঁচবার পরণা ও শিক্ষা দিয়ে চলে যান পৃথিবী থকে চিরদিনের জন্য। প্রতিষ্ঠা করে যান আজকের মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতি দিবস।
    এ ঘটনার পূর্বে শ্রমিকদের করতে হতো দৈনিক ৯ থেকে ১৮ ঘন্টা অমানবিক পরিশ্রম। করতে হতো তাদের মানবেতর জীবন যাপন। মিলতো নগণ্য পারিশ্রমিক। দাসত্ব জীবন ছিল কারো কারো। মালিক পক্ষের ইচ্ছায় শ্রমিকদের উপর চলতো নানাবিধ নিষ্ঠুর নির্যাতন।
    সে সময় ছিলনা বিশ্বের কোথাও শ্রমিক আইন। শ্রমিকদের মানবিক অধিকার , অর্থনৈতিক অধিকার বতে কিছুই ছিলনা। ছিলনা তাদের স্বাধীনতা। ছিলনা চাকরীর স্থায়িত্ব ও ন্যায় সঙ্গত পারিশ্রমিকের কোন নিশ্চয়তা।
    এরই পরিপ্রেক্ষিতে এইসব মানবতা বিরোধী কর্মের অবসান এবং শ্রমিকদের ৮ ঘন্টা কর্মদিবস নির্ধারণ , প্রাপ্য অধিকার আদায় , মর্যাদা সমুন্নত রাখতে তথা মেহনতি মানুষদের জন্য মানবতার আইন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৮৮৪ সালে শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক আন্দোলন শুরু করেন। তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা ১৮৮৬ সালর ১লা মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।
    তাদের এ দাবী মালিক পক্ষ মেনে না নিলে ১৮৮৬ সালের ৪ঠা মে সন্ধ্যায় শিকাগোর হে মার্কেট চত্বরে আমেরীকা ও কানাডার প্রায় তিন লক্ষ শ্রমিক জোটবদ্ধ হয়ে সমাবেশ করে। শ্রমিকদের সমাবেশের মুল কার্যক্রম শুরু হবার অল্প কিছুক্ষণ পরই অদূরে দন্ডায়মান পুলিশ বাহিনীর নিকটে হঠাৎ বোমা বিস্ফোরিত হলে এক পুলিশ তাতে নিহত হয়। সাথে সাথেই পুলিশ বাহিনী সমাবেশের উপর অতর্কীত হামলা চালিয়ে গুলিবর্ষণ করতে থাকলে তাতে ১১ জন শ্রমিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পুলিশ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় আরো ৮ জনকে শ্রমিককে।
    ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর এক প্রহসনমুক বিচার আয়োজনের মাধ্যমে উক্ত ৮ জনের মধ্য থেকে ৬ জনের ফাঁসী কার্যকর করা হয়। বাকী দুইজনের মধ্যে একজনকে দেয়া হয় ১৫ বৎসরর কারাদন্ড, আর অপর জন কারাগারের ভিতরেই আত্মহত্যা করেন। বোমা বিষ্ফোরণকারীর পাওয়া যায়নি কোন হদিস।
    ১৮৮৯ সালের ১৪ই জুলাই প্যারিসে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্ব শ্রমিক সম্মেলনে ১লা মে‘কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সেই থেকে প্রতি বৎসর ১লা মে’কে মে দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসাবে পালন করে আসছে বিশ্ববাসী।
    পরবর্তীতে ১৮৯৩ সালের ২৬শে জুন পুলিশ হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত উক্ত ৮ জন শ্রমিককে নিরাপরাধ বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

  • মহান মে দিবস আজ

    মহান মে দিবস আজ

    এ.টি.এম. মোসলেহ্ উদ্দিন (জাবেদ): আজ পহেলা মে। বিশ্বের কোটি কোটি শ্রমজীবি মানুষের অধিকার ও দাবি আদায়ের মহান ‘মে দিবস’ আজ। ১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা উপযুক্ত মজুরি আর দৈনিক আট ঘন্টা কাজের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। কল-কারখানা তখন গিলে খাচ্ছিল শ্রমিকের গোটা জীবন। অসহনীয় পরিবেশে প্রতিদিন ১৬ ঘন্টা কাজ করতে হতো। সপ্তাহজুড়ে কাজ করে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য একেবারে ভেঙে যাচ্ছিল। শ্রমজীবি শিশুরা হয়ে পড়েছিল কঙ্কালসার। তখন দাবি উঠেছিল, কল-কারখানায় শ্রমিকের গোটা জীবন কিনে নেয়া যাবে না। ৮ ঘন্টা শ্রম দিনের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন।
    ১৮৮৬ সালের ১লা মে শ্রমিকরা ৮ঘন্টা কাজের দাবিতে ধর্মঘট আহবান করে। প্রায় তিন লাখ মেহনতি মানুষ ওই সমাবেশে অংশ নেয়। আন্দোলনরত ক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের রুখতে গিয়ে একসময় পুলিশ বাহিনী শ্রমিকদের মিছিলে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিরস্ত্র শ্রমিক নিহত হন, আহত ও গ্রেফতার হন আরো অনেক শ্রমিক। পরবর্তীতে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মধ্য থেকে ছয়জনকে আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। কারাগারে বন্দিদশায় এক শ্রমিক নেতা আতœহননও করেন। এতে বিক্ষোভ আরো প্রকট আকারে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার।
    ১৮৮৯ সালের ১৪ই জুলাই ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত কমিউনিস্টদের আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৮৯০ সাল থেকে ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’।
    মে দিবস আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভের মাধ্যমে সারা বিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের ওপর এ দিবসের প্রভাব সূদূর প্রসারী। এর প্রভাবে শ্রমিকদের দৈনিক কাজের সময় ১৬ ঘন্টা থেকে নেমে আসে ৮ ঘন্টায়। বিশ্বের সব দেশের শ্রমিকরা এর মাধ্যমে তাদের শ্রমের উপযুক্ত মর্যাদা পেতে শুরু করে। নিজেদের অধিকার আদায়ে তারা এগিয়ে যায় সামনে। মেহনতি মানুষ মুক্তি পেতে শুরু করে তাদের শৃঙ্খলিত জীবন থেকে। বিশ্বের ইতিহাসে সংযোজিত হয় সামাজিক পরিবর্তনের আরেকটি নতুন অধ্যায়।
    মে দিবস হচ্ছে গোটা পৃথিবীর শ্রমজীবি সমাজের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সুচনা করার দিন। শ্রেণি-বৈষম্যের বেঁড়াজালে যখন তাদের জীবন বন্দি ছিল তখন মে দিবসের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে খুলে যায় তাদের শৃঙ্খল। এ ফলে আস্তে আস্তে লোপ পেতে লাগলো সমাজের শ্রেণি-বৈষম্য। পুঁজিবাদের দূর্বল দিকগুলোকে পুঁজি করা অবৈধ অর্থলোভীদের আগ্রাসী দংশন থেকে রেহাই পেল কোটি কোটি শ্রমিক। বৈষম্য ও শোষণমুক্ত একটি সমাজ গোটা বিশ্বকে উপহার দিল এই মে দিবস। মালিকপক্ষের সাথে শ্রমিকের যে উঁচু-নিচু সম্পর্ক ছিল তা এক সময় সমতলে চলে আসলো শুধুমাত্র মে দিবসের স্বীকৃতির ফলেই।
    বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি নি¤œমধ্য আয়ের দেশ। এই দেশে শ্রমজীবি মানুষের সংখ্যা অনেক। বর্তমানে মে দিবসের সম্মানার্থে বাংলাদেশেও ১ মে সরকারী ছুটির দিন। এদিন শ্রমিকরা মহা উৎসাহ ও উদ্দীপনায় পালন করে মে দিবস। তারা তাদের পূর্বসূরীদের স্মরণে আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। শ্রমিক সংগঠনগুলো মে দিবসে আয়োজন করে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক ও কল্যাণমুখী কর্মসূচির। বাংলাদেশের শ্রমিকরা এদিন আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে মহান মে দিবস।
    ঐতিহাসিক মে দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ অবদান আজকের শ্রমিক শ্রেণিকে আগলে রেখেছে। যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামী চেতনা এখন শ্রমজীবিদের ভূষণ। ১৮৮৬ সালের রক্তঝরা সেই ১ মে এখন সবার কাছে অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জোর সংগ্রামের শপথ গ্রহণের দিন। সামনে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র। মে দিবসে সকল শ্রমজীবি মানুষ তাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করার মাধ্যমে উন্নয়নমুখী পরিবর্তন সূচনার অঙ্গিকারের প্রয়াস পায়। জয় হোক সাম্যের, জয় হোক মেহনতি মানুষের।

  • দেবহাটায় মহিলা অধিদপ্তরের দর্জি বিজ্ঞান ও ব্লক বাটিক প্রশিক্ষনের উদ্বোধন

     দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে ও উপজেলা পরিষদের সহযোগীতায় উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষন কার্য্যক্রম (আইজিএ) প্রকল্পের দর্জি বিজ্ঞান ও ব্লক বাটিক প্রশিক্ষনের উদ্বোধন সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। এসময় অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসরাঈল হোসেন, সাংবাদিক কে.এম রেজাউল করিম সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সুফলভোগীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বাছাইকৃত দর্জি বিজ্ঞানে ২০ জন এবং ব্লক বাটিকে ২০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষনে ২ মাস ১৫ দিন ব্যাপী প্রতি প্রশিক্ষনার্থীকে দিন প্রতি প্রতিজনকে ১শত টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হবে এবং শেষে সেলাই মেশিন প্রদান করা হবে বলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান। এরপরে একই স্থানে সখিপুর ইউনিয়নের কোড়া গ্রামকে বাল্য বিবাহ রোধে দারিদ্র পরিবারকে চিহ্নিত করে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় এক অবহিতকরন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ-আল আসাদ। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিসেস নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা আঃলীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মুজিবর রহমান।

  • সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) : একাদশ সংসদ নির্বাচনে কে হবেন নৌকার মাঝি !

    আ’লীগ-শরিকদের ১৩ জন,বিএনপি-জামায়াতের একক প্রার্থী মাঠে

    সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের আগামী একদাশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নির্বাচনী প্রচারনা জমে উঠেছে। ভোটের আগে মাঠের লড়াইয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে লবিংসহ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ থেকে শুরু করে উঠান বৈঠক,সভা সমাবেশ ও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে প্যানা সেটে জানান দিচ্ছে নিজেদের অস্তিত্বের কথা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ভ্যান স্ট্যান্ড পর্যন্ত সবখানে আলোচনার মূল বিষয় আগামী জাতীয় নির্বাচন। প্রার্থীদের তৎপরতার পাশাপাশি ভোটাররাও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীতা নিয়ে। কারা হচ্ছেন কোন দলের প্রার্থী তা নিয়ে। এখন পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াতের একক প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে থাকলেও সরকারি দল আওয়ামীলীগ ও জোটের শরীকদের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন লড়াইয়ে মাঠ গরম রেখেছেন।
    তবে এক্ষেত্রে আ’লীগ ও তার সমমনা দলগুলো এগিয়ে থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীদের কর্মকান্ড বিশেষভাবে চোখে পড়ছেনা। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর পক্ষে দলীয়-কর্মকান্ড দৃশ্যমান না হলেও বিএনপির একক প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাংগঠনিক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন। নেতা-কর্মীরা তাকেই দলীয় প্রার্থী দেখতে চান।
    এক্ষেত্রে প্রার্থীদের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে তৃনমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নানা হিসাব-নিকাশ শুরু হলেও মূলত ভোটারদের মধ্যে নানা বিষয় কাজ করছে। কারা প্রার্থী হচ্ছেন এবং কাদের ভোট দিলে নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে নিজেদের মেলে ধরতে পারবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। মহাজোট চাইছে আগামী নির্বাচনে আসনটি ধরে রাখতে আর ২০ দলীয় জোট চাইছে আসনটি পুনরুদ্ধারে। এক্ষেত্রে আ’লীগের জন্য আবারো থাকছে শরীক দল ওয়ার্কাস পার্টি। মহাজোটের পক্ষে আসনটি ধরে রাখার ব্যাপারে তারা শতভাগ নিশ্চিত হলেও বড় সমস্যা তাদের প্রার্থীতা নিয়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী অদ্যবধি আসনটিতে আ’লীগের ভাল অবস্থান থাকলেও মোর্চার কারণে গতবার তারা শরীকদের ছাড় দিলেও এবার তারা চাইছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে দলীয় প্রার্থী নিয়ে।
    সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের টিকিটে নৌকা প্রতীক নিয়ে শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী এ্যাডঃ মুস্তফা লুৎফুল্লাহ নির্বাচিত হলেও এবার আ’লীগ আর আসনটি তাদের ছাড় দিতে চাইছেননা। পক্ষান্তরে ওয়ার্কার্স পার্টি ফের জোটগত আসনটি ধরে রাখতে চায়।
    এর আগে ৯ম সংসদ নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে চারদলীয় জোটের প্রার্থী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে হারিয়ে নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান। আ’লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবি, ফিরিয়ে দেয়া হোক তাদের নিজ ঘরানার প্রার্থীতা। কেননা,সর্বশেষ রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতার মধ্যে আ’লীগ মহাজোটের ব্যানারে নির্বাচনে ক্ষমতায় আসলেও বর্তমানে তাদের অবস্থান ভাল এবং দেশ এখন উন্নয়নের সোপানে আরোহন করছে। এমন নানা দৃষ্টিকোন থেকে ঘুরে-ফিরে ভোটারদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন কে হচ্ছেন দলীয় প্রার্থী। বর্তমান এমপি ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ? আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী না কি অপর শরীক জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত নাকি অন্য কেউ?।
    সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া দুটি উপজেলার ২৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ১০৫ (সাতক্ষীরা-১) আসনটি। সর্বশেষ তালিকানুযায়ী এখানকার ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১৭ হাজার ৮৯১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ৮১৮ জন ও পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৩ জন। আসনটিতে স্বাধীনতা পরবর্তী জামায়াতের অ্যাডভোকেট শেখ আনছার আলী ও জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত একবার করে ও বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব দু’বার,ওয়ার্কাস পার্টি একবার ও বাকি সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মূলত ঐ সমীকরণ ও নানা কারণে সাতক্ষীরার এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।
    ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত শরিক দল ওয়ার্কার্স পাটির অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে প্রার্থীতা দিলে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন। ঐ নির্বাচনে অবশ্য বিএনপি-জামায়াত অংশ না নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সরদার মুজিবের সঙ্গে।
    এর আগে গত ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক জেলা বিএনপির সভাপতি হাবিবুল ইসলাম হাবিব আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের কাছে পরাজিত হন। জোট প্রথা শুরুর পর আসনটিতে বিএনপিকে জামায়াতের ওপর ভর করে আর ওয়ার্কার্স পার্টিকে আ’লীগের ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ায় মূলত জোট নির্ভর হয়ে পড়ে আসনটি। তবে আসন্ন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের বিএনপির প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব মামলা জটিলতায় অথবা যেকোনো কারণে প্রার্থী হতে না পারলে আর বিএনপির মিত্র জামায়াত তাদের জোটবদ্ধ থাকলে এ আসন থেকে তাদের প্রার্থী হতে পারেন,জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ। এদিকে বিএনপি-জামায়াত তাদের হৃত আসনটি পুনরুদ্ধারে গত চার বছরে দৃশ্যত দলীয় কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেনি তারা। রাজনৈতিক অস্থীতিশীলতায় তাদের শ’ শ’ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা মামলায় জড়িয়ে জেল-হাজতবাসসহ আত্মগোপন কিংবা মামলা এড়াতে প্রকাশ্য রাজনীতিতে নিরব রয়েছেন তারা।
    অন্যদিকে পাওয়া না পাওয়া থেকে শুরু করে নানা সংকটে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়ে আ’লীগও ভাল নেই। তালা উপজেলা আ’লীগের রয়েছেন পরষ্পর দু’গুরুপে। উপজেলা আ’লীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের সঙ্গে ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি’র দূরত্ব সেই প্রথম থেকে।
    আসনের অপর উপজেলা কলারোয়ার চিত্রও অনুরুপ। সেখানকার আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সঙ্গে রয়েছে সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টুর চরম দ্বন্দ্ব। সব মিলিয়ে আ’লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ওয়ার্কার্স পার্টির এমপি’র সাথে আ’লীগের দুরত্ব আসন্ন নির্বাচনে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
    তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনের আগে দলীয় কোন্দল নিরসন না হলে এ আসনটিতে একদিকে আ’লীগের জন্য পরাজয়ের অন্যতম কারণ হতে পারে,তেমনি শরিক দলের প্রভাবে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন আ’লীগের প্রার্থীরা। সে ক্ষেত্রে কপাল খুলতে পারে মহাজোটের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি কিংবা জাতীয় পাটির প্রার্থীদের।
    নির্বাচনী এলাকা ঘুরে জানাযায়,আসন্ন নির্বাচনে আসনটি থেকে আ’লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রে লবিং ও তৃণমূলের প্রচারণায় রয়েছেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান,জেলা আ’লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র,তালা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ নুরুল ইসলাম,কলারোয়া উপজেলা আ’লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন,সুপ্রীম কোর্টের আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা মোহাম্মদ হোসেন,জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব,কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,স,ম আলাউদ্দীন মেয়ে জেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি লাইলা পারভিন সেজুতি। শরীক দলগুলোর মধ্যে রয়েছেন, ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ,জাতীয় পার্টির সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু,জেএসডি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর জিল্লুর রহমান ও জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা দেবাশীষ দাস।
    অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে যাদের নাম প্রচার পাচ্ছে তারা হলেন,কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রকাশনা সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ।
    ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ জানান,২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াত আ’লীগের নেতা-কর্মী খুনসহ যে তান্ডব চালিয়েছিল সেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কঠোর ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। গত ৫ বছরে তার নির্বাচনী এলাকায় গত যেকোন সময়ের তুলনায় যোগাযোগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে।
    প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন,দেশনেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি ও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ গ্রহন করব এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
    দলীয় অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম বলেন,আসনটি মহাজোটের দখলে আসলেও বর্তমান ওয়ার্কার্স পার্টির এমপির কাছে উন্নয়ন নিয়ে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির যথেষ্টে ঘাটতি রয়েছে। তাই এবার আর শরিক নয়,আ’লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এমন প্রত্যাশা এ মনোনয়ন প্রত্যাশীর।
    এদিকে আ’লীগের নতুন মুখ হিসেবে মাঠে কাজ করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কর্ম-কান্ডকে তুলে ধরে তার ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে গোটা তালা-কলারোয়াসহ পুরো জেলা। তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকাস্থ সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। এছাড়া তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড এক কথায় তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়মিত কাজ করছেন তিনি। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন জানান, আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী ও নৌকার পক্ষে কাজ করেযাচ্ছি।

  • সাতক্ষীরায় নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

    নিজস্ব প্রতিবেদক: “ বাংলাদেশের নারী ও মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান ” শীর্ষক তিন বছর মেয়াদী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ এপ্রিল’১৮) বেলা ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালার মধ্যমে তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন।
    কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিউজ নেটওয়ার্ক- এর প্রধান নির্বাহী ও এডিটর শহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজাজামান বাবু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ হুমায়ুন কবির, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, এটিএন বাংলা নিজস্ব প্রতিনিধি এম কামরুজ্জামান । সার্বিক সহযোগিতা করেন নিউজ নেটওয়ার্কের প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ রেজাউল করিম।
    অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা “ নিউজ নেটওয়াকর্ ” এর প্রধান নির্বাহী ও এডিটর শহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ঝঁঢ়ঢ়ড়ৎঃরহম ঐঁসধহ জরমযঃং উবভবহফবৎং ডড়ৎশরহম ভড়ৎ ডড়সধহ’ং ধহফ এরৎষং জরমযঃং উবভবহফবৎং ইধহমষধফবংয. ( বাংলাদেশে নারী মেয়েদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের সহায়তা প্রদান ) প্রকল্পটি ৩ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প যার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৮ সালের জানুয়ারীতে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং উদয়ঙ্কুর সেবা সংস্থার (ইউএসএস) সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী ৮ জেলায় ( সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামে) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে নিউজ নেটওয়ার্ক । এই কার্যক্রমের সামগ্রিক উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে নারী ও মেয়েদের অধিকারের জন্য কর্মরত নারীর মানবাধিকার রক্ষাকর্র্মী এবং মানবাধিকার রক্ষাকর্মীদের সহায়তা প্রদান করা।
    অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান তার সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার স্বীকৃতি দেয় এবং নারী অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ‘আইনের দৃষ্টিতে সমতা’র ধারনাকে সমুন্নত রাখে। নারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ সনদ (সিডও) অনুসমর্থন করে এবং নারী মেয়েদের অধিকারসমূহের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ পাস করে। এখনও বাংলাদেশে নারী ও মেয়েরা ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে তাদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসহা এখানে খুব সাধারন ঘটনা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে প্রতি পাঁচজন নারীর একজন বা ৮০ শতাংশ বাংলাদেশী নারী কোনে না কোন ধরনের সহিংসতার শিকার হন, যার মধ্যে পারিবারিক সহিংসতা, এসিড হামলা, ধর্ষন, পাচার, বাল্যবিয়ে, অবৈধ বিয়ে, বিবাহ বিচ্ছেদ, যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জোর পূর্বক পতিতাবৃত্তি উল্লেখযোগ্য। পারিবারিক সহিংসতা হচ্ছে সহিংসতার সবচেয়ে পরিচিত ধরন এবং গ্রামীন এলাকাতেই এটি বেশি দেখা যায়। যৌনহয়রানী, আত্মহত্যা, আত্মহত্যার চেষ্টা, এবং এমনকি এর প্রতিবাদ করায় হত্যার ঘটনা প্রায়ই খবরের শিরোনাম হয়।
    অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মকর্তা, পুরোহিত,মসজিদের ইমাম, ম্যারেজ রেজিষ্টার সহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক ব্যাক্তিবর্গ।

  • মার্চ-এপ্রিলে বজ্রপাতে ৭০ জনের মৃত্যু

    ডেস্ক রিপোর্ট: এ বছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাসে বজ্রপাতে সারাদেশে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

     

    এর মধ্যে এপ্রিলের শেষ দুই দিনেই ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

    গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সারাদেশ কালবৈশাখী ঝড় আর বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন মন্ত্রী।

    তিনি বলেন, গত মার্চ মাসে বজ্রপাতে মোট ১২ জনের মৃত্যুর খবর তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পেয়েছেন। আর এপ্রিলে এসেছে ৫৮ জনের মৃত্যুর খবর।

    সরকার পরিস্থিতি ‘গভীরভাবে’ পর্যবেক্ষণ করছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, “আমরা সবাইকে দেখেশুনে ঘর থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

    প্রয়োজনে ১০৯০ নম্বরে ফোন করে আবহাওয়ার পরিস্থিতি জেনে নিতে সবার প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।

    গতবছর পাহাড় ধসে পার্বত্য এলাকায় ১৬৬ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর এবছর পূর্ব প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে বলে জানান মায়া।

    যেসব এলাকায় বোরো জমির ধান পেকে গেছে, তা দ্রুত ঘরে তোলার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন তিনি।

    বিলুপ্ত সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক সুজিত কুমার দেবশর্মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কালবৈশাখীর মৌসুমে বজ্রঝড় বেশি হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে দুই থেকে তিনশ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

    “যখন কিউমুলোনিম্বাস মেঘ তৈরি হয়, তখনই বজ্রঝড় হয়ে থাকে। কিউমুলোনিম্বাস মেঘ হচ্ছে খাড়াভাবে সৃষ্টি হওয়া বিশাল আকৃতির পরিচালন মেঘ; যা থেকে শুধু বিদ্যুৎ চমকানো নয়, বজ্রপাত-ভারি বর্ষণ-শিলাবৃষ্টি-দমকা-ঝড়ো হাওয়া এমনকি টর্নেডোও সৃষ্টি হতে পারে।”

    সচেতনতা

    >> বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উচুঁ স্থানে না থাকাই ভালো।

    >> বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা বিপজ্জনক। একান্ত বের হতে হলে রাবারের জুতো ব্যবহার করা উচিত।

    >> বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি হাঁটু গেড়ে, কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়া উচিত।

    >> যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। টিনের চালা যথা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

    >> উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল ফোনের টাওয়ার থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ হবে।

    >> কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা বা জলাশয় থেকেও দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    >> বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে, ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে গাড়ি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে।

    >> বাড়িতে থাকলে বজ্রপাতের সময় জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকা নিরাপদ হবে না।

    >> বজ্রপাতের সময় বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা উচিত। ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকেও দূরে থাকা প্রয়োজন।

    >> মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টেলিভিশন, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সেগুলো বন্ধ রাখতে হবে।

    >> ধাতব হাতলের ছাতা ব্যবহার না করাই ভালো।

    >> বজ্রপাতের সময় ছাউনিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাওয়া নিরাপদ নয়। ওই সময় নদীতে থাকলে নৌকার ছাউনির নিচে থাকা উচিত।

    >> বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করাই নিরাপদ।

    >> বিপদ এড়াতে প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।

  • ইতিহাসখ্যাত আদী যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ড

    ইতিহাসখ্যাত আদী যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ড

    দক্ষিণ পশ্চিম উপকুলীয় অঞ্চলের ঐতিহাসিক নদী যমুনা। যমুনা নদী সম্পর্কে সতীশ চন্দ্র মিত্র তাঁর যশোর খুলনার ইতিহাস গ্রন্থে বলেন:

    ‘এ যমুনা সেই যমুনা
    যে যমুনার তটে ইন্দ্রপুরী তুল্য রাজপাট বসাইয়া কুরুপান্ডবে ইন্দ্রপ্রস্থ
    হস্তিনাপুরে রাঙ্গামেুয় যজ্ঞ সুসম্পন্ন করিয়া ছিলেন,
    যে কালিন্দী তটে বংশীবটে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমধর্মের অপূর্ব লীলাভিনয় হইয়া ছিল,
    যে যমুনা তীরে দিল্লী-আগ্রায়-মথুরা-প্রয়াগে হিন্দু-মুসলমান
    বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান মোঘল-ইংরেজ
    শতশত রাজ-রাজেশ্বর সমগ্র ভারতের
    রাজদভ পরিচালনা করিতেন
    এ সেই একই যমুনা।
    সেই তমালকদম্ব পরিশোভিত কোকিল কুজন মুখরিত
    নির্ম্মল সলিলে প্রবাহিত
    ভটশালিনী সুন্দর যমুনা।’

    যমুনা নদীকে কেন্দ্র করে ছিল ঐতিহাসিক ও প্রত্মাত্বিক স্থাপত্য নিদর্শন, ধর্মীয় এবং লোকজ উৎসব ও সংস্কৃতি। এ ক্ষেত্রে যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের বিষয়টা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করতে চাই। যমুনা নদীর চতুর্থ খন্ডর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সংযোগ খাল, যা এক সময় স্থানীয় মৎস্য বৈচিত্র্যের আধার ছিল। খালগুলোর মধ্যে অন্যতম-ইছামতি, কদমতলী, সীমানা খাল, সোনার মোড় থেকে শরৎখানা খাল, বংশীপুর থেকে মাহমুদপুর সীমানা খাল, সোনার মোড় শ্মাশনঘাট দিয়ে সরদার বাড়ীর পশ্চিম দিক হয়ে হানারখালীর উপর দিয়ে কদমতলী সীমানা খাল, শরতখানা থেকে ভৈরব আলীর বাড়ীর দক্ষিণ দিক দিয়ে, বংশীপুর বীদগাহ সীমানা হয়ে গজলমারী, কদমতলী সীমানা খাল ও হাফরখালী শিশেল খাল ইত্যাদি।
    এ খানে অসংখ্যা বিল আছে। যেমন: নলবিল, হাফরবিল, দিঘীর বিল, কাশিপুরবিল, পশ্চিমবিল, হানরখালী বিল, মৃতঘেরী বিল, কাঁদার বিল, মাহমুদপুর চর, ফুলবাড়ির চরের বিল, চরের বিল, আঠারখানার হুলোর বিল ইত্যাদি।
    যমুনা নদীর চতুর্থ খ- ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। কাকশিয়ালী থেকে মাদার নদী পর্যন্ত যমুনা নদীর সর্বমোট ৫টি খন্ডর মধ্যে চতুর্থ খন্ডই প্রত্মাতাত্বিক নির্দশনের জন্য সবচেয়ে বিখ্যাত। এক সময় প্রবাহমান যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের দুই তীরে ছিল অনেক ঐতিহাসিক স্থাপত্য। যার মধ্যে বুরুজপোতা, বংশীপুর শাহী মসজিদ, যশোরেশ্বরী কালিমন্দির, হাম্মাম খান, শরৎবালা পুকুর, ত্রিকণা শিবমন্দির, খৃষ্টান গীর্জা, ধুমঘাট রাজধানী, জমিদারবাড়ীর চাউল ধোঁয়া পুকুর, শরতবালা স্মৃতিস্তম্ভ, জমিদার গোলাবাড়ী, শাহী মসজিদ গোরস্থান ও ঈদগাহ, সোনার মোড় শ্মশান ঘাট ইত্যাদি।
    ইতিমধ্যে ঐ সমস্ত ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন গুলোর অধিকাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ের বন্দোবস্ত বা ইজারা বাতিল করে প্রবাহ সুষ্ঠ করলে রক্ষা পাবে বিলুপ্ত প্রায় স্থাপত্য নিদর্শনগলো। অন্যথায় ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে ইতিহাস প্রদিদ্ধ ঐ সমস্ত প্রত্মতাত্বিক স্থাপত্য নির্দশন সমূহ।
    যমুনা নদীর চতুর্থ খ-ে হিন্দু ধর্মালম্বীদের কাছে অত্যান্ত পবিত্র স্থান। দেবরাজ ইন্দ্রের সহধর্মীনীর নাম বারুনী দেবী। মধুকৃষ্ণ ত্রয়োদশী তিথিতে মর্তে আগামন করেন ভক্তদের সাক্ষাতের জন্য। দেবীর আগমন উপলক্ষে উক্ত তিথিতে ভক্তবৃন্দ সমবেত হয়ে যমুনা নদীতে ¯œান করেন। তাদের ধারনা এই শুভদিনে বারুনী ¯œানমঙ্গল বয়ে আনবে। সেই আবহমান কালের ঐতিহ্য আজও হিন্দু ধর্মালম্বীরা পালন করে আসছে।
    নদী শুকিয়ে গেলে সভ্যতা বাঁচেনা। দখল ও দূষণ, নদী ও জলাশয়ের দুশমন। নদীর জীবনের সাথে কৃষি, পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীবন-জীবিকা, স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের অস্তিত্ব জড়িত। শ্যামনরের ঐতিহাসিক যমুনা নদীর জীবন ও স্কৃতি আজ ধবংস ও ক্ষত-বিক্ষত।
    কাকশিয়ালী থেকে মাদারনদী পর্যন্ত প্রবাহমান যমুনা নদীর সাথে সংযোগ ছিল ৪০টি খাল, ৪৪টি বিল, ৫৪টি স্থাপত্য নিদর্শন, ২৪ প্রকার লোকজ ও ধর্মীয় উৎসব। যমুনা নদী দখলের পূর্বে এ অঞ্চল ছিল স্থানীয় কৃষি প্রানবৈচিত্র্য, গবাদিপশুবৈচিত্র্য, মৎস্যবৈচিত্র্য, উদ্ভিদবৈচিত্র্য ও অসংখ্যা জলজপ্রালবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ। ভূমি, নদী ও জলাশয় দুশমনদের ভোগ বিলাসীতার জন্য চিরতরে ধবংস ও বিলুপ্ত প্রায়া। নদী ভোগ দখলের অধিকার কখনও একজন ব্যক্তির হতে পারে না। তাহলেই নদী বিপন্ন হয়ে পড়ে, যেমনটি হয়েছে যমুনা নদী উপর সকলের অধিকার প্রতিষ্টা হবে, নদী বিপন্ন হয় না, নদী হয় প্রবাহমান ও জীবন্ত।