Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 367 of 398

Author: dakshinermashal

  • সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে-তথ্যমন্ত্রী

    সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে-তথ্যমন্ত্রী

    ডেস্ক রিপোর্ট: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাইবার অপরাধ ও জঙ্গি দমনে গণমাধ্যমের ভূমিকা গণতন্ত্র শক্তিশালী করবে।
    ভারতের নয়া দিল্লীতে বৃহস্পতিবার সকালে ১৫তম ‘এশিয়া মিডিয়া সামিটে’র উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা গেছে।
    হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশসহ এশিয়া এবং বিশ্ব এ মুহূর্তে ছ’টি মারাত্মক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। গণমাধ্যমের ভূমিকা একদিকে যেমন দারিদ্র্য, লিঙ্গবৈষম্য, জঙ্গিবাদ ও সাইবার অপরাধ নির্মূলে সাহায্য করবে, তেমনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিপ্লব, জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বায়নের সাথে মানুষকে খাপ খাওয়াতে শেখাবে।’
    অধিবেশনে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং বস্ত্র মন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানী, কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী ড. খিউ কানহারিত, কোরিয়া কমিউনিকেশন কমিশনার ড. স্যাম সগ কো, ইরানের আন্তর্জাতিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্বাস নাসেরি তাহেরী বক্তব্য রাখেন।
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমের এ কাজ শুধু এশিয়া নয়, সমগ্র বিশ্বকেই টেকসই, সবুজ, উন্নত, ডিজিটাল, শান্তিময় ও সমতাপূর্ণ বিশ্বায়নের দিকে এগিয়ে নেবে, সেই সাথে শক্তিশালী ও সংহত করবে গণতন্ত্রকে।’
    এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডেভেলপমেন্ট-এআইবিডি আয়োজিত এ সম্মেলনে এশীয়-প্রশান্তসহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশের ৩৯ টি দেশের সরকারি ও বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যমের আড়াইশ’রও বেশি প্রতিনিধির সামনে দেশের পরিচয় তুলে ধরতে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশ উদ্যোক্তা হিসেবে বিশ্বসেরা, তৈরি পোষাক উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে চতূর্থ।’
    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এভাবেই এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।’
    উদ্বোধনী অধিবেশনের পর ‘মিডিয়া রেগুলেশন পলিসিজ: ইথিকস, রুলস এন্ড ল’জ’ শীর্ষক প্লেনারি অধিবেশনেও বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ইনু। ভারতের পক্ষে এ অধিবেশনে যোগ দেন আইন ও বিচার এবং ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ।
    হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বাংলাদেশে সম্প্রচার জগতের যুগান্তকারী প্রসারের সাথে সাথে তাদের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধিতে ও গণমাধ্যমের কল্যাণে সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, সাংবাদিক সহায়তা নীতি প্রণীত হয়েছে, সময়োপযোগী করা হয়েছে রোয়েদাদ বোর্ড।’
    তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল যুগের সাথে নিরাপদে তাল মিলিয়ে এগুবার জন্য সাইবার অপরাধ রুখতে সকল অংশীজনকে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। এর আগে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে শুধু তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ণই নয়, তা ব্যবহারে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।’ ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার এবং বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি জুবিন ইরানী বিকেলে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী ড. খিউ কানহারিত এবং কোরিয়া কমিউনিকেশন কমিশন কমিশনার ড. স্যাম সগ কো’র সাথে যৌথ বৈঠক করেন।
    এ সময়ে তারা এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে গণমাধ্যম ক্ষেত্রে সহযোগিতার নতুন দুয়ার খুলতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।
    হাসানুল হক ইনু এসময় সকল দেশের মানুষের মাতৃভাষায় বিষয়বস্তু তৈরি ও তা ইন্টারনেটে সরবরাহের ওপর গুরুত্বারোপ করলে স্মৃতি জুবিন ইরানী একমত হন।
    তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) মো: মোশাররফ হোসেন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের (নিমকো) মহাপরিচালক মো: রফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচালক (আন্তর্জাতিক) রাহাত আনোয়ার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদসহ বেতার, টেলিভিশন ও নিমকোর কর্মকর্তাবৃন্দ মন্ত্রীর নেতৃত্বে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নেন।
    বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও এন্ড কমিউনিকেশন (বিএনএনআরসি)’র প্রধান নির্বাহী এইচএম বজলুর রহমান অধিবেশন পরিচালক হিসেবে এবং এসএ টিভি’র উপদেষ্টা খ ম হারুন প্রমুখ সম্মেলনে যোগ দেন। আগামী ১২ মে শনিবার তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

  • আশাশুনিতে বজ্রপাতে নিহত-১

    আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু ও একটি ঘরের অংশ বিশেষ পুড়ে গেছে।
    বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রচন্ড বজ্রপাত, বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যায়। এসময় আশাশুনি সদরের কোদন্ডা বিলে মৎস্য ঘেরে শেওলা উঠাচ্ছিলেন ঘের মালিক মতিন পাড় (৪০)। মতিন পাড় কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ পাড়ের পুত্র। তিনি তার বড় খালু আশাশুনি সদরের কোদন্ডা গ্রামের আঃ রাজ্জাকের বাড়িতে বসবাস করেন এবং মৎস্য ঘেরে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। নেটের মধ্যে শেওলা নিয়ে ঘেরের বাঁধের উপর দিয়ে চলাচলের সময় অকস্মাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থানেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলের পূর্ব পাশে একটি বাড়িতে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে। এলুমনিয়াম ব্যবসায়ী আলহাজ¦ আঃ গফুরের উক্ত বাড়িতে বজ্রপাত ঘটলে বিদ্যুতের পাখাসহ অনেককিছু পুড়ে গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

  • ধুলিহর আদর্শ বিদ্যালয়ের নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটি ৬ মাস স্থগিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেলার ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করে বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রিট পিটিশনের এক রায়ের আদেশের ফলে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক গাজী মনিবুর রহমান মঙ্গলবার (৮ মে) স্বাক্ষরিত স্মারক নং-বিঅ ৬/৫০৪৪/২২৪৩(১-৮) পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
    জানা যায়, সম্প্রতি ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তড়িঘড়ি করে সাধারণ নির্বাচন না দিয়ে চুপিসারে অভিভাবকদের মতামত উপেক্ষা করে একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে। এই ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সদস্য ও গোবিন্দপুর গ্রামের জাহারুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ আরজিনা খাতুন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন মামলা দায়ের করে। যার রিট পিটিশন নং-৪৭৩৩/১৮। এই মামলায় গত ইং ২২/০৪/১৮ তারিখে হাইকোর্ট এক রায়ের আদেশে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদিত বিঅ-৬/৫০৪৪/১৮৩২ (১-৭), তারিখ ১৪/০৩/২০১৮ খ্রি. পত্রটি ১০/০৪/২০১৮ খ্রি. তারিখ হতে পরবর্তী ০৬ (ছয়) মাসের জন্য স্থগিত করে।
    এই রায়ের আদেশের ফলে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক গাজী মনিবুর রহমান মঙ্গলবার (৮ মে) স্বাক্ষরিত স্মারক নং-বিঅ ৬/৫০৪৪/২২৪৩(১-৮) পত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কয়েকটি দপ্তরেও চিঠি পাঠানো হয়েছে।
    অপরদিকে রিট পিটিশনের বাদী মোছাঃ আরজিনা খাতুনকে মারধর, গালি-গালাজ, অপমান ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়নারী করার হুমকি ধামকি দেওয়ায় ৪ জনের নামে সাতক্ষীরা থানায় একটি জিডি হয়েছে। যার জি,ডি,নং-২১৪, তাং-০৪/০৫/২০১৮ ইং। যাদের নামে জি,ডি, হয়েছে তারা হলেন ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সদ্য গঠিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জাহানাবাজ গ্রামের শেখ সাহমত আলীর পুত্র শেখ আব্দুর রশিদ, ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান ও ধুলিহর সানাপাড়া গ্রামের মৃত মানিক উদ্দীন সানার পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান (বাবু সানা), গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ সরদারের দুই পুত্র মোঃ আছাফুর রহমান ও মোঃ মশিউর রহমান।
    এদিকে ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নব গঠিত ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন পত্র স্থগিত হওয়ার খবর মঙ্গলবার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে হৈ চৈ পড়ে যায়। এ নিয়ে অনেকেই রসাত্মকভাবে মন্তব্য করে বলেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। আবার কেউ বলেন দিন বদলায়ছে।
    এ ব্যাপারে জানার জন্য স্থগিত হওয়া ধুলিহর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদের ব্যবহৃত ০১৭২০-৫২৪৮৯৮ মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়া মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি ।

  • বিদ্যুৎ সংযোগ নেই আশাশুনির ৩৪ স্কুলে

    বিদ্যুৎ সংযোগ নেই আশাশুনির ৩৪ স্কুলে

    আশাশুনি প্রতিনিধি: ‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ পল্লী বিদ্যুতের শ্লোগান হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পৌছায়নি আশাশুনির ৩৪ স্কুলে।
    আশাশুনি শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে আশাশুনি উপজেলার খাজরা, হেতালবুনিয়া, গোয়ালডাঙ্গা, ফকরাবাদ, নয়াবাদ, বাউশুলী, জদুয়াডাঙ্গা, তালবাড়ীয়া, টেকাকাশিপুর, বালিয়াখালি, খানাঘাটা, বিছট, বাগালী, পাইকপাড়া, রাজাপুর, সুভদ্রকাটি, দিগলারাইট, প্রতাপনগর পশ্চিমপাড়া, প্রতাপনগর, চেউটিয়া, পশ্চিম ফটিকখালী, খাসটিয়া ও কোদন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল পরিচালনা কমিটি বিদ্যালয়গুলো বিদ্যুতের আওতায় আনতে সম্প্রতি আবেদন করেছেন। কিন্তু বাকী স্কুলগুলোর মধ্যে কোলা, নাসিবাদ, কাঠামারি, কাকড়াবুনিয়া, হিজলিয়া, ফটিকখালী, ১৩০নং উত্তর খাজরা, গাতির মহল, ১৫৯নং উত্তর খাজরা, নয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ হবে কি তা নিয়ে সংশয় আছে।
    এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছা. শামছুরনাহার বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ থেকে বঞ্চিত। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ২৪টি স্কুলের আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে এবং ১০স্কুলের আবেদন দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মধুসুদন রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। তবে আবেদনকৃত ২৪টি স্কুলের তালিকা পেলে আগামী ৭দিনের মধ্যে আমি ঐ সকল স্কুলগুলো পল্লী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে পারবো। অন্য ১০স্কুলের আবেদন পেলে পর্যায়ক্রমে ১০০ভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হবে। এই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ সরকারি ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ এবং মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ কার্যক্রম চলছে। যেসব বিদ্যালয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা নেই তাদের এই সরঞ্জাম কোন কাজে আসছেনা। বিদ্যুতহীন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একদিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ ব্যহত হচ্ছে অপর দিকে প্রচন্ড গরমে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এসকল স্কুলের কোমলমতি শিশুরা চলতি বৈশাখ মাসের কঠোর তাপদহে প্রতিনিয়ত হচ্ছে অসুস্থ্য।

  • টাকা জমা দিয়েও হজ্বে যেতে পারলেন না ৩ জন

    শহর প্রতিনিধি: ঢাকার সুপ্রিম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর চাহিদা অনুযায়ী সমুদয় টাকা পরিশোধের পরও দেবহাটার মো. সাইফুল ইসলাম, রহিমা খাতুন ও মোস্তফা নুর মোহাম্মদ পবিত্র হ্জবব্রত পালন করতে পারলেন না। এর জন্য দায়ী ওই ট্রাভেলসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি যথাক্রমে সাঈদুর রহমান ও শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই।
    বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন দেবহাটার সখিপুরের মো. আবুবকর সিদ্দিক। তিনি দায়ী ব্যক্তিদের প্রতারক হিসাবে আখ্যায়িত করে বলেন তারা হজ্বে পাঠানোর ব্যবস্থা তো করেই নি এমনকি আমাদের দেওয়া টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সুপ্রিম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর ডিরেক্টর সাঈদুর রহমান ২০১৬ সালে হাজি সংগ্রহের জন্য তার সাথে যোগাযোগ করেন। সে অনুযায়ী সাঈদুর রহমানের মনোনীত সাতক্ষীরার মুনজিতপুরের শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই হজ্বে নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিলে জন প্রতি ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা হিসাবে মোট ৫ লাখ ১১ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। বিভিন্ন সময়ে ও বিভিন্ন চেকে এই টাকা পরিশোধ করা হলেও ২০১৭ সালে তাদেরকে হজ্বে না পাঠিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত চাইলেও তা দিতে নানা বাহানা শুরু করে শেখ আহসানউল্লাহ প্রদীপ ওরফে হাজি ভাই।
    তিনি বলেন, হাজি ভাই ২০১৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তার নিজ নামের জনতা ব্যাংক সাতক্ষীরা করপোরেট শাখার ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার একটি চেক সাইফুল ইসলামকে প্রদান করেন। অথচ হিসাব নম্বর ০০২২৩৫৪০৭ এর এসবি ১০ এফএম ৯৩৩৪৬১৮ নম্বর চেক ব্যাংকে দেওয়া হলে যথেষ্ট পরিমান টাকা না থাকায় চেকটি ডিসঅনার হয়ে যায়। এরপর সাইফুল ইসলাম সাতক্ষীরা জজ আদালতের এ্যাড. রবিউল ইসলামের মাধ্যমে একটি উকিল নোটিশও পাঠান। কিন্তু আহসানউল্লাহ প্রদীপ টাকাও দিচ্ছেন না। আদালতে হাজিরও হচ্ছেন না। উল্টো তিনি নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।
    আবু বকর সিদ্দ্কি বলেন, তার ভায়রা জামাতা সাইফুল ইসলাম, সহোদর বোন রহিমা ও সহোদর ভাই মোস্তফা নুর মোহাম্মদ পবিত্র হজ্বব্রত পালনে ব্যর্থ হয়েও তাদের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু সহযোগিতা কামনা করেছেন।

  • কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. ইমাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভায় নীতিমালার আলোকে সকল ইউপি সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নতুন প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নতুন প্যানেলে ০৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম ১০ ভোট পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান-১, সংরক্ষিত মহিলা আসনের ১,২,৩ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্যা ফতেমা খাতুন ৮ ভোট পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান-২ এবং ০৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রেম কুমার ০৬ ভোট পেয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নির্বাচিত হয়।
    উল্লেখ্য, গত ২৫ মে২০১৬ তারিখে গঠিত প্যানেল চেয়ারম্যান-১ বিকাশ সরকার শারিরিক অসুস্থতা দেখিয়ে ০৯.০৫.২০১৮ তারিখে লিখিত দরখাস্তে দায়িত্ব পালনে অসম্মতি জানায়। এবং প্যানেল চেয়ারম্যান-২ রওনাকউল ইসলাম রিপন ও প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ শিরিনা রসুল ব্যক্তিগত কারণে ০২.৫.০১৮ তারিখ প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে। সে কারণে পরিষদ পরিচালনার জন্য নীতিমালার আলোকে পূর্বের প্যানেল বাতিল করে নতুন প্যানেল গঠন করা হয়।

  • দেবহাটার বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা

    দেবহাটার বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ট শিক্ষার্থীরা

    শিক্ষাঙ্গন প্রতিনিধি, দেবহাটা: স্কুলেগামী ছাত্রীদের উত্যাক্ত করা, তাদের দিকে বাজে অঙ্গভঙ্গি করা, শিস দেওয়াসহ বিভিন্ন ধরনের বাজে মন্তব্য করার মত ঘটনা দেবহাটার বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের আশেপাশে এখন নিয়মিত ব্যাপার।
    বিদ্যালয়টির আশপাশে এখন প্রতিদিনই লক্ষ্য করা যায় বখাটেদের আড্ডা। এদের বেশির ভাগই মাদকাসক্ত। বখাটেরা স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের প্রেমের প্রস্তাব দেওয়াসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ করে দেয় নতুবা অন্য স্কুল বেছে নিচ্ছে। এ অবস্থায় ছাত্রীরা অসহায়, উদ্বিগ্ন তাদের অভিভাবকরা। ইভটিজারারা হয়ে উঠছে বেপরোয়া। তাদের শিকার হয়ে মেয়েরা অনেক সময় আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। ইভটিজিং প্রতিরোধে আইন থাকলেও তার বাস্তবায়নের অভাবে কমছে না ইভটিজিং। সকাল হলেই বখাটেদের দেখা যায় স্কুলের সামনে। সকাল ৯টা থেকে ক্লাস থাকলে ৮টার মধ্যে বখাটেরা স্কুলের সামনে চলে আসে।
    কয়েকদিন আগে ৮ম শ্রেণী ও ১০ শ্রেণীর দুইজন ছাত্রী কুলিয়া থেকে স্কুলে আসার সময় কয়েক জন বখাটে মোটরসাইকেল যোগে এসে তাদেরকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। প্রতিদিন কোন না কোন বহিরাগতদের আগমন ঘটছে এই স্কুলের সামনে। এ বিষয়ে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার সময় কিছু বাজে ছেলেরা আমাদের মেয়েদেরকে বিরক্ত করে। বখাটেদের জন্য মেয়েদের স্কুলে একাকী যাওয়ার উপায় নেই।
    বিষয়টি নিয়ে বহেরা এটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব ইমাদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং বলেছি যে, স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলের আশপাশে বিনা কারণে কোন স্থানীয় বা বহিরাগত ছেলেরা আসতে পারবে না। যদি কেউ এসে অশোভনীয় আচরণ করে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটার আগেই বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সুধীজন ও অভিভাবকবৃন্দ।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাথন্ডা বাজার পরিদর্শন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: কাথন্ডা বাজার পরির্দশন করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম।

    গত বুধবার সকালে এ পরিদর্শনে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।

    এসময়ে বাজারের হোটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বাসী পঁচা খাবার রাখা, ওজনে কম দেওয়া, মিস্টির প্যাকেট ও দইয়ের খুলির অস্বাভাবিক ওজন, ট্রেড লাইসেন্স রিনিউ না করাসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এসময়ে মিলন মিষ্টান্ন ভান্ডার ও আমজাদ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৪৩সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৪৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময়ে জনগনকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করা হয়।

  • অভ্যান্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহের উদ্বোধন

    শহর প্রতিনিধি: অভ্যান্তরীণ বোরো চাল সংগ্রহর উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়েছে। বুধবার সকালে জেলা খাদ্য গুদাম অফিস চত্বরে রাইচ মিল মালিক সমিতি ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের নিয়ে ফিতা কেটে চাল সংগ্রহ কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসোন।
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জেলা খাদ্য গুদাম চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন, জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জেলা মিল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, আব্দুল গফ্ফার, মশিউর রহমান প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা খাদ্য গুদাম পরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামান। এবার জেলা থেকে চার হাজার মেট্রিকটন চাল সংগ্রহ করা হবে।

  • সাতক্ষীরার কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি আজ মৃতপ্রায়

    সাতক্ষীরার কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি আজ মৃতপ্রায়

    ডেস্ক রিপোর্ট: কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন নদীটি (কদমতলা খাল) অপরিকল্পিত উন্নয়ন ব্যাবস্থাপনা ও দখলবাজীর কবলে পড়ে আজ প্রবাহ হারিয়ে মৃত খালে পরিণত হয়েছে। ফলে সাতক্ষীরা সদরের পশ্চিমাংশের পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সাতক্ষীরা সদরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত ও জলবায়ু পরিবর্তন ঝুকি মোকাবেলায় জলাধার তৈরিতে এ নদীকে সংস্কার করা গেলে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

  • মিথ্যে অপহরণ মামলা থেকে অব্যহতি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
    আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
    তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।মিথ্যে অপহরণ মামলা থেকে অব্যহতি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি
    শহর প্রতিনিধি: শ্যামনগরে মিনি স্লুইচ গেট দখল করতে না পেরে চারজনের নামে মিথ্যে পাচার মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পানখালী(চুনা) গ্রামের মৃত শফির আলী গাজীর ছেলে মো. আনিছুর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বোনের নামীয় আবাদ চন্ডিপুর মৌজায় এক একর ১১ শতক জমি মাছের ঘের করার জন্য ২০১৭ সাল পর্যন্ত ডিড দেয়া ছিল। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে ঘেরটি ফেরত নিয়ে আমরা ব্যবসা শুরু করি। পাশ্ববর্তী কাশেম গাজীর ছেলে শহিদ গাজী ওই ঘেরে থাকা মিনি স্লুইচ গেটটি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করেন। কিন্তু দখল করতে না পেরে শহিদ গাজী আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই জের ধরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময় শহিদ তার মামা শশুর জাহাবক্সকে ম্যানেজ করে তার মেয়ে শাহানারা বিবি অপহরণ হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার ও মেঝ ভাই হাফেজ মিজানুর রহমান, এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ এবং তার বোন তাহলিমার নামে একটি মিথ্যে অপহরণ মামলা দায়ের করে। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি জাহাবক্সের মেয়ে কথিত অপহৃত শাহানারা বিবি বিগত ২০১৪ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ভারতের একটি কারাগারে অন্তরীন রয়েছে। যে মামলায় শাহানারা কারাগারে রয়েছে তার সার্টিফাই কপি আমরা সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে তুলে এনেছি।
    আনিছুর অভিযোগ করে বলেন, ভারত থেকে অবৈধভাবে নদী পথে চোরচালানি মালামাল পাচারকালে ২০০৯ সালে বিজিজি’র হাতে আটক হয় শহিদের ট্রলার। এঘটনায় বিজিবি তার নামে দু’টি চোরচালানি মামলা দায়ের করে। একই সময় শ্যামনগর থানায় তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। এই হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে ভারতে গিয়ে তার ক্যান্সার হয়েছে মর্মে একটি সার্টিফিকেট আনে। সেই থেকে তার নাম হয়েছে ক্যান্সর শহিদ। চোরাকারবারির মাধ্যমে শহিদ জিরো থেকে এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছে। তার এই কালো টাকার প্রভাবে সে এলাকার সাধারন মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না।
    তিনি আরো বলেন, শুধুমাত্র আমাদেরকে হয়রানি করার জন্য চোরাকারবারি শহিদের কথায় জাহাবক্স আমাদের নামে মিথ্যে অপহরণ মামলা করেছে। মিথ্যে মামলার আসামি হয়ে আমার এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ভাগ্নে মুজাহিদ বর্তমানে পলাতক জীবন যাপন করছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার ভবিষ্যত শিক্ষা জীবন। তিনি মিথ্যে অপহরণ মামলার দায় থেকে কলেজ ছাত্র ভাগ্নেসহ সকলকে অব্যহতি প্রদান ও দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • সংবাদ সম্মেলনে অসহায় বিধবার আকুতি আমার দোকানঘর ফিরিয়ে দিন

    শহর প্রতিনিধি: সদ্য বিলুপ্ত জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর আজহার আলী শাহিনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এক অসহায় বিধবা তার দোকানঘর ফেরত পাওয়ার দাবি জানান। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শহরের ইটাগাছা পশ্চিমপাড়ার মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী রহিমা বেগম।
    তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার স্বামী বেঁচে থাকাকালীন সুলতানপুর বড় বাজারের খাল ধারে মাছপট্টি সংলগ্ন এলাকায় কোবলা মূলে ক্রয়কৃত নিজ ভোগদখলীয় জমিতে দোকানঘর নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ধরে মাছ ব্যবসা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর সুলতানপুর বড়বাজার এলাকার আমির চাঁদ খানের ছেলে হেলাল উদ্দীন উক্ত দোকানটি মৌাখিকভাবে মাসিকভাড়া দেওয়ার শর্তে নেন। বিষয়টি সুলতানপুর বড়বাজারের ব্যবসায়ী নেতাসহ আশে পাশের সকল দোকানদাররা জানেন। দীর্ঘদিন ধরে হেলাল আমার ঠিকমত ভাড়াও পরিশোধ করেছেন। হঠাৎ গত ৫/৬ মাস ধরে তিনি আর কোন ভাড়া না দিয়ে বকেয়া ফেলে রাখেন। এক পর্যায়ে গত ৩ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনকে নিয়ে ভাড়া চাইতে গেলে তিনি বলেন আর কোন টাকা দিতে পারবোনা, যা দিয়েছি এই পর্যন্ত শোধ। এ সময় আমরা তাকে দোকান ছেড়ে দিতে বললে তিনি জানান, এটি এখন তাঁতী লীগের অফিস, এই দেখো সাইন বোর্ড, এই ঘর আর তোদের নাই, এই ঘর এখন আমাদের দখলে। ‘দেখবি তোদের মজা দেখাবো’ এই বলে তিনি জেলা তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর শাহিনের কাছে ফোন করলে তিনি কয়েকজনকে সাথে নিয়ে সেখানে হাজির হন। এরপর হেলাল উদ্দীন মীর শাহিনের উপস্থিতিতে তার ইঙ্গিতে আমাদের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাকে ও আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনকে মারপিট করেন। খবর পেয়ে এ সময় আমাদের প্রতিবেশী মাহমুদ হোসেন ক্যাপ্টেন তাদের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে গেলে তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় হেলাল উদ্দীনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
    তিনি আরো বলেন, সদ্য বিলুপ্ত হওয়া তাঁতী লীগের সাবেক সভাপতি মীর শাহিনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে আমাদের দীর্ঘদিনের ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় দোকান ঘরটি যার বৈধ কাগজ পত্র থাকা শর্তেও তাঁতী লীগের সাইনবোর্ড তুলে তা দখলের জোর প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে। অথচ প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে গত ৬ মে রোববার তারা হেলাল উদ্দীনকে দিয়ে জেলা তাঁতী লীগের বর্তমান সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    তিনি এ সময় ভরাক্রান্ত মনে বলেন, আমার ছেলে শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুনের দুটি ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে তার চিকিৎসা করাতে না পেরে আমরা অসহায় জীবনযাপন করছি। এমতাবস্থায় তিনি তার দোকানঘরটি ফেরত পেতে ও ন্যায় বিচার পেতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, ছেলে শাহাবুদ্দিন, শাহাবুদ্দীনের স্ত্রী মোসলেমা খাতুন, মেয়ে রওশানারা, মজিদা বেগম প্রমুখ।

  • এনইউবিটি খুলনাতে সামার সেমিষ্টার ২০১৮’র এ্যাডমিশন ফেয়ার

    এনইউবিটি প্রতিনিধি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজি খুলনাতে সামার সেমিষ্টারের এ্যাডমিশন ফেয়ার শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ ফেয়ার চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিন সহ সপ্তাহে ৭দিন এ ফেয়ার চলবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাডমিশন অফিস খোলা থাকবে। এ্যাডমিশন ফেয়ার উদ্বোধন করেন ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো: ইব্রাহীম। আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ইনচার্জ) জনাব এ.এইচ.এম. মনজুর মোর্শেদ। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    ফেয়ার চলাকালীন ভর্তি ফির উপর ৬০% সহ টিউশন ফির উপর বিশেষ ছাড় থাকবে।
    বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, ইংরেজী, সি.এস.ই, ই.ই.ই, সিভিল , আর্কিটেকচার ও অর্থনীতি বিষয়ে অর্নাস কোর্স চালু আছে। এছাড়া স্মাতকোত্তর পর্যায়ে এম.বি.এ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ), এম.এ (ইংরেজী) ও এম.এস.এস (অর্থনীতি) কোর্স চালু আছে।

  • ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাছখোলা বাজার পরিদর্শন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদরের মাছখোলা বাজার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের বাজার তদারকি টিম। গত সোমবার এ পরিদর্শন কার্যক্রমে সহায়তা করেন জেলা ক্যাব সদস্য মো. সাকিবুর রহমান ও জেলা পুলিশ প্রশাসন।

    এ সময়ে বাজারে বিক্রয় পন্যে মেয়াদহীন ও উত্তীর্ণ খাবার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন, বাসী পঁচা খাবার রাখা ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ বাস্তবায়নসহ বিবিধ বিষয়ে পরিদর্শন করেন সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এসময়ে মোহম্মদ আলী স্টোর, আলমগীর স্টোর ও শরিফুল মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’০৯ এর ৩৭, ৪৩ ও ৫১সহ বিভিন্ন ধারা লংঘনের অপরাধে বিভিন্ন অংকের মোট ৩৫০০ টাকা জরিমানা। এসময়ে জনগনকে সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন দোকান ও বোরহান বেকারী পরিদর্শন করা হয়।

  • গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ‘রিটের শুনানিতে ইসির আইনজীবীর ওকালতনামা ছিল না’

    গাজীপুর সিটি নির্বাচন: ‘রিটের শুনানিতে ইসির আইনজীবীর ওকালতনামা ছিল না’

    ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচন কমিশনগাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে প্যানেলভুক্ত আইনজীবী থাকলেও ইসির ওকালতনামা ছিল না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সোমবার (৭ মে) নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
    কবিতা খানম বলেন, ‘আদালতে আমাদের আইজীবী প্যানেল আছে। তাদের মধ্যে একজন আইজীবী রিটের একটা কপি পেয়ে হিয়ারিংয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দিইনি। তাকে ওকালতনামা দেওয়ার মতো সুযোগ ছিল না।’
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত বিষয়ে আগে আদালত আমাদের কিছু জানাননি। আমরা আগে কিছু জানতাম না। গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি। তবে আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। আদালতের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করেছি।’
    ‘নির্বাচনের তফশিল দেওয়ার পর সে বিষয়ে ইসিকে অবহিত না করে আদালত কোনও আদেশ বা নির্দেশ দিতে পারে না’— সংবিধানের এই বিধানের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এ রিট বিষয়ে হিয়ারিংয়ের আগে জানতাম না। হিয়ারিং হওয়ার পর জেনেছি।’
    গাজীপুর স্থগিত হলে খুলনার ক্ষেত্রে এরকম হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও কিছু অগ্রিম বলা যাবে না। কোনও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আইন তাকে সেই সুযোগ দিয়েছে। তবে আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেওয়ার পরই নির্বচনের তফসিল ঘোষণা করি। আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনও ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।’
    গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের ব্যাপারে কমিশন আপিল করবে কিনা, জানতে চাইলে কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এখনও রিটের সারমর্ম পাইনি। আশা করি দ্রুতই লিখিত আদেশ পাবো। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
    গাজীপুর সিটি নিয়ে আবার তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন সময় আছে এ সিটি নির্বাচনের। এর মধ্যে কোনও বিষয় সুরাহা না হলে তো আবার তফসিল দিতেই হবে।’
    নির্বাচন স্থগিতে নির্বাচন কমিশনের দায় রয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি, কমিশনের কোনও গাফিলতি নেই।’
    প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রবিবার (৬ মে) একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে গাজীপুর সিটি নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

  • গাজীপুর সিটি ভোট স্থগিতে রিটের কিছুই জানত না ইসি

    ডেস্ক রিপোর্ট: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের রিটের বিষয়ে আগে থেকে আদালত নির্বাচন কমিশনকে ( ইসি) কিছু জানায়নি বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম। তিনি বলেন, ‘এবিষয়ে আমরা আগে কিছুই জানতাম না। গণমাধ্যম থেকে বিষয়টি জেনেছি।’ সোমবার বিকালে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম এসব কথা জানান।

    তিনি বলেন, গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেরেছি- হাইকোর্ট গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আদালতের নির্দেশনার প্রতি সম্মান রেখে আমরা এ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।

    সংবিধানের ১২৫ (গ) অনুযায়ী ‘কোনো আদালত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হইয়াছে এইরুপ কোনো নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে যুক্তিসংগত নোটিশ ও শুনানির সুযোগ প্রদান না করিয়া, অন্তর্বর্তী বা অন্য কোনরুপে কোনো আদেশ বা নির্দেশ প্রদান করিবেন না’- সংবিধানের এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে পড়ে শুনান সাংবাদিকরা। জানতে চান আদালত এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আগে জানিয়েছেন কিনা।

    জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা এ রিটের বিষয়ে হিয়ারিংয়ের (শুনানি) আগে জানতাম না। হিয়ারিং হওয়ার পর জেনেছি।’

    আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোনো আইনজীবী ওখানে নিয়োগ দেইনি। আমাদের প্যানেল আইজীবী আছে। তিনি প্যানেলভুক্ত একজন আইজীবী রিটের একটা কপি পেয়েছেন।

    নির্বাচন কমিশনার বলেন, কপি পাওয়ার পরে উনি হিয়ারিংয়ে ছিলেন। কিন্তু আমরা তাকে অফিসিয়ালি নিয়োগপত্র দেইনি। তাকে ওকালতনামা দেয়ার মত সুযোগও ছিল না আমাদের।

    গাজীপুরের মতো সামনের আরও নির্বাচন স্থগিতে জনমনে শঙ্কার বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, কোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারেন। আইন তাকে সে সুযোগ দিয়েছে। আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নেয়ার পরই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করি।

    কবিতা খানম বলেন, আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুইবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।

    তিনি বলেন, তবে অন্য সিটি নির্বাচন নিয়ে আগাম বলা যাবে না। কী কারণে নির্বাচন স্থগিত হয়েছে বিষয়গুলো যখন ক্লিয়ার হবে, তখন জনমনে শঙ্কা থাকবে না।

    গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আপিলের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, আমরা এখনো অফিসিয়ালি আদেশের কপি পাইনি। লিখিত আদেশ পেলে কমিশন বৈঠকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী পদক্ষেপ ইসি কী নেবে।

    গাজীপুর সিটি নিয়ে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মাত্র কয়েক দিন সময় আছে এ সিটি নির্বাচনের। এর মধ্যে কোনো সুরাহা না হলে তো আবার তফসিল দিতেই হবে।

    নির্বাচন স্থগিতে কমিশনের হাত আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে কবিতা খানম বলেন, দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি কমিশনের কোনো গাফিলতি নেই।

    ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিতের আইনি প্রক্রিয়া কোনো পর্যায়ে রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতটুকু জানি লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হওয়ার কথা ছিল। রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ওই নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট। পরে নির্বাচনের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে কমিশন।

  • রোজার পরে সরকার পতনের কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে-মওদুদ

    ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিরোজার পরে সরকার পতনের জন্য কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে দেশের মানুষ আর দেখতে চায় না। সরকারের পরিবর্তন দেখতে চায়। দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার এবং ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এ আন্দোলন করতে হবে।’

    সোমবার (৭ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সভাপতির কক্ষের সামনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

    ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সব তথ্য-উপাত্ত এবং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিশ্লেষণ করে আগামীকাল (মঙ্গলবার, ৮ মে) আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখবেন এবং খালেদা জিয়া জামিনে মুক্ত হবেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিকালে আগামী দিনে যে আন্দোলন আসছে, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ সব আইনজীবীদের নেতৃত্বে সেই আন্দোলন সফল হবে। গাজীপুর নির্বাচনে যে গণজোয়ার উঠেছিল, সেই গণজোয়ার দেখে সরকার পিছুটান দিয়েছে। সরকার এমন কৌশল নিয়েছে যে, নির্বাচনের আর পাঁচ থেকে সাতদিন বাকি। এ সময়ে এসে সরকার এটি করেছে। আমরা গাজীপুরে নির্বাচন যাতে হয়, তার জন্য আবেদন জানাবো।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা এত দিন চেষ্টা করেছি। দেশের মানুষ এখন আর আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেখতে চায় না। সেজন্য রোজার পরে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে, এ সরকার পতনের জন্য। এই সরকারকে দেশের মানুষ দেখতে চায় না। সরকারের পরিবর্তন দেখতে চায়। দেশে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের ভোটের অধিকার এবং ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের এ আন্দোলন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আমরা এ আন্দোলন সফল করবো এবং আগামী নির্বাচনে গাজীপুরের মতো গণজোয়ার সারা বাংলাদেশে দেখবেন। সেই গণজোয়ারে আওয়ামী লীগ ও তাদের প্রার্থীরা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না। বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া সুস্থ অবস্থায় জেলে গেছেন। আর এখন জেলে থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে গেলেন। হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর আপিল বিভাগ স্থগিত করায়, তিনি মুক্ত হতে না পেরে আজ কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার (৮ মে) তার জামিন আবেদনের শুনানির তারিখ রয়েছে। আমরা আশা করবো, আদালত ন্যায়বিচার করবেন এবং যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে তাকে জামিন দেবেন।’

    তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিদায়ের পর আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। আমি আশা করবো, আদালত সাহসের সঙ্গে জামিন দিয়ে প্রমাণ করবেন যে, বিচার বিভাগ স্বাধীন। আমি আশা করবো, সর্বোচ্চ আদালত বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার দায়িত্ব পালন করবেন।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘সরকারের পক্ষে রায় না দেওয়ার কারণে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়নি। বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আমরা মনে করি, বিচার বিভাগকে স্বাধীন থাকতে হবে, সংবিধান সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা ন্যায়বিচার চাই। ন্যায়বিচার হলে নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর সাজা হতো না। আপিল বিভাগেও জামিন স্থগিত হতো না।’

    অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিদায় নিতে হবে। এজন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলে হবে না। লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল করতে হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হবে।’

    সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন— সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট গরীব-এ-নেওয়াজ, মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, ড. গোলাম রহমান, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, আবেদ রাজা, মনির হোসেন, শেখ অহিদুজ্জামান প্রমুখ।

  • বোরো ধানে ব্লাস্ট রোগের ব্যাপকতার অভিযোগ, আমলে নিচ্ছে না সরকার

    ডেস্ক রিপোর্ট: এবারের মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলায় বোরো ধানের আবাদে ছত্রাকজনিত ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগ ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতের ধান নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। অনেকে ঋণ নিয়ে বোরো ফসলের আবাদ করেছেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলন না পেলে কীভাবে ঋণ শোধ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের। তবে সরকার বিষয়টি মানতে নারাজ। সরকারের এ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বলছে, এসব গুজব। এর কোনও ভিত্তি নেই।
    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,প্রতিবছর বোরো ফসলের মাঠের কিছু না কিছু অংশে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। এটি ফসলের ক্ষতি ‘স্বাভাবিক নিয়মে’ পরিণত হয়েছে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যাপকতা আকার ধারণ করার কোনও তথ্য নেই। এ বছর বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র বলছে, জেলা পর্যায় থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ব্লাস্টের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দেশে এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ টন বোরো চাল উৎপাদন হবে, যা রেকর্ড।
    কৃষি মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত ব্লাস্টের কোনও খবর আমরা জানি না। যা শুনেছি, তা পত্রপত্রিকায় ও টেলিভিশনে। এসব প্রতিবেদন দেখার পর জেলা কৃষি অফিসগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেছি। সেখানকার কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিবছরের মতো স্বাভাবিক নিয়মে এ বছরও কিছু জমিতে হয়তো ব্লাস্ট রোগ হয়েছে। তবে তা খুবই সামান্য। রেকর্ড করার মতো নয়। এটি এ বছরের বাম্পার ফলনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ এরপরও আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে সতর্ক রেখেছি, যাতে যেকোনও পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা যায়। এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কাজ করছে।’
    এদিকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রতিবছর প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করেই বোরো ফসল কৃষকের ঘরে ওঠে। এটি নতুন কিছু নয়। এ বছরও উঠবে। এ বছর বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি, এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদন হবে। মাঠের ফসল সম্পূর্ণ উঠলে মোট উৎপাদন পাওয়া যাবে।’
    এক প্রশ্নের জবাবে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বোরোর মৌসুমে ঝড়বৃষ্টি, রোদ-খরা সবই হয় এবং হবে। এর ওপর ব্লাস্ট তো আছেই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে এ বছর ব্লাস্ট যা হয়েছে, তা হিসাবে আনার মতো নয়। প্রতিবছর কিছু না কিছু জমিতে হয়। এবারও হয়েছে। এটি মোট উৎপাদনে কোনও প্রভাব ফেলবে না।’
    খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে হয়তো বলবেন, বৃষ্টিতে ধান শুকাতে পারেননি কৃষক। আবার কেউ বলবেন, খরার কারণে বোরো ধানের চিটা হয়ে গেছে। আবার কেউ বলবেন, ব্লাস্ট রোগ উৎপাদন ব্যাহত করেছে। এসবই গুজব। এ বছর সবই হবে। তারপরও বাম্পার ফলনের বোরো কৃষকের ঘরে উঠবে।’
    সরকার এ বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন বোরো চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চাল উৎপাদনে কেজিপ্রতি কৃষকের জন্য মুনাফা বাবদ ২ টাকা যুক্ত করে প্রতি কেজি সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে ৩৮ টাকা দরে। আর আতপ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে প্রতিকেজি ৩৭ টাকা দরে। আর বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে ২৬ টাকা কেজি দরে। সম্প্রতি সচিবালয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
    জানা গেছে, এ বছর সিদ্ধ বোরো চাল সংগ্রহ করা হবে ৮ লাখ টন এবং আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১ লাখ টন। বাকি ১ লাখ টন চালের জন্য দেড় লাখ টন বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে। আগামী ২ মে থেকে চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে, চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
    এদিকে গাজীপুর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, জামালপুর, গাইবান্ধা, দিনাজপুরের চাষীরা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এসব জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায়। ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন তারা। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বিষয়টি স্বীকারও করেছেন।
    কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কৃষকের ভুলের কারণে কিছু জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। কিন্তু বিষয়টি কোনোভাবে আমলে নিচ্ছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।
    জানা গেছে, এসব জেলার কৃষকেরা জমিতে সবুজ ধান গাছের চারা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। কিন্তু ধানের ছড়া বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাতাগুলো বাদামি, আবার কখনও সাদা বর্ণের হওয়া শুরু করে। কিছুদিন পর থেকে ছড়ার গোড়ার অংশে কালো হয়ে ধানের ছড়াটাও বাদামি ও সাদা বর্ণের হতে শুরু করে। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে জমিতে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করেও কোনও কাজ হয়নি। ১ একর জমির ধান কাটার খরচ পড়বে ৯ হাজার টাকা। খড় পাওয়া যাবে ৬ হাজার টাকার।

    কৃষকদের অভিযুক্ত করে কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, কৃষকেরা নিয়ম মেনে ওষুধ প্রয়োগ করেন না। জমিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বেশি হলেও এ রোগের আক্রমণ ঘটে। প্রথমে ধানের পাতা পরে ধান গাছের গিঁটে ও সবশেষে শীষে এ রোগের আক্রমণ দেখা দেয়। তাদের মতে, ধান গাছে আক্রমণের পর ন্যাটিভো, ডাইমেনশন, ফিলিয়া জাতীয় ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। কিন্তু কৃষকেরা তা করেননি।
    এ বিষয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, ‘এবার শ্রীপুর উপজেলায় ১২ হাজার ১৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। নেক ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের পরও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
    বাংলা ট্রিবিউনের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও প্রায় সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ হয়েছে। এ বছর বোরো ধান থেকে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৪৭২ মেট্রিক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে ৭৬ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বোর ধানের বাম্পার ফলন হবে।
    সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আবহাওয়ার কারণে অর্থাৎ দিনে গরম, রাতে ঠাণ্ডা, মেঘলা আবহাওয়া, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে কিছু কিছু এলাকার ফসলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছিল। কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখায় ও পরামর্শ দেওয়ায় এ রোগ বাড়তে পারেনি। এ কারণে ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনও প্রভাব পড়বে না।
    জামালপুরের ৭ উপজেলায় ব্রি-২৮ জাতের বোরো ধানক্ষেতে ছত্রাকজনিত ব্লাস্ট রোগের দেখা দিয়েছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৩১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আবাদ হয়েছে ৪৭ হাজার হেক্টর জমিতে। অন্য জাতের ফলন ভালো হলেও ব্রি-২৮ জাতের ক্ষেতে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে অধিকাংশ জমির ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে। আক্রান্ত জমিতে শীষ থাকলেও তাতে চাল নেই।
    জামালপুরের কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ব্লাস্ট একটি ছত্রাকজনিত রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত এই রোগটি দেখা দেয়। ব্লাস্ট রোগে যেন ক্ষেত আক্রান্ত না হয়, সেজন্য আমরা সঠিক সময়ে কৃষকদের পরামর্শ ও প্রচারপত্র বিলি করেছি। তারপরও বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ব্লাস্ট ছড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, এই রোগটি আর ছড়াবে না।’
    এদিকে গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোর মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ লাখ ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোর ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু জেলায় আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে। জেলায় চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টন।
    গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আ ক ম রুহুল আমীন বলেন, ‘জেলায় মাত্র ৫০০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে সমস্যা সমাধানে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের স্প্রে ব্যবহার করাসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।’ এ রোগে মোট উৎপাদনে কোনও ঘাটতি হবে না, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চালের উৎপাদন অর্জিত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
    বাংলা ট্রিবিউনের রামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, সারাদেশের মতো বিরামপুরেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ। ছত্রাক জাতীয় এ রোগের আক্রমণে ধানের শীষ সাদা ও পাতা ধূসর বর্ণ ধারণ করছে। এ রোগে চিটায় পরিণত হচ্ছে ধান। শেষ সময়ে ধানে ব্লাস্ট রোগ সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় দিশেহারা কৃষক। যখন শীষে সংক্রমণ হয় তখন ছত্রাকনাশক দিয়ে কোনও উপকার হচ্ছে না।
    বিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিক্সন চন্দ্র পাল জানান, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১২ হাজার ৬৭৬ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ৮৪০ মেট্রিক টন। নেক ব্লাষ্ট রোগে সংক্রামিত জমি থেকে ধানের ফলন কম হলেও সার্বিকভাবে কোনও প্রভাব পড়বে না ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রায়।