Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 366 of 398

Author: dakshinermashal

  • রবীন্দ্রনাথ

    রবীন্দ্রনাথ

    নাসের মাহমুদ

    কবিগুরু রবীঠাকুর
    ভেজা কদম আজকে দিলাম,

    বাঙালিদের কবি ঠাকুর।

    তার চরণে ফুল
    বন বনানী, সবুজ মাঠ,
    নদ ও নদীর কূল।

    একুশ, বাইশ, তেইশে
    কথার গুরু, গানের ঠাকুর,
    কোনখানে আজ নেই সে?

    কবি রবীর প্রভা জ্বলে
    দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রাতে,
    আমায় জেগে থাকতে বলে।

    আমিও জেগে থাকি
    বুকের ভিতর-মনের পাতায়
    সোনার বাংলা আঁকি।

  • গোলাম নবী পান্না’র ছড়া

    গোলাম নবী পান্না’র ছড়া

    ফড়িং

    গাছের আগায় চড়িং,

    চিকনা ডালে ধরিং-

    ডালটা তখন মড়িং,

    ছোকড়া গেলো পড়িং।

    সময় গেলো গড়িং

    লাগছে বড়ো বরিং।

    এত্তো কেনো লড়িং!

    কারণ উড়– ফড়িং,

    পাতায় পাতায় নড়িং।

     

     

    মাছরাঙা

    ঝলমলে জলে দেখি

    গাছ রাঙা,

    আসলে সে গাছে বসা

    মাছরাঙা।

    রঙিন পালকে এ

    ধাঁচ-রাঙা

    শিকারী নাচন তার

    নাচ রাঙা

  • নুরনগরে ৪০দিনের কর্র্মসূচির কাজে অনিয়মের অভিযোগ

    নুরনগর(শ্যামনগর) প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর ইউনিয়নে ৪০দিনের কর্মসূচির কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদ কতৃক এই কর্মসূচির জন্য অত্র ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে ৩৩জন কে তালিকা ভুক্ত করা হয় এবং বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকা-ে তাদেরকে কাজ করানো হয় কিন্তু তালিকায় ৩৩ জনের নাম থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে মাত্র ২৬জন কে পাওয়া যায়। এছাড়া তালিকার আর বাকি লোক গুলোর খোঁজ খবর নিতে গেলে উক্ত কর্মসূচির দলপতি নুর মোহম্মাদ চকিদার বলেন, আমরা ২৬জন এই কর্মসূচির কাজ করছি আর লোক শুধু টাকা তোলার সময় আসে, সই করে টাকা নিয়ে যায়। সেই নাম না জানা ৭ জনের খোঁজ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে কিছু অনাকাঙ্খিত তথ্য। নুরনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি দেবাশীষ ঘোষ ও ওর্য়াড আ”লীগ নেতা আবু হাসান গাজী ওরপে হাসান চৌধুরী, মোফাজ্জেল হোসেন পাগল, দিলিপ রক্ষিতের নামে অচ্যুত রক্ষিত, নিমাই মন্ডল, মুসলিমা, কামরুন্নাহার নামে কর্মসূচির তালিকা করে টাকা লুটপাট চলছে বলে জানা যায়। বিষয়টি নিয়ে নুরনগর ইউপি সচিব মোঃ আবু হেনার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন করিনা, এবিষয় ওর্য়াডের ইউপি সদস্য বলতে পারবে। ১নং ওর্য়াড ইউপি সদস্য আব্দুল করিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যাইনি। এ বিষয় নুরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বখতিয়ার আহমেদের সাথে মুঠো ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি, বাড়ীতে এসে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবো।’

  • জেলা সম্মিলিত আইনজীবী আওয়ামী সমন্বয় পরিষদের সভা

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচন ২০১৮ উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা সম্মিলিত আইনজীবী আওয়ামী সমন্বয় পরিষদের পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের আহবায়ক অ খ ম রেজান উল্লাহ সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল দুপুর ২টায় জজ কোর্টের ৩য় তলায় উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন এড. এস এম হায়দার, এড. ওসমান গণি, এড. আজহারুল ইসলাম, এড. শাহ আলম, এড. গাজী লুৎফার রহমান, এড. ফাহিমুল হক কিসলু, এড. আঃ লতিফ, এড. আঃ ছামাদ, এড. জিএম ওকালত হোসেন, এড. তামিম আহম্মেদ সোহাগ, এড. তৌহিদুর রহমান শাহিন, এড. হাবিব ফেরদৌস শিমুল, এড. আতাউর রহমান, এড. অজয় সরকার প্রমুখ।

  • সপ্না নতুন করে বাচঁতে চাই

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সদর উপজেরার তুজলপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের কন্যা মিনু সুলতানা সপ্না (২০) জন্মের পর পিতার ঘরে তার বেশি দিন ঠাই হয়নি। কারণ তার বয়স যখন ৮ তখন মা তানজিলা খাতুন কে তালাক দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেন। তখন থেকে মায়ের হাত ধরে নানার বাড়ী লবসা নণকুড়া গ্রামে অস্থায়ী বসবাস তার। ৮ম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে এমন সময় তার গলার ভিতরে একটি সমস্য দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য ২০১৫ সালে ডা: এনকে সিনহার কাছে যান। তিনি তাকে ঢাকার আদ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে পরিক্ষা করার পর ক্যান্সার ধরা পড়ে। ডাঃ তাকে ৬টি কেমো নেওয়ার পরামর্শ দেয়। ৫ নং কেমো নেওয়ার সময় সপ্না মারত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার পর কেমো বন্ধ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে ডাক্তাররা তার বিভিন্ন পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে তার শরীরে কোন ক্যান্সার কোন নমুনা পাওয়া যায়নি। তার বনটিবি হয়েছে বলে জানান। ডাক্তার বলেন, ভুল চিকিৎসার কারনে তার শরীরে হীপজয়েন্ট ও পায়ের হাড় ভেঙ্গে গেছে। কলকাতা মেডিকেলে দুই মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর টাকার অভাব পড়লে চিকিৎসা শেষ না করে দেশে ফিরে আসে। কলকাতার ডাক্তাররা জানান এই রোগ নিরাময় যোগ্য। তবে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ব্যয় হবে। সপ্না নতুন করে বাচতে চাই। তার চিকিৎসার জন্য সমাজের হিৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চিকিৎসার জন্য আত্মিক সাহায্যর আকুল আবেদন জানিয়েছেন। সাহায্য পাঠনোর ঠিকানা মোছা: তানজিলা খাতুন, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২২৪৬৮, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি: সাতক্ষীরা শাখা অথবা বিকাশ নং-০১৭৭৪২৬৯৭৭৯(নিজস্ব)।

  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠিত

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠিত

    ডেস্ক রিপোর্ট: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষার্থীদের নবীণ বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়মে এ নবীণ বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. সুজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জি এম তারিকুল ইসলাম, প্রভাষক ও শিক্ষক নেতা কাজী ফারুক হোসেন,প্রভাষক মো. ফেরদৌস হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল। এছাড়া জেলা ছাত্রকল্যাণের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য তোষিকে কাইফু, মাহমুদ হোসেন পারভেজ, সাইফুল ইসলাম, অরুপ ব্যানার্জী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাহী বক্তব্য রাখেন।
    প্রধান অতিথি জবি ক্যাম্পাসে যেয়ে সাতক্ষীরা জেলা থেকে আগত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মন্ডলীদের নিয়ে উপাচার্য ড. মিজানুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে নবীণ শিক্ষার্থী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়নরত সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে যান। তিনি এসময় জননেত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরেন।এছাড়া তিনি বলেন, আগামিতে ক্ষমতায় গেলে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ পর্যন্ত রেল লাইনের কাজ সমাপ্ত করতে পারবো। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালক ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়ায়েশ মাহমুদ।

  • কাশিমাড়ীতে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু ও আহত-২

    কাশিমাড়ী প্রতিনিধি: শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীতে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে ও আহত হয়েছে দুই জন। কাশিমাড়ী গাংআটি গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোড়ল এর ছোট ছেলে মোঃ আমিনুর রহমান মোড়ল (১৬) বৃহস্পতিবার দুপুরে বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করেন। বজ্রপাতে মৃত্যু আমিনুর এর ভাই আল আমিন জানান, আমিনুর রহমান খুব ভাল ছেলে ছিল। সে জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংআটি জামে মসজিদে যোহরের নামাজ পড়ার পরে মসজিদের বারান্দায় বসে ছিল আমিনুর রহমান (১৬) ও আক্তারুল ইসলাম (১৭) এমন সময় বৃষ্টির কারনে তারা মসজিদের বারান্দায় অবস্থান করে অনুমানিক ২টার দিকে বজ্রপাতের আঘাতে আমিনুর রহমানের মৃত্যু হয় ও আক্তারুল ইসলাম গুরত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
    অসুস্থ্য আক্তারুল শ্যামনগর সদর হাসপাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। মাদরাসার ছাত্র আমিনুর রহমান এর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়ানেমে এসেছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে গাংআটি মসজিদের সংলগ্নে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে বজ্রপাতের আঘাতে ঘোলা গ্রামের মৃত্যু আব্দুল মাজেদ সরদারের ছেলে মো. আশরাফ হোসেন এর মৃত্যু হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, আশরাফ হোসেন (২৫) ঘোলায় একটি ঘেরে কাজ করতে ছিল এমন সময় বৃষ্টি শুরু হলে সে বাড়িতে আসার জন্য রওনা হয়। দুপুর ১:৩৫ মিনিটের দিকে ঘেরের ভেড়িতে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতের আঘাতে তার মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু আশরাফ হোসেনের অকাল মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকাবাসি শোকাহত। বজ্রপাতের আঘাতে মৃত্যু আশরাফ হোসেন রেখেগেছে মা, স্ত্রী ও তিন মাস বয়ষের একটি কন্যা সন্তান। বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজ বাদে ঘোলা ঈদগাহ ময়দানে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। অপরদিকে বজ্রপাতের আঘাতে গুরত্বর অসুস্থ্য হয়ে শ্যামনগর সদর হাসপাতে চিকিৎসাধীন রয়েছে জয়নগর গ্রামের আব্দুর রহিম এর ছেলে মিজানুর রহমান(১৭)।

  • কালিগঞ্জে বজ্রপাতে আহত – ২

    কালিগঞ্জ প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার খড়মি গ্রামে বজ্রপাতে ২ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন উপজেলার খড়মি গ্রামের মৃত কছিমুদ্দি গাজীর পুত্র কাশেম গাজী (৩৫), উচ্চেপাড়া গ্রামের আমের আলীর পুত্র আব্দুর রহিম (২৬)। আহতদের মধ্যে আব্দুর রহিমের অবস্থা আশঙ্খাজনক। জানা যায় খড়মি বিওপি ক্যাম্পের পাশে কাশেম গাজীর বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করার সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১ টার সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত পড়লে আহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আব্দুর রহিমকে প্রথমে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানা যায়। অপর জনকে স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

  • শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: পাটকেলঘাটা এলাকার কাশিনাথ সাহার ছেলে মিহির সাহার মাদক ও সুদের ব্যবসার প্রতিবাদ করায় একজন শিক্ষক মোঃ ফারুক হোসেনের নামে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া গ্রামের মৃত কওছার আলী দফাদারের ছেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর মাষ্টারের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন একজন আদর্শ স্কুল শিক্ষক। শিক্ষাকতার পাশাপাশি এলাকায় তিনি একজন সমাজসেবক হিসাবে বিশেষ পরিচিত। অপরদিকে একই এলাকার কাশিনাথ সাহা একজন সুদখোর হিসাবে পরিচিত। তার ছেলে মাদকসেবী মিহির সাহা এজন চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী। তাদের কারণে এলাকার যুবসমাজ দিন দিন মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। শিক্ষক ফারুক হোসেন এলাকার যুবসমাজকে রক্ষা করতে মিহিরকে মাদকের ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তার কথা না শুনে এক পর্যায় পিতা কাশিনাথ ও ছেলে মিহির দু’জনেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। যুবসমাজকে রক্ষা করতে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করায় এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী সুদখোর কাশিনাথ সাহা ও তার ছেলে মিহির সাহা শিক্ষক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি এক মাদক বিরোধী অভিযানে মিহির সাহা গ্রেফতার হয় এবং ভ্রাম্যমান আদালত তাকে দুই দিনের সাজা প্রদান করে। সাজা খেটে বাড়ি ফিরে স্থানীয় কয়েকজন দুর্নীতিবাজদের মদদে মিহির সাহা তার পিতা কাশিনাথ সাহাকে দিয়ে গত ৫ মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে শিক্ষক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধ একটি মিথ্যে সংবাদ সম্মেলন করায়। সংবাদ সম্মেলনে তার দেয়া বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যে, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন। পিতা ও ছেলের মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় একজন আদর্শবান শিক্ষককে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে কাশিনাথ সাহা ওই সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের সামনে মিথ্যে তথ্য উপস্থাপন করে। বর্তমানে তারা আমাকেসহ আমার ভাগ্নে ফারুক হোসেনকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে মিথ্যে মামলা দিবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এঘটনায় আমরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছি। তিনি দুর্নীতিবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের হাত থেকে এলাকার যুবসমাজকে রক্ষার পাশাপাশি ভাগ্নে শিক্ষক ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচারের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ধানদিয়া পুলিশিং কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: তবিবুর রহমান, যুবলীগ নেতা প্রকাশ কুমার সাহা, পার্থ চক্রবর্ত্রী, প্রভাষক মো: আহাঙ্গির আলম ও উত্তর সারসা সর:প্রা: বিদ্যা: ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: ফারুক হোসেন।

  • দেবহাটায় রমজানে বাজার স্থীতিশীল রাখতে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়

    সখিপুর(দেবহাটা)প্রতিনিধি: দেবহাটায় নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ ও আসন্ন রমজান মাসে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি বন্ধের ব্যবাসীয় ও বাজার কমিটির নের্র্তৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা অফিসার হাফিজ আল-আসাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন, উপজেলা প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, পারুলিয়া মৎস্য সেড সমিতির সভাপতি রজব আলী মোল্যা, উপজেলা আম ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সেলিম, সহ-সভাপতি মুনসুর আলী, সাধারণ সম্পাদক জয়দেব বিশ্বাস, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা শাহজাহান আলী, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আহাদ আলী খান, মোস্তফা আহম্মেদ, মনিরুল ইসলাম, জিএম আল-মামুন, আহম্মদ সাঈদ, ইব্রাহিম খলিল, আফজাল হোসেন, আলাউর রহমান, জাহিদুর রহমান, বিভিন্ন বাজারের সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। মতবিনিময় সভায় নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল আসাদ বলেন, দেবহাটা, সাতক্ষীরার আমের দেশে ও দেশের বাহিরে বেশ সুনাম রয়েছে। তাই কোন প্রকার ক্যামিকেল বা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর এমন কিছু ব্যবহার করা যাবে না। যদি কেউ অসৎ পথ অবলম্বন করে। তার জন্য জেল জরিমানা ও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। একই সাথে আগামী রমজান মাস ঘিরে হঠাত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি বা পঁচা, বাসি খাবার বিক্রয় করলেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তাই রমজানের শেষে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে বাজারের দাম স্থিতিশীল রাখার অনুরোধ জানান তিনি।

  • শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও জিপিএ-৫ অর্জনকারীদের সংবর্ধনা প্রদান

    সখিপুর(দেবহাটা)প্রতিনিধি: দেবহাটায় ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স, ছাতা, জ্যামিতি বক্স, সাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে এসএসসি, জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারীদের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপজেলা অফিসার হাফিজ আল-আসাদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমাদুল ইসলাম, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলমসহ সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রীরা।

  • দেবহাটা উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভা

    দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ আল-আসাদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা পারভীন, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমাদুল ইসলাম, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দীন, প্রাণী সম্পদ অফিসার বিষ্ণপদ বিশ্বাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল লতিফ, পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ রনজিত কুমার, এলজিইডি কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হাই রকেট, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রণব কুমার মল্লিক, সমাজসেবা কর্মকর্তা অধির কুমার গাইন, বিআরডিপি কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, একটি বাড়ি একটি খামারের সমন্বয়কারী মুক্তারানী মন্ডল, হিসাবরক্ষণ অফিসার আব্দুস সামাদ, যুব উন্নয়ন অফিসার এছমোত আরা বেগম, সমবায় অফিসার আকরাম হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। মাসিক সাধারণ সভায় বিভিন্ন দপ্তরের চলমান ও উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়।

  • পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি: মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশের মাসিক অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলার সাফল্যে জেলার কলারোয়া থানা শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়। একই সাথে আইন শৃঙ্খলায় বিশেষ অবদান রাখায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকস কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়। শ্রেষ্ঠ চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা নির্বাচিতরা হলেন, কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ, জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মুনজুরুল হাসান ও কলারোয়া থানার এএসআইআহসান হাবিব। পুরস্কৃত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই বিপ্লব কুমার কান্তি ও মনির হোসেন, কলারোয়া থানার এসআই সোলায়মান আক্কাস, শরিফুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও এএসআই আহসান হাবিব, পাটকেলঘাটা থানার এএসআই হারুনর রশিদ, তালা থানার এসআই রফিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান, আশাশুনি থানার এএসআই উস্তার আলী ও জহুরুল ইসলাম, কালিগঞ্জ থানার এস আই সোহরাব হোসেন, শ্যামনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শরিফুল ইসলাম, এসআই শংকর কুমার ঘোষ, ইমদাদুল হক, এএসআই আমিরুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ, ফজলুল হক ও তরিকুল(২)। সভা শেষে নির্বাচিতদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও আর্থিক উপহার তুলে দেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সাতক্ষীরা সদর সার্কেল) মেরিনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( কালিগঞ্জ সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ইন সার্ভিস ট্রেনিং) রাসেলুর রহমান। সভায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত এপ্রিল মাসে জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়ে মাদক, জঙ্গি, নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্টভ’ক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গি, নাশকতা মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি গ্রেফতারসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে কাজ করায় জেলা পুলিশের পক্ষথেকে মোট ২২ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃৃত করা হয়।

  • এনইউবিটি খুলনাতে পরিবেশ বিশয়ক সেমিনার

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেজ এন্ড টেকনোলজিতে অবস্থিত আমেরিকান কর্ণার খুলনার এনভায়রমেন্ট ক্লাবের উদ্যোগে বাংলাদেশ “ইয়োথ এনভায়রমেন্ট ইনিশিয়েটিভ” সহযোগিতায় পরিবেশ এর উপর দিনব্যাপী সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এতে খুলনার প্রায় ১৫টি স্কুল ও মাদ্রাসার ৫০ জনের অধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে “গ্রীন লার্নিং” শিরোনামে পরিবেশ দূষন,বায়ু দূষন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহ নানা বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনা সৃষ্টি করা হয়। সেমিনারের আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব রাজীব হাসনাত শাকিল, কো- আডিনেটর এনভায়রমেন্ট ক্লাব এনইউবিটি খুলনা, বাংলাদেশ ইয়োথ এনভায়রমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এর প্রশিক্ষক রবি সংকর হাওলাদার, বহ্নি শিখা চৌধুরী ও মো: আল মুমিন খান ¯েœহ প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন আমেরিকান কর্ণার খুলনার কো- অর্ডিনেটর ফারজানা রহমান।

  • বুধহাটায় হামলায় আহত-৪

    আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনির বুধহাটায় জামাত নেতার হামলায় নারীসহ ৪জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে রবিবার আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ০২। তাং ০৬(০৫)১৮। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত চলতি মাসের ২তারিখ সন্ধ্যায় বুধহাটা গ্রামের মৃত মাদার সরদারের পুত্র চিহ্নিত জামাত নেতা মোঃ আব্দুল হাই, মৃত আরিফ সরদারের পুত্র আবুল কালাম ও আব্দুস সালাম, মৃত আফিল সরদারের পুত্র আব্দুল বারী এবং কুল্যা গ্রামের গোলাম মোস্তফার পুত্র মোঃ বিল্লাল হোসেন সহ আরও ৪/৫জন একত্রিত হয়ে লোহার রড, ধারালো দা, বাঁশের লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একই এলাকার মৃত নছিমুদ্দীন সরদারের পুত্র মোঃ আমিনুর ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে আমিনুর ইসলামের ছোট ভাই আজিজুল ইসলাম, তার চাচাত ভাই আক্তারুল ইসলাম, এবং আমিনুরের স্ত্রী হাসিনা বেগম ঠেকাইতে গেলে আসামিরা তাদের উপরও এলোপাতাড়িভাবে মারপিট শুরু করে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দা নূর ইসলাম, মনিরুল ইসলাম ও মহিউদ্দীন সরদার আহতদের উদ্ধার আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে বলে মামলা সূত্রে প্রকাশ। এছাড়া মাদার সরদারের পুত্র আব্দুল হাই যে জামাতের চিহ্নিত নেতা তার কিছু নমুনা কাগজপত্র এ প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌছেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানাগেছে আমিনুর ইসলাম গংদের সাথে চিহ্নিত জামাত নেতা আব্দুল হাই গংদের সাথে জমি জায়গা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে ছিলো। বিগত ২০১২সালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বসাবসির মাধ্যমে ২০১২সালের জিআর নং ২৫, মামলা নং ০৫ বিষয়টি সমাধান করে দেন। বর্তমানে আব্দুল হাই এর বাড়িতে জামাতের গোপন বৈঠক হওয়ার কথা আমিনুর ইসলাম ফাঁশ করে দেওয়া আব্দুল হাই ক্ষিপ্ত হয়ে বসত বাড়ির পথকে কেন্দ্র করে তাকে সহ তার পরিবারের লোকদের এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে আহত করে। এমতাবস্থায় আহত আমিনুর সহ সচেতন এলাকাবাসী জামাত নেতা এমন যঘন্ন তান্ডবের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

    কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

    ডেস্ক রিপোর্ট: কলারোয়ায় একটি সেতুর অভাবে কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে। উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের কোটাবাড়ী গ্রামের বেত্রবতী নদীতে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে পার হয়ে আসছে। একই গ্রামের সাধারণ মানুষও বাজার করার জন্য ঝুঁকি নিয়ে পরা পার হয়ে আসছে। এমনিতেই এমনিতেই রাস্তাঘাট বৃষ্টির মৌসুমে পানির নিচে তলিয়ে যায়। তার পর ঝুঁকি নিয়ে বেত্রবতী নদী পার হতে হয় বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে। স্থানীয়রা জানায়, কোটাবাড়ী পার হয়ে রাটায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ একটি বড় বাজার আছে। যেখানে সকাল বিকেল বাজার করতে আসা শতশত মানুষের যেমন দুর্ভোগ তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। ১৯৮৩ সালে বাঁশের সাঁকোটি নির্মিত হয়ে অদ্যবধি চলছে। আজও তার কোনো সুনির্দিষ্ট সমাধান হয়নি। এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি এই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করলে শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের চলাচলের সুযোগ হবে। হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ১৯৮৩ সালে কোটাবাড়ী বেত্রবতী নদীর ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছিল। এত বছরেও এর পরিবর্তে ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। তিনি বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন একটি ব্রিজের জন্য, কিন্তু এখনও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হন। বর্তমান সরকার যদি একটি ব্রিজ নির্মাণ করেন তাহলে এলাকার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের পরিত্রাণ হবে। সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত স্কুল শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। এমপি সাহেব সরেজমিন এসে দেখে গেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান তারা পাননি। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই, তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখে একটি স্টিমেট দিলে তিনি তা উপরমহলকে জনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

  • স্যালাইন দিয়ে বাঁচানো হচ্ছে ৭শ বছরের গাছ!

    স্যালাইন দিয়ে বাঁচানো হচ্ছে ৭শ বছরের গাছ!

    মশাল স্পেশাল ডেস্ক: দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তেলেঙ্গানাতে একটি ৭০০ বছরের পুরোনা বট গাছকে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্যালাইনের বোতলে তরল মিশ্রিত কীটনাশক! প্রায় তিন একর জমির ওপর থাকা এই গাছটিকে তার জাতের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ গাছ বলা হয়।
    পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এই গাছটিকে উইপোকার উপদ্রব থেকে বাঁচাতে চেষ্টার কমতি রাখছে না স্থানীয় কর্মকর্তারা। সংক্রমণ ঠেকাতে গাছের মূলে পাইপ বাঁধা হয়েছে।
    এ ব্যাপারে সরকারি কর্মকর্তা পান্ডুরাঙ্গা রাও জানান, প্রয়োজনে সার ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘গাছের ডালপালা যাতে ভেঙে না পড়ে সে জন্য সিমেন্ট প্লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
    অন্য এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘গাছের ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলোতে আমরা ফোঁটা ফোঁটায় তরল কীটনাশক দেয়ার ব্যবস্থা করেছি, এটা অনেকটা স্যালাইন থেকে ফোঁটার মতো যেভাবে পড়ে ঠিক সেভাবে।’
    এদিকে গাছটির ডালপালা ভাঙা রোধে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কতৃপক্ষ পর্যটকদের ওপর সীমাবদ্ধতা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে আরও জানানো হয়, উইপোকা মারাত্মকভাবে ক্ষতি করেছে গাছটির। এছাড়া পর্যটকরা এর ডালপালায় ঝুলে বাঁকিয়ে দিচ্ছে। ভারতীয় বট গাছ বিস্তৃত বৃদ্ধি ও দৃঢ শিকড়ের জন্য পরিচিত।

  • ডিবি পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

    বিশেষ সংবাদদাতা: গোয়েন্দা পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শক ও তার টিমের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও নির্যাতনের মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ ব্যাবসায়ীদের কারণে অকারণে হয়রানি এবং এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের জেলা শাখার পরিদর্শক ও তার টিম। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভেঙে পড়বে পুলিশের ভাবমূর্তি।
    শহরের নিউ মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন মিলন জানান, গত ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে রাধানগরের মকবুল হোসেন তাকে নিয়ে কাটিয়া কাস্টমস মোড়ের আশরাফ হোসেনের ছেলে ফাহিম আহম্মেদ অর্ণব আটকের সত্যতা যাঁচাই এর জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান। একপর্যায়ে উপপরিদর্শক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তারা বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিলে উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল পরিচয় জেনে তাকে (মিলন) নিমতলায় ডেকে নিয়ে হ্যা-কাপ পরিয়ে কথিত গারদঘরে ঢুকিয়ে দেয়। তার সন্ধান করতে থাকা মকবুলকেও আটক করেন মঞ্জুরুল হাসান। তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেল রেখে দিয়ে রাত একটার দিকে হাতকড়া বিহীন মকবুলসহ তাকে হাতকড়া পরিয়ে কেষ্ট ময়রার ব্রীজের পাশে পুরাতন মোটর সাইকেলের শোরুম সরদার ট্রেডিং এর সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বাড়ির চাবি খুঁজতে মকবুলের শোরুম খুলে কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে ফেলা হয়। সেখানে চাবি না পাওয়ায় মোটর সাইকেলের মিটার টেম্পারিং করার অভিযোগে তাকেসহ মকবুলকে একটি সাদা রং এর মাইক্রোবাসে করে তার বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়।
    বাড়ির গেটের দরজা খুলতে দেরী হওয়ায় মারপিট করতে করতে কোলাবসিগ্যাল গেটের তালা ভেঙে দোতলায় ওঠেন পরিদর্শক শাহারিয়ার, উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল, সহকারি উপপরিদর্শক মিজান, সহকারি উপপরিদর্শক রিয়াজুল ইসলাম, সহকারি উপপরিদর্শক জিয়া, সহকারি উপপরিদর্শক রাজু। পুলিশের কথামত তার স্ত্রী মনিরা পারভিন ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপরপরই উপপরিদর্শক মঞ্জুরুল একটি ড্রয়ার ভেঙে বাড়ি বিক্রির শেষ সম্বল এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা বের করেন। দু’ লাখ সাত হাজার টাকা ছিল, বাকী টাকা কোথায় গেল সেটা তার কাছে জানতে চায় মঞ্জুরুল। একপর্যায়ে মঞ্জুরুল টাকা আবারো মনিরার কাছে দিয়ে দেন। কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে আসবাবপত্র তছনছ করে কিছুক্ষণ পর শাহারারিয়ারের কথামত আবারো ওই টাকা নিয়ে চলে আসেন মঞ্জুরুল। গভীর রাতের ঘটনা হলে মোটর সাইকেলের মিটার টেম্পারিং এর মেশিন খোঁজার নামে কৌশলে পুলিশের দস্যুতা অনেকেরই নজর এড়ায়নি। এ সময় শাহারিয়িারের মুখ থেকে মাদকের গন্ধ ভেসে আসছিল। পরে তাদের দু’জনকে আবারো শোরুমে নিয়ে এসে কয়েকটি ড্রয়ার ভেঙে খাতাপত্র নিয়ে আসে পুলিশ। তাদেরকে আটক রাখা হয় গোয়েন্দা পুলিশের কথিত গারদঘরে। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে মঞ্জুরুলের নেতৃত্বে পুলিশ শোরুম থেকে টিটু ও মিলনের ২৫টি মোটর সাইকেল ফিল্মি স্টাইলে নিয়ে আসার সময় কয়েকটি গাড়ি তেল অভাবে বিকল হয়ে যায়। পরে তেল ভরে নিয়ে আসা হয় ডিবি অফিসে। টিটুর ব্যবহৃত মকবুলের কাছ থেকে প্রথমেই আটকে রাখা মোটর সাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কির মুখ, স্টিকার, লুকিং গ্লাস, হর্ণ, ব্যাটারী ও শাড়ি গার্ড খুলে নেওয়া হয়।
    বাস টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা টিটু জানান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী আক্তার, কাজী ইকবাল, মোস্তফা, মাসুদ, সুলতানপুরের বাবু, রেজায়ান, মিস্ত্রী আফজাল, ও মা মোটরস এর মালিক ভাই জিল্লুর এর উপস্থিতিতে শোরুম থেকে তার ১৭টি গাড়ি বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি চ্যালেঞ্জ করলে তাকে কাগজপত্র নিয়ে ডিবি অফিসে যেতে বলা হয়। ডিবি অফিসে গেলে পরিদর্শক শাহারিয়ারের বরাত দিয়ে তাকে সন্ধ্যায় যেতে বলেন মঞ্জুরুল। একপর্যায়ে মিটার টেম্পারিং এর বিষয়টি স্বীকার করে মকবুল কিছু জানে না বলার পর মিলন ও মকবুলকে আবারো গারদে ঢোকানো হয়। এরপর ১৭টি গাড়ির কাগজপত্রের ফটোকপি দিয়ে তারা চলে আসার আগেই মকবুলকে ছাড়াতে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় তার স্ত্রী। কিন্তু এক লাখ টাকা ছাড়া ছাড়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন শাহারিয়ার। ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়ায় অবস্থানকরাকালীন সহকারি উপপরিদর্শক জিয়া মোবাইল ফোনে তাকে (টিটু) ডিবি অফিসে যেতে বলেন। ভাই জিল্লুরকে নিয়ে সেখানে গেলে মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৯০ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে সহকারি উপপরিদর্শক রাজু তাকে আটক করে গারদ ঘরে আটক করা হয়। পরে তার চোখ বেঁধে হাতে হ্যা- কাপ পরিয়ে শাহারিয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিন লাখ টাকা দাবি করেন শাহারিয়ার। পরে তাকে গারদ ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। রাজুর সঙ্গে চুক্তির শেষ পর্যায়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা ও গাড়ি ছাড়ানোর জন্য তার কাছ থেকে আরো ২২ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরদিন সকালে ১৮টি গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ১০ এপ্রিল দিবাগত রাত দু’ টোর দিকে তাকে (টিটু) ছেড়ে দেওয়া হয়। ১১ এপ্রিল বিকেলে স্ত্রী ও ভাগ্নের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে পরদিন ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে মকবুলকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের পরের দিন সন্ধ্যায় গাড়ি ফেরৎ দেওয়ার কথা থাকলেও বারবার তাকে ঘোরানো হয়। ওই দিন আরো ২০ হাজার টাকা দাবি করে ১০ হাজার টাকা নেন মঞ্জুরুল। ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে আরো ১০ হাজার টাকা নিয়ে পাঁচটি গাড়ি, ১৯ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে চারটি ও আরো ১০ হাজার টাকা নিয়ে ২৩ এপ্রিল চারটি ও ২৪ এপ্রিল দুপুরে দু’টি গাড়ি দিয়ে দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল তার দু’িট গাড়ি ও মিলনের একটি গাড়িসহ মিলনকে একটি মিটার টেম্পারিং এর প্রতারনার মামলায় চালান দেওয়া হয়।
    খালিদ হোসেন মিলন বলেন, গত বৃহষ্পতিবার তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে পরদিন থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা ফেরৎ নেওয়ার জন্য শাহারিয়ার ও মঞ্জুরুলের কাছে হাঁটতে থাকেন। কয়েকজনের তদ্বিরের পর সহকারি উপপরিদর্শক রাজুর সহায়তায় সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তার সাতটি গাড়ি ফেরৎ দেওয়া হয়। টাকা চাইলে আবারো নতুন মামলায় চালান দেওয়ার হুমকি দেন মঞ্জুরুল হাসান ও শাহারিয়ার।
    ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২৩ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে কালিগঞ্জেন রতনপুরের ব্যবসায়ি মন্টু ও তার সহযোগি একটি পুরাতন মোটর সাইকেল বিক্রি করে অন্য একটি কেনার জন্য ইজিবাইকে টাউন বাজার যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে স্টেডিয়াম ব্রীজের কাছ থেকে শাহারয়িার টিমের সদস্যরা তাদেরকে আটক করে হাত কড়া পরিয়ে ডিবি অফিসে নিয়ে এসে তাদের কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা নিয়ে নেয়। পরে এক ইউপি সদস্যের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা চুক্তিতে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরে এক পত্রিকা সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে শাহারিয়ারে বাক বিত-া হলে টাকা ফেরৎ দেওয়া হয়। একই দিনে বুধহাটার এক ব্যবসায়ি তার ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের সোর্সদের দিয়ে বিত্তশালীদের বাড়িতে বা সার্চ করার নামে জামাপ্যান্টের পকেটে হাতের আঙুলের ফাঁকে রাখা মাদক দিয়ে ধরানোর কোন বিকল্প নেই।
    ভুক্তভোগীরা আরো জানান, শাহারিয়ার তার ভাই সাতক্ষীরার ফায়ার সার্ভিসে কাজ করা ও নানার বাড়ি তালায় হওয়ার সুবাদে সাতক্ষীরায় পড়াশুনা করেছেন। বৈচিত্রময় পাঞ্জাবী পরে তিনি আটককৃত প্রায় নিরীহ ব্যক্তি ছাড়াও মাদক সেবী ও বিক্রেতাদের চোখ বেঁধে ও হাতে হ্যা-কাপ পরিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে আটককৃতদের মোবাইল থেকে আটককৃতদের দিয়ে তাদের স্বজনদের মোবাইল করে লাখ লাখ টাকা আদায় করার ব্যাপারে সিদ্ধ হস্ত। ২ এপ্রিল সন্ধ্যার পর সাতক্ষীরা মোটরস্ এর মালিক জাকির হোসেন বানিকে তার বাড়ির পাশ থেকে আটক করে পকেটে এক পুরিয়া গাজা পাওয়ার অভিাযোগে জেলা জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতার মাধ্যমে গভীর রাতে দেড় লাখ টাকা আদায় করেন শাহারিয়ার। বিনিময়ে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। পুলিশ সুপারের কোন অনুমোদন ছাড়াই নামমাত্র অভিযোগ পেলেই তুলে এনে চোঁখ বেঁধে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হচ্ছে। আমদানি হয়না এমন পালচার ২২০ সিসি গাড়ি ফ্রি স্টাইলে চালিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহারিয়ার। সহকারি উপপরিদর্শক রাজু ডিবি অফিসের সামনে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা ডিসকভার ১৩৫ সিসি গাড়ি যার রেজিঃ নং- সাতক্ষীরা-ল-১১- ১৬৭৫ (চেসিস নং-এমডি-২০৩ জে ডবল জেডএসডিএ ৫১৯৮২, ইঞ্জিন নং- জেএনজেবিএসএ-০৪৭৩৩) নিজে ব্যবহারের জন্য খুলনা রোড়ের মোড় এলাকার জনৈক আফজাল মিস্ত্রির কাছে গত ২২ এপ্রিল সকালে রিপেয়ার করতে দিয়েছেন। এজন্য প্রথম দফায় তিনি ১০ হাজার টাকার খুচরা যন্ত্রাংশ কিনে দিয়েছেন।
    স্থানীয় একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি জানান, গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা আইন শৃঙ্খলা মাসিক সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, বর্তমান পুলিশ সুপার আসার পর পুলিশের দূর্ণীতি ৮০ ভাগ থেকে কমে ২০ ভাগে নেমে এসেছে। তাবে তারা বাস্তবতা কতটা জানেন তা ডিবি পুলিশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হলেই জিহ্বা কাটবেন।
    জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহারিয়ার সাংবাদিকদের জানান, খালিদ হোসেন মিলন একজন মিটার প্রতারক। তার কাছ থেকে এক লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যেয়ে বলেন, তাকে ছেড়ে না দিয়ে দু’ থেকে তিন দিন পর জামিনে মুক্তি পেতে পারে এমন মামলা দিয়ে চালান দেওয়া হয়। তবে মকবুল ও টিটুর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা এড়িয়ে যেয়ে বলেন, অপরাধীরা নানা অপপ্রচার করে তাদের ভাল কাজকে কলুষিত করছে। তার টিমের সদস্যরা ভাল কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি।