Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 32 of 398

Author: dakshinermashal

  • এশিয়ার ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশের ২ নারী

    এশিয়ার ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় বাংলাদেশের ২ নারী

    অনলাইন ডেস্ক : গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এশিয়ার ১০০ বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’। তালিকায় দুই বাংলাদেশি নারীর নাম এসেছে। তারা হলেন, গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী ও সেঁজুতি সাহা।
    ‘দ্য এশিয়ান সায়েন্টিস্ট ১০০’ শিরোনামে রোববার এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। অষ্টমবারের মতো এই তালিকা করা হলো।
    জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে হিমবাহ চক্র এবং কাঠামোগত ভূতত্ত্ব অনুসন্ধান, এমনকি মহাকাশ গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখা গবেষক ও উদ্ভাবকদের এবার বেছে নেওয়া হয়েছে।
    গাওসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণিবিদ্যায় (জলভূমি পরিবেশবিদ্যা) বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান ওয়াইল্ডটিমের একজন বোর্ড সদস্য তিনি, যেটি বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কাজ করে। গাওসিয়া বাংলাদেশের জলজ বাস্তুতন্ত্র এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রজাতির প্রাণি সংরক্ষণে অবদানের জন্য ২০২২ সালে ওডব্লিওএসডি-এলজাইভার ফাউন্ডেশন পুরস্কার পান। এখন তিনি জলপথে প্লাস্টিক দূষণের ঝুঁকি বিষয়ে কাজ করছেন বলে এশিয়ান সায়েন্টিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
    সেঁজুতি সাহা একজন অণুজীববিজ্ঞানী। জীববিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তিনি। আণবিক জিনতত্ত্বের এই গবেষক কাজ করছেন বাংলাদেশের চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনে (সিএইচআরএফ)। সেঁজুতি সাহা ও তার প্রতিষ্ঠান সিএইচআরএফ বাংলাদেশের রোগীদের নমুনা থেকে নতুন করোনা ভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম বিন্যাস উন্মোচন করে।
    শিশুদের আক্রান্ত করে এমন কিছু রোগ, যেমন ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া নিয়ে তিনি গবেষণা করেন। তিনি বিশ্বে প্রথম দেখান যে, চিকুনগুনিয়া ভাইরাস শিশুদের মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এবং শিশুর মেনিনজাইটিস রোগ হতে পারে।
    তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল পোলিও ইরেডিকেশন ইনিশিয়েটিভের বোর্ড মেম্বার পদে নিযুক্ত হন।
    ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’ ওয়েবসাইটে বিজ্ঞানীদের পরিচয় এবং তাদের গবেষণার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এতে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, হংকং, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের বিজ্ঞানী ওই ১০০ জনের তালিকায় রয়েছেন।

  • ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত দেড় শতাধিক

    ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত দেড় শতাধিক

    ডেস্ক রিপোর্ট : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫১ জনের। এ সময় করোনায় কেউ মারা যায়নি। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৪৫১ জন এবং শনাক্ত ২০ লাখ ৪০ হাজার ৪৭০ জন। রবিবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
    গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া এ দিন সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ ২০ লাখ ৬ হাজার ৬৯৮ জন।
    স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৯টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ দুই হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২১ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

  • খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

    খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ জুন ২০২৩ রবিবার বিকাল ৪টায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সচিবালয় শহরের কাটিয়া আমতলা মোড়স্থ স্বদেশ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

    খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক, সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ক্রিসেন্টের নির্বাহী পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব স্বদেশ’র নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্তের সঞ্চালনায় সভায় ৭-২০ জুন ২০২৩ খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ এর জাতীয় কমিটি নির্ধারিত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কর্মকৌশল নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া সভায় সালের ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের খাদ্য অধিকার ও কৃষি খাদ্যব্যবস্থা সম্মেলন-২০২৩’ এবং জেলা পর্যায়ে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কোর কমিটি গঠন করা হয়।

    সভায় জেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিডোর নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস, অর্জন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহুয়া মঞ্জুরী, সিপিএফ’র পরিচালক ফারুক রহমান, হেড’র নিবার্হী পরিচালক লুইস রানা গাইন, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ আফজাল হোসেন, জিডিএফর সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি, উদ্দীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শ্যামলী দাশ, প্রগতি’র রেজাউল করিম, সঞ্চিতা মহিলা উন্নয়ন সংস্থার সিরাজুন সঞ্জু প্রমুখ।

  • সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের শোক

    সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা জাসদের শোক

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ সিরাজুল আলম খান মারা গেছেন। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (০৯ জুন) বেলা আড়াইটায় তার মৃত্যু হয়।
    সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা জাসদ।
    বিবৃতিতে জেলা জাসদের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে ষাটের দশকের প্রথমার্ধে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার ‘নিউক্লিয়াস’ গঠিত হয়। পরে ছাত্র-তরুণদের আন্দোলন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা। বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে ছিলেন এই ছাত্রনেতারা।
    সিরাজুল আলম খান ছিলেন আমাদের রাজনৈতিক ও দার্শনিক শিক্ষক। তার মৃত্যুতে দেশ অন্যতম একজন শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারাল। সিরাজুল আলম খান বাঙালির অন্তরাত্মায় সদা সর্বদা সর্বাগ্রে জাগ্রত থাকবেন। জাসদের নেতাকর্মীরা তাকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
    তার মৃত্যুতে বিবৃতি দাতারা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা জাসদের সভাপতি শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন লস্কর শেলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন খান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান লস্কর, সমাজসেবা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বীনা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পাপিয়া আহমেদ, তালা উপজেলা জাসদের সভাপতি বিশ্বাস আবুল কাশেম, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোল্ল্যা আবদুর রাজ্জাক, কলারোয়া উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, দেবহাটা উপজেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব, আশাশুনি উপজেলার আহবায়ক মো. সুরাত উজ্জামান, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম রুবেল, কালিগঞ্জ উপজেলা জাসদের সভাপতি শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশীদ, যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক মিলন ঘোষাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি এসএম আবদুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক তারিকুজ্জামান তারিক প্রমুখ।

  • ঝাউডাঙ্গায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে এমপি রবির উঠান বৈঠক

    ঝাউডাঙ্গায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে এমপি রবির উঠান বৈঠক

    নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১১ জুন) বিকালে সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাথরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রমজান আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উঠান বৈঠকে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধান অতিথি হিসেবে উঠান বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে এ দেশ নিরাপদ। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নিতে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জমির দলিলসহ বাড়ি, বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, মাতৃত্বকালীনভাতা, প্রতিবন্ধীভাতাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে মানবতার মা উপাধী পেয়েছেন। দেশের সামগ্রীক উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবার নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও দেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকটা কমে এসেছে। আর কয়েক দিনের মধ্যেই বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকবে না ইনশাল্লাহ। এই বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে একটি চক্র উদ্ভট বক্তব্য দিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ছড়াচ্ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী পদক্ষেপ ও বুদ্ধিমত্তার কারণে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মংলা বন্দরে কয়লার জাহাজ ভিড়েছে। বিদ্যুৎ সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি কেটে যাবে ইনশাল্লাহ।”
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম শওকত হোসেন, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু ও ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমরেন্দ্র নাথ ঘোষ, প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার আব্দুর রশিদ, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহিদুর রহমানসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং অত্র এলাকার সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • ভোজ্য তেলের নতুন দাম নির্ধারণ, ঈদের আগে আরো কমবে

    ভোজ্য তেলের নতুন দাম নির্ধারণ, ঈদের আগে আরো কমবে

    ন্যাশনাল ডেস্ক : সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
    তিনি আজ সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৭ম সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
    তপন কান্তি ঘোষ বলেন, এখন থেকে প্রতি লিটার প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৯ টাকা হ্রাস করে ১৬৭ টাকা এবং পাম অয়েলের দাম ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।
    তিনি বলেন, আজ থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর জন্য আমরা বলেছি। আশা করি দুই-তিনদিনের মধ্যে নতুন দামে বাজারে তেল পাওয়া যাবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে তেলের দাম আরও কমানো যায় কিনা তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
    আসন্ন ঈদের আগে আর একদফা দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
    সিনিয়র সচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরপরই বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ মেট্রিক টন পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন দেশে এসেছে। অনুমোদন প্রাপ্ত বাকি পিঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরো কমবে।
    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গত এক বছরে চাহিদা বিবেচনায় দেশে চিনি, গম ও আদা ব্যতীত অন্য কোনো পণ্যে সরবরাহে ঘাটতি নেই। ঈদুল আযহাতে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে। চীন থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে আদার সংকট আছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা ব্যবসায়ী সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
    তিনি জানান, দেশে এক বছরে ব্যবধানে গম আমদানি ২৪ লাখ টন এবং চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন। আমদানি কম হওয়ায় দামের প্রভাব পড়েছে বাজারে। দেশের চিনি চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থির রয়েছে।
    সিনিয়র সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে সঙ্গে সঙ্গে দেশে সেই পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয় না, কারণ আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে ডলারের দাম একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, শুল্কহার, অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যয় মূল্য নির্ধারণে প্রতিফলন ঘটে।
    বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাংলাদেশকে কেউ আর পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশকে কেউ আর পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের শিশুদের মেধা বিকাশের সুযোগ দিলে বাংলাদেশকে আবারো কেউ আর পেছনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না।
    তিনি আজ তার কার্যালয়ে অসচছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভাষণে এসব কথা বলেন।
    শেখ হাসিনা বলেন, “ আমরা যদি ছেলে মেয়েদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিই, তাহলে কেউ এ দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে পারবে না।”
    সরকার গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়াতে উপবৃত্তি দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের শিশুরা খুবই মেধাবী এবং তাদের মেধা বিকাশে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে যা আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।” এতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণ মেধা বিকাশে একটি মহৎ উদ্যোগ, যেখান থেকে অনেক মেধাবী শিশু বের হয়ে আসছে।
    তিনি বলেন, আজ আমাদের শিশুরা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পেয়েছে এবং এখন তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে।
    তিনি আরো বলেন, কেউ দেশকে পেছনে ঠেলে দিতে পারবে না, অন্ধকারে ফেলে দিতে পারবে না।
    শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কারো কাছে মাথা নত না করে বিশ^ মঞ্চে আত্মমর্যাদার সাথে আবারো মাথা উঁচু করে দেশকে এগিয়ে নিতে সঠিকভাবে নিজেকে গড়ে তোলার কথা বলেন।
    তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে যে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ, এই বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি এগিয়ে যাবে, আত্ম মর্যাদা ও আত্মসম্মান নিয়ে বিশ^ অঙ্গনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। আমরা কারো কাছে মাথা নত করবো না। এটি আমাদের অঙ্গীকার।
    শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব সময় এ কথা মনে রাখতে হবে যে এ জাতি বীরের জাতি। তারা কারো কাছে মাথা নত করে না।
    তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পথ দেখিয়েছি। আমাদের মেধাবী শিশুরা এই্ পথেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
    শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে এই দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ো তোলা হবে। এই দেশে থাকবে স্মার্ট জনগণ, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ।
    আজকের যুগ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণার যুগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্যে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।
    কৃষি গবেষণায় বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় আরো গুরুত্ব দেয়ার ওপর জোর দেন।
    তিনি বলেন, আমরা সব সেক্টরে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের গবেষণা একটি ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে, আর তা হলো স্বাস্থ্য খাত। আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি..আমি মনে করি এটিকে আরো গুরুত্ব দেয়া দরকার।

    শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করেছে। সরকার সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা এবং ব্লু ইকোনমিকে গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ এটি ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
    অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর বক্তৃতার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি সত্যিই আশাবাদী এই দেশকে আর কেউ পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।’
    শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেশনজট ও অস্ত্র সহিংসতা থেকে মুক্ত রাখতে সফলভাবে সক্ষম হয়েছে। ৬-৮ বছর ধরে সেশন-জট ছিল এবং অতীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অস্ত্রের ঝনঝনানি হতো।
    তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তত দাবি করতে পারি যে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ক্যাম্পাসকে সেই পরিবেশ থেকে মুক্ত করতে পেরেছি।’
    বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০০৯ সাল থেকে একটি গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকায় দেশ উন্নয়নের যাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।
    তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার হার ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে এবং আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি।
    সারা বিশ্বে এখন জনগণের দুর্ভোগ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশের মানুষও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়েছে, তবুও এখানে খাদ্যশস্য পাওয়া যায়। (খাদ্যশস্যের) অভাব নেই।
    মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) এবং এর সমমানের প্রতিষ্ঠানের অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ উদ্বোধনের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধাধা অন্বেষন-২০২৩-(বঙ্গবন্ধু ক্রিয়েটিভ ট্যালেন্ট সার্চ-২০২৩) এর সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বৃত্তি পুরস্কার-২০২২ প্রদানের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
    প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্মৃতি কর্মকার তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৩,৬০,০০০ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি ও টিউশন ফি হিসেবে মোট ১,২০০ কোটি টাকা পাচ্ছে।
    শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
    তিনি বলেন, এছাড়া ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে, যারা বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩-এর মাধ্যমে পুরস্কৃত হয়েছেন, এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২২ জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বৃত্তি পুরস্কার-২০২২-এ ভূষিত করা হয়েছে।
    ১৫ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেকে একটি ক্রেস্ট, সনদ এবং ২ লাখ টাকা এবং বৃত্তি পুরস্কার-২০২২-এর জন্য নির্বাচিত ২২ শিক্ষার্থীর প্রত্যেকে একটি ক্রেস্ট, সনদ এবং ৩ লাখ টাকা পেয়েছে।
    হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রেশমি কানিজ, রাজশাহীর গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসদিক আহমেদ তন্ময়, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ছাত্রী কুইন, ন্যাশনাল কার্ডিওভাসকুলার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের ডাঃ রাকিবুল আমিন বিজয় এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবা আহমেদ পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন।

  • শ্যামনগরে ঝন্টুর অবৈধ্য ভবন উচ্ছেদ : আদি যমুনা খননের বড় বাধা অপসারন

    শ্যামনগরে ঝন্টুর অবৈধ্য ভবন উচ্ছেদ : আদি যমুনা খননের বড় বাধা অপসারন

    নিজস্ব প্রতিনিধি: সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড গুড়িয়ে দিয়েছে ঝন্টুর তিন তলা অবৈধ্য ভবন । আদি যমুনা নদী ইছামতি ও মাদার সংযুক্তকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিনাম দর্শি প্রকল্প গ্রহনের ফলে নদী তার ঐতিহ্য হারাতে বসে। হারানো নদী ২০০৪ সাল থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে অধ্যক্ষ আশেক-ই- এলাহীর নেতৃত্বে আদি যমুনা বাচাও আন্দোলন কমিটির আবার আলোচনায় আসে আদি যমুনা নদীর অস্থিত্ব। পানিউন্নয়ন বোর্ডও নদীটি খননের উদ্যোগ নেয়। ২০০৭ সালে তত্বাবোধায়ক সরকারের আমলে অবেধ্য উচ্ছেদ কার্যক্রমের আওতায় আদি যমুনার উপর অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা শুরু হলে শ্যামনগর সদরের অবৈধ্য এক ভবনকে কেন্দ্র করে উচ্ছেদ থেমে যায়। অবৈধ্য স্থাপনার কারনে যমুনার প্রবাহ হারিয়ে যাওয়ায় আসে পাশের গ্রাম ও নকিপুর বাজার বর্ষ মৌসুমে জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে। মানুষ নদী খননের জন্য দাবী জানাতে থাকে। সম্প্রতি পাউবো আদি যমুনার শ্যামনগর অংশের খননের জন্য অর্খ বরার্দ্দ ও ঠিকাদার নিয়োগ করে। কিন্তু খনন কার্যক্রম শুরু করতেই অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ কেন্দ্র করে থমকে যায়। এ অবস্থায় উপজেলা প্রশাষন ও শ্যামনগর সদর চেয়ারম্যানের আন্তরিকতা মানুষ আশায় বুক বাধে। চলতি মাসে শ্যামনগরের শ্মাশানের প¦ার্শ থেকে নূতন করে অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদ ও খনন শুরু হয়। এ শুরুর এক পর্যায়ে ঝন্টুর অবৈধ্য তিন তলা ভবন উচ্ছেদের দাবী উত্থাপিত জোরালো হয়।
    গতকাল ১০ জুন সকাল থেকে পানিউন্নয়ন বোর্ড যমুনা সংশ্লিষ্ঠ সকল মৌজা মেপে বিকালে ভবন ভাংগা কার্যক্রম শুরু করেন।
    উল্লেখ্য স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে অব্যহত গতিতে জনমত গড়ে তুলতে নিয়মিত শেখ আব্দুস সালাম, মারুফ হোসেন মিলন ও ইরমান হোসেন পোষ্ট দিতে থাতে। তাদের এ প্রচারনাই ঝনাটুর ভবন ভাংগে কতৃপক্ষকে অনেক সহযোগিতা করে।

  • তালায় মৃৎশিল্প কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ইউএনও আফিয়া শারমিন

    তালায় মৃৎশিল্প কেন্দ্র পরিদর্শন করেন ইউএনও আফিয়া শারমিন

    তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার তালায় পরিবেশ বান্ধব মৃৎশিল্প কেন্দ্র পরিদর্শন করেন নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন। শনিবার (১০ জুন) বিকালে তালা উপজেলা সদরের মাঝিয়াড়ায় অবস্থিত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার পরিবেশ বান্ধব মৃৎশিল্প কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তালায় সদ্য যোগদানকৃত এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন প্রচেষ্টার পরিচালক সেখ ইয়াকুব আলী, সমন্বয়কারী মুজিবুর রহমান, কৃষিবিদ নয়ন হোসেন, গিয়াসউদ্দিন, মৃৎশিল্প কেন্দ্রের কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ, ইমরুল কায়েস, প্রতীশ মল্লিক, আরএমটিপি প্রকল্পের এস এম নাহিদ হাসান, এমআইএস অফিসার লিটন হোসেনসহ সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • সাতক্ষীরায় প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন যুবক

    সাতক্ষীরায় প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন যুবক

    নিজস্ব প্রতিদনিধি : সাতক্ষীরায় প্রেমে ছ্যাঁকা খেয়ে রাগে দুঃখে মাথা ন্যাড়া করে দুধ দিয়ে গোসল করেছেন আহাদ আলী(২০) নামের এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শনিবার(১০ জুন) বেলা ১১টায় কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামে।
    চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন জানান, গোয়ালপাড়া গ্রামের আহাদ আলীর সাথে একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রীর কয়েক বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সম্প্রতি ওই মেয়েটির পাশ্ববর্তী গ্রামে বিয়ে হয়ে যায়। এরপর আহাদ আলী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ক্ষোভে, দুঃখে ও অভিমানে তিনি মাথা ন্যাড়া করে দুধ দিয়ে গোসল করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবার ও আশপাশের লোকজনের উপস্থিতিতে তিনি শনিবার সকাল ১১টায় নিজ বাড়িতে কাজটি করেন। বর্তমানে তিনি বাড়িতে অবস্থান করছেন।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাংÑ ১০.০৬.২৩ ছবি আছে।

  • সুপেয় পানি সরবরহের লক্ষ্যে বাঁশদহা বাজারে ২কোটি টাকা ব্যয়ে পাইপ লাইন ও  উচ্চ জলাধার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    সুপেয় পানি সরবরহের লক্ষ্যে বাঁশদহা বাজারে ২কোটি টাকা ব্যয়ে পাইপ লাইন ও উচ্চ জলাধার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সুপেয় খাবার পানি সরবরহের লক্ষ্যে বাঁশদহা বাজারে পানির পাইপ লাইন ও উচ্চ জলাধার নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) বেলা ১২টায় বাঁশদহা বাজারে বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফলক উন্মোচন করে পাইপ লাইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন সাহসী ও দূরদর্শী নেতা আছে বলেই বাংলাদেশ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বুদ্ধিমত্তা ও সঠিক চিন্তাভাবনায় যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষই যুদ্ধা। দেশের একমাত্র সমস্যা হচ্ছে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা। তিনি আরো বলেন, আমার সদর নির্বাচনী এলাকায় কোন মাটির রাস্তা থাকবে না। আমার সদর নির্বাচনী এলাকার মানুষ যেন সুপেয় খাবার পানি খেতে পারে সেজন্য সুপেয় পানির জন্য আমার সদর নির্বাচনী এলাকায় গত ১ বছরে ৩ হাজার ২০০ গভীর নলকুপ, অগভীর নলকুপ ও হাজার হাজার পানির ট্যাংকি দেওয়া হয়েছে। সদরের ১৪টি ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাই আমার সদরের সকল ইউনিয়নের মানুষ ভালো আছে। বিদ্যুতের লোডশেডিং স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে ইনশাল্লাহ।”
    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. আনছার আলী প্রমুখ। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে বাঁশদহা ইউনিয়নে ২কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ কিলোমিটার পাইপ লাইনের মাধ্যমে ৫০০ পরিবারের মাঝে পাইপ লাইনের মাধ্যমে সুপেয় খাবার পানি সরবরাহ করা হবে। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আহছান উদ্দীন।

  • প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন ও সামগ্রীক উন্নয়ন প্রমাণ করেছে গ্রাম হচ্ছে শহর-বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন ও সামগ্রীক উন্নয়ন প্রমাণ করেছে গ্রাম হচ্ছে শহর-বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নব-নির্মিত ৬০নং বাঁশদহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১০ মে) দুপুরে সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের বাঁশদহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বদরুজ্জামান খোকার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে ও নব-নির্মিত বিদ্যালয় ভবনের ফলক উন্মোচন করে বিদ্যালয় ভবনের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন ও সামগ্রীক উন্নয়ন প্রমাণ করেছে গ্রাম হচ্ছে শহর। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মহান স্বাধীনতার সঠিত ইতিহাস শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষকরাই পারে আগামী প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিয়ে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আপনাদের মহামূল্যবান ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়ে কোন কাজটি করলে আমার এলাকার জনগণ ভালো থাকবে সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এস এম শওকত হোসেন, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল গণি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি’র সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইয়াকুব আলী, সহকারি শিক্ষা অফিসার সঞ্জয় কুমার মন্ডল, সাতক্ষীরা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর বিন সেলিম যাদু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক শেখ মাহফুজুর রহমান, বাঁশদহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুবক্কর প্রমুখ। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ (পিইডিপি-৪) প্রকল্পের আওতায় ৪ তলা ভিত বিশিষ্ট ১তলা আনুভূমিক সম্প্রসারণ ভবন প্রাক্কলিত মূল্য ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৯১ হাজার ২৪৭ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র বাস্তবায়নে নির্মাণ করা হয়েছে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আহছান উদ্দীন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলীয় নেতৃবৃন্দ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

  • প্রীতি ম্যাচ খেলতে চীনে মেসি-ডি মারিয়ারা

    প্রীতি ম্যাচ খেলতে চীনে মেসি-ডি মারিয়ারা

    স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি মাসে এশিয়া সফরে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫ জুন প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে চীনের বেইজিং শহরে। এ ম্যাচকে সামনে রেখে শনিবার চীনে পৌঁছেছে মেসি-ডি মারিয়ারা।
    আয়োজকদের অশিফিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ওয়েইবোতে বিশ্বকাপ জয়ীদের চীনে পৌঁছানোর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সেখানে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমান থেকে নামছেন আলবিসেলেস্তেরা।
    প্রথম দফায় চীনে পৌঁছান এজেকুয়েল প্যালাসিওস ও ফাকুন্দো বুনানত্তে। কয়েক ঘণ্টা পর নিকোলাস ওটামেন্ডি ও ক্রিস্টিয়ান রোমেরোও যোগ দেন তাদের দলে। এরপর বেইজিংয়ে পা রাখেন লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, রদ্রিগো ডি পল, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, লো সেলসো, এনজো ফার্নান্দেজ ও নাহুয়েল মলিনা।
    আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম মুন্দো আলবিসেলেস্তে বলছে, আজই একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে দলটির কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির।
    অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ম্যাচটি হবে বেইজিংয়ের ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে। এরপর ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে উড়াল দেবে কাতার বিশ্বকাপ জয়ীরা। সেখানে গেলোরা বুং স্টেডিয়ামে ১৯ জুন ইন্দোনেশিয়ার মুখোমুখি হবেন মেসিরা।
    আর্জেন্টিনা দল: এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, জেরেনিমো রুল্লি, ওয়াল্টার বেনিতেজ, নাহুয়েল মলিনা, গঞ্জালো মন্টিয়েল, জার্মান পাজ্জেলা, ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, লিওনার্দো বালেরদি, নিকোলাস ওটামেন্ডি, ফাকুন্দা মেদিনা, নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো, মার্কাস আকুনা, লিয়ান্দ্রো পারেদেস, এনজো ফার্নান্দেজ, রদ্রিগো ডি পল, এজেকুয়েল প্যালাসিওস, ম্যাক অ্যালিস্টার, থিয়াগো আলমাডা, লো সেলসো, লুকাস ওকাম্পস, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেজ, জিওভান্নি সিমিওনে, আলেহান্দ্রো গার্নাচো ও নিকো গঞ্জালেস।

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুুক্তরাষ্ট্রেই হবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুুক্তরাষ্ট্রেই হবে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

    স্পোর্টস ডেস্ক : গুঞ্জন উঠেছিলো ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুুক্তরাষ্ট্র থেকে সরিয়ে ইংল্যান্ডে আয়োজন করা হতে পারে। সেই গুঞ্জনের বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ও ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আইসিসি ও ইসিবি যৌথভা জানিয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপ সরিয়ে নেয়ার কোন পরিকল্পনা নেই।
    আগামী বছরের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট অবকাঠামোয় দুর্বলতা এবং ইউএসএ ক্রিকেট (ইউএসসি) ক্রিকেট প্রশাসনিক অনিশ্চয়তার কারণে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সরিয়ে ভেন্যু ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে হতে পারে বলে  কোন কোন গণমাধ্যমের  রিপোর্টে বলা হয়েছি। এমনকি  ইংল্যান্ড ২০২৪ সালে আয়োজন করলে ২০৩০এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এমন খবরটি সঠিক নয় বলে নিশ্চিত করেছে আইসিসি ও ইসিবি।
    ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর অনুষ্ঠিত হবে। মেগা এই ইভেন্টে মোট ২০টি দল অংশগ্রহণ নিবে এবং মোট ৫৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ইতিহাসে অংশগ্রহণকারীদের বিবেচনায় সবচেয়ে বড় আসর হবে। আইসিসি জানিয়েছে, ইভেন্টের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে এবং ভেন্যু পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে।
    আইসিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি দুই আয়োজক দেশে ভেন্যু পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৪ সালের জুনে ইভেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা পুরোদমে এগিয়ে চলছে।’
    ইসিবির একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘২০২৪ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্থানান্তরিত হবে, এই রিপোর্টের কোনও সত্যতা নেই। যেহেতু ইভেন্টটি আইসিসির তাই তাদের বক্তব্যই চূড়ান্ত হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।’
     

  • সুন্দরবনে ৮০টি পুকুর পুনঃখনন করেছে বন বিভাগ

    সুন্দরবনে ৮০টি পুকুর পুনঃখনন করেছে বন বিভাগ

    ন্যাশনাল ডেস্ক : বন বিভাগ সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের সুপেয় পানি পানের সুবিধার্থে ৮০টি পুকুর পুনঃখনন করেছে।
     বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (সুন্দরবন পশ্চিম) এবং প্রকল্প পরিচালক আবু নাসের মহসিন বাসসকে বলেন, ‘সুন্দরবনে বাঘসহ সকল বন্যপ্রাণীর সুপেয় পানি পানে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এজন্য এখানে ৮০টি পুকুর পুন:খনন করেছি।’
    গত ২০২২ সালের মার্চ মাসে বাংলাদেশ বন বিভাগ বাঘ সংরক্ষণের জন্য ‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করে। এই প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগ সুন্দরবনে মিষ্টি পানির উৎসগুলোকে পুনরুদ্ধার করে।
    মহসিন বলেন, এই বছর বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে পুকুরগুলো এখনই পানিতে ভরেনি। তবে, বর্ষা শুরু হলে পুকুরগুলো বৃষ্টির পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে এবং বন্যপ্রাণীরা এই পুকুরগুলো থেকে সহজে সুপেয় পানি পান করতে পারবে।
    সুন্দরবনই পৃথিবীর একমাত্র শ্বাসমূলীয় বন যেখানে বাঘ বসবাস করে। তবে, প্রাকৃতিক ও মানব সৃষ্ট কারণে এই বনের প্রতিবেশ ক্রমশই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সুন্দরবন প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে আক্রান্ত হয় এবং এই বনের সুপেয় পানির উৎসগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে বন্যপ্রাণীরা সুপেয় পানি পান করতে অসুবিধায় পড়ে।
    ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আমপানের কারণে সুন্দরবনের অধিকাংশ এলাকা সমুদ্রের নোনা জলে প্লাবিত হয়। ফলে, সুন্দরবনের পুকুরগুলো লবণাক্ত হয়ে পড়ে এবং বন্যপ্রাণীরা সেই লবণাক্ত পানি পান করতে বাধ্য হয়।
    এছাড়া, সুন্দরবনের নদীগুলোতে পানির  প্রবাহ কমে যাওয়ায় এই বনের প্রতিবেশের ওপর এর প্রভাব  ফেলছে এবং মিষ্টি পানির উৎসগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সুন্দরবনের বহু নদী এবং খাল শুকিয়ে গেছে। যার ফলে, বন্যপ্রাণীরা তীব্র পানীয় জলের সংকটে ভুগছে।
    আইইউসিএন বাংলাদেশের সাবেক প্রতিনিধি এবং সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমদ বলেন, যখনই ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে সুন্দরবনের সুপেয় পানির উৎসগুলো বিশেষ করে পুকুরগুলো লবণাক্ত হয়ে পড়ে তখন বাঘ, বানর, হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীরা লবণাক্ত পানি পান করতে বাধ্য হয়। 
    তিনি বলেন, বন্যপ্রাণীরা দীর্ঘদিন ধরে একটানা লবণাক্ত পানি পান করলে পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের  রোগে আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে আলসারে ভোগে এবং অনেক ক্ষেত্রে এই বন্যপ্রাণীরা অকালে মারা যায়।
    সুন্দরবনে পানীয় জলের তীব্র সংকটের কারণে বন্যপ্রাণীরা অনেক ক্ষেত্রে খাবার পানি খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ করে এবং মানুষের সাথে সংঘাতে জড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে মানুষ এবং বন্যপ্রাণী উভয়েরই প্রাণহানি ঘটে। 
    বন বিভাগ জানায়, গত ১৫ বছরে বাঘ ৫০ বার সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। 
    বন বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, গত ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনে ৪৯টি বাঘ মারা গেছে। 
     

  • কক্সবাজারে দৃশ্যমান প্রথম আইকনিক রেলস্টেশন

    কক্সবাজারে দৃশ্যমান প্রথম আইকনিক রেলস্টেশন

    কক্সবাজার : জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে আইকনিক রেল স্টেশন। ঝিনুকের আদলে তৈরি দৃষ্টিনন্দন এ স্টেশন ভবনটির আয়তন এক লক্ষ ৮২ হাজার বর্গফুট। ছয় তলা ভবনটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
    আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আইকনিক এ রেল ভবনের উদ্বোধন হবে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। একই সাথে উদ্বোধন হবে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন সার্ভিস। মন্ত্রী বলেন, পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ।
    রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।  তিনি কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
    রেলমন্ত্রী বাসসকে বলেন, সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক হিসেবে রেলকে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে দোহাজারী থেকে কক্সবাজারে সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ট্রেনে করে আসার জন্য সারাদেশের মানুষ ভীষণ আগ্রহী হয়ে আছে। আগামী আগস্টের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে সেপ্টেম্বরে উদ্বোধনের জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।
    মন্ত্রী বলেন- ‘আমাদের সকলের জন্য গর্বের একটা বিষয় কক্সবাজার আইকনিক স্টেশন বিল্ডিং। এরকম অনন্য স্থাপনা অন্য কোথাও নেই।’ ঝিনুকের আদলে তৈরি স্টেশনটিতে আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি ক্যান্টিন, লকার, গাড়ি পার্কিং ইত্যাদি ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। পর্যটকরা স্টেশনের লকারে লাগেজ রেখে সারাদিন সমুদ্র সৈকতে বা দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পারবেন। এ স্টেশন দিয়ে দিনে ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারবেন।
    দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেল রাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ১০০ কিলোমিটার রেললাইনের মধ্যে ৮৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। তবে আমরা চেষ্টা করছি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করতে। রেল স্টেশনগুলোর নির্মাণকাজও চলমান আছে।
    দোহাজারী-কক্সবাজার রেলওয়ে প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার আবদুল জাবের মিলন বলেন, সমুদ্র সৈকত থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে ঝিলংজা এলাকায় ২৯ একর জমিতে ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন স্টেশন। আইকনিক এ স্টেশনটি নির্মাণে চীন, বেলজিয়াম, ইংল্যান্ড, ইতালিসহ  বিশ্বের বিভিন্ন আধুনিক স্টেশনের সুযোগ-সুবিধা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। পুরো প্রকল্পটিতে ১১০ জন বিদেশীসহ মোট ২৫০ জন প্রকৌশলী এবং ছয় শতাধিক লোক কাজ করছে। চার বছরের শ্রমে আইকনিক রেলস্টেশন ভবনটি আজ দৃশ্যমান। এখন গ্লাস ফিটিংস, ছাদের স্টিল ক্যানোফিসহ নানা ধরনের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে।
    তিনি বলেন-এ স্টেশন হবে এশিয়ার প্রথম শতভাগ পর্যটনবান্ধব কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছয়তলা বিশিষ্ট স্টেশন। এতে রয়েছে পর্যটকদের জন্য সব ধরণের সুযোগ-সুবিধা। পর্যটকরা যেন কক্সবাজারে দিনে এসে ঘুরে আবার ফিরে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। স্টেশনে রাখা হচ্ছে লাগেজ ও লকার সিস্টেম। এ ছাড়া থাকছে আধুনিক ট্রাফিক সুবিধা। স্টেশনের নিচতলায় থাকছে টিকেট কাউন্টার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, লকারসহ নানা সুবিধা। দ্বিতীয়তলায় শপিংমল ও রেস্তোরাঁ। তিন তলায় থাকবে তারকা মানের হোটেল। থাকছে মসজিদ, শিশু যত্ন কেন্দ্র ও চলন্ত সিঁড়ি। এখনে থাকছে এটিএম বুথ, পোস্ট অফিস, ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন বুথসহ নানা সেবা কেন্দ্র।
    ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে মেগা প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এ মেগা প্রকল্পে ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।
    প্রকল্পে যা আছে : দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিমি, রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিমি রেলপথ নির্মাণ হচ্ছে। রেলপথে স্টেশনের সংখ্যা থাকছে ৯টি। এগুলো হলো- সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়ার সাহারবিল, ডুলাহাজারা, ঈদগাও, রামু, কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও ঘুমধুম। এতে কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলক সিগন্যাল সিস্টেম থাকবে ৯টি, ডিজিটাল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম থাকবে ৯টি। সাঙ্গু, মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে সেতু। এ ছাড়া ৪৩টি মাইনর সেতু, ২০১টি কালভার্ট, সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া এলাকায় একটি ফ্লাইওভার, ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজার এলাকায় দুটি হাইওয়ে ক্রসিং রয়েছে।
    কক্সবাজার-রামু আসনে সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল বলেন, দোহাজারি- কক্সবাজার রেল চালু হলে পর্যটকদের যাতায়াত সহজ হবে। পাশাপাশি স্বল্প সময়ে ও কম খরচে কৃষিপণ্য, মাছ, লবণ পরিবহণ করা যাবে। এতে কক্সবাজারের পর্যটনসহ অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
    তিনি বলেন- দীর্ঘ দিনের দাবি কক্সবাজার রেলপথ এখন স্বপ্ন নয়-বাস্তব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় চলতি বছরেই রেল আসার প্রতীক্ষায় রয়েছে কক্সবাজারবাসী।   

  • রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা মোংলা বন্দরে, চলছে খালাস

    রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লা মোংলা বন্দরে, চলছে খালাস

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়া থেকে জাহাজ যোগে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আসা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন কয়লা শনিবার সকালে মোংলা বন্দরে খালাস শুরু হয়েছে। জাহাজ থেকে খালাস শেষে লাইটার জাহাজে করে এ কয়লা যাচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। পরে সেখান থেকে তা সংরক্ষণ করা হচ্ছে কেন্দ্রটির গোডাউনে।
    কয়লা নিয়ে আসা চীনের পতাকাবাহী এম.ভি. জে হ্যায় নামক জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক জানান, আমদানি করা কয়লা নিয়ে গত ২১ মে জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে ছেড়ে আসে। ১৯ দিনের মাথায় জাহাজটি শুক্রবার রাতে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়ায় এসে পৌঁছায়। এরপর সেখান থেকে জাহাজটি শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১নম্বর এ্যাংকোরেজে ভেড়ে। জাহাজটি ভেড়ার পর সকালে শুরু হয় কয়লা খালাস।
    তিনি বলেন, এর আগে গত ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এম.ভি. বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ও ২৯ মে এম.ভি. বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে আসে।
    প্রসঙ্গত, গত বছরের ১১ জুলাই রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বয়লার স্টিম ব্লোয়িং স্থাপন করা হয়। এক মাস পরে ১৪ আগস্ট টারবাইন-এ স্টিম ডাম্পিং এবং একদিন পর ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ (ট্রান্সমিশন) শুরু করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হয় রামপালের বিদ্যুৎ। পরে ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটি। এর প্রায় এক মাস পর ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়।
    এরপর গত ১৫ এপ্রিল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর চার দিন পর এটি আবার চালু হয়। কিন্তু কয়লার অভাবে ২৪ এপ্রিল থেকে এটি আবার বন্ধ হয়ে যায়।