প্রেসবিজ্ঞপ্তি : দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম আলাউদ্দিনের ২৮তম
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে “সাতক্ষীরার উন্নয়ন ভাবনা এবং স. ম আলাউদ্দিন”
শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) সাতক্ষীরা
কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে জেলা নাগরিক কমিটির আয়োজনে এই মতবিনিময় সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক এড. আজাদ
হোসেন বেলাল। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল
ইসলাম। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি শেখ আজাহার
হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, কিশোরী মোহন
সরকার।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দৈনিক পত্রদূত এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক লায়লা
পারভীন সেঁজুতি, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, জেলা জাসদের সভাপতি
ওবায়দুস সুলতান বাবলু, বাসদ নেতা এড. খগেন্দ্র নাথ ঘোষ, দুদুকের পিপি এড.
আসাদুজ্জামান দিলু, আওয়ামী লীগ নেতা এড. আজাহারুল ইসলাম, জেলা বাসদের
আহবায়ক নিত্যানন্দ সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আকতার হোসেন, ডা. সুব্রত
ঘোষ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, জেএসডি
নেতা আব্দুর জব্বার, মানবাধিকার কর্মী এড. মুনির উদ্দীন, ভূমিহীন নেতা
কওসার আলী, বাংলাদেশ জাসদের জেলা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইদ্রিশ আলী, সদর
উপজেলা জাতীয় পাটির সভাপতি প্রকৌশলী আনোয়ার জাহিদ তপন, সাংবাদিক রবিউল
ইসলাম, এড. বদিউজ্জামান, সিপিবির জেলা সভাপতি আবুল হোসেন, এড. একে আজাদ,
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পাটির জেলা সম্পাদক মুনসুর রহমান, সাংবাদিক আবুল
কাশেম, মহিলা যুবলীগের নেত্রী আয়েশা খাতুন খুকুমনি, বায়জিদ হোসেন প্রমুখ।
সাতক্ষীরার উন্নয়ন ভাবনা এবং স.ম আলাউদ্দীন শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন
উদীচীর জেলা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম
আলাউদ্দীনের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন ও সৃষ্টিশীল চিন্তার উল্লেখ করে বলেন,
আওয়ামী লীগ নেতা স. ম আলাউদ্দীন ছিলেন সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। অন্যায় অসত্যের কাছে তিনি কখনো মাথা নত
করেননি। তিনি ছিলেন সুদুর প্রসারি চিন্তার মানুষ। সাহসী ও আপষহীন নেতা।
আপষহীনতার কারণেই তাকে জীবন দিতে হয়েছে।
বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ, পর্যটন শিল্পের বিকাশ,
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, বসন্তপুর নৌ বন্দর চালু, অর্থনৈতিক অঞ্চল
প্রতিষ্ঠা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, ভোমরা স্থল বন্দরের উন্নয়নসহ
বিভিন্ন বিষয়ে সরকার উদ্যোগ নেওয়ার পরও বাস্তবায়নের গতি ধীর। স. ম
আলাউদ্দীনের মত নেতা থাকলে এগুলো আরো দ্রুত বাস্তবায়িত হতে পারতো।
বক্তারা বলেন, সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখি কারিগরি শিক্ষার বিকাশে
স. ম আলাউদ্দীন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী স্কুল এন্ড কলেজ।
কিন্তু ১৯৯৬ সালের ১৯জুন ঘাতকের গুলিতে নিহত হবার পর প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়। অথচ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কারিগরি
শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। সাতক্ষীরার কৃষি, শিল্প,
ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে স. ম আলাউদ্দীনের
ভাবনা ছিল খুবই প্রাসঙ্গিক। তার সেই ভাবনা বাস্তবায়িত হলে সাতক্ষীরা আরো
বেশি উন্নত হতে পারতো।
বক্তারা সাতক্ষীরায় নানা অনিয়ম দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে আরো বলেন,
সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কের নকশা পরিবর্তন করে নির্মাণ করা হয়েছে। নদী ও খাল
খননে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ
স্থাপিত হলেও কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত জেলার ২২ লক্ষ মানুষ। রেল লাইন
নির্মাণে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্ভাব্যতা করা হয়েছে। কিন্তু রেললাইন
নির্মাণে কোন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সাতক্ষীরায় বাইপাস সড়ক
নির্মাণ করা হলেও তা ঢেউ খেলানো অবস্থা। যে কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে
প্রতিনিয়ত। ভোমরা স্থলে বন্দরে চলছে চরম নৈরাজ্য। সেখানে ব্যবসায়ীরা
টিকতে পারছে না। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। ভোমরা
বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা চলে যাচ্ছে অন্যত্র। এর কারণ একটি বিশেষ মহলের
ষড়যন্ত্র। পদ্মা সেতু নির্মাণ হলেও যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
না হওয়ায় সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সুফল পাচ্ছে না। পণ্য পরিবহনে
অধিক খরচ হচ্ছে। রেললাইন নির্মাণ হলে এ অঞ্চলের মানুষ পণ্য পরিবহনে এবং
ব্যবসা-বাণিজ্য সুফল পাবে। সাতক্ষীরা পৌরসভার পানির বিল হঠাৎ চার গুণ
বৃদ্ধি করায় বক্তারা কঠোর সমালোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, স. ম আলাউদ্দীন বেঁচে থাকলে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি
রুখে দাঁড়াতেন। আজ সেই রুখে দাঁড়ানোর লোকটির বড় অভাব। বক্তারা স. ম
আলাউদ্দীনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ভেদাভেদ ভুলে সাতক্ষীরার সামগ্রিক
উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ন্যায় ভিত্তিক আন্দোলন
সংগ্রামে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক গাজী শাহজাহান
সিরাজ, এসএম শহীদুল ইসলাম, শেখ তানজির আহমেদ, মোঃ রবিউল ইসলাম, আহসানুর
রহমান রাজীব, মোঃ আব্দুস সামাদ, আসাদুজ্জামান সরদার, শেখ আব্দুল আলিম,
আব্দুর রহিম, জিএম আমিনুল হক, শামীম রেজা, আবু সাঈদ, জহুরুল কবির, সেলিম
হোসেন, আলতাফ হোসেন বাবু, জেলা নদী বন পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি মফিজুর
রহমান, উন্নয়ন কর্মী শ্যামল বিশ্বাস, আবু জাফর সিদ্দিকী প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ।
Author: dakshinermashal
-

স. ম আলাউদ্দিনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে “সাতক্ষীরার উন্নয়ন ভাবনা এবং স. ম আলাউদ্দিন” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
-

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিনিধি : আজ ১৬ জুন শুক্রবার বিকাল ৫:৩০ মিনিটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার ব্যবস্থাপনায় নবারুণ স্কুল মোড় হতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মাও: এ.কে.এম রেজাউল করিম এর সভাপতিত্বে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই) ও নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলটি নবারুণ স্কুল মোড় থেকে শুরু হয়ে তুফান কোঃ মোড় হয়ে নিউ মার্কেট মোড় থেকে মুনজিতপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এসে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তাগণ বরিশালে মেয়র প্রার্থীর উপর নির্বাচন চলাকালিন সময়ে হামলার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তাগণ উক্ত হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন এবং হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। উক্ত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সহ-সভাপতি ডাঃ ইছহাক, সহ-সভাপতি মো: ছারোয়ার আলম, জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাও: মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মুবাশ্বীর হুসাইন আলমগীর, দপ্তর সম্পাদক মো: আশরাফুল ইসলাম, দ্বীনি সংগঠন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি আলহাজ্ব শেখ আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মো: মনিরুল ইসলাম, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ডা: এবাদুল ইসলাম, জাতীয় শিক্ষক ফ্রম সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মুহাদ্দিস মোস্তফা শামছুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সদর থানা সভাপতি মো: ইমাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি ডা: মুস্তাফিজ উর রউফ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মো: মুবাশশীরুল ইসলাম তকী, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক মোহাম্মাদ আলী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি গাজী মো: আছাদুল্লাহ্ প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন প্রভাষক কাজী মো: ওয়েজ কুরণী, সেক্রেটারি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সাতক্ষীরা জেলা । -

দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে প্রবেশ করেছে মার্কিন পরমাণু চালিত সাবমেরিন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবেলার অঙ্গীকার হিসাবে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দর শহর বুসানে এসেছে। সিউলের সামরিক বাহিনী এ কথা বলেছে।
দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক তাদের সর্বনিম্ন পর্যায়ে, পাশাপাশি কূটনীতি স্থবির হয়ে পড়েছে এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার দেশকে একটি ‘অপরিবর্তনীয়’ পারমাণবিক রাষ্ট্র এবং কৌশলগত পরমাণু অস্ত্রসহ সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ধোষণা দিয়েছেন।
জবাবে সিউল এবং ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ং যদি কখনো তার কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রের মুখোমুখি হবে এবং উত্তর কোরিয়ার বর্তমান সরকারের ‘অবসান’ ঘটবে।
ইউএসএস মিশিগান একটি ওহাইও-শ্রেণীর পারমাণবিক চালিত গাইডেড মিসাইল সাবমেরিন। ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো শুক্রবার এটি বুসানে পৌঁছেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এপ্রিলে ওয়াশিংটন সিউলের নেতাদের সাক্ষরিত ঘোষণা অনুযায়ী সামরিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এই সাবমেরিন বুসানে এসেছে।
ঘোষণায় ওয়াশিংটনের ‘দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি’ এবং কোরিয়াকে পারমাণবিক সহ মার্কিন সক্ষমতার সম্পূর্ণ পরিসরের সমর্থন দেয়া হয়েছে। -

আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে : প্রধানমন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ তাদের ভোট দেবে, জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে, আর যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে। এটা গণতান্ত্রিক ধারা এবং তা অব্যাহত থাকবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেনেভায় হিলটন হোটেলে সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি এটা ভাল করেই জানে যে তাদের খারাপ কর্মকা-ের জন্য তারা জনগণের কোন ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে।
তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।’
তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে তারা দেশের সম্পদ বিক্রি করার পূর্ব শর্ত মেনে নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘সুতরাং জনগণ তাদের (বিএনপি) আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না এবং সে কারণেই তারা জনগণের ভোট পায় না।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার এতটা দুর্বল নয়। তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর নিয়ে হৈচৈ ছিল, তারা সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করবে, আমরা এম দুর্বল পর্যায়ে নেই যে তারা আমাদের পতন ঘটাবে, আমাদের সাথে জনগণ আছে, আমাদের শক্তি আমাদের জনগণ।’
নির্বাচনকালীন তত্ত্ববাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি, কিন্তু বিএনপি এখনো তত্ত্ববাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।
বিএনপি কি পাগল নাকি শিশু হয়ে গেল প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একবার খালেদা জিয়া দাবি করেছিলেন, পাগল বা শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়।
তিনি আরো বলেন, চোরদের, স্বাধীনতা বিরোধীদের ও খুনিদের ক্ষমতায় এনে এনে আমরা বাংলাদেশকে অন্যের কাছে মাথা নত হতে দেব না।
বিএনপি এখন নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে, নোংরা কৌশল অবলম্বন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা দিবালোকে মানুষ হত্যা করেছে, যারা লুটপাট করেছে, দুর্নীতি করেছে, দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়েছে, এটাই এখন মূল ইস্যু যে তারা দন্ডিত ব্যক্তির নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে কি না।”
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা আমাদের আন্দোলনের ফসল। এ জন্য আমার দলের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন। আর আমি গ্রেনেড হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছি।”
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার সুফল তুলে ধরে তিনি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ বদলেছে, আজ দেশ উন্নত হয়েছে, আজ বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে।
“স্মার্ট বাংলাদেশ” গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজ যে মর্যাদা পেয়েছে তা নিয়েই এগিয়ে যাবে। “আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলব।”
বাংলাদেশের যেকোনো সংকটে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখে।
তিনি প্রবাসীদেরকে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে বৈধ মাধ্যমে টাকা পাঠানোর আহ্বান জানান।
তিনি বিদেশে যেতে আগ্রহীদের দালালদের সম্পর্কে সচেতন ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন এবং নিবন্ধনের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে বিদেশে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। -

১২০ জন ক্রীড়াপ্রেমীকে পুরস্কার দিয়েছে ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট গেমপ্লিফাই
ন্যাশনাল ডেস্ক : ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট গেমপ্লিফাই পুরস্কার বিজয়ী ১২০ জন ক্রীড়াপেমীকে পুরস্কার দিয়েছে। ‘এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেড’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান গেমপ্লিফাই দেশে প্রথমবারের মতো কনফারেন্স ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান- আয়োজন করে। রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট নিয়ে আয়োজিত ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট গেমপ্লিফাই সাইটে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিযোগিতায় পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে থাকা ১২০ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়েছে
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান, প্রোডাক্ট ম্যানেজার ওমর ফারুক খান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আদনান, পুরস্কার বিজয়ী এবং গামপ্লিফাই পরিচালনা পরিষদের কর্মকর্তাবৃন্দ।
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান গমপ্লিফাই স্পোর্টস সাইট। খেলাধুলার প্রতি মানুষের নিবিড় ভালোবাসা ও আগ্রহ তৈরি করতে এই ওয়েবসাই আপনাদের স্পোর্টসমেনশিপকে জাগিয়ে ক্রীড়াপ্রেমীদের একটি সামাজিক মাধ্যম সৃস্টি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। সে কারনে গামপ্লিফাই দেশ-বিদেশের বড় আসরের টুনামেন্ট নিয়ে নিয়মিত কুইজ প্রতিযোগীতার আয়োজন করছে।
তিনি বলেন, ক্রীড়াপ্রেমীদের একটি সামাজিক মাধ্যম/প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করা আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। এর ফলে খেলাধুলার মাধমে জীবনকে অনুপ্রাণিত করা এবং পরিবর্তন হবে বলে আমি আশা।
অনুষ্ঠানের শেষে গামপ্লিফাই কুইজে অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে বিজয়ী ১২০ জনকে পুরস্কার হিসেবে আইফোন, আ্যান্ড্রয়েড ফোন, মাইক্রেওভেন, রিচার্জযোগ্য ফ্যান , পাওয়ার ব্যাংক, পোর্ট্যাবল ব্লুটুথ স্পিনার এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী ও তাদের পরিবারের সদস্য, এক্সওয়াইজেড ক্লাউড বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। -

গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৯ জন
ডেস্ক রিপোর্ট : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৯ জন। এদের ২৫ জন ভর্তি হয়েছে ঢাকায় এবং ১৪ জন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে।
আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯৬২ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৭৭৯ এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছে ১৮৩ জন রোগী।
এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৪ হাজার ১২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৩ হাজার ১৭৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৯৫৩ জন। এদিকে এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ২৯ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৩৫ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৩৭০ জন এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ৭৬৫ জন। -

ইউক্রেনে ভয়াবহ বন্যা, বিশ্বে চরম খাদ্যসঙ্কটের আশঙ্কা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এমনিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্যসঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই খাদ্য সঙ্কটের কারণে বেড়ে গেছে চরম খাদ্যমূল্য। এর কারণে সাধারণ মানুষ খুব বিপদে পড়েছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সময় বৃহত একটি বাঁধে আক্রমণের কারণে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে ইউক্রেনে। এর ফলে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটের দেখা দিতে পারে।
এদিকে ইউক্রেনের কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন প্রায় ছয় লাখ হেক্টর জমিতে পানি যেত কাখোভকা বাঁধের রিজার্ভার থেকে। বাঁধটি ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে সমস্ত পানি বের হয়ে বন্যা হয়েছে। এবার খরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই বাঁধ থেকে যে জমিতে পানি যেত, সেখানে আর পানি পৌঁছাবে না। ফলে ওই জমিগুলো চাষের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব দেখা যাবে বিশ্ব বাজারে। খাদ্যশস্যের দাম বাড়বে। খাদ্যের অভাবও তৈরি হতে পারে। ইউক্রেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দাবি, ওই অঞ্চলের জমিতে চার মিলিয়ন টনের খাদ্যশস্য এবং তেলের বীজ তৈরি হতো। যার বাজারমূল্য সব মিলিয়ে এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। এই বাজারটি এবার সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে।
সমস্যার সূত্রপাত আগেই। পূর্ব ইউরোপের এই অঞ্চলের বেশ অনেকটা অংশ আগেই রাশিয়া দখল করেছিল। গত দেড় বছর ধরে সেখানে লাগাতার যুদ্ধ চলছে। ফলে বহু চাষী জমি ছেড়ে পালিয়ে এসেছিলেন। গত বছরেও তারা নিজেদের জমিতে ফসল ফলাতে পারেননি। যুদ্ধের জন্য বহু ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তারই মধ্যে মিসাইলের আঘাতে বাঁধটি ভেঙে যায়। এই বাঁধের পানি পূর্ব ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ চাষের জমিতে যেমন সেচের পানি পৌঁছে দেয়, ঠিক তেমনই ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়াও পানি পৌঁছে দেয়। বাঁধ ভাঙার ফলে ক্রিমিয়ার কৃষকেরাও পানি পাবেন না।
ভ্যাসাইল নিজের সম্পূর্ণ নাম জানাতে রাজি হননি সাংবাদিককে। খেরসনের এই চাষী এখন নিজের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন। কিন্তু তার মা-বাবা এখনো সেখানেই আছেন।
ভ্যাসাইল জানিয়েছেন, ২০২২ সালে রাশিয়া আক্রমণ চালানোর কিছুদিনের মধ্যেই তাদের এলাকা রাশিয়ার দখলে চলে যায়। রাশিয়ার সেনা জানিয়ে দেয়, সমস্ত জমি রাষ্ট্রায়ত্ত করা হবে। অত্যাচারের ভয়ে সে সময়েই তারা পালিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে আসতে পারেননি।
ভ্যাসাইল স্পষ্টই জানিয়েছেন, গ্রামে ফিরে যেতে পারলেও তার বিরাট জমিতে এরপরে চাষ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ, সেচের পানি মিলবে না। আর পানি ছাড়া ফসল ফলবে না।
গোটা ইউক্রেনের মোট জমির পরিমাণের মাত্র দুই শতাংশ আছে ওই অঞ্চলে। কিন্তু ইউক্রেনের মোট ফসলের ১২ শতাংশ তৈরি হয় সেখানে। খেরসন অঞ্চলে মাটি উর্বর। সেখানে সবচেয়ে ভালো হয় আনাজপাতি। ওই অঞ্চলের টমেটো বিশ্ববিখ্যাত।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আগামী কিছুদিনের মধ্যে এর প্রভাব বোঝা না-ও যেতে পারে। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে প্রভাব পড়তে শুরু করবে। খাদ্যশস্যের দাম তিন শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তার চেয়েও বড় সমস্যা, ইউক্রেন পরিমাণমতো খাদ্যশস্য রফতানি করতে পারবে না। ফলে আফ্রিকা এবং ইউরোপের দেশগুলো আবার খাদ্য সঙ্কটে পড়তে পারে। মূলত, এর প্রভাব পড়তে পারে কৃষ্ণসাগরীয় চুক্তিতেও। ইউক্রেন এবং রাশিয়া তুরস্কের মধ্যস্থতায় কৃষ্ণসাগরের বাণিজ্যপথ খুলে রাখার চুক্তি করেছে। সেই চুক্তিতেও প্রভাব ফেলতে পারে এই ঘটনা।
কাখোভকা বাঁধে কারা আক্রমণ চালিয়েছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। দুই দেশই অপরের দিকে আঙুল তুলেছে। সূত্র : ডয়চে ভেলে -

৬ বিভাগে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা
অনলাইন ডেস্ক : মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ ছাড়া দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দেশের অন্যত্র তা সামান্য কমতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
এতে আরও বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা এবং কুষ্টিয়া জেলাসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালী, কুমিল্লা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলিতে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। -

জিমেইলে বিষয় বললেই ই-মেইল লিখে দেবে এআই
অনলাইন ডেস্ক : জিমেইলে বিষয় বললেই পুরো ই-মেইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিখে দেবে এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি)। গুগল ‘হেল্প মি রাইট’ নামে নতুন টুল যুক্ত করেছে জিমেইলে। এর মাধ্যমে আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারীরা এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। খবর সিনেটের
গুগলের তথ্যমতে, অ্যান্ড্রয়েড এবং আইফোনে জিমেইলে বার্তা লেখার সময় কম্পোজ বাটনে ট্যাপ করার পর নিচে ‘হেল্প মি রাইট’ অপশন পাওয়া যাবে। অপশনটিতে ক্লিক করে বিষয় লিখলেই সে অনুযায়ী খসড়া ই-মেইল লিখে দেবে জিমেইল। অর্থাৎ বিষয় হিসেবে ‘চাকরি’ বা ‘ছুটি’র আবেদন লিখলে ব্যবহারকারীদের আগের আদান-প্রদান করা ই-মেইল বার্তার তথ্য পর্যালোচনা করে খসড়া ই-মেইল লিখে দেবে জিমেইলের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ই-মেইল লিখে দিলেও সেগুলো সম্পাদনা করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। ফলে ই-মেইলে তথ্য ভুল বা বাদ পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জিমেইল ব্যবহারকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় উত্তর এবং ই-মেইল লেখার সুপারিশ পেয়ে থাকেন। -

যে কারণে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলবেন না মেসি
স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া সফরের প্রথম ম্যাচে চীনের বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছেন লিওনেল মেসি। যেখানে তার রেকর্ড গোলে সকারুদের ২-০ গোলে হারিয়েছে আলবেলিস্তেরা। এশিয়া সফরের দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা মুখোমুখি হবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। ১৯ জুন জাকার্তায় অনুষ্ঠেয় ওই ম্যাচটিতে খেলবেন না আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি।
বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিক গ্যাস্টন ইদুল জানিয়েছেন, সকারুদের বিপক্ষে দ্বৈরথের পর জাকার্তা যাবেন না মেসি। আগামী সোমবার সেখানে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার মোকাবিলা করবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
তিনি বলেন, এর আগেই মেসিকে ছেড়ে দেবে আলবিসেলেস্তেরা। যাতে দ্রুত ছুটি কাটানো শুরু করতে পারেন ৩৫ বছর বয়সী কিংবদন্তি। কারণ, দীর্ঘ মৌসুমে টানা খেলে যাওয়ায় বেশ পরিশ্রান্ত ফুটবল জাদুকর। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে বেঞ্চের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা স্কালোনির।
এদিকে জাকার্তায় মেসির খেলা দেখতে না পারার খবরে হতাশ হয়েছেন দেশটির সমর্থকেরা। ম্যাচের মূল আকর্ষণ মেসি না থাকায় টিকিটের মূল্য ফেরত চেয়েছেন তারা। তবে ইন্দোনেশিয়ার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (পিএসএসআই) সভাপতি এরিক থোহির জানিয়েছেন, টিকিট ফেরতযোগ্য নয়। কেননা, তারা কখনোই বলেননি ম্যাচটি মেসি ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে হচ্ছে। -

জামালপুর সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি : জামালপুর সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবার সমাবেশ ওমানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মমতাজ আহমদ বাপি।
সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দৈনিক প্রথম আলার নিজস্ব প্রতিনিধি কল্যাণ ব্যানার্জি, দৈনিক কল্যাণের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি কাজী শওকত হোসেন ময়না, দৈনিক বর্তমান সময় এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, দপ্তর সম্পাদক শেখ ফরিদ আহম্মেদ ময়না, বাংলাভিশন টিভি চ্যানলর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান, দৈনিক গ্রামর কাগজর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি এস.এম রজাউল ইসলাম, যমুনা টলিভিশনর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আকরামুল ইসলাম, দৈনিক সকালের সময়ের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, এস, কে কামরুল হাসান, সহ স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ। বক্তারা বলেন , সাংবাদিকরা হত্যা ও নির্যাতন শিকার হলে তার কান বিচার হয় না। সাংবাদিক সাগর, রুনি, মানিক সাহা, হুমায়ুন কবীর বালু, শামসুর রহমান , স.ম আলাউদ্দীন, বেলাল সহ সারাদেশে অসংখ্য সাংবাদিক হত্যা নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হলও তার বিচার আজও পর্যন্ত হয়নি । বিচারহীনতার সাংবাদিক হত্যা নির্যাতন নিপীড়নের তালিকা দীর্ঘ হয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হলো জামালপুরের ৭১ টিভি ও বাংলা নিউজেের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম কে সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। দুর্নীতিবাজরা একের পর এক সাংবাদিকদের হত্যা সহ নির্যাতন করে যাচ্ছে। আর আমরা রাজপথে তাদের বিচাররের দাবীত আন্দোলন করে আসছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক । এসময় বক্তরা আরও বলেন, জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান , এবং সারা দেশে সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। -

কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদার চেয়ে ২১ লাখ ৪১ হাজার পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ন্যাশনাল ডেস্ক : দেশে কোরবানির পশুর কোন সংকট নেই বরং উদ্বৃত্ত রয়েছে জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, এ বছর সম্ভাব্য চাহিদার চেয়ে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোনভাবেই বাইরের প্রাণীর উপর নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন নেই।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহণ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, এ বছর কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি যা গতবছরের চেয়ে ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি বেশি। এর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু। ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। সে হিসেবে এ বছর ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে দেশে পশু আসলে আমাদের অর্থ দেশের বাইরে অবৈধভাবে চলে যায়। এছাড়াও দেশের খামারে যারা পশু উৎপাদন করছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়গুলো কঠোরভাবে দেখার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, কোরবানির হাটে এ বছর কোনভাবেই রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ পশু বিক্রি করতে দেয়া হবে না। এ লক্ষ্যে গত বছরের ন্যায় এবারও সারাদেশে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও রেলে কোরবানির গবাদিপশু পরিবহন করা হবে। এক্ষেত্রে রেল বিশেষ সুযোগ দেবে। খামারিরা যাতে পছন্দ অনুযায়ী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারে এবং জোর করে কেউ পথে পশু নামাতে না পারে সেজন্য খামারিরা চাইলে ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, কেউ খামারে পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে হাসিল আদায় করা যাবেনা। কোন খামারি নিজ বাড়ি থেকে পশু বিক্রি করলেও তাকে হাসিল দিতে হবে না। হাটে আনার পথে কেউ পশু বিক্রি করলে তার কাছ থেকে ইজারাদার জোর করে চাঁদা বা হাসিল আদায় করতে পারবে না।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সে জন্য হাটে আনার পথে, বাড়িতেও পশু বিক্রি করা যাবে। তবে রাস্তায় হাট বসানো যাবে না। এ ছাড়া ডিজিটাল হাটের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করা যাবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল ও অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মো. এমদাদুল হক তালুকদার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারগণ এবং জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণ সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। -

ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে পারে বাংলাদেশ : পররাষ্ট্র মন্ত্রী
ন্যাশনার ডেস্ক : বাংলাদেশ শিগগিরই ব্রিকসের সদস্য পদ লাভ করতে পারে।
জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনস এর দ্বিপাক্ষিক মিটিং রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাপোশার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাতকালে বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ায় শিগগিরই বাংলাদেশের ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ব্রিকস ব্যাংক সম্প্রতি বাংলাদেশকে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ভবিষ্যতে ব্রিকস বাংলাদেশকে এতে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানাবে।
মোমেন বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী আগস্টে তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রধানমন্ত্রী এতে যোগ দেবেন।
ব্রিকসে বর্তমানে পাঁচ সদস্য রয়েছে। এরা হলো ব্রাজিল, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও রাশিয়া।
ভবিষ্যতে আরো আটটি দেশ সদস্য পদ পাবে। যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়া রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আমাদের অর্থায়নের আরেকটি ক্ষেত্র হবে। এটা আমাদের জন্যে ভালো হবে যেহেতু আমাদের টাকা প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশে একটি মিশন খুলতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এর আগে মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেল্লাও একইস্থানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
শেখ হাসিনা তাকেও ঢাকায় মিশন খোলার অনুরোধ করেন। এছাড়া তিনি আরএমজি পণ্য ও ঔষধ আমদানি করতে মাল্টার প্রতি অনুরোধ জানান।
এর পর আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউনবো একই জায়গায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেন।
এ সময়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. এহসান ই-এলাহী এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল উপস্থিত ছিলেন। -

জয়পুরহাটে সাড়ে ৮ হাজার মেট্রিক টন পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
ন্যাশনাল ডেস্ক : কৃষি বান্ধব বর্তমানের সরকারের কৃষি উন্নয়নে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার কৃষকরা। চলতি ২০২২-২৩ পাট উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসসকে জানায়, জয়পুরহাট জেলায় পাঁচ উপজেলা মিলে এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৪ শ ৯৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৩ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে রয়েছে তোষা জাতের পাট ৩ হাজার ৯৩ হেক্টর ও দেশী জাত রয়েছে ২৫ হেক্টর। এতে পাটের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন। পাট বীজ বপনের সময় জমিতে পানির প্রয়োজন হয়ে থাকে সেকারণে এবারে অত্যধিক খড়া থাকায় বীজ বপনে বিলম্ব হয়। তাই পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগ জানায়, সরকারের পাট জাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতা মূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানী হিসেবে পাট কাটিকে ব্যবহার ও পাট চাষে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জেলার কৃষকরা পাট চাষে আগের থেকে বর্তমানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। পাট চাষ সফল করতে কৃষি বিভাগ হাতে- কলমে চাষিদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় সারের মজুদ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখাসহ অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করে । ২০২১-২০২২ খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৯ শ ৮৫ হেক্টর জমি। চাষ হয়েছে ৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১৩ হেক্টর বেশি। এরমধ্যে দেশী জাতের পাট রয়েছে ৩০ হেক্টর ও তোষা জাতের পাট রয়েছে ৩ হাজার ৮৫ হেক্টর। এতে পাটের উৎপাদন হয়েছিল ৩৮ হাজার বেল পাট। গত বছর প্রতিমণ পাট বিক্রি হয় প্রকার ভেদে ২ হাজার ৫শ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার ২শ টাকা মণ পর্যন্ত। বাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে পাটের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। সে কারণে দিন দিন জেলায় পাটের চাষ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন জানান, চলতি ২০২২-২৩ খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৪ শ ৯৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার বৃষ্টিপাত একটু দেরিতে হওয়ায় পাট চাষও বিলম্ব হয়েছে ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ৫শ ৬০ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। -

পার্লামেন্টের কাছে নতুন রুশ দূতাবাস নির্মান কাজ বন্ধ করে দেবে অস্ট্রেলিয়া
ন্যাশনাল ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে বিবেচনা করে দেশটির পার্লামেন্টের কাছে একটি নতুন রুশ দূতাবাস নির্মাণে বাধা দেবে সরকার ।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে লিজ নেয়া একটি জমিতে রাশিয়া নতুন দূতাবাস ভবন নির্মানের পরিকল্পনা করেছে।
আলবেনিজ বলেছেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পরামর্শ পাওয়ার পর, জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় এই উন্নয়নকে আটকাতে নতুন আইন করা হবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পার্লামেন্ট হাউসের এত কাছে রাশিয়ার নতুন উপস্থিতির ঝুঁকি সম্পর্কে সরকার খুব স্পষ্ট নিরাপত্তা পরামর্শ পেয়েছে।’
‘লিজ নেয়া সাইটটি আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক উপস্থিতিতে পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দ্রুত কাজ করছি।’
নতুন আইন, যা দ্বিদলীয় সমর্থন অর্জন করেছে, এটি রাশিয়াকে অস্ট্রেলিয়ায় কূটনৈতিক পদচিহ্ন রাখতে বাধা দেয় না, শুধুমাত্র পার্লামেন্টের এত কাছে তার দূতাবাস তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও’নিল জায়গাটিকে পার্লামেন্ট ভবনের ‘সরাসরি সংলগ্ন’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্যানবেরায় প্রস্তাবিত দ্বিতীয় রাশিয়ান দূতাবাসের প্রধান সমস্যা হল এর অবস্থান।’
‘সরকার সুস্পষ্ট পরামর্শ পেয়েছে যে, এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে এবং সেই কারণেই সরকার এই দীর্ঘস্থায়ী বিষয়টির অবসান ঘটাতে আজ সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করছে।’
আলবানিজ বলেছেন, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় রাশিয়ার কূটনীতিকদের কাছ থেকে কিছু ধাক্কা আশা করেছেন, যারা আগে আদালতের মাধ্যমে মামলায় লড়ার হুমকি দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘কী প্রতিক্রিয়া হয় আমরা তার জন্য অপেক্ষা করব।’
‘আমরা আশা করি না যে রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে কথা বলার অবস্থানে আছে।’
রাশিয়ার দূতাবাস আগেই ঘোষণা করেছে, অস্ট্রেলিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও তারা নির্মাণ শেষ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরুতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার সাথে সাথে অস্ট্রেলিয়া সরকার চুক্তিটি বাতিল করার জন্য চাপাচাপি করছে।
রাশিয়ার ফেডারেল সরকারের একটি সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল অথরিটির সাথে একটি চুক্তির মাধ্যমে ২০০৮ সালে সাইটটির লিজ অধিগ্রহণ করে।
এখানে তার নতুন দূতাবাস নির্মাণের জন্য ২০১১ সালে ভবন নির্মানের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
অন্যান্য আইনি উপায়ে ইজারা বাতিল করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার হস্তক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
গত বছরের আগস্টে, সরকার ঘোষণা করেছিল যে, এটির ইজারা বাতিল করছে কারণ রাশিয়া তার ভবন অনুমোদনের দিকগুলো ভঙ্গ করেছে। -

শ্যামনগরে লিডার্স এর ক্রিয়া (CREA) প্রকল্পের অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত
অদ্য ১৫ জুন, ২০২৩ তারিখে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এবং সুইডেন এর আর্থিক সহায়তায় শ্যামনগর উপজেলায় দুইটি ইউনিয়ন গাবুরা ও বুড়িগোয়ালিনীতে “কমিউনিটি ভিত্তিক জলবায়ু সহনশীলতা ও নারীর ক্ষমতায়ন কর্মসূচি -ক্রিয়া প্রকল্পের উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প অবহিতকরন সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব এস এম আতাউল হক দোলন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আক্তার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়াম্যান প্রভাষক সাইদ উজ জামান সাইদ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আয়ুব ডলি, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম, ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের প্যালেন চেয়ারম্যান জি এম আব্দুর রউফ, লিডার্স এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম। আর ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার মো: নাজমুল হুদা, সিপিপির সভাপতি মুকুল, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লিডার্স এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম এবং লিডার্স এর পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল। ক্রিয়া প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: আজাদুল ইসলাম প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন কৌশল উপস্থাপন করেন। তিনি উল্লেখ করেন উক্ত প্রকল্পের সময়সীমা মার্চ ২০২৩ হতে জুন ২০২৬ পর্যন্ত, ৩ বছর ৪ মাস এবং প্রকল্পের লক্ষ্য জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি ও নারী নেতৃত্বের সক্ষমতা তৈরি।
অনুষ্ঠানে সভাপতি জনাব এস এম আতাউল হক দোলন তাঁর বক্তব্যে বলেন,“ আমি লিডার্স এর ক্রিয়া প্রকল্পের সফলতা কামনা করছি এবং উপজেলা পরিষদ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করবে”। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন লিডাস এর এই ক্রিয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জলবায়ু পীড়িত উপকূলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নের সাথে সাথে পিছিয়ে পড়া নারীদের ক্ষমতায়নের পথ সুগম হবে।
-

গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে নতুন আইন প্রণয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ-সংলাপে আইনপ্রণেতা ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা
নিজস্ব প্রতিনিধি : গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে নতুন আইন প্রণয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন আইনপ্রণেতা ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, বিদ্যমান আইনি কাঠামোর অধীনে গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষা সম্ভব নয়। তাই বিপুল সংখ্যক শিশু গৃহকর্মীকে শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও যৌন নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন। বুধবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে আয়োজিত ‘গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর সুরক্ষা ও অধিকার এবং আইনী বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপ এসব কথা বলেন তারা। উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), শাপলা নীড় ও এডুকো-বাংলাদেশ আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। এএসডি’র নির্বাহী পরিচালক এম এ করিমের সভাপতিত্বে সংলাপে আলোচনায় অংশ নেন সাতক্ষীরা সদর-২আসনের সংসদ সদস্য নৌ-কমান্ডো ০০০১ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান, শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সহ-সভাপতি আরমা দত্ত, সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর তমকো উচিয়ামা, ইউনিসেফের মো. আবুল খায়ের, শিশু অধিকার ফোরামের মো. মাহবুবুল হক, এডুকোর আফজাল খান, ডিসিএন’র শরফুদ্দিন খান, ইনসিডিনের মো. রফিকুল আলম, স্ক্যানের জাহাঙ্গীর হোসেন, এএসডি’র ম. হামিদুর রহমান প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার বলেন, “প্রতিটি শিশুকে উন্নত বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সবক্ষেত্রে তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। শিশু সুরক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে শুধু আইন দিয়ে তাঁদের সুরক্ষা দেওয়া কঠিন। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুর মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে তাঁদেরকে গৃহকর্তার সন্তানের মত বিবেচনা করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে গৃহকর্মী নিয়োগে বিধিমালা তৈরি করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিটি শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষার সাথে মাধ্যমিক শিক্ষাও বাধ্যতামূলক করতে হবে। এর মাধ্যমে শিশু শ্রমিক নিয়োগ অনেকাংশে কমে যাবে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা অত্যাচারিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান বিদ্যমান আইনে আছে উল্লেখ করে শামসুল হক টুকু আরো বলেন, এরপরও কোন জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন হলে আইন মন্ত্রণালয় ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শক্রমে পূর্ণ খসড়া তৈরি করে সরকারের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। সরকার শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবকিছুই করতে প্রস্তুত। সরকার শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবারসহ, উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করছে। অসচ্ছল অভিভাবকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রোগ্রামের আওতায় নানারকম ভাতা প্রদান করছে। অভাবের তাড়নায় কোন পরিবার শিশুকে গৃহকর্মে নিয়োজিত করবে সে সুযোগ সরকার রাখেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।”
বীর মুক্তিযোদ্ধা এমপি রবি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের সুরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শিশুবান্ধব আইন-নীতিমালা সংশোধন ও পরিমার্জন করেছেন। এ বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশকে দ্রুত শিশুশ্রম মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।”
আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন,‘শিশুশ্রম আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই। শিশুশ্রম বন্ধ করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। শিল্পকারাখানা বা বাসাবাড়িতে যারা স্বল্প মজুরিতে লেবার হিসেবে শিশুদের কাজ দিচ্ছে, তাদেরকে সচেতন করা প্রয়োজন। এজন্য সিভিল সোসাসিটি, ভলেন্টিয়ার ও সরকার মিলে মনিটরিং করতে হবে।‘
বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান বলেন, শিশু অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এ জন্য নিয়োগকর্তা, শিশু, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকার, এনজিও, নিয়োগকর্তা, অভিভাবক সবাইকে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সব মন্ত্রণালয়, সমাজসেবা অধিদফতরকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার বলেন, সরকারের কঠোর পদক্ষেপ সত্ত্বেও গৃহকর্মীদের ওপর প্রতিনিয়ত নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। আর শিশু গৃহকর্মীদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেশি। তাই শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধ ও অধিকার নিশ্চিত করতে নীতিমালা বাস্তবায়নের পাশাপাশি মনিটারিং জোরদার করতে হবে।’
সংলাপে মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, এডুকো, শাপলা নীড় এবং এএসডি’র উদ্যোগে ইতিমধ্যেই গৃহকর্মী সুরক্ষা আইনের একটি খসড়া তৈরী করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনের বিধান সমূহের মধ্যে ১৪ বৎসর বয়সের নীচে কোন শিশুকে গৃহকর্মে যাতে নিয়োগ দিতে না পারে সে বিষযে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খসড়া আইনটি চূড়ান্ত করা যেতে পারে। আর আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর বিধি প্রণয়ন করতে হবে। এ বিষয়ে শিশু অধিকার বিষয়ক পার্লামেন্টারি ককাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
