Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 26 of 398

Author: dakshinermashal

  • ‘সোনালী ব্যাগ’ ব্যবহারে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে : শাহাব উদ্দিন

    ‘সোনালী ব্যাগ’ ব্যবহারে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে : শাহাব উদ্দিন

    : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটজাত পলিথিন (বায়োডিগ্রেডেবেল বায়োপ্লাষ্টিক) ‘সোনালী ব্যাগ’ ব্যবহারে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
    তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য গাজী মোহম্মদ শাহনওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘প্রচলিত পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বায়োডিগ্রেডেবল পলিন বাজারজাত করা এবং ব্যবহৃত পলিথিন রিসাইক্লিং এর মাধ্যমে পুনঃব্যবহার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পলিথিনের বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মোবারক আহমদ খান আবিষ্কৃত পাটজাত পলিথিন (বায়োডিগ্রেডেবেল বায়োপ্লাষ্টিক) ‘সোনালী ব্যাগ’ এর দাম কমানোর জন্য বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড ১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে।’
    শাহাব উদ্দিন জানান, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার রোধে ২০১৯ সালের জানুয়ারী থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত ২ হাজার ২৭৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৪০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৭৭১ দশমিক ৫৫ মেট্রিক টন পলিথিন, দানা, পলিমার জব্দ করা হয়েছে।’ 
    মন্ত্রী বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশগত মান উন্নয়ন ও পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমনের জন্য গৃহস্থলি বর্জ্য ও প্লাষ্টিক বর্জ্যের সুষ্ঠু ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনার জন্য সরকার বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ প্রণয়ন করেছে। এই বিধিমালায় পরিবেশ বিনষ্টকারী পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন ও ব্যবহার বন্ধে স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আইন অনুযায়ী ক্ষেত্র বিশেষে বিভিন্ন পুরুত্বের পলিথিনের উৎপাদন ও বিপণন এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 
    তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও বিপননের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতা পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ বা সীমিত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আইন অমান্য করে অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদনকারী, পরিবহনকারী, বিক্রেতা এবং মজুদদারকে মোবাইল কোর্টের আওতায় এনে নিয়মিত জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে এবং পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট ও এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন শপিং ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারনার কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে।

  • বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব অঙ্গনে তুলে ধরতে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব অঙ্গনে তুলে ধরতে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

    বাসস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব পরিমন্ডলে প্রতিষ্ঠিত করতে পদক্ষেপ নেবে। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বিকাশে জোরালো উদ্যোগ নেবে যাতে, এই নতুন প্রজন্ম তাদের সংস্কৃতির স্বাতন্ত্র্য ভুলে না যায়।
    ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আরেকটি উদ্বোধনের সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা যেমন আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তেমনি আমাদের সাংস্কৃতিকভাবেও এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব যাতে আমাদের সংস্কৃতি বিশ্ব অঙ্গনে একটি শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারে।’
    সরকার প্রধান আজ তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
    তিনি বলেন, তাঁর সরকার সংস্কৃতির আরও উন্নতির জন্য প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তির আবির্ভাবে আমাদের বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা এবং বিশ্বাসগুলো সর্বদা পরিবর্তিত হচ্ছে। তাদের চিন্তাধারা অনুযায়ী আমাদের সংস্কৃতিকে উন্নত করতে হবে যাতে তারা কখনই বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে ভুলে না যায়।’  
    শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উন্নতি ও বিকাশের জন্য অতীতের ন্যায় প্রয়োজনীয় যা যা কিছু করা দরকার সে ব্যাপারে তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ইতোমধ্যে ১৮৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১টি উন্নয়ন প্রকল্প সম্পন্ন করেছে এবং বাংলাদেশী সংস্কৃতির উন্নয়নে গত সাড়ে ১৪ বছরে আরো ১৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি অপর ৪১টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
    কেউ যদি কোনো দেশকে ধ্বংস করতে চায় তাহলে সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ করবে, এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশকে সাংস্কৃতিকভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল। কারণ, তাদের নিশ্চিত পরাজয় জেনেও তারা মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।
    সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা সবসময় আমাদের সংস্কৃতিকে ধারণ করার পাশাপাশি এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং এইভাবে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার ২০০৯ সাল থেকে বাঙালি জাতির ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সাহিত্য ও গবেষণামূলক কাজকে রক্ষা ও সংরক্ষণ করে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
    তিনি বলেন, ‘বিশ্ব প্রযুক্তি দ্বারা আঁকড়ে আছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম জাতিকে আধুনিক ও জ্ঞানভিত্তিক গড়ে তুলতে আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে প্রযুক্তিকে যুক্ত করতে হবে।’
    প্রধানমন্ত্রী যে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সেগুলো হলো: গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য নতুন বহুতল ভবন, পুরান ঢাকা শহরের রোজ গার্ডেন, ঢাকায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ভবন, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শিল্পকলা একাডেমী এবং আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার।
    তিনি কপিরাইট ভবনের একটি নবনির্মিত ১২তলা ভবনও উদ্বোধন করেন।
    অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি এবং সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

    শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমির এক অনুষ্ঠানে একটি সাংস্কৃতিক দর্শন দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন,স্বাধীন জাতি হিসেবে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হলে আমাদের দেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্ব অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জাতির পিতার সাংস্কৃতিক দর্শন প্রতিষ্ঠা করা আমাদের কর্তব্য।’
    দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাঁর সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। দেশব্যাপী ওয়াইফাই সংযোগ রয়েছে, প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ রয়েছে, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও মানুষের অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে।’
    তিনি তৃণমূল পর্যায়ে সাংস্কৃতিক চর্চা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে আমাদের অনেক লুকানো প্রতিভা রয়েছে। তাদেরকে নিয়ে আমাদের প্রচার করতে হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। তাই আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চা জেলা ও উপজেলা পর্যায় ছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়েও নিয়ে যেতে হবে।’
    বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদার হবে এই কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
    তিনি বলেন, ‘সুতরাং এই মানসিকতা এবং চেতনাকে আরও বিকাশের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’  
    শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক চর্চাকে বিকশিত ও সমৃদ্ধ করতে অনেক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
    গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জন্য একটি নতুন বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, তাঁর সরকার আধুনিক প্রযুক্তিতে এটি নির্মাণের জন্য ৫২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
    তবে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কারণ, তাঁর সরকার অনেক আগেই প্রকল্পটি অনুমোদন করা সত্ত্বেও তারা এখনও ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারেনি।
    প্রধানমন্ত্রী পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেন, যেখানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বর্তমানে আওয়ামী লীগ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা এমনভাবে মেরামত ও সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে এর নিজস্ব স্বকীয়তা পরিবর্তন করা না যায়।  
    তিনি রোজ গার্ডেন বাড়ির মালিক, যার কাছ থেকে সরকার এটি কিনেছিল, তাদের কাছে থাকা কাগজপত্র এবং বাড়ির নিজস্ব স্বকীয়তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
    সরকার প্রধান বলেন, বাড়িটি সংস্কারের প্রয়োজনে তিনি যে কোনো নির্দেশনা দেওয়ার জন্যও প্রস্তুত।
    শেখ হাসিনা বলেন, নগর ভবনে (ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কার্যালয়) যে ঢাকা গ্রন্থাগারটি রয়েছে, তা রোজ গার্ডেনে স্থানান্তর করা হবে।
    শিশু গ্রন্থাগার সম্পর্কে তিনি বলেন, জাপানের সহযোগিতায় তাদের নিজস্ব নকশা অনুযায়ী জাতীয় জাদুঘরে শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন করা হবে এবং গ্রন্থাগারে ৬ হাজার জাপানি বই দেওয়া হবে।
    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু এবং এটি আমাদের উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখেছে।’

  • সাতক্ষীরায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

    নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৩-২০২৫ বাস্তবায়নে জেলা এন সি টি এফ এর করণীয় শীর্ষক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।ন্যাশনাল চিলড্রেন’স টাস্কফোর্স (এন সি টি এফ) এর আয়োজনে মঙ্গলবার  ৪ ই জুলাই সকালে  জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনসিটিএফ সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সভাপতি শেখ মিফতাহুল জান্নাত’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন। 
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. আসাদুজ্জামান বাবু, জেলা তথ্য অফিসার মো. জাহারুল ইসলাম টুটুল, জেলা সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার পুলক কুমার চক্রবর্তী,   জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুর রহমান, জেলা  সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী  পরিচালক  মো. রোকনুজ্জামান।
    এমসয় উপস্থিত ছিলেন  মহিলা বিষয় কার্যালয়ের ফিল্ড সুপারভাইজার করবী সুলতানা ,   ওসিসির প্রোজেক্ট অফিসার  আব্দুল হাই সিদ্দিক, শিশু একাডেমি সাতক্ষীরার লাইব্রেরীয়ান শেখ রফিকুল ইসলাম, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের অফিস ইনচার্জ  শরিফুল ইসলাম, অগ্রগতি সংস্থার প্রজেক্ট অফিসার আল মামুন এ্যাড. সাকিবুর রহমান,এনসিটিএফ সাতক্ষীরা জেলা কমিটির, সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হোসেইন,  শিশু গবেষক শাহরিয়ার সুলতানা,সানজানা রহমান নিশি, শিশু সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান, চাইল পার্লামেন্ট সদস্য তির্যক কুমার মন্ডল, সাদিয়া আফরিন জুই, নাহারুমা শাহাতাজ সৌমীসহ এনসিটিএফ কমিটির সাধারণ সদস্যবৃন্দ। 
    এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ মেন্টর  গ্রুপ সাতক্ষীরা জেলার সদস্য মাসুদ রানা, সাকিব, শিমুল হোসেন, শিহাব সিদ্দিকী, রুবিনা খাতুন, নাফিস মোক্তাদী নাঈম প্রমুখ।

    সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন এনসিটিএফ সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সহ-সভাপতি হৃদয় মন্ডল

  • গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি

    গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৩৬ জন হাসপাতালে ভর্তি

    (বাসস) : দেশে গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৩৬ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ১৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ২৬২ জন ভর্তি হয়েছেন।
    আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
    বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৫৩১ জন ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ভর্তি ১ হাজার ২২ জন এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রোগী ৫০৯ জন।
    চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ১৯৩ জন। এদের মধ্যে ঢাকায় ৬ হাজার ৬৫৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৫৩৮ জন। এ সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৬ জনের।
    এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত ৭ হাজার ৬০৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

  • যে কারণে সাময়িক বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

    যে কারণে সাময়িক বন্ধ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

    কয়লার সংকট বা কারিগরি ত্রুটি নয়, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র। সোমবার (৩ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির (বিআইএফপিসিএল) উপব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল আজিম বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। গত শুক্রবার (৩০ জুন) রাত পৌনে ৯টা থেকে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
    মো. আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারিগরি ত্রুটি বা কয়লা সংকটের জন্য নয়, রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ৩০ জুন রাতে আমরা কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ করেছি। এক সপ্তাহের মধ্যে আবারও কেন্দ্রটি চালু করা যাবে।
    কয়লা পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্রে বর্তমানে পর্যাপ্ত কয়লা রয়েছে। আগামী ৫ জুন আরও একটি জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ কয়লা আসবে। কেন্দ্রে কোনও কয়লা সংকট নেই।
    রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন এমন সময় বন্ধ হলো, যখন ঈদের ছুটি শেষে অফিস-আদালত শিল্প কলকারখানা আবারও সচল হতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদাও। এমন অবস্থায় কেন্দ্রটি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ কেন শুরু হলো সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি কেউ।
    প্রসঙ্গত, এর আগেও বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়া, কুলিং হিটারে ছিদ্রসহ কারিগরি নানা কারণে একাধিকবার কেন্দ্রটি বন্ধ হয়েছে। এছাড়া কয়লা সংকটেও ব্যাহত হচ্ছে এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। প্রথম ইউনিট চালুর ২৩ দিনের মাথায় কয়লার অভাবে গত ১৪ জানুয়ারি বন্ধ হয়ে যায়। কয়লা আমদানির পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে।
    রামপাল কর্তৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণের কথা বললেও সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র বলছে, ইলেকট্রিক্যাল প্রোটেকশন সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় কেন্দ্রটি। এখন মেরামত কাজ চলছে। ঠিক হতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগতে পারে।

  • নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, দুই জেলায় বন্যা

    নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে, দুই জেলায় বন্যা

    ন্যাশনাল ডেস্ক :
    সোমেশ্বরী, সুরমা আর পুরাতন সুরমা নদীর কিছু পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে উঠে গেছে। এতে নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল ডুবে গিয়ে সাময়িক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু এলাকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
    বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা যে পূর্বাভাস দিয়েছি তাতে আর বৃষ্টি যদি না বাড়ে তাহলে এসব এলাকার বন্যা পরিস্থিতি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উন্নতি ঘটবে। তবে বৃষ্টি বাড়লে আরও কিছু এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়তে পারে বলে তিনি জানান।
    কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানি বাড়ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ওই নদ-নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কুশিয়ারা, মনু-খোয়াই ছাড়া প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার চলমান বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।
    আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও আশপাশের উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসায় পরবর্তীতে চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদীর পানি সময়বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
    কেন্দ্র জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণাধীন পানি সমতল স্টেশন আছে ১০৯টি। এরমধ্যে পানি বেড়েছে ৭৩টি স্টেশনের, কমেছে ৩৫টির, আর অপরিবর্তিত আছে একটির। এদিকে বিপদসীমার ওপরে উঠেছে তিনটি স্টেশনের পানি, এতে বন্যা কবলিত হয়েছে দুই জেলা।
    সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি এখন বিপদসীমার ১৬ মিটার ওপর দিয়ে বইছে। একইভাবে নেত্রকোনার কমলাকান্দার সোমেশ্বরী নদীর পানি ২৪ মিটার এবং সনামগঞ্জের দিরাই স্টেশনের পুরাতন সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার তিন মিটার ওপর দিয়ে বইছে।
    গত ২৩ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ৩১৫ মিলিমিটার। এছাড়া জাফলংয়ে ২৪৫, পঞ্চগড়ে ২৩০, ছাতকে ২১৮, জারিয়াজাঞ্জাইলে ১৭৫, সুনামগঞ্জে ১৭০, লালাখালে ১৫১, দুর্গাপুরে ১০৯, গাইবান্ধায় ১০২, রোহানপুরে ৯২, মহেশখালীতে ৯০, কানাইঘাটে ৭৮, সিরাজগঞ্জ ও দিনাজপুরে ৬০ এবং ডালিয়া পয়েন্টে ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

  • বাংলাদেশসহ যে ১০ দেশ ব্রিকসে যোগ দিচ্ছে

    বাংলাদেশসহ যে ১০ দেশ ব্রিকসে যোগ দিচ্ছে

    ন্যাশনাল ডেস্ক : সম্প্রতি ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোট ব্রিকসের সম্প্রসারণ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। আর এই আলোচনায় বাংলাদেশও আছে। এই জোটের মধ্যে আর অংশ নিতে পারে ১০টি প্রভাবশালী দেশ। যা চূড়ান্ত হতে আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে। এই জোট সম্প্রসারণের মূল লক্ষ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমানো। বর্তমানে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় বিশ্বব্যবস্থা বিরাজমান তার থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে অনেক দেশ। বিশেষ করে চীন, রাশিয়া ও তুরস্ক।
    পাঁচ দেশের অর্থনৈতিক জোট (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) ব্রিকসে যোগ দিতে যাচ্ছে নতুন আরও ১০টি দেশ। আগামী ২২ থেকে ২৪শে আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলন হওয়ার কথা। এই সম্মেলন সামনে রেখে এ বছরেই নতুন এ ১০টি দেশ যুক্ত হতে পারে এবং ব্রিকস মুদ্রা গ্রহণ করতে পারে। এতে ব্রিকস জোটের সম্ভাব্য নতুন সদস্যরাও অংশ নিতে পারে বলে জানাচ্ছে নর্থ আফ্রিকা পোস্ট।
    কয়েক মাস ধরে ব্রিকসের সম্প্রসারণ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এ সময়ে নতুন নতুন দেশ এই ব্লকে প্রবেশের জন্য আবেদন করছে বা আগ্রহ ও সমর্থন দেখাচ্ছে। ব্রিকসে যেসব দেশ যোগ দেয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে সেগুলো হলো- বাহরাইন, জিম্বাবুয়ে, কিউবা, কঙ্গো, কমোরোস, গ্যাবন, গিনি-বিসাউ, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও তিউনিসিয়া।
    যদিও এই দেশগুলো ব্রিকস জোটে যোগ দেয়ার জন্য প্রস্তুত, তবে তাদের আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এ ছাড়া ব্রিকসের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে জোট সম্প্রসারণের আলোচনা করতে হবে। সম্ভবত, ব্রিকস নতুন দেশগুলোর জন্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) মতো একটি নতুন সংস্থা গড়ে তুলতে এবং এটিকে ব্রিকস+ বলে অভিহিত করা হবে।
    নর্থ আফ্রিকা পোস্টের খবরে বলা হয়, এই জোটটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অর্থ লেনদেনের জন্য ডলারের বিরুদ্ধে একটি নতুন মুদ্রা চালু করার পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপটি অন্য পূর্বাঞ্চলীয় দেশগুলোকে তাদের ব্লকে আকৃষ্ট করছে। কারণ তারা ডলারের উপর নির্ভরতা বাদ দিয়ে স্থানীয় মুদ্রা প্রচলন করতে চায়।
    প্রতিষ্ঠাতা পাঁচটি দেশকে সামনে রেখে ব্রিকসের নতুন সব সদস্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই সম্ভবত এই জোট গঠন হবে।
    এটা স্পষ্ট যে, ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর সম্পদ এবং ক্ষমতা বাড়ছে। এ ছাড়া নতুন দেশগুলো ব্রিকসে যোগদান করলে একটি সম্ভাব্য নতুন মুদ্রা চালু হবে। এতে জোটের প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। ডলারের নির্ভরতা কমবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকামী দেশগুলোর জন্য একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
    এদিকে ২০০৬ সালে যাত্রা শুরু হওয়া এই ব্রিকসে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ। জানা গেছে, এ জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে বাংলাদেশ। ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে নতুন সদস্য নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
    বেশ কিছুদিন ধরেই ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এ নিয়ে একাধিকবার কথা বলেছেন। বাসসের খবরে বলা হয়, গত ১৪ই জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ শিগগির ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে পারে। জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠককক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মধ্যে বৈঠকে বিষয়টি (ব্রিকসের সদস্যপদ) উত্থাপিত হয়েছে।
    বর্তমানে ব্রিকসের নেতৃত্বে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিকসে যোগ দিতে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানানোর কথা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গত মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন।

    চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আবেদন পাওয়াসহ নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কথা বলেছেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, এক ব্রিফিংয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তির পক্ষ থেকে ব্রিকসে যোগ দিতে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, বিকাশমান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্রিকস বহুপক্ষীয়তা সমুন্নত রাখা, বৈশ্বিক শৃঙ্খলের সংস্কারকে গতিশীল করা এবং উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিত্ব ও বক্তব্য তুলে ধরতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীন ব্রিকসের সম্প্রসারণকে এগিয়ে নিতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদারদের যুক্ত করতে প্রস্তুত রয়েছে। মাও নিং এ সময় আরও বলেছেন, ব্রিকসের সম্প্রসারণের বিষয়ে জোটের পাঁচ সদস্য একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। আর বাংলাদেশকে ব্রিকস জোটে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চীন।

    ২০২১ সালের ২রা সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্রিকস-ব্যাংকের সদস্য হয়। এই ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক নাম দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি), যা ব্রিকস সদস্যরা প্রতিষ্ঠা করেছিল ২০১৫ সালে। মূলত ২০২০ সালের শেষের দিকে এনডিবির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের নতুন সদস্য নেয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিল।

  • মোদির বাসভবনের ওপর ‘রহস্যময়’ ড্রোন

    মোদির বাসভবনের ওপর ‘রহস্যময়’ ড্রোন

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নয়াদিল্লিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনের ওপর হঠাৎ করেই উড়েছে ‘রহস্যময়’ ড্রোন। সোমবার ভোর ৫টার দিকে মোদির বাসভবনের ওপর ড্রোনটি লক্ষ্য করা যায় বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
    প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ওপর ড্রোন দেখার পরই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি পুলিশ। এ ঘটনায় মোদির নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দিল্লি পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। খবর এনডিটিভির
    এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের (এসপিজি) সদস্যরা আজ ভোর ৫টা নাগাদ ড্রোনটি দেখতে পান। এরপরই তারা দিল্লি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
    ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘নো ফ্লাই জোন’-এর মধ্যে পড়ে। নিরাপত্তাজনিত কারণে মোদির বাসভবনের ওপর থেকে কোনো বিমান কিংবা ড্রোন উড়তে পারে না। এরপরও প্রধানমন্ত্রীর বাভবনের ওপর কীভাবে ড্রোন উড়ল, তা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
    তবে দিল্লি পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আশেপাশের এলাকায় অনুসন্ধান করা হয়েছিল। কিন্তু এই ধরনের কোনো বস্তু শনাক্ত করা যায়নি। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমের (এটিসি) সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। তারা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে এমন কোনো উড়ন্ত বস্তু শনাক্ত করতে পারেনি।

  • দাম কমল এলপিজির

    দাম কমল এলপিজির

    ন্যাশনাল ডেস্ক : তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম আরও কমেছে। জুলাই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৫ টাকা কমিয়ে ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। জুন মাসে এর দাম ছিল এক হাজার ৭৪ টাকা। সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
    আজ দুপুরে রাজধানীর কাওরানবাজারে বিইআরসির হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন দর ঘোষণা করা হয়। এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্যরা ও বিইআরসির সচিব।
    বিইআরসি প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা দাম ৮৩ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করেছে। সে অনুযায়ী সাড়ে ৫ কেজি, ১২, ১৫, ১৬, ১৮, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ ও ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম কমেছে। যদিও বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় বলে ভোক্তাদের অভিযোগ রয়েছে। এলপিজির পাশাপাশি গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমেছে। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৬ টাকা ৫৯ পয়সা।

  • ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ কেমন ছিল, একটু চিন্তা করেন: প্রধানমন্ত্রী

    ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ কেমন ছিল, একটু চিন্তা করেন: প্রধানমন্ত্রী

    ন্যাশনাল ডেস্ক : মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলামেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলা
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বারবার ক্ষমতায় এসেছি বলেই একটা গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত আছে। এ জন্যই আজ বাংলাদেশের এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এখন গ্রামে গ্রামে সেই হাহাকার নেই। তারপর আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। আর আমাদের পেছনের দিকে তাকাতে হবে না। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
    সোমবার (৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে গাজীপুর, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
    প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাস; সাড়ে ৩ হাজার গাড়ি, বাস, লঞ্চ স্টিমার পোড়ানো; ৫০০ জনের মতো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা—এই ধরনের ভয়াবহ অবস্থা আমরা দেখেছি। কাজেই সেই ধরনের অবস্থা আর সৃষ্টি করুক, আমরা চাই না। বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারা যেন অব্যাহত থাকে; বাংলাদেশের মানুষ যেন শান্তিতে বাস করতে পারে; সবাই যেন উন্নত জীবন পায়—সেটাই আমরা চাই।
    মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশ করে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন। আশা করি জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবেন। আজ থেকে ১৫ বছরের আগের বাংলাদেশ কেমন ছিল, একটু চিন্তা করেন। জনগণ আপনাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাদের আকাঙ্ক্ষা আপনাদের পূরণ করতে হবে। ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি। দেশের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সবকিছুর উন্নতির মধ্য দিয়ে এই সময়ে বাংলাদেশ বদলে গেছে কিনা, সেটা আপনাদের থেকে জানতে চাই। আন্তরিকভাবে এই প্রচেষ্টা আমরা চালিয়েছি কেবল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য।
    জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে ফেরার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আমি এমন একটি দেশে এসেছিলাম, যেখানে আমার পিতা-মাতা ও ভাইদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেখানে খুনিরা ছিল ক্ষমতায়। আর ছিল স্বাধীনতাবিরোধী, জিয়াউর রহমান যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। আমাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। পিতা-মাতার বিচারের জন্য আমাকে ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। আর এটা পেরেছি ক্ষমতায় আসতে পেরেছি বলেই।
    বৈশ্বিক মহামারির প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ও কোভিড-১৯-এর অতিমারির কারণে অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বব্যাপী। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়। বরং বাংলাদেশে তো আমরা এখনও বলিনি যে দুটো-তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবেন না, ৬টার বেশি ডিম কিনতে পারবেন না। পানি ব্যবহার করতে পারবেন না। বিদ্যুৎ এতটুকুর বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না। কিন্তু পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে সেই অবস্থা চলছে। লন্ডনে বাজারে গেলে তো সীমিত জিনিসই কিনতে হবে। তার বেশি কেনা যাবে না। বিদ্যুৎ একটু ব্যবহার করলেই ফাইন দিতে হবে। গাছে পানি দেওয়া যাবে না। বালতিতে করে একটু একটু করে পানি দিতে হবে। পানি দিয়ে গাড়ি ধোয়া যাবে না। শুধু লন্ডন নয়, ইউরোপের সব জায়গায় এই একই অবস্থা।
    নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলানবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলা
    মানুষের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জানি জিনিসের দাম বেড়েছে, মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু ঈদের আগে পাটগাতী বাজার (প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার বাজার) থেকেই ২০০ ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। ওই বাজারে ৫৫ ইঞ্চি টিভিও পাওয়া যাচ্ছে। ওখানে কয়েকটি টিনের ঘর ছাড়া আর কিছু ছিল না।
    ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর সারা দেশ ঘুরে বেড়ানোর প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সারা বাংলাদেশ ঘুরেছি এ জন্যই যে দেশটাকে না চিনলে উন্নতি করবো কীভাবে? যখনই সরকারে এসেছি, সেই মোতাবেক কাজ করেছি, আজ উন্নয়নটা করতে পেরেছি। আমাদের কাজ জনগণের সেবা করা। আমরা সেই চেষ্টাটাই করেছি। আমাদের লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ করা।
    এ সময় খুব শিগগিরই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি করতে যাচ্ছে বলে জানান সরকারপ্রধান। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
    বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রমটা করেই আমাদের এই উন্নয়নটা করতে হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। জনসংখ্যা বেশি। চাষ উপযোগী জমি কম। তারপরও আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তারপরও যুদ্ধের কারণে আজ ভোজ্যতেল, গম, জ্বালানি তেল, চিনি—এ রকম অনেক কিছু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এর দাম বিশ্বে বেড়ে গেছে। পরিবহন ব্যয় বেড়ে গেছে।
    নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জানি এখানে অন্য দলেরও অনেকে আছেন। তারপরও কে ভোট দিলো, সেটা দেখে নয়, দেশের প্রত্যেক জনগণের জন্যই আমাদের কাজ করতে হবে। বিষয়টি এমন নয় যে আওয়ামী লীগের লোকজন পাবে, অন্যরা পাবে না। আমরা সবার জন্যই কাজ করছি।
    শেখ হাসিনা বলেন, এখন আমাদের কাঁচা মরিচও আমদানি করতে হয়। কেন করতে হবে? জানি বর্ষাকালে ক্ষেতে পানি উঠে যায়। মরিচ তোলা যায় না বা মরিচ পচে যায়। সে জন্য সমস্যা হয়। এখন থেকে আমাদের কিছু ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে। নিজেই আমরা গাছ লাগাবো, উৎপাদন করবো। ছাদবাগান অথবা ভাসমান বাগান করবো। ঝুলন্ত বাগান করবো। আমার এলাকায় কিন্তু আমি শুরু করে দিয়েছি। গণভবনও এখন মোটামুটি খামারবাড়ি করে ফেলেছি। আমার ছাদেও মরিচ গাছ আছে।
    তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না। বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে এখন সম্মানের চোখে দেখে। আমরা এই উন্নতিটা করতে পেরেছি বলেই সম্ভব হয়েছে।

  • সারা দেশের ১৯১ বিচারকের পদোন্নতি

    সারা দেশের ১৯১ বিচারকের পদোন্নতি

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ২০১৮ সালে জুডিসিয়াল সার্ভিসে যোগ দেওয়া ১৯১ জন সহকারী জজকে সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
    শনিবার (২২ জুন) আইন ও বিচার বিভাগের (বিচার শাখা-১) এর জারি করা প্রজ্ঞাপনের থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
    সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতির আদেশে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন বিচার বিভাগ।
    প্রজ্ঞাপনের বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সহকারী জজ বা সমপর্যায়ের বিচারকদের (তালিকা অনুসারে) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ, ২০১৬ -এর বেতন স্কেলের চতুর্থ গ্রেডে বেতনক্রম অনুসারে সিনিয়র সহকারী জজ পদে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
    এসব বিচারক পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদ বা সমপর্যায়ের পদে স্ব স্ব কর্মস্থলে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মরত থাকবেন। এছাড়া যোগদানের তারিখ থেকে তাদের পদোন্নতি কার্যকর হবে।

  • বিদেশিদের নয় জনগণের সমর্থন দরকার : কৃষিমন্ত্রী

    বিদেশিদের নয় জনগণের সমর্থন দরকার : কৃষিমন্ত্রী

    কৃষিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্য বিদেশিদের সমর্থন দরকার নেই, জনগণের সমর্থন থাকলেই চলবে।

    তিনি আরো বলেন, জনগণের সমর্থন থাকলে বিদেশিদের সমর্থনে দরকার নেই। জনগণ এই দেশের মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে, আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে কিনা। সেটা নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।

    ড. আব্দুর রাজ্জাক আজ শনিবার দুপুরে জেলার মধুপুরে উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    মধুপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবু হাদী নূর আলী খান, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, আব্দুল গফুর মন্টু, শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান শরিফ আহমদ নাছির।

    এছাড়াও সভায় ফেডারেশনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে, পদ্মা সেতু, ফোর লেন রাস্তা, স্কুল- কলেজ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, গ্রামের উন্নয়ন, বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ, শিল্প কারখানাসহ সব দিকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। তিনি আরো বলেন, এ সকল উন্নয়নের কারণেই জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণের সমর্থন থাকলে কোন বিদেশি শক্তি আমাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। আমরা বিদেশি সহযোগিতা চাই না। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, বিএনপিসহ যারা প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে হাত পাতছে, ধরনা দিচ্ছে, তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার জন্য। তাদেরকে বলতে চাই, কোনো বিদেশি প্রভু এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে পারবে না। সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে।

    তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো দেশে আবারও তান্ডব চালাতে চায়।

    তাদেরকে সেটি করতে দেয়া হবে না। জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদের ও জীবনের নিরাপত্তা দেয়া বর্তমান সরকারের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ সর্তকতার সঙ্গে যে কোন ধরণের অপপ্রয়াস মোকাবেলা করা হবে।

    সভায় ফেডারেশনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।বাসস

  • যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ৯ শ্রমিক আহত

    যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে ৯ শ্রমিক আহত

    যশোরে নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলাকালীন সেটি ধসে ছয় শ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) খুলনার আওতায় যশোর বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের জন্য এ ভবনটি তৈরি করা হচ্ছিল। এর নির্মাণকাজ করছে ঢাকার আইডিয়াল ইলেকট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
    ঘটনাস্থলে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, নির্মাণাধীন ভবনের ছাদের বিম ঢালাইয়ের শেষ পর্যায়ে গতকাল বেলা দুপুর ১২টার দিকে তা হঠাৎ ধসে পড়ে। এতে নয়জন আহত হন। তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছাদের নিচে কেউ আটকা পড়েছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। আহত শ্রমিকরা হলেন ঝিকরগাছার কায়েমকোলা গ্রামের তরিকুল ইসলাম (৪৫), হাফিজুর রহমান (৫০), চৌগাছার খোকন মোল্লা (৩৭), সদরের দত্তপাড়ার মমিনুল (২৭), আকিদুল (৩৫), শিমুল (২৮), মাহিদিয়ার আবদুল হাই (২৮), দিয়াপাড়ার ইলিয়াস (৪৫) ও মণিরামপুরের পলাশী গ্রামের ইমান আলী (৫০)।
    যশোর সেনানিবাস ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার নাহিদ মাহমুদ ঘটনাস্থল থেকে জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। ওজোপাডিকো যশোরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ‘এটি ওজোপাডিকো ঝিনাইদহের একটি প্রজেক্টের কাজ। ধসে পড়ার খবর তারা পেয়েছেন এবং খোঁজখবর নিচ্ছেন।’
    ভবদহ অঞ্চলে বিপর্যয়ের শঙ্কা: যশোরের ভবদহ স্লুইস গেট থেকে নদীর বড়োয়াড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকার জনপদে বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গতকাল ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির নেতারা প্রেস ক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে এ আশঙ্কার কথা জানান। সেখানে বলা হয়েছে, আগামী ৫ জুলাই জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হবে।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, উপদেষ্টা তসলিম-উর-রহমান, আহ্বায়ক রণজিত বাওয়ালী, জিল্লুর রহমান ভিটু, অধ্যাপক অনীল বিশ্বাস, পারভীনা বেগম, চৈতন্য বিশ্বাস, আজিজ সরদার, মিজানুর রহমান, আজিজুর রহমান, পলাশ বিশ্বাস।

  • ডেঙ্গুতে আরও ৪৬ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১

    ডেঙ্গুতে আরও ৪৬ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এডিস মশাবাহী রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ জনে দাঁড়াল। এছাড়া গত এক দিনে এই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৬ জন।
    শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৬ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৩৬ জন ও ঢাকার বাইরে ১০ জন।
    বর্তমানে সারাদেশে এক হাজার ৩৮২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে এক হাজার ৭৩ জন ও ঢাকার বাইরে ৩০৯ জন।
    চলতি বছর এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ছয় হাজার ৩৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় চার হাজার ৯৩৫ জন ও ঢাকার বাইরে এক হাজার ৪০৪ জন।
    একই সময়ে সারাদেশে ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা চার হাজার ৯১৭ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ছাড়প্রাপ্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৮৩১ জন ও ঢাকার বাইরে এক হাজার ৮৭ জন।
    প্রতিবছর বর্ষাকালে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময়ে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
    ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরমধ্যে গত বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা গেছেন।

  • চিনির কেজি ১৫০ ছাড়িয়েছে, ভোজ্যতেলেও সংকট

    চিনির কেজি ১৫০ ছাড়িয়েছে, ভোজ্যতেলেও সংকট

    ন্যাশনাল ডেস্ক : ব্যবসায়ীদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকেই বাজারে কার্যকর হয়েছে চিনির নতুন দাম। রাজধানীর বাজারভেদে প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকার ওপরে। যা সরকার নির্ধারিত দামের থেকে ৩০ টাকা এবং ব্যবসায়ীদের ঘোষিত দামের থেকেও ১০ টাকা বেশি। এছাড়াও বাজারে সরবরাহ সংকটে নতুন দামে মিলছে না ভোজ্যতেল।
    চিনির দাম নির্ধারণে ট্যারিফ কমিশনের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা না করেই গত সোমবার নতুন দাম কার্যকরের ঘোষণা দেয় সুগার রিফাইনার অ্যাসোসিয়েশন। কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা এই দাম বাড়িয়েছেন। অন্যদিকে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেছেন, চিনির দাম নিয়ে ঈদের আগে কোনো আলোচনা হবে না। যেহেতু আমদানি ব্যয় বেড়েছে, ঈদের পর সে অনুযায়ী দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করা হবে। এছাড়াও নির্ধারিত মূল্যে চিনি বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
    চিনির পাশাপাশি বাজারে হঠাৎ সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে বোতলজাত সয়াবিনের। রাজধানীর বেশির ভাগ দোকানেই মিলছে না নতুন দামে ১ ও ২ লিটারে বোতলজাত সয়াবিন। কিছু কিছু দোকানে নতুন দামে ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হলেও এখনো বেশিরভাগ দোকানে আগের দরে বিক্রি হচ্ছে ১, ২ ও ৫ লিটারের তেল।
    বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহের শুরুতে অর্থাৎ গত শুক্রবারে নতুন দামে তেলের সরবরাহ শুরু হলেও পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে গত সোমবার থেকেই ১ ও ২ লিটারের কোনো তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আগের রেটে অর্থাৎ ১৯৯ টাকা দামে ১ লিটারের বোতল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এর আগে গত ১১ জুন লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম ঘোষণা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর প্রায় ১ সপ্তাহ পরে বাজারে এই দরে তেল বিক্রি শুরু হলেও বর্তমানে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা।
    আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের ব্যাপক মূল্য হ্রাসে দেশের বাজারে দাম কামানো হয়েছিল। বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমাদের পর্যালোচনার ভিত্তিতেই গত ১১ জুন লিটারে ১০ টাকা দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঈদের আগে আরও একবার দাম কমানো হতে পারে। আমাদের তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা প্রায় শেষ। কিন্তু কবে সে ঘোষণা দেওয়া হবে তা মন্ত্রণালয়ের উপর নির্ভর করছে। এছাড়াও বাজারে দাম কার্যকর হচ্ছে কিনা সেটা দেখার দায়িত্ব ভোক্তা অধিকারের।’

    সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেন, এই মুহূর্তে আগের তেলের দামই কার্যকর হচ্ছে না তার মধ্যে আবার দাম কমানো হলে বাজারে কোনো তেল পাওয়া যাবে না। মূলত ঈদকে ঘিরে বাজারে তেল ও চিনির সংকট চরমে ঠেকেছে বলেও জানান তারা। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।

    বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য ট্যারিফ কমিশনকে বলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে দেশের চিনির দামের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মূল্যের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সেটা আমরা সমন্বয় করব।’

    সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিনির ওপর যে শুল্কহার নির্ধারণ করা আছে তা কমানো অথবা ছাড় দেওয়ার বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ করব। এটি করা হলে চিনির দাম কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।’

    এ সময় ভোজ্যতেলের বিষয়ে টিপু মুনশি জানান, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে সে দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তার জন্য ভোক্তা অধিকারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে চিনি নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা মনিটরিং করা হবে।’

    এ বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা জানান, যদি সরবরাহকারীরা বাড়তি দামে রশিদসহ চিনি বিক্রি করেন তাহলেই বাজারে প্রায় সবাই চিনি বিক্রি করবেন। যদি রশিদ না দেওয়া হয় এবং ভোক্তা অধিকার অভিযান পরিচালনা করে সে ক্ষেত্রে বাজারে ঝুঁকি নিয়ে কেউ চিনি বিক্রি করবে না। সাধারণত ঈদসহ দেশের প্রধান প্রধান উৎসবে চিনির চাহিদা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪গুণ বেড়ে যায়। ফলে এ সময় পণ্যটির বিক্রি বাড়ে। মূলত ঈদের এই চাহিদাকে পুঁজি করে বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নিতে একটি চক্র বাজার অস্থিতিশীল করছে বলেও জানান তারা।

  • টাইটানের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল

    টাইটানের নিরাপত্তা নিয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিখোঁজ হওয়া টাইটান ডুবোযানটি যে কোম্পানি চালায় সেই ওশানগেটের এক সাবেক কর্মকর্তা ২০১৮ সালেই টাইটানের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের কিছু নথিতে দেখা যায় ডেভিড লকরিজ, কোম্পানিটির মেরিন অপারেশনের পরিচালক তার এক প্রতিবেদনে এর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তুলে ধরেন।
    প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অনেকগুলো জায়গা শনাক্ত করা হয়েছে যা নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ এবং একইসঙ্গে এটা যেভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে সে নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। খবর বিবিসির
    ডেভিড লকরিজ বলেন, ‘এই ডুবোযান যখন পানির একেবারে গভীরে যাবে তখন সেখানে থাকা যাত্রীদের জন্য সেটি মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।’
    তিনি বলেন, তার এই সতর্কতা উপেক্ষা করা হয় এবং তিনি যখন ওশানগেট বসের সাথে বৈঠক ডাকেন তখন তাকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলে এই নথি থেকে জানা যায়।
    কোম্পানি তার বিরুদ্ধে গোপনীয় তথ্য প্রকাশের অভিযোগে মামলা করে, আর তিনিও পাল্টা মামলা করেন তাকে অনৈতিকভাবে ছাঁটাই করার জন্য। পরে দুপক্ষই মামলার বিষয়টি নিয়ে সমঝোতায় আসে তবে আমরা তার বিস্তারিত কিছু জানতে পারিনি।
    টাইটান ডুবোযানটি বেশ কিছু ভিন্ন উপকরণে নির্মিত হয় যা সাধারণত গভীর সমুদ্রযানে দেখা যায় না। এটার যে প্রধান কাঠামো-যেখানে যাত্রীরা বসে তার চারপাশ কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরী, এর সাথে ব্যবহার হয় টাইটানিয়ামের প্লেট এবং একপাশে একটা ছোট জানালা রাখা হয়।
    পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন বায়োলজি বিষয়ের লেকচারার ড. নিকোলাই রটেরডাম বলেন, ‘সাধারণত গভীর সমুদ্রের ডুবোযান যা মানুষ বহন করে সেটি প্রায় ২মিটার ব্যাসরেখার টাইটানিয়াম স্ফেয়ারের হয়ে থাকে। পানির গভীরে যে প্রচন্ড চাপ তৈরী হয় সেটার মোকাবেলায় আপনার খুবই শক্তিশালী উপাদান লাগবে, যাতে পানির ওজন যা আপনাকে প্রতিনিয়ত নিচের দিকে নিতে থাকে সেটা আপনি এড়াতে পারেন। কার্বন ফাইবার টাইটানিয়াম বা স্টিলের চেয়ে কম দামি কিন্তু এটাও খুবই শক্তিশালী। কিন্তু টাইটানের মতো গভীর সমুদ্রের ডুবোযানের ক্ষেত্রে তা এখনও পরীক্ষিত নয়।
    গত বছর ওশানোগ্রাফিকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে ওশানগেটের প্রধান নির্বাহী রাশ টকটন বলেন, ‘কার্বন ফাইবার ইয়ট এবং এভিয়েশনে সাফল্যের সাথেই ব্যবহার হচ্ছে তবে ডুবোযান যাতে মানুষ থাকে সেখানে এখনো ব্যবহার করা হয়নি।’
    আদালতের নথিতে লকরিজ দাবি করেন- এর কাঠামো কতেটা চাপ নিতে পারে এবং এর সম্ভাব্য সমস্যাগুলো কি তা যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয়নি।
    তার দাবি, এটি কতোটা চাপ নিতে পারে সেটার একটা ছোট স্কেলে পরীক্ষার সময় এই ডুবোযানের কার্বন ফাইবারে বেশ কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে।
    একইসাথে যে টাইটানের জানালা রাখা হয় সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন লকরিজ। তিনি বলেন, যারা এটি বানিয়েছে তাদের সেই উপকরণ তখনই স্বীকৃতি পাবে যখন তা ১৩০০ মিটার গভীরে ব্যবহার করা হবে।
    ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওশানগেট এক বিবৃতিতে জানায় টাইটান ৪০০০ মিটার গভীর পর্যন্ত গিয়েছে যা ‘এর কার্বন ফাইবার ও টাইটানিয়াম কাঠামোর ব্যাপারে ওশানগেটের উদ্ভাবনী প্রকৌশল ও নির্মাণকে নিশ্চিত করে।’
    ২০২০ সালে গিকওয়্যারের সাথে এক সাক্ষাৎকারে রাশ বলেন, পরীক্ষায় ডুবোযানটি ‘টানা ব্যবহারে কিছু ক্লান্তির ছাপ’ দেখিয়েছে।
    ২০২১ সালের মে মাসে আদালতের নথিতে বলা হয় কোম্পানিটি জানিয়েছে যে টাইটান ৫০টিরও বেশি টেস্ট ড্রাইভ দিয়েছে, টাইটানিকের সমপরিমাণ গভীরে গিয়েছে, বাহামার গভীর সমুদ্রে গিয়েছে এবং একটা প্রেশার চেম্বারেও এটি নেমেছে।
    টাইটানের কাঠামোটাও একটু ভিন্নরকম
    গভীর সমুদ্রের ডুবোযানের আকৃতি সাধারণত গোলাকার হয়ে থাকে, যাতে সবদিকে এটি সমান চাপ নিতে পারে। কিন্তু টাইটান টিউব আকৃতির, ফলে এতে সবদিকে চাপ সমানভাবে যায় না।
    উদাহরণস্বরুপ আরেকটা ডুবোযান লিমিটিং ফ্যাক্টর। এটির নির্মাতা ট্রাইটন সাবমেরিন, যা নিয়মিত সমুদ্রের গভীরে ভ্রমণ করেছে, এমনকি ১১ কিলোমিটার গভীরে ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চের নিচ পর্যন্ত গিয়েছে।