সাতক্ষীরায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহের উদ্বোধন করা
হয়েছে। ২৩ থেকে ২৯ মে ২০২৪ জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ
উদযাপন উপলক্ষে উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র
শেখ আনোয়ার হোসেন মিলন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত
প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ। প্রধান অতিথি ছিলেন
বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তাহের।
উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো:
আজিজুল ইসলাম, শিক্ষক প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
আবু সাঈদ, মাধবী রানী মন্ডল ও রুস্তম আলী, সাতক্ষীরা পৌরসভার
টিকাদান সুপারভাইজার মো: ইবাদুল ইসলাম ও শাহীন বিশ^াস।
উল্লেখ্য: পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডেও সকল প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও
মাদরাসা পর্যায়ে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সের সকল ছাত্রছাত্রীদের
পর্যায়ক্রমে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, বিদ্যালয়ের শারীরিক
শিক্ষক মো: আবু সাঈদ।
Author: dakshinermashal
-
সাতক্ষীরায় জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহের উদ্বোধন
-
কৈখালীতে সুন্দরবন ইয়ুথ ফ্রেন্ডশীপের উদ্যোগে ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা সেবা অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোমবার সকাল ১০ টা হতে সুন্দরবন ইয়ুথ ফ্রেন্ডশীপের উদ্যোগে এস,কে,চক্ষু হাসপাতালের সার্বিক তত্বাবধানে ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা সেবা অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলার উপকূলীয় কৈখালী ইউনিয়নের দারিদ্র্য পরিবারের খেটে খাওয়া দিনমজুরদের ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।সাধরণ মানুষের মাঝে এ যেন এক ঈদ আনন্দ,ফ্রী চক্ষু চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পে রোগী দেখেন,এস,কে,চক্ষু হাসপাতালেরডাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, উ,স,ক মেডিকেল অফিসার,এস,কে,চক্ষু হাসপাতাল কেন্দ্রের ম্যানেজার আবুবক্কার সিদ্দিক স্বাধীন,এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাহেবখালী সিদ্দিক গাজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একে,এম আরিফ বিল্লাহ, সুন্দরবন ইয়ুথ ফ্রেন্ডশিপের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক মোঃ আলফাত হোসেন,উপদেষ্টা,সাংবাদিক জি,এম,আমিনুর রহমান,উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য,গাজী আবুল হোসেন, সভাপতি মোঃ সোহেল রানা,সহ-সভাপতি মোঃ আলমগীর হায়দার, সহ-সভাপতি মোঃ সাব্বির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর মোহাম্মদ নাহিদ,সিনয়র সহ-সভাপতি,আবুবক্কার হোসেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম মফিজ,তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, প্রচার সম্পাদক আজাদ মিয়া রসুল,সহ আল- আমিন মেহেদী হাসান, মেকাইল হোসেন,আমিনুর রহমান প্রমুখ। -
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’
মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
কমিটির সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় জেলা প্রশাসক
হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট জেলা ও
উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রস্তুতি সভায়
যোগ দেন।
সভা শেষে হুমায়ুন কবির বলেন,‘‘ ঘূর্ণিঝড়
‘রেমাল ’ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি
নেওয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সব
পর্যায়ের কর্মকর্তাদের স্টেশন ত্যাগ না করতে
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’’
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়
সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল ’
মোকাবেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ ৮৮৭টি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে ।
এছাড়া ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা
হয়েছে জরুরী কাজে অংশগ্রহণের জন্য। জরুরী
ত্রাণ কার্যে ব্যবহারের জন্য রয়েছে ৫ লাখ ২৫
হাজার টাকা। -
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিতে পারে শনিবা
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এ সংলগ্ন পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় বুধবার(২২মে) একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। তবে এ কয়েকদিন চলমান মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আর সেখান থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়।
বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রকাশিত ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-একটি জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা, ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আর ঢাকা, নেত্রকোণা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, ফেনী, কক্সবাজার, বাগেরহাট, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, লঘুচাপটি আজ বা আগামীকাল সকালের মধ্যেই সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। আগামী শুক্র বা শনিবার এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। তবে এখনো তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্টের (ইসিএমডব্লিউএফ) এক ঘোষণায় বলা হয়, আজ (বুধবার) বা আগামীকালকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণে সুন্দরবনের কাছাকাছি ২৬ থেকে ২৭ মে আঘাত হানতে পারে।
তবে ঘোষণায় এ কথাও বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রকৃতি সব সময় ঠিক থাকে না। এর গতিপথ এবং গতি পরিবর্তিত হতে পারে। আর এবার যদি ঘূর্ণিঝড় হয়, তবে এর নাম হবে রেমাল। এই নাম ওমানের দেওয়া।
বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেলের বরাত দিয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ২৬ মে সকাল ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করা শুরু করতে পারে সকাল ৬টার পর থেকে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভব্য সময় ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের পেছন দিকের অর্ধেক অংশ পুরোপুরি স্থলভাগে প্রবেশ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলে আঘাত হানা শুরু করে তবে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম, যা পরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। সে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। ২০২০ সালের মে মাসেই ২০ তারিখে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বেশ বিধ্বংসী ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। তবে সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালে এই মে মাসেই ২৫ তারিখে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী আইলা।
-
হাসপাতালে ভর্তি শাহরুখ
বিনোদন ডেস্ক
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ শেষে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (২১ মে) দলের খেলা দেখতে আহমেদাবাদে হাজির ছিলেন কিং খান। সেখানে অসুস্থবোধ করায় শহরের কেডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইপিএলের প্লেঅফ ম্যাচ দেখতে আহমেদাবাদে গিয়েছিলেন শাহরুখ খান। গ্যালারিতে বসে দলের জয় উপভোগ করেন তিনি। কিন্তু এরপরই প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাকে আহমেদাবাদের কেডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
জানা গেছে, আহমেদাবাদের তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রির উপরে থাকায় গরম সহ্য হয়নি শাহরুখের। এরপরই সকাল থেকে অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
কেডি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ডিহাইড্রেশনের কারণে মঙ্গলবার রাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কিং খান। এরপর বুধবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার স্টেডিয়ামে শাহরুখের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন কন্যা সুহানা ও পুত্র আব্রাম। ছিলেন অনন্যা পাণ্ডে এবং শানায়া কপূরও। মাঠে বসেই দলের জয় উপভোগ করেছেন তারা।
এদিকে বুধবার সুহানার জন্মদিন। মেয়ের জন্মদিনে শাহরুখের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনুরাগীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
-
শেষ মুহূর্তে রাইসির হেলিকপ্টারে কী ঘটেছিল, কী বলেছিলেন পাইলট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কয়েকদিন আগেই নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। একই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ উচ্চপদস্থ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।
রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কী ঘটেছিল, সে সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত খুব কমই জানা গেছে। এবার এ ঘটনার আরও কিছু তথ্য সামনে এনেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ গোলাম হোসেইন ইসমাইলি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন বলে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে দেশের উত্তর-পশ্চিমে নিহত হওয়া ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিষয়ে আরও বিশদ তথ্য প্রকাশ করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্সিয়াল চিফ অব স্টাফ গোলাম হোসেইন ইসমাইলি।
মূলত ঘটনার দিন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির পাশেই আরেকটি হেলিকপ্টারে ছিলেন ইসমাইলি। গত সোমবার রাষ্ট্রীয় টিভির সাথে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট রাইসির কপ্টার যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল ইরানের সেই ভারজাকান অঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতি উড্ডয়নের শুরুতে এবং বেশিরভাগ সময়জুড়েই ভালো ছিল।
আজারবাইজাননের সাথে ইরানের সীমান্তে বাঁধ উদ্বোধনের অনুষ্ঠান থেকে ফিরে আসার পথে প্রেসিডেন্ট রাইসির বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। আর এর একটিতেই ইসমাইলি ছিলেন। উড্ডয়নের একপর্যায়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হলেও অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করে।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন দুপুর ১টার দিকে হেলিকপ্টারগুলো যাত্রা শুরু করে। স্থানীয় সময় ১৯ মে ওই এলাকার আবহাওয়া স্বাভাবিকই ছিল। প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি মাঝখানে ছিল। আর এর সামনে ও পেছনে ছিল অন্য দুটি হেলিকপ্টার।
তিনটি হেলিকপ্টার নিয়ে গঠিত এই বহরের দায়িত্বভার ছিল প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির পাইলটের ওপর। ইসমাইলি বলেন, যাত্রা শুরুর ৪৫ মিনিট পর রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের পাইলট কাছাকাছি থাকা মেঘ এড়াতে অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটকে আরও উঁচুতে উঠে ভ্রমণ করার নির্দেশ দেন।
সেসময় পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ছিল মাঝে এবং এর সামনে ও পেছনে অন্য দুটি হেলিকপ্টার ছিল। তবে হঠাৎ রাইসির হেলিকপ্টার উধাও হয়ে যায়।
ইসমাইলি বলেন, ‘মেঘের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার ৩০ সেকেন্ড পর, আমাদের পাইলট লক্ষ্য করলেন- মাঝখানের হেলিকপ্টারটি অদৃশ্য হয়ে গেছে। এরপর আমাদের পাইলট বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকেন এবং হেলিকপ্টারটি খুঁজতে থাকেন।’
ইসমাইলি আরও বলেন, এরপর রেডিও ডিভাইসের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সাথে যোগাযোগ করার একাধিক প্রচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি, আবার মেঘের কারণে তাদের হেলিকপ্টার আরও নিচে নামতে পারছিল না। এরপর তাদের হেলিকপ্টারটি সামনের দিকে আবারও তাদের যাত্রা আবার শুরু করে এবং কিছু সময় পরই নিকটবর্তী একটি তামার খনিতে অবতরণ করে।’
ইরানের এই প্রেসিডেন্সিয়াল চিফ অব স্টাফ বলেন, এরপর তারা ‘অদৃশ্য হয়ে যাওয়া’ হেলিকপ্টারটিতে থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং প্রেসিডেন্টের সুরক্ষা ইউনিটের প্রধানকে বারবার ফোন করেন। তবে তারা কেউ সাড়া দেননি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটরা প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন মোস্তাফাভির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ফোন রিসিভ করেন তাবরিজে জুমার নামাজের ইমাম মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম। তবে তার অবস্থাও ভালো ছিল না। তিনি (আলে-হাশেম) জানান, তাদের হেলিকপ্টারটি একটি উপত্যকায় বিধ্বস্ত হয়েছে।
এরপর ইসমাইলি নিজেই আলে-হাশেমের সাথে দ্বিতীয় দফায় যোগাযোগ করেছিলেন এবং তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে একই উত্তর পেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘যখন আমরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাই, তখন লাশের অবস্থায় বোঝা যাচ্ছিল- আয়াতুল্লাহ রাইসি এবং অন্যান্য সঙ্গীরা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত হয়েছিলেন, কিন্তু আলে-হাশেম আরও কয়েক ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন এবং পরে মারা যান।’
-
রাজনীতিতে এসেছি মানুষের জন্য, নিজের জন্য নয়: মশিউর রহমান বাবু
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচনে সাধারণ মানুষের পাশে সবসময় থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মশিউর রহমান বাবু।বুধবার (২২ মে) বিকেলে সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের শিমুলবাড়ীয়ায় লাঙ্গল প্রতীকের কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সাথে নির্বাচনী পথসভায় এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
এসময় মশিউর রহমান বাবু বলেন, আমি রাজনীতি করতে এসেছি মানুষের জন্য, নিজের জন্য নয়। ভোটে আমি নির্বাচিত হলেও সদর উপজেলাবাসীর পাশে থাকবো আর না হলেও থাকবো। আমি এক কথার মানুষ, আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হলেও আমার মানুষের জন্য কাজ থেমে থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, আমার কথায় নয়, যাকে আপনার বিবেচনায় যোগ্য মনে হয় তাকেই ভোট দেবেন। আমি অতীতে যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও সেভাবে থাকবো, ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন মানুষের জন্য কাজ করবো।
এসময় ভোটারদের কাছে মশিউর রহমান বাবুর লাঙ্গল মার্কায় ভোট চেয়ে বক্তব্য রাখেন, জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি আব্দুস সালাম সরদার, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, জেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি ও পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কায়ছারুজ্জামান, জেলা ওলামা পার্টির সভাপতি মো. ইব্রাহিম, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির আহবায়ক আবু ইয়াসিন, সদস্য সচিব আব্দুল কাদের, যুগ্ম আহবায়ক স.ম মুজাহিদ প্রমুখসহ লাঙ্গল প্রতীকের কর্মী সমর্থক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ব্যাংদহা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান বিপুলের নেতৃত্বে মশিউর রহমান বাবুর পক্ষে গণসংযোগ চালানো হয়।
-
কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর পিকেএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মামলা
নয় হাজার টাকায় ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যকে
রেজুলেশন খাতায় সাক্ষর!রঘুনাথ খাঁ: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর
প্রাণকৃষ্ণ স্মারক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটর অপারেটর ও
আয়া পদে ত্রæটিপূর্ণ নিয়োগ বোর্ডকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি
মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিয়োগ বন্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা
কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য সমীর কুমার মÐল গত ৫ মে ও
নিয়োগ পাওয়ার দাবিতে শ্যামনগরের পূর্ব দুর্গাবাটি
গ্রামের মধুসুধন মÐল ও বিষ্ণুপুরের তাপসী সরদার যৌথভাবে গত
১৯ মে কালিগঞ্জ সহকারি জজ আদালতে যথাক্রমে এসব মামলা দেঃ
১১৯/২৪ ও (দেঃ ১৬৫/২৪) দায়ের করেন। মামলা দুটি বিবাদীদের
বিরুদ্ধে সমন জারির অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে নিয়োগ পেতে আদালতের শরণাপন্ন হলেও মুকুন্দ
মধুসুধনপুর চৌমুহুনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আকবর
আলীকে নিয়ে রেজুলেশন খাতাসহ এক বা একাধিক সদস্যকে
ম্যানেজ করে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন মধুসুধন ও তাপসী। এ ছাড়াও
একজন সাংসদকে দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একজন সদস্যকে
চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
বিষ্ণুপুর প্রাণকৃষ্ণ স্মারক বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা
কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য সমীর কুমার মÐল জানান, চলতি
বছরের ৯ ফেব্রæয়ারি একজন ল্যাব এসিসট্যান্ট কাম কম্পিউটর
অপারেটর এবং একজন আয়া পদে নিয়োগ বোর্ড বসানো
হয়।বোর্ডে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকী বিল্লাহর
পক্ষে তার প্রতিনিধি একাডেমকি সুপারভাইজার সাইফুল ইসলাম
উপস্থিত ছিলেন। যদিও পরীক্ষা শেষে তাৎক্ষণিক বাছাইয়ে ল্যাব
এসিসট্যান্ট কাম কম্পিউটর অপারেটর পদে শ্যামনগরের পুর্ব
দুর্গাবাটি গ্রামের মধুসুধন মÐল ও আয়াপদে তাপসী সরদারকে
মনোনীত করে সাইফুল ইসলাম বাদে অপর চারজন শীটে সাক্ষর করেচলে যান। শিক্ষা অফিসারের নিয়োগ বোর্ডে না থাকায় তার
সাক্ষর পরে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় ১১ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটিতে
বিরোধ তৈরি হয়। মধুসধন মÐলকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না মর্মে
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর কুমার দাশ ও
উপজেলা শিক্ষা কর্মকতা বাকী বিল্লাহ গত ২৭ ফেব্রæয়ারি
সকালে বিদ্যালয়ে তদন্তে আসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
বিস্তারিত জেনে পরিচালনা পরিষদের সভা ডেকে নিয়োগ দেওয়া
সম্ভব হলে তা দ্রæত চুড়ান্ত করার নির্দেশ নতুবা কেন নিয়োগ
দেওয়া সম্ভব হবে না তা তাকে বিস্তারিত লিখে জানানোর জন্য বলে
যান। এরপরই দাতা সদস্য গোবিন্দ লাল সরদারের ভাই বিদ্যালয়ের
করণিক কাম লাইব্রেরিয়ান রাধ্যেশ্যাম সরদার রেজুলেশন খাতাসহ
বিভিন্ন কাগজপত্র প্রধান শিক্ষকের কাছে না দিয়ে সভাপতির
কথামত নিজের আলমারিতে রেখে দেন। এরপর থেকে ওই নিয়োগ বৈধ
করতে সভাপতি খুলনার একটি কলেজের শিক্ষক ও খুলনায়
বসবাসকারি দেবদাস মÐল, গোবিন্দ লাল সরদার তার ভাই
র্যাধেশ্যামকে নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। নিয়োগ বোর্ডে
উপস্থিত না থাকার পরও পরবর্তীতে ফলাফল শীটে সাক্ষর করা উপজেলা
মধ্যিমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকী বিল্লাহ, প্রাথী মধুসুধন
মÐল, সভাপতি দেবদাস মÐল, দাতা সদস্য গোবিন্দ লাল সরদার প্রধান
শিক্ষককে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন। দাতা সদস্য
গোবিন্দ লাল সরদার সাবেক এক সভাপতির নাম ভাঙিয়ে
কম্পিউটার অপারেটর পদে মধুসুধন মÐল এর কাছ থেকে আট লাখ ও
স্থানীয় বাসিন্দা এক প্রার্থীর কাছ থেকে নয় লাখ ও আয়া পদে
তাপসী সরদারের কাছ থেকে আট লাখ টাকা নিয়ে পরে সভাপতির
সঙ্গে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ড বৈধ করার চেষ্টা
করে যাচ্ছেন। অভিভাবক সদস্য হীরা রাণী রায়সহ কমিটির সাত জন্য
সদস্য ঘুষের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে
নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবি করতে থাকেন। এ নিয়ে
বিদ্যোৎসাহী সদস্য সমীর কুমার মÐল নিয়োগ বন্ধের দাবিতে
সভাপতিসহ ২৩জনকে বিবাদী করে করে গত ১৫ এপ্রিল কালিগঞ্জ
সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দেঃ-১১৯/২৪) দায়ের করেন। ৭
মে সকালে মধুসুধন মÐল প্রধানর শিক্ষকের বাড়িতে যেয়ে তাকে
নিয়োগ না দিলে ফল ভাল হবে না বলে হুমকি দেন।
সমীর কুমার মÐল আরো জানান, গত ১১ মে সকাল সোয়া ১০টায়
বিদ্যালয়ের করণিক রাধেশ্যাম সরদার প্রধান শিক্ষককে ৭ মে তারিখসভাপতি সাক্ষরিত একটি চিঠি ধরিয়ে দেন। তাতে চিঠিতে
সাক্ষর করা দিন থেকে সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে
পরিচালনা পরিষদের সভা আহবানের নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক
বিষয়টি নিয়ে সভাপতিকে লিখিত জবাব দেন। সভাপতির
অভিযোগক্রমে কোন প্রকার এজেÐা ও অভিযোগের কপি ছাড়াই
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকি বিল্লাহ স্বাক্ষরিত
একটি চিঠি প্রধান শিক্ষক ১৪ মে বিকেলে পান। প্রধান
শিক্ষককে ১৬ মে বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় তাকে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে হাজির থাকতে বলা হয়।
একপর্যায়ে ১৫ মে রাতে অজয় কুমার মÐল কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের
নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শেখ মেহেদী হাসান
সুমনের সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফেরার সময় মধুসুধন মÐল, সভাপতি
দেবদাস মÐল, গোবিন্দ লাল মÐলসহ কয়েকজনের হাতে লাঞ্ছিত হন
বলে অভিযোগ ওঠে। অজয় মÐলকে ১৬ মে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়। মধুসুধন ও তাপসীর চাকরি না হলে নিয়োগ
বোর্ডের তিন সদস্য এর জন্য ঘুষ বাবদ খরচ ১০ লাখ টাকাসহ
গোবিন্দ লাল সরদারের তিন প্রার্থীর কাছ থেকে নেওয়া ২৫ লাখ
টাকা তার (অজয়) কাছ থেকে আদায় করার হুমকি দেওয়া হয়।
এদিকে মঙ্গলবার মুঠোফোনে এক সাক্ষাৎকারে হীরা রানী রায়
সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সকালে দাতা সদস্য গোবিন্দ লাল
সরদার তার বাড়িতে এসে মধুসুধন ও তাপসীকে নিয়োগ দেওয়া
সংক্রান্ত এক রেজুলেশন খাতায় সাক্ষর করাতে এসে তাকে নগদ চার
হাজার টাকা ও বিকাশের মধ্যেমে সভাপতি দেবদাস মÐল তাকে
পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়ে কথা বলেন। মিটিং হয়নি জেনেও
অভাবের তাড়নায় তিনি সাক্ষর করে দেন। তবে নিয়োগ বোর্ড
অসম্পূর্ণ হওয়ায় নিয়োগ বাতিল করা সংক্রান্ত জেলা প্রশাসক ও
জেলা শিক্ষা অফিসারসহ চার কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো
একটি চিঠিতে অন্য ছয় জনের সঙ্গে তিনিও সাক্ষর করেছিলেন
বলে জানান হীরা রাণী রায়।
তবে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও অভিভাবক সদস্য জাহাঙ্গীর আলম
বলেন, প্রধান শিক্ষককে মোবাইলে না পেয়ে তার সঙ্গে কথা
বলেছিলেন এক সাংসদ। তিনি এ নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে তার
সঙ্গে কথা বলেছিলেন। মুকুন্দপুর চৌমুহুনীর শিক্ষক আকবর আলী,
মধুসুধন মÐল ও তাপসী সরদার রেজুলেশন খাতা নিয়ে তার কাছে
সাক্ষর করাতে এসেছিলেন।একইভাবে শিক্ষক কল্যান সরকার, অভিভাবক সদস্য আব্দুর রশিদ ও
হাসান জানান, বুধবার মুকুন্দপুর চৌমুহুনীর শিক্ষক আকবর আলী,
মধুসুধন মÐল ও তাপসী সরদার রেজুলেশন খাতা নিয়ে তার কাছে
সাক্ষর করাতে এসেছিলেন। তবে একটি বিদ্যালয়ের রেজুলেশন খাতা
বিদ্যালয় বহির্ভুত লেঅকজনের হাতে কিভাবে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন
করলে তারা উত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে বিষ্ণুপুর প্রাণকৃষ্ণ স্মারক বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেবদাস মÐল ও দাতা সদস্য গোবিন্দ
মÐলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মধুসুধন মÐল বলেন,
চাকুরির বয়স শেষ তাই মামলা করার পরও করণিক রাধেশ্যাম, গোবিন্দ
লাল সরদার ও সভাপতির আশ্বাস নিয়ে শেষ চেষ্টা করে দেখছেন।
কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ মেহেদী
হাসান সুমন বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। বৈধ পন্থায় যোগ্য
প্রার্থীর নিয়োগ চান তিনি। বিষয়টি নিয়ে তিনি সাংসদ
জিএম আতাউল হক দোলনের সাথে কথা বলবেন। -
আশাশুনিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ১৪ জন গ্রেফতার
আশাশুনি ব্যুরো:আশাশুনিতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার অপরাধে ১৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (২২ মে) বুধবার সকালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী এর দিক নির্দেশনায় আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমারের নেতৃত্বে থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সহিংসতার অভিযান পরিচালনা কালে এসআই মোঃ আঃ রহিম, এসআই মোঃ আব্বাস আলী, এসআই পিয়াস কুমার সাহা, এসআই শ্যামা প্রসাদ রায় সহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় নাছিমাবাদ গ্রামের আনারুল ফকিরের ছেলে আরাফাত হোসেনকে গ্রেফতার করেন এ সংক্রান্তে থানায় ১৩(৫)২৪ নং মামলা রুজু করা হয়েছে। খরিয়াটি গ্রামের মৃত সাকাউদ্দীন গাজীর ছেলে মোঃ সাত্তার গাজী (৪৮) ও মোঃ আক্তার গাজীর ছেলে আকবর গাজী (৩৩)কে গ্রেফতার করা হয়। এ সংক্রান্তে থানায় নিয়মিত ১৪(৫)২৪ নং মামলা রুজু করা হয়েছে। পিরোজপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে মোঃ আব্দুর রহমান (৫৫)। মৃত ফজলে গাজীর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর গাজী (৪৪), মোঃ আলমগীর গাজী (৩৮), মোঃ মনিরুল গাজী (২৫) ও মোঃ জাহাঙ্গীর গাজীর ছেলে মোঃ ইব্রাহিম গাজী (২০) এবং খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মৌখালী গ্রামের আজগর গাজীর ছেলে মোঃ আবু হামজা (২৪), মোঃ মোজাফফর মোল্যার ছেলে মোঃ সোহেল মোল্যা (৩৪), মোঃ জাবের গাজীর ছেলে মোঃ আজগর গাজী (৫৫)। কয়রা উপজেলার নাকসা গ্রামের মৃত গফুর সরদারের ছেলে মোঃ আরিফুল ইসলাম (৩০)। দূর্গাপুর গ্রামের মৃত রাজেন্দ্র নাথের ছেলে ভবেন মন্ডল (৬৫), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৫৫)কে গ্রেফতার করেন। এ সংক্রান্ত থানায় নিয়মিত ১৫(৫)২৪, ১৬(৫)২৪, ১৭(৫)২৪ ও ১৮(৫)২৪ নং মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের এদিন দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। -
সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন
জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবি
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে জলাধার ও পাখির অভয়াশ্রম রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা সাতক্ষীরা শহরের প্রাণসায়ের খালকে দখল ও দূষণমুক্ত করে প্রবাহমান করা, সরকারি উদ্যোগে পতিত জায়গায় স্থানীয় জাতের বৃক্ষ রোপণ, পাখির অভয়াশ্রম তৈরী, রক্ষাণাবেক্ষণ এবং পাখি শিকার বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ, সকল প্রাণের জন্য পরিকল্পিত ও বাসযোগ্য শহর তৈরীর লক্ষ্যে অন্তত ২০ ভাগ বনভূমি এবং ১৫ ভাগ জলাভূমি নিশ্চিতকরণ, নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মতামত গ্রহণ ও পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান, প্রাণ-প্রকৃতির প্রতি সদয় আচরণ করার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, মানবসভ্যতা রক্ষা করতে হলে প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষার বিকল্প নেই। আর প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষায় জলাধার ও বনায়নের গুরুত্ব সর্বাধিক।
মানববন্ধনে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আজাদ হোসেন বেলালের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, অধ্যাপক ইদ্রিস আলী, নাগরিক নেতা আলী নুর খান বাবুল, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, ল’ স্টুডেন্ট ফোরামের বিপ্লব হোসেন, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের মুশফিকুর রহিম, বারসিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষার্থী তামান্না খাতুন, বৈশাখী খাতুন প্রমুখ। বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ প্রাণবৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি দেশ। দেশে এক সময় ২০ হাজার স্থানীয় জাতের ধান, ৩৬৫ জাতের স্বাদু পানির মাছ, বিস্তীর্ণ হাওর, সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রেভ ফরেস্ট সুন্দরবন, পৃথিবীর বৃহৎ সমুদ্র উপকূল, ৩০টি কৃষি প্রতিবেশ অঞ্চল ও ১৭টি হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চল রয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে ও অপরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে সবকিছু ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষার গুরুত্ব সর্বাধিক।
-
দেবহাটায় আল ফেরদৌস আলফা, আশাশুনিতে জি এম মোস্তাকিম ও তালায় ঘোষ সনৎ কুমার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
দেবহাটায় আল ফেরদৌস আলফা, আশাশুনিতে জি এম মোস্তাকিম ও তালায় ঘোষ সনৎ কুমার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্
সাতক্ষীরার তালায় আওয়ামী লীগের মশিউর রহমানকে ১৫১৬৯ ভোটে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঘোষ সনৎ।
দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মুজিবর রহমানকে ৯২২৫ ভোটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আল ফেরদাউস আলফা।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেআওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ নেওয়াজ ডালিমকে ৭৭১ ভোটে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম।
-
দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষে চলছে গণনা
সাতক্ষীরার তিনটি উপজেলায় ।
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার দেবহাটা, তালা ও আশাশুনিতে
মঙ্গলবার বিকেল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে
ভোটগণনার কাজ। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ ও ভোট গণনার লক্ষ্যে
ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও আনসার দায়িত্ব পালন করছে। তবে
আশাশুনিতে ৮৭টির মধ্যে ২০টি কেন্দ্র অধিক গুরুত্বপূর্ণ
ভোটকেন্দ্র থাকায় আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ
কুমার অধিকারীকে থানার নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে জেলা
পুলিশের স্ট্যা-িং ফোর্সের প্রধান করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর
সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আসাদুজ্জামানকে আশাশুনি
থানার নির্বাচনী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার তালা উপজেলার নাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
মাঝিয়াড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তালা বিদে বিদে
মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে যেয়ে জানা গেছে, বেলা বাড়ার সাথে
সাথে ভোটরদের উপস্থিতি বাড়ে।
তালা, দেবহাটা ও আশাশুনি নির্বাচনের রিটাণিং অফিসার
সরোয়ার হোসেন জানান,তিনটি উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের
২২১টি ভোট কেন্দ্রে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এখানে ভোটার সংখ্যা ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭১। ভোট গণনার কাজ শুরু
হয়েছে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে। রাত ১১টার মধ্যে ভোটের ফলাফল
জানা যাবে। -
পাইকগাছায় জমে উঠেছে ১৯ প্রার্থীর উপজেলা পরিষদ-র নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা!
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি।।পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বাকি মাত্র ক’য়েক দিন। তাই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা নির্ধারিত এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন নিজ নিজ কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে। যতটুকু অবসর পাচ্ছেন পরের দিনের কর্মসূচি নিয়ে পরিকল্পনা করছেন। আর নিজের অবস্থান জোরদার করার জন্য বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করছেন এবং কৌশল প্রয়োগ করেই যার যার ভোট ব্যাংকের বাইরে থাকা ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২লাখ ৩১ হাজার ৯১৩ জন পাইকগাছা উপজেলার মোট ভোটার। আগামী ২৯ মে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩য় ধাপ, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ১৯ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছেন! এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন। ১৯ জন প্রার্থীকেই মনোনয়ন যাচাই-বাচাই শেষে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে, এর ভেতরে চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু (মোটরসাইকেল), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস (চিংড়ি মাছ), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এড.শেখ আবুল কালাম আজাদ (দোয়াত-কলম), সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা কৃষ্ণপদ মন্ডল (আনারস), অন্য দু’জন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা এড. স ম বাবর আলী’র পুত্র এড. স ম শিবলী নোমানী রানা (কাপ-পিরিচ) ও মোঃ আছাদুল বিশ্বাস (হেলিকপ্টার)।যে ৮ জন প্রার্থী ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শিয়াবুদ্দীন ফিরোজ বুলু (তালা), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম (মাইক), স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা প্রভাষক বজলুর রহমান (টিয়াপাখি), ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির পরিচালক এস এম হাবিবুর রহমান মুছা (চশমা), সাবেক যুবলীগ নেতা সুকুমার চন্দ্র ঢালী (উড়োজাহাজ), ফরহাদ হোসেন ফয়সাল (টিউবওয়েল), প্রভাষক স.ম আব্দুল ওয়াহব বাবলু (পালকি), মিলন মন্ডল (আইসক্রিম) ও কৌতুক অভিনেতা বাবুল শরীফ (বই)।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা হলেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিপিকা ঢালী (পদ্ম ফুল), প্রধান শিক্ষক অনিতা রানী মন্ডল (ফুটবল), উপজেলা যুব মহিলালীগ নেত্রী ময়না বেগম (হাঁস) ও ইয়াসমিন বুশরা (কলস)। -
উপজেলার ৪ লক্ষ ভোটারকে চেয়ারম্যান হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রার্থী
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মশিউর রহমান বাবুর লাঙ্গল প্রতিকের নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) রাতে ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টি আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় মশিউর রহমান বাবু বলেন, নির্বাচিত হলে সদর উপজেলাকে একটি স্মার্ট সু-সজ্জিত উপজেলা হিসাবে সাধারণ মানুষকে উপহার দেবো। উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে আমি একা চেয়ারম্যান হবো না, বরং সদর উপজেলার ৪ লক্ষ ৪ হাজার ভোটাররাই চেয়ারম্যান হবে। এ সময় তিনি সকলকে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান।
ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন লেসদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, সম্মানিত অতিথি’র বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ শাখাওয়াতুল করিম পিটুল, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শেখ শরিফুজ্জামান বিপুল, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির সভাপতি আবু ইয়াসিন,জাতীয় পার্টি নেতা প্রভাষক শরিফুল ইসলাম, জেলা জাতীয় তরুণ পার্টির যুগ্ম আহবায়ক স.ম মুজাহিদ প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ভোমরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম।
-
এলাকার উন্নয়নে সাবেক মন্ত্রীকে ব্যবহারের নির্দেশ
“আমার কাছে কেউ এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজ নিয়ে গিয়ে ফিরে এসেছে এরকম কোন নজির নেই। আমি কথাই নয়, কাজে বিশ্বাসী, কাজেই আমাকে ব্যাবহার করুণ, আমাকে যদি আপনারা কাজে না লাগাতে পারেন তাহলে সেটা আপনাদের ব্যর্থতা। আমি আমৃত্যু সাতক্ষীরার উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবো” প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক সাতক্ষীরা পৌরসভা কার্যালয়ে এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা পৌরসভা কার্যালয় পরিদর্শনকালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। পরে পৌর কতৃপক্ষের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।সোমবার (২০ মে) বিকাল ৪টায় সাতক্ষীরা পৌরসভা আয়োজিত মেয়রের দপ্তরে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসানের সভাপতিত্বে ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাজিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী, পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন মিলন, ৬নং ওয়ার্ডের শেখ মারুফ হোসেন, ৭নং ওয়াডের্র জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিল শেখ শফিকউদ্দৌলা সাগর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল নুরজাহান খাতুন নুরী ও অনিমা রানী মন্ডল প্রমুখসহ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
-
শ্যামনগরে হটাৎ টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক টিনশেড কাঁচা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। রবিবার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী, পূর্ব কৈখালি ও জয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কিছু গাছ উপড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হঠাৎ পাঁচ নদীর মোহনার দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে। সাথে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় এসময় মূহুর্তেই এলাকার ৫০ টি পূর্ণ ও ৫০ টি আংশিক টিনশেড কাঁচা ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিবুল আলম ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ জামান,উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহীমুল ইসলামকে জানানো হয়। সোমবার সকালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাংসদ এসএম আতাউল হক দোলন তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ বস্তা সরকারি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। -
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন পক্ষকে অবৈধ সুবিধা দেবে না পুুলিশ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন পক্ষকে কোন ভাবে অবৈধ সুবিধা দেয়া হবে না
…. পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী
২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন পক্ষকে কোন ভাবে অবৈধ সুবিধা দেয়া হবে না। ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা হবে। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদেরকে চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে। কোন প্রার্থী বা সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে তৎপর থাকতে হবে। আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন একটি দৃষ্টান্ত হিসাবে তুলে ধরতে যা যা করা প্রয়োজন তাই করা হবে। এক ব্যক্তি একাধিকবার কোন কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কোন ব্যক্তি একাধিকবার কেন্দ্রের মধ্যে প্রবেশ করার চেষ্টা করে আপনারা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। আমরা তাৎক্ষণিক সেটা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আশাশুনিতে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০ টায় হাই স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে আয়োজিত পুলিশ ব্রিফিং প্যারেড শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে তাৎক্ষণিক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় কালে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রনি আলম নূর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আসাদুজ্জামান, জেলা ডিবির ওসি মোঃ তারেক হাসান ইবনে আজিজ, পুলিশ পরিদর্শক সাতক্ষীরা কন্ট্রোল ইনচার্জ চৌধুরী রেজাউল করিম, থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার, ওসি তদন্ত রফিকুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও থানার অফিসার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -
রাত পোহালেই সাতক্ষীরার তিন উপজেলায় ভোট

চেয়ারম্যান- ১৬ , ভাইস চেয়ারম্যান-১৩ ও মহিলা ভাই চেয়ারম্যান- ৮জন
বিশেষ প্রতিনিধি : প্রচার প্রচারণাসহ সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে আজ রাত পোহালেই মঙ্গলবার ধাপে জেলার দেবহাটা, আশাশুনি ও তালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এ নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য নির্বাচন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সোমবার সকালে তিনটি উপজেলা পরিষদ থেকে স্ব স্ব নির্বাচন কেন্দ্রে নির্বাচন সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে কেন্দ্র কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে ব্যালট। দেবহাটা, আশাশুনি ও তালা উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ, আনসার ভিডিপি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমান মোবাইল কোর্ট ও র্যাব সদস্যরা টহল দিবেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামীকাল ২১ মে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনে দেবহাটা, আশাশুনি ও তালা উপজেলার ২৮ টি ইউনিয়নের ২১১ টি ভোটকেন্দ্রে ভোটারগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচনে জেলার তিন উপজেলা থেকে চেয়ারম্যানপদে ১৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে গত ২ মে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন ক থেকে তিন উপজেলার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীগণ নির্বাচনি প্রতীক গ্রহণ করেন। এ নির্বাচনে দেবহাটায় উপজেলার ৫ ইউনিয়নের ৪১ ভোটকেন্দ্রের ২৬৭ স্থায়ী ও ১২ টি অস্থায়ী মোট ২৭৯ টি ভোটকক্ষে সর্বমোট ১,১১,৭৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ উপজেলায় মোট ভোটারের ৫৬,২৬৩ জন পুরুষ, ৫৫,৫৩২ জন নারী ভোটার রয়েছে। এ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো. মুজিবর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীক, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব আল ফেরদাউস আলফা হেলিকপ্টার প্রতীক, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এড. স.ম গোলাম মোস্তফা চিংড়িমাছ প্রতীক, জেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য আলহাজ্ব মো. রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক আবু রাহান তিতু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে এখনো পর্যন্ত মাঠে আছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ তালা প্রতীক এবং প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিজয় কুমার ঘোষ টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক জননন্দিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমেনা রহমান ফুটবল প্রতীক এবং বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ কলস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তালা উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৯৩ ভোটকেন্দ্রে মোট ২ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন, নারী ১লাখ ৩২ হাজার ৫২ জন এবং একজন হিজড়া ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ঘোষ সনৎ কুমার (কাপপিরিচ), সরদার মশিয়ার রহমান (চিংড়ি মাছ) সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম (ঘোড়া), প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম (দোয়াত-কলম), আতাউর রহমান গোলদার (মোটরসাইকেল), বিশ্বজিত সাধু (হেলিকপ্টার), এমএ মালেক (আনারস) এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ ইখতিয়ার হোসেন (মাইক), সাংবাদিক মোঃ আব্দুল জব্বার (তালা), কাজী ইমরান হোসেন লিয়াকাত (উড়োজাহাজ),নাজমুল হুদা পলাশ (টিয়া পাখি), শাহ আলম টিটো (টিউবওয়েল), মোঃ বাবলরু রশিদ (চশমা) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুরশিদা পারভীন পাঁপড়ী (কলস) ও মোস্তারী সুলতানা পুতুল (ফুটবল) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলার ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম পরিবর্তনের অঙ্গীকার ও স্মার্ট উপজেলা গড়ার লক্ষ্যে ঘোড়া প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান তিনি। চিংড়ি মাছ প্রতীকের প্রার্থী সরদার মশিয়ার রহমান অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন তিনি আশা করেন। নির্বাচনে জনগণ তাকে বিজয়ী করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে কাপ পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে এবং সন্ত্রাস,মাদক মুক্ত ও স্মার্ট উপজেলা গড়তে এবং সাধারণ মানুষের সন্মান ও মর্যাদা রক্ষা করতে তালাবাসী অতীতের মতো এবারও কাপপিরিচ প্রতীককেই বেছে নিবেন। এদিকে, আশাশুনি উপজেলায় ১১ ইউনিয়নের ৯৯টি ওয়ার্ডে ৮৭ ভোটকেন্দ্রের ৬০৪টি ভোটকক্ষে সর্বমোট ২,৩৯,২৩৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এ উপজেলায় মোট ভোটারের ১,২১,৯৭৯ জন পুরুষ, ১,১৭,২৩০ জন নারী ও ১ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে। এবারের নির্বাচনে এ উপজেলা থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ৪জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন প্রার্থী অর্থাৎ ৩টি পদের বিপরীতে সর্বমোট ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেছেন। এখানে চেয়াম্যান পদে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিম চিংড়ী মাছ প্রতীক, উপজেলা আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু আনারস প্রতীক, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম ঘোড়া প্রতীক এবং শিল্পপতি আলহাজ্ব গাউসুল হোসেন রাজ দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠের লড়াই করছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী টিউবওয়েল প্রতীক, আশাশুনি প্রেসকাবের সভাপতি জিএম আল ফারুক টিয়া পাখি প্রতীক, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি এনএমবি রাশেদ সারোয়ার শেলী চশমা প্রতীক, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসমাউল হোসাইন মাইক প্রতীক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি সাহেব আলী তালা প্রতীক নিয়ে লড়াই করছেন। এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেমা খাতুন মিলি কলস প্রতীক, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা পারভীন হাঁস প্রতীক, জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মেহেরুন্নেছা ফুটবল প্রতীক ও সদ্য সাবেক আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য মারুফা খাতুন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এসব প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ভোট এবং দোয়া চেয়ে পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ পথসভা উঠান বৈঠক এবং নির্বাচনী সভা করে চলেছেন। রবিবার রাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। ইতিমধ্যে তিন উপজেলার বিভিন্ন চায়ের স্টল, হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লায় আর রাজনীতি সচেতন মানুষের মুখে মুখেও চলছে আগামী ২১মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলাপ আলোচনা। কখনো কখনো আবার চায়ের আড্ডায় বা রাজনৈতিক পরিচয় এর সূত্র ধরে প্রার্থীদের ভালো-মন্দ দিক, জনসেবা, যোগ্যতার মাপকাঠি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে, এ নির্বাচনে আশাশুনি উপজেলার ভোটকেন্দ্র দখলের আশঙ্কা বিরাজ করছে খোদ প্রার্থীদের মাঝে। এছাড়াও প্রার্থী থেকে কর্মী সমর্থকদের মাঝে বাক যুদ্ধ যেন কোনভাবেই থামছেনা। চলমান এ বাকযুদ্ধ যে কোনো সময় রূপ নিতে পারে সংঘর্ষে। যতই সময় গড়িয়ে যাচ্ছে ততই উৎতপ্ত হচ্ছে ভোটের মাঠ। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকলেও সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রার্থীরা বিভিন্ন পদে লড়ছেন। তবে বিএনপি ও জামায়াত অংশগ্রহণ না করায় যেমন কমতে পারে ভোটার উপস্থিতি তেমনি সংঘর্ষে জড়াতে পারে আওয়ামী লীগের ঘরোয়া প্রার্থীরা। এ বিষয়ে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান হোসেন জানান, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম টানা তিনবার উপজেলা পরিষদের চেয়ার দখল করলেও তেমন কোন উন্নয়ন না করায় ভোটারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সাধারণ ভোটারা চায় নতুন মুখ। কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান ওমর সাকি পলাশ অভিযোগ করে জানান, এ উপজেলার কিছু এলাকায় ভোটারদের একটি প্রভাবশালী মহল হুমকি-ধামকী অব্যাহত রেখেছে। এদিকে আনারস প্রতীকের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এড.শহিদুল ইসলাম পিন্টু জানান, ২৪টি কেন্দ্র খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তিনি স্থানীয় প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, এবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ১১ টি ইউনিয়নে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়ন থাকবে। কোন প্রকার সংঘাত বরদাশত করা হবেনা।