Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 14 of 398

Author: dakshinermashal

  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রমজান মাসের ছুটি নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রমজান মাসের ছুটি নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

    শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমাদের বর্তমান শিক্ষা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিভিত্তিক। এ কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি সময় খোলা রাখতে হচ্ছে। ফলে ছুটি ঠিক রাখা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। এটা এক ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

    রবিবার (২ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সারাদেশের মাদরাসায় আয়োজিত বইপড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মেধাবৃত্তি প্রদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষদের বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়।

    রমজান মাসের ছুটি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি রমজান মাসে কোরআন শিক্ষা নেন অনেকে। অনেকে কোরআনের হাফেজ, তারা এ মাসে বেশি বেশি তেলাওয়াত করেন, নামাজ পড়ান। এজন্য ছুটি চান। আগামী রমজানের আগেই আমরা এটা নিয়ে একটা প্রস্তুতি নেবো। রমজানে যেন কোরআন শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটা আমাদের মাথায় রয়েছে।’

    আরবি ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই আছেন আরবি ভাষায় অনেক দক্ষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দক্ষ হতে হবে। আমরা কোরআন প্রতিযোগিতা অবশ্যই করবো, আমি নিজেও শৈশবে কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। আমার বাবা আমাকে মাখরাজ শিখিয়েছিলেন এবং কীভাবে উপস্থাপনা করতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আরবিতে একটুও কথা বলতে পারবো না। এত সুন্দর করে মাখরাজ শেখার পর ভাষাটা রপ্ত করতে পারিনি।’

    মাদরাসা শিক্ষকদের উদ্দেশে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আপনাদের কাছে একটা আবেদন, আমরা যেন শিক্ষার্থীদের দক্ষতানির্ভর করতে পারি। কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা বিষয় যেন থাকে। আমরা যা-ই পড়াচ্ছি, সেটা হোক ইংরেজি কিংবা আরবি, যে ভাষাটা শিখলো, তা দিয়ে শিক্ষার্থী যেন যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারে। অমুসলিম দেশেও কিন্তু আরবি ভাষা শেখানো হচ্ছে। সেটা আমাদের খেয়াল করতে হবে। বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা। কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘আজকে উপস্থিত বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, যারা অবসর নিয়েছেন, তাদের অনেকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য কাজ করছেন। যার যার অবস্থান থেকে আমাদের দ্বীনি শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে, আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সারাদেশ থেকে আসা মাদরাসা শিক্ষকরা অংশ নেন।

  • সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ সড়ক পুনঃনির্মাণের দাবিতে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন

    সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ সড়ক পুনঃনির্মাণের দাবিতে প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালন

    সাতক্ষীরা শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ শহিদ রীমু সরণীর পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা পর্যন্ত সড়ক পুনঃনির্মাণের দাবীতে ২ ঘন্টার প্রতীকী সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটি। রোববার (২ জুন ২০২৪) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শহিদ রীমু চত্বরে অনুষ্ঠিত অবরোধ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক এড. শেখ আজাদ হোসেন বেলাল। অবরোধ কর্মসূচি থেকে আগামী এক মাসের মধ্যে সড়ক পুনঃনির্মাণের আল্টিমেটাম দেওয়া হয় এবং আগামী ২ জুলাই সাতক্ষীরা পৌরসভায় অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
    প্রতীকী সড়ক অবরোধ কর্মসূচির বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের প্রচীন পৌরসভা তথা সাবেক মিউনিসিপালিটিগুলোর মধ্যে অন্যতম সাতক্ষীরা। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও যশোরের পর ১৮৬৯ সালে এই সাতক্ষীরা মিউনিসিপালিটি প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু ১৫৫ বছরের এই পৌরসভা তার ঐতিহ্য হারিয়ে এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে অনুন্নত পৌরসভায় পরিণত হতে চলেছে। বিদেশী প্রকল্পের কথা বলে গত কয়েক দশক শহরের রাস্তাঘাট ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের তেমন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়না।
    গত চার দশকে পৌর এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ শহিদ রীমু সরণীর পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা পর্যন্ত সড়কটি ব্যবহার উপযোগী করতে পুনঃনির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে সড়কটি জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগীতা হারাতে বসেছে।
    এই সড়কের বেহালদশা নিয়ে সংসদে বক্তব্য দিয়েছিলেন সাতক্ষীরা-২ আসনের (সদর) সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্যটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। ওই বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ সড়কটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী ওই রাস্তায় চলাচল করলে পথেই ‘ডেলিভারি’ (সন্তান প্রসব) হয়ে যাবে।
    এব্যাপারে গত ৮ মে ২০২৪ সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে সড়কটি পুনরায় নির্মাণ করার দাবী জানানো হয়। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ সড়কটি নির্মাণে দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম শুরু করেনি।
    বক্তারা আরো বলেন, নূন্যতম নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত সাতক্ষীরার জনগন। বর্ষা হলেই এলাকায় এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং কয়েক মাস ধরে হাজার হাজার মানুষ পানির মধ্যে বসবাস করতে বাধ্য হয়। গ্রামে এখন আর মাটির রাস্তা খুজে পাওয়া না গেলেও সাতক্ষীরা শহরে এখনো হাটু কাদা ঠেলে মানুষকে পথ চলতে হয়। বক্তারা বলেন, যানজট শহরবাসীর নিত্যসঙ্গী। কিন্ত তা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেই। বক্তারা সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন নাগরিক সমস্যা সমাধানে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
    অবরোধে বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, শেখ হারুণ অর রশিদ, শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, কমরেড আবুল হোসেন, নিত্যানন্দ সরকার, মাধব চন্দ্র দত্ত, এড. আল মাহামুদ পলাশ, এড. মুনির উদ্দীন, সাংবাদিক আব্দুল বারী, আবুল কাশেম, অধ্যাপক ইদ্রিশ আলী, শেখ মুশফিকুর রহমান মিল্টন, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, মুনসুর রহমান, সুরেশ পান্ডে, আব্দুস সামাদ, তামান্না খাতুন, সাকিব হাসান, সানজিদা জেসমিন প্রমুখ।

  • তালায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় আত্মনিয়োগের শপথ পাঠ করালেন এমপি

    তালায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় আত্মনিয়োগের শপথ পাঠ করালেন এমপি

      সাতক্ষীরার তালায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষায় আত্মনিয়োগের শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি।
    রবিবার (২ জুন) তালা শিল্পকলা একাডেমিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আমরা বন্ধু ফাউন্ডেশনের আয়োজিত বৃক্ষ বন্ধু সমাবেশে শিক্ষার্থীদের তিনি এই শপথ বাক্য পাঠ করান।
    এসময় শিক্ষার্থীরা সংসদ সদস্যের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলে ‘গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, গাছ আমাদের খাদ্য দেয়, গাছ আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। আমরা গাছের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শপথ নিচ্ছে যে, আমরা বৃক্ষ নিধন করবো না। আমরা বেশি করে গাছ লাগাবো, পরিচর্চা করবো, সবুজে ভরে তুলবো দেশ। এই দেশ আমাদের। এই দেশকে আমরাই রক্ষা করব। আমিন।’
    ‘সবুজে বাঁচি, সবুজে হাঁসি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত বৃক্ষ বন্ধু সামবেশে আমরা বন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি এস এম নাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন সামস,
    জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক ও আমরা বন্ধু ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা প্রভাষক প্রণব ঘোষ বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুন আসিফ মুন্নি, তালা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পদক মীর মহাসিন, তালা সদর প্রেস ক্লাবের সভাপতি আব্দুল জব্বার, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও আমরা বন্ধুর সিনিয়র সদস্য ডা. আজমল হোসেন প্রমুখ।
    পরে অতিথিবৃন্দ উপস্থিত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা তুলে দেন।
    ব্যতিক্রমী এই সমাবেশে অংশ নেওয়া শহীদ আলী আহম্মেদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঐশি বলেন, এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে প্রথম এসেছি। আমার খুব ভাল লাগছে। প্রধান অতিথি আমাদের বৃক্ষ রোপণে উদ্বুদ্ধ করেছে।
    অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমরা বন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি এস এম নাহিদ হাসান বলেন, আমরা উপজেলার তরুণ শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা অনুভূতি জাগ্রত করতে চাই। বৃক্ষ রোপণ ও সংরক্ষণ শুধু রাষ্টের কাজ নয়। এই দায়িত্ব রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের। কিন্তু আমরা কখনোই গাছের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি না। গাছ যে আমাদের বন্ধু তা স্মরণ করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।
  • সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট  

    সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট  

     বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের নির্দেশনা ও খুলনা বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জিয়াউর রহমানের তত্ত্বাবধানে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ও যাত্রী, চালক, পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিআরটিএ’র উদ্যোগে মোটযানের উপর ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট অব্যহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ৩ টি মামলার বিপরীতে ১ হাজার ২ শত’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
    এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার এস এম আকাশ, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের মেকানিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট মোঃ ওবায়দুর রহমান, অফিস সহকারী শেখ আশিকুর রহমান সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
    মোবাইল কোর্টের অভিযানের বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।
    তিনি আরো বলেন আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা, দূর্ঘটনা হ্রাসকল্পে ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া সরকার ইতিমধ্যে দ্বিতীয় ধাপে যে সকল মোটরযানের ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন নেই তাদেরকে জরিমানা ব্যাতীত মূল কর ফিস দিয়ে কাগজ পত্র হালনাগাদ করার জন্য আগামী ৩০ জুন’২৪ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করেছে। এ সময়ের পরে যেসকল যানবাহনের কাগজ পত্র খেলাপি এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন থাকবে না সে সকল যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
  • বিবেককে জাগ্রত করতে বললেন জেলা পুলিশ সুপার

    বিশ্ব দুগ্ধ দিবস  উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, আলোচনা সভায় আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন। আপনার বিবেক সব থেকে বড় আদালত জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী।

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “বৈশ্বিক পুষ্টিতে দুধ অপরিহার্য ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস  উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ( ১ জুন)  সকাল ১০ টায় জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় চত্বরে থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর  বাস্তবায়নে এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) প্রাণীর সম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আলোচনা সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এস এম মাহবুবুর রহমান’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী। এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, নিরাপদ খাদ্য হিসেবে নিরাপদ দুগ্ধ চাই। যে সকল অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্যে ভেজাল দেন তাদের উদ্দেশ্যেই বলি শিশুখাদ্য সহ খাদ্যে ভেজাল দেওয়া এটি মহা অপরাধ। খাদ্যে ভেজাল দিলে এ থেকে আপনিও আপনার পরিবার বাদ যাবেন না ঘুরেফিরে তির আপনার দিকে আসবে। আপনার বিবেককে জাগ্রত করুন। আপনার বিবেক সব থেকে বড় আদালত দিনশেষে আপনি কি ন্যায়, অন্যায় যেটাই করুন আপনার বিবেকের আদালতে আপনি ঠিক বুঝতে পারবেন। জেলা প্রাণিসম্পদে আয়োজনে আমাদের অনেক সমৃদ্ধ করেছে। আসল কথা নিজেদেরকে স্বাবলম্বী হতে হবে। নিজেদের খাদ্য চাহিদা অর্থনীতি অর্জনে দেশের অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কমে যাবে। সকলকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রলয় বিশ্বাস,  জেলা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ডাঃ বিপ্লব জিৎ কর্মকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিদুল ইসলাম,সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাজমুস সাকিব, জেলা উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আব্দুর রকিব, উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক  আব্দুল জব্বার সহ জেলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা দগ্ধ খাবারেও বিভিন্ন উদ্যোক্তা।

  • ধান বিক্রি করলেন প্রধানমন্ত্রী, পেলেন ৯৬ হাজার টাকা

    পৈতৃক জমির ধান বিক্রি করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তিন টন ধান ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে পেয়েছেন ৯৬ হাজার টাকা।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস।

    মঙ্গলবার (২৮ মে) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পুবের বিলে উৎপাদিত এ ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়।

    এতে প্রধানমন্ত্রীর ঠিকানা হিসেবে ধানমন্ডির সুধা সদন উল্লেখ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোটার হওয়ার সময় স্বামী মরহুম ড. ওয়াজেদ মিয়ার এ বাড়ির ঠিকানা দিয়েছেন। এর আগে গত বছর বোরো মৌসুমে খাদ্য গুদামে প্রথমবার পৈতৃক জমির ধান বিক্রি করেন প্রধানমন্ত্রী।

    খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় মোট ৯২৩ টন ধান কিনবে সরকার। তাই প্রাথমিকভাবে ৩০৮ কৃষককে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। তার মধ্যে নির্বাচিত কৃষক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তিন টন বোরো ধান বিক্রি করেছেন।

    টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পুবের বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৈতৃক জমি অনাবাদি হিসেবে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে গত মৌসুম থেকে সমবায়ভিত্তিতে বোরো আবাদ শুরু হয় ওই জমিতে। সেখানের চাষ দেখে প্রতিবেশীরাও পুবের বিলের অনাবাদি জমিতে চাষাবাদে আগ্রহী হন।

    গত মৌসুমে পৈতৃক ১৭ বিঘা জমি থেকে ১৫০ মন ধান পেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, এবার দ্বিতীয়বারের মতো ওই জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। সেখান থেকে তিন টন ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়।

    গত ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকার নির্ধারিত ন্যায্য মূল্যে কৃষকের ধান সংগ্রহ শুরু হয় উপজেলায়। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কেজিপ্রতি ৩২ টাকা ও প্রতি মণ ১২৮০ টাকা দরে ধান কিনবে খাদ্য গুদাম।

  • বিলুপ্ত প্রায় রক্ত চন্দন গাছ লাগিয়েছে বিডি ক্লিন সাতক্ষীরা 

    সাতক্ষীরায় রক্ত চন্দন গাছ লাগিয়েছে সেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন বিডি ক্লিন সাতক্ষীরা।
    বৃহস্পতিবার (৩০মে) দুপুরে সাতক্ষীরা সার্কেট হাউস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তিনটি রক্ত চন্দন গাছ লাগানো হয়।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও সহকারী কমিশনার মো. পলাশ আহমেদ, প্রণয় বিশ্বাসসহ বিডি ক্লিন বিভাগীয় সমন্বয়ক আল হেলাল মামুন, খুলনার উপ সমন্বয়ক মেহেদী হাসান, বিডি ক্লিন সাতক্ষীরার অর্পণ বসু, সালেহা জান্নাত, নাহিদ পারভেজ, সিয়াম হোসেন, আবু সাঈদ, আব্দুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, ওয়াছিউল ইসলাম, জামিলা উলফাতুন্নেসা, জেরিন আফরিন, আসমা মনি সহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
    বিডি ক্লিন বিভাগীয় সমন্বয়ক আল হেলাল মামুন বলেন, বিডি ক্লিন এর অষ্টম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুরো বাংলাদেশে ছয়শতাধিক রক্ত চন্দন গাছ রোপন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সাতক্ষীরা জেলায় তিনটি চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।
    খুলনার উপ সমন্বয়ক মেহেদী হাসান বলেন, ভেষজ গুণসম্পন্ন এই গাছটি পরিবেশ থেকে যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য আমরা সাতক্ষীরা জেলায় তিনটি গাছ রোপন করেছি। তিনি আরও বলেন, পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার থেকে এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৬ সালের তিন জুন প্রতিষ্ঠিত হয় বিডি ক্লিন। নিয়মিতই পরিছন্নতা ও সামাজিক কাজে সাক্ষ্য রাখছে বিডি ক্লিন।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, যেকোনো প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
  • আশাশুনির কামালকাটি-শালখালী ব্রীজের ছাদ ঢালাই উদ্বোধন

    আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কামালকাটি (শালখালী) ব্রীজের ছাদ ঢালাই কাজের উদ্বোধন কো হয়েছে। বুধবার কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
    সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তার পক্ষে ২৮ লক্ষ ৯২ হাজার ৯৫১ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে কামালকাটী (শালখলী) বাজার সংলগ্ন ব্রিজের ছাদের ঢালাই কাজের শুভ উদ্বোধন করেন এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিত মন্ডল। ব্রীজ নির্মান কাজ শেষ হলে গুরুত্বপূর্ণ ব্রীজ ব্যবহারের মাধ্যমে জন সাধারণের চলাচল এবং যানবাহন চলাচল ও মালামাল পরিবহনের ভোগান্তির অবসান ঘটবে।
  • আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি উপকারভোগিদের চাউল বিতরণ

    আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে ভিডব্লিউবি কর্মসূচির চাউল  বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ চাউল বিতরণ করা হয়।
    বাংলাদেশ সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত ও সাতক্ষীরা উন্নয়ন সংস্থা-সাস বাস্তবায়িত এ কর্মসূচীর আওতায় ইউনিয়নে ৩৭৮ জন দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে মোট ১১৩৪০ কেজি চাউল বিতরণ করা হয়। চাউল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের অফিস সহকারী আক্তার হোসেন
  • আশাশুনি সরকারি কলেজে পুরস্কার বিতরণ 

    আশাশুনি সরকারি কলেজে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কলেজ মিলনায়তে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
    কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে সাংস্কৃ‌তিক প্রতি‌যো‌গিতা-২০২৪ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপ‌তিত্ব ক‌রেন অধ‌্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল কালাম আজাদ। কলেজের শিক্ষকমন্ডলীর উপস্থিতিতে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
  • আশাশুনিতে আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম গঠন

    আশাশুনিতে আহলেহাদীছ আন্দোলনের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বুধহাটা কেন্দ্রীয় আহলে হাদীস জামে মসজিদে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামের কমিটি গঠন করা হয়।
    আন্দোলনের আশাশুনি উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আহলে হাদীছ আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি মাও: মো: আলতাফ হোসেন। সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনা রাখেন কলারোয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক হোসাইন মাহমুদ, ব্রাইট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ নাজমুস সাকিব, অধ্যাপক মোহাম্মদ আ: খালেক, অধ্যাপক শরীফুজ্জামান মুকুলসহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম বৃন্দ। সভায় প্রভাষক মোঃ আজমল হায়দার মিলনকে সভাপতি, মোঃ শাহিন হোসেনকে সহ সভাপতি, ডাঃ মোঃ কামরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক, এড. মোঃ জাকির হায়দার সুমনকে সাংগঠনিক সম্পাদক, মোঃ সিরাজুল ইসলামকে অর্থ সম্পাদক, ডাঃ মোঃ আবু হেনাকে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও শিক্ষক শরিফুজ্জামান প্রমুখকে সদস্য করে বাংলাদেশ আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম আশাশুনি উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।
  • কমরেড কমরেড নজরুল ইসলামের মৃত্যুতে জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির শোক

    বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড নজরুল ইসলাম দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর বুধবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে মারা যান। মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী এক পুত্র ও এক কন্যা সহ অসংখ্য শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৫৬ বছর।
    তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড মহিবুল্লাহ মোড়ল, সাধারণ সম্পাদক এড. ফাহিমুল হক কিসলু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সাবীর হোসেন, জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড ময়নুল হাসান, কমরেড আবেদুর রহমান, কমরেড স্বপন কুমার শীল, কমরেড অজিত কুমার রাজবংশী, জেলা কমিটির সদস্য নাসরীন খান লিপি, কমরেড রফিকুল ইসলাম, আব্দুল জলিল মোড়ল, কমরেড আব্দুর রউফ মাস্টার, কমরেড মফিজুল হক জাহাঙ্গীর, কমরেড নির্মল সরকার, কমরেড হিরন্ময় মন্ডল, কমরেড শিবপদ গাইন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • স্বাধীন রাষ্ট্র ফিলিস্তিন: স্বীকৃতি দিলো স্পেন-নরওয়ে

    আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে স্পেন ও নরওয়ে

    অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপের দুই দেশ স্পেন ও নরওয়ে। শিগগিরই ইউরোপের আরেক দেশ আয়ারল্যান্ডও একই পথে হাঁটবে বলে জানিয়েছে। যদিও স্পেন এবং নরওয়ের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইসরায়েল। তেল আবিব বলেছে, সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মাঝে স্পেন ও নরওয়ের এমন সিদ্ধান্ত হামাসের জন্য পুরস্কার।

    ইউরোপের তিন দেশ মনে করে, তাদের এই সিদ্ধান্তের শক্তিশালী প্রতীকী প্রভাব রয়েছে; যা অন্যান্যদের অনুসরণে উৎসাহ জোগাবে। মঙ্গলবার নরওয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসপেন বার্থ এইড এই পদক্ষেপকে ‌‌‘‘নরওয়ে-ফিলিস্তিন সম্পর্কের জন্য বিশেষ দিন’’ বলে অভিহিত করেছেন।

    তিনি বলেছেন, ‘‘৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সবচেয়ে উৎসাহী রক্ষকদের অন্যতম নরওয়ে।’’ নরওয়ের ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই স্পেনও ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। স্পেনের সরকারের মুখপাত্র পিলার অ্যালেগ্রিয়া নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যরা এটাকে ‘‘এক ঐতিহাসিক দিন’’ বলে অভিহিত করেছেন।

    এর আগে, স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, এই ধরনের স্বীকৃতি শান্তির জন্য অপরিহার্য। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তার দেশের এই পদক্ষেপ ‘‘কারও বিরুদ্ধে নয়, বরং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।’’ ইসরায়েলের পাশে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে বসবাস করার একমাত্র উপায় এই ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র।

  • ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষতচিহ্নের উপর দাঁড়িয়ে বাঁচার আকুতি উপকূলবাসীর

     ‘মিথ্যা আশ্বাস আর নয়; এবার টেকসই বাঁধ চাই, আর চাইনা ভাসতে;এবার দিন বাঁচতে, উপকূলের কান্না; শুনতে কি পান না’- এমন বিভিন্ন স্লোগান তুলে মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলের সহস্রাধিক তরুণ ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
    ঘূর্ণিঝড় রিমালসহ বিভিন্ন সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালী পয়েন্টে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের ওপর এ মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
    উপকূলবাসীর আয়োজনে মানববন্ধনটিতে স্থানীয় বাসিন্দা মাওঃ আব্দুল মাজেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- আবু তাহের, মোক্তার হোসেন, তরিকুল, স.ম ওসমান গনি সোহাগ,মাসুম বিল্লাহ, নিসাত, রায়হান প্রমূখ।
    এ সময় বক্তারা আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিয়েল নয় প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে কর্তা ব্যক্তিরা শুধু আশ্বাসের বুলি আওড়ান। শোনান নানা ধরনের মেগা প্রকল্পের গল্প। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের এই অঞ্চলে এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উপকূলের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধের বিকল্প নেই।
    তাঁরা বলেন, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে ব্যর্থ হলে সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন। আমরা বারবার নয়, একবারই মরতে চাই।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ষাটের দশকের বেড়িবাঁধ প্রায় অর্ধশত বছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। এ কারণে সামান্য ঝড় বা জলোচ্ছ্বাসের কথা শুনলেই আঁতকে ওঠে উপকূলের মানুষ। তারা ঝড়কে ভয় পায় না, উপকূলের মানুষ ভয় পায় বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হওয়াকে।
    উপকূলীয় এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে ২০০৯ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আইলায় এইএলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, কয়েক বছর সাগরের লোনাপানিতে বন্দী থাকতে হয় হাজার হাজার পরিবারকে। এ সময় টিকতে না পেরে শত শত মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে অন্য এলাকায় চলে গেছে।
    বক্তারা আরোও বলেন, আইলার সময়ই উপকূলীয় এলাকার ভঙ্গুর বাঁধ টেকসই করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু পার্শ্ববর্তী গাবুরায় মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকায় এক যুগেও তা আর হয়নি। এ কারণে সামান্য জোয়ারের পানিতে বাঁধ ভেঙে এই এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
    মানববন্ধনটিতে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, উপকূলের মানুষকে জিম্মি করে বাঁধ ভাঙার আশায় থাকেন এক শ্রেণির অসাধু জনপ্রতিনিধি ও ঠিকাদারেরা। বাঁধ মেরামতের নামে তাঁরা লাখ লাখ টাকা লোপাট করেন। তাই উপকূলীয় এলাকার মানুষকে বাঁচাতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।
  • রাত পোহালেই সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

    কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছালো নির্বাচনী সরঞ্জমাদি, সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন

    রাত পোহালেই সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ও কলারোয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জমাদী। মঙ্গলবার সকাল থেকে এ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
    জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসার মোঃ আতিকুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৪০ টি কেন্দ্রে ও কলারোয় উপজেলায় ৭৮ টি কেন্দ্রে এই ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহন চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সদর উপজেলায় ৫ জন ও কলারোয়া উপজেলায় ৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এছাড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামস ইশতিয়াক শোভন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কহিনুর ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কলারো উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
    নির্বাচন অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিটি কেন্দ্রে একজন এস.আইয়ের নেতৃত্বে ২ জন পুলিশ সদস্য ও দুজন সশস্ত্রসহ ১৫ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরে ১৫ জন ও কলারোয়া উপজেলায় ১৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বরত থাকবেন। এছাড়া সংরক্ষিত থাকবেন ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ও ২ প্লাটুন র‌্যাব সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।
    উল্লেখ্য ঃ সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় মোট ৪ লাখ ৬ হাজার ১৬৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২ হাজার ৪৪৭ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ২লাখ ৩ হাজার ৭১৩ জন এবং হিজড়া ৩ জন। এছাড়া কলারোয়া উপজেলায় ২ লাখ ১২ হাজার ৪২৭ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ৮৪৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬ হাজার ৫৮২ জন এবং হিজড়া এক জন।

  • ঘূর্নিঝড় রেমালের প্রভাব: সাতক্ষীরার ১৪৬৮ টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত, ৮০৬ হেক্টর জমির ফসল ও মাছের ক্ষতি, প্রায় ২লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

    ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল তান্ডব থেকে এবারও উপকূল রক্ষায় ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে সাতক্ষীরাকে বাঁচালো সুন্দরবন। বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেলেও আতঙ্ক কাটেনি উপকূলীয় জনপদের মানুষের মধ্যে। তবে, রেমালের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ উপচে উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। জেলায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে এক হাজার ৪৬৮ টি কাঁচা ঘরবাড়ি। এর মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১১৯২টি ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২৭৬টি ঘরবাড়ি। এছাড়া জেলায় ৬০৬ হেক্টর জমির ফসলের ও ২০০ হেক্টর জমির মাছের ক্ষতি হয়েছে।

    ঝড়ে কম বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় দুইলাখ ২১ হাজার ১৭৬ জন মানুষ। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে জেলে পল্লীর শতাধিক পরিবার। একই সাথে শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলাতে অসংখ্য গাছপালার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
    এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে নদ-নদীগুলোতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পায়। স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৭ ফুট বেশি উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি বিভাগের আওতাধীন ৬৮০ কিলোমিটার বেঁড়িবাধ রয়েছে। যা ষাটের দশকে নির্মিত। এর মধ্যে উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির ১০টি পয়েন্টে ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে উক্ত দুই উপজেলায় দুই কিলোমিটার বেড়িবাধ অতিঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব ঝুকিপূর্ণ বেঁড়িবাধের কয়েকটি পয়েন্টের উপচে পড়া পানিতে ভেসে গেছে ২০০ হেক্টর জমির মৎস্য ঘের ও ৬০৬ হেক্টর ফসলি জমি। এছাড়া কয়েক’শ পরিবার পানি বন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তবে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ঝুকিপূর্ণ বেঁড়িবাঁধ গুলোতে জিও ব্যাগ ও বালি দিয়ে উপচে পড়া পানির প্রবাহ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছেন। তবে ঘুর্ণিঝড় আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, ২৬ ও ২৭ মে তাদের কাছে সামান্য শুকনো খাবার পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
    জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন কক্ষের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সৃষ্ট ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরার ৪৩ টি ইউনিয়নে কম বেশি ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ১১৯২টি ঘরবাড়ি ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২৭৬টি ঘরবাড়ি। এছাড়া ৬০৬ হেক্টর ফসলি জমির ও ২০০ হেক্টর জমির মাছের ক্ষতি হয়েছে।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব টানা দুই দিন ধরে চলেছে। বিভিন্ন উপজেলায় মানুষের জানমালসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রন কক্ষ থেকে ক্ষয় ক্ষতির একটি সম্ভাব্য তালিকা দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ক্ষতির তালিকা নিরুপণ করে সহযোগিতা করা হবে।

  • আশাশুনিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর তাণ্ডবে নদী ভাঙনের হাত থেকে আশাশুনি উপজেলা বাসী রক্ষা পেলেও প্রচণ্ড ঝড়ে উড়ে গেছে উপজেলায় ২৫৩ টি পরিবারের বসতঘর। ২৪ টি স্কুল, মাদ্রাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে গেছে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষতি হয়েছে বেশি। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ঝড়ের তাণ্ডবে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙেছে ১১টি, বেঁকে গেছে ২৭টি, তার ছিঁড়ে গেছে ৮১ টি স্পটে, ক্রস ওয়ান ভেঙেছে ১৫টি, ট্রান্সফার্মা নষ্ট হয়েছে ১৩টি ও ভেঙে পড়েছে ২০৩ টি মিটার। আশাশুনি পল্লী বিদ্যুতের এজিএম লিটন মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় প্রত্যেক অঞ্চলে লাইন চালু করতে ঠিকাদার ও অফিসের প্রায় শতাধিক শ্রমিক রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে। তবে এর পরেও আরও দুই দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
    এই প্রথম ১০ নম্বর সতর্কতা সংকেত এর প্রভাবে উপজেলার কোন নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার সুমন আলীর দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর জলোচ্ছ্বাসের তাণ্ডবে উপজেলার প্রায় ২০ কি.মি. বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
    উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন বর্মন জানান, ঝড়ে কালকি, খাজরা সহ বিভিন্ন স্থানে মোট ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল উড়ে গেছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান জানান, ঝড়ে ৯ টি মাদ্রাসা ও ৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয়এর টিনের চাল উড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
    প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সোহাগ খান জানান, ঝড়ে ৪০টি কাঁচা ঘর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে ও ২১৩ টি ঘরের আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
    মঙ্গলবার সকালে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। তিনি আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট বেড়িবাঁধ, শ্রীকলস, তুয়ারডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প, প্রতাপনগরের চাকলা বেড়িবাঁধ সহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। চাকলায় ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২৭ টন চাল ও  ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
    পৃথকভাবে পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রনি আলম নূর, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনর্চাজ বিশ্বজিৎ কুমার, এসডিই রাশিদুল ইসলাম, আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান হোসেনুজ্জামান হোসেন, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রহুল কুদ্দুস, প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান হাজ্বী আবু দাউদ, পিআইও মোঃ সোহাগ খান, এসও মমিনুল হক প্রমুখ।
  • ঘুর্ণিঝড় রিমেলে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহায়তা চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির বিবৃতি

    ঘুর্ণিঝড় রিমেল সাতক্ষীরা উপকুল বিদ্ধস্ত করেছে। প্রায় ১০ঘন্টা ব্যপী তান্ডবে সাতক্ষীরার জেলার উপকুলেন প্রায় দুইলক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, আংশিক ও সম্পুর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে ১৫০০ ঘর-বাড়ী, তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও কৃষিজমি মৌসুম ফসল ও আমচাষী। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলার সকল মানুষ। প্রানহানি হয়েছে ১ জনের ও মারা গেছে সুন্দরবনের অসংখ্য হরিণ সহ নিরিহ প্রানী, অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে জীব বৈচিত্র ও সুন্দরবনের- যার অর্থনৈতিক ক্ষতি পরিমাপ করা যায় না।
    ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের তালিকা সম্পন্ন করা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি পর্য়ায়ে বিডিন্ন ত্রান সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে অপ্রতুল এবং শ্যাম নগর, আশাশুনি এলাকায় অনেক অংশে উৃপকুলীয় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যা অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার কারা আশু প্রয়োজন। আমরা মনেকরি যথোপযুক্ত সরকারি বেসরকারি উদ্যোগের ফলে এই ক্ষতিগ্রস্থতা স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারবেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য সহ সকলের সহায়তা কামনা করছি।
    এতদসত্বেও ঘুর্ণিঝড় রিমেল কে মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, আবহওয়া অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, ইউডিএমসির সদস্য, বিভিন্ন স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সর্বপরি জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম ও বিভিন প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ যেভাবে ঘুর্ণিঝড় সম্পর্কে আগাম তথ্য প্রদান করে সতর্ক করেছেন ও ঘুর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে সহায়তার হাত বড়িয়ে দিয়েছেন যার ফলে জেলায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে,তার জন্য জেলা নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সাধুবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন জেলা নাগরিক কমিটির আহবায়ক এড, আজাদ হোসেন বেলাল, সদস্য সচিব এড. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষাবিদ্ আব্দুল হামিদ, প্র্ক্তান অধ্যক্ষ বীর মুক্তি যোদ্ধা আঃ ওয়াহেদ স্যার,অন্যতম সদস্য মানবাধিকার কর্মি স্বদেশ সংস্থার নির্বাহি পরিচালক মধাব চন্দ্র দত্ত, সুশিলনের সহকারি পরিচালক জিএম মনিরুজ্জামান মনির, উত্তরনের লিগ্যাল এউড সমন্বয়কারি এড. মনির উদ্দীন, জেলা নাগরিক কমিটি যুগ্ম সদস্য সচিব আরী নুরখান বাবুল, বাসদ সমন্বয়কারি নিত্যানন্দ সরকার, জেলা জাসদেও সভাপতি মোঃ ওবায়দেস সুলতান বাবলু, জাসদেও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠিনিক সম্পাদক প্রফেরসর ইদ্রীস আলী, উদীচির জেলা সভাপতি সিদ্দীকুর রহমান, সাধারন সম্পাদক সুরেশ পান্ডে, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারন সম্পাদক জ্যোৎ¯œা দত্ত, সাবেক কাউন্সিলর ফরিদা আকতার বিউটি প্রমুখ।