Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
dakshinermashal, Author at Daily Dakshinermashal - Page 12 of 398

Author: dakshinermashal

  • আখড়াখোলা বাজারে অল্প বৃষ্টিতেই কাদাযুক্ত নোংড়া পানি

    আখড়াখোলা বাজারে অল্প বৃষ্টিতেই কাদাযুক্ত নোংড়া পানি

     চরম ভোগান্তিতে জনগন,৫ বছরেও হয়নি প্রতিকার

    নিজস্ব  প্রতিনিধি:
    সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আখড়াখোলা বাজার  সড়কে অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন দোকানদার পথচারীসহ যানবাহনের চালকরা। প্রায় হাঁটু পর্যন্ত কাদাযুক্ত পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে   প্রতিদিন হাজার হাজার জনগণ  ও যানবাহনকে।
    বাজারে আশা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় , সামান্য বৃষ্টি হলেই পাকা সড়কে পানি জমে। সেই পানি দু-এক দিনের মধ্যে নামে না। বর্ষা মৌসুম এলেই এ দুর্ভোগের পড়েন বাজারের দোকানদার ও বাজারে করতে আশা লোকজন এবং যানবাহনের চালকরা।
    ২১ জুন শুক্রবার বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আখড়াখোলা বাজারের তুলসী ফার্মেসির সামনে তিন রাস্তার (মোড়) ও মুকুন্দপুর মোড়ে কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। কাদাযুক্ত বৃষ্টির পানি মাড়িয়ে লোকজন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চলাচল করছেন। পানির মধ্য দিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় নোংরা পানি ছিটে লোকজনের শরীরে যাচ্ছে। সড়কের দুই পাশে স্থাপনা থাকায় পানিনিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই।
    তিন রাস্তার মোড়ের টেইলার্স দোকানদার মহব্বত আলি বলেন, ৫/৬ বছর ধরে আখরাখোলা বাজারের প্রায় জায়গায় অল্প বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে বিশেষ করে তুলসি ফার্মেসির সামনে তিনরাস্তার (মোড়) ও মুকুন্দপুর মোড়ে একটু বৃষ্টি হলেই এ জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে। এক দিনের মধ্যে পানি আর কাদায় একাকার হয়ে যায়। পানি জমে থাকায় এ জায়গায় সড়কটি বারবার খানাখন্দ হয়। পানি জমে থাকার কারণে এ জায়গায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ জায়গার পানি নেমে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলেই আর পানি জমত না।মুহিদুল ইসলাম,মহব্বত আলি, সৌরভ হোসেন সহ প্রতিনিয়ত বাজরে আশা স্থানীয়রা একই সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
  • সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর গ্রুপ গঠিত

    র্সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : অদ্য ১১ জুন ২০২৪ তারিখ, মঙ্গলবার বিকাল ০৩.৩০মিনিটে ম্যানগ্রোভ সভাঘরে, সাতক্ষীরা  সদর উপজেলায় পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)’র আয়োজনে ও দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, বাংলাদেশ এর সহযোগিতায়  সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইয়ুথ পিস এ্যাম্বাসেডর গ্রুপ গঠন বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
     অধ্যক্ষ পবিত্র মোহন দাস এর সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন জাসদ এর জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও পিস এ্যাম্বাসেডর অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী্। সভায় ওয়াই.পি.এ.জি এর গঠনতন্ত্র ও ওয়াই.পি.এ.জি’র দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে আলোচনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ,বাংলাদেশ এর এলাকা সমন্বয়কারী এস.এম. রাজু জবেদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন পিএফজি সাতক্ষীরা জেলা মহিলা দল এর সভানেত্রী এবং পিএফজি এম্বাসেডর ফরিদা আক্তার বিউটি, সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পিএফজি এম্বাসেডর কাজী আকতার হোসেন, সাংবাদিক এবং পিএফজি এম্বাসেডর  মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল । সার্বিক তত্ত্বাবধানে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট, বাংলাদেশ এর  ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো: রেজবিউল কবির এবং  ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর মো: আবু তাহের।  ইয়ুথ পিস এম্বাসেডর  (ওয়াই পি এ জি)  গঠন বিষয়ক সভায়  ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের ২০ জন ছাত্র/ছাত্রী উপস্থিত ছিল।  শান্তি স্থাপন ও সহিংসতা নিরোসনে অঙ্গিকারবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য মত প্রকাশ করেন ও শপথ গ্রহণ করেন। এছাড়া রাজনৈতিক, ধর্মিয় ও জাতিগত সহিংসতা নিরোসনে দল মত নির্বিশেষে ওয়াই পি এ জি কমিটির মাধ্যমে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সকল জনগণকে সাথে নিয়ে আগামিতে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। এরপর সভার সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) কাজী সাদিকুজ্জামান দ্বীপ এবং শিখা দাশকে যুগ্ম সমন্বয়কারী  ও নির্মল গাইনকে সমন্বয়কারী করে ২০ সদস্য বিশিষ্ট ওয়াই.পি.এ.জি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়।
  • সাতক্ষীরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা

    সাতক্ষীরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা

    সাতক্ষীরার দুটি উপজেলার ২৫০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবী ও দলিল হস্তান্তর

    সারাদেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় পঞ্চম পর্যায়ের ২৫০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবী ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে ওই ঘরের চাবী ও দলিল হস্তান্তর করেন। আর এই চাবী ও দলিল হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
    সাতক্ষীরা প্রান্তের সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সদর উপজেলার ১১০ টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের হাতে ঘরের চাবী ও দলিল তুলে দেন। এসময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমাদ, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিশ সরকার প্রমুখ। এছাড়া, আশাশুনি উপজেলার বাকী ১৪০ টি পরিবারের মাঝে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট একক গৃহের চাবী ও দলিল হস্তান্তর করা হয়। এর আগে জেলার বাকি উপজেলাগুলোকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।
    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এসময় জানান, ১ম থেকে ৪র্থ পর্যায়ে সাতক্ষীরা জেলায় ৩ হাজার ২২৭ টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়া পঞ্চম পর্যায়ে আজ ১১ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার ২৫০টিসহ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সারাদেশের ১৮৮ টি উপজেলায় ১৮ হাজার ৫৬৬ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারে মাঝে ঘরের চাবী ওদলিল হস্তান্তর করেন।

  • নীরবে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে এম আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

    নীরবে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে এম আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল

    আব্দুর রহমান: প্রত্যন্ত অঞ্চলে নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও সাতক্ষীরায় নীরবে গড়ে উঠেছে ভালো কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত এ জেলায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানরা এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করে দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করছে। সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে খুব একটা প্রচার হয় না। সেরকম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবকাটি গ্রামে। শহরের অদূরে মনোরম পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। অভিজ্ঞ শিক্ষকম-লী দ্বারা পরিচালিত আন্তর্জাতিক মানের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম এম আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। আমেরিকা প্রবাসী, বিশিষ্ট সমাজসেবক রোটারিয়ান মো. শফিকুজ্জামান নিজস্ব ভবনে গড়ে তুলেছেন এই স্কুলটি। গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিক মানে রুপ দিতে ২০২২ সালে মো. শফিকুজ্জামান এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে স্থায়ীভাবে থাকার পরও নিজের গ্রামের মানুষের শিক্ষার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছেন। স্কুলটির বিশেষত্ব হচ্ছে এটি অনাবাসিক ও আবাসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বলে রাখা ভালো, এই স্কুলে স্থানীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া মিলছে, আবাসিক শিক্ষার্থীরা যে শুধু জেলার বাইরে দূর থেকে আসে তা নয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর ওই গ্রাম বা আশপাশের এলাকায় বাড়ি। কিন্তু তারাও আবাসিক হলরুমে থাকে। এর কারণ হচ্ছে- শিক্ষার্থীরা সার্বক্ষণিক শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে থাকে। যেখানে তাদের নিয়ম করে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা ও বিনোদনের ব্যবস্থাও আছে। স্থানীয় মানুষের কাছেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রতি আছে বিশেষ ধরনের ভালোবাসা। জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুযায়ী বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে এই স্কুলের পড়ালেখা করানো হয় এবং সকল ক্লাসরুম মনিটরিংয়ের জন্য রয়েছে সিসি ক্যামেরা ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। প্রবাসী পরিবারের সন্তানদের জন্য রয়েছে বিশেষ স্কলারশিপ। ফলে, প্রবাসী পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়ার আদর্শ স্কুল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। যেখানে স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করে থাকেন। সাতক্ষীরা জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলটি সত্যিকার অর্থেই জ্ঞানের আলো বিতরণ ও অত্র অঞ্চলে শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী ভূমিকা রাখছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ জানান, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও অভিভাবকদের সচেতনতার কারণেই শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারছে। জবাবদিহিতা ও সচেতনতা বাড়াতে অভিভাবক সমাবেশের পাশাপাশি জ্ঞান অর্জনের জন্য শিক্ষা সফর, ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসবের সিংহভাগই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ শফিকুজ্জামানের নিজস্ব অর্থায়ণে আয়োজন করা হয় বলেও জানান তিনি।
    স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম খলীল বলেন বলেন, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি গর্বিত। আমি নিজেও কাজের ফাঁকে এসব শিশুদের পাঠদান দিতে পেরে বেশ ভাল লাগে। পাঠদানের পাশাপাশি তাদের সাথে মজার মজার গল্প করা হয়। আবার সবার সাথে খেলাধূলা করা হয়। এতে করে কাজের পর আমার অবসর সময়টুকু ভাল কাটে।
    এম আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী, বিশিষ্ট সমাজসেবক রোটারিয়ান মোঃ শফিকুজ্জামান বলেন, আধুনিক ও সময়োপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত মানবসম্পদ তৈরি করতে এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সার্বক্ষণিক তদারকির ফলে নীরবে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে এম আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। পড়াশুনার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য সম্প্রতি অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে।
    প্রাইড ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ও খবর সাতঘরিয়া পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান বলেন, এম.আর ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রাইড ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আমেরিকা প্রবাসী মো. শফিকুজ্জামানের আন্তরিক প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে তার সফল পেতে শুরু করেছে জেলাবাসী। আগামী দিনে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম আরো সম্মৃদ্ধ হবে এই প্রত্যাশা করছি।

  • সাতক্ষীরায় নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার

    সাতক্ষীরায় নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার

    ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার (১১ জুন) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এই সেমিনারের আয়োজন করে।
    সেমিনারে বল্লী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ মহিতুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোস্তফা জামান।
    জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা আব্দুল মজিদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেএম মিজানুর রহমান, ব্র্যাকের জেলা কো-অর্ডিনেটর হুমায়ুন রশিদ, রাইটস যশোরের ডেস্ক অফিসার আইসার আলী, ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম, বল্লী কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম ইউনুস আল আনসারী, ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কামরুল ইসলাম, পুরোহিত প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
    বক্তারা নিরাপদ অভিবাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দালালের খপ্পরে পড়ে আমাদের দেশের মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছে। বিদেশে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভিসাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে গেলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এজন্য সরকার নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে মানুষ দালালের খপ্পড়ে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমাদের ইমাম, পুরোহিত, শিক্ষকসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন।

  • বিভিন্ন দাবিতে সাতক্ষীরায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    বিভিন্ন দাবিতে সাতক্ষীরায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত

    • জীবাশ্ম জ্বলানি আসক্তি থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।
    • এলএনজি নয় নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য কাজ করো।
    • জ্বীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারই হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ এখান ‡_‡K সরে যাও

    জি৭ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৪ এর প্রাক্কালে, সাতক্ষীরা শহরের সচেতন নাগরিক সমাজ জি৭ ভুক্ত দেশগুলোর চলমান জীবাশ্ম জ্বালানির বিনিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতীকী বিক্ষোভ সমাবেশ এর আয়োজন করে।  স্বদেশ, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (CLEAN) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED) এর যৌথ উদ্যোগে সংগঠিত এই বিক্ষোভে জীবাশ্ম জ্বালানির অর্থায়ন অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয় ।

    জি৭ হলো সাতটি দেশের একটি দল, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান এবং ইতালি। আগামী ১৩ থেকে ১৫ জুন ২০২৪ ইতালিতে ৫০তম জি৭ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও, জি৭ দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে এখনও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে, যা জলবায়ু সংকট এবং বিশ্বব্যাপী ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠির ওপর এর প্রভাবকে বাড়িয়ে তুলছে।সাতক্ষীরায় আয়োজিত এ প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জবাবদিহিতা চেয়ে এবং দ্রুত সংশোধনের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর কাছে তুলে ধরা হয়।

    সমাবেশ বক্তারা উল্লেখ করেছেন যে, জাপান জি৭ দেশগুলির মধ্যে একটি, যা বাংলাদেশকে ভুয়া প্রযুক্তি দিয়ে জ্বালানি সংকট সমাধানের প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কার্বন সংরক্ষণ প্রযুক্তি, কয়লার সাথে অ্যামোনিয়া ও জীবাশ্ম গ্যাসের সাথে হাইড্রোজেন যুক্ত করে ব্যবহারের মতন ব্যয় বহুল ও পরিবেশের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রস্তাবনা।”

    স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত আরও বলেন যে, খুলনায় রূপসা ৮০০ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্টেও জাপানি বিনিয়োগ রয়েছে” জলবায়ু কর্মীরা আরও দাবি করেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সেলারেট এনার্জি কক্সবাজারের মহেশখালীতে, একটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করবে, যা এলএনজি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি দেবে। যা জ্বালানি রূপান্তরকে বিলম্বিত করবে। এই বিক্ষোভটি বিশ্বজুড়ে জি৭ ভুক্ত দেশগুলোর জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রচারাভিযানের অংশ। বিক্ষোভকারীরা বিশ্বব্যাপী জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের জন্য সমস্ত আর্থিক সহায়তা অবিলম্বে বন্ধ করে “জলবায়ু অপরাধ” বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। জীবাশ্ম জ্বলানি আসক্তি থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের ভবিষ্যৎ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত কর।

    জ্বীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারই হলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ এখান সরে যাও। তারা টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর নিশ্চিত করে এমন নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে তহবিল প্রদান করার জন্যও অনুরোধ করেছেন।

    প্রচারণাকারীদের মধ্যে জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আলনিুর খান বাবুল, ভুমিহিন নেতা কাওসার আলী, আব্দুস সামাদ, নাগরিক নেতা মফিজুল ইসলাম, মহিলা পরিষদের জ্যোৎস্না দত্ত, সাধারন নাগরিক সৈয়দ আজিজুল বারি, কলেজ ছাত্র শুসঙ্কর দাশ, সুজত দেবনাথ, সামিয়া সুলতানা, সাংবাদিক রাহাত রাজা,, জয় সরদার,  েদবজ্যোতি ঘোষ প্রমুখ।এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের জোন পর্যায়ের ফাইনাল খেলা

    সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের জোন পর্যায়ের ফাইনাল খেলা

    ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ২টি দল নিয়ে জোন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল-২০২৪ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুল ফুটবল মাঠে ব্রহ্মরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন সুলতানা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন এবং বক্তব্য রাখেন স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ সাতক্ষীরা পৌর শাখার সভাপতি মো. মমিনুর রহমান মুকুল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,“‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সহধর্মীনি বেগম ফজিলাতুনন্নেসা মুজিবের স্মৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং আজকের শিশুদের বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান, স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে অবহিত করণের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে থেকে এ টুর্নামেন্ট দুইটি আয়োজন করে চলেছে।’ বঙ্গবন্ধু একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সফলতা ও প্রেরণার উৎস যুগিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।”
    জোন পর্যায়ের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে টাইবেকারে ৩-২ গোলে পরাজিত করে রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জোন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল-২০২৪ এর ফাইনাল খেলায় জাহানাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে টাইবেকারে ২-১ গোলে পরাজিত করে জোন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্মার্ট বিদ্যালয় ডি.বি ইউনাইটেড হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক কঙ্কন কুমার দাস, কুলতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির রানা, জাহানাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আছাদুল ইসলাম, রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা খাতুন, জোড়দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্যাম সুন্দর দাস, ধুলিহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক কবিরুল ইসলাম, রামচন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম প্রমুখ। জোন পর্যায়ের ফাইনালে অংশ নেয় ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়ন, ধুলিহর ইউনিয়ন ও ফিংড়ি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মিশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্রহ্মরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আবুল খায়ের।

  • বাঘ সংরক্ষণে সুন্দরবনে কেল্লা ও মিষ্টি পানির উৎস বাড়ানো হবে

    বাঘ সংরক্ষণে সুন্দরবনে কেল্লা ও মিষ্টি পানির উৎস বাড়ানো হবে

    বাঘ সংরক্ষণে সুন্দরবনে কেল্লা ও মিষ্টি পানির উৎস বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন।
    মঙ্গলবার (১১ জুন) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার শ‍্যামনগর উপজেলা পরিষদ হল রুমে বাঘ সংরক্ষণে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগ সাতক্ষীরা রেঞ্জ আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
    তিনি আরো বলেন, বনের ভিতরে পশুপাখিদের আশ্রয়ের জন্য বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় কেল্লার সংখ্যা বাড়ানো হবে। মিষ্টি পানির উৎসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। চোরা শিকারিদের নির্মূল করতে সকল ধরণের পদক্ষপ গ্রহণ করা হবে।
    ‌‌সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওকায় ‘বাঘ আমাদের অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এম কে এম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ‍্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ-উজ-জামান সাঈদ, শ্যামনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আয়ুব ডলি, মুন্সীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম মৃধা, রমজানগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন, কৈখালি ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান, বুড়িগোয়ালীনি প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা, নীলডুমুর বিজিবির সুবেদার সুবেদার আরজুল, কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার রফিক উদ্দিন, বনবিভাগের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন কর্মকর্তা এবিএম হাবিবুল ইসলাম, কদমতলা স্টেশন কর্মকর্তা আসাদুসজ্জামান, সুন্দরবন সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাহমুদা বেগম প্রমুখ।
  • শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন  

    শ্যামনগরে স্কুল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়ে সেচ্ছাসেবী দল গঠন  

    শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জে বে-সরকারি সংস্থা খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) ১১ জুন মঙ্গলবার সকাল এগারটায়  আড়পাঙ্গাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি স্কুল দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটি এবং ২১ সদস্য বিশিষ্ট ছাত্র ছাত্রীদের সমন্বয়য়ে একটি সেচ্ছাসেবক দল গঠন করা হয়।

    খ্রীষ্টিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি), ডিজাস্টার রেজিলয়েন্ট  এডুকেশন এন্ড কমিউনিটিজ প্রকল্পের এর সহযোগিতায় এবং দাতা সংস্থা গ্লোবাল মিনিস্ট্রিজ এর অর্থায়নে সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন আড়পাঙ্গাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি অসিম কুমার জোয়ারদার, উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমিত্র জোয়ারদার এবং অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এস এম মনোয়ার হোসেন, মনিটরিং এন্ড ইভালুয়েশন ম্যানেজার(স্টেপ এন্ড বিল্ডিইন প্রকল্প) মোঃ রোবায়েদ করিম, ফিল্ড সুপারভাইজার এবং ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অফিসার আবুল হাশেম মিয়া, ও অন্যান্য মাঠ সংগঠক প্রমূখ।

    সভাপতি বলেন, “সিসিডিবি কোন নতুন নাম নয়, দীর্ঘদিন যাবত এই অঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকিপুর্ণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আজকের এই স্কুল ভিত্তিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য যে কমিটি গঠন করা হল তা ভবিষ্যতে দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি এই উদ্যোগের সাথে আছি এবং শুভকামনা জানাচ্ছি”

    ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে গঠিত সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা তাদের নিজ দায়িক্ত সতস্ফুর্তভাবে গ্রহন করেন এবং তা পালন করবে বলে অঙ্গিকার করেন।

  • সাতক্ষীরার নবাগত সিভিল সার্জনের সাথে ওনার্স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়

    সাতক্ষীরার নবাগত সিভিল সার্জনের সাথে ওনার্স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময়

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার নবাগত সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুস সালাম’র সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক (ওনার্স) এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক (ওনার্স) এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলার সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরায় সদ্য যোগদানকৃত সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুস সালাম। এসময় নবাগত সিভিল সার্জন তার বক্তব্যে বলেন, “জেলার সকল ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদন নিয়ে তাদের সেবা পরিচালনা করবে। কোন অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালাতে দেওয়া হবেনা। সবাইকে সরকারি নির্দেশনা মেনে ক্লিনিক ও হাসপাতাল চালাতে হবে। তিনি আরো বলেন, আপনারা সেবার মনমানুষিকতা নিয়ে কাজ করবেন। আপনারা সিজারিয়ান অপারেশন কম করাবেন এবং নরমাল ডেলিভারী বেশি করাবেন। খুব শীঘ্রই অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার, মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমত জাহান সুমনা, বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক (ওনার্স) এসোসিয়েশনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি আ.ম আখতারুজ্জামান মুকুল, পুলক কুমার পাল, কে এম মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান রাসেল, যুগ্ন সম্পাদক মো. আবুল খায়ের, কোষাধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, দপ্তর সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমান শাহিন, প্রচার সম্পাদক সি এম নাজমুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, সদস্য ডা. তনয় কৃষ্ণ পাল, মো. ফজলুর রহমান, তপন কুমার বিশ^াস, মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, মো. আকবর হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আব্দুস সালাম, মো. রেজাউল্ল্যাহ, মো. গোলাম রব্বানী, সুতপা রাহা টুম্পা প্রমুখ। এসময় বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আইডিইবি সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

    আইডিইবি সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

    নিজস্ব প্রতিনিধি : কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) কোর্সের সমমান মর্যাদা প্রদানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ অবিলম্বে বাস্তবায়ন, জাতীয় মেধার অপচয় রোধে প্রশাসন ক্যাডারে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের প্রবেশ রোধ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পেশাগত সমস্যাদি সমাধানের দাবিতে প্রতিবাদ সভা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রকৌশলীদের জাতীয় প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ। সোমবার (১০ জুন) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আইডিইবি’র জেলা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম এম এ জায়েদ বিন গফুর’র সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ও শিক্ষা মন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি প্রকৌ. আবেদুর রহমান ও প্রকৌ. কামরুল আকতার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রকৌ. গোলাম মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌ. কামরুজ্জামান শিমুল, কাউন্সিলর প্রকৌ. অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রকৌ. অনিমেষ দেব নাথ, প্রকৌ. ইন্সট্যাক্টর আব্দুল আলিম, প্রকৌ. রবিউল ইসলাম, প্রকৌ. ফারুক আহমেদ এবং সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর বাকাছাপ এর নেতৃবৃন্দ ।
    বাংলাদেশ (আইডিইবি) সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী কমিটি স্মারকলিপিতে উল্ল্যেখ করেছেন যে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিগত ও বৈশ্বিক কর্মবাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে শিক্ষার মূলস্রােতধারায় নিয়ে এসে এই শিক্ষায় ভর্তির হার ২০৩০ সালে ৩০% ও ২০৪০ সালের মধ্যে ৫০-৬০% এ উন্নীতকরণের পরিকল্পনা নিয়েছে। সরকারের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আপনার নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধকরণে বহুমাত্রিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় আপনার নির্দেশে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ১৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) কোর্সের সমমানের মর্যাদা প্রদান করার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেয়ার জন্য ১০ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করায় আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই যুগোপযোগী সিদ্ধান্তের পর ডিগ্রি প্রকৌশলী ও তাদের সংগঠনের পক্ষে বিরূপ প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তকে তারা উদ্ভট ও মুর্খদের কাজ বলেও মন্তব্য করেছে। যা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত ও দেশপ্রেমবিবর্জিত মন্তব্য বলে আমরা মনে করি। তাদের এই ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
    স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের যে অগ্রগতি ও জীবনমানে পরিবর্তন হয়েছে, সেখানে কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের অবদান সর্বজনস্বীকৃত। এই কারিগরি শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রকৌশল কর্মক্ষেত্রে ডেস্ক ও ফিল্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ কাজ করে থাকেন। যেখানে ডিজাইন, প্ল্যানিং, গবেষণায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিএসসি ইঞ্জিনিয়াররা ডেস্কে এবং এক্সিকিউশন, সুপারভিশন, অপারেশন, পরিচালক ও মেইনটেন্যান্স কাজে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ করে যাচ্ছেন। দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কর্মকান্ডের ৮৫% কাজ এদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ করে থাকেন। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন। আপনি সদয় অবগত আছেন যে, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারগণ উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মাধ্যমিক উত্তীর্ণের পর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করেন। এক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার একাডেমিক পার্থক্য মাত্র উচ্চ মাধ্যমিকের ২ বছর। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং উভয় শিক্ষাকে উচ্চ শিক্ষাভুক্ত বা টারশিয়ারী শিক্ষা হিসেবে গণ্য করেছেন। বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উভয়েই ইঞ্জিনিয়ার, যা রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা পাওয়ার যোগ্যতা যৌক্তিকভাবেই রাখেন। কেননা, বিএসসি (পাস) কোর্সের গণিত, পদার্থ ও রসায়ন বিষয়গুলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা কোর্সে বিদ্যমান এবং অন্যান্য বিষয়গুলোর সাথে ইন্টার লিংক রয়েছে। এছাড়া বিএসসি (পাস) কোর্সের মোট কন্ট্রাক্ট আওয়ার ও মোট ক্রেডিট আওয়ার-এর তুলনায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের মোট ক্রেডিট ও মোট কন্ট্রাক্ট আওয়ার বেশী।
    বাংলাদেশে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি এসএসসি পাস শিক্ষার্থীদের জন্য ৪বছর অর্থাৎ ৮ সেমিস্টার, এইচএসসি (বিজ্ঞান) শিক্ষার্থীদের জন্য ৩ বছর বা ৬ সেমিস্টার এবং এইচএসসি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য ২ বছর ৬ মাস বা ৫ সেমিস্টার। এই প্রোগ্রামে ন্যূনতম স্কুলিং ১৪ বছর। এইচএসসি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীদের স্কুলিং ১৪ বছর ৬ মাস এবং এইচএসসি (বিজ্ঞান) শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ বছর। আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে ডিগ্রি প্রোগ্রামের ইয়ার অব স্কুলিং সর্বনিম্ন ১৪ বছর (ফাস্ট ট্রাক ডিগ্রি)। পৃথিবীর অনেক দেশেই ডিগ্রি অর্জনের জন্য ১৪ বছর স্কুলিং বিদ্যমান। তাই সকল দিক বিবেচনায় বিশেষ করে একাডেমিক বিষয় বিবেচনায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) কোর্সের সমমান মর্যাদা প্রদানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ সময়োপযোগী বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাসের পর কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই বলে দেশের শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ মনে করে। প্রসঙ্গত, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ¯œাতক ডিগ্রি ১৪ বছর ইয়ার অব স্কুলিং এর পর প্রদান করা হয়। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষেত্র বিশেষে কর্মাভিজ্ঞতাকে ডিগ্রি অর্জনে ক্রেডিট হিসেবে ধরে ডিগ্রী প্রদান করে।
    আমরা মনে করি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা প্রদান করা হলে আরও ভালো পেশাদার সুযোগে রূপান্তরিত হবে, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে, যেখানে প্রতিটি গ্রেডে জ্ঞান ও দক্ষতা মূল্যবান হবে। এই সমতা আমাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য জ্ঞানের অসংখ্য দরজা খুলে দেবে। এটা করা হলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার মর্যাদা ও গুরুত্ব বেড়ে যাবে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এ শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে। সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিশ্চিত হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ও আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যায্য পেশাগত সমস্যাদি দীর্ঘ একযুগেও বাস্তবায়ন হয় নাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায়, যখন এদেশের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারগণ চরমভাবে সংক্ষুব্ধ, ঠিক সেই সময়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবমুখী উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য ডিগ্রি প্রকৌশলী ও তাদের সংগঠন আইইবি ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। উপরোক্ত বিষয়াদি বিবেচনাপূর্বক নি¤েœাক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরী উদ্যোগ ও হস্তক্ষেপ কামনা করছি। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক এ শিক্ষাকে জনপ্রিয় করার স্বার্থে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিএসসি (পাস) কোর্সের সমমান মর্যাদা প্রদানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় মেধার অপচয় রোধ ও প্রশাসনে শ্রেণী স্বার্থ দ্বন্দ্ব নিরসনে এবং রাষ্ট্রের অর্থ অপচয় রোধে প্রশাসনিক ক্যাডারে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সনদধারীদের প্রবেশ রোধে পেশা পরিবর্তনের আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় আইনি কাঠামোর মাধ্যমে বন্ধ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পদোন্নতির কোটা ৫০% এ উন্নীতকরণ, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক নিযুক্তিতে অন্যান্য পেশাজীবীদের ন্যায় একটি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট এবং পরিকল্পনা ও নকশা বিভাগে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলীদেরকে সহকারী প্রকৌশলীদের ন্যায় ৩টি স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদান, বিএনবিসি-২০২০ এবং ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করা, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং উত্তীর্ণদের ক্রেডিট ওয়েভার দিয়ে ২ বছরে ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার সুযোগ প্রদান এবং প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের মর্যাদাকর বেতন ও পদবী প্রদানসহ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র শিক্ষক পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদের ৪ দফা দাবী অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসারে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আকৃষ্ট করার জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি (পাস) সমমান মর্যাদা প্রদানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় ঘেরে ভাঙান মাছ চাষ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন এবং ভাঙান মাছের চাষ পদ্ধতি ও বাবস্থাপনার উপর চাষি সহায়িকা বিতরণ

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় ঘেরে ভাঙান মাছ চাষ গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন এবং ভাঙান মাছের চাষ পদ্ধতি ও বাবস্থাপনার উপর চাষি সহায়িকা বিতরণ

     

     

    সংবাদবিজ্ঞপ্তি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞানবিভাগ সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলা্র ঘেরে ভাঙান মাছের পাইলট চাষ প্রকল্পের (Project title: Optimization of grey mullet (Mugil cephalus) mariculture in different culture techniques) সমাপ্তি ও ফলাফল প্রচার বিষয়ক কর্মশালা ১০ জুন সোমবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পিজ্জামিলান, আল-বারাকাএর কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পটি অর্থায়ন করে মৎস্যঅধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিনফিসারিজ প্রকল্প।

     

    কর্মশালায় উপকূলীয় এলাকায় ভাঙানমাছ চাষ পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক চাষি সহায়িকার মোড়কউন্মোচন করাহয় এবং পরবর্তীতে এই চাষি সহায়িকা বিভিন্ন চাষি ও অন্যান্যঅংশীজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এছাড়া এই চাষিসহায়িকাটির উপরভিত্তিকরে তৈরি একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে এইপ্রকল্পের একজন সুবিধাভোগী চাষি ভাঙানমাছ  চাষবিষয়কঅভিজ্ঞতা এইকর্মশালায় তুলে ধরেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ভাঙান মাছ চাষবিষয়ক উন্মুক্তআলোচনা ও প্রশ্নোত্তরপর পরিচালনা করা হয় । যেখানে কর্মশালায় উপস্থিত বিভিন্ন অংশীজন ভাঙানমাছ চাষ বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেন।

     

    মূলত উপকূলীয় এলাকার ঘেরে লাভজনকভাবে ভাঙানমাছচাষ পদ্ধতির আবিষ্কার করতে এই গবেষণা প্রকল্প শুরু হয়। তিনটি ভিন্ন চাষ পদ্ধতিতে (সনাতন,উন্নত-সনাতন ওআধা-নিবিড়) ৯ টি পুকুরে বিভিন্ন ঘনত্বে অন্যান্য মাছের সাথে ভাঙান মাছ চাষ করাহয় এবং সবচেয়ে লাভজনক চাষপদ্ধতিতে (উন্নত-সনাতনচাষপদ্ধতি) ভাঙান মাছ চাষের জন্য চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। উপকূলীয় এলাকায় ভাঙান মাছ চাষ জনপ্রিয়করার জন্য এইমাছ চাষ পদ্ধতির চাষি সহায়িকা চাষি ও অন্যান্য অংশীজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

     

    ভেটকির বিকল্প ভাঙান

    অনুষ্ঠানে প্রকল্পের মুখ্যগবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন,ভাঙান মাছ বিভিন্ন মাত্রার লবনাক্ততা সহ্য করতে পারে বিধায় অন্যান্য মাছের তুলনায় ভাঙান ঘেরে চাষেরজন্য অধিক উপযুক্ত। উপকূলীয় এলাকায় লবনাক্ত পানির ঘের/পুকুরে বাগদা চিংড়ির সাথে অন্যান্য মাছ যেমন, পারশে, টেংরা, ভেটকি,তেলাপিয়া, খল্লা, ইত্যাদি চাষ হয়ে থাকে । বর্ষা মৌসুমে পানির লবণাক্ততা কমে গেলে অন্যান্য স্বাদু পানির প্রজাতি যেমন, গলদাচিংড়ি, রুই, গ্রাস কার্প, মিরর কার্প, কাতলা, ইত্যাদি চাষ হয় । মাঝারি লবণাক্ত ঘেরগুলোতে বড় সাদা মাছ হিসেবে অন্যান্য মাছের সাথে ভেটকি মাছেরচাষ হয়। কিন্তু ভেটকি খুব রাক্ষুসে স্বভাবের এবং উৎপাদন খরচ অনেক বেশি (এফসিআর ৩ এর বেশি) হওয়ায় খামারিরাএর বিকল্প খুঁজছে । ভাঙান এক্ষেত্রে একটি কার্যকারী বিকল্প হতে পারে। এছাড়া ভেটকি মাছের মতোঅত্যধিক মাত্রার রাক্ষুসে স্বভাবের না হওয়ায় চিংড়ির সাথে এই মাছ চাষকরা অধিক লাভজনক। যদিও ভাঙানমাছ সুবিধাভোগী খাদক হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ ক্ষুধার্ত অবস্থায় প্রয়োজনে অন্যান্য ছোট মাছ খেয়ে থাকে, কিন্তু চাষ শুরুর প্রথমেই মাছ ছাড়ার সময় ভাঙান ও চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের পোনার আকার বিবেচনায় মজুদ করলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয় না। সুতরাং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ভাঙান মাছচাষ করে অধিক লাভ করা সম্ভব।

     

    জলবায়ু সহনশীল উপায় হিসেবে উপকূলীয় এলাকায় ঘেরে ভাঙান মাছ চাষ

     

    এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন হিসেবে জলবায়ুসহনশীল উপায় হিসেবে উপকূলীয় এলাকায় ঘেরে ভাঙানচাষ করা যেতে পারে যা কিনা উপকূলীয় এলাকার মৎস্য চাষিদের জীবিকার উন্নয়নে কাজ করতে পারে। কারণ এ মাছটি তাপমাত্রা, লবনাক্ততার অনেক তারতম্যের মধ্যে ও চাষাবাদ করা যায়।

     

    কারা উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রেখেছেন

     

    কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের মুখ্যগবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিজ্ঞানবিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুলইসলাম। প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন উক্ত প্রকল্পের কো-প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. গৌতম কুমার কুন্ডু।

     

    এছাড়া স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অপর্ণা বর্মণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও মৎস্য বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কর্মশালার উপস্থাপনা করেন উশরিকা ইসলাম, মাস্টার্স শিক্ষার্থী, মৎস্য বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া গবেষণায় সহকারী গবেষক হিসেবে কাজ করেন মোঃআসিফহাসান,  সৈকতদাস, মোঃ ইসমাম ইবনে হায়দার এবং মোঃ জাফরুল ইসলাম।

     

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, উপ পরিচালক, মৎস্য পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রন, মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান এবং খুলনা বিভাগীয় উপ প্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি।

     

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার জেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  মোঃ শফিকুল ইসলাম, দেবহাটা উপজেলার জেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন, আশাশুনি উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা        সত্যজিৎ মজুমদার, শ্যামনগর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার, কালীগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা, কলারোয়া উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ মন্ডল এবং তালাউপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা  স্নিগ্ধা খাঁ  বাবলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সুবিধাভোগী চাষিগণ, সাতক্ষীরা ও খুলনার বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত বিভিন্ন অংশীজন (ঘেরখামারি, হ্যাচারিমালিক, কম্পানিরপ্রতিনিধি, ইত্যাদি), এনজিওকর্মী এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।

  • ক্যাবের মামলা : ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড  উতপাদিত ৫৭১০ ইউনিট আকু চেক এক্টিভ টেস্ট স্ট্রিপ ধ্বংস

    ডায়বেটিস মাপার নকল উপকরণ উৎপাদন ও বিপণনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর উৎপাদনকারী কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ক্যাব এর দায়ের করা রিট পিটিশন নং ৬০০৪/২০২৪ এ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড  উতপাদিত ৫৭১০ ইউনিট আকু চেক এক্টিভ টেস্ট স্ট্রিপ ধ্বংস করেছে। মহামান্য আদালতের আদেশ মোতাবেক জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি এবং ক্যাব এর দুইজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।  ফার্মা সল্যুশনস বাংলাদেশ লিমিটেড কর্তৃক বিগত  ৯ জুন প্রেরিত পত্রের বরাতে জানানো হয় তাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় প্রিজম বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চিকিৎসা উপকরণগুলো ধ্বংসের জন্য। জাতীয় ভোক্তা- অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের আন্তরিক সহযোগিতার কারণে ক্যাব জনস্বার্থে এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রাথমিকভাবে হলেও সফল হতে পেরেছে।

  • সাতক্ষীরায় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ সমবায় প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ সমবায় প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত

    শাহ জাহান আলী মিটন : সাতক্ষীরায় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ সমবায় প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) সকাল ১০ টায় সদর উপজেলা ডিজিটাল কর্ণারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা সমবায় অফিসের আয়োজনে সমবায়ীদের অংশগ্রহণে  এ প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা সমবায় অফিসার মো. করিমুল হকের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা এফ এম সেলিম আখতার। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন, জেলা সমবায় কার্যালয়ের প্রশিক্ষক মো. আশরাফ আলী। প্রশিক্ষণে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সমবায় সমিতির ২৫ জন সদস্য অংশ নেয়। প্রশিক্ষণ শেষে দুগ্ধ প্রকল্পের চেক বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।
  • শ্যামনগরে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালি

    শ্যামনগরে পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালি

    শ্যামনগরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়| বুধবার (৫ জুন) সকালে পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ইকোম্যান প্রকল্পের আওতায় এই সাইকেল র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালির উদ্বােধন করেন ইয়ুথনেটের সেন্টাল টিমের সদস্য এসএম শাহিন আলম।
    র‌্যালিতে অংশ নেন ইয়ুথনেটের সাতক্ষীরা জেলা কো-অর্ডিনেটর ইমাম হোসেন, ইকোম্যান প্রকল্পের সমন্বয়ক হাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক সুমাইয়া কামাল, রুনা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক মুস্তাফিজুর রহমান, রিদয় হোসেন, বাবু প্রমুখ।
    র‌্যালিটি শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বের হয়ে উপজেলা সদরের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে ফিরে আসে।
    পরে দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার অ আ ক খ স্কুলে সুন্দরী, বাইন, গরান, কদবেল, পাতি লেবু, পেয়ারাসহ নানান প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হয়।
    এসময় সেন্ট্রাল টিমের এস এম শাহিন আলম বলেন, উপকূলীয় জনপদের পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বাজেটে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ দিতে হবে। জনপ্রতিনিধিদের পরিবেশ দরদী হতে হবে।
  • বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

    বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ

    সাতক্ষীরা  : ‘করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৫ জুন) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি  র‍্যালি বের হয়ে  কালেক্টরেট চত্বর প্রদক্ষিণ ও প্রধান সড়ক হয়ে  জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সরোয়ার হোসেন’র সভাপতিত্বে  আলোচনা সভায়  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু, সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন  জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক ডাঃ আবুল কালাম বাবলা,  জেলা নাগরিক অধিকার  উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি  অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন,  দৈনিক দক্ষিণের মশালের সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক এলাহী, স্বদেশের  নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র,বেলার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস,সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব, সামাজিক বনায়ন কর্মকর্তা জিএম মারুফ বিল্লাহ, এড. মনির উদ্দিন, জেলা দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সাকিবুর রহমান, সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শেখ আফজাল হোসেনসহ সরকারি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিগন।  আলোচনা সভা শেষে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ইভেন্টের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে  গাছের চারা বিতরণ এবং শহরের প্রাণশায়ের খালপাড়ে গাছের চারা রোপন করা হয়।
    এসময় বক্তারা বলেন,পরিবেশ রক্ষায় সাতক্ষীরা শহরের পুকুর ভরাট বন্ধ করা দরকার, প্রাণ সায়ের খাল খননে অনিয়মের কারনে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।  বড়বাজারে মাছ বাজারের যত ময়লা খালে ফেলানো হচ্ছে সেই কারনে খালে ময়লা পচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় সমন্বিত পরিকল্পনা  করা দরকার। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, শিল্পকলা একাডেমির সদস্য সচিব মোসফিকুর রহমান মিল্টন।
  • পাইকগাছায় মোটরসাইকেল ও ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত-১, নিহত-৩

    পাইকগাছায় মোটরসাইকেল ও ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত-১, নিহত-৩

    খুলনার পাইকগাছায় শিববাটী ব্রীজের অপর প্রান্ত শ্মরনখালী মোড়ে (আলমতলা-কয়রা) সড়কে মুখোমুখি সংঘর্ষে দু’মোটরসাইল যাত্রী ও ভ্যান চালক নিহত ও এক কম্পিউটার শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টার দিকে মোটরসাইকেল ও ভ্যনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ভ্যানচলক উপজেলার চাঁদখালী ইউপি’র শাহাপাড়ার আনছার গাজীর পুত্র ইসমাইল গাজী(৬২), নিহত দু’মোটরসাইকেল যাত্রী হচ্ছে পৌরসভার ৬ ওয়ার্ডের মাষ্টার আবিদুর রহমানের ছেলে রিয়াদ (২২) ও গড়ইখালীর হারুন গাইনের ছেলে মাহাবুর গাইন (২৫)। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুরোপুরি পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করছেন। আহত তৃষা আশাশুনির বড়দল গ্রামের আলালউদ্দীনের মেয়ে। আহত তৃষার মা জানান, সকালে তার মেয়েসহ আরোও দু’জন মেয়ে শাহাপাড়া ব্রীজ মোড় হতে ভ্যানযোগে পাইকগাছায় কম্পিউটার প্রশিক্ষন নিতে বাড়ি থেকে রওনা হয়। দুর্ঘটনায় তৃষা আহত হলেও অন্য দু’শিক্ষার্থী অক্ষত আছে। প্রত্যক্ষদর্শী মঞ্জুরু
  • আশাশুনিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা

    আশাশুনিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    “করবো ভূমি পুনরুদ্ধার রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আশাশুনিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ‍্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এসে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রনি আলম নূরের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মশিউর রহমান, সহকারি প্রোগ্রামার আক্তার ফারুক বিল্লাল, সেনেটারী ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা, সহ সরকারি কর্মকর্তা ও সকল এনজিও’র কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।