Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 81 of 82

Author: Hasan

  • দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি আশু

    দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি আশু

    শহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহরের ঐতিহ্যবাহী প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত অ্যাকাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করা হয়েছে।
    রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে ফিতা কেটে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু নবনির্মিত এ ভবনের উদ্বোধন করেন।
    দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধনের পরে স্কুল প্রাঙ্গণে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হোসনে ইয়াসমিন করিমী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা শাহনাজ সোমা, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর সভার ১ নং কাউন্সিলর কায়ছারুজ্জামান হিমেল, ঠিকাদার ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনছান বাহার বুলবুল, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান, বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও প্রাক্তন সভাপতি মো. আকবর হোসেন লস্কর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুজ্জামান, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সঞ্জয় কুমার মন্ডল। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাকির হোসেন শেলী, সাতক্ষীরা কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক রফিকুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মশাররফ হোসেন মন্টু,  যুবলীগনেতা জুলফিকার আলী ভূট্টো সহ বিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নবনির্মিত ভবনটি পিডিপির প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভবনটি এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মান করা হয়েছে।
  • তালায় জাতীয় শ্রমিক লীগের সেলিমকে সভাপতি পদে পূর্ণ বহাল

    তালায় জাতীয় শ্রমিক লীগের সেলিমকে সভাপতি পদে পূর্ণ বহাল

    তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
    সাতক্ষীরা তালা উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ সেলিম হোসেনকে সভাপতি পদে পূর্ণ বহাল করা হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ খালেক এর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২০২৩ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর খুলনা ডুমুরিয়া থানা পুলিশ অপহরণ মামলায় তালা উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ সেলিম হোসেনকে গ্রেফতার করে। তাকে সাময়িক সভাপতি পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সমূহ আদালত কর্তৃক মামলটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মোঃ সেলিম হোসেনকে জাতীয় শ্রমিক লীগ তালা উপজেলা শাখার সভাপতি পদে পূর্ণ বহাল করা হইল।

  • সাতক্ষীরা শহরে বাড়ির পানির লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

    সাতক্ষীরা শহরে বাড়ির পানির লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন

    প্রতিকার চেয়ে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় পারিবারিক বিরোধের জেরে বোনের বাড়ির পানির লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ খুন জখম এবং বিভিন্ন হুমকি ধামকির ঘটনায় ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্ততলেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, শহরের মুনজিতপুর এলাকার মৃত আব্দুল গফুর সরদারের কন্যা বিলকিস আক্তার। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমিসহ আমরা ১০ বোন এবং ৪ ভাই। ভাইদের মধ্যে বড় ভাই ইতোমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। আমাদের পিতা মাতা-জীবিত থাকা অবস্থায় মুনজিতপুরে ৪টি চারতলা বিশিস্ট ভবন নির্মান করেন। ৪টি ভবনের একটি ৪ তলা বিশিষ্ট ভবনে আমরা ৫ বোন যথাক্রমে (আমি) বিলকিস আক্তার, রেহেনা পারভিন, আফরোজা পারভীন, শিরিন আক্তার, মনিরা ইয়াসমিন শান্তিপূর্ণভাবেই বসবাস করে আসছি। কিন্তু ছোট ভাই শাহাজান কবির আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির হারির বোনদের অংশের টাকাও জোরপূর্বক উত্তোলন করে নিয়ে আসে। আমাদের অংশের সম্পত্তি থেকে বড় গাছ জোরপূর্বক কেটে বিক্রয় করা, মৎস্যঘের থেকে ইচ্ছামত মাছ বিক্রয় করাসহ নানাভাবে আমাদের হয়রানি করে আসছে। প্রতিবাদ করায় শাহাজান কবির আমাদের উপর ক্ষিপ্ত আমাদের পৈত্রিক বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করাসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে আসছে। গত ১০ জুলাই‘২০২৪ তারিখে শাহাজান কবির, ফিরোজা ইয়াসমিন এবং তার কন্যা নাইচ আমাদের বোনদের ভবনের পানির লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে আমরা ৫ বোন চরম দুর্ভোগে পড়েছি। এবিষয়ে শাহাজান করিবের সাথে কথা বলতে গেলে আমাদের মারপিট করতে উদ্যাত হয়। ওই সন্ত্রাসী প্রকৃতির শাহাজান কবিরের ভয়ে আমরা আতংকিত হয়ে পড়েছি। পরিবার নিয়ে বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার কাছে আমাদের পিতার বন্দুক নিয়ে আমাদের গুলি করে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে বলে এতে, “গুলি লোড করা আছে, চাপলেই মাথার খুলি উল্টে যাবে”। যে কারনে সব সময়ই আমাদের আতংকের দিন কাটছে। ইতোমধ্যে আমরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
    তিনি আরো বলেন, পানি ছাড়া কোন মানুষই বেঁচে থাকতে পারে না। এরপরও ৪তলা ভবনের পানির লাইন যদি বন্ধ রাখা হয় তাহলে তাদের কি অবস্থা হতে পারে। সেটি ভুক্তভোগীরাই বুঝবে। এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন সমাধান হয়নি। বিশেষ করে পানি সংকটের কারনে শিশুরা মারাত্মক ঝুকির মধ্যে রয়েছে। অবিলম্বে আমাদের ভবনে পানির লাইন চালু করতে না পারলে ওই ভবন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হতে হবে। অসহায় ৫টি পরিবার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী শাহাজান কবিরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।

  • আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

    আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় রেজাউল সানা (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক বাসটি আটক করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা সদরের আমতলা মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তি সদর ইউনিয়নের আদালতপুর গ্রামের আনসার সানার ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, রেজাউল সানা দুর্গাপুর থেকে বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আমতলা মোড়ে পৌঁছালে ঘোলা থেকে সাতক্ষীরা গামি (খুলনা মেট্রো জ-০৫-০০৩৪) যাত্রীবাহী বাসের চালক ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে  যায়। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
    মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে লোকজন ধাওয়া করে চাপড়া ব্রিজ এলাকা থেকে বাসটিকে আটক করে। এসময় উত্তেজিত জনতা বাসের কয়েকটি গ্লাস ভাঙচুর করে। তবে ঘাতক বাসটির ড্রাইভার-হেলপার কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাসটি আশাশুনি থানায় আটক ছিল।
  • আশাশুনির ধাপুয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি

    আশাশুনির ধাপুয়া নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি

    জনদুর্ভোগ চরমে

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার কুল্যা টু দরগাহপুর সড়কে কাদাকাটি-দরগাহপুর ইউনিয়নের সংযোগস্থলে ধাপুয়া নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণ কাজে ধীর গতির কারনে জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নির্মান কাজ ১ বছর ৪ মাস অতিবাহিত হতে চললেও কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তার কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা।
    বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক (আইডিএ) এর অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর সাতক্ষীরার তদারকিতে ২ কোটি ৯৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬৮৮ টাকা ব্যয় বরাদ্দে প্রোগ্রাম ফর সাপোর্টিং রোলার ব্রিজ (এসইউপিআরবি) প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু করা হয়। ১৪/৪/২৩ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও অতিরিক্ত ৫ মাস অতিক্রান্ত হলেও কাজ শেষের কোন সময়ক্ষণ নির্দিষ্ট করে পাওয়া যাচ্ছেনা। সম্প্রতি বৃষ্টি বাদলার কারনে ব্রিজ এলাকার বিকল্প সড়ক ব্যবহার খুবই হুমকীতে রয়েছে। ফলে জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই বলা যায় এখানে যানবাহন দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে থাকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্ঘটনার ককারনে দুইজন নিহতর ঘটনা ঘটেছিল। এছাড়া প্রতিদিন ছোটখাট দুর্ঘটনা ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে।
    কুল্যা টু বাঁকা (দরগাহপুর) বাজার প্রায় ২৩  কিলো মিটার সড়ক পথ  খুবই ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ। সড়কে প্রতিদিন শত শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। যাতয়াতের মাঝ পথে ধাপুয়া নদীর ওপর ব্রিজটি নির্মান কাজ চলছে। এই ব্রিজ দিয়ে সাতক্ষীরা টু বাকা সড়কের যাত্রীবাহী মিনিবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন ব্রিজটি জরাজীর্ণ হয়েছিল। প্রায় ১ বছর ৪ মাস পূর্বে ব্রিজ পুনঃনির্মাণ কাজে হাত দেয়া হয়। রাস্তা কেটে অ্যাপ্রোচ রাস্তা করা হয়। কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায়,  মাসের পর মাস কাজ বন্ধ থাকায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা বিরাজ করছে। ফলেরহাজার হাজার মানুষের চরম দুর্গতি লেগেই আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা অ্যান্ড ড্রেসিং সলিউশন কাজটি পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে সেতুর নির্মাণ কাজ আবারও ৪ মাস ধরে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।
    উপসহকারী উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম  জানান, বৃষ্টির পানির কারণে বিকল্প রাস্তাটি ভেঙে যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃষ্টির কারণে এ ব্রিজের তলায় কাজ সম্ভব হচ্ছেনা। আবহাওয়া ভালো হলে ও পানি কমে গেলেই দ্রুত সময়ে কাজ করা হবে। ব্রিজের ঢালাইয়ের সব ইকুইপমেন্ট আনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
  • এরশাদের মৃত্যু বার্ষিকীতে সাতক্ষীরা সেচ্ছাসেবক পার্টির উদ্যোগে ৬ শতাধিক মানুষের মাঝে খদ্য বিতরণ

    এরশাদের মৃত্যু বার্ষিকীতে সাতক্ষীরা সেচ্ছাসেবক পার্টির উদ্যোগে ৬ শতাধিক মানুষের মাঝে খদ্য বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির উদ্যোগে দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

    রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল ইসলামপুর, খুলনা রোড, ফুড অফিস মোড় ও পৌরসভার ৪টি মাদ্রাসায় ৬ শতাধিক দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে এই খাবার বিতরণ করা হয়।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অসহায় পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু, বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু, সদর উপজেলা  জাতীয় পার্টির সভাপতি আনোয়ার জাহিদ তপন, পৌর ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ মাহমুদ পাপা, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন খান বাপ্পি, জেলা জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক কাজী আমিনুল হক ফিরোজ, সদস্য সচিব কমল বিশ্বাস, সাবেক ছাত্রনেতা  প্রভাষক শেখ শরিফুল ইসলাম,সদর উপজেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক কাইয়ুমুজ্জামান পাভেল, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্র সমাজের সভাপতি সাকিব জামান দিপ্ত প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সাইফুল ইসলাম, মেহেদী, রাজন, ওলি, জুম্মান, মেজর সহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • খেলাধুলা যুব সমাজকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখে: এমপি আশু

    খেলাধুলা যুব সমাজকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখে: এমপি আশু

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু এমপি বলেছেন, খেলাধুলা সমাজের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে যুব সমাজকে দূরে রাখে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা মানুষের মনকে সতেজ করে তোলে। স্মার্টফোনের কুফল, মাদক. বাল্যবিয়ে, কিশোর অপরাধ থেকে আগামী প্রজন্মকে ফিরিয়ে আনতে খেলাধুলার আয়োজন বেশি বেশি করতে হবে। এতে করে সুস্থ বিকাশের যুব সমাজ দেশের বোঝা নয়, তারা হবে দেশের সম্পদ।

    শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু শহরের উপকন্ঠে লাবসা বলফিল্ড মাঠে লাবসা পল্লী মঙ্গল সমিতি আয়োজিত ৮ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    এমপি আশু বলেন, খেলাধুলায় সাতক্ষীরা জেলা একটি উর্বর জায়গা। এই জেলাকে ক্রীড়াবীদ তৈরীর সুতিকাগার বলা যায়। যেকোন ইভেন্টে এ জেলার খেলোয়াররা জাতীয় পর্যায়ে সাফল্য রেখে যাচ্ছে। এ ধরনের খেলাধুলার আয়োজন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ ও সবল রাখবে। তাই দেশের খেলাধুলাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।

    অনুষ্ঠানে লাবসা পল্লীমঙ্গল সমিতির সভাপতি কাজী আবু হেলালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কায়ছারুজ্জামান হিমেল, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামস ইসতিয়াক শোভন।

    লাবসা পল্লী মঙ্গল সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুদ আলীর সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন লাবসা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি  সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, লাবসা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহিদুর রহমান রহমত, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফারহা দিবা খান  সাথী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য খন্দকার আরিফ হাসান  প্রিন্স, শিমুন সামস, মো. রুহুল আমিন, লাবসা পল্লী মঙ্গল সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুল আলিম, মীর ইকবাল হোসেন জুয়েল, ক্রীড়া সম্পাদক শেখ আবু তুষার, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আবুল বাশার, ঝাউডাঙ্গা ইউপি সদস্য  মো. মফিজুল ইসলাম, লাবসা ৫ নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি আবিদ হাসান, মীর আব্দুল খালেক, কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক  আবু সাঈদ প্রমুখ।

    খেলায় লাবসা ইয়াং স্টার বনাম লাবসা সানরাইজ একাদশ অংশ নেয়। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় উভয় দলের কোন গোল না হওয়ায় টাইব্রেকারে লাবসা ইয়াং স্টার একাদশ ৪/৩ গোলে জয়লাভ করে। খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন আসাদুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনির, বাবুর আলী।

  • ‘মেসিই হয়তো আমার সন্তানের আশীর্বাদপুষ্ট’

    ‘মেসিই হয়তো আমার সন্তানের আশীর্বাদপুষ্ট’ছবি- সংগৃহীত

    এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ফুটবলার লামিন ইয়ামাল। আগামীকালই যিনি পা দেবেন ১৭তম বসন্তে। ১৬ বছর বয়সী বার্সেলোনার এই রাইট উইঙ্গার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ ফর্মে আছেন। বলা যায় বর্তমান সময়ে স্পেনের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়। তার পায়ের জাদুতে স্পেন জাতীয় দলে ২০০৮-১২ স্বর্ণযুগ ফিরে আসছে বলেও মনে করছেন। মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার ইউরোর সেমিফাইনালে ২৫ গজ দূর থেকে স্প্যানিশ এই কিশোরের গোল নিয়ে পুরো ফুটবল দুনিয়ায় মাতামাতি চলছে। ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভার অধিকারী ইয়ামালকে আগামীর লিওনেল মেসি মনে করছেন বোদ্ধারা।

    এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে ১৭ বছর আগের একটি ছবি। যেখানে মেসির সঙ্গে রয়েছে শিশু ইয়ামালের ছবি। লামিনে ইয়ামালের বাবা মৌনির নাসরাউয়ি গত সপ্তাহে ইন্সটাগ্রামে এই ছবিগুলো পোস্ট করেন, সঙ্গে লেখেন ‘দ্য বিগিনিং অব টু লেজেন্ডস’। অর্থাৎ, ‘দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুরু।’  ছবিতে দেখা যায়, প্লাস্টিকের একটি বড় বাথটাবের মধ্যে ছয় মাস বয়সী শিশু ইয়ামাল। লিওনেল মেসি সেই বাথটাবের পাশে আয়েশ করে শিশু ইয়ামালকে গোসল করাচ্ছেন। অনেকেই বলছে, তাহলে কি মেসির ‘ছোঁয়া’তেই স্বপ্নের ফুটবল খেলছে ইয়ামাল?

    তবে স্পেনের সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে উল্টো কথা বলছেন ইয়ামালের বাবা। তিনি বলেন, ‘এগুলো জীবনের কাকতালীয় ঘটনা। লিও থেকে লামিনের আশীর্বাদ? বা লামিন থেকে সিংহ রাশিতে। হয়তো লামিনই মেসিকে আশীর্বাদ করেছিলেন। আমার কাছে আমার ছেলেই সেরা।’

    সেই সঙ্গে তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন লা মাসিয়া আর স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনকে। তিনি জানান, ‘লামিনে সবার থেকে আলাদা। ও অনেকের আগেই পরিণত হয়ে গিয়েছে।’

    এবারের ইউরোয় ছেলের পারফরম্যান্স নিয়ে ইয়ামালের বাবা বলেছেন, ‘আর সবার মতো আমিও আনন্দ নিয়ে উপভোগ করছি। আমরা ফাইনালে উঠেছি এবং স্পেনের সব খেলোয়াড়ের জন্য গর্ব লাগছে। আমি জানতাম সে তারকা হয়ে উঠবে। বাবারা এমনই মনে করেন এবং যেকোনো বাবাই চান তার সন্তান সেরা হয়ে উঠুক। আমি তার জীবনে সেরাটাই কামনা করি ও আশা করি যেন ইউরো জিততে পারে, তাতে আমরাও চ্যাম্পিয়ন হব।’

  • কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা

    ইবি প্রতিনিধি————–

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ক্যাম্পাসের বটতলা চত্বর থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়।

    বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বুকে কালো ব্যাচ ধারণ করেন।

    শুক্রবার (১১জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ক্যাম্পাসের বটতলা চত্বর থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বিভিন্ন ক্যাম্পাসের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পুলিশি বাঁধা ও হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।।

    এ সময় ‘ভাইয়ের বুকে বুলেট কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হামলা দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’, ‘ভুয়া প্রশাসন, ভুয়া ভুয়া’, ‘এক দফা, এক দাবি’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের হামলা-মামলা দিয়ে আটকে রাখা যায় না। শিক্ষার্থীরা একবার ক্ষিপ্ত হলে কী হতে পারে তা সবাই জানে। আমরা খিচুরির প্যাকেট, সিঙ্গারা ও সেভেন-আপ দিয়ে সংগ্রামে আনিনি। সবাই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই সাড়া দিয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে ভাইদের রক্ত ঝড়িয়েছে। পুলিশ দিয়ে আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। হামলার পরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আরো বেড়েছে। আমরা সাহায্য চাইতে আসিনি। অধিকার আদায় করতে এসেছি।

    তারা আরও বলেন, আমাদের মাথায় জাতীয় পতাকা, বুকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আমাদের দাবি একটাই, আমরা যুক্তিসঙ্গত কোটা সংস্কার চাই। আমাদের দাবি সরকারের কাছে, নির্বাহী বিভাগের কাছে। যতদিন দাবি মানা হবে না ততদিন রাজপথ ছাড়বো না। আপনারা যারা জনদুর্ভোগের কথা বলছেন, বিভিন্ন ট্যাগ দিচ্ছেন। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, এই জনদুর্ভোগের দায় সরকারের।

    তারা বলেন, কোটা বৈষম্যের কারণে কারণে অনেকেই দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। দেশ একে একে মেধাশূন্য হচ্ছে। মেধাশূন্য রাষ্ট কখনো শক্তভাবে দাঁড়াতে পারে না।

  • মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিল ১৫০ বিজিপির সদস্য

    মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিল ১৫০ বিজিপির সদস্য

    মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘাত তীব্র হয়ে ওঠায় নতুন করে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) প্রায় দেড় শতাধিক সদস্য টেকনাফে আশ্রয় নিয়েছেন। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী ও সীমান্তে কঠোর অবস্থানে আছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। তারপরও সীমান্তের বিভিন্ন দুর্গম পয়েন্ট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিজিপির সদস্যরা সীমান্ত অতিক্রম করে এই দেশে এসেছেন বলে জানা গেছে।

    বুধবার ও বৃহস্পতিবার টেকনাফের সাবরাং, নাজিরপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ সীমান্ত দিয়ে বিজিপির সদস্যরা পালিয়ে আসেন। সীমান্ত অতিক্রমের পর অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে তাঁরা বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এই দুটি বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিজিপির সদস্যদের পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে কোনো ধরনের কথা বলতে রাজি হননি। তবে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের টেকনাফ-কক্সবাজার সড়কের দমদমিয়া এলাকার একটি বহুতল ভবনে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে কয়েক দফায় নাফ নদী অতিক্রম করে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর (বিজিপি) দেড় শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে (টেকনাফে) আশ্রয় নিয়েছেন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন তিনি। এ নিয়ে বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর পক্ষ থেকে তাঁকে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

    সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, টানা চার মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সংঘাত চলছে। ইতিমধ্যে রাখাইন রাজ্যে বুচিডং-রাচিডং টাউনশিপসহ বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ২০টির বেশি সীমান্ত চৌকি ও ব্যারাক দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। গত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের প্রধান শহর মংডু টাউনশিপ দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে আরাকান আর্মি।

    এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই তীব্রতর হয়েছে। মংডু টাউনশিপের আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিপি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সতর্ক রয়েছেন। টেকনাফ, উখিয়া ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

    বিজিবি ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মে পর্যন্ত কয়েক দফায় টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেন বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ৭৫২ সদস্য। এর মধ্যে প্রথম দফায় ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি ও সেনাসদস্য, দ্বিতীয় দফায় গত ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনাসদস্য এবং তৃতীয় দফায় গত ৯ জুন ১৩৪ বিজিপি ও সেনাসদস্যকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

    সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, আজ দিবাগত রাত তিনটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বিকট শব্দের বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান টেকনাফ সীমান্তের মানুষ।
    পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, বিস্ফোরণের শব্দে টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও হ্নীলা এলাকার ঘরবাড়ি কেঁপে উঠছে। আতঙ্কে সময় পার করছেন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।

    সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, নাফ নদীর একপাশে টেকনাফ, বিপরীত দিকে মংডু টাউনশিপ। মাঝখানে চার কিলোমিটার প্রস্থের নাফ নদী দুই দেশকে বিভক্ত করে রেখেছে। ওপারে মংডু টাউনশিপের আশপাশের গ্রাম পেরাংপুরু, কাদিরবিল, হারিপাড়া, মংনিপাড়া, নলবইন্ন্যা, সুদাপাড়া, সিকদারপাড়া, নুরুল্লাপাড়া, হাস্যুরাতা ও ফাতংছা এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা বেশি ঘটছে। গ্রামগুলোয় কী ঘটছে, তা এপার থেকে প্রত্যক্ষ করা যায়।

    সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, যেসব গ্রামে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে, সেসব রোহিঙ্গা–অধ্যুষিত এলাকা। মর্টার শেল ও গ্রেনেড বোমার বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে যাচ্ছে। এসব গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। অনেকে নাফ নদী অতিক্রম করে টেকনাফ পালিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনী টহল জোরদার করেছে।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে সহকারি প্রকৌশলী মো. কামরুল আখতার’র অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা

    সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রকৌশলীদের পক্ষ থেকে সহকারি প্রকৌশলী মো. কামরুল আখতার’র অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা

    বিদায় একটি নিষ্ঠুর শব্দ। এ পৃথিবীতে যার আছে শুরু, তার আছে শেষ। যার
    আছে অতীত, তার আছে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। সময়ের সাথে গড়ে উঠা ভ্রাতৃত্বের বন্ধন বিদায় লগ্নে মনে
    করিয়ে দেয় অতীতের স্বপ্ন কোলাহল মুক্ত দিনগুলোর কথা। চোখের কোণে নেমে আসে জল। দৃশ্যপট হয়ে
    যায় ঝাপসা। সকল কল্পনা-জল্পনা তখন অতীতকে নিয়ে। “যেতে নাহি দিব হয় তবু যেতে দিতে হয়” এই
    মর্মষ্পর্শী বাণীকে সামনে রেখে” সাতক্ষীরা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী কামরুল আখতার তপু’র
    অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকালে পৌরসভার
    কাউন্সিলবৃন্দের কক্ষে সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রকৌশলীদের আয়োজনে সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী
    প্রকৌশলী নাজমুল করিম’র সভাপতিত্বে বিদায়ী সংবর্ধনা পূর্বক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন
    পৌরসভার পানি সুপার প্রকৌশলী মো. সেলিম সরোয়ার, পৌরসভার প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার পীযূষ
    বন্দ্যোপাধ্যায় মিরাজ হোসেন, পৌরসভার সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, উপসহকারি
    প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান শিমুল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহাব্বাত হোসাইন, উপসহকারী
    প্রকৌশলী তুষার রায় চৌধুরী, ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নিমাই পাল, উপ-সহকারি বিদ্যুৎ মাসুদ রানা,
    পৌরসভার নকশাকারক আব্দুল্লাহ আল মামুন, নকশাকার নুর আলী, পৌরসভার কার্যসহকারী মো. আব্দুল
    মোতালেব, সড়ক বাতি পরিদর্শক শেখ সাইদুর রহমান প্রমুখ। অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে
    বিদায়ী অতিথিকে ফুল, ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। এসময়
    কাঁন্নায় এক হৃদয়বিদারক আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয় বিদায় অনুষ্ঠান। অবসরজনিত বিদায়ী
    সংবর্ধনায় দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিদায়ী অতিথিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় সাতক্ষীরা পৌরসভার
    প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • আসক’র শিশুদলের সদস্যদের নিয়ে জীবন দক্ষতা বিকষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন

    আসক’র শিশুদলের সদস্যদের নিয়ে জীবন দক্ষতা বিকষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন

    আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উদ্যোগে শিশু দলের সদস্যদের নিয়ে ১১ জুলাই,
    বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাব এর বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়াম দিনব্যাপি
    জীবন দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন
    বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর
    প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: রোকনুজ্জামান উক্ত প্রশিক্ষণের শুরুতে শিশুদের প্রশিক্ষনের
    গুরুত্ব তুলে ধরেণ এবং শিশুদেরকে জীবন দক্ষতার বিভিন্ন বিষয়গুলো আত্মস্থা করার
    আহ্বান জানায়।
    প্রশিক্ষনে জীবন দক্ষতার আত্মসচেতনামূলক দক্ষতা, সহমর্মিতার দক্ষতা,
    অন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতা, চিন্তন দক্ষতা, সমস্যা
    সমাধান দক্ষতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ দক্ষতা, চাপ মোকাবেলার দক্ষতা, আবেগ
    নিয়ন্ত্রণের দক্ষতা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাদের
    দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কর্মকান্ডে উল্লিখিত দক্ষতাসমূহ অর্জনের মাধ্যমে
    নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রে (আসক)
    এর প্রজেক্ট অফিসার আলিরাজ, রাহিমা বেগম ও মো: আজাহারুল ইসলাম উক্ত
    প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন।

  • আশাশুনিতে লবণপানি তুলে ফসল নষ্টের পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন

    আশাশুনিতে লবণপানি তুলে ফসল নষ্টের পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা নিরসের নামে ওয়াপদা বাঁধে পাইপ বসিয়ে লবণ পানি উঠিয়ে ফসল বিনষ্টের পায়তারার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে আশাশুনি উপজেলা সদরে রিপোর্টার্স ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
    খাজরা ইউনিয়নবাসীর আয়োজনে দীর্ঘ মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি ঢালী মোঃ সামছুল আলম, খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ অহিদুল ইসলাম মোল্যা, কামাল হোসেনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। বক্তাগণ বলেন, এলাকার ১০ হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ ডালিম মানুষকে সর্বশান্ত করে ফেলেছেন। কয়েকদিন পূর্বে এলাকাবাসীর দাবীর মুখে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিমের নেতৃত্বে পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে বাঁধ ও নেটপাটা অপসারন করা হয়। কিন্তু জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারী সাবেক চেয়ারম্যান ডালিম জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদের বেড়ীবাঁধে পাইপ বসিয়ে নতুন করে লোনাপানি উঠিয়ে মৎস্য চাষ ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কাজ শুরু করেছেন। মৎস্য ঘের করার ফন্দি এটে নদীর বেড়ীবাঁধ ছিদ্র করে পাইপ বসিয়ে খালে লোনা পানি উত্তোলন করে যাচ্ছেন তিনি। এতে করে লোকালয়ের পানি নদীতে নিষ্কাশন হওয়া তো দূরের কথা, উল্টো মৎস্য ঘেরে লবণাক্ত পানি উত্তলন করায় খালের তীরবর্তী ধান চাষের বিল লবণাক্ত পানিতে ডুবে গেছে। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন তার দলীয় লোকজন দিয়ে খাজরা ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সরকারি খাস খাল জবর দখল করে রেখেছেন। খালে নেট পাটা ও বাঁধ দিয়ে নদীতে লোকালয়ের পানি নিষ্কাশনে বাঁধা সৃষ্টি করে রেখেছেন। বক্তাগণ অবিলম্বে এলাকাবাসীকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে অবৈধ ভাবে লবণ পানি উঠানো বন্ধ করতে আহবান জানান। বিষয়টি বিচক্ষনতার সাথে দেখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য এমপি আলহাজ্ব আ ফ ম রুহুল হক, উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবিএম মোস্তাকিমসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবী জানান হয়েছে।
  • স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সাতক্ষীরায় নারী সমাবেশ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: মৌলবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নারী সমাজকে জেগে উঠার আহবানের মধ্যদিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার বিকালে সাতক্ষীরা শহরের উপকণ্ঠের লেকভিউতে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নারী নেতৃবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম।
    জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুল শমসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ৩১৩ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহানা মুহিদ বুলু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম তারেক উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজাহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: সুব্রত ঘোষ, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহফুজা আক্তার রুবি, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুন নাহার মুন্নি, ইসমত আরা, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রুবি, মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সীমা সিদ্দিকী, শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

  • কোপার ফাইনালে গাইবেন শাকিরা

    কোপার ফাইনালে গাইবেন শাকিরা

    আগামী ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচ। ফাইনালের মধ্যবিরতিতে মঞ্চ মাতাবেন পপতারকা শাকিরা। শাকিরার পারফর্মের বিষয়টি লাতিন আমেরিকার ফুটবলের মহাদেশীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল থেকে গত ৯ জুলাই নিশ্চিত করা হয়েছে। এই প্রথম কোপার মঞ্চে গাইবেন শাকিরা।

    প্রথমবারের মতো কলম্বিয়ান গায়িকা ফুটবলের এই টুর্নামেন্টে পারফর্ম করবেন। রাত ৮টায় নির্ধারিত ম্যাচের হাফ টাইমে গান গাইবেন তিনি।

    গ্যালারি ভরা দর্শক ছাড়াও পুরো বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীদের চোখ থাকবে টিভি পর্দায় ফাইনাল দেখার জন্য। এদিন শাকিরা তাঁর পারফরম্যান্স দিয়ে মাত করবেন দর্শকদের। মিয়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে বসবে ফাইনালের আসর। ফাইনাল ম্যাচে প্রায় ৫৪ হাজার লোক উপস্থিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    অন্যদিকে, চলতি বছরের মার্চ মাসে শাকিরা তার ১২তম স্টুডিও অ্যালবাম ‘লা মুজেরেস ইয়া নো লোরান’ মুক্তি দেন। তার অ্যালবামটি শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

  • গম্ভীরকেই ভারতের কোচ ঘোষণা

    গম্ভীরকেই ভারতের কোচ ঘোষণা

    পরামর্শকের দায়িত্ব নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে আইপিএল জিতিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। এরপরই তার ভারতের কোচ হওয়ার গুঞ্জন ওঠে। হাওয়ায় গা ভাসান বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক এই ক্রিকেটারও। অবশেষে ভারতীয় জাতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পেলেন গৌতম গম্ভীর।

    মঙ্গলবার বিসিসিআই-এর সেক্রেটারি জয় শাহ তাকে নতুন কোচ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। গম্ভীর ভারতের হয়ে ২০০৭ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন, ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছেন। নেতৃত্ব দিয়ে কলকাতাকে আইপিএল জিতিয়েছেন।

    আধুনিক সময়ের ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতার কারণে তাকে কোচ করা হয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যম এক্সে উল্লেখ করেছেন জয় শাহ।

    তিনি লিখেছেন, ‘অনেক আনন্দের সঙ্গে গৌতম গম্ভীরকে ভারতীয় জাতীয় দলের নতুন হেড কোচ হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি। আধুনিক ক্রিকেট দ্রুত বদলে গেছে। গৌতম খুব কাছ থেকে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন। ক্যারিয়ারে নানান অর্জন ও দায়িত্ব পালন করা গৌতম গম্ভীর ভারতের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার সঠিক ব্যক্তি বলেই আমরা মনে করি।’

    এর আগে ভারতের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন রাহুল দ্রাবিড়। তার অধীনে ভারত ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে হেরেছে। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

    তার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে গম্ভীরকে বোর্ড পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন জয় শাহ, ‘তার পরিকল্পনা পরিষ্কার, অভিজ্ঞতাও ভালো। যে কারণে কোচের কাঙ্ক্ষিত পদের জন্য তিনি দারুণভাবে মানানসই। নতুন পথচলার তার প্রতি বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’

  • কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা 

    কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনা 

    গোল, জয়, কর্তৃত্ব; কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনার খেলায় সবই ছিল। শুধু গোল পাচ্ছিলেন না লিওনেল মেসি। কানাডার বিপক্ষে গোল খরা কাটল দেশের জার্সিতে টানা চার শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে থাকা এই তারকার। হুলিয়ান আলভারেজের সঙ্গে লিও’র গোলে কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে কোপার আরেকটি ফাইনালে পা রেখেছে আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা।

    বুধবার বাংলাদেশ সময় সকালে নিউ জার্সির মেট লাইফ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ২২ মিনিটে প্রথম লিড নেয় গত আসরের কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা। মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলের বাড়িয়ে দেওয়া পাসে শট নিয়ে বল জালে পাঠান শুরুর একাদশে ফেরা হুলিয়ান আলভারেজ। কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিপক্ষে তার জায়গায় শুরুতে খেলেছিলেন দারুণ ছন্দে থাকা লওতারো মার্টিনেজ।

    দ্বিতীয়ার্ধে দ্বিতীয় গোল পায় আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের ৫১ মিনিটে গোল করেন লিওনেল মেসি। তাকে গোল করান এনজো ফার্নান্দেজ। আর্জেন্টিনার তোলা আক্রমণ কানাডার বক্স থেকে ফিরে বাইরে থাকা এনেজোর কাছে আসে। জোরের ওপর ভলি নেন চেলসিতে খেলা তরুণ এই মিডফিল্ডার। মেসি ওই শটে আলতো করে পা ছুঁইয়ে জালে পাঠিয়ে দেন।

    এবারের কোপা আমেরিকায় মেসির এটি প্রথম গোল। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০৯ গোল পেয়েছেন তিনি। কোপা আমেরিকায় এটি তার ১৪তম গোল। গোল খরার কাটিয়ে দারুণ এক রেকর্ডও গড়েছেন লিও। ২০০৭ সাল থেকে অংশ নেওয়া কোপা আমেরিকায় সাত আসরের ছয়টিতে গোল পেলেন তিনি।

    আর্জেন্টিনা ২-০ গোলের লিড নেওয়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় কানাডা। ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু আর্জেন্টিনার রক্ষণ লাইনে থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোমেরো ও লিয়ান্দ্রো মার্টিনেজের দেয়াল আটকে যায় তারা। দেয়াল টপকে নয়টি আক্রমণ করেছে প্রথমবার কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে খেলা কানাডা। যার তিনটি সুযোগ ও দুটি শট থেকে গোলও পেয়ে যেতে পারত। কিন্তু গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দুর্দান্ত দক্ষতায় দুটি শটই ফিরিয়ে দেন।

    কানাডার আক্রমণের সুযোগ নিয়ে পরে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করার সুযোগ পেয়েও তা হারিয়েছে লিওনেল স্কালোনির দল। তাছাড়া জয়ের ব্যবধান বড় হতে পারত। কোপা আমেরিকার অন্য সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার সকালে মুখোমুখি হবে দারুণ ছন্দে থাকা উরুগুয়ে ও কলম্বিয়া। ওই ম্যাচের জয়ী দল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে।

  • ছয় কোপাতে গোলের কীর্তি মেসির

    ছয় কোপাতে গোলের কীর্তি মেসির কানাডার বিপক্ষে কোপার সেমিতে মেসি। ছবি: এএফপি

    জাতীয় দলে লিওনেল মেসির অভিষেক ২০০৫ সালে। পরের বছর বিশ্বকাপও খেলে গোল পেয়েছিলেন তিনি। এরপর ২০০৭ সালে দেশের জার্সিতে কোপা আমেরিকা খেলেন লিও। প্রথমবার কোপায় অংশ নিয়ে গোল পান ওই সময়ের সোনালি চুলের মেসি।

    এরপর অংশ নেওয়া কোপা আমেরিকার সাত আসরের ছয়টিতে গোল পেয়েছেন লিওনেল মেসি। ২০১১ সালের আসরে গোল পাননি তিনি। তবে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের কোপা আমেরিকায় গোল পান সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। ২০১৯ আসরে গোল আসে তার পা থেকে। এরপর ২০২১ সালে কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয় আলবিসেলেস্তেরা। গোল পান মেসি।

    এবারের আসরেই কেবল গোল খরা যাচ্ছিল আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১০৯ গোল করার কীর্তি গড়া মেসির। কানাডার বিপক্ষে আসরের সেমিফাইনালে গোল করে ওই খরা কাটালেন তিনি। কোপা আমেরিকায় এই
    ছয় আসরে তিনি ১৪ গোল করেছেন।

    সাতবার কোপা আমেরিকায় অংশ নেওয়া মেসির দল আর্জোন্টিনা পাঁচবার ফাইনাল খেলেছে। এর মধ্যে ২০০৭ সালে ব্রাজিলের কাছে হারে তারা। ২০১৫ ও ২০১৬ আসরে হারে চিলির কাছে। গত আসরে কোপা দিয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক শিরোপা জেতেন লিও। এবার কোপার দ্বিতীয় শিরোপা স্পর্শ করবেন নাকি ফাইনালে চতুর্থবার হৃদয় ভাঙে সেটাই দেখার অপেক্ষা।