Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 80 of 82

Author: Hasan

  • সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই, সকলেই সমান: এমপি আশু

    সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলতে কিছু নেই, সকলেই সমান: এমপি আশু

    সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু বলেছেন, সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বলে কোন কথা নেই। যারা এই মাটিতে জন্ম নিয়েছেন তারা এই মাটির সন্তান, এই মাটিতে সকল নাগরিক সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। কেউ নিজেকে সংখ্যালঘু বলে ছোট করবেন না।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে সাতক্ষীরা জেলা মন্দির কমিটি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

    এমপি আশু বলেন, সাতক্ষীরা সদরবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচত করেছে। সদরবাসীর সাথে যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, এটা অক্ষুন্ন থাকবে। বর্তমান জোট সরকার হলো ধর্মনিরপেক্ষ,অসাম্প্রদায়িক। কেউ যদি আঘাত করতে আসে, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমি সকলের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।

    সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জী সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু।

    জেলা মন্দির সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সাধারন সম্পদক বিশ্বাস নাথ ঘোষ, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পদক স্বপন কুমার শীল, জেলা মন্দির সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার চ্যাটার্জী, সনাতন দাস, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পদক আনোয়ার হোসেন চান্দু, প্রচার সম্পাদক কমল বিশ্বাস, শ্রীশ্রী রাধা শ্যাম সুন্দর মন্দিরের পরিচারক ব্রহ্মচারী শ্রী শ্যামানন্দ কৃষ্ণ দাস, সাতক্ষীরা স্বামী বিবেকানন্দ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক পরিষদ সভাপতি শ্রী নয়ন কুমার সানা প্রমূখ।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের পুনঃ রথযাত্রা মহাৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, বর্ণাঢ্য সাজে বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। ফিতা কেটে  শোভাযাত্রাটির উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো.আশরাফুজ্জামান আশু, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মশিউর রহমান বাবু সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

  • শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ফ্যাবিবামোর সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

    শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ফ্যাবিবামোর সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

    সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার উদ্যোগে ১৬ জুলাই ’২৪ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও শেষে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
    ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য বেলাল চৌধুরী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন ও জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান।
    সমাবেশে বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছেন। সরকার সে দাবিতে কর্ণপাত না করে আদালতের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে সময়ক্ষেপণ করছে। অন্যদিকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনের ফ্যাসিবাদী পথ অনুসরণ করছে। তারই অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় শত শত ছাত্র-ছাত্রী মারাত্মক আহত হয়েছেন। আমরা এ ন্যাক্কারজনক হামলা ও সরকারি দমননীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করছি।’
    কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমথর্ন ও সংহতি জানিয়ে বাম মোর্চার নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘কোটাব্যবস্থা সংস্কারের জন্যে সরকারকেই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে একটি কমিশন গঠন করে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের মতামত গ্রহণ করতে হবে। মতামতের ভিত্তিতে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্যে যৌক্তিক পর্যায়ে কোটা সংরক্ষণ করে বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।’
    নেতৃবৃন্দ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে দেশের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

  • বুধহাটার বিলে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না হলে ফসল ও ঘের ভেসে যাবে

    বুধহাটার বিলে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না হলে ফসল ও ঘের ভেসে যাবে

    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বিল সমুহের জলাবদ্ধতা দূরের পদক্ষেপ না নিলে এবছর ফসল উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব এবং মাছ চাষের ঘের একাকার হয়ে মাছ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এলাকার সমস্যার কথা জানতে ও প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে খোজ খবর নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নদী খনন কাজ, স্লুইস গেটের অবস্থা ও ঝুঁকিতে থাকা বিল সমুহ সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন এবং এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেছেন।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরার এসও জহুরুল হক বোর্ডের অন্যদের ও বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলুকে সাথে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে উত্তর চাপড়ার কাছে নদীতে দেওয়া বাঁধের অবস্থা দেখেন। এসময় এই বাঁধের উত্তর পাশে পাইপ বসিয়ে পানি নিস্কাশনের বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখেন। পরিদর্শন শেষে এসও জহুরুল হক এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে বাঁধে পাইপ স্থাপনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্থ করেন।
    ইউনিয়নের বুধহাটা, শ্বেতপুর, নওয়াপাড়া, বেউলা, গাজীরমাঠ, পদ্ম বেউলা, চিলেডাঙ্গা, মহেশ্বরকাটি, নারানপুর, ঝাটিরকাটা গ্রাম সম্পর্ণ ভাবে এবং চাপড়া, পাইথালী, কুন্দুড়িয়া, হাজীপুরসহ আশপাশের গ্রাম ও বিল সমূহের বৃষ্টির পানি আংশিক ভাবে বুধহাটা ও মহেশ্বরকাটি স্লুইস গেট দিয়ে নিস্কাশন হয়ে থাকে। গত কয়েক বছর অন্যান্য গ্রাম ও বিল এবং ফিংড়ী ও পার্শবর্তী ইউনিয়নের পানির বড় অংশ এই গেট দিয়ে নিস্কাশিত হয়ে আসছে। ফলে বুধহাটা উত্তরাংশের বিল সমুহ বাইরের পানির চাপে পানির পরিমাণ অতিরিক্ত হওয়ায় ফসল চাষাবাদ সীমাহীন সমস্যায় ফেলে দিয়েছে। সম্প্রতি দেখা দিয়েছে আরও একটি প্রতিবন্ধকতা। বেতনা নদী খনন কাজ শুরু করায় নদীতে নওয়াপাড়া ও চাপড়ায় আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদী বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে এবছর বুধহাটা ও মহেশ্বরকাটি স্লুইস গেট সম্পর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে ইতিমধ্যে বিল সমুহে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি আরও কিছুদিন চললে পুরা বিলগুলুতে এবছর ধান চাষ সম্ভব হবেনা। ক্রমান্বয়ে মাছের ঘেরগুলোও পানির চাপে নিমজ্জিত হবে ও মাছ ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় মাছ চাষীরা ঘের বন্ধ করবে কিনা দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
    পানি উন্নয়ন বোর্ড সাতক্ষীরার এসও জহুরুল হক বোর্ডের অন্যদের ও বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলুকে সাথে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। বিশেষ করে উত্তর চাপড়ার কাছে নদীতে দেওয়া বাঁধের অবস্থা দেখেন। এসময় এই বাঁধের উত্তর পাশে পাইপ বসিয়ে পানি নিস্কাশনের বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখেন। পরিদর্শন শেষে এসও জহুরুল হক এলাকার বৃহত্তর স্বার্থে বাঁধে পাইপ স্থাপনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উপস্থিত সকলকে আশ্বস্থ করেন।
    বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু বলেন, এলাকার কৃষক না বাঁচলে ইউনিয়নবাসী বাঁচবে না। পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা রুদ্ধ হয়ে যাওয়ায় বুধহাটা ও মহেশ্বরকাটি স্লুইস গেট বন্ধ হয়ে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। বাঁধে পাইপ বসিয়ে গেট চালু করার ব্যাপারে তাদের সাথে কথা হয়েছে। কর্মকর্তারাও সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে পাইপ স্থাপনের বিষয়টি রিয়ে ইতিবিচক ভাবে ভাবছেন বলে তিনি জানান।
  • আশাশুনির যদুয়ারডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুলের সড়ক দুরাবস্থায় নাজেহাল 

    আশাশুনির যদুয়ারডাঙ্গা প্রাইমারী স্কুলের সড়ক দুরাবস্থায় নাজেহাল 

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনি  উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে ৪১ নং যদুয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতয়াতের রাস্তার (খালের রিং) এর বেহাল দশায় স্কুলে যাতয়াতে রীতিমত নাকানি চুপানি খাচ্ছে। সড়ক না থাকায় কাদামাটি দূষিত পানি ভেঙে প্রতিদিন বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে অসহায়ত্ব বরণ করতে বাধ্য করা হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে।
    জানাগেছে, ১৯৫০ সালে যদুয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এখানে বর্তমানে ৬ জন শিক্ষক, একজন নৈশপ্রহরী, ১৪০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই খালের আইল পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে আসছে কোমলমতি শিশুরা। টেংরাখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৮০০ মিটার দূরে জমির আইল/বাঁধ দিয়ে শিশুরা যাতায়াত করে থাকে। ব্যবহৃত জমির আইলে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। তারপরও ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। অন্য পথে কাউকে আবার হাঁটু পানি ভেঙে বিদ্যালয়ে যেতে হয়।
    এ ব্যাপারে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ঐশী সরকার জানায়, বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় প্রায়ই বই, খাতা ও পরনের পোশাক ভিজে যায়। দ্রুত বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তাসহ মাঠ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে ওই শিক্ষার্থী ।
    তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র তুয়া রায় জানায়, বৃষ্টি হলে জমির আইল ডুবে যায়। আমরা কষ্ট করে যাতায়াত করতে পারলেও আমাদের খুব সমস্যা হয়। মাঝেমধ্যেই পড়ে গিয়ে বই খাতাসহ পোশাক ভিজে যায়। কর্তৃপক্ষ যেন দ্রুত আমাদের স্কুলের রাস্তা বানিয়ে দেয় বলে আকুতি তার।
    বর্তমান মেম্বর ও স্কুলের সভাপতি উত্তম কুমার সরকার বলেন, আমার মেয়ে এই স্কুলে পড়ে, বৃষ্টি হলে জমির আইলে পানি উঠে গেলে যাতায়াতের সময় সাপে কাটাসহ নানা ধরনের ঝুঁকি দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে কাজ বাদ দিয়ে মেয়েদের স্কুলে রেখে আসতে হয়।
    এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক তাপসী সরকার  বলেন, বৃষ্টির মৌসুমে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতে ছাত্র-ছাত্রীদের বই খাতা ভিজে যাচ্ছে। এতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ। তাছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারেনা। তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বিদ্যালয়ে শিশুদের যাতয়াতের ঝুঁকি ও ভোগান্তির কথা স্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি উত্তম কুমার সরকার। খালের পাশেই সড়ক থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে পারে না। তাই বৃষ্টি হলেই দ্রুত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভোগান্তি নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
    কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার সরকার দীপ বলেন, বিদ্যালয়ের রাস্তা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ এসেছিল, কিন্তু খাল খননের কারণে রাস্তা নির্মাণে আপত্তি জানানোর কারণে বরাদ্দ ফেরত গেছে। বিদ্যালয়ের রাস্তা ও মাঠ নির্মাণে পুনরায় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে। খালের পাশেই এই সড়ক থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে পারে না। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, ভোগান্তি নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
    আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার বর্মন জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে একটা ব্যবস্থা করব। জন প্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবো। দ্রুতই শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের ব্যবস্থা হবে। তিনি আরো জানান, আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠ থাকা অত্যন্ত জরুরি। খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ ঘটে। বিদ্যালয়টিতে খেলাধুলার উপযোগী মাঠ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন।
  • সাতক্ষীরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

    সাতক্ষীরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

    মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডার ও ছাত্রলীগের পাল্টা বিক্ষোভ

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরাঃ বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউটের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারিরা। মঙ্গলবার সকালে ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের সিটি কলেজ মোড় থেকে খুলনা রোডের মোড় পর্যন্ত সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক কলেছের শিক্ষার্থীরা এবং বিকেল পৌনে চারটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে শহরের নারকেলতলা মোড় থেকে খুলনা রোডের মোড় পর্যন্ত এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে সড়ক অবরোধ করা হয়।
    এদিকে আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধ অবমাননাকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ স.ম আলাউদ্দিন চত্ত্বর থেকে কালেক্টরেট চত্ত্বর পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। মিছিলটির নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সদস্য সচিব সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ লায়লা পারভীন সেঁজুতি। পরে বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। বিকেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা খুলনা রোডের মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারিদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল সহকারে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে শহরের খুলনা রোডের মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল করে কোটা বাতিলের দাবিতে শ্লোগান দেন। সেখানে কিছুক্ষণ স্লোগান দেওয়ার পর পুলিশ তাদেরকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়।
    আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। অথচ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এই ন্যক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলায় আমাদের অনেক ভাই ও বোনেরা আহত হয়েছে৷ তাদের রক্ত ঝরেছে। এ ঘটনায় বিচারের দাবি জানাই।অবরোধের ফলে খুলনা রোড মোড়ের তিন রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
    অপরদিকে মঙ্গলবার দুপুরে ১২টার দিকে শহরের শহীদ স.ম আলাউদ্দিন চত্ত্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমা-ের বিক্ষোভ মিছিলটি লায়লা পারভিন সেঁজুতির নেতৃত্বে বের হয়ে কালেক্টরেট চত্বরে যেয়ে শেষ হয়। মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন সামস, সদস্য নাজমুন আসিফ মুন্নি, ছাত্রলীগের মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা সন্তান কমান্ডের মো: রিয়াজুল ইসলাম, এস এম পলাশ রহমান, গাজী আরেফিন, কালিগঞ্জের ফারুক হোসেন, সাইফুল ইসলাম, শ্যামনগরের মনিরুজ্জামান ডলার, রফিকুল ইসলাম বাবলু, মোস্তফা কামাল, তালার জাহিদুর রহমান লিটু, তৌহিদুর রহমান প্রমুখ। পরে তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক স্মারকলিপি পেশ করেন।
    স্মারকলিপিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয় যে, কোটা আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে অপমান-অপদস্ত করছে। শুধু তাই নয়, গত ১৪ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিজেদের রাজাকার দাবি করার যে কুৎসিত বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
    স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের যে দাবি আন্দোলনকারীরা তুলেছে, তা নিঃসন্দেহে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮(৪) এবং ২৯ (৩) (ক) অনুচ্ছেদের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে কোটাপদ্ধতি বহাল থাকতে হবে। পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রেই সরকারি চাকরি থেকে শুরু করে নাগরিক নানা সুযোগপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সমতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কোটাপদ্ধতি চালু আছে। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে কোটা ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সেখানে চার ধরনের নাগরিকদের জন্য মোট ৪৯.৫ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত।
    স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, নেপালের সংবিধানে দলিত, আদিবাসী, নারীসহ অন্যান্য নাগরিকদের জন্য ৫৫ শতাংশ সাধারণ কোটা এবং ৪৫ শতাংশ সংরক্ষিত কোটা চালু আছে। পাকিস্তানে সরকারি চাকুরিতে ৯২.৫ শতাংশ কোটা বিভিন্ন প্রদেশের জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ নীতির আওতায় কেবল শিক্ষালাভ বা সরকারি চাকরিতেই নয়, বেসরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানেও কৃষ্ণবর্ণ, হিস্পানিক জাতি ও আদিবাসীদের জন্য কোটাব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে।

    স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যে কোনো সভ্য রাষ্ট্রে নাগরিকদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের জন্য কোটা ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোন যুক্তিতে আন্দোলনকারীরা কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবি জানাচ্ছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যারা মুক্তিযুদ্ধ ও একাত্তরের বীর শহীদদের সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য দিচ্ছে, নিজেদের ‘রাজাকার’ বলে স্লোগান দিচ্ছে, তারা রাষ্ট্রদ্রোহী অপরাধ করছে।
    এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা শহরের নারকেলতলা মোড় থেকে খুলনা রোডের মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা সেখানে আন্দোলনকারিদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
    এ সময় সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মুহাম্মদ ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চুড়ান্ত বর্ষের ছাত্র কাজী আমিনুর আদনান, বায়ো টেকনলজি বিভাগেররাজুম মুনিরা, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাসুদুর রহমান, রিফাত হোসেন, শান্তি ও সংঘর্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আব্দুল আজিজ, সাতক্ষীরা পলিটেকনিক কলেজের ইতিহাস প্রথম বর্ষের খাদিজা পারভিন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্থনীতি প্রথম বর্ষের রাকিব হোসেন, অর্থনীতি দ্বিতীয় বর্ষের মহসিন হোসেন, গণিত বিভাগের আহম্মদ শাহরিয়াজ, আহম্মদ হোসেন, রাজিবুল ইসলাম প্রমুখ কোটা সংস্কার নিয়ে স্লোগান দেয়।
    এ সময় আন্দোলনকারিরা বলেন যে, কোটা বৈষম্য নিরসন করে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করার জন্য জরুরী অধিবেশন আহবান করতে হবে। বিদ্যমান আন্দোলনে নেতা কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাবতীয় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

     

    আরও পড়ুন…

    শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ফ্যাবিবামোর সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত

  • জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন

    জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন

    জাতীয় ছাত্র সমাজ সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার অধিনস্থ ১নং বাঁশদহা ইউনিয়নের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) জাতীয় ছাত্র সমাজ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি আশরাফুজ্জামান রকি ও সাধারণ সম্পাদক কায়মুজ্জামান পাভেল স্বাক্ষরিত একপত্রে তারিকুজ্জামান সিজানকে সভাপতি এবং শরিফুজ্জামান শরিফকে সাধারণ সম্পাদক করে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

    কমিটির অন্যরা হলেন, সদস্য মহিবুল্লাহ হোসেন, ইমন হোসেন, ওবায়দুল্লাহ হোসেন, আকিব হোসেন, লিপটন হোসেন, শাওন হোসেন জয় ও রাকিব হোসেন।

    এসময় পূর্বের কমিটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে আগামী এক বছরের জন্য এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন…

    জেলাপর্যায়ের দলিত জনগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্তিকরণে সাতক্ষীরায় নেটওয়ার্কিং উন্নয়ন কর্মশালা

  • জেলাপর্যায়ের দলিত জনগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্তিকরণে সাতক্ষীরায় নেটওয়ার্কিং উন্নয়ন কর্মশালা

    জেলাপর্যায়ের দলিত জনগোষ্ঠীর অর্ন্তভুক্তিকরণে সাতক্ষীরায় নেটওয়ার্কিং উন্নয়ন কর্মশালা

    জেলাপর্যায়ের দলিত জনগোষ্ঠীর
    অর্ন্তভুক্তিকরণে স নেটওয়ার্কিং উন্নয়ন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
    হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত
    সাতক্ষীরার বিনেরপোতা এলাকায় অগ্রগতি সংস্থার হলরুমে এ
    কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
    “সমতার কথা বলি, একইসাথে সবাই চলি” এ প্রতিপাদ্যকে
    সামনে রেখে বেসরকারি সংস্থা ‘দলিত’ এর অডিট অফিসার উত্তম
    কুমার দাস এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন
    জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার নাথ, জেলা যুব
    উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাস, জেলা মহিলা বিষয়ক
    কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুন্নাহার, অগ্রগতি সংস্থার
    নির্বাহী পরিচালক আব্দুস সবুর প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন, দলিত জনগোষ্ঠীর জোট উন্নয়ন করতে হবে। দলিত
    জনগোষ্ঠীর অধিকার ইস্যুগুলো চিহ্নিত করে জোটের পরিকল্পনা
    উন্নয়ন ঘটাতে হবে। দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন
    পর্যায়ে জোট বা সদস্যদের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে।
    সর্বোপরি দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন অর্ন্তভুক্তিকরণে সমন্বিত
    উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে হবে। এ ছাড়া রাইটস অব দলিত’স
    প্রকল্পের মুল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরা হয়।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি।
    তাংÑ ১৬.০৬.২৪ ছবি আছে।

  • ঢাবিতে প্রভোস্ট কমিটির বৈঠক, যা জানালেন উপাচার্য

    ঢাবিতে প্রভোস্ট কমিটির বৈঠক, যা জানালেন উপাচার্য

    কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপাচার্যের বাসভবনে জরুরি বৈঠক করেছেন প্রভোস্ট কমিটি।

    সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয় চলে ২ ঘণ্টাব্যাপী।

    বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ আবদুর রহিম।

    ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের হলের প্রাধ্যক্ষরা রাতভর হলে অবস্থান করবেন। মিটিংয়ে আমাদের আরও কিছু বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

    এর আগে বিকেলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালীন সময় হামলা চালান ঢাবি ছাত্রলীগসহ সংগঠনটির মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে।

    এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে যায় অন্তত ১৫০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ফের সংঘর্ষ শুরু হয় পৌনে ৭টার দিকে।

    কোটাবিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে ঢাবি, ঢামেকসহ আশপাশের এলাকায়।

  • সাংবাদিক বেলাল ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের 

    সাংবাদিক বেলাল ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের 

    সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরাম (রেজিঃ নং ৫৮৩/০৪) এর যুগ্ম-সম্পাদক ও দৈনিক আলোর বার্তা’র সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি এবং দৈনিক পত্রদূত এর নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
    নেতৃবৃন্দরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক মোতাহার নেওয়াজ মিনাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য, আনিছুর রহমান তাজু, আরীফ মাহমুদ, মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ও এএইচএম তুমু।
    নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
    উল্লেখ্য, সাংবাদিক শেখ বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর প্রতিবেশি মফিজুর শেখের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলার চেষ্টা চালানো হয়েছে। হামলাকারিরা লাঠি ও লোহার রড নিয়ে বাড়ির দিকে ছুঁটে আসার দৃশ্য আগে ভাগে দেখতে পেয়েই ঘরের মধ্যে ঢুকে আত্মরক্ষা করেন বেলাল হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার (১২ জুলাই’ ২৪) বিকেল পৌনে চারটার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কিসমত ইলিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
  • পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়া ৭ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে আরসিসি ড্রেণ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়া ৭ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে আরসিসি ড্রেণ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়া নিরালা আবাসিক  এলাকায় আরসিসি ড্রেণ নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ড্রেণ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল,
    পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মোহাব্বাত হোসাইন, কার্যসহকারী মো. আব্দুল মোত্তালেব, এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন
    মো. শওকত হায়দার, মো. আলতাফ হোসেন, আবুল কাশেম বাবুরালী, মো. শাহিনুজ্জামান, মো. তুহিনুজ্জামান, নাহিদুর রহমান খান রিমনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
    শওকত হায়দারের বাড়ির সামনে থেকে মাহবুবুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত ৪৯২ ফুট আরসিসি ড্রেণ সাতক্ষীরা পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে ৭ লক্ষ ৭৪ হাজার  ৮৭৭ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ উদ্বোধনকালে সাতক্ষীরা পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
    ক্যাপশন : পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়া আরসিসি ড্রেণ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করছে ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান সহ অতিথি বৃন্দ।

  • তালায় রাস্তা বাঁশের বেড়া : ঘরে আবর্জনা ছুড়ে মারার অভিযোগ

    তালায় রাস্তা বাঁশের বেড়া : ঘরে আবর্জনা ছুড়ে মারার অভিযোগ

    তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ॥
    সাতক্ষীরার তালায় বসতবাড়ী যাওয়ার রাস্তা বাঁশ দিয়ে বেড়া বিভিন্ন আবর্জনা ঘরের দরজায় ছুড়ে মারার অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। এঘটনায় তালা থানায় ভুক্তভোগি শামছুন্নাহার রিক্তা লিখিত অভিযোগ করেছেন।
    তালা (মহল্লাপাড়া) মৃত কাজী হাবিবুল বারীর (বাচ্চু) মেয়ে শামছুন্নাহার রিক্তা জানান, আমার পিতা মাতা মৃতবরণ করায় আমি ও আমার ছোট বোন বিবাহিত হওয়ায় আমরা যার যার স্বামীর ঠিকানায় বসবাস করি। বর্তমানে আমাদের বাড়ীতে ভাড়াটিয়ারা বসবাস করে। আমার চাচা কাজী নাজমুল বারী বাবু (৫২) গংদের নির্যাতনে আমাদের বাড়ীতে কোন প্রকার ভাড়াটিয়ারা থাকতে চায়না। বিভিন্ন সময় চাচাগংরা আমাদের বাড়ীতে চলাচলের রাস্তা বাঁশের বেড়া দিয়ে থাকে এবং মানুষের মল সহ বিভিন্ন আবর্জনা ঘরের বারান্দাসহ দরজায় ছুড়ে মারে। তাদেরকে নিষেধ করলে তারা আমাকে ও আমার বোনকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমাদের বসত বাড়ীতে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে তাদের সহিত দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত ১১ জুলাই সন্ধ্যায় তারা বে-আইনী ভাবে গায়ের জোরে পেশী শক্তির বলে আমাদের বাড়ীতে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আমরা প্রতিবাদ করায় অমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইয়া সঠিক বিচার পাওয়ার জন্য সোমবার তালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করিয়াছি।
    কাজী নাজমুল বারী বাবু জানান, সে আমার ভাইজি। আমি রাস্তায় মানুষ চলাচল বন্ধ করার জন্য বাঁশ দিয়ে ঘেরা বেড়া দেয়নি। রাস্তাটিতে ইজিবাইক, নছিমন ও ভারি যানবহন চললে রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে যার জন্য বাঁশ দিয়ে ঘেরা দিয়েছিলাম।
    তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, এবিষয় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কৃষকলীগ নেতা আবুল কাশেম হত্যা ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামী আটক

    সালাহউদ্দিন নামে আরো এক আসামী র‌্যাব এর হাতে
    আটক

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা
    ইউনিয়নের খোলপেটুয়া গ্রামে কৃষকলীগ নেতা আবুল
    কাশেমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত
    আসামী সালাহউদ্দিন গাজীকে (২৫) আটক করেছে র‌্যাব। রবিবার
    রাতে তাকে সাতক্ষীরার একটি স্থান থেকে আটক করা হয়।
    আটককৃত সালাহউদ্দিন শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের
    খোলপেটুয়া গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে।
    মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক সরল
    বিশ্বাস জানান, অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে র‌্যাব-৬ এর
    সাতক্ষীরার দায়িত্বপ্রাপ্ত র‌্যাব সদস্যরা রবিবার রাতে সাতক্ষীরার
    একটি স্থান থেকে গোপন খবরের ভিত্তিতে আটক করে। পরে তাকে
    পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তাকে সোমবার বিকেলে আদালতে
    পাঠানো হবে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্টেশনে না থাকায় তার
    সঙ্গে মোবাইলে পরামর্শ করে রিমা- আবেদন করা হবে কিনা তা
    পরবর্তীতে জানানো হবে। তবে তিন দিনের রিমা- মঞ্জুর হওয়া
    আসামী আবু মুসা গাজীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার
    কারাগার থেকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
    তবে স্থানীয় একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, গাবুরার
    চাঁদনিমুখায় বোন সেলিনার বাড়ি থেকে সালাহউদ্দিনকে আটক
    করা হয়েছে রবিবার রাতে।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, খোলপেটুয়া গ্রামের চিংড়ি ঘেরের
    ২৫ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ৪ জুলাই দিবাগত
    রাত ১২টা ১০ মিনিটে চিংড়ি ঘেরের ডিঙি নৌকায় স্ত্রী
    ফিরোজাকে বেঁধে রেখে গাবুরা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি
    আবুল কাশেম কাগুচীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ
    ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বাদি হয়ে আবু মুসা
    গাজী, লোকমান গাজী, আব্দুর রহিম, শুকুর আলী সরদার, মিজান
    গাজী, সালাহউদ্দিন গাজী, সেকেন্দার গাজী ও আবু শ্যামা
    গাজীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮ জনের বিরুদ্ধে ৫ জুলাই
    শ্যামনগর থানায় হত্যা মামলা(৫নং) দায়ের করেন। গত ১০ জুলাই
    বুধবার মামলার প্রধান আসামী আবু মুসাসহ সন্ধিগ্ধ পাঁচ
    আসামীকে নড়াইল জেলার তুলারামপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা
    হয়। রুধবার রাতে আবু মুসা গাজী ও জয়নালকে এলাকায় নিয়ে
    মুসার বাড়ি থেকে দা, কুড়াল, বল্লভ উদ্ধার করা হয়। জয়নালের
    দেখানো মতে নিহত আবুল কাশেমের নিয়ন্ত্রণাধীন ঘেরের পূর্ব
    দিকের বেড়িবাঁধের নদীর পাশ থেকে কেওড়া গাছের নীচে পুতে
    রাখা হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে মামলার
    এজাহারভুক্ত অপর ছয় আসামী পলাতক রয়েছেন।#

  • শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের উল্টো রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে কাটিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের আলোচনা সভা 

    শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের উল্টো রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে কাটিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের আলোচনা সভা 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের উল্টো রথযাত্রা উৎসব- ২০২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১৫ জুলাই বেলা সাড়ে ৩ টায় কাটিয়া সর্বজনীন পূজা মন্দির চত্বরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাতক্ষীরা  সদরের কাটিয়া (কর্মকার পাড়া)সর্বজনীন পূজা মন্দিরের সভাপতি গৌর চন্দ্র দত্ত এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জয় মহাপ্রভু সেবক সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: সুশান্ত ঘোষ, প্রাক্তন জেলা শিক্ষা অফিসার শ্রী কিশোরী মোহন সরকার, সাতক্ষীরা  সদরের কাটিয়া সর্বজনীন পূজা মন্দিরের উপদেষ্টা শ্রী দীনবন্ধু মিত্র, সাতক্ষীরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: কায়ছারুজ্জামান হিমেল। এসময় উপস্থিত ছিলেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায়, কাটিয়া সর্বজনীন পূজা মন্দিরের  সহ-সভাপতি সমরেশ কুমার দাস, বলাই দে,সাধারণ সম্পাদক  ভৈরব কর্মকার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার, কোষাধ্যক্ষ প্রশান্ত গাইন, সদস্য স্বপন দে, পলাশপোল সর্বজনীন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সমীর বসু সহ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সর্বজনীন পূজা মন্দিরের সহ- সভাপতি শঙ্কর কুমার রায়।

  • সাতক্ষীরা সদরের আলিপুরের কায়পুত্রদের উচ্ছেদ বন্ধ, স্থায়ী আবাসন ও পুর্নবাসনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    সাতক্ষীরা সদরের আলিপুরের কায়পুত্রদের উচ্ছেদ বন্ধ, স্থায়ী আবাসন ও পুর্নবাসনের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

    রাস্তা ফোর লেন করার নামে রাস্তার পাশে ২০০
    বছরেরও বেশি সময় ধরে সাতক্ষীরা সদরের দক্ষিণ আলীপুরে বসবাসরত
    ৩০০টি কায়পুত্র পরিবারকে পূর্ণবাসন না করে উচ্ছেদ না করতে
    মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল
    সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ আলীপুর নামক
    স্থানে এ কর্মসুচি পালিত হয়।
    কায়পুত্র পুর্নবাসন আন্দোলন কমিটির আয়োজনে মানববন্ধন
    চলাকালে বক্তব্য রাখেন আন্দোলন কমিটির সভাপতি শচীন মন্ডল,
    মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, নাগরিক কমিটির আহবায়ক
    এড.আজাদ হোসেন বেলাল,ভুমিহীন নেতা আঃ সামাদ, কওসার
    আলী, বাসদ নেতা নিত্যানন্দ সরকার, জেলা জাসদ সভাপতি ওবায়দেস
    সুলতান বাবলু, জাসদ কেন্দীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক
    প্রফেসর ইদ্রিস আলী, সিপিবি সভাপতি আবুল হোসেন, নদী
    বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক আদিত্য মল্লিক, সদস্য সচিব
    মফিজুল ইসলাম, কায়পুত্র প্রতিনিধি নিমাই মন্ডল,কমল মন্ডল,চায়না
    রানী, শরিফুল ইসলাম, হুমায়ন কবির, ইসরাফিল গাজী, জয় সরদার
    প্রমুখ।।
    প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন
    বরাবর বিষয়টি অবহিত করলেও এখনও তাদের পুর্নবাসনে এবং ঘর
    প্রদানে কোনও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি। মানববন্ধন
    থেকে অনতিবিলম্বে তাদের যথাযথভাবে স্থায়ী পুর্নবাসন না
    হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ বন্ধ রাখতে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ
    জানানো হয়। উল্লেখ্য এখানে কায়পুত্ররা ২০০বছর কাল বসবাস করলেও
    তাদের স্থায়ী কোন জমি প্রদান করা হয়নি বা আবাসনের ব্যবস্থা
    করা হয়নি। সাতক্ষীরাতে বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায়
    ৩০০ পরিবার বসবাস করে, মানববন্ধন থেকে দরিদ্র, অবহেলিত-
    অনগ্রসর এই জাতি গোষ্টির জন্য সরকারের বিভিন্ন সুযোগের
    অভিগম্যতা সৃষ্টি ও একটি কায়পুত্র পল্লী গঠনের দাবি জানানো
    হয়।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাংÑ ১৫.০৭.২৪ ছবি আছে।

  • উচ্ছেদকৃত ভুমিহীনদের পুনঃ বাসনের দাবিসহ ভুমিহীন মুক্ত ঘোষণার প্রতিবাদ সমাবেশ 

    উচ্ছেদকৃত ভুমিহীনদের পুনঃ বাসনের দাবিসহ ভুমিহীন মুক্ত ঘোষণার প্রতিবাদ সমাবেশ 

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় উচ্ছেদকৃত ভুমিহীনদের পুনঃ বাসনের দাবিসহ ভুমিহীন মুক্ত ঘোষণার প্রতিবাদ  সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ জুলাই সোমবার বিকেলে নিউমার্কেটের স ম আলাউদ্দীন চত্বরে জেলা ভুমিহীন সমিতির আয়োজনে ভুমিহীনদের প্রতিবাদ সমাবেশ  অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে জেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি জেলা সভাপতি আবুল হোসেন, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক, বাংলাদেশ জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস আলী, সমাজন্ত্রিক দল জেলা সভাপতি নিত্যেচন্দ্র সরকার, জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান সজল, সেলিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান,  অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি  শেখ ফারুক হোসেন, হাফিজুর রহমান, জি এম রেজাউল করিম, শেখ হাফিজুর রহমান, ইউসুফ আলী সরদার, ভুমিহীন অধিকার পরিষদ জেলার সভাপতি বাবলু হাসান, নাজমা আক্তার নদী,  কুমারেশ মন্ডল, শেখ রিয়াজুল ইসলাম, মগবুল হোসেন সহ আরো অনেকে নেতৃবৃন্দ প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন এলাকার ভুমিহীন পরিবার। সমাবেশে বক্তারা বলেন যেসব রাস্তার ধারে বসতী  থাকা অসহায় ভুমিহীন মানুষের পূর্ন:বাসন না করে তাদেরকে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এমনকি তাদের ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও খাবারগুলোও সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে ভুমিহীন মুক্ত ঘোষণা বাতিল করে সাতক্ষীরা- কালীগঞ্জ সড়কের ধারে থাকাসহ যেসব উচ্ছেদকৃত ভুমিহীন এবং অসহায় ভুমিহীন মানুষের পূর্ন:বাসনসহ ক্ষতি পুরুন করতে হবে। ভুমিহীনদের পুনঃ বাসন না দেওয়া পর্যন্ত ভুমিহীনদের উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে। সাতক্ষীরা জেলার ভুমিহীন মুক্ত ঘোষণার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ভুমিহীনদের ভুমির অধিকার, অসহায়  ভুমিহীনদের বাসগৃহ, উচ্ছেদকৃত ভুমিহীনদের পুনঃ বাসনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান বক্তারা।
  •  ডোনাল্ড ট্রাম্প এর উপর হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

     ডোনাল্ড ট্রাম্প এর উপর হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক

    যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তদন্ত সংস্থা এফবিআই দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে। এর আগে সংস্থাটি জানিয়েছে, মি. ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনাটি ছিলো একটি ‘হত্যা চেষ্টা’।

    স্থানীয় সময় শনিবার রাতে পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে।

    গণমাধ্যমএবং সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার মধ্যে হঠাৎ মি. ট্রাম্প মেঝেতে বসে পড়ছেন এবং এরপর তিনি যখন দাঁড়ান তখন তার মুখের এক পাশে রক্ত দেখা যাচ্ছিলো।

    ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর এফবিআই একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে, যেখানে সংস্থাটির একজন কর্মকর্তা কেভিন রোজেক বলেছেন, “আজকে আমাদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যা হয়েছে তাকে আমরা হত্যা চেষ্টা বলছি।”

    তিনি জানিয়েছেন, তাদের এজেন্টরা এখন ঘটনাস্থলে রয়েছেন এবং এর তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

    এই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে গুলি হওয়ার আগ পর্যন্ত মি. ট্রাম্পের সমাবেশের পাশের ভবনের ছাদে কেউ আছে – সেটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জানা ছিলো না।

    তবে, সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের কেউ উপস্থিত ছিলো না।

    ওদিকে, পেনসিলভানিয়া স্টেট পুলিশের লেফটেনেন্ট কর্নেল জর্জ বাইভেনস বলেছেন, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা বীরত্বের পরিচয় দিয়ে বন্দুকধারীকে যথাযথ জবাব দিয়েছে।

    এর মধ্যে গুলিতে আহত মি. ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারা দুজন আগামী নভেম্বরে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী।

    ওই নির্বাচনে তাদের উভয়ের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র রাজনৈতিক অঙ্গনে সবাইকে শ্রদ্ধার চোখে দেখার জন্য সবার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    মি. কেনেডির বাবা রবার্ট এফ কেনেডি ১৯৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থাকার সময় গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।

    আর তার চাচা জন এফ কেনেডি ১৯৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় গুলিতে মারা গিয়েছিলেন।

    হামলাকারী সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
    ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর নাম প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই। তার নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। তার বয়স মাত্র ২০ বছর।

    তিনি পেনসিলভানিয়ার বেথেল পার্ক এলাকা থেকে এসেছেন।

    এলাকাটি মি. ট্রাম্প যেখানে সমাবেশ করছিলেন সেখান থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে।

    বন্দুকধারী সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে।

    তার পরিচয় এফবিআই তখনি প্রকাশ করেনি। তারা মূলত হামলাকারীর ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

    হাসপাতাল ছেড়েছেন ট্রাম্প
    বিবিসির যুক্তরাষ্ট্রের পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, দুটি সূত্র তাদের নিশ্চিত করেছে যে কানে গুলি লাগার পর মি. ট্রাম্প স্থানীয় যে হাসপাতালে এসেছিলেন চিকিৎসা শেষে সেখান থেকে বেরিয়ে গেছেন তিনি।

    তবে, তিনি ঠিক কোথায় যাচ্ছেন সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। বাটলারের সমাবেশের পর তার নিউ জার্সিতে যাওয়ার কর্মসূচি ছিলো।

    ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছেন বাইডেন
    হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার পর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথা বলেছেন।

    তবে, তারা কী ধরনের কথা বলেছেন সেটি ওই কর্মকর্তারা বলেননি।

    মি. বাইডেন একই সাথে পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোস শাপিরো এবং বাটলারের মেয়র বব ডেনডয়ের সাথেও কথা বলেছেন বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে।

    এদিকে ডেলাওয়ারে থাকা প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজের কর্মসূচির পরিবর্তন করে আজ রাতেই হোয়াইট হাউজে ফিরে আসবেন।

    ওয়াশিংটন থেকে বিবিসি নিউজের ব্রজেশ উপাধ্যায় লিখেছেন যে, পেনসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলা দৃশ্যতঃ নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়েছে এবং কেউ কেউ এজন্য সিক্রেট সার্ভিসের দিকেআঙ্গুল তুলছেন।

    সাবেক প্রেসিডেন্ট মি. ট্রাম্প নিজে অবশ্য সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকেও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে এবং কেউ কেউ এ ঘটনাকে ‘সিক্রেট সার্ভিসের ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

    যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, কংগ্রেস এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করবে। তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “আমেরিকান জনগণ সত্য জানার অধিকার রাখে।”

    এদিকে, এ ঘটনার পর ‘রাজনৈতিক সমাবেশের ধরণ ভিন্ন হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন অ্যারিজোনার রিপাবলিকান দলীয় কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি বিগস।

    বিবিসির যুক্তরাষ্ট্র সংবাদদাতা ক্রিস্টাল হাইয়েসকে তিনি বলেছেন, তার বিশ্বাস এখন থেকে রাজনৈতিক সমাবেশগুলো আর আগের মত হবে না, বরং ভিন্ন ধরণের হবে।

    “আমার ধারণা আপনি এখন থেকে যখন কোন সমাবেশ করবেন তা হবে ইনডোর ভেন্যুতে, যেখান আপনার আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে,” বলছিলেন তিনি।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প পেনসিলভানিয়ার যেখানে সমাবেশ করছিলেন সেটি ছিলো উন্মুক্ত স্থানে এবং সমাবেশস্থলের পাশে ছিলো কিছু ভবন।

    রিপাবলিকান সম্মেলনে যাবেন ট্রাম্প
    মি. ট্রাম্পের প্রচার দল জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে তিনি রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দিবেন।

    ওই সম্মেলনে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে।

    সোমবার ওই সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা, যেখানে মি. ট্রাম্প তার ভাইস প্রেসিডেন্টের নাম ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

    প্রচার দল জানিয়েছে, “মি. ট্রাম্প ‘ভালো আছেন’ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যারা হামলার প্রাথমিক জবাব দিয়েছে।”

    কমলা হ্যারিসের স্বস্তি
    যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন ট্রাম্প গুরুতর আহত না হওয়ায় তিনি ‘স্বস্তিবোধ’ করছেন।

    “আমরা তার জন্য, তার পরিবার এবং যারা আহত হয়েছে তাদের জন্য প্রার্থনা করছি,” এক বিবৃতিতে বলেছেন মিজ হ্যারিস।

    “আমাদের দেশে এ ধরণের সহিংসতার কোন জায়গা নেই। আমাদের সবাইকে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের নিন্দা করতে হবে এবং এ থেকে যেন কোন সহিংসতা না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে,” বলেন তিনি।

    কানে গুলির কথা বললেন ট্রাম্প
    ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল একাউন্টে বলেছেন, তার ডান কানের উপরের অংশে গুলি লেগেছে।

    “আমি বুঝতে পারছিলাম তখনি যে কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। আমি শোঁ শোঁ শব্দ শুনছিলাম এবং তখনি বুলেট চামড়া ভেদ করে চলে গেলো,” মি. ট্রাম্প বলছিলেন।

    “অনেক রক্ত গেছে, এরপর বুঝলাম কী হচ্ছে।”

    এদিকে, পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জোস শাপিরো সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেয়া এক পোস্ট জানিয়েছেন, সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে যেখানে সমাবেশ ছিলো সেই বাটলার এলাকা ছেড়ে গেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    তিনি বলেছেন, তিনি আনন্দিত যে মি. ট্রাম্প ভালো আছেন এবং তিনি তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলের বিবৃতি
    ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তার বাবা ভালো আছে।

    “আমি মাত্রই আমার বাবার সাথে কথা বলেছি এবং তিনি ভালো আছেন। আমেরিকাকে রক্ষার লড়াই তিনি কখনোই বন্ধ করবেন না, উগ্রবাদীরা কী ছুঁড়লো, তাতে কিছু যায় আসে না,” বলেছেন তিনি।

    তবে তিনি মি. ট্রাম্পের সমাবেশে ছিলেন না বলে সিবিএস নিউজ নিশ্চিত করেছে।

  • ‘আমার বাসার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না’

    ‘আমার বাসার পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না’

    দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের নানা ধরনের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা এখন দুর্নীতিবাজদের ধরতে পারছি বলেই সবাই জানতে পারছে। আমার বাসায় কাজ করে গেছে, সেই পিয়নও ৪০০ কোটি টাকার মালিক। সে হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না। এটাই বাস্তব কথা।’

    প্রধানমন্ত্রী রোববার (১৪ জুলাই) তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তার সদ্যসমাপ্ত চীন সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন জানলাম সঙ্গে সঙ্গে তাকে (পিয়ন) বাসা থেকে বের করে দিয়েছি। তার কার্ডটার্ড (পরিচয়পত্র) সব বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছি। ধরার পড়ার পরই এখন সবাই জানতে পেরেছে।

    সাম্প্রতিক সময়ে একটি বাহিনীর প্রধান ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি জনসম্মুখে আসার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের দেশ বলেই কথা না। সারা বিশ্বে যে দেশটাই অর্থনৈতিকভাবে উন্নতির দিকে যায়, সেখানে কিছু লোক অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। তাদের হাতে কিছু টাকা চলে যায়। তারা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে এসব দুর্নীতির জন্য।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ করা আর ফাইল চুরি এক কথা নয়। একজন সাংবাদিক ফাইল চুরি করল আর স্বনামধন্য একটি দেশ তাকে পুরস্কার দিয়ে দিল। ফাইল চুরি করে সে এখন হিরোইন হয়ে গেলো। আমরা এ ধরনের অপরাধীদের ধরি আর তারা হিরো হয়ে যায়। আর আমরা তো জিরো আছিই।

  • দাবি বাস্তবায়ন হয়নি, শিক্ষকদের আন্দোলন চলবে

    দাবি বাস্তবায়ন হয়নি, শিক্ষকদের আন্দোলন চলবে

    ঘোষিত তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। অর্থাৎ, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত থাকছে।
    সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে চলমান কর্মবিরতির ১৩ দিনের মাথায় গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক হয় শিক্ষক নেতাদের। সে আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন শিক্ষক নেতারা।
    এ বিষয়ে রবিবার অনলাইনে (জুমে) ফেডারেশনের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, গতকাল সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়েছে আপনারা জানেন। আলোচনা শুরু হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি। তবে আমাদের দাবিগুলো এখনও মানা হয়নি। আমরা আজ শিক্ষকদের সঙ্গে গতকালের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। এরপর সবার সঙ্গে আলোচনা করেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
    তবে সরকার দ্রুত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিবেন বলেও তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অন্যান্য দিনের মতো আজও বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষকেরা।
    গতকাল শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সবাই যুক্ত হবেন ২০২৫ সালের ১ জুলাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে পেনশনে যোগদানের বিষয়ে তথ্য ছিল, সেটা সঠিক নয়।
    তাঁদের তিনটা দাবির মধ্যে এটাও একটা দাবি। সবার মতো তাঁরাও ২০২৫ সালের ১ জুলাইয়ে যোগ দেবেন, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।