Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 79 of 82

Author: Hasan

  • অফলাইনে ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে

    অফলাইনে ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে

    প্রায় প্রতি মাসেই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় হোয়াটসঅ্যাপ। তেমনই এক নতুন ফিচারের খবর পাওয়া গেল। এবার ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ফাইল আদান-প্রদান করতে পারবেন।

    হোয়াটসঅ্যাপের নতুন এই ফিচারে উপকৃত হবেন লাখ লাখ মানুষ। এই ফিচারের মাধ্যমে অফলাইনে ফাইল ও ডকুমেন্ট ট্রান্সফার করা যাবে।

    অনেক সময় মোবাইলে ইন্টারনেট থাকে না। এ সময় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও ব্যবহার করা যায় না। তবে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন এই ফিচারে আপনি চাইলে ইন্টারনেট ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ফাইল আদান-প্রদান করতে পারবেন। এবার অফলাইনে ছবি, ফাইল ও ডকুমেন্ট শেয়ার করা যাবে। স্মার্টফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও চাপ নেই। কারণ ডেটা কানেকশন ছাড়াই অন্য ইউজারকে ছবি পাঠাতে পারবেন।

    এই সুবিধা আসতে চলেছে শিগগিরই, পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে মেটা।

    আরও জানা গেছে, অফলাইনে শেয়ার হওয়া ফাইল সম্পূর্ণ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপটেড থাকবে অর্থাৎ প্রাইভেসি নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। তা জানতে পারবেন না অন্য কেউ। ইউজারদের ভরসা পেতে এনক্রিপট হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে।

    এই ফিচার সম্পর্কিত একটি স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। তবে ফিচারের ছোট্ট একটি টুইস্ট রয়েছে।

    জানা গেছে, আপনার কাছাকাছি সেই ডিভাইস থাকতে হবে এবং তাতে অফলাইন ফাইল-শেয়ারিং ফিচার চালু থাকতে হবে। তবেই এই ফিচার কাজ করবে। ফাইল শেয়ারিং ফিচার বর্তমানে সব অ্যানড্রয়েড ফোনেই পাওয়া যায়।

    যেভাবে ব্যবহার করা যাবে
    অফলাইন ফাইল শেয়ারিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনো রকম ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। স্ক্যান করে ব্লুটুথের মাধ্যমে দ্রুত সেই ফাইল এক ফোন থেকে আর এক ফোনে চলে যায়। এটি অন/অফ ও করা যায়, সেই ফিচার কাজে লাগিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের এই সিস্টেম কাজ করবে। তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে।

    হোয়াটসঅ্যাপকে আপনার ফোনের গ্যালারি, ফাইল ও ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করার অনুমতি দিতে হবে। যা না দিলে এই ফিচার কাজ করবে না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ইউজারের ফোন নাম্বর গোপন থাকবে এবং শেয়ার করা ফাইলগুলো এনক্রিপট করা হবে।

    শেয়ার ইট অ্যাপের মতোই অনেকটা কাজ করবে এই ফিচার। যার ব্যবহার এখন বেশ কমে গেছে।

  • জেনে নিন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন খুলবে

    জেনে নিন কোন জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখন খুলবে

    ঢাকাসহ চার জেলা বাদে দেশের ৬০ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগে খুলে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি দেখে আগামী রোববার থেকে পর্যায়ক্রমে এসব জেলার প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

    দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নাশকতার মামলার তদন্ত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন সরকারের চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং এক উপদেষ্টা। সেখানেই এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

    সূত্র জানায়, সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নিরাপত্তা বাড়িয়ে খুলে দেওয়ার বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সভায় মন্ত্রীরা একমত হন, আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশের পরিস্থিতি দেখে তারপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো প্রতিবেদন সভায় বিশ্লেষণ করা হয়। প্রতিবেদনে উঠে আসে, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর বাদে অন্য সব জেলার পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই চার জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলোর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে খুলে দেওয়া হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। সব ঠিক থাকলে আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়া হবে।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন সমকালকে জানান, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

    এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় দেশের আটটি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। চালু ছিল জেলা ও উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে ২১, ২২ ও ২৩ জুলাই ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়।

    গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এখনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়নি। এ মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারছি না।

    তবে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সরকারের মূল অগ্রাধিকার বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
    ১৬ জুলাই সারাদেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-পলিটেকনিকসহ সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। একই সঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সব কলেজও বন্ধ রয়েছে।

  • আলটিমেটাম শেষ, আসতে পারে নতুন কর্মসূচি

    আলটিমেটাম শেষ, আসতে পারে নতুন কর্মসূচি

    সারাদেশে অবিলম্বে ইন্টারনেট চালু, কারফিউ তুলে দেওয়াসহ জরুরি চার দফা দাবি জানিয়ে গত মঙ্গলবার দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কদের একাংশ। আজ বৃহস্পতিবার সেই আলটিমেটামের সময়সীমা শেষ হবে। আজকের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে নতুন কর্মসূচি দিতে পারে এই অংশটি। অন্যদিকে, নিজেদের ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ দেশব্যাপী গণসংযোগ করবে অপর পক্ষ।

    বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস ইসলাম বলেন, সারাদেশে অবিলম্বে ইন্টারনেট চালু করা, কারফিউ প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে হল খুলে দেওয়া এবং আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিরাপত্তা প্রদান– এই চার দফা দাবিতে আমরা সরকারকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সেই আলটিমেটামের সময় শেষ হবে। এ দিন নতুন কর্মসূচি কী হতে পারে– তা নিয়ে দুপুরে আমরা বসব। এর পর বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাব কিংবা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি জানাব।

    অন্যদিকে, ৯ দফা দাবি আদায়ে আজ দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটির আরেকটি পক্ষ। গতকাল বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির ৫২ জন সমন্বয়ক যৌথভাবে এই বিবৃতি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া বুধবার দুপুরে ‘নিখোঁজ’ হওয়া সমন্বয়কদের খোঁজ পেতে বেলা ১১টা থেকে ১২টায় অন্তত ১০ মিনিট বাসাবাড়ি এবং অফিসের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়েছিল এই অংশটি। তবে তা করা হয়েছে কিনা– সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কর্মসূচি পালনের বিষয়ে জানতে এই পক্ষের সমন্বয়কদের ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

  • তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করেছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।

    কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি এ কথা বলেন।

    ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ স্টেশন দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে পারে, সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশটা যাতে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টাই করব। এদেশের মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে দেশ, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না। যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোন ধরনের মানসিকতা!

    ‘ঢাকা শহর যানজটে নাকাল, মেট্রো সেখানে স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।’, বলেন তিনি।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল, তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কিসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে, যা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর সুযোগ করে দিচ্ছে।’

    ‘গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর ওপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল, তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে।’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

  • এইচএসসির আরও ৪ পরীক্ষা স্থগিত 

    শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় চলমান এইচএসসির আগামী সপ্তাহের আরও চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষাগুলো আগামী ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট হওয়ার তারিখ ছিল। এ নিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার ৮টি পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।

    এর আগে, কোটা সংস্কার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের, পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটি।

    এইচএসসি পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী আগামী ১১ আগস্ট এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে শুরু হয়।

  • ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, ক্যাপ ও ছাতা বিতরণ করলেন রেড ক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম

    নিজস্ব প্রতিনিধ : বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের উদ্যোগে  তাপপ্রবাহের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, ক্যাপ ও ছাতা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিট চত্ত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, ক্যাপ ও ছাতা বিতরণ করেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। প্রচন্ড তাপদাহে চলতি জুন, জুলাই মাসে  ৪ শ’ পিচ ছাতা, বোতল জাত  ৮ হাজার ৪ শ’ ৯৬ লিটার বিশুদ্ধ পানি, ক্যাপ ৮শ’ পিচ, ৮ শ’ পিচ পাখা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মাঝে এ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সাতক্ষীরা ইউনিটের সেক্রেটারি সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র, ইউনিট লেভেল কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুল ইসলাম সোহান, যুব প্রধান মো. ইলিয়াছ হোসেন, অফিস সহকারী মো. কামরুল ইসলাম, যুব সদস্য ইকবাল, তুষার, হাজেরা, মেঘলা,শরিফুল, সাকিব সহ রেডক্রিসেন্ট সাতক্ষীরা ইউনিটের সদস্য, সকল যুব সদস্য বৃন্দ।
  • সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী

    সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী

    বিনোদন ডেস্ক

    দেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন আলামিন নামের এক তরুণ। তিনি অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত বলে জানা গেছে। তার মৃত্যুর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী নিজেই নিশ্চিত করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পোস্ট দিয়েছেন তিশা।

    গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) নিজের ফেসবুকে আলামিনকে নিয়ে তিশা লেখেন, ‘কিভাবে শুরু করব জানি না। আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চেনেন। কিন্তু ও আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট না, আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সঙ্গেই থাকে, আমার ফ্যামিলিতেই থাকে।

    আপু কী লাগবে, আপু কী খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো সব কিছু এই ছেলেটাই জানত আর দেখত।’
    তিশা আরো লিখেছেন, `আলামিন সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো পাশে বসে থাকত। আমার কত প্ল্যান ওকে নিয়ে। ওকে ড্রাইভিং শেখাব, জোর করে বলতাম পড়াশোনাটা কন্টিনিউ করতে, পরীক্ষাটা দিতে।

    অনেকে অনেক কিছু বলত, কিন্তু দুনিয়ার সাথে যুদ্ধ করে ও আপুর কাছে এসে বসে থাকত। ঈদের দিনগুলোও আগে আমার সাথে থাকত, তারপর ওর ফ্যামিলির সাথে। কত বকা দিয়েছি, মন খারাপও করে থাকত আবার একটু পর ঠিকই বোঝাতাম। একটা না দুই দুইটা গুলি কী করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা?’

    সর্বশেষ তিশা লিখেছেন, ‘আলামিন কোনো দল অথবা কোনো কিছুর সাথে জড়িত ছিল না। ওর বিগত চার বছর জীবনটা আমার সাথে, আমার কাজের এবং আমার পরিবারের সাথেই কেটেছে।

    ওর জীবনে কোনো পাপ নাই, খুব ছোট একটা মানুষ এই চার বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’

  • তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শতাধিক কলাগাছ কাটার অভিযোগ

    তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শতাধিক কলাগাছ কাটার অভিযোগ

    সাতক্ষীরায় তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা পৈত্রীক সম্পত্তি উপর শতাধিক কলাগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘঠেছে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) গভির রাতে উপজেলা খলিনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামে।
    এই ঘটনায় হাজরাকাটি গ্রামের মৃত আঃ জব্বার বিশ্বাসের ছেলে মোঃ ইমান আলী বিশ্বাস (৬৫) বুধবার তালা থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    মোঃ ইমান আলী বিশ্বাস জানান যে, একই এলাকার আফজ উদ্দীন বিশ্বাস এর ছেলে ফারুক বিশ্বাস (৪০) ও বিল্লা বিশ্বাস গং দের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই শুত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে রোপনকৃত শতাধিক কলাগাছ কেটে দেয়। এই ঘটনার বিচার পেতে তালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
    তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শতাধিক কলাগাছ কাটার অভিযোগ
    তালা (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা \
    সাতক্ষীরায় তালায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা পৈত্রীক সম্পত্তি উপর শতাধিক কলাগাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘঠেছে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) গভির রাতে উপজেলা খলিনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামে।
    এই ঘটনায় হাজরাকাটি গ্রামের মৃত আঃ জব্বার বিশ্বাসের ছেলে মোঃ ইমান আলী বিশ্বাস (৬৫) বুধবার তালা থানায় ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    মোঃ ইমান আলী বিশ্বাস জানান যে, একই এলাকার আফজ উদ্দীন বিশ্বাস এর ছেলে ফারুক বিশ্বাস (৪০) ও বিল্লা বিশ্বাস গং দের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই শুত্রুতার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে আমার পৈত্রিক সম্পত্তিতে রোপনকৃত শতাধিক কলাগাছ কেটে দেয়। এই ঘটনার বিচার পেতে তালা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • কালিগঞ্জের শুইলপুর শ্মশানঘাট এলাকায় সীমান্ত নদী ইছামতীর বেড়িবাঁধে ধ্বস, জিও ব্যাগের রোল দিয়ে বাঁধ ঢেকে দিয়ে দায়িত্ব সারলেন পাউবো কর্মকর্তারা

    কালিগঞ্জের শুইলপুর শ্মশানঘাট এলাকায় সীমান্ত নদী ইছামতীর বেড়িবাঁধে ধ্বস, জিও ব্যাগের রোল দিয়ে বাঁধ ঢেকে দিয়ে দায়িত্ব সারলেন পাউবো কর্মকর্তারা

    সীমান্ত নদী ইছামতির সাতক্ষীরার
    কালিগঞ্জের শুইলপুর শ্মশানঘাট নামকস্থানে তিন নং পোল্ডারে
    বেড়িবাঁধে ধ্বসের ৩০ মিটার জিও ব্যাগের রোল দিয়ে ঢেকে
    দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
    এ ছাড়া ফাটল দেখা দেওয়া ২৪০ মিটার বেড়িবাঁধ কোদাল দিয়ে
    কুপিয়ে সমান করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই এলাকার মানুষজন প্রতি
    মুহুর্তে নতুন করে ভাঙন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
    শুইলপুর গ্রামের কিনু গাজীর ছেলে দিনমজুর আকবর আলী গাজী
    জানান, বসন্তপুর খাদ্য গুদাম থেকে শুইলপুর হয়ে খাঞ্জিয়া বিজিবি
    ক্যাম্প পর্যন্ত ইছামতী নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা। এ সীমান্তের
    বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার বোলতলা ও মাহমুদপুর।
    কয়েক বছর আগে থেকে ভাঙন কবলিত এলাকার পাশে নদীতে
    সরকারিভাবে বালি কাটতে অনুমতি দেওয়ায় বসন্তপুর খাদ্য গুদামের
    পার্শ্ববর্তী এলাকা ও খাঞ্জিয়া এলাকায় নদীভাঙন দেখা দেয়। যার
    প্রভাবে সীমান্তবর্তী কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জনের কৃষি জমি
    নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। অপরদিকে ভারতের পারে চর জেগে
    ওঠায় বাংলাদেশের মানচিত্র পরিবর্তিত হচ্ছে। ভাঙনের
    ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই শুক্রবার দুপুরে শুইলপুর শ্মশানঘাট
    এলাকায় বেড়িবাঁধের ৩০ মিটার জুড়ে নদীতে ধ্বসে যায়। ধ্বসের
    প্রভাবে ২৪০ মিটার জুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ১২ জুলাই ভোর
    থেকে টানা বৃষ্টির কারণে এ ধ্বস সৃষ্টি হয়।
    শুইলপুর গ্রামের সিরাজ গাজী ও মোহাম্মদ গাজী অভিযোগ করে
    বলেন, শ্মশানঘাট এর নিকটে তাদের চিংড়ি ঘের ও ফসলী জমী
    রয়েছে। তিন বছর আগে থেকে এখানে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন
    তারা। রাতের জোয়ারের সাথে বৃষ্টি নামলে তাদেরসহ এলাকার
    অনেকেরই ঘের ও ফসলী খেত ভেসে যাবে। ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র
    আশ্রয় নিতে হবে। বেড়িবাঁধ ধ্বসের জন্য পানি উন্নয়ন
    বোর্ডকে দায়ী করে তারা বলেন, ওদের গায়ে গ-ারের চামড়া। গালি

    কেন, মারলেও তাদের কিছু যায় আসে না। ভাঙন ও ফাটল দেখা দেওয়ার
    তিনদিন পর ধ্বস কবলিত বেড়িবাঁধ সরকারি জিও বাগের রোল
    দিয়ে ঢেকে দিয়ে ও ফাটল কবলিত ২৪০ মিটার বেড়িবাঁধ কোদাল
    দিয়ে কুপিয়ে সমান করে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের
    কর্মকর্তারা। জানতে চাইলে এর চেয়ে বেশি কিছু তাদের করার
    নেই বলে জানান সেকশান অফিসার মাসুদ রানা। এরপর থেকে
    সীমান্ত গ্রামবাসি নতুন করে ধ্বস ও ফাটকের আশঙ্কা নিয়ে
    দিন পার করছেন। বড় ধরণের জোয়ার ও মুষল ধারায় বৃষ্টি হলে ওই ধ্বস
    কবলিত জায়গা বৃদ্ধি পেয়ে ও ফাটল থেকে ভাঙন হয়ে নলতা ও
    ভাড়াসিমলা ইউনিয়নের কমপক্ষে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার
    আশঙ্কা রয়েছে।
    ভাড়াসিমলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নাহিদ জানান,
    শুইলপুর শ্মশানঘাট এলাকায় ১২ জুলাই ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে এ
    ধ্বস ও ফাটল দেখা দেয়। ওই দিন পানি উন্নয়ন বোর্ডের
    কর্মকর্তাদের ধ্বস নামার বিষয়টি অবহিত করলেওাঁধ সংস্কারের
    জন্য বালি, বাঁশ, বল্লম ছাড়াও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ
    করে ১৪ জুলাই থেকে বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করবেন বলে পানি
    উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানালেও ১৫ জুলাই তারা কেবলমাত্র
    জিও ব্যাগের রোল দিয়ে ধ্বস কবলিত ৩০ মিটার এলাকা ঢেকে
    দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। এ ছাড়া ফাটল কবলিত ২৪০
    মিটার জায়গা কোদাল দিয়ে চেঁচে ছুলে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন
    দিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন।
    এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর কালিগঞ্জের তিন নং
    পোল্ডারের দায়িত্বে থাকা সেকশান অফিসার মাসুদ রানা বলেন, গত
    বছর থেকে শুইলপুর শ্মশানঘাট এলাকায় ফাটল সম্পর্কে তারা
    সচেতন ছিলেন। দ্রুত কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ১২
    জুলাই ৩০ মিটার লম্বা জায়গা জুড়ে দেড়ফুট করে বেড়িবাঁধে
    ধ্বস নামায় ও দীর্ঘ এলাকায় ফাটল দেখা দেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে
    সংস্কার করার জন্য বালি, বল্লম ও বাঁশসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী
    যোগাড় করা সম্ভব না হওয়ায় আপদকালিন ব্যবস্থা হিসেবে জিও
    ব্যাগের রোল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বর্ষা কেটে গেলে
    পূর্ণাঙ্গভাবে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হবে।
    করে রবিবার সকাল থেকে তারা কাজ শুরু করবেন।

  • মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাজুস সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার

    মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাজুস সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার

    নিজস্ব প্রতিনিধি : “এসো এসো মৈত্রীর বন্ধনে বাঁধি প্রাণ” এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যবসা ও সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিচ অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশে জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার‌। ভারত বাংলাদেশ মৈত্রীর সোসাইটি ও এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট যৌথ আয়োজনে শুক্রবার রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জোড়া সাঁকো ঠাকুর বাড়ি রথীন্দ্র মঞ্চে দুই বাংলার বরেণ্য শিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এপার বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার শিল্পী, সাহিত্যিক ও ব্যবসায়ী ৪০ জন বরেণ্য ব্যক্তিকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও শিল্পমন্ত্রী অরুপ রায়ের হাত থেকে মহাত্মা গান্ধী অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন বাংলাদেশের জুয়েলার্স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার‌। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র পরিষদ, রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, ভারত নলেজ সিটি চেয়ারম্যান আব্দুর রব, বিএমওএইচ হাসপাতালের প্রধান ডাঃ সুমন বকসি, বাংলা স্টেটসম্যান প্রতিকার সম্পাদক গোবিন্দ মুখার্জি, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক নিশিথ সিংহ রায়, জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের দৌহিত্রী নুপূর কাজী সহ দুই বাংলার গুণীজন বরেণ্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মনোরঞ্জন কর্মকার শহরের খান মার্কেটে নিউ লক্ষ্মী নারায়ণ জুয়েলার্সের সত্বাধিকারী তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে। সম্প্রতি তিনি জুয়েলারি শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ- ভারত সম্প্রীতি উৎসব ২০২৪ দুই বাংলার গুণীজনদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ভারত ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। তিনি বাংলাদেশে জুয়েলার্স এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।কাটিয়া (কর্মকার পাড়া ) সর্বজনীন পূজা মন্দিরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। তিনি সকলের কাছে সহযোগিতা ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।
    ক্যাপশন : ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাদ্য ও শিল্পমন্ত্রী অরুপ রায়ের হাত থেকে মহাত্মা গান্ধী অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন (বাজুস ) সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার‌।

  • আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান

    আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি: ডিবিপ্রধান

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনরত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কোথাও আগুন কিংবা ভাঙচুর করেনি। এই আন্দোলনকে একটি অশুভচক্র ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।

    বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে টিএসসিতে তিনি এ কথা জানান।

    হারুন অর রশীদ বলেন, ‘শুধু ষড়যন্ত্র নয় গাড়িতে আগুন, রেলের স্লিপার তুলে ফেলা, মেট্রোরেল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা ও বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।’

    ডিবিপ্রধান বলেন, ‘গতকাল রাতে বিএনপির অফিসে অভিযান পরিচালনা করে তাজা ককটেল, লাঠিসোঁটা ও অনেক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করি। কোমলমতি ছাত্রদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। এই গ্রুপটি অর্থ, আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও পানি সাপ্লাই দিয়ে ভিন্ন দিকে ধাবিত করার চেষ্টা করছে। যারা এগুলো করেছে তাদের প্রত্যেকের নাম আমরা পেয়েছি। শিগগির তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

    তিনি বলেন, ‘গতকালও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনেকের নাম বলেছেন।’

  • ঢাবিতে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন হাসপাতালে

    ঢাবিতে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন হাসপাতালে

    কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও এক পুলিশ কর্মকর্তা।

    বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে একে একে আহতের তাদেরকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ দুই জন হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের আফসানা জুঁই (২২) ও ইংরেজি বিভাগের আব্দুল হান্নান মাসুদ (২৪)।

    আহত সাংবাদিকরা হলেন- যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ি, সময় টেলিভিশনের ভিডিও জানালিস্ট রতন মজুমদার, কালবেলা পত্রিকার আকরাম হোসেন ও জনি রায়হান, আলোকিত প্রতিদিনের ইমরান হোসেনসহ আরো কয়েকজন।

    লালবাগ থানার এসআই নাজমুজ্জামান জানান, ইডেন কলেজের ১ নম্বর গেট থেকে রিকশায় করে ফাঁড়িতে যাচ্ছিলেন আজিমপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) ইব্রাহিম খলি। পথে নীলক্ষেত কোয়ার্টারের গেটে আন্দোলনকারীরা তাকে ধাওয়া হয়। ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে তার মাথায় গিয়ে আঘাত লাগে।

    ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাবির ভিসি চত্ত্বর, টিএসসি, শাহবাগ, নীলক্ষতসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আহত অন্তত ৩৫ জন এসেছেন চিকিৎসা নিতে। আহতদের অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। বেশ কয়েকজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।

  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি স্থগিত: উপাচার্য

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি স্থগিত: উপাচার্য

    চলমান পরিস্থিতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি আপাতত স্থগিত থাকবে বলে মৌখিক ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাব্বির সাত্তার।

    বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি এমন ঘোষণা দেন।

    এর আগে দুপুর ১২টা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় হল প্রশাসনের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানান তারা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একদল প্রতিনিধি উপাচার্যের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনায় বসেন। এসময় চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত রাবি ক্যাম্পাসে আপাতত ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাব্বির সাত্তার।

    উপাচার্য বলেন, ‌‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্তচিন্তার জায়গা। এখানে রাজনীতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ছাত্রদের দাবির বিষয়ে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো। এছাড়া সরকার থেকে দেশের স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা এসেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে হল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছি। হল ত্যাগের নির্দেশনা বাতিল করতে হলে ইউজিসির সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা যারা আছেন তাদের অনুমতিতেই বলছি, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে আপাতত ছাত্ররাজনীতি স্থগিত করছি। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এটি জানিয়ে দেওয়া হবে।’

  • বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

    বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা

    চলমান কোটা আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে ঢাবি প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশের নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।

    বুধবার রাত পৌনে ৮টায় সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক পোস্টে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না বলেও জানানো হয়।

    ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আগামীকাল (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট  শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।

    দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে কর্মসূচি সফল করতে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আগামীকালের কর্মসূচি সফল করুন।

  • আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে

    আমার বিশ্বাস শিক্ষার্থীরা আদালতে ন্যায়বিচারই পাবে

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলা সংকট আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধানের সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না

    বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে। আপিল আদালতে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালত শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা শোনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। এই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সুযোগ রয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, এই আইন প্রক্রিয়া সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতকারীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবেন না। সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার জন্য আমি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমার বিশ্বাস আমাদের ছাত্র সমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে, তাদের হতাশ হতে হবে না।

    আন্দোলনের প্রেক্ষাপট সরকারে পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে ছাত্র সমাজের আন্দোলনে পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল করে একটা পরিপত্র জারি করে। পরবর্তীকালে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে কোটা বহাল রাখার পক্ষে উচ্চ আদালত ২০১৮ সালের জারি করা সরকারের পরিপত্র বাতিল করে দেয়।

    ‘সরকারের পক্ষ থেকে পরিপত্র বহাল রাখার জন্য সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা হয় এবং মহামান্য আদালত শুনানির দিন ধার্য করে। এ সময় আবার ছাত্ররা কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার যথেষ্ট ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। বরং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যখন আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, সে ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

    শেখ হাসিনা বলেন, দুঃখের বিষয় হলো এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার জন্য বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।

    তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারাবার বেদনা যে কতটা কষ্টের তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যে সব ঘটনা ঘটেছে তা কখনই কাম্য ছিল না। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নিচে ছুড়ে ফেলে অনেক ছাত্রদের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের ওপর লাঠিপেটা এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, একজন মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঢাকা, রংপুর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়।

    সরকারপ্রধান বলেন, সাধারণ পথচারী, দোকানিদের আক্রমণ, এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা প্রদান করা হয়। মেয়েদের হলে ছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আবাসিক হলে প্রভোস্টদের হুমকি দেওয়া ও আক্রমণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত তাদের সঙ্গে এই সব সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। যারা হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছে তাদের পরিবারের জন্য জীবন–জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা দরকার তা আমি করব।

    তিনি আরও বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে এরা যেই হোক না কেন, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আরও ঘোষণা করছি, হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু বিচারের ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সেসব বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। কাদের উসকানিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো, কারা কোন উদ্দেশ্যে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিল, তা তদন্ত করে বের করা হবে।

    শেখ হাসিনা বলেন, আমি আন্দোলনরত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এই সন্ত্রাসীরা যেকোনো সময়ে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা, অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রতি আমার আবেদন থাকবে, তারা যেন তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকেন। একই সঙ্গে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে নজর রাখেন।

  • অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল: প্রধানমন্ত্রী

    অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল: প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কিছু মহল কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল।

    বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখের বিষয় হলো এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার জন্য বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। যেহেতু বিষয়টি উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়েছে তাই সবাইকে ধৈর্য ধরতে আহ্বান জানাচ্ছি।

    অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করবার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে, এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারাবার বেদনা যে কতটা কষ্টের তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে?

    যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। যে সব ঘটনা ঘটেছে তা কখনই কাম্য ছিল না। চট্টগ্রামে সন্ত্রাসীরা বহুতল ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নিচে ছুড়ে ফেলে অনেক ছাত্রদের হাত পায়ের রগ কেটে দেয়। তাদের ওপর লাঠিপেটা এবং ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করে, একজন মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঢাকা, রংপুর এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবন ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক হলে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করা হয়।

    সাধারণ পথচারী, দোকানিদের আক্রমণ, এমনকি রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে বাধা প্রদান করা হয়। মেয়েদের হলে ছাত্রীদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে এবং লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আবাসিক হলে প্রভোস্টদের হুমকি দেওয়া ও আক্রমণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের ওপর চড়াও হয়ে তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে।

    আমি বিশ্বাস করি যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত তাদের সঙ্গে এই সব সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সন্ত্রাসীরা এদের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

  • সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারি ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ মুখোমুখি

    সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারি ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ মুখোমুখি

    সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকারি সাথে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় গুরুতর কেউ আহত হননি। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা শহরের সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল সোয়া এগারটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা মিছিল নিয়ে বের হয়। ছাত্রলীগ ওই মিছিলটি প- করে দেয়। পরে দুপুর পৌনে ১২টার বৃষ্টি শুরু হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা জজ কোর্টের সামনে থেকে মিছিল বার করে। মিছিলটি খুলনা রোড মোড় এলাকায় যেয়ে কিছুক্ষল অবস্থান শেষে নারকেলতলা মোড় এলাকায় যাওয়ার পথে সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে সৈয়দ হাসান ইমাম, সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কালামসহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল লক্ষ্য করে স্লোগান দেয় ও লাঠি ছোঁড়ে। এসময় কোটা বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় ঘাপটি মেরে থাকা বখতিয়ার ও নয়নের নেতৃত্বাধীন আন্দোলনকারিদের একটি গ্রুপ লাটি-সোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংগঠিত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর মুহু মুহু ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্র সংহতি পরিষদ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুপুর পৌনে ১টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিরা খুলনা রোডের মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। সোয়া ১টায় আহবায়ক আল ইমরান বৃহষ্পতিবার আবারো যে কোন সময় আন্দোলনের ডাক দেওয়ার কথা বলেতাদের কর্মসুচির সমাপ্তি ঘোষণা করে।
    এবিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমম্বয়ক আল ইমরান জানান,‘‘ জেলা প্রশাসকের অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে নারকেলতলা এলাকার দিকে যাচ্ছিলাম। সিবি হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা সংগঠিত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেই। ’’
    জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসান ইমান জানান,‘‘ কোটা সংস্কার আন্দোলনে অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করুক,এটা অন্য বিষয়। কিন্তু এই আন্দোলনে ছাত্রদল ও ছাত্র শিবির ঢুকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি মাত্র। ’’
    সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক বিন আব্দুল আজিজ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আন্দোলনের পক্ষে-বিপক্ষের কেউ এখন মাঠে নেই।

  • স্টাটিকস শিক্ষা সহায়ক সংস্থা সাতক্ষীরা’র শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

    স্টাটিকস শিক্ষা সহায়ক সংস্থা সাতক্ষীরা’র শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

     সাতক্ষীরায় শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে শহরের লেকভিউতে স্টাটিকস শিক্ষা সহায়ক সংস্থা সাতক্ষীরার আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে এ শিক্ষা উপকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু। পরে সেখানে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    স্টাটিকস শিক্ষা সহায়ক সংস্থা সাতক্ষীরা’র সভাপতি আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সংরক্ষিত নারী  আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি। উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)  মোঃ সারোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন  সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্টাটিকস শিক্ষা সহায়ক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক  মো. মশিউর রহমান বাবু।

    স্টাটিকস শিক্ষা সহায়ক সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, স্টাটিকস শিক্ষা সহায়ক সংস্থার সহ-সভাপতি  অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, শেখ কামরুজ্জামান রাসেল, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নুরুল হক, ক্রীড়া সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন, প্রচার প্রকাশনা  সম্পাদক নুর মোহাম্মদ পাড়, নির্বাহী সদস্য মো. মিজানুর রহমান, সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষার্থী সাবিকুন্নাহার প্রমুখ।

    এসময় সাতক্ষীরা জেলার ৩১ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১৯ দাখিল মাদরাসার ১০০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।