Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 77 of 82

Author: Hasan

  • সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত চারটি মদনটাক পাখি সুন্দরবনে অবমুক্ত

    বিজিবি’র অভিযানে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধারকৃত বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি গুলো পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন কলাগাছিয়া ইকুটুরিজম এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরার নীলডুমুর বিজিবি’র তত্বাবধায়নে পাখিগুলোকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    নীলডুমুর বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল সানবীর হাসান জানান, ৩১ জুলাই রাতে চুয়াডাঙ্গার ঠাকুরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ৪টি বিরল প্রজাতির মদনটাক পাখি মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে পাখিগুলোকে সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিজিবি’র যশোর আঞ্চলিক অফিস থেকে সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুরে মদনটাক পাখিগুলোকে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, একাকি চলাফেরা করতে অভ্যস্থ মদনটাক পাখি সুন্দরবনে দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত তারা জলাভূমি বা নদীর মোহনার কাছাকাছি বসবাস করে। সংখ্যা কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা মদনটাক বা হাড়গিলা পাখিটাকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতির পাখি বলে ঘোষণা দিয়েছে।

  • কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

    কোটা সংস্কার আন্দোলনে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শনিবার বেলা সাড়ে সোয়া ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের খুলনারোড মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুর হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে খুলনারোড মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও অংশগ্রহণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ,বিজিবিসহ প্রশাসনের সদস্যদের উপস্থিত থাকলেও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ ছাত্রদের কোন ধরনের বাধা প্রদান করেনি। ছাত্ররা খুলনা রোড মোড় অবরোধ করে ২ ঘন্টা অবস্থান করে ফিরে যান। এসময় কোটা আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় নিহত সাতক্ষীরার আসিফ হাসানের নামে সাতক্ষীরার খুলনারোড মোড়কে আসিফ চত্বর নামকরণের দাবি জানান। আন্দোলন চলাকালে যানবাহন চলাচল ব্যহত হয়।

  • গাজায় বিদ্যালয়ে বিমান হামলা, নিহত ১৫

    ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। ছবি: ইন্টারনেট থেকে

    ফিলিস্তিনের গাজায় একটি বিদ্যালয়ে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪০ জনের বেশি। ফিলিস্তিনের বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

    পূর্ব গাজা সিটির সাজায়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়টিতে ওই হামলা হয়। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ওই বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

    ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তাদের বিরুদ্ধে হামলার ষড়যন্ত্র করতে কমান্ডার ও গুপ্তচরদের লুকিয়ে রাখার জন্য বিদ্যালয় ভবনটি ব্যবহার করছিলেন হামাস যোদ্ধারা।

    গাজার বিদ্যালয়গুলো এখন যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষে ঠাসা। ইসরায়েলি সেনারা এসব স্কুল লক্ষ্য করে অব্যাহত হামলা চালাচ্ছে। তারা বলছে, হামাস সামরিক অভিযান পরিচালনা কেন্দ্র হিসেবে এ ধরনের বেসামরিক অবকাঠামো ব্যবহার করছে।

    গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলি সেনাদের তথ্য মতে, হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। এছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়, যাঁদের অনেকে এখনো গাজায় আছেন।

    গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।

    জাতিসংঘ বলেছে, গত অক্টোবরের পর গাজা উপত্যকার প্রতি ১০ বাসিন্দার ৯ জন অন্তত একবারের জন্য বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। কেউ কেউ ১০ বার পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার প্রায় ১৯ লাখই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • রিমান্ড শেষে কারাগারে পার্থ

    কোটা আন্দোলনের সময় সেতু ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    শুক্রবার (২ আগস্ট) দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    অপরদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ফের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

  • সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মায়েরা রাজপথে

    ‘সন্তান হত্যা’র বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করেছেন সর্বস্তরের নারীরা। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করে এসময় কর্মসূচিতে যোগ দেন হাজারও নারী ও অভিভাবক। এ সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নির্বিচার হত্যা, হামলা ও গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান নারী সমাজ।

    আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন অভিভাবকরা। বিকেল পৌনে ৪টায় মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিবাদী নারী সমাজের ব্যানারে ‘শিক্ষার্থীদের গনতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশের নির্বিচার হত্যা, হামলা গণপ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও সন্তান হত্যার বিচার দাবীতে মায়েরা রাজপথে’ শিরোনামে কর্মসূচি পালন করেন তারা। বিভিন্ন পেশার অভিভাবকরা কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।

    গান, নৃত্য, মাইম ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন অভিভাবক ও শিশুরা। বিকেল সাড়ে ৪টায় ‘শিক্ষার্থীদের পাশে মা’ এই ব্যানারে আরেকদল নারী এসে যোগদান করেন মানববন্ধনে। জনতার ঢলে চেরাগী মোড় থেকে জামাল খান রোড পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ থাকে। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাব থেকে আন্দরকিল্লা হয়ে নিউমার্কেট এলাকায় সন্ধ্যা ৬টায় কর্মসূচি শেষ হয়।

    মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন নারী মুক্তি কেন্দ্রের আসমা আক্তার । তিনি প্রতিবাদী নারী সমাজের সমন্বয়ক। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গৃহিনী, নারী উদ্যোক্তা, ডাক্তার, ব্যাংকার ও সমাজকর্মীরা। নারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের পুরুষরাও যোগ দেয় মানববন্ধনে।

    এ সময় অভিভাবকরা ‘হামার বেটা মারলু কেনে, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘আমার সন্তান মরলো কেন, বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

    মানববন্ধনে মাথায় পতাকা বেধে দাঁড়িয়েছিলেন সমাজকর্মী শাহীন শিরীণ। পাশে নিজের ছোট শিশুর হাতে দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ছবি। শাহীন শিরীণ সমকালকে বলেন, ‘আমার সন্তান রক্তাক্ত হয়েছে মানে আমরাও রক্তাক্ত। এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমাদের সন্তানদের গণকবর দেওয়া হয়। আমরা কার কাছে বিচার চাইবো। এই রাষ্ট্রই তো আমাদের সন্তানকে হত্যা করেছে।’

    মানববন্ধনে মেয়েকে নিয়ে এসেছিলেন রিতু পারভিন। তিনি বলেন, ‘দেশের কোনো পরিস্থিতি হলে মায়েরা রাজপথে নামে? এতো হত্যা আর গণগ্রেপ্তার হল। তারপরেও এখন এইচএসসি পরীক্ষার্থী যারা আটক হয়েছে তাদের জেলে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলছে। ওরা তো শিশু। আমাদের শিশুরা কেন বিনা অপরাধে জেলে পরীক্ষা দিবে? আমরা তাদের মুক্তি চাই।’

    আরেক অভিভাবক ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকা কেনা অস্ত্র দিয়ে পুলিশ আমাদের সন্তানকে হত্যা করে। আমি বলতে চাই, আমাদের সন্তানকে না মেরে আমাদেরকে খুন করেন। ওরা আমাদের ভবিষ্যত। আপনারা আমাদের ভবিষ্যতকে হত্যার নেশায় মেতে উঠেছেন।’ সরকারের প্রতি এই জুলুম বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

  • শনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সারাদেশে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ এবং পূর্বঘোষিত ৯ দফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘সর্বাত্মক অসহযোগ’ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    সারাদেশের আপামর জনসাধারণকে অলিতে-গলিতে, পাড়ায় পাড়ায় সংগঠিত হয়ে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    শুক্রবার রাতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার।

  • ৪২ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকা মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ৪২জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রশিদুল আলমের আদালত এ আদেশ দেন।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (প্রসিকিউশন বিভাগ) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    এর আগে দুপুরে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতা কিংবা নাশকতামূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় রুজু হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিনের শুনানি বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা সিএমএম কোর্টে অনুষ্ঠিত হবে।

    এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটক হওয়াদের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনিসহায়তা দেবে বলে জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনায় আটককৃতের মধ্যে যদি কেউ চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী থাকে, তারা পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও প্রাসঙ্গিক কাগজপত্রাদিসহ জামিন আবেদন করলে তাদের জামিনে মুক্তিতে সরকার আইনি সহায়তা প্রদান করবে। আটক যেসব ছাত্রদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ নেই, তাদের জামিনের ক্ষেত্রেও সরকার আইনি সহায়তা দেবে।

  • রেমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে উত্তরণের নগদ অর্থ ও হাইজিন কিটস প্রদান

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর ও ধুলিহর ইউনিয়ন এবং আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নে সাইক্লোন রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০৫ পরিবারকে শর্তহীন নগদ ১৮ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ পরিবারের মাঝে হাইজিন কিটস(নয় আইটেম) প্রদান করেছে বেসরকারী সংস্থা উত্তরণ। বুধবার ও বৃহষ্পতিবার (৩১ জুলাই ও ১লা আগষ্ট) দাতা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এর অর্থায়নে উত্তরণ কর্তৃক বাস্তবায়িত সাইক্লোন রেমাল: জরুরী সাড়াদান কার্যক্রম ২০২৪ প্রজেক্ট এর আওতায় শর্তহীন উক্ত অর্থ এবং হাইজিন কিটস বিতরণ করা হয়।
    উল্লেখিত স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে শর্তহীন নগদ অর্থ এবং হাইজিন কিটস বিতরণ অনুষ্ঠানে ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলাউদ্দীন, ধুলিহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মিজান চৌধুরী, আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রফেসর দিপঙ্কর বাছাড় (দিপু), সেভ দ্য চিলড্রেন এর প্রজেক্ট অফিসার মিজানুর রহমান, উত্তরণ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভীন, প্রজেক্ট একাউন্টেন্ট ফারুক হোসেন, প্রজেক্ট ম্যানেজার মোমেনা খাতুন, উত্তরণের হাবিবুর রহমান,নাদিরা খাতুন,আক্তারুল ইসলামসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
    উল্লেখ্য, সাইক্লোন রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০৫ পরিবারকে শর্তহীন নগদ অর্থ,প্রত্যেক পরিবারের মাঝে নগদ ৬ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয় এবং ৫০ পরিবারের মাঝে হাইজিন কিটস বিতরণ করা হয়। উপকারভোগীদের মধ্যে ২০০ জন নারী ও ১৫৫ জন পুরুষের মাঝে উক্ত অর্থ ও হাইজিন কিটস বিতরণ করা হয়।

  • সাতক্ষীরায় দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কারাগারে পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি

    কোটা সংস্কার অন্দোলন

    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা ঃ বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে কারাগারে বসে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি অনুমতি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোর।
    অনুমতি পাওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের সাঈদুর রহমানের ছেলে মো. ফাহিম পারভেজ রণি ও একই গ্রামের নূরুন্নবীর ছেলে মো. জাহিদ হোসেন। দুজনই সাতক্ষীরা জেলা কারাগারে আছেন।

    গত ৩১ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহিন আহম্মদ স্বাক্ষরিত অনুমতিপত্রে বলা হয়, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনায় দুই পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র,প্রশ্নপত্র, হাজিরাপত্র ইত্যাদি সরবরাহ এবং কারা অভ্যন্তরে পরীক্ষা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।

    কারাগারে পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় পরীক্ষার্থীর অভিভাবককে বহন করতে হবে বলে অনুমতিপত্রে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষা নেয়া হবে। এর আগ পর্যন্ত সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
    প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে আন্দোলনকারিরা গত ১৭ জুলাই দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানার ফটক ঠেলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের শক্ত অবস্থানের কারণে থানয় ঢুকতে না পেরে পুলিশের উপর হামলা চালানো হয়। এতে দুইজন সহকারি উপপরিদর্শক ও একজন সিপাহী জখম হন। পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক ব্রজকিশোর পাল বাদি হয়ে পরদিন থানায় একটি মামলা করেন। আদালত গ্রেপ্তারকৃত ১৬ জনের মধ্যে ১৩জনের প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমা- মঞ্জুর করেন। এদের মধ্যে তিনজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাতজনকে রিমা- শুনানী শেষে বৃহষ্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

  • তালায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল আলী’র ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

    প্রেস রিরিজ:
    তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল আলী সাহেবের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুরআনখানী,স্মরণ সভা,মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    গতকাল তালার পালমার্কেস্থ উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে মরহুম জিএম আব্দুল আলীর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকীতে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় স্মরণ সভা,মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা জাতীয় পার্টি ও তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক এস. এম নজরুল ইসলাম।

    উপজেলা জাতীয় পার্টির সি.সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল জলিল(অব.সেনা কর্মকর্তা) সভাপতিত্বে মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশের শ্রেষ্ট ইমাম ও উপজেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ¦ মাও: তাওহীদুর রহমান।

    বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা জাতীয় সৈনিক পার্টির সভাপতি ও সাবেক সেনা সদস্য মো: রফিকুল ইসলাম খাঁ,জাতীয় তরুণ পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম বাবলুর রহমান, বিশিষ্ট সম্জ সেবক আব্দুর রউফ মোড়ল,ইসলামকাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ নাজমুল আলম, খলিলনগর ইউনিয়ন জাপা নেতা মো: ওয়াজেদ আলী মোড়ল,রজব আলী ফকির,আমজেদ হোসেন গোলদার,যুব সংহতি নেতা বাহারুল ইসলাম, ফারুক খাঁন, জেলা ছাত্র সমাজের যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম হাসান আলী বাচ্চু,ছাত্র সমাজ নেতা ফয়সাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    উল্লেখ্য,তিনি তালা উপজেলার জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের টানা ৩৬ বছর চেয়ারম্যান, পল্লীবন্ধু এরশাদ মনোনীত ও নির্বাচিত তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,খলিলনগর হাইস্কুলসহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। মরহুম আব্দুল আলী ২০২০ সালের ৩০ জুলাই বাধক্যজনিত কারণে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। জাতীয় পার্টি তালা উপজেলা শাখা আজীবন শ্রদ্ধাভরে তাকে স্মরণ রাখবেন। এসময় মরহুম শিক্ষক শওকত হোসেন সহ জাপার সকল মরহুম ও কোটা আন্দোলনে নিহত ছাত্রদের নেতাকর্মীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • স্থগিত এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগামী ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষার সূচি রাখা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

    প্রকাশিত নতুন সূচি অনুযায়ী, ১১ আগস্ট রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভূগোল (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন বিকেল ২টা থেকে ৫টা উচ্চাঙ্গ সংগীত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয়পত্র, আরবি দ্বিতীয়পত্র এবং পালি দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে।

    আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকালে (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয়পত্র ও শিশু বিকাশ দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা হবে। তাছাড়া একই দিন বিকেলে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র, সমাজকর্ম দ্বিতীয়পত্র এবং ক্রীড়া দ্বিতীয়পত্রের পরীক্ষা দিয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে।

  • রাবিতে শিক্ষার্থী আটকের চেষ্টা পুলিশের, বাধা দিলেন শিক্ষকরা

    সারাদেশে ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে মুখে লাল কাপড় বেঁধে মৌন মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ‘ছাত্র-জনতার খুনিদের প্রতিহত করুন’ ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। মিছিল শেষ হলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় শিক্ষকরা তাদের প্রতিহত করেন এবং নিরাপত্তা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেন। তবে এ ঘটনায় দুজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

    দিকে ওই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ দুই সাংবাদিককে ‘ইনফর্মার’ বলে তুলে নিতে চায় এবং হেনস্তা করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল বের করেন। পরে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে কর্মসূচি শেষ করেন।

    সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষকদের এই কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগে থেকেই সাদা পোশাকে অবস্থান নিতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। কর্মসূচি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’একজন করে শিক্ষার্থীদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকে পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষকরা তা দেখামাত্রই দৌঁড়ে গিয়ে তাদের বাধা দেন।

    এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। তবে শিক্ষকদের বাধায় ক্যাম্পাস থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যেতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। শিক্ষকরা ঢাল হয়ে শিক্ষার্থীদের কাজলা গেটে নিয়ে গিয়ে নিরাপদে বের করে দেন।

    শিক্ষক ও পুলিশের ধস্তাধস্তির সময় সাংবাদিকদের ওপরও চড়াও হয় পুলিশ। দৈনিক সমকাল পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি অর্পণ ধর ও দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেনকে তুলে নিতে টানা-হেঁচড়া করে পুলিশ সদস্যরা। এ সময় মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও একজন গোয়েন্দা সদস্য এসে সমকাল প্রতিনিধিকে মুক্ত করেন।

    এ বিষয়ে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের রাজশাহী প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থী আটকের লাইভ চলাকালে পুলিশ আমার ওপর চড়াও হয় পুলিশ। আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। ওই সময় আমাকে কিল-ঘুষি মারে এবং আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারীন্দ্র মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী লাবণ্য বলেন, আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে মৌন মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু সিভিল ড্রেসে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদেরকে আঘাত করে। আমার ভাইদের বিনা কারণে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। আমাদের অপরাধ কি? আমরা কোনো মামলার আসামি না তাহলে কেন আমাদের আটক করবে। আমরা সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলে আজকের এই মৌন মিছিলে এসেছিলাম।

    এ সময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন পুলিশদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের কাছে শিক্ষার্থীদেরকে আটক করার কোনো নথিপত্র নেই। সন্দেহের বশে কাউকে আটক করা অন্যায়। আপনারা এমনটা কখনোই করতে পারেন না। এর পরে যদি কোনো ছাত্রের গায়ে হাত পড়ে এবং আমার সহকর্মীদের গায়ে আঘাত লাগে, এটা কিন্তু আমরা মেনে নিব না। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, তাই বলে পুলিশ প্রশাসন ওপেন কোনো শিক্ষার্থীকে এভাবে তুলে নিতে পারে না। তাদের নামে কোনো মামলা নেই যে তারা আসামি। আপনারা আপনাদের কাজ করুন।

    এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, আমরা পুলিশ প্রশাসনকে ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করতে বলি। তবে যদি কোনো বহিরাগত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে তাহলে তারা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। বর্তমানে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় আমার শিক্ষার্থীরা বাসায় আছে। কোনো ছাত্রের হয়রানি হোক আমরা এমনটা কখনোই চাই না। আমরা জানতে পেরে সকল শিক্ষার্থীকে কাজলা গেইট পর্যন্ত নিয়ে গাড়িতে তুলে দিয়েছি।

  • খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার: আসিফ নজরুল

    খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার: আসিফ নজরুল

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতা নিহতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক শেহরীন আমিনকে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তিন দফা সমাবেশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

    বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ১০টায় লোকপ্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অর্থনীতি বিভাগ সমাবেশ করে। সবার শেষে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশের ব্যানারে আরেকটি সমাবেশ হয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় সবাই বৃষ্টিতে ভিজে কর্মসূচি পালন করেছেন। প্রথম দিকে শিক্ষকরা ছাতা নিয়ে দাঁড়ালেও এক শিক্ষক ‘শিক্ষার্থীদের রক্তের কাছে এ বৃষ্টি কিছুই না’ বক্তব্যের পর তারা ছাতা গুটিয়ে ফেলেন।

    এরপর শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৯ দফার প্রতি সংহতি জানিয়ে শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে শেষ করেন।

    শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘যে হাত ছাত্র মারে, সে হাত স্বৈরাচার’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, আমার বোনের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’—প্রভৃতি স্লোগান দেন।

    নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশের কর্মসূচিতে আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এ সরকার করবে না। কারণ সরকার নিজেই খুনি। আজকে খুনি বাহিনী-খুনি সংগঠনকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। খুনি খুনির বিচার করবে না। খুনের বিচারকে ভিন্ন খাতে বইয়ে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

    তিনি বলেন, পৃথিবীতে গণহত্যার পর গণহত্যার সংখ্যা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এই সরকার গণহত্যা করার পর গণহত্যার শিকারদের আবার গণহত্যার জন্য দায়ী করে গ্রেপ্তার করছে। ধিক্কার জানাই এই সরকারকে।

    বাংলাদেশের বুকে গুলি করা হচ্ছে মন্তব্য করে আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের ছাত্রদের অনিরাপদ রেখে আমরা শান্তিতে বসে থাকব না। আমাদের অস্তিত্বে আঘাত হানা হয়েছে। দেশের বুকে গুলি করা হয়েছে। তরুণ হচ্ছে বাংলাদেশের হৃদয় এই হৃদয়কে আঘাত করা হবে। আমরা চুপচাপ মেনে নেব। এটা যেন সরকার না ভাবে। আজকে দাবি এসেছে সরকারের পদত্যাগের, খুনের বিচার না করতে পারলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে না পারলে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে।

    আসিফ নজরুল বলেন, চোখের সামনে দেখলাম পুলিশের ইউনিফর্ম পরে গুলি করা হচ্ছে, ভিডিও দেখলাম, আবু সাঈদকে কিভাবে গুলি করা হচ্ছে। যুবলীগ ছাত্রলীগের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। অথচ আমাদের ছাত্ররা নাকি মারা গেছে সন্ত্রাসীদের গুলিতে। বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে। আজকে পত্রিকা খুললে দেখবেন।

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, গত ৫৪ বছরের শাসনামলে মিথ্যার ঢিবি তৈরি করেছি। যেখানে উন্নয়ন চেতনার মিথ্যার খোলস দেওয়া থাকে। এগুলো ভেঙে পড়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলনের বিকাশ ঘটিয়েছিল, সেটা সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে।

    পপুলেশনস সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, আজকে পুলিশ আমার শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরেছে। তাকে কথা বলতে দিচ্ছে না। এই বাংলাদেশ কি আমরা দেখতে চেয়েছি। আমরা মানবাধিকারের কথা বলি, উন্নয়নের কথা বলি—অথচ প্রতিনিয়ত আমাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। আমাদের সহকর্মীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। কেন আবু সাইদের বুকে স্পষ্ট গুলি করে মারা হলো। অথচ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার গণতন্ত্র-মানবাধিকার কোথায় গেল?

    কর্মসূচিগুলোতে আরও বক্তব্য দেন লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নাজনীন ইসলাম, অধ্যাপক ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, অধ্যাপক সাদিক হাসান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক সেলিম রায়হান, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান মাসুদা ইয়াসমীন, ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বায়েজিদ ইসলাম কিশোর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশরেফা অদিতি হক প্রমুখ।

  • শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করলেন লায়লা সেঁজুতি এমপি

    শোকের মাস আগষ্ট উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মাসব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট ২০২৪) বিকালে পুরাতন সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা ও রাজারবাগান ঋষিপাড়া কালি মন্দির চত্বরে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি।
    এসময় সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি বলেন, এই মাসে ষড়যন্ত্র করে জাতির পিতার পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়। এই মাসেই প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। আগস্ট মাসকে সামনে রেখে সেই চক্রটি আবারও ষড়য়ন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাই দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সকলকে ঐক্যবন্ধ হতে হবে।
    তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী দল হিসেবে আজ জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা আত্মগোপনে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র করতে পারে। দেশকে পিছিয়ে দিতে নতুন করে ধ্বংস যোগ্য চালাতে পারে। সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. হ. ম তারিক উদ্দীন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা, সুব্রত ঘোষ, নারী নেত্রী মেহেরুন আফরোজ, রাজার বাগান ঋষিপাড়া কালি মন্দিরের সভাপতি প্রকাশ দাস, সহ-সভাপতি বিশ^জিৎ দাস, সাধারণ সম্পাদক মিলন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল দাস, অর্থ সম্পাদক বসু দাস, পুরাতন সাতক্ষীরার আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ আক্তারুজ্জামান, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মোহাদ্দেস সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা সির্জাুল ইসলাম, প্রভাষক ইকবল হোসেন ও প্রভাষক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

  • ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি দিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

    ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে ‘বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ’। এই সময়ের মধ্যে মুক্তি না দিলে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

    মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আলটিমেটাম ঘোষণা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

    তিনি বলেন, ‘ডিবি কার্যালয়ে তথাকথিত নিরাপত্তার নামে আটকে রাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে। ডিবি কর্তৃপক্ষকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে তাদের যদি নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে নাগরিকদের নিয়ে ডিবি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন থেকে আরও কঠোর আন্দোলন করব।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জাতিকে, এ দেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঘটনায় আমরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। আমি নিজে বিব্রতবোধ করছি। স্বাধীনতার পর ’৭১-এর মতো সহিংসতা আর অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হবে– এটা ভাবনায় ছিল না। অথচ স্বাধীনতার চেতনাই হচ্ছে বৈষম্যহীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এটা করতে না পারার দায় আমাদের নিতে হবে।’

    বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা, গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মরিয়া হয়ে উঠেছে। নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। এসব সংবিধান অনুযায়ী বেআইনি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিলের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব ঘটনার নিন্দা, ধিক্কার জানানোর উপযুক্ত ভাষা আমাদের জানা নেই।  এই বিপুল প্রাণহানির দায় প্রধানত সরকারের।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আজকে শোক দিবস পালন করেন। জাতির সঙ্গে রসিকতা করেন? নাশকতার নামে ১০ হাজার গ্রেপ্তার করেছেন। আড়াই লাখ আসামি। হত্যা মামলায় কতজনকে গ্রেপ্তার করেছেন? পত্রিকায়-ফুটেজে দেখেছি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের হাতে অস্ত্র। ইউনিফর্ম পরা পুলিশ। সবাই চিহ্নিত। জ্বলন্ত প্রমাণ। এর পরও তো কাউকে দেখিনি গ্রেপ্তার করতে? নাশকতা কারা করেছে, আমরা তো এখনও প্রমাণ পাইনি। অথচ হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার করে ফেলেছেন। যেটার প্রমাণ রয়েছে, সেটির জন্য কাউকে ধরেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন যা ঘটেছে তা সবই সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আজকে আন্দোলন হচ্ছে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে। এ দাবি অমূলক নয়।’

    ১১ দফা দাবি পেশ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা যে পদেই থাকুক না কেন এবং রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক, তাদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ, র্যা ব, আনসার, বিজিবি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মী যারা গুলি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও স্বচ্ছ তদন্ত ও সঠিক বিচার হতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি হত্যাকাণ্ড এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র ব্যবহার এবং বল প্রয়োগ বিষয়ে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ বিশেষজ্ঞের অধীনে স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের দাবি জানান তারা। অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও দাবি জানান বক্তারা।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা ও মানবাধিকারকর্মী শিরীন হক।

  • বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    বিশেষ বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী

    চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সংঘাত-সহিংসতার পর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছেন সাত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে এ বৈঠক শুরু হয়।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত রয়েছেন।

    এছাড়া বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব/ সিনিয়র, পুলিশ মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালকসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।

    সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা হয়। এতে সরকারি হিসাবে পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৫০ জন (বেসরকারি হিসাবে দুই শতাধিক) নিহত হয়েছেন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা-সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে ২১ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হয় অফিস।

    সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। জোটটি মনে করে আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও নাশকতায় বিএনপি, জামায়াত ও শিবির জড়িত। মঙ্গলবার দুপুরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বুধবারের মধ্যে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।

    সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ বৈঠকে আন্দোলন পরিস্থিতি, কারফিউ তুলে দেওয়া, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

  • তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন শেখ হাসিনা 

    জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণহানির ঘটনার সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্তে ‘বিদেশি কারিগরি সহায়তা’ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  একই সঙ্গে তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তার আগ্রহকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

    মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

    পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের যে জুডিসিয়াল ইনকোয়ারি (তদন্ত) কমিটি (গঠিত হয়েছে), তাদের সুষ্ঠু ইনকোয়ারি করার জন্য, তাদের ইনকোয়ারিটা যেন খুব উচ্চমানের হয় এজন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।’

    তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, ‘এরইমধ্যে জাতিসংঘের সঙ্গে সহযোগিতার (সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনকে সহায়তা) ব্যাপারে যোগাযোগও হয়েছে। যোগাযোগ বলতে জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে, বাংলাদেশও তার ব্যাপারে উৎসাহ দেখিয়েছে।’

    জার্মান রাষ্ট্রদূত উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে তারা (জার্মান) দৃঢ় আশাবাদী যে একটা ইন্ডিপেনডেন্ট (স্বাধীন) ইনভেস্টিগেশন (তদন্ত) হবে। যারা দুর্বৃত্ত তারা চিহ্নিত হবে এবং তাদের বিচার হবে।’

    রাষ্ট্রদূতকে উদ্বৃত করে প্রেসসচিব বলেন, ‘যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের ব্যাপারে জার্মানির কোনো সিমপ্যাথি (সহানুভূতি) নেই।’

    নাঈমুল ইসলাম খান জানান, বৈঠকের শুরুতে জার্মান রাষ্ট্রদূত সাম্প্রতিক সহিংসতায় জীবনহানির ঘটনায় বাংলাদেশ যে দেশব্যাপী শোক পালন করছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে শোক ও সমবেদনা জানান।

    জার্মান বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোস্টারকে উদ্বৃত করে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘জার্মানি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক এবং এখনো তারা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকবে।’

    দুই দেশের ঐতিহ্যবাহী ও বিদ্যমান সুসম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময় থেকে জার্মানির সঙ্গে বন্ধুত্ব এবং জার্মানির বেশ কিছু পরিবার বাংলাদেশের যুদ্ধ শিশুকে দত্তক নিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সে কথা স্মরণ করেন।’

    ভিসা প্রক্রিয়ার ধীরগতি প্রসঙ্গে আলাপের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব বলেন, ‘জার্মান রাষ্ট্রদূত তাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় শ্লথতার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, গুড উইলের (সুনামের) কমতির জন্য এটা হচ্ছে না। তাদের (জার্মান দূতাবাস) সক্ষমতা ও সম্পদের সীমাবদ্ধতার কারণে এটা হচ্ছে।’

    সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

  • জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ  উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 

    জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ  উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরায় মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত 

    “ভরবো মাছে  মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা ও সমৃদ্ধি অর্জনে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩০ জুলাই)  বেলা ১১ টায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তার  সম্মেলন কক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর সাতক্ষীরার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অফিস সাতক্ষীরার  সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. হাদিউজ্জামান, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা  মো. শফিকুল ইসলাম, এল্লারচর চিংড়ী চাষ প্রদর্শনী খামারের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. নুরে আলম, সখিপুর দেবহাটার মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের খামার ব্যবস্থাপক মো. আওছাফুর রহমান, ফিল্ড এ্যাসিট্যান্ট আরিফ বিল্লাহ,জেলা মৎস্যজীবীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জিল্লুর রহমান,মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের এম এফ ও রবিউল ইসলাম । এছাড়া এসময়  জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের মৎস্য ব্যবসায়ী ও প্রিন্ট মিডিয়ার  সাংবাদিকবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন। সভায়  জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, যারা মৎস্য বিষয়ে অভিজ্ঞ তাদের নিয়ে কর্মপরিকল্পনা  করতে হবে। কিভাবে মৎস্য বিভাগকে এগিয়ে নেওয়া যায় সেটা নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে।  সাতক্ষীরায় লোনা পানি আর্শিবাদ হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।আর যদি কাজে না লাগানো যায় তাহলে লোনা পানি হবে অভিশাপ । তিনি আরো বলেন, নিরাপদ মৎস্য খাদ্য ও নিরাপদ মাছ উৎপাদন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। গলদা পিএল সংকট নিরসন করা, প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবেলা, অপরিকল্পিত ঘের ব্যবস্থাপনা পরিহার করতে হবে। চাষিদের সমস্যা সমাধানে মৎস্য বিভাগের জনবল সংকট নিরসন করতে হবে। তবেই দেশে স্মার্ট মাছ চাষ গড়ে উঠতে ভূমিকা রাখবে।