Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 76 of 82

Author: Hasan

  • ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

    ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপ্লেক্সে ন্যাক্কারজনক হামলার
    প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টায়
    সাতক্ষীরার কর্মরত সাংবাদিকদের আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে এ
    কর্মসূচি পালিত হয়।
    এতে বক্তারা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কমপেক্সে হামলার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে
    গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, মিডিয়ার উপর হামলা হলে জাতির চতুর্থ
    স্থম্ভ ভেঙ্গে পড়বে।
    দুর্বৃত্তরা বার বার গণমাধ্যমকে টার্গেট করছে। বিগত সরকারের সময়ে
    যেখানে কোনো গণমাধ্যম দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাহসের সাথে
    লিখতে পারেনি, সেখানে কালের কণ্ঠ সাবেক আইজিপি বেনজীরের দুর্নীতি
    ও অপকর্মের তথ্য তুলে ধরে জাতির সামনে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার তুলে ধরতে
    সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এখন সেই কালেরকণ্ঠ আক্রান্ত, বাংলাদেশ প্রতিদিন
    আক্রান্ত, বাংলানিউজসহ ৭ টি মিডিয়া আক্রান্ত। যে কেনো মূল্যে
    গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে। অবিলম্বে হামলাকারীদের
    গ্রেপ্তার করতে হবে।
    গত ১৯ আগষ্ট রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইস্টওয়েন্ট মিডিয়া
    গ্রুপে হামলা করে দূর্বত্তরা। তারা কালেরকণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, রেডিও
    ক্যাপিটাল, বাংলানিউজ, নিউজ টুয়েন্টিফোর, ডেইলি সান, টি
    স্পোর্টর্সে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এসময় সংবাদকর্মীদের মারধর করা হয়। এ
    ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ চলছে।
    উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট সাতক্ষীরার দৈনিক কালের চিত্র ও দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায়
    দৃর্বৃত্তরা অগ্নি সংযোগ করে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে
    আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করে আগামীতে এধরণের ঘটনার
    পূবরাবৃত্তি হলে সাংবাদিকরা কঠোর কর্মসূচি পারল করবে বলেও হুশিয়ার করা
    হয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ও অংশ নেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ
    সম্পাদক আব্দুল বারী, ও মাছ রাঙা টিভি ও আমাদের সময়ের মোস্তাফিজুর
    রহমান উজ্জল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাসেম, কালেরকণ্ঠের মোশাররফ
    হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মনিরুল ইসলাম মনি, বণিক বার্তার
    গোলাম সরোয়ার, দৈনিক তথ্যের সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন,
    বাংলানিউজের শেখ তানজির আহমেদ, এখন টিভির আহসান রাজীব,

    এনটিভির এসএম জিন্নাহ, গ্লোবাল টিভির রাহাত রাজা, তাজমিনুর
    রহমান টুটুলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীরা।#

  • আশাশুনিতে খনন কাজ উদ্বোধন করলেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আজহারুল ইসলাম মন্টু

    আশাশুনির বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের দীর্ঘ তিন বছর ধরে জলাবদ্ধতার কারণে আমন চাষ বঞ্চিত হাওয়ায় জলাবদ্ধতা থেকে নিরসনের লক্ষ্যে খনন কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের কালকীর স্লইচ গেটের সামনে কপোতাক্ষ নদীর খনন কাজ উদ্বোধন করা হয়। খনন কাজ উদ্বোধন কালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক ও বড়দল ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ আজহারুল ইসলাম মন্টু। তিনি বলেন, দীর্ঘ তিন বছর জলাবদ্ধতার শিকার ছিল বাইনতলা, ফটিকখালী, খালিয়া, পিরোজপুর, রাউতাড়া, গজুয়াকাটিসহ ১০ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার বিঘা জমির ফসল থেকে বঞ্চিত মানুষ। জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের শত শত সাধারণ জনগনের সাথে নিয়ে স্কেভেটার মেশিন দিয়ে মাটি খননের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ হলে সাধারণ মানুষ জলবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে ও আমন চাষ করতে পারবে।
    তিনি আরো বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমান সাধারণ জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারই অংশ হিসাবে গত ৫ তারিখ থেকে সাধারণ মানুষের সাথে আছি এবং নির্যাতিত নিপীড়ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন বড়দল ইউপি সদস্য দেবব্রত কুমার মন্ডল, খাজরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সদস্য সচিব ইউনুস আলী, ইউপি সদস্য হাসমত আলী, রবিউল ইসলাম, খাজরা বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম রবি, বড়দল বিএনপি নেতা কালাম মোল‍্যা সহ দুই ইউনিয়নের শতাধিক ভুক্তভোগী জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
  • আশাশুনি বুড়িয়ায় দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ও ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত  

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনিতে আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রূহের মাগফেরাত কামনা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে বুড়িয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বুড়িয়া যুব কমিটির আয়োজনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন মসজিদের ইমাম আজমল হোসাইন। এসময় উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ও ও ইউনিয়ন-বিএনপি’র আহবায়ক মোঃ আজহারুল ইসলাম মন্টু, মাওলানা আহসান উল্লাহ, মসজিদের সভাপতি শাহীন সানা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন ফকির, যুব কমিটির সকল সদস্য ও মসজিদের মুসল্লী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে তাবারক বিতরণ করা হয়।
  • শিক্ষার্থী থেকে অন্তর্বর্তী সরকারে, প্রশংসায় ভাসছেন নাহিদ ও আসিফ

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক ছিলেন মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। এরপর তাদের আনন্দোলন রুপ নেয় সরকার পতনের একদফায়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জনতাও যোগ দিলে আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার৷

    ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা এই সরকারে জায়গা পেয়েছেন নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ। আর এই খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সর্বত্র প্রশংসায় ভাসছেন নাহিদ ও আসিফ।

    রুকাইয়া জেসমিন নামের একজন তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নাহিদ আমাদের দক্ষিণ বনশ্রী খিলগাঁও এর গর্ব।। ইনশাল্লাহ, নাহিদ বড় হয়ে ভালো কিছু করবে দেশের জন্য।’ সমন্বয়ক সারজিস আলম লেখেন, ‘অভিনন্দন তরুণ প্রজন্ম।’ এছাড়াও আরো অনেকে তাদের ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ও আসিফতে শুভেচ্ছা জানান।

    অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্য ১৬ জন সদস্যের মধ্যে আছেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, শারমিন মুর্শিদ, ফারুকী আযম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, সুপ্রদীপ চাকমা, বিধান রঞ্জন, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, ফরিদা আখতার, নুরজাহান বেগম, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি)।

     

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে যে দুজন ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন তাদের খোঁজ নিয়ে তাদের পরিবার ও শিক্ষা সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা গিয়েছে।

     

    নাহিদ ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী৷ থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে। সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন৷ বাবার নাম বদরুল ইসলাম জামির। নাহিদের স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার বাড্ডা এলাকার বেরাইদ ইউনিয়নে। বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে থাকেন রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায়। তিনি একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (আসিফ মাহমুদ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। ভর্তি হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে। নাখালপাড়া হোসাইন আলী হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। বাবার নাম মো. বিল্লাল হোসেন। আসিফ মাহমুদের স্থায়ী ঠিকানা কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলায়। তিনি বর্তমানে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

  • শপথ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস ও উপদেষ্টা পরিষদ

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টায় বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ বাক্য পাঠ করান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।

    প্রধান উপদেষ্টার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নির্বাচন পযবেক্ষক শারমিন মুর্শিদ,  সাবেক নির্বাচন কমিশনার বি. জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন, ইসলামি চিন্তাবিদ আ ফ ম খালিদ হাসান, উন্নয়নকর্মী ফরিদা আখতার, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরজাহান বেগম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া শপথ দেন।

    তবে ঢাকার বাইরে থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকী আজম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা, চিকিৎসক বিধান রঞ্জন শপথ নিতে পারেনি।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্ঠাদের শপথ অনুষ্ঠানে কোটা বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টায় ১৪ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় ।

    এর আগে  বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকাল থেকেই বঙ্গভবনে হাজারো উৎসুক জনতা ভিড় করেন। ড . ইউনূস বঙ্গভবনে আসলে বাইরে অপেক্ষমাণ জনতা তাকে অভিবাদন জানান ও স্লোগান দেন। তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যদের প্রটোকলে রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তিনি সেখানে প্রবেশ করেন।

    এই অনুষ্ঠানে রাজনীতিক, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিকসহ সরকারি ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে সবধরণের রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা জেলার সব থেকে বড় এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষপ্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে সবধরণের রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসকে রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণা দিয়ে কলেজের প্রধান ফটকে একটি ব্যানার টানিয়ে দেন।

    ক্যাম্পাসকে রাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণাকালে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ভ‚গোল ও পরিবেশ বিভাগের ফাইনাল ইয়ারের শিক্ষার্থী মোঃ তানজিদুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র অপরাজনীতি এবং সন্ত্রাসবাদের কারণেই আমাদের দেশে এতগুলো ছাত্র ও সাধারণ মানুষের জীবন গেল। আমাদের ক্যাম্পাসে অসংখ্য সাধারণ শিক্ষার্থী ইতিপূর্বে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতাদের দ্বারা হয়রাণি এবং হামলার শিকার হয়েছে। এখন অনেক রক্ত এবং ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে আমাদের দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তাই সদ্য স্বাধীন এই দেশে ছাত্ররাজনীতির নামে সাধারণ ছাত্রদের উপর নিপিড়ন আমরা কোন ভাবেই মানবো না। এজন্য আজ থেকে আমাদের কলেজ ক্যাম্পাসকে সব ধরণের ছাত্র রাজনীতি এবং সন্ত্রাসবাদমুক্ত ঘোষণা করা হলো।

    এদিকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজকে ছাত্ররাজনীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত ঘোষণা করায় সাদুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

  • সহিংসতায় সাতক্ষীরায় মৃত্যুর সংখ্যা -১৪

    • কারাগারের ফটক ভেঙে পালিয়ে যাওয়া আসামীরা আবার জেলখানায় ফিরতে শুরু করেছে

    • ৫টি থানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, আরো-৫ জনের মৃত্যু

    • শেখ হাসিনার পদত্যাগকে কেন্দ্র করে রাতে সহিংসতায় সাতক্ষীরার একজন সাংসদ, দুটি পত্রিকা অফিস, দুইজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ কমপক্ষে ৫০টির বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ১০জনকে কুপিয়ে জখম

    আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সোমবার রাত ১০টার পর থেকে পরবর্তী ২০ ঘণ্টায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ, দুইজন ইউপি চেয়ারম্যান, দুটি পত্রিকা অফিস, কমপক্ষে ৫টি থানা, একজন চিকিৎসকের বাড়ি, আওয়ামীলীগ সভাপতিসহ কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর , লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলায় পাঁচজন নিহত ও কমপক্ষে ১০জন জখম হয়েছেন। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী গ্রামের রাফেল সরদারের ছেলে আসাফুর রহমান(৫০), মৃগিডাঙা গ্রামের সাবেক ্সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন(২৭),একই গ্রামের তেজামউদ্দিনের চেলে মুকুল হোসেন(৩৪), আব্দুল গফুরের চেলে ফারুক হোসেন সান্টু (৪০), ঘোনা গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(২৯)।
    একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার দলীয় নেতাকর্মী ও তাদের বাড়িতে সোমবার রাত ১০টার পর থেকে নতুন করে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা সংরক্ষিত নারী সাংসদ লায়লা পারভিন সেঁজুতির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে একটি মোটর সাইকেলসহ দৈনিক পত্রদূত পত্রিকা অফিসে আগুণ লাগিয়ে দেয়। পরে তার ব্যবহৃত নতুন নোহা গাড়িটি বাইপাস সড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়। প্রায় একই সময় দুর্বৃত্তরা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় দৈনিক কালের চিত্র অফিসে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে। তবে খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড এলেও তাদেরকে আগুন নিভাতে দেওয়া হয়নি। রসুলপুরের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আজিজুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর ও লুট্পাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাঙচুর করা হয় শহরের আলবারাকা মার্কেটে। একইভাবে ধুলিহর বাজারে ডাঃ দীনেশ দত্তের ফার্মেসি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। থানা থেকে পুলিশ চলে যাওয়ার সূযোগে মামলা থাকার পরও প্রতিপক্ষ কালিপদ দাসের ছেলে সরোজিৎ কুমার দাস ও রণজিৎ কুমার দাস ৩০/৪০ জন ভাড়াটিয় সন্ত্রাসী নিয়ে সোমাবর সকাল ৬টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত দেবনগরের অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক নিরঞ্জন দাসের বাড়ির প্রাচীর ভেঙে, ১১টি আমগাছ, মেগহণি গাছ, নারিকেল গাছ কেটে জোর করে ইট দিয়ে বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়েছে। বাধা দেওয়ায় নিরঞ্জন দাস ও তার স্ত্রীকে মারপিট করা হয়েছে।
    সোমবার রাতে সদর থানায় আন্দোলনকারিরা দফায় দফায় হামলা চালায়। করা হয় অগ্নিসংযোগ। এ সময় পুলিশ শূন্যে কয়েক রাউ- গুলি ছোঁড়ে। এরপরও হামলাকারিরা থানায় থাকা কমপক্ষে ৭০ টি মটর সাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। থানার ভবন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তদন্ত ওসির কক্ষ, উপপরিদর্শকদের বসার কক্ষ ডিউটি অফিসারের কক্ষ, ব্রাকসহ কমপক্ষে সাতটি কক্ষ ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এরপর একটি কক্ষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। একইভাবে শ্যামনগর থানায়ও ভাঙচুর, লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তালা থানার মধ্যে দুটি মটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও দুটি মটর সাইকেল লুট করা হয়। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় কলারোয়া ও আশাশুনি থানায়। এ ছাড়া দেবহাটা, কালিগঞ্জ ও পাটকেলঘাটায় হামলার আতঙ্কে পুলিশ কর্মকর্তারা থানা ছেড়ে চলে যায়। নামমাত্র দুই তিনজন সিপাহী ওইসব তিন থানার ভিতরে তালা মেরে অবস্থান করছেন।
    এদিকে সোমবার গভীর রাতে কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জীর বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় পুড়ে জখম হয় তার প্রতিবন্ধী বোন রমা মুখার্জী। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ওই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজা’র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রতনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমের বাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। লুটপাট শেষে আগুন দেওয়া হয় রতনপুর বাজারের জুয়েলারী ব্যবসায়ি খোকন দত্তের দোকান। একই উপজেলার শ্রীধরকাটি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সিদ্দীকুর রহমানের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। রাত সোয়া ১১টার দিকে দক্ষিণ শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোবিন্দ চন্দ্র ম-লের বাড়ি, বিষ্ণপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক সনৎ গাইনের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ভাাড়সিমলা ইউপি সদস্য বরুন কুমার ঘোষের চাউলের গুদাম “মা লক্ষী ভা-ার” এ লুট করা হয়। ভাংচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয় শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান অসীম মৃধা, বুড়িগোয়ালিনীর ডালিম ঘরামী, ভবতোষ মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান অসীম কুমার জোয়ারদার, কদমতলার সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম, মলয় রপ্তান, উৎপল জোয়ারদার, হরিনগর বাজারের অসীম ম-লের কসমেটিকস দোকান, নিরঞ্জন ম-লের ম্যাকানিকের দোকান, মোস্তফার চায়ের দোকান, কলবাড়ি বাজারের কার্তিক ম-ল ও বলাই ম-লের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। সদর ইউনিয়নের চিংড়িখালি গ্রামের দেবদাস এর বাড়ি থেকে টাকা, সোনার গহনা ও মটর সাইকেল লুটপাট করা হয়। চিংড়িখালি দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রামপদ ম-লের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে উঠানে আগুন জ্বালানো হয়। ফুলবাড়ি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য রামপদ এর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক তিলকুড়া গ্রামের ফারুক হোসেন রতনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান ও নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ওরফে সাহেব আলীর অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিক মাহামুদুল হাসান শাওনের সখীপুরের ব্যবসা প্রতিষ।ঠান ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। মঙ্গলবার দুপুর ২ টোর দিকে শ্যামনগরের রমজাননগর গ্রামের হরিপদ বর্মন ও তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুন বর্মনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট শেষে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করা
    হয়। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
    পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত ১০টায় সদর উপজেলার মৃগীডাঙা গ্রামের জাহিদ, মুকুল, ফারুক ও ঘোনা গ্রামের সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মুকুলের বাড়ি গোলা থেকে থান ও চাল লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় মারাত্মক জখম হয় মৃগীডাঙা গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও মোস্তফা কামাল। তালা উপজেলার কুমিরায় কমপক্ষে ২০টি হিন্দুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয়। এছাড়া বাড়ি ভাংচুর না করার শর্তে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এ ছাড়া শেখেরহাট, মাগুরা বাজার, খেজুরবুনিয়া ও খলিলনগর বাজারসহ কয়েকটি বাজারের ১০ জনেরও বেশি হিন্দু ব্যবসায়িদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করা হয়।সোমবার রাতে তালা উপজেলার মাগুরা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আটঘরা গ্রামের রামপ্রসাদ দাস, জালালপুর ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক রায়, শ্রীমন্তকাটি গ্রামের মিন্টু ও সন্টু দাসের কাপড়ের দোকান, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি মেহেদী হাসানের রড সিমেন্টের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়। জালালপুর বাজারের ফাম্মেষী মালিক জেলা পরিষদ সদস্য ইন্দ্রজিৎ দাসের পানের বরজ তার কেটে ফেলে দেওয়া হয়।
    এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় জেলখানা থেকে চলে যাওয়ার সময় আসামী ও কারা কর্তৃপক্ষের সাথে হাতাহাতিতে কমপক্ষে ৫৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন জেলর হাসনা জাহান বিথীসহ ২১ জন কারারক্ষী ও কর্মকর্তা। এসময় দুর্বৃত্তরা শতাধিক কারারক্ষীর রেশন, পিসি কার্ডের টাকা ও ক্যান্টিনের ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা লুটপাট করে। তবে চলে যাওয়া ৫৯৬ জন আসামীর মধ্যে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার আসামী কলারোয়ার সোহাগ, রকিব, নাশকতা মামলার আসামী সদরের মৃগিডাঙার ইসমাইল হোসেনসহ দুই শতাধিক আসামী মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে আবার কারাগারে ফিরে এসেছে। সোমবার রাতে সাতক্ষীরা কারাফটকের পাশে সুমাইয়া স্টোর্স ও আওয়াল স্টোর্স ভাঙচুর করে আন্দোলনকারিরা তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে। তবে শহরের জীবনযাত্রা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। যানবাহন চলছে কম। মঙ্গলবার রাতেও অনেকেই সহিংসতার আশংকা করছেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আদালতে দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে প্রতিপক্ষের দারা লাঞ্ছিত হয়েছেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. মিজানুর রহমান। তবে অনেকেই বর্তমান প্রেক্ষাপটে আদালতে যাননি। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে আলীপুরের বাঁকাল এলাকার কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায় রউফ বাহিনীর সদস্যরা। ঝাউডাঙার সাংবাদিক দৈনিক পত্রদূতের মনিরুল ইসলাম মনিকে জনৈক হাসান মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে ছুরি নিয়ে দুই বার জীবননাশের হুমকি দিয়েছে।
    মঙ্গলবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক ইমরান হোসেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, তারা রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার পূর্ন সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী জেলায় সংখ্যালঘু সহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার সাথে সাধারন ছাত্র আন্দোলনকারীদের কোন সম্পর্ক নেই।
    প্রসঙ্গত: শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী সহিংসতার সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত আশাশুনির প্রতাপনগরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন , ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকিরের ভাইপো সজীব, ভাগ্নে আশিক, গাড়ি চালক শাহীনুর রহমান, দেহরক্ষী শাকের আহম্মেদ, হাফেজ আনাস, আলম, আদম আলী নিহত হন। ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল সহ কমপক্ষে ৩০টি স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নেভাতে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো-১৪।

  • প্রিলিমিনারি হিটেই বাদ ইমরানুর

    পদকের স্বপ্ন কেউ দেখেননি বাংলাদেশের দ্রুততম মানব ইমরানুর রহমানকে নিয়ে। সবার প্রত্যাশা ছিল প্যারিস অলিম্পিকে লন্ডন প্রবাসী এই অ্যাথলেট অন্তত হিটের প্রিলিমিনারি রাউন্ড টপকিয়ে প্রথম রাউন্ডে উঠবেন। সে আশায় গুঁড়েবালি। ইমরানুর বিদায় নিয়েছেন প্রিলিমিনারি হিট থেকেই।

    শনিবার ১০০ মিটার স্প্রিন্টের প্রিলিমিনারিতে ১০.৭৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজের হিটে ৮ জনের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। এই হিট থেকে প্রথম রাউন্ডে কোয়ালিফাই করা পানামার অ্যাথলেটের টাইমিং ১০.৩৪ ও সিশেলসের অ্যাথলেটের টাইমিং ১০.৫১।

    প্রিলিমিনারি ৬ হিটের শীর্ষ দুই জন করে এবং সবার টাইমিং মিলিয়ে আরো ৪ জন উঠেছেন প্রথম পর্বে। প্রিলিমিনারি হিট থেকে ওঠা ১৬ নম্বর অ্যাথলেটের টাইমিং ১০.৫৪।

    প্রিলিমিনারি হিটে ছিলেন মালদ্বীপের অ্যাথলেট ইবাদুল্লাহ। নিজের হিটে তিনি সময় নিয়েছেন বাংলাদেশের ইমরানুর রহমানের চেয়ে কম (১০.৫৫)। সাউথ এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের পদক জয়ের সম্ভাবনাও যে উঁকি দেয়নি ইমরানুরের পারফরম্যান্সে।

    নিজের সেরা টাইমিং ছিল ১০.১১ সেকেন্ড। অথচ অলিম্পিকে করলে বাজে পারফরম্যান্স। এমন টাইমিংয়ের পর হয়তো ইমরানকে নিয়ে মোহ ভাঙ্গবেন বাংলাদেশের ক্রীড়া সংগঠকদের।

  • টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা শহরে জলাবদ্ধতা পানি বন্দী  হাজারও পরিবার

    শ্রাবনের মুষলধরায়  সপ্তাহবাপী টানা  বৃষ্টিতেই সাতক্ষীরা শহরে জলাবদ্ধতা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন  হাজারের  অধিক পরিবার ,  পানি সরানোর জন্য সাতক্ষীরা পৌরসভা  কর্তৃপক্ষ  এখনো পর্যন্ত কোন ব্যাবস্হা গ্রহন করেন নি, চরম ভোগান্তিতে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ।  জলাবদ্ধতা দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, যেন শহরের ভিতর উপকূলীয় অঞ্চলের স্বাদ।
    সাতক্ষীরার অন্যতম প্রধান সড়ক সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস  মোড়, জেলা পরিষদ মোড় হইতে বাসটার্মিনাল খুলনা রোড়   প্রতিদিন হাজার হাজার  মানুষের চলাচল। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলেই যেন রাস্তা আর সাগরের মধ্যে তফাৎ পাওয়া যায় না। পাশে ড্রেনের কালো, দুর্গন্ধযুক্ত পানি আর বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে রাস্তার পাশে ঢেউ খেলছে।
    এদিকে, সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। হাল্কা বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া এটা এখন আর নতুন কিছু নয়। মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। এতে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন পৌরবাসী।
    টানা কয়েকদিন বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ পথচারী।
    সরেজমিন সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান, মুন্সীপাড়া, মুনজিতপুর, কাটিয়া, সুলতানপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। অনেকের বাড়ির উঠানেও জমেছে পানি।
    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠসংলগ্ন এলাকার মিজানুর রহমান  বলেন, বৃষ্টিতে কলেজ মাঠসহ কলেজ-পুরাতন সাতক্ষীরা সড়ক তলিয়ে গেছে। একে তো সড়কটি চলাচলের অযোগ্য, তার ওপর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষজন। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থা যে, চলাচল করতে গিয়ে মানুষ দুর্ঘটনার শিকারও হতে পারেন। নর্দমার পানি এত নোংরা যে, পানি মাড়িয়ে রাস্তা পার হলে পায়ে চুলকানি হয়ে যাচ্ছে সঙ্গে সঙ্গে।
    কামালনগরের বাবু জানান, তাদের এলাকাতেও পানি জমে গেছে। ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। নিষ্কাশনের কোনো পথ নেই। রাস্তার ওপর পানি জমেছে। প্রতিবছরই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। পৌর কর্তৃপক্ষের যেন কোনো দায় নেই!
    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভায় কার্যকর কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। তার ওপর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!
    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) শেখ ফিরোজ হাসান বলেন, পৌরসভায় বড় কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায় না। সামান্য যে বরাদ্দ আসে এবং পৌরসভার নিজস্ব কিছু আয় থেকে মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেন সংস্কার করা হচ্ছে। তবে সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাস হয়েছে। শিগগিরই সড়কের কাজ এবং ড্রেনেজ কাজ শুরু হবে।
    সাতক্ষীরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, কয়েকদিনে এই  পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
  • সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’ বাতিল

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত পেনশন স্কিম বাতিল ঘোষণা করেছেন।

    শনিবার দুপুরে গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

    এবছরে জুনের মাঝামাঝি সময়ে সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম ‘প্রত্যয়’-এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে আন্দোলনের ঘোষণা দেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাদের দাবি ছিল—সর্বজনীন পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা।

    জুনের মধ্যে দাবি না মানলে ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান তারা। সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয় তাদের আন্দোলনের ফলে।

    এরই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই বিকালে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

    চলতি অর্থবছরের প্রথম দিন ১ জুলাই থেকেই সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করে। এর আগে গত ২ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সমাজের সব স্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এর আলোকে সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়।

  • আবারো সাধারণ ছুটি ঘোষণা সম্পর্কে যা জানালেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী

    অসহযোগ কর্মসূচির ডাক এর পরিপ্রেক্ষিতে আবারো সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য সাধারণ ছুটি আসবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    শনিবার (৩ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

    তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার নিয়ে আমাদের একটি নির্দেশনা ছিল। তবে রোববার থেকে কীভাবে অফিস চলবে সে বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। হয়তো কিছুক্ষণ পর আমরা এ বিষয়ে জানাতে পারবো।’

    এদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের জরুরি বৈঠক চলছে। সন্ধ্যা ৭টার পর বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানাতে ব্রিফ করা হবে। এ সময় কারফিউ এবং অফিস টাইমের বিষয়ে জানা যেতে পারে বলে সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে।

    এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে ২১ থেকে ২৩ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর অফিস আদালত স্বল্প পরিসরে খুলে দেয়া হয়। গত সপ্তাহের রোববার (২৮ জুলাই) থেকে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই); এই তিন দিন সরকারি ও বেসরকারি অফিস চলেছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। আর বুধবার (৩১ জুলাই) ও বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অফিস চালু ছিল।

  • ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান পদচ্যুত

    ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর প্রধান মহাপরিচালক নিতিন আগারওয়াল এবং তার সহকারী বিশেষ মহাপরিচালক (পশ্চিম) ওয়াই বি খুরানিয়াকে পদচ্যুত করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

    শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই দুইজনকে বিএসএফ থেকে সরিয়ে দেয়। খবর এনডিটিভির

    তাদের দুজনকেই নিজস্ব রাষ্ট্র ক্যাডারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। নিতিন আগারওয়াল ১৯৮৯ ব্যাচের কেরালা ক্যাডার অফিসার। অপরদিকে ওয়াই বি খুরানিয়া উড়িশা ১৯৯০ ব্যাচের কর্মকর্তা।

    আগারওয়ালকে গত বছরের জুনে বিএসএফ প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করে দেশটির সরকার। তার সহযোগী খুরানিয়া পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েনকৃত বিএসএফ সদস্যদের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

    ভারতের মন্ত্রীসভার নিয়োগ কমিটি জানিয়েছে এ দুজনকে ‘এই মুহূর্ত থেকে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই’ পদচ্যুত করা হয়েছে।

  • ‘অসহযোগ আন্দোলন’ সফলের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ নির্দেশনা

    কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে আজ শনিবার দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ মিছিল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল রোববার ‘অসহযোগ আন্দোলন’। এ আন্দোলন সফল করতে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জারি করেছে বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা।

    শনিবার দুপুর ২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ফেসবুকে এসব নির্দেশনা দিয়ে পোস্ট দেন।

    নির্দেশনাগুলো হলো-

    ১. কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না।
    ২. বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না।
    ৩. সব ধরনের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
    ৪. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
    ৫. প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
    ৬. সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন।
    ৭. বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দিবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না।
    ৮. দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাই বোনেরা কাজে যাবেন না।
    ৯. গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকরা কেউ কাজে যাবেন না।
    ১০. জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাংকগুলো খোলা থাকবে।
    ১১. পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ব্যতিত কোনো ধরনের প্রটোকল, রায়ট ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
    ১২. দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্রানজেকশন বন্ধ থাকবে।
    ১৩. বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌ-বাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
    ১৪. আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না।
    ১৫. বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো-রুম, বিপনি-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।

    হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহণ সেবা চালু থাকবে।

    নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

  • রংপুরে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত

    রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় অপেশাদার আচরণের কারণে এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে বরখাস্ত করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এএসআই আমীর হোসেন রংপুর পুলিশ লাইন্সে এবং কনস্টেবল সুজন তাজহাট থানায় কর্মরত ছিলেন।

    আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।

    তিনি জানান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ওই দু’জনের অপেশাদার আচরণ প্রমাণিত হয়েছে, যার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আবু সাঈদের সুরতহাল, সেদিনের ভিডিও, ছবি এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখছে। ওই ঘটনায় আরও কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মিছিলের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পরে আন্দোলনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে রংপুরসহ গোটা দেশজুড়ে। রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে নিহত আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

  • কোটা আন্দোলনে আহত আরও একজনের মৃত্যু

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে আহত আরও এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। মো. ইমন (১৭) নামের এই কিশোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।

    এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘিরে ১৬ থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সংঘর্ষ-সংঘাতের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১৩ জন। ওই সময়ই আহত হয়েছিলেন ইমন। আজ তাঁর মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে এ সংখ্যা দাঁড়াল ২১৪ জন। এ ছাড়া গতকাল শুক্রবার আন্দোলন ঘিরে আরও দুজন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো ২১৬ জনের।

  • সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঘোষণা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজার হাজার মানুষের সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এই ঘোষণা দেন।

    বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নাহিদ ইসলাম মাইকে সমবেত মানুষের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা এক দফা দাবির সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। এক দফাটি হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ এই সরকারের পতন ও ফ্যাসিবাদের বিলোপ।’

    নাহিদ আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে আমরা খুব দ্রুতই ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা আমরা সবার সামনে হাজির করব৷’

    ‘শুধু শেখ হাসিনা নয়, মন্ত্রিসভাসহ পুরো সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে৷ এই ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ করতে হবে৷ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, এমন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনো কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র-ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে না পারে৷’—বলেন নাহিদ।

    যে স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়ে গেছে, তার সঙ্গে মানুষকে যোগ দেওয়া এবং পাড়ায়-পাড়ায়, মহল্লায়-মহল্লায় সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান নাহিদ। তিনি কাল থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণাটিও তুলে ধরেন।

    সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এরপর আন্দোলন আরও বেগবান হয়। পরবর্তীতে সংঘর্ষ ও সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন হতাহতের ঘটনায় ৯ দফা দাবি দিয়েছিল। এবার এক দফা দাবি তুলে ধরা হলো। আজ শহীদ মিনারে সামনের সারিতে অন্তত ছয়জন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও আবদুল কাদের। তাঁদের মধ্যে নাহিদসহ তিনজন বক্তব্য দেন।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করে। রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আজকের কর্মসূচিতে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় একত্রিত হয়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

    শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত প্রথম আলোর তিনজন প্রতিবেদক জানান, আজ শনিবার বেলা আড়াইটার পর থেকে দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময় যত গড়াতে থাকে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই।

    শহীদ মিনার ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ সমবেত হয়েছেন। ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে।

    এর আগে সকালে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান আওয়ামী লীগ ও ১৪-দলীয় জোটের নেতারা।

    আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকে তিনজনকে আলোচনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও মাহবুব উল আলম হানিফ।

    দলীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকেও আলোচনায় থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, সমন্বয়কদের সঙ্গে তাঁদের এখনো যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ করা হবে।

    তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।

  • বেহাল সড়ক আর জলাবদ্ধতায় নাকাল সাতক্ষীরা পৌরবাসি

    প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে সাতক্ষীরা পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ সড়ক জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে । বিশেষ করে সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় থেকে সরকারি কলেজ হয়ে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা পর্যন্ত সড়কটির পিচ উঠে গিয়ে খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে অনেক আগেই। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পৌরবাসীরকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। এছাড়া সড়কটি খানাখন্দে পরিণত হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাটো সড়ক দুর্ঘটনা।

    শহরের পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের দাবিতে ইতিপূর্বে কয়েকবার মানববন্ধন করেছে জেলা নাগরিক কমিটি। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিতে সড়কটির অধিকাংশ স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ। সেখানে জলাবদ্ধতায় নাকানিচুবানি খাচ্ছে পথচারী সাধারণ মানুষ। চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

    শুধু সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোড নয়, এই রোডের মতো পৌরসভার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ রোডই খানা-খন্দে পরিণত হয়েছে। চলাচলের অযোগ্য পড়েছে পুরাতন সাতক্ষীরা থেকে বাগানবাড়ি হয়ে ঘুড্ডির ডাঙ্গি পর্যন্ত সড়কটি। একই সাথে সাতক্ষীরা ডে-নাইট কলেজ মোড় থেকে চালতেতলা বাজার, চালতেতলা বাজার থেকে কুখরালি, বাঙালের মোড় থেকে গড়েরকান্দা, গড়েরকান্দা থেকে কুখরালি, পুরাতন সাতক্ষীরার হরিতলার মোড় থেকে সুলতানপুর আবুলের মোড়, হরিতলা থেকে বাটকেখালি মেঝমিয়ার মোড় পর্যন্ত রাস্তায় একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া শহরের কামালনগর, ইটাগাছা, পলাশপোল, মুনজিতপুর, সুলতানপুর, মেহেদীবাগ, বদ্দিপুর, কাটিয়া, রসুলপুরসহ প্রত্যেকটি এলাকার অভ্যন্তরীণ অধিকাংশ সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ । এসব সড়কগুলির পিচের আস্তরণ উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে পরিণত হয়েছে খানা-খন্দে। রাস্তার যখন এই দশা তখন শ্রাবণের বৃষ্টি নাগরিকদের জীবনে এনে দিয়েছে আরেকদফা দুর্ভোগ।

    এদিকে মৌসুমের স্বাভাবিক বৃষ্টিতেই সাতক্ষীরা শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বেহাল সড়ক আর জলাবদ্ধতায় নাকাল পৌরবাসি। বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শতশত পরিবার। পানি নিষ্কাশনে সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে কোন ব্যবস্থা গ্রহণের আলামত দেখা যায়নি। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সচিব আলী নূর খান বাবুল পৌরবাসির দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সাতক্ষীরার অন্যতম প্রধান সড়ক সাতক্ষীরা সার্কিট হাউস মোড়, জেলা পরিষদ মোড় হতে বাসটার্মিনাল খুলনা রোড়, সার্কিট হাউস মোড় থেকে এসপি বাংলো মোড় পর্যন্ত সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল এসব অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হলেই যেন রাস্তা আর সাগরের মধ্যে তফাৎ পাওয়া যায় না। পাশে ড্রেনের কালো, দুর্গন্ধযুক্ত পানি আর বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে রাস্তার পাশে ঢেউ খেলছে। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছেন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি সাধারণ জনগণ।

    পৌরসভার আভ্যন্তরীণ সড়কের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে সিপিবি নেতা কমরেড আবুল হোসেন বলেন, সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও নেই কোনো পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। হাল্কা বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। এতে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন পৌরবাসী।

    কলেজ শিক্ষক ইদ্রিস আলী বলেন, টানা কয়েকদিনের স্বাভাবিক বৃষ্টিতে শহরের অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পৌরসভার প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ পানিতে থৈথৈ করছে। শহরের কামালনগর এলাকায় অপরিকল্পিত মৎস্য ঘেরের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের পথ। এতে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ পথচারী। পানি নিষ্কাশনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। অনেকের বাড়ির উঠানেও জমেছে পানি।

    বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠসহ সড়ক তলিয়ে গেছে। একে তো সড়কটি চলাচলের অযোগ্য, তার ওপর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন মানুষজন। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

    কামালনগর এলাকার অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ পলাশ জানান, তাদের এলাকাতেও পানি জমে গেছে। ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। নিষ্কাশনের কোনো পথ নেই। রাস্তার ওপর পানি জমেছে। প্রতিবছরই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, দিন আসে দিন যায়, বদলায় অনেক কিছু। শুধু বদলায় না সাতক্ষীরার পৌরবাসির দুর্ভোগের চিত্র।

    সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভায় কার্যকর কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। তার ওপর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!

    এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) ফিরোজ হাসান বলেন, পৌরসভায় বড় কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায় না। সামান্য যে বরাদ্দ আসে এবং পৌরসভার নিজস্ব কিছু আয় থেকে মাঝে-মধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ড্রেন সংস্কার করা হচ্ছে। তবে সাড়ে ৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ হয়েছে। শিগগিরই সড়কের কাজ এবং ড্রেনেজ কাজ শুরু হবে।