আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের আসন্ন ভারত সফর। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। দুই টেস্টের পাশাপাশি তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে টাইগারদের। সম্প্রতি পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে টেস্টে হোয়াটওয়াশ করে দারুণ ছন্দে রয়েছে নাজমুল শান্তর দল।
Author: Hasan
-

সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
শাহ জাহান আলী মিটন,শহর প্রতিনিধি :সাতক্ষীরায় তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন ঢাকা’র আয়োজনে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের কোরাইশী ফুডপার্কের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন’র ডিরেক্টর এম এম রবিউল ইসলাম’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন’র ডিরেক্টর হাফেয আ খ ম মাসুম বিল্লাহ।মাহবুব আল মিছবাহ’র সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মো. আজিজুর রহমান,মাওলানা রুহুল আমীন, পরিচালনা কমিটির সদস্য কাজী আব্দুল্লাহ আল ফারুক,তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা খুলনা শাখার প্রিন্সিপাল ইনচার্জ আব্দুল মমিন,হুফ্ফাজুল কুরআন সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি হাফেয মাওলানা আশরাফুজ্জামান, রুস্তম আলী, ইব্রাহীম খলিল,আবু ইসহাকসহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শুভাকাঙ্ক্ষী বৃন্দ। -
আশাশুনির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈদে মিলাদুুন্নবী (দঃ) পালিত
আশাশুনি উপজোলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, হামদ-নাত পরিবেশন, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) এঁর জীবনী নিয়ে আলোচনা, দোয়া মাহফিল ও তাবারক বিতরণ করা হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিম্নে দেওয়া হলো।বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুল ঃ প্রতিষ্ঠাতার ছেলে ও শিক্ষক প্রতিনিধি এস এম মাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহকারী অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, এনামুল হক, নিমাই চন্দ্র সানা, দীপঙ্কর কুমার সরকার, ভারপ্রাপ্ত সরকারি প্রধান শিক্ষক পবিত্র কুমার নন্দী, শিক্ষক প্রতিনিধি মানিক চন্দ্র মন্ডল সহ সকল শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক মাওলানা হাফিজুল ইসলাম।বুধহাটা কওছারিয়া দাখিল মাদ্রাসা ঃ ঈদে মীলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় মহানবী (দঃ) এর জীবনী নিয়ে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওঃ আবু আলা মওদুদী। হাফেজ মাওঃ রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় আলোচনা রাখেন, মাওঃ রহমত উল্লাহ, মাওঃ আঃ ওহাব, মাওঃ আঃ সালাম, মাওঃ কুতুব উদ্দীন, মাস্টার ইব্রাহিম খলিল। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওঃ আনারুল ইসলাম।আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঃ ঈদে মীলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষ্যে হামদ, নাত, কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোওয়া অনুষ্ঠান করা হয়। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সিনিঃ শিক্ষক আসিফ ইকবালের সঞ্চালনায় সভায় আলোচনা রাখেন, শিক্ষক আয়ুব আলী, সেলিনা আক্তার ও শিক্ষার্থী রাকিব নূর প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন মাওঃ আমান উল্লাহ আমান। -

আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
গত কয়েকদিনের অতি বর্ষণের ফলে আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে শত শত বিঘা জমির মৎস্য ঘের, খাল, বিল ও নীচু স্থানের ঘরবাড়ি।একটানা বৃষ্টিপাতের ফলে উপজেলা সদর, বড়দল, স্রীউলা, প্রতাপনগর, খাজরা, আনুলিয়া, শোভনালী, কাদাকাটি, দরগাহপুর, কুল্যা ও বুধহাটা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল বুধহাটা, নওয়াপাড়া, শ্বেতপুর, মহেশ্বরকাটি, কুল্যা ইউনিয়নের কুল্যা, গুনাকরকাটি, বাহাদুরপুর, আইতলা, মাদারবাড়ীয়া, দাদপুর, পুরোহিতপুর, আগরদাড়ী, কচুয়া, হামকুড়া এলাকা ঘুরে জানাগেছে এসব এলাকার বৃষ্টির পানি বেতনা নদীতে নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। গত বছর থেকে বেতনা নদী খনন কাজ শুরু হলে নদীতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদীর জোয়ার ভাটা বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ফলে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি নদীতে নিষ্কাশন করা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে সকল এলাকায়। মাটি দিয়ে তৈরী ঘর বাড়ি জলমগ্ন হয়ে ধসে পড়ায় অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছে। স্থানীয়রা তাদের ভিটাবাড়ি রক্ষার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

আশাশুনির কাদাকাটি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রশাসনের মতবিনিময়
আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে অতি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে এলাকার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসেন। সোমবার বিকালে ইউনিয়নের মোকামখালী স্লুইস গেটের কাছে এ মতবিনিময় সভা করা হয়।ইউনিয়নের কাদাকাটি, টেংরাখালী, তালবাড়িয়া, মিত্র তেতুলিয়া, জলাইখালী স্লুইস গেট, মোকামখালী স্লুইস গেট এলাকা পরিদর্শন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসেন। এসময় তিনি এলাকার সার্বিক খোজ খবর নেন। পরে মোকামকালী স্রুইস গেট পুনঃ নির্মান কাজের স্থান পরিদর্শন শেষে এলাকার সুধীজনের সাথে মতবিনিময় করেন। স্লুইস গেটটির নির্মান বাজ চলমান থাকায় পানি নিস্কাশন কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ জলমগ্নতা ও জরাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পেতে গেটেরর বাঁধ কেটে দিয়ে পানি নিস্কাশনের দাবী জানিয়ে আসছে। দাবীর প্রেক্ষিতে সরেজমিন অবস্থা দেখা ও মতবিনিময় করা হয়। মতবিনিময়কালে কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান : শুনে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। -

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দী প্রায় ২০০ পরিবার
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি খালে নেটপাটা দিয়ে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত করায় মাড়িয়ালা ও হাজরাখালি গ্রামের প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ পরিবারের রান্নাঘর ও লেট্রিন পানিতে ডুবে থাকায় এসব পরিবারের সদস্যদের দিন কাটছে চরম মানবেতর ভাবে। চারিদিকে থৈ থৈ পানিতে শিশুদের নিয়ে মায়েরা পড়েছে চরম বিপাকে। চোখের আড়াল হলেই ঘটতে পারে মর্মান্তিক কোন দুর্ঘটনা।হাজরাখালি গ্রামের মৃত বাবর আলী সানার ছেলে রেজাউল করিম, নওশের আলী গাজী, ইদ্রিস গাজী, আব্দুল মান্নান, আবুল কাসেম, আতিয়ার গাজী, গফফার সরদার, সিদ্দিক সরদার, রহিম জোয়ার্দার, রেজাউল জোয়ার্দার, করিম জোয়ার্দার সহ ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২০ সালে প্রলয়ংকরি আম্ফানে হাজরাখালি খেয়াঘাট সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। দীর্ঘ দিন জোয়ার ভাটার স্রোতে হাজরাখালি ও মাড়িয়ালা গ্রামের শতাধিক বসত ঘরবাড়ি ভেঙে প্রায় দুই শত বিঘা জমি খালে পরিণত হয়। বিগত ৪ বছর ধরে পরিত্যক্ত এ সব জমিতে স্থানীয় অসহায় লোকজন মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। খালে কোন নেটপাটা না থাকায় পার্শ্ববর্তী জনৈক মিজান সাহেবের কলগৈ দিয়ে সহজেই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হয়ে যেতো।গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বকচর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন কয়েকজন জমির মালিকের কাছ থেকে ৩০ বিঘা খাল শ্রেণীর জমি ডিড নিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমি আটকে রেখেছেন। ২০ দিন আগে তিনি বাসা তৈরি করে এবং খালে নেটপাটা দিয়ে পানি নিস্কাশন ব্যহত করে চলেছেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তার লোকজন খাল দখলে এলে গ্রামবাসীর সাথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক মহিলার সাথে কথা বললে তারা জানান, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় লেট্রিন ও রান্নাঘর ডুবে আছে। রান্না খাওয়ার মতো বাথরুমে যেতেও সমস্যা হচ্ছে। চারিদিকে থৈ থৈ পানিতে বাচ্চাদের কোল থেকে নামিয়ে রাখতে সাহস পাচ্ছিনা। এর মধ্যে কেউ যদি খাল হয়ে যাওয়া বসত ভিটার পাশে ঘের করে তাহলে নিরাপত্তা বলতে কিছুই থাকবে না। তাই আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে বহিরাগতরা যাতে ঘের না করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৯৫ বিঘা জমির মালিক বিগত ৪ বছর ধরে জমি থেকে একটি টাকাও না পেয়ে আমার কাছে মৎস্য ঘের করার প্রস্তাব দিলে একাধিক জমির মালিকের কাছ থেকে আমি প্রায় ৭৫ বিঘা জমি ডিড নিয়ে মৎস্য ঘের করার প্রস্তুতি নিয়েছি। বাকিদের সাথে ডিড গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ২০ দিন আগে একটি বাসা নির্মাণ করে নেটপাটা দিয়েছি। পানি নিস্কাশনের দায়িত্ব মসজিদ কমিটির উপর ন্যাস্ত। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সব গ্রামের মতো হাজরাখালি ও মাড়িয়ালা গ্রামের নিন্মাঞ্চল তলিয়ে গেছে। একটি মহল প্রকৃত জমির মালিকদের বিগত ৪ বছরের মতো ক্ষতিগ্রস্ত করতে এলাকার সাধারণ মানুষকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ করে যাচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। -

শহরের পলাশপোলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মনসা পূজা অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরার পলাশপোলে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মা মনসা পূজা আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত পূণ্যার্থী সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোলের ঐতিহ্যবাহী গুড়পুকুর পাড়ের বটতলায় মা মনসা পূজায় অংশ নেন। সেখানে প্রবীণদের অংশগ্রহণে ভাসানগানের পালা অনুষ্ঠিত হয়। ভাসান গান ও লখিন্দরের পালা দেখতে ভিড় জমে বিভিন্ন বয়সী মানুষদের। সেখানেই হিন্দু নরনারীরা বটতলায় পূজা দেন। ভক্তরা অন্তরে লালিত মানতের প্রকাশ ঘটান। মনোবাসনা পূরণ করতে তারা যুক্ত হন প্রার্থনায়।এ পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের মতো এবারও মঙ্গলবার সকাল থেকে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন গুড়পুকর মনসাতলা মন্দির কমিটির সভাপতি ও পুরোহিত পরিতোষ চক্রবর্তী। এসময় সহকারী পুরোহিত হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পুরাহিত তাপস চক্রবর্তী ও পুরাহিত উজ্জ্বল ব্যানার্জী।গুড়পুকর মনসাতলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিলন রায় জানান, দিনব্যাপী এ পূজার আয়োজন ও উৎসবের আবহ অনেক বেশি সর্বজনীন করেছে। সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।গুড়পুকর মনসাতলা পূজা উদযাপন কমিটির আহবায়ক তপন হালদার জানান,এ বছর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মা মনসা পূজায় নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ পূজায় সকাল থেকে বিভিন্ন দোকানের পসরা ও সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখরিত গুড়পুকুর প্রাঙ্গণ ও মনসাতলা তথা বটতলা ছিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমজমাট। -

সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে
পুরস্কার বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায়
সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয়ের হলরুমে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল
ইসলাম টুকু’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন
সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার মুহা: আবুল খায়ের, সাতক্ষীরা
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের
সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. মতিউর রহমান, শিক্ষক
জি.এম আলতাফ হোসেন, শেখ মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে কোরআন তেলওয়াত প্রতিযোগিতা, হামদ/নাত ও কুইজ প্রতিযোগিতাসহ
বিভিন্ন উভেন্টে অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় সাতক্ষীরা সরকারি
উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাপশন : পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (স:) উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বিজয়ী
শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করছেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির
সভাপতি মোস্তাক আহমেদ। -

শ্যামনগরের সুজা মাহমুদ গংয়ের বিরুদ্ধে ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ
সরকার পরিবর্তনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সুজা মাহমুদ গংয়ের বিরুদ্ধে ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতলেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর গ্রামের মোঃ ছকিমুদ্দিন গাজীর ছেলে মোঃ মোকসেদ আলী গাজী এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ১৯৭৭ সালে শ্যামনগর মৌজায় এসএ খতিয়ান নং- নামজারী খতিয়ান নং- ১/১১৫, ১/২২, ১/২০ এর ৭৫৬,৭৫২, ৭৫৯, ৭৮১ ও ৭৫৭ দাগে মোট ৪ একর ৬ শতক সম্পত্তি সরকারের কাছ থেকে ভূমিহীনদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি। সেখানে উপজেলার ৪৩টি অসহায় ভূমিহীন পরিবার ঘরবাড়ি নির্মাণ করে মাথাগোজায় ঠাঁই পেয়েছে। অথচ নকিপুর গ্রামের মৃত সামছুদ্দীন গাজীর ছেলে সুজা মাহমুদ ওরফে সুজাউদ্দীন আহমেদ জাল কাগজপত্র সৃষ্টিকরে ওই ভূমিহীন পল্লী অবৈধভাবে দখলের পায়তারা করতে থাকে। ওই জাল কাগজপত্রের বুনিয়াদে সুজা মাহমুদ ৬২/২১ মামলা দায়ের করেন। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সুজা মাহমুদের কাগজপত্র জাল প্রমানিত হলে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারুক উল্টো সুজা মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতে জায়গা না পেয়ে সুজা মাহমুদ গং বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করে। ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে ভূমিহীন পল্লী দখলের পায়তারা চালাতে থাকে।
মোকসেদ আলী আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালায়নের পর উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক আপ্পু, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক হাফিজ আল আসাদ কল্লোলের নির্দেশে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ভূমিহীন পল্লীতে হামলা করে। সে সময় তারা অগ্নিসংযোগ করে বাড়িঘর জ¦ালিয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়।
তিনি বলেন, আমরা পরবর্তীতে জানতে পেরেছি যে, ভিপি জমির মালিক সুশান্ত চ্যাটার্জি নকিপুর গ্রামের সুজা মাহমুদের ছেলে মারুফের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দেন। মারুফ ওই টাকা বিএনপি নেতা জহুরুল হক আপ্পু ও হাফিজ আল আসাদ কল্লোলদের দিয়ে তাদের ম্যানেজ করে। টাকা পাওয়ার পর জহুরুল হক আপ্পু ও হাফিজ আল আসাদ কল্লোলের সন্ত্রাসী বাহিনী ওই ভূমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে ভূমিহীনদের উচ্ছেদের চেষ্টা করে। এরপরও তারা আমাদের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। যে কোন সময় সেখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন ভূমিহীন পরিবারগুলো।
তিনি অবিলম্বে ওই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক ভূমিহীন পল্লীতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন। -

সাতক্ষীরায় ধর্মীয় ভাবাগম্ভীর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মনষা ও বিশ্বকর্মা পূজা
সাতক্ষীরায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও
ধর্মীয় ভাবাগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম
ধর্মীয় উৎসব বিশ্বকর্মা ও সর্পদেবী মনসা পূজা অনুষ্ঠিত
হয়েছে। শহরের পলাশপোল মনষাতলা মন্দির কমিটির আয়োজনে
মঙ্গলবার সকালে শহরের পলাশপোলে গুড় পুকুর পাড়ের বটতলাস্থ মনষাতলায়
এই পূজা শুরু হয়। সকাল থেকে উপবাসে থাকা মায়ের এখানে মা
মনষাকে উদ্দেশ্যে দুধ ও কলা ও বাতাসা নিবেদন করেন। মনষা পূজা
উপলক্ষে পলাশপোল মোড়ে দূর দূরান্ত থেকে আসা দোকানিরা নানা
পশরা ও মিষ্টি মিটাই সাজিয়ে বসেছেন।
মনষা পূজায় পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন তাপস চক্রবর্তী।
সর্পদেবী মনষা ও বিশ্বকর্মা পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ১৭
সেপ্টেম্বর ও শেষ ভাদ্রে ঐতিহ্যবাহী গুড় পুকুরের মেলার উদ্বোধন করা
হয়। কিন্তু এ বছর গুড় পুকুর মেলার কোনো উদ্যোগ নেই সাতক্ষীরা
পৌরসভা কর্তৃপক্ষের।
এবারের পূজার দায়িত্বে থাকা পুরোহিত তাপস চক্রবর্তী জানান,
অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শেষ ভাদ্রে সংক্রান্তিতে দেবশিল্পী
বিশ্বকর্মার আশীর্বাদ কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মা মনষাকে
শিল্পসমূহের প্রশাসক, অলংকার শিল্পের স্রষ্টা হিসেবে ভক্তরা তার
কৃপা লাভের আশায় এখানে প্রার্থনা করতে আসেন। তিন
শতাধিক বছর ধরে এখানে এই মা মনষা পূজা ও বিশ্বকর্মা পূজা
অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। # সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাংÑ ১৭.০৯.২৪ -

বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই সেরা টেস্ট দল: হার্শা ভোগলে
টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান রোহিতদের বিপক্ষে কথা বললেও, এবারের সিরিজে শান্ত-সাকিবরা লড়াই করবে বলে মনে করেন জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশের স্কোয়াড নিয়ে আলোচনা করেছেন হার্শা ভোগলে। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন এটিই তাঁর দেখা বাংলাদেশের সেরা টেস্ট দল। ‘আমি খুবই খুশি যে ভারত আরও একবার বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
দুঃখজনকভাবে এই দেশটি খুব বেশি আমন্ত্রণ পায় না। ২০১০ এর পর থেকে বাংলাদেশ দল ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে যায়নি। আর অস্ট্রেলিয়া? অস্ট্রেলিয়া তাদেরকে কেবল একবার টেস্ট খেলতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, সেটাও ২০০৩ সালে, অফ সিজনে। তো খুবই খুশি যে ভারত তাঁদের দায়িত্ব পালন করছে, বাংলাদেশকে ভারতে ডেকে টেস্ট খেলছে।’
এটা যখন বলছি, তখন এটাও সত্য যে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে পালসটা বেশি থাকে না। এর আগে বাংলাদেশ যখন এসেছে তাঁরা সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেনি। তাঁরা ১৩ টেস্ট খেলেছে ভারতের সঙ্গে, কয়েক ম্যাচ ড্র করেছে বৃষ্টির বদান্যতায়, হেরেছে ১১ টিতেই। একটা ম্যাচ জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিল।
তবে আমি তাঁদের ম্যাচ শেষ করার তেমন ক্ষুধা দেখিনি। শেষবার তাঁরা যখন ২০১৯ এ পিংক বল টেস্ট খেলতে এল আমি আসলে তাঁদের লড়াই করার ক্ষুধা দেখিনি।
তিনি আরও বলেন, এসব মাথায় রেখেও আমি কেনো এবার বাংলাদেশের ভারতে আসা নিয়ে আগ্রহী? কারণ আমি সত্যিই বিশ্বাস করি যে অনেক অনেক দিন পর এটা তাদের সেরা টেস্ট দল যা আমি দেখেছি। এমনটা বলার পেছনে কারণও আছে।
বাংলাদেশকে সেরা বলার কারণ ব্যাখা দিয়ে হার্শা ভোগলে বলেন, প্রথম কারণ পেস। নাহিদ রানা সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে উঠে আসা অন্যতম উদীয়মান বোলার। আপনি যখনই সত্যিকারের পেস দেখবেন, আপনি বিমোহিত হবেন।
আমরা দেখেছি তাকে অনেক ভালো পাকিস্তানি ব্যাটারদের বিপদে ফেলতে। হাসান মাহমুদ সেখানে উইকেট তুলে নিয়েছে। মনে করি তাসকিন আহমেদের শেষ সুযোগ তাঁকে প্রমাণ করার যে কেনো আমরা অনেকেই তাঁকে হাইলি রেট করি। তাঁদের ভালো ৩ গতিময় পেসার আছে।
তিনি আরও যোগ করে বলেন, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুজনই তৈরি আরও বড় দায়িত্ব নিতে। আমি জানি না সাকিব আর কতদিন খেলবে। তাঁর সময় শেষের পথে। মুশফিকুর রহিম এখনো দারুণ ব্যাটিং করছে। কিন্তু যদি এই দুজন সরে যান তাহলে লিটন ও মিরাজ তাঁদের যোগ্য রিপ্লেসমেন্ট।
এই সিরিজে উইকেট নিয়ে তিনি বলেন, আমি মনে করি না বাংলাদেশ ভারতে এমন উইকেট পাবে যা তাঁরা বাংলাদেশে পেয়ে অভ্যস্ত। ভারত তাদেরকে টার্নিং উইকেট দেবে না, কারণ তেমন হলে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য কমে যাবে। বাংলাদেশের সাকিব, তাইজুল, মিরাজ- তিন জন কোয়ালিটি ফিঙ্গার স্পিনার আছে। বাংলাদেশে টেস্ট ম্যাচে যেমনটা হয়েছিল এরপর ভারত এই সুযোগ নেবে বলে মনে হয় না। ভারত পেস সহায়ক উইকেট প্রস্তুত করলে অবাক হবেন না।
ভারত ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে, আমি বলব তারা স্পষ্ট ফেভারিট। আমি বাংলাদেশ দল থেকে লড়াই দেখতে চাইব যা পূর্বে দেখা যায়নি। বাংলাদেশ লড়াই করলে ভালো একটা টেস্ট সিরিজ হবে।
-

আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সরকারি ছুটি।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এক সময় গোটা আরব সমাজ অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ সময়কে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ।
এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন এই পৃথিবীতে।
বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রতিটি কথা ও কর্মই মানবজাতির জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে; প্রতিটি ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন; যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারি হিসেবে পথ দেখাবে।
-

অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁদের মধ্য থেকে বলা হচ্ছে, নতুন দল তৈরি করতে হবে। নতুন দল তৈরি করার কথা বললে জনগণ কীভাবে বুঝবে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?
‘দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট: উচ্চকক্ষের গঠন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘অবিলম্বে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে সুযোগ তৈরি করেছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার, আমাদের ব্যবস্থাকে জনগণ যেভাবে চায়, সেভাবে নিয়ে আসার। সেটা কি নস্যাৎ করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে? যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, এই সরকার যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকে যখন বলেন নতুন দল তৈরি করতে হবে, তখন বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। যদি বলেন, নতুন দল তৈরি করতে হবে, তাহলে জনগণ কী করে বুঝবে যে তাঁরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন?’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বেশ কিছু গোষ্ঠী বলতে শুরু করেছে যে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনির্দিষ্টকালে জন্য রাখা হোক। সমস্ত সংস্কার তারাই করুক। যে কোনো সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব নয়। সে জন্য নির্বাচিত সরকার প্রয়োজন।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের স্বৈরশাসনকে সহায়তাকারীরা এখনো প্রশাসনে রয়ে গেছেন, তাঁদের অপসারণ করতে হবে।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই করতে হবে। তবে সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে তাতে কোনো লাভ হবে না। সংবিধান সংস্কার ও শাসনব্যবস্থা মেরামত করতে হবে। যারা হত্যা করেছে, তাদের ক্ষমা করা যাবে না। বিচার করতে হবে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করতে হবে, সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। কোনটা আগে শুরু করা হবে, সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এবং তা কীভাবে টেকসই যায়, তা ভাবতে হবে। কারণ, অর্জন করলেও তা টিকিয়ে রাখা যায় না। যে সংস্কার না করলে এই আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে, সেটা নিয়ে আলোচনার করা দরকার।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্যসচিব আবু ইউসুফ সেলিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, সহসভাপতি মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া ও কে এম জাবির।
-

মেট্রোর দুই স্টেশন ১৩৮ কোটিতেই সংস্কার
চলতি বছরের ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় মেট্রোরেলের স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা স্টেশনের টিকিট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ সবকিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। সংস্কার করে বন্ধ থাকা স্টেশন দুটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেই উদ্যোগের ফলে আপাতত কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে পারে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর। আর মিরপুর-১০ স্টেশন চালু হতে আরও কয়েকমাস সময় লাগবে।
ওই ঘটনার পর তখন ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন সংস্কার করে চালু করতে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার মতো খরচ করতে হবে। কিন্তু বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দুটি স্টেশনের জন্য ১৩৮ কোটি টাকার বেশি লাগবে না।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, আগামী শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে চলতে পারে মেট্রোরেল। এটি শুরু হলো দেশের প্রথম বিদ্যুৎচালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল সপ্তাহে সাতদিনই চলাচল করবে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মোহাম্মদ আব্দুর রউফ বলেন, মেট্রোরেল আগামী ২০ তারিখে (শুক্রবার) চলবে এটা এখনো নিশ্চিত না। যদি সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে ১৮ তারিখ (বুধবার) সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হবে। আমাদের প্রস্তুতি আছে শুক্রবারে মেট্রোরেল চালানোর ঘোষণা এবং কাজীপাড়া স্টেশন চালু করার বিষয়টি। কিন্তু এখনো তারিখ ঠিক বলতে পারছি না।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা বজায় রেখে কাজীপাড়ায় এই মুহূর্তে শেষ সময়ের কাজগুলো চলছে। আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি চলছে। গতকালকে আমাদের ফাইনাল টেস্টিং হয়েছে, সেটা আমরা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। ক্লিয়ারেন্স আমরা সব পক্ষ থেকে পেয়েছি। টুকটাক কিছু বিষয় আছে সেগুলোর কাজ চলছে এই মুহূর্তে। এটাও সর্বোচ্চ ১৮ তারিখের মধ্যে হয়ে যাবে।
-

১৫ দিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৬ জনের
২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে আরও ২৬ জনের। এই নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ জনে। এর মধ্যে চলতি মাসের ১৫ দিনেই মারা গেছেন ৬ জন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মৃত ওই নারীর নাম মেরিনা আক্তার মুক্তা (৪৬)। শনিবার ডেঙ্গুজ্বর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন এ রোগী। ওইদিনই রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে মেরিনা আক্তার মুক্তার ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিন্ড্রোম (এআরডিএস) এবং হাইপোভোলেমিক শক এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোমের ও হাইপারটেনশন’র তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, ২ জন সীতাকুণ্ডের বিআইটিআইডি হাসপাতালে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন, ১ জন চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ও ৮ জন নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছরে চট্টগ্রামে মোট ৮২৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৭ জন মহানগরে এবং ৩৬১ জন উপজেলায়।
চলতি সেপ্টেম্বরের ১৫ দিনে ২৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া জানুয়ারিতে ৬৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৫ জন, মার্চে ২৮ জন, এপ্রিলে ১৮ জন, মে মাসে ১৭ জন, জুনে ৪১ জন এবং জুলাইয়ে ১৯৮ জন ও আগস্টে ২০২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরে মারা গেছেন ১১ জন। এদের মধ্যে ২ জন পুরুষ, ৭ জন নারী এবং ২ শিশু রয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ২০২১ সালে ২৭১ জন, ২০২২ সালে ৫ হাজার ৪৪৫ জন এবং ২০২৩ সালে ১৪ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। ২০২১ সালে ৫ জন, ২০২২ সালে ৪১ জন এবং ২০২৩ সালে ১০৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা যান।
-

সাতক্ষীরার বেতনা নদীর বেঁড়িবাধ ভেঙে নি¤œাঞ্চলের ৪০ গ্রাম প্লাবিত, ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি, জনজীবন বিপর্যস্ত,
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিনেরপোতা মহাশশ্মান সংলগ্ন
বেতনা নদীর প্রায় ৩০ ফুট বেঁড়িবাধ ভেঙে নি¤œাঞ্চলের
তিনটি ইউনিয়নের ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে
নিমজ্জিত হয়েছে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের
বিনেপোতা, রাজনগর, শিবনগর, এগারোআনি এবং তালা
উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের নিমতলা, রথখোলা,
কাপাসডাঙ্গা ও হরিন খোলার নি¤œাঞ্চল। এছাড়া গত তিন
দিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সাতক্ষীরার পৌর এলাকার
গদাইবিল, কামালনগর, ইটাগাছা, পলাশপোল,
মধুমোল্লারডাঙ্গী, রাজার বাগান, মুন্সীপাড়া, রথখোলা,
কাটিয়া, সুলতানপুর, বাঁকাল, খড়িবিলা, বদ্দিপুর কলোনীসহ
পৌরসভার বিভিন্ন স্থানের নি¤œাঞ্চল। বেঁড়িবাধ ভেঙে ও
টানা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও
ফসলি জমিসহ নি¤œাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকা। বেড়িবাধ
ভাঙন কবলিত এলাকায় সড়কের উপর জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা
গেছে স্থানীয়দের। এদিকে, বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে
পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। পানিতে তলিয়ে গেছে
আমন ধানের ক্ষেত। স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হচ্ছেন না।
এদিকে, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকুলীয়
উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনির জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ নিয়ে
আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী।
লাবসা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বিশ^নাথ মন্ডল জানান, বেতনা
নদীর বঁড়িবাধ ভেঙে সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের
বিনেরপোতা, রাজনগর, শিবনগর, এগারোআনি ও তালা
উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের নিমতলা, রথখোলা,
কাপাসডাঙ্গা ও হরিন খোলার নি¤œাঞ্চলের বিস্তির্ণ এলাকা
প্লাবিত হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার আনিছুর রহমান জানান,
অতিবৃষ্টিতে ভেসে গেছে ৫ হাজারের বেশি মৎস্য ঘের ও ৩
হাজারের বেশি পুকুর। ক্ষয় ক্ষতির পরিমান আরও বাড়তে পারে বলে
তিনি আরো জানান।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জুলফিকার আলী রিপন
জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে সাতক্ষীরায় গত তিন দিনে ২০৭
মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি বছরে এ
জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আগামিকাল মঙ্গলবার বিকেল
থেকে বৃষ্টিপাত কমতে পারে বলে তিনি আরো জানান।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী
মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে
বেতনা নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেঁড়িবাধের দুটি
স্থানে ভেঙে গেছে। যা মেরামতের জন্য বাঁশ ও জিও ব্যাগসহ
অন্যান্য সরঞ্জামাদি ম্যানেজ করা হয়েছে আবহাওয়া অনুকুলে
আসলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ শোয়াইব
আহম্মেদ জানান, গত তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে সদর উপজেলা
বিভিন্ন স্থানে পানির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু মৎস্য
ঘের পানিতে ভেসে গেছে। বেতনা নদীর বেঁড়িবাধ ভেঙে বেশ
কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে দ্রুত
সময়ের মধ্যে বেঁড়িবাধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে। ক্ষয়ক্ষতির
পরিমান এখন বলা যাচ্ছেনা। পরে এটা নিরুপন করা হবে। -

পাইকগাছায় পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা:) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল
পাইকগাছায় পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তানে সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন-র সভাপতিত্বে এবং ইউআরসি ইন্সট্রেক্টর ঈমান উদ্দীনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইফতেখারুল আলম শামীম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস, থানা অফিসার ইনচার্জ ওবাইদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রজ্ঞন সাহা, পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার, কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাস সহ আরও অনেকে। আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওঃ জালাল উদ্দীন। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে আদালত মসজিদে তাবারক বিতারণ করা হয়েছে। -

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমম্বয়কদের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমম্বয়কদের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপত্বি করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপি আহবায়ক এ্যাড.সৈয়দ ইফতেখার আলী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মো: রবিউল বাসার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিভাগীয় ছাত্র-জনতা মৈত্রী সফররত প্রতিনিধি দলের সমম্বয়ক মো: ওয়াহিদুজ্জামান,আকরাম হোসেন রাজ, আশরেফা খাতুন, আবু বকর খান, ফারহানা ফারিয়া, মইনুল ইসলাম, বিশ্বজিৎ দত্ত, তৌহিদুল ইসলাম শুভ, মো.বাবু খান, জান্নাতসহ সাতক্ষীরার সমম্বয়করা।সভায় সাতক্ষীরার সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন,দখলবাজী ও চাঁদাজীদের চিহিৃত করে ব্যবস্থা গ্রহন, মাদক নিমূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন, নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, জলবদ্ধাতা নিরসনে করনীয়সহ জেলার নানাবিধ সমস্যা চিহিৃত করে তার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। -

সাতক্ষীরা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত
সাতক্ষীরা জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্যাপন ২০২৪ উপলক্ষে সীরাতুন-নবী (সা.) শীর্ষক আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গ্রন্থাগার হলরুমে সহকারী লাইব্রেরিয়ান মো: জিয়ারুল ইসলাম’র সভাপতিত্বে ও লাইব্রেরি এ্যাসিসটেন্ট কিনা রাম কুমারের পরিচালনায় এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর মিডিয়া সেন্টারের পরিচালক মো. আনিছুর রহমান।এসময় প্রধান অতিথি বলেন, ‘মানবতার মুক্তির দূত মহানবী (সা.)কে আল্লাহ পাক বিশ্ব জগতের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। বিশ্ব নবীর শুভাগমন মানবজাতির জন্য রহমত স্বরূপ। পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন ও নবীর রেখে যাওয়া হাদিস মেনে জীবন যাপন করলে ইহকাল ও পরকালে মুক্তি পাওয়া যাবে। মহানবীর জীবনীর সব কিছু মেনে চলে সুন্দর জীবন গড়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া এসময় ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আজিজুল ইসলন,অফিস সহায়ক মোবাশ্বের হোসেন প্রমুখ। পরে মুসলিম উন্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন প্রধান অতিথি মোঃ আনিছুর রহমান ।