Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 70 of 82

Author: Hasan

  • ৫০ মাস বেতন পান না সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিকের ১৩ শিক্ষক

    ৫০ মাস বেতন পান না সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিকের ১৩ শিক্ষক

    নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৫০ মাস যাবৎ বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১৩ শিক্ষক। বাধ্য হয়ে বকেয়া বেতন প্রদানসহ চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পাদনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

    মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে ১২টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

    মানববন্ধনে সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (ট্রেক) এনভায়রনমেন্ট শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. মোসফেক আলী, প্রতিষ্ঠানটির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক মো.রায়হান কবির রনি, মো. মুমিনুল ইসলাম ও নিশিতা তাছনিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

    বক্তারা বলেন, কোনো বেতন ছাড়াই আমরা ১৩ জন শিক্ষক ৫০ মাস ধরে ক্লাস নিয়ে যাচ্ছি। এতদিন ধারদেনা করে চলতে হয়েছে। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে আমরা নিকট আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকেও টাকা ধার করতে পারছি না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। বৃদ্ধ বাবা-মা এবং সন্তানের ভরণপোষণের আর কোনো উপায়ই দেখছি না। অনেক শিক্ষকের শিশুসন্তানের দুধ কেনারও পয়সা নেই।

    বক্তারা আরও বলেন, বেতন বকেয়া ও বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষকরা বর্তমানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এভাবে বেতন বন্ধ থাকলে ক্লাস কীভাবে চলবে। তাই আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে ক্লাস যেন নিতে পারি সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    প্রসঙ্গত, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্পের (স্টেপ) শিক্ষক তারা। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সরকার এই শিক্ষকদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু স্থানান্তর না হওয়ায় ২০২০ সালের জুলাই থেকে তারা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।

  • দুর্গাপূজায় ভারত যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ

    দুর্গাপূজায় ভারত যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ

    সন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

    আদেশে বলা হয়, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন রপ্তাণিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্ধারিত শর্তাবলীপূরণ সাপেক্ষে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হলো।

    সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বরাবর (উপসচিব, রপ্তানি-২ শাখা, কক্ষ নং ১২৭, ভবন -৩, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা) আবেদন করতে বলা হয়েছে। এরপর আর আবেদন নেওয়া হবে না। তবে যারা আগে আবেদন করেছেন তাদের আর নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই।

    নতুন সরকার ভারতে ইলিশ রপ্তানি করবে কী না- এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত এল। সাধারণত ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে থাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তার আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে সুপারিশ আসতে হয়। তবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবার ভারতে ইলিশ রপ্তানি হবে না এমনটিই ইঙ্গিত দিয়েছিলো।

  • গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ করতে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল দরকার: ফরহাদ মজহার

    গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ করতে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল দরকার: ফরহাদ মজহার

    গণঅভ্যুত্থানকে পূর্ণ করার জন্য অবশ্যই তরুণদের একটা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার প্রয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন কবি, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এটাই দাঁড়াবে, আমরা চাই বা না চাই।’

    ‘বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লব: ২০০৭-২৪: শিক্ষাব্যবস্থা ও রাষ্ট্র সংস্কার করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার এ কথাগুলো বলেন। শনিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস।

    ফরহাদ মজহার বলেন, তরুণদের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের প্রত্যাশা বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো মেটাতে না পারলে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন। তরুণদের অধিকার আছে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার।

    তরুণদের উদ্দেশে ফরহাদ মজহার বলেন, একবার দল করব, একবার করব না- এই বিভ্রান্তিতে ভোগা ভুল। যদি দল করতে চান, অবশ্যই দল করবেন। কেন দল করবেন, সেটা সঠিকভাবে জনগণকে বোঝাতে হবে।

    নির্বাচন দেশের জন্য কোনো সমাধান নয় বলেও মনে করেন ফরহাদ মজহার। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সিস্টেমকে রেখে এখানে-ওখানে দু-একটা সংস্কার করে আবারও আওয়ামী লীগের মতো ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। এটা কিন্তু তরুণেরা গ্রহণ করবেন না।

    পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করা খুব সহজ মন্তব্য করে ফরহাদ মজহার বলেন, ‘ভারত নানাভাবে ইঙ্গিত দিচ্ছে। এর মধ্যে বাইরের উসকানি আছে। বাইরের উসকানিকে আমরা আগুনের মধ্যে তেল দিচ্ছি।’

    অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতেই সব শ্রেণি-পেশা ও গোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে আলাপ করলে পার্বত্য চট্টগ্রাম, আনসার বিদ্রোহ ও শ্রমিক বিদ্রোহের মতো ঘটনাগুলো ঘটত না বলেও মনে করেন ফরহাদ মজহার।

    নো ভ্যাট অন এডুকেশনের মুখপাত্র ফারুক আহমাদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন প্রমুখ।

  • কোন মানব রচিত মতবাদ দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে না-সাতক্ষীরায় জামায়াতের নায়েবে আমীর  মজিবুর রহমান

    কোন মানব রচিত মতবাদ দেশের ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারে না-সাতক্ষীরায় জামায়াতের নায়েবে আমীর  মজিবুর রহমান

    দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই ষড়যন্ত্রকারীদের অতি দ্রুত  চিহ্নিত করতে হবে-সাতক্ষীরায় জামায়াতের নায়েবে আমীর  মজিবুর রহমান
    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এম পি  অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, আমরা অতিতে  অনেক সরকার দেখেছি, অনেকে বিভিন্ন সংস্কার করেছেন, বিভিন্ন কর্মসূচি  নিয়েছেন, কিন্তু কোন কর্মসূচি মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি। আমারা বিশ্বাস করি,মানব রচিত মতবাদ ভূলে ভরা। এটা একটা ভূল মতবাদ। যতদিন এই মতবাদ নিয়ে যারা আন্দোলন করবে, বাজনীতি করবে,  তাদের দ্বারা দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠা কিছুতেই সম্ভব হবেনা। আল্লার সে মতবাদ, আল্লাহর দ্বীন  এটাই ইসলাম, এটাই হক, এটিই সঠিক,কোন ভুল এখানে নাই। এই নির্ভুল জীবন বিধান ইসলামী আইন যতদিন কায়েম না হবে ততদিন পর্যন্ত এ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। বাংলাদেশ  জামায়াতে ইসলামী,
     ইসলামী ছাত্র শিবির, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশানসহ আরো যারা কুরআনের আইন চাই তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাঁসি ফুটাতে হলে মানব রচিত মতবাদকে বাংলাদেশে জায়গা দেওয়া যাবে না। আমরা কুরআন, সুন্নার আইন বাংলাদেশে কায়েম  করবো ইনশাল্লাহ। প্রয়োজনে আমাদের জীবন শহীদ হয়ে যাবে,তবু  এদেশে কুরআন সুন্নার আইন চালু হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি আরো বলেন, বিগত জালিম সরকার সকল বিভাগে এমনকি মসজিদ কমিটিতে তাদের লোক বসিয়ে রেখেছে, এখন থেকে যারা নিয়মিত নামাজ পড়ে তাদেরকে আপনারা মসজিদ কমিটির সভাপতি করবেন। তিনি বর্তমান উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই ষড়যন্ত্রকারীদের অতি দ্রুত  চিহ্নিত করতে হবে। এবং সেখানে সৎ ও দেশপ্রেমিক জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
    শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর )দুপুর ১২ টার দিকে   আল আমিন ট্রাস্টে সাবেক এমপি কাজী শামসুর রহমান অডিটোরিয়ামে রুকনদের নিয়ে দিন ব্যাপি শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

     জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার আমির হাফেজ মাওলানা মুফতি  মুহাদ্দিস রবিউল বাশার’র সভাপতিত্বে

    ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি  হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক।

    সেক্রটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত রুকন শিক্ষা  শিবিরে উপস্থিত ছিলেন  সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, শেখ নুরুল হুদা,সহকারী সেক্রেটারী প্রফেসর ওবায়দুল্লাহ,প্রফেসর ওমর ফারুক, মাহবুবল আলম, জেলা কর্মপরিষদের এ্যাড.আব্দুস সুবহান মুকুল,ডা.মাহমুদুল হক, জামশেদ আলম, অফিস সেক্রেটারী রুহুল আমিন, মাওলানা ওসমান গনি, অধ্যাপক আব্দুল ওয়ারেছ, শহর আমির জাহিদুল ইসলাম, সেক্রটারী খোরশেদ আলম,সহকারী সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান, সদর আমীর মাওলানা শাহাদাত হোসেন, শহর ছাত্র শিবিরে  সভাপতি আল মামুন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমামুল হোসেন, ছাত্র নেতা হাবিবুর রহমান, আবু তালেব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
  • ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি নয়: সৌদি যুবরাজ

    ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি নয়: সৌদি যুবরাজ

    স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে না সৌদি আরব। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অপরাধেরও সমালোচনা করে একথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

    তিনি বলেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার নিরলস প্রচেষ্টা সৌদি আরব বন্ধ করবে না। আর আমরা অঙ্গীকার করছি, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক সৌদি আরব স্থাপন করবে না।

    বুধবার শুরা কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে যুবরাজ একথা বলেন। বাবা বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে কাউন্সিলে বার্ষিক এই বক্তব্য রাখেন তিনি। যুবরাজের ভাষণের আগে তার সামনে শপথ গ্রহণ করেন শুরা কাউন্সিলের সদস্যরা।

    যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা গত বছর অক্টোবরে গাজার হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে থমকে গেছে বলে এ বছরের শুরুর দিকে জানিয়েছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সূত্র।

    আর এখন সৌদি যুবরাজ যা বললেন, তাতে এমনই আভাসই পাওয়া যাচ্ছে যে, ইসরায়েল যুদ্ধ অবসান না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ওই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে না। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

  • ডিসির কাছে জবাবদিহি করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্তাদের

    ডিসির কাছে জবাবদিহি করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্তাদেরআগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। ছবি- সংগৃহীত

    আগামী দুই মাসের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়। তবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর জবাবদিহি করতে হবে।

    বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সকল জেলার জেলা প্রশাসকদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনা কর্মকর্তাদের। তারা প্রতিদিন কী কার্যক্রম চালালেন সে বিষয়ে ডিসিদের অবহিত করতে হবে। এ বিষয়ে আজই জেলা প্রশাসক ও
    ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা পাওয়া সেনাকর্মকর্তাদের কাছে এ নির্দেশনা পৌছাতে পারে।

    এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পরবর্তী ৬০ দিনের জন্য এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সারা দেশে প্রয়োগ করতে পারবেন। ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী দুই মাসের (৬০ দিন) জন্য এই ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে।

    সেনাবাহিনীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ‘ফৌজদারি কার্যবিধির, ১৮৯৮’ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারবেন বলে জানা গেছে।

  • করোনার অতি-সংক্রামক নতুন ধরন শনাক্ত, দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে, বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা

    করোনার অতি-সংক্রামক নতুন ধরন শনাক্ত, দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে, বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা

    করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক নতুন একটি ধরন  হলো  এক্সইসি

    করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক নতুন একটি ধরন  হলো  এক্সইসি।  এই ধরনটি খুব দ্রুতগতিতে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় গোটা বিশ্ব। এদিকে  এক্সইসি নামের এই ভ্যারিয়েন্টটি শিগগিরই শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে বলে সতর্কবার্তা করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন ধরনটি করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপগোত্রীয়। তবে এক্সইসি ধরনে নতুন করে রূপান্তর ঘটেছে। এর ফলে চলতি শরতে ইউরোপে করোনার নতুন এই ধরনের ব্যাপক বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে করোনার টিকা এই ধরনকে প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

    করোনার আগের উপ-ধরন ওমিক্রনের কেএস.১.১ এবং কেপি.৩.৩ এর মিশ্রণে শঙ্কর ধরনে রূপ নিয়েছে এক্সইসি। বর্তমানে ইউরোপজুড়ে এই ধরনের সংক্রমণের ব্যাপক আধিপত্য দেখা গেছে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনার নতুন ওই ধরনটি গত জুনে জার্মানিতে প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট বলছে, করোনার নতুন ধরনটি এখন পর্যন্ত পোল্যান্ড, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, পর্তুগাল এবং চীনসহ অন্তত ২৭টি দেশের ৫০০ নমুনায় শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ডেনমার্ক, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং নেদারল্যান্ডসে এই ধরনের প্রকোপ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

    ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেনেটিক্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ফ্রাঁসোয়া ব্যালোক্স বিবিসিকে বলেছেন, সাম্প্রতিক অন্যান্য কোভিড-১৯ ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় এক্সইসি ভ্যারিয়েন্ট মানুষের মাঝে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর সক্ষমতাবিশিষ্ট। শীতকালে এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে উচ্চগতি দেখা যেতে পারে। তবে আশার কথা হলো- করোনার ভ্যাকসিনগুলো এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুরক্ষা দিতে পারবে।

    যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপস রিসার্চ ট্রান্সলেশনাল ইনস্টিটিউটের পরিচালক এরিক টোপোল বলেছেন, এক্সইসির সংক্রমণ মাত্র শুরু হচ্ছে। ব্যাপক সংক্রমণ শুরু হওয়ার আগে নতুন এই ধরনটি কয়েক মাস সময় নিতে পারে।

    সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি

  • জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে

    জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে

    জাতিসংঘ

    জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে (ইজিডিআই) বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে। ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ও ই-পার্টিসিপেশন সূচক প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। এতে দুটি সূচকেই বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এ সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    সূচক বলছে, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে (ইজিডিআই) বাংলাদেশ ১১ ধাপ এগিয়েছে। এছাড়া ই-পার্টিসিপেশন সূচকেও পাঁচ ধাপ উন্ন হয়েছে বাংলাদেশের। দুই দশক তথা ২০০৩ সালের পর ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশে এবার সর্বোচ্চ (০.৬৫৭০) অর্জন করেছে।

    জাতিসংঘের এ সূচকে দেখা গেছে, বিশ্বের ১৯৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ১০০ তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১১ তম। এছাড়া ২০২০ সালে বাংলাদেশ সূচকে ১১৯তম অবস্থানে ছিল।

    ইজিডিআই ছাড়াও ই-পার্টিসিপেশন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে এ সূচকে বাংলাদেশ ৭০তম অবস্থানে রয়েছে। ২০২২ সালে এ সূচকে ৭৫ তম অবস্থান ছিল। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে এ বছর সর্বোচ্চ ইজিডিআই মান অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

    ইজিডিআই ইনডেক্স সব সদস্য রাষ্ট্রের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট মূল্যায়নে বিভিন্ন প্রকাশনা এবং অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন সেবার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। এছাড়া এতে শগুলোর অনলাইনে সেবা প্রদান, আইন ও পলিসি কাঠামো, ই-পার্টিসিপেশনের অবস্থার পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো এবং হিউম্যান ক্যাপিটালকেও মূল্যায়ন করা হয়।

    ২০২৪ সালের ইজিডিআই সূচকে শীর্ষ অবস্থারে রয়েছে ডেনমার্ক। এরপর রয়েছে এস্তোনিয়া এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এ তালিকায় ভারত ৯৭তম এবং মিয়ানমার ১৩৮তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ ৬৯৪তম, শ্রীলংকা ৯৮তম, ভুটান ১০৩তম আর নেপাল ১১৯তম অবস্থানে রয়েছে।

  • হাসিনার ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ আজ

    ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ আজ, কী ঘটবে হাসিনার ভাগ্যে? 

    সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  কূটনৈতিক পাসপোর্টে তিনি দেশ ছাড়াতে  ভারতে বৈধভাবে ৪৫ দিন অবস্থান করতে পারবেন। তার এ ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ ফলে তার ভাগ্যে আসলে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

    সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনে ভারতে থাকবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, কূটনৈতিক পাসপোর্টে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    এতে বলা হয়েছে, কোনো কোনো মহলের ধারণা হয়তো শেখ হাসিনাকে তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার মতো ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার তার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করায় ভারতে থাকার বিষয়টি এখন দেশটির সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    জি নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জানিয়েছিলেন কোন আইনে শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন তা তারা জানেন না। এ নিয়ে ভারতের কাছে কিছু জানতে চায়নি ঢাকা। ভারত চাইলে যে কাউকেই সে দেশে আশ্রয় দিতে পারে বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

    এর আগে সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন। এ সাক্ষাৎকারে গত সরকারের আমলে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার ন্যায়বিচারে শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

    ড. ইউনূস বলেন, ভারতে তার অবস্থানের কারণে কেউ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। কেননা আমরা তাকে ফেরাতে চাই।

  • পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিশেষ নির্দেশনা

    পুলিশকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বিশেষ নির্দেশনা

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    চলমান পরিস্থিতিতে ডিএমপিকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

    তিনি বলেছেন, ‘পুলিশ যেন তাদের পুরোনো ফর্মে তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে পারে। তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে। জনগণের একটা আশা, পুলিশ যেন জনবান্ধব হতে পারে।

    আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি সদরদপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেছেন, মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কাল জাহাঙ্গীরনগরে দেখলাম… তারা তো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রে তো এই সচেতনতা আসতে হবে।

    একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। আইন হাতে তুলে নেওয়ার কারো কিন্তু অধিকার নেই। তিনি বলেন, কেউ অপরাধী হলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনারাও (গণমাধ্যম) একটু আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন।জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইনোসেন্ট লোক যেন কোনো অবস্থাতেই কোনো হেনস্তা না হয়।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশকে পুরোনো রূপে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরোনো গৌরব ফিরে পাওয়া যায় এবং জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। থানা পর্যায়ের লোকজন অনেক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের যে সমস্যা সেটা সমাধান করতে পারে না, সবসময় সমাধান সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরও কীভাবে সমাধান করা যায় এটা বলা হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায়, চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায় এ সম্পর্কে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দামটা একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এই চাঁদাবাজি যেন না হয়, প্লাস এই ঘুষ এবং দুর্নীতিতে আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায় এগুলো সম্পর্কে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

  • সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়ায় সিদ্দিকীয়া আবাসিক এলাকায় আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়ায় সিদ্দিকীয়া আবাসিক এলাকায় আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়া সিদ্দিকীয়া আবাসিক এলাকায়
    আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে
    অতিথি হিসেবে আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা
    পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কায়ছারুজ্জামান হিমেল।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান বেগম নুরী,
    বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, সাতক্ষীরা পৌরসভার উপসহকারি প্রকৌশলী মোহাব্বাত হোসাইন,
    পৌরসভার কার্যসহকারী আব্দুল মোতালেব, জাহিদ হাসান, মাহমুদ আলী, ইসরাইল হোসেন, লাল বাবু,
    নাহিদুর রহমান রিমন, সাব কন্ট্রাক্টার ইউসুফ আলীসহ এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য,
    সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়া সিদ্দিকীয়া আবাসিক এলাকায় মৃত নূর মোহাম্মদের
    বাড়ি হতে কাস্টমস্ধসঢ়; অফিস মোড় মেইন সড়ক ইসলামিক ফাউন্ডেশন পর্যন্ত ২১০ মিটার আরসিসি
    ঢালাই রাস্তাটি লক্ষ ১১ হাজার ৩৩ হাজার ৫৪৯ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা
    হচ্ছে। এছাড়াও একই স্থানে ৭৫০ ফুট পাইপের মাধ্যমে সুপেয় পানির লাইন ও ড্রেণ সংস্কার করা হয়েছে।
    দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত রাস্তাটির নির্মান কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসী পৌর কাউন্সিলর মো.
    কায়ছারুজ্জামান হিমেল ও পৌরসভার ১,২ও ৩নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর নুরজাহান বেগম নুরীসহ
    সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
    ক্যাপশন : সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের উত্তর কাটিয়ায় সিদ্দিকীয়া আবাসিক এলাকায় অতিথি
    হিসেবে আরসিসি ঢালাই রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করছেন পৌর কাউন্সিলর মো.
    কায়ছারুজ্জামান হিমেলসহ এলাকাবাসী।

  • তালার সাধক এজাহার আলীর ৩২ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

    তালার সাধক এজাহার আলীর ৩২ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

    আজ শুক্রবার  দৈনিক পূর্বাঞ্চল তালা অফিস প্রধান ও বিজয় টিভির জেলা
    প্রতিনিধি সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলামের পিতা আধ্যাতিœক সাধক
    এজহার আলী মারফতি ফকিরের ৩২ তম মৃত্যু বার্ষিকী। ১৯৯২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর
    এদিনে ৭৮ বৎসর বয়সে তিনি দেহত্যাগ করেন। তালার শিবপুরস্থ নিজস্ব বাসভবন
    চত্বরে মরহুমের বিদেহী আতœার শান্তি ও মাগফেরাত কামনায় কোরআনখানী, মিলাদ
    মাহফিল ও দোয়ানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মিলাদ মাহফিল ও
    দোয়ানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসোবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ
    ইমাম ও তালা উপজেলা কমপ্লেক্স জামে মসজিদের খতিব আলহাজ¦ মাওলানা তাওহীদুর
    রহমান। পরিবারের পক্ষ থেকে সকল মরহুমের সকল ভক্তবৃন্দ ,সাংবাদিক, আতœীয়,
    শুভাকাঙ্খীদের দোয়ানুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন তালা প্রেসক্লাব
    সভাপতি, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান
    সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি সাধক পৌত্র
    সাংবাদিক এস.এম আকরামুল ইসলাম।

  • নগরঘাটা গাবতলায় অন্যের মৎস্য ঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট দেওয়ার সময় জনতার হাতে আটক

    নগরঘাটা গাবতলায় অন্যের মৎস্য ঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট দেওয়ার সময় জনতার হাতে আটক

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামে অন্যের মৎস্য ঘেরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দেওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয়েছে এক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী।
    স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী গাবতলা গ্রামের মৃত আব্দুল গফুর গাজীর ছেলে আব্দুল গনি গাজী জানান, গাবতলা মাঠে তার ৬ বিঘা একটি মৎস্য ঘের রয়েছে। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কারনে সবার মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার গভীর রাতে আনুমানিক ৩টার দিকে আমার মৎস্য ঘেরে হোসেন আলীর নেতৃত্বে তার ঘেরের কর্মচারী এরফান হোসেন (২০), গাবতলা গ্রামের সালাম সরদারের পুত্র মো. সোহরাফ সরদার (৪৫) এবং গাবতলা গ্রামের নরিম ওরফে নইরী বাজনদারের পুত্র জালাল উদ্দীন (৪০) হোসেন আলীর ঘেরের পাশ্ববর্তী যতগুলো ঘের রয়েছে সেসব ঘেরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দেয়। আমি হাতেনাতে ধরে ফেলায় সবাইকে ডাকাডাকি করলে সবাই আসলে হোসেনকে ধরে নিয়ে স্থানীয় শুকুরের দোকানে যায়।
    গাবতলা গ্রামের সামাদ সরদারের পুত্র আফজাল হোসেন জানান, হোসেন আলী সবার ঘেরে বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়েছে। যাতে করে সবার ঘেরের মাছ হোসেন আলীর ঘেরে উঠে যায়।
    আলাউদ্দিন সরদারের পুত্র জহুরুল ইসলাম জানান, তাদের ৫ বিঘা একটি ঘের রয়েছে যাতে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়েছে হোসেন আলী। এই গ্যাস ট্যাবলেট দেওয়ার ফলে আমার ঘেরের মাছ সব হোসেন আলীর ঘেরে উঠে যাবে।
    জফর মোড়লের পুত্র ইসরাফিল হোসেন (২২) জানান, আমার ৫ বিঘা ঘেরে সর্বস্ব টাকা-পয়সা খরচ করে মৎস্য চাষ করেছি। কিন্তু হোসেন আলীর বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দেওয়ার ফলে আমি সর্বশান্ত হওয়ার পথে।
    মৃত ওয়াজেদ মুহুরির পুত্র মো. কামরুল ইসলাম জানান, এই হোসেন আলীর নেতৃত্বে ইতিপূর্বে গাবতলা গ্রামের চুরি, বাটপারি সহ নানা রকম অপকর্ম হয়ে থাকে। বছর তিনেক আগে এই হোসেন আলী আমার ঘের বিষ দিয়ে মাছ মেরে দেই।
    মৃত আব্দুল গফুর গাজীর পুত্র বিল্লাল গাজী জানান, আমরা দুইভাই ছোটখাটো একটা ঘের করি। বর্তমানে বন্যা পরিস্থিতির কারনে ঘের ডুবে গেছে। মাছ ঘের থেকে বের করে নেওয়ার জন্য এই হোসেন আলী বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট দিয়েছে। আমরা নিঃশ্ব হয়ে গেছি। আমি আমার ঘেরের ক্ষতিপূরণ চাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    এছাড়াও এলাকার শত শত সাধারণ জনগন জানান, এ এলাকার সকল অপকর্ম, চুরি, বাটপারি সহ নানা কাজ এই হোসেন আলী করে থাকে। হোসেন আলী সহ অপকর্মের সক সহযোগিকে আইনের আওতায় এনে সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
  • এডাব সাতক্ষীরা এর আয়োজনে মাদক প্রতিরোধ ও যুব সমাজের সম্পৃক্ততা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

    এডাব সাতক্ষীরা এর আয়োজনে মাদক প্রতিরোধ ও যুব সমাজের সম্পৃক্ততা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

    এডাব সাতক্ষীরা এর আয়োজনে মাদক প্রতিরোধ ও যুব সমাজের সম্পৃক্ততা
    শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার(১৭ সেপ্টেম্বর) ২০২৪ সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত সেমিনারে
    এডাবের সভাপতি মাদব চন্দ্র দত্তের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা নির্বাহী
    অফিসার শোয়াইব আহমাদ।
    এসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে
    মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাবের খুলনা বিভাগীয় সমন্নয়ক মো. রেজাউল ইসলাম।
    এডাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় মাদক প্রতিরোধ ও যুব সমাজের সম্পৃক্ততা
    শীর্ষক সেমিনার বক্তব্য রাখেন, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হামিদ,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো.
    রিয়াজুল ইসলাম,সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল হক,জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের
    প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা,জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি মো. হাবিবুল্লাহ, সিডোর
    প্রধান নির্বাহী পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস, ওসিসির আব্দুল হাই সিদ্দিকী,জেলা নাগরিক কমিটির আলিনুর
    খান বাবুল, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁ, ক্রিসেন্টের এ কে এম আবু জাফর সিদ্দিকী, যুব সংগঠক এস এম বিপ্লব
    হোসেন, এস এম হাবিবুল হাসান, মো. হোসেন আলী প্রমুখ।
    প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে যুবকদের কাজে সম্পৃক্ততার কথা বলেন এবং মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে সকলকে
    এগিয়ে আসার আহবান জানান, তিনি বলেন, যুব সমাজ জাতীর ভবিষ্যত এই প্রজন্মকে সুরক্ষা দিতে হবে, তারা
    আগামীতে দেশ চালাবে। সভা শেষে তিনি উপস্থিত সকলকে মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে শপথ পাঠ করান।

  • সাতক্ষীরা শহরের মেহেদীবাগ এলাকার জলাবদ্ধতায় জন- জীবন হুমকির মুখে,নেই কোন ড্রেনেজ ব্যাবস্থা 

    সাতক্ষীরা শহরের মেহেদীবাগ এলাকার জলাবদ্ধতায় জন- জীবন হুমকির মুখে,নেই কোন ড্রেনেজ ব্যাবস্থা 

    শহর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজের পশ্চিম পাশে ৯ নং ওয়ার্ডের মেহেদীবাগ এলাকায়, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে সাধারণ মানুষের জীবন জাপন বিপন্ন হয়ে পরেছে।  শহরের এই এলাকার মানুষ দীর্ঘ এক মাস জলাবদ্ধতায় হাবুডুবু খাচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের পথ (ড্রেন) বন্ধ থাকার কারণে হাজারো পরিবার বর্তমানে জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছে। বাড়িঘরে পানি উঠেছে। টিউবওয়েল গুলো অকেজো হয়ে পড়েছে।রান্না ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে, ঘর থেকে বের হওয়ার কোন উপায় নেই।এমনকি এলাকার অনেক পরিবার নিজ নিজ বাড়ি প্লাবিত হওয়ায়,পার্শবর্তী এলাকায়  ভাড়া বাসায় দিন কাটাচ্ছে, এখনই জলাবদ্ধতা দূরীকরণের উদ্যোগ না নিলে এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে এমনটাই আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
    স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা শহীদুল ইসলাম বলেন, সার্কিট হাউজ থেকে মেহেদীবাগ বাইপাস পর্যন্ত ড্রেনের ব্যবস্থা না করলে এই জলাবদ্ধতা থেকে এলাকাবাসীর মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়, তিনি আরো বলেন আমরা এলাকাবাসী সবাইমিলে সৃষ্ট বিপদ থেকে  স্থায়ী মুক্তি পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মহাদয় বরাবর এলাকার শতাধিক মানুষের সাক্ষরিত একটা মানবিক আবেদন  পেশ করেছি। রিপোর্ট সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের সামনে এলাকার অসংখ্য নারী, পুরুষ , ছেট বাচ্চারা, তাদের সমস্যার কথা বর্ণনা করতে যেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
  • শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন

    শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন

    নিজস্ব প্রতিনিধি :“প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে নয়” এই স্লোগানে শিক্ষা ভবন, ঢাকায় উপবৃত্তি প্রকল্প থেকে মানবিক বিবেচনায় রাজস্ব খাতে আসা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সেসিপ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্চনার ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় বিদ্যালয়ের সামনে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে খুলনা অঞ্চলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত প্রচার সম্পাদক সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শ্যামল কুমার দাশের সভাপতিত্বে ঘন্টা ব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিব্যেন্দু সরকার, কাবিজুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া ইকবাল, আলতাফ হোসেন প্রমুখ। এ সময় সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • তালায় বিএনপি’র মতবিনিময় সভা

    তালায় বিএনপি’র মতবিনিময় সভা

    যারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না- সাবেক এমপি হাবিব

    বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব নেতা কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেছেন, যারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের সাথে জড়িত তারা বিএনপি’র কর্মী হতে পারে না। বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মী সালিশ বিচার করতে পারবে না। জমি দখল, ঘের দখল, সাধারণ মানুষের উপর হয়রানি করা যাবে না। যারা বিগত দিনে আমাদের হয়রানি করেছে তাদেকে চিহ্নিত করে রাখতে হবে তবে তাদের অপদস্থ করা যাবে না।
    বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে তালা সরকারী কলেজের হলরুমে উপজেলা বিএনপি’র উদ্দ্যেগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে এ কথা বলেন তিনি।
    তালা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়ের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম।
    এসময় হাবিব বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সুষ্ট ও নিরপেক্ষ। বিগত সরকারের মতো কারচুপির নির্বাচন আর হবে না। সে কারণে যারা জনপ্রতিনিধি হতে চান তাদের এলাকায় মানুষের কল্যাণে কাজ করেন।
    তিনি বলেন, শারদীয় দূর্গাউৎসবে পূজা অর্চনায় নিয়ে ষড়যন্ত্র হতে পারে। বিএনপি’র নেতৃত্বে প্রতিতি ইউনিয়নে প্রতিটি মন্দির কমিটি করে তাদের ধর্মপালনে সবধরণের সহযোগীতা করতে হবে।
    জেলা বিএনপি’র নেতা তারিকুল হাসান, উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি গোলাম মোন্তফা, মোঃ জিল্লুর রহমান, মোহাব্বত হোসেন, রাশিদুল হক রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোশারাফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমান সহ সকল ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদক ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

  • আশাশুনির কাকবাশিয়া খেয়া ঘাটের ওয়াপদা ভাঙ্গন আতঙ্কে ৩ ইউনিয়নের ৪০ গ্রামবাসী

    আশাশুনির কাকবাশিয়া খেয়া ঘাটের ওয়াপদা ভাঙ্গন আতঙ্কে ৩ ইউনিয়নের ৪০ গ্রামবাসী

    আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাশিয়া খেয়াঘাটের ওয়াপদা ভাঙ্গন আতঙ্কে ৩ ইউনিয়নের ৪০ গ্রামবাসী। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন আনুলিয়া ইউপির বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক আহবায়ক রুহুল কুদ্দুস। পরিদর্শন কালে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সকালের ভাটা থেকে শুরু করে দুপুরের জোয়ার মাত্র ৬ ঘন্টার ব্যবধানে নদী গর্বে বিলীন হয়ে গেল কাকবসিয়া খেয়াঘাটের যাত্রী ছাউনি ও ১০০ মিটারের ইটের সলিং রাস্তা। খেয়াঘাট সংলগ্ন বেড়িবাঁধের দ্রুত সংস্কারের কাজ না করলে আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও খাজরা ইউনিয়নের প্রায় ৪০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় খেয়াঘাটের মাঝি আব্দুল খালেক গাজী ও মোঃ মফিজুল ইসলাম জানান, ফজরের নামাজ আদায় করে খেয়াঘাটে আসি। রাতের জোয়ারের পানি নামার সাথে সাথেই ভাঙ্গনের ফাটল ধরা শুরু হয়। তার কিছুক্ষণ পরেই ইটের সলিং ও যাত্রী ছাউনী সহ ঘাটের পাড়ের কিছু অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধের সংস্কারের কাজ না করলে ওয়াপদার বড় ধরনের ফাটল হত পারে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন কবলিত স্থান পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ করা হবে।