Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 7 of 82

Author: Hasan

  • ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে তালার যুবদল নেতা মোমিনকে বহিষ্কারের গুজব

    ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে তালার যুবদল নেতা মোমিনকে বহিষ্কারের গুজব

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আব্দুল মোমিনকে বহিষ্কারের নামে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) হাবিবুল ইসলাম হাবিব নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে বিএনপির নাম, লোগো এবং লেটারহেড ব্যবহার করে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মোমিনকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি করা হয়, যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


    এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় যুবদল নেতা আব্দুল মোমিন বলেন, “এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি মিথ্যা প্রচারণা। দলের প্রতি আমার আনুগত্য শতভাগ রয়েছে। কেউ রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।”
    তালা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোস্তফা হোসেন মন্টু বলেন, “মোমিনের বিরুদ্ধে ভুয়া বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।” তিনি আরও বলেন, “সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ভাইয়ের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল হাবিব ভাইয়ের নামে একটি ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন সময়ে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।”
    তালা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মির্জা আতিয়া রহমান বলেন, “আমার কাছে বহিষ্কারের কোনো তথ্য নেই। আমরা এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচারণা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
    এদিকে বিএনপি ও যুবদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ভুয়া বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

  • সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরা

    সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন, থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছেন আসামিরা

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার ছয় দিন পার হলেও মামলার প্রধান আসামিরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। ভিডিও ফুটেজ, ছবি, ভুক্তভোগীদের বয়ান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য থাকলেও প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলার সাংবাদিক সমাজ। অবাক করার মতো বিষয় আসামিরা প্রকাশ্যে সাতক্ষীরা থানার সামনেই দলবল নিয়ে ঘোরাফেরা করছে।
    এর আগে, গত ৩০ জুন (সোমবার) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে চলমান নেতৃত্ব সংকট ও অভ্যন্তরীণ বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয় প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি আবুল কাশেম ও তার সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের ওপর। হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন সাংবাদিক আহত হন। ঘটনার পরপরই প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
    মামলায় হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে নাম উল্লেখ করা হয় আবু নাসের মো. আবু সাঈদ (৪৫)-এর।পাশাপাশি নাম আসে তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী আল ইমরান, অমিত ঘোষ বাপ্পা এবং শাকিলা ইসলাম জুঁই–এরও। প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই ছিল হামলায় সরাসরি অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ।
    এদিকে, আল ইমরান ও অমিত ঘোষের বিরুদ্ধে মাদকাসক্তি, প্রতারণা ও ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসেবে সক্রিয় থাকার অভিযোগ পুরোনো। অপরদিকে, শাকিলা ইসলাম জুঁই বর্তমানে সাতক্ষীরা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হলেও ঘটনার দিন তাকে হাতে লোহার রড নিয়ে হামলায় অংশ নিতে দেখা গেছে, যার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।
    সাংবাদিকদের অভিযোগ, এতদিনেও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং ঘটনার পরদিন হামলার মূল অভিযুক্ত আবু সাঈদ নিজেই থানায় পাল্টা মামলা করেন, যেখানে তিনি সাতক্ষীরার ৩৭ জন কর্মরত সাংবাদিককে আসামি করেন। মামলার ধারা: ১৪৩/৩২৫/৩০৭/৪২৭/৫০৬ দণ্ডবিধি। সাংবাদিকদের দাবি, এ মামলা মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রকৃত হামলাকারীদের রক্ষার কৌশল মাত্র।
    অভিযোগ রয়েছে, আবু সাঈদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে চলছেন। এক সময় তিনি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা মুস্তফা লুৎফুল্লাহ-র আর্থিক সহায়তাকারী (ডোনার)।
    ২০১৯ সালের ৩১ মে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে প্রথমবারের মতো হামলার সময়ও এমপি রবির ছত্রছায়াতেই সাঈদ ক্লাবে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই সময় প্রেসক্লাবের নবনির্মিত হলরুমের নাম পরিবর্তন করে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন’ নামকরণ করে একটি ফলকও স্থাপন করেন।
    ৫ আগস্ট ২০২৪-এর পরবর্তী সময় থেকে সাঈদ ও তার পরিবার সাতক্ষীরার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন দখলে নেয়। বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি– সাঈদের চাচা আব্দুর রউফ, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন– চাচা হাবিবুল ইসলাম হবি (এখানে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে), সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব–সাঈদের নিজ নেতৃত্বে এখনো রয়েছে তার দখলে।
    সাংবাদিকদের ভাষ্য, এসব পদ-পদবি ব্যবহার করেই সাঈদ ও তার সহযোগীরা দখল ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। হামলার পরদিন থেকে সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আসামিদের প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। থানার সামনেই দলবল নিয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছেন আসামিরা, অথচ পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবুল কাশেম বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ পর্যাপ্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ঘটনার ছয়দিন অতিক্রম করেছে, এখনো পর্যন্ত মূল আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আসামিরা থানার সামনেই দলবল নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও প্রশাসনের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
    তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি, এই ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনের আরও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন।
    সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকেই একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে হামলাকারীরা প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থানার সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) বিষয়টি জানান, তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে থানার সামনে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এমন কোনও তথ্য এখনো আমার কাছে পৌঁছায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সোরা দক্ষিণ পাড়ার মেইন রাস্তা পানিতে তলিয়ে জনদুর্ভোগ, সমাধানে নেই কার্যকর উদ্যোগ

    সোরা দক্ষিণ পাড়ার মেইন রাস্তা পানিতে তলিয়ে জনদুর্ভোগ, সমাধানে নেই কার্যকর উদ্যোগ

    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোরা দক্ষিণ পাড়া ঈদগাহ সংলগ্ন প্রধান সড়কটি বছরের পর বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এবছরও রাস্তাটি রীতিমতো পুকুরে পরিণত হয়েছে। অথচ এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা।
    সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো সুব্যবস্থা না থাকায় পাশ্ববর্তী কাঁচা ঘরবাড়ি, ফলজ গাছ, কৃষিজমি, এমনকি কবরস্থান পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে স্কুল-মাদ্রাসাগামী ছাত্রছাত্রী ও পথচারীরা। ঝুঁকি নিয়েই বাইসাইকেল ও মোটরযান চলাচল করছে।
    স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আলমগীর মোল্যা, ফেরদাউস হোসেন, মিজানুর রহমান, হাতেম ও রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর ঈদগাহ, মসজিদ মাঠ, কবরস্থান ও বাড়ির আঙিনায় পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। লক্ষাধিক টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়, তবুও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার জানানো হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
    তারা জানান, একটি পাইপ স্থাপন করে বৃষ্টির পানি পাশের মাদার নদীতে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব। এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও প্রিন্স রেজা জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
    এলাকাবাসী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
  • ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং ও গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সভা

    ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং ও গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সভা

    হিসাবে গরমিল ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ছেড়া নোট

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
    সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং ও গোডাউন শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি: ১১৫৫/১১৫৯ এর ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    ৬ জুলাই রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভোমরা স্থল বন্দর চত্বরে হ্যান্ডলি শ্রমিক ইউনয়ন ১১৫৫ এর সভাপতি মো. আনারুল ইসলাম গাজীর সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আলিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আব্দুর রউফ, ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক আবুল হাসান, ভোমরা সি এন্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, ভোমরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইসরাইল গাজী, ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা তুফান দুলাল মোন্ডল, জেলা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশের সাধারন সম্পাদক আব্দুল গফফর প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভোমরা স্থলবন্দর মালিক সমিতির ৮৭ এর সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম, ভোমরা স্থলবন্দর মালিক সমিতির ৮৬ এর সভাপতি লুৎফর রহমান মন্টুসহ অনেকে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চাল শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের নেতা মোঃ লুৎফর রহমান। সভায় বিগত হিসাবে ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার ছেড়া নোট গরমিল দেখানো হলে সাধারণ সদস্যরা প্রতিবাদ জানায়।

  • দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে, খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে:খাদ্য উপদেষ্টা

    দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে, খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে:খাদ্য উপদেষ্টা

    খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।আজ যশোর সার্কিট হাউজে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার খাদ্য সংগ্রহ, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

    উপদেষ্টা বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭২ শতাংশ ধান ও চাল সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শতভাগ সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

    বাজারে চালের মূল্য কমছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, বোরো উৎপাদন ভালো হয়েছে, খাদ্য মজুতও সন্তোষজনক। শিগগিরই চালের বাজার সহনীয় হয়ে আসবে। চালের দাম বাড়াতে বাজারে কোনো সিন্ডিকেট থাকলে তা ভেঙে দিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    উপদেষ্টা আরো বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে সরু জাতের ধান চাষের কারণে ধান সংগ্রহে কিছু সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং ভবিষ্যতে এর সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

    মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবির, যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর জেলার উপপরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাবৃন্দ।

  • তালায় এক বৃদ্ধের আত্মহত্যা

    তালায় এক বৃদ্ধের আত্মহত্যা

    সাতক্ষীরার তালায় কালিপদ দাশ (৭৫) নামে এক বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছে। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের খাঁনপুর গ্রামের মৃত কিনারাম দাশের ছেলে। আজ শনিবার (৫ জুলাই) সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

    জানা যায়, শনিবার সকালে বাড়ি হতে ৫০০ গজ দূরে একটি আম বাগানে লুঙ্গি প্যাচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। এসময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।

    তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈনউদ্দীন জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কিছুটা অসুস্থ এবং ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এরপর বিস্তারিত জানা যাবে।

  • সাতক্ষীরায় জগন্নাথ দেব উল্টা রথযাত্রার মাধ্যমে নিজের বাড়ি ফিরে গেলেন

    সাতক্ষীরায় জগন্নাথ দেব উল্টা রথযাত্রার মাধ্যমে নিজের বাড়ি ফিরে গেলেন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধ : সাতক্ষীরায় মাসির বাড়ি থেকে নিজে বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথদেবের উল্টা রথযাত্রা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকালে শহরের কাটিয়া (কর্মকার পাড়া) সর্বজনীন পূজা মন্দির থেকে হাজার হাজার ভক্ত নিয়ে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেব নিজ বাড়ি সদরের ধুলিহর ব্রহ্মরাজপুর মঠ মন্দিরে ফিরে যান। সনাতন ধর্মের শাস্ত্র মতে, জগন্নাথ কলিযুগের ভক্তদের উদ্ধার করা‌। জগন্নাথ দেবের রশি টানার মাধ্যমে কল্যাণ রয়েছে। যুবক, বৃদ্ধা, তরুণ, শিক্ষার্থী সহ সব বয়সের মানুষ কিন্তু রশির প্রতি আকর্ষণ টানে। জগন্নাথ দেবের প্রতিবছর মানুষকে এই রশির মাধ্যমে সকল বিপদ থেকে মুক্ত রাখে।জগন্নাথ দেব এক সপ্তাহের অধিক সময় মাসির বাড়ি অবস্থান করেন। এ সময় প্রতিদিন সন্ধ্যায় ভাগবত আলোচনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে মিলিত হন। জগন্নাথ দেবের সন্নিদ্ধে আগত হাজার হাজার ভক্তদের দুপুরে অন্নপ্রসাদের প্রদান করেন। প্রতিদিন দুপুরে অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার ভক্তদের মাঝে প্রশাদ বিতরণ করা হয়। প্রতিদিন ভক্তদের আগমনে কাটিয়া সার্বজনীন মন্দির মিলন মেলায় পরিণত হয়।প্রতি বছর আষাঢ় মাসে শুক্লা পক্ষের দ্বিতীয় তিথিতে শ্রী জগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্র নিজ বাড়ি থেকে মাসির বাড়ির যান। এ সময় বিভিন্ন লোভনীয় ফল মিষ্টি সহ বিপুল সংখ্যক ভক্ত কিন্তু সাথে থাকেন। শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর সর্বজনীন পূজা মন্দির কাটিয়া (কর্মকার পাড়া) সর্বজনীন পূজা মন্দিরের সভাপতি গৌর চন্দ্র দত্ত, রথযাত্রা উদযাপন কমিটির আহবায়ক শঙ্কর কুমার রায়, যুগ্ন আহবায়ক সমরেশ কুমার দাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, প্রাক্তন শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার, জেলা জুয়েলারি সমিতির সাধাঃ সম্পাদক মনোরঞ্জন কর্মকার মন্টু, প্রশান্ত কুমার গাইয়েন,সমীর কুমার বসু, কিরণ্ময় সরকার, মিলন কুমার দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, ভৈরব কর্মকার, তপন কুমার কর্মকার, অসিত কুমার মল্লিক, নিমাই কর্মকার, উৎপল শাহ,সহ সাধু ,পন্ডিত, পুরোহিত ও হাজার হাজার ভক্তবৃন্দরা।
  • আশাশুনিতে ৩০ বছরের ভোগদখলীয় ঘেরে জবর দখল ও লুটপাটের প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন

    আশাশুনিতে ৩০ বছরের ভোগদখলীয় ঘেরে জবর দখল ও লুটপাটের প্রতিকারে সংবাদ সম্মেলন

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার কেয়ারগাতিতে ৩০ বছরের ভোগদখলীয় মৎস্য ঘেরে জবর দখল ও লুটপাটের প্রতিকারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুর ২ টায় আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
    কেয়ারগাতি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর ইসলাম সানা তার পুত্র কামরুজ্জামানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ কালে বলেন, কামরুলের বুড়ো ভাই আঃ ওহাব সানার সম্পত্তি প্রায় ২০ বিঘা জমি সরকার খাস করে নেয়। আমরা ৩০ বছরের উপরে ঐ সম্পত্তিতে ভোগ করে আসছি এবং নদী ভরাটের পর ২০১৩ সাল থেকে ডিসিআর প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণ দখলে আছি। সবশেষ ২৯/০৯/২৪ তাং ১৪৩১ সালের ডিসিআর গ্রহন করি। চলতি বছরের ডিসিআর পেতে যথানিয়মে আবেদন করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও দখলে থাকা মৎস্য ঘেরটি এবছর অন্যদের ডিসিআর প্রদান করা হয়েছে বলে জানতে পারি। যা নিয়ম বহির্ভুত। তিনি আরও বলেন, গত ৩ জুলাই সকাল ৭ টার সময় কেয়ারগাতি গ্রামের মৃত এলাহি বক্স শেখের ছেলে হেদায়েতুল, মইরুদ্দীন সরদারের ছেলে লাভলু ও মিন্টু, মৃত মোকছেদ সরদারের ছেলে শফিকুল, সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাজুসহ ১৭ জন জ্ঞাত ও ১০/১৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাদের মৎস্য ঘেরে গিয়ে মাছ লুট করে। এনিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করি। অভিযুক্তরা আরো বেপরোয়া হয়ে ২ দিন পর ৫ জুলাই সকাল ৯.৩০ টার দিকে বেআইনী জনতাবদ্ধ হয়ে লাঠি, দা, শাবল, চাইনিজ কুড়াল, টানা ও খেপলা জাল নিয়ে উক্ত ২০ বিঘা জমির মৎস্য ঘেরে জবর দখল নিতে যায়। আমরা বাধা নিষেধ করলে খুন জখম করতে উদ্যত হলে আমরা প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যাই। এসময় তারা ৩ টি ঘেরের বাসা ভাংচুর করে ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করে। জাল টেনে ও ঘুনি আটন ঝেড়ে দুই লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে নেয়। হরিণার নার্সিং পয়েন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকার পোনা নেট টেনে ধরে নেয়। এখন তারা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘেরে অবস্থান করছে। এনিয়েও থানায় লিখিত এজহার দাখিল করেছি।
    ইতিপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পি-১১৫৯/২৫ (আশাঃ) নং মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ করেন। এরপরও তারা থেমে নেই। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় তরিকুল ইসলাম, জাসাস উপজেলা আহবায়ক কামরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর সানা, নাজিরুল গাজী বলেন, আমরা ৩০ বছর দখলে আছি, ডিসিআর কেটে ভোগজাত করছি, দখলে থাকাদের বাদ দিয়ে এবং আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি খাস করার পর আমাদের অগ্রাধিকার থাকলেও কিভাবে অন্যদের নামে ডিসিআর দিল তা জানতে চাই। ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতি পুরন চাই এবং ডিসিআর পেতে চাই।
  • Untitled post 28247

    সাতক্ষীরায় মুদি দোকানে চুরি
    রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা: শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদের হাটে মাস্টার মার্কেটেরবইসলাম এন্টারপ্রাইজে এক মুদি দোকানে চুরি সংগঠিত হয়েছে।
    দোকানে লাগানো সিসি টিভি ফুটেছে চোরকে সনাক্ত করেছে স্থানীয় জনতা।
    চোরের নাম রানা(২৫)।সে ওই ইউনিয়নের শিয়াল ডাঙ্গা বাগপাড়া কলোনির আমজের আলীর ছেলে।
    ইসলামিয়া এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় দোকান খুলে মালামাল অগোছালো, সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গা ও দোকানের টিনের চাল কাটা অবস্থায় দেখতে পান।দোকানের কোন মালামাল না নিয়ে গেলেও ক্যাশ বাক্সে থাকা প্রায় ৭ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে।
    আবাদের হাট বাজার কমিটির সভাপতি ও শিবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখে প্রাথমিকভাবে চোরকে শনাক্ত করা গেছে।
    বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বাজার এলাকায় মাদক সেবী ও ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। এই বাজারে এর আগেও একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে নৈশ প্রহরীদের দায়িত্ব অবহেলার কারণেই এ ধরনের ঘটনা প্রায় ঘটে বলে তাদের দাবি।

  • দেবহাটায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

    দেবহাটায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক

    সাতক্ষীরায় বিয়ের প্রলোভনে কলেজ শিক্ষার্থীর সাথে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শিক্ষার্থীর দায়ের করা মামলায় শুক্রবার (৪ জুলাই) নিজ বাড়ি থেকে দেবহাটা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

    গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম জুলফিকার মোড়ল ওরফে জিসান (১৮)। সে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সুশীলগাতী গ্রামের জাহাঙ্গীর মোড়লের ছেলে।

    দেবহাটা থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিবাদী ধর্ষক জুলফিকার মোড়ল জিসানের সাথে বাদীনির প্রায় আট মাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যার ফলে উক্ত বিবাদীর সাথে তার মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত ছবি আদান প্রদান হতো। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে তাদের মধ্যে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিবাদী তাদের মধ্যকার শারিরীক সম্পর্কের ভিডিও চিত্র বিবাদী নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ধারণ করে। গত ২৫ মার্চ তাকে বিয়ে করার কথা থাকলেও বিবাদী বিয়ে না করে তালবাহানা করে। ইতিমধ্যে বাদিনী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি বিবাদীকে জানানোর পরে গত ৭ এপ্রিল বিবাদী তার মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওষুধের
    মাধ্যমে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করায়। পরবর্তীতে বাদিনী কোন উপায় না পেয়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায় এবং তাদের পরামর্শে ৩ জুলাই দেবহাটা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৪। থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ আসামি জুলফিকার মোড়ল ওরফে জিসানকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

    দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদীনি ভিকটিমকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও আটককৃত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • কালিগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির সময় হাতেনাতে আটক ১

    কালিগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির সময় হাতেনাতে আটক ১

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দিনদুপুরে ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল চুরির সময় চোর সিন্ডিকেটের হোতা আবু বক্কর সিদ্দীক (৫৫) কে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার (৪ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার নলতা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি দোকানের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরির সময় তাকে আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তার সহযোগীরা।

    আটক চোর আবু বক্কর সিদ্দীক সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চিংড়িখালী গ্রামের মৃত আরশাদ আলী গাজীর ছেলে।

    পুলিশ জানায়, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রামের আহম্মদ আলীর গাজীর ছেলে শহিদুল্যাহ গাজীর (৩৩) কনফেকশনারীর দোকান রয়েছে। তিনি প্রতিদিনের ন্যায় দোকানের সামনে তার ব্যবহৃত হিরো হোন্ডা স্পেলেন্ডার প্লাস মোটরসাইকেলটি রেখে ব্যবসায়িক কার্যক্রম করছিলেন। সকাল ৯ টার দিকে আবু বক্কর সিদ্দীক মোটরসাইকেলটি নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে স্থানীয় জনতার সহায়তায় তাকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবু বক্কর সিদ্দীক একজন পেশাদার মোটরসাইকেল চোর বলে জানায় পুলিশ।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় শহিদুল্যাহ গাজী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের সময় ৩ সন্তানসহ গৃহবধু আটক

    অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের সময় ৩ সন্তানসহ গৃহবধু আটক

    সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে দেশে ফেরার সময় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী সীমান্ত থেকে তিন সন্তানসহ সাজিদা খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোর রাত তিনটার দিকে উপজেলার উত্তর কৈখালী এলাকা দিয়ে দেশে প্রবেশের সময় ১৭ বিজিবির সদস্যরা তাদের আটক করে। পরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।

    সাজিদার সাথে আটক তার তিন সন্তান হলো সাইফুল ইসলাম (১৭) পরান ইসলাম (১২) ও ছোট (৫)। তারা সকলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের মৃত রেজাউল করিমের পরিবারের সদস্য।

    ১৭ বিজিবি নীলডুমুর ব্যাটালিয়নের পরানপুর (বিওপি) সদস্য হাবিলদার আকরাম হোসেন বলেন, রাত তিনটার দিকে পরানপুর (বিওপি) ক্যাম্প থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দক্ষিনে ভারত-বাংলাদেশের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালিন্দী নদী দিয়ে ওই চার বাংলাদেশি দেশে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন। টহলরত বিজিবি সদস্যরা টের পেয়ে তাদের আটক করেন। পরে শুক্রবার রাতে শ্যামনগর থানা-পুলিশের কাছে ওই চারজনকে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী ও তিনজন ওই নারীর সন্তান।

    আটককৃত সাজিদা খাতুনের বলেন, জীবিকার তাগিদে দালালদের সহায়তায় তার স্বামী রেজাউল করিমসহ তারা চার/পাঁচ বছর আগে অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর থেকে তারা সেখানে অবস্থান করে আসছিল। সেইখানে বসবাস কালীন সময়ে তার (সাজিদার) স্বামী রেজাউল করিম মৃত্যুবরণ করে। এরপর থেকে সেখানে তাদের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হওয়ায় তারা পুনরায় ভারতীয় দালালের মাধ্যমে নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ফিরছিলেন। ফেরার পথে কালিন্দী নদী থেকে আজ ভোর রাত তিনটার দিকে বিজিবি তাদের আটক করে।

    শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, বিজিবির হাতে আটক ওই চার ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

    আশাশুনিতে শহীদের স্মরণে দুঃস্থদের মাঝে জামায়াতের খাবার বিতরণ

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে দরিদ্র, অসহায়, দুঃস্থ ও এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছে জামায়াতে ইসলাম।
    শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সদরের আল. ফজলুর রহমান হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রদের মাঝে এ খাবার বিতরণ করা হয়।
    এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, সেক্রেটারী মাওঃ আনওয়ারুল হক, সহ-সেক্রেটারী ডা. রোকনুজ্জামান, অফিস সেক্রেটারী মাওঃ রুহুল কুদ্দুস, বাইতুলমাল সেক্রেটারী মাওঃ শহিদুল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন সেক্রেটারী মাওঃ আব্দুল হাই, সাবেক মেম্বর ইয়াকুব আলী সানা, হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মফিজুল ইসলাম, আই বি ডব্লিউ এফ এর অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক ইয়াছিন আরাফাত, সাবেক ছাত্র শিবির নেতা শেখ আরিফুল্লাহ সিদ্দিকী প্রমুখ।
     সবশেষে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
  • আশাশুনির বৈকরঝুটি বাইতুল্লাহ জামে মসজিদের ভবন উদ্বোধন 

    আশাশুনির বৈকরঝুটি বাইতুল্লাহ জামে মসজিদের ভবন উদ্বোধন 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বৈকরঝুটি বাইতুল্লাহ জামে মসজিদের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য মুফতী মুহাদ্দিস রবিউল বাশার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মসজিদের শুভ উদ্বোধন করেন।
    মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাস্টার আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে ও বাইতুল্লাহ  জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোমরেজ হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি জুম্মার নামাজে ইমামতি মধ্য দিয়ে নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথি তার আলোচনায় বলেন, মসজিদে ব্যবহারটা যেন ইসলাম সম্মত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ও আদব রক্ষা করতে হবে। মসজিদের সহযোগিতা করা, দান করা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন, যারা মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণ করবে, মসজিদ তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আবু বক্কর সিদ্দিক।আরো উপস্থিত ছিলেন, মাস্টার আদম আলী, ইউপি সদস্য আজিজুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান, দবির মোল্লা, কবির হোসেন, সভাপতি শরবতুল্য, আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান পাড় প্রমুখ।
  • সাতক্ষীরায় হোটেল কক্ষে ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার

    সাতক্ষীরায় হোটেল কক্ষে ইয়াবাসহ দম্পতি গ্রেপ্তার

    সাতক্ষীরায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে হোটেল কক্ষ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

    বুধবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টা ১৫ মিনিটে সাতক্ষীরা শহরের সংগীতা সিনেমা হলের মোড় সংলগ্ন আবুল কাশেম সড়কের পাশের হোটেল আল-কাশেম ইন্টারন্যাশনালের ৬ষ্ঠ তলার ৬০৬ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার বাগমুছা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. রাব্বি ইসলাম (২৫) এবং তার স্ত্রী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর গ্রামের মহসিন গাজীর মেয়ে সাথী সুলতানা (২১)।

    জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দীন মোল্যার নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) সাখায়েতুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    পুলিশ জানায়, আটক দম্পতির কাছ থেকে মোট ৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাব্বির কাছ থেকে ৩০০ পিস এবং সাথীর কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে সাতক্ষীরা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় মাদক নিমূর্লে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে পুলিশ। কোথাও মাদকের গন্ধ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • তালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিত

    তালায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস’ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরার তালায় “প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনিউরশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার)” প্রকল্পের আওতায় ‘পার্টনার ফিল্ড স্কুল কংগ্রেস-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে তালা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এ কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চল।

    স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম এবং পার্টনার প্রোগ্রাম খুলনা অঞ্চলের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোসাদ্দেক হোসেন।

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সাতক্ষীরা জেলার নায়েবে আমীর ডা. মাহমুদুল হক, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র সরকার, উন্নয়ন প্রচেষ্টার পরিচালক শেখ ইয়াকুব আলী, ইসলামকাটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক এবং সাংবাদিক বি. এম. জুলফিকার রায়হান।

    অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, কৃষক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    কংগ্রেসে , ফলের ফলন বৃদ্ধি ও অন্যান্য কৃষি বিষয়ক সহযোগিতা, পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা,

    জিএপি (গ্যাপ) ফসল কর্নার, জৈব বালাইনাশক কর্নার, কৃষক সেবা কেন্দ্র, জিএপি (গ্যাপ) প্রদর্শনী প্লটের রেপ্লিকা তুলে ধরা হয়। এর মাধ্যমে কৃষি-কৃষকের উন্নয়ন ও ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে যুগোপযোগী নানান কৃষি বিষয়াদি উপস্থাপন করা হয়।

    অনুষ্ঠানে জানানো হয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পিএসএফের ধরণে আমন, বোরো, আউশ, গম, তেল, ডাল, পুষ্টি ও গ্যাপের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন শতভাগ। প্রশিক্ষণের ধরণে গ্যাপ সার্টিফিকেশন ট্রেনিং ফর ফরমার্সের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন শতভাগ। ফসল ভিত্তিক প্রদর্শনীতেও লক্ষ্যমাত্র ও অর্জন শতভাগ।

  • আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

    আদালত অবমাননা : শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

    আদালত অবমাননার মামলায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এছাড়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

    বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

    এর আগে, আদালত অবমাননার এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২ জুলাই দিন ধার্য করা হয়।

    আইন অনুযায়ী, এ ধরনের মামলায় কোনো পক্ষের জন্য সরকারি খরচে আইনজীবী নিয়োগের বিধান না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে এক আইনজীবী নিয়োগ দেন আদালত।

    অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগের পর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানিতে একজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও শেখ হাসিনা ও অপর অভিযুক্ত হাজির না হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানের অভিমত ট্র্যাইব্যুনাল শুনবেন বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

    জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় দায়ের করা মামলা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল আদালত অবমাননার অভিযোগ দাখিল করেন চিফ প্রসিকিউটর। সেদিন ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গ্রহণ করে ১৫ মের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ওইদিন কোনো জবাব দাখিল না করায় তাদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’- গত কয়েক মাস আগে শেখ হাসিনা একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথোপকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সত্যতা পায়। এরপরই আদালত অবমাননার আবেদন দাখিল করা হয় ট্রাইব্যুনালে।

    প্রসিকিউশন জানায়, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত হননি কিংবা কোনো আইনজীবীর মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেননি। এ অবস্থায়, ট্রাইব্যুনাল এখন আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দিতে পারে।

  • প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ

    প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ

    স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। গ্রুপের অন্য ম্যাচে বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ২-২ গোলে ড্র করেছে। এতে সি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসবে এই আসর।

    দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের নামের পাশে ৬ পয়েন্ট। স্বাগতিক মিয়ানমারের ৩, বাহরাইন ও তুর্কেমেনিস্তানের সমান এক পয়েন্ট করে। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের কাছে হারলে এবং মিয়ানমার বাহরাইনের বিপক্ষে জিতলে তখন দুই দলেরই সমান ৬ পয়েন্ট হবে। টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী প্রথমে হেড টু হেড বিবেচনা হবে। বাংলাদেশ মিয়ানমারকে হারানোয় বাংলাদেশ গ্রুপ সেরা হিসেবে গণ্য হবে। ফলে আজই বাংলাদেশের এশিয়া কাপ নিশ্চিত হলো।

    বাহরাইন-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। ম্যাচের শেষ দিকে তুর্কমেনিস্তান ২-১ গোলে লিড নেয়। তুর্কমেনিস্তান ম্যাচটি জিতলে বাংলাদেশকে পরবর্তী ম্যাচে ন্যূনতম ড্র করতে হতো। কারণ তুর্কমেনিস্তান বাংলাদেশকে হারালে তখন তাদেরও ছয় পয়েন্ট হওয়ার সুযোগ থাকত। আবার মিয়ানমার শেষ ম্যাচে বাহরাইনকে হারালে তখন তিন দলের ছয় পয়েন্ট হতো। সেই সময় বড় জটিলতায় পড়ত গ্রুপটি।

    খেলার ইনজুরি সময়ে গোল করে ২-২ স্কোরলাইনে ড্র করে বাহরাইন বাংলাদেশকে অপেক্ষা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কারণ এখন শুধু মিয়ানমারেরই ৬ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং সেটা হলেও হেড টু হেড বিবেচনায় বাংলাদেশই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।

    ৫ জুলাই বাংলাদশ-তুর্কমেনিস্তান ম্যাচ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। ঐ ম্যাচে হারলেও বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলায় কোনো বাধা থাকবে না।

    আজ ঋতুপর্ণার জোড়া গোলে মিয়ানমারকে প্রথমবারের মতো হারিয়ে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে। ১৯৮০ সালে কুয়েতে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল খেলেছিল প্রথম এশিয়া কাপ। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের নারীরা খেলবে প্রথম নারী এশিয়া কাপ।