Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 68 of 82

Author: Hasan

  • তালায় শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্রতি পূজা মন্ডপের অনুকুলে সরকারী সহায়তা প্রদান

    তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার তালায় শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্রতিটি পূজা মন্ডপের অনুকুলে সরকারী অনুদান বিতরণ ও আইন-শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ১৯৬ টি পূজা মন্ডপের অনুকুলে ৫০০ চাল প্রদান করা হয়।
    বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১ টায় তালা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    তালা উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সভাপতি মৃণাল কান্তি রায় এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মজুমদার এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তালা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন।
    বক্তব্য রাখেন, তালা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম, পাটকেলঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি হাফিজুর রহমান, উপজেলা বিএনপি’র সারধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, তালা উপজেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমির মাওঃ শফিদুল্লাহ, আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা শিরিনা খাতুন, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু, ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ফারুক, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, তালা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেন, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লাল্টু, মাগুরা ইউপি চেয়ারম্যান গনেষ দেবনাথ, খলিসখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাবির হোসেন প্রমুখ।
    এসময় তালা উপজেলার ১৯৬ টি পূজা মন্ডপের মন্দির কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
    অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের জলাবদ্ধতার কারণে পূজায় চলাফেরা করতে সমস্যা হতে পারে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুব কঠোর থাকবে। শারদীয় দূর্গোৎসব যাতে সকলে মিলে ভালো ভাবে করা যায় সে জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এ কাজে সহযোগীতা করবেন।

  • সুপ্রিম কোর্টের আদেশ কার্যকর ও দেবহাটার ভূমিহীনদের জীবনের নিরাপত্তাসহ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ভূমিহীনদের বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ

    মহামান্য হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা জারির আদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খলিষাখালির ১৩১৮ বিঘা লাওয়ারিশ সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা, সেখানে বসবাসরত ভূমিহীনদের উপর দফায় দফায় লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, গুলি ও বোমা সন্ত্রাস চালিয়ে নির্যাতন ও আট শতাধিক ঘর ভূমিহীনদের উচ্ছেদের চেষ্টা ঘটনায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনা কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে খলিষাখালি ভূমিহীন আবাসন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
    স্মারকলিপিতে খলিষাখালি ভূমিহীন আবাসন কেন্দ্রের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন যে, ১৯৫৫ সালে দেবহাটার চ-ীচরণ ঘোষ ও তাদের ওয়ারেশদের ফেলে যাওয়া এক হাজার ৩১৮ বিঘা জমি জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে দেবহাটার শিমুলিয়ার সুরুজ কাজী, আইডিয়ালের নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম, সখীপুরের আব্দুল আজিজ, আহছানিয়া মিশনের কর্মকর্তা ইকবাল মাসুদসহ শতাধিক ব্যক্তি ভোগ দখল করে আসছিলো। ওই জমি সরকারি খাস জমি হিসেবে গণ্য করার জন্য দেবহাটার মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলী ২০১০ সালে আদালতে মামলা করেন। ২০১২ সালে ওই জমি লাওয়ারিশ জমি হিসেবে আদালত রায় দেয়। জমির মালিক দাবিদাররা নিম্ন আদালতের রায় এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২০২১ সালে নি¤œ আদালতের রায় বহাল রাখেন। এরপর ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সাপমারা খালের দুই পাশ থেকে উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনসহ বিভিন্ন এলাকার আট শতাধিক ভূমিহীন পরিবারে সেখানে খুপড়ি খুপড়ি ঘর বেঁধে বসবাস শুরু করে। এ ঘটনায় স্বত্বহীন জমির মালিকরা ভূমিহীনদের নামে ১৯টি মিথ্যা মামলা করে। ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করার প্রক্রিয়া শুরু করলে ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি স্থানীয় ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। আদালত উভয়পক্ষের বিরুদ্ধে স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশ দেন। স্থিতাবস্থা জারির নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২১ সালের তৎকালিন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানকে ম্যানেজ করে ওই সব ভূমিদস্যুরা খলিষাখালিতে বসবাসরত ৭৮৫টি ভূমিহীন পরিবারের ঘর জ্বালিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি স্বত্বহীন জমির মালিকদের সিভিল রিভিউ পিটিশন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি ওই জমি লাওয়ারিশ হিসেবে গণ্য করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খাস করার জন্য পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপরও ওইসব স্বত্বহীন জমির মালিকরা সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করে নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আরিজুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম (মাছ), নওয়াপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবুসহ কয়েকজনের কাছে লিজ দেওয়ার নামে দলভারি করে লুটপাট করে খাচ্ছেন। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য তালার মাছিহারার রুহুল আমিনের ছেলে পাখরা হালিম, চিংড়িখালির শহীদুল, রবিউল (বুল্লা), কাশিবাটি ও ইন্দ্রনগরের সেকেন্দার, শওকত, মুর্শিদ, শাহীনুর, চালতেতলার নূর আলী, নূর আলীর ভাই আদর আলী, সদরের এল্লার চরের সেন্টুর ছেলে আব্বাস, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কৃষ্ণনগরের ইয়ার আলী, বাহার আলী, জহুর আলীসহ কমপক্ষে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বন্দুক, সটগান, পিস্তল ও বোমা নিয়ে গত ১৪ আগষ্ট ও ২৩ আগষ্ট খলিষাখালিতে দু’ দফা হামলা চালায়। এতে আল আমিন ও মনিরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়। সাইফুল ইসলামসহ কমপক্ষে ২০ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়।নোড়ার চকের বৃদ্ধ আবুল হোসেনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শেষে দুই হাত ভেঙে দিয়ে তাকেসহ খলিষাখালি চরপাটার আইয়ুব আলীর ছেলে রবিউল, হামিজউদ্দিনের ছেলে জব্বার, আনিসুরের ছেলে আবু সাঈদকে তুলে নিয়ে চেয়ারম্যান আরিজুলের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলাকারিাদের ভয়ে নির্যাতিতদের কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে না পারলেও পুলিশকে ম্যানেজ করে হামলাকারিরা ভূমিহীনদের নামে তিনটি মামলা করেছে। বর্তামানে শতাধিক ভূমিহীন পরিবার বাড়ি ছাড়া। এরপর ও আইডিয়ালের নজরুলসহ কয়েকজন গত বুধবার আইডিয়াল কার্যালয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ডেকে সংবাদ সস্মেলন করে ওই জমি তাদের মাইলকানাধীন দাবি করে বিএনপি নেতা নলতা ইউপি চেয়ারম্যানকে ৭০০ বিঘাসহ বাকী জমি আনারুল ইসলা (মাছ) ও মিলন বাবুর কাছে লীজ দিয়েছেন দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। স্মারকলিপিতে সুপ্রিম কোর্টের চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারির আদেশ দ্রুত বাস্তাবায়নসহ ভূমিহীনদের জীবনের নিরাপত্তা ও হামলাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ ও পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম স্মারকলিপি গ্রহণ শেষে ঘটনার তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

  • কলারোয়ায় মাহফুজাকে ধর্ষণের বিচার শেখ হাসিনা করেননি, অথচ বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ৭০ বছরের সাঁজা দিয়েছেন -হাবিব 

     সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক এমপি নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন,‘‘ যে মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনায় শেখ হাসিনা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন, সেই মাফুজাকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার তিনি করেননি। উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন। কিন্তু ওই দিন আমাকে সাতক্ষীরাতেই ছিলাম না। ঢাকায় ছিলাম। ’’ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরীতে সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত ‘ দায় যার জবাব তার’ শীর্ষক টক শোতে তিনি এ আশ^াস দেন। সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘ সাতক্ষীরায় মৎস্যজীবী দলের নেতা,সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আমানুল্লাহ আমান হত্যার ঘটনায় আমি বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। একই সাথে রাজনৈতিক কোনো মামলায় সাংবাদিকদের না জড়ানোর বিষয়ে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ’’ তিনি বলেন, ‘‘ শেখ হাসিনার গাড়ী বহরে হামলার ঘটনায় করা মিথ্যা মামলায় আমাকে ৭০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছিলেন বিচারক বিশ^নাথ মন্ডল,সেই বিচারক ঢাকায় সম্প্রতি বিচারকদের সভায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি বিষয়টি আইন উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। ’’ তিনি আরও বলেন, ২০০০ সালে কলারোয়ায় এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে অত্যাধিক ভিড়ের কারণে ৬জন পরীক্ষার্থী পদপিষ্ট হয়ে মারা যায়। নিহতদের পরিবারকে সান্তনা দিতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া কলারোয়ায় আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাকে কলারোয়ায় ঢুকতে দেয়নি। ২০০২ সালে কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে,এমন অভিযোগ তোলা হয়। তাকে দেখতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। পরে যশোরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে তিনি নির্বিঘেœ কলারোয়া পার হন। তবে কলারোয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবর রহমানসহ কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে সামান্য কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সে সময় তিনি (হাবিব) ঢাকাতে থাকা সত্বেও তাকে বিনা কারণে ৭০ বছরের সাঁজা দেওয়া হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন ছিল সেনা সমর্থিত সরকারের পাতানো নির্বাচন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে পূর্বপরিকল্পিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনে সেনাসমর্থিত সরকার। অপর একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ^াসী। বিএনপির কোন নেতা-কর্মী অপরাজনীতির সাথে জড়িত হলে তার ছাড় নেই । জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বিএনপির দেওয়া ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে উদার ও কল্যাণমুলক রাস্ট্র গঠনের সমস্ত উপাদান রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সাতক্ষীরার উন্নয়নের বিষয়ে তার ভাবনার বিষয়ে হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন.সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে পর্যটনকেন্দ্র,জলাবদ্ধতা নিরসন,বেকারত্ব নিরসনে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ টেকসই উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হবে। অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা সাংবাদিক কেন্দ্র টকের সমন্বয়ক এসএম বিপ্লব হোসেন ও সমন্বয়ক রিজাউল করিমসহ সাতক্ষীরায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
  • জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন

     জলাবদ্ধতা থেকে চিরতরে মুক্তির দাবিতে পুরাতন সাতক্ষীরা সরদার বাড়ির সম্মুখ হতে কলোনী মাদ্রাসা সম্মুখ পর্যন্ত জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরার প্রেসক্লাবের সামনে  দাঁড়িয়ে এই মানববন্ধনে শতশত ছাত্র-ছাত্রী ,শিক্ষক ও বৃদ্ধরা অংশগ্রহণ করেন।মাদ্রাসাতুল মদিনা আল আমিন এর মুহতামিম সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল  মুফতি আখতারুজ্জামান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ মোখলেসুর রহমান,আরিফবিল্লাহ ও আরো অনেকে।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ”আমরা বহু বছর ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। প্রতি বছর ঝড়-বৃষ্টির সাথে যুদ্ধ করে জীবন ধারন করে চলেছি। প্রতি বছর বর্ষার পানিতে আমাদের ঘরবাড়ি, পুকুর, গাছাগাছালি, ক্ষেতের সবজি, মৎস্য ঘেরসহ ধান্য ফসলের ক্ষতি সাধন হয়। প্রসূতি নারী বা অসুস্থ্য ব্যক্তিকে কোন জরুরী চিকিৎসা সেবাই নিয়ে যাওয়া খুবি কষ্টকর। বর্তমানে আমাদের ওয়ার্ডটি পানিতে তলিয়ে আছে। আমরা খুবি মানবেতার জীবন যাপন করছি।প্রতি বছর বর্ষার পানিতে আমাদের ঘরবাড়ি, পুকুর, গাছাগাছালি, ক্ষেতের সবজি, মৎস্য ঘেরসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি সাধন হয়।ঘরবাড়ি থেকে বের হওয়ার পরিস্থিতি নেই।বৃষ্টির পানি ঘরের ভেতরে প্রবেশ করেছে। আমরা যে ঘরে ঘুমায় সেখানে হাঁটু পানি। রান্নার ঘর এমনকি গোয়াল ঘরও ডুবে গেছে। ঘরের ভেতরে সাপ প্রবেশ করছে। আমরা রান্নাও করতে পারছিনা। এমনকি ল্যাট্রিন গুলোও ডুবে গেছে।বৃৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।তারা আরও বলেন, কয়েকজন প্রভাবশালী ঘের মালিক এই জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। তারা ঘের করার জন্য বাঁধ দিয়েছে ফলে এই পানি বের হবার কোন সুযোগ নেই। প্রতিবছর আমরা ডুবে মরলেও এ ব্যাপারে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। আমরা এই জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে পরিত্রাণ চাই। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
  • আশাশুনিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে গ্রাম পুলিশদের সাথে ওসির ব্রিফিং

    আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে গ্রাম পুলিশদের সাথে আশাশুনি থানার ওসির ব্রিফিং। (২ অক্টোবর) বুধবার দুপুরে থানা চত্বরে এব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। এসময় থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, সকলেই শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের সম্প্রীতির যে সুনিপুণ মেলবন্ধন তা অধিকতর তরান্বিত করতে এবং আশাশুনি উপজেলায় সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে সকলে সম্মিলিতভাবে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কঠোর নির্দেশনা দেন। যদি কেউ সামাজিক সম্প্রীতি জনশৃঙ্খলা ও টেকসই শান্তি, ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচিন্তা করে থাকে তবে তাকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বরং আগের চেয়ে অধিককতর কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরো বলেন, পূজামণ্ডপ সংশ্লিষ্ট পুজা উদযাপন কমিটির সম্মানিত নেত্রীবৃন্দের সাথে সবাইকে সমন্বয় করে চলতে হবে। এসময় থানার এস আই, এএস আই সহ অফিসার বৃন্দ ও উপজেলার গ্রাম পুলিশবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
  • আশাশুনিতে ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চের ফাদার ও নাইট গার্ডের উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ 

    আশাশুনি উপজেলার খ্রীষ্টান ধর্মীয়দের প্রধান চার্চ সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চের ফাদার ও নাইট গার্ডের উপর হামলা ও মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইউনিয়নের বড়দল খ্রিস্টান পাড়ায়। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে খ্রিষ্টান পাড়ার সিং গোষ্টি ও আচারী গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত শত্রুতার সৃষ্টি হয়ে আসছে। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন সময় ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া ও মারামারি লেগেই আছে। বড়দল গ্রামের মৃত মনো সিংয়ের পুত্র যোয়াকিম সিং ১৭ বছর যাবত সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার চার্চের নাইট গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে পূর্ব শত্রু তার জের ধরে মৃত গনি আচারীর ছেলে শিলবানু আচারী, জোহন আচারীর ছেলে জয় আচারী, মৃত ছহিল উদ্দিন আচারীর ছেলে যাকব আচারী, টিটু আচারী, মৃত ওলিল মন্ডলের ছেলে ইমোন মন্ডল, মৃত গনেশ মন্ডলের ছেলে খোকন মন্ডল সহ আচারী গোষ্ঠীর আরোও অনেকেই দলবেঁধে নাইট গার্ড যোয়াকিম সিং এর অপসারণের দাবিতে চার্চের ভিতরে ঢুকে গেটে থাকা নাইট গার্ড যোয়াকিম সিং এর উপর হামলা ও বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে ফাদার (পালক পুরোহিত) বাবুল বৈরাগী কক্ষের দিকে গিয়ে নাইট গার্ডের অপসারণের দাবি জানাতে গেলে রাতে তিনি তাদের সাথে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় এবং পরদিন সকালে আসার কথা বলায় ফাদারকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে চলে যায়।আচারী গোষ্ঠী পরদিন সকালে চার্চে আসলে আয়া স্বরসতী মন্ডল, বাবুর্চি বিনতি মন্ডল ও গিলবার্ট রায় তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তাদেরকে মারপিট করে চার্চ থেকে বের করে দেয়। চার্চের নাইটগার্ড যোয়াকিম সিং ও তার ভাই আলবিনো সিং জানান, আমরা সিং গোষ্টি সংখ্যায় কম হওয়ায় আচারী গোষ্ঠী আমাদের উপর বিভিন্ন সময়ে ষড়যন্ত্র ও এক ঘুরে করে দেওয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী গোষ্ঠী।
    এ বিষয়ে ফাদার (পালক পুরোহিত) বাবুল বৈরাগী জানান, নাইট গার্ডের অপসারনের দাবি জানাইলে আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্তের কথা জানাই। এঘটনায় আশাশুনিতে দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার নাহিদুল ইসলাম খান ও আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে চার্চ পরিদর্শন করেছেন।
  • সাতক্ষীরায় ৯ম ও ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন 

    সাতক্ষীরায় বৈশম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ এর পক্ষ থেকে ৯ম, ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২ অক্টোবর বিকাল ৪.৩০ মিনিট সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিহারিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল হাসনাত, মাধবকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সাত্তার, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাকির হোসেন, চৌবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান, উত্তর তলুইগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ সোহেল হক, পলাশপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আ,হ,ম মোস্তফা জামান। মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে “শতভাগ পদোন্নতি সহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে “প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ” এর পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শোয়েব আহমেদ এর মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর লিখিত স্বারকলিপি তুলে দেন।
  • প্রগতির আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস পালিত

    প্রগতির সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আজ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রগতির সভাপতি প্রবীর শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শাহানা হামিদ। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রগতির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার নজরুল ইসলাম, শিক্ষক সাংবাদিক রনজিৎ বর্মন, এডভোকেট মুনসুর রহমান, ডাঃ আব্দুস সালাম, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবপ্রসাদ মন্ডল, আব্দুল্লাহ আল বাকি, উন্নয়ন কর্মি আব্দুল হান্নান, তৃষ্ণা মন্ডল, রেহেনা খাতুন প্রমুখ।
    সভায় বক্তাগন প্রবীণদের মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ ও প্রবীণদের মেধা কাজে লাগানো জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  • সাতক্ষীরার টিটিসি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে
    মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার বেলা
    সাড়ে ১১টায় এলাকাবাসীর আয়োজনে সাতক্ষীরা
    টিটিসির সামনে এ মানববন্ধন হয়। এতে সভাপতিত্ব
    করেন ইউসুফ আল আজাদী। বক্তব্য রাখেন ডা. রতন দাশ, মো.
    মফিজুর রহমান, কামাল হোসেন, মো. মাসুদ হোসেন,
    ডা. মহিবুল্লাহ, আব্দুর রশিদ প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ
    করেন, কে এম মিজানুর রহমান ১০ম গ্রেডে যোগদান করে
    দীর্ঘ ৪ বছর ধরে অধ্যক্ষের পদ দখল করে রেখেছেন এবং
    টিটিসিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। তার
    বিরুদ্ধে ভুয়া টেন্ডার, ঘুষ গ্রহণ, নিয়োগে বাণিজ্য,
    এবং বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তার
    সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন আরিফুল ইসলাম,
    সাবেক জব প্রেসমেন্ট অফিসার। বক্তারা অবিলম্বে অধ্যক্ষের
    অপসারণ দাবি করেন, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন।

  • আশাশুনির বুধহাটা পূর্বপাড়া রাস্তা ও বসত বাড়ি জলমগ্ন

    আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা পূর্বপাড়া গ্রামে যুগযুগ ধরে চরম দুর্দশার হাতছানিতে গ্রামবাসী ডুবে থাকলেও দেখার কেউ নেই।
    গ্রামের ভিতরে রাস্তাগুলো জন্ম থেকেই উন্নয়নের ছোয়া বঞ্চিত বললেও ভুল হবেনা। সবই প্রায় কাঁচা রাস্তা। নেই সকল স্থানে পয়ঃ নিস্কাশনের সুব্যবস্থা। একটু বৃষ্টি হলে পানিবদ্ধতার কষ্টকর পরিণতে যেন তাদের নিত্য সঙ্গী। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ নিম্নশিক্ষিত হওয়ায় তাদের হয়ে কথা বলার জন্য কেউ নেই। বিভিন্ন সময়, বিশেষ করে ভোটের সময় রাজনৈতিক দলের নেতারা তাদেরকে বারবার অনেক কিছু করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পরে আর খোজ মেলেনি। কেউ কথা রাখার প্রয়োজনবোধ করেননি। গ্রামের নিম্ন শিক্ষিত মানুষগুলোকে তারা শুধুমাত্র নিজেদের কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। তাই এলাকার উন্নয়নের বিষয়টা স্বপ্নই থেকে গেছে বারবার। ফলশ্রুতিতে একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা  সৃষ্টি হয়ে জনজীবনে নেমে এসে থাকে সীমাহীন দুর্ভোগ।
    বর্তমানে গ্রামটি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এই পাড়ায় অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অসুবিধা গুলো তারা ভোগ করে আসছে। অবহেলিত এই জনপদের সুদিন ফেরানোর লক্ষ্যে তারা সব সময় চেয়ে থাকে জন প্রতিনিধিদের দিকে। কিন্তু কোন সুফল এখনো পর্যন্ত মেলেনি। সম্প্রতি বেতনা নদী খননের কাজ চলছে। বছরের পর বছর বিলম্বিত হচ্ছে কাজটি। স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিস্কাশন বন্ধ থাকায় জলাবদ্ধতা বহুগুনে বেড়ে গেছে। এ যেন জ্বালার উপর আরেক জ্বালা।
    এলাকাবাসীর দাবী, সংশ্লিষ্ট যার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ গ্রামটিকে সময়োপযোগী বসবাস যোগ্য করে গড়ে তুলতে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নেবেন। যেন পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
  • সাতক্ষীরায় এফডিইবি’র প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত 

    শহর প্রতিনিধি:”সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার সৎ ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ” স্লোগানে   সাতক্ষীরায় ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়াম এ প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
    ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ’র সভাপতিত্বে ও কল্লোল আহমেদ’র সঞ্চালন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবি সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মির্জা মিজানুর রহমান,এফডিইবি পেশাজীবী উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপদেষ্টা মাওলানা আজিজুর রহমান,এফডিইবির সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এম এম এ আবু জায়েদ বিন গফুর, এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।
    প্রতিনিধি সম্মেলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ  ও কল্লোল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদককরে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি মীর আহসান হাবিব ও মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ফারুক ও আজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুর জাম্মান খালিদ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদ, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক দেছের আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসউদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাসিমসহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
    শহর প্রতিনিধি:”সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার হাতিয়ার সৎ ও দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার ” স্লোগানে   সাতক্ষীরায় ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ অডিটোরিয়াম এ প্রতিনিধি সম্মেলন ও সিরাত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
    ফোরাম অব  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এফডিইবি)এর সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ’র সভাপতিত্বে ও কল্লোল আহমেদ’র সঞ্চালন প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবি সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহাদ্দিস রবিউল বাশার । বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মির্জা মিজানুর রহমান,এফডিইবি পেশাজীবী উপদেষ্টা শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপদেষ্টা মাওলানা আজিজুর রহমান,এফডিইবির সাতক্ষীরা জেলার সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী এম এম এ আবু জায়েদ বিন গফুর, এফডিইবির কেন্দ্রীয় সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।
    প্রতিনিধি সম্মেলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আনিছুর রহমান পলাশ  ও কল্লোল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদককরে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ সাতক্ষীরা জেলা কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি মীর আহসান হাবিব ও মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন ফারুক ও আজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুর জাম্মান খালিদ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুজাহিদ, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক দেছের আলী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মাসউদ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নাসিমসহ ২৫ সদস্য বিশিষ্ট  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
  • বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা পেতে যাচ্ছে ভিআইপি সেবা

    বিমানবন্দরে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা পেতে যাচ্ছে ভিআইপি সেবা

    হযরত শাহ্‌জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

    প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন,  আগামী দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্যগামী কর্মীদের জন্য ভিআইপি সেবা চালু হবে।

    মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা।

    আসিফ নজরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার আগ্রহের ও উৎসাহের ভিত্তিতে আমাদের যারা রেমিটেন্স যোদ্ধা আছে তাদের বিমানবন্দরে ভিআইপি সার্ভিস দিব। একজন ভিআইপি যখন বিমানবন্দরে যায় তখন তাদের সঙ্গে লাগেজ এবং চেকিংকের জন্য একজন থাকে, ইমিগ্রেশান করার সময় পাশে একজন থাকে। প্রত্যেকটা স্তরে আমরা অনুরুপ সেবা চালু করব।

    প্রবাসী উপদেষ্টা বলেন, প্রথম স্তরে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে টার্গেট করেছি, ইউরোপ পরে করব। মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের অধিকাংশ শ্রমবাজার। প্রথম স্তরে মধ্যপ্রাচ্যে যে সমস্ত শ্রমিক যাচ্ছে ওনারা যখন ফেরত আসবে একজন ভিআইপি যে রকম সেবা পান সেটা পাবেন। আমরা লাউঞ্জ ব্যবহার করার চিন্তা করছি। এটা অনেক পরের কাজ।

    তিনি বলেন, আগামী দুই সপ্তাহ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে একটা ইমিগ্রেশানে কাউন্টারের ব্যবস্থা করা হবে। তবে তার জন্য কর্তৃপেক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। প্রত্যেকটা স্তরে পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করবে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের কর্মী। দরকার হলে আমরা আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষত কর্মী নিয়োগ করব। সেটা আমরা দুই সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করব।

    আসিফ নজরুল বলেন, একজন প্রবাসী যেন কোনো অবস্থাতে হয়রানির স্বীকার না হোন। অপরাধ বোধ মনে না করেন এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্ট।

  • ‘পন্ত অতিমানব’, বললেন ওয়াসিম আকরাম

    সেঞ্চুরির পর ঋষভ পন্ত

    চেন্নাইয়ে অনেকটা নতুন করে টেস্ট অভিষেক হয়েছে ঋষভ পন্তের। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার ২১ মাস পর চেন্নাই টেস্ট দিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরেছেন পন্ত। মাঝের সময়টায় কেন খেলেননি, সেই কারণটা সবারই জানা, গাড়ি দুর্ঘটনা।

    মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হয়েছিলেন ৯৩ রানে। দেড় বছর পর সেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিরে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। চোট থেকে ফেরার পর টেস্টে ফিরেই এমন পারফরম্যান্স দেখে পন্তকে অতিমানব আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান পেসার ওয়াসিম আকরাম।

    চেন্নাই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৯ রান করেছেন পন্ত। যা টেস্টে তাঁর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ১২৮ বলে ১০৯ রানের দাপুটে ইনিংস দেখে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টস ক্রীড়াকে আকরাম বলেছেন, ‘পন্তের পারফরম্যান্স দেখুন, এমন এক বিপর্যয়ের পর ফিরে যেভাবে পন্ত পারফর্ম করেছে, তা দেখিয়ে দিয়েছে, ও অতিমানব। যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, আমরা পাকিস্তানে সবাই উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি ওকে নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলাম, ওকে নিয়ে টুইট করেছিলাম।’

    পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম
    পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামইনস্টাগ্রাম/ওয়াসিম আকরাম

    ওয়াসিম যোগ করেছেন, ‘ও যে ভয়ংকর দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছে, সেখান থেকে ফেরাতেই বোঝা যায়, ছেলেটা মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী। আমার মতে, মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে এটা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বলার মতো গল্প। এরপর ও আইপিএলে ফিরে ৪০ গড়ে ৪৪৬ রান করেছে, স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫৫। ও একটা বিস্ময়বালক।’

    পন্ত খুব বেশি দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন, তা নয়। ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা পন্ত শুরুর কয়েক বছর ছিলেন আসা–যাওয়ার মধ্যে। চোটের কারণে ছিলেন না এক বছরের বেশি সময়। এই অল্প সময়েই ব্যাটিংয়ে নিজের আলাদা স্বাক্ষর রাখতে পেরেছেন পন্ত, বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটে। অথচ টি-টোয়েন্টির পন্তকে নিয়ে শুরুর দিকে আলোচনা হয়েছিল বেশি।

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন ঋষভ পন্ত
    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন ঋষভ পন্তএক্স

    টেস্টে পন্তের সেঞ্চুরিগুলোর আরেকটু বিশেষ দিক আছে। ২৬ বছর বয়সী পন্তের ‘সেনা’ (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া) দেশগুলোতে একটি করে সেঞ্চুরি আছে। ৬টি সেঞ্চুরির দুটি শুধু ঘরের মাঠে। আকরাম পন্তের প্রশংসা করতে গিয়ে এই দিকটিও তুলে এনেছেন, ‘যেভাবে পন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলত, যেভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে পারফর্ম করেছিল, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে কৌশলে ও ব্যাটিং করেছে, টেস্টে জেমস অ্যান্ডারসন, এমনকি প্যাট কামিন্সের বিপক্ষে সে রিভার্স সুইপ খেলেছে, ও আসলেই স্পেশাল।’

    আগামী নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে ভারত। সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ ইনিংসে ২৭৪ রান করেছিলেন পন্ত। এবার ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পন্ত কেমন করেন, সেটা দেখার বিষয়।

  • হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ

    হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ

    ভুল তো মানুষ মাত্রই হয়। তবে ভুল স্বীকার করে তা শুধরে নেওয়াটাই বড় কথা। এমনটাই মানেন অমিতাভ বচ্চন। তাই তো বলিউডের শাহেনশা হয়েও বিনম্র তিনি। হাত জোড় করে নিজের ভুলের জন্য চাইলেন ক্ষমা। কিন্তু কী এমন ভুল করেছেন বিগ বি?

    দিন কয়েক আগে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। তাতে বলেছিলেন ‘আমি আবর্জনা ফেলব না।’ এই কথাটি মারাঠি ভাষায় বলতে গিয়েই তিনি ভুল উচ্চারণ করে বসেন। ভুলের কথাটি তাকে জানান, বন্ধুবর সুদেশ ভোঁসলে। ভুল করেছেন তা জানতে পেরেই ক্ষমা চেয়ে নেন বলিউডের শাহেনশা। সঠিক উচ্চারণ করে কথাটি বলেন তিনি।

    অমিতাভের এই বিনম্রতায় মুগ্ধ অনুরাগীরা। অনেকেই কমেন্টবক্সে তার এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, এই জন্যই তো আপনি অমিতাভ বচ্চন। কেউ কেউ আবার জানিয়েছেন, শেখার কোনও বয়স হয় না সেকথা বিগ বি আবারও প্রমাণ করলেন। আর এই কারণেই তিনি এতদিন ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন।

    সম্প্রতি প্রভাস-দীপিকার ‘কল্কি’ সিনেমা অশ্বথামার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন। এই চরিত্রের জন্য তুমুল প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। এদিকে আবার জল্পনা, রণবীর কাপুর অভিনীত ‘রামায়ণ’ সিনেমায় তার কণ্ঠ শোনা যাবে, তাও আবার জটায়ুর চরিত্রে।

  • গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার

    গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭০৮ জনের তালিকা প্রকাশ করল সরকার

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জন শহীদের পরিচয় জমা হয়েছে। পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে (২০২৪) সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় হতে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

    এতে বলা হয়েছে, তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।

    প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে-

    (ক) শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

    (খ) রেজিস্ট্রেশনের পর শহীদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।

    (গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।

    (ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।

    (ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণকৃত ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।

    (চ) দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কি না তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।

    গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শহীদদের মধ্যে যদি কারো নাম এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/সিভিল সার্জন/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হলো।

  • সাতক্ষীরা সদরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    সাতক্ষীরা সদরে শিক্ষকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

    শাহ জাহান আলী মিটন, শহর প্রতিনিধি :বৈষম্য দূরীকরণে বেসরকারি মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ,  জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ করা  হয়েছে। উপজেলার  বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোট ও বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে মঙ্গলবার  (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যলয় প্রাঙ্গণে এ  মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো:মমিনুল ইসলাম’ সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জালাল উদ্দিন’র সঞ্চালনায় মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি মো. আমানুল্লাহ আমান।
    মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক  মো. আব্দুল্লাহ,মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন,জেলা কল্যাণ সমিতির সচিব  মো. মিজানুর রহমান,জেলা শিক্ষক সমিতির কোষাধক্ষ মো. নজিবুল ইসলাম, আমতলা সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ  মাওলানা মোহতসিন বিল্লাহ, আলিপুর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক  মোঃ আব্দুল লতিফ, শিয়ালডাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল লতিফসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
    মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষকবৃন্দ বলেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা জাতীয়করণ এবং জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপজেলা জেলা অঞ্চল ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় পদায়ন স্থগিত রেখে শিক্ষা প্রশাসনের কাজে দক্ষ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের চলতি দায়িত্ব প্রদান ও একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করতে হবে।
     একটি উন্নত আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে সুষম, সুস্থ-পরিচ্ছন্ন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সার্বজনীন শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
    অনুষ্ঠানে বক্তারা শিক্ষা জাতীয়করণের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার পরিকল্পিতভাবে মাধ্যমিক শিক্ষাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছে।
    জুলাই আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা বৈষম্য বিরোধী একটি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ার যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়েছে, তা এখন বাস্তবায়ন করতে হবে।
      বক্তারা চারদফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবসমূহ হলো- মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে ৯৭% বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা জাতীয়করণ করা অত্যন্ত জরুরী। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা, একই পাঠ্য-পুস্তক ও একই বোর্ডের আওতায় পরীক্ষা হলেও সরকারি ও বেসরকারীর মধ্যে আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার বৈষম্য শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে প্রধান অন্তরায়। তাই শিক্ষার সকল স্টকহোল্ডারদের প্রাণের দাবি হলো মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। এটি নিশ্চিত করা হলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সমান সুযোগ পাবে এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে-যা আমাদের দেশের ভবিষ্যতের জন্য অভ্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-একাডেমিক ও প্রশাসনিক। শিক্ষকেরা অ্যাকাডেমিক কাজে দক্ষ, পেডাগোজি কেন্দ্রিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। অন্যদিকে ৩১ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উপজেলা মাধ্যমক শিক্ষা অফিসারদের প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ রয়েছে। শিক্ষকতা ও প্রশাসন ভিন্ন চরিত্রের, তাদের কাজের ধরণ ও চর্চা ভিন্ন। যদি শিক্ষকরা প্রশাসনে অনভিজ্ঞ হন, তবে তা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে। তাই, উভয় পেশার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও পরস্পর পরিপূরক হিসেবে কাজ করা উচিত, যাতে দেশের শিক্ষা উন্নত হতে পারে।
    উপজেলা ও জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় ৩১ বছরের শিক্ষা প্রশাসনের কাজের দক্ষতা সম্পন্ন ৬৪ গ্রেড আফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি ও পদায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত। স্কুল, মাদ্রাসা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে বৈষম্য প্রকট। দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে একটি শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। কমিশন শিক্ষকদের জন্য একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো তৈরি করবে, যা তাদের মর্যাদা ও প্রেরণা বৃদ্ধি করবে। এছাড়া, উপজেলা থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসন কিভাবে চলবে, তা স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সংস্থাগুলোর কার্যক্রম কিভাবে সমন্বয় হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা করবে।
    মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের পর শিক্ষকরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা ও শিক্ষা সচিব বরাবর পৃথক দুটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
  • সাতক্ষীরায় জি,আর মামলা প্রত্যাহার ও ক্রিমিনাল রিভিশন মামলা খারিজের দাবিতে বাদীর সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় জি,আর মামলা প্রত্যাহার ও ক্রিমিনাল রিভিশন মামলা খারিজের দাবিতে বাদীর সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় পদ্ধতিগত ক্রটির কারনে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে দাখিলকৃত জি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) মামলাটি প্রত্যাহার করার আবেদনের পরও বাদীর অজ্ঞাতসারে তৃতীয় পক্ষ কর্তৃক জজ আদালতে এক ক্রিমিনাল রিভিশন ৩৮৬/২৪ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন আশাশুনির কল্যানপুর গ্রামের হাজী মিনাজউদ্দীন এর ছেলে মামলার বাদী মোঃ আব্দুল মজিদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একপর্যায়ে গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর ছাত্র জনতা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রতাপনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের বাড়ির সামনে পৌছালে জাকির মিছিলে গুলি চালায়। এ সময় আমার চাচাতো শ্যালক কল্যানপুর গ্রামের নূর হাকিম ঘোরামীর ছেলে আবুল বাশার আদম (২২) মারা যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার নং সি,আর ৩৩০/২৪(আশাশুনি)। বিচারক দাখিল কৃত নালিশী দরখাস্তটি এজাহার হিসাবে গণ্য করে পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের জন্য আশাশুনি থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ আদালতকে এই মর্মে অবহিত করেন যে, একই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিপূর্বে থানায় একটি মামলা রুজু হয়। জি,আর নং- ১৭৪/২০২৪(আশাঃ) এবং উক্ত মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। এমতাবস্থায় বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট গত ৫ সেপ্টেম্বর একই ঘটনা নিয়ে দুইটি মামলা দায়ের হওয়ায় ফৌজদারী কার্য্যবিধি ২০৫ ডি ধারা মতে সি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) নং মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন এবং বর্নিত অবস্থায় জি,আর-১৭৪/২৪(আশাঃ) নং মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তি সহ আগামী ৩০ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেন। আব্দুল তিনি আরো বলেন, আদালতে দাখিলকৃত সি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ)নং মামলার বিষয়বস্তু সংক্রান্তে প্রত্যক্ষদর্শী, নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ট সাক্ষ্য প্রমানাদি সংগ্রহ করে পরে জানতে পারলাম যে, আমার দাখিলকৃত মামলাটির ঘটনা প্রবাহ প্রকৃত অবস্থার পরিচায়ক নয়। এমতাবস্থায় আমি পদ্ধতিগত ক্রটির কারনে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পৃথক দরখাস্ত দ্বারা বর্নিত সি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) নং মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করলে ম্যাজিষ্ট্রেট পৃথক কাগজে আমার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন এবং আগামী ৩০ অক্টোবর প্রত্যাহার সংক্রান্ত আদেশের জন্য দিন ধার্য্য করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন ইতিমধ্যে আমার পূর্বের নিয়োগকৃত আইনজীবীগণ ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দাখিলের সময় আমার নিকট থেকে একাধিক কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। পরবর্তীতে আদালত প্রাঙ্গনে এসে জানতে পারি যে, আমার পক্ষে বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত সি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) নং মামলার গত ৫/০৯/২৪ ও ৯/০৯/২৪ তারিখে আদেশের বিরুদ্ধে এক ক্রিমিনাল রিভিশন ৩৮৬/২৪ নং মামলা দায়ের করা হয়েছে যা আমার অজ্ঞাত সারে করা হয়েছে। আমি নিজে স্বপ্রনোদিত হয়ে আদালতে কোন রিভিশন মামলা দায়ের করিনি। পূর্বের নিয়োগকৃত আইনজীবীগনের সঙ্গে মত পার্থক্য দেখা দেওয়ায় পরবর্তীতে ভিন্ন আইনজীবী নিয়োগ করি। তথাপিও পূর্বের নিয়োগকৃত আইনজীবীগণ তৃতীয়পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার স্বার্থে পরিপন্থি বর্নিত মামলা সংক্রান্তে পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলছে-যা আইন ও ন্যায় বিচারের পরিপন্থি, আমার স্বার্থের পরিপন্থি বিধায় আমি নিন্দা জ্ঞাপন করছি। তিনি পদ্ধতিগত ক্রটির কারনে আদালতে দাখিলকৃত জি,আর-৩৩০/২৪(আশাঃ) নং মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর দাখিলকৃত আবেদনটি মঞ্জুরপূর্বক যাতে নিষ্পত্তি হয় এবং একই সাথে তার স্বার্থের পরিপন্থি ক্রিমিনাল রিভিশন ৩৮৩/২৪ নং মামলাটি খারিজ হয় তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • আশাশুনির বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা, প্রশাসনিক ও পাঠদানে ব্যাহত

    আশাশুনির বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা, প্রশাসনিক ও পাঠদানে ব্যাহত

    আশাশুনি ব্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুলের (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের) অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সপ্তাহাধিক কাল ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিজভূমে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান তৎকালীন নিয়মিত কমিটির মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক ভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন। এক পর্যায়ে কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানে অনিয়ম করা হয়েছে অভিযোগ এনে বিরোধীতা শুরু করলে বিষয়টি বড় হতে শুরু করে। সারাদেশে মাধ্যমিক স্তরের প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি হিসাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণকে দায়িত্ব প্রদানের পর অভিযোগটি নিয়ে সরাসরি মাঠে নামেন কিছু শিক্ষক ও অভিভাবক।
    প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ও সিনিয়র শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম জানান, এব্যাপারে অভিযোগ প্রাপ্তির পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করে আদেশ স্টে অর্ডার করান। সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমিটির সভা আহবান করে সকলের মতামত শুনে এব্যাপারে জিপির মতামত গ্রহনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে হাই কোর্টের স্টে অর্ডারের বিরুদ্ধে ১৯ সেপ্টেম্বর ৩১৫৯ নং রিট করা হয়। তাদের অভিযোগ বাবলুর রহমান প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজিয়েট স্কুল এর পরিবর্তে ডিগ্রী কলেজ দেখিয়েছেন। ফলে মাউশির এখতেয়ার নাই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে স্টে অর্ডারের ভিত্তি নেই বলে তারা দাবী করেন। তারপরও বাবলুর রহমান কাউকে দায়িত্ব হস্তান্তর না করায় প্রতিষ্ঠানে শূন্যতা বিরাজ করছে। তবে অফিস কক্ষে তালা লাগানোয় কাগজপত্র আটকে আছে বলে তারা স্বীকার করেন।
    একাদশ শ্রেনির ছাত্র নাইমুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, অফিসে তালা ঝুলানোয় কলেজে ঝিমঝিমে পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলু স্যার প্রতিদিন কলেজে এসে ক্লাশ নিচ্ছেন বলে তারা জানায়।
    ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান জানান, রিটে ডিগ্রী কলেজ উল্লেখ করা হয়নি। ডিগ্রী কলেজ উল্লেখ করা হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চল, খুলনাসহ অন্যদের বিবাদী করা হতো না। বরং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ভিসি, ট্রেজারার বা তাদের কাউকে বিবাদী করা হতো। প্রতিপক্ষ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে ১৯/৯/২৪ তারিখে ৩১৫৯ নং যে রিট করেছেন, সেখানে মহামান্য আদালত “নো অর্ডার এন্ড ডিরেকশান” হয়। অর্থাৎ স্টে অর্ডার ভ্যাকেট হয়নি। তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছি, ক্লাশ নিচ্ছি। কতিপয় শিক্ষকের ঈন্ধনে কে বা কারা অফিসে তালা লাগিয়েছে। আমি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অফিস সহকারী কক্ষে বসে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পর্ন করছি। তবে তালাবদ্ধতার জন্য প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠদানে ব্যাহত হচ্ছে এবং অভিভাবকরা কাজ নিয়ে আসলে তাদের কাজ মেটাতে পারছেননা বলে তিনি জানান।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কৃষ্ণা রায় বলেন, অফিসে তালা লাগানোর সংবাদ আমার কাছে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।