Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 64 of 82

Author: Hasan

  • ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৬০

    ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬৬০

    শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এই সময়ে ভাইরাসটি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬৬০ জন।

    রোববার (১৩ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০৭, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১, খুলনা বিভাগে ৭১ জন রয়েছেন। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২০, রংপুর বিভাগে ১৭ এবং সিলেট বিভাগে ১ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

    এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৬৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৪৬ জন।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৪২ হাজার ৪৭০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ২১৪ জনের। এছাড়া গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন।

  • দুর্গোৎসবে ভারতে গেল ২২ ভাগ ইলিশ

    দুর্গোৎসবে ভারতে গেল ২২ ভাগ ইলিশ

    দুর্গোৎসবে ভারতের বাঙালিদের ইলিশের স্বাদ দিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমোদিত দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি আদেশ পেলেও শেষমেষ বেনাপোল দিয়ে গেল ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ। এবার সরকারের দেওয়া রপ্তানি আদেশের মাত্র ২২ ভাগ ইলিশ ভারতে গেল। সময় স্বল্পতা, বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্য রাত থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে।

    বেনাপোল স্থলবন্দরের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহবুুবুর রহমান বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৪৯ জন রপ্তানিকারককে দুই হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানিতে ছাড়পত্র দেন অন্তবর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৪৮ জনকে ৫০ মেট্রিক টন করে ও একজনকে ২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর রাত পর্যন্ত ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। যার রপ্তানি মূল্য ৫৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৬৩ কোটি ৯৬ লাখ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০২৩ সালে চার হাজার মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। এর বিপরীতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১ হাজার ৩৭৬ দশমিক ৪২ টন। এবারও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। প্রতিবারই এক শ্রেনীর ব্যবসায়ীরা রপ্তানির অনুমতি পেলেও মাছ রপ্তানি করেন না। তারাই আবার পরের বছর অনুমতি পেয়ে যান। জবাবদিহিতা না থাকায় প্রতিবছর এ ঘটনা ঘটলেও দেখার কেউ নেই।

    রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইলিশ চেয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অনুরোধ আর বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া অনুমতির মধ্যকার সময় স্বল্পতার কারণে পুরো ইলিশ রপ্তানি করা যায়নি। পূজা শুরুর পর ভারতীয় অংশে আমদানি বন্ধ এবং রপ্তানির জন্য হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন থাকায় ইলিশ রপ্তানিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বছরই কেবল নয়, বিগত পাঁচ বছরেও রপ্তানির অনুমতি পাওয়া পুরো ইলিশ পাঠানো যায়নি।

    এদিকে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল যশোরসহ গোটা দেশের মানুষ। দেশের বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৮শ’ থেকে দু’হাজার টাকায় বিক্রি হলেও ভারতে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১২শ’ টাকা কেজিতে। এটি কিভাবে সম্ভব তা নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র বলেছে, প্রকৃতপক্ষে ওই দরে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে না। ইলিশ রপ্তানির খবরে বেনাপোলসহ আশপাশের এলাকার বাজারগুলোতে ইলিশ সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাগামহীন দাম বাড়ানোয় সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে রসনাবিলাস বাঙালির জাতীয় মাছ ইলিশ। চড়া দামের কারণেই মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের অধিকাংশের পাতে ওঠেনি ইলিশ।

    ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিসের রেজাউল জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার বেনাপোল থেকে সড়ক পথে ভারতে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ থাকে। তবে শনিবার খোলা থাকে। অন্যদিকে রোববার আবার মাছ আমদানি বন্ধ রাখে ভারত। সপ্তাহের এই দু’দিন বাদ দিলে ২৬ অক্টোবর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাত্র ১২ দিন ভারতে ইলিশ পাঠানোর সুযোগ পেয়েছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বাজারে ইলিশ সংকট ও অস্বাভাবিকভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে ইলিশ রপ্তানি করতে পারেনি। এবার প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ১৮০ টাকার সমান। কিন্তুু বাজারে এক হাজার ৮০০ টাকার নীচে মাছ কেনা যায়নি। তাছাড়া বড় বড় মোকামে মাছ সংকটও ছিল।

    বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হয়। ১২ দিনে এ বন্দর দিয়ে ৫৩৩ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পাওয়া ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২০টি প্রতিষ্ঠান রপ্তানি করতে পেরেছে। ২৯টি প্রতিষ্ঠান কোন ইলিশ মাছ রপ্তানি করতে পারেনি বলে তিনি জানান।

  • সরকারী ভাতাপ্রাপ্ত ৪৩ শতাংশই অযোগ্য

    সরকারী ভাতাপ্রাপ্ত ৪৩ শতাংশই অযোগ্য

    সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় যে ব্যক্তিদের সুবিধা দেওয়া হয় তার প্রায় ৪৩ শতাংশই ভাতা পাওয়ার অযোগ্য। বিগত সরকারগুলোর আমলে উপকারভোগী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির কারণে তারা তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে ভাতাভোগীর তালিকা পর্যালোচনা করে অযোগ্যদের বাদ দিয়ে যোগ্যদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তালিকা পর্যালোচনা শুরু হওয়ায় এবার উপকারভোগীদের ভাতা দিতে কিছুটা বিলম্ব হবে বলে জানিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভালো কাজে উৎসাহিত করতে সাময়িক অসুবিধা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    অর্থ মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের নিজস্ব তথ্যের পাশাপাশি ইউনিসেফের জরিপের তথ্য অনুয়ায়ী উপকারভোগীদের তালিকার ৪৩ শতাংশ ত্রুটিপূর্ণ। অর্থাৎ যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তারা হওয়ার মতো নয়। এদের মধ্যে অনেকে পেনশন, ভিজিডি বা অন্যান্য ভাতা নিচ্ছে। আবার অনেকে বেশ সম্পদশালী হওয়ার পরও একাধিক ভাতা নিচ্ছে। উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইউপি মেম্বার-চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের পক্ষপাত ও দুর্নীতির কারণে এমনটি হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় মনে করছে।

    অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে ২০২০ সালে নিম্নআয়ের ৫০ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন সরকার। এ টাকা দিতে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় সেই তালিকা যাচাই করে দেখতে পায় ১৬ লাখের বেশি সরকারি কর্মচারী, সঞ্চয়পত্রের মালিক, পেনশনভোগী এতে ঢুকে পড়েছে। পরে সরকার এ ১৬ লাখকে বাদ দিয়ে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষকে এককালীন আড়াই হাজার করে টাকা দেয়।

    কর্মকর্তাদের দাবি, এ ঘটনার পর থেকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির তালিকা পর্যালোচনার জন্য জোরালোভাবে বলে আসছেন তারা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণাতেও উঠে এসেছে প্রায় একই চিত্র।

    গত বছর তাদের এক জরিপে দেখা যায়, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বয়স্ক এবং ৩৩ শতাংশ বিধবা নিজেদের এ ভাতা পাওয়ার অযোগ্য বলে জানিয়েছে। এই অযোগ্য সুবিধাভোগীদের জন্য মোট বরাদ্দের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এদের মধ্যে আবার প্রায় ১২ শতাংশ পেনশন, ভিজিডি বা অন্যান্য ভাতা নিচ্ছে।

    সংস্থাটির মতে, অযোগ্যদের ভাতা দেওয়া বন্ধ করা হলে প্রকৃত যোগ্য ৪৫ শতাংশ ব্যক্তিকে সুরক্ষার আওতায় আনা সম্ভব।

    সিপিডির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার জন্য কার্ড পেতে সংশ্লিষ্টদের গড়ে ২ হাজার ৬৫৩ টাকা ঘুষ দিতে হয়। ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ লেনদেন হয়। অনেকে এ ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও ঘুষ দিতে না পারায় ভাতা পান না। এসব কারণে ভাতা বিতরণের যে লক্ষ্য তা ব্যাহত হচ্ছে।

    বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণিতে সরকার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ভাতা বিতরণ করে থাকে। উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনিয়মের বিষয়টি বার বার আলোচিত হয়েছে। যথাযথভাবে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে আসছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা।

    এতদিন তালিকা পর্যালোচনা করা না হলেও এবার সেই উদ্যোগ নিল অন্তর্বর্তী সরকার। সূত্রগুলো বলছে, তালিকা হালনাগাদ হলে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা কমবে না। কারণ অযোগ্যদের বাদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও যারা এতদিন সুবিধা পাননি তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

    সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালিকা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিসহ অন্যদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির এটি করার কথা। কিন্তু বর্তমানে তাদের অনুপস্থিতিতে বিকল্প কমিটিকে দ্রুত এটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, বর্তমানে ইউএনওরা উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বের রয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে বিকল্প কমিটির মাধ্যমে সরকার পরিচ্ছন্ন তালিকা তৈরি করে যোগ্য ব্যক্তিদের ভাতা দিতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে বিভিন্ন ভাতা প্রদানে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। আগামীতে যেন দেরি না হয় সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে।

  • আবারও সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

    আবারও সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

    আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    রোববার সকালে দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

    এতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু চট্টগ্রাম অঞ্চল ব্যতীত বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায় নিতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুঙ্ক থাকতে পারে।

    সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

  • হজে যেতে হলে নিবন্ধন করতে হবে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে

    হজে যেতে হলে নিবন্ধন করতে হবে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে

    আগামী বছর হজে যেতে ২৩ অক্টোবরের মধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন করার অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

    আজ রোববার মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগ এ সংক্রান্ত বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

    এতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুসারে মিনা ও আরাফায় তাঁবু নির্ধারণ ও সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদন কার্যক্রম ২৩ অক্টোবর হতে শুরু হবে।

    তাঁবু বরাদ্দ প্রদান করার ক্ষেত্রে ‘আগে আসলে আগে পাবেন’ নীতি অনুসরণ করা হয়ে থাকে।

    বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে হজযাত্রী নিবন্ধন শেষ না হলে মিনা ও আরাফায় কাঙ্ক্ষিত জোনে তাঁবু বরাদ্দ পাওয়া যাবে না।

    তাঁবু গ্রহণ ও সার্ভিস কোম্পানির সাথে চুক্তি সম্পাদনে দেরি হলে হজযাত্রীদের জামারাহ হতে অনেক দূরে পাহাড়ি এলাকা কিংবা নিউ মিনা এলাকায় অবস্থান করতে হবে। ফলে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে প্রখর রোদ ও গরমের মধ্যে দীর্ঘপথ হাটতে হবে, যা তাদের জন্য কষ্টকর হবে।

    সে কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।

  • মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি : রাষ্ট্রপতি

    মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি : রাষ্ট্রপতি

    দেশকে এগিয়ে নিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি।।

    রোববার (১৩ অক্টোবর) বঙ্গভবনে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    রাষ্ট্রপতি বলেন, সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ। আমরা সবাই বাংলাদেশি। এখানে সবাই একই সূত্রে গাঁথা। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটির কোনো স্থান নেই। সবাই এক এবং অভিন্ন সত্তা। ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।

    তিনি বলেন, আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে বিদ্যমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি একটি সুন্দর আগামী ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখবে।

    সাহাবুদ্দিন বলেন, সমগ্র বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ পরিস্থিতির কারণে মানবতা আজ বিপর্যস্ত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পুরো বিশ্ব অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া দেশের বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।

    পরোপকারের মহান ব্রত নিয়েই রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের এ সংকটকালে সহায়-সম্বলহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

    অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান শেষে রাষ্ট্রপতি দরবার হলে সকল অতিথির সাথে কুশল বিনিময় করেন।

    এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দাস, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় গুরু রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস কুমার পাল অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

    এ সময় রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

  • সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানা গেল

    সাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানা গেল

    বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বিখ্যাত এই তারকা। তবে হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় তার দেশে ফেরার বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে, তবে সাকিবকে নির্ভয় দিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

    রোববার (১৩ অক্টোবর) বিসিবিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানিয়েছেন, সাকিবের দেশে ফেরা কিংবা খেলার ক্ষেত্রে কোনো আইনগত বাধা নেই। তিনি বলেন, ‘সাকিব বাংলাদেশের নাগরিক এবং একজন ক্রিকেটার হিসেবে তার খেলার অধিকার রয়েছে। তাই তার দেশে আসার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখি না।’

    তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিবকে নিয়ে চলমান বিতর্ককে আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে উল্লেখ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে মানুষ তাদের মত প্রকাশের অধিকার রাখে। তবে আমার আহ্বান থাকবে, যেন কারো নিরাপত্তা ঝুঁকিতে না পড়ে। আমাদের দেশের পরিবেশ ঠিক রাখা জরুরি, যাতে দক্ষিণ আফ্রিকা বা অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশে এসে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত না হয়।’

    আইনের বিষয়ে মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, তিনি বলেন যদি কোনো আইনগত বিষয় থাকে, তা আইনগত প্রক্রিয়ায় সমাধান হবে। তবে নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকবেন বলেও জানান তিনি। দেশের পরিবেশ ঠিক না থাকলে, বিদেশি দলগুলো বাংলাদেশে আসতে দ্বিধা করতে পারে বলেও জানান তিনি।

    রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সাকিব এখনো দেশে ফেরেননি। তবে তিনি ভারত সফরের সময় কানপুরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন টেস্টটি হতে পারে তার ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ, তবে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো কিছু জটিলতা রয়েছে। সাকিব পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দেশে ফেরার বিষয়ে শর্তও দিয়েছেন।

    ক্রিকেটার হওয়ার পাশাপাশি সাকিব ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য। তবে সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার নীরব অবস্থান নিয়ে কিছু মহলে অসন্তোষ দেখা দেয়। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করেন।

    মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২১ অক্টোবর, এবং যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তবে সেটিই হতে পারে সাকিব আল হাসানের শেষ আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচ।

  • পিতার বকুনি খেয়ে আত্মহত্যা

    পিতার বকুনি খেয়ে আত্মহত্যা

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পিতার বকুনি খেয়ে আসমা আক্তার নামে (২২) এক সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রমজাননগর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

    আত্মহননকারী আসমা আক্তার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের মুজিবর গাজীর মেয়ে ও একই উপজেলার সোনামোড় এলাকার আবুজার হোসেনের স্ত্রী। ইয়াছিন আরাফাত নামে সাড়ে তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে তার।

    মৃতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামীর সাথে মনোমালিন্যের জেরে গত তিন মাস ধরে পিতার বাড়িতে ছিল আসমা। শনিবার বিকালে পিতা মুজিবর রহমান শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য মেয়েকে বকাঝকা করেন। একপর্যায়ে রাতে পরিবারের সদস্যরা অন্য কক্ষে অবস্থানের সুযোগে আসমা শোবার ঘরের আড়ার সাথে ওড়না জড়িয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

    মুজিবর রহমান জানান, পারিবারিক কারণে মেয়েকে সামান্য বকাঝকা করেছিলেন তিনি। তবে মেয়ের আত্মহত্যার জন্য তার স্বামী আবুজার দায়ী। পূর্বে তালাক দেয়া প্রথম স্ত্রীকে আবারও সংসারে ফিরিয়ে আনার ঘটনায় কষ্ট পেয়ে তার মেয়ে গত তিন মাস আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে আমার এখানে চলে এসেছিল। এসব কারণে আসমা মানসিক কষ্টে ভুগছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

    আবুজার হোসেন জানান, তার প্রথম স্ত্রীর বিষয়ে আসমা সবকিছু জানতো। পরবর্তীতে পিতা মাতার প্ররোচনায় সে রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যায়। তিন মাস ধরে সে সেখানে ছিল।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্বামীর প্রতারণার পর পিতার বকুনি পেয়ে অভিমানে আসমা আত্মহত্যা করে।

    শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

  • মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন বিভিন্ন বাহিনীর বরখাস্ত সদস্য: র‌্যাব

    মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন বিভিন্ন বাহিনীর বরখাস্ত সদস্য: র‌্যাব

    রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ৫ জন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বরখাস্ত সদস্য বলে জানিয়েছে র‍্যাব। রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টার দিকে মোহাম্মদপুরের তিনরাস্তা মোড় সংলগ্ন ‘আবু কোম্পানির বিল্ডিং’ নামে পরিচিত একটি পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যৌথবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়।

    র‍্যাব জানায়, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, নগদ ৭ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়েছে।

    লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য।’ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

  • যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় মামলা, আটক ৪

    যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় মামলা, আটক ৪

    শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরের দেবী কালীর মাথার মুকুট চুরির ঘটনায় প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর মামলা হয়েছে। মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষে জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় বাদী হয়ে শনিবার রাত দুইটায় শ্যামনগর থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিবিকে।

    এদিকে চুরির রহস্য উদঘাটনসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে ডিবি। আটকরা হলেন মন্দিরের প্রধান পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জী (৪৭), পুরোহিতের সহকারী অপূর্ব সাহা (৩৭), সঞ্জয় বিশ্বাস সাজু (৪০), পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখা রানী (৪২) ও পারুল বিশ্বাস (৪১)।

    মামলার এজাহারে বাদী জ্যোতি প্রকাশ চট্রোপাধ্যায় উল্লেখ্য করেন, যশোরেশ্বরী মন্দির একটি তীর্থস্থান। ১৮০৯ সাল থেকে তাদের পূর্বপুরুষরা মন্দিরটি পরিচালনা করছেন। গত ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদি মন্দির পরিদর্শনকালে দেবীর মাথায় রুপার ওপর সোনার জলের রং করা মুকুটটি পরিয়ে দেন। প্রায় ৩০ ভরি ওজনের ওই মুকুটের মূল্য প্রায় লাখ টাকা।

    মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পুরোহিত দিলীপ ব্যানার্জীর কাছে মন্দিরের চাবি থাকে। তবে পরিচ্ছন্নতার জন্য মাঝেমধ্যে রেখা রানীকে পুরোহিত চাবি হস্তান্তর করেন। এমন এক অবস্থায় গত ১০ অক্টোবর আগত ভক্তদের সেবা দেওয়ার সময় মন্দিরের চাবি খুলে কাজের সময় পরিচ্ছন্নতা কর্মী রেখা অসাবধানতাবশত বাইরে চলে যায়। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা দেবীর মাথা থেকে মুকুট খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।

    শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান সমকালকে বলেন, শনিবার রাতে মামলার পর বিষয়টি ডিবি তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তারা পাঁচজনকে আটক করেছে। এছাড়া সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজের যুবককে শনাক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

  • সুুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক

    সুুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা সম্পন্ন হবে: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক

    সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। রোববার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১২টায় আশাশুনিতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ও মহেশ্বরকাটি পূজা মন্ডপ সহ বিভিন্ন মন্ডপ পরিদর্শন করে মন্ডপের আলোকসজ্জা সজ্জিত সহ সার্বিক ব্যবস্থা দেখে সন্তোষজনক প্রকাশ করেন। পরিদর্শনকালে উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি রাশেদ হোসাইন, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজুল ইসলাম, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নীলকণ্ঠ সোম, সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার বৈদ্য, পুলিশ সদস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
  • হায়দরাবাদে টস জিতে ব্যাটিং নিল ভারত

    হায়দরাবাদে টস জিতে ব্যাটিং নিল ভারত

    বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে ভারত। হায়দরাবাদে আজ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে স্বাগতিকরা।

    সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে নামা বাংলাদেশ এই ম্যাচে দুটি পরিবর্তন এনেছে। মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম ও শেখ মেহেদী হাসানকে। এটাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

    বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে ভারত। হায়দরাবাদে আজ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে স্বাগতিকরা। 

    সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে নামা বাংলাদেশ এই ম্যাচে দুটি পরিবর্তন এনেছে। মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলী জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম ও শেখ মেহেদী হাসানকে। এটাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

    ভারতীয় একাদশে পেসার অর্শদীপ সিংয়ের জায়গায় এসেছেন স্পিনার রবি বিষ্ণয়।

    ভারত একাদশ: অভিষেক শর্মা, সাঞ্জু স্যামসন (উইকেটকিপার), সূর্যকুমার যাদব, নিতিশ কুমার রেড্ডি, রাইয়ান পরাগ, হার্দিক পান্ডিয়া, রিংকু সিং, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিষ্ণয়, বরুণ চক্রবর্তী ও মায়াঙ্ক যাদব।

    বাংলাদেশ একাদশ: পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব।

  • কমলা হ্যারিসের প্রচারে এ আর রাহমানের সংগীতায়োজন

    কমলা হ্যারিসের প্রচারে এ আর রাহমানের সংগীতায়োজন

    ভারতীয়–আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট। ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন তিনি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কমলা হ্যারিসের সমর্থনে একটি সংগীতায়োজনের ভিডিও ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রাহমান। ৩০ মিনিটের এ ভিডিও কমলার প্রচারণায় ব্যবহার করা হবে।

    ৩০ মিনিটের সংগীতায়োজনের ভিডিও রেকর্ড করার মধ্য দিয়ে এ আর রাহমান হলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী, যিনি কমলার প্রতি সরাসরি সমর্থন জানালেন।

    ১৩ অক্টোবর স্থানীয় সময় রাত ৮টায় এশিয়ান–আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার্স (এএপিআই) ভিক্টরি ফান্ডের ইউটিউব চ্যানেলে এ আয়োজন প্রচারিত হবে। এএপিআই ভিক্টরি ফান্ডের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ আয়োজনে এ আর রাহমানের শ্রোতাপ্রিয় কিছু গান থাকছে। সঙ্গে আরও থাকছে কমলার প্রচারের পক্ষে এবং এএপিআই সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রতি তাঁর (কমলার) প্রতিশ্রুতি নিয়ে বার্তা।

    এএপিআই ভিক্টরি ফান্ডের চেয়ারপারসন শেখর নরসিমহান বলেন, ‘এই সংগীতায়োজনের মধ্য দিয়ে এ আর রাহমান যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রগতি ও প্রতিনিধিত্বের সপক্ষে দাঁড়ানো নেতা ও শিল্পীদের কাতারে নিজের কণ্ঠস্বরকে যুক্ত করেছেন।’

  • দেবহাটায় ফিরোজা মজিদ ট্রাস্টের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ

    দেবহাটায় ফিরোজা মজিদ ট্রাস্টের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ

    দেবহাটায় ফিরোজা মজিদ ট্রাস্টের আয়োজনে ও লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ওয়েসিসের সহযোগীতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে। ফিরোজা মজিদ ট্রাস্টের সখিপুন নিজস্ব অফিস প্রাঙ্গনে (শনিবার) ১২ অক্টোবর, ২৪ ইং সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত একটানা এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়। এমবিবিএস ডাক্তার আরাফাত আহম্মেদের তত্ত্বাবধানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন এই চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এসময় উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত পরীক্ষা করার সাথে সাথে ২৯ টি আইটেমের ঔষধ ফ্রি বিতরণ করা হয়। দেবহাটার বিশিষ্ট সমাজসেবক, সাবেক চেয়ারম্যান ও নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনের সাবেক সাধারন সম্পাদক মরহুম আব্দুল মজিদের ৫ ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত উক্ত মেডিকেল ক্যাম্পে মরহুমের ছেলে ফিরোজা মজিদ ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক ইকবাল মাসুদ, মরহুমের মেজো মেয়ে শাহিনা পারভিন,নাদিরা বিলকিস, মিতু ইসলাম,শিরিন সুলতানা,মরহুমের জামাতা নৌবাহিনী কর্মরত কনেডোর জাকিরুল ইসলাম, উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পারুলিয়া ইউপি বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, সখিপুর আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, আশার আলো সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আজাদ, দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, দেবহাটা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুল ইসলাম,বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী দেবহাটা উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মাওলানা এমদাদুল হক, সাবেক ইউপি সদস্য জামায়তে ইসলামী নেতা আফসার আলী, আশরাফুজ্জামান,বিএনপি’র নেতা শহিদুল ইসলাম, কামরুজ্জামান সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ভারী বৃষ্টিতে মক্কায় আকস্মিক বন্যা

    ভারী বৃষ্টিতে মক্কায় আকস্মিক বন্যা

    সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় গত বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টির প্রভাবে মক্কা ও আশপাশের অঞ্চলে দেখা দিয়েছিল আকস্মিক বন্যা।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কয়েকটি ভিডিওতে বৃষ্টির তীব্রতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। বৃষ্টির আগে সেসব এলাকায় ধূলিঝড় হয়। এতে করে বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমানতা হ্রাস পায়।

    সৌদির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র তাদের পূর্বাভাসে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছিলো। বিশেষ করে মক্কা, জিজান, আসির, আল বাহা এবং মদিনায় বন্যা ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

    বৃহস্পতিবারের এই ভারী বৃষ্টির পর মক্কার নিম্নাঞ্চল ও উপত্যকাগুলোতে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়।

    পুরো বিশ্বের মতো মধ্যপ্রাচ্যেও এবার দেখা যাচ্ছে বিরূপ আবহাওয়া। অঞ্চলটির বিভিন্ন জায়গায় অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হচ্ছে। মরু অঞ্চলে কম বৃষ্টিপাত হলেও সেসব জায়গায় তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এরমধ্যে আফ্রিকান দেশ মরক্কোর সাহারা মরুভূমিতে গত ৫০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বন্যা দেখা গেছে। সাহারায় বন্যার বিষয়টি একটি বিরল ঘটনা।

    এদিকে সৌদি আরবে এমন আবহাওয়া আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানায় দেশটির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র।

  • সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি

    সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে পূজার পর সাঁড়াশি অভিযান : আইজিপি

    পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলাম বলেছেন, অপরাধ করলে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে শারদীয় দুর্গাপূজার পর সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে। কাউকে রাজনৈতিক পরিচয়ে ছাড় দেওয়া হবে না।

    শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পুলিশ প্রধান।

    আইজিপি বলেন, যারা অপতৎপরতা চালাতে চায় তারা মুষ্টিমেয়। আমরা যদি একতাবদ্ধ থাকি এই সংখ্যা কোনো সংখ্যাই না। গতকালের ঘটনাই তার প্রমাণ। আমরা কিন্তু তাদের ধরেছি এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    সুতরাং যারাই কোনো অপরাধ করতে চাইবে তাদের পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেটুকুভাবে আশ্বস্ত করতে চাই।

    পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, আমরা পূজার পর ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ মাদক এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সবগুলো নিয়ে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করব। মাঝে মাঝে আপনাদের যে শঙ্কা তৈরি হয় এবং আমাদের কাছে যে অভিযোগ আসে আমরা সেগুলোকে আমলে নিতে চাই।

    আমরা যেন আইন-শৃঙ্খলা অবনতির ঘটনাগুলো প্রতিহত করতে পারি।

    চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ সকল অপরাধের তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, আমি বলব কোনো সংবাদ যদি সেনসেটিভ মনে হয়, তবে সে বিষয়ে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান। সেটা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানছেন অথবা অন্যভাবে জানছেন। সেটা আমাদের জানান। আপনার পরিচয় গোপন করে জানান।

    সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অথবা চাঁদাবাজি যেটাই হোক না কেন, চুপ করে দেখেন আমরা ব্যবস্থা নেই কি না। আমরা আপনাদের পাশে আছি, সবার পাশে আছি। আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই।

    এ সময় ঢাকা মহানগর কমিশনার মাইনুল হাসান এবং মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • উপ‌দেষ্টা আসিফ মাহমুদের পরিদর্শনের পর যশোরেশ্বরী মন্দিরে হাতাহাতি

    উপ‌দেষ্টা আসিফ মাহমুদের পরিদর্শনের পর যশোরেশ্বরী মন্দিরে হাতাহাতি

    সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহাসিক যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শন করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তবে, তিনি মন্দির প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার পরপরই মন্দির কর্তৃপক্ষের সাথে স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

    শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার পর সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শনে যান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

    এসময় দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে কথা বলে মন্দির ত্যাগ করার পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

    হাতাহাতির বিষয়ে মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতার কারণে মুকুট চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় ও তার লোকজন আমাদের উপর চড়াও হয়।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষে জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, এখানে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ভিডিও ফুটেছে দেখা গেছে বিশৃঙ্খলা হয়েছে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বহিরাগতরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।

    এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুল ইসলাম বলেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মহোদয় মন্দির পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ও সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

    এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া চুরির সাথে জড়িতকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সনাক্ত করে স্বর্ণের মুকুট উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন।

    উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, মন্দিরে চুরির ঘটনা দুঃখজনক। আমরা খবর শোনা মাত্রই ঢাকা থেকে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি চুরি হওয়া মুকুট যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শ্যামনগর নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাশ, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানসহ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ।

    এদিকে, মন্দির পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম হয়ে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ভ্রমণে যান।

  • সাতক্ষীরায় বাধ্য হয়ে বাড়ি ছাড়ছে অনেকে

    সাতক্ষীরায় বাধ্য হয়ে বাড়ি ছাড়ছে অনেকে

    সাতক্ষীরায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হতে পেরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। জলাবদ্ধ এলাকায় দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট। ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ। ইতিমধ্যে অনেকেই বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের বদ্দিপুরকলোনী, কামলানগর, কাঠিয়া মাঠপাড়া, সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের মাগুরা, তালততলা, খেজুরডাঙ্গা, বিনেরপোতা, গোপিনাথপুর, ধুলিহর ইউনিয়নের দামারপোতা, মাছখোলা, বড়দল, বাগডাঙ্গা, জিয়ালা, গোবিন্দপুর, নাথপাড়া, তালতলা, কাজিরবাশা, বালুইগাছা, ধুলিহর সানাপাড়াসহ জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্রায় প্লাবিত হয়ে রয়েছে। পানি বন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব এলাকার মানুষ। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ বাধ্য হয়ে গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি নিয়ে ভিটে ছেড়েছে। অনেক স্থানে হাঁস, মুরগি ও ছাগল মরে দুগন্ধ ছড়াচ্ছে সর্বত্র। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। মল-মূত্র পানিতে ভেসে একাকার হয়ে গেছে। প্লাবিত এসব এলাকাসহ ধুলিহর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার গভীর নলকূপ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে খাবার পানির সংকটে ভুগছে এলাকাবাসী।

    গোপিনাথপুর গ্রামের দিপংকর মিস্ত্রী জানান, গত প্রায় একমাস ধরে পুরো গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। অনেকের ঘরের মধ্যে পানি উঠেছে। পানি নামার কোন লক্ষণ নেই। এই অবস্থা লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে কোমর পানি ভেঙে মেইন রাস্তায় উঠতে হচ্ছে। স্কুলে যেতে না পারায় গ্রামের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে আছে। গ্রামের অধিকাংশ বাথরুম পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। টিউব ওয়েল পানিতে ডুবে থাকায় খাবার ও রান্নার পানি অনেক দূর থেকে সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে নিদারুন কষ্টে আছে গোপিনাথপুর গ্রামসহ আশেপাশের মানুষ।

    ধুলিহরের গোবিন্দপুর গ্রামের জরিনা বেগম জানান, একদিন ভাত না খেয়ে বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু পানি না খেয়ে থাকা যায় না। এখন কোথাও খাওয়ার পানি নেই। ভেলায় করে ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার দূর থেকে পানি আনতে হচ্ছে।

    একই এলাকার অন্য এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের এলাকায় খাবার পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সেই সাথে রান্না খাওয়ার পানিও নেই।

    বড়দল গ্রামের ইউপি সদস্য এনামুল হক খোকন বলেন, বর্তমানে এলাকায় কোনো ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে তার দাফন করার মতো উচু জায়গা নেই। সব পানিতে প্লাবিত। গত কয়েক বছর ধরে এলাকা প্লাবিত হলেও এবার সম্পূর্ন ব্যতিক্রম।

    দামারপোতা গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, আমার ঘরের ভিতরে পানি, রান্না ঘরে পানি, পায়খানা ঘরেও পানি। অপরিকল্পিত মাছের ঘের আর পাউবোর অপরিকল্পিত ফ্লুইস গেট এই সর্বনাশ ডেকে এনেছে। বেতনা নদী খননের কাজ শুরু হলেও তিন বছরে তা শেষ হয়নি । এ কারণে বিগত কয়েক বছরের মতো চলতি বছরেও বেতনা নদী দিয়ে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে বেতনা নদীর তীরবর্তী ২৫-৩০ গ্রামের ফসলি জমি, মৎস্য ঘের ও পুকুর পানিতে ডুবে গেছে।

    স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী জিএম আমিনুল হক বলেন, জলবদ্ধতা নিরসনে সরকার নদী খননের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়, কিন্তু অপরিকল্পিত খননের কারণে তা যায় জলে। কাজের কাজ কিছুই হয় না। রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, স্কুল-কলেজ সব পানিতে ডুবে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে।

    ধুলিহর গ্রামের গবাদিপশু চাষী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গোয়াল ঘরে পানি ওঠায় গরু ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে আছি। সেই সাথে গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।

    এদিকে, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার দপ্তর জানায়, জলাবদ্ধতায় নাকাল হয়ে পড়েছে বেতনা ও মরিচ্চাপ নদীর মধ্যবর্তী বল্লী, ঝাউডাঙ্গা, লাবসা, ব্রহ্মরাজপুর, ধুলিহর ও ফিংড়ী ইউনিয়নের মানুষ। এছাড়াও সাতক্ষীরা পৌরসভার পূর্বাংশের মানুষ জলাবদ্ধতায় নাকানি-চুবানি খাচ্ছে। তালার নগরঘাটা, ধানদিয়া, খলিলনগর, মাগুরা ইউনিয়নেও একই অবস্থা। জলাবদ্ধতা এ অঞ্চলের মানুষের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, জলাবদ্ধতায় সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন অংশসহ আশপাশের ইউনিয়নে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের ও অপরিকল্পিত নদী খননই এর জন্য দায়ী। রোদে পানি শুকানো ছাড়া জলাবদ্ধ মানুষের মুক্তি নেই।