Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 62 of 82

Author: Hasan

  • বাতিল হচ্ছে জাতীয় আট দিবস

    বাতিল হচ্ছে জাতীয় আট দিবস

    ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকসহ আটটি দিবস বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

    বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়।

    বাতিল হওয়া জাতীয় আটটি দিবস হচ্ছে—ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম দিবস ও জাতীয় শিশু দিবস, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ভাই শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী, ৮ আগস্ট শেখ হাসিনার মা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস, ১৮ অক্টোবর শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল দিবস, ৪ নভেম্বর জাতীয় সংবিধান দিবস ও ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস।

  • আগামীকাল দেশে ফিরছেন সাকিব

    আগামীকাল দেশে ফিরছেন সাকিব

    ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলতে চান।

    কিন্তু তার দেশে ফেরায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় একটি খুনের মামলা। বিসিবিও নিরাপত্তা অপারগতা প্রকাশ করে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, সাকিবের দেশে ফেরা এবং দেশ ত্যাগে কোনো বাধা নেই। এরপরই সাকিব দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

    বিসিবি সূত্রে জানা যায়, সাকিব আল হাসান আগামীকাল রাতে দেশে ফিরবেন। আগামী শুক্রবার থেকে সাকিব যোগ দেবেন দলের সঙ্গে। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট শেষেই সাকিব সাদা পোশাককে বিদায় বলবেন।

  • কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী পালিত

    কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্মবার্ষিকী পালিত

    ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা, তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ৬৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়।

    ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর (২৯ আশ্বিন) বরিশাল জেলার আমানতগঞ্জের রেডক্রস হাসপাতালে জন্ম গ্রহন রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর। পিতা ডাঃ শেখ ওয়ালীউল্লাহ (১৯৩০-১৯৯৬), মাতা শিরিয়া বেগম (১৯৩৯ – ২০০৪)। পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত সাহেবের মেঠ গ্রামে। ১০ ভাই-বোনর মধ্যে ছিলেন রুদ্র সবার বড়।

    বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দিবসটি উপলক্ষে কবির পৈতৃক বাড়ি মোংলার মিঠেখালীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ‘রুদ্র স্মৃতি সংসদ’। সকাল ৯টায় মিঠাখালী বাজার থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি মিঠাখালী বাজার প্রদক্ষিণ করে কবির মাজারে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় কবির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। পরে সেখানে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

    এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের অনুজ সাংবাদিক সুমেল সারাফাত, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম শেখসহ রুদ্র স্মৃতি সংসদ এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সদস্যরা।

    ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মারা যান রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ। অকালপ্রয়াত এই কবি নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্যচেতনা ও অসাম্প্রদায়িকবোধে উজ্জ্বল তার কবিতা। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি উচ্চারণ করেছেন অবিনাশী স্বপ্ন- ‘দিন আসবেই- দিন সমতার’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্র প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তার কাব্যের আরেক প্রান্তরজুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।

    মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। ‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

    শৈশবের অধিকাংশ সময় তাঁর কেটেছে নানাবাড়ি মিঠেখালি গ্রামে (বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত)। এখানকার পাঠশালাতেই তাঁর পড়াশুনা শুরু। ১৯৬৪ : দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন সাহেবের মেঠ গ্রামে তাঁর নানার নামে প্রতিষ্ঠিত “ইসমাইল মেমোরিয়াল স্কুল”-এ।

    উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান। কিশোর শহিদুল্লাহ যোগ দেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণআন্দোলনের কর্মসূচিতে। হরতাল, মিছিল, মিটিংয়ে নিয়মিত অংশ নেন তিনি।

    উল্লেখ্য, মৃত্যুর ৩২ বছর পরে এবছরের গত মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্ত অন্যান্যদের সঙ্গে ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নাম প্রকাশ করা হয়।

  • জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত প্রায় ১০০

    জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে নিহত প্রায় ১০০

    পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে প্রায় ১০০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বিস্ফোরণের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৫০ জন। নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে বুধবার দেশটির পুলিশ জানিয়েছে।

    দেশটির পুলিশের মুখপাত্র লাওয়ান শিসু অ্যাডাম ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তর জিগাওয়া রাজ্যে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কার উল্টে যায়। এ সময় অনেকেই রাস্তায় ছড়িয়ে পড়া জ্বালানি সংগ্রহের চেষ্টা করেন। সেই সময় ট্যাঙ্কারটিতে বিস্ফোরণ ঘটে।

    তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৯৪ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হয়েছি। এছাড়া বিস্ফোরণে আরও ৫০ জন আহত হয়েছেন।

    মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাওয়ান বলেন, ট্যাঙ্কারটি উল্টে যাওয়ার পর রাস্তায় অনেক মানুষ জ্বালানি সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যে কারণে আগুনে পুড়ে অন্তত ৯৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

    বিস্ফোরণের কারণে ধরে যাওয়া আগুন বুধবার ভোর পর্যন্ত পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

    গত মাসে নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্য নাইজার রাজ্যে একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সাথে ট্রাকের সংঘর্ষের পর বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হন। নাইজেরিয়ার বেশিরভাগ প্রধান সড়কে প্রায়ই প্রাণঘাতী ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটে।

    বিশেষজ্ঞরা এসব দুর্ঘটনার পেছনে চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালনা, রাস্তার বেহাল দশা ও অতিরিক্ত যানবাহনকে দায়ী করেন।

    সূত্র: এএফপি

  • সাকিবকে নিয়েই বাংলাদেশের দল ঘোষণা

    সাকিবকে নিয়েই বাংলাদেশের দল ঘোষণা

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি। দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করা সাকিব আল হাসানকে নিয়েই দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ।

    ঘরের মাটিতে আসন্ন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন সাকিব। যদিও টাইগার এই অলরাউন্ডারের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। সরকারের তরফে সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছিল কদিন আগে। সর্বশেষ বিসিবির তরফেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়।

    এবার সাকিবকে নিয়েই প্রথম টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। জানা যাচ্ছে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) আমেরিকা থেকে দেশে ফিরছেন সাকিব। ঢাকায় নেমেই টিমের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।

    আসন্ন সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে নতুন অধ্যায় শুরু হচ্ছে ফিল সিমন্সের। চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর টাইগারদের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এই ক্যারিবিয়ানকে। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত লাল-সবুজের দলের দায়িত্ব সামলাবেন তিনি।

    সিরিজের প্রথম টেস্ট মাঠে গড়াবে ২১ অক্টোবর থেকে। ভেন্যু হিসেবে থাকছে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়াম। এরপর সিরিজের শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ২৯ অক্টোবর থেকে। যার ভেন্যু হিসেবে থাকছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের এই দুই টেস্ট।

    প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের স্কোয়াড

    নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, নাহিদ রানা, জাকের আলি অনিক, হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ।

  • সাতক্ষীরায়  এককেজি গাঁজাসহ মাদককারবারি দুই ভাই গ্রেপ্তার

    সাতক্ষীরায়  এককেজি গাঁজাসহ মাদককারবারি দুই ভাই গ্রেপ্তার

    সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ এক মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে এক কেজি গাঁজা সহ মাদক কারবারি দুই সহোদর ভাইকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাবুলিয়া গ্রামের অশোক দাসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই গাজা উদ্ধার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃত দুই মাদককারবারি হলো, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের বাবুলিয়া গ্রামের মৃত নিরাপদ দাসের দুই ছেলে অশোক দাস (৫৫) ও ষষ্ঠী দাস (৪৫)।

    সাতক্ষীরা ডিবি সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখা পুলিশের একটি মাদকবিরোধী অভিযানিক দল সন্ধ্যায় বাবুলিয়া গ্রামের অশোক দাসের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে এক কেজি ওজনের গাঁজা উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য গাঁজা হেফাজতে রাখার অভিযোগে অশোক দাস ও তার ভাই ষষ্ঠী দাস কে গ্রেফতার করা হয়। আসামী অশোক দাস চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা আছে।

    সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা কিরে আসছিল। আসামী দ্বয়ের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

  • বাল্যবিবাহ শিশুদের শিক্ষা ও ব্যক্তিগত বিকাশের সুযোগ সীমিত করে

    বাল্যবিবাহ শিশুদের শিক্ষা ও ব্যক্তিগত বিকাশের সুযোগ সীমিত করে

    সাতক্ষীরায় জাতীয় বাল্যবিবাহ নিরোধ দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কায়ালয়ে এক আলোচনা সভা, কুইজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    সাতক্ষীরা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাজমুন নাহারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি আহসান হাবিব। বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শেখ মো. হাসেম আলী, জেলা শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. রিয়াজুল ইসলাম, ওন-স্টপ ক্রাইসিস সেল প্রোগ্রাম অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিক, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স সাতক্ষীরার জেলা ইনচার্জ মো. শরিফুল ইসলাম ও মো. মেহেদী হাসান, সিডব্লিউসিএস ইনচার্জ মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।

    প্রধান অতিথি বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক অভিশাপ। যে সকল মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হয়-তারা প্রায়ই স্কুল দেড়ে দেয়, যা তাদের শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত বিকাশের সুযোগ সীমিত করে। এটি দারিদ্র এবং বৈষম্যের চক্রকে স্থায়ী করেতে আবদান রাখে। বাল্য বিবাহ মেয়েদের অর্থনৈতিক সুযোগে প্রবেশে সীমিত করে এবং আর্থিক স্বাধিনতা অর্জনের ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। এজন্য দেশকে বাল্যবিবাহ মুক্ত করতে হবে, যেন আর বাল্যবিবাহ দিবস পালন করতে না হয়।

    আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাল্য বিবাহের ফলে একটি মেয়ে শারীরিক এবং মানষিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার আগেই প্রাপ্তবয়ষ্কদের ভূমিকা পালন করতে হয়। যা তাদের শারীরিক ও মানষিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কাজেই আর শিশুর পেটে শিশু নয়, শিশুদেরকে শিক্ষা ও সুসাংস্কৃতিকের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। একই সাথে সরকারের সব মন্ত্রণালয়-বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আরো উদ্যোগী হতে হবে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটিকে।

    সাতক্ষীরা সদরের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ছাড়াও ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স সাতক্ষীরা পরিচালিত ৩০টি কিশোর কিশোরী ক্লাব থেকে ৩০ জন কিশোর কিশোরীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় বাল্যবিবাহ নিরোধ দিবস। অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কুইজ পরিচালনা করেন সাকিবুর রহমান বাবলা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা।

  • সাতক্ষীরায় ইঁদুর নিধন অভিযান এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

    সাতক্ষীরায় ইঁদুর নিধন অভিযান এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

     ছাত্র শিক্ষক কৃষক ভাই ইঁদুর দমনে সহযোগিতা চাই এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান ২০২৪ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির আয়োজনে খামারবাড়ির কনফারেন্স রুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সাতক্ষীরার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএডিসি সাতক্ষীরার উপপরিচালক (বীউ) মো. রমিজুর রহমান, আইডিয়াল এর নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ ডা. নজরুল ইসলাম, ডিএই (শস্য) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষিবিদ ইকবাল আহমেদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মনির হোসেন, শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাজমুল হুদা, সদর কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রুম্মন শাহরিয়ার প্রমুখ। অপরদিকে একই স্থানে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর এর মাধ্যমে ইঁদুর নিধনকল্পে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা এবং বিশ্ব খাদ্য দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ) কৃষিবিদ মোঃ জামাল উদ্দিন।
    এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষক কৃষাণী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাতক্ষীরা সদর অতিরিক্ত কৃষি অফিসার প্লাবনী সরকার।
  • শ্যামনগরে সেবাদানকারী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা

    শ্যামনগরে সেবাদানকারী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভা

     ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এবং কোডেক এর আয়োজনে, অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ ও অষ্ট্রেলিয়ান এইড-এর সহায়তায় শ্যামনগরে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়োজিত সভায় ব্লু-ইকোনমি এন্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকারের স্ট্যান্ডিং কমিটিসমূহ শক্তিশালীকরণ এবং আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্থ নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ প্রাপ্তিতে উপজেলা পর্যায়ের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    প্রকল্পটি উপকূলীয় এলাকার জনগোষ্ঠী-বিশেষ করে নারী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষমতা বৃদ্ধি, জেন্ডার ন্যায্যতা, বাস্তুতন্ত্র (ইকো-সিস্টেম) ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়-ক্ষতি পুনরুদ্ধারে সহায়তা এবং তাদের অধিকার বাস্তবায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
    ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র সাতক্ষীরা প্রকল্প অফিসের ইনচার্জ ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে  মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রশাসক ডা. সঞ্জীব দাশ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাজমূল হুদা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
    মো. জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
    এছাড়া সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, বন বিভাগের প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, মৎস্য বিভাগের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি, বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা, প্রিণ্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক, কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও যুব দলের প্রতিনিধিরা।
    উক্ত মতবিনিময় সভায় আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষয়-ক্ষতি, এর প্রভাব এবং উপকূলীয় এলাকার প্রন্তিক জনগোষ্ঠির জীবন ও জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয় সেবাসমূহ কি কি রয়েছে এবং সহজে কমিউনিটির মানুষেরা সেই সেবাসমূহ সহজে পেতে পারে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনার মূল ফলাফল হিসেবে বলা যায়, উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা এবং কমিউনিটির প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দের মাধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরী হয়েছে। যা উপকূলীয় এলাকার প্রন্তিক জনগোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তিতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
    সভাটি সঞ্চালনা করেন, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’র প্রজেক্ট ম্যানেজার মিরাজ উদ্দীন তালুকদার।
  • শ্যামনগরে “খোটা শাক রান্না” প্রতিযোগিতা

    শ্যামনগরে “খোটা শাক রান্না” প্রতিযোগিতা

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিশ^ খাদ্য দিবস উপলক্ষ্যে অচাষকৃত শাকের রান্না
    প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    বুধবার (১৬ অক্টোবর) শ্যামনগর পৌরসভার সোনামুগারী গ্রামে অচাষকৃত
    উদ্ভিদবৈচিত্র্যের খাদ্যগুণ ও প্রাপ্তিস্থান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো
    এবং সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস
    নলেজ (বারসিক) গ্রামীণ নারীদের অংশগ্রহণে এই রান্না প্রতিযোগিতার
    আয়োজন করে।
    সিক্সটিন ডেজ অব গ্লোবাল অ্যাকশন অন এগ্রোইকোলজি ২০২৪ এর অংশ
    হিসেবে আয়োজিত এই রান্না প্রতিযোগিতায় ১২জন নারী বাড়ির আনাচে-
    কানাচে, খাল-বিল ও জলাশয় থেকে সংগ্রহ করে কচুশাক, ঘোড়াসেঞ্চী,
    মাঠিফোড়া, ডুমুর, বুনো আমড়া, থানকুনি, শাপলা, কলমি, কলার মোচা,
    আদাবরুণ, তেলাকচু ও গিমে শাক রান্না করেন।
    সোনামুগারী নারী সংগঠন, সবুজ সংহতি, যুব স্বেচ্ছাসেবক কমিটির
    সহায়তায় গ্রামীণ এক উৎসবমূখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই রান্না
    প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল খাবার রান্না, স্বাদ গ্রহণ এবং শাকের
    সাথে পরিচিতিকরণ।
    অচাষকৃত শাক রান্না প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর
    প্রেসক্লাবের সভাপতি সামিউল মনির, ভুরুলিয়া ইউপি সদস্য মো: আব্দুল মজিদ,
    শিক্ষক রনজিত বর্মন, উপসহাকারী কৃষি কর্মকর্তা জিএম আহসানউল্লাহ,
    কৃষাণী কোহিনুর বেগম, উন্নয়ন কর্মী লীমা বালা, স্বেচ্ছাসেবক আব্দুল্লাহ,
    শিক্ষার্থী বন্যা, বারসিকের সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার,
    প্রতিমা চক্রবর্তী ও বিশ্বজিৎ মন্ডল প্রমুখ।
    বক্তারা উপস্থিত দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, উপকূলীয় এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়ত
    প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবেলা করে টিকে থাকতে হয়। একসময় শ্যামনগর
    এলাকা উদ্ভিদবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ছিলো। জলবায়ু পরিবর্তন, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও ঘন
    ঘন দুর্যোগের কারণে তা কমতে শুরু করেছে। ভবিষ্যত প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তা
    নিশ্চিত করতে প্রাকৃতিক উৎস সংরক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরী।

  • শ্যামনগরে গ্রামীন  নারী কৃষি মেলা উদযাপন

    শ্যামনগরে গ্রামীন  নারী কৃষি মেলা উদযাপন

    গ্রামীণ নারীর মর্যাদাপূর্ণ জীবন গড়ি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করি এই
    প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে শ্যামনগরে লিডার্স এর  আয়োজনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও
    এ্যাম্বাসি অফ সুইডেনের আর্থিক সহযোগিতায় গ্রামীন নারী কৃষি মেলা ২০২৪ উদযাপন করা
    হয়েছে। বুড়িগোয়ালিনী  ইউনিয়নের আড়পাঙ্গাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫ অক্টোবর
    সকাল ১১ টায় গাবুরা ও বুড়িগোয়ালিনী  ইউনিয়নের নারীদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি আলোচনা
    সভা ও গ্রামীণ কৃষি মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
    ৯ নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান জনাব হাজী নজরুল ইসলাম।
    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আড়পাঙ্গাশিয়া প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
    জনাব সৌমিত্র জোয়ারদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা উন্নয়ন কর্মী সুমাইয়া
    জান্নাত, অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক জনাব নিমাই চন্দ্র মন্ডল, সমাজসেবক জনাব দেবব্রত কুমার
    মন্ডল, প্রকল্প সমন্বয়কারী জনাব সুব্রত অধিকারী, মিল অফিসার জনাব জয়দেব কুমার
    জোদ্দার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রজেক্ট অফিসার সুলতা রানী সাহা l মেলায় গাবুরা ও
    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের নারীরা চারটি স্টলে তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করেন। এই
    গ্রামীন নারী কৃষি মেলায় অংশগ্রহণ করে তারা খুবই খুশি।

  • বাংলাদেশের অর্থনীতি  চাপে থাকবে যতদিন

    বাংলাদেশের অর্থনীতি চাপে থাকবে যতদিন

    বিশ্বব্যাংক বলছে,  চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমে ৪ শতাংশ হবে। যার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও একবছর চাপে থাকবে।  তবে সংস্থাটি বলছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সেটি বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশিত বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য অনলাইনে ওয়াশিংটন থেকে বক্তব্য রাখেন- বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ইকনোমিস্ট ধ্রুব শর্মা, ইকনোমিস্ট নাজমুস খান এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই মুহূর্তে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বহিস্থ খাতের চাপ, আর্থিক খাতের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এসব কারণে প্রবৃদ্ধি খুব বেশি বাড়বে না।

    সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেননা এখনো ৮৪ দশমিক ৯ শতাংশ কর্মসংস্থান অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। এটি অত্যন্ত উচ্চ সংখ্যা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান কমেছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ হারে।

    আর্থিক খাত নিয়ে বলতে গিয়ে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে নানা ধরনের সংকট রয়েছে বিশেষ করে খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। সরকারের অনেক প্রচেষ্টার পরও সেটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতে ঋণের সুদেও হার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বেসরকারি খাতে ঋণ গ্রহণ কমেছে।

    প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়ে ৩ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, মধ্যবর্তী পয়েন্ট হবে ৪ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বিশ্বব্যাংক এপ্রিলে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল।

    চলমান অর্থবছরের বাজেটে সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। সেই হিসাবে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস সরকারি লক্ষ্যের চেয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম হবে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অনুযায়ী কমে গেলে তা হবে কোভিড মহামারির পর সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

    চলতি অর্থবছরের পূর্বাভাস কমানোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনও কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়েছে। গত অর্থবছরের জন্য সরকারের সাময়িক প্রাক্কলন ছিল ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।

    কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কর্মের বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে গ্যাপ রয়েছে। সেটি একটি বড় সমস্যা। এক্ষেত্রে রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মান বাড়াতে হবে। দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষার মিস ম্যাচ আছে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান বাড়াতে এসব বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি খারাপ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

    বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারেনি। অথচ প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যান তরুণ কর্মের বাজারে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে শিক্ষিত ও শহুরে বেকার বৃদ্ধি পাওয়াটা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

    তিনি আরও বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। নানা উদ্যোগ নিয়েও এটি কমানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। যা সাধারণ মানুষের জীবনমানকে নিচে নামাচ্ছে। পাশাপাশি বৈষম্যও বাড়ছে বাংলাদেশে। এক্ষেত্রে বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ দরকার। অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং আর্থিক খাতে বিভিন্ন সংস্কার দ্রুত করতে হবে।

  • ইসরায়েলি সেনা ক্যাম্পে ড্রোন হামলা, নিহত ৪

    ইসরায়েলি সেনা ক্যাম্পে ড্রোন হামলা, নিহত ৪

    ইসরায়েলের হাইফার দক্ষিণে বেনইয়ামিনা এলাকায় দেশটির সামরিক বাহিনীর গোলানি ব্রিগেড ক্যাম্পে ড্রোন হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ জন। লেবাননের ইরান–সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার প্রতিক্রিয়ায় হাইফার বেনইয়ামিনায় ইসরায়েলি সামরিক ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে।

    ওই এলাকাটি ইসরায়েল–লেবানন সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে।

    ইসরায়েলের সামরিক রেডিওতে হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত হওয়ার খবর প্রচার করা হয়েছে। দেশটির অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বলছে, আহতের সংখ্যা ৩৯।

    যদিও পরবর্তীতে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর ড্রোন হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬৭ জন।

  • এইচএসসিতে পাসের হারে যশোর বোর্ডে তৃতীয় সাতক্ষীরা

    এইচএসসিতে পাসের হারে যশোর বোর্ডে তৃতীয় সাতক্ষীরা

    এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডের পাসের হার বিবেচনায় বোর্ড সেরা হয়েছে যশোর জেলা। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা জেলা। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাতক্ষীরাে, এ  জেলায় পাস করেছে ৯ হাজার ৩৬৮ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৭০ দশমিক ১১ শতাংশ।

    আর তলানিতে রয়েছে মেহেরপুর জেলা।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) যশোর বোর্ডে ঘোষিত ফলাফল পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়।

    ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, যশোর জেলায় পাস করেছেন ১৫ হাজার ১০ জন শিক্ষার্থী অর্থাৎ পাসের হার ৭২ দশমিক ৮৪ শতাংশ। পাশের হারে শীর্ষে যশোর জেলা। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় পাশের সংখ্যায় এগিয়ে খুলনা জেলা। সেখানে পাস করেছে ১৬ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী এবং পাসের হার ৭১ দশমিক ১৯ শতাংশ।

    এছাড়া বাগেরহাট জেলায় পাস করেছে ৪ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৫ দশমিক ০৪ শতাংশ, সাতক্ষীরা জেলায় পাস করেছে ৯ হাজার ৩৬৮ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৭০ দশমিক ১১ শতাংশ, কুষ্টিয়া জেলায় পাস করেছে ৯ হাজার ৬২২ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গা জেলায় পাস করেছে ৪ হাজার ৩৭২ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মেহেরপুর জেলায় পাস করেছে ২ হাজার ৬০ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫০ দশমিক ৩৮ শতাংশ, নড়াইল জেলায় পাস করেছে ৩ হাজার ৪৯৩ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৬১ দশমিক ২৭ শতাংশ, ঝিনাইদহ জেলায় পাস করেছে ৯ হাজার ৩৫১ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ, মাগুরা জেলায় পাস করেছে ৪ হাজার ১১৫ জন শিক্ষার্থী, সেখানে পাসের হার ৫৮ দশমিক ২৩।

    যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, ২০২০-২১ সালে করোনাকালে প্রায় দেড় বছর অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়টাতে ইংরেজিতে একটু লার্নিং গ্যাপ রয়ে গিয়েছে। যার ফলে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারেনি। তবে এ বছর জিপিএ ৫ এ তারা এগিয়ে রয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় মানুষের ভরসা এখন ভেলা

    সাতক্ষীরায় মানুষের ভরসা এখন ভেলা

    সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের চলাচলের ভরসা এখন ভেলা

    সেপ্টম্বরের মাঝামাঝ সময়ে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা শহর ও সদর উপজেলার নিন্মাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণা করেছে। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় জলাবদ্ধ এলাকার মানুষজন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

    কেবল রৌদ্রে শুকালেই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলবে এই আশায় জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে জলাবদ্ধ এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠেছে ককসিট, ড্রাম বা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি ‘ভেলা’। বিভিন্ন উপকরণ বস্তায় ভরে সেলাই করে তৈরি করা ভেলার উপরে হালকা কাঠের পাটাতন দিয়ে বসা বা দাঁড়ানোর উপযোগী করে পানিতে চলাচলে ব্যবহার করছেন স্থানীয়রা।

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর, ব্রহ্মরাজপুর, ফিংড়ি, লাবসাসহ আশপাশের জলাবদ্ধ এলাকায় মানুষের ভেলা এখন একমাত্র বাহন। এদিকে দ্রুততম সময়ে পানি নিষ্কাশনে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এলাকাবাসী।

    ধুলিহর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের নজরুল সানা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা পানিবন্দি হয়ে আছি। আমি মাছের ব্যবসা করি। আমাকে দিনে ৩/৪ বার বাজারে যেতে হয়। বার বার ভেজা সম্ভব না। তাই প্লাস্টিকের ভেলা তৈরি করে নিয়েছি।

    একই এলাকার শাহিনুর নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের এলাকায় বন্যার কারণে পানি দূষিত হয়ে গেছে। খাবার পানির খুব সংকট। ভেলায় করে তিন থেকে চার কিলোমিটার দূর থেকে খাবার পানি আনা হয়।

    গোবিন্দপুর গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, এখনও পোল্ট্রির খামারটি জেগে আছে। মুরগির জন্য প্রতিদিন খাবার আনতে হয়। ভ্যান কিংবা ইজিবাইক এলাকায় ঢোকে না। তাই ভেলায় করে করে ২৫ কেজি ওজনের চার বস্তা পোল্ট্রি ফিড কিনে আনলাম।

    আশিকুর রহমান আশিক নামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্র জানায়, স্কুল ও প্রাইভেট পড়তে যেতে প্রতিদিন দুইটা ড্রেস ভিজে নষ্ট হতো। তাই আমার আব্বু চলাচলের জন্য ভেলা তৈরি করে দিয়েছে। ভেলায় করে আমি বাড়ি থেকে রাস্তায় গিয়ে উঠি।

    বালুইগাছা গ্রামের হাফিজুল ইসলাম বলেন, জলাবদ্ধতায় পানি দূষিত হয়ে যাওয়ায় হাত-পা চুলকায়। তাই আমি ভেলায় করে প্রয়োজনীয় কাজ মেটাই।

    তিনি জানান, নৌকা কেনা সম্ভব না। এজন্য এলকার প্রায় সবাই চলাচলের জন্য ভেলা ব্যবহার করছেন।

    প্রসঙ্গত, অপরিকল্পিত নদী খনন ও অপরিকল্পিত মৎস্য ঘেরের কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত না হওয়ায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

  • সাতক্ষীরায় ‘খোটা শাকের মেলা’

    সাতক্ষীরায় ‘খোটা শাকের মেলা’

    প্রান্তিক মানুষের পুষ্টির আধার হিসেবে বিবেচিত অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী ‘খোটা শাকের মেলা’।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম জেলেখালী গ্রামে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইন্ডিজেনাস নলেজ (বারসিক) স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এই মেলার আয়োজন করে।

    সিক্সটিন ডেজ অব গ্লোবাল অ্যাকশন অন এগ্রোইকোলজি-২০২৪ ও বিশ্ব গ্রামীণ নারী দিবসকে সামনে রেখে আয়োজিত এই মেলায় ঝোপঝাড়, আনাচে-কানাচে, ডোবা-নালা ও খাল-বিলে প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে ওঠা থানকুনি, কলমি, হেলাঞ্চ, গাদোমনি, সেঞ্চি, বউনুটে, বুড়িপান, আমরুল, কাটানুটে, ঘুমশাক, নিশিন্দা, বিশার্লাকরনী, মনিরাজ, ধুতরা, ডুমুর, পেপুল, ঘেটকুল, লজ্জাবতী, শাপলা, কালোকচু, লাল কচু, জিবলী, সেচি, বাসক, অ্যালোভেরা, কলার মোচা, ষষ্টিবট, শীষ বট, কলার থোড়, শালুক, নাটা, দুধশাক, দুর্বা, তুলসিসহ দেড় শতাধিক অচাষকৃত উদ্ভিদ প্রদর্শন করেন গ্রামীণ নারীরা।

    সাতক্ষীরায় ব্যতিক্রমী ‘খোটা শাকের মেলা’

    এসময় তারা প্রদর্শিত খোটা শাকের পুষ্টিগুণ, ব্যবহার, প্রাপ্তির মৌসুম, রান্নার কৌশল ও ঔষধি গুণাবলী তুলে ধরেন।

    মেলায় উপস্থিত দর্শনার্থীদের উদ্দেশে অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে বক্তব্য রাখেন ইউপি মেম্বার দেবাশিষ মন্ডল ও নীপা চক্রবর্তী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি মন্ডল, কৃষক ভুধর চন্দ্র মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবক গৌতম সরদার, কিষানি পূর্ণিমা রানী, লতা রাবী, শিক্ষার্থী জবা, বারসিক কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ জোয়ারদার ও বিশ্বজিৎ মন্ডল।

    এসময় তারা বলেন, প্রকৃতিতে কুড়িয়ে পাওয়া উদ্ভিদ বৈচিত্র্যে যেমন প্রচুর পুষ্টি রয়েছে, তেমনি রয়েছে ওষুধি গুণাগুণ। একইসঙ্গে তা বাঙালি সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, লবণাক্ততা, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অপব্যবহার, অবহেলা এবং উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের কারণে প্রকৃতি থেকে প্রান্তিক মানুষের পুষ্টির আধার হিসেবে বিবেচিত এসব উদ্ভিদ বৈচিত্র্য বিলুপ্ত হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে অচাষকৃত উদ্ভিদ বৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখা দরকার।

    মেলায় প্রথম স্থান অধিকারী চম্পা মাঝি এককভাবে ১২৬ প্রকার উদ্ভিদ বৈচিত্র্য, দ্বিতীয় অনিতা গাতিদার ১২৫ প্রকার এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী ডলি নস্কর ১১০ প্রকার উদ্ভিদ বৈচিত্র্য প্রদর্শন করেন।

  • ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

    ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিলো সরকার

    উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকেই তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।

    এদিকে ডিমের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করতে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সে কারণে তেজগাঁও আড়তের ব্যবসায়ীরা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।

    অভিযানে ডিমের দাম তেমন একটা কমেনি, বরং কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ অথবা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

    রাজধানীর কয়েকটি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাড়ামহল্লায় ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

  • যে কারণে বরখাস্ত হাথুরুসিংহে

    যে কারণে বরখাস্ত হাথুরুসিংহে

    প্রথম দফার মতো বাংলাদেশে চান্দিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয় অধ্যায়ও শেষ হলো মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শুরু হওয়ার মাত্র পাঁচ দিন আগে জাতীয় দলের কোচের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে এই শ্রীলঙ্কানকে অব্যাহতি দিল বিসিবি।

    বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, অসদাচরণ ও আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে আপাতত শোকজ ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার জায়গায় আপাতত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল সিমন্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বোর্ড সভাপতি বলেছেন, পরবর্তীতে হাথুরুসিংহেকে ছাঁটাই করা হবে।

    ২০২৩ বিশ্বকাপে জাতীয় দলের এক ক্রিকেটারের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ ছিল হাথুরুসিংহের বিপক্ষে। বোর্ড সভাপতি বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করেছেন, ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাতে হাথুরুসিংহেকে দোষী বলেই মনে হয়েছে তার।

    এর বাইরে বোর্ডের নিয়ম না মানার অভিযোগ করা হয়েছে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের জন্য বছরে বরাদ্দকৃত ছুটি ৪৫ দিন। গত বছর তিনি কাটিয়েছেন ৬৭ দিন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫৯ দিন। বাড়তি ছুটি কাটানোর ক্ষেত্রে বিসিবির কাছ থেকে অনুমতিও নেননি তিনি। এটাকে আচরণবিধি ভঙ্গ হিসেবে দেখছে বিসিবি।

    ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান কোচের ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছিলাম মানিয়ে নিতে। দুই-তিনটা ঘটনা ঘটেছে। ইচ্ছেমতো ছুটি কাটানো, জাতীয় দলের খেলোয়াড়ে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা কোনোভাবেই দলের জন্য ভালো উদাহরণ ছিল না। তাই তাকে ৪৮ ঘণ্টার শোকজ ও সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা স্থায়ী হয়ে যাবে।’