Author: Hasan
-

কলারোয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়ন থেকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১১-০৭-২৫ ইং তারিখ (শুক্রবার) সকাল ৬-৩০ টার দিকে উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের বাঁশতলা মোড় পুলের মাথা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয় টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান সকাল ৬-৩০ মিঃ সময় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরে ঘঁনাস্থলে যেয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।লাশ উদ্ধারের বিষয় তাৎক্ষনিক যোগাযোগ মাধ্যম সোসাল মিডিয়ায় প্রচার হলে লাশ টির পরিচয় পাওয়া যায়। যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বেনিয়ালী গ্রামের জবেদ আলির পুত্র মোঃ হাসান আলি (৫০)মৃতব্যক্তি তিনি একজন ইজিবাইক চালক।ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম পরিচয় পাওয়া বিষয় নিশ্চিত করেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি জানান। -

সাতক্ষীরায় স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরায় ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সাতক্ষীরায় শহীদ ও আহত পরিবারসহ সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।শুক্রবার (১১ই জুলাই) সকালে শহীদ আসিফ চত্বরের পশ্চিম পার্শ্বে স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ মোস্তফা আল মামুন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার আয়োজনে ও স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার সাতক্ষীরার সার্বিক সহযোগিতায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক সুমাইয়া সুলতানা, সহকারী পরিচালক মাহিনুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সুহাইল মাহদীন, মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব ওমর তাসনিম রাহাত, আহত সদস্য আলিফ আরেফিন, মোঃ রাশেদ, সহ আরও অনেকে।আয়োজকরা জানান, জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং সাতক্ষীরাবাসীর জন্য মানবিক সেবা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আজ আমরা সাতক্ষীরার ৫০ জন রোগীকে এই ফ্রি মেডিকেল সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং আগামী ২৫ জুলাই আরো ৫০ জনকে এ ফ্রি মেডিকেল সেবা দেওয়া আয়োজন করা হবে ইনশাল্লাহ। -

আশাশুনিতে নদীর বাঁধ কেটে পানি নিস্কাশন চালু
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়ায় বেতনা নদীতে খনন কাজের জন্য আড়াআড়ি মাটির বাঁধ কেটে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ফলে বুধহাটা ইউনিয়নসহ বেতনা নদীর উত্তর প্রান্ত ঝাউডাঙ্গা ও সংলগ্ন এলাকার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা কার্যকর হতে চলেছে।উপজেলার বেতনা ও মরিচ্চাপ নদী খনন কাজ চলছে কয়েক বছর। কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। বেতনা নদীর চাপড়া গ্রামের কাছে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে নদীর প্রবাহ বন্ধ করে খনন কাজ চলছিল। সম্প্রতি প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বুধহাটা ইউনিয়নসহ ঝাউডাঙ্গা পর্যন্ত নদী সংশ্লিষ্ট এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘরবাড়ি, স্থাপনা, মৎস্য ঘের, বাগান সবকিছু জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গত বছরও এলাকার অনেক ঘের, বিল, ফসলের ক্ষেত, ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছিল। অনেক এলাকায় আমন ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়নি। পরিকল্পনার অভাব, কাজের ধীর গতি ও বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না রাখায় জেলার মানুষ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে।বৃহস্পতিবার জামায়াত নেতা জজ কোর্টের এপিপি এড. শহিদুল ইসলাম, বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক মাহবুবুল হক ডাবলু, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আঃ হান্নান, বৈকারি সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ হাসান, সাবেক আশরাফ হোসেন প্রমুখের নেতৃত্বে বাঁধটি কেটে পানি প্রবাহ চালু করা হয়। ফলে এলাকার জলাবদ্ধতা হ্রাস পেতে শুরু করেছে।জামায়াতে ইসলামী স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বৃষ্টি শুরুর পর এলাকার জলাবদ্ধতার পরিনতি থেকে রক্ষা পেতে জেলা আমীরের কাছে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানান হয়। জেলা আমীর পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে বৈকারী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ হাসানকে পাঠান। তার রিপোর্ট পাওয়ার পর জেলা আমীর জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় করেন। জেলা প্রশাসকের মতামতের ভিত্তিতে বৃহন্পতিবার বাঁধ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাঁধ অপসারন করা হয়েছে। -

আশাশুনিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল সমাবেশ
আশাশুনি প্রতিনিধি:আগামী ১৯ জুলাই ঢাকায় জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আশাশুনি উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল ১০ টায় আশাশুনি আল-আমিন ট্রাস্ট মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা সভাপতি প্রফেসর শাহজাহান আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক গাজী সোজায়েত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ফেডারেশনের উপজেলা উপদেষ্টা আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার। উপজেলা সেক্রেটারী বোরহান উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপজেলা সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ খাঁন, শোভনালী ইউনিয়ন সভাপতি মাওঃ খোরশেদ আলম, সেক্রেটারী মইনুল ইসলাম, বুধহাটা সভাপতি আইয়ুব রসুল, কুল্যা সভাপতি মনিরুজ্জামান, সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, দরগাহপুর সভাপতি ডাক্তার বুলবুল আহমেদ, বড়দল সভাপতি হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি সাইফুল্লাহ, আশাশুনি সদর সভাপতি আবুল কাশেম সানা, শ্রীউলা সভাপতি আবারুল ইসলাম, সেক্রেটারী আব্দুল্লাহ, খাজরা সভাপতি জাকির হোসেন, সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম, আনুলিয়া সভাপতি ইউসুফ, সেক্রেটারী মইনুল হোসেন, প্রতাপনগর সভাপতি মাওঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, সেক্রেটারী নাজমুল হক, কাদাকটি সভাপতি নাজমুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। -

ফেল আর পাসে চমক! আশাশুনির ১৬ স্কুলের ফলাফল অভাবনীয়
সারা দেশের মতো সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতেও এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার আরও ১৬টি বিদ্যালয়ের ফলাফল পাওয়া গেছে। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের ফল সন্তোষজনক হলেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেল করার হার তুলনামূলকভাবে বেশি। নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:
কমলাকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
মানবিক বিভাগে পাস ১৪ জন, ফেল ৫ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৩, ফেল ১ জন।গদাইপুর জেহের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৫ জন;
মানবিক বিভাগে পাস ২৪ জন, ফেল ৮ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৪ জন;
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।আইডিয়াল সেকেন্ডারি স্কুল:
মানবিক বিভাগে পাস ১৮, ফেল ১ জন;
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।আশাশুনি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়:
মানবিক বিভাগে পাস ১৪, ফেল ৩ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৪ জন।গোয়ালডাঙা ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
মানবিক বিভাগে পাস ৩০, ফেল ২৩ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ১২, ফেল ৩ জন।মহিষাডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৪ জন;
মানবিক বিভাগে পাস ২৯, ফেল ৭ জন;
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৬ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন।ত্রয়োদশ পল্লী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
মানবিক বিভাগে পাস ৬, ফেল ৬ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৬, ফেল ৩ জন;
জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।গাবতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৫, ফেল ১ জন;
মানবিক বিভাগে পাস ১৬, ফেল ৬ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৭ জন;
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।বড়দল গার্লস হাই স্কুল:
মানবিক বিভাগে পাস ৯, ফেল ১২ জন।গোদাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
মানবিক বিভাগে পাস ৪, ফেল ১ জন।আনুলিয়া পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়:
মানবিক বিভাগে পাস ১৩, ফেল ১২ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৯, ফেল ১ জন।গুনাকরকাটি শাহ মুহাম্মদ ইয়াহিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়:
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৪ জন;
মানবিক বিভাগে পাস ১৫, ফেল ৬ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৬ জন;
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।বুধহাটা এনএস জুনিয়র গার্লস হাই স্কুল:
মানবিক বিভাগে পাস ১০, ফেল ৩ জন।কাদাকাটি আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়:
মানবিক বিভাগে পাস ১৮, ফেল ৯ জন।কচুয়া বি.এইচ.বি.পি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়:
মানবিক বিভাগে পাস ১৪, ফেল ১ জন।দরগাহপুর এসকেআরএইচ স্কুল:
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ৫ জন;
মানবিক বিভাগে পাস ৫৬, ফেল ১৪ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ৩১ জন;
জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন।বড়দল আফতাব উদ্দীন কলেজিয়েট স্কুল:
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পাস ২ জন;
মানবিক বিভাগে পাস ২৬, ফেল ১৬ জন;
বিজ্ঞান বিভাগে পাস ১৩, ফেল ৪ জন;
জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।এছাড়া, অধিকাংশ বিদ্যালয়েই বিজ্ঞান বিভাগের ফলাফল তুলনামূলকভাবে ভালো হয়েছে এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার চেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
-

সাতক্ষীরায় ব্র্যাকের উদ্যোগে ৫শ শতাধিক মানুষের মাঝে ফ্রি চুক্ষ চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ৫শ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে ফ্রি চুক্ষ চিকিৎসা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স এর আয়োজনে কলারোয়া কাজীরহাট ব্র্যাক আঞ্চলিক অফিসে ফ্রি চক্ষু ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ হাফিজুর রহমান।সাতক্ষীরা ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক অরুণ কুমার সাহা’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকে’র জেলা সমন্বয়ক আশরাফুল মাশরুদ,কাজীরহাট এলাকা ব্যবস্থাপক শেখ দারাদুল ইসলাম,কাজীরহাট শাখার শাখা ব্যবস্থাপক হেলেনা ফেরদৌস,খুলনা বিএনএসবি চুক্ষ হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সহ আরো অনেকে।ফ্রি চুক্ষ চিকিৎসা ক্যাম্প ৫শ শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে চিকিৎসা প্রদান ও ১৩০ জন চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চশমা প্রদান ও ৫০ জন চোখের ছানি রোগীদের পর্যায়ক্রমে খুলনা বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। ফ্রিতে চক্ষু সেবা নিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের। -

সুধীজনদের সাথে তালায় নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
তালায় সুধীজনদের সঙ্গে নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপা রানী সরকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে তালা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব ও স্বাগত বক্তব্য দেন তালা উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক দীপা রানী সরকার। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন তালা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইনউদ্দিন, পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শাহিনুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন, তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃণাল কান্তি রায়, সাতক্ষীরা জেলার নায়েবে আমীর ডা. মাহমুদুল হক, জামায়াতে ইসলামীর তালা উপজেলার আমীর মাওলানা মফিদুল ইসলাম, তালা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ শফিকুল ইসলাম, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান এম মফিজুল হক লিটু, ধানদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, খেশরা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন, উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাকিম, পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুল মোমিন, তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুর রহমান সাঈদ, তালা বাজার বণিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক স. ম. ইসমাইল উল্লাহ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আব্দুল কাদের প্রমুখ।
-

শ্যামনগরের মানিকখালী-রমজাননগর সড়কের কালভার্টে বেহাল দশা, চলাচলে ঝুঁকি
সাতক্ষীরা :সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের মানিকখালী-রমজাননগর মেইন সড়কে হারু গায়েনের বাড়ির সংলগ্ন কালভার্টটির উপরে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দা বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন।স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে কালভার্টটির ওপর অংশ ভেঙে পড়া অবস্থায় রয়েছে। কখনও কখনও অস্থায়ীভাবে সংস্কার করা হলেও তা স্থায়ী হয় না। বর্তমানে বর্ষা মৌসুমে বিলে পানি নিষ্কাশনের জন্য কালভার্টটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও পানির প্রবল চাপে এর ভাঙন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।স্থানীয় বাসিন্দা শিবপদ গায়েন, বাঞ্চারাম মন্ডল, শৌলেন্দ্র নাথ সরকার, অবনি চন্দ্র মৃধা, নিরাপদ মন্ডল ও নিতাই পদ গায়েন জানান, দীর্ঘদিন ধরে কালভার্টটির ওপর নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। দ্রুত সংস্কার না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে।এ বিষয়ে শ্যামনগর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সামাদ জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। রমজাননগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হামিদ লাল্টুও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।এলাকাবাসী কালভার্টটির দ্রুত সংস্কারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -

আশাশুনি দারিদ্র বিমোচন কার্যালয় ও ৩ অফিস পানির সাথে যুদ্ধ করে চলছে
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তার কার্যালয় পানির মধ্যে অবস্থান করছে। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিআরডিবি ও প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে পানির স্তুবে পরিনত হয়েছে। গ্রাহক-সদস্য, রোগি ও সাধারন মানুষ পানির সাথে যুদ্ধ করে অফিসে যেতে বাধ্য হচ্ছে।উপজেলা পরিষদের মূল গেটের মুখে দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তার কার্যালয় অবস্থিত। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যাবধি অফিস চালু থাকে। দূরদুরান্ত থেকে গ্রাহক-সদস্যরা প্রতিদিন অফিসে যাতয়াত করে থাকে। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও নিয়মিত অফিসে অবস্থান ও যাতয়াত করে থাকেন। বলতে গেলে বছরের প্রায় ১০/১১ মাস অফিস চত্বরে পানির বসবাস থাকে। আর সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো চত্বর পানিতে টইটম্বুর করে। একটানা ২/৩ দিন বৃষ্টি হলে ভবনের চারি পাশে নদীতে পরিণত হয়। বলতে গেলে অফিস কক্ষের মধ্যে পর্যন্ত পানি ঢুকে যায়। গত ৭/৮ দিনের টানা বৃষ্টি পাতের ফলে দারিদ্র বিমোচন অফিস, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, শহীদ মিনার চত্বর, স্সৃতি সৌধ চত্বর এখন পানিতে ভরে গেছে। অফিসের মধ্যে পানি ও পানির পোকামাকড় খেলা করছে।উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেটের মুখে, বিআরডিবি ভবন ও প্রেস ক্লাবের সামনে ২০/৩০ হাত সড়ক জুড়ে পানির বন্যা বইছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানির হাতছানিতে রাস্তাটি ভরে ওঠে। এখন একটানা বৃষ্টির ফলে পানির চাপে রাস্তা ছাপিয়ে ঘরের মধ্যে উঠতে চাইছে। সকলকে জুতা খুলে বা পায়ের গোছা ডুবিয়ে রাস্তা পাড়ি দিতে হচ্ছে। এ এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। তবে দুর্বিসহ যন্ত্রণা, অসহনীয় ভোগান্তির কবলে সংশ্লিষ্ট সকলকে রীতিমত বেধে রেখে সহ্য করানো হচ্ছে বললেও অত্যুক্তি হবেনা। সবাই এই যন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা পেতে চায়। উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন আশাশুনির মানুষকে বাঁচাতে একটু সহানুভূতি দেখাবেন সে আকুতি ভুক্তভোগিদের। -

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৮ জুলাই রাতে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় কামরুজ্জামান কামুকে সভাপতি ও সুমুনুর রহমান সুমনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট সদর উপজেলা ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম শফি, সহ-সভাপতি বদরুল আলম পিয়ার, আমজাদুল হক মল্লিক ছট্টু, হাফিজুর রহমান মুকুল, আলী শাহীন, মাহবুবুর রহমান জজ, আক্তারুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তাকদীর আহসান রুবেল, সোহরাব হোসেন বাবলু, নাছির উদ্দীন, আফরহীম সিদ্দিক কমল, কোষাধ্যক্ষ শেখ আলী যুবায়ের মামুন, দপ্তর সম্পাদক শেখ আব্দুল আহাদ, প্রচার সম্পাদক রিপন বিশ্বাসসহ মোট ৪৫জন সদস্য। -

সাংবাদিক গাজী মোক্তার হোসেনের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের গভীর শোক প্রকাশ
সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী মোক্তার হোসেন আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি সোমবার (৭ জুলাই ‘২৫) রাত ১১টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা এবং মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরাম (রেজিঃ নং ৫৮৩/০৪) এর নেতৃবৃন্দ।নেতৃবৃন্দরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন আব্বাস, যুগ্ম-সম্পাদক শেখ বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দীন, অর্থ সম্পাদক মোতাহার নেওয়াজ মিনাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিছুর রহমান তাজু, আরীফ মাহমুদ, মোঃ আব্দুল মতিন, মোঃ জিয়াউর রহমান জিয়া ও এএইচএম তুমু। -

সাতক্ষীরায় জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন
জুলাই ২০২৪-এ সংঘটিত বর্বর হত্যাযজ্ঞের খুনিদের বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সাতক্ষীরা-এর পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) বিকালে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী স্বাক্ষর সংগ্রহ ও ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলোর হাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা
গণস্বাক্ষর প্রদানকারীর মধ্যে রয়েছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাবেক আহবায়ক আরাফাত হোসাইন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক তাসকিন আহমেদ চিশতি, এনসিপি সাতক্ষীরা জেলা কমিটি যুগ্ম সমন্বয়ক মো. আখতারুজ্জামান, সুহাইল মাহদীন (সাদী), মুখপাত্র মোহিনী তাবাসসুম, যুগ্ম সদস্য সচিব তামীম তাসনীম, যুগ্ম সদস্য সচিব রাহাত নূহা আনছারীসহ ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, রাজনীতিক, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক, সংগঠনের সদস্যসহ নানা পেশার মানুষ।
-

এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সময়সীমা ঘনিয়ে আসছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১০ জুলাই ফল প্রকাশ হতে পারে বলে শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে দিন নির্ধারিত হয়নি, তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্র বলছে— ওই তারিখে ফল প্রকাশের জোর প্রস্তুতি চলছে।
সোমবার (৭ জুলাই) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বলেন, ফল তৈরির কাজ শেষ। আমরা কয়েকটি সম্ভাব্য তারিখ চূড়ান্ত করে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে সেই দিনেই ফল প্রকাশ করা হবে।’
তবে তিনি সরাসরি ১০ জুলাই তারিখ উল্লেখ না করলেও, সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে— শিক্ষা বোর্ডগুলো মন্ত্রণালয়ে যে প্রস্তাব পাঠাতে যাচ্ছে, তাতে ১০ জুলাই এর নামও রয়েছে। ফলে অনুমোদন মিললে সেটিই চূড়ান্ত দিন হিসেবে ঘোষিত হতে পারে।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে দিন নির্ধারণ করা হবে। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত তারিখ অনুমোদন করার পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি, মাদরাসা বোর্ডের দাখিল ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি (ভোকেশনাল) এই তিন ধারার ফলই একযোগে প্রকাশ হবে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ লাখ ২৮ হাজার।
এর মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪২ জন, মাদ্রাসায় ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭২৬ জন এবং কারিগরিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩১৩ জন।
বোর্ড সূত্রে আরও জানা গেছে, ফলাফল প্রকাশের দিন সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বোর্ডের ওয়েবসাইটে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফল জানতে পারবে। এছাড়া নির্ধারিত ফরম্যাটে মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও ফল জানা যাবে।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং শেষ হয় ১৫ মে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ফল প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসেবে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই ফল প্রকাশ করতে হবে।
-

উপজেলায় অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে নীতিগতভাবে একমত দলগুলো
বিচার ব্যবস্থা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণে একমত হয়েছে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, এক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানে যেসব উপজেলা জেলা সদরের নিকটবর্তী সেখানে আদালত স্থাপনের বিপক্ষে দলগুলো।
সোমবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপে দলগুলো নীতিগতভাবে একমত প্রকাশ করে।
ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়, উপজেলা সদরের ভৌগোলিক অবস্থান ও বৈশিষ্ট্য, জেলা সদর থেকে দূরত্ব ও যাতায়াত ব্যবস্থা; জনসংখ্যার ঘনত্ব ও বিন্যাস এবং মামলার চাপ বিবেচনা করে কোন কোন উপজেলায় স্থায়ী আদালত স্থাপন করা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে হবে।
বর্তমানে যেসব উপজেলায় চৌকি আদালত পরিচালিত হয়, সেগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে সবগুলো চৌকি আদালতকে স্থায়ী আদালতে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন, না কি সেক্ষেত্রেও পুনর্বিবেচনা ও পুনর্বিন্যাসের সুযোগ রয়েছে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে। বাস্তব পরিস্থিতির নিরিখে উপজেলা সদরে স্থাপিত কোনো আদালতের জন্য একাধিক উপজেলাকে সমন্বিত করে অধিক্ষেত্র নির্ধারণ করা প্রয়োজন হলে, তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
উপজেলা আদালতগুলোতে সিনিয়র সহকারী জজ ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের বিচারকদের পদায়ন করতে হবে। দেওয়ানি মামলা গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজের আর্থিক এখতিয়ার বাড়িয়ে বাস্তবানুগ করাও প্রয়োজন। আইনগত সহায়তা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করতে হবে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, জেলা সদরের অতি কাছে যেসব উপজেলা সদর রয়েছে সেখানে অধস্তন আদালত প্রয়োজন হবে না। একইসঙ্গে জেলা সদরে উপজেলা অধস্তন আদালতের প্রয়োজন নেই। কোন উপজেলায় অধস্তন আদালত প্রয়োজন তার সংখ্যা নিরূপণের জন্য সমীক্ষার অনুরোধ করেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নেওয়া কয়েকটি দলের নেতা উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপন করা হলে দুর্নীতি বাড়বে বলে আশঙ্কা করেন। বিষয়টিতে দ্বিমত জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ।
তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত হলে দুর্নীতি বাড়বে এটা ভুল ধারণা। বিচার প্রার্থীকে হয়রানি রোধ করতে বিচারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে হবে। দুর্নীতির বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত স্থাপনে তাগিদ দেন। প্রয়োজনে সংসদীয় আসনের ভিত্তিতে দ্রুতই অধস্তন আদালত স্থাপনের প্রস্তাব করেন তিনি।
কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে আগামী কত বছরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালত সম্প্রসারণ করা হবে তা নির্দিষ্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয় ঐকমত্য কমিশনকে।
পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। তবে বেশ কিছু পরামর্শ এসেছে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। সেগুলো নিয়ে বিরতির পরে আলোচনা শুরু হবে।
এতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এই সংক্রান্ত কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে বর্তমান যে বিধান রয়েছে তা ভয়াবহভাবে নাগরিক অধিকারকে সংকুচিত করে এবং আদালতকে এমনভাবে বেঁধে দেয় যে তার পক্ষে কিছুই করার থাকে না। তাই সংবিধানের ১৪১ ক, খ, গ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
জরুরি অবস্থার মেয়াদ ৬০ দিনের বেশি হবে না। জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানের দ্বারা নিশ্চিত করা নাগরিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই নাগরিকদের তাদের অধিকার প্রয়োগের জন্য আদালতে যাওয়া বন্ধ করা যাবে না।
-

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৪৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার (৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও দুইজন নারী। আর আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০৩ জনই ঢাকার বাইরের।
এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৬৩ জন, যার মধ্যে সাত হাজার ৫৫৮ জন পুরুষ ও পাঁচ হাজার ২০৫ জন নারী।
-

আনিসুল-রুহুল-চুন্নুকে জাপা থেকে অব্যাহতি, শামীম মহাসচিব
জাতীয় পার্টির (জাপা) সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) জাপার দফতর সম্পাদকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৫ জুন জেলা/মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক, সদস্য সচিবদের মতবিনিময় সভায় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনে এবং শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। গত ২৮ জুন দলের প্রেসিডিয়াম সভায়ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এই ৩ নেতাকে দলীয় সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এমতাবস্থায় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো- চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এবং কো- চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুকে প্রাথমিক সদস্যসহ দলীয় সকল পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ আদেশ ইতোমধ্যে কার্যকর করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
একই সাথে মুজিবুল হক চুন্নুকে সরিয়ে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী’কে জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদে নিয়োগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। সোমবার (৭ জুলাই) পাঠানো আরও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির যুগ্মসচিব পদমর্যাদায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী।
এর আগে গত কয়েকদিন ধরে প্রেসিডিয়ামের সভা ডাকাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টিতে অস্থিরতা চলছে। দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন।
এই বিষয়টির সুরাহা হওয়ার আগেই মজিবুল হক চুন্নু পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন মহাসচিব নিয়োগ দিলো দলটি। নতুন মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী এর আগে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।
-

বড়দল কলেজিয়েটে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলীর সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলার বড়দল আফতাব উদ্দিন কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ নিয়ে চলমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মাদ আলী। রবিবার দুপুরে আশাশুনি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।লিখিত বক্তব্যে সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, তৎকালীন অধ্যক্ষ ড. শিহাব উদ্দীন ২০২২ সালে অন্যত্র চলে গেলে পদটি শূন্য হয়। তৎকালীন সরকারি বিধি-বিধান পরিপত্র অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার কথা থাকলেও গভর্নিং বডির তৎকালীন সভাপতি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ এস এম মোখলেছুর রহমান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জ্যেষ্ঠতার লংঘন ঘটিয়ে ১২ জন জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে পেছনে রেখে ১৩ নং সিরিয়ালের জুনিয়র প্রভাষক বাবলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদান করেন। পরবর্তীতে ৫/০২/২৪ তাং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রের মাধ্যমে জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব না দিয়ে কলেজ শাখার জ্যেষ্ঠতম জ্যেষ্ঠ প্রভাষক/সহকারী অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। পরিপত্রের আলোকে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করতে’ ইচ্ছুক মর্মে লিখিত ভাবে গভর্নিং বডির সভাপতিকে অবহিত করতে গেলে তিনি আবেদন গ্রহন করেননি বরং তুমি আওয়ামীলীগ করো না, বিএনপি, জামায়াতের সমর্থক তোমাকে দায়িত্ব দেবনা, বেশি জানাজানি-করলে নাশকতার মামলায় জেলে পাঠাবো বলে তাড়িয়ে দেন। ৫ই আগস্ট ফ্যাসীবাদী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর আমি সহ এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদনের প্রেক্ষিতে মাউশি, খুলনা অঞ্চল থেকে বাবলুর রহমানকে ৫/০৯/২০২৪ তারিখের মধ্যে বিধি মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত আধ্যক্ষের দায়িত্ব হস্তান্তর করার বিষয়ে পত্র প্রদান করা হয়। কমিটির সভাপতির অবহেলার সুযোগে বাবলুর রহমান মহামান্য হাই কোর্টে রীট পিটিশন দায়ের করেন (নং ১০৯৬২/২০২৪)। মহামান্য হইকোট মাউশির চিঠির উপর ছয় মাসের Stay Order প্রদান করেন। আমি আপিল বিভাগে যাই সেখান থেকে মহামান্য হাই কোর্টকে মামলাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার জন্য direction প্রদান করা হয়।প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারি ও অভিভাবক শিক্ষার্থী মিলে প্রধান ফটকের সামনে মানব বন্ধন করে এবং বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ১০/০৯/২০২৪ তাং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কলেজ শাখার জ্যেষ্ঠতম শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের বিষয়ে পত্র প্রদান করা হয়। কিন্তু হাই কোর্টে মামলা চলমান থাকার কারনে পরে চিঠিটি প্রত্যাহার করা হয়। গত ১৪ মে ১০৯৬২/২৪ নং মামলার চূড়ান্ত রায় প্রদান করা হয়। রায়ে স্পষ্ট করা হয় যে, উক্ত বিষয়টিতে সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই, এই বিষয়টি সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষা বোর্ডের। শিক্ষা বোর্ড ২২ মে পত্রের মাধ্যমে চাকরীকাল বিবেচনায় সবচেয়ে সিনিয়র সহকারী অধ্যাপককে অবিলম্বে ভারপ্তাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে বোর্ডকে অবহিত করায় জন্য এডহক কমিটির সভাপতিকে জানায়। এডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমানের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে ২৫ মে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আমি শিক্ষা বোর্ডে পরামর্শ নিলে আমাকে অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য একজন সভাপতি মনোনয়নের লক্ষ্যে ডিসি মহোদয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়। আমি যেহেতু ২৮ মে থেকে প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি সেহেতু আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে তিন জনের নাম দিয়ে ডিসি মহোদয়ের মাধ্যমে অবশিষ্ট মেয়াদে একজন সভাপতি মনোনয়নের জন্য আবেদন করি। চক্রান্ত করে গত ১৫ জুন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আইন শাখা থেকে সহকারী সচিব জনাব মোঃ আব্দুল জলিল মজুমদার স্বাক্ষরিত একটি প্রতিস্থাপিত চিঠি বের করে নিয়ে আসা হলে আমি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহোদয়ের সাথে দেখা করলে তিনি চিঠি দেখে চমকে ওঠেন এবং ফাইল পর্যালোচনা করে দেখেন যে, চিঠিটি অনুমোদন বিহীন।এদিকে সহকারী কমিশনার তাজুল ইসলাম বাবলুর রহমান ও আমাকে এক সঙ্গে ডেকে সকল কাগজ পত্র দেখে বাবলুর রহমানকে বলেন আপনার স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র নাই। আপনি আসতে পারেন। কিন্ত আবার শুরু হয় নতুন চক্রান্ত। আমাকে বলা হয় বিষয়টি তদন্ত করার জন্য জেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার বলছেন, যেহতু এটা কলেজের বিষয়, আপনি তাজুল সাহেবকে বলেন যেন আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। আমি তাজুল সাহেবকে বললে তিনি বলেন যে, জেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করতে হবে।আমি ২৮ মে থেকে ভারপ্রাপ্ত অধক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আর বাবলুর রহমান প্রতিষ্ঠানে না এসে রেজুলেশন খাতা, ক্যাশখাতা সহ সকল গুরুত্ব পূর্ণ কাগজপত্র আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অথচ সে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দাবি করে যাচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবিকরা ফ্যাসীবাদের দোসর বাবলুর রহমানের চক্রান্তের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানটি রক্ষার জন্য আমি আইনগত পদক্ষেপ নিতর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। -

আশাশুনি বাজার ও ওয়াপদার পাশে বসবাসকারীরা নদী ভাঙ্গনে উদ্বিগ্ন
★ ইউএনওর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শণবিএম আলাউদ্দীন আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলা সদর বাজার ও পাশের শত শত বসবাসকারী নদী ভাঙ্গনের মুখে পড়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। ক্রান্তি লগ্নে পাউবোর ১৫ দিনের মধ্যে স্থাপনা অপসারনের ঘোষণা মড়ার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।আশাশুনি সদর বাজার ও পার্শবর্তী এলাকা দীর্ঘকাল নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে আসছে। ইতিপূর্বে বাজারের অসংখ্য দোকান, পুরাতন হাসপাতাল, অফিস ও শত শত বিঘা জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী খনন কাজ শুরু হলে বাজার রক্ষা, এলাকার শত শত বাসিন্দাদের রক্ষার জন্য দাবী জানানো হয়। মিছিল, মানববন্ধন, প্রতিবাদ সভা, স্মারকলিপি পেশসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার আবেদন নিবেদন করা হয়। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর মাঝখান দিয়ে নদী খননের দাবী জানান হয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাবের কারনে জনদাবী বাস্তবায়ন হয়নি। আজ প্রমানিত হচ্ছে মানুষের দাবী কতটা যৌত্বিক ছিল। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী খনন হলে বাজারটি পূর্বের অবস্থায় ফিরতে পারতো। কিন্তু বর্তমানে ভাংতে ভাংতে বহু দূরে সরে আসা দোকান পাট, অফিস, প্রতিষ্ঠান পুনরায় নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়তে চলেছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজারের অবশিষ্ট দোকান পাট ও স্থাপনার বড় অংশ ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। এলাকাবাসীর দাবী, নদী প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু অপসারন করা হোক। কিন্তু ওয়াপদার পাশে শত শত দোকান পাট, অফিস, ব্যাংক বীমা, স্থাপনা, হাজার হাজার পরিবারের ঘরগৃহ যারা বছরের পর বছর ওয়াপদার পাশে বসবাস করে আসছে, তাদের অপসারন করে ওয়াপদা কি সেখানে কিছু করবে? যদি না করে তবে তাদেরকে বৈধ প্রক্রিয়ায় রাজস্ব নিয়ে বসবাস ও ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দেয়া হোক। সাথে সাথে বাজার ও এলাকা রক্ষার জন্য দ্রুত ব্লক ফেলা ও টেকসই বাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করা হোক। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বাজার, উপজেলা পরিষদ, থানা, স্কুল, দোকান পাট, অফিস, বসতঘর নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায় সোমবার বিকাল ৩ টায় নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জেলা প্রশাসকসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় বাজার কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক এবিএম আলমগীর পিন্টু, সহ সভাপতি প্রভাষক ইয়াহিয়া ইকবাল, বিল্লাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক আহসান উল্লাহ, প্রেস ক্লাব সভাপতি জি এম আল ফারুক, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জি এম মুজিবুর রহমান, আকাশ হোসেন, আলাউদ্দীন, মোস্তাফিজুর রহমান, লিংকন আসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।