Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 58 of 82

Author: Hasan

  • সাতক্ষীরায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ

    সাতক্ষীরায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ

    ‘সংঘাত নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি’ প্রতিপাদ্যে সাতক্ষীরা সদর পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) এর উদ্যোগে বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আন্তঃধর্মীয় এক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর এমআইপিএস প্রকল্পের সহযোগিতায় এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।

    জাতীয় সঙ্গীত ,পবিত্র কোরান তেলাওয়াত, পবিত্র গীতা পাঠ ও পবিত্র বাইবেল পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়। পিএফজি কো-অরডিনেটর অধ্যক্ষ (অব) পবিত্র মোহন দাশ এর সভাপতিত্বে সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষেদের নির্বাহী অফিসার শোয়াইব আহমেদ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, সিনিয়র সাংবাদিক ও পিএফজি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল।

    সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংলাপের সার সংক্ষেপ ও করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে আলোচনা করেন দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারি মাসুদুর রহমান রঞ্জু। সংলপের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন, সাতক্ষীরা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. দিলারা বেগম।

    সংলাপে বক্তব্য রাখেন, সুজন সভাপতি অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সদস্য পিএফজি,ড. মুফতি আক্তারুজ্জামান, ক্যাথলিক চার্চ, সাতক্ষীরার ফাদার ভিনসেন্ট মন্ডল, সহকারী অধ্রাপক ও পুরোহিত অমিত চক্রবর্তী সনাক সভাপতি হেনরী সরদার, হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান এক্য পরিষদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, হিন্দু বিবাহ রেজিস্টার নির্মল কুমার দাস, ফিংড়ী পূজা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক বিশ্বজিৎ কুমার বাছাড়, সাতক্ষীরা ইমাম পরিষদের সম্পাদক শেখ মাহবুবুর রহমান, পিএফজি অ্যাম্বাসেডর ফরিদা আক্তার বিউটি, পিএফজি সদস্য নূর মোহাম্মদ পাড় প্রমূখ।

    অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও সম্প্রাদায়ের মানুষের বসবাস। বাংলাদেশ একটি ধর্মীয় ও জাতীগত সম্প্রীতির দেশ। ধর্ম কখনও বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে না। কিন্ত বিপথগামী মানুষ ধর্মকে পুজি করে সমাজে বিভেদ সূষ্টি করে, যা থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে। আমাদের ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। সেজন্য সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ ভূমিকা রাখতে হবে। গুজবে কান নাদিয়ে সত্য তথ্য জানতে হবে। কেউ যেন গুজব বা উস্কানী না দেয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে একটি অসম্প্রদায়িক শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করে যেতে হবে, গড়ে তুলতে হবে মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা। যেখানে প্রত্যেক ধর্ম ও সংস্কৃতিক মানুষ নিরাপদ থাকবে।

    সবশেষে উপজেলার আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষার্থে সর্বসম্মতিক্রমে ১১টি ঘোষণা সম্বলিত ঘোষণাপত্রে উপস্থিত সকল অংশগ্রহণকারী স্বাক্ষর করেন।

  • বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

    পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদে যেতে বলা হয়েছে।

    আবহাওয়ার ৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

    ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

    এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    খুলনা গেজেট/এমএম

  • রেকর্ড ৩৪৬০ শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি হবে ৪৭তম বিসিএসে

    রেকর্ড ৩৪৬০ শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি হবে ৪৭তম বিসিএসে

    ৪৭তম বিসিএসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আগামী নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ বিসিএসে কত শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে, তা জানতে চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিল পিএসসি।

    জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসির সেই চিঠির জবাবে বুধবার (২৩ অক্টোবর) চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে। তাতে ৪৭তম বিসিএসে মোট ৩ হাজার ৪৬০টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    পিএসসির তথ্যানুযায়ী, এবারের শূন্যপদের সংখ্যাটি বিগত ১০টি বিসিএসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ৪৬তম বিসিএসে ৩ হাজার ১০০ পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পিএসসি, যা এ বিগত ১০ বিসিএসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। সেই রেকর্ডও এবার ছাড়িয়ে গেলো।

    এদিকে, পিএসসিতে পাঠানো চিঠিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উল্লেখ করেছে, পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে প্রবেশের পদে নিয়োগের জন্য ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগসমূহের চাহিদা মোতাবেক তিন হাজার ৪৬০টি শূন্যপদের বিপরীতে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি জারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    কোন বিসিএসে কত শূন্যপদ ছিল
    সবশেষ ৪৬তম বিসিএসে শূন্যপদ ছিল ৩ হাজার ১০০টি। তার আগে ৪৫তম বিসিএসে ২ হাাজর ৩০৯টি, ৪৪তম বিসিএসে ১ হাজার ৭১০টি, ৪৩তম বিসিএসে ১ হাজার ৮১৪, ৪১তম বিসিএসে ২ হাজার ৫২০, ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯, ৩৮তম বিসিএসে ২ হাজার ২৪, ৩৭তম বিসিএসে ১ হাজার ২২৬, ৩৬তম বিসিএসে ২ হাজার ১৮০টি, ৩৫তম বিসিএসে ১ হাজার ৮০৩টি এবং ৩৪তম বিসিএসে ২ হাজার ১৫৯টি।

    তবে ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে প্রায় ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছিল। সাধারণ বিসিএসের সঙ্গে সেটিকে তুলনা করা হয় না বলে জানিয়েছে পিএসসি সূত্র।

  • রাবির ভর্তি পরীক্ষা পাঁচ বিভাগীয় শহরে

    রাবির ভর্তি পরীক্ষা পাঁচ বিভাগীয় শহরে

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম এই পাঁচটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। গত প্রশাসনের আমলে এই পাঁচটি বিভাগের মধ্যে রংপুর ছাড়া বাকিগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    সর্বশেষ মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় নতুন করে রংপুর বিভাগকে যুক্ত করে পাঁচটি বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন।

    সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম এই পাঁচ শহরে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত প্রশাসনের আমলে রাজশাহীর বাইরে তিনটি আঞ্চলিক কেন্দ্র করা হয়, সেখানে রংপুরকে রাখা হয়নি। যার ফলে নতুন করে রংপুরকে আমরা একাডেমিক সভায় প্রস্তাবের ভিত্তিতে নতুন করে আঞ্চলিক কেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রংপুর বিভাগের শিক্ষার্থীরা রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।’

    এর আগে, গত ৩০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকার অভ্যন্তরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্র বাড়ানোর কথাও হয়।
    প্রসঙ্গত, ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে রংপুরকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রংপুর বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

  • সচিবালয়ে যাওয়া ৫৩ শিক্ষার্থী আটক!

    সচিবালয়ে যাওয়া ৫৩ শিক্ষার্থী আটক!

    বুধবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে  এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল পুনরায় প্রকাশ এবং ফলাফলে ত্রুটি সংশোধনের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৩ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের দুটি প্রিজন ভ্যানে তাদের তোলা হয়েছে।

    এর আগে বেলা ৩টায় ফলাফল বাতিল ও পুনরায় মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন শতাধিক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে ৬ নাম্বার ভবনের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, মুগ্ধের বাংলায়- বৈষম্যের ঠাঁই নাই, তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র; আপোষ না সংগ্রাম-সংগ্রাম-সংগ্রাম ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
    তখন আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের স্লোগান বন্ধ করে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানান সচিবালয়ে দায়িত্বরত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

    একাধিক শিক্ষার্থীদের কথা হলে তারা জানান, আমরা সমতার ভিত্তিতে ফলাফল চাই। বোর্ড থেকে কাউকে ভালো ফলাফল দেওয়া হয়েছে আর কাউকে কম। অথচ আমরা ভালো লিখেছি। আমরা চাই দ্রুত সময়ে এই ফলাফল বাতিল করে বঞ্চিতদের পুনরায় মূল্যায়ন করা হোক।

  • কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনসচেতনতামূলক সভা

    কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনসচেতনতামূলক সভা

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার বেলা ১১:০০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মোহাম্মদ আক্তার জামীল।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছাঃ শারমিন আক্তার রিমা, উল্লাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম এবং সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো: একরামুল হক। এছাড়া  আলোচনায় অংশ নেন সরকারি আকবর আলী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ রাশেদুল হাসান, মোমেন আলী বিজ্ঞান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদ, উল্লাপাড়া মার্চেন্টস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু হান্নান ,উল্লাপাড়া সানফ্লাওয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ ভৌমিক, উল্লাপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক মোঃ মাজদার হোসেন, উল্লাপাড়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো আতিকুর রহমান, এইচ টি ইমাম গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ মো: সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলু, উল্লাপাড়া উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মোঃ মাসুম, মো: রিফাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলার অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা কিশোর অপরাধ এবং মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে করণীয় বিষয়ে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

  • সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেমকে শুভেচ্ছা

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেমকে শুভেচ্ছা

    সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেমকে
    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন
    শিক্ষার্থীরা। গতকাল অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল হাশেম এর বাসভবনে
    গিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা
    সরকারি কলেজের প্রভাষক ও বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শাহেদ
    মোস্তফা চৌধুরী, নাজমুল হক, বায়জিদ রনি, শরিফ উল্লাহ,
    আবুল কালাম, মতিউর রহমান প্রমুখ।

  • “সাতক্ষীরায় জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি”

    “সাতক্ষীরায় জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি”

    ২৩ অক্টোবর ২০২৪ঃ ২০২৪ সালের ২৩শে অক্টোবর, সাতক্ষীরায় স্বদেশ সাতক্ষীরা, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক (CLEAN) এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (BWGED) যৌথভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসমাবেশের আয়োজন করে। এই সমাবেশটি বিশ্বব্যাপী একটি বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ ছিল, যার মূল লক্ষ্য ছিলো ওয়ার্ল্ড ব্যাংককে জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা। সমাবেশটি এমন সময় অনুষ্ঠিত হয়, যখন বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ওয়াশিংটন ডিসি-তে তাদের বার্ষিক সভার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

    বক্তারা সমাবেশে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধানের কথা উল্লেখ করেন। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগ কমানোর অঙ্গীকার করলেও, বাংলাদেশে রূপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে তাদের অর্থায়ন অব্যাহত রয়েছে। বক্তাদের মতে, এটি শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। স্বদেশ সাতক্ষীরার নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত স্পষ্টতই বলেন, “ওয়ার্ল্ড ব্যাংক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা এমন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে যা এই সংকটের মূল কারণ। এটি অত্যন্ত হতাশাজনক এবং অবিলম্বে পরিবর্তন করা উচিত।”

     

    সমাবেশে উপস্থিত প্রতিবাদকারীরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তথাকথিত পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি, বিশেষ করে কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ (CCS) এর বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা ছিলো। তারা এসব প্রযুক্তিকে “ভুয়া সমাধান” হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যেগুলো মূলত জীবাশ্ম জ্বালানি শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। সমাবেশের কেন্দ্রীয় দাবি ছিলো, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক যেন জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে তাদের সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ করে এবং নবায়নযোগ্য শক্তি, বিশেষ করে সৌর ও বায়ু শক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়ায়।

    বক্তারা আরো বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি বাংলাদেশের জন্য একটি টেকসই ও নিরাপদ ভবিষ্যতের পথ খুলে দিতে পারে। তারা উল্লেখ করেন যে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ করা হলে, বাংলাদেশ শুধু কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারবে না, বরং সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। বক্তারা দাবি করেন, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির সম্মুখীন দেশগুলির জন্য নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থায় দ্রুত স্থানান্তর অপরিহার্য, এবং এটি প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সমাবেশে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,উন্নয়নকর্মী শ্যামল বিস্বাস, নাগরিক নেতা আলিনুর খান বাবুল, যুব প্রতিনিধি তৌহিদ জামান, হৃদয় মন্ডল,বৈশাখী , প্রমুখ।

    এই সমাবেশের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, তারা যেন জলবায়ু সংকট মোকাবিলার নামে “মিথ্যা” প্রযুক্তির পেছনে না ছুটে, প্রকৃত ও টেকসই শক্তি সমাধানের দিকে মনোযোগ দেয়। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি বিনিয়োগই দীর্ঘমেয়াদে পরিবেশ রক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং শক্তির নিরাপত্তার জন্য একমাত্র বাস্তবিক সমাধান হতে পারে।

  • অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা

    অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রত্যাশা

    গণমাধ্যমে একটি লেখা চোখে পড়ল, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যা বারবার স্বাধীন হয়, এটি ভবিষ্যতে আবারও স্বাধীন হবে’। কথাটিতে
    প্রথমে কৌতুক খুঁজে পেলেও একটু পরেই কৌতুকের আড়ালে এক শিরশিরে ভয়াবহতা আঘাত করলো মস্তিষ্কের গভীরে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে
    আবারও এমন কোনো স্বৈরাচারী শাসক বা রাজতন্ত্রীয় পরিবারতান্ত্রিক শাসক বা চামচা-দালালতান্ত্রিক শাসক বাংলাদেশের ক্ষমতার
    মসনদে জেঁকে বসবে এবং এই রকম মরণকামড় দিয়ে ছাত্রজনতার রক্ত খাবে। স্বাধীন দেশে ভিনদেশী শত্রুশক্তির মতো নাগরিকদের উপর
    গণহত্যা চালাবে। তখন আবার ছাত্র-জনতাকে তার কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ‘এক দফা’ স্বাধীনতার ডাক দিতে হবে। রক্তগঙ্গায় ভেসে
    যাবে সহস্র লাশ।
    বাংলাদেশে ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। তারপর, কোনো একদিন একটি ‘অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ’
    নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারপর বলাবাহুল্য, বাংলাদেশের মানুষ — আবেগী, হুজুগে, ধর্মপ্রবণ, ধর্মান্ধ, মূর্খ, বিশেষ করে সাম্প্রতিক
    পরিস্থিতিতে হাসিনা-বিদ্বেষী গণভোটারেরা হয়তো গণস্রোতে, গত ১৮ বছর ধরে অভুক্ত কোনো ইসলামিক ‘চেতনা’ বা পরিবারতান্ত্রিক
    ‘চেতনা’কে  নির্বাচিত করবে। তারপর? তারপর কী হবে?
    তারপর কি রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে প্রান্ত পর্যন্ত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে? লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক-ছাত্ররাজনীতির অবসান হবে?
    সর্বগ্রাসী লুটপাট, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধ হবে? রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় স্বজনতোষী পুঁজিবাদ কায়েম, টাকা পাচার, ঋণের নামে
    ব্যাংক সাবাড়, ঋণখেলাপি ধারা বন্ধ হবে? ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগার লুণ্ঠন বন্ধ হবে? প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে
    অমুকপন্থী-তমুকপন্থীর অসুস্থ দলবাজি কি বন্ধ হবে? পেশাজীবীদের মধ্যে চামচামি-দালালির দলবাজি সংগঠন কি বন্ধ হবে? দেশের নাগরিক-
    জনতার সবর্স্তরে এবং সরকারি পেশাজীবীদের স্তরে স্তরে সরকারি দল কর্তৃক ‘আদর্শের সৈনিক’ তথা দালাল ও গুণ্ডাবাহিনী পোষা এবং
    তাদের হাতে অস্ত্র সরবরাহ করা কি বন্ধ হবে? রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা কি বন্ধ হবে? পুলিশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে
    জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো কি বন্ধ হবে? দেশের সর্বস্তরে সর্বক্ষেত্রে চামচামি-দালালি, তেলবাজি ও ‘ব্যক্তি-পূজা’র সংস্কৃতি কি বন্ধ
    হবে? ‘মহান নেতা’র নামে ‘আদর্শের-সৈনিক’দের অসহ্য বিরক্তিকর ঘেউঘেউ ও জুলুম-নির্যাতন কি বন্ধ হবে? দেশের সব নাগরিক দলমত
    নির্বিশেষে সর্ব অবস্থায় নির্ভয়ে কি মুখ খুলতে পারবে? ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে? আক্ষেপ-বিক্ষোভ প্রকাশ করতে পারবে?
    চামচামি-দালালিবিহীন স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও জনমুখী শক্তিশালী সংবাদমাধ্যম-গণমাধ্যম কি প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে? রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও
    সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন কি বন্ধ হবে? সরকারি নিয়ন্ত্রণে ফ্যাসিবাদী চক্রান্তে র‌্যাব-ডিজিএফআই ধরনের বিভিন্ন স্পেশাল
    বাহিনী ব্যবহার করে ‘আয়না-ঘর’ টাইপে ভিন্নমতের বা অপছন্দের লোককে ধরে নিয়ে গোপনে অজ্ঞাত স্থানে নৃশংসভাবে গুম-খুন-হত্যা কি
    বন্ধ হবে? রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ক্ষমতার মদদে ব্যবসায়িক-মজুতদারি, সিন্ডিকেট-কারসাজি, দলীয় লোকদের বহুস্তরী চাঁদাবাজি, চুরি-
    ডাকাতির-অভয়ারণ্য নির্মূল হয়ে ন্যায় ও আইনি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠিত হবে? অর্থনীতিতে ও বাজার-ব্যবস্থায় নৈরাজ্য, অস্থিরতা ও
    ভারসাম্যহীনতা কি বন্ধ হবে?
    দেড় যুগ ধরে বঞ্চিত-উপোসী কাউকে দেশের ক্ষমতায় নির্বাচিত করে, রাজতন্ত্রের আদলে রাজনৈতিক-পরিবারতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করে
    বাংলাদেশের মানুষের উপরের চাওয়াগুলো পূরণ হওয়া সম্ভব নয় বলেই আমরা মনে করি। আমরা একচ্ছত্র কর্তৃত্বের পরিবারতন্ত্রের বিলোপ

    চাই। আমরা বাংলাদেশের সাধারণ জনতা — স্বৈরতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, ব্যক্তি-পূজা-তন্ত্র, ইয়েস-স্যার-তন্ত্র, চামচামি-দালালি-তন্ত্র,
    তেল-তন্ত্র, তথাকথিত-আদর্শ-তন্ত্র — এসবের বিকল্প চাই। এবং সেকারণেই, ‘দ্রুত রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর’
    বাংলাদেশের সংকট-সমস্যা সমাধান করবে না বরং আরও ঘনীভূত করবে। যারা দ্রুত ‘নির্বাচিত’ রাজনৈতিক সরকার চাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য খুব
    সাধু নয়। তাছাড়া তথাকথিত ‘গণতন্ত্র’ বাংলাদেশের মানুষের জন্য কতখানি কল্যাণ ও সুফল বয়ে এনেছে তা তো আমরা দেখেছি। বাংলাদেশে
    রাজনৈতিক সরকার মানেই দেশব্যাপী চামচার চাঁদাবাজি, দালালের দখলবাজি, ‘আদর্শের সৈনিক’দের লুটপাট। এদেশে রাজনীতি দখলবাজিকে
    চালায় নাকি দখলবাজি রাজনীতিকে চালায় — তা এক দুর্জ্ঞেয় রহস্য। সেই রহস্য মোচনের সময় আজ এসেছে বলে মনে হয়।
    বাংলাদেশের মানুষ যেন এক শকুনের নখর থেকে আরেক শকুনের নখরে বিদ্ধ হতে না পারে, এক গর্ত থেকে উঠে আরেক গর্তে পড়ে না যায়। এক
    গণতন্ত্রবেশী-স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়ে আরেক গণতন্ত্রবেশী-স্বৈরাচারের হাতে না পড়ে। বাংলাদেশের মানুষের হাড় জ্বলে গেছে।
    বাংলাদেশের মানুষ এখন সম্পূর্ণ নতুন নেতৃত্ব চায়, ভালো বিকল্প চায়। তারা পুরনোকে আর নতুন করে আঁকড়ে ধরতে চায় না। চোরকে খেদিয়ে
    নতুন করে কোনো ডাকাতকে আমন্ত্রণ জানানো ঠিক হবে না। তাছাড়া, ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বাংলাদেশ-বিরোধীরা কেউ বাংলাদেশের
    পরিচালনায় আসুক; ধর্মীয় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীরা আমার দেশ কব্জায় নিয়ে সকল কিছু জিম্মি করুক; সচেতন, প্রগতিশীল ও
    অসাম্প্রদায়িক ছাত্রসমাজ তা কোনোদিন-ই চাইবে না।
    বাংলাদেশের সবর্স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চামচামি-দালালির লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক-রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করতে হবে।
    শিক্ষকেরা তাদের আসল কাজ বাদ দিয়ে লাল-নীল-সাদা রাজনীতিতে আর যেন রঙিন হয়ে না উঠতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ক্যাম্পাস ও
    আবাসিক হলগুলো আর যেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের খোঁয়াড়ে পরিণত না হয়, নির্যাতন-কেন্দ্রে পরিণত না হয়। প্রয়োজনে
    শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত ছাত্রসংসদ থাকতে পারবে। তবে, ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন’ যেন জেগে থাকে
    অতন্দ্র প্রহরী হয়ে।
    দেশের সর্বস্তরের গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারগুলো রাজনৈতিক দলের দালাল ও তেলবাজ আর যেন দখল না করে। রাষ্ট্রের সর্বস্তরের পেশাজীবীদের
    মধ্যে রাজনৈতিক দলের লেজ-ভিত্তিক চামচামি-দালালির রাজনৈতিক সংগঠন আইন করে বন্ধ করতে হবে। জনপ্রশাসন, পুলিশপ্রশাসন ও
    আদালত যেন সরকারদলীয় চামচামি-দালালি বাদ দিয়ে স্বাধীনভাবে জনগণের জন্য কাজ করতে পারে। রাষ্ট্রের আদালত বা কোর্ট যেন আর
    কোনোদিন কারও কথিত ‘পেটিকোটে’ পরিণত না হয়।
    পদ্মাসেতু-মেট্রোরেল-টানেল-স্যাটেলাইট টাইপের ‘উন্নয়ন’ হওয়া যেমন জরুরি তার চেয়েও অধিক জরুরি বাজারব্যবস্থা স্থিতিশীল হওয়া। যাতে
    সাধারণ মানুষ খেয়ে-পরে বাঁচতে পারে। সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ হলে সেটি অসম্ভব নয় বলে আমরা মনে করি। মনে রাখতে হবে, বাজারে
    তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে পারাই উন্নয়নের বড় এবং গ্রহণযোগ্য নির্দেশক। সক্ষমতার চেয়ে বেশি কিছু করতে গেলেই
    অর্থনীতি ও বাজারব্যবস্থায় ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয়। ১০০ টাকা আয় করা ব্যক্তি ১০০০ টাকার ভঙ্গি দেখাতে গেলে তার সংসারে
    ভারসাম্যহীনতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে এটিই বাস্তব — একটি রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও তাই।
    কোনো কথিত মহান নেতার তথাকথিত ‘আদর্শের সৈনিক’ দেশ জুড়ে আর যেন কিলবিল না করে। আমরা যেমন ‘রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা’ বিতর্ক
    নির্ভর রাজনীতির বিলোপ চাই, তেমনি স্বাধীনতার ‘জনক-ঘোষক’ বিতর্ক নির্ভর রাজনীতি থেকে বের হতে চাই। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায়
    রাজনৈতিক দলের চামচা-দালালেরা চর দখলের মতো দখলদারিতে ন্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই দখলদারি ও চাঁদাবাজির রাজনৈতিক সংস্কৃতির
    পরিবর্তন চাই আমরা। কিছুকিছু ক্ষেত্রে, কথিত বিভিন্ন ‘ইসলামী’ দলের বা দীর্ঘমেয়াদে ‘অভুক্ত’ বিশেষ চেতনাবাজ দলের লোকদের ভাবভঙ্গি
    ও গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা যেন ইতোমধ্যে ক্ষমতায় বসে গেছেন। তাছাড়া, অচিন দেশের ‘রাজপুত্র’কে নিয়ে যেভাবে স্লোগান শুরু হয়েছে
    তাতে মনে হচ্ছে ‘রাজপুত্র’ তাঁদের ‘রাজতান্ত্রিক পরিবারতন্ত্রের’ সিংহাসনে বসেই গেছেন। আর, সত্যিই বসে গেলে কী হতে পারে তা নিয়ে
    আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। ‘ইসলামী’ দলের লোকজনের উত্তেজনা-উচ্ছ্বাস ও নানান কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, বাংলাদেশে রাতারাতি ‘ইসলাম কায়েম’
    হয়ে গেছে, বে-ইসলামীর কোনো স্থান নেই এখানে।
    নতুন কেনো গণতন্ত্রবেশী স্বৈরাচার, কর্তৃত্ববাদী, দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত এই বাংলার মসনদে জেঁকে
    বসুক, তা বাংলার ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ আর চায় না। তাই বাংলাদেশে কোনো রাজতান্ত্রিক ‘পরিবারতন্ত্র’ অথবা দীর্ঘমেয়াদে অভুক্ত
    ‘খাইখাইতন্ত্র’ পুনরায় কায়েম হতে দেওয়া যাবে না। তাছাড়া, ধর্মীয় মৌলবাদী ধর্মবাদী সাম্প্রদায়িক সরকারব্যবস্থার বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে হবে
    এদেশের ছাত্রসমাজ ও সর্বস্তরের জনতাকে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং জুলাই-২৪ এর নতুন মুক্তির চেতনায় বাংলাদেশ একটি
    স্বৈরাচারবিরোধী, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হোক।
    বাংলাদেশ বাঙালি-অবাঙালি, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠী-বৃহৎনৃগোষ্ঠী, হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, ইহুদি-নাসারা, জৈন-শিখ, মুচি-মেথর, চামার-
    চণ্ডাল, পৌত্তলিক-নিরাকারবাদী, নিরীশ্বরবাদী-বহুঈশ্বরবাদী, আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে যেন সবার হয়। তাই যদি করা সম্ভব না হয়,
    তাহলে বাংলাদেশের জুলাই-গণহত্যার অজস্র লাশ ও অজস্র আহত-পঙ্গু মানুষের প্রতি চরম অন্যায় করা হবে। হতাশায় নিমজ্জিত হবে
    স্বৈরাচারবিরোধী, ফ্যাসিবাদবিরোধী, বৈষম্যবিরোধী, নিপীড়নবিরোধী, দাসত্ববিরোধী, মুক্তিকামী এই অসহায় জাতি। শিক্ষার্থী ও খেটে খাওয়া
    সাধারণ জনতার এত লাশ, এত রক্তপাত, এত আত্মত্যাগ সব অর্থহীন হয়ে যাবে।
    বাংলাদেশের গতি আর যাতে বিপথে না যায়, সে-ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনকে ও সাধারণ জনতাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং
    সম্মিলিতভাবে দেশ সংস্কারের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। স্বাধীন দেশে নিজের টাকায় কেনা গুলি বুকে নিয়ে আবু সাঈদেরা, মীর মুগ্ধরা মরল
    তাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করে। সকল হত্যার যেন বিচার হয়, খুনীরা যেন শাস্তি পায়।

    অন্তর্বর্তীকালীন সরকার-প্রধানের প্রতি দাবি থাকবে — রাষ্ট্রের আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ সহ সার্বিক রাজনীতি এবং সার্বিকভাবে
    গোটা দেশটার আমূল সংস্কার যেন করা হয়। শাসনব্যবস্থার গোটা কাঠামো ও সিস্টেমের পরিবর্তন করে এবং সমস্তপ্রকারের জঞ্জাল সাফ
    করে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ, জবাবদিহিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার উপযোগী রাষ্ট্রকাঠামো ও পরিবেশ যেন সৃষ্টি হয়।
    তাতে যতদিন সময় লাগুক বাংলার ছাত্র-জনতা আপনাদের সাথে আছে।
    মোস্তফা আবু রায়হান
    কবি ও সংস্কৃতিকর্মী
    kabyakanan2000@gmail.com
    ঠিকানা :
    কাব্যকানন (একটি সাহিত্য-শিল্প চর্চা কেন্দ্র)
    শ্যামনগর, সাতক্ষীরা
    ফোন : ০১৯২১ ৫৬৭ ৩৫৯

  • গুদাম ঘরে আটকে রেখে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক-১

    গুদাম ঘরে আটকে রেখে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক-১

    সাতক্ষীরা : নতুন ব্যাগ দেখানোর কথা বলে নবম
    শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে গুদাম ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের চেষ্টা
    চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে সাতক্ষীরা সদর
    উপজেলার বাঁশদহা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জনতা ওই যুবককে
    আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
    আটককৃত যুবকের নাম মোঃ নাঈম ইসলাম (২৩)। সে সাতক্ষীরা
    সদর উপজেলার ভাদড়া গ্রামের আব্দুস সবুরের ছেলে ও বাঁশদহা
    বাজারের নাঈম কসমেটিকস সেন্টারের স্বত্বাধিকারী।
    সদর উপজেলার বাঁশদহা গ্রামের এক দরিদ্র ইজিবাইক চালক
    জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর
    ছাত্রী। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর তার
    মেয়ে একটি ব্যাগ কেনার জন্য বাঁশদহা বাজারের নাঈম
    কসমেটিকস সেন্টারে আসে। দোকানদার নাঈম পছন্দের ব্যাগ
    গুদামে আছে বলে তাকে সেখানে নিয়ে যায়। বিকেল তিনটার
    দিকে গুদামঘরের শার্টারের দরজা খুলে ভিতরে ঢোকা মাত্রই ভিতর
    থেকে শার্টারের দরজা লাগিয়ে দেয় নাঈম। একপর্যায়ে মেয়েটির
    মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ঘণ্টাব্যাপি
    ধস্তা ধ্বস্তির একপর্যায়ে মেয়েটিকে ভিতরে রেখে সে বাইরে
    এসে শার্টারের দরজা লাগিয়ে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলে
    আসে নাঈম। মেয়েটির চিৎকারে পার্শ্ববর্তী এক ব্যবসায়ি
    বাজার কমিটি ও মেয়েটির চাচাকে জানায়। মেয়ের চাচা আরো
    এক ঘণ্টা পরে খবর পেয়ে নাঈমের দোকান থেকে চাবি এনে
    গুদামঘরের তালা খুলে ফেলে। একপর্যায়ে তিনি (বাবা) ৯৯৯ এ ফোন
    করলে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ওই ভিকটিমকে উদ্ধার ও নাঈমকে আটক
    করে থানায় নিয়ে আসে।
    মেয়েটির বাবা আরো জানান, কিছু টাকা নিয়ে ঘটনাটি
    চেপে যাওয়ার জন্য বঁ^াশদহা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক
    আজাহারুল ইসলামের মাধ্যমে তার কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি
    তাতে রাজী হননি।
    তবে আজাহারুল ইসলামের সাথে এ ব্যাপারে কথধা বলা সম্ভব
    হয়নি। এ ব্যাপারে আটককৃত নাঈম ইসলাম তার নিজ কৃতকর্মের কথা
    স্বীকার করেছে।
    সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, এ
    ঘটনায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে নাঈম ঈসলামের নাম উল্লেখ
    করে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সালের
    সংশোধিত ২০০৩ এর ৯(৪) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
    আসামী নাঈম ইসলামকে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল
    হাজতে পাঠানো হয়েছে। সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নয়ন
    বড়ালের কাছে মেয়েটির ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে তার বাবার
    জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

  • ভারত-চীন কী এক হচ্ছে?

    ভারত-চীন কী এক হচ্ছে?

    একটি চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ চার বছর ধরে চলা ভারত-চীন সীমান্তে অচলাবস্থা কেটে যাচ্ছে।

    সোমবার (২১ অক্টোবর) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, উভয় দেশ একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।ভারতীয় কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ২২-২৪ অক্টোবর ব্রিকস আঞ্চলিক গ্রুপের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সফরের প্রাক্কালে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

    নতুন সংঘাত এড়াতে লাদাখ সীমান্তের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে টহল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে দুই পক্ষ। অন্যদিকে হাজার হাজার নতুন সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম হিমাঙ্কের পার্বত্য অঞ্চলের কাছাকাছি মোতায়েন করা হয়েছে।

    এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, আমরা টহল দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি এবং এর সাথে আমরা ২০২০ সালে পরিস্থিতি যেখানে ছিল সেখানে ফিরে গেছি। আমরা বলতে পারি … চীনের সঙ্গে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

    তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলেছি— শান্তি ও স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করলে বাকি সম্পর্ক কীভাবে এগোবে?

    সংঘাত এড়াতে দুই দেশের সেনাবাহিনী নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সীমান্তের বিরোধপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে টহল দেবে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন ভারতের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা।

    লাদাখের ওই এলাকায় যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, তা নিশ্চিত করতে দু’পক্ষই নজরদারি চালাবে। তবে বেইজিং ভারতের এই মন্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

    ২০২০ সালে পশ্চিম হিমালয়ের অমীমাংসিত সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ জন ভারতীয় ও চার চীনা সেনা নিহত হয়। এরপর থেকেই পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে চলছে সম্পর্কের টানাপোড়েন।

  • ইস্তাম্বুলের নিয়ন্ত্রণ চায় ইসরায়েল!

    ইস্তাম্বুলের নিয়ন্ত্রণ চায় ইসরায়েল!

    তুরস্ক

    গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে তুর্কি গবেষক ও লেখক হায়াতি সির সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের আসল লক্ষ্য তুরস্ক এবং বিশেষভাবে ইস্তাম্বুল। এ ছাড়া ইসরায়েলি সরকারের ‘গোপন পরিকল্পনা’ সম্পর্কে কিছু বিতর্কিত এবং অনুমানমূলক মতামতও প্রকাশ করেছেন এই লেখক।

    হায়াতি দাবি করেন, ইহুদিরা ‘প্রতিশ্রুত ভূমি’ প্রতিষ্ঠার জন্য বহু বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং গ্রেটার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার দিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। তার মতে, এই যুদ্ধের প্রকৃত লক্ষ্য মূলত তুরস্ক। তুর্কি এই গবেষক জানান, ইসরায়েল শুধু গাজা দখল করছে না, বরং বিশ্বের সব সরকারকেই তাদের নিয়ন্ত্রণে আনছে।

    হায়াতি আরও দাবি করে জানান, ইসরায়েলের বর্তমান পরিকল্পনা থিওডর হার্জলের ডায়েরিতেই লেখা রয়েছে। তারা আসলে ইসরায়েলের বহু বছরের সেই কৌশল সম্পর্কে অবহেলা করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি সবাইকে সতর্ক করে জানান- সামরিক, কূটনৈতিক, রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা পর্যায়ে একটি গুরুতর প্রস্তুতি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত ছিল, কিন্তু তা এখনও হয়নি।

    হায়াতি দাবি করে বলেন, ইসরায়েলকে সমর্থনকারী শক্তিগুলো—যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ এবং ইরান ও রাশিয়া- সবই ‘মেসিয়ানিক কোয়ালিশনের’ অংশ এবং তারা তুরস্কের বিরুদ্ধে একত্রে কাজ করবে। যদিও ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যে আপাতত একটি বিরোধ চলছে যা মূলত আল-আকসা মসজিদকে কেন্দ্র করে, তবে সবারই আসল লক্ষ্য হলো ইস্তাম্বুল।

    তুর্কি এই গবেষক দাবি করেন, ইস্তাম্বুলের অধীনে প্রাচীন গোপন সমাজগুলোর কার্যক্রম রয়েছে এবং তারা এখানে এখনো তাদের অনুষ্ঠান পরিচালনা করে। ইস্তাম্বুলের পবিত্র রক্ষাকারীদের জন্যই এই শহরটি এখনো সুরক্ষিত আছে। তিনি জানান, ইসরায়েল যদি ইস্তাম্বুলের আধ্যাত্মিক সুরক্ষা ভেঙে দিতে না পারে, তবে তারা আল-আকসা মসজিদকে ধ্বংস করতে পারবে না।

    হায়াতির আহ্বান করে জানান, ডিজিটাল বিশ্ব তার সব অস্ত্র নিয়ে তাদের চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাই এখনই তাদের মানবতা রক্ষা করতে এবং প্রতিরোধ করতে জেগে উঠতে হবে।

  • যে কারণে ২৫২ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি

    যে কারণে ২৫২ প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যাহতি

    শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকরি থেকে পুলিশের ২৫২ জন প্রশিক্ষণার্থী উপ-পরিদর্শককে (এসআই) অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস আগে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে পুলিশের একটি সূত্র বলছে- শৃঙ্খলা ভঙ্গ ছাড়াও এর পেছনে আরও কারণ রয়েছে।

    এদিকে অব্যাহতি পাওয়া একজন প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে দেওয়া চিঠির কপি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে। এতে দেখা গেছে, চিঠিটি গতকাল ২১ অক্টোবর ইস্যু করা হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে- আপনি বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম ক্যাডেট এসআই/২০২৩ ব্যাচে গত ২০২৩ সালে ৫ মে এক বছর মেয়াদি মৌলিক প্রশিক্ষণরত আছেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি প্যারেড মাঠে গত ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিট হতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) প্রবেশনারস ব্যাচ-২০২৩ এর সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুশীলন প্যারেড কার্যক্রম চলমান ছিল। এ সময়ে পুলিশ একাডেমি কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী প্যারেডে অংশগ্রহণকারী সকল প্রশিক্ষণার্থীকে প্যারেড বিরতিতে সকালের নাশতা পরিবেশন করা হয়। কিন্তু আপনি (প্রশিক্ষণার্থী এসআই) উক্ত সরবরাহকৃত নাশতা না খেয়ে হৈ চৈ করে মাঠের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেন। আপনি অন্যান্য প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআইদের পরস্পর সংগঠিত করে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন। এছাড়াও আপনি অন্যদের সাথে হৈ চৈ করতে করতে নিজের খেয়াল খুশিমত প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান।

    একজন প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই হিসেবে এরূপ আচরণ এবং বিনা অনুমতিতে প্যারেড মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে শৃঙ্খলা পরিপন্থি। আপনার এরূপ আচরণ মাঠের সার্বিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে চরমভাবে ব্যাহত করেছে এবং অন্য প্রশিক্ষণার্থীদেরকে শৃঙ্খলা ভঙ্গে উৎসাহিত করেছে মর্মে আপনার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল (অতিরিক্ত আইজিপি) পুলিশ পরিদর্শক (সঃ) মো. মহসিন আলী বরাবরে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের প্রেক্ষিতে ৩ অক্টোবর পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (ফিল্ড উইং) মো. সিদ্দিকুর রহমান এতদসংক্রান্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেন।

    উপরোক্ত অভিযোগের কারণে প্রিন্সিপালের পক্ষে পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস) তিন দিনের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বর্ণিত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আপনি নির্ধারিত তিন দিন সময়ের মধ্যে কৈফিয়তের জবাব দাখিল করেন। আপনার দাখিলকৃত কৈফিয়তের জবাব পর্যালোচনান্তে সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়। পূর্ব নির্ধারিত মেনু অনুযায়ী সরবরাহকৃত নাশতা আপনি না খেয়ে একাডেমি কর্তৃপক্ষকে হেয় প্রতিপন্ন করে চরম বিশৃঙ্খলা ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে হৈ চৈ করে মাঠ থেকে বের হয়ে নিজ ব্যারাকে চলে যান। আপনি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী তথা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেন। একজন প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে আপনার এ ধরনের আচরণ চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও অসদাচরণের শামিল। আপনার উপরোক্ত শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পদ হিসেবে বিবেচিত সাব-ইন্সপেক্টর পদে কাজ করার পথে বড় ধরনের অন্তরায় ও অযোগ্যতার শামিল।

    এমতাবস্থায় আপনার এহেন শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যক্রমের কারণে মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে ডিসচার্জ করণের বিষয়ে অনুমোদনের জন্য গত ১২ অক্টোবর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় পত্র প্রেরণ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ট্রেনিং-২) বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১৫ অক্টোবর আপনাকে চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে ডিসচার্জ করণের আদেশ জারির বিষয়টি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকা কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং পিআরবি-১৯৪৩ এর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করেন। এমতাবস্থায় প্রশিক্ষণরত ক্যাডেট এসআই মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অদ্য ২১ অক্টোবর পূর্বাহ্নে ডিসচার্জ করা হলো।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে অব্যাহতি পাওয়া কয়েকজন শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক জানান, ওই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আগে ৪০তম ক্যাডেট এসআই-২০২৩ ব্যাচের উপ-পরিদর্শকদের একাংশকে ১৯-২৩ অক্টোবর ছুটিতে পাঠানো হয়। আগের দিন ১৮ অক্টোবর এই ছুটি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় তাদের একাডেমিতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এর আগেই শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শকদের স্থানীয় থানাগুলোয় বরখাস্তের আদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    এ বিষয়ে একাডেমির অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত আইজিপি মাসুদুর রহমান ভুঞা বলেন, প্রশিক্ষণ চলাকালে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে তাদের চাকরি থেকে ‘ডিসচার্জ’ করা হয়েছে। এজন্য প্রত্যেককে চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। ৪০তম ব্যাচের আউটসাইডার ক্যাডেট হিসেবে মোট ৮০৪ জন প্রশিক্ষণরত ছিলেন। তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ২৫২ জনকে ডিসচার্জ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো ইস্যু না। শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাদের ডিসচার্জ করা হয়েছে।

    তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিষয়ে কেউ বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ক্যাডেট এসআই সদস্যদের ট্রেনিং শুরু হয়েছিল। শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৪ নভেম্বর।

    এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাজশাহীর বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজও হঠাৎ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়। এর মধ্যে সারদায় ২৫২ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

  • রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আল্টিমেটাম

    রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধে আল্টিমেটাম

    রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে ছাত্র-জনতা। কর্মসূচি থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় বঙ্গভবনের সামনে থেকে রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে আল্টিমেটাম ঘোষণা দেওয়া হয়।

    আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকুন। তাই আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হয়। ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামে কাজ না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে বাহার উদ্দিন নামে একজন বলেন, রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যে পর্যন্ত তার পদ থেকে পদত্যাগ না করবেন সে পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। চুপ্পু একজন মিথ্যাবাদী। তিনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না কোনো স্বৈরাচারের দোসর এই পদে থাকুক।

    মো. সোহাগ নামে একজন বলেন, আমরা দেখতে চাই চুপ্পু কতদিন বঙ্গভবনে থাকতে পারেন। ছাত্র আন্দোলনে আহতরা পথে পথে আর দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পু বঙ্গভবনে আরাম-আয়েশ করবে এটা মেনে নেওয়া হবে না। এই রাষ্ট্রপতি ভারতের দালাল এবং শেখ হাসিনার দোসর।

    ইনকিলাব মঞ্চ নামের ব্যানারে আন্দোলনে আসা আরেকটি পক্ষের লোকজন বলেন, আমরা চাই বর্তমান রাষ্ট্রপতি যেন দ্রুত পদত্যাগ করেন।

    বঙ্গভবন এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছেন সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের সদস্যরা।

    প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

    তবে সম্প্রতি মানজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়ত সময় পাননি।’

    এরপর নতুন করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমাজ।

    অপরদিকে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, যে ছাত্রলীগের হাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ তিনি এই সময় বেঁধে দেন।

    এসময় তিনি রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা আর আপনাকে রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চায় না। হয় আপনি পদত্যাগ করুন না হলে ছাত্র-জনতা বঙ্গভবন ঘেরাও করে হাসিনার মতো পালাতে বাধ্য করাবে। ছাত্র-জনতার এই স্পিরিট নতুন বাংলাদেশ গঠনের আগ পর্যন্ত থাকবে। ৭২ এর ফ্যাসিবাদী সংবিধান বাতিল করে সংবিধান নতুন সংবিধান প্রণয়নের আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।

    প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত লোকজনকে ‘Step Down Chuppu’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘চুপ্পু হটাও, দেশ বাঁচাও’, ‘চুপ্পু তুই সরে যা, ধেয়ে আসছে জনতা’, ‘দফা এক দাবি এক, চুপ্পুর পদত্যাগ’-সহ বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শন করতে এবং স্লোগান দিতে শোনা যায়।

  • সাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দূরে

    সাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দূরে

    বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দূরে আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১ এ এমন তথ্য জানানো হয়।

    আবহাওয়া অফিস জানায়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

    সংস্থাটি জানায়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ (এক) নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

    এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে।

  • সাতক্ষীরা: সংবাদপত্রের উন্মেষ ও সাংবাদিকতা

    সাতক্ষীরা: সংবাদপত্রের উন্মেষ ও সাংবাদিকতা

    দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের একটি সমৃদ্ধশালী জেলা সাতক্ষীরা। এই সাতক্ষীরা ১৯৮৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে অন্যতম জেলা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। (পূর্বে ১৮৫২ সালে প্রথমে সাতক্ষীরাকে নদীয়া জেলার সাথে, ১৮৬১ সালে যশোর জেলার অধীনে, ১৮৬৩ সালে চব্বিশ পরগনার সাথে অধীনস্থ আর ১৮৮২ সালে খুলনার সাথে সংযুক্ত হয়।) পরে এখানে অনেক কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ’৯০ দশকে যোগ্য ও শিক্ষিত সাংবাদিক তৈরির সৃজনশীল উদ্যোগ, পাশাপাশি জেলা থেকে সংবাদপত্র প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখনই ’৬০ দশকের প্রখ্যাত সমাজসেবক তৎকালীন অবজারভারের স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল মোতালেব সম্পাদিত ‘সাপ্তাহিক কাফেলা’ ১৯৯২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘দৈনিক কাফেলা’ পত্রিকায় রুপান্তরিত হয়, এ পেশায় কর্মরতদের আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে পেশাগত সাংবাদিক তৈরির পথ সুগম করে। এতোদাঞ্চলে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার বিকাশ লাভ করে। বিভিন্ন সংগ্রাম ও জাতীয়বাদী আন্দোলনে দৈনিক কাফেলার ভূমিকা অন্যান্য। এবং নানা পথপরিক্রমায় পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে সময়ের চাহিদা পুরণে পত্রিকাটি মহীরুহ বটবৃক্ষে পরিণত হয়। হাল আমলের নতুন উদ্ভাবন কম্পিউটার প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট সাংবাদিকতা পত্রিকাটির ভিন্নমাত্রা প্রকাশ করে। তৎপরে জেলা থেকে বিভিন্ন নামে সংবাদপত্র প্রকাশ আমাদের চোখে পড়ে। ১৯৯৩ সালে তৎকালীন জাসদ নেতা আবু কাজী সম্পাদিত সাপ্তাহিক সহযাত্রী (প্রকাশনা বন্ধ), ১৯৯৪ সালের ২৩ জানুয়ারি তৎকালীন জেলা জাসদের সাধরণ সম্পাদক স. ম আলাউদ্দিন সম্পাদিত দৈনিক পত্রদূত ও ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সিপিবি’র জেলা সভাপতি আনিসুর রহিম সম্পাদিত দৈনিক সাতক্ষীরা চিত্র (প্রকাশনা বন্ধ) পত্রিকা প্রকাশিত হয়। শুধুমাত্র খবর জানার জন্য সীমাবদ্ধ থাকেনি এর ব্যবহার, এই পত্রিকার সংবাদপত্রগুলো হয়ে উঠেছিল মেধা-মনন বিকাশের সিঁড়ি এবং জনগণের অধিকার আদায়ের মুখপাত্র।

    বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগ অর্থাৎ ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর আব্দুল হামিদ সম্পাদিত দৈনিক দৃষ্টিপাত নামে পত্রিকা বাজারে আসার আগে প্রচারের ভিন্ন কৈৗশল বেছে নেয়। এমনকি কর্মীরা প্রায় শহর-গ্রামের মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। প্রকাশের শুরু থেকেই ঝকঝকে ছাপা ও বর্ণাট্য ছবি পাঠক মহলে সমাদৃত। পরবর্তীতে আব্দুল হামিদ এর তদস্থলে এই পত্রিকার প্রকাশক জিএম নুর ইসলাম সম্পাদকের দায়িত্ব পালনরত। এছাড়াও গণমানুষের মুখপত্র হিসেবে জম্ম নেওয়া দৈনিক দৃষ্টিপাতের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বারবার প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে, মহলে বিশেষের রক্তচক্ষুর হিংসাতœক ছোবল পাঠক প্রিয় দৈনিক দৃষ্টিপাতকে ছোবল মারতে চেয়েছে। কর্কটময় বন্ধুর পথ মুহুর মূহুর প্রিয় প্রকাশনাকে গতিরোধ করার অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। কিন্তু না দৈনিক দৃষ্টিপাতকে কেবল পাঠকরাই জীবন্ত রেখেছে। দৃষ্টিপাতকে পথহারা গতিহীন, অপরিনামদর্শী, আদর্শচ্যুতি বা মহলের বিশেষের কাছে যেমন আত্মসমর্পন করতে দেইনি অনুরুপ আদর্শচ্যুতি ঘটেনি। প্রিয় পাঠক দৃষ্টিপাতকে বরাবরই সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার দুর্বার দুরন্ত ইচ্ছাশক্তিকে লালন করা হাজার হাজার পাঠকের সিঁড়ি। ২০০২ সালে সাখাওয়াত হোসেন সম্পাদিত সাপ্তাহিক সাতক্ষীরা ডাইজেস্ট (প্রকাশনা বন্ধ) পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ২০০৩ সালে নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় দৈনিক যুগের বার্তা পত্রিকা প্রকাশিত হয়। বর্তমানে পত্রিকাটি সম্পাদনা করছেন ক্যাডেট কলেজের তৎকালীন ছাত্র আবু নাসের মো. আবু সাঈদ। তৎকালীন জাপা নেতা মহাসীন হোসেন বাবলু সম্পাদিত সাপ্তাহিক আজকের সাতক্ষীরা প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৪ সালের ২১ জুন পত্রিকাটি দৈনিকে রুপান্তরিত হয়। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদার মালিকানায় দৈনিক আলোর পরশ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। উক্ত পত্রিকাটির প্রকাশনা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এই পত্রিকাটি জামায়াত ইসলামীর জেলার মুখপাত্র হিসেবেও সুপরিচিত। তদপরে ২০০৯ সালে আব্দুল খালেক সম্পাদিত সাপ্তাহিক মুক্তসাধীন পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এরপূর্বে কালিগঞ্জ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ তমিজ উদ্দীন সম্পাদিত সাপ্তাহিক মুক্ত আলাপ প্রকাশিত হয়।

    বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে নতুনত্ব, আধুনিকতা ও যুগোপযোগী ধারা জেলা সংবাদপত্রের পরিবর্তন ঘটেছে ব্যাপকভাবে। এমনকি পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে পত্রিকাগুলো ছিল কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দলের মুখপাত্র। তবে তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি বেঁচে ছিলেন না, পত্রিকা ছিলো না। সেই সময়ে মানুষের নির্যাতনের কথা ভেবে জেলা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করার মনস্থির করলেন। এবং ২০১২ সালের ১৭ জুন তার সম্পাদিত দৈনিক কালের চিত্র পত্রিকা প্রকাশিত হয়। উক্ত পত্রিকা প্রকাশের পর থেকে নির্যাতিত ভুক্তভোগী মানুষের মুখপত্র হিসেবে সুপরিচিত লাভ করে। ২০১৫ সালে হাবিবুর রহমান সম্পাদিত দৈনিক সাতনদী পত্রিকা প্রকাশ হয়। উক্ত পত্রিকাটি দুর্নীতি ও অনিয়মের মুখপাত্র হিসেবে সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য। এছাড়াও ২০১৫ সালে ‘মানবতার পক্ষে, গণমানুষের দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে জেলা জাসদের সহ-সভাপতি আশেক-ই-এলাহীর সম্পাদনায় দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকা প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি সব সময় প্রতিনিধিদের গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করেছে। তবে আর্থিক সংকটের কারণে পত্রিকাটি অনিয়মিত প্রকাশিত হয়। ২০১৬ সালে প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা ও সাতক্ষীরা সরকারী কলেজের প্রাক্তন জিএস মকসুমুল হাকিম সম্পাদিত সাপ্তাহিক ইচ্ছে নদী পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল ভাসানী অনুসারী পরিষদের জেলা আহবায়ক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী সম্পাদিত সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকা প্রকাশিত হয়।

    জেলায় নতুন নতুন পত্রিকার উদ্ভব ঘটেছে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদেও চাহিদা বেড়েছে। ঠিক এমনই একটি চিন্তধারা থেকে ২০১৮ সালে ২২ ফেব্রুয়ারী এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে ৪৫তম পরীক্ষামূলক সংস্করণ শেষে ৩০ জুলাই পাঠকের হাতে পৈাঁছেছে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা একেএম আনিসুর রহমান সম্পাদিত ‘দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা’। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জিএম মোশারফ হোসেন সম্পাদিত হৃদয় বার্তা পত্রিকা সরকারী অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়, তবে ২০২২ সালের আগষ্ট মাসে প্রথম প্রকাশিত হয়। ২০২২ সালে ৫ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন ছাত্রমৈত্রী নেতা তারেকুজ্জামান খান সম্পাদিত দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। একই বছরে যুক্তরাজ্যের জর্জিয়া প্রবাসী এক ব্যক্তির মালিকানায় দৈনিক সাতঘরিয়া নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়। তবে বর্তমানে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও ২০২৩ সালের ০১ জানুয়ারি মোঃ শাহ আলম সম্পাদিত দৈনিক সাতক্ষীরার সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২০২৪ সালে যুবলীগ নেতা রিমু সম্পাদিত সাপ্তাহিক বর্তমান সাতক্ষীরা, সাধনা কাশ্যপী সম্পাদিত দৈনিক প্রথম লহরী ও কালিগঞ্জের মো. কবির নেওয়াজ সম্পাদিত সশঢ়ৎড়ঃরফরহ.পড়স নামের একটি অনলাইন পত্রিকার সরকারি লাইন্সেসপ্রাপ্ত। এসব দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলোতে অনেক সাংবাদিক কাজ করছেন। তবে জেলার বহু সন্তান স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সাংবাদিকতায় বিভাগোত্তর যুগে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলন, স্বদেশী আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ এবং ১৯৪৭ থেকে স্বাধীনতার পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তনাধ্যে ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায়, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী, ময়েজউদ্দিন হামিদী, আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, সিকান্দর আবু জাফর, খন্দকার আবু তালেব, সুনীল ব্যার্নাজি অন্যতম।

    সাংবাদিকতার পেশাগত দক্ষতা ও মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জেলায় অসংখ্য দিকপাল। যাঁদের অনন্য অবদানের কথা মানুষ আজো শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। যারা তাদের কর্মযজ্ঞের দ্বারা নিজে আলোকিত হয়েছেন, গণমাধ্যমকেও করেছেন সমৃদ্ধ। এমনকি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে জেলার সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাদের অনেকেই প্রয়াত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই পেশাদার সাংবাদিক ছিলেন না। কেউ আইনজীবী, কেউ শিক্ষক আবার কেউ বা অন্য কোনো পেশার সাথে খন্ডকালীন সাংবাদিকতা করেছেন। তারা খন্ডকালীন সময়ে যা করেছে তা আজো তরুণদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। শেখ গহর আলী, অধ্যাপক তবিবুর রহমান, অ্যাড. এম এম হাসান আওরঙ্গি, অ্যাড. নুরুল ইসলাম, অ্যাড. মুনসুর আহমেদ, শেখ আব্দুস সোবহান, কুদরত-ই-খোদা, সরদার আনিসুর রহমান, গোলাম রহমান, অ্যাড. অরুণ ব্যানার্জি, আমজাদ হোসেন, শেখ আব্দুস সাত্তার, নাজমুল আলম মল্লিক, সৈয়দ রিয়াজ, সুভাষ চৌধুরী, মোহাম্মদ তোহা খান, আনিস সিদ্দিকী, আল-কামাল আব্দুল ওহাব, এসএম হাফিজুর রহমান সেই তালিকারই অংশ। সম্পাদকের তালিকায় রয়েছেন তোয়াব খান, আব্দুল মোতালেব, মুফতি আব্দুর রহিম (কচি), অধ্যক্ষ তমিজ উদ্দিন, মহাসীন হোসেন বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুল খালেক, আলী আহমেদ, আব্দুল মাজেদ, হাসান আব্দুল খালেক, একেএম আনিসুর রহমান। প্রয়াত সাংবাদিকের তালিকায় মোঃ রেজাউল করিম (ধূলিহর), আহসান (সুলতানপুর), আনোয়ারুল ইসলাম (মাটিয়াডাংগা)। খন্ডকালীন এসব সাংবাদিক ও সম্পাদকরা শুধু সাংবাদিকতাই করেননি, তারা কেউ রাজনীতি করেছেন, আবার কেউ বা সমাজসেবা, সামাজিক বা নাগরিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন। কেউ পাল্টাতে চেয়েছিলেন এই সমাজটাকে। আবার কেউ বা স্থানীয় সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের তালিকায় আমিনা বেগম। ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের তালিকায় লুৎফুন্নেছা বেগম, লায়লা পারভীন সেঁজুতি, জান্নাতুল ফেরদৌস, মাসুমা ইয়াসমিন, হাফিজুর রহমান মাসুম, শেখ তৌহিদুর রহমান, আবুল হোসেন। প্রতিষ্ঠালগ্নে সম্পাদক না হয়েও সম্পাদকের তালিকায় জিএম নুর ইসলাম, আবু নাসের মো. আবু সাঈদ, ডাঃ এটিএম রফিক উজ্জ্বল, মোঃ আবুল কালাম, লুৎফুন্নেছা বেগম, আমেনা বেগম।

    সাংবাদিকতার প্রথম আনুগত্য নাগরিকজনের প্রতি। সাংবাদিকতার সার কথা হচ্ছে সুশৃঙ্খল যাছাই। যেমন যৌনতা, সন্ত্রাস, সহিংসতা ও বীভৎসতার উৎকট বা নগ্ন প্রকাশ নয়, মৃতের প্রতি সম্মান, লাশের ছবি না ছাপা, খারাপ ভাষা পরিহার, নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখা, ঘটনা বলবেন না-দেখাবেন, এটাই প্রকৃত সাংবাদিকতা। অন্যান্য পেশার মতো সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও কতক গুণ বা যোগ্যতা থাকা দরকার। সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রথম বিভাগের অনার্স পাস করেও অনেকে পরিপূর্ণ সাংবাদিক হতে পারেন না। আবার অনেকে সাংবাদিকতার ডিগ্রি না নিয়েও বড় মাপের সাংবাদিক হতে পেরেছেন। সাংবাদিক জন্ম নেয় না, তৈরি হয়। সাংবাদিক হবার জন্য কিছু গুণ থাকতে হয়। সাংবাদিক হতে হলে সংবাদের গন্ধ শোঁকার নাক থাকতে হবে। অবলোকনের চোখ থাকতে হবে। বোঝার জন্য মন থাকতে হবে।

    বস্তুনিষ্ট সাংবাদিকদের মানুষ সমাদর করে, সম্মান করে। সাংবাদিকদের লেখায় সমাজের লাভের পাশাপাশি ক্ষতিরও কারণ হতে পারে। উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশ করা মোটেও সমীচীন নয়। এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পাঠকরা সাংবাদিকদের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। পাঠকরা সাংবাদিকদের মতো গুছিয়ে লিখতে পারেন না বলেই সংবাদপত্রের দিকে হাত বাড়ায়। অন্যথায় মুখ ঘুরিয়ে নিতেন। একজন সাংবাদিকের সাংবিধানিক অধিকার, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, মানহানি, অশ্লীলতা, জননিরাপত্তা, ধর্মবিশ্বাস-বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হয়। উপরিউক্ত শব্দগুলো অনুধাবন করে জেলার পাশাপাশি দেশের সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন আবেদ খান, একেএম শহীদুল্লাহ, সাহেদ আলম, ফা¹ুনি হামিদ, আবু আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, কল্যাণ ব্যানার্জি, আবু সালেক, মিজানুর রহমান, আব্দুল ওয়াজেদ কচি, এম কামরুজ্জামান, মমতাজ আহমেদ বাপী, রামকৃষ্ চক্রবর্তী, আব্দুল বারী, মনিরুল ইসলাম মিনি, রুহুল কুদ্দুস, মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল, কালিদাস কর্মকার, পলাশ আহসান, তুহিন সানজিদ, নিখিল চন্দ্র ভদ্র, শেখ আব্দুল আলিম, জাহাঙ্গীর আলম, মতিয়ার রহমান মধু, আব্দুল জলিল, গোলাম সরোয়ার, কাজী শওকত হোসেন ময়না, আব্দুস সোবহান, মোজাফ্ফার রহমান, মনিরুল ইসলাম মনি, অ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান, অসীম বরণ চক্রবর্তী, এম জিল্লুর রহমান, সেলিম রেজা মুকুল, রঘুনাথ খাঁ, মো. আসাদুজ্জামান, অ্যাড. দিলীপ কুমার দেব, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, কাজী নাসির উদ্দিন, শহিদুল হক রাজু, বরুণ ব্যানার্জি, শামীম পারভেজ, আবুল কাশেম, মোশারফ হোসেন (আব্বাস), শেখ ফরিদ আহমেদ ময়না, হাফিজুর রহমান মাসুম, আব্দুল গফুর সরদার, ফারুক মাহবুবুর রহমান, এম শাহীন গোলদার, শহিদুল ইসলাম, ফারুক রহমান, জহুরুল কবীর, শেখ মাসুদ হোসেন, জামাল উদ্দিন মামুন, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, মো. রবিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মো. আব্দুস সামাদ, কেএম আনিসুর রহমান, মোহাম্মাদ আলী সুজন, আবু তালেব মোল্লা, মুহা. জিল্লুর রহমান, কামরুল হাসান, ইব্রাহিম খলিল, ডিএম কামরুল ইসলাম, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, আমিরুজ্জামান বাবু, শহিদুল ইসলাম, আহসানুর রহমান রাজীব, ইয়ারব হোসেন, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, শেখ আমিনুর রশিদ সুজন, মোঃ রবিউল ইসলাম, ম. জামান, এসএম রেজাউল ইসলাম, কৃষ্হ মোহন ব্যানার্জি, আলতাফ হোসেন, শেখ তানজির আহমেদ, এসএম মাহিদার রহমান, আমিনা বিলকিস ময়না, শাকিলা ইসলাম জুঁই, মোঃ ঈদুজ্জামান ইদ্রিস, মেহেদী আলী সুজয়, আসাদুজ্জামান সরদার, মশিউর রহমান ফিরোজ, এসকে কামরুল হাসান, এসএম আকরামুল ইসলাম, মোঃ হাফিজুর রহমান, নাজমুল হক, মোঃ বেলাল হোসাইন, আব্দুর রহমান, জোবায়ের মোস্তাফিজ, শাহরিয়ার হোসেন, মো: মুনসুর রহমান, খন্দকার আনিসুর রহমান, জাহিদ হোসাইন, গোপাল চন্দ্র, আব্দুল্লাহ আল মামুন, গাজী হাবিব, মুশফিকুর রহমান রিজভী, মোঃ মনিরুজ্জামান তুহিন, হাসান গফুর, মাহফিজুল ইসলাম আক্কাজ, আহাদুর রহমান জনি,মাজহারুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, মোঃ জাহিদুর রহমান পলাশ, শেখ কামরুল ইসলাম, এসএম আবুল কালাম আজাদ, মোতাহার নেওয়াজ (মিনাল), আবুল কালাম আজাদ, বোরহান উদ্দিন, মোঃ মনিরুজ্জামান, মীর মোস্তাফা আলী, আলী মুক্তাদা হৃদয়, এসএম বিপ্লব হোসেন, নাজমুল শাহাদাৎ জাকির, গাজী ফরহাদ, ফারহাদ হোসেন, হোসেন আলী, মেহেদী হাসান, মোঃ কামাল উদ্দিন সরদার, মোঃ আইয়ুব হোসেন রানা, মীর আবু বক্কর, সাবিনা ইয়াসমিন পলি, মোঃ শহিদুল ইসলাম শহিদ, মোঃ আঃ মতিন, মোঃ ফয়জুল হক বাবু, শেখ হাবিবুর রহমান হবি, এসএম বাচ্চু, মোঃ মাসুদ আলী, জাহিদ হাসান, মাসুদুজ্জামান সুমন, মোঃ আব্দুল আলিম, তাজমিনুর রহমান টুটুল, রাহাত রাজা, রফিকুল ইসলাম রানা, মোঃ রুবেল হোসেন, রুবেল হোসেন, জাকির হোসেন মিঠু, ফিরোজ হোসেন, মোঃ আক্তারুল ইসলাম, অসীম কুমার বিশ্বাস, মো. নিয়াজ ওয়াহিদ, মো. আলতাফ হোসেন, মো. আশিক সরদার, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. বায়েজীদ হাসান, মিলন কুমার বিশ্বাস, শেখ আনিসুজ্জামান রেজা, মো. মোমিনুর রহমান, আশিকুজ্জামান খান, মো: জাহিদ হোসাইন, এটিএম রেজাউল হক, আজাহারুল ইসলাম সাদী, আহাজউদ্দিন সুমন, মাহিম আনজু মোত্তকি, কামরুজ্জামান, শেখ রিজাউল ইসলাম, শেখ ফারুক হোসেন, মো. হাবিবুল্লাহ, মো. আরাফাত আলী, খান নাজমুল হোসেন, ইছাক আলী, মিজানুর রহমান মো: সেলিম হোসেন, মো: মারুফ আহম্মেদ খান (শামীম), ইব্রাহিম খলিল, মুরশিদ, আজিজুর রহমান, সোহারাফ হোসেন, নাহিদ হাসান লিটু, আজাদ হোসেন টুটুল, মো. আরিফ হোসেন, মো. ইদ্রিস আলী, মো. আবুল কালাম, শামীম আক্তার মিরাণ মুকুল, আল ইমরান, হাসানুর রহমান হাসান, তৌফিকুজ্জামান লিটু, শাহনেওয়াজ মাহমুদ রনি, রমজান আলী, শফিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, কাজী ফকরুল ইসলাম রিপন, জিএম মনিরুল ইসলাম, আবু সাঈদ, রশিদুল আলম, আবুল হোসেন, আতিয়ার রহমান, হাবিবুল্লাহ বাহার, আমিরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান লিটন, সাইফুল আজম খান মামুন, মুজাহিদ, শেখ ফারুক, রুহুল আমিন, লাল্টু হোসেন, সেলিম হায়দার, আবু রায়হান, শাহাজাহান আলী, রাজু রায়হান, ফাহাদ হোসেন, ইমানুর রহমান, সুজাউল হক, জিএম সোহরাব হোসেন, নুর মোহাম্মদ পাড়, মীর মামুন হাসান, হাসান ইকবাল মামুন, আব্দুল মোমিন, গাজী সুলতান আহমেদ, আশরাফুজ্জামান মুকুল, খায়রুল আলম সবুজ, মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, নুর আহমেদ পাড়, নাজমুল আলম মুন্না, মো: বাবুল আখতার, ইমরান হোসেন মিঠু, মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ আব্দুস সালাম, গাজী মোক্তার হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান মনি, মো. শাহজাহান আলম, মো. রবিউল ইসলাম, মো. মামুন হোসেন, মো. শিমুল হোসেন বাবু, নজরুল ইসলাম, মো. আজহারুল ইসলাম, নব কুমার দে, শেখ মনিরুজ্জামান, সঞ্জয় কুমার দাশ, জাহাঙ্গীর হোসেন।

    বিভিন্ন সময়ে পত্রিকা পরিষদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন আশরাফুল ইসলাম খোকন, মো. নজরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, রফিকুল ইসলাম রফিক, খালিদ হাসান, জিএম আদম শফিউল্লাহ, শেখ আসাদুর রহমান, রবিউল ইসলাম, শেখ ফরিদ হোসেন মৃত্তিকা এলাহী, জগন্নাথ রায়, শেখ আসাদুর রহমান, আল ফেরদৌস আলফা, আব্দুল হাকিম, জাকির হোসেন লস্কর শেলী, আব্দুল মোকাদ্দেস খান চৌধুরী (মিন্টু চৌধুরী), ওয়ায়েশ খান চৌধুরী, এসএম মাকসুদ খান, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, শেখ ওবায়েদুস সুলতান বাবলু, মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু, সাইদুর রহমান, ফিরোজ কবীর, মোঃ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান রাসেল। ইতিপূর্বে সাংবাদিকতা করেছেন পবিত্র মোহন দাশ, তৈয়েব হাসান সামছুজ্জামান, শেখ বেলাল হোসেন, অ্যাড. এবিএম সেলিম, রেজাউল ইসলাম, নাসির, শোভন প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেনঃ

    আশাশুনি-জিএম মুজিবুর রহমান, জিএম আল ফারুক, এসএম আহসান হাবিব, সোহরাব হোসেন, আব্দুস সামাদ বাচ্চু, আলী নেওয়াজ, আব্দুল আলিম, সমীর রায়, এসকে হাসান, এমএম সাহেব আলী, রাবিদ মাহমুদ চঞ্চল, আনিছুর রহমান বাবলা, শেখ বাদশা, মাসুম বাবুল, মইনুল ইসলাম, জ¦লেমিন হোসেন, শেখ আরাফাত হোসেন, এমএস মুকুল শিকারী, শেখ আসাদুজ্জামান মুকুল, ইলিয়াস হোসেন, রনদা প্রসাদ মন্ডল, লিংকন, আকাশ হোসেন, গোলাম মোস্তফা, বাবুল হাসনাইন, সোহরাব হোসেন, নুর আলম, ফায়জুল কবির, হাবিবুল্লাহ বিলালী, জগদীশ চন্দ্র সানা, আঃ আলীম, সচ্চিদানন্দদে সদয়, আবুল হাসান, মোঃ শরিফুজ্জামান মুকুল, মোঃ আকাশ হোসেন, এমএম নুর আলম, এম হাবিবুল্লাহ বিলালী, হাসান ইকবাল মামুন, শেখ আশিকুর রহমান।

    শ্যামনগর-জিএম আকবর কবীর, এসএম মোস্তাফা কামাল, জাহিদ সুমন, আব্দুর রহমান বাবু, তপন কুমার বিশ^াস, শেখ সোহরাব হোসেন, মেহেদী হাসান মারুফ, জিএম আব্দুল কাদের, সামিউল আজম মনির, আব্রাহাম লিংকন, সুলতান শাহজাহান, সিরাজ, আল ইমরান প্রমূখ। সামিউল ইমাম আজম মনির, এসএম মোস্তফা কামাল, আলমগীর সিদ্দিকী, মনিরুজ্জামান মুকুল, জিএম কামরুজ্জামান, আছাদুজ্জামান লিটন, জাহিদ সুমন, তপন কুমার বিশ্বাস, আব্দুল কাদের, মেহেদী হাসান মারুফ।

    কলারোয়া-দীপক শেঠ, একেএম আনিছুর রহমান, মোশারফ হোসেন, এসএম জাকির হোসেন, আরিফুল হক চৌধুরী, পলাশ মোর্তাজা হাসান, এসএম ফারুক হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, এমএ কালাম, আনোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, আরিফ মাহমুদ, আতাউর রহমান, এমএ সাজেদ, সুজাউল হক, সরদার জিল্লুর রহমান, দীপক শেঠ, শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, রাশেদুল হাসান কামরুল, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাসান মাসুদ পলাশ, আবু রায়হান মিকাইল, মনিরুল ইসলাম মনি, অহিদুজ্জামান খোকা, শফিকুর রহমান, হাবিবুর রহমান সোহাগ, দেবাশীষ চক্রবর্তী, শেখ রাজু রায়হান, জুলফিকার আলি, আনোয়ার হোসেন, তাওফিকুর রহমান সঞ্জু, সাইফুল্লাহ আজাদ, কাজী সিরাজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম মনি, দেলোয়ার হোসেন, হাবিবুর রহমান সোহাগ, খায়রুল আলম কাজল সরদার, ফারুক হোসেন রাজ, ইমদাদুল ইসলাম, হোসেন আলী, তরিকুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, মিলন দত্ত, মিলটন, পিয়ারে আশেকে রসুল সুমন, নির্বাহী সদস্য আক্তারুজ্জামান, শফিকুর রহমান, অহিদুজ্জামান, মো: মোস্তাক আহমেদ, এম.এ আজিজ, মো: শামছুর রহমান লাল্টু, মোজাফ্ফর হোসেন পলাশ, মুহাঃ আসাদুজ্জামান ফারুকী, মোঃ মোস্তফা হোসেন, তাজউদ্দীন আহমদ রিপন, মো: রেজওয়ান উল্লাহ ও মোর্তজা হাসান মুন্না, মোশারফ হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম, জিএম জিয়া, এমএ কাসেম, মোস্তফা হোসেন বাবলু, গোলাম রসুল।

    তালা-এসএম নজরুল, এসএম জাহাঙ্গীর হাসান, এমএ মান্নান, সৈয়দ জুনায়েদ আকবর, এস,এম হাসান আলী বাচ্চু, খান নাজমুল হুসাইন, শেখ আব্দুস সালাম, বিএম বাবলুর রহমান, এসএম জহর হাসান সাগর, মোঃ আব্দুল মজিদ, কাজী ইমদাদুল বারী জীবন, মোঃ লিটন হুসাইন, মোঃ আবজাল হোসেন, মোঃ বাহারুল ইসলাম মোড়ল, কাজী এনামুল হক বিপ্লব, শেখ ফয়সাল হোসেন, মোঃ আল- মাহবুব হুসাইন, মোঃ মেহেদী হাসান স্বাক্ষর, মোঃ সাইদুর রহমান আকাশ,মো: তপু শেখ, শ্রী পার্থ প্রতীপ মন্ডল, শেখ জলিল আহমেদ, এম এ হাকিম, গাজী সুলতান আহম্মেদ, গাজী জাহিদুর রহমান, এম এ ফয়সাল, সেলিম হায়দার, রোকনুজ্জামান টিপু, শফিকুল ইসলাম শফি, জাহাঙ্গীর হোসেন, এস এম লিয়াকত হোনেস, সব্যসাচী মজুমদার বাপ্পী,অর্জুন বিশ্বাস, সেকেন্দার আবু জাফর বাবু, খলিলুর রহমান লিথু, নূর ইসলাম, ইলিয়াস হোসেন, প্রভাষক ইয়াছিন আলী, আসাদুজ্জামান রাজু, কাজী আরিফুল হক (ভুলু), খলিলুর রহমান,কামরুজ্জামান মিঠু, শিরিনা সুলতানা, আজমল হোসেন জুয়েল, তপন চক্রবর্তী, সুমন রায় গণেশ, মীর জাকির হোসেন, বি.এম. জুলফিকার রায়হান, ইন্দ্রজীৎ দাস বাপী, নারায়ন মজুমদার, মো. রফিকুল ইসলাম, এস.আর. আওয়াল, কে. এম. শাহিনুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, হাসান আলী বাচ্চু, শেখ সিদ্দিক, পিএম গোলাম মোস্তফা, মো. আপতাফ হোসেন, মো. হাফিজুর রহমান, এম.এ জাফর, মো. বাবলুর রহমান, মিজানুর রহমান, এসকে রায়হান, বিল্লাল হোসেন, সন্তোষ ঘোষ, রিয়াদ হোসেন, তাজমুল ইসলাম, সৈয়দ মারুফ, তাপস সরকার, কাজী লিয়াকত হোসেন, মুকুল হোসেন, তরিকুল ইসলাম, কুদ্দুস পাড়, শামিম খান, আছাদুজ্জামান, আব্দুল মতিন, শেখ জহুরুল হক, আব্দুল মোমিন, ইয়াছীন আলী সরদার, নজমুল হক খান, নাজমুল হক, শাহিন আলম, আব্দুল জলিল, আতাউর রহমান, খাইরুল আলম সবুজ, আলমগীর হোসেন, মনিরুজ্জামান মনি, মাগফুর রহমান জান্টু, এম এম জামান মনি, কুমার ইন্দ্রজিৎ সাধু, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, মুজিবুর রহমান। শেখ আঃ হাই, শেখ জাকির হোসেন, কামরুজ্জামান মোড়ল, বাবলা সরদার, শেখ শওকত হোসেন, জামাল উদ্দীন, বাবলু বিশ্বাস, খলিলুর রহমান, শেখ আশরাফ আলি, শেখ কামরুজ্জামান রিকু, শেখ শামিজুল ইসলাম, নাজমুল হুসাইন মাহী, শেখ সানজিদুল হক ইমন, জুয়েল হাসান, মোখলেছুর রহমান, ইব্রাহীম মোড়ল, হেলাল উদ্দীন, শেখ আল-আমিন সরদার, আবু সাঈদ, আলী রেজা, গোবিন্দ কুমার রায়, মোঃ ওসমান গণি, শেখ আল-আমিন, বিপ্লব কুমার আইচ, শেখ আল-আমিন, ইলিয়াজ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইয়াছিন আলী, আবু হোসেন, শাহীন বিশ^াস।

    দেবহাটা- আব্দুল ওহাব, মাহমুদুল ইসলাম শাওন, খায়রুল ইসলাম, লিটু, অহিদুজ্জামান, আরকে বাপ্পা, রফিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক মুকুল, আক্তার হোসেন ডাবলু, মেহেদী হাসান কাজল, আশরাফুল ইসলাম, আবির হোসেন লিয়ন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, তারেক মনোয়ার, বায়েজিত বোস্তামি উজ্বল, কবির হোসেন, সুমন পারভেজ বাবু, সুমন ঘোষ সুজন, লিটন ঘোষ বাপি, ফরহাদ হোসেন সবুজ, সন্যাসি কুমার ওভি, এমএ মামুন, এসএম নাসির উদ্দীন, মিজানুর রহমান, আব্দুর রব লিটু, রাজু আহম্মেদ, রুহুল আমিন, আব্দুস সালাম, আমিরুল ইসলাম, আছাদুল ইসলাম শহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মহিউদ্দিন আহমেদ লাল্টু, রুহুল আমিন মোড়ল, আবু বক্কর সিদ্দিক, হিরণ কুমার মন্ডল, আবু হাসান, রিয়াজুল ইসলাম আলম, জাফর ইকবাল, মজনুর রহমান, কে.এম রেজাউল করিম, আশরাফুল ইসলাম বাদল।

    কালিগঞ্জ- শেখ সাইফুল বারী সফু, সুকুমার দাশ বাচ্চু, নিয়াজ কাওছার তুহিন, শেখ আনোয়ার হোসেন, এম হাফিজুর রহমান শিমুল, কাজী মুজাহিদুল ইসলাম তরুন, এস এম আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু, মীর জাহাঙ্গীর হোসেন, শেখ আবু হাবিব, কাজী মোফাফ্ফাখারুল ইসলাম নীলু, জিএম ছামছুর রহমান, শেখ লুৎফর রহমান, শেখ শামিম উর রহমান, মনিরুজ্জামান মহাসিন, জিএম আব্দুল বারী, কেরামত আলী, টিএম আব্দুল জব্বার, এসএম ফজলুর রহমান, গাজী জাহাঙ্গীর কবীর, মীরাবসু সরকার, শেখ আব্দুল করিম মামুন হাসান, হাফেজ আব্দুল গফুর, আমিনুর রহমান, মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, অসিত কুমার অধিকারী, এসএম গোলাম ফারুক, জিএম গোলাম রব্বানী, শেখ মনিরুজ্জামান মনি, রবিউল ইসলাম, শেখ রবিউল ইসলাম, মো: ইমরান আলী, শেখ আব্দুল হামিদ, শেখ সাদেকুর রহমান, মাসুদ পারভেজ ক্যাপ্টেন, আহাদুজ্জামান আহাদ, শেখ মাহবুবুর রহমান সুমন, তরিকুল ইসলাম লাভলু, সনৎ কুমার গাইন, শফিকুল ইসলাম, মোখলেসুর রহমান মুকুল, শেখ ইকবাল আলম বাবলু, আহাদুজ্জামান আহাদ, শেখ সাদেকুর রহমান, এসএম গোলাম ফারুক, গাজী মিজানুর রহমান, জামাল উদ্দীন, শেখ মাহবুবর রহমান সুমন, সনৎ কুমার গাইন, আরাফাত আলী, শেখ মোদাচ্ছের হোসেন জান্টু, এসএম গোলাম ফারুক, সেলিম শাহারিয়ার, বাবলা আহমেদ, হাবিবুল্লাহ বাহার, জিএম ফজলুর রহমান, সাজেদুল হক সাজু, মো রফিকুল ইসলাম, জি.এম ফজলুর রহমান, আউয়াল হোসেন, মাসুদ পারভেজ, শফিকুল ইসলাম, বিএম জালালউদ্দীন, মিনুদ হাসান নয়ন, মো: রেজাউল করিম, শিমুল হোসেন। প্রয়াত-শেখ আব্দুল হামিদ (গোবিন্দপুর)।

    ১৯৯২ সালের পূর্ব পর্যন্ত দেশের তথা জেলার মানুষের তথ্য পাওয়ার উৎস ছিল হাতেগোনা কয়েকটি পত্রিকা, বিবিসি রেডিও ও ভয়েস অব আমেরিকোর বাংলা সংবাদ। ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে সাবেক সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর পতনের পর দেশের ন্যায় সাতক্ষীরা জেলায় নতুন ভাষা, তথ্য বিন্যাস ও অবয়ব নিয়ে দৈনিক কাফেলা প্রকাশিত হয় এক ঝাঁক তরুণ সাংবাদিকদের নিয়ে। এ পত্রিকাটির প্রথম ও শেষ পাতা ছিল প্রায় অভিন্ন। এই পত্রিকার শেষ পাতায় পত্রিকার নেমপ্লেট ছাপানো প্রবনতা লক্ষ করা যায়। কাগজটির নতুন বৈশিষ্ট্য ছিল যে সংবাদ যে পাতায় শুরু হয় সেই সংবাদ পরের পাতায় শেষ হতো। পত্রকাটির নিজস্ব সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়-এর বাইরেও পাঠকদের থেকে কিংবা/লেখক গন্ডির বাইরে চিন্তাশীল পাঠকদের কলাম লেখক হিসেবে পরিচিতি করে তোলে। পরবর্তীতে প্রায় জেলার অধিকাংশ সংবাদপত্রই এ ধারাটি গ্রহণ করেন। এর প্রকাশ ভঙ্গিতে বৈচিত্র্য থাকলেও বিপনন ব্যবস্থা ছিল আগের দেশীয় সংবাদপত্রগুলোর মতোই। তবে একে একে স্থানীয় পত্রিকাগুলোর মধ্যে পাঠক ধরে রাখার তীব্র প্রতিযোগিতা পরিলক্ষিত হয়। বর্তমানে জেলা থেকে ১৪ টি দৈনিক, ৪ টি সাপ্তাহিক ও একটি অনলাইন পত্রিকা সরকারী লাইন্সেপ্রাপ্ত।

    তথ্যসূত্রঃ

    ১। ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, সাতক্ষীরা: সমাজ ও সংস্কৃতি, পৃ: ১৬৬, ¯্রােত, প্রকাশনায়-সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরী, প্রকাশকাল- নভেম্বর ২০১৯ খ্রিঃ।

    ২। সিরাজুল ইসলাম, সাতক্ষীরার সাহিত্য-সাময়িকী: শতবর্ষেও পথচলা (১৯০৭-২০১৭), পৃ: ৩৯, ঈক্ষণ, বর্ষ ৩২, সংখ্যা ২, শ্রবাণ ১৪২৬, জুলাই ২০১৯।

    ৩। সুবাসিত সুভাষ, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ, পৃ-০৪, প্রকাশনায়-নাগরিক শোকসভা আয়োজক কমিটি, সাতক্ষীরা। প্রকাশকাল-২৬ নভেম্বর ২০২২।

    ৪। অন্যন্য আনিস, মোঃ আনিসুর রহিম স্মারকগ্রন্থ, পৃ-০৫, প্রকাশনায়-নাগরিক স্মরণসভা আয়োজক কমিটি, সাতক্ষীরা। প্রকাশকাল-২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।

    ৫। আবু হেনা আলম, সাতক্ষীরার ইতিহাস-ঐতিহ্য, পৃ: ৩৯৭-৪০৭, প্রকাশক-বেগম নাজমুন নাহার, প্রকাশকাল-ফেব্রুয়ারি ২০২০ খ্রিঃ।

    ৬। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিঃ।

    ৭। স্বাক্ষর অস্পষ্ট, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা-২০২১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ খ্রিঃ।

    ৮। স্বাক্ষর অস্পষ্ট, সভাপতি, আবু আহমেদ, সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ২০২০-২১ সালের বার্ষিক নির্বাচনের খসড়া ভোটার তালিকা, তারিখ-২৮ ডিসেম্বর ২০১৯।

    ৯। ইন্টারনেট ও জেলা তথ্য বাতায়ন।

    লেখকঃ মোঃ মুনসুর রহমান, বার্তা সম্পাদক, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো, সাতক্ষীরা। মোবাইল নম্বর-০১৭৫৪২৪১৩৮৮।

  • সদর থানা ও এটিএম বুথ পোড়ানো মামলার শুনানী পিছালো ২দিন

    সদর থানা ও এটিএম বুথ পোড়ানো মামলার শুনানী পিছালো ২দিন

    সাতক্ষীরা : গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগের
    পর সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ
    ও পার্শ্ববর্তী এটিমএম বুধ পোড়ানোর পৃথক মামলায়
    গ্রেপ্তারকৃত জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাসিম
    ফারুক খান মিঠু’র জামিন শুনানী পিছিয়ে আগামি ২৪
    অক্টোবর ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরার জেলা ও দায়রা জজ
    চাঁদ মোঃ আব্দুল আলীম আল রাজী আসামী পক্ষের আইনজীবীদের
    জামিন শুনানী শেষে বৃহত্তর শুনানীর জন্য এ দিন ধার্য করেন।
    গ্রেপ্তারকৃত নাসিম ফারুক খান মিঠু সাতক্ষীরা শহরের দক্ষিণ
    পলাশপোলের আব্দুস সোবহান খানের ছেলে। তিনি সাতক্ষীরা
    চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি।
    মামলার বিবরনে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় এক
    থেকে দেড় হাজার ক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা সদর থানায় হামলা, ভাংচুর,
    লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। প্রায় একই সময়ে থানার
    পার্শ্ববর্তী একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ ভাংচুর ও
    অগ্নিসংযোগ করা হয়। থানা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
    ঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক তাপস কুমার ঘোষাল
    বাদী হয়ে অজ্ঞাত এক থেকে দেড় হাজার আসামীর বিরুদ্ধে গত ১৯
    সেপ্টেম্বর থানায় মামলা দায়ের করেন। সাবেক যুবদলের সাধারণ
    সম্পাদক নাসিম ফারুক খান মিঠুকে ৫ অক্টোবর শনিবার দিনগত
    রাতে সেনা সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাকে বাড়ি থেকে আটক
    করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন বিকালে তাকে সদর থানায় সোপর্দ
    করা হয়। তাকে থানা ভাংচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত
    ১৪ অক্টোবর তার ৭ দিনের রিমান্ড শুনানি শেষে আমলি আদালত-৩ এর
    বিচারক মোঃ সালাহউদ্দিন আহম্মেদ তার একদিনের রিমান্ড নামঞ্জুর
    করেন। ওইদিন তাকে এটিম বুথ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের
    মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নি¤œ আদালতে জামিন না হওয়ায়
    মিঠু খানের পক্ষে তার আইনজীবীগন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে

    দুটি ক্রিমিনাল মিস কেস দাখিল করেন। মঙ্গলবার ছিল শুনানীর জন্য
    ধার্য দিন।
    সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. রবিউল ইসলাম নাসিম
    ফারুক খান মিঠুর জামিন শুনানীর দিন পিছিয়ে ২৪ অক্টোবর
    ধার্য করা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের বিনিময়ে ৫ শতাধিক গাছ পেল শিক্ষার্থীরা

    সাতক্ষীরায় পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের বিনিময়ে ৫ শতাধিক গাছ পেল শিক্ষার্থীরা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছের চারা জমা করা ছিল সারি সারি। এই চারা নেওয়ার জন্য টাকা  দেওয়ার প্রয়োজন নেই। দিতে হবে প্লাস্টিকের বর্জ্য। নিজের রুমে বা ব্যাগে থাকা অব্যবহৃত প্লাস্টিকের বোতল দিলেই গাছ পাবেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে আশপাশের বর্জ্য প্লাস্টিকের বোতল ও চিপসের প্যাকেট কুড়িয়ে এনেও নিচ্ছেন গাছ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা এন এস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এমন চিত্র  দেখা যায়।
    পরিবেশ রক্ষার্থে এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে বেলা ১২টায় বালিকা বিদ্যালয়টিতে দাতা সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন ও উত্তরণের সহযোগিতায় এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি রোধে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরাম সাতক্ষীরা’। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে আয়োজনটি ভিন্ন রকম সাড়া ফেলেছে। অনেক শিক্ষার্থী নিজের হলরুমে জমে থাকা প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে এসেছেন গাছ নেওয়ার জন্য। এছাড়াও বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষকেও এসে প্লাস্টিক দিয়ে গাছ নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
    ইয়ুথ অ্যাডাপটেশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল জানান, বর্তমানে দেশের তাপমাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনজীবন ও জীববৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। নানা অজুহাতে নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলায় বাড়ছে তাপমাত্রা। আমরা শিক্ষার্থীদের বলে দিয়েছিলাম বাড়িতে বা আশপাশে জমে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট নিয়ে আসার জন্য। শিক্ষার্থীরা প্লাস্টিকের বর্জ্য নিয়ে এসে তার বিনিময়ে গাছ নিয়ে গেছে। আমরা  জেলার ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাধিক ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছ বিতরণ করেছি। ধীরে ধীরে জেলার অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই কার্যক্রম চালানো হবে বলে জানান তিনি।