Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 56 of 82

Author: Hasan

  • আশাশুনিতে আওয়ামী লীগের দুই ইউপি চেয়ারম্যান আটক

    আশাশুনিতে আওয়ামী লীগের দুই ইউপি চেয়ারম্যান আটক

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    পৃথক অভিযানে আশাশুনি উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত চেয়ারম্যান দুজন হলেন- খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিম ও আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন। দুজনেই নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান। সোমবার রাতে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেনকে আটক করা হয়। এর আগে গত রোববার গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদরের সীমান্ত হোটেল থেকে খাজরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহনেওয়াজ ডালিমকে আটক করে পুলিশ। আটককৃত শাহনেওয়াজ ডালিম আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, পৃথক অভিযানে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত শাহনেওয়াজ ডালিম চেয়ারম্যানকে গত ৫ আগস্ট প্রতাপনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বাড়িতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সহ ৩ জনকে হত্যা ৩(৮)২৪ নং মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া এসএম হোসেনুজ্জামান হোসেনের বামনডাঙ্গায় অফিস ভাঙচুরের ৩(১০)২০ নং মামলায় সোমবার রাত ৯টার দিকে সদর থেকে তাকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
  • গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া শিশুটি সম্পর্কে যা জানা গেল

    গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দেওয়া শিশুটি সম্পর্কে যা জানা গেল

    ছোট্ট একটি শিশু গর্তের ভেতর থেকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখে কোনো স্বাভাবিক মানুষই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। ওই ভিডিও ক্যাপশনে দাবি করা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে একটি ভবনের নিচে আটকা পড়েছে শিশুটি।

    এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। ক্রমাগত বিমান হামলা ও স্থল অভিযানে গাজায় ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নেই খাবার, পানি- এমনকি বেঁচে থাকার ন্যূনতম পরিবেশ। তারপরও গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি আগ্রাসন। এরই মধ্যে হৃদয় বিদারক ওই ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে।

    ভিডিওতে দেখা যায়, যেন কোনো ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে ওই নিষ্পাপ শিশু। ছোট একটি ছিদ্র দিয়ে বাড়িয়ে দিয়েছে হাত। অবুঝ শিশুটির মুখে তখনও হাসি লেগে আছে। আর এই দৃশ্যই সবার বুকে শেলের মতো আঘাত হেনেছে। অনেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল ওই ভিডিও শেয়ার করেছে। তবে ফ্যাক্টচেকে ভাইরাল ওই ভিডিও নিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

    নেট ঘেঁটে দেখা যায়, ভিডিওটি প্রথম আপলোড করা হয় একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে। তবে মূল ভিডিওকে ডাউনলোড করে আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে রিপোস্ট করা হয়। সেখানেই দাবি করা হয়, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া শিশুটি গাজার। তবে টিকটকের যে অ্যাকাউন্টে (userftdvvrl92i) ওই শিশুর ভিডিও আপলোড করা হয়, সেটি ঘেঁটে ওই শিশুর আরও ভিডিও পাওয়া যায়।

    মিশর ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং ওয়েবসাইট আকবর মিটার বলছে, মূল ভিডিওটি শনিবার (২৬ অক্টোবর) টিকটকে পোস্ট করা হয়। সেটি ৭০ লাখের মতো মানুষ দেখেছে। পরদিন শিশুটির গায়ে লাল রঙের জামা চড়িয়ে আরেকটি ভিডিও করা হয়। সেখানে আগের ভিডিও নিয়ে ব্যাখ্যা দেন শিশুটির মা। তিনি জানান, শিশুটি গাজার নয় বরং সিরিয়ার। তার মেয়ে ধসে পড়া ভবনের নিচে আটকা পড়েছে এটা সত্য নয়। আলহামদুলিল্লাহ তার সন্তানের কিছুই হয়নি।

  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে রিট করা হয়নি: সারজিস

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে রিট করা হয়নি: সারজিস

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে কোনো রিট করা হয়নি বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

    সোমবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

    সারজিস আলম লিখেছেন, ‘দুইটি রিট করেছি। আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে দেবে না সেই বিষয়ে প্রথম রিট, আর এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সব অ্যাক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সেই বিষয়ে দ্বিতীয় রিট করা হয়েছে৷ তিনি আরও লিখেন, দল হিসেবে নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই।

    এর আগে, আজ সকালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।

    বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে। রিটে আওয়ামী লীগ যাতে কোনো পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিটি চালাতে না পারে তার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিট দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।

  • আশাশুনিতে আ.লীগ নেতা ডালিম গ্রেফতার

    আশাশুনিতে আ.লীগ নেতা ডালিম গ্রেফতার

    সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাজরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এসএম শাহনেওয়াজ ডালিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    সোমবার (২৮ অক্টোবর’২৪) ভোর রাত পৌনে ২ টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার সীমান্ত হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
    গ্রেফতারকৃত শাহনেওয়াজ ডালিম সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলী সরদারের ছেলে। তিনি আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাজরা ইউপির তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
    আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার সীমান্ত হোটেলে অভিযান চালিয়ে একটি কক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

  • পুরাতন সাতক্ষীরা মোড়ে গণআন্দোলন জোটের পথসভা

    পুরাতন সাতক্ষীরা মোড়ে গণআন্দোলন জোটের পথসভা

    ‘‘জলবদ্ধতা মুক্ত সাতক্ষীরা চাই, সমৃদ্ধশালী জীবন চাই, তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান চাই, অতি সত্ত্বর রেশনিং প্রথা চালু চাই, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে জনকল্যাণমূখী চাই, সব ধর্ম মানুষের মধ্যে ঐক্য চাই, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা চাই, ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও দখল মুক্ত সমাজ চাই’’- এই স্লোগানকে ধারণ করে গণআন্দোলন জোট, সাতক্ষীরা এর আয়োজনে সরকারি কলেজ পুরাতন সাতক্ষীরা মোড়ে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় গণআন্দোলন জোট সাতক্ষীরার সমন্বয়ক অ্যাড. খগেন্দ্রনাথ ঘোষের সভাপতিত্বে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন গণআন্দোলন জোটের সদস্য উন্নয়নকর্মী ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, বাংলাদেশ জাসদের সাতক্ষীরা সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মুনসুর রহমান, পৌর প্রাথমিক কমিটির আহবায়ক মোঃ বায়েজীদ হাসান, সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক আব্দুল্লাহ বিশ^াস। এসময় উপস্থিত ছিলেন রিকশা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সাদেক, ছাত্র নেতা নয়ন ইসলাম প্রমূখ। বক্তারা বলেন, সর্বক্ষেত্রে ফ্যাসিস্টের দোসররা এখনও অসাধু পন্থায় টাকা পকেটে ভরছে। সাধারণ নাগরিকরা হয়রানি হচ্ছে। এমনকি বেতনা খনন কাজে অনিয়মে নদী অকেজো হয়ে গেছে। প্রাণসায়ের হারিয়েছে তার প্রাণ। এখন সেই তৎকালীন নদী ভাঙাড়ে পরিণত। পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীব-বৈচিত্র নষ্টের উপক্রম। অতিবৃষ্টিতে সাতক্ষীরা শহরতলীর নিন্মঞ্চলে মানুষের ঘরের মধ্যে পানি উঠেছে। মানুষের বাড়ির চুলা জ¦লছে না। মানুষের কর্ম নেই, ঘরে খাবার নেই। বিশেষ করে মাছখোলা এলাকার মানুষ প্রায় ২ মাসের অধিক ঘরবাড়ি ছাড়া। পানিবন্দি মানুষগুলো পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্রে চিহ্নিত ঔষুধ পাচ্ছে না রোগীরা। তার উপর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম আগুন ছোঁয়া। রাস্তাগুলো ভাঙ্গাচোরা। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভঙ্গুর। উপরিউক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। তবে তা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। জরুরী ভিক্তিতে বিশেষ বরাদ্দ গ্রহণপূর্বক তাদেরকে সহযোগিতা করার আহবান জানান বক্তারা।

  • সাতক্ষীরায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন  

    সাতক্ষীরায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন  

     সাতক্ষীরায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২৮ অক্টোবর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম যৌথভাবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
    এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ‘সবাই মিলে হাত মেলাই, দূষণমুক্ত সাতক্ষীরা চাই’, ‘পরিচ্ছন্ন চারপাশ, রোগবালাই হবে নাশ’, ‘পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সুস্থ জীবন, নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন’, ‘আসুন দূষণমুক্ত সাতক্ষীরা গড়ি’, ‘সঠিক জায়গায় ময়লা ফেলি দূষণমুক্ত আবাসন গড়ি’, ‘নিজের এলাকা পরিষ্কার রাখি, সুস্থ সুন্দর পরিবেশ গড়ি’, যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করুন’, ‘সবাই মিলে শপথ গড়ি, সুস্থ সুন্দর পরিবেশ গড়ি’, ‘পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, সুস্থ সবল বাংলাদেশ’ প্রভৃতি স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।
    মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে শহরের যত্রতত্র ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা। বৃষ্টির পানি জমে ময়লা আবর্জনা ভেসে বেড়াচ্ছে। শহরে ময়লা আবর্জনা ফেলার কোনো নির্দিষ্ট স্থান নেই। গড়ে তোলা হয়নি কোনো ডাম্পিং স্টেশন। প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও সাতক্ষীরা পৌরসভার সেবার মান তলানিতে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাতক্ষীরা পৌরসভা বসবাসের যোগ্যতা হারাবে।
    এসময় বক্তারা ময়লা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের মাধ্যমে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগর গড়ে তোলার দাবি জানান।
    অনুষ্ঠানে পরিবেশ কর্মী অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহীর সভাপতিত্ব ও জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব আলী নুর খান বাবুলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, ভালুকা চাঁদপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোবাশে^রুল হক জ্যোতি, স্বদেশের নির্বাহী পরিচালক মাধব চন্দ্র দত্ত, ভূমিহীন নেতা আব্দুস সামাদ, উদীচীর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাংবাদিক আহসান রাজীব, আমরা বন্ধু ফাউন্ডেশনের সদস্য মুশফিকুর রহমান, বারসিক কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।
  • দেবহাটায় আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন’র সম্মেলন—২৪ অনুষ্ঠিত

    দেবহাটায় আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন’র সম্মেলন—২৪ অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ
    দেবহাটায় আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশন’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় সখিপুর ফাজিল মাদ্রাসার হলরুমে এ শিক্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের দেবহাটা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও কলেজ বিভাগের সভাপতি প্রফেসর নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশের সাতক্ষীরা জেলার প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুহাদ্দিস রবিউল বাশার ও প্রধান আলোচনা ছিলেন, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ—সভাপতি উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল।
    বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা শিক্ষক ফেডারেশনের বিশেষ উপদেষ্টা আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম, শিক্ষক বিভাগের জেলা সেক্রেটারী আব্দুল ওয়ারেশ,মাদ্রাসা শিক্ষক ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ডক্টর রুহুল আমিন, জেলা বিশেষ উপদেষ্টা অধ্যাপক ওবায়দুল্লাহ, মোস্তফা আসাদুজ্জামান মুকুল, উপজেলা প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা অলিউল ইসলাম,পেশাজীবি বিভাগের উপজেলা সভাপতি মহিউদ্দিন মাহমুদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক প্রতিনিধি বাবু অনুপ কুমার দাস, সখিপুর ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইয়াকুব আলী ও উপজেলার বিভিন্ন কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    সম্মেলনে আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্যসহ শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবী দাওয়া তুলে ধরেন।
    সম্মেলন শেষে আদর্শ শিক্ষক পরিষদ দেবহাটা উপজেলা শাখার কলেজ, মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা, প্রাথমিক, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী ও কিন্ডারগার্টেন এর নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও জেনারেল সেক্রেটারীর নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়।

  • তালার সাড়ে ৪ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণ

    তালার সাড়ে ৪ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণ

    কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব সাতক্ষীরার তালার জলাবদ্ধ এলাকার বানভাসি সাড়ে ৪ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণ করেছে।
    তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডে ৪৫০ অসহায় দরিদ্র পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও আলু বিতরণ করেন।
    ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবুল ইসলাম হাবিব অর্ন্তবর্তী সরকারকে উদ্দ্যেশ্যে করে বলেন, ভোটারদের দাবিগুলো পূরণ করে দ্রæত সংস্কার করে ভোটের তারিখ ঘোষনা করুন। দেশের ১৮ কোটি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। ১৫ বছর ধরে এদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। এদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়। তাই যত দ্রæত সম্ভব ভোটের ব্যবস্থা করুণ।
    তিনি বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে তালা উপজেলার অধিকাংশ জায়গা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় বোরো চাষের না হওয়ার সম্ভনা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার কৃষকরা যাতে বোরো চাষ করতে পারে সে জন্য আগামী ১ মাসের মধ্যে পানি সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।
    শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দেওয়ানীপাড়া ঈদগাহ মাঠে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মেয়াজান আলী মোড়ল, উপজেলা যুবদরে সভাপতি মির্জা আতিয়ার রহমান, আব্দুল মান্নান মিঠুর প্রমুখ।
    উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক স ম ইয়াছিন উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহাসিন মন্টু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাফিজুর রহমানসহ উপজেলা ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান রোমান্টিক রেভ্যুলেশন

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান রোমান্টিক রেভ্যুলেশন

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে রোমান্টিক রেভ্যুলেশন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান

    শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও দেশ বরেণ্য জাতীয় নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

    স্মরণ সভার আয়োজন করেছেন ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) এবং অলি আহাদ স্মৃতি সংসদ।

    মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রজনতার যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে আমি বিশ্বাস করি— এই বিজয় একটি রোমান্টিক রেভ্যুলেশন। এ কথা বলার কারণ হলো, ছাত্রদের এই জনবল আপাতদৃষ্টিতে আড়াই মাসে কিছু জায়গায় বিভেদ, সাম্য, ঐক্য সৃষ্টি হয়েছে।

    তিনি বলেন, আজকে আমরা যে প্রক্রিয়ার ভেতরে আছি, সত্যিকার মুক্তির জন্য মানুষ যেভাবে জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, সে আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে আজকে এসে আমার মনে হয়েছে— আমরা সেই রোমান্টিক রেভ্যুলেশনের ধারাবাহিকতাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

    নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের মানুষ লড়াই করে স্বৈরাচারকে হারিয়েছে। দেশ এমনভাবে পঁচে গেছে সেজন্য সংস্কার করতে হবে।

    বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, পুরোনো প্রতিহিংসায় বাংলাদেশের রাজনীতি আর ফিরবে না। কোনও সাম্রাজ্যবাদীর কাছে এ জাতি আর মাথা নত করবে না। গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে আমাদের ধারণ করতে হবে।

    গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, অলি আহাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তার অবদান এই বাংলায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    তিনি বলেন, দেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার এখনও পতন হয়নি। এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে।

    স্মরণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, কবি আব্দুল হাই সিকদার, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির (এনজিপি) সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

  • পাকিস্তানের ৪৩ প্রেক্ষাগৃহে ‘তুফান’

    পাকিস্তানের ৪৩ প্রেক্ষাগৃহে ‘তুফান’

    পাকিস্তানেও মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশের ‘তুফান’, সেটি এরমধ্যে অনেকেই জেনেছেন। নতুন খবর হলো, প্রথম সপ্তাহে এটি দেশটির ৪৩টি প্রেক্ষাগৃহে উঠছে। এমনটাই নিশ্চিত করেছে ছবিটির অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই।

    তারা জানায়, পাকিস্তান ফিল্ম সেন্সরবোর্ড থেকে এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। পুরো ছবি ডাবিং করা হয়েছে উর্দুতে।

    প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পাঠানো টালিখাতা থেকে জানা গেছে, ‘তুফান’ পাকিস্তানের প্রায় সবগুলো উল্লেখযোগ্য শহরে মুক্তি পাচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ, মুলতান, ফয়সালাবাদ, গুজরানওয়ালা, গুজরাটসহ বিভিন্ন শহরে।

    এর আগে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ডসহ আরও কয়েক দেশে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমাটি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ নভেম্বর এটি পাকিস্তানে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা রায়হান রাফী।

    ছাড়পত্রছাড়পত্র নির্মাতা বলেন, ‘শাকিব ভাই নিজেই পাকিস্তানের পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলে সেখানে মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন। তারাও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিষয়টি আমাদের জন্য বেশ ইন্টারেস্টিং হবে বলে মনে হচ্ছে।’

    প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আই সূত্র জানিয়েছে, ঈদুল আজহায় মুক্তির পর বিশ্বজুড়ে সিনেমাটি ৫৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে, যা এখন পর্যন্ত ঢালিউডে সর্বোচ্চ ব্যবসার রেকর্ড। এর আগে শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ ৪২ কোটি টাকার ব্যবসার করেছিল।

    এতে শাকিব খান ছাড়াও অভিনয় করেছেন নাবিলা, মিমি চক্রবর্তী, চঞ্চল চৌধুরী, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবু প্রমুখ। সম্প্রতি সিনেমাটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকি ও হইচই-তেও উন্মুক্ত হয়েছে। বলা দরকার, এর আগে গত এপ্রিলে জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘মোনা: জ্বীন ২’ সিনেমা দিয়ে পাকিস্তানের হলে বাংলাদেশের সিনেমা মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়।

  • হামলায় জবাব দেবে ইরান

    হামলায় জবাব দেবে ইরান

    ইরানের রাজধানী তেহরানসহ আরও দুটি প্রদেশের সামরিক অবকাঁঠামোতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার গভীর রাতে এই হামলা চালায় নেতানিয়াহুর বাহিনী। ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাব দিতে প্রস্তুত তেহরান।

    ইরান সরকারের একটি সূত্র দেশটির সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজকে এ কথা জানিয়েছে। সূত্রটি বলেছে, ‘ইরান যেকোনো আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল কোনো পদক্ষেপ নিলে দেশটি তার উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া পাবে।’

    তেহরান জানিয়েছে, ইসরায়েল শনিবার ভোরে তাদের সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইরানের বিমান বাহিনী। বিবৃতিতে বলা হয়, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে ইসরায়েল হামলা চালায়। হামলা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। কিছু জায়গায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

    ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করে এমন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা।

  • থাইরয়েডের সমস্যা?

    থাইরয়েডের সমস্যা?

    থাইরয়েডের সমস্যাগুলো হচ্ছে হরমোনের ঘাটতি বা হাইপো-থাইরয়ডিজম, হরমোনের আধিক্য বা হাইপার-থাইরয়ডিজম, প্রদাহ বা থাইরয়ডাইটিস, গলগন্ড ও ক্যানসার। দেশের শতকরা ২০ ভাগ মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন।

    থাইরয়েডের সমস্যা পুরুষের তুলনায় নারীদের বেশি হয়। এই হরমোনের ঘাটতি বা আধিক্যের কারণে ব্যাপক শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন ঘটে।

    থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিছু অভ্যাস বজায় রাখা জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান, পর্যাপ্ত ঘুম, আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার খান, মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

    গবেষণায় দেখা গেছে যে এই অভ্যাসগুলো কার্যকরভাবে থাইরয়েড রোগ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

     

    শরীরের তাপমাত্রা এবং হৃদস্পন্দনের নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে। জেনে নিন থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের উপায়-

    আপনি যদি থাইরয়েড রোগী হন তবে হাইড্রেটেড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। থাইরয়েডের স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি সঠিক বিপাকীয় কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য, টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে, শক্তির মাত্রা বজায় রাখে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে, হজমের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, থাইরয়েড রোগীদের জন্য পানি পান করা উপকারী।

    আপনি যদি থাইরয়েড রোগী হন তবে আপনাকে অবশ্যই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করে, শক্তির মাত্রা বাড়ায় এবং মেটাবলিজম উন্নত করে। ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, ঘুমের অভাব থাইরয়েড ফাংশনকে খারাপ করতে পারে। থাইরয়েড রোগীদের তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

    থাইরয়েড রোগীদের স্ট্রেস গ্রহণ করা এড়ানো উচিত কারণ এটি থাইরয়েড ফাংশন এবং সামগ্রিক হরমোনের ভারসাম্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। এটি থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতা প্রতিরোধ করে, ইমিউন স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে, কর্টিসলের মাত্রা কমায় এবং শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ২০১৮ সালে জার্নাল অফ থাইরয়েড রিসার্চ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, স্ট্রেস এড়িয়ে চলতে পারলে তা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে এবং থাইরয়েডের লক্ষণ কমাতে পারে।

    ব্যায়াম বিভিন্ন উপায়ে থাইরয়েড স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্যভাবে উপকার করতে পারে, বিশেষ করে থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য। এটি বিপাক বাড়ায়, থাইরয়েড ফাংশন বাড়ায় এবং শক্তির মাত্রা বাড়ায়। আপনি যোগব্যায়াম, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা এবং হাঁটার চেষ্টা করতে পারেন। ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম জার্নালের একটি গবেষণা অনুসারে, মাঝারি ব্যায়াম থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা উন্নত করতে পারে।

  • রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাস

    রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাস

    যান্ত্রিক দুই চাকার জগতে ঐতিহ্য ও রাজকীয়তার মিশেল হিসেবে অভিহিত করা হয় বিখ্যাত রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলকে। বিভিন্ন দেশে তুমুল জনপ্রিয় এই বাইক বাংলাদেশের বাইকপ্রেমীদের কাছেও সমান জনপ্রিয়। তবে তাদের জন্য এতদিন আফসোসের নাম ছিল রয়্যাল এনফিল্ড! কারণ, এতদিন বাংলাদেশে চালানোর অনুমতি ছিল না এই বাইকটি। তবে তাদের হতাশা দূর হচ্ছে, বাংলাদেশের বাজারে আসছে রয়্যাল এনফিল্ডের বাইক। সোমবার (২১ অক্টোবর) থেকে দেশের বাজারে পাওয়া যাবে ৩৫০ সিসির ‘রয়্যাল এনফিল্ড’ মোটরসাইকেল।

    যার দাম পড়তে পারে সাড়ে চার লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকার মধ্যে। রয়্যাল এনফিল্ডকে বাংলাদেশের বাজারে আনছে দেশীয় অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান ইফাদ মোটরস। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, রয়্যাল এনফিল্ড উৎপাদনের জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় একটি সর্বাধুনিক উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যা বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদনে সক্ষম।
    মূলত বাংলাদেশে এতদিন ১৬৫ সিসির অধিক সিসির মোটরসাইকেল চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে গত বছর দেশে ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দেয় সরকার। তবে সেক্ষেত্রে শর্ত রাখা হয় এই মোটরসাইকেলগুলোকে দেশে উৎপাদিত হতে হবে। সরকার নীতিমালা শিথিল করায় দেশের বাইকপ্রেমীদের মধ্যে রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশেই এই বাইক উৎপাদন এবং বিপণনের ঘোষণা দেয় ইফাদ মোটরস। রয়্যাল এনফিল্ডকে অনেকেই মনে করেন ভারতের ব্রান্ড। ভারতীয় বাইকারদের সঙ্গে এটি এমনভাবে জড়িয়ে গেছে তাতে, এটির উৎপত্তি যে ভারতে নয়, তা অনেকেরই অজানা।
    রয়্যাল এনফিল্ডের মূল শিকড় হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। ১৯০১ সালে যাত্রা শুরু হয় রয়্যাল এনফিল্ডের। দুই ব্রিটিশ উদ্যোক্তা বব ওয়াকার স্মিথ এবং অ্যালবার্ট এডি এই মোটরসাইকেল তৈরি করেন। ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে চেন্নাইয়ে সংযোজন কারখানা স্থাপন করে। এরপর থেকেই ভারতের বাইকপ্রেমীদের মনে স্থান করে নেয় রয়্যাল এনফিল্ড। মূলত অধিক সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন ও স্টাইলিশ লুকের কারণেই ভারতের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই বাইক। বলিউডের জনপ্রিয় অনেক তারকা এবং ভারতের খেলোয়াড়দের পছন্দের তালিকায় রয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড।
    ১৮৯৬ সালে অ্যালবার্ট এডি মিডলসেক্সের এনফিল্ড শহরে রয়েল স্মল আর্মস ফ্যাক্টরির জন্য যন্ত্রপাতি তৈরির অর্ডার পান। এখান থেকেই রয়েল এনফিল্ড নামের জন্ম। এ বছরই নিউ এনফিল্ড সাইকেল কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি কিনে নেয় তারা। এখান থেকে ১৮৯৭ সালে সাইকেলের সব ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি শুরু করে রয়্যাল এনফিল্ড। ধীরে ধীরে যখন মোটরচালিত সাইকেল ইংল্যান্ডে জনপ্রিয় হয়, তখন এনফিল্ড কোম্পানিও মোটরসাইকেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। দুই বছর চেষ্টার পর ১৯০১ সালে নিজেদের প্রথম মোটরবাইক বাজারে আনে রয়্যাল এনফিল্ড।
    ২৩৯ সিসির এই মোটরবাইক ছিল ১১ দশমিক ২ হর্সপাওয়ার (এইচপি) ক্ষমতাসম্পন্ন। তবে রয়্যাল এনফিল্ডকে সাফল্য এনে দিয়েছিল ১৯০৯ সালে তৈরি তাদের ভি টুইন ২৯৭ সিসি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল।
    এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয় মোটরসাইকেলের। সে সময় যুদ্ধক্ষেত্রের উপযোগী বেশ বড় আকারের মোটরসাইকেল বাজারে আনে রয়্যাল এনফিল্ড। এটি ছিল ৭৭০ সিসির ও ৬ এইচপি ভি ভি-টুইন মোটরসাইকেল। যুদ্ধের সময় শুধু ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীই নয়, মিত্র শক্তির অন্যান্য পক্ষ যেমন বেলজিয়াম, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সেনাবাহিনীকেও এই মোটরসাইকেল সরবরাহ করে রয়্যাল এনফিল্ড। শক্ত কাঠামো এবং যান্ত্রিক বিশ্বস্ততার জন্য বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীর কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিল এই মোটরবাইকগুলো।
    শুধু প্রথম বিশ্বযুদ্ধই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও যুদ্ধক্ষেত্রে জনপ্রিয় ছিল রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরবাইক। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী মিলিটারি গ্রেড মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করে রয়্যাল এনফিল্ড কোম্পানি। এ সময় তারা ২৫০ সিসি, ৩৫০ সিসি এবং ৫৭০ সিসি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল তৈরি করে। এদের মধ্যে রয়্যাল এনফিল্ড ডব্লিউডি/আরই মডেলটিকে প্লেন থেকে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে আকাশ থেকে নিচে ফেলা যেত।

    যুদ্ধপরবর্তী সময়ে নতুন নতুন মডেলের বাইক আনে রয়্যাল এনফিল্ড। এ সময়ই বাজারে আসে বিখ্যাত মডেল ‘বুলেট’। খুব অল্প সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ৩৫০ এবং ৫০০ সিসির বুলেট। এরপর আসে আকারে বড় রয়্যাল এনফিল্ড সুপার মিটিয়র এবং সুপার মিটিয়র কন্সটেলেশন। এগুলোর প্রত্যেকটি ছিলো ৭০০ সিসির। ১৯৪৯ সালে প্রথম ভারতের বাজারে আসে ৩৫০ সিসির বুলেট। মূলত সেনাবাহিনীতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যেই প্রথম এই বাইকগুলোকে ভারতে আনে দেশটির সামরিক বাহিনী। দেশের সীমান্তে টহল দেয়ার জন্য প্রথম ৮০০ ইউনিট বুলেট ৩৫০ এর অর্ডার দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ভারতের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে চেন্নাইতে একটি সংযোজন কারখানায় উৎপাদন শুরু হয় রয়্যাল এনফিল্ডের। প্রথম দিকে এই কারখানায় মোটরবাইক অ্যাসেম্বলিং করা হতো। তবে ১৯৬২ সাল থেকে ভারতেই তৈরি হওয়া শুরু করে মোটরসাইকেলের পুরোটাই।
    বর্তমানে বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে বিক্রি হচ্ছে রয়্যাল এনফিল্ড। মূলত গুণগত মান ও স্থায়ীত্বের কারণে রয়্যাল এনফিল্ডের বাইকগুলোর খ্যাতি জগৎ জোড়া। সিসি ভেদ মোটরসাইকেলটির বিভিন্ন মডেল বাজারে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৩৫০ সিসির ইঞ্জিনে বুলেট, ক্লাসিক, মিটিওর ও হান্টার, ৪১১ সিসির স্ক্রাম, ৪৫০ সিসির গুয়েররিল্লা, হিমালয় এবং ৬৫০ সিসির শর্টগান, সুপার মিটিওর, ইন্টারসেপ্টর ৬৫০ এবং কন্টিনেন্টাল জিটি ৬৫০ মডেলগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। যেহেতু বাংলাদেশে ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত মোটরবাইক চালানোর অনুমতি রয়েছে, সেহেতু দেশে রয়্যাল এনফিল্ডের বুলেট, ক্লাসিক, মিটিওর এবং হান্টার মডেলগুলো পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এগুলোর প্রত্যেকটি ৩৫০ সিসির।
    ৩৫০ সিসির শ্রেণিতে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রতিটি বাইকের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বুলেট, ক্লাসিক এবং হান্টার মডেলগুলো উন্নত ইএফআই ইঞ্জিন দিয়ে চলবে। ক্লাসিক ৩৫০ মডেলে একটি একক সিলিন্ডার এবং এয়ারকুল্ড ৩৪৯ সিসি ইঞ্জিন রয়েছে। এটি ৬ হাজার ১০০ আরপিএমে ২০.২ বিএইচপির হর্স পাওয়ার এবং ৪ হাজার আরপিএমে ২৭ এনএমের টর্ক উৎপন্ন করে। হান্টার ৩৫০ মডেলের বাইকের সামনে থাকছে গোলাকার হেডলাইট, হ্যান্ডলবারের দুই পাশে দুটি রিয়ার ভিউ মিরর, টার্ন ইন্ডিকেটর এবং কনসোল। সঙ্গে থাকছে রোটারি সুইচ, টিয়ার-ড্রপ শেইপের ফুয়েল ট্যাংক।
    অপরদিকে রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০ অনেকটা প্রাচীন ধাঁচের মোটরবাইক। বাইকটির বর্তমান সংস্করণে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্রেকিং ব্যবস্থা খারাপ রাস্তাতেও স্থিরভাবে বাইক চালাতে ও থামাতে সাহায্য করে। বাইকটি মূলত দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয়। অপরদিকে রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০ হলো আধুনিক ঘরানার অভিজাত বাইক। এটির ক্লাসিক স্টাইলের কনসোল প্যানেল এবং শক্তিশালী গোলাকার হেডলাইট বেশ আকর্ষণীয়।

  • বিদায় নিলেন সালাউদ্দিন

    বিদায় নিলেন সালাউদ্দিন

    গত ১৬ বছর ধরে মসনদে। শুরুতে প্রশংসা পেলেও সময়ের পরিক্রমায় সেই প্রশংসা পর্যবসিত হয় নিন্দা-সমালোচনায়। কারণ তার হাত ধরে বাংলাদেশের ফুটবলটা না এগিয়ে বরং যোজন ব্যবধানে পিছিয়েছে।
    পাঠকরা নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের কথা বলা হচ্ছে। আজ শনিবার বাফুফে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে তিনি হয়ে যাবেন “সাবেক সভাপতি”। কেননা আগেই জানিয়েছিলেন এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন না। ফলে শেষ হতে যাচ্ছে সালাউদ্দিন অধ্যায়ের।

    রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে চলছে ভোটগ্রহণ। এর আগে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। এতে শেষবারের মতো দায়িত্ব পালন করতে উপস্থিত ছিলেন দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থার বিদায়ী সভাপতি সালাউদ্দিন। এজিএম শেষে ডেলিগেটদের উদ্দেশ্যে তিনি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করার অনুরোধ করেন।

    বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচিত ইমরুল হাসান সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, “এজিএমে বাফুফে সভাপতি বলেছেন, সততা ও ফুটবল সম্পর্কে যাদের ধারণা রয়েছে, যারা সৎ নিষ্ঠাবান ও ফুটবলপ্রেমী, তাদের নির্বাচিত করার অনুরোধ  জানিয়েছেন।“

    গত বুধবার ফুটবল ফেডারেশনে গিয়ে সব সহকর্মী ও কর্মচারীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। তার বিদায়ী বক্তব্য ছিল সংক্ষিপ্ত। তিনি সবাইকে দোয়া করেন, নিজের জন্য দোয়া চেয়ে নেন। সেই সঙ্গে দেশের ফুটবলের উন্নতি কামনা করেন।

  • ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে নজর রাখছে গোয়েন্দারা

    ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে নজর রাখছে গোয়েন্দারা

    নিষিদ্ধ করার পর ছাত্রলীগ যাতে রাজধানীসহ দেশের কোথাও কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে সেই প্রস্তুতি নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

    নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে সংগঠনটি সভা-সমাবেশ করতে পারবে না। এমনকি গোপন কোনো স্থানে একাধিক সদস্য মিলিত হলেও তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সভা-সমাবেশ করলে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেওয়া হবে।

    এই দুটি আইনেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

    গত ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।

    পরদিন বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধ করা হয় ছাত্রলীগকে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। পুলিশও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে তাদের দমনের। নিষিদ্ধের পর প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেশের কোথাও তারা ঝটিকা মিছিল বের করে কি না তা নজরে রাখছেন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

    জানতে চাইলে ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মুহম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিসেবে তারা  কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারবে না। করলে মামলা দেওয়া হবে।’

  • অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত

    অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন শান্ত

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছেন তিনি।

    বিসিবির এক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ক্রিকবাজ জানায়, শান্ত বিসিবিকে জানিয়েছে আসন্ন টেস্টের পর থেকে জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব করতে আগ্রহী নয়। এই মুহূর্তে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছেন শান্ত।

    ক্রিকবাজ আরও জানায়, একজন বিসিবি পরিচালক শান্তকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।

    শান্ত অবশ্য চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।

  • যমুনায় মুখোমুখি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান

    যমুনায় মুখোমুখি ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধান

    সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে তাঁর সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর সম্পর্কে অবহিত করেন।

    যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফর শেষে শুক্রবার দেশে ফেরেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল -উজ-জামান। সফরে তিনি জাতিসংঘ সদর দফতরে শান্তিরক্ষা মিশনের সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যান সেনাবাহিনী প্রধান।

    এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে- আইএসপিআর জানায়, সফরে সেনাপ্রধান জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শান্তিরক্ষা মিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কানাডার উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

    এতে বলা হয়, ১৭ অক্টোবর সেনাবাহিনী প্রধান নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অপারেশনস বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল, ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল ও পিস বিল্ডিং অ্যাফেয়ার্সের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া এবং প্যাসিফিক বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এবং ডাইরেক্টর অব অফিস ফর পিস কিপিং স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপের প্রত্যেকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী, বিশেষ করে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

  • রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

    রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরা’র উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি: রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরার উদ্যোগে প্রাথমিক
    বিদ্যালয়ের অসহায় দুস্থ্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ ও শিক্ষা উপকরণ
    বিতরণ করা হয়েছে।
    শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরার আয়োজনে জেলা
    পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরার ক্লাব প্রেসিডেন্ট
    ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রোটাঃ মো. মশিউর রহমান বাবুর সভাপতিত্বে
    প্রধান অতিথি হিসেবে স্কুল ব্যাগ এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন সরকারি
    মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বাসু দেব বসু।
    আলোচনা সভায় রোটাঃ পিপি মাগফুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রোটারী
    ক্লাব অব সাতক্ষীরাথর রোটাঃ পিপি সৈয়দ হাসান মাহমুদ, রোটাঃ পিপি আশরাফুল
    করিম ধনি, রোটাঃ পিপি মাহমুদুল হক সাগর, ফারহা দিবা খান সাথী, রোটাঃ
    কামরুল হাসান, রোটাঃ কামরুজ্জামান রাসেল, রোটাঃ নাছিমা খাতুন, রোটাঃ
    জেসমিন আক্তার, রোটাঃ নুরুল হক, রোটাঃ জিএম নাজমুল ইসলাম, রোটাঃ নুর
    মোহাম্মদ পাড়, রোটাঃ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, রোটাঃ শিমুন শামস্ধসঢ়;
    প্রমুখ।
    এসময় রোটারী ক্লাব অব সাতক্ষীরাথর সদস্য ও রোটার‌্যাক্ট ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত
    ছিলেন।