Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 55 of 82

Author: Hasan

  • বিগত পাঁচ অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দরে ৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

    বিগত পাঁচ অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দরে ৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়

    প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে। বিগত ২০১৯-২০২০ থেকে ২০২৩ -২০২৪ পাঁচটি অর্থ বছরে ভোমরা শুল্ক স্টেশন থেকে সরকারের ৩৬২৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এছাড়া চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সম্প্রতি গুড়া দুধ ছাড়া বাকি সব ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় এই বন্দরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে প্রত্যাশা বন্দর সংশ্লিষ্টদের।

    ভোমরা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫৮৩.৪০ কোটি টাকা, ২০২০-২০২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭৬০.৬৫ কোটি টাকা, ২০২১ -২০২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৭৪১.৮৩ কোটি টাকা, ২০২২ -২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৬৩১.৭২ কোটি টাকা এবং ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৯০৭.৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে-জুলাই সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

    সূত্র আরও জানায়, ডিজিটাল ওয়েবীজ স্কেলে পরিমাপ করায় রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হওয়ায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে বেড়েছে সরকারের রাজস্ব আদায়। ফলে গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৭৩.৪৮ কোটি টাকা। সম্প্রতি ভোমরা বন্দর দিয়ে গুড়োদুধ ছাড়া সকল ধরনের পণ্যের আমদানির অনুমোদন পাওয়ায় এ বন্দরে আসতে শুরু করেছেন অন্য বন্দরের ব্যবসায়িরা। সব ধরনের পণ্য আমদানির কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করলে এই বন্দর থেকে বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে দাবি কাস্টম কর্তৃপক্ষের

    ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিন দাবির মুখে গত ২৯ আগস্ট বেনাপোল বন্দরের ন্যায় ভোমরা বন্দরে গুড়া দুধ ব্যতিত আমদানিকৃত সকল পণ্যের অনুমতি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতে ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস থেকে কলকতার দূরত্ব মাত্র ৭০ কিলোমিটার হওয়ায় পণ্য পরিবহনে খরচ সাশ্রয় করতে আমদানি-রপ্তানিকারকরা এই বন্দর ব্যবহারে বেশি আগ্রহী। সব ধরনের পন্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবসায়িরা এখন ভোমরা বন্দরের দিকে বেশি ঝুকছেন।

    ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে কাস্টমস প্রশাসন। কোনো অনিয়ম দুর্নীতি করার সুযোগ না থাকায় এখানে তৈরি হয়েছে ব্যবসাবান্ধব অনুকূল পরিবেশ। ভোমরা বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি সব ধরনের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পর এই বন্দরের রাজাস্ব আদায় বেড়ে যাবে কয়েক গুন। কর্মসংস্থার হবে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের।

    ভোমরা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, শুরুতেই পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এই বন্দরে কিছু বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু চলতি বছরের ২৯ আগস্ট ভোমরা বন্দর দিয়ে গুড়ো দুধ ব্যতিত সকল পণ্য আমদানির অনুমতি দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। ফলে সব ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় ক্রমান্বয়ে রাজাস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    তিনি আরও বলেন, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরেই সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের অবস্থান। বর্তমানে দিনে গড়ে ২০০ থেকে ২৫০টি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য, আবশ্যকীয় পণ্য ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পণ্য আমদানি হয়ে থাকে এ বন্দর দিয়ে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ১০০ পণ্যবাহী ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। পূর্নাঙ্গ কাস্টমস হাউজ চালু হওয়ার পর ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভোমরা বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করতে ডিজিটাল ওয়েবীজ স্কেলে পণ্য পরিমাপ করা হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই, শুল্ক গোয়েন্দাসহ বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ফলের ট্রাকসহ সকল পণ্য পরিবহনের ওজন ডিজিটাল স্কেলের মাধ্যমে শতভাগ নিশ্চিত করা হয়। যে কারণ রাজস্ব আদায়ের পরিমাণে আগের তুলনায় বেড়েছে।

    ভোমরা স্থলবন্দরের উপপরিচালক মোঃ রুহুল আমিন (ট্রাফিক) বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল ১৬টি পণ্য নিয়ে এলসি স্টেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করে ভোমরা স্থলবন্দর। মাত্র ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে ইয়ার্ড ও ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড নির্মাণ করে ২০১৩ সালের মে মাসে পূর্ণাঙ্গভাবে ভোমরা স্থলবন্দরের কবার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে বন্দরের প্রশাসনিক ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসনের জন্য একটি ডরমেটরি ভবন নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি ভোমরা বন্দর দিয়ে গুড়া দুধ ভ্যাতিত সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয় এনবিআর কর্তৃপক্ষ। ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশনটিকে একটি পূর্নাঙ্গ কাস্টমস হাউজ হিসাবে ঘোষনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একই সাথে শুল্ক বিভাগ কর্তৃক প্রয়োজনীয় অবখাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, গত ৪ জুলাই থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে বন্দর-ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে ভোমরা স্থলবন্দরের যাবতীয় কার্যক্রম এখন ডিজিটাল অটোমেশন পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে। যেহেতু খুব শীঘ্রেই ভোমরা একটি পূর্ণাঙ্গ কাস্টমস হাউজ হিসাবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সে লক্ষ্যে ভোমরা স্থল বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছেন।

    উপপরিচালক মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের লক্ষ্যে ১১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ৬৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে সেখানে বালু ভরাটের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাকি ৫৭ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য সরেজমিনে যৌথ তালিকা (ফিল্ডবুক) প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। শীঘ্রেই অধিগ্রহণেরে কাজ শুরু হবে। জমি অধিগ্রহণ শেষ হলে সেখানে উন্নতমানের ওয়ার হাউজ, শেড, ইয়ার্ড, ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড, পর্কিং ইয়ার্ড, আর্ন্তজাতিকমানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে এগুলো সম্পন্ন করা হলে ভোমরা স্থলবন্দরে আমুল পরিবর্তন আসবে। ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে বন্দরে। একই সাথে বছরের কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে।

    সৌজন্যে : খুলনা গেজেট

     

  • দেবহাটায় দেশীয় অস্ত্র ও বোমাসহ আটক ৬

    দেবহাটায় দেশীয় অস্ত্র ও বোমাসহ আটক ৬

    সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের সময় বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে কামরুল ইসলাম (৪০) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ভোররাত ৫টার দিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালির মৎস্যঘের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আরো ৬ ব্যক্তিকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সদস্যরা।

    গণপিটুনিতে নিহত কামরুল ইসলাম সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার খলিশাখালি এলাকার মৃত আবু বকর গাজীর ছেলে।

    অভিযানে আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার হাজিপুর গ্রামের নরিম সরদারের ছেলে নুরুজ্জামান, আশাশুনি উপজেলার শ্রীকলস গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে সোহেল, কালিগঞ্জ উপজেলার বাবুরাবাদ গ্রামের রুহুল আমিন গাজীর ছেলে মেহেরাব আলী, একই উপজেলার কাশিবাটি গ্রামের রুহুল আমিন সরদারের ছেলে হাসিবুল হাসান সবুজ, আকরাম গাজির ছেলে রবিউল আউয়াল, বদরতলা এলাকার জামিল ফকিরের ছেলে আবুল হোসেন।

    দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূর মোহাম্মাদ জানান, খলিষাখালিতে ১ হাজার ৩শ’ ২৮ বিষা মৎস্যঘের নিয়ে বহুদিন ধরে দ্বন্দ্ব বিরাজ করছিল। গত ৫ আগস্টের পরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সুযোগে খলিয়াখালিতে অস্ত্র নিয়ে মৎস্যঘের দখলে নিতে বিভিন্ন সময় মহড়া দিতে থাকে। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে শুক্রবার (১ নভেম্বর)) ভোর ৫টার দিকে খলিষাখালিতে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ টি হাত বোমা, ৩০ টি ছোট হাতবোমাসহ বিভিন্ন দেশী অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আরিফুল হক জানান, খলিশাখালি এলাকায় অস্ত্র, গোলাবারুদ, বোমা মজুদ রেখে মাছের ঘের দখল, এলাকায় ডাকাতি সহ নান অপরাধ করে আসছিল আকরাম হোসেন, আরিফুল ইসলাম পাড়, সাইফুল ইসলাম গাজী সহ তাদের বাহিনী। সেই মোতাবেক দেবহাটার তিনটি অবস্থান থেকে এক সাথে অপারেশন পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি বুঝতে পেরে প্রথমে ইট-পাথর নিক্ষেপ করতে শুরু করে। পরে দেশীয় বোমা এবং ককটেল বোমা ছুড়তে থাকে তারা। এমনকি দূর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে পাইপগান দিয়ে গুলি চালায়।

    এক পর্যায়ে স্থানীয় দেড় শতাধিক বাসিন্দারা কামরুল সহ কয়েকজনকে ধরে ফেলে। বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ ডাকাত কামরুলকে গণপিটুনি দেয়। পরে সেনা সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত কামরুল একজন দন্ডিত অপরাধী এবং ডাকাত ছিলেন। অন্যান্য আটককৃত অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ৫টি রামদা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, ৭৫০ গ্রাম বারুদ, ৪টি মোবাইল ফোন, ১৫টি হাত বোমা, ৭ প্যাকেট হাত বোমাই ব্যবহৃত স্প্রিন্টার ও ৩৮ টি হাত বোমা উদ্ধার হয়েছে।

    তবে নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন জানান, তার স্বামীকে মৎস্যঘের থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

  • তালায় জাতীয় যুবদিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচন সভা অনুষ্ঠিত

    তালায় জাতীয় যুবদিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচন সভা অনুষ্ঠিত

    তালা (সাতক্ষীরা):
    “দক্ষ যুব গড়বে দেশ, বৈশম্যহীন বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে সাতক্ষীরার তালায় উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্দ্যোগে জাতীয় যুবদিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সকালে তালা শিল্পকলা একাডেমিতে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আশুতোষ কুমার বিশ^াসের সভাপতিত্বে ও সহকারী যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেল।
    বক্তব্য রাখেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন ভূমিজ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক অচিন্ত্য সাহা, শিশু তীর্থ স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন, তরুণ উদ্দ্যোক্তা মাছাদুজ্জামান ও লাকি আক্তার।
    আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের মাঝে প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট, প্রশিক্ষনার্থীদের সম্মানী ও উপকার ভোগীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন। এসময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপকারভোগী ২২ জন সদস্য’র মধ্যে ২০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করা হয়।
    এর আগে যুব দিবসের র‌্যালী তালা উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমিতে শেষ হয়।

  • খুলনা বিভাগের একমাত্র খাল হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের সংস্কার শুরু

    খুলনা বিভাগের একমাত্র খাল হিসেবে সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রাণসায়ের খালের সংস্কার শুরু

    সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত
    প্রাণসায়ের খাল আবারও সংস্কার করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালে
    সুলতানপুর বড়বাজার থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু হয়।
    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ কর্মসূচির উদ্বোধন
    করেন।
    এসময় জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন,খুলনা বিভাগের
    একমাত্র খাল হিসেবে প্রাণসায়ের খালকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এ
    খালের দু’মুখ মরিচ্চাপ ও বেতনা নদীতে মিশিয়ে দিয়ে খালের
    প্রবাহ সচল করা হবে। পাশাপাশি অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে
    দৃষ্টিনন্দন করা হবে প্রাণসায়ের খালকে।খরচের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারি বরাদ্দ ছাড়াই যে সৃজনশীল
    কাজ করা যায়,সেটি প্রমাণের সময় এসেছে। বুলডোজার
    দিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ। আর জনবল দিয়েছে পৌর কতৃপক্ষসহ
    বিভিন্ন বে-সরকারি সংস্থা। সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে
    আপাতত খাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। তবে আগামীতে
    দৃষ্টিনন্দনের জন্য বড় বরাদ্দের প্রয়োজন হলে উর্দ্ধতন মহলের সহায়তা
    চাওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাজে সংযুক্ত করাহয়েছে বলে জানান তিনি।

    প্রসঙ্গত,১৮৫০ সালে সাতক্ষীরার তৎকালীন জমিদার প্রাণনাথ রায়
    চৌধুরী নদীপথে ব্যবসা-বানিজ্য ও শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য
    প্রাণসায়ের খাল খনন করেন। খালটির দৈর্ঘ্য ১৪ কি:মি:। দ্িধসঢ়;ক্ষণে
    মরিচ্চাপ ও উত্তরে বেতনা নদীর সাথে খালটি মিশেছে। তবে দু’মুখ
    ভরাট থাকায় প্রবাহহীন হয়ে পড়েছে খালটি। ২০২০ সালে ১০
    কোটি টাকা ব্যয়ে খালটি খনন করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
    কিন্তু ৪ বছর যেতে না যেতে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয় সেটি।
    এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় শহরের পানি প্রাণসায়ের
    দিয়ে সরতে না পারায় পৌরশহরের অর্ধেক এলাকা এখনও জলমগ্ন
    রয়েছে।

  • নির্বাচন হওয়া উচিৎ চার বছর পর :উপদেষ্টা আরিফ

    নির্বাচন হওয়া উচিৎ চার বছর পর :উপদেষ্টা আরিফ

    আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের(বিএসআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে  এমন এক অভিমত ব্যক্ত করেন হাসান আরিফ।
    যেখানে তিনি  বলেন চার বছর পর পর জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

  • রাসমেলায় যেতে বন বিভাগের রুট নির্ধারণ

    রাসমেলায় যেতে বন বিভাগের রুট নির্ধারণ

    রাসপূর্ণিমা উপলক্ষে আগামী ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী সুন্দরবনের দুবলারচরে শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহণে ঐতিহ্যবাহী ‘রাসপূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে। পুর্ণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। এ সকল পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

    পূজা ও পুর্ণ্যস্নানে আগত তীর্থযাত্রীরা বিভিন্ন নদী পথে লঞ্চ, ট্রলার, স্পীডবোট ও দেশি নৌকাযোগে গমন করে থাকেন। এক্ষেত্রে অনুমোদিত পাঁচটি পথ হলো: বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়-য়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর এবং বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।

    পুর্ণ্যস্নানে অংশ নিতে দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর-এ তিন দিনের জন্য অনুমতি প্রদান করা হবে এবং প্রবেশের সময় এন্ট্রি পয়েন্টে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশ ফি, অবস্থান ফি এবং লোকের সংখ্যা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক রাজস্ব আদায়পূর্বক পাশ প্রদান করা হবে। অনুমতি পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রের কপিসহ তীর্থযাত্রীদের আবেদন করতে হবে। প্রতিটি অনুমতিপত্রে সিল মেরে পথ/রুট উল্লেখ্য করা হবে এবং তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীগণ পছন্দমত একটি রুট বা পথ ব্যবহার করবেন। ১৪ নভেম্বর দিনের ভাটায় যাত্রা আরম্ভ করতে হবে। রাসপূূর্ণিমা পুর্ণ্যস্নানে উদ্দেশ্যে নির্ধারিত নৌযান রুটে শুধু দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে। বন বিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া কোথাও লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকা থামানো যাবে না। ট্রলারে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লাইভ জ্যাকেট বা বয়া সংরক্ষণ করতে হবে।

    প্রতিটি জলযানের গায়ে রঙ অথবা স্টিকার দিয়ে বি, এল, সি/সিরিয়াল নম্বর, তীর্থযাত্রী/পুণ্যার্থীর সংখ্যা উল্লেখ করা হবে। সুন্দরবনে প্রবেশকালে প্রতি তীর্থযাত্রী/পুণ্যার্থীকে একটি করে টিকেট বা টোকেন প্রদান করা হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন টোকেন বা টিকেট সর্বদা নিজের সাথে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে আলোরকোলে স্থাপিত কন্টোলরুমে আবশ্যিকভাবে রিপোর্ট করতে হবে। এর ব্যত্যয় করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাসপূর্ণিমা পুর্ণ্যস্নানের সময় কোন বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন নিষিদ্ধ। কারো কাছে কোন আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, হরিণ মারার ফাঁদ, দড়ি, গাছ কাটার কুড়াল, করাত ইত্যাদি অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন অবস্থায়ই সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক যেমন প্লাস্টিকের প্লেট, পানির বোতল, গ্লাস বা চামচ বহন করা যাবে না। লঞ্চ, ট্রলার, নৌকায় এবং পুর্ণ্যস্নান স্থলে মাইক বাজানো, পটকা, বাজি ইত্যাদি ফোটানোসহ সকল প্রকার শব্দ দূষণ নিষিদ্ধ। রাসপূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত সনদপত্রের মূলকপি সাথে রাখতে হবে।

    তীর্থযাত্রীদের উল্লিখিত নিদের্শনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ।

  • ফাইনালে বাংলাদেশ একাদশে এক পরিবর্তন

    ফাইনালে বাংলাদেশ একাদশে এক পরিবর্তন

    কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আর কিছুক্ষণ পরই শুরু হবে সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার সেমিফাইনালের একাদশ থেকে ফাইনালের একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছেন।

    সেমিফাইনালে খেলেছিলেন বয়সভিত্তিক ফুটবলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ফরোয়ার্ড সাগরিকা। ফিট হয়ে তার পরিবর্তে ফাইনালের একাদশে ফিরেছেন শামসুন্নাহার জুনিয়র।

    ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিল। ওই ফাইনালের জোড়া গোলদাতা কৃষ্ণা রাণী সরকার এবারও দলে রয়েছেন। সম্পূর্ণ ফিট ও সেরা ফর্মে না থাকায় তিনি একাদশে জায়গা পান না। বদলি হিসেবে খেলান কোচ বাটলার। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ফাইনাল ম্যাচটি শুরু হবে।

    নেপাল নারী সাফে কয়েকবার ফাইনাল খেললেও এখনও শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারেনি। বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে চায় হিমালয়ের দেশটি। গত সাফে নেপালের প্রধান খেলোয়াড় সাবিত্রা ভান্ডারী খেলতে পারেননি। এবার ফাইনালে সাবিত্রা প্রধান আশা-ভরসা নেপালের। তবে সেমিফাইনালে লাল কার্ড দেখায় ফাইনালে নেই আরেক স্বাগতিক তারকা রেখা।

    আন্তর্জাতিক ফুটবলের সাধারণ নিয়ম নক-আউট পর্বে নির্ধারিত সময়ে খেলা ড্র থাকলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায়। সাফে অবশ্য অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিট নেই। সরাসরি টাইব্রেকার। নেপাল সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ৭-১ গোলে ভুটানকে উড়িয়ে দিয়েছিল।

    ফাইনালে বাংলাদেশ একাদশ : রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভিন, শিউলি আজিম, আফিদা খন্দকার, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা, সাবিনা খাতুন, তহুরা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।

  • ৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

    ৩০ নভেম্বরের পর হজের নিবন্ধন আর বাড়বে না : ধর্ম উপদেষ্টা

    যারা পবিত্র হজ পালন করতে চান তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার অনুরোধ জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, এতদিন হজ প্যাকেজ না থাকায় অনেকে নিয়ত করলেও নিবন্ধন করেননি। এবার দ্রুত করে ফেলুন। ৩০ নভেম্বরের পর নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না।

    বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ‌ক সংবাদ সম্মেলনে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা।

    খালিদ হোসেন বলেন, সৌদি সরকারের তরফ থেকে বারবার বলেছে, দ্রুত তাঁবু বুকিং দেওয়ার জন্য। যেহেতু আমাদের হজ প্যাকেজ ঘোষণা হয়নি সেজন্য নিবন্ধন কম হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে দেখিয়ে নিবন্ধনের সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর আর বাড়ানো হবে না। কারণ সৌদি সরকারকে কতজন যাবে সেই তালিকা দিয়ে তাঁবু বুকিং দিতে হবে।

    এর আগে প্রথম দফায় নিবন্ধনের সময় শেষ হয় ২৫ আগস্ট। এরপর তা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। যারা হজে যেতে চান তাদের তিন লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, চলতি বছর হজের নিবন্ধনের শুরু হয় ১ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের হজ কোটা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী হজ পালন করার সুযোগ পাবেন। তবে সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করলে সুবিধাজনক জোনে তাঁবু বরাদ্দ পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

  • সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের ঝাঁজ চরমে

    সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের ঝাঁজ চরমে

    সাতক্ষীরায় কাঁচা মরিচের ঝাল কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে সাতক্ষীরার বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ টাকা ও ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। মসলা জাতীয় এই নিত্যপণ্যটির হঠাৎ করে দাম বাড়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। বাজারে নিত্যপণ্যের দামের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। সরবরাহ কমে যাওয়ায় হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়িদের।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি দোকানে গিয়ে দেখা গেছে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪২ টাকা। ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দেশি পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি। এসময় ভারতীয় আমদানিকৃত এলসির পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে এই পণ্যটি আরো ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

    এদিকে ২৮০ টাকা কেজি দরের ভারতীয় এলসির কাঁচা মরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। আর দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। যা কয়েকদিন আগে ছিল ২৫০ টাকা ও ২৮০ টাক কেজি। ক্রেতারা কাঁচা মরিচ কিনতে পারলেও চমকে উঠছেন পেঁয়াজের বাজারে গিয়ে।

    সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড়বাজারে আসা ক্রেতা শহরের নিউ মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রফিকুল আলম বাবু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাজারে পণ্যের দামের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। চরদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। আমাদের মত সাধারণ ক্রেতাদের এত দামে পেঁয়াজ কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আর কয়েকদিন পরে হয়তো ২০০ টাকা কেজি দরে কিনতে হতে পারে।

    বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা পলাশপোল এলাকার সিরাজুল ইসলাম জানান, মাত্র ৪/৫ দিনের ব্যবধানে বাজারে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১৪০ টাকা কেজি। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহে ছিল ৯০ টাকা। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ১১০ টাকা। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মত লোকের সংসার চালনো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    সুলতানপুর বড়বাজারের খুচরা বিক্রেতা নিউ ফাতেমা ষ্টোরের মালিক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিন সকালে পাইকারি বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে কেজিতে ৫-৭ টাকা লাভে বিক্রি করি। এক বস্তা পেঁয়াজ কিনলে অনেক পেঁয়াজ বাদ যায়। এতে করে আমাদের লাভ তেমন হয়না। তবু খরিদ্দার ধরে রাখার জন্য সবধরণের পণ্য দোকনে রাখতে হয়। গত ৪/৫ দিনের ব্যবধানের দেশী পেঁয়াজ কেজি প্রায় ২৫-৩০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। যে কোন পণ্যের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেলে বিক্রির সময় অনেক ক্রেতার কথা শুনতে হয় আমাদের।

    সুলতানপুর বড়বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ি আব্দুল আজিজ জানান, স্থানীয় জাতের পেঁয়াজ আজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪২ টাকা, যা ৪/৫ দিন আগেও ছিল ১১০-১১৫ টাকা কেজি। বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা একটু বেশি। চাহিদা অনুযায়ি সরবরাহ কম থাকায় দেশী পেঁয়াজের দাম একটু বেশি বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। আজ এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি। সরবরাহ বেড়ে গেলে আবার দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।

    ভোমরার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুমন এন্টারপ্রাইজের মালিক সভাষ ঘোষ বলেন, কয়েকদিন আগেও ভারত থেকে প্রায় ৭০ গাড়ি পেঁয়াজ আসতো। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৫০ গাড়ি করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমদানি কমে যাওয়ায় ভোমরা বন্দরে এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯৫ টাকা কেজি। এক বস্তা পেঁয়াজে অনেক সময় নষ্ট বের হয়। এছাড়া ক্যারিং খরচ দিয়ে শহরের পৌছাতে দাম একটু বেড়ে যায়। যে কারণে পোর্টের দাম থেকে বাজারের দামে কিছুটা তারতম্য ঘটে। তবে গতবারের তুলনায় এবার আমদানি অনেক কম হচ্ছে।

    ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান বলেন, আগে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০০ গাড়ি পেঁয়াজ আসতো ভারত থেকে। বেশ কয়েকদিন আগেও গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৭০ গাড়ি করে পেঁয়াজ ঢুকতো। এখন সেখানে গড়ে প্রতিদিন ৫০ -৫৫ গাড়ি করে পেঁয়াজ আসছে। গত ২০ অক্টোবর ভোমরা বন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজ এসছে ৪৮ গাড়ি, ২১ তারিখে ৪৯ গাড়ি, ২২ তারিখে ৩৯ গাড়ি, ২৩ তারিখে ৪৩ গাড়ি, ২৪ তারিখে ৭১ গাড়ি, ২৭ তারিখে ১০০ গাড়ি এবং ২৮ তারিখে ৬৭ গাড়ি।

    তিনি আরো বলেন, ক্যারিং ও ডিউটি সহ ভারত থেকে ব্যবসায়িদের পেঁয়াজ কেনা পড়ছে প্রায় ৯০ টাকা কেজি। বন্যার কারণে ভারতের দক্ষিনের প্রদেশ গুলোতে পেঁয়াজের দাম বেশি। এছাড়া ভারতের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদনকারি এলাকা নাসিকের পেঁয়াজ এখনো উঠা শুরু করেনি। যে কারণে আমদানিকারকদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে বাজারে দামের উপর। তবে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দেশী পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  • সাতক্ষীরা আদালতে ৩৪ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

    সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীনস্থ আদালত এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৩৪ জন পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর), অতিরিক্ত পিপি, এপিপি, জিপি ও এজিপি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

    এতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাড. শেখ আব্দুস সাত্তার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাড. শেখ আলমগীর আশরাফ এবং সরকারী কৌশুলী-জিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাড. অসীম কুমার মন্ডল।

    এছাড়া ১৪ জনকে অতিরিক্ত পিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো, অ্যাড. মোস্তফা জামান, অ্যাড. গোলাম গনি দুদু, অ্যাড. এবিএম ইমরান শাওন, অ্যাড. আরিফুর রহমান আলো, অ্যাড. মো. জালাল উদ্দীন, অ্যাড. শিহাব মাসউদ সাচ্চু, অ্যাড. শেখ আবু সাঈদ রাজা, অ্যাড. রফিকুল ইসলাম (৩), অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম (৫), অ্যাড. আব্দুল জলিল, অ্যাড. সাঈদুর রহমান সাঈদ ও অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিক।

    ১২ জন এপিপি হলেন, অ্যাড. উম্মে হাবিবা রূপা, অ্যাড. নজরুল ইসলাম, অ্যাড. এসএম আজিজুল হক, অ্যাড. শাহানা ইমরোজ, অ্যাড. তারিক ইকবাল অপু, অ্যাড. শাহাদাত হোসেন (৪), অ্যাড. শেখ মাহমুদুল হাসান জিকো, অ্যাড. ফাতিমা ফারজানা ফেরদৌসি, অ্যাড. মো. শহিদুল ইসলাম (২), অ্যাড. মো. সাইফুজ্জামান মিঠু, অ্যাড. মো. হুমায়ুন কবির ও অ্যাড. বিএম মিজানুর রহমান মিন্টু।

    এছাড়া পাঁচজন এজিপি হলেন, অ্যাড. জিএম ফিরোজ আহমেদ, অ্যাড. মেহেদী হাসান, অ্যাড. শেখ আলাউদ্দীন, অ্যাড. হাসনাত মনির ও অ্যাড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (২)।

  • সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ

    সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ

    রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা: সহিংসতা নয় ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সাতক্ষীরায় সম্প্রীতি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    মঙ্গলবার বেলা (২৯ অক্টবার) ১১ টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার‘র আয়োজনে ও ইউকে ইন্টান্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর সহযোগিতায় এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
    সংলাপে সুজন সাতক্ষীরার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাস সরকারের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্যে রাখেন সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দিলারা বেগম, সুজন সাতক্ষীরার সহ-সভাপতি পবিত্র মোহন দাশ, ধর্মীয় নেতা মুফতি আক্তারুজ্জামান ও দিবাকর ভট্টাচার্য, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের সিনিয়র প্রগ্রাম ম্যানেজার শশাং বরণ, খুলনার আঞ্চলিক সমন্বয়ক মাছুদুর রহমান রনজু প্রমুখ।
    এসম বক্তৃতারা বলেন সহিংসতা নয় ঐক্যের বাংলাদেশ চাই, আসুন সবাই ভেদাভেদ ভুলে সকালে মিলে মিশে থাকলেই সমাজে সম্প্রীতি থাকবে।

  • কুরআনের মাহফিলে ইসলামের কথা বলার অপরাধে সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে

    কুরআনের মাহফিলে ইসলামের কথা বলার অপরাধে সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে

    কুরআনের মাহফিলে ইসলামের কথা বলার অপরাধে সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছেঃ সাতক্ষীরায় মাসুদ সাঈদী

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ কুরআনের মাহফিলে ইসলামের কথা বলার অপরাধে পরিকল্পিতভাবে আমার বাবা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। আজকের এই মাহফিলে আপনারা আমার বাবার কথা শুনতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু খুনি সরকার তা হতে দেয়নি। আমি শুধু মাত্র তাঁর প্রতিছবি হিসেবে সাতক্ষীরার এ ময়দানে এসেছি।
    সাতক্ষীরা ইটাগাছা সমাজ কল্যান পরিষদের সার্বিক ব্যবস্থপনায় মঙ্গল ও বুধবার দুই দিন ব্যাপি ৮ম বার্ষিক তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে প্রথম দিনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    সাবেক কাউন্সিলর আলহাজ¦ আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমির মুহাদ্দিস রবিউল বাশার। মাহফিলে প্রধান বক্তার আলোচনা রাখেন শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অথ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফয়জুল হক। মাহফিলে মাওলানা আহম্মদ আলী, সাতক্ষীরা শিবিরের সভাপতি আল মামুন, সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর ফখরুল হাসান লাভলু, স্থানীয় জামায়াতের সভাপতি, ব্যবসায়ী আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন উলামায়ে কেরাম।
    মাসুদ সাঈদী বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হত্যার ইতিহাস। শেখ মুজিব ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের স্পিকার শাহেদ আলীকে সংসদে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছিলেন। ২০১০ সালে ক্ষমতায় এসে ২০ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সেনাবাহিনীর ৫৭ জনকে তারা হত্যা করেছিল, যা একটি যুদ্ধেও এতসংখ্যক অফিসার শহিদ হয়নি। ২০১৩ সালে তথাকথিত ওই ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা সাঈদীর মিথ্যা মামলার রায় দিয়েছিল, সেই প্রতিবাদে যখন সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করে ৩শ মানুষকে হত্যা করেছে। ৫ মে শাপলা চত্বরে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেম সমাজ একত্রিত হয়েছিলেন নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে; তখন ভারতের প্রেসক্রিপশনে খুনি হাসিনা রাতের আঁধারে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে হত্যা করেছিল। শেখ হাসিনার হাত হাজারও—লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহবান জানান তিনি।
    তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে দ্বিতীয় দিনে ঢাকা মহনগর উত্তরের সেক্রেটারী ড রিজাউল করিম, সাতক্ষীরা জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক, ইসমাইল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মাহফিলে টাইফুন খুলনা, কপোতাক্ষ ও আলোক শিল্পীগোষ্ঠির ব্যবস্থাপনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

  • শিশুদের রঙ তুলিতে ফুটে উঠলো নিজ শহরের চিত্র

    শিশুদের রঙ তুলিতে ফুটে উঠলো নিজ শহরের চিত্র

    সাতক্ষীরা : কেউ আকলো শিশু পার্কের ছবি, কেউবা শহরের অকার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা। আবার কেউ কেউ ফুটিয়ে তুললো বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় জনভোগান্তির চিত্র। এভাবেই নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজ শহরের সমস্যা ও সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা।

    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ‘কেমন শহর চাই’ শীর্ষক এক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা রঙ তুলিতে এসব সমস্যা সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে।

    বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম ৩০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

    এতে ১ম অধিকার করে ৭ম শ্রেণী শিক্ষার্থী সাহিব ফারদিন অয়ন, ২য় হয় একই শ্রেণীর ওমর ফারুক সুমন এবং ৩য় স্থান অধিকার করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী হুমাইরা তাবাসসুম।

    পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করে শিক্ষার্থীরা বলে, সাতক্ষীরা শহরে কোনো শিশু পার্ক নেই। কমে যাচ্ছে খেলাধূলার মাঠ। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় সর্বত্র জলাবদ্ধতা। শহরের সর্বত্র ময়লা আবর্জনার ভাগাড়।

    একই সাথে তারা বলে, আমাদের নগর পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়নে শিশুদের অংশগ্রহণ নেই। শহরের পরিকল্পনায় শিশুদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে। শিশুদের মাঝে নগরের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করতে হবে। শিশুদের প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন পলাশপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোমিনুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক শামীমুর রহমান, বারসিকের সহযোগী কর্মসূচি কর্মকর্তা গাজী মাহিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, শিক্ষা সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি আব্দুর রহমান, সহসভাপতি মাকসুদা জেরিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ গাজী, সদস্য জি এম আল শাহরিয়ার প্রমুখ।

  • দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বৈষম্য নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

    দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বৈষম্য নিরসনে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

    জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের বৈষম্য নিরসন ও
    কাঙ্খিত উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক সমাজের
    প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, ওই অঞ্চলের সংকট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে স্থানীয় জনগণের
    জীবনযাত্রার মান আরো নাজুক হবে। যা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
    আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তারা। উন্নয়ন সংস্থা ‘লিডার্স’
    এবং ‘সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সুন্দরবন ও
    উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন লিডার্সের নির্বাহী
    পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল। আলোচনায় অংশ নেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র সদস্য সচিব শরীফ
    জামিল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল, শেরে বাংলা কৃষি
    বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ
    সম্পাদক আশীষ কুমার দে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ ও কল্যাণ
    সম্পাদক তানভীর আহমেদ, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সংগঠক সাকিলা পারভীন, লিডার্সের
    অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক প্রমূখ।
    সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ কবলিত দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের (খুলনা-সাতক্ষীরা-বাগেরহাট) বিদম্যমান সমস্যা
    সমাধানে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনায় মোহন
    কুমার মণ্ডল বলেন, ওই এলাকার সামগ্রিক ও টেকসই উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে দক্ষিণ-
    পশ্চিম উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে। স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ওই এলাকার
    প্রতিটি বাড়ীকে দুর্যোগ সহনশীল করে গড়ে তুলতে হবে। সুপেয় পানির স্থায়ী সমাধানে বৃষ্টির পানির
    সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নদী ও জলাশয়কে অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। সুন্দরবন সুরক্ষায়
    কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। জলবায়ু তহবিলের অর্থ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই এলাকায় বরাদ্ধ দিতে হবে
    এবং তা ব্যবহারে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
    আলোচনায় অংশ নিয়ে ধরার সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে অঞ্চল দেশের
    দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল। এ অঞ্চল প্রকৃতিগত ভাবে একটি ঐশ্বর্যপুর্ণ এবং ভু রাজনৈতিক ভাবে
    গুরুত্বপূর্ণ। তাই উপকূল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় মানুষের অভিজ্ঞতা ও বিজ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। বৈষম্য
    নিরসনের পাশাপাশি অনাচার বন্ধ করতে হবে। অন্যত্থায় আমাদেরকে ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখী হতে হবে।
    বাংলাদেশের পাশাপাশি সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভয়াবহ ক্ষতির সন্মূখীন হবে।
    উপকূলের উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রসুল বলেন,
    এই অঞ্চলটি দীর্ঘ অবহেলার শিকার। জলবায়ু পরিবর্তন, নদীভাঙন, লবণাক্ততার বৃদ্ধি এবং পরিকল্পিত
    অবকাঠামোর অভাবে মারাত্মক সংকটে আছে সেখানকার জনগণ। তাই উপকূলের উন্নয়নে একটি দীর্ঘমেয়াদি
    কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিবে বলে আশা
    প্রকাশ করেন তিনি।
    অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী বলেন, দুর্যোগের পূর্বাভাস দেওয়ার পর থেকে সাগরে না যাওয়া জেলেদের
    জীবন-জীবিকার বিষয়ে ভাবতে হবে। এনার্জির নামে উপকূলের নদীগুলোকে ধ্বংস করায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
    ইলিশের উপর নির্ভরশীল জেলেরা। তাছাড়া নদীর ছোট নৌকা দিয়ে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের জাহাজ চলাচলের
    কারণে মাছ ধরাই অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে। ফলে ওই নদীর জেলেরা মালিক থেকে সাগরের মাছ ধরা জাহাজের
    শ্রমিকে পরিণত হচ্ছে। এ সকল সংকট নিরসনে সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

  • সরকারি নিয়ম মেনে নদী থেকে বৈধভাবে বালু উত্তোলনের দাবিতে মানববন্ধন

    সরকারি নিয়ম মেনে নদী থেকে বৈধভাবে বালু উত্তোলনের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা:
    সীমান্তবর্তী ইছামতি নদী থেকে সরকারি নিময় মেনে বৈধভাবে বালু উত্তোলনের দাবীতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন করেছে বালু  উত্তোলনের কাজে জড়িত শ্রমিকরা।
    মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দেবহাটা ও কালীগঞ্জ উপজেলার ২শতাধিক  বালু শ্রমিকের আয়োজনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা।
    মানববন্ধনে শ্রমিক নেতা ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মমিনুল হক কাজল, রজব আলী, আব্দুল গণি সরদার প্রমূখ।
    এ সময় বক্তারা বলেন, ‘নদী থেকে বালু উত্তোলন, বালু পরিবহনসহ বালুর ব্যবসা করে আমরা জীবিকা নির্বাহ করি। দেবহাটা ও কালিগঞ্জের প্রায় ১ লক্ষ মানুষ এই বালুর ব্যবসার উপর নির্ভরশীল। সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলার যাবতীয় উন্নয়ন মূলক কাজ, বেড়ীবাঁধ নির্মাণ, সরকারী অবকাঠামো নির্মানসহ সাতক্ষীরা জেলার রাস্তা তৈরীতে দেবহাটা ও কালিগঞ্জের ইছামতি নদীর বালু সরবরাহ করা হয়েছে।
    তবে ৬ মাস পূর্বে আকস্মিকভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ কঠিন সংকটে পড়েছে। তাছাড়া এলাকার গরীব ও অসহায় মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। স্ত্রী-সন্তানদের ভরন পোষনের খরচ চালাতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একদিকে বাংলাদেশী শ্রমিকরা বালু উত্তোলন করতে না পারলেও ভারতীয় শ্রমিকরা প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্ত থেকে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে।
    এসব কারণে সরকারী রাজস্ব প্রদান করে যাতে দেবহাটা ও কালিগঞ্জবাসী পুণরায় বালু উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্রমিকরা।

    পরে মানববন্ধন শেষে জেলা এনডিসির মাধ্যমে  প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন বালু শ্রমিকরা।
  • সাতক্ষীরা জামায়াতের নবনির্বাচিত আমির অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুলের শপথ গ্রহণ

    সাতক্ষীরা জামায়াতের নবনির্বাচিত আমির অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুলের শপথ গ্রহণ

    সাতক্ষীরা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলার
    নবনির্বাচিত আমির অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল শপথ গ্রহণ
    করেছেন। মঙ্গলবার ২৯ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা আল
    আমিন ট্রাস্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে এ শপথ গ্রহণ
    অনুষ্ঠিত হয়। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতে
    ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক
    মাওলানা আবুল কালাম আজাদ রুকন সম্মেলনে নবনির্বাচিত জেলা
    আমিরের শপথ পড়ান। এসময় সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর
    মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, কেন্দ্রীয় নেতা মাষ্টার শফিকুল আলম, জেলা
    জামায়াতের নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, খুলনা মহানগরী জামায়াতের
    নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী
    সেক্রেটারী অধ্যাপক গাজী সুজায়েত আলী, মাহবুবুল আলম, অধ্যাপক
    ওবায়দুল্লাহ, অধ্যাপক ওমর ফারুক, জেলা কর্মপরিসদ সদস্যবৃন্দ, থানা
    কর্মপরিষদ বৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    শপথ শেষে অতিথিরা ও নবনির্বাচিত আমির রুকনদের উদ্দেশ্যে দিক
    নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
    উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত
    রুকন সম্মেলনে ২০২৫-২০২৬ সেশনের জন্য আমির নির্বাচনের ভোট
    দেন ১০ হাজার ভোটার। গত ২৩ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ বৈঠকে
    জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান রুকনদের সর্বোচ্চ ভোটে
    নির্বাচিত আমিরের নাম ঘোষণা করেন।

  • আব্দুল জব্বার বিশ্বাসের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জামায়াতের শোক

    আব্দুল জব্বার বিশ্বাসের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জামায়াতের শোক

    সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল ওহাব সিদ্দিকীর পিতা আব্দুল জব্বার বিশ্বাসের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক শহিদুল ইসলাম মুকুল ও সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান। মরহুম আব্দুল জব্বার বিশ্বাসের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে নেতারা বলেছেন, মরহুম আব্দুল জব্বার একজন গুণিজন ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অসংখ্য ভালো কাজ করে গেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা মরহুম আব্দুল জব্বারের জীবনের ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে যেন জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধীষ্ঠ করে। বার্ধক্য জনিত কারণে ১০৪ বছর বয়সে ২ ছেলে ৩ মেয়েসহ অসংখ্য গুনীজন রেখে গেছেন। ২৯ অক্টোবর সাতক্ষীরার
    কালিগঞ্জ উপজেলার তার নিজ গ্রাম জাফরপুরে বাদ জোহর তার জানাজা
    নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন
    করা হয়। তিনি ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নিজ বাসভবনে ইন্তিকাল
    করেন।

  • আশাশুনি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা

    আশাশুনি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    উপজেলা পরিষদের প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে সভায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, সমাজ সেবা অফিসার রফিকুল ইসলাম, সিনিঃ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সত্যজিত মজুমদার, মেডিকেল অফিসার ডাঃ পিনাকী রঞ্জন বিশ্বাস, উপজেলা প্রকৌশলী অনিন্দ্য দেব সরকার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, পিআইও সোহাগ খান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সরকার, ফরেস্টার রেজাউল করিম, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুছ, প্রতাপনগর চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী, শোভনালী চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দীক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় বাঁকড়া, কুন্দুড়িয়ায় ভেঙ্গে যাওয়া ব্রীজ নির্মান, হিমখালী-বদরতলা গেটের খাল ইজারা বন্দ রাখা, খাজরায় ল্যাট্রিন ও পানির ট্যাংকি স্থাপন কাজ দীর্ঘ ৩ বছরে সম্পন্ন না হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।