Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 52 of 82

Author: Hasan

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারী আটক

    সাতক্ষীরা সীমান্তে ৬টি স্বর্ণের বারসহ চোরাকারবারী আটক

    সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাঁচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা ৬টি স্বর্ণের বারসহ মোঃ রাশেদুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে বিজিবি। আটক স্বর্ণের বারগুলোর ওজন ১ কেজি ১০৮ গ্রাম ১৫০ মিলিগ্রাম। শনিবার সকালে কলারোয়া উপজেলার গোয়ালচাতর বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক রাশেদুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের মোঃ আনিছ জামানের ছেলে।
    বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ আশরাফুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাকডাঙ্গা বিওপির নায়েক মোঃ হরমুজ এর নেতৃত্বে একটি দল গোয়ালচাতর বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় ভ্যানযোগে সীমান্ত এলাকায় গমনকালে মোঃ রাশেদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাকে তল্লাশী করে কোমরে গামছা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ০৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
    উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৮৬ টাকা। আটক আসামিকে কলারোয়া থানায় সোপর্দ ও স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।

  • বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি: মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ

    বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি: মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমানের উপর দাওয়াতি কাজ করা তথা আল্লাহর দিকে আহবান করা ফরজ। এটা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ। এজন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। তাদের মন, মগজ ও চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশে একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্ন দেখি। নবী রাসূলগণ ও সাহাবা আজমাইনেরা ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ করতে গিয়ে নিজের সর্বস্ব আল্লাহর রাহে বিলিয়ে দিয়েছেন। এজন্য সাতক্ষীরা জেলার সকল আলম ওলামাকে নিজেদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগ ও কুরবানীর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। শনিবার (১১নভেম্বর) সাতক্ষীরা আলামিন ট্রাষ্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    জেলা ওলামা বিভাগের বিভাগীয় সেক্রেটারী মাওলানা ওসমান গণির সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ড. মোঃ রুহুল আমিনের পরিচালায় ওলামা দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শুরাসদস্য ও খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বারী।

    দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে জামায়াত বদ্ধ জীবনযাপন করতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতিতে হিকমাহ বা কৌশল এবং সর্বোত্তমপন্থা অবলম্বন করে বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে কুরআন সুন্নাহর সঠিক আহ্বান পৌঁছিয়ে দিতে হবে। কারণ ইসলাম পরাজিত হওয়ার জন্য আসেনি, সকল মতবাদের ওপর বিজয়ের জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে আমাদের জন্য পাঠিয়েছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং জান ও মালের কোরবানীর মাধ্যমে দ্বীন বিজয়ী করার প্রত্যয়ে ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে।

  • কলারোয়ায় সন্ত্রাসী ভাগ্নের অত্যাচার-নির্যাতনে মানবেতর জীবন যাপন করছে অসহায় বৃদ্ধা দু’বোন

    কলারোয়ায় সন্ত্রাসী ভাগ্নের অত্যাচার-নির্যাতনে মানবেতর জীবন যাপন করছে অসহায় বৃদ্ধা দু’বোন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভাগ্নে ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে বিধবা অসহায় মা-খালাদের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে মারপিট এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কলারোয়া উপজেলার লোকাকুড়া গ্রামের মৃত শামছুদ্দিন দালালের স্ত্রী বৃদ্ধা আনোয়ারা খাতুন (৬৮) এই অভিযোগ করেন।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাড়িতে আমার প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা এক বোনকে সাথে নিয়ে বসবাস করি। কলারোয়ার লাহাকুড়া মৌজায় আর এস খতিয়ান ৪১৫, আর এস দাগ ৩১৪, এস এ দাগ ২৫৮, মোট ৬৬ শতক জমির মধ্যে ৩৩ শতক সম্পত্তির মালিক আমরা ৪ বোন এবং সেজ বোনের ছেলে একাই এলাকার মৃত জহরআলী দালালের ছেলে ফজলুর রহমান। বিগত ২০১৩ সালে স্বামীর অসুস্থ্যতার কারণে টাকার প্রয়োজনে ফজলুর রহমানের কাছে আমার ভাগের ৪ কাঠা জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেই। এসময় সে শর্ত দেয় আমার প্রতিবন্ধী বোন ছায়রা বিবি’র জমিও তাকে লিখে দিতে হবে। স্বামীর অসুস্থ্যতা কারণে বাধ্য হয়ে বোনকে রাজি করে তাকে জমি লিখে দেই। জমি রেজিস্ট্রির সময় ফজলুর ৩ লক্ষ টাকা বাকি রাখে। পরবর্তীতে ওই টাকা না দিয়ে সে তালবাহানা করতে থাকে। ইতোমধ্যে আমার স্বামী মারা যায় এবং একমাত্র ছেলে বিদেশে গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই মুহুর্ত্বে ভাগ্নে ফজলুর অত্যাচারে আমরা অতিষ্টি হয়ে উঠেছি।
    বৃদ্ধা আনোয়ারা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ফজলুর আমাদের জমি বিক্রির বাকি ৩ লক্ষ টাকা না দিয়ে উল্টো আমাদের কাছে ৪লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। টাকা না দিলে আমাদের হত্যা করবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। ফজলু খুব হিং¯্র প্রকতির লোক। সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতার সুযোগে ফজলু এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে তুলেছে। এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়সহ নানাভাবে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। ফজলুর অত্যাচারে তার নিজের মাও ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়। পরে সেখানে মারা যান তার মা।
    তিনি আরো বলেন, আইন শৃঙ্খলার অবনতির সুযোগে ফজলু এখন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় আমাদের বাড়িতে গিয়ে ফজলু এবং তার স্ত্রী শাহানাজ ওরফে খুকু আমার লাগানো গাছ কাটতে থাকলে বাধা দেওয়ায় আমাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা গলা টিপে ধরে আমাকে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আমি সেযাত্র রক্ষা পাই। এসময় আমার প্রতিবন্ধী বড় বোন ছায়রা বিবিকেও মারপিট করে তারা। গত ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ৪লক্ষ টাকার দাবিতে ফের আমাকে মারপিট করে ফজলু। এরপর থেকে রাস্তায় এবং আমার বাড়ি পিছনে ধারালো দা নিয়ে মহড়া দিচ্ছে সে। টাকা না দিলে আমাদের দু’বোনকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ফলে তার ভয়ে আমরা অসহায় দুইবোন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শালিসের আশ^াস দিলেও এলাকায় ফজলুর সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারনে তারা শালিস করতে ব্যর্থ হন।
    তিনি সন্ত্রাসী ভাগ্নে ফজলুর হাত থেকে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

  • ঝাউডাঙ্গা যুবকমিটির বাৎসরিক মাহফিল বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

    ঝাউডাঙ্গা যুবকমিটির বাৎসরিক মাহফিল বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

     ঝাউডাঙ্গা যুবকমিটির ২য় বার্ষিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিল-২০২৫ বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা হাইস্কুল বলফিল্ড জামে মসজিদে যুব কমিটির সভাপতি মোঃ মোখলেছুর রহমান পলাশের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

  • “অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ পুনর্নির্মাণ”

    “অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ পুনর্নির্মাণ”

    বাংলাদেশ সরকার, ইউএনডিপি এবং ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জের অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে অরেঞ্জ বন্ড প্রবর্তন উদ্যোগটি একাধিক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত সংগ্রহের লক্ষ্য রাখে, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

    বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জ (আইআইএক্স) এর সহযোগিতায় “অরেঞ্জ বন্ডের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ পুনর্নির্মাণ” শীর্ষক একটি উচ্চ-পর্যায়ের পরামর্শ সভার আয়োজন করেছে। সভায়- বাংলাদেশে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনর্নির্মাণকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একটি রূপান্তরমূলক আর্থিক উদ্ভাবন হিসেবে অরেঞ্জ বন্ডের প্রবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরামর্শ সভাটি দেশের আর্থিক সংস্কারের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে, যা স্থিতিশীলতা এবং বৃদ্ধি সৃষ্টিতে সহায়তা করে, পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা এবং জলবায়ু কার্যক্রমকে সমর্থন করে।

    গত (৭ ই নভেম্বর ২০২৪) বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সভায় এই তথ্য তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), ইউএনডিপি ও ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেইঞ্জ (আইআইএক্স) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।

    অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, একটি নতুন আর্থিক ক্ষেত্র হিসেবে অরেঞ্জ বন্ড এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে, তখন বিদেশী সাহায্যের ঐতিহ্যগত প্রবাহের হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে, যা নতুন টেকসই অর্থায়ন সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তৈরি করবে। এই প্রেক্ষাপটে, অরেঞ্জ বন্ডের প্রবর্তন—একটি উদ্ভাবনী ক্রস-কাটিং অ্যাসেট ক্লাস— লিঙ্গ সমতা এবং জলবায়ু কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিবে। এটি উল্লেখযোগ্য সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এবং দেশের পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন পথ তৈরি করবে। তারা আরো বলেন, এই উদ্যোগটি একাধিক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত সংগ্রহের লক্ষ্য রাখে, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে যেমন তৈরি পোশাক (আরএমজি), কৃষি, এবং ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এমএসএমই) এর জন্য ব্যবহৃত হবে।

    অনুষ্ঠানে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অরেঞ্জ বন্ডের মতো টেকসই অর্থায়নের উদ্যোগের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার ইতিবাচক প্রভাবের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “মানুষ ঝুঁকি-কম নিতে পারে, এবং ব্যাঙ্কগুলি প্রায়ই রক্ষণশীল পন্থা অবলম্বন করে ও বড় ঋণ পছন্দ করে। যাইহোক, আমাদের এটি পরিবর্তন করার একটি সুযোগ আছে। গ্রহণযোগ্য ঝুঁকি পরিমাপ তৈরি করে এবং অপ্রয়োজনীয় বাধা দূর করে, আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে প্রত্যেকের, বিশেষ করে নারী এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তাদের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থানগুলিতে  প্রবেশগম্যতা  রয়েছে।”

    ইমপ্যাক্ট ইনভেস্টমেন্ট এক্সচেঞ্জ (আইআইএক্স) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (র্সিইও) দূররীন শাহনাজ বলেন, “অরেঞ্জ বন্ড শুধু একটি আর্থিক উপকরণ নয়; এটি লিঙ্গ সমতা, জলবায়ু কার্যক্রম এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির পক্ষে একটি শক্তিশালী পদক্ষেপ।”
    বাংলাদেশে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেছেন, “অরেঞ্জ বন্ড বাংলাদেশের বৃহত্তর টেকসই আর্থিক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে, যা একটি স্থিতিস্থাপক, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে জলবায়ু পদক্ষেপে লিঙ্গ সমতাকে একীভূত করে আমরা  জনগণের জন্য নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করতে পারি, বিশেষ করে নারী ও এমএসএমইদের জন্য, যা দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এজেন্ডা অর্জনে সহায়তা করবে।”

    প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, এই উদ্যোগের বৈশ্বিক গুরুত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন “বাংলাদেশ অরেঞ্জ বন্ড উদ্যোগ টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের চেতনা প্রতিফলিত করে। এই এসডিজি-সঙ্গত বন্ডটি আমাদের সাহসী ঘোষণা-একটি সেতু, যা আমাদের বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাজারের সাথে যুক্ত করে এবং সেইসাথে যে সমস্ত মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জন্য সম্পদ পরিচালনা করে।”

    অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী অরেঞ্জ বন্ডের সফল বাস্তবায়নে সরকারের সহযোগিতা এবং প্রতিশ্রুতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন
    বাংলাদেশে অরেঞ্জ বন্ড প্রবর্তনের প্রতিশ্রুতি জ্ঞাপন করে উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় অরেঞ্জ অঙ্গীকার স্বাক্ষরের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

  • হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ সুসি

    হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ সুসি

    হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে সুসি উইলসের নাম ঘোষণা করলেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৬৭ বছর বয়সী সুসি হবেন হোয়াইট হাউসের প্রথম নারী চিফ অব স্টাফ।

    বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ এই পদে সুসির নাম ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার কার্যক্রম সংক্রান্ত দুই ব্যবস্থাপকের একজন সুসি। খবর রয়টার্সের

    যুক্তরাষ্ট্রে ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প জয়ী হন। তিনি আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন।

    শপথ গ্রহণের আগেই ট্রাম্প তার প্রশাসন সাজানোর কাজ সারবেন। এ জন্য তিনি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদের জন্য তার পছন্দের ব্যক্তিদের বাছাই করবেন। তাদের নাম ঘোষণা করবেন। প্রথম তিনি সুসির নাম ঘোষণা করলেন।

    হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দ্বাররক্ষক (গেটকিপার) হিসেবে কাজ করেন। তার সাধারণত অনেক প্রভাব থাকে। তিনি হোয়াইট হাউসের কর্মীদের পরিচালনা করেন। প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন কাজের সময়সূচি নির্ধারণ করেন। সরকারের অন্যান্য বিভাগ ও আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেন।

    সুসিকে হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ হিসেবে বেছে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, সুসি বলিষ্ঠ, স্মার্ট, উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি সর্বজনীনভাবে প্রশংসিত ও শ্রদ্ধাভাজন একজন মানুষ। তিনি যে যুক্তরাষ্ট্রকে গৌরবান্বিত করবেন, তা নিয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই।

    গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে পরাজিত করেন ট্রাম্প। এর পর থেকে ট্রাম্প ফ্লোরিডার পাম বিচে তার মালিকানাধীন মার-এ-লাগো ক্লাবে সময় কাটাচ্ছেন।

    সুসি ফ্লোরিডাভিত্তিক রাজনৈতিক কৌশলবিদ। তিনি এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্রিস লাসিভিটার সঙ্গে একত্রে ট্রাম্পের প্রচার কার্যক্রম-সংক্রান্ত ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

    এবার ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে ক্রিস ও সুসি উভয়ে বাহবা পাচ্ছেন। বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের আগের প্রচারাভিযানগুলোর তুলনায় এবারের প্রচারাভিযান ছিল অনেক বেশি শৃঙ্খলাপূর্ণ।

    নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প নিজেও এই দুজন ব্যবস্থাপককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

  • স্বপ্নটা যেন জাতীয় দলে এসেই থেমে না যায় : সালাউদ্দিন

    স্বপ্নটা যেন জাতীয় দলে এসেই থেমে না যায় : সালাউদ্দিন

    বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে দিন কয়েক আগেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তিনি। তবে আজ শুক্রবার বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে।

    সালাউদ্দিন বলছিলেন, ‘আমরা যারা বলি সাকিব, তামিম, মুশফিকেরা একটা পর্যায় পর্যন্ত নিয়ে গেছে, ওটা যদি না ভাঙতে পারি, তাহলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বাংলাদেশের ক্রিকেট এগোয়নি। (আমাদের কাজ) পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাদের চেয়ে ভালো খেলোয়াড় হতে পারে, বড় হতে পারে। সেটা অসম্ভবও নয়। এখন খেলোয়াড়েরা মেন্টালি, ফিজিক্যালি ও আর্থিক দিক থেকে অনেক স্বাবলম্বী। যেটা হয়তো আগে ছিল না। এখন ভালো করার সুযোগ বেশি।’

    এই কোচ আরো বলেন, ‘এইচপি বা অনূর্ধ্ব-১৯-এর খেলোয়াড়দের লক্ষ্য জিজ্ঞেস করলে বলবে জাতীয় দলে খেলতে চাই। স্বপ্নটা কিন্তু ওখানেই থেমে গেল। জাতীয় দলে খেললে এরপর কীভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে সেটা তারা জানে না। যারা এতদিন খেলছি, তাদের আসলে কী ধরনের লক্ষ্য হওয়া উচিত, মেন্টালিটি হওয়া উচিত, কীভাবে আরও বড় খেলোয়াড় হওয়ার জন্য নিজেকে মোটিভেট করা উচিত, এই ছোট ছোট কাজগুলো করে। বড় কাজ তা নয়। এই ছোট কাজগুলো যদি করা যায়, বিশেষ করে ড্রেসিংরুমে এবং ড্রেসিংরুমের বাইরে কীভাবে চিন্তা করবে, সেই চিন্তার জায়গাটা যদি আরও পরিষ্কার করে ধারণা দেওয়া যায়, তাদের আরও ভালো ভবিষ্যৎ সামনে আছে।’

    নতুন এই কাজে নিজের চ্যালেঞ্জ দেখছেন সালাউদ্দিন, ‘অনেক দিন ধরেই শুনছি বোর্ড দেশি কোচদের একটা প্ল্যাটফর্ম করে দেবে। সেই জায়গায় আমি যদি পথটা দেখাতে পারি, সেটা যত দিনের জন্যই হোক, আমার দেশি কোচরাও হয়তো ভালো করবে। পরবর্তী সময়ে যে সব দেশি কোচ আসবে বোর্ডের বিশ্বাস বাড়বে, মানুষের বিশ্বাস বাড়বে, জনগণের বিশ্বাস বাড়বে। সেই সঙ্গে কোচের নিজেরও বিশ্বাস বাড়বে যে আমরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করতে পারি। আমার মনে হয় এই বিশ্বাস টা কারও না কারও নেওয়া উচিত ছিল। সেই বিশ্বাসটা যদি আমি রাখতে পারি, পরের কোচদের জন্য বড় পথ খোলা হয়ে যাবে। একজন কোচ হিসেবে কোচ-সমাজে পথ দেখানোর একটা বড় দায়িত্ব আমার পড়ে গেছে। সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি।’

  • সাতক্ষীরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    সাতক্ষীরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লারচর গ্রামে পানিতে ডুবে রুহি (১৮ মাস) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা দশটার দিকে এল্লারচর গ্রামের বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।

    পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশু রুহি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার এল্লারচর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে।

    স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসক ভৈরব চন্দ্র জানান, শুক্রবার বেলা দশটার দিকে শিশু রুহি তাদের বাড়ির পাশে খেলা করছিল। খেলার একপর্যায়ে সে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায়। এদিকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তার মা আশেপাশের বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী মহব্বত সরদারের পুকুরের পানিতে রুহিকে ভাসতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা।

  • ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, আক্রান্ত প্রায় ৭০ হাজার

    ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, আক্রান্ত প্রায় ৭০ হাজার

    এডিস মশাবাহী রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর মশাবাহী রোগটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৪২ জনে। এছাড়া গত একদিনে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬৬ জন। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, গত একদিনে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে তিনজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাসিন্দা। পাশাপাশি এই সময়ে ডেঙ্গুতে চট্টগ্রাম বিভাগে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

  • আশাশুনিতে জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    আশাশুনিতে জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    আশাশুনি ব‍্যুরো:
    আশাশুনিতে জামায়াতের মাসিক রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টায় উপজেলার দলীয় কার্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা জামাতের আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষারের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওঃ মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা শুরা ও কর্ম পরিষদের সদস্য শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবু বক্কার সিদ্দিক, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সবুর। অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা নায়েবে আমীর মাওঃ আব্দুল মান্নান, সহকারী সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, মাওঃ আব্দুল বারী, শাহ অহিদুজ্জাম শাহীন, বাইতুল মাল সেক্রেটারি মাওঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওঃ রিয়াছাদ আলী, অফিস সেক্রেটারী মাওঃ রুহুল কুদ্দুস, উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য মাওঃ আতাউর রহমান, আফসার উদ্দিন খান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি প্রভাষক শাহাজান আলী, যুব বিভাগ সভাপতি ডাক্তার রোকনুজ্জামানসহ উপজেলার ১১টা ইউনিয়নের পুরুষ ও মহিলা সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
  • শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের নব-গঠিত কমিটি 

    শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের নব-গঠিত কমিটি 

    সভাপতি আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা ও সাধরণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম

    নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের নব-গঠিত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) কামালনগরস্থ তুফান কনভেনশন সেন্টারের লেকভিউতে হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) এর সাধারণ সভার দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের সভাপতি খুলনা হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতহয়। সভায় উপস্থিত সকল সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের সভাপতি খুলনা হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলাকে সভাপতি হিসেবে পূণ:নির্বাচিত করা হয় এবং আল আকসা হ্যাচারীর মো. নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নব-গঠিত কমিটির সভাপতি খুলনা হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব ডা. আবুল কালাম বাবলা, সহ-সভাপতি বিসমিল্লাহ হ্যাচারীর গাহছুল হোসেন রাজ, সহ-সভাপতি কপোতাক্ষ হ্যাচারীর মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আল আকসা হ্যাচারীর মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক খাজা হ্যাচারীর আব্দুস ছাত্তার মনি, কোষাধ্যক্ষ সোনালী হ্যাচারীর শেখ রফিকুজ্জামান খোকন, সদস্য নিউ যমুনা হ্যাচারীর কাজী আমিনুল ইসলাম বাহার, কাবা হ্যাচারীর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, গালফ হ্যাচারীর এস এম আব্দুল্লাহ মামুন, বুলু স্টার হ্যাচারির বাবন কান্তি দাশ, মাসুম হ্যাচারির আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এসময় শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব) সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের নব-গঠিত কমিটিকে অভিনন্দন ও ফুলের শুভেচ্ছা সদস্যরা।
  • খলিলুর রহমান মাদানীর পিতা আব্দুল জব্বার তরফদারের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জামায়াতের শোক

    খলিলুর রহমান মাদানীর পিতা আব্দুল জব্বার তরফদারের মৃত্যুতে সাতক্ষীরা জামায়াতের শোক

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানীর পিতা আব্দুল জব্বার তরফদারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল ও সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।
    মরহুম আব্দুল জব্বার তরফদারের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে নেতারা বলেছেন, মরহুম আব্দুল জব্বার তরফদার একজন গুণিজন ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি অসংখ্য ভালো কাজ করে গেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালা মরহুম আব্দুল জব্বারের জীবনের ভুলভ্রান্তি ক্ষমা করে যেন জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। বার্ধক্যজনিত কারণে ৯৫ বছর বয়সে ৬ ছেলে ৭ মেয়েসহ অসংখ্য গুণীজন রেখে গেছেন। ৭ নভেম্বর শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারি গ্রামে
    নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তিকাল করেন।
    শুক্রবার (৮ নভেম্বর) জয়নগর মাদানী ফাউন্ডেশন জামে মসজিদ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে হাজারো মুসল্লির উপস্থিতিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে মসজিদের সামনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
    উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে জানাজা পূর্ব শোক সভায় আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের প্রতিনিধি হিসেবে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্যাহ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে তামিরুল্লাত কামিল মাদ্রাসার মুফাসসিরিন আবুল কাশেম, মিরসরাই পীর সাহেব আব্দুল মোমেন নাসেরী, খুলনা বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী এবং খুলনা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ রহমত উল্যাহ, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মুকুল, সাবেক আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, জেলা নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদা, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিসদ সদস্য অধ্যাপক মোসলেম উদ্দীন, আব্দুল জলিল, বিএনপির উপজেলা সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

     

  • সাতক্ষীরায় প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    সাতক্ষীরায় প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

    প্রথম আলো বাংলাদেশের একমাত্র পত্রিকা যা সমাজ বদলে কাজ করে, ভূমিকা রাখে
    সাতক্ষীরায় প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বক্তারা

    প্রথম আলো বাংলাদেশের একমাত্র পত্রিকা যা সমাজ বদলে কাজ করে, ভূমিকা রাখে । নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্বপ্ন দেখায়। প্রথম আলো সত্য তথ্য প্রকাশে অবিচল থাকে। প্রথম আলো না পড়লে পাঠক জানতে পারে না প্রকুত ঘটনা। আর সঠিক পথে থাকতে, সত্য প্রকাশ করতে কঠিন ঝূঁকির মধ্যে থাকতে হয়। ভয়ভীতি উপপেক্ষা করেও সঠিক ও বস্তু নিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে অবিচল থেকেছে। দেশের সাধারণ মানুষের পাশে অবস্থান নিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ্য হয়েছে। ক্ষমতাবানদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে পেশাদারিত্ব, সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে প্রাধান্য দিয়েছে। এ জন্য প্রথম আলো দিনে দিনে হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কন্ঠস্বর, সাধারণ মানুষের আস্থারস্থল।
    প্রথম আলোর ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাতক্ষীরার বন্ধুসভার আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, সাতক্ষীরা জেলার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা কিশোরীমহন সরকার। শুক্রবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরার শহীদর নাজমুল সরণির ম্যানগ্রোভ সভাঘর মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাতক্ষীরা বন্ধুসভা।
    জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এসব অনুষ্ঠানে জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। প্রথম আলো বন্ধুসভার সদস্য মো: সালাউদ্দিনের সঞ্চলনায় ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা বন্ধুসভার সভাপতি কর্ণ বিশ^াস, আরও বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, দেবহাটা খানবাহদুর আহসান উল্লাহ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পবিত্রমোহন দাশ, কবি স,ম তুহিন, বন্ধুসভার উপদেষ্ঠা জাহিদা জাহান, সাংবাদিক মমতাজ আহমেদ বাপ্পি,সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, এম কামরুজ্জামান, আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, উদীচী সাতক্ষীরা জেলা শখার সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান ও প্রথম আলোর সাতক্ষীরার নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি।

    বক্তারা আরও বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃর্তী শিক্ষার্থীরা প্রথম আলোর সংবর্ধনা পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। এ সংবর্ধনা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। প্রথম আলো দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর বৃত্তি প্রধান করে। নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের দুর্দশার কথা তারা লেখনির মাধ্যমের ফুটিয়ে তোলে। প্রথম আলো রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্য প্রকাশ করায় অন্যায়, দুর্নীতি করার আগে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রভাবশালীদের চিন্তা করে। প্রথম আলো এমন জায়গা তৈরি করতে পেরেছে সমাজে।
    অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে দেশাত্ববোধক গান গেয়ে উপস্থিতিদের জাগিয়ে তোলেন বন্ধুসভা সাতক্ষীরার সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সোমা রানী বৈদ্য ও মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সবুজ তরফদার।

  • অবৈধ ইটভাটার ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে জীবন ও পরিবেশ

    অবৈধ ইটভাটার ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে জীবন ও পরিবেশ

    সাতক্ষীরা জেলার প্রাণ-প্রকৃতি ও মানুষের স্বাস্থ্যকে গ্রাস করছে বেআইনিভাবে পরিচালিত অসংখ্য ইটভাটা। আইন এবং উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও প্রভাবশালী ইটভাটা মালিকেরা অবাধে ইট পোড়ানোর জন্য কাঠ, তুষকাঠ এবং টায়ার পোড়ানোর মতো পরিবেশবিধ্বংসী জ্বালানি ব্যবহার করছেন। এই সব ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া বাতাসকে বিষাক্ত করে তুলছে, যা একদিকে গাছপালা ধ্বংস করছে, অন্যদিকে এলাকাবাসীর ফুসফুসে ঢুকছে ক্যান্সার ও অন্যান্য প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি।


    সাতক্ষীরা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ‘সাতক্ষীরায় মোট ৯৬টি ইটভাটার মধ্যে ৮৩টি ঝিকঝাক পদ্ধতির এবং ১৩টি সনাতনী পদ্ধতির ভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ৬৭টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ছাড়পত্রবিহীন এসব অবৈধ ইটভাটার কোনো সরকারি লাইসেন্সও নেই। শুধু উচ্চ আদালতে একটি রিটের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বছরের পর বছর এসব ইটভাটা অবৈধভাবে পরিচালনা করছেন ভাটামালিকরা।’
    সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা এলাকায় মেসার্স এমআরএস ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা বেতনা নদীর চর দখল করে গড়ে উঠেছে। এই ভাটায় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তোয়াক্কা না করে নির্বিচারে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। ভাটার চারপাশে স্তুপ আকারে জ্বালানি কাঠের মজুত দেখা গেছে এবং প্রবেশমুখে তুষকাঠও সাজানো রয়েছে। জনবসতি এলাকায় অবস্থিত এই ভাটায় কাঠ ও তুষকাঠ পোড়ানোর ফলে যে কালো ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে, তা বায়ু দূষণ করে স্থানীয়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। এছাড়া, সাতক্ষীরা সদরের গাভা ফিংড়ী এলাকার রাহাত ব্রিকসসহ বিনেরপোতা এলাকার হাবিব ব্রিকস, এসবিএফ ব্রিকস, সাদিয়া ব্রিকস, বিবি ব্রিকস, এসএলবি ব্রিকস, হাওয়ালখালির রাকিন ব্রিকস, ভাদড়া মোড়ের কেএন ব্রিকসসহ আরও অনেক ইটভাটায় কয়লার সঙ্গে কাঠ ও তুষকাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। আশাশুনি উপজেলার হাজী ব্রিকস, গুণাকরকাটির রুমানা ব্রিকস, সরদার ব্রিকস, কালিগঞ্জ উপজেলার একতা ব্রিকস, উজিরপুরের টিআরবি ব্রিকস, বাজারগ্রামের শেখ ব্রিকস, ময়না ব্রিকস, চন্ডিপুরের এস বি-১৭ ব্রিকস, শ্যামনগরের এবিআর ব্রিকস, সোনারমোড়ের এইচ.বি ব্রিকস ও আশা ব্রিকস, খানপুরের গাজী ব্রিকসসহ জেলার শতাধিক ভাটায় এই অনিয়ন্ত্রিত জ্বালানি ব্যবহারের ফলে আশপাশের মানুষের জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এসব এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটাগুলোর আশেপাশে থাকা গাছপালা যেন ধোঁয়ার চাদরে ঢাকা পড়ে গেছে। কৃষকের ফসল, ফলের বাগান, এমনকি বাড়ির উঠানের সবুজ ঘাসও এই বিষাক্ত কালির আঘাতে দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে। অথচ এই গাছগুলোই ছিল সাতক্ষীরার মাটি, পানি, বাতাসের বিশুদ্ধতার প্রতীক।
    ইটভাটা মালিকেরা যুক্তি দেন, কয়লার দাম বেড়ে গেছে, তাই কাঠের মিশ্রণ ছাড়া ইট পোড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু এই যুক্তি এলাকার শিশু ও বৃদ্ধদের বিষাক্ত বাতাসে শ্বাসকষ্টের পেছনের কারণ হতে পারে না। এদের কেউ কেউ তো সারা জীবনেও শহরের বিশুদ্ধ বাতাসের স্বাদ পাননি, অথচ বিষাক্ত ধোঁয়ায় তাদের ফুসফুসের শুদ্ধতা দিন দিন হারাচ্ছে।
    বিষয়টি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে যখন দেখা যাচ্ছে, সাতক্ষীরা জেলার প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছে না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নিলেও, ইটভাটা মালিকরা একরকমের আইন অবজ্ঞা করে অবৈধভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো বহুবার এসব ইটভাটা বন্ধের দাবিতে আওয়াজ তুলেছে, কিন্তু আদালতের রিটের বাধার কারণে তাদের চেষ্টাও বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
    অথচ, প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি শুধুমাত্র গাছপালা বা প্রাণীদের ওপরই পড়ে না, এই প্রভাব পরোক্ষভাবে মানুষের জীবনেও আঘাত হানে। যেসব ইটভাটা থেকে বায়ুতে নির্গত হচ্ছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ধোঁয়া, তা শুধু এলাকার জল, মাটি বা উদ্ভিদের ক্ষতি করছে না—ক্ষতি করছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনযাত্রা, তাদের সুস্থতা। এই অবস্থা চলতে থাকলে হয়তো একদিন সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী প্রকৃতি ধোঁয়ার কুয়াশায় হারিয়ে যাবে।
    সাতক্ষীরায় এমন অনিয়ন্ত্রিত ইটভাটা ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে হলে, প্রয়োজন কঠোর পদক্ষেপ। প্রশাসনের উচিত স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের গুরুত্ব বিবেচনা করে অবিলম্বে এসব ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। তদুপরি, ইটভাটাগুলোকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধ্য করতে পারলে আমাদের ফসলি জমি, খাল-বিল ও মানুষের জীবন আবারো নিরাপদ হয়ে উঠবে। আমাদের জন্য এখন সময় এসেছে দায়িত্বশীল হওয়ার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সম্মিলিত সচেতনতা এবং দায়িত্বশীলতা ছাড়া সাতক্ষীরার ধোঁয়ার চাদর থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। তাহলে, হয়তো আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য আবার একটি সবুজ সাতক্ষীরার স্বপ্ন দেখতে পারবে -যেখানে প্রতিটি নি:শ্বাস হবে মুক্ত, বিশুদ্ধ এবং জীবনমুখী।

  • সাতক্ষীরা প্রেস উদ্যানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন

    সাতক্ষীরা প্রেস উদ্যানে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন

    প্রকৃতির মাঝেই জীবনের অস্তিত্ব, প্রকৃতিকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই: মোস্তাক আহমেদ

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: ‘সবুজে সাজাই বাংলাদেশ’ স্লোগানে প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব সাতক্ষীরার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) হেমন্তের আলো ঝলমলে সকালে সাতক্ষীরা শহরের বুক চিরে প্রবাহিত প্রাণসায়র খালের পূর্বপাশে “প্রেস উদ্যানে” আমের চারা রোপণের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    কর্মসূচির উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, জন্ম থেকে আমরা প্রকৃতির কোলেই বেড়ে উঠি। প্রকৃতি না বাঁচলে আমরা বাঁচবো না। প্রকৃতিকে বাঁচাতে বৃক্ষরোপণের কোন বিকল্প নেই। প্রকৃতির মাঝেই জীবনের অস্তিত্ব। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উদ্যোগে সাতক্ষীরা প্রাণসায়র খাল রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি স্মৃতির স্মারক হয়ে থাকবে।
    জেলা প্রশাসক বলেন, জলাবদ্ধতা সাতক্ষীরা জেলার বড় সমস্যা। এ সমস্যা দূর করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। জেলার সকল নদী ও খাল অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে অবমুক্ত করা হচ্ছে। একই সাথে এ সকল নদী ও খাল রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। নদী ও খালের অবৈধ বাঁধ ও স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে কঠোর ভূমিকা পালন করছে।
    জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সাতক্ষীরা শহরের বুকচিরে প্রবাহিত প্রাণসায়র খাল রক্ষায় ইতোমধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। খালটির দু’ধারে গড়ে তোলা হবে নান্দনিক উদ্যান। এ উদ্যানে লাগানো গাছ সুরক্ষায় সাতক্ষীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    নান্দনিক এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নাগরিক নেতা প্রফেসর আব্দুল হামিদ, শিক্ষাবিদ প্রফেসর পবিত্র মোহন দাশ, মানবাধিকার কর্মী মাধব চন্দ্র দত্ত, প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুনিরউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ, নারী নেত্রী জ্যোৎস্না দত্ত, সাহিত্যিক সুদয় কুমার মন্ডল, লেখক মনিরুজ্জামান মুন্না, বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচিত সভাপতি ও সময় টিভির মমতাজ আহমেদ বাপী, এটিএন বাংলা ও সমকালের এম কামরুজ্জামান, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, সাপ্তাহিক সূর্যের আলো সম্পাদক আব্দুল ওয়ারেশ খান চৌধুরী, দেশ টিভি ও বিডি নিউজের শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, বৈশাখী টিভির শামীম পারভেজ, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের আমিনা বিলকিস ময়না, বাংলাভিশনের আসাদুজ্জামান, বণিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, সাতক্ষীরার সকালের নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আমিরুজ্জামান বাবু, বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোরের শেখ তানজির আহমেদ, এসএ টিভির শাহিন গোলদার, সাতক্ষীরা সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি মহিদার রহমান, সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান লিটু, দৈনিক পত্রদূত এর বার্তা সম্পাদক এসএম শহীদুল ইসলাম, মানবজমিনের এসএম বিপ্লব হোসেন, ঢাকা টাইমস এর মোঃ হোসেন আলী, ঢাকা পোস্টের মোঃ ইব্রাহীম খলিল, সংবাদ প্রকাশ এর রেজাউল করিম, খবরের কাগজের নাজমুস শাহাদাত জাকির, উদীচীর জেলা সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সেলিম হোসেন, রেজাউল ইসলাম, মাহিদা মিজান, নাজমুল আলম মুন্নাসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক ও সুধীজন। এছাড়া বিডি ক্লিন ও ভিবিডি’র সদস্যসহ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
    কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুই শতাধিক বনজ, ঔষধী ও ফলজ গাছের চারা রোপন করছে চ্যানেল আই-প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় দেশব্যাপী সবুজ বেষ্টনী গড়ার অংশ হিসেবে গাছের চারা রোপণ করেছে সংগঠনটি। প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব পরিবেশ বান্ধব এমন নান্দনিক কর্মসূচী গ্রহণ করায় কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে এবং কর্মসূচীর সফলতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
    কর্মসূচিতে সহাযোগিতা করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের সদস্যরা।

  • অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ

    অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.৮৭ শতাংশ

    অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। এ মাসে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রায় এক শতাংশ আর খাদ্যমূল্যস্ফীতি বেড়েছে সোয়া দুই শতাংশ।

    বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

    এর আগে আগস্টে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে কমার পর অক্টোবরে আবারও বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। আর গত জুলাইয়ে দেশে জাতীয় পর্যায়ে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ওই মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হারে।

    বাংলাদেশ প্রায় দুই বছর ধরে ক্রমবর্ধমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে। ২০২৩ সালের মার্চ থেকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি নয় শতাংশের ওপরে আছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর।

  • শ্রিম্প হ‌্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব ) খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

    শ্রিম্প হ‌্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব ) খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা

    নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্রিম্প হ‌্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব ) খুলনা অঞ্চলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( ৭ নভেম্বর ) বিকাল ৩ টায় সাতক্ষীরা লেকভিউ তুফান কনভেনশন সেন্টারের  শ্রিম্প হ‌্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব ) সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলের সভাপতি আলহাজ্ব ডাঃ আবুল কালাম বাবলা ‘র সভাপতিত্বে সভায় শ্রিম্প হ‌্যাচারী অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (সেব ) কক্সবাজার সহ-সভাপতি শহীদ ফারুক সাচী ও নির্বাহী সদস্য রুহুল আমিন লেনিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গালফ হ্যাচারীর স্বত্বাধিকারী এস এম আব্দুল্লাহ মামুন, আল আকসা হ্যাচারীর মোঃ নজরুল ইসলাম, সোনালী হ্যাচারীর শেখ রফিকুজ্জামান খোকন, খাজা হ্যাচারীর আব্দুস ছাত্তার মনি, নিউ যমুনা হ্যাচারীর কাজী আমিনুল ইসলাম বাহার, মেঘনা হ্যাচারীর মোঃ ইদ্রিস বাবু, কাবা হ্যাচারীর মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সুন্দরবন হ্যাচারীর মোঃ জসিম, সোনামুখী হ্যাচারীর হারুন আকন্দি অনি, বিসমিল্লাহ হ্যাচারীর গাহছুল হোসেন রাজ, কপোতাক্ষ হ্যাচারীর মোঃ শহিদুল ইসলাম, পদ্মা হ্যাচারীর মোঃ শাহারুল ইসলাম বকুল, সুরমা হ্যাচারীর মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। সকল  হ্যাচারীর স্বত্বাধিকারীদের উপস্থিতিতে হ্যাচারি ও চিংড়ি পোনা বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এসময় হ্যাচারী মালিকগণের আলোচনায় আগামী মৌসুমে উন্নত মানের চিংড়ি পোনা উৎপাদন সহ হ্যাচারী কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পরিচালনার বিষয়ে সকলের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন। এ অঞ্চলে চিংড়ি শিল্পকে আরো এগিয়ে নিতে এ সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নে এবং চিংড়ির মান উন্নয়নে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন  নির্বাহী সদস্য রুহুল আমিন লেনিন।
  • জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় জামায়াতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরায় জামায়াতের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সাতক্ষীরা আলামিন ট্রাষ্টের কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে সাতক্ষীরা জামায়াতের নায়েবে আমীর শেখ নুরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ, শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ হাসান, নায়েবে আমীর মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, ফখরুল হাসান লাভলু, সহকারী সেক্রেটারী হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
    আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা শাখার নায়েবে আমির শেখ নূরুল হুদা বলেছেন,’৭ নভেম্বরের চেতনা ও ছাত্র—জনতার ৫ আগস্টের বিপ্লব একসূত্রে গাঁথা। আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে এ জাতির প্রতি, এই উম্মার প্রতি পরীক্ষার পর পরীক্ষার মধ্যদিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশের অভিযাত্রা, নতুন দিগন্ত আল্লাহ তাআলা সূচনা করেছে।