Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 30 of 82

Author: Hasan

  • সাতক্ষীরায় জলবায়ু সহনশীল জীবনযাত্রা উন্নয়নে কর্মশালা 

    সাতক্ষীরায় জলবায়ু সহনশীল জীবনযাত্রা উন্নয়নে কর্মশালা 

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিএমজেড ও ওয়েলথাংগারহিলফে (ডব্লিউএইচএইচ) বাংলাদেশের উদ্যোগে “কমিউনিটি লেড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট অ্যান্ড সাস্টেইনেবল লাইভলিহুড প্রোগ্রাম ইন দ্যা কোস্টাল এরিয়াস অব সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্ট” প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিষ্ণুপদ পাল। এছাড়া কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউএইচএইচ-এর প্রকল্প প্রধান জিয়াউল হক, আনন্দের কর্মসূচি প্রধান এ কে এম আনোয়ার হোসেন মোল্লা এবং প্রেরণার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী।
    কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আনন্দের প্রকল্প প্রধান এ কে এম আনোয়ার হোসেন মোল্লা, এবং প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডব্লিউএইচএইচ-এর প্রকল্প প্রধান জিয়াউল হক।
    প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং প্রকল্পের সম্পদ যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে, যাতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টেকসই জীবনযাত্রার সুযোগ পায়।”
    প্রকল্পটি সাতক্ষীরা পৌরসভার ৫, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়ন এবং দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ও পারুলিয়া ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হবে। এই অঞ্চলের ৫০০০ দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের সদস্যরা এর সুবিধাভোগী হবেন, যেখানে দলিত, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী ও নারী প্রধান পরিবারগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
    এ প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ মোকাবিলা ও জীবিকা উন্নয়নে সক্ষমতা অর্জন করবেন।
    কর্মশালার শেষ পর্বে প্রেরণার নির্বাহী পরিচালক শম্পা গোস্বামী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন
  • খলিশাখালীতে ১৩২০ বিঘা খাস জমি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন ও সকল খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন এবং তাদের পুণর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    খলিশাখালীতে ১৩২০ বিঘা খাস জমি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন ও সকল খাস জমি ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন এবং তাদের পুণর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

    সোমবার(১৭ মার্চ) বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে সাতক্ষীরা টু আশাশুনি সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
    মানববন্ধনে জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি কওছার আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আকবর আলী, সাতক্ষীরা জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি  শেখ হাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রেজাউল করিম রেজা, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক  মো: ইদ্রিস আলী, জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: মফিজুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মনসুর রহমান, স্বাস্থ্য কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, লাবসা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি শেখ রিয়াজুল ইসলাম, খলিশাখালি ভূমিহীন সমিতির সদস্য আব্দুল হালিম, জেলা ভূমিহীন সমিতির নেত্রী নাজমা আক্তার নদী, বাংলাদেশ জাতীয় ভূমিহীন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মীর আশিক ইকবাল বাপ্পি প্রমূখ।
    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরা দেবহাটার খলিশাখালীতে ভূমিহীনদের উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হয়েছে।  তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অবিলম্বে ১৩২০ বিঘা খাস জমি সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভূমিহীনদের পুণর্বাসন করতে হবে।
    এ সময় বক্তার আরো বলেন, অবিলম্বে এই রায় বাস্তবায়ন না হলে ঈদের পরে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
    মানববন্ধন শেষে একটি রেলি শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কের সামনে থেকে বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
    পরে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন ভূমিহীন নেতারা।
  • দেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী

    দেশে পৌঁছেছেন হামজা চৌধুরী

    বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন। আজ (সোমবার) সকাল পৌনে এগারোটায় সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন ইংলিশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ খেলা এই ফুটবলার। গতকাল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত দু’টায় বাংলাদেশ বিমানের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট ফ্লাইটে রওনা হয়েছিলেন হামজা।

    হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে এয়ারপোর্টে বাফুফের ৭ জন নির্বাহী সদস্য রয়েছেন। গতকাল চার সদস্যের (শাহীন, হিল্টন,গাউস ও ইকবাল) সঙ্গে আজ যোগ দিয়েছেন আরও তিন সদস্য রুপু, সবুজ ও মঞ্জু। ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করার পরপরই হামজাকে বরণ করে নেবেন বাফুফে কর্তারা। তাদের সাথে রয়েছেন হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী।

    হামজাকে স্বচক্ষে এক নজর দেখার জন্য সিলেট এয়ারপোর্টের বাইরে অনেক সমর্থকের ভিড়। কেউ ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, কেউ আবার খালি হাতে শুধু এক নজর দেখার জন্য। হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন এ জন্য গণমাধ্যমকর্মীরাও বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন।

    হামজা আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবারের আসাটা বিশেষ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে আসছেন তিনি। স্মরণীয় এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা।

    সিলেট বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। সেখানে আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তার আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামীকাল ঢাকায় আসতে পারেন হামজা। এরপর যোগ দেবেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে। ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই মিডফিল্ডারের।

  • সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবির ও এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহসহ ২২ জনের নামে মামলা

    সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবির ও এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহসহ ২২ জনের নামে মামলা

    সাতক্ষীরা তলায় বিএনপি নেতা বিপ্লব কবিরকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও সাতক্ষীরায় ১ আসনের সাবেক এমপি এড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ সহ ২২ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই তালা উপজেলার দোহার গ্রামের মৃত শেখ শের আলীর ছেলে মো: জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রোববার (১৬ মার্চ) সাতক্ষীরা আমলী আদালত ৩ এ এই মামলা দায়ের করেন।

    আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মহিদুল হাসান বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আদালতকে জ্ঞাত করার জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার অন্য আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক ওসি একেএম আজমল হুদা, ডিবি পুলিশের কনষ্টেবল হাসিবুর রহমান, ফারুক চৌধুরি, রাসেল মাহমুদ, শিকদার মনিরুজ্জামান, তালা থানার সাবেক ওসি আবু বকর সিদ্দিক, এসআই আকরাম হোসেন, এএসআই গোলাম সরোয়ার, জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি, মাঝিয়াড়া গ্রামের যুবলীগ নেতা শেখ আবু জাফর, দোহার গ্রামের যুবলীগ নেতা শাহিন শেখ, জালালপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমিরুল শেখ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রুহুল আমিন শেখ মিন্টু, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ আমজাদ আলী, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল সরদার, যুব লীগ নেতা আক্তারুল সরদার, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির নেতা মহিবুল্লাহ মোড়ল, উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শেখ আনারুল ইসলাম ও জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রাম প্রসাদ দাশ।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, তালা শালিখা ডিগ্রী কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বিএনপি নেতা বিপ্লব কবিরের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আসামীরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে বিপ্লব বিষয়টি জানতে পেরে তিনি রাতে নিজ বাড়িতে না থেকে জনৈক ছবেদ আলী মোড়লের বাড়িতে লুকিয়ে থাকতেন। আসামীরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই রাত ১২ টার দিকে উক্ত আসামীরা তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘবদ্ধ হয়ে ছবেদ আলী মোড়লের বাড়ি ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তারা ছবেদ আলীর বাড়ি থেকে বিএনপি নেতা বিপ্লবকে ধরে নিয়ে যায়। পরে আসামিরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। পরদিন সকালে পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

    পুলিশ মামলার বাদিসহ পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় তারা সে সময় মামলা করতে সাহস পায়নি। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর মামলা করার পরিবেশ সৃষ্টি হয় তিনি রোববার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

    বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. আবু সাঈদ রাজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৩ মার্চের মধ্যে বাদীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে আদালতকে জ্ঞাত করার জন্য তালা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

  • ওদের সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না : মির্জা আব্বাস

    ওদের সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না : মির্জা আব্বাস

    বিশেষ কিছু দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য সংস্কার কাজ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘ওদের হাতের, ওদের কলমের কোনো সংস্কার আমরা সহজে মেনে নেব না। সংস্কার যদি করেন, আমরা কারেকশন করব। বিএনপি সেই কারেকশন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলেমিশে ঠিক করে তা জাতির কাছে তুলে ধরবে। ওই সমস্ত তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, যারা এ দেশের নাগরিক পর্যন্ত নয়, তাদের দিয়ে আপনারা সংস্কার করবেন, এটা আমরা মেনে নেব না।’

    রোববার বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাখা আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ সব কথা বলেন। মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা চাই, নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার দরকার, ততটুকু করে নির্বাচন দিন। নিবার্চনের পর যে–ই ক্ষমতায় আসুক, তাকে আমরা সালাম দিয়ে মেনে নেব। কোনো অনির্বাচিত সরকারের, ব্যক্তির কোনো কথা আমরা মেনে নেব না।’

    নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সংশয়, সন্দেহ আছে দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বহু কথা শুনেছি, কেউ বলছে নির্বাচন হবে, কেউ বলছে হবে না। আমরা কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাই না। আমরা বিশ্বাস রাখতে চাই, ড. ইউনূস যে কথা বলেছেন তাঁর কথা রাখবেন। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে একটা নির্বাচন পাব। আমরা দেখছি, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একদল লোক বোকা পেয়েছে, যা খুশি বলে যাচ্ছে, করে যাচ্ছে। ওই লোকগুলো, যারা সংবিধান নতুন করে লিখতে চায়।’

    সংস্কার একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনারা নির্বাচনী সংস্কার করুন। বাকি সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে।’

    বিনা ভোটে দেশের মানুষকে পরিচালনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘কয়েকজন তথাকথিত বুদ্ধিজীবীর পরামর্শে দয়া করে অশান্তির দিকে ঠেলে দেবেন না। আমরা শান্তি চাই। এ দেশের মানুষ বহু জেলজুলুম সহ্য করেছে। আমরাও বহু জেল খেটেছি। আর জেল খাটতে চাই না। দেশটাতে বহু বছর পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দেশের মানুষের কষ্টে শান্তি এসেছে। দয়া করে দেশটাকে অশান্তির দিকে ঠেলে দেবেন না।

  • চীনের উত্থান ভারতের নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে

    চীনের উত্থান ভারতের নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে

    প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে চীনের উত্থান ভারতের গ্লোবাল সাউথের নেতা হওয়ার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

    তার মতে, ভবিষ্যতের শক্তি কেন্দ্র হিসেবে আফ্রিকার সম্ভাবনার দিকে নজর দেওয়া উচিত ভারতের। ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে রোববার (১৬ মার্চ) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    দিল্লিতে চতুর্থ জেনারেল বিপিন রাওয়াত স্মারক বক্তৃতায় জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “চীনের প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও কৌশলগত শক্তি হিসেবে উত্থান জটিলতা বৃদ্ধি করছে, প্রতিযোগিতা তৈরি করছে এবং গ্লোবাল সাউথের স্বাভাবিক নেতা হওয়ার পথে ভারতের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছে।”

    ভারতীয় এই সেনাপ্রধান গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারত যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলোও তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিবর্তন এবং সম্পদ নিয়ন্ত্রণের প্রতিযোগিতার সাথে সাথে আমাদের ভবিষ্যতের শক্তি কেন্দ্র হিসাবে আফ্রিকার সম্ভাবনাগুলো দেখতে হবে… ভূগোল, জনসংখ্যা, গণতন্ত্র, সমৃদ্ধি, সফট পাওয়ার এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির কারণে ভারতের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ থাকবে… বৃহত্তম জনসংখ্যা, বৃহত্তম গণতন্ত্র, সপ্তম বৃহত্তম ভূখণ্ড এবং ভূ-কৌশলগত অবস্থান থাকা সত্ত্বেও ভারত তুলনামূলকভাবে নিম্ন বৈশ্বিক অবস্থানে রয়ে গেছে।”

    জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “আমাদের বারবার অবরুদ্ধ করা হয়েছে, যার ফলে আমাদের সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা খুব কম। এমনকি ব্রিকসও বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে… শক্তিশালী মার্কিন ডলারকে উল্টে দেওয়ার জন্য এর কথিত প্রচেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে প্রকাশ্যেই ধাক্কা খেয়েছে। এর আলোকে আমাদের এসসিও (সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা) ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।”

    তিনি জাতীয় নিরাপত্তায় উদীয়মান প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রতিরোধের নতুন রেওয়াজ হয়ে উঠেছে এবং বাণিজ্য ও নিরাপত্তার নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে তথ্য।

    জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “নিরাপত্তা হলো যুদ্ধ পরিচালনা এবং যুদ্ধ প্রতিরোধের স্বাস্থ্যকর ক্ষমতা। স্বাস্থ্যকর সামরিক-বেসামরিক সমন্বয়, আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্প ভিত্তি, জাতীয় পর্যায়ে দ্বৈত-ব্যবহারের সম্পদ, সময় কাঠামোর সু-জ্ঞাত এবং ক্ষমতাপ্রাপ্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী এবং নাগরিক যোদ্ধাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”

    ভারতীয় এই সেনাপ্রধান গ্লোবাল সাউথের অংশীদারদের সাথে ভারতের সমন্বয়ের গুরুত্ব সম্পর্কেও কথা বলেন।

    জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কার আনুন যাতে গ্লোবাল সাউথের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত হবে। আলোচক বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সংঘাত নিরসনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করুন। মানবিক কারণে বিশ্বজুড়ে ভারতীয় প্রবাসীদের ইতিবাচক শক্তিকে কাজে লাগান। বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন, গ্লোবাল সাউথের উত্থানকে সক্ষম করুন, উন্নত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য দরিদ্রদের সাথে অতিরিক্ত সম্পদ ভাগাভাগি করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিন।”

    তিনি আরও বলেন, “শান্তিরক্ষা অভিযানের নেতৃত্ব দিন, যতক্ষণ সম্ভব প্রতিরোধমূলক উদ্দেশ্যে পারমাণবিক অস্ত্রকে রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে সমর্থন করুন, উত্তর-পূর্ব ভারতে বামপন্থি চরমপন্থার বিরুদ্ধে ও জম্মু-কাশ্মিরে জিডব্লিউওটি (সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ) পরিচালনা করুন; আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে চাই যে— ভারতীয় সেনাবাহিনী জাতির সাথে একত্রিত এবং সংহত থাকবে।”

  • আছিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের মহিলা বিভাগের মানববন্ধন

    আছিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরা জামায়াতের মহিলা বিভাগের মানববন্ধন

    মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে বিচার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা মহিলা বিভাগের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১৭ মার্চ সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে ‘বেঁচে থাকা ও নিরাপত্তার অধিকার দাও’, ‘ধর্ষকদের প্রকাশ্য জনসম্মুখে ফাঁসি চাই, দিতে হবে’, ‘ধর্ষণ মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি কর, করতে হবে’, ‘ধর্ষণ মানলায় জামিন বিধান বাতিল কর, করত হবে’, ‘ধর্ষণ মামলায় এক বিধান, এক শাস্তি; ধর্ষককে ফাঁসি চাই, দিতে হবে’— এসব শ্লোগানে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।

    এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারী ও কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য গুলশান আরা বলেন, আছিয়া হত্যার মামলার রায় দ্রুত সময়ের মধ্যে দিতে হবে এবং আসামীদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। সকল ধর্ষককে ফাঁসি দিতে হবে। ধর্মহীনতার চর্চা এবং নৈতিকতাহীন শিক্ষা মূল্যবোধের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী, ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে জনগণকে উজ্জীবিত করতে হবে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতা পরিহার করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধর্ষণ মামলায় কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করে শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডের (ফাঁসি) বিধান করতে হবে।

    তিনি আরও বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলা নিষ্পত্তি করার এবং জামিন বিধান বাতিল করার যে ঘোষণা দিয়েছে আমরা এই ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই। শিশু আছিয়াকে শুধু ধর্ষণ করা হয়নি হত্যাও করা হয়েছে।

    এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য জয়নাব পারভীন ও সহকারী সেক্রেটারী জয়নব তাহেরা।

    এছাড়াও মানববন্ধনে জামায়াতের কয়েকশ নারী কমীর্ উপস্থিত ছিলেন।

  • সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

    সাত কলেজ নিয়ে হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’

    রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে এর কার্যক্রম পরিচালিত হবে। রোববার (১৬ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনে শিক্ষার্থীদের ৩২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম চূড়ান্ত করা হয়।

    সভা শেষে ইউজিসির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, প্রস্তাবিত নামগুলোর মধ্য থেকে সাত কলেজের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সেখান থেকে উপদেষ্টা পরিষদে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে এর অধ্যাদেশ জারি করা হবে।

    এই সাত সরকারি কলেজ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

    শিক্ষার মানোন্নয়ন, সময়োপযোগী শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়ণসহ নানা বিষয় সামনে রেখে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তবে পরবর্তী সময়ে এসব কলেজ পরিচালনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও অদূরদর্শিতার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবর মাসে মাঠে নামেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা

    তারা দাবি জানান, সাত কলেজকে নিয়ে আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের। দীর্ঘ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পরে সরকারের পক্ষ থেকে ডিসেম্বর মাসে গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি। ওই কমিটির সদস্যরা দীর্ঘ ৩ মাসের বেশি সময় ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই, ক্যাম্পাস পরিদর্শন, সম্মানজনক পৃথকীকরণের রূপরেখা প্রণয়ন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন কাজ করেছেন।

    গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করে ইউজিসি।

    আজ ইউজিসির ডাকা মতবিনিময় সভা থেকেই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

  • আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংসের জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে- লিটন

    আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংসের জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে- লিটন

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধংসের জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না পেয়ে এখন আমার লীজ নেওয়া সম্পত্তি অন্য সম্পত্তি বলে চালিয়ে দিয়ে আমাকে দখলবাজ সাজানোর নাটক মঞ্চস্থ করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নূরে আলম সারোয়ার লিটন এসব কথা বলেন।
    লিটন তার বক্তব্য লিখিত আকারে তুলে ধরে বলেন, আশাশুনি উপজেলার সববদলপুর মৌজার ০১ নম্বর খতিয়ানের ৬৪৬ নম্বর দাগের ৩৯ শতক জমি সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে একসনা ইজারা ৭৩১/ ১৪৩১ কেস মূলে প্রাপ্ত হয়ে বাঁধ ও নেটের বেড়া দিয়ে ভোগ দখলীকার থাকা অবস্থায় আমার বিরুদ্ধে শিবনাথ সরকারগং বাদি হয়ে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার সরেজমিনে তদন্তভার আদালত কর্তৃক আশাশুনি সদর নায়েবের উপরে পাঠালে নায়েব আমাদেরকে নোটিশ করেন। নোটিশ পাওয়ার পর রাতে আধারে শিবনাথ, রঘুনাথ, বিশ্বজিৎ সহ আরও কয়েকজন মিলে রাতে তারাবী নামাজের সময় আমার নেটের বেড়া ও বাশ খুলে নিয়ে যায় বলে স্থানীয় অনেকেই আমাকে জানায়। পরদিন (১৩ মার্চ) সকালে আমি সরজমিনে গিয়ে দেখতে পাই শিবনাথ, রঘুনাথ, বিশ্বজিৎ আমার মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধ কেটে সমান করে দিচ্ছে। আমাকে দেখতে পেয়ে তারা ওখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমি আবার নেট পাঠা কিনে আমার ঘেরের সীমানা পুনরায় বেড়া দেই।
    লিটন আরো বলেন যেহেতু তারা আমার বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় মামলা করেছে। সে কারণে আমি তাদেরকে বলেছি বিষয়টি এখন আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সুতরাং আমরা উভয় পক্ষ আদালতের শরণাপূর্ণ থাকবো। আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে আমি তা মেনে নিব।
    তিনি বলেন, এই জমি সরকারি খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি সুতরাং এই জমির মালিক সরকার। এই জমি ভোগ দখল করতে গেলে অবশ্যই তাকে বন্দোবস্ত নিয়ে দখল করতে হবে। কিন্তু শিবপদদের কোন কাগজপত্র নেই তারা এই সম্পত্তি এতদিন যাবত কর-খাজনা না দিয়ে দখল করে খেয়ে এসেছে। আমি সরকারকে যথাযথ ট্যাক্স দিয়ে এই জমির বন্দোবস্ত নিয়েছি।
    লিটন আরো বলেন- আমার এবং আমার দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য একদল চক্রান্তকারী ওদেরকে উসখে দিয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।
  • সাতক্ষীরায় প্রভাবশালী কর্তৃক প্রতিবন্ধি ভ্যান চালকের জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় প্রভাবশালী কর্তৃক প্রতিবন্ধি ভ্যান চালকের জমি দখলের চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার দক্ষিন আলীপুর গ্রামে প্রভাবশালী কর্তৃক এক প্রতিবন্ধি ভ্যান চালকের জমি দেখলের পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ওই গ্রামের মৃত আকছেদ আলী মোল্যার ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি একজন অসহায় ও প্রতিবন্ধী ভ্যান চালক। আমি সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের আয়জদ্দীন সরদারের ছেলে আজিজার সরদার এবং শিবপুর গ্রামের বাকের আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম ও অহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১৯৫৬ সালের ৩৬৫০ নং কোবলা দলিল ও এস,এ খতিয়ান ১৫৮৬, ৫৪৬৩ এবং ১৯৯০ সালের প্রিন্ট পর্চা মূল্যে ১৮১৩৭, ১৮১৩৮ দাগে ২০ শতক জমি ক্রয় করি। কিন্তু মিউটেশন করার সময় ১৫.৮৭ শতক জমি আমার নামে মিউটেশন হয়। আজিজার মাস্টারের কাছ থেকে ক্রয় করা ১০ শতক জমির মধ্য থেকে ৪.১৩ শতক জমি আমি মিউটেশন করতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে আমি উক্ত জমিটি ক্রয় করি। কিন্তু আজিজার সরদার চরম বিশ্বাসঘাতকতা করে আমাকে ঠকিয়ে আমার সাথে প্রতারণা করেছে।
    শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, কোন রকমে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। অনেক কষ্ট করে সমিতি হতে লোন নিয়ে পেটের উপর বাণিজ্য করে উক্ত জমিটি ক্রয় করেছিলাম। যার লোনের টাকা এখনও শোধ করতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে শিবপুর গ্রামের আকবরের ছেলে কালাম, দক্ষিন আলীপুর গ্রামের আমিনুরের ছেলে আমজাদ হোসেন, নূর আলীর ছেলে সরোয়ার রহমান ছোট ও আমজাদের ছেলে ইমরুল আমার দলিল ও মিউটেশনকৃত জমি জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে।
    তিনি অভিযোগ করে বলেন, আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজ থেকে আমার জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং তিনি উক্ত জমিতে তাদের যেতেও নিষেধ করেছেন। কিন্তু তারা চেয়ারম্যানের কথায় কর্ণপাত না করে আমাকে হত্যার হুমকি, গুম ও মারধরের ভয় দেখিয়ে উক্ত জমি দখলের জন্য আস্ফালন করে বেড়াচ্ছে। গরীবের এই সম্পদের উপর- পরসম্পদ লোভী কালাম, আমজাদ, সরোয়ার ও ইমরুলের রক্ত চক্ষু পড়ায় আমি বর্তমানে দারুন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। তারা যে কোন সময় আমাকে জীবনে মেরে ফেলতে পারে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি।
    তিনি বলেন, আমি অনেক কষ্ট করে আমার শেষ সম্বল যেটা আমি অর্জন করেছি, সেটা যেন ভূমিদস্যুরা দখল করতে পারে না এবং দলিল অনুযায়ী তিনি যাতে প্রকৃত সম্পত্তি মিউটেশন করতে পারেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  • আবরার হত্যা মামলা : ২০ আসামিরই মৃত্যুদণ্ড বহাল

    আবরার হত্যা মামলা : ২০ আসামিরই মৃত্যুদণ্ড বহাল

    বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

    রোববার বেলা ১১টায় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রায় ঘোষণা শুরু হয়।

    বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান রায় পাঠ করে শোনান।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোর্সে‌স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) এবং এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)।

    যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামি হলেন— বুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)।

    এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়। গত বছরের অক্টোবর মাসে এ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এ উদ্যোগ নেন।

    বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার থাকতেন শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে। সেখান থেকে ডেকে নিয়ে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। রাত ৩টার দিকে হলের সিঁড়ির করিডোর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার বিচারিক আদালত।

    রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামিদের মধ্যে তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। তিন আসামি হলেন– এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মাহমুদুল জিসান ও মুজতবা রাফিদ। রায়ের পরপরই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা এবং রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) আবেদন করা হয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পর গত অক্টোবরে এই মামলায় আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্স দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়।

  • ২৫ এপ্রিল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন

    ২৫ এপ্রিল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এবং জুলাই আন্দোলন, শাপলা  চত্বর ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনটির মুখপাত্র শ রীফ উসমান বিন হাদী আজ এক ঘোষণায় জানান, আগামী ২৫ এপ্রিল, শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে “শহীদি সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হবে।

    সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের বাবা-মায়েরা, শাপলা চত্বরে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এবং পিলখানায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের সন্তানরা উপস্থিত থাকবেন।

    শরীফ উসমান বিন হাদী বলেন, “শহীদি সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হবে। এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”

    তিনি আরও বলেন, “২৫ এপ্রিলের সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”

  • ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

    ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব

    চার দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। যাওয়ার আগে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    রোববার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

    এসময় তাকে বিদায় জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান।

    এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকালে জাতিসংঘের মহাসচিব ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। জাতিসংঘ মহাসচিবের হাতে ফুল তুলে দেয় শিশুরা।

    সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (১৪ মার্চ) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন গুতেরেস। সেখানে লাখো রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতার করেন তিনি।

    এরপর সফরের তৃতীয় দিনে শনিবার (১৫ মার্চ) সকালে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম বাংলাদেশের সঙ্গে একটি বৈঠকে অংশ নেন। এরপর দুপুরে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেন তিনি। পরে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক করেন।

    এদিন বিকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পর অংশ নেন ইফতার ও আর্লি ডিনার সেশনে।

  •  সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

     সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৪ মার্চ ) শুক্রবার সাবেক যুগ্ম সচিব ফজলুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম সংলগ্ন সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র কার্যালয়ে সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন’র সভাপতি ডঃ সুশান্ত ঘোষ’ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। প্রধান অতিথির হিসেবে তার বক্তব্য বলেন, ইসলামের পরিপূর্ণ বিধান মেনে চললে আমাদের সমাজ থেকে সকল অন্যায় অপরাধ কমে আসবে। এখানে সবাই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী সকলেই অনেক সম্মানিত ব্যক্তি সমাজে আপনাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। মানুষের হক ফাঁকি দেওয়া যাবে না। কারো আমানত খেয়ানত করা যাবে না। ইনসাফের সাথে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আজ থেকে আল্লাহর কাছে তওবা করে আত্মশুদ্ধি লাভ করতে হবে। খাঁটি মানুষ হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে।
    রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে আলোচনা করেন, আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম।
    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন  সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবেদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম সচিব ফজলুর রহমান, সিনিয়র সদস্য সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ লিয়াকত পারভেজ, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল হামিদ প্রমুখ।
    সংগঠনের সদস্য মরহুম কাজী তৈয়বুর রহমান নঈম, মোঃ আব্দুস সউভানের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনেন ও তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেন, সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক কাজী আবু হেলাল।
    এসময় সকল সদস্য ও কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোঃ শহীদুর রহমান। ইফতার মাহফিলে দোওয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, ইসলামী ফাউন্ডেশনের সাবেক উপপরিচালক এটিএস মাছউদুর রহমান।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাতক্ষীরায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত 

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাতক্ষীরায় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনন এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত 

      সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    দৈনিক ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ১৫ বছরে প্রচার সংখ্যার শীর্ষস্থান ধরে রেখে  ১৬ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে
     সাতক্ষীরায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার (১৪ মার্চ) সাতক্ষীরা শহরের তুফান কোম্পানির মোড়ে হোটেল টাইগার প্লাসের কনফারেন্স রুমে বর্ণীল আয়োজনে অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়।
    ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম মনির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু।
    প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন  জেলা জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি মওলানা আজিজুর রহমান।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান, জেলা জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমির শেখ নুরুল হুদা, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুম বিল্লাহ শাহীন, পৌর জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি এড আবু তালেব, জেলা যুবদলের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এড. কামরুজ্জামান ভুট্টো, সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান,
    বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাবেক প্রধান সমন্বয়ক  ইমরান হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম  কামরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল ও  বৈশাখী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি শামীম পারভেজ, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি আবু সাঈদ, উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন, শাহীনুর রহমান শাহিন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাওন, নির্বাহী সদস্য আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি আহসান রাজীব, দৈনিক নওয়াপাড়ার জেলা প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান,দৈনিক প্রবাহের সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম, দৈনিক কালবেলার জেলা প্রতিনিধি গাজী ফারহাদ, জনবাণীর জেলা প্রতিনিধি রায়হান সিদ্দিকী, গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি রাহাত রাজা, বার্তা বাজারের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হোসেন, নিখাদ খবরের জেলা প্রতিনিধি কিশোর কুমার, রুপবানী জেলা প্রতিনিধি আবু জাফর, চ্যানেল এ ওয়ানের জেলা প্রতিনিধি মোকাররম বিল্লাহ ইমন, পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন, তালা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, তালা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম হায়দার, তালা উপজেলা কালবেলা প্রতিনিধি শাহীনুর রহমান, আমার সংবাদ সেকেন্দার আবু জাফর, জেলা ছাত্রশিবিরের মিডিয়া সম্পাদক জাহিদ হাসান, জেলা ছাত্রদল নেতা  আবু রায়হান।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনটিভির জেলা প্রতিনিধি এস এম  জুলফিকার আলী জিন্নাহ।
    জেলা জামায়াত ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল মওলানা আজিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রকাশনার শীর্ষে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে। আজ গণমাধ্যম স্বাধীনতা পেয়েছে, সাংবাদিকরা লিখতে পারছেন।
    জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিন জনপ্রিয়তার শীর্ষে এক নম্বরে অবস্থান করছে। বিগত ১৬ বছরে অনেক সংবাদ মাধ্যম সত্য প্রকাশে সংকোচবোধ করলেও বাংলাদেশ প্রতিদিন তা না করে সবসময় সত্য প্রকাশ করে গেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন ভবিষ্যতে দেশ ও দেশের উন্নয়নে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবে সেই প্রত্যাশা করি।
    জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির শেখ নুরুল হুদা বলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের ১৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদের সমৃদ্ধি কামনা করছি। স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে ইফতার করতে পেরে মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। দেশের শীর্ষ পত্রিকা বাংলাদেশ প্রতিদিন সত্য সংবাদ প্রকাশে পিছুপা হবে না সেই দোয়া করি। #
  • চলতি বছরেই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে ভারত!

    চলতি বছরেই বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসবে ভারত!

    টানা তিনটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনাল খেলেছে ভারত, এর মধ্যে দুটিতেই তারা শিরোপা উৎসব করেছে। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে স্বপ্নভঙ্গ হলেও একই ফরম্যাটে সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। সবমিলিয়ে তারা বর্তমানে সোনালী সময় পার করছে। এরই মাঝে চলতি বছরের বাকি সময়ের জন্য ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ খেলার পরিকল্পনা করেছে। তালিকায় আছে বাংলাদেশ সফরও।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ জানিয়েছে, আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) অধীনে পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ভারত ২৭টি ওয়ানডে খেলবে। এর মধ্যে চলতি বছর ৯টি এবং বাকি ১৮ ওয়ানডে হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। পরবর্তীতে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর বসবে দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়েতে। ভারত মেগা টুর্নামেন্টটির আগপর্যন্ত নিজেদের ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছে, তবে তাদের সেই এফটিপি সূচিতেও পরিবর্তন আসতে পারে।

    পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশে সফর করতে পারে রোহিত-কোহলি-বুমরাহরা। যেখানে টাইগারদের সঙ্গে তাদের ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে। যদিও সেই সিরিজের সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ ছাড়া ২০২৫ সালে আরও দুটি ওয়ানডে সিরিজ রয়েছে ভারতের। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এবং নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলবে।

    এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষেই অবসর নেওয়ার গুঞ্জন ছিল দুই ভারতীয় অভিজ্ঞ তারকা রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির। তবে সেই পথে না হাঁটায় দুজনেই তাদের ওয়ানডে ক্যারিয়ার আরও লম্বা করবেন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি শোনা যাচ্ছে রোহিত-কোহলির পরিকল্পনায় রয়েছে ২০২৭ বিশ্বকাপও। ওই বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে আফ্রিকান ভূমিতে আইসিসির এই মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে পারে। এখন থেকেই ‍টুর্নামেন্টটিকে গুরুত্ব দিয়ে ৮ দলের সঙ্গে ৩ ম্যাচের ৯টি ওয়ানডে সিরিজ খেলার পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ভারত।

    ২০২৭ বিশ্বকাপের আগে ভারত যেসব ওয়ানডে খেলতে পারে
    আগস্ট, ২০২৫ : প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ (৩ ওয়ানডে, অ্যাওয়ে)
    অক্টোবর, ২০২৫ : প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া (৩ ওয়ানডে, অ্যাওয়ে)
    নভেম্বর, ২০২৫ : প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা (৩ ওয়ানডে, হোম)
    জানুয়ারি, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড (৩ ওয়ানডে, হোম)
    জুন, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান (৩ ওয়ানডে, হোম)
    জুলাই, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড (৩ ওয়ানডে, অ্যাওয়ে)
    সেপ্টেম্বর, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৩ ওয়ানডে, হোম)
    নভেম্বর, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড (৩ ওয়ানডে, অ্যাওয়ে)
    ডিসেম্বর, ২০২৬ : প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা (৩ ওয়ানডে, হোম)

  • ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা

    ক্ষোভে ফুঁসছে মাগুরাবাসী, ধর্ষকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলো জনতা

    মাগুরায় নির্যাতনে মারা যাওয়া আট বছরের শিশুটিকে ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর করছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সাধারণ মানুষ হিটু শেখের বাড়ির সামনে এসে নানাভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

    শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় হিটু শেখের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ভাঙচুর ও পোড়া বাড়িতেই কেউ ঢিল ছুড়ছেন, দেয়াল ভাঙছেন আবার কেউবা গালাগালি করছেন। বেলা ১১টার দিকে হিটু শেখের বাড়ির আঙিনায় থাকা আম গাছসহ বিভিন্ন ফলজ প্রায় ১২টি গাছ কেটে ফেলেন স্থানীয়রা। এভাবে স্থানীয়সহ সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির প্রথম জানাজার পর বিক্ষুব্ধরা হিটু শেখের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা খবর পাওয়ার পরও সেটি নেভাতে পারেনি। তারা অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি নিয়ে রওনা দিলেও বিক্ষুব্ধরা আটকে দিলে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়।

    এ ছাড়া বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ভায়নার মোড়ে অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-মাগুরা, যশোর-মাগুরা ও ঝিনাইদহ-মাগুরা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক ও মহাসড়কজুড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    মাগুরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর পুলিশ কয়েক দফা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করলেও বিক্ষুব্ধদের প্রতিরোধের মুখে সেটি সম্ভব হয়নি। তবে গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষের জানমালের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

    প্রসঙ্গত, মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায় সে। ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

    পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে এবং এরপর শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

    ৬ মার্চ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর ৮ মার্চ শনিবার তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

    ধর্ষণের ঘটনায় মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা। এতে শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, ভাশুর ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হবে।

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব

    রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব

    রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের উদ্দেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশে সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন।

    শুক্রবার দুপুর ১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স যোগে তিনি কক্সবাজারে পৌঁছান।

    কক্সবাজার থেকে আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

    কক্সবাজার বিমানবন্দরে জাতিসংঘের মহাসচিবকে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফারুক-ই–আজম বীর প্রতীক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ও পুলিশ সুপার। এরপর কক্সবাজার শহর থেকে জাতিসংঘ মহাসচিব যান উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে। আর প্রধান উপদেষ্টা কক্সবাজার শহরের বেশকয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বিকেলে যাবেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে।

    জানা গেছে, কক্সবাজারে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও খুরুশকূল জলবায়ু উদ্বাস্তু কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উখিয়ায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।

    জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে সরাসরি উখিয়ায় যাবেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা লার্নিং সেন্টার, রোহিঙ্গাদের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।

    পরিদর্শন ও ইফতার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব একসঙ্গে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।