Author: Hasan
-

আশাশুনিতে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্ধার সরঞ্জাম বিতরণ
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্ধার সরঞ্জাম বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) বেলা ১১টায় সদর ইউনিয়ন পরিষদে বাংলাদেশ ন্যাজারীণ মিশনের বিআরসিসিএপিএসএল প্রকল্পের আয়োজনে সাইন অব হোপ ও বি এম জেড এর সহযোগীতায় আলোচনা সভা শেষে ইউনিয়ন দুর্যোগ কমিটিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে উদ্ধার সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। প্রকল্প কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প সমন্বয়কারী ফ্রান্সিস মিঠুন সরকার। ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেন।সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ শরিউতুল্লাহ , প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রভাষ কুমার মন্ডল, প্রকল্প ট্রেনিং অফিসার মাইকেল বিশ্বাস, হিসাব রক্ষক উত্তম কুমার দাস সহ ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যবৃন্দ।এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে মেগাফোন ০৫ টি, রেইন কোট ১৫ টি, লাইফ জ্যাকেট ১৫ টি, বয়া ১৫ টি, রেডিও ০২ টি, ফ্লাশ লাইট ০৫ টি, টর্চ লাইট ০৫ টি, ফাস্ট এইড বক্স কিট সহ ০১ সেট, স্টিল বাঁশি ০৫ টি, (দা-কুড়াল, শাবল, করাত, কোদাল) ১ সেট, স্টিল ট্রাংক ০১ টি ০২ টি তালাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়। রেজিষ্টারে স্বাক্ষর প্রদান করে দুর্যোগকালীন সময়ে কমিটির সদস্যরা উদ্ধার সরঞ্জাম গ্রহন করবে এবং ব্যবহার শেষে রেজিষ্টারে স্বাক্ষর পূর্বক পরিষদে জমা দেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। -

একনেক সভায় ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ ৮ হাজার ১৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ১২টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে।
একনেকের চেয়ারপারসন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
অনুমোদিত ১২টি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন, চারটি সংশোধিত এবং ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বৃদ্ধির দুইটি প্রকল্প রয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আজকের সভায় অনুমোদিত ১২টি প্রকল্প হলো- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ (২য় সংশোধিত ৪র্থ বার বৃদ্ধি) প্রকল্প। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রকল্প (১) ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ২০টি (১২টি নতুন ও আটটি ফায়ার স্টেশন পুনঃনির্মাণ) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ষ্টেশন স্থাপন’ এবং (২) ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য লজিস্টিকস ও ফ্রিট মেইনটেন্যান্স ফ্যাসিলিটিস গড়ে তোলা (প্রস্তাবিত ২য় সংশোধিন)। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুইটি প্রকল্প, (১) ‘গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্প’ এবং (২) ‘বহদ্দারহাট বাড়াইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন’ (৩য় সংশোধিন) প্রকল্প। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি’র অফিসার্স মেস ও বিওকিউ নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন’ প্রকল্প। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ (২য় পর্যায়)’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প, ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ’ (১ম সংশোধিত ৪র্থ বার বৃদ্ধি)। কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি ‘কন্দাল ফসল গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প ‘স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটারিং প্রজেক্ট ইন ডিস্ট্রিবিউশন জোনস অফ বিপিডিবি (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
আজকের সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা কর্তৃক ইতোমধ্যে অনুমোদিত ১৮টি প্রকল্প সম্পর্কে একনেক সদস্যদের অবহিত করা হয়। সেগুলো হলো- ১. গ্রাম সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), ২. ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৩. পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, ৪. ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প, ৫. হাতি সংরক্ষণ প্রকল্প, ৬. বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (৩য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত), ৭. বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত), ৮. গাজীপুর সাফারী পার্কের অত্যাবশ্যকীয় ব্যবস্থাপনা সহায়ক প্রকল্প, ৯. যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (২য় সংশোধিত), ১০. জিএনএসএস করস এর নেটওয়ার্ক পরিধি সম্প্রসারণ এবং টাইডাল স্টেশন আধুনিকীকরণ (২য় সংশোধিত), ১১. ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৪৩ নং ওয়ার্ডের ৩০০ ফুট পূর্বাচল সড়ক সংলগ্ন তলনা এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, ১২. রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত), ১৩. আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অস্ত্রাগার (১ম পর্যায়ে ৪০টি) নির্মাণ (২য় সংশোধিত), ১৪. চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ নৌবাহিনী ডকইয়ার্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো উন্নয়ন ও বর্ধিতকরণ, ১৫. ফেনী পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত), ১৬. জামালপুর জেলা কারাগার পুনঃনির্মাণ (১ম সংশোধিত), ১৭. শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন (২য় সংশোধিত), ১৮. দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এর অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং প্রকল্পের ২টি নাম পরিবর্তন ১. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামন নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) এর পরিবর্তে নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন (২য় সংশোধিত) ২. মুজিবনগর সেচ উন্নয়ন প্রকল্প (২য় সংশোধিত) এর পরিবর্তে কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় সেচ উন্নয়ন প্রকল্প।
-

জুলাই মাসের প্রথম ২৬ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩.৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, জুলাই মাসের প্রথম ২৬ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে ২৩.৯৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ৯৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।গত বছরের একই সময়ে, দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ১ হাজার ৫৫৯ মিলিয়ন ডলার।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পরিমাণ।
পূর্ববর্তী অর্থবছরে (অর্থবছর ২০২৩-২৪) প্রাপ্ত ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় রেমিটেন্স প্রবাহ ২৬.৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
-

জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি: আলী রীয়াজ
বহুল কাঙ্ক্ষিত জুলাই সনদের প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে।
এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ।
আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৯ তম বৈঠকের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন ইতোমধ্যে একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে এবং বিবেচনার জন্য আগামীকালের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলের কাছে একটি করে খসড়া প্রেরণ করা হবে। সেটি নিয়ে আপনারা নিজেদের রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করার মাধ্যমে আমাদেরকে মতামত জানালে সেগুলো এতে সন্নিবেশিত করা হবে।’
এ সময় তিনি জানান যে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বড় ধরনের কোন মৌলিক আপত্তির বিষয় উত্থাপিত না হলে সেটি নিয়ে বৈঠকে আর আলোচনা করা হবে না।
তিনি জানান, সকলের মতামত পাওয়ার পর সেগুলোকে সন্নিবেশিত করে চূড়ান্ত জুলাই সনদের পটভূমি, প্রাথমিক বক্তব্য সমূহ, অঙ্গীকার এবং প্রক্রিয়ার বিষয় বস্তুগুলো অন্তর্ভুক্ত করে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে তুলে ধরা হবে।
সময়ের স্বল্পতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি সকলকে বলেন, আমাদের আলোচনা যে কোনোভাবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। আলোচনা শেষ করার মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শেষ করার পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হতে চাই। এক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, ১০টি বিষয়ে আমরা একধরনের ঐকমত্যে পৌঁছেছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে নোট অফ ডিসেন্ট আছে এবং সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু তা অসমাপ্ত রয়েছে। এবং তিনটি বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন আলোচনা হয়নি।
আজকের আলোচ্য সূচীতে পূর্বের আলোচিত দুটি অসমাপ্ত বিষয় ও পাশাপাশি একটি নতুন বিষয়কে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাবে আলোচনা করতে চাই, যেন প্রক্রিয়াটাকে নিয়ে সমাপ্তির দিকে অগ্রসর হতে পারি।
উল্লেখ্য, আজকের বৈঠকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের প্রস্তাব, পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ‘স্বাধীন পুলিশ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।
এ আলোচনায় কমিশনের সদস্য হিসেবে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত রয়েছেন।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ দ্রুত প্রণয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত সকল বিষয়ে ঐকমত্য গড়তে আগামী কিছুদিন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা চলমান থাকবে।
-

ধুমঘাটে হাঁসার খাল উন্মুক্তের দাবিতে এলাকাবাসীর আন্দোলন
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুমঘাট গ্রামের বাসিন্দারা হাঁসার খাল উন্মুক্ত করার দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে খালটি ইজারার আওতায় থাকায় তারা ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয়দের দাবি, খালটি ইজারার পর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় কৃষিকাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে রোপা আমনের মৌসুমে অতিবৃষ্টিতে পানি জমে ধানগাছ পচে যায়, ফলে ফসলহানি ঘটে এবং কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন।এছাড়া খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ এবং নেট-পাটা বসিয়ে পানি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। সাধারণ মানুষ হাঁস পালন, গবাদি পশু ধোয়া বা খালে নামার সুযোগ পাচ্ছেন না। কেউ নামলে তাকে ‘চুরি’ কিংবা ‘অনধিকার প্রবেশ’-এর অভিযোগে হেনস্তা করা হয়।মৎস্যচাষিরাও জানান, অতিবৃষ্টির সময়ে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় মাছের ঘের ডুবে গিয়ে তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। খালের পাশে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বেড়া দিয়ে সবজি চাষ করায় পথচলতেও বিঘ্ন ঘটছে। অভিযোগ করলে সাধারণ মানুষকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখানো হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার টাকায় খালটি ইজারা নিয়ে ৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় তা হস্তান্তর করা হয়েছে। এর পেছনে প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশ রয়েছে বলে দাবি তাদের। প্রতিবাদ করলেই হুমকি-ধমকির শিকার হতে হয়।এই ইস্যুতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এলাকাবাসীর পক্ষ নিয়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইজুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শ্যামল কুমার মন্ডল এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাল উন্মুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছেন।ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তাদের দাবি, খালটি উন্মুক্ত ঘোষণা করে দ্রুত কালভার্ট নির্মাণের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হোক।আন্দোলনকারীদের স্লোগান— “স্বাধীন দেশে শাসন নয়, চাই স্বাধীনতা। হাঁসার খাল জনগণের, এটা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দিন।” -

৮ দফা প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে সাতক্ষীরার ডিসির কাছে সাংবাদিকদের আবেদন
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট চলমান দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা নিরসনে সাংবাদিকদের ৮দফা প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে সাতক্ষীরার ডিসি’র কাছে এক আবেদন করা হয়েছে। রবিবার (২৭ জুলাই ২০২৫) দুপুরে ডিসি’র অনুপস্থিতিতে তার সিও শহিদুল ইসলামের কাছে বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রাক্তন সাংবাদিক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন ও প্রাক্তন সদস্যদের পক্ষে সাপ্তাহিক সূর্যের আলো পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মোঃ মুনসুর রহমান এ আবেদন জমা দিয়েছেন। এতে সাংবাদিকদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকার প্রাক্তন জেলা প্রতিনিধি পল্টু বাসার, দৈনিক মনিংসান পত্রিকার প্রাক্তন জেলা প্রতিনিধি পবিত্র মোহন দাশ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের প্রাক্তন সদস্য ও দৈনিক মিল্লাত পত্রিকার প্রাক্তন জেলা প্রতিনিধি মোঃ আলি হোসেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য বদিউজ্জামান, মোঃ আশরাফুল ইসলাম (খোকন), এসএম মাহিদার রহমান, জহুরুল কবীর, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য দৈনিক সাতক্ষীরার সকালের সাহিত্য সম্পাদক শেখ সিদ্দিকুর রহমান, দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শেখ রেজাউল ইসলাম (বাবলু)। এছাড়াও স্বাক্ষর করেছেন দৈনিক সাতনদী পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রুবেল হোসেন, দৈনিক হৃদয় বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার প্রাক্তন স্টাফ রিপোর্টার মোঃ হাসানুজ্জামান, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার প্রাক্তন শহর প্রতিবেদক অরুণ বিশ^াস, সাপ্তাহিক অভিযোগ পত্রিকার প্রাক্তন সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ বায়েজীদ হাসান প্রমূখ।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসকের সিও শহিদুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ স্যার অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকায় আবেদনটি রিসিভ করেছি। স্যার অফিসে আসলে স্বাক্ষর পরবর্তী আবেদনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আবেদন সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সংগঠন ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’। যা পেশাদার সাংবাদিকদের দ্বিতীয় গৃহ হলেও বিগতদিনে সংগঠনটি অপেশাদার সাংবাদিকদের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছিল। তবে তাদের অধিকাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ, সর্বসময়ে সরকারি-বেসরকারি সকল পর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে তারা। এতে অন্যান্য পেশাদার সাংবাদিকরা বরাবরই বঞ্চিত থেকেছে।
২০০০ সালের পর থেকে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন নামে পত্রিকা প্রকাশিত হতে থাকে। সেমতে জেলায় বাড়তে থাকে সাংবাদিকের সংখ্যাও। তবে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রমতে ওইসব সাংবাদিকরা সংগঠনে সদস্যর্ভুক্ত হতে পারেনি; তাই বাড়তে থাকে সাংবাদিকদের মধ্যকার ক্ষোভ ও অভিমান। সেই থেকেই প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের উপর কয়েকবার ভাড়াটে বহিরাগতদের দ্বারা হামলা-মামলার উদ্ভব ঘটে। ইতোপূর্বে সংগঠনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা ঐ সাংবাদিকদের সাথে কিছু সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট চলমান দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেই পরিস্থিতি বিগতদিনে কয়েকবার জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় মিমাংসাও হয়েছিল।
তবে পরের বছরও একই অবস্থা তৈরি করে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এমনকি ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারী সগঠনের বাপী-সুজন কমিটি পরিষদের এক সভায় নতুন ১৩জনকে সদস্য পদ প্রদান করেন। তাদেরকে সংগঠনের সম্পাদক স্বাক্ষরিত সদস্যপদ প্রদানের চিঠিও দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১০ জনের সসদস্যপদ পরে একটি সভা করে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন ওই পরিষদ নেতৃবৃৃন্দ। তাই নতুন সদস্যপদ প্রদানের পর কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে কাজী নাসির উদ্দীন দিং বাদী হয়ে আব্দুল গফুর সরদার দিং কে বিবাদী করে সিনিয়র সহকারী জজ, সাতক্ষীরা সদর, সাতক্ষীরা আদালতে একটি দায়ের করেন। যার নং-দেওয়ীনী-২০৩/২২। ওই মামলা বাদীপক্ষ রায় পেয়েছিলো। সেই সময়ে ঐ রায়ের বিরুদ্ধে খন্দকার আনিছুর রহমান সহ অন্য একজন বাদী হয়ে কাজী নাসির উদ্দীন সহ অন্য ২ জনকে বিবাদী করে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি আপিল মামলা দায়ের করেন। যার নং-মিস আপিল-২৯/২০২২। সেই মামলায়ও বিবাদীপক্ষ রায় পেয়েছিলো। তবে তা ভায়োলেট করে ঐ ১০জনকে সদস্যপদ না দিয়ে সংগঠনের তৎকালীন সভাপতি মোমতাজ আহমেদ বাপী বাদী হয়ে কাজ নাসির উদ্দীনসহ ২জনকে বিবাদী করে উচ্চ আদালতের সিভি ডিভিশনে একটি আবেদন করেন। যার নং-৩৪১৭/২০২২। সেই আবেদন শুনানীন্তে বিচারক নিম্ম আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও উপরিউক্ত ঘটনায় আদালতের মামলা চলমান রয়েছে। এরপূর্বে দেওয়া আদালতের রায় না মেনে ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ বিধ্বংসী কর্মকান্ডে মেতে উঠেছিলো ওই সাংবাদিক সিন্ডিকেটের নেতৃবৃন্দ। এবং প্রত্যেক বছর কতিপয় সিনিয়র সদস্যদের ইন্ধনে অবৈধভাবে সংগঠনের কমিটি পাল্টা কমিটি তৈরি হয়। ওই কমিটির নেতৃবৃন্দ নতুন নতুন পত্রিকার সাংবাদিকদের সংগঠনে সদস্যর্ভুক্ত করেন। তবে তাদের ঐক্যমত হলে নতুনদের প্রদানকৃত সদস্যপদ স্থগিত করে বারংবার সাংবাদিকদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো। আবারও তারা একই ষড়যন্ত্র লিপ্ত।
সম্প্রতি ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ ঘিরে সাংবাদিকরা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এতে সংগঠনের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার সৃষ্ট বিভেদ নতুন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত। এরই জেরে সকল পেশাদার-অপেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজমান। সেটিকে পুঁজি করে উভয় গ্রুপের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ নতুন নতুন পত্রিকার পেশাদার-অপেশাদার সাংবাদিকদের প্রেসক্লাবে সদস্যপদ প্রদান করেছেন। এরমধ্যে কাশেম-আসাদ গ্রুপে ৭৫ জন ও আবু সাঈদ-আব্দুল বারী গ্রুপে ৩৬ জন রয়েছে। তবে উভয় গ্রুপ যে সভা, সমাবেশ ও আন্দোলন করছে, সেখানে সংগঠনের পুরানো সদস্যদের টানতে ব্যর্থ তারা। সেজন্য নতুন সদস্যদের নিয়ে উভয় গ্রুপের সদস্য সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবের সংকট নিরসনে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশই সার্বক্ষণিক সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত নহে, অনেকে কপি বা সিসি সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করে। এছাড়াও রয়েছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, ব¬াকমেইলার, নারী-লিপ্সু, ধর্ষণ চেষ্টাকারী, দালাল ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নামধারী সাংবাদিক। তাদেরকে বাদ দিয়ে মূলত পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠনে যুক্ত করার দাবি করেন সাংবাদিকবৃন্দ।
আবেদন সূত্রে আরও জানা গেছে, সরকার নিবন্ধিত দেশের পাশাপাশি জেলা থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকার প্রায় ৭’শতাধিক সাংবাদিক রয়েছে যারা সম্পাদক কর্তৃক পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র প্রাপ্ত। তবে বিগত দিনে ‘সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব’ এর নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ তাদের মধ্যে পেশাদার সাংবাদিকদের সদস্যর্ভুক্ত করেনি, তাই পৃথক পৃথক নামে সাংবাদিক সংগঠন গড়ে তোলেন তারা। যার সংখ্যা বর্তমানে ৮১ এর অধিক। সেপ্রেক্ষিতে প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকরা বিভাজন ভুলে ঐক্যবদ্ধ হলে এরই ছায়াতলে উপরিউক্ত সংগঠনগুলোর মধ্যকার পেশাদার সদস্য সাংবাদিকরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে একীভূত হওয়ার সুযোগ পেতো, বন্ধ হতো সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি ও হয়রানি। গড়ে উঠতো জেলাব্যাপী একটি শক্তিশালী সাংবাদিক নেটওয়ার্ক। তবে নেতৃত্ব থাকা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ বিগতদিনেও তা করেনি। তাদের মধ্যে অধিকাংশ সাংবাদিক পক্ষপাতমূলত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করেছেন। সেমতে অতিদ্রুত উভয় গ্রুপের সাংবাদিকদের ঐক্যমতের ভিক্তিতে সংগঠনের সদস্যপদ হালনাগাদ করে একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।
কার্যতঃ বিগতদিনে উভয় গ্রুপের সাংবাদিক নেতারা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র মেনে চলেনি। সেজন্য ওই গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা পরিবর্তন বা সংশোধন আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন সাংবাদিকরা। এছাড়াও গঠনতন্ত্রের কিছু ধারা জেলার বর্তমান পরিস্থিতি ও সাংবাদিকদের আকাক্সক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাই এগুলো সংস্কার বা সংশোধন করা প্রয়োজন। সেপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সুচিহ্নিত ৮ দফা প্রস্তাবনাসমূহঃ
(১) কন্ট্রোল কমিশন গঠনঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে একটি কন্ট্রোল কমিশন গঠন এর ধারা যুক্ত করা আবশ্যক। ওই কমিশনে জেলা প্রশাসক থাকবেন প্রধান, সদস্য থাকবে জেলা প্রশাসক মনোনীত ৬/৯জন। তারা সংগঠনের কোনো আপাদকালীন সময়ে সংকট নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণকরতঃ উভয় গ্রুপের সাংবাদিকদের সাথে আলোচনান্তে সমাধান করবেন।
(২) পেশাদার সাংবাদিকঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে এক বছরের অধিক সময় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থাকলে তারা সাধারণ সদস্যের জন্য আবেদন করতে পারবে উল্লেখ রয়েছে। তবে এই ধারা পরিবর্তন যোগ্য হইতেছে। সেক্ষেত্রে যারা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে প্রায় ৫/৮ বছর যুক্ত তাদেরকে পেশাদার সাংবাদিক হিসেবে চিহ্নিতকরতঃ সাধারণ সদস্য হিসেবে আবেদন করার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
(৩) শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়াদি যুক্ত নেই। সেমতে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয় অবশ্যই গঠনতন্ত্রে যুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে সাধারণ সদস্যদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা অনার্স/সমমান/মাস্টার্স এবং সহযোগী সদস্যদের ক্ষেত্রে এইচএসসি/সমমান নির্ধারণ করা প্রয়োজন। (বিঃদ্রঃ আগামীতে যারা সংগঠনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।)
(৪) সদস্যপদঃ গঠনতন্ত্রের ৪ ধারায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সদস্য ও সহযোগী সদস্য মোট দু’ধরণের সদস্য থাকবে উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে তিন ধরণের করা প্রয়োজন। যেমনঃ উপদেষ্টা/সম্মানীয় সদস্য, সাধারণ সদস্য ও সহযোগী সদস্য।
(৫) গঠনতন্ত্রের ৪.১ ধারা-সাধারণ সদস্য এর (ক) সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকদের সাধারণ সদস্য পদ উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে সরকার নিবন্ধিত সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক, অনলাইন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার সম্পাদকদের জন্য উপদেষ্টা/সম্মানীয় সদস্য পদ সৃষ্টি করতে হবে।
(খ) গঠনতন্ত্রে সাতক্ষীরা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক পত্রিকার সর্বোচ্চ ২ (দুই) জন বেতন উল্লেখ পূর্বক নিয়োগপত্র প্রাপ্ত সাংবাদিক সাধারণ সদস্য হতে পারবে উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে সরকার নিবন্ধিত প্রতিটি নিয়মিত প্রকাশিত দৈনিক, অনলাইন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার সম্পাদক কর্তৃক পরিচয়প্রাপ্ত বা নিয়োগপত্রধারী এর মধ্যে পেশাদার সাংবাদিকদের সাধারণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
(গ) গঠনতন্ত্রে দৈনিক পত্রিকার নিয়োগপত্র প্রাপ্ত ফটো সাংবাদিক ১ জন সাধারণ সদস্য হতে পারবে উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে সরকার নিবন্ধিত নিয়মিত প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক, অনলাইন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকার সম্পাদক কর্তৃক পরিচয়প্রাপ্ত বা নিয়োগপত্রধারী এর মধ্যে পেশাদার ফটো সাংবাদিকদের সদস্য হিসেবে যুক্ত করার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।
(ঘ) গঠনতন্ত্রে আবেদনকারীকে আবেদনের পূর্ববর্তী প্রতিমাসের ২টি করে ৬ মাসের মোট ১২টি সংবাদ যুক্ত করতে হবে তা উল্লেখ রয়েছে তা পরিবর্তন করে কপি বা সিসি সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করে না তা চিহ্নিতকরতঃ তার নিজ নামীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের কপি আবেদনকারীর আবেদনের পূর্ববর্তী প্রতিমাসের ২টি করে ৬ মাসের মোট ১২টি সংবাদ যুক্ত করার বিধান চালু করতে হবে।
(৬) সংগঠনের সদস্যপদ প্রদানে সম্পাদকদের খেয়ালীপণা বন্ধ নিশ্চিতকরণঃ গঠনতন্ত্রে উল্লেখ্য রয়েছে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকসহ ৩ জন সংগঠনের সদস্য হতে পারবে। সেপ্রেক্ষিতে বিগতদিনে সম্পাদক কর্তৃক প্রেরিত তালিকা অনুসারে সংগঠনের সদস্যপদ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক সম্পাদকের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, ভাই-বোন, চাচা ও নিকট আত্মীয় রয়েছে। যারা কখনও সাংবাদিকতা বা সংবাদ সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত ছিলো না। অতিদ্রুত তাদের পদ স্থগিতকরতঃ আগামীতে যেন এই ধরণের কাজ না করতে পারে তার বিধান যুক্ত করে সংগঠনের সদস্যপদ প্রদানে সম্পাদকদের খেয়ালীপণা বন্ধ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
(৭) নামধারী/কার্ডধারী সাংবাদিকদের দৌরত্ব বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়াঃ বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকরা তার প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সফল করতে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের নিয়োগ প্রদান করেন। এতে জেলাব্যাপী ব্যবসায়ী নামধারী/কার্ডধারী সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও রয়েছে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, ব¬াকমেইলার, নারী-লিপ্সু, ধর্ষক, ধর্ষণ চেষ্টাকারী, দালাল ও হরেক রকম সাংবাদিক। তাদের মধ্যে অনেকে কয়েকটি মোটরসাইকেল/অন্যান্য মাধ্যম যোগে বিভিন্ন জায়গায় যেয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ন্যায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের কাছে চাঁদা দাবি করছে। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্নবিদ্ধ। ওই নামধারীদের ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না তারা। সেজন্য গঠনতন্ত্রে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, ব¬াকমেইলার, নারী-লিপ্সু, ধর্ষক, ধর্ষণ চেষ্টাকারী, দালাল ও বিভিন্ন ব্যবসায়ী নামধারী সাংবাদিকরা যাতে সংগঠনের সদস্যর্ভুক্ত হতে না পারে তার বিধান যুক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে সদস্যদের ডোপটেস্ট বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও উক্ত বিষয়াদি নিয়ে স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকদের সাথে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সার্বক্ষণিক মতবিনিময় চলমান রাখা আবশ্যক।
(৮) সংগঠনের সদস্যদের নামীয় তালিকা সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণঃ সাংবাদিকতা মহান পেশা। ইতোপূর্বে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাদের অনেকে বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত নেই। এদের মধ্যে অনেকে বিগতদিনে সংগঠনের সদস্য ছিলেন। তবে নানান কারণে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ তাদের নামীয় তালিকা সংরক্ষণ করেনি। তাই তাদের নাম সংগ্রহপূর্বক সংরক্ষণ করা জরুরী প্রয়োজন।
সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। সমাজের দর্পণ। নেতৃত্বের বিরোধে বিগতদিনের ন্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের মধ্যে ঘাপটি মেরে বহিরাগত ভাড়াটিয়া এনে সাংবাদিকদের উপর হামলা-মামলার উদ্ভব ঘটাবে, একে অপরের বিরুদ্ধে বিষাদগার ছড়াবে এমনটি কাম্য নহে। সেমতে আপনি (জেলা প্রশাসক) সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিকদের মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিরসনে উপরিউক্ত সাংবাদিকদের দাবী ও প্রস্তাবনাসমূহ বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন এটা বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রাক্তন সাংবাদিক এবং সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নতুন ও প্রাক্তন সদস্যদের বিশ^াস। -

কপোতাক্ষের বেঁড়িবাঁধে ছিদ্র, লোকালয়ে ঢুকছে নদীর পানি
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ের বিল এলাকায় কপোতাক্ষ নদের বেঁড়িবাঁধে ফাঁটল দেখা দিয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুর থেকে বাঁধের ভেতর দিয়ে নদীর পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদুল ইসলাম বলেন, দুপুরের দিকে বাঁধে ফাঁটল দেখা দেয়। এরপর থেকেই পানি ধীরে ধীরে ঢুকছে জনপদে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে বাঁধ পুরোপুরি ভেঙে যেতে পারে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সঠিকভাবে বাঁধ মেরামত না করায় আজ এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড দায় এড়াতে পারে না।
বিষয়টি জানতে চাইলে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২–এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাজকিয়া বলেন, বাঁধে পানি ঢুকছে, এমন তথ্য আগে জানতাম না। আমি এখনই ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতাপনগর এলাকা ভৌগোলিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হলে প্রতি বছর বর্ষায় মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
এলাকাবাসী দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
-

সাতক্ষীরায় ধর্ষণের পর জোরপূর্বক গর্ভপাত, যুবক গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের পর জোরপূর্বক গর্ভপাত ও প্রতারণার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় সাব্বির আহমেদ (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
গ্রেপ্তার সাব্বির কালিগঞ্জের নারায়ণপুর গ্রামের মহসিন গাজীর ছেলে।তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত সাব্বিরের সঙ্গে পরিচয় হয় সেই তরুণীর। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে সাব্বির তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে।
একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাকে জোর করে উপজেলা একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করানো হয়।পরবর্তীতে ২১ জুন তাকে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা ১ জুলাই পর্যন্ত একত্রে অবস্থান করে। সেই সময়েও সাব্বির তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যায় এবং নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
পরে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় ।কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এজাহার দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে আসামি সাব্বির আহমেদকে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাকে কালিগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়।আজ শুক্রবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
-

আশাশুনির বুধহাটায় আন্তঃ শ্রেণি ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনির বুধহাটায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি আন্তঃ শ্রেণি ৪ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুল মাঠে এ খেলা উদ্বোধন করা হয়।বাহাদুরপুর ভূবন মোহন কলেজিয়েট স্কুল শাখা ইসলামী ছাত্র শিবির এর আয়োজনে উদ্বোধনীয় খেলায় নকআউট পর্বে শহীদ আবু সাঈদ ফুটবল একাদশ বনাম শহীদ মুগ্ধ ফুটবল একাদশ মুখোমুখি হয়।খেলায় শহীদ আবু সাঈদ ফুটবল একাদশ ২-১ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করে। ছাত্র শিবির কলেজ সেক্রেটারি শিহাব হোসেনের পরিচালনায় স্কুল সভাপতি নাহিদ হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আশাশুনি উত্তর থানা শাখার সভাপতি মোখলেছুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, থানা পাঠাগার সম্পাদক জুয়েল রানা। অনুষ্ঠানে থানা প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসানসহ স্থায়ীয় দায়িত্বশীলবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। -

স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
সাতক্ষীরায় ‘জুলাই বিপ্লব ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ (২য় পর্ব ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের সাতক্ষীরায় শহীদ ও আহত পরিবারসহ সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়।শুক্রবার (২৫ই জুলাই) সকালে শহীদ আসিফ চত্বরের পশ্চিম পার্শ্বে স্মার্ট মেডিকেল সেন্টারে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ মোস্তফা আল মামুন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার আয়োজনে ও স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার সাতক্ষীরার সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্মার্ট মেডিকেল সেন্টার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, পরিচালক সুমাইয়া সুলতানা, সহকারী পরিচালক মাহিনুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার সাবেক আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন, সদস্য সচিব সুহাইল মাহদীন, যুগ্ম সদস্য সচিব ওমর তাসনিম রাহাত, আহত সদস্য আলিফ আরেফিন, মোঃ রাশেদ, সহ আরও অনেকে।আয়োজকরা জানান, জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে এবং সাতক্ষীরাবাসীর জন্য মানবিক সেবা নিশ্চিত করতেই আমাদের এই উদ্যোগ। আজ আমরা সাতক্ষীরার ৫০ জন রোগীকে এই ফ্রি মেডিকেল সেবা প্রদান করা হয়। এর আগে গত ১১ জুলাই ২০২৫ প্রথম পর্বে ৫০ জন রোগীকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। -

জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হবেন না: আসিফ
জীবন-মৃত্যুর পরিস্থিতি না হলে গোপালগঞ্জে সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার (১৬ জুলাই) ফেসবুকে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি লিখেছেন, গোপালগঞ্জে কারফিউ জারি করা হয়েছে। জীবন-মৃত্যুর মতো পরিস্থিতি না হলে সাধারণ জনগণ কেউ ঘর থেকে বের হবেন না।
তিনি আরও বলেন, সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের ভেঙে দেওয়া হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।
এর আগে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় কারফিউয়ের কথা জানানো হয়। বার্তায় বলা হয়, আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালীন সময়ে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে থাকবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
-

গাড়িতে যাত্রী সেজে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে প্রতারণা ও ধর্ষণ
আশাশুনির কাকবসিয়ার বহুল আলোচিত জাহাঙ্গীর গাজী পুলিশের খাঁচায়
যাত্রীবাহি বাসে নিজের সিটের পাশের মহিলা যাত্রীর সঙ্গে ভাই বোনের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাকে বাসায় নিয়ে বিরানীর সঙ্গে চেতনানাশক খাওয়ানোর পর ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে মেয়ের জন্মদিনের কথা বলে আবারো বাসায় আসতে বাধ্য করে ধর্ষণ ও নতুন করে ভিডিও চিত্র ধারণ করার অভিযোগে পুলিশ বহুল আলোচিত প্রতারক জাহাঙ্গীর গাজীকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর গাজী(৩৪) আশাশুনি উপজেলার কাকবসিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজ গাজীর ছেলে।
ঘটনা ও মামলার বিবরনে জানা যায়, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের একটি গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক সন্তানের জননী গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীর দিন বাপের বাড়ি কালিগঞ্জের কুশুলিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে বাস যোগে শ^শুরবাড়ি যাচ্ছিল। কালিগঞ্জ বাসস্টা- থেকে বাসে ওঠার পরপরই পাশের সিটে বসা আশাশুনির কাকবসিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর গাজীর পরিচয় হয়। মোবাইলে টাকা নেই বলে ওই নারীর নগদে থাকা ২০ টাকা রিচার্জ করে নেয় জাহাঙ্গীর। পরবর্তীতে জাহাঙ্গীর মোবাইল ফোনে তার বোন মারা গেছে সে হিসেবে তাকে বোন হিসেবে সম্মান করতে শুরু করে। সেখান থেকে মোবাইলে জাাহাঙ্গীর ওই নারীর সাথে প্রায়ই কথা বলতো। একপর্যায়ে গত ৪ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে ওই নারীকে শহরের ইটাাগাছার চিত্তর মোড়ে সুন্দরবন ক্যুরিয়র সার্ভিসের পাশর্^বর্তী একটি চারতলা বাড়ির তিন তলায় ডেকে নিয়ে বিরিয়ানির সাথে চেতনানাশক খাওয়ানোর পর তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে জাহাঙ্গীর। ওই নারীর জ্ঞান ফেরার পর বিষয়টি কাউকে জানাজানি করলে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ওই ভিডিও মুছে ফেলে দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে এন গত ১০ জুন খুলনা রোডের মোড় থেকে সার্কিট হাউজ মোড়ের এক বাসায় ডেকে নিয়ে তাকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। ওই ভিডিও জাহাঙ্গীর তার বন্ধু ০১৭৬২-৬৪২১২১ নং মোবাইল ব্যবহারকারিকে দেয়। এরপর স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে তাকে বিয়ে না করলে পরিণতি ভাল হবে না বলে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হয়। ওই নারীর ছবি এডিট করে জাহাঙ্গীর কয়েক জায়গায় ছড়িয়ে দেয়।ওই নারীর স্বামী বিদেশে থাকায় সে অসহায় হয়ে পড়ে। এবার তালার শহীদ মুািক্তযোদ্ধা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা থাকলেও জাহাঙ্গীর তাকে অপহরণের হুমকি দেওয়ায় ওই নারী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ ঘটনাসহ জাহাঙ্গীরের প্রতারণার কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে গত ৬ জুলাই উত্তরাধিকার নিউজ পোর্টালে ও ৭ জুলাই দৈনিক পত্রদূতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। খবর জানতে পোরে গত ৭ জুলাই সাতক্ষীরা জজ কোর্ট থেকে নোটারী পাবলিক অ্যাড, রেজা উদ দৌলার সাক্ষর বসিয়ে একটি কৃত্রিম বিবাহের এফিডেফিট তৈরি করে জাহাঙ্গীর। এ সংক্রান্ত কাগজপত্র ওই নারীর আশাশুনির ভগ্নিপতির কাছে নিয়ে সত্য বলে প্রমাণ করতে চায় জাহাঙ্গীর। জাহাঙ্গীর উত্তরাধিকার’৭১ এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধিকে জীবন নাশের হুমকি দেয় ফেইসবুকে। এদিকে ওই নারী তার শিশু সন্তানকে নিয়ে গত ৮ জুলাই আশাশুনির ভগ্নিপতির বাড়িতে যাওয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সহযোগী কামরুল, ইয়াছিন এর সহযোগিতায় কালিবাড়ি বাজারের পাশ থেকে সন্তানসহ অপহরণ করে শহরের সার্কিট হাউজ মোড়ের সেই বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে পূর্বের ভিডিও ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে তাকে আবারো ধর্ষণ করে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এরপর তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে একটি ইজিবাইকে তুলে দেওয়া হয়। বিষয়টি কাউকে জানালে ও তার ডাকে না এলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে ওই নারী সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে একজন মানবাধিকার কর্মীর সঙ্গে পরামর্শ করে মঙ্গলবার সদর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দেয়। পুলিশ বিষয়টি বিশ^াস না করার একপর্যায়ে জাহাঙ্গীরকে ওই নারীর স্বামী মোবাইল কথা বলতে যেয়ে ব্যস্ত রাখে। এমন সময় র্যাব জাহাঙ্গীরের অবস্থান নিশ্চিত করতে তাকে ফোন দেয়। পুলিশও সার্কিট হাউজ মোড়ে ওই নারী ও তার স্বজনদের নিয়ে দরজার কড়া নাড়ে। ভিতর থেকে দরজা দিয়ে জাহাঙ্গীর তার বন্ধুদের ডেকে তাকে গ্রেপ্তার না করার চেষ্টা চালায়। থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান,মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারীর দেওয়া ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১)/৩০ ধারা তৎসহ পেনাল কোডের ৫০৬ ধারায় মামলা(জিআর-৩৬৬/২৫ সদর) রেকর্ড করা হয়। মঙ্গলবার ভিকটিম ও তার মাকে থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়। বুধবার তাকে সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়। আসামী জাহাঙ্গীরকে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আসামীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটির ডিলেট করা নগ্ন ভিডিও এবং স্থির ছবি ফিরে পাওয়ার জন্য ঢাকায় ফরেনসিক ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে। ছবি উদ্ধার হলে ধর্ষণের সঙ্গে পর্ণোগ্রাফি আইনের ধারা সংযোজন করার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, যাত্রীবাহি বাসে পরিচয়ের সূত্র ধরে ভাই সম্পর্ক পাতিয়ে কয়েক মাস আগে কালিগঞ্জের ফতেপুরের নয়ন, ও রাকিব ও তাদের পরিবারের কাছ থেকে চাকুরি দেওয়ার নাম করে ৪০ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল সেট নিয়েছে জাহাঙ্গীর। এ ছাড়া তালা উপজেলার জালালপুরের জনৈক নির্মাণ শ্রমিক বর্তমানে বঙ্গবন্ধু পেশাবিত্তিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া বেকারী শ্রমিক চয়নের কাছ থেকে মুহুরীর কার্ড করে দেওয়ার নাম করে দুই হাজার টাকা নেয় জাহাঙ্গীর।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাংÑ ১৬.০৭.২৫ ছবি আছে গ্রেপ্তারকৃত জাহাঙ্গীর গাজীর।
বিঃ দ্রঃ ধর্ষিতার নাম- সাবিত্রী রানী দাস(২০), স্বামী- রিপন দাস, গ্রাম- নুরুল্লাহপুর, থানা -তালা, পিতা খগেন্দ্র নাথ দাস, গ্রাম -জিরেনগাছা. কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা। -

জুলাই শহীদ দিবসে সাতক্ষীরার বাইপাস জিরো পয়েন্টে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট
“ছাত্র জনতার অঙ্গীকার, নিরাপদ সড়ক হোক সবার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে “জুলাই শহীদ দিবস এবং জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবস ২০২৫” উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরার বিভিন্ন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও ওভারস্পিড রোধ কল্পে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে, সচেতনতা বৃদ্ধি ও খেলাপি মোটরযান বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৬ জুলাই ‘২৫) বিকালে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে বাইপাস জিরো পয়েন্টে মোটরযানের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় ওভারস্পিড গতিতে গাড়ি চালানো ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের কারনে ৬ টি মামলার বিপরীতে ২ হাজার ৬’শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।এ সময় উক্ত মোবাইল কোর্টে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাভিল হোসেন তামিম, বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহকারী মোটরযান পরিদর্শক মোঃ ওবায়দুর রহমানসহ সঙ্গীয় ব্যাটালিয়ন আনসার ফোর্স।মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে সাতক্ষীরা বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি:) কে এম মাহবুব কবির বলেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি:) মোঃ জিয়াউর রহমানের নির্দেশনায় খুলনা বিভাগের প্রত্যেকটি সার্কেলের আওতাধীন জেলা গুলোতে ঈদ পরবর্তী সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে সড়কে চলাচলের উপর সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধারাবাহিক ভাবে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদের তত্ত্বাবধানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত রাখা হয়েছে।তিনি আরো বলেন, আমরা শুধু যানবাহনের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মামলা ও জরিমানা করছি না এর পাশাপাশি যাত্রী সাধারণ যাহাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে লক্ষ্যে সড়কে শৃঙ্খলা ও চালক পথচারীদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া যে সকল যানবাহনের কাগজ পত্র এবং চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করে নাই সে সকল যানবাহন ও চালকদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা ও অভিযান চলমান থাকবে। -

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরায় পোস্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন
সাতক্ষীরায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পোস্ট বিতরণ উদ্বোধন করা হয়েছে।বুধবার ( ১৬ জুলাই ) সকালে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পোস্টকার্ড বিতরণ করে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।এসময় বক্তব্য রাখেন , অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত হাসান খান, জেলা জামায়াতে আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) মোঃ সাইফুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা আহবায়ক আরাফাত হোসেনসহ জুলাই আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। -

আশাশুনির গজুয়াকাটি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মেঝে ১ফুট পানিতে প্লাবিত
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গজুয়াকাটি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মেঝে ১ফুট পানির নিচে তলিয়ে আছে। শ্রেণি, অফিস কক্ষ, সামনের আঙিনায় জলাবদ্ধতার কারনে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্বকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।২০১৫ সালে বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হলেও নতুন ভবন হয়নি। স্কুলের মেঝে পানিতে তলিয়ে থাকায় অফিস কক্ষের নথিপত্র, আসবাবপত্র কোন রকমে উচু জায়গায় রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা পানি কাঁদা মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করছে। ইটের দেওয়াল টিনের ছাউনি যুক্ত দুটি শেডে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। স্যানিটেশন টয়লেট নেই। বিদ্যালয়ের চারপাশে পানি আর পানি।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৪জন শিক্ষক, ৫৩জন নিয়মিত শিক্ষার্থী আছে। গজুয়াকাটি ও বড়দল ইউনিয়নের পাঁচপোতা থেকে শিশুরা এই বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে পথঘাট তলিয়ে গেছে। একমাত্র বাঁশের সাকোটিও নড়বড়ে। বিদ্যালয়ের আধুনিক ভবন নেই।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেখা রাণী জানান, ২০১৫ সালের পূর্বের জরাজীর্ন ভবন ঝুঁকিপূর্ন বিবেচনা করে উপজেলা শিক্ষা অফিস পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। পরে সরকারি ফান্ডের টাকা দিয়ে ইটের দেওয়াল ও টিনের ছাউনি যুক্ত সেমি পাকা ঘরে শ্রেণি কার্যক্রম ও অফিস চলছে। আজও নতুন ভবনের বরাদ্দ পায়নি। গরমের সময় টিনের চালে অতিরিক্ত গরম আবার বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে স্কুল প্রাঙ্গন নিচু হওয়ায় তলিয়ে যায়। আমাদের খুব সমস্যায় পড়তে হয়। আমিসহ এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান করা হোক।অভিভাবক রাহুল দেব মন্ডল জানান, বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিকের লেখাপড়া শেষ অনেকেই দেশের বিভিন্ন সেক্টরে মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছে। খাজরা ইউনিয়নের সব চেয়ে চাকুরীজীবি এই গ্রামের অথচ শিক্ষা, যোগাযোগ খাতে অবহেলার স্বীকার। বর্তমানে বিদ্যালয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের পাঠাতে সাহস পাই না। দ্রুত ভবন নির্মানের জোর দাবি জানাচ্ছি।অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত ভবন নির্মান করা হোক। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। -

আশাশুনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বদলী জনিত বিদায় সংবর্ধনা উপলক্ষে স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। আশাশুনি অফিসার্স ক্লাবে গতকাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়ের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা রাখেন, বিদায়ী অতিথি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাশেদ হোসাইন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শুভ্রাংশু শেখর দাশ, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাশ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, একাডেমীক সুপার ভাইজার হাসানুজ্জামান, সহকারী প্রোগ্রামার আক্তার ফারুক বিল্লাল, আশাশুনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিদায়ী অতিথিকে পুস্প স্তবক দিয়ে বিদায় জানান হয়। এর আগে বক্তাগণ বিদায়ী অতিথির স্মৃতি চারণ করে আলোচনা রাখেন। -

আশাশুনি টু বাঁকা ব্রীজের সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে করুন অবস্থা
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর টু বাঁকা বাজার ব্রীজের দুই প্রান্তের অবস্থা খুবই করুন ও ভয়াবহ হয়ে পড়েছে। সংযোগ সড়ক ভেঙ্গে গভীর খাদের সৃষ্টি হওয়ায় ব্রীজ পারাপারকারীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতয়াত করছে।দরগাহপুর ও বাঁকা বাজার সংযোগকারী ব্রীজটির দুই পাশে ভাঙ্গনের কারনে যানবাহন ও পথচারী ব্রীজ পারাপারে হুমকীতে রয়েছে।এখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে যেকোন সময় দুপারের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে।ভাঙ্গন সৃষ্টির প্রায় ২ মাস পর যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ব্রিজের দুই পাড়ে জিও ব্যাগ ফেলে যেনতেন ভাবে কাজ করা হয়েছিল। এলাকার মানুষ ভালভাবে কাজ করার দাবী জানালেও কর্ণপাত করা হয়নি। সরকারি অর্থ ব্যয়ে অপরিকল্পিত ও দায়সারা ভাবে দুই পাড় রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ভাঙ্গন রক্ষা করা যায়নি। ফলে ব্রীজটি নিয়ে এলাকার মানুষ চরম সংশয়ে রয়েছে। তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে এই ভেবে যে, হয়তো দ্রুতই তারা ব্রীজের যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছে। এলাকাবাসীর দাবী, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করে জনস্বার্থে, বিশেষ করে দুই জেলা খুলনা ও সাতক্ষীরাগামী মানুষের ভোগান্তি লাঘব করতে এই ব্যস্ততম সড়কের উভয় পাড় সংস্কার ও ব্রিজটির পুনঃ নির্মাণে পদক্ষেপ গ্রহন করা হোক। -

পাইকগাছায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত
খুলনার পাইকগাছায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উদ্যোগে সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ” ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন ” প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, ওসি রিয়াদ মাহমুদ, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ একরামুল হোসেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম রায়, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার। মেডিকেল অফিসার ডাঃ অর্পণ রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রাজীব কুমার গাঙ্গুলি, জাহিদুর রহমান ও সিলভী আক্তার। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় ৬ সেরা কর্মী ও প্রতিষ্ঠান কে সনদপত্র প্রদান করা হয়। সেরা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা হচ্ছে কপিলমুনি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্মিতা রাণী দাশ, সেরা পরিবার কল্যাণ সহকারী গদাইপুর ইউনিটের রোকসানারা পারভীন, সেরা পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক কপিলমুনি ইউনিয়নের জিয়াউর রহমান জিন্নাত, সেরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র কপিলমুনি, সেরা ইউনিয়ন পরিষদ কপিলমুনি ও সেরা উপজেলা পরিষদ ক্যাটাগরিতে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ।