Author: Hasan
-

ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় ছাত্রশিবিরে বিক্ষোভ মিছিল
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল কর্তৃক বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা শহর শাখা।শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডস্থ মোড় শহীদ আসিফ চত্বরে সংগঠনটিরনেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে।সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সেক্রেটারি মোঃ মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ইসলাম ছাত্রশিবিরের সা৪তক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন।প্রধান অতিথি বক্তব্যে সাতক্ষীরা শহর শাখার সভাপতি আল মামুন বলেন, ”যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পবিত্র রমজান মাসে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। চার শতাধিক ঘুমন্ত ও সেহেরীরত ফিলিস্তিনি ভাই-বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বিশ্ব মানবতার এই দুর্দিনে আমাদের সবাইকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের দায়ে নেতানিয়াহু সরকার ও ইসরায়েলকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, গাজায় শুধু মুসলমানরা আক্রান্ত হয়েছে মনে করবেন না। মূলত বিশ্ব মানবতাই আজ ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার।এটা বিশ্বমানবতার ওপর আঘাত। বিশ্বনেতাদের অবশ্যই ন্যাক্কারজনক এই হামলা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।ওআইসি সহ বিশ্ব মুসলিম নেতাদের , ইজরায়েলের সাথে যাবতীয় কূটনৈতিক ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান।উক্ত বিক্ষোভ মিছিল আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা শহর সেক্রেটারি খোরশেদ আলম, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি আবু তালেব ও আনিছুর রহমান,সাতক্ষীরা শহর শাখার অফিস সম্পাদক নূরুন্নবী, অর্থ সম্পাদক আরিফ বিল্লাহ, সাহিত্য সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। -

আ’লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না : জামায়াত আমির
পতিত আওয়ামী লীগকে আবারও রাজনীতিতে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট দিয়েছেন শেখ হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। যা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের হট টপিক। এবার এই ইস্যুতেই ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান।
শুক্রবার সকালে এক ফেসবুক পোস্টে ড. শফিকুর রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে জানিয়ে এ ব্যাপারে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর আমিরের পোস্টটি হবুহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য-
#আওয়ামী_লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না
বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
প্রিয় সম্মানিত দেশবাসী,
আল্লাহ তাআলার একান্ত মেহেরবানিতে আমরা পবিত্র রমাদানুল কারীম অতিক্রম করছি। বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাক অতিক্রম করছে।
দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবানিতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এজন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া।
এ সময় দেশেকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভিতরে এবং বাহিরে নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ২৪-এর শহিদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত এবং পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
এ সময় জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচারটাই দেখতে চায়। এর বাহিরে অন্য কিছু ভাবার কোন সুযোগ নেই।
আমরা সর্বস্তরের জনগণকে সংযত, সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
মহান আল্লাহ আমাদের ওপর রহম করুন এবং তার একান্ত সাহায্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তরণে আমাদেরকে মেহেরবানি করুন। আমীন।
এই পোস্টটি দেওয়ার পর কমেন্ট বক্সে একটি মন্তব্যও করেছেন তিনি। যেখানে তিনি লিখেছেন, আওয়ামী লীগের চ্যাপ্টার ৩৬ জুলাই ক্লোজড হয়ে গিয়েছে। নতুন করে ওপেন করার কোনই অবকাশ নেই।
-

আ. লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে : হাসনাত
ভারতের পরিকল্পনায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছে জানিয়ে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাথে কোন ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না। আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিভাইড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন হাসনাত।পাঠকদের জন্য হাসনাত আব্দুল্লাহর সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
‘‘১১ই মার্চ, সময় দুপুর ২:৩০।
কিছুদিন আগে আমি আপনাদের বলেছিলাম যে, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন, তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
আমিসহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০ এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়- ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে – তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা না-কি ভালো। ফলশ্রুতিতে আপনি দেখবেন গত দুইদিন মিডিয়াতে আওয়ামীলীগের পক্ষে একাধিক রাজনীতিবিদ বয়ান দেওয়া শুরু করেছে।
আমাদেরকে আরো বলা হয়-রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ যাদের দিয়ে করা হবে, তারা এপ্রিল-মে থেকে শেখ পরিবারের অপরাধ স্বীকার করবে, হাসিনাকে অস্বীকার করবে এবং তারা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করবে এমন প্রতিশ্রুতি নিয়ে জনগণের সামনে হাজির হবে।
আমাদেরকে এই প্রস্তাব দেওয়া হলে আমরা তৎক্ষণাৎ এর বিরোধিতা করি এবং জানাই যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে কাজ করুন।
এর উত্তরে আমাদের বলা হয়, আওয়ামী লীগকে ফিরতে কোন ধরণের বাধা দিলে দেশে যে সংকট সৃষ্টি হবে, তার দায়ভার আমাদের নিতে হবে এবং ‘আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক’।
আলোচনার এক পর্যায় বলি-যেই দল এখনো ক্ষমা চায় নাই, অপরাধ স্বীকার করে নাই, সেই দলকে আপনারা কিভাবে ক্ষমা করে দিবেন! অপরপক্ষ থেকে রেগে গিয়ে উত্তর আসে,’ ইউ পিপল নো নাথিং। ইউ ল্যাক উইজডোম এন্ড এক্সপিরিয়েন্স। উই আর ইন দিজ সার্ভিস ফর এটলিস্ট ফোর্টি ইয়ার্স। তোমার বয়সের থেকে বেশি। তাছাড়া আওয়ামী লীগ ছাড়া ‘ইনক্লুসিভ’ ইলেকশন হবে না।’
উত্তরে বলি, ‘ আওয়ামী লীগের সাথে কোন ইনক্লুসিভিটি হতে পারে না।আওয়ামী লীগকে ফেরাতে হলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে ফেরাতে হবে।আওয়ামী লীগ ফেরানোর চেষ্টা করা হলে যে সংকট তৈরি হবে, তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে’।
পরে- মিটিং অসমাপ্ত রেখেই আমাদের চলে আসতে হয়।জুলাই আন্দোলনের সময়ও আমাদের দিয়ে অনেক কিছু করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কখনো এজেন্সি কখনো বা ক্যান্টনমেন্ট থেকে নানা ধরণের প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করতে চাপ দেয়া হয়েছে। আমরা ওসব চাপে নতি স্বীকার না করে আপনাদের তথা জনগণের উপরেই আস্থা রেখেছি। আপনাদের সাথে নিয়েই হাসিনার চূড়ান্ত পতন ঘটিয়েছি।
আজকেও ক্যান্টনমেন্টের চাপকে অস্বীকার করে আমি আবারও আপনাদের উপরেই ভরসা রাখতে চাই। এ পোস্ট দেওয়ার পর আমার কী হবে আমি জানি না। নানামুখী প্রেশারে আমাকে হয়তো পড়তে হবে হয়তো বিপদেও পড়তে হতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোন ধরণের আপোষ করার সুযোগ নাই।
জুলাইয়ের দিনগুলোতে জনগণের স্রোতে ক্যান্টনমেন্ট আর এজেন্সির সকল প্রেসক্রিপশন আমরা উড়িয়ে দিয়েছিলাম। আজ আবারও যদি আপনাদের সমর্থন পাই, রাজপথে আপনাদের পাশে পাই তবে আবারও এই আওয়ামীলীগ পুনর্বাসনের ভারতীয় ষড়যন্ত্রও আমরা উড়িয়ে দিতে পারবো।
আসুন, সকল যদি কিন্তু পাশে রেখে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দিবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোন সুযোগ নাই বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে।’’
-
আপনারা সবাই রাস্তাঘাটে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন – আশাশুনি থানার ওসি নোমান হোসেন
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে জনসেবায় দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নোমান হোসেন। আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি আপনারা নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে রাস্তাঘাটে চলাচল করতে পারবেন গতকাল উপজেলার কুল্যার মোড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে এমনি কথা বলে জনগণের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ওসি নোমান হোসেন।তিনি গত (৬ জানুয়ারি ২০২৫) থানায় যোগদান করেন। সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় থানায় যোগদানের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মানুষের কল্যাণে দিন-রাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আশাশুনি থানার (ওসি) নোমান হোসেন। যোগদানের পূর্বে তিনি সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওসি হিসেবে এটাই তার প্রথম কর্মস্থল। চাকরির জগতে তিনি ২০১০ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। ছাত্র হিসেবে ওসি নোমান খুবই মেধাবী ছিলেন। তিনি পঞ্চম শ্রেনীতে বৃত্তি প্রাপ্ত হন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুগোল ও পরিবেশ বিদ্যায় অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে ২য় স্থান অর্জন করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের উপর মাষ্টার্স করেন। তার জন্মস্থান ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কলেজপাড়া সাত নম্বর ওয়ার্ড পৌরসভায়। চাকুরী করার পাশাপাশি তিনি একজন সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমি মানুষ। ইতোমধ্যে তার লেখা কয়েটি বই প্রকাশিত হয়েছে। ক্রীড়া প্রিয় মানুষ ওসি নোমান হোসেন আশাশুনিতে নতুন (ওসি) হিসেবে যোগদান করার পরেই ঘোষণা দিয়েছিলেন পুলিশ ও জনতার সম্পর্ক হবে বন্ধুর মত। জনসাধারণের যেকোন প্রয়োজনে পুলিশ সহায়তা দিতে বদ্ধপরিকর। আপনারা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন, তাহলে সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমাদের জন্য খুব সহজ হবে। তিনি আইন শৃঙ্খলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সন্ধ্যার পর একটা শিক্ষার্থীও আর বাজার-ঘাটে থাকতে পারবেনা। কোন চায়ের আড্ডায় থাকতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে পড়ার টেবিলে। আগের দিন শেষ আজ থেকে আশাশুনি থানার নতুন জীবন শুরু। কোন মাদক ও জুয়ার স্থান হবে না। হোক সেটা মোবাইল জোয়া বা অন্যকোন ধরনের জোয়া। জুয়ার সাথে জড়িত থাকলেই ব্যবস্থা। মাদক নির্মূলের বিষয় সব সময় সতর্ক থাকবে আশাশুনি থানা পুলিশ। মাদক সেবনকারী বা মাদক বিক্রেতা কোন দলের হতে পারেনা। এরা সমাজের শত্রু। এছাড়া তিনি আরো বলেছিলেন, থানায় জিডি করতে আসলে কোন টাকা লাগবে না। বাহির থেকে যদি কেউ জিডি করার জন্য অনলাইন করে তাহলে সেই কম্পিউটার ম্যানকে ৫০ টাকার ঊর্ধ্বে দেওয়া যাবে না। যদি কেউ ৫০ টাকার বেশি নেয় তাহলে আমাদের বলবেন আমরা তার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সততা ও দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আশাশুনি থানার পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্বল করেছেন সর্বসাধারণের কাছে। তিনি ইতোমধ্যেই দলমত নির্বিশেষে আশাশুনিবাসীর সহযোগিতায় থানা পুলিশের টিম নিয়ে অপরাধবদ্ধ ও ডাকাতি, খুন, জখম, মাদকমুক্ত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভালো কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে সুনাম অর্জন করেছেন আশাশুনি থানার ওসি। যানা গেছে আশাশুনি উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও মাদকের বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থানসহ মানবসেবা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন শ্রেণী পেশা ও চাকরিজীবী মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে। সে লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট ও যানজটের মহড়া পরিচালনা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। তিনি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে দোকানদারদের পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যবহার করতে নিষেধ প্রদান করেছেন। এবং এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি সৌন্দর্য রাখার স্বার্থে প্রত্যেক দোকানে এবং প্রত্যেক বাড়িতেই প্লাস্টিকের ড্রাম ব্যবহার করে ময়লা আবর্জনা ফেলানোর কথা বলেন। এছাড়া পলিথিন না ব্যবহার করে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করেন তিনি। ওসি নোমান হোসেন নিজের চোখের ঘুমকে হারাম করে নিজেই অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পতনের পর ডেবিল হ্যান্ড এর অভিযান পরিচালনা করে আশাশুনি উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা আবু হেনা শাকিল, ডাক্তার শিহাব উদ্দীন, আসমাউল, ইদ্রিস আলী, মুজিবর মোল্যা, জাকির চেয়ারম্যানের ভাই শাহিন সহ ২০থেকে ৩০জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। আশাশুনি থানাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সম্ভবনাময় তরুণ প্রজন্মকে বাঁচাতে আশাশুনি থানার প্রত্যেক এলাকায় মাদক ব্যবসার সাথে যুক্ত ব্যক্তি, তাদের আশ্রয়দাতাসহ মাদকসেবীদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্যদিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান যানান তিনি। তবে তথ্য প্রদানকারীর গোপনীয়তা রক্ষা করবে থানা পুলিশ। আপনাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া যে কোনো অপরাধের সংবাদ আমাকে জানান। আপরাধী যতই শাক্তিশালী হোক না কেন, আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তথ্য দিন সেবা নিন। সামনে ঈদুল ফিতর। গরিব অসহায় ও দুস্ত মানুষ যাতে এই ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারে সেজন্য উপজেলার বিত্তবানদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান তিন। উপজেলা বাসীকে আরো সুন্দরভাবে সেবা দেওয়ার জন্য উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন (ওসি) নোমান হোসেন। -

সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট ওন ও ইফতার মাহফিল
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউটের আয়োজনে স্কাউট ওন ও ইফতার মাহফিল
অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধর্মীয় ভাব গাম্ভির্যের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার কলেজ
ক্যাম্পাস বর্ণিল সাজে সজ্জিতকরণ করে রোভার স্কাউটরা। স্কাউট ওন ও ইফতার
মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ
আবুল হাশেম। ভূগোল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও রোভার স্কাউট নেতা আ ন ম
গাউছার রেজার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ মোহা. আল
মুস্তানছির বিল্যাহ, ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোস্তাজাবুর রহমান,
জেলা রোভার স্কাউটস এর কমিশনার অধ্যক্ষ মোঃ রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ কাজী
আব্দুস সবুর, স্বপ্নসিঁড়ির সভাপতি মুহা. আলতাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক
নাজমুল হক, সিনিয়র রোভার ইয়াকুব আলী, আলী রিয়াজ প্রমুখ। -

সাংবাদিকদের সম্মানে সাতক্ষীরায় জামায়াতের ইফতার মাহফিল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাতক্ষীরা জেলা শাখা সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে।বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) শহরের পিজ্জা মিলন রেস্টুরেন্টে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের সাতক্ষীরা জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল।সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ এর সঞ্চালনায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক, শহর জামায়তের আমীর মো.জাহিদুল ইসলাম বকুল, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার সম্পাদক আশিক-ই- এলাহী, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার কল্যাণ ব্যানার্জি,বাংলাদেশ বেতার এর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আবুল কাশেমসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সিনিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। -

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ
জুলাই অভ্যুত্থানে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় ২০ লাখ ইউরো দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে সহিংসতায় মারাত্মকভাবে আক্রান্ত আট হাজার ব্যক্তিকে সহায়তা দিতে একটি প্রকল্প চালু করেছে ইইউ। বুধবার (১৯ মার্চ) চালু হওয়া প্রকল্পটি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (বিডিআরসিএস) মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে সহায়তা করবে বাংলাদেশ সরকার।
‘দ্য পাথওয়েজ টু হিলিং: এ সারভাইভার সেন্ট্রেড অ্যাপ্রোচ টু অ্যাড্রেস ভায়োলেন্স অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশনস’ প্রকল্পে ২০ লাখ ইউরো বরাদ্দ দিয়েছে ইইউ। ২০২৬ সালের আগস্টের আগপর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
জুলাই-আগস্টের সহিংসতায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের শারীরিক, মানসিক উন্নতি ও সুস্থতার জন্য এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক সংহতি জোরদার ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে এ অর্থ খরচ করা হবে। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যত দিন এ প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে, তত দিন এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এসব লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদের পুনর্বাসন ও চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। এ ছাড়া যাঁরা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবেন, তাঁদের সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঔষধজাত পণ্য, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং নিশ্চিত করা হবে।
এ ছাড়া উপার্জন খাতেও বৈচিত্র্য আনতে সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
গত বছরের অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র, শ্রমিক, সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারসহ অন্যদের এ সহায়তা দেওয়া হবে। ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, সরকার ও অন্যান্য অংশীজনের সহায়তায় প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও এটি অব্যাহত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
-

সাতক্ষীরায় মারপিটে আহত ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে পিটিয়ে আহত করার ৩৫ দিন পর শাহরিয়ার হোসেন তুরান নামের এক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) উপজেলার গোয়ালচাতর গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
নিহত তুরান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের মৃত আবদুল হামিদ সরদারের ছেলে। তিনি কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহত তুরানের চাচা আবদুর রশিদ সরদার জানান, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে তুরান উপজেলার কাজীরহাট বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের দোকানে পাওনা টাকা চাইতে যান। এ সময় মনিরুল টাকা দেবেন না বলে টালবাহানা শুরু করলে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাজারের লোকজন এসে তাদের থামিয়ে দেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তুরানের দোকানের সামনে গিয়ে তাকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল। এতে তুরান মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে বাজারের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
আবদুর রশিদ সরদার আরও জানান, মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার কারণে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে তুরানের ব্রেন স্ট্রোক হয়। তাৎক্ষণিক তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করে মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরার পর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তুরান। পুলিশ তুরানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মনিরুল কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে আত্মগোপনে চলে গেছে।
এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী মনিরুলের ব্যবসায়ীক অংশীদার মফিজুল ইসলাম ও কাজীরহাট বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসানুর রহমান বলেন, মনিরুলের কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মনিরুল গিয়ে তুরানের মাথায় আঘাত করেন। তুরান ব্রেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।
সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-

হামজাকে নিয়ে লিখলেন এবার মাশরাফি
হামজা চৌধুরী জ্বরে বাংলাদেশ। বিমানবন্দর থেকে স্নানঘাট গ্রাম—হামজাকে এক নজর দেখতে মানুষের ছিল উপচে পরা ভিড়। দুদিন পেরিয়ে গেলেও কমেনি উন্মাদনা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই মিডফিল্ডারকে বাংলাদেশ যেভাবে বরণ করে নিয়েছে তাতে পুরোনো রোমাঞ্চ টের পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি গত রাতে লিখেছেন লম্বা পোস্ট। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ও সামনের দিনগুলির জন্য হামজাকে শুভকামনা জানিয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক।
মাশরাফি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে আপনাকে স্বাগত হামজা দেওয়ান চৌধুরী! আপনার আগমনে প্রথম প্রেমের সেই রোমাঞ্চ যেন আবার টের পাচ্ছি, যে প্রেমের নাম ফুটবল! আমাদের ছেলেবেলায়, শৈশব-কৈশোরে ফুটবল ঘিরে যে উন্মাদনা ছিল, কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে যেন দিনগুলোই ফিরে এসেছে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একজন ফুটবলার আমাদের দলে খেলেন, লেস্টার সিটি বা শেফিল্ড ইউনাইটেডের খেলায় তার নামের পাশে আমাদের দেশের নামও উচ্চারিত হবে, এই দেশের জন্য এটা বড় পাওয়া। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। যে শেকড়ের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে, সেই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আপনি এসেই জাদুকরী কিছু করে রাতারাতি দেশের ফুটবল বদলে দেবেন, এমন আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা আমার নেই। মাঠে একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ভূমিকাও আমার জানা আছে। স্রেফ আশা করব, আপনার ছোঁয়ায় দেশের ফুটবলে নতুন প্রাণের জোয়ার আসবে, লোকের আগ্রহ বাড়বে, শিশু-কিশোররা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দল বা ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মতোই নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ফুটবলকে আপন করে নেবে। আশা করব, আপনাকে ঘিরে দেশের ফুটবলের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসবে, আপনার পায়ে পায়ে দেশের সামগ্রিক ফুটবল এগিয়ে যাবে।
জামাল ভূঁইয়া, তারেক কাজীসহ প্রবাসী যারা এসে দেশের ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছেন, আরও যারা আসবেন, সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। ফুটবল আমাদের প্রাণের খেলা। ফুটবলে এই নতুন দিনের গান আমাদের মনেও নতুন স্বপ্নের দোলা দিচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ও সামনের দিনগুলির জন্য শুভকামনা হামজা। শুভকামনা বাংলাদেশ ফুটবল দল।’
এর আগে মেসি, জিদানরা বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। তারা আসায় ক্ষণিকের জন্য হলেও ফুটবলে নতুন হাওয়া লেগেছিল। সেই হাওয়া যদিও বাংলাদেশের মৃতপ্রায় ফুটবলকে জাগিয়ে তুলতে পারেনি। এবার নায়কের আগমন। হামজার হাত ধরেই বাংলাদেশের ফুটবল পুরোনো রূপ ফিরে পাবে, এমনটাই আশা সবার। আগামী ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে হামজার।
-

২৮৬ দিন মহাকাশে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরলেন বাচ-সুনীতা
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ২৮৬ দিন কাটানোর পর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন সুনীতা উইলিয়ামস, বাচ উইলমোরসহ ৪ নভোচারী। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫ টা ৫৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের উপকূলে অবতরণ করেছে তাদের বহনকারী ক্যাপসুলটি।
সুনীতা, বাচের সঙ্গে আরও যে ২ জন নভোচারী এসেছেন, তারা হলেন নাসার নিক হগ এবং রুশ নভোচারী আলেকজান্ডার গর্বুনভ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি স্পেসএক্সের ‘ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলে ফিরে এসেছেন তারা।
চারটি বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে ফ্লোরিডার উপকূলে নামে ক্রু ড্রাগন। ইলন মাস্ক তার এক্স অ্যাকাউন্টে ক্যাপসুলটির অবতরণের দৃশ্য শেয়ার করেছেন।
গত বছর জুনে বিমান প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের তৈরি নভোযান স্টারলাইনারে চেপে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন সুনীতা ও বাচ। সেখানে গিয়ে আটকা পড়েন তারা। কারণ যে মহাকাশযানে তারা গিয়েছিলেন, সেটি বিগড়ে গিয়েছিল।
এমন অবস্থায় আটকে পড়া দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনতে গত বছর থেকেই নানা পরিকল্পনা করতে শুরু করে নাসা। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দুই নভোচারীকে ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেন। তাদের ফিরিয়ে আনতে নাসার তৎপরতার অংশ হিসেবে ক্রু-১০ মিশনের ফ্লাইটে তাঁদের ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ফ্লোরিডার উপকূলে নেমে আসার পর কিছুক্ষণ সমুদ্রে ভাসছিল তাদের বহনকারী ক্রু ড্রাগন ক্যাপসুল। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, ক্যাপসুলটিকে ঘিরে সাঁতার কাটছে কিছু কৌতুহলি ডলফিন। প্রায় এক ঘণ্টা পর মার্কিন নৌবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ এই নভোচারীদের ক্যাপসুল থেকে বের করে নিয়ে আসে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সঙ্গে যেন তারা খাপ খাইয়ে নিতে পারেন, মূলত সেজন্য এক ঘণ্টা সময় নিয়েছে নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ।
ফ্লোরিডার উপকূল থেকে এই নভোচারীদের সঙ্গে নিয়ে টেক্সাসের হিউস্টন শহরে জনসন স্পেস সেন্টারের উদ্দেশে রওনা দেন উদ্ধারকারীরা। সেখানে তাদের বরণ করার জন্য আগে থেকেই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
তবে পৃথিবীতে ফিরে এলেও এখনই নিজের পরিবার-বন্ধু-স্বজনদের দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবেন না মহাকাশচারীরা। কয়েক সপ্তাহ তাদের থাকতে হবে ক্রু কোয়ার্টারে। সেখানে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে তাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন মহাকাশে শূণ্য মাধ্যাকর্ষণে থাকার কারণে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় নানা হেরফের ঘটে।
মহাকাশচারীদের অবতরণের পর তাৎক্ষণিক এক সংবাদ সম্মেলনে নাসার উপ সহযোগী প্রশাসক জোয়েল মনটালবানো এবং কার্যক্রম সমন্বয় ব্যবস্থাপক বিল স্পিচ বলেন, “এই মহাকাশচারীরা আমাদের গর্ব। ৯ মাসে ৯০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রায় ১৫০টি গবেষণা করেছেন তারা। তাদের ফিরে আসায় আমরা খুবই খুশি।”
-

শহীদ আসিফ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে উচ্ছ্বাস
মুহাম্মদ হাফিজ, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার খুলনা রোড মোড়স্থ শহীদ আসিফ চত্বরে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ম্যুরাল সবশেষ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ ছাত্র-জনতা।সোমবার (১৯ শে মার্চ) রাত তখন ৩:৫১ মিনিটে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।এর মাধ্যমে সাতক্ষীরা থেকে নিশ্চিহ্ন হলো শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ম্যুরাল ও খুনি শেখ হাসিনার শেষ চিহ্ন টুকু।এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহবায়ক আরাফাত হোসেন জানান বাংলা মাটিতে আর ফ্যাসিস্ট ফিরবে না যতদিন এই ছাত্র জনতার সৈনিক থাকবে।এদিকে সাতক্ষীরার পৃথক দুটি স্থানের বিলবোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠায় ১৭ ই মার্চ রাত ৯ টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উত্তাল ছিল সাতক্ষীরা শহর।প্রথম লেখাটি ভেসে ওঠে সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডের মোড়ে গ্রীন লাইফ হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং অপর লেখাটি ভেসে ওঠে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মোড় সংলগ্ন একটি ইজিবাইক শো-রুমের বিলবোর্ড।সবশেষে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ ছাত্র-জনতার সমন্বয়েগুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। -

সাতক্ষীরায় দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাথে জনসংযোগ শীর্ষক সেমিনার
নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘প্রবাসীর অধিকার, আমাদের অঙ্গীকার ‘ ও ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের সবার’ স্লোগানে সাতক্ষীরায় দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সাথে জনসংযোগ শীর্ষক সেমিনার ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের আয়োজনে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে জেলা প্রসাশকের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক(সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রসাশক মোস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে অনেক এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আসে। যাদের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ আছে তাদের চিহ্নিত করে ব্ল্যাকলিস্ট করে প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে হবে এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই দুইজন সাক্ষী রাখবেন। আমরা সাতক্ষীরা নিয়ে কাজ শুরু করি,তাহলে একসময় দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামী কোন ব্যাক্তির অভিযোগ থাকবে না।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান হোসেন,সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন জেলা কর্মসংস্থান ও জলশক্তি অফিসের সহকারি পরিচালক মোস্তফা জামান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ পরিচালক সঞ্জিত কুমার দাশ,টিটিসি সাতক্ষীরার অধ্যক্ষ কে এম মিজানুর রহমান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাজমুন নাহার, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল,সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী,কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মো. আজিজুল ইসলাম, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের জনশক্তি জরিপ অফিসার মো. আব্দুল মজিদসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি,ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য অফিসের উচ্চমান সহকারী মনিরুজ্জামান। -

সাতক্ষীরায় হাসপাতালের বিলবোর্ডে ভেসে উঠলো ‘আ.লীগ আবার ফিরবে’
সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড়ে গ্রীন লাইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিলবোর্ডে আকস্মিকভাবে ভেসে উঠেছে—‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে’। সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে এই বার্তা প্রদর্শিত হলে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে খুলনা রোড মোড়ে থাকা বিলবোর্ডটিতে আচমকা এই বার্তা ফুটে ওঠে। বিষয়টি দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিত হন।
খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বলেন—‘আমরা এখানে এসেছি ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করতে। এখানে অনেক জনতা জড়ো হয়েছে, ঘটনাটির প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান করছি।’
পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে এবং কারা ও কীভাবে এই বার্তা প্রচার করেছে তা খতিয়ে দেখছে।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ একে ডিজিটাল বিলবোর্ড হ্যাকিং বলে সন্দেহ করছেন, আবার কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার বলেও মনে করছেন। তবে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
-

আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস
হিজরি দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান বদর প্রান্তরে রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মক্কার কুফরি শক্তির বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র যুদ্ধ হয় ইতিহাসে তাই বদর যুদ্ধ নামে পরিচিত। ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ।
মক্কার কাফেররা রাসূল (সা.) এবং মুমিন বাহিনীকে মক্কা থেকে বের করে দিয়েই চুপ করে বসে থাকেনি, তারা ইসলামকে শেষ করে দেয়ার জন্য নানা ফন্দি আঁটতে থাকে। এক পর্যায়ে আবু জাহেল আবু সুফিয়ান সিদ্ধান্ত নেয়, এখনই যদি মুহম্মদ বাহিনীকে নিঃশেষ করা না যায় তাহলে এ বাহিনীর সঙ্গে আর কুলিয়ে ওঠা সম্ভব নয়।
আবু জাহেল এক হাজার সুসজ্জিত প্রশিক্ষিত সৈন্য নিয়ে বদরপ্রান্তরে এসে মদিনা আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করে। এ খবর জানতে পেরে রাসূল (সা.) মাত্র ৩১৩ জন নিরস্ত্র-প্রায় সাহাবি নিয়ে এ বিশাল সৈন্যবাহিনীর মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত থাকেন।যুদ্ধ শুরুর আগে রাসূল (সা.) আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে কান্নাভেজা কণ্ঠে বলেন, ওগো আল্লাহ, আজ তোমার প্রতিশ্রুত সাহায্য বড়ই প্রয়োজন। আজ যদি এ কয়জন মুমিন বান্দা মরে যায়, তাহলে তোমার দ্বীন প্রচারের জন্য আর কোনো মানুষ থাকবে না। তোমার দ্বীনের স্বার্থে তুমি আমাদের বিজয় দান কর।
আল্লাহর রাসূলের দোয়া এমনই কবুল হয়েছে, বিশেষ ফেরেশতা নাজিল করে আল্লাহতায়ালা মুমিন বাহিনীকে সাহায্য করেছেন।এ সাহায্যের কথা আবার সূরা আলে ইমরানে আল্লাহ উল্লেখ করেছেন, হে মুমিনরা, আল্লাহ তোমাদের বদরে সাহায্য করেছেন অথচ সেদিন তোমরা ছিলে অসহায়।বদরের এ ঘটনা থেকে মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হল, মুসলিম উম্মাহ এমন একটি জাতি, যে নীরবে নিভৃতে অত্যাচার-অনাচার-জুলুম সহ্য করাকে ভয়াবহ গোনাহ মনে করে। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় কর্তব্য।
আজ মুসলমানদের সামনে সেদিন এসেছে সমাজে শান্তি বজায় রাখা, শৃঙ্খলা বজায় রাখা, ধৈর্যধারণ করা খুবই জরুরি। পাশাপাশি তাদের এ কর্তব্য পালনের জন্য আল্লাহতায়ালার সাহায্য প্রার্থনা করাও জরুরি। মুসলমান কখনও জাগতিক উপায়-উপকরণ কিংবা সম্পদের ওপর ভরসা করে না। তারা সব সময় আল্লাহর ওপর ভরসা করে। তার মানে এ নয় যে, উপায়-উপকরণ ব্যবহার করা যাবে না।বদরের ঘটনায় দেখা যায়, মুসলিম সৈন্যবাহিনী কম থাকায় রাসূল (সা.) নানা কৌশল অবলম্বন করেছেন।
রাসূল (সা.) সৈন্যদের বলেছেন, একদল সৈন্য তীর ছুড়ে পেছনে চলে আসবে। তখন পেছন থেকে আরেক দল সৈন্য সামনে গিয়ে তীর ছুড়বে। যাতে শত্রুপক্ষ বুঝতে পারে একই লোক বারবার তীর ছুড়ছে না। বরং মুসলিম মুজাহিদের সংখ্যা মনে হবে অনেক বেশি। তারা একদলের পর একদল এসে তীর ছুড়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের আগে রাসূল (সা.) বলেন, আমরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আলাদা আলাদা রান্না করব। আলাদা আলাদা তাঁবু খাটাব। অনেক বেশি টয়লেট বানাব। যেন শত্রুপক্ষ দূর থেকে দেখে বুঝতে পারে সংখ্যায় আমরা অনেক বেশি।
একদিকে রাসূল (সা.) কান্নায় বিগলিত হয়ে মোনাজাত করেছেন, অন্যদিকে সমসাময়িক সব ধরনের যুদ্ধ কৌশলও তিনি রাসূল (সা.) প্রয়োগ করেছেন। মুসলমান যদি আবার তাদের হারানো বিজয় ফিরিয়ে আনতে চায়, তাহলে দোয়া এবং কৌশল দুটোই সঙ্গে করে এগোতে হবে।হে আল্লাহ, বদরের চেতনায় মুসলমান যেভাবে বিজয়ী হয়েছিল আজকের মুসলমানদেরও সেভাবে বিজয় অর্জন করার তাওফিক দিন আল্লাহুম্মা আমিন।
লেখক: সাবেকঃ- ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।
-

জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় ২৮৯ জন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। এছাড়া হামলায় মদদদাতার অভিযোগে ৯ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, বহিষ্কৃতদের তিন ক্যাটাগরিতে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।
প্রসঙ্গত, আন্দোলন চলার সময় গত বছরের ১৪ জুলাই রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এবং একই দিন রাত ১২টার দিকে উপাচার্য ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ, ১৭ জুলাই বিকেল ৩টার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হামলাসংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনটি জমা দেন ওই কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহফুজুল ইসলাম। প্রতিবেদনে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় জড়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করা হয়।
-

ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা করেছে ইসরায়েল : হোয়াইট হাউস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে গাজায় হামলা করেছে ইসরায়েল। হোয়াইট হাউস বলেছে, গাজায় সর্বশেষ হামলার আগে ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছিল ইসরায়েল।
মূলত যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ফের ব্যাপক আকারে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। ভয়াবহ এই হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে কমপক্ষে ১৭০ জনে। নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) নিজেদের লাইভ আপডেটে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় সর্বশেষ আক্রমণ শুরু করার আগে ইসরায়েল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে পরামর্শ করেছিল বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।
সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যেমন স্পষ্ট করে বলেছেন, হামাস, হুথি, ইরান — যারা কেবল ইসরায়েলকে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রকে আতঙ্কিত করতে চায় — তাদের মূল্য দিতে হবে এবং তাদের ওপর সমগ্র নরক ভেঙে পড়বে।”
তিনি আরও বলেছেন, “হুথি, হিজবুল্লাহ, হামাস, ইরান এবং ইরান-সমর্থিত সন্ত্রাসী প্রতিনিধিদের উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেওয়া। কারণ তিনি (ট্রাম্প) বলেন যে— তিনি আইন মেনে চলা মানুষের পক্ষে দাঁড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের বন্ধু ও মিত্র ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না।”
এদিকে আল জাজিরা তাদের সরাসরি সম্প্রচারিত আপডেটে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটিয়েছে ইসরায়েল এবং এরপর অবরুদ্ধ এই উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করেছে। বর্বর এই হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭০ জন ফিলিস্তিনির নিহত এবং অন্যান্য আরও অনেকের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় এটিই ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।
এদিকে বিমান হামলায় হামাস কমান্ডার এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে। ইসরায়েলের সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিত্বদের লক্ষ্য করে সর্বশেষ এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আবারও হামলা শুরু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদক বারাক রভিদের মতে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর মার্কিন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসরায়েল গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজায় ব্যাপকভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা বলেছে, “রাজনৈতিক নেতৃত্বের নির্দেশে (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) এবং শিন বেইট গাজা উপত্যকা জুড়ে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করছে।”
-

সাতক্ষীরার ঠিকাদার বিএম রাজ্জাকের কাছে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা উদ্ধারের দাবিতে ভুক্তভোগি পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার হামিজ উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে পাওনাদারের ৩৩ লাখ টাকা না দিয়ে উল্টো সোসাল মিডিয়ায় মিথ্যে তথ্য প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে তাকে হয়রানি করছেন বলে অভিযাগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব এক সংবাদ সম্মেলনে যশোরের বেজপাড়া এলাকার এস.এম জি. মুক্তাদি এর ছেলে এস.এম শামীম এজাজ এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাক ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে আমার ও আপন খালাতো ভাই এবং আমার মায়ের কাছ থেকে ৩৩ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। টাকা গুলো ছিল আমার আমার ব্যবসায়ী টাকা ও আমার ভাইয়ের ও মায়ের চাকরির পেনশিয়ানের টাকা। কিন্তু টাকা পরিশোধের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলে বি.এম আব্দুর রাজ্জাকের কাছে আমার পাওনা টাকা চাইলে বিভিন্ন বাহানা করে আমাকে হয়রানি করতে থাকেন। পরে তার নিজস্ব একাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকার একটি এস.বি.এ.সি ব্যাংক লিঃ এর একটি চেক (হিসাব নং- ০০২৮১১১০০৫৭৪০, চেক নং- সি.ডি.বি ০৬২০২৫৩) প্রদান করেন। কিন্তু তার একাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি দুইবার ডিজঅনার করা হয়। পরে চেকের মামলা করতে গেলে তিনি দ্রুত টাকা পরিশোধ করার কথা বলেন। এভাবে একাধিকভার ওয়াদা ভঙ্গ করার পর আমার মা ও খালাতো ভাই তার কাছে গেলে তিনি কুরআন শরীফ সামনে রেখে ওয়াদা করে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার করেন।
এস.এম শামীম এজাজ আরো বলেন, এভাবে ওয়াদা ভঙ্গ করার পর গত ৭ মার্চ (২০২৫) আমিসহ আমার ভাই ও আত্মীয়স্বজনকে সাথে নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে টাকা চাওয়া মাত্রই তিনি আমাকে গালি-গালাজ করতে থাকেন এবং বলেন, তোর যে বাবার কাছে পারিস যা। তোরা আমার কাছে চাঁদা চাইতে এসেছিস তোদের নামে সেনা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করে জেলে পাঠাবো বলে হুমকি দেয়। এঘটনার পর আমি সাতক্ষীরা সদর থানায় তার নামে গত ৭ মার্চ একটি অভিযোগ করি। থানা থেকে তাকে ডেকে পাঠালে তিনি হাজির হননি। তিনি অভিযোগ করেন বলেন, বি.এম আব্দুর রাজ্জাক থানায় না গিয়ে উল্টো সেনা ক্যাম্পে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। গত ৮ মার্চ আমাদেরকে ডেকে পাঠালে আমরা হাজির হলে ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার জাহাঙ্গীর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেন। উভয় পক্ষের কথা শুনার পর বি.এম রাজ্জাক এর সম্মতিতে তিন দফায় তিনি ২৩ লক্ষ টাকা পরিশোদ করার কথা বললে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা লেখা হয়। উক্ত স্ট্যাম্পে উল্লেখিত অঙ্গীকার অনুযায়ি আগামী ২৪ মাচ ৩ লক্ষ টাকা নগদ, বাকী ২০ লক্ষ টাকা (১০লক্ষ টাকা হারে) ২টি চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করবেন। এসময় তিনি বি.এম. আব্দুর রাজ্জাক নামীয় আই,এফ,আই,সি ব্যাংকের ৪০৬৫৩১৭০০৫০০১ নং হিসাবের ২টি চেক (নং- ০৫৫৫২৩১, চেক নং- ০৫৫৫২৩২) প্রদান করেন। শামীম এজাজ আরো বলেন, টাকা পরিশোধের সময় এগিয়ে আসায় বি.এম. আব্দুর রাজ্জাক নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ এনে ফেসবুক ও সোসাল মিডিয়ায় প্রবাকান্ডা ছড়াচ্ছেন। আমরা নাকি আবু জাহিদ ডাবলুর মাধ্যমে সুমন রহমানকে তার কাছে পাঠিয়েছি টাকা আদায়ের জন্য। য সম্পূর্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। তার এই হিন কমংকান্ডে আমরা পারিবারিক ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি ঠিকাদার বি.এম আব্দুর রাজ্জাকের কাছে পাওনা ৩৩ লাখ টাকা যাতে আদায় করতে পারেন সেজন্য সেনাবাহিনী, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ অলিউর রহমান, মোঃ আব্দুল গণি, মোঃ সুমন রহমান ও শামীম এজাজ এর মা বৃদ্ধা হোসনেয়ারা খাতুন। -

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আশাশুনি থানা পুলিশের বিশেষ মহড়া
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে ২৬ মার্চ উপলক্ষে ও পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে এবং থানা এলাকায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা অবনতি রোধকল্পে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেনের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী কার্যক্রম গ্রহন করেন। উক্ত উপজেলা এলাকার চাকরিজীবী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি আসতে পারে বিপদজনক রাস্তা-ঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ সকল পয়েন্টে আশাশুনি থানার পুলিশ কাজ শুরু করে দিয়েছে। ক্ষেত্র বিশেষে যেসব এলাকায় আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটছে এবং আইন শৃঙ্খলা অবনতির পেছনে যাদেরও সংশ্লিষ্ট পাওয়া যাচ্ছে দ্রুত গতিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। যেকোনো সহিংসতা এড়াতে সার্বক্ষণিক আশাশুনি থানার পুলিশের টিম মাঠে পর্যায়ে কাজ করছে৷ তিনি আরো বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর যেন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায় সে লক্ষ্যে থানা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে৷ কুল্যা, দরগাহপুর, বুধহাটা, চাপড়া, আশাশুনি টূ শ্রীউলা, গোয়ালডাঙ্গা ও বড়দল বাসস্টান্ড, বিভিন্ন মোটর সাইকেল স্টান, মার্কেট এবং হাট বাজার ঈদের জামাত সহ বিভিন্ন জনবহুল স্থানে আশাশুনি থানা পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মহড়া দেয়ার ব্যপারেও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলায় থানার অফিসার ইনচার্জ নোমান হোসেন (১৭মার্চ ২০২৫ সোমবার) সকলে শোভনালী, বুধহাটা, কুল্যা, কাদাকাটি, দরগাহপুর সহ ১১টি ইউনিয়ন পরিদর্শন করে উপজেলার প্রানকেন্দ্র বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা বাজারে সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও গণমানুষের যাতায়াতে ভোগান্তি এড়াতে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে যানজট নিরসনে থানা ও পুলিশ সদস্যরা যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে৷ এবং আমাদের পুলিশ বাহিনী দায়িত্বের পাশাপাশি পথচারীদের তাঁরা সহায়তা করবেন। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় থানা এলাকার বিভিন্ন বিটে কর্মরত অফিসার, সহকারি বিট অফিসার ও থানার অন্যান্য অফিসারদেও নিয়ে আমি কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের এ কর্মসূচি মাদক, ইভটিজিং প্রতিরোধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা, চুরি, ছিনতাই সহ সকল প্রকার অপরাধ সংঘটন হতে বিরত থাকা ও ঈদ উপলক্ষে মানুষের জানমাল রক্ষার বিষয়ে আশাশুনি থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে৷ বিভিন্ন অপরাধ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে থানা পুলিশকে সহায়তা করা ও যেকোনো সমস্যায় থানা পুলিশের সহায়তা নেয়াসহ সকল প্রকার অপরাধ সম্পর্কিত অগ্রিম তথ্য প্রদান করে থানা পুলিশ কর্তৃক সুষ্ঠু ও সুন্দর সেবা গ্রহন নিশ্চিত করার জন্য এবং থানা এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সহযোগিতা করার জন্য জনগণকে বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানানো হয়। বিশেষ মহড়া প্রধান কালে ইন্সপেক্টর তদন্ত আব্দুল ওয়াদুদ সহ থানার সকল অফিসার বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।