Author: Hasan
-

সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নব-গঠিত কমিটির অভিষেক
(সাতক্ষীরা প্রতিনিধি) : সাতক্ষীরা জেলা মন্দির সমিতির নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল ) বিকাল ৫ ঘটিকায় পুরাতন সাতক্ষীরা নাথ মন্দির প্রাঙ্গণে জেলা মন্দির সমিতির সভাপতি এ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জীর সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ ঘোষ।এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার শীল, উপদেষ্টা ডা. প্রশান্ত কুমার কুন্ডু , গোবিন্দ প্রসাদ ঘোঘ, এ্যাড তপন কুমার কুন্ডু, রঘুজিৎ গুহ প্রমুখ।জেলা মন্দির সমিতির নবগঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন -সভাপতি এ্যাড. সোমনাথ ব্যানার্জী, সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার চ্যাটার্জী, স্বপন কুমার শীল, দাশ সোনাতন চন্দ্র, এ্যাড. তারক মিত্র, সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন, যুগ্ন-সম্পাদক বলাই দে, সহ- সম্পাদক সঞ্জীব কুমার ব্যানার্জী, কোষাধ্যক্ষ আনন্দ কুমার সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক অসীম কুমার সাধু, সাহিত্য সম্পাদক অসীম কুমার দাশ সোনা, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পলাশ দেবনাথ, অডিটর রায় দুলাল চন্দ্র, প্রচার সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক করুনাময় ঘোষ করু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দীপঙ্কর কুমার ঘোষ, শঙ্কর কুমার ঘোষ, কেশব সাধু, দীপাসিন্ধু তরফদার, প্রদীপ কুমার বাছাড়, অজয় ঘোষ ও বিকাশ চন্দ্র ঘোষ , কার্যনির্বাহী সদস্য শঙ্কর কুমার রায়, বিকাশ চন্দ্র দাস, দেবাশিস বসু শেখর, সুধীর কুমার নাথ, গোপাল চন্দ্র ঘোষ, শিবপ্রসাদ ঘোষ, প্রবীর পোদ্দার, হারাধন দফাদার, গংগাধর দফাদার, তরুণ কুমার গুহ, বিশ্বজিৎ বাছাড়, তাপস কুমার সোম, মোহন্ত কুমার দাস, উজ্জল দে, সনজিত কুমার দেবনাথ, সুনিল রায়, বিশ্বজিৎ মাখাল, সৌমেন ঘোষ, তরুণ কুমার রায়, শম্ভু ঘোষ।অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথি ও নব-গঠিত কমিটির সকলকে ফুল ও উত্তোরীয় পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা মন্দির সমিতির নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন। -

বহুকাঙ্খিত পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরাবাসীর বহুকাঙ্খিত সাতক্ষীরা পৌরসভার পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় রাস্তা সংস্কার কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সিআরআইএম প্রকল্পের আওতায় জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর অর্থায়নে সাতক্ষীরা পৌরসভার বাস্তবায়নে দোয়া অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ সাতক্ষীরা উপপরিচালক মাশরুবা ফেরদৌস।এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পৌরসভার সাবেক মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী, সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল করিম, জেলা কৃষক দলের আহসানুল কাদির স্বপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোঃ আব্দুল সেলিম, সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী, জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর প্রজেক্ট কনসালটেন্ট প্রকৌশলী মিরাজ আহম্মেদ, সহকারী প্রকৌশলী পীযুষ মল্লিক, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার উপসহকারি প্রকৌশলী সাগর দেবনাথ, কামরুজ্জামান শিমুল, মোহব্বাত হোসাইন, বিএনপি নেতা ইয়াছিন আলী ও ঠিকাদার প্রতিনিধি শিহাবুজ্জামান প্রমুখ।সিআরআইএম প্রকল্পের আওতায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জার্মানি কেএফ ডব্লিউ এর অর্থায়নে সাতক্ষীরা পোস্ট অফিস মোড় হতে পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড় পর্যন্ত ১৮১৫ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ উদ্বোধনকালে সাতক্ষীরা পৌর কর্তৃপক্ষ ও জার্মানি কেএফ ডব্লিউ প্রকল্পের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। -

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর মানববন্ধন
সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি পুরাতন সাতক্ষীরা হয়ে বিশাল র্যালী ও মানবন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন— মোসলেমা আদর্শ একাডেমীর ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মেহেদী হাসান বলেন ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের ঈমানি দায়ীত্ব। ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল দীর্ঘদিন যাবৎ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর যে নির্মম নির্যাতন হামলা এবং নারী পুরুষ নির্বিশেষে গণহত্যা করছে এর তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন কাজী সাইদুর রহমান, আলাল হোসেন, মাওলানা হাফিজুর রহমানসহ অনেকে। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ আল আমিন, মোঃ আশরাফুল ইসলাম,ফারিহা তাসনিম, আতিয়া ফারজানা, জাকির হোসেন, নাজিফা তাবাসসুম, আমির হামজা, রুহানি মাহজাবিন, প্রমুখ। -

আশাশুনি জামায়াতের দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনিতে জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট, সভাপতি সেক্রেটারী ও বায়তুলমাল সেক্রেটারীদের নিয়ে শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবারন সকাল ১০টায় আশাশুনি আল-আমিন ট্রাস্ট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আঢোজন করা হয়।আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের আয়োজনে ইউনিয়ন আমীর হাফেজ আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওঃ আব্দুল হাই’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা সহকারী সেক্রেটারী প্রভাষক ওমর ফারুক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য এড. আব্দুস সোবহান মুকুল, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস সবুর, জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবু বকর সিদ্দিক। অন্যদের মধ্যে উপজেলা আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, নায়েবে আমীর মাওঃ নুরুল আফসার মুর্তাজা, সেক্রেটারী মাওঃ আনওয়ারুল হক, বাইতুলমাল সেক্রেটারী মাওঃ শহিদুল ইসলাম, অফিস সেক্রেটারী মাওঃ রুহুল কুদ্দুস, উপজেলা কর্ম পরিষদ সদস্য এবিএম আলমগীর পিন্টু প্রমুখ। -

বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের মতবিনিময় সভা
আশাশুনি প্রতিনিধি:বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় দরগাহপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক শেখ আশিকুর রহমান আশিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা, খুলনা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক শেখ দিদারুল আলম, বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিআরডিবি’র অবঃ উপ-পরিচালক রুস্তম আলী হাওলাদার, অবঃ ব্যাংক কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহ খান, খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম সিদ্দীকি ফিরোজ, দরগাহপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ জুলফিকার হায়দার, দরগাহপুর রহমানিয়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক শেখ মতলুবর রহমান, অবঃ শিক্ষক আলহাজ্ব শেখ উকিল উদ্দীন, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা শেখ হিজবুল্লাহ, প্রভাষক শেখ আইনুল হক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শেখ আমিনুর রহমান। এসময় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শেখ হিলাল উদ্দীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ ইয়াছিন আরাফাত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এমএম হাসানুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ এসএম সাইদুল ইসলাম, সদস্য আহম্মদ আলী বাঁচা, শেখ জুবায়ের আলী, মীর রেজাউল করিম কাজল, ক্বারী ওবায়দুল্লাহ, সুদেব ঘোষসহ দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের ক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দরগাহপুর আঞ্চলিক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এম নুর আলম। -

সাতক্ষীরায় বর্ণিল আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ
সাতক্ষীরায় নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-এর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সোমবার (১৪ এপ্রিল) ভোর থেকে নানা বয়সী নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বৃদ্ধ- সব বয়সী মানুষের ঢল নামে সাতক্ষীরার কালেক্টরেট চত্বরের ভেষজ উদ্যানে। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় বর্ষবরণের সূচনা সংগীত।
এরপর বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে মিলিত হয়। এরপর পার্কে বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করা হয়। বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমাতুল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু প্রমুখ।
বৈশাখী মেলার উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসক বাংলোতে পান্তা ভাতের আয়োজন করা হয়। এছাড়া সাতক্ষীরার মুক্তমঞ্চে সাতক্ষীরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সারাদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সমগ্র আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা।
-

বাংলা নববর্ষ উদযাপনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ণিল আয়োজন
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কেন্দ্রিয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৈশাখী মেলা। মেলায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। উচ্ছ্বাসে ভরা বর্ণিল এই শোভাযাত্রা ছিল উৎসবমুখর।
নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের তৈরী বিভিন্ন মুখোশ, বিশালাকৃতির কাঠামো, ভাস্কর্য, কাঠের তৈরি স্ট্রাকচার ও মুখোশগুলো বৈশাখী শোভাযাত্রাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ক্যাম্পাসের খোলা স্থান রঙিন আলপনা, ফেস্টুন ও ব্যানারে সজ্জিত করা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে বেলুন, ফেস্টুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম।
-

ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব কোনো রাজনীতির অংশ নয় : সংস্কৃতি উপদেষ্টা
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, ‘শোভাযাত্রা ঐতিহাসিকভাবে ও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গ্রুপ এটিকে তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার কাজে ব্যবহার করেছে। এবার আমরা শুধু ফ্যাসিস্টের মুখাবয়ব ব্যবহার করেছি। কারণ ফ্যাসিস্ট কোনো রাজনীতির অংশ নয়, ফ্যাসিস্ট সবচেয়ে বড় অশুভশক্তি।’
সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলার আয়োজনে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘দেশের সকল জনগোষ্ঠী, সকল ঐতিহ্য-সেই আকবর আমলের ঐতিহ্য, সুলতানি আমলের ঐতিহ্য, এর পরের ঐহিত্য সবকিছুর মিশ্রণ এখানে দেখবেন। ফলে টিপিক্যাল ন্যারো রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এখানে নেই।’
এর আগে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ শুরু হয়। এদিন সকাল ৯ টার দিকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়।
এটি চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ মোড়, টিএসসি মোড়, শহীদ মিনার, শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র ও দোয়েল চত্বর হয়ে বাংলা একাডেমির সামনের রাস্তা দিয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হয়। এই শোভাযাত্রায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন।
এবার এই ঐতিহ্যবাহী শোভাযাত্রাটি নতুন নামে আয়োজিত হয়েছে। আগে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে এই শোভাযাত্রা হলেও এবার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
শোভাযাত্রায় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী—চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারো অংশ নিয়েছে। একই সঙ্গে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলও।
গত শনিবার ভোরে চারুকলা অনুষদের ভেতরে শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করা ‘স্বৈরাচারের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
স্বৈরাচারের ওই মুখাকৃতি মোটিফটি বাঁশ ও বেত দিয়ে দাঁতাল মুখের এক নারীর মুখাবয়ব বানানো হয়। মাথায় খাড়া চারটি শিং, হাঁ করা মুখ, বিশালাকৃতির নাক ও ভয়ার্ত দুটি চোখ।
এদিকে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পুড়ে যাওয়ার পর সেটি নতুন করে তৈরির কাজ শুরু হয়। গত শনিবার রাতেই থার্মোকল বা সোলা দিয়ে নতুন করে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি বানানো হয়।
-

দেশের সব মসজিদে দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা
সারাদেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের সুবিধার্থে একই সময় দুপুর দেড়টায় জুমার নামাজ আদায় করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, জুমার দিন সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বরকতময় দিন। সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন। মহান আল্লাহ বলেছেন, হে বিশ্বাসীরা। জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম; যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা, আয়াত: ৯) জুমা পারস্পরিক দেখা সাক্ষাৎ ও সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনকে বিশেষ মর্যাদা ও তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এ দিনে বিশেষ সময়ে বরকত ও কল্যাণ রয়েছে।
আরো বলা হয়, বাংলাদেশে বিভিন্ন মসজিদে বিভিন্ন সময়ে জুমার নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। কোনো মসজিদে দুপুর ১টায়, কোনো মসজিদে ১.৩০ মিনিটে, আবার কোনো মসজিদে দুপুর ১.৫০ মিনিটে জুমার নামাজ শুরু করতে দেখা যায়। সময়ের তারতম্যের কারণে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিশেষ করে পথচারী (সফররত মুসল্লি) বিভ্রান্ত ও সমস্যার সম্মুখীন হন। এ সমস্যা দূরীকরণে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগ/জেলায় অবস্থিত সব মসজিদে একই সময়ে অর্থাৎ ১টা ৩০ মিনিটে জুমার নামাজ আদায় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
-

এবারের সম্মেলনে ৩১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা চেয়ারম্যান
সদ্য সমাপ্ত বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার একশ’ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে বলে জানিয়েছেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। রোববার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। আরও বিনিয়োগ প্রস্তাব পাইপলাইনে আছে বলেও জানান বিডা চেয়ারম্যান।
এ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবে এতে পার্টনার হিসেবে যারা অংশ নিয়েছেন তারা ব্যয় করেছেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। সব মিলিয়ে চার দিনের এই সম্মেলনে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
আশিক চৌধুরী বলেন, খরচের হিসেব দিয়ে সামিটকে মূল্যায়ন করা যাবে না। বিনিয়োগের সব ক্রেডিট এই সামিটের নয়, এটা আগে থেকে চলতে থাকা আলোচনার ভিত্তিতে হয়েছে। সামিটে এসেই বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে দিবেন বিষয়টি এমন নয়। তাই এটাকে সামিটের সফলতা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। সামিটের খরচ দিয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বিচার করলে হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিডার চেয়ারম্যান জানান, দশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ৬টি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের তথ্যও জানান তিনি।
এবারের সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি এবার ৫০টি দেশ থেকে ৪১৫ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নিয়েছেন। সংখ্যার দিক থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ৫৮ শতাংশ।
এ সময় বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, দেশের মানুষের সহনশীলতা, বিনিয়োগ সম্ভাবনার অবস্থা সচক্ষে দেখে বিদেশিরা উচ্ছ্বসিত। সামিটের সফলতা নিয়ে বিডা চিন্তিত নয়, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরাই ছিল সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও উপস্থিত ছিলেন।
-

২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান আমাদের সামনে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সুযোগ এনে দিয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এই অভ্যুত্থান বৈষম্যহীন, সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিময় ও আনন্দপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমাদের প্রেরণা দেয়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়াই হোক এই বাংলা নববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার।
এতে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আসুন, আমরা বিগত বছরের গ্লানি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে, নতুন উদ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে চলি।’
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যে ‘পহেলা বৈশাখ’ বিশেষ স্থান দখল করে আছে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, মহামিলনের দিন।
তিনি বলেন, আবহমান কাল ধরে নববর্ষের এই উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণ স্পন্দনে, নব-অঙ্গীকারে।
তিনি আরও বলেন, সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে এদিনে বাঙালি রচনা করে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, আনন্দ ও ভালোবাসার মেলবন্ধন।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলত মুঘল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। কৃষিকাজের সুবিধার্থে সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা কালের পরিক্রমায় সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল উদ্যোগের সাফল্য কামনা করেন তিনি।
-

ভোমরা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ট্র্যাকের যন্ত্রাংশসহ আটক ২
সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকা থেকে ভারতীয় মটর পার্টসসহ একটি বাংলাদেশি ট্রাক আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এই ট্রাকটি আটক করা হয়। এই সময় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়। আটক ভারতীয় ট্রাকের খুচরা যন্ত্রাংশ ও বাংলাদেশী ট্রাকের মূল্য প্রায় ৭১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
আটক ট্রাক চালকের নাম মো. শহীদুজ্জামান শাহেদ (২৫)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের ইন্দিরা গ্রামের আমির আলীর ছেলে। ট্রাকের হেলপার মো. আশিক গাজী (২২) শহরের ইটাগাছা এলাকার হাফিজুল গাজীর ছেলে।
বিজিবি সূত্র জানায়, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হতে বাংলাদেশে আসা একটি খালী ট্রাকে চোরাচালানী মালামাল বহন করবে এমন খবরের ভিত্তিতে ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের উত্তর পার্শ্বে ভোমরা আইসিপি’র নায়েব সুবেদার মো. সুলতান আহমেদ এর নেতৃত্বে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যগণ অবস্থান গ্রহণ করে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি খালী ট্রাক রপ্তানী মালামাল ভারতের ঘোজাডাঙ্গা স্থলবন্দরে রেখে ভোমরা চেকপোষ্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশকালে সেখানে অবস্থানরত টহল সদস্যরা ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাশী করে। এসময় ভারতীয় ট্রাকের বিভিন্ন খুচরা যন্ত্রাংশ জব্দ করে।
এ সময়ে বিজিবি সদস্যরা অবৈধভাবে ভারতীয় মালামাল চোরাচালানের দায়ে ট্রাকের চালক মো. শহিদুজ্জামান শাহেদ ও হেলপার মো. আশিক গাজীকে (যশোর-ট-১১-৫৭৯১) ট্রাকসহ আটক করে। আটককৃত ট্রাকসহ চোরাচালানী মালামালের মূল্য ৭১ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
সাতক্ষীরাস্থ বিজিবি ৩৩ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক ও পরিচালক লেঃ কর্নেল মো. আশরাফুল হক, পিবিজিএম, পিএসসি, জি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করতঃ আটককৃত ভারতীয় ট্রাকের খুচরা যন্ত্রাংশ ও বাংলাদেশী ট্রাকসহ আসামিদের সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
-

উত্তরণের উদ্যোগে আশাশুনির ভাঙনকবলিত ৫০০ পরিবার পেল নগদ ৬ হাজার টাকা ও সহায়তা
নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে সম্প্রতি ভেঙে পড়া বেড়িবাঁধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ। স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়নাধীন “এমার্জেন্সি রিলিফ অ্যাসিস্ট্যান্স ফর এমব্যাংকমেন্ট ব্রিচ অ্যাফেক্টেড কমিউনিটিজ ইন আনুলিয়া ইউনিয়ন, আশাশুনি” প্রকল্পের আওতায় এ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকালে আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ধাপের সহায়তা বিতরণ করা হয়। এই ধাপে ৬৮টি পরিবারকে হাইজিন ও ডিগনিটি কিটস এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ ৬ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। প্রকল্পের আওতায় মোট ৫০০ পরিবারকে এ সহায়তা দেওয়া হবে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো একটি মানবিক উদ্যোগ। উত্তরণ যেভাবে দ্রুত এবং সংগঠিতভাবে সহায়তা দিচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।উত্তরণ-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: রেজওয়ান উল্লাহ, প্রকল্প সমন্বয়কারী পার্থ কুমার দে, ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশনস অফিসার ও সেফগার্ডিং ফোকাল মাহমুদা ইয়াসমিন কনা এবং হেইস অফিসার মো: আল-আমিন মোল্লা।স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ ফাইনান্স অ্যান্ড অপারেশন্স অফিসার সুজান লিন, হেড অফ নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সাজিদ রায়হান, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শফিউল আলম ও ডিআরএফ ম্যানেজার এনামুল হক।অনুষ্ঠানে উত্তরণ-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: রেজওয়ান উল্লাহ বলেন, বেড়িবাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জরুরি প্রয়োজন মেটাতে আমরা বর্তমানে জরুরি সহায়তা প্রদান করছি। কিন্তু যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং টেকসইভাবে পুনর্বাসনের জন্য এখন সবাইকে একসাথে এগিয়ে আসা উচিত।ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশনস অফিসার মাহমুদা ইয়াসমিন কনা বলেন, দুর্যোগপ্রবণ এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করতে উত্তরণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্প তারই অংশ।উল্লেখ্য, উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যে উত্তরণ দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আগামী দিনে বাকি ৪৩২টি পরিবারের মাঝেও এই সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। -

সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে মসজিদ নির্মানের সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিবন্ধীর দোহাই দিয়ে মসজিদ নির্মানের জন্য নির্ধারিত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় জমি মালিককে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আশাশুনির পূর্বকামালকাটীর মৃত মনিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে দ্বীনি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর লক্ষে ২০২১ সালে কামলাকাটি মৌজার বি আর এস ১৯৯৯ দাগে এস এ রেকর্ডীয় মালিক সতীশ দুলালের ১০ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৩ শতক সম্পত্তি ক্রয় করি। বাকী ৭ শতক সম্পত্তি একই এলাকার নূর আলী সরদারের পুত্র রজব আলী ক্রয় করেন। আমি ঢাকায় বসবাসের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পর সম্পদ লোভী রজব আলী আমার ৩ শতক জমিসহ মোট ১০ শতক দখলের জন্য ঘেরাবেড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে আমি সাতক্ষীরা এডিএম কোর্টে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। আদালতের নির্দেশে স্থানীয় পুলিশ নোটিশ জারি করলেও সুচতুর রজব আলী আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেখানে ঘর নির্মাণ শুরু করে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে খুন জখমের হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় আশাশুনি থানায় আমি একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা ও জামায়াতদের সাথে যোগাযোগ করেও সমাধান হয়নি। তারা রাতের আধাঁরে সেখানে ঘর নির্মান অব্যাহত রাখে রজব আলী। এ নিয়ে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে গেলে তারা পরবর্তীতে যোগাযোগ করবেন আশ^াস দেন। তখন উপায়ন্ত হয়ে আশাশুনি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন থানা পুলিশ এবং আশাশুনি ভুমি কর্মকর্তার মাধ্যমে মাপজরিপ করা হলে আমার সম্পত্তি মধ্যে ৩২ থেকে ৩৪ ফুট লম্বা ভাবে ঢুকে যাওয়ার বিষয়টি উঠে আসলেও সময় স্বল্পতার কারনে সমাধান না করে পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন। এরপর আমি ঢাকায় গেলে তারা আবারো কাজ শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, আইনগত ভাবে কোন সহযোগিতা না পেয়ে গত ৩০ মার্চ ২০২৫ তারিখে আমিসহ কয়েকজন আতœীয় মিলে তাদের ওই ঝুপড়ি ঘরটি ভেঙে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রজব আলী এবং তার ভাই শাহাজান সরদারসহ কয়েকজন আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার বৃদ্ধা মাতা সহ আমি গুরুতর আহত হই। স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে আশাশুনি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে ৪ জন কে আসামী করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করি যার নং- ০৩/০৫। তাং ৩০/৩/২০২৫। মামলা দায়ের করার পর সুকৌশলী রজব আলী জনৈক প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় আমাকে লাঞ্চিত এবং হয়রানি করে যাচ্ছে। এমনকি পুলিশের সাথে যোগসাজস করে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এনিয়ে এলাকায় যে কোন সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে পারে বলে আশংকা করছি। রজব আলী একজন সুস্থ সবল মানুষ হলেও নিজেকে প্রতিবন্ধী পরিচয় দিয়ে সুবিধা আদায় করে যাচ্ছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মসজিদের জন্য নির্ধারিত সম্পত্তি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে সে।
আমি দ্বীনি শিক্ষার জন্য বরাদ্ধকৃত সম্পত্তি অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার পূর্বক এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। -

আশাশুনি বাজারে ৫দোকান ও এক স্কুলে অগ্নিকান্ড, ৫০লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি সদর বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৫ টি দোকান ও একটি স্কুলে ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার ভোর ৬ টার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার ব্রিগেট কর্মীরা উপস্থিত হয়ে ১৭ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।রবিবার ভোর ৬ টার দিকে আশাশুনি বাজারে উপজেলা পরিষদ মোড়ের কাছে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আলমগীর হোসেন পিন্টুর “তারিক হার্ডওয়ার”, প্রফেসর বজলুর রহমানের “লিজা ফার্ণিচা”, শিমুল হোসেনের “শিমুল ফার্ণিচার”, জননী টেউলার্স, মিরাজ টি স্টল ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ও ধূয়ার কুন্ডলি দেখে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া আঃ সামাদ ফায়ার ব্রিগেট ও সিভিল সার্ভিসে মোবাইলে সংবাদ দিলে ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে ফায়ার ব্রিগেট দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে ১৭ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে দোকানের প্রচুর পরিমান মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন পিন্টু জানান, আমার দোকানে অনুমান ২০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া প্রফেসর বজলুর রহমানের লিজা ফার্ণিচারে ১১ লক্ষ টাকার ও শিমুল ফার্নিচারে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মালামালসহ সবমিলে ৫০ লক্ষাধিক টাকার মালামালের ক্ষতি হয়েছে।ফায়ার ব্রিগেট সূত্রে জানাগেছে, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থানে পৌছে ১৭ মিনিটের মধ্যে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। ৫০ মিনিটের মধ্যে সম্পূর্ণ আগুন নির্বাপন করা হয়। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে তারা ধারনা করছেন। -

সাতক্ষীরায় বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পুলিশের পক্ষ থেকে বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ
পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে সাতক্ষীরার শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে দশ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে মেলার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
এদিকে বৈশাখী মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কস্থ মেলা প্রাঙ্গণে একপ্রেস ব্রিফিং এ কথা জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বাঙালির অত্যন্ত আবেগের জায়গা হল পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ। বাংলা নববর্ষ উদ্দীপনা ও ঐতিহ্যের। নববর্ষকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় পান্তা ইলিশের। আয়োজন করা হয় লোকজ মেলা ও খেলাধুলা সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের। এই মেলাকে ঘিরে সেখানে অনেক মানুষের সমাগম হয়। সেটাকে কেন্দ্র করে উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে সাতক্ষীরায় যাতে নববর্ষ উদযাপিত হয় এজন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা মূলক সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মানুষ যাতে স্বস্তিতে ও শান্তিতে সব অনুষ্ঠানগুলো উপভোগ করতে পারে, সেখানে যাতে কোনো প্রকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় এর জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মোটকথা পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জেলা সদরের পাশাপাশি আটটি থানায় সব জায়গায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি এবার পহেলা বৈশাখ মানুষ সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারবে। -

গণসংযোগ পক্ষ কর্মসূচি নিয়ে তৎপর সাতক্ষীরা জামায়াত
সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। পতিত আওয়ামী সরকারের চরম জুলুম—নির্যাতন ও দমননীতিতে বেশ কোনঠাসা অবস্থায় থাকায় প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সৃষ্ট ঘাটতি দুর করে জন মানুষের কাছে দলের দাওয়াত পৌঁছে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে বাংলাদেশের ফিলিস্থিন নামে খ্যাত সাতক্ষীরা জামায়াত।
এরই ধারাবাহিকতায় ঈদুল পরবর্তী পরিস্থিতিতে ‘গণসংযোগ পক্ষ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে সারা দেশে তৎপর হয়ে উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। শুক্রবার শুরু হওয়া কেন্দ্র ঘোষিত এই গণসংযোগ পক্ষ চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
দলীয় সূ্ত্রে জানা গেছে, গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনী দিনে সাতক্ষীরা শহর,সদরসহ প্রতিটা এলাকায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন নেতাকর্মীরা। এসময় জামায়াতে যোগ দেয়ার আহবান সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি, গণসংযোগ, পথ সভা ইত্যাদির মাধ্যমে দাওয়াতি কাজ করা হচ্ছে। ভোর থেকে গ্রামে— গঞ্জে, শহরে— বন্দরে, হাটে —বাজারে, পাড়ায়—মহল্লায় একইধরণের কর্মসূচি জোরে শোরে পালিত হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা শহর শাখার ৭নং ওয়ার্ড আয়োজিত গণসংযোগ পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহর জামায়াতের আমীর জাহিদুল ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোন ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার কিংবা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদের সাথে আপোষ করেনি। আগামিতেও করবে না ।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, দেশে জামায়াতের দাওয়াতি পক্ষ চলছে। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই বরং সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে ইসলামের সু—মহান দাওয়াত পৌঁছানো আমাদের কর্তব্য হয়ে পড়েছে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠার আবশ্যকতা, যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা প্রত্যেক মানুষের কাছে উপস্থাপন করা। দেশে সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশ যে অপরাধ, পাপাচার ও দুর্নীতিমুক্ত হবে সে কথাও মানুষকে বোঝাতে হবে।
তিনি দায়িত্বশীল নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষের (১১—২৫ এপ্রিল) প্রত্যেক এলাকার প্রতিটি ঘরে—ঘরে, প্রতিটি মানুষের কাছে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। এটি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় দায়িত্ব নয়, এটি মহান আল্লাহর নিদের্শিত দায়িত্ব। তিনি দাওয়াতি পক্ষকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর আহবান জানান এবং পক্ষের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন। জাহিদুল ইসলাম বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষের মাঝে জামায়াতের পরিচিত বিলি করেন,তাদেরকে সহযোগি সদস্য ফর্ম ফিলাপে নেতৃত্ব দেন। এসময় স্থানীয় জামায়াতের আমীর মাওলানা নূরল হক, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুর রহিম, জামায়াত নেতা জাহেরুল ইসলাম, ইটাগাছা ইউনিট সভাপতি শাহানুর ইসলাম, সেক্রেটারি ফারুক আহমেদসহ অনেকে উপস্তিত ছিলেন।
আবু সাইদ বিশ^াস -

আশাশুনির খাজরায় অবৈধ দখলীয় জমি শালিসে বের করার সিদ্ধান্ত নস্যাতে ষড়যন্ত্র
আশাশুনি প্রতিনিধি:আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে অবৈধ দখলে থাকা জমি শালিসে চিহ্নিত করে বঞ্চিত শরীককে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নস্যাত করতে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে বঞ্চিত শরীক বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করোছেন।খাজরা ইউনিয়নের রাউতাড়া মৌজায় এসএ ৪১৯ নং খতিয়ানে ১৪৬০ দাগে ৬৬ শতক জমির সমান অংশীদার ৪টি শরীক। শরীকদের মধ্যে ডাঃ শংকর কুমার মন্ডল গং এর শরীকাংশ সাড়ে ১৬ শতক, ক্রয়কৃত সাড়ে ১৬ শতক, মোট পাওনা ৩৩ শতক হলেও রেকর্ড হয়েছে ৩৬ শতক। মৃত আত্তারাম মন্ডলের পুত্র দেবদাশ ও পঞ্চারামদের নামে রেকর্ড হয়েছে ২ শতক, কিন্তু দখলে আছে ৭ শতক। মনোরঞ্জন মন্ডলের ছেলে বিনয় কৃষ্ণ মন্ডলের এসএ অনুসারে পাওনা ৯ শতক। আরএস রেকর্ডে ৯৫৭ খং রেকর্ড হয়েছে ৫ শতক। দখলে আছে ২ শতক। সম্পত্তির দখল নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হলে দু’মাস পূর্বে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসএ থেকে আরএস রেকর্ডীয় ১১ জন মালিককে নিয়ে শালিসে বসেন। শালিসে আমিন দ্বারা জমি মাপজোক করা হয়। মাপ শেষে সকলের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, দেব দাশের দখলে থাকা অতিরিক্ত ৫ শতক জমি হতে ৩ শতক জমি বিনয়কে দেওয়া হবে। তখন দেবদাশ সাগরে থাকায় দু’মাস সময় চেয়ে নেয়া হয় এবং সকলের উপস্থিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। দু’মাস পার হওয়ায় সকল শালিসদারকে খবর দিয়ে গত শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রোবর্ডীয় মালিকদের নিয়ে দ্বিতীয় বার শালিসে বসেন। শালিসে পুনরায় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত সঠিক থাকায় জমি মাপজোক শেষে দেব দাশের দখলে থাকা অতিরিক্ত ৭ শতকের মধ্যে হতে ৩ শতক জমি এক পাশ থেকে চিহ্নিত করে বের করে দেওয়া হয়। সেখানে সকলের উপস্থিতিতে নেট বেড়া দিয়ে সীমানা নির্ধারন করা হয়।শালিস থাকা সাংবাদিক বোরহান উদ্দীন বুলুর ভগ্নিপতি কাপসন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজী জানান, প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় শালিসের সিদ্ধান্ত একই হওয়ায় আমরা রেকর্ডীয় মালিকসহ উপস্থিত প্রতিবেশীদের সামনেই জমি মেপে সীমনা চিহ্নিত করে দেই। এসময় কোন মত বিরোধ বা কোন রকম ন্যুনতম দ্বন্দ্ব ফাসাদ হয়নি। আমরা সকলকে জানিয়ে দিয়েছি শালিসের সিদ্ধান্তে কোন আপত্তি থাকলে যে কেউ পুনরায় শালিস বসাতে পারে। আমরা আমাদের জানামতে সম্পুর্ণ নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতমুক্ত ভাবে ফয়সালার চেষ্টা করেছি।শালিসে থাকা অরবিন্দ হালদার, হারান মন্ডল জানান, প্রথম শালিসের সিদ্ধান্ত ২য় শালিসে বসে সকলের সম্মতিতে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এসময় কোন মত বিরোধ, দ্বন্দ্ব, আক্রমন, ভাংচুর বা কোন প্রকার কথা কাটাকাটিও হয়নি। কেউ কোন অভিযোগ করলে তা ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা।দেবদাশ মন্ডলের স্ত্রী আমাপতি সকলের সামনে জানান, আমাদের দখলে ৭ শতক জমি আছে, আমাদের রেকর্ড হয়েছে ২ শতক। শালিসকারকরা জমিতে সীমানা টেনে ৩ শতক জমি আলাদা করে রেখেছে। আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর বা কোন ক্ষয়ক্ষতি করা হয়নি।