Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 23 of 82

Author: Hasan

  • ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

    ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

    কাশ্মীর ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এবার ভারতের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। ভারত এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছিল।

    পাকিস্তানের দাবি, অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুসের অংশ হিসেবে তারা ভারতের পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার আদমপুরে অবস্থিত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সফলভাবে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করেছে।

    পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্রের মতে, দেশটির বিমান বাহিনী তাদের প্রতিশোধমূলক হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে একটি জেএফ-১৭ থান্ডার বিমান গুরুতর আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। এস-৪০০ সিস্টেমটি অত্যাধুনিক। এটির মূল্য প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার। যা ভারতের সবচেয়ে মূল্যবান কৌশলগত সম্পদের মধ্যে একটি ছিল।

    অবশ্য গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে ভারত মিসাইল হামলা চালানোর পর থেকেই একের পর এক দাবি করছে পাকিস্তান। প্রথমে তারা পাকিস্তানের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে। পরে ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করে। যদিও এসব দাবির বিষয়ে ভারত এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি। তবে বিবিসি ভারতের রাফাল বিমান ভূপাতিত করার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছিল।

    এদিকে শুক্রবার রাতে ভারতের ২৬টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালানোর দাবি করেছে পাকিস্তান। অবশ্য পাকিস্তান এমন দাবি করলেও ভারত এসব দাবির কথা স্বীকার করেনি।

    এই দাবি ছাড়াও ভারতের শীর্ষস্থানীয় ওয়েবসাইটগুলো হ্যাক করার দাবি করেছে পাকিস্তান। তাদের দাবি সাইবার হামলা করেছে তারা। যদিও বিবিসি এসব দাবির সত্যতা এখন পর্যন্ত যাচাই করতে পারেনি। আর ভারতের দিক থেকেও এসব বিষয়ে কোন মন্তব্য আসেনি।

    তবে ক্ষমতাসীন বিজেপির ওয়েবসাইট ভারতে দেখা যাচ্ছে। যাতে পরিষ্কার এই ওয়েবসাইটটি এখনো সাইবার হামলার শিকার হয়নি।

    তবে চলমান উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে ভারত শাসিত কাশ্মীরে নিহত হয়েছেন এক সরকারি কর্মকর্তা। ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ।

    উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন প্রাণ হারায়। এই হামলার দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেশটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে বেশ কয়েকজন হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর প্রতিশোধে পালটা হামলা চালিয়ে ভারতের বেশ কয়েকটি বিমান এবং ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।

  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন

    বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন

    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেছেন, ইসলামে সন্ত্রাসের কোন জায়গা নেই। ইসলাম সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। আমরা পাঁচদফা প্রস্তাবনা দিয়েছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা—সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন থাকবো। ভারতের আধিপত্যবাদকে বাংলাদেশের মানুষ ভয় পায় না। ভারত মিসাইল ছুঁড়লে আমরা সেই মিসাইল ভারতে পাঠিয়ে দিব। আমরা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করব। মানুষের বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে কেয়ারটেকার সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আমরা সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছি। আমরা পরীক্ষিতভাবে সৎ। আমরা সৎ লোকের শাসন চাই, আল কোরআনের আইন চাই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত। আমাদের কমিটমেন্ট থাকবে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা। সবার জন্য ভাত কাপড় শিক্ষা স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। সবাই থাকার জন্য ঘর পাবে। ফ্রি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হবে। আমরা আওয়ামী লীগের শাসন দেখেছি, আমরা বিএনপি’র শাসন দেখেছি, আমরা জাতীয় পার্টির শাসন দেখেছি। এখন বাকি আছে একটি দল। সেই দলের নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি। আমাদেরকে ভোট দিন, নির্বাচিত করুন, আমরা আপনাদের অধিকার ফিরিয়ে দেব। আমরা এদেশের সকল ধর্মের মানুষের সম অধিকার নিশ্চিত করবো। আমরা নারীর মর্যাদা সমুন্নত করবো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর হাদিস বর্ণনা করে তিনি বলেন, ইসলামে কোন নারীকে হত্যা করা যাবে না।
    তিনি আরও বলেন, আমরা সোনার বাংলার স্লোগান শুনেছি, আমরা ছয়দফার স্লোগান শুনেছি। কিন্তু সোনার বাংলার স্লোগান এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি।
    প্রধান অতিথি বলেন, দরকার হলে পাঁচ বছরের জন্য জামায়াতের কাছে বাংলাদেশকে লিজ দিন। আমরা যদি ব্যর্থ হই, তাহলে কান ধরে, ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবেন। আমরা ব্যর্থ হবো না— ইনশাআল্লাহ।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, লুটপাট, চাঁদাবাজির কথা বললে একটি বড় দল মাথায় হাত দেন। লুটপাট, দুর্নীতি, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন আর অপশাসন চালিয়ে এদেশ থেকে পালিয়ে গেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা—কর্মীরা। এখন আবার আর একটি দল সেই একইভাবে লুটপাট, চাঁদাবাজি, দখলবাজি শুরু করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
    প্রধান অতিথি এসময় সাতক্ষীরার প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে স্ব—স্ব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের জন্য নেতা—কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
    শনিবার (১০ মে) বিকাল ৩টায় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন শহীদ আব্দুস সামাদ স্মৃতি ময়দানে কর্মী সম্মেলনে সভপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর ও সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী।
    কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুর রউফ ও সরকারি সেক্রেটারি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারি পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ—সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, জেলা ছাত্র শিবিরের নেতা এমামুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ওমর ফারুক, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুল আলম, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন,কালিগঞ্জ উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর জিএম আব্দুল গফ্ফার, শ্যামনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, আশাশুনি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আবু মুছা তারিকুজ্জামান তুষার, দেবহাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ওলিউল ইসলাম, শহিদ আরিফুজ্জামানের পিতা আবতাবুজ্জামান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি এসএম জোবায়ের হোসেন, সাতক্ষীরা শহর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম, প্রমুখ।
    এর আগে একই দিন সকালে একই ময়দানে জামায়াতে ইসলামীর মহিলা কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

    গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে সম্মেলনে হাজার হাজর মানুষ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে উপস্থিত ছিলেন।  সম্মেলন শেষে স্থানীয় মোহনা শিল্পগোষ্ঠীর আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়।

  • আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

    আ. লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

    আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে চার টার দিকে শাহবাগ অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল সংলগ্ন সড়কে থেকে শাহবাগ মোড়ে এসে আন্দোলনকারীরা জড়ো হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এই অবরোধে অংশ নেন। যার ফলে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, টিএসসি এবং বাংলামোটরগামী রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

    এ সময় আন্দোলনকারীরা প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি এবং গণহত্যার বিচারের আহ্বান জানায়। ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’ ‘নাহিদ-আক্তার আসছে, রাজপথ কাঁপছে’, ‘একটা একটা ছাত্রলীগ ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও ঘুড়িয়ে দাও’, ‘২৪ এর বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, প্রভৃতি বলে স্লোগান দেয়।

    এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি সেদিন থেকে শুরু হবে, যেদিন বাংলাদেশ টাইটেল পাবে ‘বাংলাদেশ উইদাউট আওয়ামী লীগ’। আমরা সেই টাইটেল দেওয়ার জন্য কিছুক্ষণ আগে মানুষের সমাগম করার জন্য এ জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। এ জায়গা থেকে আমরা এখন রাস্তা ব্লকেড করব। ইন্টারিমের কানে আমাদের কথা পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কানে আমাদের আওয়াজ পৌঁছায় নাই; অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের আওয়াজ পৌঁছায় না, আহতদের আর্তনাদ পৌঁছায় না, আমরা এখান থেকে গিয়ে শাহবাগে অবরোধ করব। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমরা জায়গা ছাড়ব না।

  • ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত পাকিস্তানে

    ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত পাকিস্তানে

    ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার (৯ মে) গণমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত পাকিস্তানে হামলা চালানোর পর এখন পর্যন্ত ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। গত ৮ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাকিস্তান ২৯টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। আর গত রাত থেকে আরও ৪৮টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের হামলার বিরুদ্ধে পাকিস্তান যথাযথ প্রতিক্রিয়ায় জবাব দিচ্ছে।

  • ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ

    ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ

    কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (৭ মে) মন্ত্রণায়ের এক বিবৃতিতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশী দেশকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এমন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

    বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ সরকার ভারত ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং উভয় দেশকে শান্ত থাকার, সংযত থাকার এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়।

    এতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার চেতনায় বাংলাদেশ আশাবাদী যে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ উত্তেজনা প্রশমিত হবে এবং শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলের জনগণের কল্যাণে শান্তি বিরাজ করবে।

  • সাতক্ষীরায় শিবিরের বিক্ষোভ

    সাতক্ষীরায় শিবিরের বিক্ষোভ

    ২০২৪ সালের জুলাই গণহত্যার বিচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও ফ্যাসিস্ট আমলে হওয়া সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির সাতক্ষীরা।
    ৭মে বিকাল ৪টার শহরের তুফান মোড় থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষি করে খুলনারোড মোড়স্থ আসিব চত্ত্বরে যেয়েং শেষ হয়।
    শহর শিবিরের সেক্রেটারী মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ পরবর্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরি পনিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরীয় সভাপতি আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা শহর শিবিরের সভাপতি আল মামুন, জেলা শিবিরের সভাপতি ইমামুল হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

  • বাজারে উঠছে সাতক্ষীরার আম

    বাজারে উঠছে সাতক্ষীরার আম

    বাজারে উঠতে শুরু করেছে সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম। জেলার আম ক্যালেন্ডার অনুযায়ি প্রথম পর্যায়ে সোমবার (৫ মে) থেকে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আমসহ স্থানীয় জাতের আম। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে এখানকার আম দেশের অন্য এলাকার তুলনায় অগ্রিম পরিপক্ব হয়। ফলে আগে বাজারে ওঠার কারণে বেশি দামে বিক্রিও হয় সাতক্ষীরার এই আম। পর্যায়ক্রমে আগামী ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ন্যাংড়া এবং ৫ জুন থেকে আম্রপালি আম বাজারে পাওয়া যাবে।

    সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি এলাকার জনৈক বেলাল এর গাছ থেকে আম পেড়ে জেলায় আম সংগ্রহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। এসময় জেলার আম চাষী ও ব্যবসায়িরা উপস্থিত ছিলেন।

    সাতক্ষীরার সুস্বাদু গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি জাতের আমের কদর আছে দেশ বিদেশে। জেলার আবহাওয়া ও মাটি এই অঞ্চলের আমকে করেছে সুস্বাদু, ঘ্রাণযুক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী। যা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অপরিহার্য। কাজেই সাতক্ষীরায় উৎপাদিত আম শুধু বাংলাদেশের বাজারে নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও বেশ জনপ্রিয়। যে কারণে প্রতি মৌসুমে দেশের গোন্ডি পেরিয়ে ২০১৫ সাল থেকেই আমেরিকা ও ইউরোপে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে সাতক্ষীরার আম। যা জেলার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলায় ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে প্রায় ৫ হাজার আম বাগান রয়েছে। চলতি বছর এখান থেকে ৬২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি বিভাগ। যার মধ্যে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে।

    সদর উপজেলার ধুলিহর এলাকার আম চাষী মোকলেছুর রহমান জানান, আমার ১৪/১৫টি বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই অনাবৃষ্টির কারণে অনেক আম ঝড়ে পড়েছে। গাছে যা আম আছে তাতে সামনে যদি কোন প্রাকুতিক দুর্যোগ না আসে তাহলে মোটামুটি ভাল ব্যবসা হবে।

    তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের সুচি মেনেই আমরা ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস ও বোম্বাইসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া শুরু করেছি। সকাল থেকে প্রায় ৮০ ক্যারেট বিভিন্ন জাতের আম পেড়ে বাজারে পাঠিয়েছি। মাটির গুণাগুণ ও আবহাওয়ার কারণে সাতক্ষীরার আম তাড়াতাড়ি পেকে যায় এবং আম খুব সুন্দর সুস্বাদু হয়। আগে পাকায় আমরা সবার আগে বাজারজাত করতে পারি। আগে বাজারজাত করায় দামও ভাল পাই।

    শহরের সুলতানপুর বড়বাজারের আম ব্যবসায়ি ফজর আলী খোকা বলেন, সোমবার সকাল থেকে বাজারে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাস ও বোম্বাইসহ স্থানীয় জাতের আম আসা শুরু করেছে। এবার আমের কোয়ালিটি বেশ ভাল। গোবিন্দভোগ ও গোপালভোগ আম পাইকারি ৬০ টাকা কেজি দরে ২৪০০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে। সরবরাহ বাড়লে আরও দাম কমতে পারে। ইতিমধ্যে জেলার বাইরের ব্যবসায়িরাও বাজারে আসতে শুরু করেছেন। জুন মাসের শেষ নাগাদ সাতক্ষীরার আমের বাজার জমজমাট থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    সুলতানপুর বড়বাজারে আম কিনতে আসা ঢাকার ব্যবসায়ি আক্তারুজ্জামান জানান, আমরা রাজশাহী, যশোর ও সাতক্ষীরার থেকে প্রতি বছর আম কিনে ব্যবসা করি। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই সাতক্ষীরায় আম কিনতে আসি। কারণ দেশের অন্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে। এছাড়া এখানকার আম বেশ সুস্বাদু। সে কারণে দেশের প্রায় সকল বাজারেই ক্রেতাদের মাঝে সাতক্ষীরার আমের একটা আলাদা কদর ও চাহিদা রয়েছে। আগে বাজারে পাওয়া যায় বিধায় ক্রেতাদের কাছ থেকে ভাল দামও পাই। সাতক্ষীরার আম শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকব বলে জানান ওই ব্যবসায়ি।

    সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি জাতের আম পরিপক্ক হওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। আগেভাগে পাড়লে আমের স্বাদ ও গুণগত মান কমে যায়, ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির সুযোগ ক্ষুন্ন হয়। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে এখানকার আম অগ্রিম পরিপক্ব হয়। আগাম বাজারে ওঠার কারণে চাষীরা দামও পান বেশি।

    তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আম্রপালি জাতের আমের কদর আছে দেশ বিদেশে। ২০১৫ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম ইউরোপে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে, যা জেলার অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

    সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরার আমের খ্যাতি শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও। সাতক্ষীরার আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং বিশুদ্ধ ও নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের লক্ষে জেলায় আম সংগ্রহের একটি সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সুচির আগে অপরিপক্ব আম সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা বাজারজাতকরণে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

    তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলা থেকে প্রায় ৭০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। রপ্তানিযোগ্য আম নিশ্চিত করতে গুণগতমান রক্ষায় নির্ধারিত সময়ের আগে আম সংগ্রহ বন্ধ রাখা হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও কৃষি বিভাগের সহায়তায় এ বিষয়ে জেলাব্যাপি কঠোর নজরদারি থাকবে।

    প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার আমের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে এবং বিশুদ্ধ ও নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের লক্ষে সাতক্ষীরার আম সংগ্রহের একটি সময়সূচি প্রকাশ করে জেলা প্রশাসন। গত ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত “নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ” শীর্ষক এক মতবিনিময় আম সংগ্রহের এই সূচি প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ। সূচি অনুযায়ি ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও দেশীয় বৈশাখী আমসহ স্থানীয় জাতের আম পাড়া শুরু হয়েছে। আগামী ২০ মে হিমসাগর, ২৭ মে ন্যাংড়া এবং ৫ জুন থেকে আম্রপালি আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা যাবে।

  • সাতক্ষীরার সুন্দরবন থেকে হরিণশিকারের ফাঁদসহ নৌকা উদ্ধার

    সাতক্ষীরার সুন্দরবন থেকে হরিণশিকারের ফাঁদসহ নৌকা উদ্ধার

    পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনের ভিতর থেকে ৬শ’ পিস হরিণ শিকারের ফাঁদসহ ২টি নৌকা উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরের দিকে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের আওতাধীন টাটের খাল এলাকা থেকে হরিণ শিকারের ফাঁদ ও নৌকা উদ্ধার করা হয়।

    বন বিভাগ সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন সুন্দরবনে নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের একটি টহল দলের সদস্যরা মঙ্গলবার দুপুরে টাটের খাল এলাকায় পৌঁছালে চোরা শিকারীরা বনকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের ব্যবহৃত নৌকা ও হরিণ শিকার করা ফাঁদ ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় সেখান থেকে দুটি নৌকা ও ৬ শ’ পিস হরিণ শিকার কাজে ব্যবহৃত ফাঁদ উদ্ধার করা হয়।

    বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, নিয়মত টহল চলাকালীন সময়ে সুন্দরবনের গহীনে টাটের খাল এলাকা থেকে হরিণ শিকারি চক্রর ফেলে যাওয়া দুইটি নৌকা ও ৬শ’ পিস ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে।

  • ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কায় বাংলাদেশ!

    ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কায় বাংলাদেশ!

    ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটে বরাবরই সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়া টাইগারদের জন্য ৫০ ওভারের ফরম্যাট এক সময় ছিল সবচেয়ে পছন্দের। তবে সময়ের পালাবদলে সেই ধারাবাহিকতায় বড়সড় ধস দেখা যাচ্ছে এখন।

    আইসিসির হালনাগাদ ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নেমে গেছে দশম স্থানে। ২০০৬ সালের পর এই প্রথমবার এতটা নিচে নেমে গেল টাইগাররা। গত এক বছরে ৯টি ওয়ানডে খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, যার ফলে এমন অবনতি ঘটেছে র‍্যাঙ্কিংয়ে। এর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ এবং চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে টানা দুই ম্যাচে পরাজয়।

    এই র‍্যাঙ্কিং পতনের প্রভাব পড়তে পারে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ১৪ দলের এই আসরে স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে। এছাড়া আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দলও সরাসরি জায়গা পাবে বিশ্বকাপে। বাকি চার দলকে খেলতে হবে বাছাই পর্বে। স্বাগতিক হলেও আইসিসির পূর্ণ সদস্য না হওয়ায় নামিবিয়াকে খেলতে হবে বাছাই পর্বেই।

    বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান দশম হওয়ায় সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে দেখা দিয়েছে বড় শঙ্কা। আগামী বিশ্বকাপের অংশগ্রহণ নির্ধারিত হবে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে। এই সময়ের মধ্যে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি না ঘটলে বাংলাদেশকে বাছাই পর্বে খেলতে হতে পারে।

    তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ দশম স্থান থেকেও সরাসরি জায়গা পেতে পারে। যেমন- যদি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে সেরা দশে উঠে আসে কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা দশের বাইরে চলে যায়, তাহলে এই হিসাব পাল্টে যেতে পারে।

    আর বাছাই পর্ব সহজ হবে না মোটেও। সেখানে থাকবে আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ওমান, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেপাল, নামিবিয়ার মতো দল, যারা যে কাউকে হারানোর সামর্থ্য রাখে।

    সব মিলিয়ে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা নিশ্চিত করতে হলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে হবে টাইগারদের। নইলে বাছাই পর্বের কঠিন পথেই হাঁটতে হতে পারে টাইগারদের।

  • তালার ইউএনওকে বদলী

    তালার ইউএনওকে বদলী

    ‎সাতক্ষীরায় কালের কণ্ঠ পত্রিকার তালা উপজেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান টিপুকে দশদিনের কারাদণ্ড দেয়া আলোচিত ইউএনও শেখ রাসেলকে রংপুর বিভাগে বদলী করা হয়েছে।

    ‎রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব মোঃ শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ০৫.০০.০০০০. ১৩৯.১৯. ০০৯. ২৪-১৫৪ নম্বর স্মারকে সোমবার (৫ মে) এ আদেশ দেয়া হয়েছে।

    ‎উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল দুপুরে তালা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের প্রায় ১১ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজে অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপু। এ সময় তালা উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এমএম মামুন আলম তথ্য দিতে অস্বীকার করায় সাংবাদিকের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়।

    একপর্যায়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেলকে জানালে তিনি সরেজমিনে উপস্থিত শ্রমিকসহ স্থানীয়দের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাংবাদিক টিপুকে ১৮৬ ধারায় ১০ দিনের সাজা দেন এবং ২০০ টাকা জরিমানা করেন। এ ঘটনায় ফুসে উঠে তালাসহ সারা বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজ।

    দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও আঞ্চলিক পত্রিকায় তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোঃ রাসেলের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরদিন তালা, সাতক্ষীরাসহ সারা দেশে শুরু হয় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান। সাংবাদিকদের দেওয়া ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামের মুখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন।

  • এবার ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি

    এবার ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি

     

    পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শুরু হবে আগামী ৫ জুন থেকে। টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। অর্থাৎ ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন। মঙ্গলবার ( ৬ মে) সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ছুটির এই সিদ্ধান্ত হয়।

    বৈঠকে উপস্থিত দায়িত্বশীল একজন উপদেষ্টা গণমাধ্যমকে ছুটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ওই উপদেষ্টা আরও জানান, ১৭ মে ও ২৪ মে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার সব সরকারি অফিস খোলা থাকবে।

    এর আগে ১০ দিনের ছুটি ঘোষণার কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

    এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরেও ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিন ছুটি ছিল। ঈদ উপলক্ষে আগেই পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করেছিল সরকার। সেখানে নির্বাহী আদেশে আরও এক দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

    অবশ্য এই ছুটি শুরুর দুই দিন আগে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ছুটি ছিল। পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এক দিন অফিস খোলা ছিল।

  • দেবহাটা ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদকে স্বপদে পূর্নবহালের দাবি স্থানীয় নেতকর্মীদের

    দেবহাটা ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদকে স্বপদে পূর্নবহালের দাবি স্থানীয় নেতকর্মীদের

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ফরহাদকে স্বপদে পূর্নবহালের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (৬ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. নুররুজ্জামান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৪ মে দেবহাটা উপজেলার সরকারি খান বাহাদুর আহসান উলাহ কলেজে ছাত্রদলের কমিটি নির্ধারণে ভোট হয়। ভোটে সভাপতি পদে রাকিব হোসেন ও ইমারন হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম হোসেন ও শরিফুল ইসলাম বাবু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ২৬২ জন ভোটারের মধ্যে ১৮৯ জন ভোট প্রদান করেন। ভোট গণনা শেষে সভাপতি পদে রাকিব ৮৭ ভোট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম হোসেন ৮৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়। কিন্তু ফলাফল ঘোষনার পর সন্দেহ হলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ইব্রাহিম হোসেন টীমের কাছে ভোট পুনারায় গণনার আবেদন করে। পরে পুনঃ গণনা শেষে সাধারণ সম্পাদক পদে ইব্রাহিম হোসেন ৯৮ ভোট পান এবং তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে সভাপতি প্রার্থী রাকিবও পুনরায় তার ভোট গণনার আবেদন জানালেও টীমের সদস্যরা সেটি গ্রহণ করেননি। এক পর্যায়ে ইমরান ফরহাদ বিষয়টি পুনবিবেচনার আবেদন জানালে টীমের নেতৃবৃন্দ খুলনায় গিয়ে ভোট গণনার কথা বলেন। এঘটনার পর কোন প্রকার কারণ দর্শানোর নোটিশ বা সতর্ক ছাড়াই ইমরান ফরহাদকে অব্যাহতি দিয়ে পত্র পাঠায়। যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক এবং সংগঠনের পরিপন্থি।
    নুররুজ্জামান আরো বলেন, নির্বাচনে ভোট গণনায় কারচুপির প্রতিবাদ ও জনসম্মুখে পূনরায় ভোট গণনার দাবী জানানোর কারণে ইমরান ফরহাদকে ছাত্রদল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। আমরা যতদূর জেনেছি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ প্রকৃত বিষয়টি অবগত নন। অবগত থাকলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নিশ্চয় এধরনের সিদ্ধান্ত নিতেন না। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের কাছে প্রকৃতঘটনা আড়াল করে ইমরান ফরহাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেছে বিভাগীয় টীম। প্রকৃত ঘটনা আমরা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ জেলা, বিভাগীয় এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরতে চাই। যাতে আমাদের নেতা ন্যায় বিচার পান এবং স্বপদে ফিরে আবারো দলের হাল ধরে দেনহাটা উপজেলা ছাত্রদলকে সুসংগঠিত করে দলের জন্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
    তিনি বলেন, ইমরান ফরহাদ দেবহাটা উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ সকল অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সর্বোচ্চ মামলার আসামী। বারবার কারাবরণকারি। সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিত। এধরনের একজন নেতাকে কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই অব্যাহতি প্রদান করায় আমরা বিস্মিত হয়েছি। ফরহাদ এর মত ত্যাগী শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের এভাবে অব্যাহতিতে দল ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের প্রতি আস্থা হারাবে। তিনি অবিলম্বে উপজেলার ত্যাগী নেতা ইমরান ফরহাদকে পুনরায় স্বপদে বহাল করার জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সকল নেতৃবৃন্দের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
    সংবাদ সম্মেলনে দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক চঞ্চল, রাকিবুল, অসাদুল, কবিরুল, মিলন, রাকিব, তারিবা মনোয়ার, মুছা করিম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • উপজেলা কৃষি, প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য দপ্তরের সাথে এ্যাডভোকেসি সভা

    উপজেলা কৃষি, প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য দপ্তরের সাথে এ্যাডভোকেসি সভা

    আশাশুনি প্রতিনিধি:বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন প্রচেষ্টার আয়োজনে উপজেলা  কৃষি, প্রাণী সম্পদ ও মৎস্য দপ্তরের সাথে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) খুলনার কয়রা উপজেলা মৎস্য অফিসের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।ইইউ এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহায়তায় পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্পের টেকনিক অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পিপিইপিপি -ইইউ প্রকল্প সমন্বয়কারি হুমায়ূন কবির। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সমীর কুমার সরকার, উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জয় কুমার সরকার এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডাঃ শুভ বিশ্বাস স্ব স্ব দপ্তরের কার্যক্রম ও সেবাসমুহ অবহিত করেন। সভায় সংস্থার টেকনিক্যাল ও সহকারি টেকনিক্যাল অফিসার ছাড়াও বাগালি ইউনিয়ন এর বিভিন্ন পিভিসি হতে ২০ জন নারী উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তাগণ সমন্বিত কৃষির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে উদ্যোক্তাদের আধুনিক বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে হবে। তবেই দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।

  • মেয়েদের প্রথম ম্যাচ জর্ডানের বিপক্ষে

    মেয়েদের প্রথম ম্যাচ জর্ডানের বিপক্ষে

    সব ঠিকঠাক। আগামী মে-জুনে জর্ডানে ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। কয়েকদিন আগে এই টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ ঠিক হলেও ঠিক ছিল না বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ কাদের বিপক্ষে খেলবে। বাংলাদেশ ও স্বাগতিক জর্ডান ছাড়া অন্য দলটি ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ ৩১ মে ও দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন খেলবে এ পর্যন্ত চূড়ান্ত ছিল।

    অবশেষে জানা গেছে, বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক জর্ডানের বিপক্ষে। ৩১ মে’র ওই ম্যাচের পর দুই দিন বিরতি দিয়ে ৩ জুন ম্যাচ খেলবে ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল এই প্রথম কোনো ত্রিদেশীয় আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলবে।

    আগামী ২৮ জুন থেকে ৫ জুলাই মিয়ানমারে অনুষ্ঠিতব্য এএফসি নারী এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ গ্রুপের খেলা হবে মিয়ানমারে। অন্য দুই দল বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান।

    ২৯ জুন বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু করবেন আফঈদারা। দ্বিতীয় ম্যাচ স্বাগতিক মিয়ানমারের বিপক্ষে ২ জুলাই। আর শেষ ম্যাচ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৫ জুলাই।

    এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের টিকিট পেতে হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। মিয়ানমার থাকায় বাংলাদেশের জন্য কাজটি কঠিন। ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে মিয়ানমার।

    এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে দল শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা ছিল বাফুফের। সেই পরিকল্পনা থেকেই জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে মেয়েরা। জর্ডানের অবস্থান ৭৪ ও ইন্দোনেশিয়া ৯৪। বাংলাদেশ ১৩৩। এই দুই দলের বিপক্ষে ম্যাচ খেললে মেয়েরা নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবে। কোচ বুঝতে পারবেন দলকে কতটা প্রস্তুত করতে পেরেছেন।

  • জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাস সংরক্ষণ, নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং গণ-অভ্যুত্থানের আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করেছে সরকার।

    সোমবার (২৮ এপ্রিল) অধিদপ্তর গঠন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এর আগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

    সেখানে বলা হয়, গত ১২ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হলো।

  • সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মটরসাইকেল চালক

    সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মটরসাইকেল চালক

    সাতক্ষীরায় ট্রাক ও মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বেলা পৌনে ৯টার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের আগরদাঁড়ি মহিলা মাদ্রাসার কাছে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহত মটরসাইকেল চালকের নাম মো. নাঈম হাসান (৩০)। তিনি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কাকডাঙ্গা গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।

    প্রতক্ষ্যদর্শী মনিরুল ইসলাম বলেন, নাঈম হাসান মটরসাইকেলে সাতক্ষীরার দিক থেকে সীমান্তের বৈকারীর দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি হেলমেটের মধ্যে মোবাইল ঢুকিয়ে কথা বলতে বলতে মটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে বেলা পৌনে ৯টার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের আগরদাঁড়ি মহিলা মাদ্রাসার কাছে সুলতান বাবরের মোড়ে পৌছালে বিপরীত দিক হতে আসা একটি ট্রাকের সাথে তার মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় নাঈম হাসান। এসময় ট্রাকের গতি কম থাকলেও মটরসাইকেল চালক মোবাইলে কথা বলার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

    সাতক্ষীরার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

  • সাতক্ষীরায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত

    সাতক্ষীরায় ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ পালিত

    ‘দ্বন্দ্বে কোনো আনন্দ নাই, আপোস করো ভাই, লিগ্যাল এইড আছে পাশে, কোনো চিন্তা নাই’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস।

    দিবসটি উপলক্ষে সকালে সাতক্ষীরা জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে বেলুন, কবুতর ও ফেস্টুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। পরে সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা জজকোর্ট চত্বর থেকে শহরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্ত দান এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    আপামর জনসাধারণকে সরকারি আইন সহায়তা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দীন, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম, লিগ্যাল এইড অফিসার (অতিরিক্ত জেলা জজ) নাসির উদ্দিন ফারাজী, সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. এম. শাহ আলম, জি.পি. এ্যাডঃ অসীম কুমার মন্ডল, পি.পি. এ্যাড. শেখ আব্দুস সাওার, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শেখ এমদাদ হোসেন প্রমুখ।

    বক্তারা বলেন, লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে গরিব অসহায় মানুষদের আইনগত সহায়তা দেয়া হয়। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আইনের নিরাপত্তার বাইরে রেখে আইনের শাসন নিশ্চিত করা যাবে না। আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করে সাতক্ষীরায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবো।

  • শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু

    শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু

    সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে বাড়ির পাশে পুকুর থেকে তার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে মোটরে পানি তোলার সময় বিদ্যুতের লিকেজ তারে স্পৃষ্ট হয়ে তিনি পুকুরে পড়ে যান।

    নিহত মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম মাওলানা ফজলুল হক গাজী (৫৫)। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী তারানীপুর গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে। ফজলুল হক স্থানীয় দরগাপুর এনডিএস ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক ছিলেন।

    স্থানীয়রা জানান, ফজলুল হক গাজী নতুন জায়গা কিনে সেখানে বাড়ি করার জন্য চারপাশে বিম ঢালাই দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ কাজ করছিলেন। সোমবার ভোরে নির্মাণাধীন প্রাচীরে পানি দেয়ার জন্য বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে বসানো মটরে হাত দিলে বিদ্যুতের লিকেজ তারে স্পৃষ্ট হয়ে তিনি পুকুরে পড়ে যান। পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

    এদিকে সকাল ৮টার দিকে একই গ্রামের আল আমিনের ছেলে রব খেলা করার জন্য পুকুরপাড়ে গিয়ে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে তার দাদা আশরাফ গাজীকে খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ এসে পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে।

    শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ না থাকায় পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।