Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 22 of 82

Author: Hasan

  • তালায় ৩৫ সাংবাদিক বহনকারী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে

    তালায় ৩৫ সাংবাদিক বহনকারী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে

    সাতক্ষীরা থেকে রাজধানী ঢাকায় ফেরার পথে ৩৫ জন সাংবাদিককে বহনকারী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। রোববার (১৮ মে) বিকালে সাতক্ষীরা-খুলনা সড়কের মির্জাপুর বাজার সংলগ্ন ইসলামকাটি মোড়ে এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    জানা গেছে, ১৭ মে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সংবাদ কাভার করার জন্য তারা সাতক্ষীরায় এসেছিলেন। আজ ফিরে যাচ্ছিলেন। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে। এতে কয়েকজন সামান্য আহত হন।

    পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনউদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় বাসটি উল্টে গেলেও এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

  • আশাশুনির শ্রীউলায় বিএনপির সদস্য নবায়ন

    আশাশুনির শ্রীউলায় বিএনপির সদস্য নবায়ন

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে (শ্রীউলা গ্রামে) সদস্য নবায়ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন সার্চ কমিটির উদ্যোগে সদস্য নবায়ন অনুষ্ঠিত হয়।
    শ্রীউলা শহীদ জিয়া পার্ক ও শ্রীউলা সরকারি প্রাইমারী স্কুল মাঠে সদস্য নবায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সার্চ কমিটির সদস্য মোঃ রফিকুজ্জামান ছোট্রুর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য এড. মোঃ নুরুল আমিন, এড. এবিএম সেলিম, এসএম মফিজুল ইসলাম, মাগফুর রহমান বুলু, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোঃ আতাউল্লাহ চৌধূরী, মোঃ মফিজুল ইসলাম ও মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জেলা বিএনপির বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শ্রীউলা ইউনিয়ন সার্চ কমিটি ৯ টি ওয়ার্ড কমিটির সদস্য নবায়ন সফল ভাবে এ কাজ পরিচালনা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
  • সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী সভা অনুষ্ঠিত

    নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরী আলচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৮মে) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সার্কিট হাউজ মোড়ে অস্থায়ী কার্যালয় জরুরী আলচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকালাপ নিয়ে পদত্যাগ নিয়ে ক্লাবের সদস্যরা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    জরুরী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি গাজী মোক্তার হোসেন তিনি বলেন, আমরা ২০১৭ সাল থেকে আমাদের সংগঠন ভালভাবেই চলছে কিন্তুু আমাদের ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক উচ্ছৃঙ্খল আচারণে আমারা সাধারণ সভা আহবান করার আগেই সে নিজ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে অব্যহতি নিয়েছে। আমরা ক্লাবের গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তার সাথে ক্লাবের কোন সম্পর্ক নেই সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কোন বিষয় তার সাথে যোগাযোগ না করার জন্য আহবান জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি শাহজাহান আলম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান পলাশ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মামুন হোসেন। দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক বিপ্লব। কোষাধাক্ষ্য আজহারুল ইসলম প্রমূখ।আলোচনা সভায় সবার সিধান্তক্রমে আগামি ২৪-০৫-২০২৫ রোজ শনিবার সাধারণ সভার দিন ঘোষনা করা হয়। সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদ খালি হওয়ায় সাধারণ সভায় সবার সম্মতিক্রমে সাধারণ সম্পাদক নির্বচিত করা হবে এজন্য সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের সকল সদস্য উপস্থিত হবার আহবান করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য শিমুল হোসেন বাবু, শেখ মনিরুজ্জামন,ওবাইদুল ইসলাম, সঞ্জয় কুমার দাশ।

  • অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত

    অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত


    নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের স্বরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৭ মে (শনিবার) সাতক্ষীরা জিরো পেইন বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. কতৃক ম্যানগ্রোভ সভাঘরে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল হামিদ, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, কবি স.ম তুহিন, প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের ছেলে সাম্য, প্রকৌশলী আবেদুর রহমান, অধ্যাপক শফিকুল আলম, এড. কালাম আজাদ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রায়ত অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লের সহোদর শহিদুল ইসলাম সহ অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গ।

    সভায় উপস্থিত সকলে অধ্যক্ষ মোঃ মহিবুল্যাহ মোড়লকে গভীর ভাবে স্মৃতিচারণ করেন এবং গভীর শোক প্রকাশ করেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক পবিত্র মোহন দাস।

  • সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরায় জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন

    সাতক্ষীরা শহরতলীর খানপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। শনিবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় খানপুর গ্রামে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধন থেকে বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় এতিমখানা, আলিম মাদ্রাসা, ঈদগাহ মাঠ, বাজার মসজিদ ও মৎস্য ঘের এর জলাবদ্ধতা নিরসনে পূর্ব বিলে একটি নালা খাল খননের দাবি জানানো হয়।

    মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, গিয়াস উদ্দিন, ডাক্তার মাহবুবার রহমান, তপন কুমার বিশ্বাস, শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ।

    ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খানপুর ও রইচপুরে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে হাজার হাজার বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদ করতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমন কি খানপুর সিদ্দিকীয়া আলিম মাদ্রসা ও খানপুর ঈদগাহ ময়দান এবং খানপুর এতিমখানায় এই জলাবদ্ধতায় কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়।

    তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রইচপুর গ্রাম সংলগ্ন আলীপুর থেকে রইচপুর ও পরান্দাহ গ্রাম দিয়ে একটি প্রবাহমান খাল আছে। পার্শ্ববর্তী প্রভাবশালী মহল টাকার বিনিময়ে এ খালের পানি নিয়ন্ত্রণ করে। যার কারনে দূরবর্তী ঘেরগুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

    তিনি আরো বলেন, খানপুর ও রইচপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ বিলের মধ্যভাগ দিয়ে পানি নিষ্কাষণের জন্য একটি নালা খাল প্রয়োজন। যা পার্শ্ববর্তী রইচপুর গ্রামের প্রবাহমান খালের সাথে সংযুক্ত হবে। তালা পানি প্রবাহমান থাকলে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি পাবে এই এলাকার মানুষ।

    ডাক্তার মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন আগে খানপুর ও রইচপুর সড়কের মধ্য ভাগে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু স্বার্থানেশী মানুষের কারণে কালভাটটি সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। এই কালভার্ট বরাবর খানপুর ও রইচপুরের বিস্তীর্ণ মাঠের মধ্যভাগ দিয়ে উত্তর দিকে রইচপুর প্রবাহমান খালের সাথে সংযোগ রয়েছে। অপর দিকে খানপুর ও রইচপুর পাঁচানী মাঠ দিয়ে দক্ষিণ দিকে রইচপুর প্রবাহমান খালের সাথে সংযোগ স্থাপন করা হলে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতার হাত থেকে পরিত্রাণ পাবে।

    তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছি এবং আমরা চাই, পানি নিষ্কাশনের জন্য এই খালটা আগামী বর্ষা মৌসুমের পূর্বে অতি দ্রুত খনন করা হোক।

    তিনি খাল ও নালা খননের মাধ্যমে অত্র এলাকার বাসিন্দারা যাতে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে পারে সেই ব্যবস্থার জন্য প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

  • জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ

    জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধ

    জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় হেজেমনির বিরুদ্ধে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এই একটা অর্জন দৃশ্যমান ছাড়া আর কোনো কিছু এখনো পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

    শনিবার দুপুরে ‘৩৬ জুলাই ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান ২০২৪’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    গ্রন্থটি আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন ও মুরশিদুল আলম চৌধুরী সম্পাদনা করেন। প্রকাশিত গ্রন্থের প্রশংসা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবকে নিয়ে খুব কমই গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এ গ্রন্থ জুলাই বিপ্লবের ঘটনা প্রবাহের এক অনন্য দলিল হিসেবে কাজ করবে। সরকারের উচিত এ ধরনের গ্রন্থ প্রকাশে উদ্বুদ্ধ করা। কেননা, ৯ মাস অতিবাহিত না হতেই বিপ্লবের বয়ান মুছে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের বয়ান তৈরি করা হচ্ছে। ফলে বিপ্লবীদেরকে এ বিষয়ে আরো বেশি সোচ্চার হতে হবে।

    তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্খা দৃশমান করতে রাজনীতিতে তরুণদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। তারা কী করতে চায় সেটাও জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। কিন্তু বিপ্লবীরা এখনো জাতির সামনে তাদের মেন্যুফেস্টু তুলে ধরতে পারেনি।

    মাহমুদুর রহমান আরো বলেন, বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল জুলাই বিপ্লবের হতাহতদের সুরক্ষা, গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করা এবং আর যাতে এ ধরনের কোনো দল ফ্যাসিবাদী না হয়ে উঠতে পারে সে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু এসবের কোনোটাই করতে পারেনি সরকার।

    সরকারের সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, এ সরকার আদৌ কোনো সংস্কার করতে পারবে কিনা তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ ও সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিপ্লবের পর ৯ মাস অতিবাহিত হলেও তারা কোনো সংস্কার দৃশ্যমান করতে পারেনি। এ জন্য সরকারের উপদেষ্টার ব্যর্থতাই প্রধানত দায়ী।

    তিনি আরো বলেন, পরিস্থিতির আলোকে বলা যায় সরকারের সময় ঘনিয়ে এসেছে। সেইসঙ্গে সাফল্যের সম্ভাবনাও কমে আসছে। ফলে সরকারকে হয়তো সংস্কারের উদ্যোগ ফেলে দিয়েই একটা নির্বাচন দিয়ে চলে যেতে হতে পারে।

    ঋদ্ধ প্রকাশনীর চেয়ারম্যান ও সাবেক সবিচ নূরুল আলম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, জুলাই বিপ্লবের অন্যতম সংগঠক ও সমন্বয়ক সাদিক কাইয়ুম, ইনকিলাব মঞ্চের সভাপতি শরীফ ওসমান হাদি, আমার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. আবদুল্লাহ, আমার দেশ এর সহযোগী সম্পাদক আলফাজ আনাম, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।

  • সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত

    সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভায় গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত

    ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভিআইপি হলরুমে শনিবার (১৭ মে ২০২৫) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু নাসের মোঃ আবু সাঈদ। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল বারীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি,এম মনিরুল ইসলাম মিনি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এম রফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম শাওন, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুদ হোসেন, নির্বাহি সদস্য আব্দুল গফুর সরদার, গোলাম সরোয়ার, মুহাঃ জিললুর রহমান, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, আমিরুজ্জামান বাবু, সদস্য আমিনুর রশিদ, এডভোকেট ড. দিলীপ কুমার দেব, শহিদুল ইসলাম, এবিএম মোস্তাফিজুর রহমান, এস,এম রেজাউল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি, এম জিল্লুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল, মীর আবু বকর, ডিএম কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
    বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী। প্রেসক্লাবের আয়-ব্যায়, মার্কেট নির্মাণ, সদস্যদের হালনাগাদ তালিকা, বকেয়া সদস্য চাদাঁ, সাংগঠনিক ও বিবিধ বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন, প্রেসক্লাবের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ। আলোচনায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী সকলের সম্মতিতে অনুমোদন দেয়া হয়।
    এছাড়া, গঠনতন্ত্র বর্হিভুতভাবে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের নাম ব্যবহার করে বিপথগামী, স্বার্থান্বেষী কতিপয় সদস্য শহরের অজ্ঞাত স্থান থেকে কথিত কমিটি ঘোষনা করে তা অনলাইন, নিউজ পেপার, ফেসবুকসহ বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। পরিকল্পিতভাবে প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলার অপচেষ্টা করছে।
    সাধারণ সভায় উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ এহেন ঘৃণিত কর্মকান্ডের জন্য ওই সমস্ত বিপথগামী সদস্যদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান। একই সাথে প্রেসক্লাবের কার্যক্রম বেগবান করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলেন।
    সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যবৃন্দ আরো বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটের আগ পর্যন্ত একটি রাজনৈতিক দলের ভয় দেখিয়ে ফ্যাসিস্টের দোসর মমতাজ আহমেদ বাপী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী সুজন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র লংঘন করে প্রেসক্লাবকে সাড়ে তিন বছর দখলে রেখে জেলাব্যাপী প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য ও কয়েকজন দলীয় নেতার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রেসক্লাবের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে নিজেরা আত্মসাত করেছে। তারা প্রেসক্লাবের দীর্ঘদিনের লালিত গনতন্ত্র চর্চাকে হত্যা করেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যকে সজাগ থাকার উদাত্ত আহবান জানিয়ে সাধারণ সদস্যরা বলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।
    সভায় আগামী ২২ জুলাই ২০২৫ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

  • সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    সাতক্ষীরায় জামায়াতের যুব প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুবসমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল

    সাতক্ষীরা সংবাদদাতাঃ গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেছেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
    বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা জেলা ইয়ুথ লিডারশীপ প্রোগ্রামে ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন এ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল।
    শনিবার (১৭মে) সাতক্ষীরার আল আমিন ট্রাস্টে কাজী শামসুর রহমান মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুব বিভাগের সভাপতি প্রভাষক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, ডাঃ মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, অফিস সেক্রেটারী মাওলানা রুহুল আমিন, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারী খোরশেদ আলম, সহকারী সেক্রেটারী এড. আবু তালেব প্রমুখ।
    প্রধান অতিথি বলেন, যুবকদের নিজেরে চেষ্টার পরে আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে। সংগঠনের নির্দেশনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত অনুগত্যের মূর্ত প্রতীক হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র—জনতার পাশাপাশি যুবসমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
    সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, যুবসমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখি, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুবসমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় রাতারাতি গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়। তিনি দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদের ৪৮৮+ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায় আমাদের মুক্তি মিলবে না
    জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুবসমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুবসমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমিরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুবসমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই বরং সত্যের পতাকা উড্ডীন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে।

  • মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে, দেশকে সজাগ থাকতে হবে : ইমরান খান

    মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে, দেশকে সজাগ থাকতে হবে : ইমরান খান

    ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশকে সজাগ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে কারাবন্দি বিরোধী নেতা ইমরান খান। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের কথা উল্লেখ করে তিনি একথা বলেন।

    বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবে এবং সে বিষয়ে দেশ ও জাতিকে সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর উপযুক্ত জবাবের প্রশংসাও করেছেন ইমরান খান।

    বুধবার (১৪ মে) এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

    সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বোন আলেমা খান। তিনি বলেছেন, তার কারাবন্দি ভাই ইমরান খানের সাথে সাক্ষাতের সময় ভারতের সাথে পাকিস্তানের সংঘাতের বিষয়টিও আলোচনা করা হয়েছে।

    আলেমা বলেন, “তিনি (ইমরান খান) আমাদের বলেছেন— যুদ্ধের সময় এবং এই ধরনের পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন যে— দেশ ও জাতির সতর্ক থাকা উচিত কারণ (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) মোদি অবশ্যই প্রতিশোধ নেবেন।”

    এদিকে ইসরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক শেখ ওয়াকাস আকরাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইমরান বলেছেন— ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর উপযুক্ত জবাব কেবল জাতির মনোবলই বৃদ্ধি করেনি বরং কারাগারে থাকা ব্যক্তিদের মনোবলও বাড়িয়েছে।

    তবে আকরাম জোর দিয়ে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান সতর্ক করে দিয়েছেন যে— মোদির প্রতারণামূলক এবং অবিশ্বস্ত স্বভাবের কারণে ভারতের আগ্রাসন এবং সংঘাতের সম্ভাব্য পুনরাবৃত্তির জন্য পাকিস্তানকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

    তিনি জানান, ইমরান খান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, “ভারতের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও বারবার আগ্রাসনের ঘটনা ঘটতে পারে, কারণ মোদির আচরণ বিশ্বাসযোগ্য নয়।”

    ক্ষমতাসীন শেহবাজ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “যদি ভারতের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি হতে পারে, তাহলে নিজেদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে বাধা কোথায়?”

    গোহর আলী বলেন, “আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য শান্তি অপরিহার্য। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা করা।”

    তিনি আরও বলেন, পিটিআই সবসময় দেশ ও জনগণের কল্যাণে গঠনমূলক সংলাপে অংশ নিতে প্রস্তুত। তার ভাষায়, “সরকার যদি একটি সর্বদলীয় সম্মেলন ডাকে, তাহলে পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কমিটি সেখানে অংশগ্রহণ নিয়ে ভাববে।”

  • সাতক্ষীরায় চাঁদা না পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় চাঁদা না পেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক মামলা। প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরায় চাঁদার দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় প্রতিবেশী আব্দুল করিম কর্তৃক ব্যবসায়ি মোঃ মশিউর রহমানসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ মে) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কালিগঞ্জ উপজেলার গাঙ্কুলিয়া গ্রামের মৃত ফেরজতুল্লাহ গাজীর ছেলে মোঃ মশিউর রহমান।
    লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি গাঙ্কুলিয়া গ্রামে দোকান নিয়ে সার ও কীটনাশক ব্যবসা করি। গাঙ্কুলিয়া গ্রামের আশরাফ হোসেন গাইনের ছেলে আব্দুল করিম (৪০)কে অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বললে সে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় সম্প্রতি সে আমারসহ এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। একপর্যায় কুখ্যাত চাঁদাবাজ আব্দুল করিম বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত মহিলাদের সংগ্রহ পূর্বক তাদের বাদী করে গত ১১ মার্চ আমিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা (নং-১৭০/২৫ (কালিঃ) দায়ের করে। যা পিবিআই তদন্ত করছে। এটাতে ক্ষ্যান্ত না হয়ে আব্দুল করিম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলি আদালত, মানিকাঞ্জে আমারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সিআর মামলা(নং-৪৮০/২৫) দায়ের করে। সেটিও পিবিআই তদন্ত করছে। গত ৬ মে আমারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন তমন ট্রাইবুন্যাল, চুয়াডাঙ্গায় এবং গত ৮মে আমিসহ ৮জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, ঝিনাইদহ আদালতে আরো একটি মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে।
    মশিউর রহমান বলেন, এভাবে একর পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করায় আমরা সামাজিক ও মানসিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি। চাঁদাবাজ আব্দুল করিম অসামাজিক কাজে লিপ্ত বিভিন্ন মহিলাদের সংগ্রহ করে তাদের বাদী করে এলাকার নিরীহ ব্যক্তিদের নামে মিথ্যে ও হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে আরো মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে আমাদের ভিটা ছাড়া করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করছে। উক্ত চাঁদাবাজ চক্র ও তাদের সহযোগীদের উৎপাতে আমিসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ওই চাঁদাবাজরা এলাকার ছোট খাট ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মানসিক ভাবে ভীতির সঞ্চার করে চলেছে।
    তিনি কুখ্যাত চাঁদাবাজ আব্দুল করিমসহ তার সহযোগীদের অন্যায় অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধে এবং মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

  • ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক প্রকাশ

    ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে জামায়াতের শোক প্রকাশ

    জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদারের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সংগঠনের জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান। বুধবার (১৪ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় নেতৃর্দ্বয় শোকাহত পরিবার—পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানান।

    শোকবার্তায় জেলা জামায়াত আমীর ও সেক্রেটারী বলেন, মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদারের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে তার অনেক অবদান রয়েছে। আমরা তার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

    নেতৃদ্বয় বলেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাকে ক্ষমা ও রহম করুন এবং তার কবরকে প্রশস্ত করুন। তার গুনাহখাতাগুলোকে ক্ষমা করে দিয়ে নেকিতে পরিণত করুন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তার জন্য সহজ, আরামদায়ক ও কল্যাণময় করে দিন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করুন এবং তার শোকাহত পরিবার—পরিজনদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

    উল্লেখ্য বুধবার (১৪ মে) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওঃ ইব্রাহিম হোসেন সরদার খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এন্তেকাল করেন। নিহত জামায়াত নেতা মাওলানা ইব্রাহিম হোসেন সরদার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মৃত এজাহার আলী সরদারের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১নং বাঁশদহ ইউনিয়নের নায়েবে আমীর ছিলেন। সোমবার (১২ মে) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে ইব্রাহিম হোসেন একটি মোটরসাইকেলে কামারবায়সা থেকে বেলেডাঙ্গা বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে মুক্তির মোড় এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার পাশ থেকে হঠাৎ একটি কলাগাছ ভেঙে তার মাথার উপর পড়ে। দ্রুততাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হাতে থাকলে মঙ্গলবার তাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাত ৩ টার দিকে তিনি মারা যান। সন্ধায় জানাজা শেসে পারিবারিক বকরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।

  • পানির প্রবাহ বন্ধ যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে : পাকিস্তান

    পানির প্রবাহ বন্ধ যুদ্ধের কাজ হিসেবে গণ্য হবে : পাকিস্তান

    পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, পাকিস্তানের পানির প্রবাহ যদি বন্ধ বা বাঁকানো হয়, তবে তা ‘যুদ্ধের কাজ’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

    সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দার বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে কখনও কখনও দেশগুলোকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেমনটা আমরা ৯ মে রাতে নিয়েছিলাম।’

    তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্মান ও রাষ্ট্রীয় পরিপক্বতা বজায় রেখে ইতিবাচক পথে এগিয়ে যাওয়া জরুরি। আমরা চাই পুরো প্রক্রিয়াটি মর্যাদা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার সঙ্গে এগিয়ে যাক।

    দার আবারও পাকিস্তানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা চাই সব বিষয় আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধান হোক—যাতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে ওঠে।’

    কাশ্মীর প্রসঙ্গে দার বলেন, এটি কেবল পাকিস্তানের দাবি নয়, বরং একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিরোধ।

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার প্রস্তাব নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দার বলেন, ‘ট্রাম্পের এই প্রস্তাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

    তিনি বলেন, এই দীর্ঘমেয়াদি বিরোধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রসহ তৃতীয় পক্ষের সমর্থন দরকার।

    তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান দুই দেশের যৌথ উদ্যোগেই সম্ভব। এক হাতে তালি বাজে না। একতরফাভাবে পাকিস্তান কিছু করতে পারবে না।’

    ইসহাক দার আরও বলেন, এমন বিষয়ে দেরি করা মানেই আরও জটিলতা বাড়ানো। তিনি বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ এড়ানো সকল পক্ষের স্বার্থেই জরুরি।’

    পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে জানান, পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়াতে চায় না এবং দেশটি ইতোমধ্যে তার কৌশলগত ভারসাম্য ও সার্বভৌম মর্যাদা দেখিয়ে দিয়েছে।

  • শ্যামনগরে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ে প্রশিক্ষণ

    শ্যামনগরে জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বিষয়ে প্রশিক্ষণ

    সিসিডিবি একটি উন্নয়নমুলক বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাটি মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প নারীদের নেতৃত্ব উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।

    সেই লক্ষ্যে ১২ ও ১৩ মে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে সিসিডিবি-এনগেজ প্রকল্প অফিসে প্রকল্পের ১০ জন নারী সদস্য, ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ৫ জন জেন্ডার নেটওয়ার্ক গুরুপের সদস্যদের ২ দিন ব্যাপী জেন্ডার সংবেদনশীল প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। আজ বিকাল ৪ টায় উক্ত প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাজী নজরুল ইসলাম। প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল রউফ গাজী, সচিব রিয়াজুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন এনগেজ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার নিলীমা রানী ও এনগেজ প্রকল্পের কর্মীবৃন্দ।

    উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারিদ বিন শফিক বলেন, সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে জেন্ডার বাজেটিং নিয়ে কাজ করছে এটা খুবই প্রশংসনীয়। তিনি জেন্ডার বাজেটিং কি সেই বিষয়ে আলোচনা করেন।

    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, ২০ বছরের নিচে যদি কোন মায়ের বয়স হয় তাহলে তার সন্তানের জন্ম নিবন্ধন হবে না। তিনি আরো বলেন, ডিসি অফিসে যে মিটিং হয় আমরা যদি সেখানে বিষয়টা উপস্থাপন করতে পারি এবং তারা মন্ত্রণালয়ে জানায় তাহলে বাজেট জেন্ডার সংবেদনশীল করা সম্ভব।

    বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যে বলেন, সিসিডিবি এনগেজ প্রকল্প আপনাদের দুইদিন ব্যাপী যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে তা যদি আপনারা ভালোভাবে বুঝে এবং কাজে লাগাতে পারেন তাহলে প্রশিক্ষণ দেওয়া সার্থক হবে।

  • কালিগঞ্জে প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ রোধে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়

    কালিগঞ্জে প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ রোধে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়

    ‘সুন্দরবন বাঁচলে, বাঁচবে উপকূল’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্নস্তরের গুণীজনদের অংশগ্রহণে প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ প্রতিরোধে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রোববার (১১ মে) সকাল সাড়ে দশটায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘রূপান্তর’ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে।

    রূপান্তরের সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়কারী গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আকরাম হোসেন।

    তিনি বলেন, পলিথিনের ব্যবহার কমাতে শুধু জনসচেতনতাই নয়, যথাযথ আইনের প্রয়োগ অত্যন্ত প্রয়োজন। পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সীমিত পর্যায়ে আনতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং ক্যান্সারসহ নানা ধরনের জটিল ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে।

    তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সব থেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। সামুদ্রিক ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছে প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাচ্ছে যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

    শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা থেকে কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কয়েকটি স্থান নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে প্লাস্টিক ব্যবহার সীমিত করার বিষয়ে সচেতন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজ নিজ জায়গা থেকে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার সীমিত করার বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বক্তারা অনুরোধ জানান।

  •  ভারতের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে যেভাবে ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিল বিএসএফ

     ভারতের বস্তি থেকে উচ্ছেদ করে যেভাবে ৭৮ জনকে সুন্দরবনে ছেড়ে দিল বিএসএফ

    ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও ভারতীয় নৌবাহিনী কর্তৃক বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় একটি চরের মধ্যে ফেলে যাওয়া ৭৮ জনকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্টগার্ড। রোববার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে তাদের শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এদের মধ্যে ৭৫জন বাংলাদেশি নাগরিককে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজন ভারতীয়কে শ্যামনগর থানায় রাখা হয়েছে।

    রাতেই তাদের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা ও খাবারের ব্যবস্থা করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। তাদের অধিকাংশের বাড়ি নড়াইল, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। আজ সোমবার (১২ মে) সকালে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিথুন সরকার।

    পুশ ইন করা একাধিক ব্যক্তি জানান, তারা সকলেই ভারতের গুজরাটের সুরাট বস্তিতে থাকতেন এবং ছোটখাট কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ২৬ এপ্রিল তাদের বস্তি ভেঙে গুড়িয়ে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। ওইদিন রাতেই তাদের আটক করা হয়। সেখান থেকে তাদের হাত ও চোখ বেঁধে নেয়া হয় পুলিশ ক্যাম্পে। সেখানে চার দিন রাখার পর বিমানে করে আনা হয় কোলকাতায়। কোলকাতা থেকে তাদেরকে জাহাজে করে এনে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের তীরবর্তী মান্দারবাড়িয়া এলাকায় নিয়ে চোখ বেঁধে একটি চরে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তারা পায়ে হেটে বনবিভাগের মান্দারবাড়িয়া ফরেস্ট ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। রোববার কোস্টগার্ড তাদের মোংলায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ও তাদের নাম পরিচয় সনাক্তকরণের কাজ শেষে রাতে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করে। তারা বাংলাদেশী হলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা গুজরাটে বসবাস করতেন।

    তারা আরো জানায়, ২৬ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। তাদের ঠিকমতো খেতে দেয়া হতো না। মাঝেমধ্যে মারধর করা হতো। এছাড়া তারা সবসময় আমাদেরকে গালিগালাজ করত।

    এদিকে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনজন জানান, তাদের বাবা-মা গুজরাটে থাকাকালে সেখানেই তাদের জন্ম হয়। তাই জন্ম সূত্রে তারা ভারতীয় নাগরিক। তাদের সব ধরণের কাগজপত্র ছিল। ২০২৪ সালের তাদের সকল কাগজপত্র ভারত সরকার কর্তৃক নিয়ে নেয়া হয়।

    মান্দারবাড়িয়া টহল ফাঁড়ির ওসি মোবারক হোসেন জানান, তার ফাঁড়িতে তিন দফায় মোট ৭৮ জন মানুষ আশ্রয় নেয়। শুরুতে ৩২জন এলেও পরবর্তীতে আরও দুই দফায় ৪৬ জন মানুষ পায়ে হেঁটে তার ফাঁড়িতে এসে পৌঁছায়।

    বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মশিউর রহমান জানান, প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে ৭৮ জন বাংলাভাষীকে ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসব ভালাভাষী নাগরিকদের ভারতীয় একটি জাহাজ ও স্পিডবোর্ডযোগে গত ৯ মে বঙ্গপোসাগরের এলাকার একটি চরে ফেলে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তারা পায়ে হেঁটে নিকটস্থ মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে শনিবার রাতে তাদেরকে কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

    শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ রনী খাতুন জানান, এভাবে আকস্মিকভাবে ৭৮জনকে বঙ্গপোসাগর তীরবর্তী নির্জন এলাকায় চরে ফেলে যাওয়ার ঘটনা সকলকে বিস্মিত করেছে। পরবর্তীতে বনবিভাগ ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সহায়তায় এসব মানুষকে মান্দারবাড়িয়া টহলফাঁড়িতে আশ্রয় দেয়া হয়। এসময় তাদের নাম পরিচয় ঠিকানা সনাক্তের পাশাপাশি তাদের সুন্থ রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার, চাল, ডাল ও পানিসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়।

  • চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড

    চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড

    চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপ প্রবাহের কবলে পড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে জনজীবন। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    শনিবার (১০ মে) চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসাইন জানান, আজ বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের ১৬ শতাংশ এবং দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৯ শতাংশ।

    চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট এলাকায় যশোর-খুলনাগামী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার ঝুনা বলেন, এত পরিমাণ গরম অনুভূত হচ্ছে যে ফ্যানের বাতাসও গরম অনূভুতি হচ্ছে। বসে থেকে কাজ করা যাচ্ছে না।

    যাত্রীবাহী বাস চালক আতিকুর জানান, গত রোজার পর থেকে তীব্র গরমে বাসে যাত্রী হচ্ছে না। বাস চালিয়ে তেলের টাকা উঠছে না। গরমে যাত্রী কমে গেছে।

  • আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন

    আমি যদি কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন

    জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, তীব্র দাবদাহে গত দুদিন থেকে রাস্তায় রয়েছি, ফলে যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। অগ্রিম ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, কোনো ষড়যন্ত্রের চাপে পড়ে আমার মুখ দিয়ে জোরপূর্বক যদি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ‘আন্দোলন প্রত্যাহার’ করা হয় তারপরও আপনারা নিজেরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

    শনিবার (১০ মে) শাহবাগ মোড়ে বিকাল চারটার দিকে গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে এ বার্তা দেন এনসিপির এই নেতা।

    হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আরও স্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে রাখলাম, যতই ষড়যন্ত্র ও প্রেসার আসুক জুলাইয়ের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আলাদা করতে কেউ পারবে না।

    আমি যদি আর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা নাও দিতে পারি, আপনাদের মানজিলে মাকসুদ যেন হয় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না-হাসনাত আবদুল্লাহ

    এর আগে বেলা ৩টার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে শুক্রবারের ন্যায় গণজমায়েত শুরু হয়েছে। এই গণজমায়েত কর্মসূচিতে এনসিপি ছাড়াও যোগ দিয়েছেন, জুলাই মঞ্চ, ইনকিলাব মঞ্চ, ছাত্রশিবির, প্ল্যাটফর্ম ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশসহ (আপ বাংলাদেশ) বিভিন্ন দল ও ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।

    আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা জানান, আজকের (শনিবার) গণজমায়েত থেকে সিদ্ধান্ত আসবে আন্দোলন কোন দিকে যাবে। যদি আজ রাতের মধ্যে সরকারের তরফ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের ঘোষণা না আসে, কাল থেকে সারা দেশের ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসতে পারে

  • পাকিস্তান আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে, দাবি ভারতের

    পাকিস্তান আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে, দাবি ভারতের

    নয়াদিল্লির দাবি পাকিস্তান ভারতের সীমান্তে ‘আক্রমণাত্মক অভিযান’ চালানোর জন্য এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করার জন্য সামরিক ইউনিটগুলোকে ফ্রন্টলাইন পজিশনে পুনরায় মোতায়েন করছে।

    শনিবার (১০ মে) উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটি আরও উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য আক্রমণাত্মক অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দেয়।

    তিনি আরও বলেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এখনো উচ্চ পর্যায়ের অপারেশনাল প্রস্তুতিতে রয়েছে। তবে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী উত্তেজনা না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

    ব্যোমিকা সিং-এর মতে, সমস্ত ‘প্রতিকূল কর্মকাণ্ড’ কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং আনুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।

    তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রাতে ভারত পাকিস্তানি বিমান ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, এই আক্রমণটি অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং অস্থিতিশীল কাজ।

    এর প্রতিক্রিয়ায়, পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ (কুরআনের একটি আয়াত যা মোটামুটি ‘সীসার শক্ত প্রাচীর’ হিসাবে অনুবাদ করা হয়) শুরুর ঘোষণা দেয়।