Warning: Attempt to read property "post_content" on null in /home/dakshinermashalc/public_html/wp-content/plugins/pj-news-ticker/pj-news-ticker.php on line 202
Hasan, Author at Daily Dakshinermashal - Page 20 of 82

Author: Hasan

  • শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে চান না শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভের ডাক

    শিক্ষক নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে চান না শিক্ষার্থীরা, বিক্ষোভের ডাক

    নরসিংদী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও নারী অধিকারকর্মী নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলির সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তারা নাদিরা ইয়াসমিনকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে দেখতে চান না।

    সম্প্রতি ‌‘হিস্যা’ ম্যাগাজিনে একটি লেখাকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলাম নাদিরা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার অভিযোগ তোলে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণের আলটিমেটাম দেয়। এই চাপের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) গতকাল সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বদলির আদেশ দেয়।

    সাতক্ষীরার শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই বদলির সিদ্ধান্ত ‘জনমতের প্রতিফলন নয়, বরং চাপের কাছে নতি স্বীকার’। ফেসবুকে কেউ কেউ নাদিরা ইয়াসমিনকে ‘নাস্তিক’ আখ্যা দিয়ে তাঁর সাতক্ষীরায় যোগদান রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন

    এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, এই নাস্তিককে আমি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে আমার বাংলা ডিপার্টমেন্টে দেখতে চাই না। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য সকলকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

    আরেকজন লেখেন, তাকে যদি বাংলা ডিপার্টমেন্টে বসার সুযোগ করে দেওয়া হয় তাহলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সকল শিক্ষার্থীরা আঙ্গুল বাঁকা করে কিভাবে বের করে দিতে সেটা কড়ায় গন্ডায় বুঝিয়ে দিতে প্রস্তুত।

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষাঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও এখনো কলেজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গেছে।

  • তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চাল বিতরণ

    তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে চাল বিতরণ

    সাতক্ষীরার তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরীব অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার ভিজিএফ কর্মসূচীর আওতায় ১০ কেজি করে চাল বিতরণ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের ১১৬০ টি পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়।
    মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এই চাল বিতরণ উদ্বোধন করেন, তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এম আবুল কালাম আজাদ।
    ইউপি সদস্য মোহাম্মাদ আলী, আমিনুর রহমান, মনিরুজ্জামান মনু, দেলোয়ার হোসেন সোনা, আলাউদ্দীন সরদার, কামরুজ্জামান, শংকর দাশ, মশিয়ার রহমান, জাকিয়া সুলতানা ইতি, রেশমা বেগম ও রেবেকা বেগম নিজ নিজ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশদের সাথে নিয়ে চাল বিতরণ করেন।
    ইউপি সদস্যরা তারা বলেন, চেয়ারম্যান সাহেবের নির্দেশে আমরা প্রকৃত হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়ন করে চেয়ারম্যান সাহেবের কাছে জমা দিয়েছি। এই তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাশ হয়ে আসলে আমরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে প্রতিটি পরিবারের নামে তালিকায় ক্রমঃ অনুযায়ী ¯িøপ তৈরী করে প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। সেই অনুযায়ী আজ চাল বিতরণ করা হচ্ছে। পূর্ব থেকে প্রস্তুতির কারণে কোন ঝামেলা ছাড়াই চাল বিতরণ করতে পারছি। এতে সময়ও কম লাগছে জনগণের ও ভোগান্তি কম হচ্ছে।
    লাঊতাড়া গ্রামের ছবিজান, ধলবাড়িয়া গ্রামের মনোয়ারা, পাঁচরোখী গ্রামের আরজা ও লক্ষণপুর গ্রামের মরিয়ম বলেন, গতকাল রাতে ঈদের চালের ¯িøপ আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে। সেই ¯িøপ নিয়ে আজ চাল নিয়ে যাচ্ছি। আগে থেকে ¯িøপ দেয়ার কারণে আমাদের লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে না। খুব বেশী সময়ও নষ্ট হচ্ছে না।
    তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার পরিষদে কাজ গুলো সহজে ও কম সময়ে শেষ করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি থাকে। চেষ্টা করি জনগণ যে কোনো প্রকার ভোগান্তির শিকার না হয়। পরিষদের সকল সদস্য ও গ্রাম পুলিশ খুবই দায়িত্বশীল। কোনো কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখা হয় না। আজ ভিজিএফ প্রকল্পের আওতায় ১১৬০ পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল প্রদান করা হয়েছে। এর আগে ১৯৬ টি পরিবারের মধ্যে বিগত ৫ মাসের বরাদ্দ বাবদ ৫ বস্তা করে চাল বিতরণ করা শেষ করেছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য।
    তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তি কমানোর জন্য সরকারী ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে বিকাল পর্যন্ত অফিসে থাকি। কোনো দিন গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। যে প্রত্যাশা নিয়ে জনগণ আমাকে নির্বাচিত করেছেন তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণে সর্বদা কাজ করার চেষ্টা করি।

  • সাতক্ষীরায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দু:স্থ ও মেধাবী প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ

    সাতক্ষীরায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দু:স্থ ও মেধাবী প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিনিধি :
    সাতক্ষীরায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক ২০ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দু:স্থ ও মেধাবী প্রশিক্ষনার্থীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার আয়োজনে মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ পরিচালক নাজমুন নাহার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে  প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দু:স্থ ও মেধাবী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝের সেলাই মেশিন বিতরণ করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
    বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম টুটুল।
    এসময়  উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সাতক্ষীরার প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা, কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন প্রশিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন,সার্টিফিকেট ইন  বিউটিফিকেশ প্রশিক্ষক তাসরিনা খাতুন,শো পিস এন্ড হ্যান্ডিক্রাফট মেকিং  প্রশিক্ষক লুৎফুন নাহার বিথী, মোবাইল ফোন সার্ভিসিং প্রশিক্ষক  মো. জাকির হোসেন,ড্রেস মেকিং এন্ড টেইলারিং  প্রশিক্ষক নূরাইয়া নাজনীন প্রমুখ। সাতক্ষীরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত দু:স্থ ও মেধাবী ৩ মাস মেয়াদী ২ সেশনে  ৫৪ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে  মৌখিক ও ব্যবহারিক  পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২০ জন প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে এ সেলাই  মেশিন বিতরণ করা হয়।
  • সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৫ জনের নামে মামলা

    সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার মঞ্জুরুল কবিরসহ ২৫ জনের নামে মামলা

    পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব ও সাতক্ষীরার সাবেক জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান, তৎকালীন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর, তৎকালীন এএসপি (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার তৎকালিন ওসি মো. ইনামুল হকসহ পুলিশের ১৫ জন ও আওয়ামী লীগের দশ নেতাকর্মীর নামে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈচনা গ্রামের মো. মাদার সরদারের ছেলে মো. ওবায়দুল্যাহ বাদী হয়ে বুলডেজার দিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবী করে সোমবার (২৬ মে) সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।

    আদালতের বিচারক মো. মায়নুদ্দিন ইসলাম বাদীর অভিযোগটি আমলে নিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরার বারের সহ-সভাপতি এড. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মামলার আসামিরা পরষ্পর যোগসাজে ২০১৪ সালের ১জানুয়ারি সাতক্ষীরা সদরের শাকরা কোমরপুর এলাকার বৈচনা গ্রামের মো. মাদার সরদারের ছেলে মো. ওবায়দুল্যাহ বাড়ি ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বুলডেজার দিয়ে বাদীর ঘরবাড়ি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পুলিশ তখন এ মামলাটি আমলে নেয়নি। তাই দীর্ঘ ১৫ বছর পর কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ও আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করে মামলা করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ মো. ওবায়দুল্যাহ।

    মামলার বাদী মো. ওবায়দুল্যাহ বলেন, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি তার বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করে তৎকালিন আওয়ামী সরকারের পেটুয়া বাহিনী। যার নের্তৃত্বে ছিলেন সাতক্ষীরার তৎকালিন ডিসি নাজমুল আহসান।

    তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও বহাল তরবিয়তে আছেন হাসিনার অবৈধ নির্বাচন ও খুন গুমে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসান।

    তিনি আরো বলেন, নাজমুল আহসানের সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। তিনি এঘটনায় ন্যায় বিচার দাবি করেন।

  • ঈদে আসছে নতুন টাকা

    ঈদে আসছে নতুন টাকা

    বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি আরও ঘনিষ্ঠভাবে উপস্থাপন করতে বাজারে আনছে নতুন ডিজাইনের টাকার নোট। এসব নোটে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক প্রতীকগুলোকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সব নোটে রয়েছে নতুন গভর্নর আহসান হাবিব মনসুরের স্বাক্ষর।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দেশে আসছে নতুন ডিজাইনের টাকা। এসব টাকায় কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। এর বদলে থাকছে দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা, প্রাকৃতিক দৃশ্য ও সাংস্কৃতিক প্রতীক।

    জানা গেছে, প্রথম ধাপে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হবে, যা পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই– জুনের ২ অথবা ৩ তারিখের মধ্যে সাধারণ মানুষ হাতে পাবে। পর্যায়ক্রমে অন্য মূল্যমানের নোটও বাজারে আসবে। তবে এখনই সব নোট পুরোপুরি বাজারে না এলেও সীমিত পরিসরে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এক অনুষ্ঠানে জানান, নতুন নোটে দেশের প্রকৃতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

    এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘নতুন ডিজাইনে কোনো ব্যক্তির ছবি রাখা হয়নি। নোটগুলোতে দেশের চিত্র ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে।’

    জানা গেছে, নোটগুলো বাজারে ছাড়ার আগে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখানো হবে।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নোট নিয়ে ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ‘নতুন নোটের ডিজাইন কেমন হবে, তা গভর্নর স্যার আগেই জানিয়েছেন। এসব নোটে কোনো ব্যক্তির ছবি থাকছে না। বরং দেশের ঐতিহ্য, প্রকৃতি ও সাংস্কৃতিক নিদর্শনকে গুরুত্ব দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।’

    তিনি আরও জানান, ঈদের আগে– জুনের ২ বা ৩ তারিখের মধ্যে– ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছে যাবে। ছাপার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রথমে এই তিনটি নোট বাজারে আসবে, পরে ধাপে ধাপে অন্য মূল্যমানের নোট ছাড়া হবে।

    গণমাধ্যমের কাছে ইতোমধ্যে নতুন ডিজাইনের কয়েকটি নোটের ছবি সংগ্রহ করেছে, যেখানে সুন্দরবন, ঐতিহাসিক স্থাপনা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতীক দেখা গেছে। এসব নোটে দেশের পরিচিতি ও গৌরবময় ইতিহাসের ছাপ সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

    ১০০ টাকার নতুন নোটে সুন্দরবনের ছোঁয়া
    ১০০ টাকার নতুন নোটে এক পাশে রয়েছে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদ ও জাতীয় প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জলছবি। অপর পাশে দেখা যাবে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন ‘সুন্দরবন’, যেখানে রয়েছে এক ঝাঁক হরিণ ও একটি বাঘের ছবি। সাদা অংশে বাঘের জলছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।

    ২০০ টাকার নোটে ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতিফলন
    নতুন ২০০ টাকার নোটে হালকা হলুদ রঙে দেখা যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে অবস্থিত অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্য। অপর পাশে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি—মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের ধর্মীয় পোশাক ও উপাসনালয়সহ উপস্থাপিত হয়েছে। মাঝখানে সবুজের মধ্যে রয়েছে দেশের মানচিত্র।

    ৫০০ টাকার নোটে শহীদ মিনার ও সুপ্রিম কোর্ট
    নতুন ৫০০ টাকার নোটে একপাশে স্থান পেয়েছে জাতীয় চেতনায় অনন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। অপর পাশে রয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি।

    ১০০০ টাকার নোটে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও সংসদ ভবন
    সবচেয়ে বড় মূল্যমানের ১০০০ টাকার নোটে একদিকে রয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, যা দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। অপরদিকে রয়েছে জাতীয় সংসদ ভবন, যা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক।

    নতুন ডিজাইনের এই নোটগুলো বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষ।

  • সাতক্ষীরায় নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সুরক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

    সাতক্ষীরায় নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সুরক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প

    : নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাতক্ষীরা পৌরসভার কামালনগর মালেকপাড়ায় ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প পরিচালিত হয়েছে।

    সোমবার (২৬ মে) বাংলাদেশ রিসোর্স সেন্টার ফর ইনডিজেনাস নলেজ (বারসিক), সাতক্ষীরা এসডি হস‌পিটাল এবং মিডিয়া পার্টনার খবরের কাগজ-এর যৌথ আয়োজনে পরিচালিত এই স্বাস্থ্য ক্যাম্পে নারী-শিশুসহ শতাধিক মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধের পাশাপাশি পুষ্টি পরামর্শ দেওয়া হয়।

    ক্যাম্পে সাতক্ষীরা এসডি হাসপাতালের আরএমও ডা. প্রদীপন কুমার চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

    জলবায়ু পরিবর্তনের নানাবিধ অভিঘাতে এই নিম্ন আয়ের বস্তিবাসী গ্রাম থেকে সবকিছু হারিয়ে শহরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। শহরে এসেও তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নগরের নানা সংকটের মধ্যে তাপপ্রবাহ বস্তিবাসী মানুষের জীবন এবং জীবিকাতে ভীষণভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। একই সঙ্গে এই তাপপ্রবাহের কারণে তারা নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা করাতে গিয়ে তারা দরিদ্র থেকে দারিদ্র্যের প্রান্তসীমায় পৌঁছে যাচ্ছেন। এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প কিছুটা হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    ক্যাম্প পরিচালনায় সহায়তা করেন বার‌সিকের প্রোগ্রাম অ‌ফিসার গাজী মা‌হিদা মিজান, যুব সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম, এসডি হাসপাতালের মেডিকেল অ্যাসিসটেন্ট মুজা‌হিদুল ইসলাম, খবরের কাগজের সাতক্ষীরা প্রতিনিধি নাজমুল শাহাদাত জাকির, বন্ধুজন সাতক্ষীরার সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আন্নিষা, সদস্য সোনামণি আক্তার বৃ‌ষ্টি, শিক্ষা সংস্কৃ‌তি ও বৈ‌চিত্র্য রক্ষা টিমের সভাপতি আব্দুর রহমান নীরব, সদস্য মোনাইমু, সিফাত হোসেন, ফ‌রিদ গাজী প্রমুখ।

    বার‌সিকের প্রোগ্রাম অ‌ফিসার গাজী মা‌হিদা মিজান বলেন, জনসংখ্যা বিবেচনায় আমাদের দেশে চিকিৎসা সেবা খুবই অপ্রতুল। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত  নগরের নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা নিশ্চিতে এই স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।

    সাতক্ষীরা বন্ধুজনের সদস্য সোনামণি আক্তার বৃ‌ষ্টি বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রের চিকিৎসাব্যবস্থা একদিকে যেমন সীমিত, অন্যদিকে পরিবেশদূষণ এখানকার শিশুদের জীবনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এই আয়োজন তাদের জন্য কিছুটা হলেও উপকার করবে।

    বিউটি খাতুন নামে একজন নারী চিকিৎসাসেবা পেয়ে বলেন, আমাদের পাড়ার অধিকাংশ মানুষই দরিদ্র। তারা ঠিকমত ডাক্তার দেখাতে পারেন না। বিশেষ করে মহিলারা রোগাক্রান্ত হলেও অর্থাভাবে ডাক্তার দেখান না। তাই এ ধরনের ক্যাম্প আমাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে।

  • সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা 

    সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা 

    সাতক্ষীরায় সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    সোমবার (২৬ মে) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরা চালতেতলা মিশন হল রুমে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নারী নেতৃত্বের প্রচার ও ক্ষমতায়ন বিষয়ে স্থানীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার ফাতেমা জোহরা।
     এডভোকেসিতে  সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেল সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মো. আব্দুল হাই, ফিংড়ি ও ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: আলকাজ আলী, ফিংড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা রেবেকা সুলতানা, ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা মোছা: ময়না খাতুন, ইউপি সদস্য মো: কামরুজ্জামান, ফিংড়ি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মেহেদী হাসান, সাতক্ষীরা পৌরসভার স্থগিত মহিলা কাউন্সিলর অনিমা মন্ডল,  সাতক্ষীরা সাইবার ক্রাইম এলার্ট টিমের পরিচালক শেখ মাহবুবুল হক, সাংবাদিক ও যুব সদস্যবৃন্দ।
     সংলাপে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস। প্রকল্পের কার্যক্রম ও প্রোগ্রামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ)। আরো বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের সভাপতি হ্রদয় মন্ডল, সদস্য ইমতি জামিল, শ্রেয়া সরদার ও লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, স্বপ্নসিড়ি যুব সংঘের সদস্য হালিমা খাতুন, কর্নফুলি যুব সংঘের সদস্য শাহনাজ পারভীন।
    এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল যুব ও নারীর ক্ষমতায়ন এবং নেতৃত্ব বিকাশকে উৎসাহিত করার জন্য বাস্তবায়িত উদ্যোগগুলি উপস্থাপন করে কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। সরকারী পরিসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুব ও নারীদের সংযুক্ত করা এবং বিভিন্ন প্লাটফর্মে অংশগ্রহনের সুযোগ তৈরী করা। যুব নারীদের নেতৃত্বের ভুমিকা গ্রহন ও স্বনির্ভরতার জন্য উদ্যোক্তা তৈরীতে উৎসাহিত করা। এডভোকেসি থেকে যুবদের চাহিদা ছিল যুব নারীদের দ্বারা বাস্তবায়িত বিভিন্ন উদ্যোগ উপস্থাপনের মাধ্যমে জনসেবা কর্তৃপক্ষ দৃশ্যমান হবে এবং অন্যান্যদের উৎসাহিত করা হবে। যুব/নারী এবং স্থানীয় সরকার পরিসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ স্থাপন, যার ফলে সহায়তা পরিসেবা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্লাটফর্মে অংশগ্রহনের সুযোগ উন্নত হবে। ইউনিয়ন পরিষদ ও ফরম্যাল কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ার যুব নারীদের অন্তভর্‚ক্তি করা।
    সংলাপে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, যুব নারীদের  নেতৃত্তে¡র  জায়গাগুলো কী হতে পারে? নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বাঁধাসমুহ কী কী? বাঁধা সমুহ দুর করার উপায়সমুহ কী কী? বাধা সমুহ দুর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর এ্যাক্টরদের ভূমিকা সমুহ কী কী? নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বাহ্যিক বাঁধাসমুহ দুর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেক্টর এ্যাক্টরদের (তথা পরিবার, কমিউনিটি, সাংবাদিক, সিভিল সোসাইটি, স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা কী হতে পারে):  যুব নারী নেতৃত্তে¡র ক্ষেত্রে বর্তমান সমাজে বিদ্যামান সুযোগ সুবিধাগুলো কী কী? ইত্যাদী বিষয়ে বক্তারা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। পারিবারিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন, সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে নারীরা নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন ও রাজনৈতিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ত¡ দিতে পারেন।
    সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালচনায় ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: তহিদুজ্জামান (তহিদ),  এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফেলো শাওন প্রমুখ ।
  • সাতক্ষীরার বুলারাটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরার বুলারাটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

    সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    সাতক্ষীরায় দীর্ঘ দশ বছর বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছেন জুনিয়র মৌলভী শিক্ষক সাইফুল আলম। তিনি সদর উপজেলার বুলারাটি গ্রামের আজিজুল বারির ছেলে। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুিষ্ঠত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
    দীর্ঘ সময় শিক্ষকতা করার পরও বেতন না পাওয়ার জন্য তিনি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষককে দায়ী করেছেন। অভিযোগ তুলেছেন, স্বজন প্রীতির। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মোঃ আতাউর রহমান তার আপন-ভাইবোনকে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সৃষ্ট পদে সাধারণ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাইয়ে দিয়েছেন। তারা এমপিওভুক্তির অধীনে বেতন পাচ্ছেন। অথচ শুন্যপদে চাকরিতে নিয়োগ পেয়েও দীর্ঘ দশ বছর বিনা বেতনে আছেন তিনি।
    লিখিত অভিযোগে সাইফুল আলম আরো বলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর ইউনিয়নের বুলারাটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সালে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হয়। ২০১৫ সালে মাদ্রাসার শুন্য পদে জুনিয়র মৌলভী পদে তিনি নিয়োগ প্রাপ্ত হন। নিয়োগের পর থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে তিনি বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সকল কাগজপত্রে তিনি ২য় নম্বার সিরিয়ালে রয়েছেন। কিন্তু মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মো: আতাউর রহমান তার আপন ভাই আরিফুর রহমান এবং বোন ফারজানা খাতুনের এমপিওভুক্তি করেছেন। তারা দুজন সাধারণ শিক্ষক(জেনারেল টিচার)। মাদ্রাসায় সাধারণ শিক্ষক(জেনারেল টিচার) এর পদ রয়েছে একটি। অথচ কৌশলে প্রধান শিক্ষক তার (সাইফুল আলম) নাম না পাঠিয়ে নিজের ভাই এবং বোনের নাম পাঠিয়ে এমপিওভুক্তি করিয়েছেন।
    সরাকারি নীতিমালা অনুযায়ী একজন প্রধান শিক্ষক, একজন জুনিয়র মৌলভি আলিম পাশ। একজন জুনিয়র শিক্ষক এইচএসসি পাশ। একজন ক্বারী শিক্ষক দাখিল মুজাব্বিদ পাশ হতে হবে। কিন্তু কিভাবে জুনিয়র মৌলভী পদে একজন সাধারণ শিক্ষককে এমপিওভুক্তি করানো হলো এমন প্রশ্ন তুলে ধরে সাইফুল আলম বলেন, প্রকৃতপক্ষে জালিয়াতি করে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে জুনিয়র মৌলভিকে বাদ দিয়ে দুজন জুনিয়র শিক্ষক (জেনারেল) নেওয়া হয়েছে।
    এঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, ভুক্তভোগী সাইফুল আলম।
    সাইফুল আলমের এমপিওভুক্তি না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ মো: আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। একই মাদ্রসায় আপন ভাই-বোনের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করলেও তার ( প্রধান শিক্ষক) বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

  • আশাশুনিতে যুব নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় আলোচনা সভা 

    আশাশুনিতে যুব নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় আলোচনা সভা 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে উপজেলা পর্যায়ে যুব নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় জলবায়ু এবং জেন্ডার ন্যায্যতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার সকাল ১০টায় আশাশুনি স্পিরিট-কল প্রকল্প অফিস কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প কর্মকর্তা আব্দুল খালেক, সালমা পারভীন, দ্বীপ রঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ।
    সভায় নারীবান্ধব যুব নেটওয়ার্ক কার্যক্রম অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা এবং ত্রৈমাসিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
  • কুরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ

    কুরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ

    আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কুরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। রোববার (২৫) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে চামড়া সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈঠক শেষে মূল্য ঘোষণা করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরুদ্দ্দীন।

    উপদেষ্টা বলেন, ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ঘোষণা অনুযায়ী, ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা। এছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    দেশে কাঁচা চামড়ার চাহিদা না থাকলে প্রয়োজনে চামড়া রফতানি করা যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, চামড়া রফতানি সংক্রান্ত যে বিধিনিষেধ ছিল, সেটি প্রত্যাহার করেছে সরকার।

    এবারের ঈদুল আজহায় কুরবানির পশুর ক্ষেত্রে ছোটো গরুর কাচা চামড়ার দাম ঢাকায় ১৩৫০ টাকা ও ঢাকার বাইরে ১১৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

  • সাতক্ষীরায় বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক উল্টে শিশু নিহত, আহত ৬

    সাতক্ষীরায় বাসের ধাক্কায় ইজিবাইক উল্টে শিশু নিহত, আহত ৬

    সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাসে ধাক্কায় ইজিবাইক আরোহী এক শিশু নিহত ও ৬ জন আহত। রোববার (২৫ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহত শিশু মোস্তাকিম (১) খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার শেখের নাতি। তার মায়ের নাম ফাতেমা খাতুন।

    আহতরা হলেন, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর গ্রামের রজব আলী সরদারের ছেলে মোজাম্মেল সরদার (৩২), চাঁদপুর গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে রাশেদ আলী রাশেদ আলী (৪০), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার লক্ষীখোলা গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৫), একই উপজেলার শ্রীকন্ঠপুর গ্রামের গফফার শেখের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪৪), গফফার শেখের মেয়ে শাপলা খাতুন (৩০) ও লাড়ুরী গ্রামের ইব্রাহিম আলী গাজীর ছেলে হযরত আলী গাজী (৪৫)।

    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফাতেমা খাতুন তার শিশু সন্তান মোস্তাকিমকে নিয়ে বাবা গফফার শেখের সঙ্গে পাইকগাছার বাকা থেকে একটি ইজিবাইকে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথিমধ্য বেলা সাড়ে দশটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের রামচন্দ্রপুর মোড়ে পৌঁছালে আশাশুনি থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি যাত্রীবাহী বাস পিছন দিক থেকে ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইকটি রাস্তার উপর উল্টে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশু মোস্তাকিম। গুরুতর আহত হয় ইজিবাইকের অপর ছয় যাত্রী। তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিনুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

  • ১৬ বছর পরও আইলার ক্ষত মুছে যায়নি উপকূলের মানুষের জীবন থেকে

    ১৬ বছর পরও আইলার ক্ষত মুছে যায়নি উপকূলের মানুষের জীবন থেকে

    ২০০৯ সালের ২৫ মে—এই দিনটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনে এক বিভীষিকাময় স্মৃতি হয়ে আছে। ঘূর্ণিঝড় আইলা নামক প্রলয়ংকরী দুর্যোগ সেদিন আছড়ে পড়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার উপর। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়ে নেয় শত শত মানুষের, লাখ লাখ মানুষকে করে গৃহহীন, এবং চিরস্থায়ী ক্ষত তৈরি করে প্রকৃতি ও জনজীবনে।

    আইলার আঘাত ও তাণ্ডব

    ঘূর্ণিঝড় আইলার গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার। এই দুর্যোগে ৩৩৯ জন মানুষ প্রাণ হারান, আহত ও নিখোঁজ হন আরও হাজারো। প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হন, যাদের অনেকেই বছরের পর বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। সুন্দরবনের একটি বড় অংশও প্লাবিত হয়, যার প্রভাব পড়ে বনজ সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের উপর।

    বাঁধ ভাঙন ও লবণাক্ত দুর্ভোগ

    ঘূর্ণিঝড়ের মূল ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় বাঁধ ভেঙে। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ২৭টির বেশি স্থানে বাঁধ ভেঙে পড়ে। এর ফলে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি প্লাবিত করে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, মৎস্যঘের ও খামার। লবণাক্ততার এই করাল ছায়া দীর্ঘ তিন থেকে পাঁচ বছর ধরে কৃষিতে বিপর্যয় নামিয়ে আনে।

    মানবিক বিপর্যয় ও সুপেয় পানির সংকট

    ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে উপকূলবাসীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় সুপেয় পানির সংকট। তলিয়ে যাওয়া টিউবওয়েল, লবণাক্ত পুকুর এবং ভেসে যাওয়া রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং সিস্টেমের কারণে পানযোগ্য জলের জন্য তাদের হাঁটতে হয়েছে কিলোমিটার পর কিলোমিটার। অনেক পরিবার আজও টেকসই ও নিরাপদ আশ্রয়ের বাইরে বসবাস করছে।

    আজও দুঃসহ স্মৃতি

    আইলার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও, ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও অনেক পরিবার অস্থায়ী কুঁড়েঘরে বসবাস করে, প্রতি বর্ষায় বাঁধ ভেঙে নতুন করে দুর্ভোগে পড়ে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও টেকসই বাঁধ নির্মাণ, পুনর্বাসন ও জীবিকা নির্বাহের সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি।

    পরিবেশ ও সুন্দরবনের ক্ষতি

    সুন্দরবন, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, এই ঘূর্ণিঝড়ের অন্যতম শিকার। বনাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে গাছপালা ধ্বংস হয়, পশুপাখির আবাসস্থল বিপন্ন হয়। এর ফলে বনজ সম্পদে যেমন ঘাটতি দেখা দেয়, তেমনি জীববৈচিত্র্যেও স্থায়ী প্রভাব পড়ে।

  • যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত 

    যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত 

    নিজস্ব প্রতিনিধি : যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    রবিবার (২৫ মে) সকাল ১০ টায় সাতক্ষীরায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে এবং একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এফরটি প্রকল্পের আওতায় যুব নেতত্বে স্থানীয় পর্যায়ে সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
     সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সমিতি সাতক্ষীরা জেলা মাওলানা শেখ মাহববুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন হুসাইন, জেলা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ আমিন,  সাতক্ষীরা সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ক্যাটেখিস্ট চালতেতলা মিশনের ডমেনিক মন্ডল, বিশিষ্ট সমাজসেবক হেনরী সরদার, দৈনিক সুপ্রভাতের উপ-সম্পাদক মো. মাযহারুল ইসলাম সহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারবৃন্দ ও যুব সদস্যবৃন্দ। এছাড়া আরো
    বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের সভাপতি হৃদয় মন্ডল, সদস্য ইমতি জামিল, কর্নফুলি যুব সংঘের সদস্য শাহিনা পারভীন ও সভাপতি মোহাইমিন, স্বপ্নচুড়া যুব সংঘের সভাপতি এহছান মাহমুদ।
    আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত:প্রজন্ম সমন্বয় একটি উপায় যা সব বয়সের মানুষ একসাথে এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে এটি আজীবন শেখার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে জ্ঞানের স্থানান্তর দক্ষতা, মূল্যেবোধ এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য একসাথে কাজ করে। বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে পার বার্ধক্য সমাজে আমাদের মূলধন, সামাজিক সংহতি আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত: প্রজন্মীয় পারস্পারিকভাবে সকলের একত্রিত করে, যা বৃহত্তর উৎসাহ দেয় প্রজম্মের মধ্যে বোঝাপড়া, সম্মান ও সংহতি তৈরীতে অবদান রাখে। পারস্পারিক শিক্ষার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। বার্ধক্য সমাজে আমাদের মূলধন, সামাজিক সংহতি আন্ত:সম্প্রদায় ও আন্ত: প্রজন্মীয় পারস্পারিকভাবে সকলের একত্রিত করে, যা বৃহত্তর উৎসাহ দেয় প্রজম্মের মধ্যে বোঝাপড়া, সম্মান ও সংহতি তৈরীতে অবদান রাখে।
    এডভোকেসির উদ্দেশ্য ছিল ধর্মীয় নেতাদের সাথে আর্ন্ত:সম্প্রদায় এবং আর্ন্ত: প্রজন্মীয় প্রচারণা শুরু করে সমাজকে আর ও সহনীয় করে তোলা। কমিউনিটিতে সামাজিক সম্প্রীতির ক্ষতি করে এমন মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা। সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষায় ও সংহতি বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় নেতা ও বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ গ্রহন করা। ধর্মীয় নেতাদের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুবকদের অংশগ্রহনের সুযোগ সৃষ্টি করা  যুবদের প্রত্যাশা ও প্রস্তাবনা ছিল বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে ধর্মীয় নেতা ও তরূনদের অংশগ্রহনের মাধ্যমে যুব এবং ধর্মীয় নেতাদের মধ্যে একটি ভাল সংযোগ তৈরী করা। স্থানীয় শান্তি-সম্প্রীতি কমিটিতে যুবদের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা। সমাজে শান্তি-ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে যুব সমাজকে আর ও সক্রিয় ভুমিকা পালন করতে উৎসাহিত করা। আন্ত:প্রজন্ম সংহতি প্রচারণা আন্ত:সম্প্রদায়ের মাধ্যমে পারস্পারিক শ্রদ্ধা ও সামাজিক সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা।
    আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি বিষয়ে কিভাবে ভুমিকা রাখতে পারবে? সমাজে শান্তি সম্প্রীতি রক্ষায় যুবদের কি ভুমিকা থাকা দরকার? সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে কিভাবে এক প্লাটফর্ম তৈরী করা যেতে পারে? শান্তির বার্তা প্রচারের জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে কোন মাধ্যম ব্যবহার করতে পারি? সামাজিক শান্তি সম্প্রীতি বিষয়ে যুবদের কিভাবে কাজে লাগানো যাবে?  উপরোক্ত বিষয়াবলির উপর ধর্মীয় নেতারা সামাজিক সংহতি বৃদ্ধির জন্য পরামর্শ প্রদান করেন এবং যুবদের নিয়ে একসাথে কাজ করার প্রত্যায় ব্যক্ত করেন। সাকিব হোসেন এর সঞ্চালনায়  এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প সমন্বয়কারী, মো: তহিদুজ্জামান, তহিদ, একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুমন আচার্য্য, প্রোগ্রাম অফিসার, চন্দ্রশেখর হালদার, ফাইন্যান্স অফিসার চন্দন কুমার বৈদ্য।
  • সাতক্ষীরায় জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ গ্রেপ্তার ২

    সাতক্ষীরায় জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ গ্রেপ্তার ২

    সাতক্ষীরায় অবৈধ জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় শহরের কাটিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম বিড়ালক্ষ্মী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে মোহাম্মদ নাঈম হোসেন (৩০) ও একই উপজেলার কাটুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে আবু রাসেল (৩৫)।

    এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, পাঞ্চ মেশিন, ১০ টা দেশের জাল মুদ্রাসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।

    জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর সেনা ক্যাম্পের ৩৭ বীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আলমগীর এর নেতৃত্বে শহরের কাটিয়া এলাকার আশরাফুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। এসময় জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানো চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় সেখান থেকে বিদেশি জাল মুদ্রা, জাল ডলার ও জাল টাকা ছাপানোর মেশিনসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল উদ্ধার করা হয়।

    এবিষয়ে আরো তথ্য উদঘাটনে গ্রেপ্তারকৃতদের সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

    সাতক্ষীরা যৌথ বাহিনী একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র তথ্য নিশ্চিত করেছে।

  • কালিগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ইজারা মালিক আটক

    কালিগঞ্জে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ইজারা মালিক আটক

    অবৈধভাবে ইটভাটা পরিচালনার অভিযোগ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সিয়াম ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে ভাটাটি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ভাটার লিজ মালিক আব্দুর সবুরকে আটক করা হয়। শনিবার (২৪ মে) দুপুরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমিত কুমার বিশ্বাস কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের নাজিমগঞ্জ শীতলপুর গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করেন।

    এ সময় সরকারি কাজে বাঁধা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ভাটার ইজারা মালিক কালিগঞ্জ উপজেলার গণপতি গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে আব্দুর সবুরকে আটক করা হয়।

    কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমিত কুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির নীলডুমুর ১৭ব্যাটালিয়নের মেজর সুস্মিত শোভন দাস।

  • আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডে‌কে‌ছেন প্রধান উপ‌দেষ্টা

    আগামীকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডে‌কে‌ছেন প্রধান উপ‌দেষ্টা

    আগামীকাল রোববার সকল রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস। এদিন বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের পরিবির্তিত পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা এ বৈঠক ডেকেছেন।

    জানা গেছে, বৈঠকে জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব রাজনৈতিক দলের একজন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি আগামীকালের বৈঠকে আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।

    দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আগামীকালের বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। তবে সময়টি এখনো জানানো হয়নি। পরবর্তীতে সময় জানানো হবে বলে আমাদেরকে বলা হয়েছে। যতদূর মনে হলো বিকালেই হবে।

    এদিকে আজ বিএনপি ও জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের সাথে যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সন্ধ্যা ৭টায় বিএনপির প্রতিনিধি এবং রাত ৮টায় জামায়াত ইসলামীর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

  • গোয়ালডাঙ্গা ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভা 

    গোয়ালডাঙ্গা ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক  বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভা 

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা ফকিরবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টায় স্কুল কক্ষে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
    প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটির সভাপতি মাওঃ আব্দুল ওয়াজেদ। সহকারী শিক্ষক নিমাই চাঁদ সরকারের উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গোয়ালডাঙ্গা বাজার কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন ফকির, ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য জিএম মফিজুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্র নাথ সরকার প্রমুখ। সভায় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত স্কুলে উপস্থিতি, মোবাইল ফোন ব্যবহারে কিংবা বাজে সঙ্গে সময় নষ্ট না করা, সন্ধ্যার পরে বাড়িতে পড়তে বসানোর জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান হয়।
  • আশাশুনিতে গ্রাম আদালত  বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

    আশাশুনিতে গ্রাম আদালত  বিষয়ক প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

    আশাশুনি প্রতিনিধি:
    আশাশুনিতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের অংশ গ্রহনে গ্রাম আদালত বিষয়ক দু’ দিনের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) সকালে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়।
    স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রীয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতাধীন এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার ১১ ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদ হোসাইন, উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম।